এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আবার ঐন্দ্রিলাঃ আপনাদের মতামত -- আমার ব্যাখ্যা

    kamalendu chakrabarti
    অন্যান্য | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ | ৬৮১৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :-X | 127.194.199.235 | ০২ নভেম্বর ২০১৩ ০১:৫১623696
  • ইনি বোধয় ভালো বাংলা টাইপ করতে পারেন না। তাছাড়া গুরুর বাংলা টাইপের কোনো সহায়ক গাইড ও নেই লেখার কল এ।একদা ছিল। ফেঅসবুক ব্যবহারকারিরা সকলে রোমান হরফী বাংলা না লিখে অভ্র ব্যবহারে দড় হবে এমনটাও আশা করা ভুল, বা ধরুন গুরু তে মতামতদানের প্রায়োর রেকোয়ারমেন্ট অভ্রয় হাত পাকানো, এটাও একটু বাড়াবাড়ি চাহিদা। নয়? এইগুলো গুরুর লিমিতেশন, এইজন্যে কমলেন্দুবাবুকে গালি দিলে চলব্যা?
  • s | 182.0.249.87 | ০২ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৩623697
  • ডাঃ কমলেন্দুর পোস্টটা পড়লাম। পরবর্তী বিতর্কের সব পোস্ট পড়ি নি, তবে প্রধানত তিনটি বিষয়ে কথা হচ্ছে বুঝছি। হয়ত কেউ না কেউ একই কথা অন্য কোন পোস্টে বলেছেন। রিপিট হলে দুঃক্ষিত।
    ১। ডাঃবাবু বলেছেন।
    "ঐন্দ্রিলার কথায় আসি। মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষ ঐন্দ্রিলার মৃত্যুকে খুব সরলীকরন করেছে। র্যা গিং হয়েছে, ফলে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মারা গেছে। আপনি নিজে বলুন তো কয়েকটা হেনস্তা, বাথরুমে বন্দী থাকলে কি আপনি মারা যাবেন? আপনার অপমান, অসহায়তা, বিরক্তি, রাগ, প্রতিবাদ করা ইচ্ছে, লজ্জা এসব তো নিশ্চয়ই হবে – এমন কি প্রয়োজনে কাউসিলিংও করাতে হতে পারে। কিন্তু মৃত্যু? মানা মুস্কিল। আমি জানি না পৃথিবীতে স্কুল-কলেজের কত ছাত্রছাত্রীদের রাগিং হয় প্রতিদিন এবং এর ফলে শতকরা মৃত্যুর হার কত? আমার মনে হয় খুবই কম। মাঝে মাঝে খবর পাই র্যা গিং-এর ফলে আত্মহত্যা করছে কেউ কেউ। তাদের জন্য আমার কোনও সহানুভূতি নেই। এরা দুর্বল মানাসিকতার লোক। এরা সারভাইব করবার মতো ফিট নয়। আসুক না কত আঘাত, কত অত্যাচার আমি সহ্য করবো, লড়াই করবো। হেরে যাবো কেন? না হয় জীবনে এমন হতেই পারে ভেবে মেনে নিয়ে নিজের কাজে মন দেবো। আপনাদের জীবনে কি কখনও এরকম এরকম পরিস্থিতি হয় নি। উদাহরণ দিয়ে আর ব্যাপারটা বাড়াতে চাই না। পরে না হয়ে দেওয়া যাবে।"
    - নিঃসন্দেহে বিতর্কিত উক্তি। হয়ত আরো কোমল করে/ সহানুভতির সঙ্গে বললে ভালো হত। কিন্তু এটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত। কোন থিওরি / জ্ঞানদান/ বিধান না। এ নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়ে লাভ নেই।

    ২।
    "মোটকথা মুখ দেখলে অনেকে ডাক্তারির অনেক কিছু বলে দিতে পারেন। ঐন্দ্রিলার মুখের ভাব দেখেই বোঝা যায় ওর শরীরে ব্যাধি আছে। আর এটাও অনুমান করা শক্ত নয় (অন্ততঃ আমার পক্ষে) যে ও প্রচুর পরিমাণে অখাদ্য-কুখাদ্য খাচ্ছে। তার থেকেই বলা যায় যে ওর সম্ভবত কি কি রোগ ছিল। আপনারা ঐন্দ্রিলার বাবা-মায়ের কাছে ওর অসুখ ও খাওয়া-দাওয়া নিয়ে খোঁজ নিতেই পারেন। ঐন্দ্রিলা যে অঙ্কে ভাল ছিল না এটা একটা িল্দ গুএস্স ঠিকই কিন্তু যে মেয়ে দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়েও মুখ বন্ধ রাখে, স্কুলটিচার এমনকি বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধবদের কাছে জানায় নি, সেটা ওর মানসিক দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করে। আমার এতো বছর শিশুদের দেখে নিশ্চিত যে এই সব শিশু বই মুখস্থ করার ব্যাপারে ঠিক থাকলেও calculative ব্যাপারে দুর্বল হয়। ঐন্দ্রিলার শরীরের ও মানসিক অবস্থা নিয়ে লেখার উদ্দেশ্য কেবল র্যাভগিং-এ মৃত্যুটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর এখন তো দেখছি Acute Pancreatitia –এ ওর মৃত্যু হয়েছে। র্যা গিং-এর জন্য Pancreatitis হয় এটা কি ডাক্তার হিসাবে মেনে নিতে হবে? তবে পেটে জোরে আঘাত করলে এটা হওয়ার কিছুটা সম্ভবনা থাকে। তা হলে ধরে নিতে হবে যে কয়েকদিন র্যা গিং-এর সময় ঐন্দ্রিলাকে পেটে জোরে আঘাত করা হচ্ছিল। যদি তাই হয় তবে পেটে ব্যাথা নিয়েও ঐন্দ্রিলার সহ্য করে মুখ বন্ধ করে রেখেছিল? নিজেকে বাঁচানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ঐন্দ্রিলা ছোট কিন্তু এগারো বছরের একটি মেয়ে কিন্তু অতও ছোট নয়। কেন ঐন্দ্রিলা কাউকে কিছুই জানায় নি? ও কি ওর সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছিল, না কি ভিতু হয়ে গুটিয়ে ছিল। এই ভীরু ভাবেই আমার আপত্তি। দুর্বল চিত্তের মানুষদের মধ্যেই এই ভাব আসে। এক্তা কথা প্রাসঙ্গিক হবে যদি বলি সবাই কিন্তু র্যারগিং এর শিকার হয় না। Dr. Cook says that "A typical victim is likely to be aggressive, lack social skills, think negative thoughts, experience difficulties in solving social problems, come from a negative family, school and community environments and be noticeably rejected and isolated by peers".
    - মুখ দেখে উনি শুধু বুঝেছেন মেয়েটির শরীরে ব্যধি আছে। এই স্কিল সব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন না কিছু অভিয়াস কেসে পারেন সেটা ভিন্ন তর্ক। কিন্তু ডাক্তার হিসাবে নিশ্চয়ই আমার থেকে ভালো বুঝবেন। বাকী সব ওনার লজিকাল ইনফারেন্স। সেই যুক্তিতে পাল্টা প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্তু কোন লজিক নেই, স্রেফ ভাষন এই অভিযোগটা টেঁকে না।
    খেয়াল করুন উনি এও বলেছেন,
    "এবার মুখের ছবি দেখে ওর পেটেব্যাথা, সর্দি –কাশি ইত্যাদির কথা বোঝা যায় না – এমন কি পরীক্ষা করেও অনেক সময় বোঝা যায় পেটে ব্যথা কিনা। একমাত্র রোগী মুখে বললেই ওটা জানা যায়। "
    ৩।
    "ঐন্দ্রিলার মুখ দেখে বোঝা যায় ও প্রচুর পরিমাণে কৌটোর বা গোরুর দুধ খেয়েছে। আর এসব খেলে অনেক উপসর্গের মধ্যে পেটে ব্যাথা, সর্দিকাশি – হাঁপানি, অ্যালারজি, পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া ইত্যাদি প্রায় হতেই হবে। এই ব্যাপারে বই পত্রে অনেক কথা আছে। (দুধের বিষয়ে আমি আলাদা করে লিখব)।"
    - এইটা আমার কাছে প্রধানত তর্কের বিষয় লেগেছে। এর ফরে কি ডেটা আছে, কি স্টাডী আছে, বিপক্ষে কি ডেটা/ স্টাডি আছে তা বিষদভাবে না জানলে মেনে নেওয়া কঠিন। যদিও দুধ খেয়ে স্মার্ট সেন্সিটিভ একপাল ছেলেকে আমি চোখের সামনে বুদ্ধিহীন গাঁট হিসাবে রূপান্তরিত হতে দেখেছি। (না হাঁপানি, অ্যালারজি, পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া এসব হতে দেখি নি।)
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ০২ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৫১623698
  • সেখানে কি একমাত্র নতুন জিনিস দুধ ছিল না কি ডাম্বেল ভাঁজা, গঞ্জিকা সেবন, অবসেশন ওভার ফিসিক, এসবও ছিল?
    (ধরে নিলাম আপনার আগের বলা গল্পের লোকেদের কথাই বলছেন)
  • kamalendu chakrabarti | 24.99.52.3 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:২২623699
  • "ঐন্দ্রিলার ম্রত্যু কয়েকটি প্রশ্ন" এবং "আবার ঐন্দ্রিলা " -- এত কথা হয়েছে যে আমি চেস্তা কোরেও সব প্রস্ন বা মতামতের উত্তর দিতে পারি নি।
    এখানে দুটো লেখাকে ধরে প্রত্যেকের কথার জবাব দেওয়ার চেস্তা করছি।

    এবার আপনাদের কিছু কমেন্টের উত্তর দিই ঃ-
    ১। সে- বুলিং আর র‍্যাগিং কথা দুটোর মধ্যে কথার মারপ্যাঁচ ছাড়া আর কিছু নয়। USA বা অন্যান্য দেশে র‍্যাগিং-এর চাইতে বুলিং কথাটাই বেশি ব্যবহৃত হয়। এবং স্কুল হোক আর অফিস আমার কাছে দুটোর সমান – humiliation..
    ২। র‍্যাগিং – ১ নম্বরে উত্তর দেখুন।
    ৩। cm – আপনি বোধহয় র‍্যাগিং-এর বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার কথা বলছেন। র‍্যাগিং নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার কথা আমার মূল লেখায় পাবেন। আমি র‍্যাগড হয়েছি এবং খুব সক্রিয় ভাবে র‍্যাগিং বন্ধ করতে সফল হয়েছিলাম।
    ৪। সে – সাবধান করা মুশকিল। তবে আপনি এই সাইটটা দেখতে পারেন
    Htt://no2ragging.org/forvictimis,htm/
    তবে নিজেকে নিজের রক্ষা করার চেষ্টা করলে অনেকটা ফল পাওয়া যায়।
    ৫। Sm – না স্যার অতটা maturity থাকলে কি আপনাদের গালাগালির উত্তর দিতে বসতাম? ঠাট্টা যেখানে শেষ হয় humiliation (র‍্যাগিং / বুলিং সেখান থেকেই শুরু)। কখন মাত্রা ছারিয়ে যাবে সেটা অনেক সময় অনুমানই করতে পারা যায় না।
    ৬। কল্লোল – ঐন্দ্রিলার কথা বলা শেষ হয় নি। আমি আমার আলোচনায় ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর কারণটাই গুরুত্ব দিয়েছি।
    ৭। সে – এতে আমার কিছু বলার নেই।
    ৮। Cb – কিছুই মন্তব্য নেই।
    ৯। i – No comment
    ১০। দ – আশা করি আমার বর্তমান মূল লেখায় সেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
    ১১। – Read this text.
    ১২। Cb – কিছু কিছু বুঝতে কারো কারো অসুবিধা হয়।
    ১৩। San – যেমন খামকা আপনি একটা কমেন্ট করলেন। আপনাদের যতোই অবিশাস্য মনে হোক গোরুর দুধ বা কৌটোর দুধ খাওয়া ব্রেন মুখস্ত করতে পারে কিন্তু Calculative হতে পারে না। আর এই সব অখাদ্য দেওয়া মানেই Bad Parenting ।
    খামকা আমি কিছু উল্লেখ করি না। Calculative brain আর কিছু না হোক নিজেকে বিপদের হাত থেকে বেশিরভাগ সময়ই রক্ষা করতে পারে, যা ঐন্দ্রিলা পারেনি।
    ১৪। jhiki – আমি আপনি আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ এক মত।
    ১৫। i – সবাই তো আর আপনার মতো শিষ্টাচারী নয়। এবং এতে আমি গর্বিত অন্তত এর জন্য বহু শিশুকে নষ্ট হওয়ার থেকে বাঁচাতে পেরেছি। আর আপনি তো আমার লেখার শিরনামটাও মন দিয়ে পারেন নি। র‍্যাগিং নিয়ে জানতে ‘Ragging’ লিখে ক্লিক করুন বহু কিছু জানতে পারবেন। Paranting আমার পেশার মধ্যে পড়ে সেটা অনধিকার চর্চা হলে, আপনার এই ধরণের মন্তব্যকে কি বলবেন।
    ১৬। শিশুর পিতা - আপনাকে কিন্তু আমি identify করতে পারছি না। সরি।
    ১৭। CM – Font mismatch হয়ে গেছে।
    ১৮। dg – ধন্যবাদ।
    ১৯। Pratidin – Thank you for the information.
    ২০। সিকি – এত কিন্তু কিন্তু করছেন কেন। আমার জীবনে একটাই লক্ষ্য – পৃথিবী থেকে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য দুধ দূর করা। ক্ষমতা থাকলে আমি সমস্ত Dairy factory বম্ব মেরে উড়িয়ে দিতাম। মায়ের দুধ ছাড়া অন্য দুধ ধূমপানের চাইতেইও খারাপ।
    ২১। Jhiki – ‘O’ মানে কি অবাক? নরেন্দ্রনাথকে (বিবেকানন্দ) তাঁর বাবা বাল্যকালে বলেছিলেন, ‘ জীবনে কোনও কিছুতেই অবাক হবি না’।
    ২২। ת – একটু সংশোধন – মায়ের দুধ ছাড়া অন্য যে ধরণের কোনও দুধ। (non-human milk)
    ২৩। Jiki – আপনার কথায় খুব মজা পেলাম। খেয়াল করে দেখেছেন যে মানুষ কাদের দুধ খায়? গরু, ছাগল, মোষ, গাধা, উট ইত্যাদি নিরীহ প্রাণীর। প্রচুর হাতের কাছে থাকা সত্ত্বেও বেড়াল, কুকুরের দুধ খায় না। শিয়াল, বাঘ, সিংহ ইত্যাদির দুধ খাওয়ার কথা ভাবতেই পারে না। নিরীহদের উপরে অত্যাচার।
    ২৪। Cm – Pasteurized আপনার হোক বা না হোক দুধ মানেই খারাপ জিনিস।
    ২৫। ঝিকি – মানুষের পানীয় দুধ একটাই – মানুষের দুধ।

    চলবে...
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:৩৩623700
  • কুকুর বেড়ালের দুধ বার করা পরতায় পোষাবে কি? কতটা দুধ কতটা সহজে পাওয়া যায় সেটাও দেখতে হবে তো! ওখানে আপনি বাঘের সঙ্গে তুলনা করলে বুঝতাম। কিন্তু তাতেও গলদ, বাঘ সিংহ হাতের কাছে প্রচুর পাওয়া যায়না। নিরীহ/হিংস্রর প্রশ্ন নয় এটা। ছাগলের দুধ ও তো কম এ ব্যবহার হয় গরু/মোষের দুধ এর তুলনায়।
  • Atoz | 161.141.84.239 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:৪০623701
  • মায়ের দুধ খুব বেশী হলে বছরখানেক খেতে পারে বাচ্চা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাত্র আট নয় মাস। তারপরে ? বড়দের খাবার মানে এমনি ভাত রুটি ডাল তরকারি মাছ ডিম ইত্যাদি খেতে শিখতে শিখতে অন্তত বছর তিন/চার। এই সময়টা, মানে এই এক বছর থেকে তিন সাড়ে তিন বছর---এই সময় বাচ্চা কী খাবে?
  • π | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:০৭623703
  • এই সুতোয় i আবার কখন লিখলেন ?
  • a x | 86.31.217.192 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:০৯623704
  • দুধ নিয়ে কোনো পড়াশোনা না করেও পশু ডোমেস্টিকেশনের ইতিহাস এবং বডি সাইজের অনুপাতে দুধের প্রোডাকশন এই দুই থেকেই বুঝতে পারা যায় কেন গরু ছাগল মোষের দুধ এতদিন ধরে খাওয়া হচ্ছে।
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:২৩623706
  • হাওয়া
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:২৩623705
  • atoz মুখে দুটো বিড়ি গুঁজে দিননা? হওয়া টেনে পেট ভর্তি থাকবে, আর কমলেন্দুবাবু বলেছেন দুধের থেকে কমই ক্ষতি হবে।
  • Atoz | 161.141.84.239 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:৩২623707
  • না না ভাগীদার, সিরিয়াস। এক বাচ্চার ঐসময়েই মানে ঐ মাস এগারো থেকেই শুনেছি পেট ফাঁপা এসব সমস্যা দেখা দিতো, কিন্তু মায়ের দুধ তখন অল্প, গোরুর দুধ খাওয়াতো আর সঙ্গে ফ্যারেক্স, কিছু কিছু ফল ইত্যাদি। কিন্তু ঐ সমস্যা বাচ্চার ছিলই, পরে অনেক পরে বছর নয়-দশ বয়সে সমস্যা কমে। হতেও পারে যে তখন ভাত ডাল তরকারি কচু ঘেঁচু শাকপাতা মাছ মাংস সব খেতে পারতো বলে দুধ আর খেতো না, তাই সেরে গেছিল।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৮:০৫623708
  • এতজ এটা তো কেস স্পেসিফিক। অনেক বাচ্চারই ল্যাকটোস ইন্তলারেনস বা কিছু রেয়ার ক্ষেত্রে মিল্ক এলার্জি থাকতে পারে। আগে আমরা এই সব ব্যাপারে বেশি জানতামনা, কিন্তু আজকাল কার শিক্ষিত বাবা-মা অনেকেই এইসব বাচ্চাকে দুধ খাওয়াবেনা। আমি তো এরম একজনকে জানি তার মাছে এলার্জি। বাঙালি বাড়িতে সেটা বুঝে, রিয়ালাইজ করে সেই মাফিক খাওয়াদাওয়া বাচ্চাকে করতে দেওয়া তো অনেক বাড়িতেই অতটা সহজে হবেনা। তার জন্য দরকার মা-বাবার এই সব সম্পর্কে জানা। নাক নেড়ে সর্বজ্ঞ ঠাকুমার "সেকি দুধ খাবেনা সে আবার হয় নাকি? শিশুর পথ্য রুগীর পথ্য দুধ, সেই দুধ হজম করতে পারেনা বাপের জম্মে শুনিনি বাবা" বলার দিন যাচ্ছে আসতে আসতে।

    কিন্তু এই ডাক্তারবাবু তো বলছেন এক্রস দা বোর্ড দুধ খাওয়া বন্ধ করার কথা।
  • সিকি | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৮623709
  • আমি সত্যিই বাক্যিহারা। এই ধরণের রিয়্যাকশন আমি কখনও কোনও ডাক্তারকে দিতে দেখি নি।

    কমলেন্দুবাবু আপনি লিখুন। আমি পড়ছি।
  • kiki | 69.93.194.197 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:২৩623710
  • নিশি,
    ঋভুর ল্যাকটোস ইন্টলারেন্স ছিলো। ও বাইরের খাবার এমনকি জল ও ছমাস বয়সের পর খেতে শুরু করে। আর দুধ খেলেই খুব গ্যাস হত। তারপর দেড় বছর বয়সে ওর অসুবিধা ধরা পরে। তখন ও বিদ্রোহ করতে শুরু করেছে দুধের খাবারের বিরুদ্ধে। আর তখন ই আমি ডক্টরের কাছে এও শিখি বাচ্চাকে জোর করে কিছু খাওয়াতে নেই। ও ওর অসুবিধা বুঝিয়ে দেবে। বিশ্বাস করো কিছু ও খেতে চাইছে না। আমি জোর করছি এমন হলেই অসুস্থ হত। তখন থেকে আমি আর জোর করিনা।

    আর আমি যেটা করতাম, ভাত নরম করে বানাতাম। সব্জি ঝোল বানাতাম। তারপর ভালো করে অনেক ঝোল মিশিয়ে সেটা চটকে পরিস্কার মশারির জাল দিয়ে ছেঁকে যে সেরেল্যাক টাইপের কাই কাই একটা জিনিস হতো তাই খাওয়াতাম আট মাস বয়স থেকেই। আর একবছরের পর থেকে আর ছাঁঅকতাম না। নরম ভাত একটু বেশী ঝোল বা ডালের জল মিশিয়ে চামচ করে খাওয়াতাম। এই সময় থেকে ও চিবোতে শুরু ও করে। দু বছর থেকে ও স্বাভাবিক খাবার খেতে শুরু করে। আর ভাত ছাড়াও রুটি ও নরম করে দেওয়া যায়।

    আর গ্রামে আর একটা প্র্যাকটিস হয়। ধরো খুব গরীব।দুধ কেনাও সাধ্যের বাইরে , তো চাল গুঁঅড়ো করে গরম জলে দুধের মতো মিশিয়ে খাওয়ায়। ঠিক জানিনা প্রসেস টা কি। পিটুলি গোলা না কি একটা বলে।
  • sosen | 125.241.97.145 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৪৬623711
  • সিকি এবার সিগ্রেট ফুঁকতে পারে পরমানন্দে। আর মায়েরা-ও মায়ের দুধ ছাড়লেই বাচ্চাকে বিড়ি -সিগ্রেট ধরিয়ে দিন, দুধের বদলে।
  • jhiki | 233.255.229.24 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ১০:১০623712
  • আগের টই টা কোথায় গেল?
  • Atoz | 161.141.84.239 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ০০:২৯623714
  • কিকি, অনেক থ্যাংকু। সেই মা-বাবা ও মনে হয় ব্যাপারটা খানিকটা ধরতে পেরেছিলেন,কারণ সেই আমলেই মানে সেই আশির দশকের খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত হয়েও একটা প্রেশার কুকার কিনেছিলেন বাচ্চাকে সব্জি সেদ্ধ করে একেবারে গলা গলা করে খাওয়ানোর জন্য। এমনিতে দুধকে কিন্তু কেউ সন্দেহমাত্র করেন নি, এমনকি ওদের ফ্যামিলি ডাক্তার ও কিন্তু সন্দেহ করেন নি, শুধু বাইরে থেকে দুধ আনার সময় মোষের দুধ মেশানো গোরুর দুধ যেন না আনে সেটা দেখতে বলেছিলেন।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ০২:০৮623715
  • দুধ একেবারে পছন্দ করি না, বিচ্ছিরি খেতে (যদিও দুগ্ধজাত মিষ্টি অসাধারণ), এবং, একটু-আধটু ধুমপান পছন্দ করি। কিন্তু, পরিবার/আপিসের-কলিগ থেকে সবাই দেখি বলে - ধুমপান ছাড়ো, দুধ খাও। তাদের চাপে ধুমপান অনেক কমিয়ে দিয়েছি, দুধ খাই না যদিও।

    এই থ্রেডে "...দুধ ধূমপানের চাইতেইও খারাপ" -- একজন ডাক্তারের থেকে এই স্টেটমেন্টে (উপরে ২০নং) বড়ই কৃতার্থ বোধ করছি। কি বলে যে কমলেন্দুবাবুকে ধন্যবাদ জানাবো। আর চিন্তা নাই....
  • jhiki | 233.255.225.70 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:৪১623716
  • অ্যালার্জি তো আলাদা জিনিস, সেটা বিভিন্ন ধরণের খাবার হতে পারে। তার সাথে গরু-মোষের দুধের সম্পর্ক কি?
    আমার ছেলেরতো ভুট্টা আর অ্যালমন্ডে অ্যালার্জি, এবার তাহলে নিদান হাঁকলেই হল যে ভুট্টা আর অ্যালমন্ড দুটো অতি ক্ষতিকারক খাদ্য।
  • kamalendu chakrabartgi | 24.99.189.205 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৫:৪৭623717
  • ভালো লাগছে আপনাদের কথাগুলো
  • kamalendu chakrabarti | 24.99.189.205 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৬:১১623718
  • ভাবিনি এও করতে হবে। মেইল ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে এরম অনেক মেইল দেখতে পেলাম। মনেই ছিল না এসবের কথা। জানি আপনাদের উত্তর ও তৈরী দালাল দিয়ে লিখিয়েছি। ডেট তা অবস্য পুরনো। ওটাও একটা কৌশল। তবু পাঠালাম। আরো আছে।
  • সিকি | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৬:২৪623719
  • আমার এবার জেনুইন কান্না পাচ্ছে। ঢাকের বাদ্যিই শুনে যাচ্ছি, ঠাকুর এলেন কই?
  • kamalendu chakrabarti | 24.99.19.62 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৭:৫৪623720
  • ছিঃ কাঁদবেন কেন? ধাকের আওয়াজ যখন হয়েছে, ঠাকুর এল বলে। সিরিয়াসলি my প্রবলেম ইস অভ্র টাইপিং। আমার একটু গুছিয়ে লেখার স্বভাব। আর আপনাদের প্রশ্নের তো শেষ নেই, বার ব্রেন খারাপ হার যোগার। পুজোর ছুটিতে আমার টাইপ করার মেয়েটাও অনিমিয়ত আসছে । আমার কাগজে লেখা হয়ে গেছে। ততক্ষণ এসব দিয়েই চলুক।

    Patient’s journeys
    Diary of Deboleena-the mother
    September 24, 2010. I am back to my sweet home with my one day old baby from the hospital after a normal delivery. But I am not fully happy as the baby is not suckling properly. On my insistence, the pediatrician has examined her. ‘Her suckling power is fine’, she assures me.
    On the way back home, I have visited another pediatrician known to us, and she, after identifying a problem with my nipple, has unequivocally suggested feeding baby-food immediately. I am in a fix.
    My husband presented me Shisur Paricharja, a book on child care in Bengali for the parents, written by Dr. Kamalendu Chakrabarti a few months ago, which he had heard about from his friend, Dr. Abhijit Nandi. Both of us read the book thoroughly and decided to feed our baby exclusively on breast milk for the first six months. We hardly imagined then what was in store for us.
    It is a very humid evening; Tista, my little princess, is crying incessantly and I am unable to feed her. We have procured the baby food and my husband has asked Dr. Abhijit to visit us. Dr. Abhijit comes and after talking to Dr. Chakrabarti fixes up an appointment for the next morning.
    My whole body is desperate for sound sleep but the night seems more difficult to pass through than the night when I was in labor. My one-day old baby is crying because she is hungry and as a mother I am unable to fulfill my duty. I am in tears and have never felt such helplessness in my whole life.
    Sept 25, 2010. We are travelling almost 40 km in the early morning hours to meet Dr. Chakrabarti . My baby is exhausted by now and lying on my lap half-asleep, with increasingly faint intermittent cries. I am unable to check the spontaneous flow of tears from my eyes.
    Dr. Chakrabarti has been writing something the whole night. He examines both of us and assures us ‘do not worry; the problem will be sorted out within next couple of hours.’ I am a bit apprehensive but more than that I am unimaginably astonished to see that Dr. chakrabarti is sitting on a floor-mattress with a very ordinary casual dress. With a caring smile, he welcomes us to sit on the same. He lovingly says that “This is way I consult with all. Formalities of office, furniture etc. make a strong barrier. So be comfortable”.
    His lady attendant by this time serves us tea and snacks. Later I come to know that he does it for all. All these bring slight self-confidence in me.
    Then he quickly makes us understand, what he is going to do and within no time he puts a rubber band around the base of my nipples with the help of a syringe and asks me to put Tista to breast.
    It turns out to be a miracle. A small rubber band and part of a 10 ml syringe has done all the trick. The baby can latch and has started suckling immediately!
    we stay there for another couple of hours. After completion of feed satisfactorily first time in her life, Tista is now sleeping on my lap. Dr. chakrabarti gives us some important informations of general baby care and feeding.
    It is the time to return home. Tista is sleeping. Have I seen a small smile on her lips?
    I will always tell Tista about this incident; I will tell her that because of Dr. Chakrabarti, she has been saved from taking baby food.

    My comments:
    Deboleena, the mother was well-educatied and had a clear idea of the benefits of breastfeeding and disadvantages of artificial feeding. The father was very supportive and enthusiastic about breastfeeding. However, the health care system did not give enough attention to the problems encountered by the mother and the baby.
    The attending neonatologist examined the sucking power of the baby by simply putting her finger inside the mouth, and assured the mother that the baby’s sucking power is good, so she should continue breastfeeding. This method of testing sucking power is not very helpful, because every baby will try to suck anything and everything put to the mouth, especially when hungry.
    The second pediatrician examined the breasts and nipples, and straightway decided that there was problem in the nipples and breastfeeding was not possible. He followed the easiest path of giving artificial feeding. From this one can infer that, for him, the difference between effects of breastfeeding and formula feeding was of no importance. His advice also ignored the feeling of the parents.
    When I saw Tista, she was 3 days old and she looked just like a skeleton wrapped in loose, thin skin. She was having little movements of her body and a vacant look. She was too weak to cry. Her extremities were cold, pulse was rapid and thready, heart beats were weak and rapid. She had passed a few drops of concentrated urine twice during last 12 hours.
    The condition of Deboleena was miserable. She was well built and well nourished. But she was totally exhausted and tense. Her confidence was completely shattered and she was unable to continue the conversation.
    Deboleena’s husband appeared steady but his body language was also very apprehensive.
    After a quick assessment of the situation, I tried to counsel Deboleena and build her confidence by praising her for persisting in trying to breastfeed against such odds. As a part of giving practical help, I offered her some snacks and a cup of tea.
    I observed the condition of her breasts and nipples and immediately came to know that the problem lay in Deboleena’s moderately large breasts with completely flat nipples.
    Moderately large or large breast mass sometimes causes difficulty in positioning the baby at breast. It needs patience, time and cooperation of the mother.
    After making the mother understand the nature of the problem, and what I was going to do, I applied my own invention of application of rubber band with the help of a syringe- applicator1 and asked the mother to put her baby in proper position. The baby was put to breast with rubber band attached at the base of the nipple. With proper positioning the baby started suckling vigorously at the breast as if she were starved throughout his life.
    There were smile in the face of the mother. After about 15 minutes, Tista finished her feeding, and fully satisfied, went to sleep.
    I kept the parents for another 3 hours or so, till Deboleena felt confident enough to feed her baby. With a heavenly smile, she, her husand and baby left for home.
    Four actions were very essential after delivery, especially when the mother pointed out that she was facing difficulty to breastfed. These were: (a) proper counseling, (b) proper positioning of the baby during feeding, (c) acareful examination of the breasts and nipples and (d) the possible illness of the baby including mouth (oral thrush etc.) Neither the mother nor the baby needed any medicine.

    Tista on day 10


    Tista on day 74


    Tista at 4 months 7 days at a picnic

    1.Reference Kamalendu Chakrabarti and Subhra Basu. Breastfeeding Medicine. August 2011, 6(4): 215-219. doi:10.1089/bfm.2010.0028.

    Patient consent form
    For a patient’s consent to publication of information about them in the BMJ and in associated BMJ Publishing Group Ltd (“BMJ Group”)publications and products. Please note that this form is also available in multiple languages.

    Name of person described in article or shown in photograph: TISTA__SAHA_______________________
    Subject matter of photograph or article: ___ GENERAL _ CONDITION ______________________
    BMJ manuscript number____I_______________
    Title of article:___ MANAGEMENT _OF FLAT NIPPLES WITH SIMPLE RUBBER BAND _________
    Corresponding author:___KAMALENDU CHAKRABARTI_________________
    I__Nirmal Kanti Saha___________________________________ [insert full name] give my consent for this information about MYSELF/MY CHILD OR WARD/MY RELATIVE [circle correct description] relating to the subject matter above (“the Information”) to appear in the BMJ and associated publications.*
    I have seen and read the material to be submitted to the BMJ
    I understand the following:
    (1) The Information will be published without my name attached and the BMJ will make every attempt to ensure my anonymity. I understand, however, that complete anonymity cannot be guaranteed. It is possible that somebody somewhere - perhaps, for example, somebody who looked after me if I was in hospital or a relative - may identify me.
    (2) The text of the article will be edited for style, grammar, consistency, and length
    (3) The Information may be published in the weekly print BMJ, which is distributed worldwide. The journal goes mainly to doctors but is seen by many non-doctors, including journalists.
    (4) The Information will also be placed on the BMJ's website, bmj.com, which is usually visited by 1.2 million users each month.
    (5) *The Information may also be used in full or in part in other publications and products published by the BMJ Group or by other publishers to whom the BMJ Group licenses its content. This includes publication in English and in translation, in print, in electronic formats, and in any other formats that may be used by the BMJ Group or its licensees now and in the future. In particular the Information may appear in local editions of the BMJ or other journals and publications published overseas.
    (6) The BMJ Group will not allow the Information to be used for advertising or packaging or to be used out of context (for example, a photograph will not be used to illustrate an article that is unrelated to the subject of the photograph.)
    (7) I can revoke my consent at any time before publication, but once the Information has been committed to publication (“gone to press”) it will not be possible to revoke the consent.

    Signed:_Nirmal Kanti Saha_________________________________
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৯:৪৯623721
  • দুধ নিয়ে কয়েকটা কথা খুলেই বলি (আমার কাছেও কোনো লিঙ্ক নেই তাই সবই অ্যানেকডোট মনে করতে পারেন)।

    আমার জন্মের পরে মায়ের বুকের দুধ খেয়েছি প্রায় আড়াই মাস। কোনো কারনে মায়ের দুধ আর পাই নি। তখন চেষ্টা করা হয় আমাকে গরুর দুধ খাওয়ানোর। ঝিনুক বাটি করে ভালো করে দু তিনবার জাল দেওয়া গরুর দুধ। তখন দুধ খেলেই আমি নাকি বমি করে দিতাম। তাই এক দুফোঁটা ফলের রস, এক চামচ দুধ, আবার এক চামচ জল, আবার এক ফোঁটা ফলের রস, আবার এক চামচ দুধ, এই অর্ডারে আমাকে খাওয়ানো হতো। কিন্তু বেশি খেতে পারতাম না। এই ভাবেই সাত আটমাস কাটে। তারপরে নাকি একেবারে গলে যাওয়া ভাতের মন্ড চামচে করে অল্প অল্প খেতে পারতাম। ল্যাক্টোজেন, ফ্যারেক্স, এইসব বেবিফুড খাওয়ানোর চেষ্টা হয়েছিলো কিন্তু বমি করে দিতাম বা পেট খারাপ হতো এমনকি জ্বর হয়ে যেত।
    দেড় বছর নাগাদ চা খেতে শুরু করি লেবু চা খুব লাইট লিকার খুব অল্প মিষ্টি। অপেক্ষাকৃত বড়ো হবার পরে স্কুলে যেতে শুরু করবার সময়ে আবার গরুর দুধ বা হরিনঘাটার দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা হয়েছিলো কিন্তু পরিষ্কার মনে আছে দুধের গন্ধেই বমি আসত। লুকিয়ে দুধ ফেলে দিতাম এবং ঝামেলা করতাম দুধ খাওয়াতে এলে। দুধের অন্যান্য প্রোডাক্ট যেমন নানা রকমের মিষ্টি একটাও খেতে চাইতাম না। মিষ্টি বস্তুটাই ভালোবাসতাম না। ক্যাডবেরি ও না। অতো ছোটোবেলায় কেউ আইসক্রিম খাওয়ায় নি। তখনকার দিনে আইসক্রিম রাখবার মতো ভালো ফ্রীজ ছিলো না। এবং রাস্তায় ঠেলায় করে যে আইস্ক্রিম বেচত সেগুলোর মান নিয়ে সন্দেহ ছিলো।
    প্রায় আট বছর বয়সে প্রথম দুধের আইস্ক্রিম খাই একটা রেস্টুরেন্টে (ওয়ালডর্ফ রেস্টুরেন্ট)। ভ্যানিলা আইসক্রিম ভালো লেগেছিলো। অথচ ডিম ও খেতে পারতাম না। ডিম দিলেই বমি করতাম।
    ঊনিশ বছর বয়েসে প্রথম ডিম খাই এবং নিজের ইচ্ছেয় খাই। সেই একই সময়ে নিজে কিনে দুধ ও খেয়েছিলাম। কারন এমন একটা সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ছিলাম যেখানে অন্য কোনো পরিচিত খাবার ছিলো না এবং অসম্ভব ক্ষুধার্ত ছিলাম।
    এরপরে আমার ডিমে আসক্তি জন্মায়। কিন্তু দুধে আসক্তি আজ অবধি জন্মায় নি। তবে দুগ্ধজাত খাবার দায়ে পড়লে খেয়ে নিই।
    সামহাউ আমার নিজের মেয়েরও জন্মের পরে এইরকম দুধ থেকে সমস্যা হচ্ছিলো। বড়ো হবার পরে সে সমস্যা কমে গেছে।
  • কল্কেকাশি | 132.103.208.96 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৯:৫১623722
  • বলি একটা দুটো উদাহরণ দিয়েতো বুঝিয়ে দিতে পারেন পেরেন্টিং কেমন হওয়া উচিত। ক্লাসিক খেলা গুলো আমরা ফিরে ফিরে দেখি কেন?
  • a x | 86.31.217.192 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ২০:১১623723
  • আচ্ছা আমি টেস্টটা করতে চাই। কমলেন্দু বাবু জানান স্পেসিফিক কোনো বয়সের ছবি লাগবে না যেকোনো বয়সের ছবি দেখেই বলে দিতে পারবেন।

    বেসিকালি আমি আপনাকে গোতা পাঁচেক বাচ্চার ছবি দেব, মুখ সুধু। রঙ্গীন ও সাদা কালো মিশিয়ে। আপনি বলবেন কে কে ব্রেস্ট ফেড এবং কে কে কৌটর দুধ খেয়েছে। ওকে?
  • কল্কেকাশি | 132.103.208.96 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ২০:২১623725
  • না না যা সম্ভব নয় খামোকা চেষ্টা করে লাভ নেই। এর চেয়ে বরং আপনি উদাহরণ সহযোগে বুঝাইয়া লিখ স্টাইলে নামান। দেখবেন সব চুপ মেরে গেছে।।
  • jhiki | 149.194.249.100 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ২০:২৫623726
  • কিন্তু অ ক্ষ আপনাকে তো জনান্তিকে উত্তর জানিয়ে রাখতে হবে। না হলে আমরা ঠিক ভুল জানব কিভাবে?
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.216.254 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ২১:৩০623727
  • হঠাৎ চলে এলাম। ঈশান-এর পোস্টের উত্তরে জানাই, ঠিক ঐ জিনিষটা (চোখ দেখে ইত্যাদি) জ্যোতি বসুর বাবা পারতেন। উনি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ছিলেন। অনেক বছর আগে একবার ওঁর নিজের বয়ানে কিছু কথা ছাপা হয়েছিল। তখন আনন্দবাজার আর যুগান্তর, এছাড়া বাংলা কাগজ ছিলনা। এই দুটোর একটাতেই হবে।

    উনি লিখছেন, খুব ছোট বেলায় একটা প্যাঁচাকে জোর করে ধরতে গিয়ে তার একটা পা ভেঙে ফেলেন। উনি লক্ষ্য করেছিলেন, যে তার চোখে তৎক্ষণাৎ কিছু পরিবর্তন হয়। এবার তিনি একটা খাঁচায় পাখিটাকে রেখে তার পরিচর্যা শুরু করেন। যেদিন তার চোখ স্বাভাবিক মনে হয়, সেদিন তাকে বের করে দিতেই সে উড়ে গিয়ে গাছের ডালে ঠিকঠাক বসে।

    সেই থেকে উনি এই বিদ্যেটা রপ্ত করার জন্য প্রথমে ছোটখাট প্রাণী ও পরে মানুষের চোখের ওপর নজর রাখা শুরু করেন। বহুকাল পরে, যখন উনি প্র্যাক্টিসিং হোমিওপ্যাথ, তখন একজন এসে বলে, আপনি নাকি চোখ দেখেই বলে দিতে পারেন, তা বলুন তো আমার দেহে কী রোগ আছে? উনি নাকি বলেছিলেন, আপনার কোনও রোগই নেই, তবে পিঠের ওপর আড়াআড়ি একটা গভীর কাটা দাগ আছে। তা নাকি সত্যি ছিল।

    আরও অনেক কিছুই ছিল সেখানে। এইটুকু মনে আছে।

    তবে মুখ দেখে দুধ খাওয়া অবধি শুনিনি কোথাও। হয়ত ইনি পারেন, কি জানি।
  • kamalendu chakrabarti | 24.99.38.32 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ২৩:৪৫623728
  • আপনারা অনেকেই শ্রী রামকৃষ্ণ ভরতাচারজ কে চেনেন। ফেসবুক ফ্রেন্ড। ওনার নাতনির পেট ব্যথা বলে ভর্তি আছে। ফোন করে প্রথমেই ওনাকে বলেছহি যে মেয়েতি প্রচুর পরিমানে দুধ এবং দুধের খাবার খেয়েছ। এবং অতাই ওর পেট ব্যাথার কারণ। উনি সঙ্গে দুধ খাবার কথা স্বীকার করেছেন। ফোন করে দেখতে পারেন। হাতে গরম উদাহরণ। ওনার ফোন নম্বর ৮০১৭২০২০১৬।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন