এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিউড়ি-কীর্নাহার-হেতমপুর-ফারাক্কা-বিডনস্ট্রীটের গল্প

    Abhyu
    অন্যান্য | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৯৩২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • arindam | 24.139.193.79 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:১০626841
  • খুব ভালো লেখা। তা হেতমপুরের গল্প কখন শুরু হবে?
  • byaang | 132.167.147.205 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:১১626843
  • তা আপনিই শুরু করুন না, হেতমপুরের গপ্পো? আপনার স্টকেও তো কিছু কম নেই হেতমপুরের গল্প। অপেক্ষায় থাকলাম।
  • byaang | 132.167.147.205 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:১২626844
  • আমার উপরের পোস্ট অরিন্দমকে লেখা।
  • byaang | 132.167.147.205 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:১৪626845
  • ঝিকি ঃ-)
  • jhiki | 212.67.46.24 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:২৩626846
  • তাও কাল বাড়ী গিয়ে পুত্তুরকে শুধালাম
    - আমি যে রেগে গেলে বাড়ী ফিরব না / চলে যাব বলি, তুই কি সেটা বিশ্বাস করিস।
    - নো ওয়ে, জানি তুমি কোত্থাও যাবে না।
    - তাহলে তখন আমার কথা শুনে নিস কেন?
    - ওয়েল, তখন বুঝতে পারি তুমি খুব রেগে গেছ, আরো রেগে গেলে তুমি স্যাড হয়ে যাবে তাই!

    পুরো কথোপকথনটা যখন হচ্ছিল, তখন আমি সোফায় বসে ছিলাম, আর সে সোফার হাতল, ব্যাকরেস্ট ইত্যাদির ওপর দিয়ে আমাকে প্রদক্ষিণ করছিল!!
  • byaang | 132.167.147.205 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:২৫626847
  • ঃ-)))))))))))))))))))
    ঠিক হয়েছে।
  • kumu | 133.63.112.145 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৩৬626848
  • আহা ভালো জামাটা পরেই খেলনরত ভাগীদারকে একটু আদর করে একটা চকোলেট দিলাম।
  • jhiki | 212.67.46.24 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৪২626849
  • বিডন স্ট্রীটের গল্প আর এগোবে না??
  • de | 69.185.236.52 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৭:৫৩626850
  • আমার কিন্তু ভাগীদারের গপ্পো শুনে খুব ভালো লাগলো -- মায়েদেরও যে সবকিছু ছেড়ে নিজের মতো একটু নিজের ফ্যামিলিতে সময় কাটাতে ইচ্ছে হতে পারে, এই ব্যাপারটাই যেন সবাই ভুলে যায়। তাদেরও তো একঘেয়ে লাগতে পারে! ভাগী আর তার মা-বাবাকে হ্যাটস অফ!
  • san | 133.63.144.47 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২০:০৬626852
  • ভাগিদাদার গল্প পড়ে খুব কষ্ট হল।
  • সিকি | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২০:১০626853
  • অভ্যুকে দুটো বিটকয়েন দিলাম।
  • jhiki | 233.255.225.78 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:২৬626854
  • নাও তুলে দিলাম। কালকে ভাটে তোমার অনেক সুখ্যাতি হয়েছে, তার মান রেখো ঃ))
  • byaang | 132.167.74.18 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৩০626855
  • আহা এতটাই যখন পারলে, তখন আর কপি-পেস্টটুকুন করতে পারলে না? ঃ(
  • byaang | 132.167.74.18 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৩২626856
  • এই যে, নীচে সেঁটে দিলাম ভাট থেকে তুলে।

    আমাদের হেতমপুরের বাড়িতে একটা ভূত ছিল। তার খুব ন্যায়বিচার ছিল। গেরস্তর কিসে মঙ্গল হয়, সেই সব দিকে সেই ভূতের খুব নজর ছিল।
    সেই ভূতের কেমন ভালো বিচারবুদ্ধি ছিল, বলব?
    বাড়িতে হয়তো গড়গড়া গ্রাম থেকে দিদামায়ের সমবয়সী মাসতুতো ননদ এল, সে এসে দিদামায়ের নতুন ভোমরাপাড়ের শাড়ি দেখে একটুও অসূয়া না রেখে মন থেকেই খুশি হয়ে বলল, "বাঃ বৌদি, এই শাড়িটায় তোমায় ভারি মানাবে।', অম্নি দিদামায়ের ননদের কোল-আঁচলে ঝপ করে এসে এক চ্যাঙারি গরম গরম জিলিপি পড়বে।
    কিন্তু পাশের পাড়া থেকে দিদামায়ের সইয়ের নাতনি এসে দিদামায়ের ভাঁড়ারঘরে ঢুকে যেই না একটা কাঁসার বাটি নিজের ট্যাঁকে পুরবে, অম্নি উপরে রাখা কয়লার ঝুড়ি থেকে টুপ টাপ কয়লার টুকরো পড়বে তার মাথায়। পড়বেই পড়বে।
    তারপর সেই যে বড়দার বন্ধু হাঁদুম্যান মিথ্যে কথা বলে বড়দাকে মার খাওয়াল বড়দার সেজকাকার হাতে, তারপরে হাঁদুম্যান যে রক্ত-আমাশায় যায় যায় হল, সে কার বিচারে?
  • jhiki | 233.255.225.78 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৩৫626857
  • সেটা আমার ফোন থেকে করা যায় না ঃ(
  • Abhyu | 85.137.0.254 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৩৭626858
  • নমেঃ ব্যাঙ্গ ডতেঃ১৭ এব ২০১৪ -- ১২ঃ২৮

    আমি কি বলেছিলাম, আমার মা জানলা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ছাঁট আসছে কিনা চেক করতে গিয়ে জানলার নীচে ঘাপটি মেরে থাকা চোরের মাথায় হাত দিয়ে ফেলেছিল। আমার দিদাকে ফিসফিস করে সে কথা বলতেই , আমার দিদা জোরে জোরে জিজ্ঞেস করেছিল, "কেমন চুল মাথায়? কদমফুলি? তেল জবজবে? নাকি ন্যাড়া" , তারপর দিদা চোরের চুল দেখার জন্য নিজেই জানলা দিয়ে হাত বার করেছিল, কিন্তু দিদার হাতে চোরের মাথা না ঠেকে বরং বৃষ্টির জল এসে পড়েছিল। পরের দিন ভোরবেলায় ভালোমাসি আর ছোটোমাসি বাগানে ফুল তুলতে গিয়ে দেখেছিল স্থলপদ্মর গাছে আর একটা-ও কুড়ি নেই, ফুলগুলো তো নেইই। আর জানলার নীচে জলে ভেজা এক বান্ডিল বিড়ি পড়ে আছে। আমি উত্তেজনায় সেই বৃষ্টির রাত আর আরো কয়েক রাত ঘুমোতে পারি নি।
  • byaang | 132.167.74.18 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৩৯626859
  • উপরের গল্পটা সিউড়ির গল্প।
  • Abhyu | 85.137.0.254 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৪১626860
  • name: byaang Date:17 Feb 2014 -- 12:38 PM

    আরেকবার আমার দিদার বাড়ির উঠোনে সকাল বেলায় উঠে নীল চেক লুঙ্গির ছেঁড়া টুকরো ফোঁটা ফোঁটা রক্তের ছাপ, আর কুট্টুস আর রিনটিনের লোমে লাল ছোপ দেখা গেছিল।
    তারপর থেকে আমি আর ছোটমাসি বাইরে বেরোলেই তাকিয়ে থাকতাম লোকের লুঙ্গির রঙের দিকে আর তারা খুঁড়িয়ে হাঁটছে কিনা দেখার জন্য।
  • byaang | 132.167.74.18 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৪২626861
  • উপরের এই গল্পটাও সিউড়ির গল্প।
  • byaang | 132.167.74.18 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৫৯626863
  • একটা বিডন স্ট্রীটের চোরের গল্পও আছে।
    সে আমার পিসির বাড়ির রোয়াকে শুয়ে অপেক্ষা করছিল পিসির ঘরের আলো নিভলে তবে সে তার কাজ শুরু করবে বলে।
    এদিকে আমার পিসেমশাই তো আর কিছুতেই আলো নেভায় না, রাত আড়াইটে-তিনটে অব্দি নিজের পড়াশুনার কাজ করে একটা উলটো গেঞ্জি পরে। (কে না জানে, উল্টো গেঞ্জি পরলে ভূতে ধরে না। ভূত উল্টোগেঞ্জি পরা লোককে নিজেদের দেশোয়ালি ভাই ভেবে ছেড়ে দেয়, কিচ্ছুটি করেনা) । চোর বেচারি অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। ভোর তিনটে নাগাদ পিসেমশাই একটু বিশুদ্ধ হাওয়া খেতে রোয়াকে এসে দাঁড়িয়েছে, হাতে একটা মোটা বই। পিসেমশাই রোয়াকে এসে দেখে একটা লোক ঘুমোচ্ছে। পিসেমশাই তাকে ডেকে তুলেছে ঘুম থেকে, তারপরে তাকে শুধিয়েছে, "এখানে ঘুমোচ্ছিলে কেন? শরীর খারাপ নাকি?"
    সে ভারি রসিক চোর, সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছে "শরীর খারাপ হয় নি বাবু, বরাতটাই খারাপ।"
    পিসেমশাইও যা বোঝার বুঝে নিয়ে বলেছে, "তা বটে। বরাত খারাপ না হলে, চোর হয়ে কখনো উকিলের বাড়িতে চুরি করতে আসে!!"
    ফচকে চোর বলে কিনা, "আপনার হাতে ওটা কী? আইনের বই? কত ধারার কথা লেখা আছে ওটায়?"
    পিসেমশাই তখন তাকে বুঝিয়ে বলেছে যে পিসেমশাইয়ের থেকে এই চোরের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, পিসেমশাই সিভিল কেস দেখে, ক্রিমিনালদের ছুঁয়েও দেখে না।
    তখন বেয়াদপ চোর বলে কি, "আপনি লোকটা বড় ভালো, পাঁচটা টাকা দেবেন? তাহলে ভোরের আলো ফোটার আগেই চলে যাই।"
    তারপর সে পাঁচটাকা আর এক প্যাকেট ক্যাপস্টান সিগারেট নিয়ে চলে গেছিল।

    পিসি সকালে উঠে সব শুনে রাগ করে আমাদের বাড়ি চলে এসেছিল, দুপুরবেলা আমরা সবাই মিলে দাদার কীর্তি দেখে এলাম। রাতে পিসেমশাই মিত্র ক্যাফের ব্রেন চপ নিয়ে আমাদের বাড়ি এল পিসির রাগ কমাতে।
  • kumu | 132.161.69.184 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২০:১৭626864
  • অমা , কী মজার বাড়ী!!
  • Abhyu | 85.137.0.254 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২০:২৫626865
  • তারপর?
  • Abhyu | 107.80.159.164 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:৫৩626866
  • name: byaang Date:20 Feb 2014 -- 11:18 AM

    আপনারা কি কেউ রিকশা করে খাটাল থেকে গরুর খড়- বিচালি চুরি করার কথা শুনেছেন? আমার ভাইয়ের বন্ধু প্রতিবছর দোলের আগের দিন রিক্শা ভাড়া করে গরুর খড়বিচালি চুরি করতে যেত।
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০০:০১626867
  • name: byaang Date:27 Feb 2014 -- 11:51 PM

    এদিকে কি হয়েছে, আমাদের কোলকাতার পাড়ায় রানাঘাট থেকে মিষ্টি বিক্রি করতে আসতেন একজন। তাঁকে আমার ভাই ডাকত মিষ্টিমামা বলে। তিনি আনতেন রসগোল্লা (স্পঞ্জ নয়), লেডিকেনি, ক্ষীরের গজা, ছানার জিলিপি আর কাঁচাগোল্লা। আমার টিফিনে কাঁচাগোল্লা দেওয়া হলে আর গার্গী সেদিন স্কুলে না আসলে আমাকে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হত সেই কাঁচাগোল্লা।
    কয়েক বছর হল উনি আর আসেন না, ওনার ছেলে আসেন, রানাঘাট থেকে। তাকে আমার ছেলে মিষ্টিমামা বলে ডাকে। কিন্তু তার কাছে থাকে লেডিকেনি আর ছানার জিলিপি আর রসগোল্লা (স্পঞ্জ নয়)। ক্ষীরের গজা আর কাঁচাগোল্লা তিনি আর আনেন না। আমার মা একদিন মেজাজ হারিয়ে বললেন, "রোজ বলি ক্ষীরের গজা আর কাঁচাগোল্লা আনতে, একদিনও পাই না । " তখন ইদানিং যিনি আমার ছেলের মিষ্টিমামা হয়েছেন, তিনি বললেন "আমাদের তো বিজিনেস পার্টিশন হয়ে গেছে। মিষ্টিও ভাগ হয়েছে। পাড়াও ভাগ হয়েছে। বাবা আর আমি সেপারিট হয়ে গেছি। আমার ভাগে লেডিকেনি, ছানার জিলিপি। আর বাবার ভাগে ক্ষীরের গজা, কাঁচাগোল্লা। রসগোল্লাটার বেলায় কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলি নি। তাই রসগোল্লাটা দুজনেরই। পাড়াও সেপারিট হয়ে গেছে। আমি এই সাইডটা দেখি আর বাবা ফুলবাগানের সাইডটা"
    মা রেগেমেগে বলে, "এটা একটা ভাগাভাগি হল! এপাড়ার লোকদের কপালে ভাজা মিষ্টি আর অন্যদের জন্য ক্ষীর আর কাঁচাগোল্লা। হয় তুমি কাল থেকে ওগুলো আনবে, নয়তো তোমার বাবার ভাগে যেপাড়া পড়েছে, আমাকে সে পাড়ায় বাড়ি খুঁজে দেবে।"
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০০:২৫626868
  • তখন আমার ছেলের মিষ্টিমামা বললেন, "ওসব বলবেন না। বাবা আমার ভেবেচিন্তেই কাজ করে। বাবা বলল, "তুই ওদিকটা নে। ওদিকের লোকগুলো সুবিধের নয়, টাকা বাকি রাখে, এই বুড়োবয়সে খাতা মিন্টিন করতে পারব না। ওসব ঝক্কির কাজ তুইই দেখ। যুগ্যি ছেলে হয়েছিস। ফুলবাগানের দিকটায় অনেক মেড়ো। আমাকে একটু সামলে নিতে দে, তারপর তোকেই ফুলবাগানটা ছেড়ে দিয়ে আমি রিটার করব। এখন তোর হাতে বেশি পয়সা এলে মাথা বিগড়ে যাবে।"

    ক্ষীরেরগজালোভী মা মোটেই আশ্বস্ত হন না, এহেন ব্যব্সাবুদ্ধির কথা শুনে। তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলেন "কথাবাত্তার একি ছিরি , অ্যাঁ! এপাড়ার লোকরা সুবিধের নয়? এপাড়াতেই দাঁড়িয়ে একথা বলা হচ্ছে!"
    নতুন মিষ্টিমামা বললেন, "দাঁড়ান মাসিমা। এখন তো সবে বিজিনেস পার্টিশন হয়েছে, এর পরে বাড়িটাও তো আছে, সেটার কী হয়, সেই চিন্তাটাও করতে হবে তো। তাই এখুনি আমি ফুলবাগানটা চাই নি। বাবা বুড়োমানুষ , মেড়ো পাড়ায় পয়সা বানালেও খচ্চা কত্তে পারবে না। ও সবই আমারই হবে। তখন বাড়ি পার্টিশন হয়ে গেলে, বাবাকে আবার আপনাদের পাড়ায় ক্ষীরের গজা আর কাঁচাগোল্লা বেচতে বলব। তদ্দিন ভাজা মিষ্টিই খান।"
  • Lama | 113.242.199.155 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০০:৪৯626869
  • ছোটবেলায় দেখা একটা স্বপ্ন মনে পড়ে গেল।

    একটা ট্রাকে চেপে কারা যেন চলে যাচ্ছে। হাফপ্যান্ট পরা, এক পায়ে হাওয়াই চপ্পল অরেক পা খালি- ট্রাকের পেছন পেছন দৌড়ে হাঁপিয়ে গিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছি।

    অনেকদিন আগের কথা।
  • byaang | 132.167.242.70 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:১৬626870
  • আমাদের সিউড়ির বাড়ির দরজা খুললেই অম্নি একটা মাঠ এসে আমাকে টেনে নিয়ে যেত। ওরকম লাল টুকটুকে হাওয়া ফুরফুরে হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা হয়ে যাওয়া মাঠ কেউ কক্ষনো দেখে নি।
    সিউড়ির বাড়ির উঠোন আর বাড়ির বাইরে সেই মাঠটার মাঝে ছিল একটা খিল দেওয়া দরজা। খিলটাও ভারি লক্ষ্মী খিল, আমি যখন ভরদুপুরে চুপিচুপি খিল খুলতে যেতাম, সেও ভারি নরমসরম হয়ে, আলগা হয়ে গিয়ে একটুও আওয়াজ না করে আমার হাতে চলে আসত। সেরকম ভালো খিলও কেউ কক্ষনো দেখে নি। ছোটমামা হাতে ঘড়ি বেঁধে সারা দুপুর ধরে টেস্টপেপার সলভ করার নামে তো আসলে কখন খেলতে যাবে তার অপেক্ষা করত, আর চারটে বাজতে না বাজতেই যেই খিলে হাত দিত, অম্নি খিলটা শক্ত আঁট হয়ে বসে ছোটমামার আঙুল চিপ্টে দিয়ে ফাঁকিবাজির শাস্তি দিত। এমনকি ক্যাঁচকোঁচ আওয়াজ করে দিদাকেও ঘুম থেকে তুলে দিত।
    দিদা এসে রাগ করে বলত, "বাবু, না খেয়েই বেরিয়ে যাচ্ছ যে।" তারপর দিদা কী একটা ম্যাজিক করত, দেখতাম পাঁচ মিনিটে মধ্যে দিদার পরোটাভাজা হয়ে গেছে। আমি আর ছোটোমামা গরম গরম পরোটা গুড় দিয়ে খেতাম। ছোটমামা অবশ্য খেত না, ছোটোমামাও কী একটা যেন ম্যাজিক করত, তাই চোখের পাতা ফেলতে না ফেলতেই ছোটমামার দুটো পরোটা আর পাটালি ছোটোমামার থালা থেকে কোথায় যেন উবে যেত। আর ছোটোমামাও দে দৌড়। তখন অবিশ্যি খিলটা ছোটোমামাকে আর দেরি করিয়ে দিত না। মাঠে যে তখন দীপুমামা, ভুটুমামারা দাঁড়িয়ে আছে।
    কিন্তু আমি তো আর সিউড়ির আর সব্বার মত ম্যাজিক জানতাম না, তাই আমার পরোটা আর পাটালি শেষই হত না। হতেই চাইত না। যখন শেষ হত, ততক্ষণে নীপুমামার মণিমেলার ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। নীপুমামা দেরির জন্য বকত না একটুও। সিউড়ির লোকরা কক্ষনো কাউকে বকে না। মণিমেলার ক্লাসে গিয়ে আর সব্বার সঙ্গে গলা মিলিয়ে আমিও চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতাম - নিজের কাজ করব, সুস্থ শরীর গড়ব, সত্য পথে চলব, সত্য কথা বলব। (লাইনগুলো এলোমেলো হয়ে গেল কি? তা আর কী করা! নীপুমামা তো আর এপাতায় নেই যে লাইনগুলো ঠিক করে দেবে।) নীপুমামা আমাকে একটা ম্যাজিক শিখিয়ে দিয়েছিল। পায়ের দুই পাতা জুড়ে মাটিতে চেপে এক চক্কর ঘুরে নেওয়া, ওমা মাটির দিকে তাকিয়ে দেখি লাল ধুলোর মধ্যে একদম পারফেক্ট একটা বৃত্ত বানিয়ে ফেলেছি। কম্পাস দিয়ে ছোটোমামা যেমন বৃত্ত আঁকে সাদা খাতায় সেইরকম। নীপুমামা বলত "যে যার নিজের বৃত্তের মধ্যে থাকবে, তার বাইরে পা পড়বে না, পা পড়লেই অন্যজনের সঙ্গে ধাক্কা লাগবে, তাই খুব সাবধান।" ভুল তো আর বলত না, বলুন?
    ঐ বৃত্তের মধ্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমরা হাত তুলে তুলে কীসব যেন ড্রিল করতুম। তারপর হত ব্রতচারী। ব্রতচারীর গানগুলো ভালো লাগত, কিন্তু নাচগুলো ভালো লাগত না। শুধু চল কোদাল চালাইটা ভালো লাগত। কেন , বলুন তো? কারণ ওটার মধ্যে দুটো শব্দ ছিল - ক্ষীর আর মালাই। যেই কথা দুটো বলতাম, অম্নি মুখের মধ্যে চিনি দেওয়া লাল চাঁছি ভরা আছে টের পেতাম। তখন কি আর জানি ছাই, মালাই মনে দুধের সর, যা, আমার মুখে পড়লেই আমার গা গুলিয়ে ওঠে। ভাবতাম, সিউড়ির মালাই না জানি কী ভালো খাবার হবে।
    যাগ্গে, যে কথা বলছিলাম। নীপুমামা আর দীপুমামারা ছিল চারভাই আর দুই বা এক বোন। (ঠিক মনে পড়ছে না, কয় বোন)। নীপুমামার উপরে ছিল অপুমামা আর সপুমামা। আর দীপুমামা সব্বার ছোট্ট। অপুমামা আর সপুমামা ছিল আমার বড়মামার বন্ধু। আর দীপুমামা আমার ছোটমামার বন্ধু।
    ব্রতচারীর ক্লাস হয়ে গেলে মাঠের মধ্যেই হেঁটে বেড়াতাম। দেখি মাঠে কত কত ছোট ছোট দল বসে আছে। ছোটোমাসি, রতনমাসিদের একটা দল। ভালোমাসি, মিত্রামাসিদের একটা দল। ছোটোমামা, দীপুমামাদের একটা দল। আরো কত কত দল। কিন্তু কেউ আমাকে দলে নিত না। কত্তো করে বলতাম, আমি একটু তোমাদের সঙ্গে বসি? অম্নি, "একদম না, বড়দের কথা শুনতে নেই, তাহলে রাত্তিরে"। আর আমি কি তখন সেখানে দাঁড়াই, রাত্তিরে কী হবে জানার জন্য! একা একাই হাঁটি মাঠে। তবু মাঠটা শেষ হয় না। কোনোদিনও মাঠের শেষে যে ছোট্টো টিলাটা আছে, আমি যেটাকে শুশুনিয়া পাহাড় বলে জানতাম, সেটার কাছে পৌঁছতে পারি না। তার আগেই মা এসে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যায়, দুধ খাওয়ার সমায় হয়ে গেছে বলে। মা বলে, দুধ খাওয়ার সময়, কিন্তু সেটা ছিল আমার বমি করার সময়। মাও কাঁসার গেলাসে করে আমাকে দুধ খাওয়াবে, আর আমারও গা গুলিয়ে বমি আসবে, মাও ছাড়বে না, আর আমিও খাব না। মহাসংগ্রাম। যতক্ষণ না দিদা বলে "ওকে এবার ছেড়ে দে, ঢের হয়েছে" তার আগে মা ছাড়ে না। ওমা এসব কী বলছি, আমি তো সপুমামা, নীপুমামাদের কথা বলছিলাম।
    কবে যেন সিউড়ি গিয়ে দেখলাম বিকেলবেলায় আর মণিমেলার ক্লাস হয় না। নীপুমামার পড়ার চাপ বেড়েছে। তখন আমি আর লিপি মিলে এক্কাদোক্কা খেলতাম। লিপিদের বাড়ির ছাদে বসে নাড়ু আর জল খেতাম। আর শাঁখের আওয়াজ শুনতাম। লিপিদের বাড়িতে অনেক গোলাপি দোপাটির গাছ ছিল। দোপাটিফুল খুব ভালো লাগত। ওরকম নরম ফুল আর হয় না। হাতে নিয়ে পাপড়িগুলো চিপতাম। আর পাপড়িগুলোর কষ্টে মনকেমন করত। মা কিন্তু তখন আমাকে টেনে নিয়ে যেতে পারত না, আমাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য। প্রলয়্মামা মানে লিপির বাবাকে তো মা ভয় পেত, তাই।
    কবে যেন লিপিদের বাড়িও আর যেতাম না, ছোটমাসি ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরি থেকে যেসব বই আনত, সেগুলো বারান্দায় বসে গিলতাম। আর মা বলত "এ মেয়ে চোখে চশমা না তুলে ছাড়বে না, বিকেলেবেলায় একবার বাইরে যেতে হয়, যাও ঘুরে এস একবার বাইরে থেকে।" তুঙ্গভদ্রার তীর ছেড়ে কি কেউ আর কোথাও যেতে পারে, তাই সন্ধ্যে গড়িয়ে গেলেও আর বাইরে যাওয়া হত না।
    কিন্তু আমি তো বলছিলাম নীপুমামাদের কথা। প্রতিবারই সিউড়ি গেলে পাড়ার সব বাড়িতে একবার করে যেতাম। আর প্রতিবারই দেখতাম সেই বাড়ির লোকগুলো কমে গেছে। সন্দীপমামাদের বাড়িতে আর সন্দীপমামা থাকে না, হলদিয়ায় চলে গেছে চাকরি পেয়ে। ঝুমামাসিদের বাড়ি আর মিঠুয়ামামা থাকে না, ধানবাদ চলে গেছে পড়া করতে। আমাদের বাড়িতেও তো আর ছোটমামা থাকে না, সেও তো শিবপুর চলে গেছে। দীপুমামাদের বাড়ি গিয়েও আর অপুমামা, সপুমামাকে দেখতে পাই না। নীপুমামাকে কখনো দেখতে পাই, কখনো পাই না। আর দীপুমামাও থাকে, কিন্তু কোন একটা ঘরে বসে যেন পড়া করে, আর বেরোয় না।
    তারপরে তো আমিই টেস্টপেপার সলভ করতে আরম্ভ করলাম। ক্লাস টেনের টেস্ট হয়ে গেলে স্কুল থেকে এক্সকারশনে গেলাম। মাইথন-ম্যাসাঞ্জোড়। চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে, হেসে হেসে, আর চেয়ে চেয়ে এত এত চাটনি খেয়ে খেয়ে গলা বন্ধ হয়ে গেছে। গলা দিয়ে তো আর আওয়াজ বেরোয় না। কেউ আমার কথা শুনতে না পেলে আর গল্প করে লাভ কী? জানলা দিয়ে বাইরে দেখি সেই লাল মাটি। এবছর তো পুজোতেও আসা হয় নি সিউড়ি। শীতের ছুটিতেও না। খালি বাড়িতে ভালো-ও লাগে না। মাসিমণি নেই, বড়মামা নেই, ভালোমাসি নেই। এমনকি ছোটমামা সেও উদয়্পুর না কোথায় যেন রাস্তা বানাচ্ছে। শুধু ছোটোমাসি , দিদা আর দাদুভাই। মাধ্যমিক হলেই তো যাব। আর তো তিন মাস। নিজেই নিজেকে বলি।
    আবার জানলা দিয়ে দিয়ে বাইরে দেখি। বাইরেটা কেমন অদ্ভুত। কত কত গোল গোল পাথর। পাহাড়ের মতন হয়ে রয়েছে। কোন জায়গা এটা? দুবরাজপুর নাকি দুমকা? নিজের ভূগোলের জ্ঞানে নিজেই হাসি।
    আরে ঐ পাহারটার উপর ওটা কী? ঐ বড় চৌকোমতন পাথরটায় কী লেখা রয়েছে এগুলো?
    লেখা ছিল,

    অপু
    সপু
    নীপু

    ওমা, কী মজা! এরকমও হয় নাকি? এদের তো আমি চিনি। ঠিক সেই একই অর্ডারে। দীপুমামা বোধহয় তখনও জন্মায় নি। তাই দীপুমামার নাম নেই। নিজেই নিজেকে বলি। শুধু নিজেকেই কি বলা যায় এত বড় কথাটা? যাদেরকে ভুলেই গেছিলাম, তারা এখানে এইভাবে আমার এক্সকারশনের বাসের জন্য অপেক্ষা করে ছিল? এত বছর ধরে! পাশের সীটে কৃষ্ণাকে কথাটা বলতে গিয়ে দেখি, গলা দিয়ে একটুও আওয়াজ বেরোচ্ছে না। তা বেশ হয়েছে। এ শুধু আমার একারই মজার কথা। আমার একারই থাক।

    আজ আর আমার একার থাকল না। আপনারা কেউ যদি মাইথনের বাঁধ দেখতে যাওয়ার পথে আজও সেই পাথরটা দেখতে পান, আমাদের এক্সকারশনের বাসের রুটে পড়ে সেই জায়গাটা। গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছিল না বলে, কাউকে সেই মুহুর্তে জায়্গাটার নাম জিজ্ঞেস করতে পারি নি, তবু যদি আপনাদের চোখে পড়ে পাথরটা, আমাকে এসে বলবেন তো? আমি আরেকবার যাব।
  • kk | 81.236.62.176 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:২১626871
  • অসাধারণ !!
  • Lama | 113.242.199.155 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:২৩626872
  • তোর লেখার হাতটা আগের চেয়েও খোলতাই হয়েছে। গায়ে কাঁটা দিল- সিরিয়াসলি বলছি
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:৫৮626874
  • সত্যিই অসাধরণ, গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন