এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিনয় কোঙার ও সইফুদ্দিন আর নেই

    কল্লোল
    অন্যান্য | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ২৯৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 111.63.77.93 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:৪৩648131
  • ১৯৭৪ সাল। সিদ্ধার্থ সরকার তার নব-যুবদের ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সারা বাংলা। কোন বিরোধী স্বর নেই। কলেজে কলেজে ছাত্র পরিষদ(সুব্রত মুখার্জি) বা শিক্ষা বাঁচাও(লক্ষী বসু)। পাড়ায় পাড়ায় শুধুই নব ও যুব কংগ্রেস। চরজন যুবক রকে বা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিলেও, পরদিন নব-যুব দাদারা খোঁজ নিচ্ছে - মাকু বা নকু নয় তো?
    ১৯৭৪ সাল - ২০শে জুলাই। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সাংষ্কৃতিক মিছিলে হামলা করেছে পুলিশ। শহীদ হয়েছেন নাট্যমোদী প্রবীর দত্ত। সমস্ত মিটিং মিছিল প্রায় বন্ধ। ২৩শে জুলাই মারা গেলেন হরেকৃষ্ণ কোঙার। তাঁর মরদেহ নিয়ে শ্মশান চললো এক মহা মিছিল। কতো লোক? জানি না। কেউ বলেন এক লক্ষ, কেউ বলেন, সত্তর হাজার। তাতে কিই আসে যায়। প্রয় চার বছর পর কলকাতার রাস্তায় স্লোগান উঠ্ছে - ইনকিলাব জিন্দাবাদ............ কমরেড হরেকৃষ্ণ কোঙ্রার তোমায় জানাই লাল সলাম..........। কয়েক হাজার মানুষ একসাথে গাইছেন - জাগো জাগো জাগো সর্বহারা.................
    সেই লাল পতাকায় ঢাকা জনসমুদ্রের মাঝে একটা কালো প্রিজন ভ্যান। তাতে আছেন ঐ মিছিলের নয়নের মণি - জেলবন্দী বিনয় কোঙার। দাদার শেষ যাত্রায় এসেছেন কারাগারে থাকা ভাই। শুধু বাই? নাকি কমরেড। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্রজের সাথে বর্ধমানের লাল কৃষক দূর্গ গড়ে তোলা কমরেড।
    আমরা ফুটপাথ ধরে হাঁটছি ঐ তপ্ত লাভাস্রোতের সাথে সাথে। খুব ইচ্ছে করছিলো মিশে যাই ঐ মিছিলে। সাথে ছিলো আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা বন্ধু। তাই সে ইচ্ছে দমিয়ে রেখেছিলাম বুকের মধ্যে। সে স্মৃতি আজও চোখে জল আনে।
    এখানে অনেকেরই হয়তো ওনাকে নিয়ে কিছু স্মৃতি আছে। তার তর্পন হোক।

    সৈফুদ্দিন। না ওনার সাথে ব্যাক্তিগত আলাপ ছিলো না। শুনেছি ভীষন নরম মনের মানুষ ছিলেন। খুব দক্ষ সংগঠক। জরুরী অবস্থার মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এস এফ আইকে আগলে রেখেছিলেন। সুজাতর কাছে শুনেছি।
    এখানে অনেকেই ওঁকে নিয়ে নানান কথা লোখেছেন এদিক ওদিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
    লিখুন, যারা চিনতেন ওঁকে।
  • PT | 213.110.243.21 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৪৬648192
  • বিনয় বাবুর যাওয়ার সময় হয়েছিল। কিন্তু সৈফুদ্দিন? ক্ষতি তো বটেই।
    তবে সৈফুদ্দিন কেন সিপিএম ছাড়লেন তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। সৈফুদ্দিনের সঙ্গে আমার অতি পরিচিত সুবীর চৌধুরীও (এবং পরে তার স্ত্রী সুদেষ্ণা) দল ছাড়ে। দুজনেই দাপিয়ে এসেফাই করত JU-তে। সুবীরের সঙ্গে আমার ব্যাপক তক্ক হত JU-তে থাকাকালীন। কোন দিন তার বিশ্বাসে এতটুকুও চিড় চোখে পড়েনি। কোন দিন ভাবিও নি যে সে সিপিএম (বা এসেফাই) ছাড়তে পারে। তার পরে তো তারা হারিয়েই গেল জনারণ্যে। সৈফুদ্দিন আর পুততুন্ডদের মতই!
    কিন্তু একজন "দক্ষ সংগঠক" কেন সিপিএম ছাড়ার পরে একটি সমান্তরাল বামদল গড়ে তুলতে পারলেন না?
  • quark | 125.115.171.250 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৫৬648203
  • আজকের দিনটিতে তিনি কী পারলেন না, সে আলোচনা থাক না।
  • PT | 213.110.243.22 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৩:৪৮648214
  • এই প্রশ্ন করলে মনে হয় না সইফুদ্দিনের মত এক্জন কম্যুনিস্টকে কোন অসম্মান করা হয়।
    যেমন কিনা বিনয় বাবুর শেষের দিকের কিছু কথাবার্তা বর্জনীয় বলে মন্তব্য করলে তাতে বিনয় বাবুর সারা জীবনের কাজকে কমিয়ে দেখানো হয় না।
  • de | 69.185.236.54 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৩:৫৬648225
  • সমান্তরাল বামদল গড়ে তুলতে কেন পারলেন না - এই প্রশ্নের চেয়ে এমন মনেপ্রাণে বামপন্থী মানুষগুলো কেন সিপিআইএম ছাড়লেন - সে প্রশ্নটাই বেশী জরুরী। এরকম কর্মী তো যে কোন দলের কাছে সম্পদ!

    প্রসঙ্গত, ওই সময়ে দল ছেড়েছিলেন এমন আরো কয়েকজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মীকে আমিও চিনি, তাঁরা কেউই আর বেঁচে নেই আজ!
  • কল্লোল | 111.63.74.213 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:১৭648236
  • সিপিআই থেকে ভেঙ্গে সিপিএম, সিপিএম থেকে ভেঙ্গে সিপিঅইএমএল ও অন্যন্য নকশাল দল অবধি তবু ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা অংশগুলো দল হিসাবে কাজ করেছে। কিন্তু এঅর্পর যারা সিপিএম ছেড়েছেন (সিপিআই ছেড়েছেন কি কেউ? মনে পড়ছে না), তাঁরা কেউই কোন পাকাপোক্ত সংগঠন গড়ে তুলতে পারেন নি।
    ১) পীযুষ দাশগুপ্ত
    ২) সৈফুদ্দিন
    আমি লক্ষন শেঠেদের ধরছি না।
  • কল্লোল | 111.63.74.213 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:৪৮648247
  • ফেসবুকে আমাদের ঘনা। (রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য)

    যন্ত্রণার কোনো ভাষা হয় না ।
    ===================
    বলা যাবে না, গেষ্টাপোর মত পাহারাদারেরা সফির যতীন দাস পার্কে কি ভাবে মিটিং বানচাল করার চেষ্টা করেছিল ।
    বলা যাবে না, বইমেলায় হীরেন সান্যালকে কারা হেনস্থা করেছিল ।
    বলা যাবে না, আশু বাবুর বাজারে হাউসিংর কাছে আমার বক্তব্য রাখার সময়, পুলিস কি ভাবে নীরবে দাঁড়িয়ে ছিল- যখন কিছু উঠতি কিছু ছেলে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় খিস্তি করেছিল ।
    বলতে পারবো না- দমদমের টাউন হলে, মঞ্চে যখন সফির সঙ্গে বসে আমি- সেই ছবি তুলে আমার কোম্পানীতে পাঠানো হয়েছিল, চাকরী খাবার সুপারিশ সহ । ই- টিভির ক্যামেরা ম্যানকে হুমকি দিয়েছিল কারা ? বলা যাবে না ।
    প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ স্বরাষ্ট্র সচিব (পরে মুখ্য সচিব) কটকে র‌্যাভেনশ কলেজের আমার চার বছরের জুনিয়র – খালি পিডিএস করার অপরাধে আমার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করল না । অথচ, ফোনে আমায় সময় দিয়েছিল- একটা আঞ্চলিক সমস্যার সমাধানের জন্য ।
    দিনের পর দিন- আমার শোওয়ার ঘরের জানলার পাশে আমাকে দিনের পর দিন খিস্তি করার কথা বলা যাবে না ।
    আমার অপরাধ ছিল- কোম্পানীকে বলে, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনকে কিছু ফ্রি ওষুধের নমুনা দিয়েছিলাম, আমার বড় কর্তার সাইন করা অনুমতি ক্রমে ।জানতোই না---- ম্যানেজাররা ফ্রি স্যাম্পেল পায় না- তাও বিক্রি করার অভিযোগ তুলেছিল আমার বিরুদ্ধে ।
    বলা যাবে না- রোগশয্যায় আরেক বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত- সফিকে বলেছিলেন আমার সামনেই- বিদ্রোহ করলি, কিন্তু দুঃখ হচ্ছে আমি এই রোগ শয্যায় থেকে তোকে সাহায্য করতে পারছি না ।
    সফির মালদায় মিটিং করার সময়- প্রয়াত একজন ভূতপূর্ব মন্ত্রী কি ভাবে আটকে রেখেছিল স্থানীয় পার্টির সদস্যদের- বলা যাবে না ।
    অনেক কিছুই বলা যাবে না !
    শুধু আজ যখন দেখছি- কমরেড সফি অমর রহে , দুঃখের মধ্যেও হাসি পাচ্ছে ।
    নাঃ ! এই কথা টাও বলবো না !
    কলমের তলোয়ার নিয়ে ফতোহা জারি হবে । পারলে, আমার মাথাটাও আইএস আইএসের জঙ্গীদের মত কেটে নেবে - এটাও বলা যাবে না ।
    এখন, এই বয়সে তো আর কিছু পারবো না ।
    তবে যতদিন বেঁচে থাকবো- ততদিন মনে রাখবো- গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতায় কেন ২০ % লোক কি বলেছিল জানতে পারবো না - তোমার এই কথাটা কেন মেনে নিতে পারে নি “বাঘা বাঘা” লোকজন ।
    বলা যাবে না, কারণ প্রমাণ নেই ।
    সফি----- ঘুমোও বন্ধু ।
  • ধুরন্ধর ঝাঁট | 127.194.26.123 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:০৬648258
  • বিনয় কোঙার আমার দাদার পাশের বেডে ভর্তি ছিলেন | বয়সজনিত কারণ বা অভ্যেস, নার্স দের সাথে অসম্ভব খারাপ ব্যবহার করেছেন| এটাও বলেছেন জানো আমি কে, একটা ফোন করলে এসে তোমাদের গলা টিপে দেবে | আর মহিলাদের নিয়ে যেসব মন্তব্য উনি করেছিলেন, সেগুলো আমাদের তৃণমূলের আদর্শ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে |
    আজ যারা সৈফুদ্দিন কে নিয়ে কান্নার লাল জলে ফেসবুক ভরিয়ে তুলছেন , তাঁদের কাছে প্রশ্ন, ওই ভদ্রলোক কে আপনাদের দল কতটা সন্মান দিয়েছিল? এরাই আবার এক নিশ্বাসে বিনয় কোঙার কে রত্ন ফত্ন বলে ফাটিয়ে দিচ্ছেন....কি অসাধারণ আই কিউ | পার্টির শেখানো বুলি কপচাতে কপচাতে কি নিজেদের কমন সেন্স টা ও ফান্ডে জমা দিয়ে দিয়েছেন?
  • SC | 160.212.118.70 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১১648269
  • যারা আজ নেই, তাদের নিয়ে এসব আলোচনা আজ থাক না।
  • a | 132.177.243.244 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:১০648132
  • এই বিনয় কোঙার এর মুখের ভাষা খুব খারাপ ছিল।
  • SC | 34.3.22.185 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৭:২২648143
  • তাহলে আজ আবার বলি, এই গেল গেল রব কেন?
    বিনয় কোঙার আজ নেই, এসব লিখতে ইচ্ছে করছিল না। এতগুলো লেখা দেখে মনে হচ্ছে জবাব দিই।

    বিনয় কোঙার আপনাদের সারদা চ্যানেল, আনন্দ চ্যানেলের বুজিগিরি করে নেতা হননি, উনি কলকেতার কিম্বা দিল্লির এলিট কলেজে
    আঁতেল দের সাথে সিগারেট ফুঁকে নেতা হননি। বিনয় কোঙার বর্ধমানের কৃষক নেতা।
    প:ব: তে ভুমিসন্গস্কারের আন্দোলনে, কৃষক আন্দোলনে সি পি আই এম দলের যে সাফল্য, তার পুরোভাগে ছিলেন বিনয়, হরেকেষ্ট, আরেক বিনয় (চৌধুরী)। মাটি কামড়ে পরে থেকে এক সময়ে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব এরা দিয়েছিলেন। রাজনীতির ইতিহাসে বিনয় কোঙার সেই জন্যই
    উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।
    তার মৃত্যুতে বাঙালি শুধু এইটাই বলে উঠতে পারল, 'ওর মুখের ভাষা আমাদের মত সভ্য ছিল না'।
    হয়ত প্রয়োজন বোধ করেননি আপনাদের ভাষাটা শিখে ওঠার। আর ওনার মৃত্যুর পরে যা মূল্যায়ন হচ্ছে, না শিখে ভালই করেছেন মনে হচ্ছে।
    ওই জে এন ইউ র গেটে আর কলকাতায় সভ্য সুশীল অনেক নেতা গজিয়েছে এখন সিপিএমে, তাদের নেতৃত্বে দলটা মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে, ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
    তার মধ্যে দক্ষিনপন্থী দল থেকে কিছু ফোরে দালাল জুটে গেছে নেতা হতে। মুকুল রায়, কে ডি সিং, এদের খুব সুন্দর ভাষা, আহা! নেতা হো তো আইসা।

    বিনয় কোঙার এই সুশীল আর দালাল দের ভিড়ে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছিলেন।
  • sm | 233.223.157.147 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:০৪648154
  • SC , বা অন্যান্য কেউ (মানে সিনিয়র লোকজন, রঞ্জন , কল্লোল বা পিটি বাবু ও অন্যান্য রা ) এদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, একটু গোদা বাংলায় বুঝিয়ে বলবেন এই কৃষক আন্দোলন টা কি জিনিস এবং তাতে কার কি উপকার/অপকার হয়েছিল? কোনো লিং দেনেন না প্লিস।
    জাস্ট কৌতুহল। নাথিং এলস।
    আর বিনয়বাবুর মুখ খারাপ ছিল এটা ঘটনা।সফি বাবু ছিলেন মার্জিত, এটাও ঘটনা। বর্ধমানের সঙ্গে কিছুটা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে বলে বলছি,
    ওখানকার বেশ কিছু কৃষকের মুখের ভাষা তো যথেষ্ট শালীন।
    কাজী নজরুল, কুমুদ রঞ্জনের জন্মভূমি বর্ধমান।
  • কল্লোল | 111.59.26.61 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১১:৫৭648165
  • কৃষক আন্দোলন।
    এটা কি করে এখানে এভাবে যাবে জানি না।
    একসময় ৪০এর দশকের মাঝামাঝি সারা বাংলায় ভাগচাষীদের জমির মালিক ফসলের ভাগ দিতেন খুশী মতো। খুবই সামান্য পেতেন তাঁরা। তখন সিপিআইয়ের কিষাণসভা তেভাগা আন্দোলন শুরু করে। মূল দাবী - ফসলের তিনভাগের দুভাগ ভাগচাষীর, একভাগ মালিকের। প্রচুর রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর সরকার কিছুটা দাবী মেনে নেয়। ৫০-৫০ ভাগ হয়। এর পরই ভাগচাষীদের আধিয়ার বলেও উল্লেখ করা হতো।
    ইহা কৃষক আন্দোলন।
  • কল্লোল | 111.59.26.61 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:০০648176
  • পিটি - তুমি লিখেছো - "তবে সৈফুদ্দিন কেন সিপিএম ছাড়লেন তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।"

    সৈফুদ্দিনকে সিপিএম ছাড়তে চায় নি, পার্টি তাড়িয়ে দেয়।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:১৩648187
  • তেভাগা আন্দোলন। যার ওপর বেস করে সেই বিখ্যাত গান - হেঁই সামালো ধান হো, কাস্তেটা দাও শান হো, জান কবুল আর মান কবুল, আর দেব' না, আর দেব' না, রক্তে বোনা ধান মোদের প্রাণ হো।
  • a | 11.39.24.213 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৩:২৩648188
  • কেউ কৃষক andolon korechilen bole tar খারাপ ভাষা justified হয়ে গেল।কি সরলতা।
  • PT | 213.110.247.221 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৩:৪৮648189
  • সেটা কে দাবী করেছে এখানে?
  • sch | 192.71.182.106 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:৫৫648190
  • কল্লোলদা বিনয় চৌধুরী এবং কোঙ্গার ব্রাদার্সরা এবং কিছুটা নিরুপম সেনও মনে হয় অপারেশান বর্গায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।

    Wiki valo summarise করেছে

    "Benoy Choudhury played a leading role in land reforms in West Bengal. Land reforms can be divided into two phases. In the first phase in 1967-1970, Hare Krishna Konar recovered around a million acres (4,000 km²) of land through existing legal means. In the second phase of land reforms in 1978-1982, Benoy Choudhury accomplished two major tasks. The first task was carried out under Operation Barga when around 1.7 million sharecroppers were formally recorded, assuring them of permanency of land holding and a fair share of the crop. The second task was the distribution of about a million acres (4,000 km²) of land earlier vested amongst 2.4 million poor and landless farm labor. Thus about 4 million people were directly benefited, laying the foundation for victory of the Left Front in subsequent years."

    সমস্যা হল বিনয় চৌধুরী কিন্তু খুব নম্র ও ভদ্রভাযী ছিলেন। কৃষক আন্দোলন করে উঠে এলেই তাকে নার্সদের সাথে মিসবিহেভ করতে হবে বা মহিলাদের সাথে অসভ্য ভাষা ব্যবহার করতে হবে এর কোনো মানে নেই।
  • কল্লোল | 111.63.213.217 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:১৩648191
  • শুধু এঁরা নন, সিপিএমের কৃষক ফ্রন্টের অনেকেই অপারেশন বর্গা আর্টিকুলেট করতে খুব বড়ো ভূমিকা নিয়েছিলেন।
    কিন্তু সেদিন বোঝা না গেলেও আজ অপারেশন বর্গা জনিত সমস্যাটি বেশ জরবদস্ত।
    অপারেশন বর্গার ২০ বছরের মধ্যেই জমির মালিক ও বর্গাদারদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে বর্গা পিছু জমির পরিমান কমতে কমতে এখন এমন একটা জায়গায় এসেছে যে কৃষি অলাভজনক হয়ে যাচ্ছে। এটার কাটানো যেতো সমবায় পদ্ধতিতে। কৃষি লাভজনক হলে মালিক, বর্গাদার ও ক্ষেতমজুর সবারই লাভ হতো। সেত না করে শিল্প শিল্প করে লাফিয়ে কিছুই হলো না। লোকে সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম করে খুব কাঁদছে বতে। হলদিয়ার বেঅলয় তো ব্যাগড়া হয় নি - তাতে কি চাট্টে পা গজিয়েছিলো? লক্ষ লক্ষ মৌ সই হলো। তাতে ডিম পাড়লো কটি। একই কাজ আজকের সরকারও করে চলেছে।

    এসসি। ঢের ঢের কৃষক নেতা দেখেছি। কানু সান্যাল, জঙ্গল সাঁওতাল, গুনধর মূর্মূ, নিতাই দাস, কংসারী হালদার, অযোধ্যা সিং, কান্তি গাঙ্গুলী - কেউই রূঢ়্ভাষী ছিলেন না।
  • PT | 213.110.247.221 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:২৭648193
  • "এটার কাটানো যেতো সমবায় পদ্ধতিতে।"
    এই নিয়ে প্রনব বর্ধনের সঙ্গে বিনয় চৌধুরীর আলোচনা হয়েছিল বলে প্রনব আবাপ-কে এত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কয়েক মাস আগে। আর পব-তে কেন সমবায় চলবে না তা নিয়েও বিনয় বাবুর বক্তব্য উল্লেখ করেছিলেন প্রণব।
    লিং দিতে পারছি না তবে খুব বেশীদিন আগের কথা নয়।
  • সিকি | 131.241.127.1 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:৩৫648194
  • মূলত অপারেশন বর্গা লং রানে ফেল করছে এই কারণেই। বর্গাদারের পরিমাণ এত বেড়ে যাচ্ছে, এত বেড়ে যাচ্ছে, যে জমি ভাগ করতে যে পরিমাণ আল দেওয়া হচ্ছে, তারই পরিমাণ বিশাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কৃষিযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই সমস্যাটা প্রথমদিন থেকেই ছিল, কিন্তু ঐ আর কি, এর বিকল্প সমবায়, সেটা পবঙ্গে চলবে না।
  • কল্লোল | 111.63.213.217 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:৪২648195
  • সমবায় নিয়ে বিনয় চৌধুরীর বলার ছিলো মোটামুটি এই রকম - কৃষকেরা জমি নিয়ে খুব পসেসিভ। সমবায় হোক বা যাই হোক তারা জমি ছাড়বে না - আমার যতোটা মনে আছে।
    জানি না প্রণবের মতো মানুষ এটায় কি বলেছিলেন। সেটা আবাপর ঐ লেখায় খুব পরিষ্কার ছিলো না।
    ১) কৃষক মানে জমির মালিক নয়। তাই তারা জমি সমবায়ে দিতে রাজি না, সেটাই স্বাভাবিক। তারা তো অপারেশন বর্গারও বিরোধী ছিলো।
    ২) অপারেশন বর্গার ২০ বছরের মুখে বামেরা গ্রামাঞ্চলে একচেটিয়া। তাদের প্রভাব ছিলো প্রবাদের মতো। তারা যদি বর্গাদারদের বোঝাতো - কারুর ভাগ চলে যচ্ছে না, বরং একলপ্তে জমি চাষ হলে কৃষি লাভজনক হবে। মনে হয়না তাতে খুব বিরোধীতা হতো। এমনিতেই তখন রাজনৈতিক বিরোধী বলতে তো কেউ ছিলো না।
    ৩) বামেদের এটায় খুব আগ্রহ ছিলো না, তার কারন সমবায় হলে বর্গার পাট্টাগুলো অপ্রসঙ্গিক হয়ে যেতো, তাতে গ্রামে পাট্টাদাস পদ্ধতি কিছুটা হলেও মার খেতো।
  • dd | 125.242.198.223 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:২৮648196
  • আমার কি ভুল মনে পরছে? না কি অন্যদের সাথে গুলিয়ে ফেলছি? ছাই, উইকিতেও ডিটেইল নেই।

    ইনি ই কি নানান "সংখ্যালঘু সপ্রদায়ের সংগঠন" গড়ে তুলেছিলেন শেষের দিকে ? আমার খবরের কাগোজ পড়ে মনে হোতো যাঃ , সেই আরেক জন "মুসলিম নেতা" এসে গেলেন।

    কল্লোল ঠিক জানবে। ভুল বললাম কি না
  • কল্লোল | 125.240.12.124 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:৪৭648197
  • ডিডি।
    কিনিই? সৈফুদ্দিন? না বোধহয়। সে তো রেজ্জাক মোল্লা।
  • PT | 213.110.247.221 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৭:৩০648198
  • বোধহয় পুলিশকর্তা নজরুল ইসলামও এরকম কিছু একটা করেছেন।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৯:৫২648199
  • আচ্ছা, অপারেশন বর্গার পরে বিনয় কোঙারের কৃষকসভা কৃষকদের আর কোন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেউ বলতে পারবে? একটা মানুষের মূল্যায়ন করতে হলে তার কর্মজীবন যদি চল্লিশ বছর হয় তাহলে পুরো চল্লিশ বছরের উপরেই মূল্যায়ন করা উচিৎ নয় কি? শুধু প্রথম কুড়ি বছর দিয়ে মূল্যায়ন করলে চলবে? অনাড়ম্বর জীবনযাপন অব্দি ঠিক আছে। বিনয় কোঙারকে তার চেয়ে বাড়িয়ে দেখার কোনো কারণ আছে কি? মনে পড়ে নন্দীগ্রামের লাইফ হেল করা মন্তব্য ছাড়াও ওনার সেইসব 'তাত্ত্বিক' জাস্টিফিকেশন। কেন ওনারা উচ্ছেদ করে শিল্পায়ন করছেন? না, এর ফলে শ্রমিকশ্রেণী তৈরী হবে। আর শ্রমিকশ্রেণী তৈরী না হলে বিপ্লবটা করবে কারা? অর্থাৎ যে কাজ প্রিমিটিভ একুমুলেশনের যুগে পুঁজিবাদীরা করেছিল, জমি থেকে দলে দলে কৃষককে উচ্ছেদ করে শিল্পশ্রমিকে পরিণত করা, আজ সে কাজ নাকি কমিউনিস্টদের করতে হবে। চ্যাংড়ামোর একটা লিমিট থাকা উচিৎ। 'বিপ্লবের স্বার্থ' নামের গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিলেই যা ইচ্ছে লিখে সেটাকে 'বামপন্থী তত্ত্ব' নাম দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যায়? এগুলো ভুলে গিয়ে কেবল অনাড়ম্বর জীবনযাপনটুকু মাথায় তুলে নাচব? পারলাম না বস। নিজের আড়ম্বরের জীবনকেও এর তুলনায় মহান লাগে। অন্ততঃ নিজের কুকর্মকে জাস্টিফাই করতে তত্ত্ব লিখে জীবন কাটাতে হয় না।
  • :-X | 151.0.9.124 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:০৭648200
  • Encore encore!!!
  • PT | 213.110.247.221 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:১৬648201
  • "চ্যাংড়ামোর একটা লিমিট থাকা উচিৎ"
    হুমমমম....!!
  • aranya | 154.160.5.25 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:২৫648202
  • 'কেন ওনারা উচ্ছেদ করে শিল্পায়ন করছেন? না, এর ফলে শ্রমিকশ্রেণী তৈরী হবে। আর শ্রমিকশ্রেণী তৈরী না হলে বিপ্লবটা করবে কারা? '

    - এইরকম তত্ত্ব দিয়েছিলেন? !!!
  • sm | 233.223.155.7 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:৪৫648204
  • কৃষক আন্দোলন হলো সি পু এম এর পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির একটি টুকরো ছবি। এখানে ভোট পাওয়ার রাজনীতি করতে কিছু ভাগ চাষী কে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো আপত্তি থাকত না যদি সরকার পয়সা দিয়ে মালিকদের কাছে জমি কিনে ভাগ চাষীর সত্ব কে বৈধতা দিত।কারণ খাতায় কলমে জমির মালিক ছিল একজন ব্যক্তি, সরকার নয়। সরকারে এসে বামেরা এই জুলুমবাজি টি করেছেন।
    বামেরা যদি সেই সময় টাটা, বিড়লা প্রভৃতি হাজার কোটি মালিকদের সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে গরিবদের বিলিয়ে দিতেন, তাহলে বোঝা যেত কত ধানে কত চাল। আর ভাগ চাষের থেকে সমবায় চাষ করলে যে উন্নতি বেশি হত এটা বলার জন্য কোনো রেফারেন্সের দরকার নাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন