এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুসলমানদের কি ধর্মান্ধ হিসাবেই চিহ্নিত করবো?

    bip
    অন্যান্য | ১৩ জুলাই ২০১৪ | ৮৯১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ekak | 24.96.182.23 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ১৭:০৯647370
  • হ্যা , এটা একটা প্রশ্ন হতে পারে যে

    ধর্ম কে থীয়রায়স করা/ গ্লু / অনেভিদেবল এলিমেন্ট প্রথমেই রাষ্ট্রের দ্বারা দমন করা উচিত কিনা । মানে ব্যাক যা বলছেন ।
    মানে সোজা কথায় খেলার মাঠে ঢুকতে দেব না । হার-জিত পরের কথা !

    আর একটা প্রশ্ন ,

    খুব সোজা করে উত্তর চাই ........বিপ যা বল্লো এট্টু আগে " যাঁরা ধর্মে বিশ্বাস করেন এবং তাঁরা কখনই বুদ্ধিমান হতে পারেনা " বা এরকম ই একটা কথা । এটা একচুয়ালি ডকিন্স স্কুল । অনেকদিন ধরেই ফ্রেস টা উঠে আসছে । পৃথিবীর কোথায় কোন বুদ্ধিমান ধর্মে বিশ্বাস করেন সেই ধোপার ফর্দ দেখিয়ে এর উত্তর হয় না । "বুদ্ধি র বিচার কে করবে ?" মার্কা গাঁজা দেবেননা । ক্রিয়েশন থিওরি বিশ্বাস করেন কি করেননা সোজা ভাষায় ডীল করুন ।

    ড্যাশ এবং অন্যেরা একটু সোজা সাপ্টা ভাষায় এই পয়েন্ট দুটোর মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখেন কি ?
  • dc | 52.104.62.163 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ১৭:৩৪647371
  • bac যেটা বললেন সেটা একেবারেই গ্রাউন্ড রিয়েলিটি না। রিয়েলিটি হলো, আমার আপনার চারদিকে ধার্মিক বা ধর্মে বিশ্বাস রাখে এরকম লোক গিজগিজ করছে। তরুন প্রজন্ম থেকে বুড়ো হাবড়া, প্রতিটা সেগমেন্টে ধর্মবিশ্বাসীতে ভর্তি। এদেরকে আপনি যদি বলেন যে ধর্ম একটা গ্লু একথা বললে জুতিয়ে মুখ ভেঙ্গে দেবেন, তো আপনিই এক ঘরে হয়ে যাবেন। তার থেকে অনেক বেশী জরুরি হলো এদের এনগেজ করা, এদের বোঝানো যে আমাদের দেশের কালচারে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিশ্চান আর নাস্তিক সবার সমান অধিকার থাকা উচিত।
  • Ekak | 24.99.71.112 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ১৮:৪৮647372
  • হ্যা এটা ঠিক যে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধর্মবিশ্বাস হু হু করে বাড়ছে । মাঝখানে একটা নাস্তিক নাস্তিক ব্যাপার এসেছিল পরপর কয়েক প্রজন্মের মধ্যে । সেসব এখন আর নেই । ইন্টারনেট এ বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা মারকুটে রকমের ফান্ডামেন্টালিস্ট । রাস্তাঘাটে খাপ খুললে তো পাতি মার খেয়ে যাবেন । গুরু একটা ফীল গুড কমিউনিটি কাজেই এখানকার স্যাম্পলিং কোনো বাস্তব ছবি না ।

    কিন্তু তারপরেও : এই জায়গাটা ক্লিআর হওয়া দরকার যে এই ট্রেন্ড কে সমর্থন করা আলটিমেটলি কোন দিকে নিয়ে যাবে । ধর্মবিশ্বাসী লোকজন দের ছাগল বললে এবং ধর্মীয় একাত্মিকরণের থিওরি ওয়ালা দের জুতিয়ে মুখ ভেঙ্গে দিলে যদি সিচুএশন বেটার হয় তাহলে ভেবে দেখা যেতেই পারে । শত্রু এমনিতেই প্রচুর ।আর কয়েকটা নাহয় বাড়বে । কিন্তু আগে টার্গেট তা ক্লিয়ার হওয়া দক্কার ।
  • bamacharan | 131.241.218.132 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ১৮:৫৭647373
  • "বেদান্তের সময়ে বাঙ্গালিদের ধর্ম কী ছিল?" - বেদান্তের সময় বাংলা ভাষা ছিল কি ? চর্যাপদ ,লুইপাদ ,জয়দেব ,বিদ্যাপতি ,চন্ডীদাস ইত্যাদি প্রভৃতি
  • - | 109.133.152.163 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ১৯:১০647374
  • বেদান্তের আবার সময় কি? ও তো টাইমলেস টিচিং! চিরকালীন দর্শন তো। অদ্ভুত।
  • Ekak | 24.99.176.105 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ২২:৪০647375
  • ভাগওয়াত এর বক্তব্য টা থাক :
    "
    রাজনীতির ময়দানে সংঘ পরিবারের প্রধান মোহন ভাগবতের ‘হিন্দুস্তান-হিন্দু’ মন্তব্যে প্রবল বিতর্কের ঝড়।রবিবার এক অনুষ্ঠানে বিজেপির আদর্শগত চালিকাশক্তি আরএসএসের সভাপতি মন্তব্য করেছেন, ভারতবর্ষ হিন্দু রাষ্ট্র ভারতের সব নাগরিককে হিন্দুই বলতে হবে তাঁর দাবি ও যুক্তি, গোটা দুনিয়া ভারতীয়দের হিন্দু বলেই মানে।তাই ভারতবর্ষ হিন্দু রাষ্ট্র।ব্যাপারটা তো জলের মতো সহজ- ইংল্যান্ডের লোককে যদি ইংরেজ বলতে হয়, জার্মানির বাসিন্দাদের জার্মান, আমেরিকার নাগরিকদের আমেরিকান, তবে হিন্দুস্তানের সব বাসিন্দাই তো হিন্দু!

    স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি-বিরোধী মহল।কড়া ভাষায় ভাগবতের হিন্দুত্ববাদী সওয়ালের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ তেওয়ারি থেকে শুরু করে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি।

    গতকালের ভাষণে ভাগবত আরও বলেন, হিন্দুত্বই সব ভারতীয়ের সাংস্কৃতিক পরিচয়।দেশের বর্তমান বাসিন্দাদের সকলেই এই মহান সংস্কৃতির উত্তরসূরী।

    হিন্দুত্ব একটি জীবনধারা, এই দাবি করে সংঘ-প্রধান ব্যাখ্যা করেন, যে কোনও ধর্মের মানুষ, তিনি কোনও দেবদেবীকে পুজো করুন বা না করুন, হিন্দু হতে পারেন।নিজের দাবির স্বপক্ষে বিবেকানন্দকে উল্লেখ করেন তিনি।বলেন, কেউ একজন কোনও দেবদেবীরই পুজো করেন না, তার মানে এই নয় তিনি নাস্তিক।বরং যাঁর নিজের মধ্যেই বিশ্বাস-ভক্তি নেই, তাঁকে নাস্তিক বলা যায়

    ভাগবতের দাবি, এত অজস্র বৈচিত্র্য সত্ত্বেও সেই প্রাচীন যুগ থেকে ভারতের অটুট থাকার একমাত্র ভিত্তি যে হিন্দুত্ব, সেটা আজ বুঝতে পারছে বিশ্ব।কিন্তু ভারতে কিছু কিছু লোক সেটা বুঝতে পারেন না।এ নিয়ে কোনও বিতর্ক, আলোচনা উঠলেই যিনি নিজেকে হিন্দু বলেন, তাঁকে সাম্প্রদায়িক তকমা মেরে দেওয়া হয়।ভাগবত এও বলেন, যেদিকেই তাকাও শুধু অন্ধকার।গোটা দুনিয়া কিন্তু আলোর দিশা চেয়ে ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।কেননা আজও ভারত ন্যায়ের পথে রয়েছে।ভারতে যতদিন ধর্ম থাকবে, পৃথিবী তাকে সম্ভ্রমের চোখে দেখবে।কিন্তু যেদিন ধর্ম বিদায় নেবে, বিশ্বের কোনও শক্তি ভারতের পতন রোধ করতে পারবে না

    কিন্তু ভারতবাসী মানেই হিন্দু, ভাগবতের দাবি খারিজ করে সমালোচকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সংবিধান কিন্তু ইন্ডিয়ার বদলে ‘হিন্দুস্তান’ নয়, ‘ভারত’ নামটি দিয়েছে।মণীশ তেওয়ারি বলেছেন, ভাগবতকে অনুরোধ, উনি সংবিধানটা ভাল করে পড়ে দেখুন।তাতে লেখা আছে, ভারত অনেকগুলি প্রদেশকে নিয়ে গঠিত দেশ।সংবিধানের রচয়িতারা হিন্দুস্তান নয়, ইন্ডিয়া বা ভারত নামটি ব্যবহার করেছেন বাস্তবটা বোঝে না আরএসএস।ইয়েচুরি বলছেন, ।সংবিধান বলছে, ভারত যা হল ভারত।হিন্দুস্তান বলতেই পারেন, কিন্তু আসলে তা ভারত।সংবিধান মানে না মানে না, সেটা বলুক সংঘ পরিবার

    মায়াবতীর প্রতিক্রিয়া, আম্বেদকরজি যখন সংবিধান লেখেন, তিনি কিন্তু মাথায় রেখেছিলেন, এ দেশে নানা ধর্ম, মতের মানুষ থাকেন।তাই হিন্দুস্তান নয়, ভারত নামটি দিলেন।আরএসএস সভাপতির সংবিধান জ্ঞান নেই।তিনি আগে সেটা জানুন, তারপর মন্তব্য করুন। "
  • Ekak | 24.99.176.105 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ২২:৪৬647376
  • প্রসঙ্গত : মুসলিম ধর্মাবলম্বী একটা অংশ এটাকে সমর্থন করছেন । তাঁদের মতে হিন্দুস্থান নামটায় যখন আকবর বাদশা থেকে বাহাদুর শাহ কারোর আপত্তি ছিলনা সেখানে সব ধর্মের প্রাকটিস কে মেনে নিলে হিন্দু পরিচয় এও বাধা নেই । ইউনিক কালচারাল আইদেন্তিটি দরকার । এনারা ঠিক "বিজেপির ভয়ে " থাকা মুসলিম নন । শিক্ষিত -প্রগ্রেসিভ অংশ ।

    আরেক অংশ যথারীতি বলছেন যে একজন মুসলিম কিকরে হিন্দু হয় ইত্যাদি । এরাই সংখ্যা গরিষ্ট ।

    তবে "ইউনিক আইদেন্তিটি " ব্যাপারটা বাজারে চলছে । এই মোদ্দা কথা । সেই ব্যাপারে একেবারে হাতে গোনা বিচ্ছিন্নতাবাদী বুদ্ধিজীবি রা ছাড়া কেও আপত্তি করছেন না । এবার কাকে জুতোবেন জুতান ।
  • Ekak | 24.99.176.105 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ২২:৫৮647377
  • ডক্টর রেজাউল করিম এর বক্তব্য , ওনার স্টেটাস মেসেজ থেকে অনুমতি নিয়ে তুলে দিলুম :

    "Mohan Bhagwat and constitution of India
    Mohan Bhagwat has said,"Hindustan is the land of Hindus and anybody living in this territory, respective of their relugious belief or faith are Hindu". Even though Hindu is a misnomer and a gift of the Persian, it is true that world knows us as a country of the Hindus. Syed muztaba Ali mentioned that in the 1930s in a philosophy class in Germany he had to deliver a lecture on Gita and Indian philosophy as he was identified as belonging to a country with rich culture, philosophy and heritage.
    Its no denying the fact that much of reputation of this country is because of the culture and philosophy. The Hindu mahasabha or RSS have no copyright over hindutva. It was there for the last few millennia. Irrespective of the nomenclature Hindu or otherwise, we inherit the culture through generations. If Hindu is a gift of the Persian, India is the gift of the English. If one does not like to be a Hindu, how come he likes to be known as Indian. The word Hindu is not demeaning also, rather India does not transmit the concept of the past heritage which we inherit. Bharatvarsha is a suitable alternative but hindustan also should be considered. Ghalib didn't consider "hindustan" to be demeaning, neither Bahadur shah zafar. If Mohan Bhagwat was to be opposed we are free to do so but as a citizen of this country, we should be conscious of our heritage and culture. I don't support RSS but I am in favour of preserving the unique identity of this country."
  • SC | 160.212.31.10 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ২৩:০৮647378
  • বুদ্ধিমান এর ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কি বললেন একক বুঝলাম না। বুদ্ধিমানরা ধর্মে বিশ্বাস করে না, এরকম ভাবার আমি তো কোনো কারণ দেখছি না। হয়ত কিছু বামপন্থী মহলের মেজরিটি বিশ্বাস করেন না। সেখান থেকে ধারণা হতে পারে।
    কিন্তু এটা তো আগে এস্টাবলিশ করতে হবে যে বুদ্ধিমান রা ধর্মে বিশ্বাস করেন না, কোনো ডেটা দিয়ে, বা অন্য কোনভাবে। নইলে এর কাউন্টার কি করে করব?
    ক্রিয়েশন থিওরি তে অনেকেই বিশ্বাস রাখেন না, তারাও তো মন্দির চার্চ এ যান।
  • Ekak | 24.99.176.105 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ২৩:২৫647380
  • ওটা বিপ প্রসন্গ্য তুলেছিলেন । সেই সুত্রে । আর রিচার্ড ডকিন্স ও একই কথা বলেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে । Wechsler Adult Intelligence Scale টেস্ট এও দেখা গেছে রিলিজিয়াস লোকদের চে এথেইস্ট দের আই কিউ বেশি । এগুলো জাস্ট তথ্য । বা ডেটা বলতে পারেন ।
    ডকিন্স এর বক্তব্য নেট এ ভুরি ভুরি পাবেন । এবার ক্রিয়েশন থিওরি তে বিশ্বাস করে না মানে সে সোজা কথায় ধার্মিক নয় । এটা আব্রাহামিক রিলিজিওন এ অন্তত খুব পরিস্কার । যে ধার্মিক নয় সে চার্চে যায় না ডিস্ক থেকে যায় তাতে কি বা আসে যায় । সেত আমিও দুহাতে প্রচুর জ্যোতিষ পাথর পরে থাকি ।
  • Ekak | 24.99.176.105 | ১২ আগস্ট ২০১৪ ২৩:৩৩647381
  • একটা পেপার থাকলো :

    http://psr.sagepub.com/content/early/2013/08/02/1088868313497266

    তবে এই তর্কে "তথ্য" দিয়ে কি প্রমান হবে তাই তো বুঝছিনা । ইশ্বর এই জহত সৃষ্টি করেছেন এটা মানেন না মানে আপনি অধার্মিক । আর কোনো ইন্টিলিজেন্ট মানুষের পক্ষে এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না । একদম বেসিক থিওরি ক্ল্যাশ । হাজার হাজার তথ্য এনেও কিস্যু আলাদা প্রমান হবেনা । কেও ব্যক্তিগত জীবনে দ্বিচারিতা করলে সে কোনো কুলের ই নয় । ডেটা দিয়ে কি হবে ?
  • - | 109.133.152.163 | ১৩ আগস্ট ২০১৪ ০৫:৪১647382
  • করেন, করেন আলুচানা করেন। চার্বাকদের খাও পিও জিও-এর মত, চারু বা সুন্দর বাক্যের সামনেই এককালে মানুষ বেদান্তের শিক্ষা গ্রহণ করেছিল, বৌদ্ধিক বিশ্লেষণের পরেও এদেশের মানুষ শংকরের বেদান্ত বিজয়কেই মান্যতা দিয়েছে, রাজশক্তি ব্যবহার করে তৎকালীন রাজধর্ম খৃষ্টানিটির উত্থানের সময় কৃষ্ণমোহন বা মধুসূদনের কনভার্শনের পরেও শিক্ষিত বাঙালী ফিরে এসেছে রামমোহন-কেশবসেন-বিবেকানন্দের বেদান্তের কাছে, তাই এইসব চাড্ডিমূলক গালাগালের পরেও বেদান্ত বা সনাতন ধর্ম থেকেই যাবে।
    কোনও আরেসেস-বিজেপির উপস্থিতি ছাড়াই। বৃথাই ওদের উপর রাগারাগি করছেন ঃ-)
  • বিপ | 78.33.140.55 | ১৩ আগস্ট ২০১৪ ০৭:০২647383
  • গুরুতে দেখছি হাফচাড্ডি ভেদানিস্টদের অভাব নেই। এই যে সব ভারতীয় দর্শন নিয়ে ভাট মারে-কেও পড়ে দেখেছে?
    উপনিষদ গঙ্গা বলে একটা সিরিয়াল আছে-ওটা ভারতীয় দর্শন খুব সুন্দর ভাবে তুলেছিল। ভারতীয় দর্শন কেন, কোন দর্শনই
    কোনদিন বসে থাকবে না কারন জীবনের পরম উদ্দেশ্য নেই। তাই সব দর্শনকেই যুক্তি দিয়ে সত্য প্রমান করা সম্ভব। যারা চাইল্ডলেস বাই চয়েস
    তাদের চয়েস ও ঠিক-আবার যেসব মোল্লারা ১১ টার ফুটবল টিম বানায়-তারাও ঠিক।বেঠিক তারাই যারা বলে শুধু আমরাই ঠিক।

    আমার সিম্পল ফান্ডা আছে। জীবনে সময় ভাল চললে-আমি হেডোনিস্ট- খাও দাও পিও। একটু ব্যাথা এলে-আমি ভারতীয় দর্শন,
    মায়ার চর্চা করি। সব মায়া এই ব্যাপারটা লাইফে টেনশন স্ট্রেস কমায়। দর্শন হচ্ছে মনের খাদ্য। পেট খারাপ করলে, পেঁপের ঝোল ভারতীয় মায়া।
    পেট ভাল থাকলে, কষা মাংস-পিও জিও। জীবনে সব দর্শনেরই দরকার আছে। আমি বাপু সর্বভুক। সর্বদর্শনে বিরাজমান।
  • - | 109.133.152.163 | ১৩ আগস্ট ২০১৪ ০৮:২২647384
  • আমিই "সর্বদর্শনে বিরাজমান"। অল পারভেডেড এই স্টেটটিই ব্রহ্ম।বেদান্তের এই মত। আপনিই স্বীকার করে নিলেন, জেনে বা না জেনে, আপনি বেদান্তবাদীই। ঃ-)
  • bip | 78.33.140.55 | ১৩ আগস্ট ২০১৪ ১৫:১৩647385
  • আমি ত বাপু জানতেম ব্রহ্ম স্টেট হচ্ছে সেই অবস্থা-যা বর্ননাতীত। সে যে মায়ার বানে আর ধরাশায়ী না। জনক রাজ সভায় অষ্টবক্র যখন পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে বন্দিনের সাথে তর্কযুদ্ধ করছে -চতুর্থদিনের শেষে অস্টবক্র এই প্রশ্নেই বন্দিনকে ধরাশায়ী করবে।
  • - | 109.133.152.163 | ১৩ আগস্ট ২০১৪ ১৭:৩৩647386
  • "বর্ণনাতীত" ঐ স্টেটে এই আমিই সর্বভূতে "বিরাজমান" ভাবতে ভাবতে গিয়ে পৌঁছবেন! আর এই ভাবনাটা ফোর্সফুলি করতেও হবে না। স্পনটেনিয়াসলিই আসবে। আসছেও -- অজান্তে হলেও এসেছে তো আপনারই এর আগের পোস্টে!
    এই পোস্টে আপনি যেটি বর্ণনাতীত বলছেন, সেটা হায়ার সেল্ফ। সেই রিলেটিভলি হায়ার স্টেটের লিমিটেড লোয়ার ফর্মটিই আপনি বিপ। অমৃতের পুত্রদেরই একজন। এর মধ্যে কোনও কল্পনা নেই। নিখাদ বাস্তব।
  • robu | 122.79.38.23 | ১৫ আগস্ট ২০১৪ ২১:৩৯647387
  • "বেদান্তের সময়ে বাঙ্গলিদের ধর্ম কী ছিল?" - বেদান্তের সময় বাংলা ভাষা ছিল কি ?

    বেদান্তের আবার সময় কি? ও তো টাইমলেস টিচিং! চিরকালীন দর্শন তো। অদ্ভুত।
    *******
    তা সেই সময়ে এই অন্চলের অধিবাসীরা কোন ধর্মাবলম্বী ছিলেন? নাকি, তারা বেদান্তের টাইমলেস টিচিঙ্গ মেনে চলতেন?
    বেদান্তের উদ্ভবের কি কোনো সময় নেই? আর এই টাইমলেস টিচিঙ্গ দ্বারা ভারত কোন সময়ে সবচেয়ে প্রভাবিত হয়েছিল? তখন ভারতের ম্যাপ কেমন ছিল? এখন এই বেদান্তের দর্শন দিয়ে ভারতের কত পার্সেন্ট মানুশ প্রভাবিত?
    এর আগের একটা প্রশ্নের উত্তর এখনও পাইনি।ধরে নিচ্ছি সেটা শুকনো রেটোরিক।
    "আর ডিভাইড এন্ড রুল এবঙ্গ দেশীয়দের ধর্মকে ছোট করা কি করে এক হয়ে গেল, এটাও একটু বুঝিয়ে দেবেন। "

    "অদ্ভুত" লিখে বা চাট্টি "!!" দিয়ে নিজের স্যাটিসফ্যাকশন হতে পারে, তাতে তর্ক জোরালো হয় ন।
  • robu | 122.79.38.23 | ১৫ আগস্ট ২০১৪ ২১:৩৯647388
  • "বেদান্তের সময়ে বাঙ্গলিদের ধর্ম কী ছিল?" - বেদান্তের সময় বাংলা ভাষা ছিল কি ?

    বেদান্তের আবার সময় কি? ও তো টাইমলেস টিচিং! চিরকালীন দর্শন তো। অদ্ভুত।
    *******
    তা সেই সময়ে এই অন্চলের অধিবাসীরা কোন ধর্মাবলম্বী ছিলেন? নাকি, তারা বেদান্তের টাইমলেস টিচিঙ্গ মেনে চলতেন?
    বেদান্তের উদ্ভবের কি কোনো সময় নেই? আর এই টাইমলেস টিচিঙ্গ দ্বারা ভারত কোন সময়ে সবচেয়ে প্রভাবিত হয়েছিল? তখন ভারতের ম্যাপ কেমন ছিল? এখন এই বেদান্তের দর্শন দিয়ে ভারতের কত পার্সেন্ট মানুশ প্রভাবিত?
    এর আগের একটা প্রশ্নের উত্তর এখনও পাইনি।ধরে নিচ্ছি সেটা শুকনো রেটোরিক।
    "আর ডিভাইড এন্ড রুল এবঙ্গ দেশীয়দের ধর্মকে ছোট করা কি করে এক হয়ে গেল, এটাও একটু বুঝিয়ে দেবেন। "

    "অদ্ভুত" লিখে বা চাট্টি "!!" দিয়ে নিজের স্যাটিসফ্যাকশন হতে পারে, তাতে তর্ক জোরালো হয় ন।
  • - | 109.133.152.163 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ০০:৪৪647389
  • রোবু, আমার "তর্ক জোরালো" করার বাসনা নাই। দুব্বল মানুষ ঃ-)
    আমি বোধহয় বেদান্তের রিভাইভালের তিনটি যুগের কথা বলেছি। আপনি যেকোনও একটা সময় নিয়ে সেই সময়ের বাঙ্গালার ইতিহাস ফলো করতে পারেন। তবে মনে হয় ঊনবিংশ শতকের নবজাগরনের সময়টা দেখলে বাংলা-বাঙালী ম্যাপে-মানসিকতায় বেদান্তের অ্যাক্সসেপটেন্সটা আপনার বোঝার সুবিধা হবার সম্ভবনাটা একটু বেশী।
  • Ranjan Roy | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ০১:০১647391
  • বেদান্ত অনুযায়ী ব্রহ্মের বর্ণনাঃ

    "অণোরনীয়ান্‌ মহতোমহীয়ান"-- অণু থে সুক্ষ্ম, আবার বৃহতের চেয়েও বড়। অর্থাৎ অবর্ণনীয়।
    বেদান্তের আরেক নাম উত্তরমীমাংসা।
    এদিকে পূর্বমীমাংসার কুমারিল ভট্ট একদিকে আচারসর্বস্ব হিন্দুধর্মের পুনরুত্থান ঘটালেন, বৌদ্ধদের তর্কে পরাস্ত করে।
    অথচ উনিই দেবতা-টেবতা উড়িয়ে দিলেন। বল্লেন --দেবতা শব্দময়ী। শুধু উচ্চারণের ম্যাজিক্যাল ভ্যালু আছে। মন্ত্রের উদ্দিষ্ট কোন দেবতা নয়, কোন দেবতা এসে ভোগ খেয়ে যায় না।
    আবার সৃষ্টিরহস্যেও বেদান্তের থেকে আলাদা।
    বেদান্ত মতে ব্রহ্মান্ড ধ্বংস হলে কল্পকালে পরমেশ্বর স্বয়ং ওংকার মন্ত্র উচ্চারণ করে আবার সৃষ্টি করেন।
    ওদিকে মীমাংসকদের মতে গোটা সৃষ্টি কখনই একেবারে ধ্বংস হয় না, আবার একসঙ্গে সৃষ্ট হয় না। সবসময়ই ব্রহ্মান্ডের কোন এক অংশ ধ্বংস হচ্ছে, আর কোন এক অংশ সৃষ্ট হচ্ছে।
    কাজেই এই বিশাল ষড়দর্শনের ঐতিহ্যকে কি করে এক বেদান্তের পরিচয়ে বাঁধা যাবে?
    আর বঙ্গে নবদ্বীপে ন্যায়দর্শনের বোলবোলাও ছিল। স্বয়ং চৈতন্যদেব প্রথম যৌবনে এর অনুগামী হয়ে "নাস্তিকের শিরোমণি" বদনাম কুড়িয়ে ছিলেন। বিশেষতঃ বঙ্গে নব্যন্যায়ের যে ধারা শুরু হয়েছিল তার অধ্যয়নের জন্যে কাশী-মিথিলা থেকে ছাত্ররা আসত বলে শোনা যায়।
    আর ছিল তন্ত্রের প্রাবল্য-- যা বৈদিক স্রোত থেকে উৎপন্ন নয়, বরং দেশজ শক্তি আরাধনার উপজ।
  • - | 109.133.152.163 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ০১:৪৩647392
  • সত্যি? কত্ত জানেন! তাই বলে বেদান্তের সঙ্গে ন্যায় আর তন্ত্র সব মাখিয়ে ফেলবেন?
  • robu | 122.79.38.23 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১০:১০647393
  • ঊনবিংশ শতকের নবজাগরনের সময়টা বাঙ্গালার কতখানি প্রভাবিত হয়েছিল?
    আর কতটা প্রভাব ছিল অন্যান্য দেশীয় দেবদেবী আর তন্ত্র সাধনার?
    গ্লু বলে কতা।
  • - | 109.133.152.163 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১০:২৬647394
  • খুব ভালো প্রশ্ন, রোবু! বেদান্ত থেকে তন্ত্র, থেকে বিশ্ব-ধর্ম, থেকে দেশ-ও-দশের ইউনিটির চিন্তায়, ইতিহাস-দর্শন-ম্যাপ তথা ভূগোল এবং জাতি ও তার মানসিকতা -- সমস্ত বিষয়ের জিজ্ঞাসা-সমুদ্রে আপনার এই কলম্বাস-তুল্য ঝাঁপিয়ে পড়ার আগ্রহ যাস্ট তুলনাহীন!
    আপনিই পারবেন খুঁটে খেতে। আমার আর উত্তর দিতে হবে না। এই আগ্রহটুকু জাগিয়ে দেওয়া পজ্জন্তই যথেষ্ট ঃ-)
  • robu | 122.79.38.23 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১১:১১647395
  • সেশ দুটো উত্তর খুবই ভালো হয়েছে।
    গ্লু-টা পুরো ভাট, এই আমার টেক্যাওয়ে। ধন্যবাদ।
  • - | 109.133.152.163 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১২:১৯647396
  • টেক্যাওয়ে, এই টই থেকে? না মনে হয়। ঐ বিশ্বাস নিয়েই আপনি শুরু করেছিলেন, আর ওখানেই থেমে রইলেন। কিছু নেবার ছিল যায়গা ছিল না, বা দেবার মত মন।
  • robu | 122.79.38.23 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১২:২৫647397
  • ঠিক ঃ-)
  • T | 90.13.211.110 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১২:৪৯647398
  • দুদ্দুর। বিষ নেই শুধু কুলোপানা চক্কর।
  • bong kim | 37.1.221.77 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১২:৫১647399
  • আচ্ছা এই টই এ কবে ফয়সালা হবে বলুন তো? সেদিন চেক করব।
  • b | 24.139.196.6 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১২:৫৮647400
  • সিদ্ধান্ত বিসূচিকা আর সাম্যাসাম্য নির্ঘন্টঃ রোবু আগে এই দুটো বই পড়ে ফেলুন। দেখবেন, কেউ বলছে, কেন্দ্রগতং নির্বিশেষং, আবার কেউ বলছে কেন্দ্রগতং নির্বিশেষঞ্চ।
  • robu | 122.79.38.23 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৩:০৯647402
  • ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন