এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুজরাট মডেল এর মিথ ও মিথ্যাচার

    সৌভিক
    অন্যান্য | ১১ মে ২০১৪ | ২২৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • সৌভিক | 24.96.80.122 | ১১ মে ২০১৪ ১১:২২638698
  • তথ্য পরিসংখ্যানের আলোয় মোদীর গুজরাটের উন্নয়ন মিথ ও মিথ্যাচার
    গুজরাট মডেল এর উন্নয়ন গাথায় বাস্তব নেই, আছে শুধু কুহক
    সৌভিক ঘোষাল
    বিভিন্ন মিডিয়া জুড়ে গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার একটা মিথ তৈরি করা হচ্ছে গুজরাট ও তার মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে। বিজেপির পক্ষ থেকে যখন মোদীকে ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত করা হলো, তখন থেকে এই প্রচার একটা ঝড়ের চেহারা নিল। উন্নয়ন কাকে বলব, তার মডেল কি হবে, শুধু আর্থিক বিকাশকেই উন্নয়ন ধরতে হবে না মানব উন্নয়ন এর বিবিধ সূচকগুলি তাতে গুরূত্ব পাবে, এই নিয়ে অর্থনীতির দর্শন সংক্রান্ত কিছু ঝোড়ো বিতর্কও আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, যাতে অংশগ্রহণ করলেন এমনকী এই সময়ের দুই দিকপাল অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, জগদীশ ভগবতীও। গুজরাট অন্তত ভারতীয় মানদণ্ডে প্রায় সব পেয়েছির দেশ, সবচেয়ে এগিয়ে থাকা এক রাজ্য, (যার নেপথ্যে মোদীর অনবদ্য নেতৃত্ব – যে কথাটা কখনো সোচ্চারে এবং কখনো মৌনমুখরভাবে সামনে আনা হচ্ছে), এই প্রচারের মধ্য কতটা সত্য আর কতটাই বা মিথ্যা তা তথ্যপ্রমাণ সহযোগে যাচাই করার দরকার আছে। নরেন্দ্র মোদী শুধু সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও দাঙ্গার মুখ হিসেবেই যে কলঙ্কিত তা নন, গোয়েবলসীয় প্রচারের (গোয়েবলস ছিলেন হিটলারের জমানায় তার প্রচার সচিব। একটি মিথ্যাকে বারবার প্রচার করে তাকে সত্য বলে বিশ্বাস করানোর ক্ষেত্রে তার গৃহীত কৌশল এখন বহু ব্যবহৃত।) একটা ধরণেরও যে নিদর্শন গুজরাটের উন্নয়ন সম্পর্কে সযত্নে লালিত মিথ ও সত্যের তুলনা করলেই তা ধরা পড়বে। আমরা স্থান পরিমিতির কথা মাথায় রেখে কয়েকটি মূল প্রসঙ্গকেই এই লেখায় তুলে আনার চেষ্টা করবো।
    ১) প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ – মনে রাখা দরকার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে উন্নয়নকে কমিউনিস্টরা কখনোই উন্নয়নের মডেল বলে মনে করে না। এই বিতর্কে এখানে না ঢুকে শুধু এটুকুই মনে রাখার এই প্রসঙ্গে মোদীর মিথ্যাচারের দিকটি। মোদী ২০১৩ তে তার শিল্পপতি সম্মেলন ভাইব্রান্ট গুজরাট’ এ বলেছিলেন ‘ভারতে বিশ্বপুঁজির দুয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে গুজরাট’। দাবিটি মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারিতও হয়েছে আর স্বাভাবিকভাবেই সেগুলি পেইড নিউজ কিনা তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে। কারণ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে প্রকৃত তথ্যটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া স্বয়ং জানিয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের নিরিখে মহারাষ্ট্রর (দাদরা, নগর হাভেলি, দমন দিউ সহ) শতাংশ মাত্রা ৩২, (উত্তর প্রদেশ হরিয়ানার কিছু অংশ সহ) দিল্লির শতাংশ মাত্রা ১৯, সেখানে গুজরাটের শতাংশমাত্রা অন্ধ্রপ্রদেশের সমানই – ৪। এর আগে রয়েছে ৬ শতাংশ মাত্রা নিয়ে তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক।
    ২) সার্বিক পুঁজি নিবেশ - সার্বিক পুঁজি নিবেশের দিক থেকেও গুজরাট রয়েছে পাঁচ নম্বরে, সমগ্র পুঁজি নিবেশের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে তার শতাংশ মাত্রা ৪.৬। তার আগে রয়েছে ১৮.৩ শতাংশ মাত্রা নিয়ে মহারাষ্ট্র, ১২.২ শতাংশ মাত্রা নিয়ে দিল্লি, ৬ শতাংশ মাত্রা নিয়ে তামিলনাড়ু এবং ৫.২ শতাংশ মাত্রা পশ্চিমবঙ্গ।
    ৩) রাজ্যভিত্তিক জিডিপি – ১৮ জুন ২০১৩ তে আই বি এন চ্যানেলে এক লাইভ সাক্ষাৎকারে মোদী দাবি করেছেন ‘ ভারতের জিডিপিতে সবথেকে বেশি অবদান রেখেছে গুজরাট’। এটিও এক সর্বৈব মিথ্যা দাবি। দেশের সামগ্রিক জিডিপি তে মহারাষ্ট্রের অংশভাগ যেখানে ১৫ শতাংশ, উত্তর প্রদেশের ৮.২ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশের ৭.৮ শতাংশ, তামিলনাড়ুর ৭.৭ শতাংশ, গুজরাটের সেখানে ৭.৩ শতাংশ।
    ৪) মাথাপিছু ঋণ – পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সরকারের যাবতীয় সঙ্কটের জন্য বামফ্রন্টের করে যাওয়া বিপুল ঋণ এর কথা বারেবারে বলে থাকেন। কিন্তু মাথাপিছু ঋণের হিসেবে গুজরাট সবাইকেই পেছনে ফেলেছে। মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু ঋণ ২৫,০০০ টাকা, অন্ধ্রপ্রদেশের ২০,০০০ টাকা, উত্তরপ্রদেশের ১৪,০০০ টাকা। সবাইকে ছাপিয়ে ৩০,০০০ টাকা মাথা পিছু ঋণ নিয়ে সবার শীর্ষে গুজরাট।
    ৫) বিদ্যুতায়ন ও বিদ্যুতের মাসুল – গুজরাটের বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত এবং তা অন্যান্য রাজ্যকে বিদ্যুৎ ধার দেয়, এই দাবির পাশাপাশিই যদি মোদী জমানায় বিদ্যুতায়ন কর্মসূচীকে রাখি, তবে তা খুব আলোকোজ্জ্বল ছবি তুলে ধরে না। মোদী মসনদে বসার আগেই গুজরাটে ৮০.৪ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল আলোকায়নের প্রাথমিক উৎস। ২০০১ থেকে ২০১১ এই দশ বছরে তা আর দশ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০.৪ শতাংশে। কিন্তু এই সময়ে কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটক এই হারকে অনেকটা বেশি বাড়িয়ে গুজরাটের ওপরে স্থান পেয়েছে। কেরালা এই দশ বছরে ৭০.২ শতাংশ থেকে ৯৪.৪ শতাংশে, তামিলনাড়ু ৭৮.২ শতাংশ থেকে ৯৩.৪ শতাংশে, অন্ধ্রপ্রদেশ ৬৭.২ শতাংশ থেকে ৯২.২ শতাংশে, কর্ণাটক ৭৮.৫ শতাংশ থেকে ৯০.৬ শতাংশে নিয়ে যেতে পেরেছে। এই হারের নিরিখে গুজরাট দাঁড়িয়ে আছে ১১ নম্বরে।
    বিদ্যুৎ মাসুলও ভারতের মধ্যে অধিকাংশ রাজ্যের তুলনায় গুজরাটে বেশ বেশি। নিচের সারণি থেকেই তা স্পষ্ট হবে।
    ক্ষেত্রগুজরাট গড়ভারতে গড়গুজরাট ক্রম
    কৃষি১.৭৬ টাকা১.৫৩ টাকা১৭
    গৃহস্থালী৩.৭৩ টাকা৩.২০ টাকা২১
    শিল্প৫.৩২ টাকা৪.৯৭ টাকা২২

    ৫) জনস্বাস্থ্য/শিশুমৃত্যুর হার -বিভিন্ন সামাজিক ও কল্যাণমূলক অর্থনীতির নিরিখ থেকে গুজরাট অনেকটাই পিছিয়ে আছে। যেমন শিশুমৃত্যুর হার। আমরা মোদির সময়কালে গুজরাটের শিশুমৃত্যুর হারের সঙ্গে অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে এই হারের তুলনা করতে পারি
    রাজ্য২০০১২০০৮হ্রাস/শতাংশে
    তামিলনাড়ু৪৯৩১৫৮
    মহারাষ্ট্র৪৫৩৩৩৬
    কর্ণাটক৫৮৪৫২৯
    গুজরাট৬০৫০২০
    ভারত (গড়)৬৬৫৩২৫

    গোটা ভারতে যে সময়পর্বে শিশুমৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ কমছে, সেখানে গুজরাটে সেটা মাত্র কুড়ি শতাংশ কমে এখনো ৫৩ শতাংশে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্যের প্রশ্নে এক মারাত্মক ইঙ্গিৎ। পাশাপাশি গুজরাটে ৩৮.৮ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেন আর এদিক থেকে দেশের মধ্যে তার স্থান ১৯ তম।
    ৬) শিক্ষা -২০০১ সালে মোদী তার ‘ভিশন’ এ জানিয়েছিলেন ২০১০ সালের মধ্যে গুজরাটকে ১০০ শতাংশ স্বাক্ষর করে তুলবেন। কিন্তু ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য বলছে গুজরাটে স্বাক্ষরতার হার ৭৯.১ শতাংশ এবং এই নিরিখে দেশের মধ্যে তার অবস্থান ১৮ নম্বরে। প্রথম স্থানে রয়েছে ৯৩.৯ শতাংশ স্বাক্ষর নিয়ে কেরালা। ২০১০-১১ সালের তথ্য অনুযায়ী গুজরাটে প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিকে ড্রপ আউট ৩৭ শতাংশ, যা ভারতের জাতীয় গড় ৩২ শতাংশ থেকেও বেশ খানিকটা বেশি।
    ৭) শ্রমের মূল্য ও মজুরী : তীব্র বঞ্চনার ক্ষেত্র
    পুঁজিনিবেশ থেকে কল্যাণমূলক ক্রিয়াকর্ম সবেতেই মাঝারি বা নিম্ন মানের হওয়া স্বত্ত্বেও গুজরাট ও তার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখতে চাওয়ার জন্য কর্পোরেট জগতের এই উদগ্র তাগিদ কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে শ্রম ও মজুরি সংক্রান্ত তথ্য পরিসংখ্যানগুলোর দিকে তাকালে।
    শহুরে ঠিকা শ্রমিকদের মজুরী সংক্রান্ত সারণী
    রাজ্যমজুরি/ক্রম
    কেরালা৩১০/১
    রাজস্থান১৭৪/২০
    বিহার ১৫৭/২৫
    গুজরাট১৪৫৩০
    সারা ভারত১৭০/ -

    গ্রামীণ ঠিকা শ্রমিকদের মজুরী সংক্রান্ত সারণী
    রাজ্যমজুরি/ক্রম
    কেরালা৩১৫/২
    রাজস্থান১৬০/২২
    বিহার ১২৬/২৮
    গুজরাট১১৩/৩৩
    সারা ভারত১৩৯/-

    শহুরে স্থায়ী শ্রমিকদের মজুরী সংক্রান্ত সারণী
    রাজ্যমজুরী/ক্রম
    হরিয়ানা৭৭৭/২
    রাজস্থান৪১৭/২৫
    বিহার ৪১২/২৬
    গুজরাট৩২০/৩০
    সারা ভারত৪৫০/-

    গ্রামীণ স্থায়ী শ্রমিকদের মজুরী সংক্রান্ত সারণী
    রাজ্যমজুরী/ক্রম
    দিল্লি ৫০৩/৮
    বিহার ৪১২/১৪
    রাজস্থান ৩০৬/২২
    গুজরাট ২৫৪/২৮
    সারা ভারত ২৯৯/-

    ওপরের সারণীগুলো থেকে স্পষ্ট শ্রমিকের মজুরী ও অধিকার এর দিক থেকে গুজরাট কতটা পিছিয়ে পড়া আর সেখানকার শ্রমিকের অধিকার ঠিক কি অবস্থায় আছে। আজকে নব্য উদারনৈতিক যুগে আগ্রাসী পুঁজিবাদ তার অধিক মুনাফার জন্য সমস্ত কল্যাণমূলক পোষাক ছেড়ে শ্রমিক শোষণের আদিম প্রক্রিয়াটির মধ্য দিয়ে অতি মুনাফাকে বজায় রাখতে সচেষ্ট। গোটা দেশ জুড়ে শ্রম শোষণের প্রক্রিয়াকে আরো মসৃণ করার জন্য কর্পোরেট জগৎ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে চাইছে। শ্রমিক শোষণের নির্লজ্জতম দৃষ্টান্ত হিসেবে গুজরাট মডেলকে তাই তারা নানা মোহিনী মিথ্যার মোড়কে তুলে ধরছে। এই সমস্ত মিথ্যার জালকে অবশ্যই আমাদের ছিন্ন করতে হবে। প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে কর্পোরেটদের বানিয়ে তোলা মোদী মিথের মিথ্যাকে সামনে আনতে হবে। সদ্যপ্রয়াত লাতিন আমেরিকার ‘কুহক বাস্তব’ (ম্যাজিক রিয়ালিজম) এর কথাকার গার্সিয়া মার্কেজকে মনে রেখে আমরা বলতেই পারি মোদীর গুজরাট মডেল এর উন্নয়ন গাথায় বাস্তব নেই, আছে শুধু কুহক, শুধু মায়া।
    [ এই লেখার তথ্যগুলি মূলত ‘গুজরাট ডেভেলপমেন্ট মডেল : এ রিয়েলিটি চেক’ – নামক বই থেকে নেওয়া। বইটিতে জনগণনার রিপোর্ট, ন্যাশানাল স্যাম্পেল সার্ভে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট এর মতো প্রামাণ্য দলিল তথ্যর আকর হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।]
  • PT | 213.110.247.221 | ১১ মে ২০১৪ ১২:১৩638709
  • ২০০৯/২০১১-র ভোটের আগে গুজরাটের অবস্থা পব-র চাইতে কত বেশী ভাল তাই নিয়ে কেউ কেউ লিখেছিলেন গুরুর কোন কোন টইতে। সেগুলো খুঁড়ে বের করতে পারলে জানা যেত যে মোদীর জন্যে মারাঠা ডিচ খুঁড়তে সীতা মাইয়াকে কাঠবিড়ালীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
  • - | 109.133.152.163 | ১১ মে ২০১৪ ১৩:৪৪638720
  • আহারে, লোকের কি নিষ্ঠা, কি প্রাণপন চেষ্টা! কিন্তু ... ঃ-)
  • PT | 213.110.247.221 | ১১ মে ২০১৪ ১৫:১৮638749
  • আমি যখন লিখেছিলাম যে কেজরিওয়ালের সঙ্গে আন্নার বিচ্ছেদের মূলে কেজরিওয়ালের বিজেপি-বিরোধী অবস্থান, তখন কেউ কেউ আমাকে হ্যাটা দিয়েছিলে। আর মমতার আন্নার হাত ধরার প্রচেষ্টাও এখন ব্যাখ্যা করা যায়-আন্নার মারফৎ তিনি বিজেপির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
  • PM | 233.223.158.7 | ১১ মে ২০১৪ ১৫:৫১638750
  • ভোট হয়ে গেছে, গুজরাট মডেলের প্রয়োজন-ও ফুরিয়েছে, খামোখা আঙ্গুল ব্যাথা করে কি লাভ ?
  • সৌভিক | 24.96.80.122 | ১১ মে ২০১৪ ১৮:১৫638751
  • কমিউনিস্টরা নির্বাচন কেন লড়ে তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় যাব না, কিন্তু যিনি মনে করছেন ইলেকশন হয়ে গেলেই (যদিও আগামীকাল অনেক আসনে ভোট, মোটেও হয়ে যায় নি) রাজনীতি নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, একজন মার্কসবাদী লেনিনবাদী হিসেবে আমি তার সঙ্গে তর্কই করতে চাইবো। মোদী হাওয়া যদি একটা হাওয়া হয়, যা গুজরাট মডেলকে কেন্দ্র করে এগোতে চাইছে, তাহলে তার অন্তর্নিহিত বিষয়গুলোর মোকাবিলা আমাদের আগামী দিনগুলিতেও করতে হবে। মোদী, তার কর্পোরেট বান্ধব মডেলটি এক ধরণের ডলারোক্রেসির (কেউ দেশীয়করণ করে রূপিক্রেসি বলতে পারেন, তবে শব্দটা এখনো চালু হয় নি) নিদর্শন, এক ধরণের ক্রনি ক্যাপিটালিজম এর নিদর্শন। ক্রনি ক্যাপিটালিজম এর সঙ্গে ডেমোক্রেটিক লেফটদের লড়াই চলবে। তাই গুজরাট মডেলকে বুঝে নেওয়াটা বেকার যাবে না। আগামী দিনে মাঠে ময়দানে লড়াই হবে, আর হ্যাঁ আরো অনেক ইলেকশন আসবে।
  • সৌভিক | 24.96.80.122 | ১১ মে ২০১৪ ১৮:১৭638752
  • আন্না বিজেপির লোক, এটা ঠিকই বলছেন। কেজরীওয়ালের সঙ্গে তার বিভাজনে এটা সর্বপ্রধান কারণ। মমতা মোদী সমীকরণটা এখনো এবার জমে নি, তার ম্যানিফেস্টেশন দিল্লির রামলীলার ওই ফ্লপ শো।
  • দেব | 59.136.22.24 | ১১ মে ২০১৪ ২১:৩১638699
  • সৌভিক, চীনের সম্বন্ধে আপনার মতামতটা জানতে আগ্রহী।

    দেশের অর্থনীতি কোন মডেল নিয়ে চলবে সে সম্বন্ধে সেটাও লিখুন, একটু বিস্তারে।
  • দেব | 59.136.22.24 | ১১ মে ২০১৪ ২১:৩৭638700
  • আর যে তথ্যগুলো দিয়েছেন তার লিঙ্ক পেলে ভাল হয়।
  • Ekak | 24.99.197.41 | ১১ মে ২০১৪ ২২:২৯638701
  • এই মডেল সংক্রান্ত আলোচনার যেটা সবচে গোলমেলে জায়গা তা হলো প্যারামিটার কি ?
    আপনার কাছে যদি দরিদ্রদের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার প্যারামিটার হয় কিন্তু আমার কাছে না হয় ?
    শিশুমৃত্যু হলে জন্মহার বাড়ে আমি জানি কিন্তু যদি স্টেট ফোর্স এপ্লাই করি যে দুটোর বেশি সন্তান নয় ? দুজন জীবিত থাকতে নো মোর বাচ্চা ?

    একইভাবে শ্রমিকদের মজুরি আদৌ প্যারামিটার হতে পারে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর কী ? সবার মধ্যে ভাগ করে খেতে হবে তার কোনো মানে নেই । চাষী আত্মহত্যা করলে অসুবিধে টা ঠিক কী ? বিগ কর্পোরেট ফার্মিং এর রাস্তা খুলে যাওয়াটা যদি আমার প্যারামিটার হয় ?

    অর্থাত "এই গুলোই ডেভেলপমেন্ট এর প্যারামিটার " ধরে একটা মডেল এর ভুল ঠিক করার মধ্যে যে সবচে বড় ভালনারেবিলিটি তা হলো আরেকটা মডেলের মধ্যে যে রাজনীতি লুকিয়ে আছে তাকে অস্বীকার করা । সে রাজনীতি শোষনের । তাইত ? তাহলে আলটিমেটলি আপনাদের যুক্তির বেস কী ?
    মরালিটি ? তাহলে কায়ন্দলি তাকে যুক্তি বলেচালাবেন্না :)
  • সৌভিক | 24.99.180.190 | ১১ মে ২০১৪ ২২:৪২638702
  • @দেব - তথ্যগুলোর উৎস যে বই তার উল্লেখ করেছি। সেখানে ডিটেল তথ্যের আকর পাবেন। নিজেও দেখতে পারেন ন্যাশানাল স্যাম্পেল সার্ভের বিভিন্ন ডাটা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এর প্রদত্ত ডাটা। সমস্ত তথ্য মূলত ভারত সরকার প্রদত্ত সরকারী তথ্য। আর তথ্য নিয়ে কোনও সন্দেহ কারো থাকলে আর টি আই করা যেতে পারে।
    চিন সম্পর্কে এককথায় কোনো উত্তর দেওয়ার নেই। একসময় নকশালরা চিনকে মডেল মনে করেছিল। ইদানীং কংগ্রেসের তরফে চিনকে মডে করার কথা অনেক বারই বলা হয়। আজকের কাগজেই দেখলাম রাহুল চিনকে মডেল করার কথা বলছেন। আনন্দবাজারের রিপোর্ট - "আবার সরকারে এলে রাহুল গাঁধী উৎপাদনে বিপ্লব আনতে চান। অনেকটা চিনের মতো। কিন্তু সামাজিক বণ্টনকে অবজ্ঞা করতে চান না। জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ইউপিএ মডেলে বণ্টনে জোর দেওয়া হয়েছে আর এনডিএ মডেলে তো উৎপাদনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল? রাহুল এই বিতর্কটা এড়িয়ে গিয়েছেন। বলেছেন, এই দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখা উচিত। তিনি মনে করেন, একশো দিনের কাজ, খাদ্য নিরাপত্তা জাতীয় প্রকল্প শুধু ঝোলাওয়ালা সংস্কৃতি নয়, এদের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি উৎপাদনের লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে।

    এর আগেও রাহুল চিনের মতো উৎপাদন করার কথা বলেছেন। তবে বলেননি, এটা কী করে সম্ভব হবে। বরং জোর দিয়েছেন আর্থিক নিরাপত্তা, জমি বিল ইত্যাদির উপর। শিল্পমহলের সমালোচনা যে, কংগ্রেস সরকার কিছুটা বামপন্থী। শিল্পোৎপাদন নিয়ে যথেষ্ট উদ্যোগী নয়। আনন্দবাজারকে দেওয়া রাহুলের সাক্ষাৎকারে এঁরা উৎসাহিত বোধ করবেন না। কারণ, উৎপাদনের কথা বললেও সেটা যে প্রাথমিক লক্ষ্য, তা কিন্তু তাঁর বক্তব্য থেকে বেরিয়ে আসে না।

    এনডিএ আমলে অ্যালুমিনিয়াম প্রস্তুতকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘বালকো’-র বেসরকারিকরণ নিয়ে রাহুল গাঁধী কটাক্ষ করেছেন। তবে শুধু একটি বাক্য থেকে বোঝা কঠিন যে, তিনি রাষ্ট্রায়ত্তের পক্ষে না বিপক্ষে। তবে এটা পরিষ্কার যে, বেসরকারিকরণের বিপক্ষে না হলেও এই ধরনের সংস্কারের পক্ষে তাঁর মনোভাব খুব ইতিবাচকও কিছু নয়।" http://www.anandabazar.com/national/%E0%A6%AA%E0%A6%B6-%E0%A6%9A-%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%99-%E0%A6%97-%E0%A6%A8-%E0%A7%9F-%E0%A6%B8-%E0%A6%B0-%E0%A7%9F-%E0%A6%B8-%E0%A6%9C-%E0%A6%A8-%E0%A6%B2-%E0%A6%A8-%E0%A6%B0-%E0%A6%B9-%E0%A6%B2-1.29642
    আমার মনে হয় চিন থেকে সমাজতন্ত্র নিয়ে কোনও উৎসাহজনক পরীক্ষা নিরীক্ষা আজকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি আজকে এতটাই বেশি বাজার কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে যে ডেভিড হার্ভের মত একালের বিখ্যাত বামপন্থী তাত্ত্বিক তার "এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব নিও লিবারালইজম' বইতে একে 'নিও লিবারালিজম উইথ চাইনজ ক্যারেকটার' বলেছেন, চিনের সরকারী অভিধা 'সোশ্যালিজম উইথ চাইনিজ ক্যারেকটার' কে ব্যঙ্গ করে। আমার মন হয় সোশ্যালিজম এর মডেল এর দিক থেকে নয়, আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত এক মেরু বিশ্বের প্রতিবাদী অক্ষ হিসেবেই চিনকে দেখা ভালো। চিন রাশিয়া বহুমেরু বিশ্বের সম্ভাবনাকে আজকে তাদের নতুন উত্থানের মধ্য দিয়ে অনেকটা সম্ভবপর করে তুলেছে। তবে এই আজকের চিনকে নিয়ে বেশ কিছু বই লেখ পড়েছি, সেগুলোর তালিকা, বিভিন্ন মত, তার প্রেক্ষিতে আমার ভাবনা নিয়ে একটা বড় লেখার ইচ্ছে রইলো। দেখা যাক কবে সেটা হয়ে ওঠে।
  • সৌভিক | 24.99.180.190 | ১১ মে ২০১৪ ২২:৫০638703
  • @ দেব বৃহত্তর মানুষের ক্ষমতায়নকে গণতন্ত্রের নিরিখ থেকে উন্নয়নের মডেল ভাবলে যে মাপকাঠিগুলি ধরা দরকার, সেগুলিই ধরা হয়েছে। আমি ধরে নিয়েছে আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়া বা শ্রমিক শোষণের মাত্রা বাড়াকে কেউ উন্নয়নের মাপকাঠি ধরবেন না। কেউ যদি সেগুলিকে মাপকাঠি ধরেন ও তা নিয়ে তর্ক করেন যে আমার লেখা লজিকাল নয়, তবে আমি তার কথাকে উপেক্ষা করব। কারণ শুধুই তর্কের কারণে তর্কে উৎসাহ পাই না, বরং অপ্রয়োজন বোধে অনেক তর্ক থেকে সরে আসা ভালো মনে করি।
  • pi | 24.139.209.3 | ১১ মে ২০১৪ ২২:৫৭638704
  • এককের প্যারামিটার সংক্রান্ত পোস্টটা পড়ে একটু অবাক হলাম । একটু তর্কের জন্য তর্ক মনে হল। আর সৌভিকের সাথে এখানে একমত। তথাকথিত যেকোন উন্নয়নের মডেলেও আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়া বা শ্রমিক শোষণের মাত্রা বাড়াতে অসুবিধে নেই বলার মত নির্লজ্জতা দেখানো হয়না, এগুলোকে হয় অস্বীকার করা হয়,চেপে যাওয়া হয়, এগুলো সম্বন্ধে ভুল তথ্য দেওয়া হয় বা অগ্রাহ্য করা হয়, প্যারামিটার হিসেবে দেখানোই হয়না। কিন্তু হলেও ক্ষতি নেই, এটা বলার মত বাড়াবাড়িও করেনা।
  • Ekak | 24.99.197.41 | ১১ মে ২০১৪ ২৩:০৫638705
  • তাহলে ওই আত্মকন্ডুয়ন এর মধ্যেই বসবাস করুন । একটা সিস্টেম এর ভালনারেবিলিটি বিচার করতে হয় তার ই নিজস্ব প্যারামিটার ধরে সেটা আদৌ লং টার্মে সাস্তেইনেব্ল হচ্ছে কিনা সেটা দেখিয়ে । এরকম গোলা গোলা কথা লিখে সেটাকে লজিক বলে চালান বলেই সারা দেশ মোদীর পেছনে ছোটে কেও ফিরেও তাকায় না এসব "যুক্তি " শুনতে । আপনারা কি ভাবেন টা কি যা লিখেছেন এগুলো কেও জানেনা ? লোকজন গান্ডু ? তারা "ব্রেন ওয়াশ্ড " ? আসল ঘটনা এই গুলো আর প্যারামিটার নয় তাদের কাছে । তাই কেও পাত্তা দেয়না । যে কর্পোরেট মোদীর পেছনে দাঁড়িয়ে তাদের উদ্দেশ্য নতুন খনি অঞ্চল থেকে আদিবাসী তাড়ানো কারণ তাদের ডেভেলপমেন্ট এর প্যারামিটার আদিবাসী উন্নয়ন নয় । স কল্ড "সবাইকে নিয়ে বাঁচা " নয় । তারা কিস্স্যু বোঝেনা কীঈঈ বোকা এইসব তথ্য পড়ে জ্ঞান চক্ষু খুলবে এসব যারা ভাবে তারা মূর্খের স্বর্গে ।

    সেই বাংলাদেশী জোক মনে পড়ে গ্যালো । খলনায়ক নায়িকার পেছনে তাড়া করছে আর নায়িকা সুর করে বলছে " এই করে তুমি আমার সরীলডা পাইবা , মন পাইবা না " আর ওদিকে ডিপজল বাতাস কাম্পিয়ে হাসছে "ঐটাই তো চাই " !!!!!
    চালিয়ে যান । "মন পাইবা না "-র থিওরি লিখুন পাতার পর পাতা ।
  • সৌভিক | 24.99.85.7 | ১১ মে ২০১৪ ২৩:৫৫638706
  • @ একক দেখুন আমাদের রাজনীতিটা, তার প্যারামিটারটা সবাই মানবে কেন ? ধরুন টাটা বিড়লা মিত্তল গোয়েঙ্কা আম্বানীদের একরকম প্যারামিটার থাকবে। তারা মুনাফামুখী একটা মডেল চাইবে। কিন্তু তার মানে তো এটা নয় যে শ্রমিকরাও চাইবে তাদের মজুরী কমে যাক, সারপ্লাস ভ্যালুর ভাগ তারা পেতে চাইবে নিশ্চয়। এই কথাগুলো এত পরিচিত কথা, যে লিখতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু আপনি এমন সব কথা লিখছেন, যে লিখতে হচ্ছে। এমন কোনও একটা প্যারামিটার নিয়ে কথা হচ্ছে না, যেটার ক্লাস অ্যাঙ্গেল নেই। আমার বলা কথাগুলির প্যারামিটারের ক্লাস অ্যাঙ্গেলটা নিঃসংশয়ে ওয়ার্কিং ক্লাস অ্যাঙ্গেল। সেই অ্যাঙ্গেলটা ক্যাপিটালিস্ট ক্লাস বা সেই মতাদর্শে বিশ্বাসীরা মানতে চাইবে না, সেটা স্বাভাবিক। দুই পক্ষের আলাদা প্যারামিটারের মধ্যে তো একটা স্ট্রাগল হবেই। ক্লাস স্ট্রাগল। চিরকাল তা চলছে। হিস্ট্রি অব ম্যান কাইন্ড ইজ দ্য হিস্ট্রি অব ক্লাস স্ট্রাগল কথাটা দিয়েই তাই কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো শুরু হয়েছিল। আমি বা আপনি বুঝতেই পারছি আমাদের কথার স্ট্রাগলটার সূত্র ওই ক্লাস স্ট্রাগলের মধ্যে রয়ে গেছে। আমি তো শ্রমিককে বোঝাবই যে তোমার শ্রম চুরি করা হচ্ছে এই ব্যবস্থায়, তুমি অন্য ব্যবস্থার মধ্যে ভালো থাকবে। একবার ব্যর্থ হলে আবার বোঝাব, শতবার ব্যর্থ হলে শততম একবার বোঝাব। এটাই তো আমার পলিটিক্স, আমার আইডিওলজি। আর আমি কর্পোরেটদের বোঝাতে চাইছি শ্রম চুরি ভালো কাজ না, আদিবাসী উৎখাত ভালো কাজ না, এরকম আপনার মনে হল কেন ? মোদির পেছনে কারা কেন টাকা ঠেলেছে সেটা স্পষ্ট, সেখানে ক্লাস ইন্টারেস্ট আছে, কিন্তু মোদির পেছনে মাস হিস্টিরিয়া কোনও ক্লাস ইন্টারেস্ট জাত হতে পারে না, এটাই আমার গৃহীত প্যারামিটারের বক্তব্য। এই ইলিউশনটা দূর করাটাই অ্যাস এ কমিউনিস্ট আমার কাজ। ওই ফলস কনশাসনেস টা থেকে ওয়ার্কিং ক্লাস কনশাসনেস এ ওয়ার্কিং ক্লাসকে নিয়ে আসা। আর এই কাজটা আমরা যারা করতে চাইবো, তাদের ক্যাপিটালিজম এর মন্ত্রে আচ্ছন্নরা দারুণ বলেছেন ভাই বলবে, এটা কখনো হতে পারে ? এটা কখনো আশা করা যায় ?
  • robu | 122.79.38.57 | ১২ মে ২০১৪ ০০:১০638707
  • সৌভিক ১১ঃ৫৫ গুছিয়ে লিখেছেন। সুন্দর বক্তব্য।
  • pi | 24.139.209.3 | ১২ মে ২০১৪ ০০:২৫638708
  • কিন্তু কর্পোরেট মডেলও তো স্পষ্টভাবে , অন্তত মুখে স্বীকার করেনা যে তাদের মডেলে আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে বা শোষণ বাড়ছে। চাষী আত্মহত্যা করলে কোন অসুবিধে নেই, এটা তারা মুখে বলতে পারব্না। তাদের উন্নয়ন মডেলে এটাকে তারা লুকোবে বা অস্বীকার করবে বা ইগনোর করবে। সেখানে এই প্রশ্ন তাদের সামনে তোলা হলে তাদের জবাব দেওয়ার অক্ষমতাজনিত অস্বস্তিতে ফেলা যাবে বলেও মনে হয় বই কি। আর সেটাকে এক্সপোজ করাটা কেন ভুল ট্যাকটিক্স হতে যাবে ?
    সৌভিকের দেওয়া ঐ শ্রমিককে বোঝানোর যুক্তির সাথে সাথে আমার এই অ্যাঙ্গেল থেকেও এটাকে দরকারি মনে হয়।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১২ মে ২০১৪ ০০:২৯638710
  • কিন্তু এ আর নতুন কি। সারা ভারতেও তো একই মডেল। মানে বলতে চাইছি, সিঙ্গুরে টাটার কারখানা কি চাষী আত্মহ্ত্যা কমাতে পারে? যদি পারে, তাহলে গুজরাটেও পারে। আর যদি না পারে, তাহলে গুজরাটেও পারে না।
    প্রশ্নটা গুজরাট নিয়ে নয়, প্রশ্ন হল এই মডেলের অল্টারনেটিভ তো কেউ দিতে পারছে না, এমনকি লেফ্‌ট-ও এই মডেলই অনুসরণ করেছে।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১২ মে ২০১৪ ০০:৩৫638711
  • উন্নয়ন বলতে, লার্জ ইন্ডাস্ট্রি, বড় কোম্পানি আসবে, ইন্‌ভেস্ট করবে, তবেই, একমাত্র তবেই উন্নতি হবে -- এই ধারণায় তো সব পার্টিই সাবস্ক্রাইব করেছে - বাম/ডান নির্বিশেষে।
  • একক | 24.99.197.41 | ১২ মে ২০১৪ ০০:৪৪638712
  • আমি তো শ্রমিককে বোঝাবই যে তোমার শ্রম চুরি করা হচ্ছে এই ব্যবস্থায়, তুমি অন্য ব্যবস্থার মধ্যে ভালো থাকবে।

    সে মডেল টা কী ? POC আছে ? মোদীর তো POC আছে যা বিগ কর্পোরেটের উদ্দেশ্য সাধন করে এটলিস্ট । আপনার সঙ্গে যে ক্লাস আছে বলে ভাবছেন তাদের সামনে POC রাখুন্না ।
    এই ক্লাসিকাল থিওরি এগেইনস্ট ক্লাসিকাল থিওরি এটা একটা ছায়া যুদ্ধ । এদিয়ে কারো কোনো উপকার হয়না । বরং শত্রু ও একটা মজবুত ঢাল পায় ।
  • = | 127.194.202.119 | ১২ মে ২০১৪ ০১:০৮638713
  • চিন্তাবিদদের ইনভলভ করুন। বিশুদ্ধ থিওরিস্টদের। অল্টার্নেট মডেল ভাবুন। ডেভেলপ করুন। সময় নিন। ইমপ্লিমেন্টেশনের উপায় পরে ভাববেন। আগে কি কি করতে চান সেটা যথাযথ ডকুমেন্ট করুন। সেটা নিয়ে বিতর্ক করে সেটা এস্ট্যাবলিশ করুন। মডেল উদাহরণ নিন। অন্য যে কোনো দেশ বা স্টেট এর। উদা না থাকলেও চলবে। এইটা কমপ্লীট হয়ে গেলে তবে ইমপ্লিমেন্টেশনের কথা ভাবা যাবে। ভারতে। দরকারে আলাদা পার্টি বানিয়ে নেবো, আগে মডেল টা বানান।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১২ মে ২০১৪ ০২:০৬638714
  • থিওরিস্টদের নিয়ে মডেল বানাতে বানতে ভোর হয়ে যাবে। আর একটা অপশন হল আগে পার্টি বানিয়ে নেন, ভোটে জেতেন। তারপর মডেল হবে খন। - আপ মডেল।
  • এমেম | 127.194.243.7 | ১২ মে ২০১৪ ০৩:৪৪638715
  • সৌভিক ভালো লিখেছেন। পড়ার পর ‘গুজরাট ডেভেলপমেন্ট মডেল : এ রিয়েলিটি চেক' বইটি পড়তে ইচ্ছে করল। খুবই ভালো লাগলো।
  • এমেম | 127.194.243.7 | ১২ মে ২০১৪ ০৩:৫৬638716
  • পুরোটাই পড়লাম পিডিএফ এ। সৌভিক অথরের নাম বলেননি। বইটি লিখেছেন সন্তোষ কুমার।
  • কল্লোল | 111.63.222.167 | ১২ মে ২০১৪ ০৫:৪০638717
  • সৌভিক। বোঝা তো সবই গেলো। কিন্তু বিকল্প উন্নয়নের মডেলটা কি? সেটা না রাখলে লেখাটা শুধু গুজরাটের উন্নয়ন আসলে একটা মিথ্যাচার গোছের বাণীতে দাঁড়িয়ে যায়।
    গুজরাটের "উন্নয়ন"এর ধারা তো পশ্চিমবঙ্গেও চেষ্টা করা হয়েছিলো। করা যায় নি। কিন্তু তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই, পশ্চিবঙ্গে সেই "উন্নয়ন" করা সম্ভব হলো। তাহলে সেসব সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গও গুজরাটের মতোই "উন্নয়নের মিথ্যাচার" হয়ে যেতো কি?

    কারন আজ যারা গুজরাটে উন্নয়নের মিথ্যাচার নিয়ে সরব, ন্যানো গুজরাটে চলে যতে তারাই কিন্তু সখেদে বলেছিলেন - গুজরাট পারলো, আমরা পারলাম না।

    গুজরাট নিয়ে আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। কিন্তু তার পাল্টা মার্কসবাদী-লেনিনবাদী উন্নয়নের মডেলটা কি?
  • LT | 151.212.108.13 | ১২ মে ২০১৪ ০৬:০৭638718
  • Ei ta likhei ki Souvik Ghoshal Facebook Gurachandali'r Adminship pelo?
  • PT | 213.110.247.221 | ১২ মে ২০১৪ ০৭:৩৯638719
  • "মোদী, মুসলিম্স অ্যান্ড মিডিয়া-ভয়েসেস ফ্রম নরেন্দ্র মোদী'স গুজরট" বইটির প্রেক্ষিতে রবিবারের (১১ই মে) "এই সময়"-এ একটা আলোচনা আছে।

    "গুজরাটের "উন্নয়ন"এর ধারা তো পশ্চিমবঙ্গেও চেষ্টা করা হয়েছিলো"
    এই বাক্যটা বেশ মিসলিডিং। মানে অপরেশন বর্গা দিয়ে শুরু করে তারপরে বড় কারখানার দিকে যাওয়াটার নাম গুজরাট মডেল?

    "থিওরিস্টদের নিয়ে মডেল বানাতে বানতে ভোর হয়ে যাবে"-এই বাক্যটির সঙ্গে একমত। কেননা শুধু পব-তেই বোধহয় উন্নয়নের কয়েক ডজন "মার্কসবাদী-লেনিনবাদী" মডেল পাওয়া যাবে।
    (না, না ভুল হল! সম্প্রতি সুবোধ মমতার কাজকম্মকে "নিও-কমিউনিজম" আখ্যা দেওয়াতে মডেলের সংখ্যাটা কয়েক ডজন+১ হবে)।
  • দেব | 111.221.131.170 | ১২ মে ২০১৪ ০৯:০৭638721
  • সৌভিক চীনের সম্বন্ধে যা লিখেছেন খুব ঠিক। কিন্তু আমার প্রশ্নটা চীনে 'সমাজতন্ত্রের' পরীক্ষানিরীক্ষা নিয়ে নয়, ওদের অর্থনীতির মডেল নিয়ে ছিল। যে লোকগুলো ঐ বিশাল দেশটাকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বোকা ভাবার কোন কারণ নেই। এরা যদি বাধ্য হন ঐ পথে হাঁটতে, তার কারণটা কী?

    অল্টারনেটিভ মডেল নিয়ে প্রশ্ন করাই বেকার। দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ। কংগ্রেস, সিপিএম আর বিজেপির পার্থক্য শুধু রেটোরিকে।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন