এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেদ-উপনিষদ এবং ইত্যাদি

    Somnath
    অন্যান্য | ২৯ জুন ২০০৬ | ১৩৪২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 202.122.18.241 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২১:০৪634906
  • না, আমি সাবধানে সাঁতার কাটবো না এই বেদ সমুদ্রে। ভক্তিরসে থিকথিক ধুপ ধুনো জ্বালবো না। বয়ে গেছে।

    আমার বিশ্বাস পুরো বেদটাই এক কবিতা সংগ্রহ। নিভিন্ন কবিদের। এর বেশী কিছু নয়। বেশীর ভাগটাই (exact statistics সুকুমারী ভট্ট কয়েছেন) । শুধু দেও দেও। ধন দেও, মান দেও। শত্রুকে বিনাশ করো। বিরক্তিকর। অথর্ববেদে রয়েছে তুক তাক। এমনকি টাকে নতুন চুল গজাবার মন্ত্র। বাড়ীতে যাতে প্যাঁচা না আসে তার মন্ত্র। নিশীথ রাতে রমনে বাধা না আসে , তার জন্য (অন্য সকলের জন্য) ঘুমপাড়ানি মন্ত্র।

    বেদের ঋষি তো দুরের কথা, আজকের দিনেও হিন্দু জ্যোতিষ বিদ্যা হচ্ছে জিওসেϾট্রক। পৃথিবী স্থির - তার চাদ্দিকে বন বন কচ্ছে (মতান্তরে বাঁই বাঁই) গ্রহ সকল, চন্দ্রে সুয্যি,রাহু, কেতু - ইস্তক সকলে। এর আগে পড়েছিলাম কোরানেও সব আছে - ফিশন,ফিউশন রকম একটা প্রমান করবার অদ্ভুত হাস্যকর প্রচেষ্টা। এক বাংলাদেশী পত্রিকায়।

    একই অবস্থা হেথায়।

    ঘোড়া=ঘোড়া। চাঁদ = চাঁদ। অবিমৃষ্যকারিতা = অবিমৃষ্যকারিতা। এসবের কুঁথে কুঁথে আধ্যাত্মিক/ এস্ট্রলজিক্যাল ব্যাখ্যা - আমি হজম করতে পারি না।

  • dd | 202.122.18.241 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২১:২০634907
  • বেশ। দুয়ের ঘরের নামতার আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা শুনুন। একটাই অনুরোধ, ভক্তিভরে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে পড়বেন। কাঁঠাল খাবেন না।

    দুয়েক্কে দুই। পরা ও প্রকৃতি - এই দুয়ে মিলে এক। সেই এক অক্ষর পুরুষই আবার আকাশ ও পৃথিবী। বুঝলেন ?

    দুই দুগুনে চার। ব্রহ্ম ও ভক্ত দ্বিগুনিত হলো- জন্ম নিলো চতুর্বেদ। হ্যাঁ।

    তিন দুকুনে ছয়। ত্রিকাল আবৃত হলো স্থিতি ও লয়ে। ষড়রিপুর এটাই এটাইমলজিক্যাল অবস্থান।

    চার দুকুনে আট। আট ? এটা একটু ঘেঁটে গেছি।

    পাঁচ দুকুনে দশ। পাঁচ প্রপঞ্চয় দশ দিক সম্পৃক্ত। এটা ইজী ছিলো।

    ছয় দুকুনে বারো। দুটো হাফ ইয়ারলী মিলে একটা অ্যানুয়াল। রেজাল্ট তখন বেরোবে।

    সাত দুকুনে চোদ্দো। হাতে রইলো পেন্সিল।

    আট দুকুনে ষোলো। আবার আট? দেখি চেষ্টা করে। অষ্টপাদ মহানামে তন্মাত্র দ্যাবা পৃথিবী। অব্যয়ে প্রকাশিত মহামায়ার ষোরোশ রূপ। জমেছে !

    নয় দুকুনে আঠারো। নয় নয়ে করেই ভোটের বয়স। কাস্তে হাতুড়ীতে লাগাও ছাপ।

    দশ দুকুনে কুড়ি। এটার একটা ফেঙ্গ শুইএর ব্যাখ্যা আছে। চলবে ?
  • tan | 131.95.121.251 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২১:৫৬634908
  • তিনহাজার বছর আগে গ্রীক ডিমোক্রিটাস নাকি অ্যাটমের কথা বলে যান,সে কথাও নাকি পাওয়া যায় অ্যাপোলোনিয়াসের একটি হেঁয়ালি কবিতায়।এটা কিন্তু সোনামুখ করে স্বীকার করে নেয় সবাই। কেন,সাহেবেরা বলে দিলেন বলে?

  • tan | 131.95.121.251 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২২:২৩634909
  • পয়সাওলা সুইস সাহেস দুনিয়া ঘুরে ছবি টবি তুলে এনে বইপত্র লিখে মহা হট্টগোল ফেলে দেন,বই বেস্ট সেলার হয়ে যায়,তর্কে বিতর্কে সরগরম হয়ে যায় ইউরোপ আমেরিকা-আরে আরে ঐ ব্যাটা হিদেন পাগান দেরে এত এত প্রাচীন প্রযুক্তি? পত্নতাত্বিক ফাত্বিকেরা বিরোধিতা প্রচন্ড করেন,লোকটাকে গুলিখোর অখ্যাও কেউ দেন,কিন্তু পাথুরে প্রমাণ নিয়ে এসেছেন যে,দলে দলে লোকে টুরিস্ট হয়ে দেখতে গেলো,সেই হিদেন দেশের টুরিজম ফুলেঝুলে উনো জমির দুনো ফসল হয়ে গেলো!
    যা চাইছিলেন তাই হলো,একটা হুল্লোড় উনি তুলে দিতে পারলেন,আর কি থেকে? না--কিছু ছবি,কিছু খোদাই,কিছু প্রত্নতাত্বিক অবশেষ,অংকটংক পাওয়া যায় নি,পাওয়া সম্ভব নাকি?
    আমাদের ক্ষেত্রে এই প্রাথমিক উদ্যোঅগই অসম্ভব।
    রাখালদাস হরিদাসেরা ও এটা করেছিলো বৃটিশ ফান্ডিং এ ও ব্যাকিং এ। ভাবা যায়, কত হাজার বছর আগের জিনিস এই সেদিন বার হয়েছে? তাও এখনো লিপিগুলোর মানে উদ্ধার করা যায় নি?
  • Ishan | 67.173.95.163 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২২:৪০634910
  • ডেমোক্রিটার যে অ্যাটমের কথা বলেছেন, তার সঙ্গে আধুনিক অ্যাটমের কোনো সম্পর্ক নেই। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। সক্কলেই জানে, সায়েবরাও জানে, তুমিও জানো, আমিও...
  • tan | 131.95.121.251 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২২:৪৬634911
  • সম্পর্ক নেই আবার আছেও।ডালটনের সঙ্গে তো আছে?
    এনারা বলেন ডালটনের পরমানুবাদ,যা কিনা রসায়নে খুবই খুবই সত্য, সেটার পূর্বসূরী ঐ ডেমো।
    মিসাইলে লোক মারা যায়,কিন্তু তা বলে পাথরে যে কাজ হয় না প্রস্তরযুগ শেষ হয়ে গেছে বলে,তা ও তো নয়!

  • Ishan | 67.173.95.163 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২২:৫৮634912
  • ঠিকই তো, পূর্বসূরী বলা হয়। কিন্তু আবিষ্কর্তা বলা হয়না। সেই একই অর্থে শুন্যের(জিরো) আবিষ্কর্তা জনৈক অনামা ভারতীয়কে আধুনিক গণিতের পূর্বসুরী বলা হয়। বা শ্রীধরাচার্যকেও তো যথাযোগ্য সম্মান দেখানো হয়। হয় না কি?
  • tan | 131.95.121.251 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২৩:০৩634913
  • শ্রীধরাচার্যের ঐ দারুণ ফর্মূলা,দ্বিঘাত সমীকরনের সলিউশন বার করতে যা লাগে, আগে ভাবতাম বুঝি টেলর সিরিজ বা লেজেন্ডার পলিনোমিয়াল বা রডরিগজ ফর্মুলার মতো বুঝি ওনার নামও বলা হয়।
    অমা,কোথায় কি? হিন্দু পদ্ধতি বলে ছেড়ে দেওয়া হয় বা কোথাও তা ও বলে না!
    পাওয়ার প্লে!!!!সবই দেখছি তাই।
  • Ishan | 67.173.95.163 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২৩:১১634914
  • এইটা নিয়ে ফাইট দিতে পারো। যে, শ্রীধরাচর্যের নাম না বলে হিন্দু পদ্ধতি বলা হয়। কিন্তু "সবই আসলে আমাদের। অতীতকালে সবই ছিল, সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তে চাপা পড়ে গেছে' -- প্রমাণহীন ভাবে এসব বললে ফালতু লোকে হাসবে।
  • tan | 131.95.121.251 | ০২ জুলাই ২০০৬ ২৩:২২634916
  • যাহ,সব আমাদের এ আবার কে বললো? হয় নাকি কোনোদিন? বাকী লোকে আঙুল চুষছিলো নাকি বসে?
    আসলে কিছু আমাদের,কিছু তাদের,কিছু পাবলোর,কিছু হরিমতীর,কিছু ফ্রানচেস্কোর,কিছু তাকাহাসির,কিছু অন্য ক্ষ্যাপাক্ষেপীর! এইটাই কি স্বাভাবিক না?
    তারা জানতো আর আমরা কিসুই জানতাম না,খালি ফকীরের একতারা বাজিয়ে মাঠে মাঠে ঘুরতাম,এইটাই বা কতটা স্বাভাবিক? আরে দুটো খেয়ে পরে শীতের থেকে পালিয়ে ঘরদোর বেঁধে ফসল ফলিয়ে গরুভেড়া সামলে তো বাঁচতে হয়েছে,নাকি? সেসব কারা করে দিলো এসে?

  • dri | 66.81.196.153 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ০০:১১634917
  • ডিডি, ধরা যাক ঘোড়া = ঘোড়া। চাইকি কোদাল = কোদাল। এই ধরে ১৩, ১৪, ১৫ নম্বরগুলো একটু বুঝিয়ে দিন না। জলজাত অশ্বটা কি ব্যাপার। কোন কায়দায় সে যেরূপ ইচ্ছা সে রূপ ধারণ করে। না মরার কৌশলই বা কিভাবে রপ্ত করে। পাঞ্জল করে বুঝিয়ে দিলে আপনিই হবেন আমার হীরো। আপনার নামতার ব্যাখ্যায় আমি অলরেডি ফিদা হয়ে আছি। বেদ কি নয় সেই নিয়ে তো হল। কি সেই নিয়েও কিছু হোক।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ০১:১১634918
  • আর,তিনের ঘরেরটা? আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাসহ?
    তিনেক্কে তিন,তিন দুকুনে ছয় আর তিন তিরিক্কে নয়?
    ত্রয়ী শক্তি ত্রিস্বরূপে প্রপঞ্চে প্রকট!!!
    বলুন না,বলুন না!
    :-))))
    আর একটা প্রশ্ন ছিলো,ঐ ঘুমপাড়ানি তুকতাক মন্ত্রে যদি ধরুন নিজেরাই ঘুমিয়ে পড়ে,তাইলে??? কোনো প্রিকশন মন্ত্র ছিলো না?
  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ০৩:১৩634919
  • দ্রি, বলুন আপনার আজকের বেদপাঠে কি হলো?
  • dri | 66.81.198.49 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ০৯:৫২634920
  • আজ বেদপাঠ করতে একটু দেরী হয়ে গেল। দুপুরে বাপ বেটীতে একটু সিয়েস্তা মেরে দিলাম। অত:পর মেয়ের সায়ংকালীন ভ্রমণ এবং আমার স্ট্রোলার ঠেলন। অবশেষে এই এখন গুরুতে পড়াশুনো কত্তে বসেছি।

    আবার বেদ পড়লাম। কালকের অংশটুকু। প্লাস আরো কিছু শ্লোক। ১৮, ১৯, ২০ কে বিস্টিয়ালিটি ধরে নিতে মনটা খচখচ করছে। তার কারণ ব্যাপারটা এত আনইউজুয়াল যে পর্নোগ্রাফিক লিটীরেচারেও এটা রয়েছে ফ্রিঞ্জে। কিন্তু যত পড়ছি একে মেঘ বৃষ্টি ভবতেও অসুবিধে হচ্ছে। আফটার অল, মেলাতে হবে তো। ১৯ এ চার পা প্রসারিত করার কথা, ২৪ এ মাতা পিতার কথা, ২৭ এ এক্সপ্লিসিট পেনিট্রেশনের কথা (যদিও এত অসার্থক উপমা আমি অনেকদিন শুনিনি), ২৮ এ নারীর উরুর কথা, ২৯ ৩০ এ সেক্সুয়াল মরালিটি ও কাস্টিজম -- মেঘ বৃষ্টির বর্ণনায় এত সেক্সুয়াল ইমেজারী কেন, এ প্রশ্ন এসেই যায়।

    তার চেয়ে এরকম কি হতে পারে, যে অশ্বের কথা বলা হয়েছে সে আসলে একটি মানুষ। বসুরূপ অশ্ব। গণপতি, প্রিয়পতি, নিধিপতি। তাহলে কিন্তু এটা মানবসঙ্গমের বর্ণনা হচ্ছে, যেটা সূর্য্য, তারা, মেঘ, বৃষ্টির মতই লাইফ এক্সপিরিয়েন্সের পার্ট। বিস্টিয়ালিটির মত আনকমন নয়। অশ্বমেধ যজ্ঞে যজ্ঞভূমিতে বস্ত্র আচ্ছাদন করে রতিক্রিয়া কি রিচুয়ালের একটা পার্ট ছিল এমন হতে পারে? ৩১ এ আবার আছে অশ্লীলভাষণের জন্য যজ্ঞ করে মুখ পরিষ্কারের কথা। অতএব লেখক জ্ঞানপাপী। মেঘবৃষ্টির কথা লিখলে মুখ পরিষ্কার কথা আসত কি?
  • r | 61.95.167.91 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ১১:৫৫634921
  • দীপ্তেনদাকে ডিটো।

    দ্রি, আপনার সাথে একমত গৈরিকীকরণের ব্যাপারে। বেদ-উপনিষদ-পুরাণ না পড়ে ভারতীয় সমাজকে চেনা যায় না। আপত্তি পড়ার ব্যাপারে নয়, ব্যাখ্যার ব্যাপারে। আমাদের প্রথম ধারণা যে বৈদিক ভারতবর্ষ সর্বদাই গৌরবোঙ্কÄল। বেশির ভাগ মৌলবাদী মতবাদ সারা পৃথিবী জুড়ে আজকের লাঞ্ছনা-বঞ্চনার বিরুদ্ধে টোটকা হিসেবে এই গৌরবোঙ্কÄল প্রাগিতিহাসকে ব্যবহার করে থাকে। ঔপনিবেশিকতার যুগে এই একেপশে ইতিহাসবোধকে জনআন্দোলনের কাজে ব্যবহার করা হয়। বিবেকানন্দ থেকে অরবিন্দ থেকে গান্ধী- প্রত্যেকে করেছেন। তার একটা ফল ছিল স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে মুসলিমদের বিচ্ছিন্নতা যা বুঝতে আমাদের বহু সময় লেগেছে। কিন্তু আজও পশ্চিমএর প্রচন্ড প্রতাপের জন্য আমরা একধরনের নিরাপত্তার অভাব থেকে ভুগি। কাজেই আমরা ফিরে যাই বেদ ও বেদোত্তর সময়ের বিভিন্ন মিথনির্মাণের প্রকল্পে। ইসলাম রশিদুন অর্থাৎ মহম্মদের পরের চার খলিফার সময়কালকে একইভাবে গৌরবে ভূষিত করে। এবং বর্তমানকাল হয়ে ওঠে জাহিলিয়া। আমেরিকার দক্ষিনার্ধের গোঁড়া ক্রিশ্চানরাও সেই একইভাবে প্রাগিতিহাসকে ব্যবহার করে। নিরাপত্তাবোধের অভাব থেকে আমরা এই সভ্যতা বনাম সেই সভ্যতা- এই ধরনের এক ডিফেন্সিভ ছেলেখেলা নিয়ে নিজেদের ভুলিয়ে রাখি। অথচ এই বনাম খেলা না হলেও কিন্তু ভারতীয় সভ্যতার বিন্দুমাত্র ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। এই বনামের খেলা শুরু করেছিল পশ্চিমী ঔপনিবেশিকরা। এখন আমরা তাদের অস্ত্র ধারণ করে অবশ্যম্ভাবী সংকীর্ণ মৌলবাদের দিকে এগিয়ে চলেছি। ভয় সেইখানেই।

    এবার "জ্ঞানের গোঁসাই tan যাবে তাই অন্যরকম প্ল্যান", তুমি একটা কাজ করো। অমর্ত্য সেনের Argumentative Indian বইটা ঝট করে পড়ে ফেলো। ভারতীয় ইতিহাসকে আজকের পরিপ্রেক্ষিতে কি ভাবে ভারসাম্য রেখে পড়া যায়, তার বিশদ আলোচনা পাবে। তাহলে এই গৌরবোদ্ধারের রক্ষণাত্মক খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা। ভারতীয় সভ্যতাকে একেবারে স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বয়ম্ভূ একটা ইউনিট হিসেবে দেখো না। চীন-ভারত-গ্রীস-আরব- এই চার সভ্যতা নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদানের মধ্যে দিয়ে কিভাবে নিজেদের আরও সম্পদশালী করে তুলেছিলো তারও একটা ভালো বর্ণনা পাবে।
  • dd | 202.122.18.241 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ১২:৫৬634922
  • দ্রি
    হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছিলেন ঋগবেদসংহিতা পলগ্রেভের "গোল্ডেন ট্রেজারীর" মতন একটা কবিতা সংকলন। এর বেশী কিছু নয়। আম্মো তাই মন করি।

    পড়ুন সুকুমরী ভট্টর প্রাচীন ভারত,সমাজ ও সাহিত্য। সেখান থেকে টুকছি।

    সুক্তগুলি মোতমিটি তিনরকমের।
    ১। দেবতার রূপবর্ননা :আপনি ফর্শা, লম্বা, গায়ে নানান গয়না, হাতে তীর ধনুক, ইত্যাদি ইত্যাদি
    ২। আপ্যায়ন : হে দেবতা,আপনাকে এটা দেবো, সেটা দেবো। সবচে মোটা গরু দেবো। সোমরস তো দেবই দেবো।
    ৩। প্রার্থনা : দাও,দাও। দাও। টাকা দাও পয়সা দাও। শত্রুকে পিটিয়ে মারো।

    এই স্তব আর প্রার্থনাই হছে ৭৫%। অনেক সুক্তই বেদের যজ্ঞের মন্ত্র। কিছু নেহাৎই স্পনটেনুয়াস কবিতা। এর আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যার যে ব্যঙ্গ হিং টিং ছটে করা হয়েছে , তার থেকে আর বেশী এয়ার্কি মারা সম্ভব নয়।
  • dd | 202.122.18.241 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ১৩:০৬634923
  • " মানুষেরা যেমন দারিদ্রহেতু পাপযুক্ত , সেরূপ পুর্বে দেবতারাও ছিলেন। তখন দেবতারা চিন্তা করলেন - ধন সম্পদ হচ্ছে বাঁচবার উপায় , তার অভাব জন্মান্তরকৃত দারিদ্র্যহেতু পাপবিশেষ এবং তা ক্লেশের হেতু বলে মৃত্যুস্বরুপ। কি করে এ পাপরূপ মৃত্যুকে সুকৃত অনুষ্ঠানের দ্বারা দুর করে দৈবী সম্পদ লাভ করা যায় । এ চিন্তা করে চতুরবংশতি রাত্র যাগ করে শাস্ত্রদৃষ্টিতে নিশ্চয় করেন এবং তার অনুষ্ঠান করে ফল লাভ করেন । এরুপ মনুষ্যেরাও এর অনুষ্ঠান করলে দারিদ্র্যহেতু পাপ থেকে নিবৃত্ত হয়ে দেবসভা লাভ করবে। যাতে দেবতারা সুখে অবস্থান করে, সে শ্রী (ঐশ্বর্য্য) হচ্ছে দেবসভা। মানুষেরা ঐশ্বর্য্যকেই দেবসভা মনে করে। "
  • dd | 202.122.18.241 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ১৩:২২634924
  • আগে গাভীদের শিং ছিলো না। তো শিং লাভের জন্য তারা সংবৎসর যজ্ঞ শুরু কলো। অনেকের শিং গজালো - আর অমনি তারা যজ্ঞ চেড়ে চলে গেলেন । কারু কারুর শিং গজালো না। তারাও ছেড়ে চলে গ্যালো। কিছু ধর্মপ্রান গরু শ্রদ্ধার সাথে বারো মাস যজ্ঞ করে বাহবা পেলেন।
    তো যজ্ঞ করে গরুদের ও শিং গজায়। বাউনদের তো কথাই নেই।

    কি ভাবছেন ? বেদ নিয়ে মস্করা করছি ? না কি সত্যি সত্যি ব্যাদেয় এরকমটা ল্যাখা আছে ?
  • r | 61.95.167.91 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ১৩:৪৪634925
  • দীপ্তেন্দা, চার দুকুনে আটে অষ্টবসুটসু নিয়ে কিছু একটা হবে না?
  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ১৮:৩৮634927
  • দ্রি,বৃষ্টির সঙ্গে সৃষ্টির সম্পর্ক ভুলে গেলেন? মরুভূমি হয়ে পড়ে থাকে খটখটে ফুটিফাটা মাঠ,বৃষ্টি তাকে শস্যশ্যামলা করে তোলে।
    শুধু এখানে নয়,প্রায় সব প্রাচীন বিশ্বাসে আকাশকে পিতা আর ধরণীকে মাতা বলা হতো।
    সঙ্গম লজ্জার বা অশ্লীলতার ছিলো না, তা যে সৃষ্টি,তা বিনা সব ধুলা হয়ে যাবে!
    নতুন না এলে সব জরতী বৃদ্ধ হয়ে একদিন মৃত্যুগ্রাসে পড়ে যাবে।

    রঙ্গন,
    খুব সরি।যদি তাই মনে হয়ে থাকে,আমি নাচার।
    কিন্তু এই মেসোপটেমিয়া,নীল,সিন্ধু, হোয়াংহো এইসবের যোগের কথাই তো অমর্ত্যের অনেক আগে থেকেই অনেকেই বলছেন!অস্বীকার করতে যাবো কেন? তারা কেউ নোবেল পায় নি বলে?
  • Somnath | 59.145.225.101 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২০:৩০634928
  • দীপ্তেন্দা,
    একটা দাবি আছে। জিওসেϾট্রকতায় আমি তো কোনো অসুবিধে দেখিনা। রেফারেন্স ফ্রেমের ব্যাপার। মহাকাশে গিয়ে কৃত্রিম উপগ্রহ টাঙিয়ে সব কিছুই সব কিছুর চারদিকে ঘুরে না ঘুরে একে অপরের থেকে দূরে সরে না সরে যাওয়ার ভজকুচ্ছিৎ ঘটাংঘট এর থেকে তো ফার বেটার পৃথিবীর চারদিকে জিনিসপত্র কিভাবে কাছে দূরে আসছে যাচ্ছে সেসব ফটাফট কষে ফেলা। লক্ষ্য যেখানে পৃথিবীর উপরে অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব বোঝা।

    তবে আদতে সূর্য স্থির একথা তারা মানতো না বলছ?
    সেই সুধাংশু পাত্র-র "বিজ্ঞানচর্চায় প্রাচীণ ভারত ও সমকালীন অন্যান্য দেশ" বলে যে বইটা কিনতে বলেছিলে, তার ৩৮ পাতায় বিষ্ণুপুরাণ থেকে শ্লোক তুলে বলছে - "যে স্থান থেকে সূর্য (প্রথম) দৃশ্য হয়, সে স্থানে উদয় এবং যে স্থান থেকে সূর্যকে আর দেখা যায় না সেখানে অস্ত হয়। প্রকৃতপক্ষে সূর্যের উদয় অস্ত নেই। (তিনি) সর্বদাই আছেন। তাঁর দর্শন ও অদর্শন ই উদয় অস্ত।"
    ঐতরেয় উপনিষদ থেকে বলছে -" স বা এষ ন কদাচনাস্তমেতি নোদোতি" অর্থাৎ "সূর্যের অস্তও নেই, উদয় ও নেই।" কোন কোন পাশ্চাত্য টীকাকারও নাকি সে দাবি মেনে নিয়েছেন?

    আধুনিক জ্যোতিষশাস্ত্র সম্বন্ধে আমার ধারণা নেই, তবে ঐ সুধাংশুবাবু ই ২৭ পাতায় বলেছেন - "বর্তমানকালের জ্যোতিষে সূর্যের ক্ষেত্রে সূর্যকে এবং রাশিচক্রকে স্থির, কেবল পৃথিবীকে গতিশীল ধরা হয়। কিন্তু গ্রহদের ক্ষেত্রে ধরা হয় একমাত্র রাশিচক্রই স্থির, পৃথিবী এবং গ্রহ উভয়েই গতিশীল।, এই কারণেই গ্রহরা সমগতিতে এবং একই দিকে অগ্রসর হয় না। এমনকি কখনও কখনও বিপরীত দিকে গ্রহকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। তখন ঐ গ্রহকে ভারতীয় পঞ্জিকার ভাষায় বলা হয় " বক্রী হয়েছে"।

    তা, পৃথিবীর রেফারেন্স ফ্রেম থেকে দেখলে কাছের সূর্যের গতি আর দূরের তারার স্থিতিই তো স্বাভাবিক। কোনো গ্রহ বেশি বেগে কাছিয়ে আসছে আর কোনো গ্রহ একটু কম বেগে আসছে বলে আসলে পিছিয়ে পড়ছে এর মধ্যে ভুল কোথায়? সেই দুটো ট্রেনের টক্কর দেওয়ার অঙ্কে একটা ট্রেনকে স্থির ধরে নিয়ে চটপট উত্তর মিলে যেত না!!

    তনু আর একটু আকাশ ও অশ্বের ব্যাখ্যা দিয়ে নিক, তারপর আমি শ্লোক তুলে টুলে দেখাবো, পরের পর তিন চারটে শ্লোকে ঘোড়াকে "অশ্ব", "হয়", "বাজি" এই সবই বলা আছে। আর সেই "ক্ষয় নেই যাহার" ব্যাখ্যাটা "অশ্বত্থ" শব্দের ক্ষেত্রে যে সত্যিই দেওয়া আছে, সেটাও দেখাতে পারি, তবে আজকে আর সময় নেই।
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২০:৪৬634929
  • বক্রী ব্যাপারটা অনেকেই লক্ষ্য করেছিলো। নতুন কিছু না। আর সোমনাথ যে শ্লোক তুললো সেগুলোর অসুবিধা হলো ওগুলো থেকে কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না যে সূর্য স্থির এর ব্যাপারটা মানা হলো। কিন্তু এরাটেস্থেনিস যেভাবে দু যায়গার ছায়া দেখে পৃথিবীর গোলাকৃতি ইত্যাদি বলেন সেটা অনেক পরিষ্কার।
    যেমন গোলাধ্যায় পুঁথিতেও পিথিবি গোল পরিষ্কার বলা আছে (রেফারেন্স দীপ্তেনদা খুঁজে পেয়েছিলো)।
    আমাদের গন্ডগোলট বোধ হয় যেকোনো সায়েন্টিফিক শ্লোক নিয়ে বেশি এক্সট্রাপোলেশান করে ফেলা।
    রিলেটিভ মোশান সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা এক, আর সূর্যের আবর্তন সম্বন্ধে ধারনা থাকা এক। সূর্যের উদয় অস্ত, নক্ষত্রদের অবস্থান, সময়ের সঙ্গে তার পরিবর্তন এগুলি খুব সঠিক ও প্রপাঅরলি ও ইন্টেলিজেন্টলি দেখা জিনিস। কিন্তু তার থেকে আবর্তন বিষয়ের কনক্লুশানটা কিন্তু এরা টানে নি।
    ধরো ব্রহ্‌ম্‌গুপ্ত বললেন পিথিবির টানে বস্তু নিচে পড়ে, অবশ্যই সেটি খুব দারুন, অসাধারন ব্যাপার। কিন্তু তাতে করে কিন্তু উনি অবিকর্ষের সূত্র বের করলেন না। ঠিক যেমন ভাবে গ্যালিলিও আনত তলের ওপর বল গড়ানোর এক্সপেরিমেন্টে যা বলেছিলেন তাতে ওনাকেই নিউটনের প্রথম সূত্রের আবিষ্কর্তা বলে দেওয়া যায়। কিন্তু তা ঠিক নয়। হুক পীড়ন ও বিকৃতির সম্পর্ক থেকে একটা রিপিটেবল রিলেশান দিলেন, কিন্তু তার মানে এই নয় উনি ইলাস্টিসিটির সব বলে দিলেন, এমন কি ইয়াংঅস মডুইলাস ও। ঐ কনস্ট্যান্ট টা বার করতে গিয়ে ইয়াং অবধি আইতে হলো, থার্মোডাইনামিক্স লাগলো। হুকের কাছে উহা মেটিরিয়াল নির্ভর একটি কনস্টান্ট বা পদার্থের ধর্ম বিশেষ।
    কোন রেজোলিউশানে কি দেখছি, তার ওপর বেজ করে একটা বেজর অ্যামাউন্ট অফ বাওয়ালি হয় আসলে, ডিটো টু কে কি করলো তার ওপর।

    বিক্রম

  • Somnath | 59.145.225.101 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২০:৪৮634930
  • আর বমিক হে,
    আমি ছাপা হরফে বাংলায় বেদপাঠ করি, যেমন সেভেন এইটে আমাদের ক্লাসে পড়ানো হত। ইন্টারনেটে ম্লেচ্ছ ভাষায় মামু ও ভিকিদা বেদ পড়েন, ওদের লিংক শুধাতে পারো।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২১:০৭634931
  • আরে কও কি পন্ডিত,অশ্বত্থ গাছের ক্ষয় নাই?
    আমার পুহইরপাড়ের অশ্বত্থ গাছখান বাজ পইড়া মইরা গেলো ক্যান তালে?
    :-)))

  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২১:১২634932
  • ওমনাথ, আছে ভুল।রেট্রোগ্রেড মোশন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
    কারণ আগে থেকেই পিছিয়ে পড়ছে না,চলতে চলতে হঠাৎ থেমে গিয়ে ব্রেক কষে পিছিয়ে যাচ্ছে, এটার ব্যখ্যা কম গতি বেশী গতি দিয়ে তো হবে না বাপা ওমনাথ!
    এটার ব্যাখাতেই চলিষ্ণু অবজার্ভার লাগবে!
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২১:৩০634933
  • ট্যান কে ডিট দিলাঅম। রেট্রোগ্রেড মোশানে অ্যাক্সিরারেটেড ফ্রেম, ফলে ঐটি খাটে না।
    কিন্তু যে রেট্রোগ্রেড মোশান দেখতে পেলো, বা তা বেশ ইন্টারেস্টিং বললো - তাতেও কিন্তু সে সুজ্জি পিথিবির চারদিকে ঘোরে সেটা জানে তা পোমান হয় না।

    বিক্রম
  • Somnath | 61.11.126.46 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২১:৪৭634934
  • দুরছই, গোলাকারের ব্যপারে আমি কই বললাম, সেতো আর্যভট্ট। ঐ বই এর ৩৮ পাতায় আছে। বক্রী ইত্যাদি তো আধুনিক জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে বললাম, দীপ্তেন্দা বললেন আধুনিক জ্যোতিষ ও জিওসেϾট্রক ও পৃথিবী স্থির ধরে নিয়ে কথাবার্তা কয়, সেই কনটেকস্টে। পুরোটা না পড়েই, বা না বুঝেই তোরা এত হট্টোগোল করিস কেন? অশ্বত্থ গাছ নিয়ে কাল হবে, এখন খিচুড়ি ব্যাস।

  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২২:০৫634935
  • সোনামণি সোমনাথ,টুকে দে বাপ,অশ্বত্থ টা টুকে দিয়ে গিয়ে খিচুড়ী পাকা।
    তাপ্পরে তো আবার বাজি হয় হয়গ্রীব নিয়ে বান্ডিল বান্ডিল টুকতে হবে।
    দিয়ে দে বাপা অশ্বত্থ আজই।
    কাল না হয় কাম্পিল্য,কম্বোজ আর কপিলাগাই দিস।
    এই নে একছড়া পাকাকলা নে,দিয়ে দে সোনামণি!
  • dri | 199.106.103.254 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২৩:২০634936
  • শাস্ত্রীমশাই বা ভট্টমশাই কি বলেছিলেন সেই কথা বেদবাক্য না মনে করে নিয়ে আসুন না আমরা সবাই মিলে বোঝার চেষ্টা করি। টেকস্ট তো হাতের সামনেই রয়েছে। বোঝার পর নাহয় শাস্ত্রীমশায়ের কনক্লুশনের সাথে মিলিয়ে দেখব।

    ট্যানকে বলি যত পড়ছি তত খটকা লাগছে। বৃষ্টির সাথে জতই সৃষ্টির সম্পর্ক থাক, বৃষ্টির কথা বলতে এত সেক্সুয়াল ইমেজারী কেন তার কি কোন সদুত্তর আছে। যদি ধরে নেওয়া যায় এইটেই রূপক, এর আগে পিছের লেখা কি এই স্টাইলের সঙ্গে কনসিস্টেন্ট। আবার বিস্টিয়ালিটিও মনে হচ্ছেনা। যাই হোক আমি আমার যা মনে হয়েছে বলুন। আপনারা কিন্তু আসল টেকস্টটা কেউ ধরছেন না। আমি বলি? এক কাজ করুন। ১২ থেকে ৩০ মধ্যে যে কোন তিন চারটে স্লোক নিয়ে আলোচনা শুরু করুন। যে কেউ। কিন্তু সিরিয়াস আলোচনা। লাইন ধরে ধরে, শব্দ ধরে ধরে।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ জুলাই ২০০৬ ২৩:৩১634938
  • দ্রি,এই বিষয়ে আপাতত আমি থেমে গেলাম। কারণ দেখছি এতে নানা অকারণ উপাধি জুটছে,যা খুব কাম্য মনে হচ্ছে না।
    আচ্ছা,ধন্যবাদ। আপনারা চালিয়ে যান,আমি মন দিয়ে পড়বো।
    দ্রি,দেখবেন অনেক লাইন রিপিট হয়েছে পরের দিকে,হয়তো সেটাই স্বাভাবিক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন