এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুসলমানদের কি ধর্মান্ধ হিসাবেই চিহ্নিত করবো?

    bip
    অন্যান্য | ১৩ জুলাই ২০১৪ | ৮৮৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cm | 127.247.112.175 | ০৯ আগস্ট ২০১৪ ১৯:৪১647303
  • রঞ্জনদার ১১ঃ৪৮ এ টুফোল্ড নিশ্চিন্ত হইছি।
  • SC | 81.199.121.96 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০১:২১647304
  • ব্রত পাঁচালি পুজো পার্বন এসবের একটা সামাজিক দিক আছে। আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক, আমাদের সামাজিক সম্পর্ক, এই সমস্ত কিছুকে একটা সুত্রে গেঁথে রাখার কাজ করে ধর্ম। ধর্মীয় আচার, ধর্মের বিধান, তার দর্শন, এই সমস্ত ছাড়া আমাদের সম্পর্ক গুলো, আমাদের মরাল, এই সমস্ত কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
    এই যেমন আপনি যে ব্রতর কথা বললেন। অবশ্যই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তৈরী। কিন্তু এটাও ভাবুন, যে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালবাসা, "তোমার জন্য আমিও এতটাও করতে পারি", সেটাকে ধর্ম একটা এক্সপ্রেস করার স্পেস তৈরী করে দিছে। ধর্ম না থাকলে সেই স্পেস তা থাকত না। এবং অনেক অগভীর প্রেমের সম্পর্ক এই ছোট ছোট ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরো গভীর হচ্ছে।
    বামপন্থী লিবারাল নাস্তিক বাঙালি, তার সারা বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠান কি বলুন তো? একটি বিশেষ ধর্মের পূজার অনুষ্ঠান, যা উপলক্ষে চার দিন শহর বন্ধ থাকে।
    এবারে অনেক যুক্তি উঠে আসবে, না আমরা তো বিশ্বাস করি না, ওটা এমনি খেতে যাই, সামাজিক ব্যাপার। কিন্তু ধর্ম একটা কাঠামো। সমাজে বিভিন্ন মানুষের ইন্টারঅ্যাকশন, তাদের হাসি কান্না ভালবাসা ভক্তি, এই সমস্ত কিছু কে এক্সপ্রেস করার একটা কাঠামো দেয় ধর্ম। আজকে নয়, যুগ যুগ ধরে দেয়। সকলকে দেয়। বিহারের গ্রামের অশিখ্হিত মেয়েটি, যে স্বামীর জন্য ব্রত রাখে, তাকেও দেয়। উছশিক্ষিত, 'আমরা তো আবার ওসব মানিনা', আঁতেল বাঙালি কেও দেয়। সেইখানেই ধর্মের সাফল্য।
  • SC | 81.199.121.96 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০১:২৫647305
  • আরেকটা উদাহরণ দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। জে এন ইউ, বামপন্থী বাঙালি ইন্টেলেকচুয়াল দের আঁতুরঘর, সেখানেও শুনেছি বাঙালি ছাত্ররা নাকি খুব ধুমধাম করে সরস্বতী পুজো করে। জনৈক এক পরিচিত অ্যালুমনি র কাছে শোনা, সেই সরস্বতী পুজো নাকি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের অঘোষিত রিক্রুটিং ইভেন্ট ও বটে। :-)
  • Ranjan Roy | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০১:৫৫647306
  • SC,
    ব্যাপারটা বেশ জটিল সামাজিক ডায়নামিক্স, স্পশ্টতঃই স্পেসিফিক সামাজিক পরিস্থিতির প্রোডাক্ট। এই দিয়েই আইডেনটিটি তৈরি হয়, দর্শন দিয়ে নয়।
    বিশপ ব্র্যাডলির সাবজেক্টিভ আইডিয়ালিজম ও শংকরের মায়াবাদ শুধু দর্শনের ভিত্তিভূমিতে দেখলে যমজ ভাই মনে হবে। তেমনি নাগার্জুনের শূন্যবাদের চেয়েও অসঙ্গ -বসুবন্ধুর বিজ্ঞানবাদ ,( যাতে জ্ঞেয় ও জ্ঞাতার ভেদ ঘুচে যায়) শংকরের কাছাকাছি। তাই শংকরাচার্য্যকে "প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ" অপবাদও শুনতে হয়েছে,
    কিন্তু আচার-অনুষ্ঠানের দিক দিয়ে বিশপ ব্র্যাডলির ক্রিশ্চানিটি , শংকরের সনাতন হিন্দু ধর্ম ও বিজ্ঞানবাদীবৌদ্ধের মধ্যে কত তফাৎ!মন্ত্রোচ্চারণে, পরিধানে;-- দাড়ি-টুপি-জোব্বা, মুন্ডিতমস্তক-ত্রিপুন্ডক- উপবীত-টিকি, সম্পূর্ণ মুন্ডিত শ্মশ্রুহীন মুখাবয়ব এবং যজ্ঞোপবীতহীন।
    কিন্তু এগুলো দিয়েই আইডেনটিটি তৈরি হয়, আমরা সম্প্রদায় বানাই।
    এতেও কোন সমস্যা নেই। সমস্যা তখন হয় যখন এগুলোর সামাজিক মূল্য না বুঝে আমরা এদের জন্যে একে অন্যকে স্পেস দিতে চাইনা।
    "আমরা এবং ওরা " না হয়ে "হয় আমরা নয় ওরা" করে তুলি।
    তাই এগুলো দিয়েই দাঙ্গার পৃষ্ঠভূমি তৈরি হয়।
    মসজিদের সামনে দিয়ে হরিনামের মিছিল যাবে কি যাবে না; কার ছাগল কোথায় ঢুকেছে, দোকানের মাংস হালাল কি ঝটকা-- এইসব নিয়ে লেগে যায়। পেছনে থাকে অন্য গভীরতর কারণ, কলকাঠি নাড়ে অন্য কোন শক্তি। আমরা জীবনপণ করে মরতে-মারতে পথে নামি।
    তাই দর্শনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ এই সব আচার-আচরণের ফাংশন ও সীমাকে বোঝা। শুধু নিজের না, অপরের এবং একে অন্যের।
  • Ranjan Roy | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০২:১৪647307
  • SC
    মনে হয় আপনি কোলকাতা কেন্দ্রিক বাঙালী; তাই হিন্দিবলয়ের ব্রতপার্বণের কথা উঠলে বিহারের অশিক্ষিত মেয়েটির কথা ভাবলেন।
    ভুল।
    "করওয়া চৌথ" ব্রত উচ্চশিক্ষিত মহিলারা ধুমধাম করে পালন করে। আমার অফিসের অনেক মহিলা সেদিন উপোস করে রাত্রিতে স্বামীর পা ধুয়ে জল খাবেন বলে ছুটিতে বাড়িতে থেকে সারাদিন পঞ্চব্যঞ্জন রান্না করেন।
    হিন্দি বলয়ে এর জোর দেখতে হলে অমিতাভ-হেমার সুপারহিট "বাগওয়ান", কমল হাসানের " চাচী ৪২০" ও শাবানা-নন্দিতা অভিনীত "ফায়ার" দেখুন।
    আর স্বামীর পা ধুয়ে জল খাওয়ার মধ্যে বশ্যতা স্বীকার আছে, স্বামী বা প্রভুর কাছে। এর মধ্যে আলাদা করে কোন ভালবাসা নেই।
    আমরা গুরুজনের, শিক্ষকের, স্বামীজির পায়ে হাত দেই, ভালো বাসলে বুকে জড়িয়ে ধরি, পা ধুয়ে জল খাই না।
    না হলে সমস্ত বা কোন কোন পুরুষ স্ত্রীর পা ধুয়ে জল খেত। কাউকে দেখেছেন? তার মানে কি ভালবাসা শুধু নারীর কাজ?
  • bacteria | 117.217.133.50 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০২:৩১647308
  • "ধর্ম না থাকলে সেই স্পেস তা থাকত না।" নাহ,মানা গেল না! বৃন্দা প্রকাশের সাথে বা মিসেস ডকিন্স মিস্টার ডকিন্সের সাথে কোন স্পেসে প্রেম করে? নাকি ওদের পিরীতে চোনা আছে?
    কিছুক্ষন আগে এস-এম বলছেন অনিশ্চিত পৃথিবী, দুর্বলের আশ্রয় লাগে তাই ধর্ম থাকবেই। অতটা সহজ ইকুয়েশান না।

    আজ নাস্তিক দের পার্সেন্টেজ বাড়ছে। ইউরোপে কিছু কিছু জায়গায় ৩০-৪০%। মানে যাস্ট হাই থট ওয়ালা পাবলিক, বা ইন্তেলেক্চুয়াল না, একটা ভাল সাইজের জনগোষ্ঠী নাস্তিক। 'পপুলার এথিস্ম'। এরা সবাই বিশেষ বুদ্ধির অধিকারী, বা গ্রীক ট্রাজেডির নায়ক নন। অথচ জীবনের ছোট্খাট ওঠাপড়া দিব্বি ম্যানেজ করে নিচ্ছে। খুব এলিগেন্টলি না হলেও, কিছু না কিছু একটা টাইম পাস করে, ম্যানেজ তো করছে!! ধার্মিকদের থেকে কম এফিসিয়েন্টলি করছে এটাও বলা যায় না।
  • bacteria | 117.217.133.50 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০২:৩৭647309
  • করোয়া চৌথ ফেমাস হয় ডি ডি এল জে থেকে। ঐ কাজোল ফেন্ট করার ভান করল। তারপর করণ যোহর এটাকে তুঙ্গে তুলল। এরপর কভি খুশী কভি গাম, রন্জনদার লেখা ফিল্মগুলো তো আছেই।
  • pinaki | 90.254.154.67 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০২:৪৯647310
  • কদিন আগে প্রাগ শহর ঘুরে এলাম। ওখানে নাকি এখন ৬০ শতাংশের উপর এথেইস্ট। সুইডেনে আমার এক কলীগের সাথে একদিন ভগবান নিয়ে কিছু ভাট হচ্ছিল। সে জানাল সুইডেনের লোকেরা মজা করে বলে 'গড হ্যজ লেফ্ট আওয়ার কান্ট্রি'। ধর্ম ছাড়া সামাজিক বন্ধন বা আইডেন্টিটি হয় না - এটা একেবারেই মানতে পারলাম না। সভ্যতা সেই স্টেজ পেরিয়ে এসেছে। অন্ততঃ পৃথিবীর একটা বড় অংশে তো বটেই।
  • bip | 78.33.140.55 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০৫:৫২647311
  • বুদ্ধিমান অথচ ধার্মিক-এমন দেখিনি এখনো। না আমেরিকাতে, না ভারতে। তবে অনেক বুদ্ধিমান প্রতিষ্ঠিত লোক বিশেষত ভারতীয় -আধ্যাত্মিক। তারা মোটেও আচরনে ধার্মিক না। ধর্মের সাথে মানুষের বুদ্ধির বিকাশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। যাদের বুদ্ধির বিকাশ হয় না-তারাই ধার্মিক থাকে। বিবেকানন্দ কর্মবীর। কিন্ত বিবেকানন্দ লেখা কি উৎকৃষ্ট মানের ইন্টেলেকচুয়াল কিছু? আমি মনে করি না। কোন সন্দেহ নেই ইন্টেলেকচুয়াল স্ফেয়ারের প্রথম দশজন লোকের দশজনই নিধার্মিক-কার্ল মার্কস, স্যার পপার, জিডু কৃষ্ণমূর্তি-সবাই নাস্তিক। বিবেকানন্দের লেখা ধারে ও ভারে এদের কাছাকাছিও নয়। কিন্ত প্রভাব, কর্ম ইত্যাদি দিক দিয়ে অনেক ধার্মিক এগিয়ে আছেন-যেমন বিবেকানন্দ থাকবেন।
  • bact | 117.217.133.50 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০৬:২৩647313
  • শুধু ইন্টেলেকচুয়াল কেন?! ফিসিকাল স্ফিয়ারেও টপ পাবলিক দেখুন নিধার্মিক, এই যেমন এন্জেলিনা জোলি। আসলে কোন একটা স্ফিয়ারেই একটা উচ্চতায় চলে গেলে, ভগবানের মুখে মুটে দেবার একটা টেন্ডেন্সি তৈরী হয়। বিবেকানন্দ ইন্তেল্কেচুয়ালি খুব পাতি, কিন্তু র ইন্টেলিজেন্স অনেকটাই ছিল । ওনার মেমরি নিয়ে বাজারে অনেক গল্প আছে । কিন্তু মেমরির সাথে তো আবার হস্তমৈথুন না করার একটা নিবিড় যোগ আছে। তাই ওটাকেও ঠিক এচিভমেন্ট বলা যাবে না।
  • Administrator | 72.210.74.186 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০৭:২৯647314
  • Ei listi taay ektu chokh buliye newa jete paare, bisheshoto 1800-1900 porjonto. Bip to podarthobidya'r chatro, oi list er onek kei chinbe bole mone hoy. Er e to gelo sref Kerestan der kotha, Jew etc. der dhorai hoyni ekhane:

    http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Christian_thinkers_in_science
  • bip | 78.33.140.55 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ০৭:৩৩647315
  • আরে বাবা ধর্মের সাথে ফোর্স অব প্রোডাকশনের যোগ নেই? আজ ইন্টার এল বলেই না দুয়ার খুলে গেল। ধর্মের সব বাজে দিক যা আগে জানা ছিল না-উন্মোচিত হল। ইন্টারনেট না হলে আমিই কি জানতাম কোন ধর্ম কত বাজে। আর কত ভাল।
  • SC | 34.3.22.185 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ১০:৩১647316
  • বাকি উত্তর পরে দিছি। কিন্তু বিপদা এই হাস্যকর কথাগুলো লেখার আগে ভাবে কিনা কে জানে।
    বিপ, আপনি এর নাম শুনেছেন:
    http://en.wikipedia.org/wiki/Blaise_Pascal

    অবশ্য আপনার যা মাপকাঠি, ইনি মনেহয় নিতান্তই গন্ডমুর্খ টাইপের লোক সেই মাপকাঠি তে।
  • bip | 78.33.140.55 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ১৫:১৩647317
  • সেত নিউটন ও ধার্মিক । সে যুগ আর এ যুগ কি এক ?একাডেমি অব সাইন্স এ ৯০% নিধার্মিক ।
  • Ranjan Roy | ১০ আগস্ট ২০১৪ ১৬:২৪647318
  • এখানে SCর বক্তব্যের কিছু অ্যাসপেক্ট অ্যাড্ড্রেস করা হচ্ছে না।

    ১)ধার্মিক অনুষ্ঠান নারী-পুরুষকে ভালোবাসার স্পেস দেয়? নইলে প্রেম স্পেস পেত না? বরং ধর্ম নারী-পুরুষের ভালোবাসার মধ্যে গন্ডি টেনে দিয়েছে। প্রেমিক-প্রেমিকা দুই ধর্মের হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়। হিন্দু-,মুসলমান ভুলে যান; দক্ষিণে শৈব-বৈষ্ণব, অর্থাৎ আইয়ার- আয়েঙ্গারে বিয়ে হওয়া কঠিন।

    ২) কিন্তু SC যে ধার্মিক অনুষ্ঠানের সামাজিক উৎসবের রূপ নেওয়ার কথা বলেছেন তা সত্যি। যেমন দূর্গাপূজো,দোল উৎসব, দীপাবলী।ঈদ, ক্রিসমাস। এগুলো ক্রমশঃ ধার্মিক রিগার কমিয়ে ব্যাপক সমাজের আনন্দ উৎসব হয়ে উঠছে।
    অন্যদিকে মুহর্রম, গুড ফ্রাইডে ইত্যাদি স্ট্রিকটলি ধার্মিক ডোমেনে রয়ে গেছে,
    তাই যে কোন দূর্গাপূজো কমিটির বাজেট দেখলে বোঝা যাবে তাতে ধার্মিক কম্পোনেন্টের চেয়ে অন্য ব্যাপারগুলোর ব্যয় বেশি।
    ৩) কিন্তু SC র কথায় একটু হিন্ট্স ছিল তা সত্যি।
    লুরু ও দিল্লির নতুন প্রজন্মের ছোট্ট স্যাম্পল নিয়ে দেখলাম যে আজকের ছেলেমেয়েরা করওয়া চৌথ স্বামী-স্ত্রী মিলে উপোস থেকে সারাদিনের শেষে খুব হৈ-চৈ নানারকম পদ রেঁধে খেয়েদেয়ে উদযাপন করে। কিন্তু কেউ কারো পা ছোঁয় না। ধুয়ে জল খাওয়া দূরস্থান।
    স্বাগতম্‌।
  • .. | 69.93.244.87 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ১৯:১৫647319
  • Name: Ranjan Roy

    IP Address : 24.98.208.144 (*) Date:10 Aug 2014 -- 02:14 AM
    .......
    "করওয়া চৌথ" ব্রত উচ্চশিক্ষিত মহিলারা ধুমধাম করে পালন করে। আমার অফিসের অনেক মহিলা সেদিন উপোস করে রাত্রিতে স্বামীর পা ধুয়ে জল খাবেন বলে ছুটিতে বাড়িতে থেকে সারাদিন পঞ্চব্যঞ্জন রান্না করেন।
    হিন্দি বলয়ে এর জোর দেখতে হলে অমিতাভ-হেমার সুপারহিট "বাগওয়ান", কমল হাসানের " চাচী ৪২০" ও শাবানা-নন্দিতা অভিনীত "ফায়ার" দেখুন।
    ***********
    মাফ করবেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫/৭৬, বছরে অন্ততঃ দুই বা তিনবার আমাকে নতুন দিল্লির সফদরজং এন্‌ক্লেভ এবং পাটনা, মজফ্‌ফরপুর কাটাতে হয়েছে।
    করোয়া চওথ্‌এর নাম, সেই সময় শুনতেই পাই নি।
    ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ মাঝে সাঝে, ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ টানা পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়ও শুনি নি।

    করোয়া চওথ্‌ বস্তুতঃ, আমার মতে, মানুষের জ্ঞানপরিধিতে ঢোকে হিন্দি সিনেমার মাধ্যমেই। অবশ্য হতেই পারে, কোন প্রোডিউসার, পরিচালক জানতেন এটার বিষয়ে এবং চেয়েছিলেন এটাকে সর্বজনস্বীকৃত করতে।
    ঠিক যেমন কলকাতায় সন্তোষী মা। আমি আমার ঠাকুমা, দিদিমা কাউকেই এই নাম উচ্চারণ করতে শুনি নি। একই ভাবে, বিপত্তারিণী, ইত্যাদি অনুষ্ঠান। জানি না, কে কিভাবে নেবেন, বাবা লোকনাথের নামও আমি চুরাশি পঁচাশির আগে শুনি নি। কেউ আঘাত পেলে মাফ চাই, মা বৌয়ের কথা বাদ দিন, আমার ঠাকুমা বা দিদিমাকে শিবরাত্রির উপোসও কোনদিন করতে দেখি নি। একজন ৭৭-এ আর আরেকজন ৮০-তে চলে গেছেন, দুজনেই আশি পূর্ণ করে। মা এই পয়লা আগস্ট সাতাশিতে পড়লেন।

    তাঁদের সংজ্ঞায় পতিব্রত বা পতিভক্তি, আমাদের তো বটেই, আমাদের আশপাশে পুজোপাগল আত্মীয় বা প্রতিবেশী সবার কাছেই শ্রদ্ধেয়। গ্রহণ করা বা না করা নিয়ে কারুর তরফ থেকেই কোনদিন কোন জোরাজুরিও দেখি নি।
  • S | 81.191.150.74 | ১০ আগস্ট ২০১৪ ১৯:৫৬647320
  • উফ্ফ, আবার বিপের সেই সুইপিং কমেন্ট। বিপের জন্যে আমেরিকার কিছু ধার্মিক আর বুদ্ধিমান/ইন্টেলেকচুয়াল লোকের লিষ্ট। এরা ব্যাক্তিগত জীবনে নিষ্ঠাবান জিউ বা ক্রিশ্চান।
    ১। ওবামার ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যাক লিউ - প্রতি শুক্রবার ট্রেন ধরে ডিসি থেকে নিউ ইয়র্ক ফিরে যান পরিবারের সাথে স্যাবাথ পালন করতে।
    মিট রমনি - ২০১২ এর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট, ওয়াল স্ট্রীট গুলে খাওয়া আর বেন ক্যাপিটালের ফাউন্ডার। ইনি আবার মর্মন, যাকে মেন স্ট্রীম ক্রিশ্চানরা কাল্ট বলে থাকে।
    NIH এর বর্তমান ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কলিন্স। হিউম্যান জেনোম প্রজেক্টের কর্ণধার ছিলেন।
    সুপ্রীম কোর্টের চীফ জাস্টিস জন রবার্টস। সবাই বলে এর মতন অ্যাকাডেমিক ক্রেডেনশিয়াল এখনো পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্টে কারোর নেই।
    জনস হপকিন্সের রিটায়ার্ড পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জন বেন কারসন। পারলে 'দি গিফ্টেড হ্যান্ড' মুভিটি দেখে নেবেন।
    আর বিপ কি স্টিভেন কোলবেয়ারের নাম শুনেছেন? পারলে দু চারটে এপিসোড কোলবেয়ার রিপোর্ট দেখে নেবেন। কোলবেয়ার প্র্যাক্টিসিং ক্যাথলিক আর সানডে স্কুল টিচার।
    এবার ভারতের ধার্মিক বুদ্ধিমান লোকেদের আপনি নিজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে খুঁজে বের করুন।
  • SC | 34.131.19.254 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ০৪:১৫647321
  • রঞ্জনদা,
    কয়েকটা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি আদৌ কলকাতার বাঙালি নই, ইন ফ্যাক্ট, কলকাতা ভালো করে চিনিনা। কিন্তু আমার প্রায় সব নর্থ ইন্ডিয়ান বন্ধুই কলেজে পড়তে, ফলে তাদের বিবাহিত জীবনের ব্যাপারটা খুব কাছ থেকে দেখিনি। তবে হ্যান, ওই karwa chauth ব্রতটা উত্তরের একটা বড় অংশের মানুষ পালন করে, ক্লাস নির্বিশেষে, সেটা শুনেছি।
    আপনি সঠিক ভাবেই পয়েন্ট আউট করেছেন যে এতে পুরুষতন্ত্র আছে, আমি তো সেটার সাথে এগ্রি করছি। ধর্ম তো তার নিজের সময়ের সমাজের প্রতিচ্ছবি। এবং ধর্ম স্থবির নয়, ধীরে ধীরে পাল্টায়। সমাজের সাথে পাল্টাতেই হয়। একদিন তো চার্চ গ্যালিলিও কে সাজা দিয়েছিল, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে বলেছিল বলে। এখন তো সেরকম কথা শুনলে লোকে হাসবে, ক্যাথলিক রাই হাসবে। চার্চ পাল্টেছে, কিন্তু ক্যাথলিক ধর্ম তো এখনো আছে। সময়ের সাথে ধর্মের অনুষ্ঠান কে পাল্টাতে হবে, কিন্তু ধর্ম জিনিসটা ওই কাপিতালিস্ম এর মতই বহু বিবর্তনের মধ্যে দিয়েও বেঁচে রয়েছে। সেটা ধর্মের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক কথা বলে।
    ধর্ম ছাড়া ভালবাসার এক্সপ্রেশন সম্ভব নয়, সে আমি বলিনি। আমি বলেছি ধর্ম সেটাকে institutionalize করেছে। সেটা না করলে কারাত দম্পতি বা ডকিন্স দম্পতির হয়ত কোনো অসুবিধা হত না, কিন্তু সমাজের আরো লক্ষ লক্ষ আম আদমী, তাদের ক্ষেত্রে হয়ত এই ফ্রেমওয়ার্ক গুলো খুব প্রয়োজনীয়। না থাকলে পারিবারিক বন্ধনগুলো হয়ত আলগা হয়ে আসতো। আবার, সবার ক্ষেত্রে নয়, কিন্তু statistically।
    হ্যান, অন্য ধর্মের লোকের সাথে প্রেমের ক্ষেত্রে ধর্ম অবশ্যই বাধা। যে কোনো ইনস্টিটিউশনই তাদের জন্য খুব একটা সুবিধের নয়, যারা ইনস্টিটিউশন এর নিয়ম এর বিরুদ্ধে যায়। এবং ধর্ম যে পারফেক্ট একটা ইনস্টিটিউশন নয়, সেত দেখাই যাচ্ছে। কিন্তু আমি বলতে চেয়েছি সেই ইনস্টিটিউশন এর একটা প্রয়োজনীয়তা আছে।
    ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সামাজিক রূপ তো নতুন কিছু নয়। মানুষের সামাজিক ইন্টারঅ্যাকশন এর মূল ভিত্তি হিসেবে বহু যুগ ধরে ধর্ম কাজ করেছে।
    ওই "সার্বজনীন" রূপ তা আমার মনে হয় eyewash । এবং ধর্ম "ততটা ধার্মিক নয়" তাদেরকেও কিভাবে নিজের মধ্যে appropriate করে নেই, তার একটা উদাহরণ। অনেকটা কাপিতালিস্ম এর মত, নিজের বিরোধীদেরও নিজের মধ্যে একটা স্পেস তৈরী করে দেওয়ার একটা ব্যাপার।
  • - | 109.133.152.163 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ০৪:৩৩647322
  • সাধারণ ভাবে এই আলোচনাটা ইন্টারেস্টিং। বিপ মেয়েদের পোশাকে পুরুষতন্ত্রের প্রভাব খুঁজে গাল দেন, রঞ্জন মেয়েদের ব্রত পালনে পুরুষতন্ত্রের খোঁজ পেয়ে গাল দেন। পার্থক্য খুব বেশী নেই। এক জন দেহের হিজাব দেখেন, একজন মনের ঃ-) কিন্তু গোটা মানুষটা দেহ-মন-বুদ্ধি-অহংকারের বাইরে অন্য এক সত্ত্বা!
  • bac | 22.96.67.51 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ০৫:৫১647324
  • "কিন্তু সমাজের আরো লক্ষ লক্ষ আম আদমী, তাদের ক্ষেত্রে হয়ত এই ফ্রেমওয়ার্ক গুলো খুব প্রয়োজনীয়" ঠিক এই পয়েন্ট টা, এই যে থিসম সামহউ ন্যাচারাল একটা ব্যাপার, (আর এথিস্ম একটা পড়াশোনা করে টড়ে উপলব্ধি করার বস্তু) ঠিক এইখানে মনে হয় একটা ভাল তর্কের স্কোপ হ্যাস।

    এর কাউন্টারে আমি ঐ ইউরোপের চেন্জিং ডেমোগ্রফিক্স (পিনাকী তো সুইডেনের কথা বল্ল) দেখছি। স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, শুধু ডকিন্স পরিবার না, *সাধারন মানুষ* দেরো ধর্ম খুব একটা কাজে লাগছে না। ওবভিয়াসলি, ইউরোপের সাধারণ মানুষ মানে আমাদের তুলনায় হাইফাই ব্যাপার। কিন্তু এটা একটা সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করছে , যে দুনিয়াতে সার্বিক ভাবে এথিস্ম ডমিনেন্ট হতেই পারে।..আর একটা জিনিস..

    আমরা এতকাল ধরে ধর্ম দেখতে অভ্যস্ত, যে এটাকে একটা পার্ট ওপ্ফ হিউমান কন্ডিশন ভেবে নিই। এটা কিন্তু অনেকটা 'কই, মানুষের বিবর্তন তো খালি চোখে দেখছি না' গোছের ব্যাপার। একদম প্রথম দিকে কি ধর্ম ছিল? এসেছে। সেই পয়েন্ট থেকে আজ হয়্তো পুরো হিস্টোরিকাল টাইমস্কেলে একটা খুব ছোট ইন্টারভাল। বহু কালচারাল প্যাটার্ন অনেক অনেক বছর ধরে থাকে, তারপর চলেও যায়, ধর্ম এসবের থেকে আলাদা হবে কেন? বেশ কিছু এন্সেন্ট ট্রাইবস আছে যেগুলো এথিস্টিক।
  • SC | 34.3.22.185 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ০৭:৪৯647325
  • হ্নু, ইউরোপের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছি। ওটা উল্লেখ করতে ভুলে গেছিলাম আগের পোস্টে। এরকম কেন হলো, তার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আমার বিশেষ জানা নেই। কিন্তু ডেটা তো বলছে জার্মানি স্বেদেন প্রভৃতি দেশে প্রায় 25% er বেশি লোক atheist। ei বিষয়টা নিয়ে একটু পড়ে বলতে হবে।
  • bip | 78.33.140.55 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ০৮:২১647326
  • মহান ব্যক্তিদিগের পস্রাব পায়খানাও মহান হইবে? না তাহা মলমূত্রই রহিবে? এই সহজ সত্য না শিখিলে কাহারে বুঝাইবো মহান ব্যক্তিরা ধর্মে বিশ্বাস করিলেও উহা "শিট" ই থাকিবে!!!
    ধর্ম থেকে মরালিটির উৎপত্তি এটা ঠিক-কিন্ত পরিসংখ্যান বলে নাস্তিকরা গড়ে অনেক বেশী এথিক্যাল। % এ নিধার্মিকদের প্রায় ১০ বেশী অপরাধী ধার্মিকরা। লোকে আইনের প্রতি সন্মানে মরাল হয়। অন্যর বৌকে একা পেলে একটু ঘসার জন্য ট্রাই নেবে কি না-সেই নৈতিকতার ভিত্তি মোটেও ধর্ম না-টেস্টেটেরন ক্ষরণ। আর সেই বৌও যদি বুকে ভাঁজ দেখিয়ে একান্তে চুমু খেতে বলে, ধার্মিক নিধার্মিক নির্বিশেষে কজন পুরুষ বৈবাহিক পবিত্রতা রক্ষার নৈতিকতা রক্ষা করবে আমার জানা আছে। অনেকে অবশ্য বলতেই পারে অন্যর বৌকে একটু আধটু চুমু খেলে নৈতিকতার কি আর এমন স্থলন ?? আসলে এর সবটাই আপেক্ষিক। মাল চুরি করা থেকে বৌ চুরি-সবই নৈতিক এবং অনৈতিক হতে পারে-সবটাই স্থান, কাল, পাত্রর ওপর নির্ভরশীল।
  • - | 109.133.152.163 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ০৮:২২647327
  • সত্যিই কি অত ভাবার কিছু আছে? যে কোনও দেশেই একটা গ্লু লাগে জনতা সবাইকে এক করে ধরে রাখতে। সেটা ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি যে কোনও কিছুই হতে পারে। বাঙালীর ক্ষেত্রে ভাষার মেলবন্ধনে ধর্ম সে ভাবে বাধা হয় নি। সংস্কৃতি দিয়ে বাঙালী আজও ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবেই আইডেন্টিফাই করতে পারে অপর বাঙালীর সাথে। জার্মান, সুইস ইত্যাদি দেশে দেশে নাগরিকদেরও সেই রকম ভাবে সমস্যা নেই ধর্ম নিয়ে। ভারতে প্রত্যেক রাজ্যের ভাষা সংস্কৃতি আলাদা। (হিন্দু) ধর্মই একমাত্র গ্লু যেটা দেশটাকে ধরে রেখেছে। সেই ধর্ম সো কল্ড শিক্ষিতের কাছে দর্শন রূপে থাকুক, বা তথাকথিত পুরিষতন্ত্রের শিকার মেয়েদের কাছে ব্রত কথা রূপেই থাকুক, ছড়ি ঘোরানেওয়ালাদের কাছে ধান্দা রূপেই থাকুক ... তাকে থাকতেই হবে। আর কোনও অপশন বোধহয় নেই এই দেশটাকে এক করে রাখতে গেলে।
    অন্য দেশের তুলনা টানা বৃথা।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ১০:১৯647328
  • হাইফেনকে ক।

    বিপের দর্শন পড়ে জাস্ট একটা কথাই মনে হচ্ছে -

    এত জানে, তবু কোনও অঙ্খার নেই।
  • dc | 52.104.61.66 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ১০:৩১647329
  • উফ বিপ আপনার লাস্ট পোস্টটা পড়ে আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম! "অন্যর বৌকে একা পেলে...নির্ভরশীল।" এরকম বিস্ফোরক লেখা আর কাউকে লিখতে দেখিনি :D :D
  • sch | 192.71.182.106 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ১১:৫২647330
  • বিপ xossip.com বলে একটা সাইট আছে - - বেশ কিছু পর্নো থ্রিলার পড়েছিলাম কিছুদিন আগে - আপনি ওখানে লিখুন প্লিজ - হেডলি চেজ এবং আধুনিক বাংলাদেশী (ভারতীয় না) পানু লেখকরা আপনার কাছে শিশু

    "ধার্মিক" এর সংজ্ঞা কি ? যে কিছু রিচ্যুয়ালসে বিশ্বাস করে? সেটা তো ভুলভাল। কি করে কোনো সার্ভে ঠিক করে কোনো লোক "ধার্মিক" কি না? ধার্মিক লোকেরা বেশী অসৎ হয় এরকম আর্বিট কোয়ালিটেটিভ সার্ভে করা সম্ভব? স্যাম্পল সাইজ কতো
  • Ranjan Roy | ১১ আগস্ট ২০১৪ ১২:৪৪647331
  • বাংলাদেশের এক অধ্যাপক বলেছিলেন--
    "ধর্ম হল বর্বর সমাজের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি হল সভ্য সমাজের ধর্ম"।
  • b | 135.20.82.164 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ১৪:৪৩647332
  • "আর কোনও অপশন বোধহয় নেই এই দেশটাকে এক করে রাখতে গেলে।"
    অন্য অপশন থাকলে ভালো হত।

    আর সুইস কিন্তু ভাষার ব্যাপারে একদমই হোমোজিনিয়াস নয়।
  • - | 109.133.152.163 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ২০:১৩647333
  • অ্যাকচুয়ালি ধর্ম যে ভারতবর্ষকে ধরে রাখার গ্লু, সেইটি বৃটিশরা দেশ চালাতে গিয়ে বুঝেছিল। তাই পদে পদে দেশীয়দের ধর্মকে ছোটো করতে শুরু করে। তারা জানত, এই দেশটাকে আঘাত করতে হলে, ধর্মই সেই ক্ষেত্র। আর কিছু মূর্খ এখনও সেই সব ধান্দাবাজদের বস্তাপচা বাণী বমি করে যাচ্ছি। তাতে অসুবিধে নেই কিছু। বিশ্বের সবাই একই রকম হবে না কি? এটা খুবই অবাস্তব দাবী!
    ভুল হচ্ছে হয়ত, তবু যদ্দুর জানি সুইসরা ভাষার ক্ষেত্রে তিনটি মাত্র অপশন পায় ডয়েচ, ফ্রেঞ্চ আর ইংরেজি। ভারতের মত এতগুলি ভাষা কি? দেশটা ভারতের মত বড়ও কি? তিনটে ভাষা আমাদের প্রতিটি স্টেটে চলে -- ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা/ওড়িয়া/মারাঠি ইত্যাদি।
    আর, অন্য অপশনের কথা আসছে কেন? দেশে দেশে খাবারে বৈচিত্র্য থাকতে পারে, পোষাকে বৈচিত্র্য অ্যাক্সেপ্টেব্ল হতে পারে, ভাষা-সংস্কৃতি সবেরই ভিন্নতা কাম্য, শুধু জীবন দর্শনের ভিত্তিতে একতা খোঁজার ব্যাপার এলেই "অন্য অপশন"?? অদ্ভুত!!
  • sm | 233.223.159.253 | ১১ আগস্ট ২০১৪ ২০:৫৫647335
  • এখানে বোধ হয় একই জিনিসের দুটো দিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
    বিপের ফিলোসফি হলো খাও পিও জিও। জীবন ছোটো , তাকে উপভোগ কর। বাস্তব জীবনে হয়ত বিপ হোম দিপার্তমেন্তের রক্তচক্ষু বাইরে নিরুপায়।ব্লগে লেখাটা হয়ত রিলিফ পাবার জন্য। নিছক ই রসিকতা করলাম।
    যাইহোক,আমার মতে তিন ধরনের মানুষ থাকে।
    একদল মনুষ্যেতর জীবন যাপন পছন্দ করে। অর্থাৎ আহার নিদ্রা ও মৈথুন। এটি ই তাদের জীবনের সরত্সার।
    দ্বিতীয় দল ধর্ম পালন করে ও ইশ্বর মানে নিজের সুবিধার জন্য। এটা তাদের গোষ্ঠী তে মেলামেশা করতে সাহায্য করে, মানসিক শক্তি দেয়,কিন্তু সময় অসময়ে ধর্মের নামে তারা শোষিত ও অত্যাচারিত ও হয়।
    তৃতীয় দল, ধর্ম ও ইশ্বরে বিশ্বাস করে ভক্তিতে অথবা অন্ধভাবে।
    ধর্মের ভালো ও মন্দ দিক দুটি আছে। ধর্ম মানুষের মরালিটি বাড়ায় আবার অন্ধও করে তোলে।
    ধর্ম মানুষ কে শেখায় কাউকে শ্রদ্ধা করতে। ইশ্বরের সামনে নত হতে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি ই যে সর্বশক্তিমান নয় সেটা স্মরণ করিয়ে দেয়। কেবল আইনের শাসন দিয়েই সব কিছু ব্যাখ্যা করা যায়না। টাক্সিতে গয়না ভর্তি ব্যাগ ফেলে দিলে বা রাস্তায় টাকার ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়েও ফেরত দিয়ে গেছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়।
    আবার সেই ধর্মের জন্যই মানুষ হানাহানি মারামারিতে জড়িয়ে পরে।
    ইউরোপ, নাস্তিকের সংখ্যা বেড়ে গেছে কারণ তাদের জীবনে অনিশ্চয়তা অনেক কমে গেছে। শরীর অসুস্থ হলে জানে চিকিত্সক রা বেস্ট পসিবেল চিকিত্সা দেবে। নিজের মাথাব্যথা কম। রাস্তায় মদ না খেয়ে গাড়ি চালালে এক্সিদেন্তের চান্স খুব কম। কোনো কারণে আর্থিক সমস্যায় পড়লে সরকার আছে দেখভাল করার জন্য। এনাদের কাছে ধর্ম নতুন করে কোনো দিশা নির্দেশ করে না। তাবলে এই নয় মানসিক ভাবে তারা খুব উন্নত হয়ে গেছে।হিংসা দ্বেষ,কম বয়সে নেশা, পরিবার বিচ্ছিন্নতা ভালো রকম বর্তমান।
    কিন্তু একটা জিজ্ঞাসা বিপকে ,কেউ যদি নাস্তিক হয় তাহলেও সেই ব্যক্তি ধর্ম পালন করা বা ইশ্বর বিশ্বাসী ব্যক্তি কে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্য করবে কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন