এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিউড়ি-কীর্নাহার-হেতমপুর-ফারাক্কা-বিডনস্ট্রীটের গল্প

    Abhyu
    অন্যান্য | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৯৩২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • byaang | 132.172.249.71 | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ১০:২৩626795
  • ঐ মাছ আঁকা পিঁড়িটা ছিল সেজদার বিয়ের পিঁড়ি। ঐরকমই আরেকটা পিঁড়ি ছিল সেজদিদের বাড়ি। কিন্তু সেই মাছটা ডানদিকে থেকে বাঁদিকে আঁকা ছিল। কিন্তু দিদুমণির বাড়ির পিঁড়ির মাছটা বাঁদিক থেকে ডানদিকে আঁকা ছিল। তাই সেজদিদের বাড়ি গিয়ে যখন কুচি কুচি করে কাটা ফল, সেজদির মায়ের হাতে বানানো ছানার মিষ্টি এসব খেতাম, সেগুলো ঐ মাছপিঁড়িতে বসেই খেতাম। আর সেজদিদের বাড়ির সব বোনদের নাম তো পাখির নামে ছিল, তাই আমি ভাবতাম আমি যে ফলের কুচিগুলো খাচ্ছি, সেই ফলগুলো সেজদিদের বাগান থেকে সেজদিরাই ঠোঁটে করে তুলে এনেছে। খেতে খেতে সেজদিকে বলতাম "আজকে বিজনবাবুর গানটা গাইবে না?" সেজদি তখন তানপুরা বাজিয়ে আমাকে বিজনবাবুর গান শোনাত। সেই গাব্ন শুনতে শুনতে ফল খেতে আমার একটুও কষ্ট হত না। নিজেকে খুব বড় আর ভালো লোক মনে হত।

    বলুন তো দেখি বিজনবাবুর গান মানে কোন গানটা? ভাবুন, ভাবুন।

    আমি পরে কখনও এসে সেজদা-সেজদির প্রথম ডেটের গল্প লিখে দেব এই টইয়ে। ঝিকির ইচ্ছেপুরণ হবে। সেজদা-সেজদি কে?

    সেজদা-সেজদি হল আমার মায়ের সেজোমামা আর সেজোমামি। আর দিদুমণি হল আমার দিদার বড়দি আর সেজদা দিদার সবচেয়ে ছোটো ভাই। সবচেয়ে ছোটো ভাই আরো একজন ছিল, তাকেও আমি দেখেছি, সে খালি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিত। আমি তাকে ছোড়দা বলতাম। সে আর নেই তো। তাই সেজদাই এখন দিদার সবচেয়ে ছোট ভাই।
  • jhiki | 121.95.121.109 | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ১০:২৭626796
  • আমি একেলে প্রেমের গল্প শুনতে চাইইইইইইইই .....
  • byaang | 132.172.249.71 | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ১০:৩১626797
  • আরে একেলে প্রেমই। সেজদা সেজদির বিয়েতে আমি খেয়েছি তো।
  • byaang | 132.172.249.71 | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ১০:৩২626798
  • সেজদা সেজদির মেয়ের বিয়েতে অবিশ্যি আমি আর আমার ছেলে দুজনেই খেয়েছি।
  • jhiki | 121.95.121.109 | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ১০:৩৫626799
  • আমারও সেকেলে হয়ে গেছি ঃ(
  • | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ১০:৪৬626800
  • আজি বিজনঘরে নিশীথরাতে?
  • byaang | 132.172.249.71 | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ১১:১৬626801
  • এই দমুগোয়েন্দার জ্বালায় একটু রহস্য করারও জো নাই । ঃ(

    হ্যাঁ বাপু, হ্যাঁ।
  • লম্বা মেজদা | 85.137.12.226 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৫৮626802
  • name: byang mail: country:

    IP Address : 132.172.252.174 (*) Date:05 Dec 2014 -- 01:01 PM

    লম্বা না হলে কী হয়, গিয়ে আমার মেজদাকে জিজ্ঞেস কর তোমরা। এতদিন আমাকে দেখলে বলতেন, "তুই যখন ছোটো ছিলিস, তোর লম্বা হওয়ার ধাঁচটা দেখে ভাবতাম, তুই তোর বাবার মত লম্বা হবি, তা না হয়ে তোর মায়ের মতন গুড়গুড়ে রয়ে গেলি।"
    উনি গরমের ছুটির সময় আমার ছেলেকে দেখে বলেছেন "এতদিন ভাবতাম তুই অন্তত তোর বাবার মত লম্বা হবি, কিন্তু তুইও তোর মায়ের মত বেঁটেগুড়গুড়েই রয়ে গেলি।"
    মেজদার করা এই অপমান আর আমার সহ্য হয় না।
    বাড়িতে কোনো ছেলেমেয়ের বিয়ে হলেই বিয়ের আগে মেজদার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, যখন দুইবাড়ির দেখাশুনা, পরিচয় ইত্যাদি হয়, পাছে মেজদা গিয়ে হবু বর বা বৌয়ের হাইট মাপতে শুরু করে দেয়।

    name: byaang mail: country:

    IP Address : 132.172.252.174 (*) Date:05 Dec 2014 -- 02:00 PM

    বেশ বছর কয়েক আগে বাড়িতে একটা বিয়ে, আমার এক মাসির বিয়ে। মানে ঐ মেজদার ভাই সেজদার মেয়ের বিয়ে। তো বাড়ির সব ছানাপোনারা হিন্দি সিনেমাটিনেমা দেখে লোকশিক্ষে পেয়ে বরের জুতো চুরি করার জন্য ঘুরঘুর করছে। কিন্তু বাছারা সব এমন লক্ষ্মীসোনা, কারুর আর এগিয়ে যেতে সাহস হয় না। একে জাঁদরেল মেজদা/মেজদাদু/মেজজেঠু, তার উপর রাগী দিদিভাই/সোনামা মানে আমার মা, স্ট্রিক্ট ভালোমাসি/ভালোদিদি/রাঙাপিসি এদের বকুনির ভয়ে কাতর হয়ে কুচোরা এসে আমার কাছে লুটিয়ে পড়ে, "মিমনিমাসি/দিদিয়া তোমাকে কেউ কিচ্ছু বলবে না, তুমি কিছু একটা করো প্লিজ! একটু হেল্প কর আমাদের। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ।"

    তো কচি মুখগুলো দেখলে কার না মায়া হয়! আমি ছাঁদনাতলায় গিয়ে দাঁড়ালাম। বরের এক ছোকরা কাকুকে জুতো আগলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হয়তো। তিনি আমার আগমন দেখেই এক জোড়া হাওয়াই চটি এগিয়ে দিয়ে বললেন, "এই নিন, এই দুটো দিয়ে পিত্তিরক্ষা বা মুখরক্ষা করুন।" বলেই একটি ফিচেল হাসি দিয়ে আমার মেজাজটা খিঁচড়ে দিলেন। যাই হোক আমিও বললুম "লজ্জা করে না? বিয়ের বরকে হাওয়াই চটি পরিয়ে এনেছেন! আমাদের বললেই পারতেন, আরো একজোড়া কোলাপুরী পাঠিয়ে দিতাম তত্ত্বের সাথে।"

    এমন ফিচেল বরের কাকুকে সামলাতে পারে একমাত্র আমার বড়দা, মানে কনের বড়জেঠু। তাই বড়দাকে ডেকে ওনার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলাম। ব্যাস, যেমনটি ভাবা গেছিল, বড়দা বরের কাকু কোন কেজি ইস্কুলে যেত থেকে শুরু করে দিল, আমি ভালো ই জানি , ক্লাস টুয়েলভে ঐ ছোকরা পাথফাইন্ডারে যেত নাকি স্কেম্যাটিক সেই অব্দি বড়দা যতক্ষণে পৌঁছবে, ততক্ষণে বরের কাকু ত্রাহি ত্রাহি ডাক ছাড়বে। দুজনে যতক্ষণে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের হোস্টেলের খাওয়ায় পৌঁছেছে, ততক্ষণে আমি দেখে নিয়েছি বরের নতুন চটিজোড়া পুরুতের পাটকাঠি রাখার ব্যাগের পিছন থেকে উঁকি মারছে। ব্যাস, আমিও পায়ে করে করে সরিয়ে এনেছি ঐ চটিজোড়া। এনে কুচোগুলোর হাতে দেওয়া মাত্র আবার আব্দার, "কোঁথাঁয় রাঁখবো, একঁটা ব্যাঁগ এঁনে দাঁও নাঁ?" এখন জুতো রাখার জন্য ব্যাগ, এমনটা ভাবতেই আমার কেমন একটা হয়। এদিকওদিক সম্ভাব্য ব্যাগের আশায় খুঁজতে গিয়ে দেখি মেজদা, মানে কনের মেজজেঠু একটা আদি ঢাকেশ্বরীর প্লাসটিক ব্যাগ ধরে বসে আছে একটা চেয়ারে।

    গিয়ে বলি "মেজদা, তুমি বরের হাইটটা দেখে নিয়েছ তো ভালো করে?"
    মেজদা বিমর্ষমুখে বলে "তোর মা আর মাপতে দিল কই? জামাইয়ের হাইট নাকি মাপতে নেই! তোর বিয়ের সময়েও তোর বরের হাইট মাপতে দেয় নি, আমাকে চোখের আন্দাজে বুঝতে হয়েছে।"
    "ও মেজদা, এই প্লাস্টিকের ব্যাগটা দাও না? খুব দরকার আমার।"
    "কেন? এটায় আমার ছাতা আছে। এটা দেওয়া যাবে না।"
    "ওফ মেজদা, অঘ্রান মাসের বিয়েতে কেউ ছাতা নিয়ে ঘোরে!! দাও তো দেখি তোমার প্লাস্টিক ব্যাগটা! এই নাও এই তোমার ছাতা, ধর। আমি ব্যাগটা নিলাম।"
    "এখন নে, কিন্তু বিয়ের শেষে ফেরত দিবি। এখন ছাতাটা আমি কোথায় রাখি?"
    "ঐ তো বড়দা বরের কাকুর সাথে কথা বলছে, গিয়ে বড়দাকে রাখতে দাও তোমার ছাতা। বরের কাকুটার হাইট কেমন হবে বল তো মেজদা?"

    ব্যাস এতক্ষণে আমার প্রতিশোধ সম্পূর্ণ হয়, বরের কাকার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে নেয় কনের বড়জেঠু ও মেজজেঠু। নতুনচটিজোড়াও আদি ঢাকেশ্বরীর প্লাস্টিক ব্যাগে ঢুকে যায়। বাচ্চা পার্টির হাতে সেই চটিসমেত ব্যাগ তুলে দিয়ে আমি গিয়ে কনের মাথায় লজ্জাবস্ত্র ধরি, বরকে সাবধান করে দিই, "সাবধানে সিঁদুর পরিও বাপু, চারহাজারটাকার মেকাপ নষ্ট করে দিও না যেন।" তখনও তো আর জানি না, এই নতুন বর কী জিনিস!

    বিয়েটিয়ে নির্বিঘ্নে মিটে যাওয়ার পর বাচ্চা পার্টি বরের পাশে ঘুরঘুর করতে থাকে, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারে না, টাকা না দিলে জুতো ফেরত দেবে না। অতগুলো করুণ চোখের আর্তি দেখে আবার আমাকে হাল ধরতে হয় "ও নতুন জামাই, তোমার জুতোজোড়া ওরা সরিয়েছে, ফেরত চাও, ফেরত চাও শিগ্গির!"

    নতুন জামাই বলে দেয় "জুতো ফুতো চাই না, খালি পায়ে দিব্যি আছি।" বলে খালি পায়ে তিড়িংবিড়িং করে ঘুরে বেড়াতে থাকে। বাচ্চাপার্টি ভয়ানক ঘাবড়ে যায় এবার কী করা উচিত ভেবে না পেয়ে।

    এমন সময়ে শোনা যায় মেজদার গলা, "তুমি যখন বিয়ে করতে এলে, চটি পরে এসেছিলে নিশ্চয়ই তখন! বেশ লম্বাই মনে হচ্ছিল তখন অত মেয়েদের ভিড়ে। এখন তো মনে হচ্ছে যতটা লম্বা মনে হচ্ছিল তখন, ততটা লম্বা তুমি নও!"

    আমি আমার মাকে খুঁজতে যাই। এখন মা ছাড়া আর কেউ মেজদাকে সামলাতে পারবে না।
  • Ranjan Roy | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:৩৫626803
  • কেয়াবাৎ! কেয়াবাৎ!!
  • 6 | 109.172.117.250 | ২৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:১২626805
  • তুলে দিলাম।
  • হেতমপুর | 215.174.22.27 | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০১:২৩626806
  • name: byaang mail: country:

    IP Address : 132.167.152.115 (*) Date:26 Aug 2015 -- 01:21 AM

    হেতমপুরের রাজবাড়ির কথা নিশ্চয়ই আপনারা সব্বাই জানেন? জানেন না? এমনকি দেখেনও নি? নিশ্চয়ই দেখেছেন। ঐ যে গুপি গাইন বাঘা বাইনের শুরুতে সেই যে রাজামশাই রাজবাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে গুপিকে শুধোবেন, "চেঁচাইছিলি কেনে?" সেটাই তো হেতমপুর রাজবাড়ি। সেই রাজবাড়ির বাগানে জানেন তো অ্যাত্তো অ্যাত্তো মেহেন্দি গাছের ঝাড় ছিল। রাজবাড়ির রথটারও বড় বাহার ছিল। রাজবাড়ির রথটাও আপনারা দেখেছেন, রাজবাড়িটাও আপনারা আরো একবার কালার সিনেমায় দেখেছেন, যদি রাজা সেনের দামু দেখে থাকেন। যাই হোক হেতমপুরের গল্প বলতে গিয়ে সিনেমার গল্প বলা ঠিক না। হেতমপুরেই ফিরে আসা যাক।

    হেতমপুরে তো আর শুধু রাজবাড়ি ছিল না, সেখানে আমার দিদার বাপেরবাড়িও ছিল। আর সেই বাড়িতে ছিল দিদার জাঁদরেল সব কাকারা। যেমনি তাদের হাঁক, তেমনি তাদের ডাক। সে এক আশ্চর্য্য বাড়ি, সেখানে কুলদেবতা লক্ষ্মীজনার্দনও থাকেন, আবার একই ছাদের তলায় বহু প্রজন্মের পোষা বাস্তুভূতও থাকেন। সেই বাস্তুভূতের গল্পও তো একবার আপনাদের বলেছিলাম। যে কথা বলছিলাম, দিদার বাপেরবাড়ির পুরুষদের যেমনি মেজাজের বাহার , তেমনি তাদের মর্জির বাহার। সেই সব মর্জির ঠিকানা পাওয়া ভারি মুশকিল। এক কাকার মনে হল তিনি গজল গানের মানে ঠিকমত হৃদয়্ঙ্গম করতে পারছেন না, তা অমনি তিনি বাড়িতে মৌলবি ডেকে দুবেলা ঊর্দু শিখতে লাগলেন, তো অন্য কাকার মনে হল বিশ্বদরবারে বাউল গানের প্রচার ঠিকমত হচ্ছে না, তো তিনি গাঁয়ের কয়েকজন বাউল নিয়ে দৌড়লেন রাশিয়া। এইরকম সব ব্যাপার স্যাপার।

    এদিকে রাজাদের সঙ্গে দিদার কাকাদের ভারি ঝগড়া, মামলা-মোকদ্দমা ইত্যাদি। এহেন পরিস্থিতিতে দিদার এক কাকা ভোটে দাঁড়ালেন এক পার্টির টিকিটে। রাজবাড়িতে যেই সে খবর পৌঁছল, রাজাও অন্য কোনো পার্টির টিকিটে দিদার কাকার বিপক্ষে ভোটে দাঁড়ালেন। তো এহেন আক্চা-আকচিতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ল প্যালানের মা। সে নির্বিরোধী মানুষ, কারুর সাতে-পাঁচে থাকে না, পাঁচবাড়ির লোকের মন জুগিয়ে চলাই তার কাজ। মশলা বেটে দেওয়া, ঢেঁকিতে পাড় দেওয়া, কাঁসার বাসন সোনার মত ঝকঝকে করা এত সব কাজ থাকতে ভোটের মত ব্যাপারে মাথা ঘামাতে তার দায় পড়েছে। কিন্তু দিদার কাকা তো দিদারই কাকা। ভোটের প্রচারের আলোয় প্যালানের মা-কেও আলোকিত হতে হল। দিদার কাকা করলেন কি, একটা সাদা কাগজে নিজের দলের চিহ্ন, রাজার দলের চিহ্ন, নির্দল প্রার্থীর চিহ্ন ইত্যাদি এঁকে কাগজটিকে একটি ব্যালট পেপারের রূপ দিয়ে প্যালানের মায়ের আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে নিজের চিহ্নটির উপরে টিপছাপ দিয়ে পরের দিন কীভাবে ভোট দিতে হবে তার নেটপ্র্যাকটিস করিয়ে দিলেন প্যালানের মাকে।

    পরের দিন বিকেলবেলায় যখন প্যালানের মা কাঁসার বাসনের ডাঁই নিয়ে কুয়োতলায় বসেছে, দিদার কাকা এসে শুধোলেন, "যে চিহ্নটায় ছাপ দিতে বলেছিলাম সেটাতেই দিয়েছ তো?"
    প্যালানের মা এক গাল হেসে বলল "দিয়েছি গো দিয়েছি। তোমাদের বাড়ির নুন খাই বটে, তোমাকেও আকডুং ছাপ দিলম। রাজাবাবু সবার মালিক, ওনাকেও আকডুং দিলম। তারপর ঐ যে গো গোয়ালপাড়ার অমুকবাবু, বড় ভালো লোক বটে, প্যালানের বাবা রোজ ওনার ঘরে দুধ দেয় কিনা, ওনাকেও আকডুং দিলম। তোমাদের কারুকে দুখ দি নাই গো, সবাইকেই আকডুং আকডুং দিলম।"
  • byaang | 132.167.152.115 | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০১:২৬626807
  • বাবাঃ বাবাঃ ভাটে পোস্ত পড়তে সবুর নাই, দিল এখানে সেঁটে! ওঁত পেতে বসে থাকে বোধ হয়। ঃ(
  • TB | 118.171.130.168 | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:০০626808
  • একবার কি হয়েছিল, এনারা সবাই মিলে একটা নাটক করেছিলেন, সম্ভবত সেটার নাম শিশুপাল বধ। সমস্যা হল, সে খবরের বিস্তারিত সকলে জানে না, তাই আর কেউ কিছু সে নিয়ে বলে না!
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০০:৩৩626809
  • আহা জানবে না ক্যানো? বুকে খুলি আর হাড় উল্কি করা কালোদা তো ঐ নাটকেই শিশুপাল সেজে ফাটিয়ে দিল! নগুচিরাও খোচাদাই বলে এক জাপানী ভদ্রলোক এসেছিলেন নাটক দেখতে, তিনি তো দেখে হুব্বা! বারে বারে খুশি খুশি গলায় কইলেন, ভেলি গুর ভেলি গুর। ন'দিদা তো সঙ্গে সঙ্গে পটোদিদিকে প্রায় ভেলিগুড় আনতে পাঠান পাঠান করছিলেন, কিন্তু তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হলো যে আসলে ওটা ভেরি গুড।
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:১৮626810
  • name: Byaang mail: country:

    IP Address : 132.171.126.227 (*) Date:20 Jan 2016 -- 10:26 PM

    না আমি এখন কীর্ণাহারের মাছচোর ভূতটার গল্প বলব না। পরে কখনও বলব। এখন দুটো ফোন করতে হবে।
  • আলোর পথের সমস্যা থেকে মুক্ত হল | 12.50.97.131 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:০৭626811
  • এদিক টা দেখা হোক।
  • byaang | 132.172.58.70 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:৪১626812
  • উফ তুলবেনই এই টইটা? দিব্যি নেমে গেছিল নীচে, আরেকটু হলেই বেরিয়ে যেত। তা না, আবার তুলে দেওয়া হল। ঃ((

    ঠিকাছে, লিখছি।
  • Du | 81.170.213.17 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০১:৪০626813
  • লিখছেন ব্যাং দেখে এসেছিলাম পড়তে ঃ(
  • byaang | 132.172.58.70 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:০০626814
  • অমাদের কলেজের রঞ্জিতদাকে আমি যখন খুব রাগিয়ে দিতাম, রঞ্জিতদা রেগে গিয়ে বলত "দাদুর বিয়ে দেখিয়ে দেব।" যদিও এটা একটা থ্রেট, কিন্তু আমি এই থ্রেট শুনে ফ্যাক ফ্যাক করে খানিক হেসে নিতাম। কারণ আমি পৃথিবীর সেই বিরলতম মানুষদের একজন, যে নিজের দাদুর বিয়ে দেখেছে।

    আমার সেজোদাদুকে আমি সেজদা বলি। আর এই সেজদার বিয়েতেই তো সেই মাছচোর ভূত দেখা গেছিল। কিন্তু সেজদার বিয়ে অনেক পরের কথা, তার আগে তো সেজদার প্রেমে পড়া এবং প্রথম ডেটে যাওয়া।

    আর আপনারা তো জানেনই সেই সময়কার প্রেমের বৃত্তান্ত! কী আশ্চর্য্যভাবেই না প্রেম হত তখন! একজন ছাদে দাঁড়িয়ে ভেজা চুল শুকাচ্ছে আর আচার পাহারা দিচ্ছে যাতে কাকে মুখ না দেয়, আর আরেকজন রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে কেরোসিন তেল আনতে যাচ্ছে। এমন সময়ে উপর দিকে চোখ পড়ে যাওয়া, চোখে চোখ আটকে যাওয়া এবং প্রেম। অথবা একজন টাইপক্লাস থেকে বেরোচ্ছে, আরেকজন শর্টহ্যান্ড শিখতে ঢুকছে, চোখাচোখি এবং প্রেম। অথবা একজন সন্ধ্যের মুখে দোরগোড়ায় সন্ধ্যে দিচ্ছে, আর আরেকজন কাদামাখা ফুটবল বুকে সাপ্টে ধরে হাফ্প্যান্ট অব্দি কাদা লেপ্টে নিজের বাড়ি ফিরছে, এমত অবস্থায় চার চক্ষুর মিলন এবং প্রেম। প্রেমে পড়তে জানত বটে জেনারেশনটা! রবিবাবু যে কিভাবে এদের মাথা চিবিয়ে খেয়েছিলেন, ভাবা যায় না! এদের প্রেম হতে কথা বলার দরকার হত না, ঘুরতে যাওয়ার দরকার হত না, নিজেদের পছন্দ-অপছন্দগুলো মিলিয়ে দেখার দরকার হত না। শুধুই চোখের মিলন, কিছু চিঠিচাপাটি, কিছু রুমালে বাঁধা জুঁইবকুলের আদানপ্রদান এবং অমোঘ আকর্ষণ, অচ্ছেদ্য বন্ধন ইত্যাদি। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের কথা হল এইসব প্রেমগুলো বিয়ে অব্দি গড়াতও, সেই বিয়ে টিঁকেও যেত, এমনকি বিয়ের পরেও প্রেম টিঁকে যেত এনাদের!

    যাই হোক এইরকমই কোনো এক সময়ে এরকমই কোনো এক অসম্ভব জায়্গায় আমার সেজদা এবং সেজদি একে অপরের দিকে তাকান এবং গল্পের শুরু হয়।

    দেখুন, আমি ওনাদের প্রেমের ডিটেল বেশি কিছু জানি না। বছর কয়েক আগে সেজদা নিজেই আমাকে ওনাদের প্রথম ডেটের গল্প বলেন। শুধু সেটুকুই বলছি। আমাকে বিশেষ প্রশ্ন করবেন না ওনাদের প্রেম নিয়ে।

    (এক্ষুনি পুরো গল্পটা লেখার পরে সেটা উড়ে গেছে, আবার করে টাইপ করছি, তাই প্রশ্ন করে খেই হারিয়ে দেবেন না। আমি ছোটো ছোটো খেপে পোস্ট করছি গল্পটা। নয়তো আবার উড়ে যেতে পারে)
  • byaang | 132.172.58.70 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:৪৭626817
  • সেজদি সেই সময়ে কলেজের ছাত্রী আর সেজদা সবে প্র্যাকটিস শুরু করেছে। একে অপরের প্রতি মুগ্ধ হওয়ার পরে, মুগ্ধই বা বলি কেন, হাবুডুবু প্রেমে পড়ার পরে, চিঠির মাধ্যমে ঠিক হয় ওনারা একদিন দেখা করবেন। প্রথম ডেটের টাইম এবং ভেনুও ঠিক হয়।

    স্থানঃ সেজদির কলেজ
    সময়? রবিবাবুর পাওনাগন্ডা বুঝিয়ে দিয়ে চৈত্রের দুপুর

    সেজদা সেই সময়ে একটি ভারি গর্বের বস্তুর মালিক ছিল। একটি ব্যানলন প্যান্ট। সেই সময়ে সেজদার বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে একমাত্র সেজদার কাছেই একটি ব্যানলন প্যান্ট ছিল। অতএব সেই বিশেষ দিনে সেজদা যে সেই ব্যানলনের প্যান্টটা পরেই যাবে, এতে আর আশ্চর্য্যের কী আছে! যেসব ছোকরা পাঠকপাঠিকা আমার দাদুদিদিমার প্রেমের গল্প পড়তে এসে ভাবছে, ব্যানলন আবার কী অপরূপ বস্তু, তাদের বলি একটু উইকি দেখতে, ban lon দিয়ে সার্চ করতে এবং বিশেষ করে এই লাইনটি মনে রাখতে - "at the time was most commonly used to make sweaters."

    যাই হোক, সেজদা তো একদম সেই আরডির গানের মত এক রোদজ্বলা দুপুরে হাওয়াই শার্ট আর ব্যানলনের প্যান্ট পরে, রিক্শা চড়ে, সেজদির চোখে নিজের সর্বনাশ দেখতে প্রথম ডেটে গেল। কিন্তু সর্বনাশ কি আর শুধু প্রেমিকার চোখেই থাকে? জেনে রাখুন, সর্বনাশের ফাঁদ পাতা এ ভুবনে। সেজদির কলেজের সামনে সেজদা যখন সেই রোদজ্বলা দুপুরে রিকশা থেকে নামে, তখন সেজদার হাতেবাঁধা এইচএমটি ঘড়িটি জানায়, সেজদির আসতে আরো দেড় ঘন্টা দেরি আছে। কিন্তু কিছু তো করার নেই। পকেটেও বেশি কিছু নেই। অতএব রিকশাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে তাকে ছেড়ে দিতেই হয়। কিন্তু দেড় ঘন্টা সময়ও তো বড় কম সময় নয়। অতএব সেজদির কলেজের সামনের রাস্তার এমুড়ো থেকে ও মুড়ো হাঁটাহাঁটি করা ছাড়াও আর কিছু করার নেই।

    সেজদা রাস্তার এমুড়ো থেকে ওমুড়ো হাঁটে, ওমুড়ো থেকে এমুড়ো হাঁটে, থামে, সিগারেট ধরায়, আবার এমুড়ো থেকে ওমুড়ো হাঁটে, সিগারেটে টান দেয়, আবার ওমুড়ো থেকে এমুড়ো। এই লুপ চলতে থাকে। পাঠক, মাথায় রাখুন, ব্যানলন প্যান্ট, রোদজ্বলা দুপুর, যে সে রোদজ্বলা দুপুর নয়, চৈত্রমাসের রোদজ্বলা দুপুর এবং রাঢ়বঙ্গের এক জনপদ। এই লুপে চলতে চলতে খান দুই সিগারেট শেষ করে সেজদার যখন তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ, তারপরেও ত্যাঁদোড় সময় কাটতে চায় না, সেজদার হাতঘড়ি বলে, মোটে আধ ঘন্টা কেটেছে। কিন্তু শুধুই কি সময় ত্যাঁদোড়? প্রকৃতিও তো কিছু কম যায় না, চৈত্রের দুপুরটিকে বিশেষ করে তুলতে খান কয়েক মেঘের আমদানি তো সে ঘটায় না!

    তেষ্টায় যখন সেজদার জিভ আলজিভের সাথে পেঁচিয়ে গলার মধ্যে ঢুকে গেছে, সেই সময় শোনা যায়, "বাবু, সামনের গলিতে এক ডাবওয়ালা বসে, যান একটা কচি ডাব খেয়ে আসুন।" সেই যে রিকশাওয়ালাকে ভাড়া মিটিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, সে কোথাও যায় নি, সামনেই একটা বড়গাছের তলায় রিকশা পার্ক করে, রিক্শার সীট একটু কাত হয়ে খানিক জিরিয়ে নিচ্ছিল। সেজদার হাল দেখে ডাব খাওয়ার সুপরামর্শটা তারই।

    অগত্যা সেজদা ডাবওয়ালার খোঁজে যায়। কচি ডাব খেয়ে তেষ্টা মেটায়। এবং আজকালকার ছেলেপুলেদের ভাষায় "টাইম কিল" করতে আরো তিন তিনটে ডাব খায়। চার চারটে ডাবের খোলার আঘাতে ল অফ ডিমিনিশিং মার্জিনাল ইউটিলিটি কোন দূর মুলুকে উড়ে যায়। অথচ চারটে ডাব খাওয়ার পরেও দেখা যায়, সেজদির আসতে আরো পৌনে ঘন্টা দেরি। বলছিলাম না, সময় বড় ত্যাঁদোড় মাত্রা?
  • byaang | 132.172.58.70 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:১১626818
  • কিন্তু প্রকৃতি? তিনি কি কাউকে ছেড়ে কথা বলার লোক? ত্যাঁদড়ামিতে তিনিও কম যান না। চারটে ডাব খাওয়ার পরে সেজদা রিভাইটালাইজড হয়ে আরেকটু হাঁটাহাঁটি করতে যেই না শুরু করে, অমনি ত্যাঁদোড় প্রকৃতি ডাক দেয়।

    সেজদা হয়তো সেই ডাকে সাড়া দিত, কিন্তু সেজদার সেই মাহেন্দ্রক্ষণে মনে পড়ে যায় সদ্য কলেজে পা রাখা ভাগ্নিটির জ্বালাময়ী বাণী - "কথায় কথায় যেসব লোক প্যান্টের চেন নামিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পড়ে, নেড়ি কুকুরের সাথে তাদের কি কোনো পার্থক্য আছে? সামান্য সহ্যশক্তিও নেই, মানসম্মান জ্ঞানও নেই। জামাকাপড় পরলেই কি আর সভ্য হওয়া যায়?" ইত্যাদি। (আপনারা তো জানেনই সভ্যতা নিয়ে আমার মায়ের ভারি মাথাব্যথা) ঐ সময়ে আমার মায়ের এই সভ্যতার মূল্যায়ন না মনে পড়লেই ভালো ছিল সেজদার, কিন্তু মনে পড়ে যাওয়ার পরে নিজেকে একটু সামলে নিতেই হয়। ফলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া হয় না।

    কিন্তু কমলি প্রকৃতি নেহি ছোড়তি। সে ক্ষণে ক্ষণে ডাক পাঠাতেই থাকে। সেজদা হাঁটার স্পীড বাড়ায়। লাভ হয় না। হাঁটার স্পীড কমায়। লাভ হয় না। প্রকৃতি অবিরাম ডাকতেই থাকে। প্রকৃতির ডাক আর নিজেকে সভ্য প্রমাণ করার তাগিদে জোর দড়ি টানাটানি চলতে থাকে।

    প্রকৃতিই হয়তো জিতে যেত। কারণ সেজদা ঠিক করে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়লে কোথাও না কোথাও একটা বাথরুম ঠিক পাওয়া যাবেই আর হাল্কাও হয়ে নেওয়া যাবে। সেজদা সেইমত কলেজের গেট দিয়ে ঢুকতে যায়। (না পাঠক, অবাক হবেন না। যে সময়ের কথা বলছি, তখন বহিরাগতরা যে কোনো ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়তে পারত বাথরুমের খোঁজে। কেউ আইডিকার্ড দেখতে চাইত না, সিসিটিভি দেখে বহিরাগত বলে চিহ্নিতও করত না)

    কিন্তু সেজদা কলেজে ঢুকতে চাইলে কী হবে? শুধুই কি সময় আর প্রকৃতি ত্যাঁদোড়? সেজদার ত্যাঁদোড় ভাগ্য? সেজদা তাকে কোথায় ছুঁড়ে ফেলবে? সেজদা যখন বাথরুমের খোঁজে কলেজে ঢুকছে, সেই মুহুর্তেই মুখে লাজুক হাসি নিয়ে ধানিরঙের শাড়ি পরে নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছু আগেই সেজদিও উপস্থিত হয় কলেজ গেটে।
  • byaang | 132.172.58.70 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৪৬626819
  • "কতক্ষণ এসেছেন?" , "কেমন আছেন?" , "হেঁটে খোয়াই যাবেন?" সেজদির সব কটি প্রেমসম্ভাষণের উত্তরে, সেজদার মুখ দিয়ে "হুঁ হুঁ" ছাড়া আর কিছুই বার হয় না।

    সেজদি খুবই অবাক হয় সেজদার এমত আচরণে। কাছেই নিরিবিলি একটি গাছতলায় বসে দুজনে। সেজদি অপেক্ষা করে, সেজদা কিছু বলবে। সেজদা কিচ্ছুটি না বলে, আড়ষ্ট হয়ে বসে থাকে। সেজদি আর কিচ্ছুটি বলার মত খুঁজে না পেয়ে, গুন গুন করে গান ধরে - এমনি করেই যায় যদি দিন যাক না।
    সেজদা দাঁতে দাঁত চেপে গান শেষ হওয়া অব্দি অপেক্ষা করে। গান শেষ হলে বলে "আজ উঠি।"
    সেজদি সলজ্জ অনুরোধ জানায় ভাববাচ্যে "আরেকটু বসে তারপর গেলে হয় না?"
    সেজদা দাঁতে দাঁত ঘষে বলে "আরেকদিন বসা যাবে।" বলেই উঠে দাঁড়ায়, সেজদির দিকে একবারও না তাকিয়ে ব্যানলনের প্যান্টের সম্মানরক্ষার তাগিদে হন হন করে হাঁটা দেয়। সেজদি বিস্ময়াহত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সেজদা রাস্তায় দেখে তখনও সেই রিকশাওয়ালা রিকশা নিয়ে বসে আছে। রিকশায় চড়ে বলে "তাড়াতাড়ি"। সেদিন সেজদার প্রেমিকা সেজদার মন পড়তে না পারুক, রিকশাওয়ালা পেরেছিল। সে প্রাণপণ প্যাডেল চালিয়ে একটি ঝোপঝাড়সমৃদ্ধ জায়গায় নিয়ে আসে সেজদাকে , কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। রিকশাওয়ালার কল্যাণেই সেদিন ব্যানলন প্যান্ট বেঁচে যায়।

    সেজদা আমাকে যখন এই গল্পটা বলেছিল, তখন বলেছিল যে সেদিন সেজদি আরেকটু বসার অনুরোধ করায় সেজদার প্রচন্ড আতঙ্ক হয়েছিল সেজদি যদি তখন "সে যে মানে না মানা" গাইতে শুরু করে, তাহলে কি আর সামলানো যাবে ভেবে।

    প্রেম সেযাত্রায় টিঁকে যায়। জেনারেশনটাই যে অন্যরকম ছিল। তবে এরপর থেকে সেজদাকে কেউ ডাবের জল খেতে বললেই সেজদা খুব রেগে যায়। এমনকি চরণামৃত খেতে বললেও।
  • byaang | 132.172.58.70 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৪৯626820
  • ঘুমোতে গেলাম। আপাতত কদিন যেন আর এই টইটাকে কারেন্ট টইয়ের লিস্টিতে না দেখি। টইটাকেও ঘুমোতে দিন। আর আমাকেও।
  • Abhyu | 107.81.98.246 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০৫:৫৪626821
  • খুবই ভালো গল্প। কিন্তু মাছচোর ভূতটার গল্প বলবে না?
  • 4z | 79.157.32.154 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০৬:৩৯626822
  • এই টইটাকে যেন কোনভাবেই ডুবতে না দেওয়া হয়।
  • Bratin | 121.92.58.36 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০৬:৫৯626823
  • ফোর জি, কথা আছে পিং করবো। ঃ)
  • 4z | 79.157.32.154 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ০৭:৫৯626824
  • এনিটাইম ব্রতীনদা।
  • ranjan roy | 24.99.65.144 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:৫৭626825
  • ব্যাং,
    চোদ্দঘন্টা হয়ে গেছে। এখন একটু ভূতচোর মাছের গল্প?
  • i | 134.168.158.206 | ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:২১626826
  • অনবদ্য। এত সরস, এত স্বতঃস্ফূর্ত লেখা খুব কম পড়া যায়।
  • তা বলে | 86.68.58.148 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৮:৫৬626828
  • এটাকে তো ডুবতে দেওয়া যায় না
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন