এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেদ-উপনিষদ এবং ইত্যাদি

    Somnath
    অন্যান্য | ২৯ জুন ২০০৬ | ১৩৬৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 61.95.167.91 | ৩০ জুন ২০০৬ ১৬:৩৬634873
  • এই আলোচনা মিনিটে মিনিটে বেশ ইন্টারেস্টিং হয়ে উঠেছে। তা কিন্তু বেদ-উপনিষদের জন্য নয়। এই যে বিভিন্ন পাঠক একটি খটোমটো টেক্সটকে কি ভাবে পড়ার চেষ্টা করছেন- সেই পুরো প্রক্রিয়াটার জন্য। যেহেতু এক, ভাষাটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশ ধোঁয়াশা এবং দুই, ভারতীয় লেখালেখিতে চিরকাল প্রচুর অলঙ্কার-উপমা-রূপক ঢোকানো হয়ে থাকে, কাজেই আমরা এই টেক্সটের বিভিন্ন মাত্রা খুঁজে পাচ্ছি। অর্থাৎ, ঘোড়াকে আকাশ বানিয়ে পুরো টেক্সটার অন্য তাৎপর্য পেয়ে পাঠক হিসেবে খুশি হয়ে উঠছি। বিশেষ্যের আরও অন্যান্য কাটাছেঁড়ার মধ্যে দিয়ে হয় তো আরও অর্থ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এইটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে এই নতুন করে পড়ার পিছনে পাঠক হিসেবে আমাদের কোনো পূর্বধারণা কাজ করছে না। দুইটি পূর্বধারণা খুব পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে। এক, ভারতীয় সাহিত্যে রূপকের ব্যবহার যেহেতু স্বত:সিদ্ধ কাজেই ধরে নিচ্ছি এইখানে যা যা বলা হয়েছে তার গভীরে অন্য কোনো মানে লুকিয়ে আছে। দুই, যেহেতু আমরা প্রাচীন ভারতের জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা নিয়ে পরিচিত এবং গর্বিত, কাজেই ঘোড়ার জায়গায় আকাশ বসালে যে মানেটা খুঁজে পাচ্ছি, তা আমাদের চমৎকৃত করলেও আমাদের যুক্তির কাঠামো ধাক্কা খাচ্ছে না, কারণ এই মানেটা ঐতিহাসিকভাবে ন্যায্য হতেই পারে। কিন্তু যতক্ষণ এই টেক্সটা সাহিত্য হিসেবে দেখছি, ততক্ষণ এই নতুন নতুন করে পড়ার ব্যাপারটা যৌক্তিক এবং প্রার্থিত।

    কিন্তু ইতিহাসের টেক্সট হিসেবে যদি পড়ি তাহলে হয়তো ব্যাপারটা এইরকম নাও হতে পারে। একদল দাড়িওয়ালা ঋষিমুনি পাতার পর পাতা সপর্নো পূজাপদ্ধতি লিখে গেছেন ভাবতে আমাদের হয় তো মনে সায় দেয় না। (যদিও, আধুনিক ইউরোপে পর্নোগ্রাফি বলে সাহিত্যের আলাদা একটা ধারা তৈরি হয়েছিল। তার আগে পর্নোগ্রাফি বলে আলাদা কিছু লেখা হত না।) কিন্তু ইতিহাসের দিক থেকে দেখলে এটা হয়তো নিছকই অশ্বমেধ যজ্ঞের ইউজার ম্যানুয়াল, যার আশ্চর্য সাহিত্যমূল্য আছে। এইজাতীয় টেক্সটের খাঁজেখোঁজে ভারতীয় চিন্তাধারার গৌরব খোঁজাখুঁজির একটা প্র্যাকটিকাল বিপদ আছে। সমস্ত ঐতিহাসিক টেক্সটের গূঢ়ার্থ খোঁজা ইতিহাসের গৈরিকীকরণের ব্যাপারকে অনেক সময়ই উৎসাহিত করে। ইতিহাসের দিক থেকে আরও একটা খটকা লাগছে। এই শুক্লযজুর্বেদ কি মহাভারতের পরে লেখা?
  • vikram | 134.226.1.136 | ৩০ জুন ২০০৬ ১৭:০১634874
  • রঙ্গন বাজে টাইপ করায়। ওর এই মালটাই মোটামুটি লিকে দেখি টাইপ করে দেছে! ধুশ!

    বিক্রম
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ২০:১৯634875
  • শমীক,
    কদবেল,কদবেল তাহলে কি?
    আরে কপিত্থ মানে কদবেল জানতাম তো!!!!
    নারকেল তো নারিকেল!
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ২০:৩৩634876
  • এ কিরকম প্যারাডক্সিকাল গদ্য লিখছো রঙ্গন?
    লিখেছ,"ঐতিহাসিকভাবে ন্যায্য হতেই পারে",তারপরে এক লাইন পরে,"কিন্তু ইতিহাসের টেক্সট হিসাবে যদি পড়ি,তাহলে ব্যাপারটা এইরকম নাও হতে পারে।"
    এ কি কান্ড চতুর্দন্ড?
    যাহা ঐতিহাসিক তাহা ঐতিহাসিক নহে?
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ২০:৩৮634877
  • ভালো কথা,"ইতিহাস" কথাটা এলো কোত্থেকে কেউ জানেন?
    কে আমায় যেন বলেছিলো, বিশ্লেষণ করলে নাকি"এই গাছে ভুত আছে" এরকম একটা মানে দাঁড়ায়।:-)))
    উদাহরণ কথাটাই বা এলো কোথা থেকে?
    একজনে আরো গুলিয়ে দিয়েছিলো, বলেছিলো ইংরেজী এক্‌জাম্পল কথাটার মানে নাকি ইতিহাস!!!!
    একেবারে ঘুলিয়ে ঘেঁটে দই হয়ে গেছি, আপনারা ভালো করে জটগুলো ছাড়ান দয়া করে।
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ২১:১৪634878
  • দ্রি দ্রি,বত্রিশ থেকে চল্লিশ/একচল্লিশে সূচ দিয়ে সেলাই করার কথা কইছে,সীমারেখা টেখা ইত্যাদি নির্দেশ করার জন্য।
    আমি এই লিংকটা পেলাম,তাও এটাতেও এক একটা কন্সটেলেশনের চারপাশ ঘিরে সীমারেখাটা দেখায় নি,তবে আসলে গোটা ৮৮ টাই সামীরেখা দিয়ে মোড়া,এতটুকু কোণও ফেলে রাখা নেই, গোটাটাই কোঅর্ডিনেট সীস্টেমে ফেলা। এগুলো ঠিকানা।এইটা ঠিকঠাক হয়েছে খুবই আধুনিককালে।তবে ধারনাটা এরা গ্রীকদের থেকে নিয়েছে বলে স্বীকার করছে।
    পরে বাকী কথা ।
    http://www.physics.hku.hk/~nature/CD/regular_e/lectures/chap03.html
  • Samik | 221.134.238.160 | ৩০ জুন ২০০৬ ২১:২১634879
  • ট্যান,

    কদবেল কিনা জানি না, তবে কপিত্থ মানে নারকেল বোঝায় সেটা আমি জানি, অনেকবার শব্দজব্দ সলভ করতে কাজে লেগেছে।

    গজভুক্ত কপিত্থ বলে একটা ফ্রেজ আছে শুনেছো হয় তো। সঠিক জানি না, হাতি নাকি নারকেল এমনভাবে খায়, তারপর হাতি হাগু করলে সেখান থেকে নারকোলের খোলাটা ইনট্যাক্ট অবস্থায় পাওয়া যায়, সেটা ফাটালে দেখা যাবে তাতে একটুও শাঁস নেই, কোনও এক অদ্ভুৎ উপায়ে নারকোলের খোলা না ফাটিয়েই হাতি তার শাঁস হজম করে খোলাটা বর্জ্য হিসেবে বের করে দেয়। একেই বলে গজভুক্ত কপিত্থ!

    সরি, এটা বেদের সাথে যুক্ত নয়, নেহাৎ আলোচনার জন্যে বললাম।
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ২১:২৯634880
  • আজ্ঞে শুনেছি।তবে রাজশেখর বসুর লেখায় পড়েছি,গজভুক্ত কপিত্থ মানে হাতীতে খাওয়া নারকেল মোটেই না,কারণ হাতী কখনোই ঐভাবে নারকেল খায় না ও বর্জন করে না। বস্তুত হাতী নারকেলই খায় না।
    গজ একরকম পোকা,যেগুলো কদবেলের ভেতর থেকে খেয়ে ফোঁপড়া করে দেয়।তাই পোকায় খাওয়া কদবেলকেই বলে গজভুক্ত কপিত্থ।

  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ২১:৩১634881
  • শব্দজব্দওলারা গুল মেরেছিলো শমীক!

  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ২১:৩৩634883
  • আর কোনোভাবেই নারকেলের খোসা অপরিবর্তিত রেখে ভেতরের শাঁস হজম হয়ে যেতে পারে না,কোনো প্রানীর পরিপাকতন্ত্রেই নয়।
    হি হি হি হি হি।
  • dri | 199.106.103.254 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০০:৫৮634884
  • কতগুলো কথা একটু তাড়াহুড়োয় টাইপ করে দি।

    হাতি নারকোল খায়। আমি নিজের চোখে দেখেছি। শুঁড়ে নিয়ে পেটে চালান করে দেয়। তবে হাগু করা অব্দি অপেক্ষা করি নি। কিন্তু কপিত্থ কদবেলই। গজভুক্ত কপিত্থ হাতির খাওয়া কদবেল। হাতি এক আশ্চর্য্য কায়দায় কদবেল না ফাটিয়ে শুষে কদবেল খেয়ে ফেলে। আমার মা এই গল্পটা করত।

    ট্যান, আপনার দেওয়া লিংক এখনও পড়া হয় নি।

    র, ইনফ্যাক্ট যেকোন পড়ার প্রচেষ্টাই তাই। পাঠক যা মানে করতে চান অনেক ক্ষেত্রেই তাই করেন। তবে একটা কথা স্পষ্ট করে বলি। আমি অন্তত যেটুকু পড়েছি (প্রথম ১২ শ্লোকে) তাতে প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিদ্যার কোন নিদর্শন খুঁজে পাইনি। সূর্য্য চন্দ্র বার বার ওঠে এইটুকু বলাতে এই প্রমাণ হয় না যে বৈদিক মানুষেরা আজকের সোলার সিসটেমের মডেল জানতেন। পৃথিবী সুর্যের চারদিকে ঘুরছে না উল্টোটা সেই বোধের কোন ইঙ্গিতও পাই নি। ব্যাপারটা নেহাত সোজা নয় কিন্তু। আমায় যদি কেউ কোনদিনও না বলে দিত পৃথিবী সুর্য্যকে পাক খাচ্ছে, আমি বুঝতেই পারতাম না ব্যাপারটা সারা জীবন। আমার মনে হয়েছে বৈদিক মানুষেরা যা দেখেছেন তার মধ্যে যেগুলো সিগনিফিক্যান্ট মনে হয়েছে সেগুলো লিখেছেন। যেকোন প্রাণী যদি সে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকে (রোজ আউটডোরে বেরোয়, বা ধরুন গাছতলায় শোয়, আমাদের মতন সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে না) সূর্য্য চন্দ্রের ওঠা অস্ত যাওয়া তাকে স্ট্রাইক করবেই। এখন থেকে বছর দশেক আগে ভারতে একবার সূর্য্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। তখন আমি দিল্লিতে থাকতাম। ওখানে ৯৫% গ্রহণ ছিল। আমি রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলাম দেখব বলে। রাস্তার একটা কুকুরও অবাক হয়ে দেখছিল সূর্য্যের গ্রহণ। সূর্য্য, মেঘ, বৃষ্টি, আগুন এগুলো যে তাদের জীবনে সিগনিফিক্যান্ট জিনিষ সেটা বোঝার জন্য বৈদিক মানুষদের অ্যাস্ট্রোনমার হবার দরকার থাকার কথা নয়। তাই মনে হয়েছে যারা লিখছেন তারা যা দেখছেন অনুভব করছেন সেটা লিখে রাখার চান্সই বেশী। ঘোড়ার সাথে সঙ্গমের মত একটা আনরিয়েলিস্টিক বিষয় নিয়ে লেখার সম্ভাবনা কম। তবে অশ্ব যে মেঘ এই আইডিয়াকে আমি এখনও বিয়ে করে ফেলিনি, এর প্রেমে পড়েছি মাত্র। আপনার যদি কোন ইনটারেস্টিং ইনটারপ্রিটেশন থাকে তবে সেটা বলুন না।

    আর এই গৈরিকিকরণের ব্যাপারে আমার ভিন্ন মত আছে। আমি একটা জেনেরাল টেনডেন্সি দেখেছি যারা গৈরিক তারা বেদ ঘাঁটেন, আর যারা নন তারা অ্যাভয়েড করেন। এতে করে গৈরিকেরা বেদের এমন সব ইনটারপ্রিটেশন দিয়ে বেরিয়ে যান যেটা ভেরিফাই করা বা অন্য ব্যাখ্যা বার করা অগৈরিকদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। স্যাফ্রন ফিলটার দিয়েই বেদকে দেখতে হবে এমন কথা নেই। এবং সেটা হতে গেলে লালেদেরও বেদ পড়তে হবে আলোচনা করতে হবে। আমার আটকে যায় ভাষায়। সংস্কৃতটা একদম বুঝতে পারিনা। বাংলার অতি তৎসম টীকাতেও আমার অসুবিধা হয়। এই রকম ফোরামে আমার সুবিধে হয়, অনেকের হেল্প পাওয়া যায়।
  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০০:৫৯634885
  • দ্রি,আজকে বেদপাঠ করছেন না?

  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০১:০৯634886
  • আছোলা না ছোলা? মানে নারকেলটা ছোলা ছিলো না ছোবড়াসহ? পুরোটা নিয়ে গিলে ফেললো? পোষা হাতী?:-)))
    কদবেল আমি কখনো খাই নি,কেমন জিনিস সে? মানে দেখতে কেমন, খেতে কেমন?
    লেবু জাতীয় হলে শুষে খাওয়া সম্ভব,কিন্তু তাছাড়া অন্যরকম হলে কি তাসম্ভব?
    আমার বরং পোকায় খাওয়া ফোঁপড়াটাই বেশী যুক্তিযুক্ত লাগছে!
    ১৯৯৫ এর ২৪ শে অক্টোবরের ঐ পূর্ণ সুর্যগ্রহণ(হাওরার কাছে বাগনান উলুবেরিয়া কুলগাছিয়া এওসব জায়্‌গা থেকে পুরোটা ঢেকে যাওয়া দেখা গেছিলো)জীবনের একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা,মৃত্যু পর্যন্ত সমান স্পস্ত স্মৃতি থাকবে। অসাধারণ।
    প্রথমে যখন দেখিনি,তখন অন্যরা যারা ৮০ সালের কোনারক থেকে দেখার অভিজ্ঞতার কথা বলে বলছিলেন সারাজীবন মনে থাকবে,তখন অতটা বুঝতে পারিনি যে সত্যিকার অভিজ্ঞতা কি সাংঘাতিক এক মহাজাগতিক অনুভব!!!!
  • dri | 199.106.103.254 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০১:১২634887
  • করব, একটু বেলায়। এখন কিছু ম্লেচ্ছ ডকুমেন্ট পাঠ করতে হচ্ছে।
  • tania | 151.151.73.163 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০১:১৫634888
  • কদবেল খাওনি? ইশ! খুব মিস করেছ! সরষের তেল আর কাঁচালংকা দিয়ে মেখে খেতে অসা লাগে!

    এমনি দেখতে বেলের মত, সাইজে একটু ছোট বেলের থেকে।
  • dri | 199.106.103.254 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০১:২০634889
  • না না পুরো বাইরের শক্ত খোলস শুদ্ধু নারকোল।

    কদবেল মোটামুটি বেলেরই মত। আকারে ছোট। বাইরে শক্ত (বেলের চেয়ে একটু নরম আর বেদানার চেয়ে একটু শক্ত) খোলা আর ভেতরে বেলের মত স্টিকি শাঁস। ঐ শক্ত খোলার মধ্যে কতগুলো নরম স্পট থাকে। হাতির স্ট্রং সাকশানে ঐ নরম জায়গাগুলো ফুটো হয়ে শাঁস বেরিয়ে আসে। খোলা পড়ে থাকে।
  • dri | 199.106.103.254 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০১:২১634890
  • আর হ্যাঁ, তানিয়া যা বলেছে। কদবেল খেতে বেলের চেয়ে অনে-এ-এ-এ-ক ভালো।
  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০১:২৭634891
  • সর্ষের তেল আর কাঁচালংকা দিয়ে কিকরে মাখে কদবেলের ভেতরের ঐ বেলের মতন ব্যাপারটা?
    এমনি বেল তো কেউ এসব দিয়ে মাখে না?
    তবে হাফ এ বেল বা কদ বেল ইজ বেটার দ্যান নো বেল--এ আমি মানি।:-)))

    এক বাঙালী রূপকথায় ছিলো খুব হিংসুটী রানী সৎ ছেলেমেয়ের স্বাস্থোন্নতিতে অখুশী হয়ে দেখতে যান এরা সারাদিন জঙ্গলে ফঙ্গলে ঘুরে কি খায়? দেখেন এরা কদবেল খায় আর সে কদবেল নাকি ছিলো অমৃতহেন।উনি খুব রেগে নাক ঝেড়ে দিয়ে এলেন আর তারপর থেকেই নাকি ও জিনিস বাজে হয়ে গেলো!
    কি গল্প রে বাবা!
    ঐ শুনেই কোনোদিন আর আমি কদবেল পাবার চেষ্টা করি নি। এখন দেখছি গল্পটা গুল্প ছিলো!!!:-)))
  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০২:৫২634892
  • দ্রি,অতিবেগুনী ফিল্টারে দিলেই বা ক্ষতি কি?বা অবলোহিত?:-)))
    আসলে নানা রকম মানসিক বাধা অনেকসময় আমাদের স্পস্ট প্রতীয়মান জিনিসকেও দেখতে দেয় না।
    রূপক, সিম্বলিজম, ভাবলেখ--প্রায় সব কালচারেই রয়েছে,শুধু ভারতীয় নয়।
    গ্রীকরা অত বিজ্ঞান জানতো তত বিজ্ঞান জানতো বলে যখন সাহেবেরা বলে,আমরা সোনামুখ করে মেনে নিই,রোমান আমলের প্রযুক্তি খুঁজে বার করে দেখায়,আমরা দেখি মুগ্‌ধ হই,অথচ যেই না প্রাচীন বৈদিক আমলের ওরকম কিছু ইসু এসে পড়ে, তক্ষুণি গাঁজা গুল আষাঢ়ে গপ্পো বলে উড়িয়ে দিই।
    সেলুকাস হাসেন।:-)))

  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০৩:২৪634894
  • দ্রি, এই দেখুন আমরা ফোর্সের ইউনিট নিউটন,এনার্জীর ইউনিট জুল,পাওয়ারের ইউনিট ওয়াট কত সহজে মেনে নিই,কিন্তু এখন যদি কেউ বলতে যায় সময়ের ইউনিট নিমেষ নেওয়া হয়েছিলো নিমি র সম্মানার্থে, লোকে রে রে করে তেড়ে উঠে বলবে ব্যাটা গাঁজা খায়,ব্যাটার মাল খেয়ে নেশা হয়েছিলো,হিরিং বিড়িং বকছে!!!!:-)))

  • dri | 199.106.103.254 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০৩:৩১634895
  • ওটাই তো পাওয়ারের খেলা ট্যান। যেদিন নিমির লোকেরা বিজ্ঞানের শো-টা কন্ডাক্ট করবে সেদিন নিমির নামেই সব কিছু হবে।

    না: এবার একটু বেদ পাঠ করি।
  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০৩:৩৫634896
  • তাপ্পরে ধরুন না কেন এই দিন মাস বৎসর,এই কোন্‌ মাসের নাম কি হবে,সেটা চান্দ্রপথের নক্ষত্রগুলো দিয়ে ঠিক করা হয়েছিলো,বিশাখা বৈশাখের জন্য,জ্যেষ্ঠা জৈষ্ঠের জন্য... যেখানে যেখানে এসে পূর্ণিমা শেষ হচ্ছে,সেই হিসাবে।
    তো এসব তো কিছুটা জানকারি দাবী করেই।কিন্তু লোকে ক্ষেপে যাবে।
    আর আকাশ কম ইম্পো ছিলো না কিন্তু! ঘড়ি ক্যালেন্ডার নেভিগেশানের উপায়-সবই ছিলো আকাশ। আজ আমাদের কাছে এসব ইন্সিগ্নি হয়ে গেছে,কারণ টেকনোলজি বদলে গেছে,কিন্তু ওদের কাছে এসবের সিগনিফিক্যান্স অন্যরকম ছিলো।
    আর ঐ কল্পভাগ,অত বিশাল সময়ের চাকলাকে আলাদা করবে কিকরে? তারও উপায় পাওয়া গেছিলো,প্রচেতা নক্ষত্রধারা,এরা ধ্রুবতারার স্থান নিতে থাকে একে একে।পৃথিবীর প্রেসেশনের জন্য এটা হয়,পুরোটা ঘুরতে ২৬০০০ বছর,বৃহৎ কাল মাপার ঐ এক উপায়।এখন এসব জিনিস খুঁজলে পাওয়া যায়,কিন্তু অ্যাক্সেপ্ট্যান্স অসম্ভব। কেউ পাত্তা দেবে না,অন্তত বর্তমান সামাজিক রাজনৈতিক অবস্থায়।

  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০৩:৪৩634897
  • এই যে দেখুন হর্স পাওয়ার,দিব্যি সিরিয়াস ডাইহার্ড টেকনিকাল লোকেরা ব্যবহার করতো,কোনো অসুবিধে হয় নি,হর্স আছে বলে সেটা কবিতা টবিতা বলে ভুল করে নি কেউ।
    কিন্তু পুবের দিকে আসুন,দেখবেন সব কবিতা!সেলুকাসেরা হাসছেন দেখেটেখে!!
    কই আমরাতো ওদের মুখের উপরে হেসে কইতে পারিনে,কিরে হর্সকে পাওয়ারে পরিণত করে তোরা বুঝি হর্স পাওয়ার পাস?
    পাওয়ারের খেলা এমনই জিনিস দ্রি, সিরিয়াস হয়ে যেতে বাধ্য করে।

  • dri | 199.106.103.254 | ০১ জুলাই ২০০৬ ০৪:৩৯634898
  • প্রথম দিকটায় অশ্বের মানে ঘোড়া ধরলেই চলছে। কিন্তু ১৫ থেকে ঘোড়ার মানেটা ঘেঁটে যাচ্ছে। ১২ তে অশ্ব চারপায়ে আসছে, ১৪ তে গিয়ে আমরা জলজাত অশ্ব পাচ্ছি, আবার ১৫ তে অশ্ব নাকি মরে না বিনষ্ট হয় না। ব্যাপারটা একটু অশ্বাভাবিক। সুক্লত কি ব্যাপার? আর ১৬ টা? সব্বাই পশু ছিল? আর এত জয় করার কথা উঠছে কেন? তবে কি অশ্বমেধ যজ্ঞ ...? প্রাণবায়ু, অপান বায়ু আর ব্যান বায়ু কি? আর এই অম্বা, অম্বিকা, অম্বালিকা কারা, আকাশ? তারপর ১৯ ২০ তো সো-কল্‌ড পর্নো। না:, আমি বেশ ঘেঁটে গেলাম।
  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ১৯:০৬634899
  • মনে রাখবেন দ্রি,এসব সান্ধ্যসূত্র,মানে করতে গেলে এদিক ওদিক সেদিক দেখে কিছু কেটে কিছু জুড়ে তবে বের করতে হয়।
    এই যেমন "বক কহেন,চার ই বেচেন কেনেন," যখন এর জবাব বার করেন,তখন কি একটু ঘনিয়ে ভেবে বার করেন না?
    ওরা ক্রিপটিক শব্দজব্দ জানতো না, এটা ধরে নিচ্ছেন কেন?

  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুলাই ২০০৬ ২১:২৬634900
  • দ্রি,
    অনুবাদে যেটা চার পা হয়েছে সেটা হয়তো আসলে চারি পাদ বলতে চাইছে।এক পাদ মানে এক চতুর্থাংশ,এক কোয়ার্টার।বেদে উপনিষদে এমনকি পুরানেও এক একপাদ দ্বিপাদ ত্রিপাদ ভূমির কথা বলা হয়েছে।
    ত্রিপাদ মানে ৩/৪ অংশ।
    তাহলে কার্টেশিয়ান কোঅর্ডিনেট মনে করুন,চারিপাদ,ফার্স্ট কোয়ার্টার(++),সেকেন্ড কোয়ার্টার(-+),থার্ড কোয়ার্টার(--)আর শেষে ফোর্থ কোয়ার্টার(+-),পুরো ৩৬০ ডিগ্রী ঘোরা হয়ে গেলো,সারফেসকে পুরো ডেস্ক্রাইব করতে কার্টেশিয়ানে ও চারটে কোয়ার্টার লাগে।
    ভেবে দেখুন,বাই চান্স যদি ওরা এই জ্যামিতি জানতো,এইভাবেই করার চেষ্টা করতো কিনা! হয়তো জানতো,খোদায় মালুম।
    সুক্লত হয়তো টাইপো,সুকৃত বলতে চাইছে।
    আর জয় করার আরেক মানে হতে পারে জানা,কারণ আজকালের জ্ঞানীগুণীরাও,বিশেষ করে পশ্চিমীরা দিব্যি বলেন,জানতে পারাও একভাবে না একভাবে জয় করা! হয়তো আমাদের প্রাচীন ওনারা ও এইটা মানতেন।
    এই কোয়ার্টার দিয়ে যদি উনিশ বিষকে দেখেন,পর্ণো মনে হচ্ছে কি?

  • Samik | 221.134.239.57 | ০১ জুলাই ২০০৬ ২৩:৫৫634901
  • অম্বা অম্বিকা অম্বালিকা তো মহাভারতের চরিত্র, তিন বোন। এঁরা তিনজনেই দেবব্রতকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাতেই ফ্রাস্টু খেয়ে পরে ভীষণ প্রতিজ্ঞা করে দেবুবাবু ভীষ্ম বনে যান। কিন্তু সে তো অনেক পরের দিকের লেখা। বেদে এদের কথা কী করে এল?

    সোমনাথ, বেদের কোনও ওয়েবসাইট আছে কি? মানে, অনলাইন বেদ পড়তে পাওয়া যায়?
  • tan | 131.95.121.251 | ০২ জুলাই ২০০৬ ০০:৩৬634902
  • কিন্তু আমি অন্য গল্প শুনেছিলাম। শুনেছিলাম যে দেবব্রত ওর বাবা শান্ত্বনুর দ্বিতীয় বিবাহের(সত্যবতীকে)সময় প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি নিজে বিয়ে টিয়ে করবেন না।তখনি নাম হয় ভীষ্ম!
    অম্বা ফম্বা তো তার বহু পরের কথা!!!!
  • dri | 66.81.198.190 | ০২ জুলাই ২০০৬ ০১:৩২634903
  • আই মিন ঐ অম্বা অম্বিকার কথা বলা হয়েছে? কেন এই শব্দগুলোর মানে কি আদারওয়াইজ?
  • tan | 131.95.121.251 | ০২ জুলাই ২০০৬ ০২:২৯634905
  • এমনিতে অম্বা আর অম্বিকা মানে মা। জগদম্বা বা জগদম্বিকা জগতের মা দুর্গাকে বলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন