এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মোদির উত্থান- অশনি সংকেত

    বিপ
    অন্যান্য | ১৭ জুলাই ২০১৩ | ১১৮৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 340123.110.234523.7 | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:১৯617868
  • কবিরা হাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে নিষেধ করেছেন বিবিধ কারণে-তাই, অনুরোধ এমনটি করবেন না।
    কংগ্রেসের উত্থান না হলে রাষ্ট্রীয় স্তরে বিজেপিকে সরনোর কথা ভুলে যাওয়াই ভাল। শুধু ছবি বিক্কিরির টাকা কে খেয়েছে সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করলেই অনেকের হাঁটু কেঁপে যাবে।
    আজকের বাণীঃ "ওদের যদি শ্রীরাম থাকে তো আমাদের মা-দুর্গা আছে"। লেত্তির টানে লাট্টু যেমতি ঘুরপাক খায়, বিজেপির হেঁচকাতে তেমতি কেমন হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা ভেসে ভেসে উঠছে!!
  • sm | 785612.35.5667.56 | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:১২617869
  • যান না, বামেদের তরফে রাফাল নিয়ে ভারত কাঁপানো আন্দোলন করুন না।কে আটকাচ্ছে?
    ওসব ছবি বিক্রি, নারদা নিয়ে গত চার -পাঁচ বছর অনেক কিছু কপচালেন, জনগণ তো হেঁচকি তুলে লেঙ্গি দিলো।আর কিছু বাকি আছে?
    ওই বিজেপি সাম্প্রদায়িকতা বাড়াচ্ছে বা চৌকিদার চোর বলে নামতা পড়ে কোন লাভ নেই।
    ময়দানে খেটে কাজ করতে হয়।
    গান্ধী পরিবারের বিশ্বাস যোগ্যতা এমন কিছু নেই, যে যা খুশি বললেই জনতা খেয়ে নেবে।
    সম্প্রতি, উত্তর প্রদেশে অল্প বিস্তর রাজনীতি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি বললেন, বিজেপির আমলে রাস্তা ঘাট ও লোডশেডিং সমস্যার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, যদিও জি এস টি ও নোট বন্দী নিয়ে সাধারণ জনতা একটু চটে আছে।
    আপনি ,আমি, রাহুলবাবা কি ভাবলো ,তাতে বিশেষ কোন লাভ নেই।
  • | 340123.99.121223.133 | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:১৯617870
  • এস এম প্রধানমন্ত্রী ক্যান্ডিডেট না হবা অব্দি আমি কোনো বিরোধী দের উন্নতির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না। অবশ্য তদ্দিকে পিটি কে বামফ্রন্টের চেয়ার ম্যান করতে হবে আর কল্লোল দা কে টি এম সি তে ঢোকাতে হবে, আর আমি বা সিকি বিজেপিতে না ঢোকা অব্দি বিজেপি প্রকৃত সেকুলার হবে না, তদ্দিন আপনারা এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন কিন্তু মতৈক্যে পৌছতে পারবেন না। ঃ-))))) খ
  • হুম | 5667.19.786712.130 | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:১৬617871
  • ক্রিস হেজেস এর লেখাটা ভালো।
  • dd | 90045.207.90045.148 | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:২১617872
  • নাসি গোরাংএর নিবন্ধটি ত্যামন ভালো লাগলো না। মশলা কম মনে হোলো।
  • sm | 785612.40.2345.214 | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:৪৬617874
  • সি পি এম ভি চলেগা!এটাও বলেছে। কিন্তু কেন, সেটা বলে নি।
  • PT | 015612.129.7867.78 | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১০:০২617875
  • একা একাই হাসছেন? তা বেশ.....তা বেশ....
  • sm | 785612.40.0167.187 | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১১:০৭617876
  • বামেদের পা ছড়িয়ে মেকি কান্না দেখে হাসি পাচ্ছে বটেক।
  • sei | 456712.100.6723.66 | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১১:২১617878
  • কাঁঠালপাতা লাগলে সত্বর যোগাযোগ করুন। চিবোনো বন্ধ আছে বলে অসংলগ্ন প্রলাপ বকা চলছে।
  • sm | 785612.40.0167.187 | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৩৯617879
  • খোঁয়ার থেকে গুটি গুটি বেরোচ্ছে সব।একটু পরেই ঘোঁৎ ঘোঁৎ শুরু হবে।
    বল্লে হবে!বামপন্থী খোঁযার সব!খরচা আছে।
  • Complete Quotation From ABP | 568912.104.012312.3 | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৪২617880
  • বিরোধী ঐক্যকে ছত্রভঙ্গ করতে গত কয়েক মাস ধরেই মায়াবতী, মমতা-সহ বেশ কিছু আঞ্চলিক নেতা সম্পর্কে নরম মনোভাব নিচ্ছিল বিজেপি। কিন্তু কাল তেলঙ্গনায় ভোট প্রচারে গিয়ে মোদী সরাসরি বললেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে মমতার ‘গলতিয়াঁ’ (ভুল) থাকলেও রাজ্যের মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে। এমনকি সে রাজ্যে সিপিএম-ও চলে, কিন্তু কংগ্রেস চলবে না!’’
    মোদী আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশে ‘মায়া চলেগি, অখিলেশ চলেগা’। কিন্তু কংগ্রেস পরিত্যাজ্য। যে রাজ্য থেকে কংগ্রেস এক বার বিতাড়িত হয়েছে, সেখানে মানুষ আর তাকে ফিরিয়ে আনছে না। বিজেপি সূত্র বলছে, কংগ্রেসকে একঘরে করতে চাওয়ার এই রণকৌশলের পিছনে কারণ তিনটি। প্রথমত, সংসদের অধিবেশন শুরু হবে ১১ ডিসেম্বর। তার আগের দিন রাজধানীতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক। তাতে সীতারাম ইয়েচুরি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই শামিল হচ্ছেন। এই ঐক্য ভাঙতে মরিয়া মোদী।
  • sei | 456712.100.6723.65 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১১:০৯617881
  • মোদির ২০১৯ ইলেক্শনের স্ট্রাটেজিস্ট হলো অজিত দোভাল আর হিরেন জোশি।২০১৪ নির্বাচনের আগে মোদিকে একমাত্র বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার কাজটা করেছিল হিরেন জোশি যে এখন PMO তে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (IT )। এর নিজের ডাটা এনালিটিক্স কোম্পানি আছে।প্রত্যেক মিনিস্ট্রিকে টুইটার প্রেসেন্স বাড়াতে বলা হয়েছে যার জন্য সবাইকে ডেডিকেটেড টীম রাখতে হয়েছে। টীম মেম্বার রা এসেছে কোয়ালিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া থেকে যেটা ভারত সরকার এবং ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট দের যৌথ ফোরাম।কোয়ালিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এই টীম মেম্বার দের সিলেক্ট করেছে অউটসোর্সিঙে এর মাধ্যমে এবং সব মেম্বার হিরেন জোশির কোম্পানির কর্মচারী ও আরএসএস ঘনিষ্ঠ।
  • sm | 785612.35.01900.161 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৪১617882
  • ব্যাস,সবজান্তা মাকু কাকে বলে দেখুন।অজানা কিছুই নেই।
    সাধে কি ত্রিপুরা, পব থেকে জনতা তাড়িয়েছে।
  • sei | 456712.100.6723.65 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১২:২২617883
  • কাঁঠালপাতা চাই??
  • sm | 2345.110.674512.5 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৪৭617884
  • ঘোঁৎ ,ঘোঁৎ--))
  • sei | 456712.100.235612.63 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৩৯617885
  • চালিয়ে যাও বৃ বী।
  • sm | 2345.110.9002312.245 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৪৩617886
  • এসেছে খিস্তি এসেছে।যা, ভাই কোনায় গিয়ে নর্দমা খুঁজে নে।
  • sei | 456712.100.6723.66 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৫১617887
  • ওটা তোমার কাজ। তুমি করো।
  • sm | 2345.110.9002312.245 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৬617889
  • চল ,আগে বাড়।
  • sei | 456712.100.235612.63 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৯617890
  • নোংরামি দী-ঈ-ঈ-র্ঘজীবী হোক।
  • sm | 2345.110.9002312.245 | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:০৮617891
  • যা বাবা, নর্দমায় থাকে, আবার নোংরামির কথা বলে!
    গোবরে পদ্ম ফুল।ধুলোয় ঢাকা মানিক!বহুব্রীহি সমাস!
  • Subir | 780112.77.5678.114 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৫৪617893
  • জ্যোতিবাবু রামরথ আটকাননি, আডবাণীর রামরথ পুরুলিয়া পার হয়ে নির্বিঘ্নে বিহারে চলে গিয়েছিল। তখনও ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বরের ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু দেশ জুড়ে উগ্র হিন্দুেত্বর প্রচার শুরু হয়েছে। আডবাণীর রথ আটকানো হল বিহারে। রথ আটকে নায়ক হয়ে গেলেন লালুপ্রসাদ যাদব।
    পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির সাফল্য কম, ৪২ আসনের রাজ্য থেকে বিজেপি কখনও দু’জনের বেশি প্রতিনিধি লোকসভায় পাঠাতে পারেনি। কিন্তু এই মুহূর্তে বিজেপি এ রাজ্যে ক্রমবর্ধমান। পশ্চিমবঙ্গে এই দলের এত বাড়বাড়ন্ত হল কী করে? জ্যোতিবাবু যাদের বলতেন ‘অসভ্য বর্বরদের দল’, সেই দলে বামপন্থীরা ভিড়ছেন কী করে? শুধু ভোটার নয়, নিচুতলার কর্মীরা তলায় তলায় এবং উপর তলার কিছু প্রাক্তন বাম বিধায়ক-সাংসদও পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এই ‘দলবদল’কে শুধু ভোটের ভিত্তিতে ভাবলে হবে না। প্রশ্নটা আরও বড়, বামপন্থী মানুষের সমর্থন উগ্র দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী দল পাচ্ছে কী করে? তবে কি ‘বামপন্থা’র মধ্যেই গলদ ছিল? সেই বামপন্থা যথেষ্ট অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনার বিকাশ ঘটাতে পারেনি?
    ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে সিপিআই(এম) কি তবে শুধু এক নির্বাচন থেকে আর এক নির্বাচনের দিকেই যাত্রা করেছে? উন্নত থেকে উন্নততর সরকারের কথা বলে ভোট আদায় করেছে? মানুষের মধ্যে বস্তুবাদী চেতনা জাগানোর চেষ্টা করেনি?
    চেষ্টার প্রমাণ অবশ্য কাগজে-কলমে রয়েছে। ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে’র মতো দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যখন ছড়িয়ে পড়ছে, ১৯৯২-র ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে, তখন সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলায় বিজ্ঞানপ্রচারে গুরুত্ব দিতে চেয়েছে সিপিএম। (আনন্দবাজার পত্রিকা, ২ জানুয়ারি ১৯৯৩) খবরে প্রকাশ: রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব মনে করেন ‘‘সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা, বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিজয়কে স্থায়ী করতে হলে প্রয়োজন জনগণের মধ্যে জীবন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি গড়ে তোলা।’’ কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতায় আসার ১৫-১৬ বছর পরে এই বোধোদয় কেন? তা হলে কি কমরেডের নবযুগ আনা মানে ছিল সরকারের বদল? চিন্তা-চেতনার বদল নয়?
    সিপিএম বিজ্ঞান সংগঠন গড়ার দিকে নজর দেয়নি বললে সত্যের অপলাপ হবে। ১৯৮৬-র ২৯ নভেম্বর গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। সংস্থার প্রকাশিত নথিতে বলা হয়েছে, ‘‘সামাজিক দায়বদ্ধতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করা, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা ও যুক্তিবাদী মননশীলতাকে গড়ে তোলা, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী প্রচার চালানো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনজীবনের মৌলিক সমস্যা সমাধানের কাজে প্রয়োগ করা— পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জন্মলগ্নে সংগঠকদের কাছে এগুলো ছিল প্রধান বিচার্য বিষয়।’’
    কিন্তু সত্যিই কি তাই? সত্যসন্ধানে চোখ বোলানো যাক ইতিহাসে। ‘‘কেবলমাত্র পার্টি সভ্যদের জন্য’’ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ১৯৮৬-র ২০ জুলাই একটি ‘পার্টি চিঠি’ প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল ‘বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনা’। সেই আলোচনার গোড়াতেই পেশ করা হল ১১ জুলাই ১৯৮৬ তারিখের ‘রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর নোট’। যাতে খোলাখুলি বলা হল ‘‘(আমরা) পশ্চিমবাংলায় বিজ্ঞান আন্দোলন গড়ে তুলতে ইতিপূর্বে বিশেষ কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারিনি। এই আন্দোলনে বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মনোভাবাপন্নদেরই প্রাধান্য থেকে গেছে। এ কারণেই এই আন্দোলনে আমাদের অনতিবিলম্বে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী মনে করছে।’’ অর্থাৎ রাজ্যে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বিজ্ঞান আন্দোলনে পার্টির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাই ছিল লক্ষ্য। বলা হল, সারা রাজ্যব্যাপী বিজ্ঞান আন্দোলনকে ‘অভিন্ন স্রোতধারায়’ রূপান্তরের কথা। আর এই লক্ষ্যেই ১৭ অগস্ট সিটু হলে অনুষ্ঠিত হল রাজ্যের বিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত পার্টি সদস্যদের সভা। স্পষ্ট করে এও বলা হল, পার্টির এই কাজে প্রধান সহায় সরকার। পার্টির চিঠিতে লেখা হল, ‘‘পশ্চিমবাংলার বামফ্রন্ট সরকার এই আন্দোলনের সহায়ক হিসাবে ভূমিকা পালনে সক্ষম। বামফ্রন্ট সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতে, জনগণের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের ব্যবহারকে কিছুটা বাস্তবায়িত করতে এবং সর্বোপরি জনগণের মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সক্ষম।’’

    এখন, পার্টির নেতৃত্বে (পড়ুন কর্তৃত্বে) সরকারের মুখাপেক্ষী বিজ্ঞান আন্দোলনে বৈজ্ঞানিক চেতনার বিকাশ কতটা হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। তাই বামপন্থী শাসনে কোনও ভাবেই ধর্মান্ধতা আর জাতপাত কমল না। বাড়ল নানান ধরনের ধর্মব্যবসা। কেউ যদি বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরলোকে বিশ্বাস না রেখে বাবা-মার মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধ না করতেন, তবে তাঁর জন্য বরাদ্দ নির্যাতনের খবর কাগজে মিলল, মিলল ডাইনি সন্দেহে হত্যা বা ভিন্ন ধর্মে ও জাতে বিয়ে করার অপরাধে শাস্তি দেওয়ার খবরও। নবযুগ তো এলই না, বরং আরও প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকতারই সাক্ষী হলেন রাজ্যের মানুষ। বামপন্থী বিজ্ঞানকর্মীদের লড়াই করার কথা ছিল, কিন্তু দেখা গেল আদতে পার্টি ক্যাডাররাই হয়েছেন বিজ্ঞানকর্মী। তাদের কেউ কেউ দেওয়ালে লিখলেন ‘মার্ক্সবাদ সর্বশক্তিমান কারণ ইহা বিজ্ঞান’ আবার কেউ কেউ কব্জিতে লাল সুতো আর আঙুলে রত্নের আংটি পরে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে লাগলেন।

    তন্নিষ্ঠ বিজ্ঞানকর্মী কেউ কেউ যে ছিলেন না তা নয়, শিক্ষক-গবেষকরাও ছিলেন। তবে কালক্রমে পার্টির নিয়ন্ত্রণে তাঁরা প্রান্তিকই হয়ে গেলেন। মৌলালি যুব কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত (১৯৮৬-র ২৯ নভেম্বর) যে বিজ্ঞান কনভেনশনের মধ্য দিয়ে পার্টির বিজ্ঞান সংগঠনের জন্ম তার আহ্বায়ক ‘পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান আন্দোলন প্রস্তুতি কমিটি’র পক্ষে অনেক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের পাশাপাশি ছিল ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী এবং ‘বিজ্ঞান আন্দোলনের সংগঠক’ পরিচয়ে নিরুপম সেন, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, মানব মুখোপাধ্যায় এবং সুজন চক্রবর্তীর নাম। এঁরা সকলেই পার্টির নেতা এবং ভোটে জেতা বিধায়ক ও কালক্রমে মন্ত্রী অথবা ভোটে হারা পার্টি প্রার্থী। সংস্থা পঞ্জিকরণ নথিতে (২৯ নভেম্বর ১৯৮৭) আবার দেখা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মধ্যে এক জনের পেশাই ‘বিজ্ঞান আন্দোলন’, যিনি পরবর্তী কালে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে পার্টির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। রাজনৈতিক নেতা বিজ্ঞান আন্দোলন করতে পারবেন না, তা নয়। কিন্তু এখানে তাঁদের ঘোষিত পরিচয় এবং পরবর্তী কালে তাঁদের কাজ খুঁটিয়ে দেখলেই আন্দোলনের ফাঁক ও ফাঁকিটা ধরা পড়ে।
    এ পর্যন্ত পড়ে কেউ বলতেই পারেন বামপন্থী সরকার বিদায় নেওয়ার পর সরকারনির্ভর পার্টির বিজ্ঞান সংগঠনের দাপট কমাটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারে থাকার ২৫ বছরে তো মঞ্চের অনেক সম্মেলন হয়েছে। সেই সব সম্মেলনেই বা কতটা মতাদর্শগত লড়াইয়ের জমি তৈরি করা হয়েছিল? ১৯৮৯-তে বিজ্ঞান মঞ্চের প্রথম ও ১৯৯১ সালে দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনের প্রস্তাব-প্রতিবেদনে চোখ বোলালে দেখা যাবে ১৯৯২-পূর্ববর্তী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়া বা তার প্রতিরোধের কোনও কথাই সেখানে নেই। দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনে উপস্থাপিত জেলা কমিটিগুলির বিগত দু’বছরের কর্ম-প্রতিবেদন পড়তে গিয়ে চোখ আটকে যায় নদিয়ার পাতায়, যেখানে লেখা ‘‘এ বছরে রাজ্য কমিটি আমাদের জেলার সদস্য সংগ্রহের কোটা নির্দিষ্ট করেছিলেন ৫০০, আমরা তা অতিক্রম করেছি, সংগৃহীত সদস্য সংখ্যা ৬০৫’’; এই ‘কোটা বাঁধা’ বিজ্ঞান আন্দোলনের পক্ষে কি সম্ভব বস্তুবাদী মতাদর্শগত লড়াই চালানো?‌
    এক অদ্ভুত সন্ধিক্ষণে আজ আমরা দাঁড়িয়ে। এক দিকে বিজ্ঞান মঞ্চের ৩২ বছর পূর্তি হচ্ছে, অন্য দিকে বিজেপির রাজ্য জুড়ে রথযাত্রার পরিকল্পনা। এরই মধ্যে আবার ৬ ডিসেম্বর আসছে, সামনে ২০১৯-এর লোকসভা ভোট। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আটকানোর জন্য ধর্মনিরপেক্ষ জোটগঠনের প্রস্তুতি দেশ জুড়ে। কিন্তু প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতার বোধ জাগাতে পারত যে বিজ্ঞানচেতনা, তার বিকাশ রুদ্ধ। বছরভর উৎসবের সবই ধর্মকেন্দ্রিক। বাংলাদেশের একুশে ফেব্রুয়ারি বা পয়লা বৈশাখের মতো সেকুলার উৎসব আমরা চালু করতেই পারলাম না।
    বলা হচ্ছে রামরথ না আটকানোর জন্য জ্যোতিবাবুর দলকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। কিন্তু না, ঠিক আডবাণীর রথ না আটকানোর জন্যে নয়, পশ্চিমবঙ্গের সমাজের মনোরথে সাম্প্রদায়িকতা-জাত-পাত আর অযুক্তি আটকানোর উপযোগী বিজ্ঞানচেতনার বিকাশ না ঘটাতে পারার জন্যই ইতিহাস ক্ষমা করবে না ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা ‘বামপন্থী’ দলকে।
    [ সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় (কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের শিক্ষক), ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ আনন্দবাজার পত্রিকা ]
  • sm | 2345.110.124512.59 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৫৪617895
  • এই রিপোর্ট টা নেটে দেখালাম। এর বিপক্ষে মতামত স্বাগত!
    এই রকম স্টাডি কি কোন সায়েন্টিফিক জার্নালে বেরিয়েছে?
  • PT | 015612.129.7867.175 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:১৫617897
  • বিজ্ঞানমঞ্চ ঠিক কি করে সাম্প্রদায়ীকতার বিরুদ্ধে কাজ করবে তা যদি চাটুজ্জে মশাই জানাতেন তাহলে আলোকিত হওয়া যেত। বাম সরকার যদি ধর্মব্যবসা জোর করে বন্ধ করার চেষ্টা করত তাহলে হয়ত এই চাটুজ্জে মশাই (ও অন্যান্যরা) গুলাগের সঙ্গে পবর সাদৃশ্য খুঁজে বিস্তর কান্নাকাটি করতেন।
    শিক্ষামন্ত্রীর আঙুলের আংটিগুলোকি কি তাঁর কাছে দৃশ্যমান? নাকি অম্বিকেশী দাওয়াইয়ের ভয়ে বর্তমানের ধর্মব্যাব্সা নিয়ে তিনি মেরুদন্ডহীনতার চর্চা করবেন?
  • pi | 785612.51.6734.161 | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:২৫617898
  • এখনো মনে হয়, মোদির উত্থান জুজু ছিল?
  • sm | 2345.110.344512.112 | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৫১617900
  • http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=47410&boxid=50743
    কি অবস্থা!এরা লড়বে বিজেপির বিরুদ্ধে!এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বিষোদগার!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন