এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সদ্যগঠিত বিজেপি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি এবং সেই সংক্রান্ত পদক্ষেপের সুফল কুফল

    pinaki
    অন্যান্য | ০৮ জুন ২০১৪ | ২৮০০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 125.241.16.108 | ১৫ জুন ২০১৪ ১৪:৪৪642863
  • আইবি রিপোর্টও তো মোদীর বক্তৃতা থেকে টোকা।
    সেটা নিয়ে ইন্টারেস্ট আছে বল্লেন যে।
    Name: jhiki IP Address : 149.194.244.100 (*) Date:15 Jun 2014 -- 09:03 AM
    "একটা জিনিস বোধহয় প্রমাণ হয়, ঈ রিপোর্ট দল নিরপেক্ষ ঃ))"

    প্রমাণ হয় কি?
    IB report about dangers of NGO activity plagiarised from Modi speech
    The 21-page Intelligence Bureau report claiming that foreign-funded NGOs threaten India’s economic security plagiarised sections of a speech Prime Minister Narendra Modi made in 2006,
    http://indianexpress.com/article/india/politics/ibs-ngo-scare-report-to-modi-plagiarises-from-old-modi-speech/

    সরকারে যে থাকে আইবিটাইবি তাদেরই সেবা করে মাত্র।
  • pi | 233.176.57.239 | ১৫ জুন ২০১৪ ২০:৩৩642865
  • রাজ্যসভা টিভি দেখুন। এনিয়ে আলোচনা চলছে।
  • kd | 151.0.11.33 | ১৫ জুন ২০১৪ ২০:৩৩642864
  • Name: PT IP Address : 213.110.247.221 (*) Date:09 Jun 2014 -- 08:29 আম
    কেউ "সিপিএম করলে চাগ্রী হবে" এই ভেবে দল করতে এলে সেটা তার সমস্যা। হাজার হাজার চাগ্রী সৃষ্টির যে গপ্প এখন প্রতিদিন শুনি, বাম আমলে কোন নেতা মন্ত্রীকে কখনো প্রকাশ্যে সেরকম চাগ্রীর পিতিগ্গে করতে শুনিনি। এই অসত্য ইতিহাস নতুন করে সৃষ্টি না করলেই ভাল

    তার মানে PT বাম আমলে সঅঅঅঅব নেতা মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে বলা কথা শুনেছেন ৷ ওয়াও! হাতে নিশ্চই অনেএএএএক সময় - মানে সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে সকলের লেকচার শোনা, বেশ খাটনির ব্যাপারও ৷

    মজার কথা, আমি খুব কম নেতাদের লেকচার শুনেছি আর তার মধ্যেই এটা শুনেছি ৷ আরও মজার কথা, আমার পাড়ার দু'জন এই করেই (মানে পাট্টি করেই) চাকরি পেয়েছে (কোন যোগ্যতা ছিল বলে খবর নেই) - কাজের জায়গাতেও শুধু ইউনিয়ন করে ৷ আরও আরও মজার কথা, এখন এরা তিনো - কাত্তিকের চেলা ৷
  • pi | 233.176.49.255 | ১৫ জুন ২০১৪ ২০:৪১642866
  • গ্রীনপিসের ভারতী সিন্হা অনেক প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন
    এবার হর্ষ মন্দার বলবেন।
  • কল্লোল | 111.63.153.75 | ১৫ জুন ২০১৪ ২২:২১642867
  • গ্রীণ্পিসের কাজকম্মো।
    http://www.greenpeace.org/international/en/about/history/Victories-timeline/
    এতো দেখি সারা পৃথিবী জুড়েই বহু কাজে ব্যাগড়া দেয়। অস্ট্রেলিয়ায় কয়লাচালিত তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ করেছে। আলস্কায় ইউএসএর নিউক্লিয়ার টেস্টিং গ্রাউন্ড বন্ধ করেছে। মৌরুয়া এটোলে ফ্রান্সের নিউক্লিয়র টেস্টিং বন্ধ করিয়েছে। বারবেরীকে বিপজ্জনক রাসায়নিক ব্যবহারে নিরস্ত করেছে।
    এখন কথা হলো এগুলো কোন বিদেশী ফান্ডিংএ হয়েছে?
  • কল্লোল | 111.63.153.75 | ১৫ জুন ২০১৪ ২২:২৭642868
  • Name: jhiki IP Address : 149.194.251.166 (*) Date:14 Jun 2014 -- 10:26 PM
    এগুলো তো সবই কাগজে পড়া, যেটা ঐ আর্টিকেলে আছে সেটাই নতুন জিনিস পড়লাম। একথা তো আপনিও মানেন যে একটা পচা আপেল ঝুড়ির সব আপেল পচানোর ক্ষমতা রাখে।

    তুলনাটা ঠিক হলো না। এনজিওরা আপেল নয়। আপেল নড়তে চড়তে পরে না। ভাবতেও পরে না। তাই পচা আপেলের সান্যিধ্য থেকে দূরে সরে যেতে পরে না। এনজিওরা পচা এনজিওর থেকে দূরে সরে যেতে পরে, তাই অন্য পচা এনজিওর কারনে পচে যায় না।
  • dd | 132.171.72.69 | ১৫ জুন ২০১৪ ২২:৩০642869
  • আমি,আমি না, অনেক্ষন ধরে খুব কষ্টো করে অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম, দেখলাম যে,এ বিষয়ে আমার একটু ও কোনো মতামত নেই।

    খুব খারাব লাগলো। কিন্তু এটা ফ্যাক্ট।
  • Ranjan Roy | ১৬ জুন ২০১৪ ০৯:০৯642870
  • কমা যদি এনজিও খুলে মাসে হাজার চারেক ডলার আশা করেনঃ
    -------------------------------------------------------------
    ১)প্রত্যেক এনজিও'র মেমোর‌্যান্ডাম এ তাদের কাজকম্মের উদ্দেশ্য/লক্ষ্য সব দেয়া থাকে। ব্রোশারে মিশন ও ভিশন স্টেটমেন্ট দেওয়া থাকে।
    ২) প্রতিবছর সি এ ফার্মকে দিয়ে অডিট করাতে হয়।
    ৩) সেসব নিয়ে নির্ধারিত ফর্ম্যাটে রেজিস্টার অফ ফার্মস অ্যান্ড সোসাইটিজ এর কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হয় ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি বজায় রাখতে, প্রায় ট্রেড ইউনিয়নের মত।
    ৪) ফান্ড/গ্র্যান্ট্স এর জন্যে কোন ফান্ডিং এজেন্সির( দেশি বা বিদেশি) কাছে আবেদন করতে হলে প্রোজেক্ট রিপোর্ট এর সঙ্গে সংস্থার সংবিধান ইত্যাদি ছাড়া তিন বছরের অডিট রিপোর্ট ব্যাংক স্টেটমেন্ট পাঠাতে হবে।

    ফান্ডিং এজেন্সি কী দেখবে?
    -----------------------------------------
    ১) প্রোপোজালে যে প্রোজেক্টের কথা বলা হয়েছে সেই প্রোপোজ্ড অ্যাক্টিভিটি সংস্থার ঘোষিত লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না!
    ২) সংস্থার ট্র্যাক রেকর্ড-- অর্থাৎ এই কাজটি করার মত অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সামর্থ্য ওদের আছে কি না!
    ৩) সংস্থার পরিচালক লোকগুলো কেমন? ট্র্যাক রেকর্ড! ওদের কিছু ইন্টরভিউ নেবে ফান্ডিং এজেন্সি।
    ৪) ফান্ডিং এজেন্সির এক্সপার্টরা প্রোপোজালের কাগজ ছাড়াও নিজেরা ফিল্ডে এসে দেখবে যে এনজিও যা যা বলছে তা বাস্তবে কেমন?
    ৫) সবকিছু পজিটিভ হলে ফান্ডিং এজেন্সির কর্তারা মিটিং এ দেখবে ওদের বাজেটের কি অবস্থা? এ বছরের প্রায়রিটি কী? কতগুলো প্রোপোজাল আছে ? কাকে কাকে দেওয়া যায়? কতখানি দেওয়া যায়? কয় ভাগে দেওয়া হবে?
    ৬) এনজিও র দিক থেকে ইম্পর্ট্যান্ট হল ওই স্যাংশন এ কতটা প্রোজেক্ট কস্ট আর কতটা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কস্ট? অর্থা`ৎ কমা ও তার বন্ধুরা নিজেদের মাইনেপত্তর,অফিসের ভাড়া, বিদ্যুৎ, ইলেকট্রিসিটি, কম্পিউটার,স্টেশনারী বাবদ কতটুকু খরচা করতে পারেন?
    ৭) এরপর কাজ শুরু হলে প্রত্যেক তিন বা চারমাসে ফান্ডিং এর কর্তারা ওদের অফিসারদের পাঠিয়ে কাজের প্রগ্রেসের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন ও ফান্ডের খরচের অডিট করাবেন। প্রজেক্ট কস্টের ফান্ড থেকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জন্যে খরচ করা ব্রহ্মহত্যার মত পাপ ধরা হয়।
    তাতে ফান্ডিং এজেন্সি টাকা ফেরত চাইতে পারে, বাকি টাকা আটকে দিতে পারে এবং এনজিও বাজারে এদের ব্ল্যাকলিস্টেড করতে পারে।
  • Ranjan Roy | ১৬ জুন ২০১৪ ০৯:২১642871
  • @ঝিকি,
    অবশ্যই অনেক এনজিওর টাকা আছে। কিন্তু সেগুলো খোলামকুচির মত খরচ করার জন্যে নয়। তাদের কাজের ভল্যুম এবং স্প্রেড এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ।টেকনিক্যাল বা হিউম্যান রিসোর্স এর কনসাল্ট্যান্ট রাখা তার মধ্যেই পরে।

    যেমন কোলকাতার সোনাগছির সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থ্য- অধিকার ও বিকাশের কাজে ফোকাসড "দুর্বার" এনজিও। প্রতিষ্ঠাতা ডঃ স্মরজিৎ জানা।
    ওদের বিশাল বাজেট। কাজও বিশাল। ওদের নিজস্ব পাব্লিকেশন, নিঃশুল্ক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা, বাচ্চাদের পড়াশুনো ও পুনর্বাস।
    এবার হাইকোর্টে কেস জিতে নিজেরা ঘটা করে দূর্গাপূজো করালো।
    ওদের আমেরিকা-ইউরোপ থেকে গ্র্যান্ট আসে। ডকুমেন্টারি তৈরি হয়।
    কিন্তু সেগুলো কি দেশবিরোধী কাজ?
    একটা কথা।
    কং-বিজেপি-আপ-কম্যু সব দলেরই ফরেন কন্ট্রিবিউশন নেওয়ার ব্যবস্থা আছে--- তাতে দোষ নেই।
    কিন্তু এনজিও ফরেন গ্র্যান্ট পেলেই চরিত্রদোষ দেখতে হয় কেন?
  • কমা | 125.187.45.217 | ১৬ জুন ২০১৪ ০৯:২৭642873
  • রন্জনকাকুর আর অন্যদের পোস্ট কালকেও পড়েছি, আজকেও মন দিয়ে পড়্লাম বিশেষ করে রন্জনকাকুর পোস্ট্গুলো তো আজ বন্ধুদেরও পড়াবো। এনজিও নিয়ে এতো কিছু আইডিয়া সত্যিই ছিল না (এটা লেখার জন্য নিশ্চয়ই আবার কল্লোলবাবুর গালি খাবো ঃ)। আমরা দুএকবার নিজেদের মধ্যেই মজাক করে এনগিও খোলার কথা ভেবেছি তবে রন্জনকাকু লাস্ট পোস্টে যেগুলো বললেন অতো বড়ো করে একেবারেই ভাবিনি। ছোটখাটো কিছু হয়তো খুললাম একবছর দু বছর পর টাকা নিয়ে পালালাম এরকম একটা কিছু ভেবেছিলাম। সিরিয়াসলি কিছু ভাবিনি তবে এগুলো জেনে রাখা ভালো, বন্ধুরাও এই নিয়ে আলোচনা করবো সিরিয়াসলি এটা নিয়ে কেরিয়ার করা জায় কিনা।
  • Ranjan Roy | ১৬ জুন ২০১৪ ০৯:২৯642874
  • আচ্ছা, মোদি নাকি ডিফেন্স এ ১০০% এফ ডি আইয়ের পক্ষে? মানে প্রতিরক্ষার অস্ত্র-শস্ত্র শুধু বিদেশি সরকার নয়, বিদেশি অস্ত্র ব্যব্সায়ীদের থেকেও নেয়া যাবে?
    এটা কি কাম্য? অন্য দেশ গুলো এই ব্যাপারে কী করে? আমি জানি না। কেউ বলুন। এলসিএম? দ্রি?
  • কমা | 125.187.45.217 | ১৬ জুন ২০১৪ ০৯:৩৪642875
  • কং-বিজেপি-আপ-কম্যু সব দলেরই ফরেন কন্ট্রিবিউশন নেওয়ার ব্যবস্থা আছে--- তাতে দোষ নেই।
    কিন্তু এনজিও ফরেন গ্র্যান্ট পেলেই চরিত্রদোষ দেখতে হয় কেন?

    এটা মাইরি এক্কেবারে ঠিক কথা কিন্তু। এটা আমার চেনাজানা দুএকজনকে জিগ্যেস করবো তারা পাট্টিরই লোক দেখি কি বলে।
  • jhiki | 149.194.243.50 | ১৬ জুন ২০১৪ ০৯:৫৫642876
  • আমার কোন পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে আমি NGO র টাকা থাকা বা টাকা জোগাড় করাকে খারাপ চোকে দেখি, আবার বোল্ড এবং আন্ডারলাইন করে লিখি আমি NGO ভালো/ খারাপ এই ব্যাপারে বিন্দুমাত্র উৎসাহী নই, তবে IB রিপোর্ট আর ঐ প্রতিবেদনের সাপেক্ষে নিশ্চয় কিছু প্রমাণ আছে, তাই ঐ দুটো বিশ্বাস করছি। আগেও লিখেছি অবার লিখছি এখানে NGO প্লেসহোল্ডার, যদি অন্য কোন ধরণের সংস্থার নামে সময়মত মাইনে দেয়না ধরণের লেখা কোন বহুল প্রচারিত কাগজে ছাপা হয়, বিশ্বাস করব।

    আর সব NGOকে IB বা আবাপর লেখা, কেউ-ই দোষী বলেনি, আপনারা যারা NGO মুভমেন্টের সাথে যুক্ত, তারা এত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন কেন?
  • কল্লোল | 116.66.157.243 | ১৬ জুন ২০১৪ ১৩:৪৯642877
  • জিকি।
    কারন যে আইবি রিপোর্টের উপর আপনার এতো আস্থা, সেটা মোদীর ২০০৬এর একটা বক্তৃতা থেকে টোকা। যার লিংক আগেই দিয়েছি। চাইলে আবার দিতে পারি। আইবি রিপোর্টে, খুব স্পষ্টভাবে গ্রীণপিসের নাম এসেছে। তাদের কাজকর্ম সারা পৃথিবী জুড়ে। পরিবেশ বিপন্ন হয় এমন যেকোন কাজে যেকোন দেশে তারা প্রতিবাদ করে, আন্দোলন সংগঠিত করে, ও বহু ক্ষেত্রে সেসব পরিবেশবিরোধী কার্যকলাপ আটকে দিতে সফল। এগুলোরও লিংক আগে দিয়েছি। চাইলে আবার দিতে পারি।
    একটা আন্তর্জাতিক সংগঠন নানান দেশ থেকে সাহায্য পায়। আমি প্রতি তিন মাসে এদের একটা নির্দিষ্ট টাকা দিতাম।
    এদের ক্ষেত্রে বিদেশী ফান্ড মানে কি?
    ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইউএসএ, বারবেরী(কোং), শেল(কোং) সবের নানা বিষয়ে ব্যাগড়া মেরে, সেগুলো বন্ধ করেছে। এক্ষেত্রে কি আমার টাকাটা বিদেশী ফান্ড বলে ধরা হবে?
    হ্যাঁ। আপনার অবগতির জন্য - আমি কোন এনজিওতে যুক্ত নই।
  • কল্লোল | 116.66.157.243 | ১৬ জুন ২০১৪ ১৩:৫১642878
  • ঝিকি।
    এহে। খুব দুঃখিত। আপনার নামটা জিকি হয়ে গেছে। কিছু মনে করবেন না। টাইপো।
  • pi | 174.100.105.213 | ১৬ জুন ২০১৪ ২০:৫৯642879
  • 'আমার কোন পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে আমি NGO র টাকা থাকা বা টাকা জোগাড় করাকে খারাপ চোকে দেখি, আবার বোল্ড এবং আন্ডারলাইন করে লিখি আমি NGO ভালো/ খারাপ এই ব্যাপারে বিন্দুমাত্র উৎসাহী নই, তবে IB রিপোর্ট আর ঐ প্রতিবেদনের সাপেক্ষে নিশ্চয় কিছু প্রমাণ আছে, তাই ঐ দুটো বিশ্বাস করছি। আগেও লিখেছি অবার লিখছি এখানে NGO প্লেসহোল্ডার, যদি অন্য কোন ধরণের সংস্থার নামে সময়মত মাইনে দেয়না ধরণের লেখা কোন বহুল প্রচারিত কাগজে ছাপা হয়, বিশ্বাস করব।

    আর সব NGOকে IB বা আবাপর লেখা, কেউ-ই দোষী বলেনি,'
    --------------------

    কিন্তু ঝিকিদি নিজেই তো এরকম কিছুই বলেছিল ঃ)

    ' একথা তো আপনিও মানেন যে একটা পচা আপেল ঝুড়ির সব আপেল পচানোর ক্ষমতা রাখে।
    '

    আর এই পচা আপেল থিয়োরি আশা করি সবার জন্যেই প্রযোজ্য। বিজেপির একজন নেতা খারাপ হলে গোটা বিজেপি কেই নিশ্চয় খারাপ বলবে ঝিকিদি ঃ)
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ১৬ জুন ২০১৪ ২১:৫৫642880
  • আমার এক বন্ধু, ফেসবুকে দেখতাম আচ্ছে দিন নিয়ে খুব উলুতপুলুত। তো দিন দুয়েক আগে দেখি সুর কেটে গেছে। কি ব্যাপার, না সে দশ বছর ধরে গ্রীনপিসকে টাকা দেয়, মোদী কি করে গ্রীনপিসকে খারাপ বলেন। মজটা হলো, গ্রীনপিসের নামটা না ওঠা পর্যন্ত সে ঐ ষড়যন্ত্রকারী উন্নয়নবিরোধী ফান্ডাটা ভালোই সমর্থনন করছিল, কিন্তু এইবার, দশ বছর ধরে পয়সা দিলাম, এই ব্যাপারটা আঁতে লেগে গেছেঃ)
    (আমি আবার গ্রীনপিসের ব্যাপারে সামান্য একটু সন্দেহপিচাশ, তবে সে এমন কিছু না, কারনটা যে কি তাও এখন আর মনে পড়ছে না)

    আচ্ছা, সিপিয়েমও খুব এনজিও বিরোধী না? যতদূর মনে পড়ে একটা সময় এনজিওদের পেছনে সিয়ার কালো টাকা নিয়ে একটা সময় ভালোই কথাবার্তা হতো।

    বিজেপি বিষয়ে, একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস, আমি প্রসাশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কিছু আদারওয়াইজ বাম ঘেঁষা লোকজনকে দেখেছি যাঁরা বাজপেয়ীর জমানা নিয়ে ইম্প্রেসড। সবই ভালো এমন না ভাবলেও সোনালী চতুর্ভুজ (সত্যেন্দ্র দুবে মনে রেখেও), বা সর্বশিক্ষা মিশন, এইসবের ফলে আশাবাদী। তো ঐ সৈকতদার লেখা প্রসাশনিকতার ব্যাপারটা আসছে। আমার স্যাম্পল সাইজ অতি ক্ষুদ্র যদিও, আর সবই মোটামুটি এক সার্কেলের লোকজন, তো চিন্তাভাবনার মিল তো থাকবেই।

    সব মিলিয়ে খুব বিটকেল অবস্থা।

    আইবি শুনে একেবারে অপ্রাসঙ্গিক একটা গল্প মনে পড়ে গেল।

    ষাটের দশকে আগরতলায়, যতদূর মনে পড়ে নৃপেন চক্রবর্তীর বাড়ির পাশে ক্লাবের ছোকরারা খেলাধুলার শেষে প্রাত্যহিক গজল্লা করতো, সেই দলে আমার বাবা ছিল। তো সেখানে আইবির টিকটিকির উৎপাত হয়, ছোকরাদের ঠেকের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আইবির লোক নৃপেন বাবুর বাড়ির ওপর নজর রাখতো। তো ক্লাবের ছেলেরা একবার নেহাৎ বোর হয়ে গিয়ে সেই আইবির লোককে ধরে উত্তাল কেলিয়ে দেয়। বিশেষ কিছু না, ঠেকের পাশে আরবিট লোক কেন দাঁড়িয়ে থাকবে, পাড়া বেপাড়া এইসব ধরনের ইস্যুতেই।
    তারপরের ঘটনা আর শ্যামলালকে বলা হয়নি, অনুমান করি ব্যাপারটা ম্যানেজ করতে কিছু কাঠখড় পুড়েছিল। তবে নতুন করে নাকি আর আইবির নজরদার আসে নি। (বা এলেও হয়তো ভালো ছদ্মবেশে এসেছিল, কে জানে)
  • pi | 174.100.105.213 | ১৬ জুন ২০১৪ ২২:০০642881
  • এইটা নিয়ে একটু বিজেপি সমর্থকদের মতামত জানতে চাই ঃ)

    Amidst this debate about non-profits, one fact seems to have gone largely unremarked upon: India’s biggest NGO, one that played a crucial role in installing Modi as prime minister, also receives foreign funds.

    The Rashtriya Swayamsevak Sangh, which has an estimated 2.5 million members, created an army of panna prabharis to help Modi during the election campaign. Each prabhari was entrusted with contacting voters on a single page of the electoral rolls and getting them to the polling booth. As Scroll.in has reported, this strategy paid rich dividends.

    Modi’s wariness of foreign-funded NGOs evidently does not extend to the RSS, of which he has been a member since 1971. In 2002, a report titled The Foreign Exchange of Hate: IDRF and the American Funding of Hindutva, put together by a group called The Campaign To Stop Funding Hate, documented how the India Development and Relief Fund, a charity based in the US state of Maryland, was funnelling funds to Sangh institutions in India. It claimed that the IDRF had sent more than $3 million to Sangh institutions in the seven years before the report was published.
  • সিকি | ১৬ জুন ২০১৪ ২২:১৮642882
  • কমার বক্তব্য - " কং-বিজেপি-আপ-কম্যু সব দলেরই ফরেন কন্ট্রিবিউশন নেওয়ার ব্যবস্থা আছে--- তাতে দোষ নেই।"

    বাকিদের কথা জানি না,অন্তত আপ-এর কথা জানি, তাদের টাকা তোলার পদ্ধতিটা অত্যন্ত ট্রান্সপ্যারেন্ট, ওদের ফরেন কন্ট্রিবিউশন নেবার কোনও ব্যবস্থাই নেই। সমস্ত কন্ট্রিবিউশনের জন্য প্যান কার্ড নাম্বার বা ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট নাম্বার দেওয়া জরুরি - যেটা অভারতীয়দের কাছে থাকতেই পারে না।
  • S | 81.191.150.74 | ১৬ জুন ২০১৪ ২২:৫৯642885
  • বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়, মানে NRI দের কন্ট্রিবিউশন কি ফরেন কন্ট্রিবিউশন হিসাবে ধরা হয় ?
  • pi | 174.100.105.213 | ১৬ জুন ২০১৪ ২৩:৩৮642886
  • উদয়কুমারের চিঠি।

    যেভাবে আইবি রিপোর্টে আমার নাম ধরে চিহ্নিত করা হয়েছে উন্নয়নের শত্রু হিসেবে, তাতে আমি আমার প্রাণহানির আশঙ্কা করছি : উদয়কুমার

    পটভূমিকা
    ভিকি নানজাপ্পা নামে একজন ৯ জুন রেডিফ ডট কমে একটা প্রবন্ধ লেখেন, ‘ ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ সরকারকে সতর্ক করল ‘ দুরভিসন্ধিমূলক’ এনজিও-গুলি থেকে’ নামে। ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ বা আইবি-র গোপন নথি থেকে নেওয়া মূল বক্তব্য এরকম :
    ‘ এই দেশের সক্রিয় ৮৫ হাজার এনজিও-র মধ্যে অনেকগুলিই বিদেশি টাকায় বিভিন্ন ‘ দুরভিসন্ধিমূলক’ কার্যকলাপ চালায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন আটকে দেওয়ার জন্য। সম্প্রতি আইবি-র রিপোর্টে এই অভিযোগ জানানো হয়েছে।’
    ‘ এক এনজিও সবচেয়ে বেশি বাধা দিয়েছে কুডানকুলাম পরমাণু প্রকল্পে। ওখানে যে প্রতিবাদ হয়েছে তা অনেক ইন্টেলিজেন্স সংস্থাকে ধাঁধায় ফেলে দিয়েছিল। আইবি সে সময় সরকারকে জানিয়েছিল, একটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এনজিও এই প্রতিবাদ সংগঠিত করায় অভিযুক্ত। যদিও ইউপিএ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটা বিবৃতি দিয়েছিল এই মর্মে, আর কিছু করেনি। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর, আইবি ফের এই ব্যাপারটা তুলছে এবং এই এনজিও-গুলির বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে।’
    ‘ এই এনজিও-গুলি আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি ও অন্যান্য দেশ থেকে ফান্ড নিয়ে দেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিতে গণ্ডগোল পাকায়।’
    ‘ আগে এই এনজিও-গুলো জাতপাত, ধর্ম এবং মানবাধিকারের ভিত্তিতে ভাঙন ধরিয়েছিল। আজ তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতিবাদ সংগঠিত করে বড়ো বড়ো প্রকল্পগুলি আটকে দেওয়ার জন্য।
    ‘ এই এনজিওগুলি কিছু ইউনিয়নের সঙ্গে মিলে কাজ করে এবং সেগুলিকে টাকা দিয়ে প্রতিবাদ সংগঠিত করে।’
    ‘ এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ধর্মান্তরকরণের একটি বিশাল র‍্যাকেট কাজ করছে এবং বিপুল অর্থ বিদেশ থেকে আসছে এই এনজিও-গুলোর মাধ্যমে মানুষকে ধর্মান্তরকরণে আকৃষ্ট করার জন্য।’
    ‘ এই বিষয়গুলো সামাজিক বিভাজন তৈরি করছে, যার ফলে নিরন্তর ঝামেলা থাকছে যা মারপিট প্রবণ অঞ্চলের বৃদ্ধির জন্য খারাপ।’
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সহকারী সম্পাদক প্রিয়দর্শী সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকে আমাকে ইমেল করে বলেন, আমরা ভারত সরকারের একটি এজেন্সির কাছ থেকে একটি রিপোর্ট হাতে পেয়েছি যাতে পরমাণু বিরোধী প্রতিবাদে আপনার ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করেছে। আমরা রিপোর্টের নিম্নলিখিত দুটি অংশের ওপর বিশেষ করে আপনার মতামত জানতে চাইছি।
    ১) ‘ উদয়কুমার সম্পর্কে একটা অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, তার আমেরিকা ও জার্মানির সঙ্গে গভীর ও ক্রমবর্ধমান যোগাযোগের কথা। ২০১০ সালের জুলাই মাসে উদয়কুমার ‘ কিরওয়ান ইন্সটিটিউট অব স্টাডি অব রেস অ্যান্ড এথনিসিটি’-র কাছ থেকে না চাইতেই একটি দায়িত্ব পান — আমেরিকার ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি-তে গোষ্ঠী, জাত, শ্রেণী এবং গণতন্ত্রের ওপর এনজিও-গুলির পরামর্শদাতার। তাকে ২০১১-র জুন মাস পর্যন্ত ২১,১২০ ডলার দেয় সংস্থাটি, তার আমেরিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এছাড়া তাকে ২০১২ সালের এপ্রিল অবধি আরও ১৭,৬০০ ডলার দেওয়ার কথা হয়, একটি করে পাক্ষিক রিপোর্টের বিনিময়ে।’

    ২) ‘ … উদয়কুমারের জার্মানিতে যোগাযোগের সূত্রে ধরেই আসা এক জার্মান, সনটাগ রাইনার হেরম্যান-কে ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চেন্নাই থেকে ভাগিয়ে দেওয়া হয়। হেরম্যানের ল্যাপটপে ভারতের একটি স্ক্যান করা মানচিত্রে ১৬টি পরমাণু প্রকল্পের (বর্তমান বা প্রস্তাবিত) এবং পাঁচটি ইউরেনিয়াম খনির অবস্থান চিহ্নিত করা ছিল খুব স্পষ্ট করে। এই মানচিত্রে আরও ছিল — পঞ্চাশজন ভারতীয় পরমাণু-বিরোধী আন্দোলনকারীর নাম — হাতে লেখা, এবং তাদের ব্ল্যাকবেরি ফোনের সাংকেতিক চিত্র। এই মানচিত্রটি উদয়কুমার সহ পাঁচজন প্রমুখ পরমাণু বিরোধীর কাছে পাঠানো হয়েছিল ইমেল করে।’
    আমার উত্তর :
    এটা হাস্যকর এবং মানহানিকর দাবি যে আমি এনজিও-গুলোর মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ এবং আমি তাদের ‘পাক্ষিক রিপোর্ট’ পাঠাই। বাস্তবে, আমি ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফ দি কিরওয়ান ইন্সটিটিউট ফর দি স্টাডি অব রেস অ্যান্ড এথনিসিটি’-র একজন ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা গবেষক হিসেবে কাজ করেছি আমেরিকার ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি-তে। কিরওয়ান ইন্সটিটিউটের অধিকর্তা জন এ পাওয়েল, নাগরিক অধিকারের বিষয়ে একজন নামকরা পণ্ডিত, যে আমাকে ‘মিনেসোটা-মিনেপলিস ইউনিভার্সিটিতে ইন্সটিটিউট অন রেস অ্যান্ড পভার্টি’-তে কাজ দিয়েছিল, ১৯৯৭-এর শরৎ থেকে ২০০১-এর বসন্ত অবদি। আমি তার সঙ্গে কাজ করেছিলাম সহ-গবেষক ও প্রোগ্রামের সহকারি অধিকর্তা হিসেবে। সে কারণেই তিনি আমাকে কিরওয়ানের কাজটায় মনোনীত করেন। আমি সে কারণে আমেরিকার কলম্বাসের ওহিও-তে গিয়েছি কয়েকবার। কিরওয়ান ইন্সটিটিউটের জন্য আমি অনেক গবেষণা ও লেখালেখির কাজ করেছি, বিশ্বায়ন, জাতপ্রথা, সংখ্যালঘু কল্যাণ, ব্রিক রাষ্ট্র প্রভৃতি নিয়ে। আমি কখনও ভারতের উন্নয়ন বা পারমাণবিক প্রকল্পগুলি নিয়ে কোনো গবেষণা বা প্রজেক্ট করিনি। আমি ২০১১ সালের বসন্তকালে ওই গবেষকের চাকরি ছেড়ে দিই, যখন কিরওয়ান ইন্সটিটিউটের প্রশাসনে বদল হয়।
    একইভাবে সনটাগ রেইনার হেরম্যান আমার জার্মানির যোগাযোগ নয়। তিনি তামিলনাড়ুর নাগেরকয়েল, আমার জন্মশহর সূত্রে পরিচিত। তিনি হিপিদের মতো নাগেরকয়েলের একটি সস্তা হটেলে থেকে পরমাণু বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতেন। আমি তার থেকে কোনো তথ্য বা মানচিত্র বা আর্থিক সহায়তা নিইনি। তাকে ওসব কিছু দিই-ও নি। যদি তিনি সত্যিই কোনো ক্ষতিকর বা বেআইনি কাজ করেই থাকেন, তাহলে কর্তৃপক্ষ কেন তাড়াহুড়ো করে তাড়ালো কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে? যখন তাঁকে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাগানো হয়, তখনও আমি এই প্রশ্নগুলো তুলেছিলাম।
    আমার মতে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে ভাবতেই হবে, চাষি ও মৎস্যজীবী সহ ভারতের ‘সাধারণ নাগরিক’দের নিজেদের মগজ আছে এবং তারা নিজেরাই বুদ্ধিদীপ্ত অবস্থান নিতে পারে। বিশেষ করে তাদের ঘরের পাশেই যদি পরমাণু পার্কের ভয়ঙ্কর প্রকল্প বানানোর কথা হয়। আমাদের মধ্যে যারা উঠে দাঁড়াই, কথা বলি এবং গরীব মানুষদের জমি, জল, বায়ু, সমুদ্র, খাদ্য এবং পুষ্টি সুরক্ষার চেষ্টা করি, তাদেরকে বিদেশি চর, অর্থ তছনছকারী, বা চোরাচালানকারী হিসেবে অপমান করা উচিত নয়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এই সরল সত্যটাকে মানা উচিত, আমরা এই দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসি বলেই এসব করি। এভাবে যদি আমাদের মতো সৎ, দায়িত্বশীল এবং আইন-মেনে-চলা নাগরিকদের অসদাচারণ করা হয়, গাল দেওয়া হয় এবং হয়রান করা হয় — তাহলে তা যুব সম্প্রদায়কে ভুল শিক্ষা দেবে এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত হবে।
    এই আইবি রিপোর্টে সমস্ত ধরণের হাওয়ালা (বেআইনি) আদানপ্রদান, ধর্মান্তর, জাতের সংঘর্ষ, সন্ত্রাসবাদ, উন্নয়নমূলক কার্যকলাপে বাধা, জাতীয় অর্থনীতির ভেঙে পড়া — সমস্ত কিছুর জন্য দায়ী করা হয়েছে বিভিন্ন এনজিও এবং তাদের কার্যকলাপকে। আমাদের দেশের বহুত্ববাদী মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে এটা খারাপ। আমি ভয় পাচ্ছি, আইবি রিপোর্টের এই ফ্যাসিস্ট পূর্বধারনা হলো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, জন-আন্দোলন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর চরম আঘাতের আবাহন। এই রিপোর্টে যেভাবে আমাকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়ে নাম ধরে, তাতে আমি আমার প্রাণহানি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আশঙ্কা করছি। দয়া করে কিছু করুন।

    http://songbadmanthan.com/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE/
  • ঈশান | ১৭ জুন ২০১৪ ০২:১৭642887
  • এনজিও মানে তো অ-সরকারি-প্রতিষ্ঠান। মূলতঃ অলাভজনক। তা এরা টাকা নয়ছয় করছে মনে করলে মোদী সরকার সমস্ত অনুদানের খুঁটিনাটি প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করুক না। অবশ্যই তার মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দল, আর-এস-এস সবকিছুই পড়বে। মোদী সরকার স্বচ্ছতা চাইলে, এবং যথেষ্ট বুকের পাটা থাকলে এটা করে দেখাক না। নিশ্চয়ই সাধুবাদ জানাব।

    শ্রম আইন নিয়েও একই কথা। কথা যখন উঠছে, হতেই পারে কোনো কোনো এনজিও শ্রম-আইনকে ফাঁকি দিয়ে বা শ্রম আইনের ফাঁঅফোকর ব্যবহার করে তাদের কর্মচারীদের ঠকাচ্ছে। মোদী সরকার শ্রমের ডিগনিটি নিয়ে খুবই চিন্তিত হয়, সত্যি সত্যিই হয়, তো কথা শ্রম আইন করে এবং যথাযথভাবে ইমপ্লিমেন্ট করে দেখাক না। তবে সেক্ষেত্রে শুধু এনজিও ধরলে তো হবেনা, শ্রম আইনের আওতায় সব সংগঠিত (এবং হয়তো অসংগঠিত) ক্ষেত্রও আসবে। শিল্পপতি, এস-ই-জেড, সব। মোদী সরকার এটা ইমপ্লিমেন্ট করুক, আবারও দু-হাত তুলে সাধুবাদ দেওয়া হবে।

    কিন্তু সামগ্রিকভাবে একটা আইন আনার এবং তাকে কার্যকরী করার বদলে পিক-অ্যান্ড-চুজ করার চেষ্টা করলে, আপত্তি উঠবেই। এবং আঙুল মোদীর দিকেই উঠবে। আপনার পেটোয়া ও পছন্দসই লোক হলে চক্ষু মুদে থাকবেন, এবং অপছন্দের কাজ হলেই দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করবেন, এটাকে খুব সোজা ভাষায় দুর্নীতি এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ বলে। এইটা পরিষ্কার জেনে রাখুন, আপনার সমস্ত রকম কাজে আইনসঙ্গতভাবে বাগড়া দেবার অধিকার আমাদের সক্কলেরই আছে মোদীসায়েব। এটাকেই বলে গণতান্ত্রিক অধিকার।
  • Abhyu | 109.172.118.125 | ১৭ জুন ২০১৪ ০৩:৫৪642888
  • এনজিওদের ফরেন কন্ট্রিবিউশন নেবার ব্যাপারে ভারতের আইন অত্যন্ত পরিষ্কার। FCRA ক্লিয়ারেন্স লাগে (সেটা পেতে গেলে ঘুষ দিতে হয় কিনা সে ব্যাপারে যাচ্ছি না) - এটা দু রকম হয়, পার্মানেন্ট বা ওয়ান টাইম। আর ফরেন কারেন্সিতে টাকা দিলে সেটা ফরেন কনট্রিবিউশন। কোনো ভারতীয় নাগরিক যখন ডলার দেন, সেটা ফরেন কন্ট্রিবিউশন, যখন টাকা দেন, সেটা ফরেন কন্ট্রিবিউশন নয়।

    Foreign Contribution Regulation Act (FCRA), 1976

    An Act to regulate the acceptance and utilization of foreign contribution or foreign hospitality by certain persons or associations, with a view to ensuring that parliamentary institutions, political associations and academic and other voluntary organizations as well as individuals working in the important areas of national life may function in a manner consistent with the values of a sovereign democratic republic, and for matters connected therewith or incidental thereto. (from MHA website)
    More details are available at http://mha1.nic.in/fcra.htm

    আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ব্যাপারটা মোটামুটি স্বচ্ছ আর এফিশিয়েন্ট।
  • Ranjan Roy | ১৭ জুন ২০১৪ ০৬:২৪642889
  • অভ্যু ঠিক লিখেছে।
    এন জি ও দের ফরেন ফান্ডিং স্বপনকুমারের ডিটেকটিভ গল্পের মত কোন গোপন ব্যাপার নয়।
    আমি ছত্তিশগড়ে কর্মরত একটি এনজিও "CARMDAKSH" (কর্মদক্ষ) এর গভর্নিং বডিতে আছি। কোন পয়সা নিই না। শুধু ওদের মিটিংয়ে গেলে যাতায়াতের ভাড়া নিই। মিটিং এর সময় থাকা-খাওয়া ( দিল্লি বা বিলাসপুরে) একজন ডায়রেক্টরের বাড়িতে হয়।
    ওদের FCRA অ্যাকাউন্ট নম্বর আছে। তার জন্যে খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হয় নি। নির্ধারিত ফর্মে অ্যাপ্লিকেশন (নেট থেকে ডাউনলোড করে) তাতে স্থানীয় কলেক্টরের রেকমেন্ডেশন লাগে (অর্থাৎ পুলিশের রিপোর্ট কলেক্টর দেখে নেন)।
    আমরা রাজ্য সরকারের কোন ফান্ড নিই না। কারণটা সবাই বুঝতে পারছেন।
    নাবার্ড, স্যার দোরাবজী টাটা, ইত্যাদির থেকে নিই---' প্রোজেক্ট--স্পেসিফিক' ফান্ড। ফরেন বলতে দুটো বৃটিশ ফান্ডিং---ওয়াটার এইড ও DFIDর PACS প্রোজেক্ট।
  • Abhyu | 109.172.118.125 | ১৭ জুন ২০১৪ ০৬:৫৫642890
  • এর সঙ্গে যোগ করি, FCRA সার্টিফিকেটে কোন ব্যাঙ্কের কোন অ্যাকাউন্টে ফরেন কন্ট্রিবিউশান নেওয়া যাবে সেটা স্পষ্ট করে বলা থাকে। সেই অ্যাকাউন্টে ডোমেস্টিক কন্ট্রিবিউশন নেওয়া যায় না। আর প্রতি বছর গভর্মেন্টকে রিপোর্ট দিতে হয়।
  • সিকি | ১৭ জুন ২০১৪ ০৯:৫৩642891
  • S,

    পাক্কা এনারাইদের ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট থাকে না। কাবলিদার যেমন নেই। কাবলিদা চাইলেও আপ-কে পয়সা দিতে পারবে না। :-)

    আমি দশ বছর আছি বিদেশে, ইন্ডিয়ান পাসপোর্টই ব্যবহার করি, ভ্যালিড ভিসায় আছি, (কাল্পনিক) আমি পারব। কারণ আমি রেসিডেন ইন্ডিয়ান, কাজের সূত্রে বিদেশে আছি টেম্পোরারিলি।
  • কমা | 125.187.37.44 | ১৭ জুন ২০১৪ ১০:০৩642892
  • মোদি সরকার ডিজেল আর পেট্রলে সাবসিডি উঠিয়ে দেবেন এটা একজনের কাছে শুনলাম।
  • কল্লোল | 125.241.35.58 | ১৭ জুন ২০১৪ ১০:১৫642893
  • পেট্রলে বোধহয় উঠে গেছে আগের জামানাতেই।
    এবার ডিজেলে উঠে গেলেই চাল গম ডাল পেঁয়াজ সব্জি সবার একদর হয়ে যাবে। ১টাকা কিলো।
    মোদী তো বলেইছেন মূল্যবৃদ্ধি কমাবেন - এটা ওনার অগ্রাধিকার।

    শুধু একটা ব্যাপার বুঝি না - মোদী, মনু, চিদু, পোনু সকলেই তেতো বড়ি খাওয়াতে চায়। আমরা মিষ্টি বড়ি কবে খাবো?
  • b | 24.139.196.7 | ১৭ জুন ২০১৪ ১৩:১১642894
  • মোদিজি ট্যাক্ষ কমাবার কতা বলচিলেন। এক্ষেম্পশন বাড়াবার কতাও। হুহু হাহা হি হি মোদী
  • pi | 24.139.221.129 | ১৭ জুন ২০১৪ ১৩:২৮642896
  • শুনলাম, nrega আর খাদ্য সুরক্ষা বাবদ সরকারি খরচ কমাতে চলেছে মোদি সরকার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন