এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিনয় কোঙার ও সইফুদ্দিন আর নেই

    কল্লোল
    অন্যান্য | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ২৯৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pinaki | 90.254.154.105 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:০১648205
  • অরণ্যদা,
    হ্যাঁ, দিয়েছিলেন। মার্কসবাদী পথ বা ঐরকম কোনো একটা তাত্ত্বিক মুখপত্রে। ঐ বাজারে ঐ লেখাটাই ছিল সিপিএমের নন্দীগ্রাম কুকর্মের একমাত্র 'মার্কসবাদী' ব্যাখ্যা। সে নিয়ে বাজারে খোরাকও কম হয় নি।
  • aranya | 154.160.5.25 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:০৪648206
  • ওঃফ! কি ভয়াবহ তত্ত্ব রে ভাই
  • h | 213.132.214.156 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:২৯648207
  • কৃষক আন্দোলন সবচেয়ে উপকৃত হত প্রথম থেকে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর পক্ষে কথা বললে ঃ-))))
  • h | 213.132.214.156 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৪৬648208
  • উটেরা কি কাঁটা বেছে খায় এর মত প্রশ্ন হচ্ছে খানিক টা, কিন্তু সিরিয়াসলি জানতে চাই কোন কোন রাজনইতিক আন্দোলন পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির আন্দোলন নয়?
  • b | 24.139.196.6 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৫৪648209
  • এস এম এর অপারেশন বর্গা নিয়ে ধারণাটা বেশ নড়বড়ে। এর আগেও অন্য (নাকি এখানেই) টইতে লিখেছিলাম।

    শুনুন। ভাগচাষীদের জমি থেকে উৎখাত করার বিপক্ষে ১৯৫৫সাল থেকেই আইন ছিলো। সর্বভারতীয় লেভেলে। কিন্তু তাতে একটা গুবলেট ছিলো। রায়তদের রেজিস্টার্ড হতে হবে। মানে খাতায় কলমে অমুক জোতদারের অমুক জমিতে এই এই রায়ত রেজিস্টার্ড। ল্যান্ড রেকর্ড ভালো না থাকায় এই রেজিস্ট্রেশনের কাজ ভালো করে হয় নি। ফলে জোতদাররা এটা ব্যবহার করে, উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে ভাগচাষীর স্বত্ব কমিয়ে দিতো। ধরুন আপনার উৎপাদনের ৭০% জোতদার নিয়ে নিচ্ছে। এমতাবস্থায়, চাষীর উৎপাদনশীলতা কমতে বাধ্য। কেন জানেন? ধরুন সরকার প্রচুর ট্যাক্স চাপালো। আপনি কি আর ওভারটাইম খাটতে রাজী হবেন?

    অপারেশন বর্গা আর কিছুই নয়, স্রেফ এই বর্গাদার (বা ভাগচাষীদের) রেজিস্টার করানো। জমির ডি ফ্যাক্টো অধিকারী আগেও জোতদার ছিলো, এখনো তাই। কিন্তু তফাৎ হল, ফসল নিয়ে ভাগাভাগী-তে বর্গাদারের জোর বেড়ে গেলো, কারণ সে জানে যে তাকে উৎখাত করা যাবে না।

    সরকার বড়লোক চাষীদের জমি কেড়ে নিয়ে ভাগচাষীদের দিয়ে দেয় নি। একটা চালু আইনের লুপহোলগুলো বন্ধ করেছে শুধু।
  • Ekak | 24.99.145.8 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:১৯648210
  • সিংহভাগ চাষী আবার ফার্ম লেবারেই ফিরবে । কেও কেও চাষ ব্যবসায়ী হবে ।আমরা যেমন অনেকে চাগ্রি করি । কেও কেও ব্যবসা । সবাইকে ব্যবসা করতে বাধ্য করা ভুলভাল ।
  • PT | 213.110.246.230 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৩১648211
  • ইমামদের ভাতা দেওয়া আর ক্লাবগুলোকে লাখ লাখ টাকা বিতরণ করা "পাইয়ে দেওয়া"-র তালিকাভুক্ত করা যাবে কিনা সেটা sm যদি একটু বুঝিয়ে দেন....
  • Arpan | 125.118.147.132 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৫২648212
  • সমবায়ের একমাত্র আধুনিক বিকল্প কন্ট্রাক্ট ফার্মিং। তালে কৃষি জীবিকা হিসেবে আবার লাভজনক হতে পারে।
  • SC | 34.3.22.185 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:৪১648213
  • বিনয় কোন্গারের কথা এলে অবশ্যই তার শেষ দিকের এই কুকর্ম গুলোর কথা আসবে। বিরোধীদের ঘিরে ধরে লাইফ হেল করে দেওয়ার অগণতান্ত্রিক দাদাগিরির কথা আসবে। দুই বিনয় কে ইতিহাস দুভাবে মনে রাখবে। এক বিনয় প্রতিবাদ করে বলতে পেরেছিলেন, 'এটা ঠিকাদার দের দল হয়ে গেছে', আরেক বিনয় ঠিকাদার থেকে গুন্ডাদের দল হওয়ার পরেও চুপ করে ছিলেন, rather হুমকি দিচ্ছিলেন।
    তবে তাতে প্রথম কুড়ি বছরও মিথ্যে হয়ে যায় না।
    একটা লোকের জীবনে তো অনেক contradiction । সব সময়ে সাদা বা কালো কেন হতে হবে।
  • sm | 233.223.154.62 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৭:২১648215
  • b , আপনি কেবল একটা কৌনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ই লিখছেন। একটা উধাহরণ দেই। ধরেন, আমার বাবা সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে শহরতলিতে একটি বাড়ি তৈরী করলেন। এক বছরের কড়া রে কোনো ব্যক্তি কে ভাড়াও দিলেন। উদ্দেশ্য অবসরের পর একটু বেশি পয়সা হাতে আসা।
    এক ফাইন মর্নিঙ্গে, সরকার নিয়ম করে দিল, উনি একবছর পর ভাড়াটে পাল্টাতে পারবেন না ও ভাড়াও বাড়বে না।
    এর মানে আমি বুঝি ভাড়াটে বকলমে,কোনো বাড়তি পয়সা না দিয়ে বাড়ির মালিক হয়ে গেল।
    এর পরের কথা হলো, পশ্চিম বঙ্গে কোনদিনই বড় জোতদারের অস্তিত্ব ছিল না। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের মত কয়েকশ বিঘে বা একরের মালিক এমন টা ছিল না।বড়জোর বিশ ত্রিশ বিঘে জমির মালিকদের ই জোতদার বলা হত।
    আবার এই বর্গাদারী চালু করার পর আপনি ই লিখলেন , ভাগ চাষী দের জোর বেড়ে গেল। কারণ তারা ছিল স্থানীয় লোক। আর জমির মালিকেরা অধিকাংশ শহরে থাকত। ভাগ চাষী রা বিভিন্ন বাহানায় ভাগ দিতে অস্বীকার করত। তাই মালিক পক্ষের জমিতে ইনভেস্ট করার আগ্রহ হারিয়ে গেল ক্রমশ। চাষের উত্পাদন ও কমতে শুরু করলো। সুতরাং অপারাশ বর্গা পশ্চিম বঙ্গের একটি অফলদায়ক প্রজেক্ট।
    এর পরেও গল্প আছে। ভাগ চাষীদের সংখ্যা কিন্তু অল্প ছিল। বেশি সংখ্যায় ছিল প্রান্তিক চাষী।অর্থাত যারা দৈনিক মজুরদারি তে কাজ করত। তাদের অনেকে কাজ হারালো।ভাগ চাষীরা তাদের আরো বেশি শোষণ করতে লাগলো।
    ভাগ চাষী দের সঙ্গে সখ্যতায় সি পি এম এর গ্রামে দাপট বেড়ে গেল।
    ------
    কিন্তু সিরিয়াসলি জানতে চাই কোন কোন রাজনইতিক আন্দোলন পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির আন্দোলন নয়?

    h, কে , কিছু রাজনৈতিক আন্দোলন আছে যেখানে পাইয়ে দেবার উদাহরণ বুঝতে পারি নি।যেমন পরমানু চুক্তির বিরোধিতা করে আন্দোলন।
    সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন; এতে দেশের মানুষ কি পেল?
  • b | 135.20.82.164 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:৪৫648216
  • নাঃ আমি কৌণিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে লিখি নি। অপারেশন বর্গার প্রাথমিক সুফল নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। বিশ্বেস না হলে আপনি মৈত্রীশ ঘটক বা অভিজিত ব্যানার্জীকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। ১৯৮০-র দশকে সারা পশ্চিমবঙ্গেই কৃষি উৎপাদন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিলো। শ্যালো টিউবয়েলের ব্যবহার,ব্যাপক রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াও এখানে একটা এক্স ফ্যাক্টর ছিলো নিজের ফসলের উপরে বর্গাদারের অধিকার।

    সেটা পরে স্টীম হারিয়ে ফেলে। যথেচ্ছ ভাবে ভৌমজল আর রাসায়নিক ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে অন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখা দেয়। অপারেশন বর্গার-ও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু ১৯৭৮ সালে সি পি এম ক্ষমতায় এসে, একটা সর্বভারতীয় আইনকেই মান্যতা দিয়েছিলো শুধু।

    আর সি পি এম এর দাপট বাড়াটাই যদি আপনার মুখ্য আপত্তির কারণ হয় (মানে অপারেশন বর্গার বিরুদ্ধে), তবে সেটা অবশ্য অন্য প্রশ্ন।
  • sm | 233.223.157.21 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:৩৭648217
  • ১৯৮০-র দশকে সারা পশ্চিমবঙ্গেই কৃষি উৎপাদন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিলো। শ্যালো টিউবয়েলের ব্যবহার,ব্যাপক রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াও এখানে একটা এক্স ফ্যাক্টর ছিলো নিজের ফসলের উপরে বর্গাদারের অধিকার।
    -----
    আপনার উপরের তিনটি কারণের সঙ্গে আর একটি যোগ করতে চাই। উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার। তবে চতুর্থ কারণ টি;অর্থাৎ বর্গাদারের ভূমিকা ; এই পয়েন্ট টি মানতে পারলাম না।
    আপনি নিজেই লিখেছেন অপারেশন বর্গার অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
    আবার বলছি আপত্তি কম হত যদি সরকার পয়সা দিয়ে জমি কিনে নিত বা আর্থিক কমপেনসেশন দিত।
    জমির মালিক মানেই জোতদার আর শ্রেণী শত্রু, এই দাগিয়ে দেওয়া টা তে আমার আপত্তি।
  • b | 135.20.82.164 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:৫৮648218
  • সে না মানতেই পারেন। চোখের সামনে এভিডেন্স দিলেও বলতে পারেন আমি মানি না। তাতে আর আমার হাত কি?
  • sm | 233.223.153.121 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:১৯648219
  • আরে, আমি তো আপনার তিনটি পয়েন্ট এর সঙ্গে একমত হলাম, ভাগ চাষীদের অবদান এই পয়েন্ট টি ছাড়া।
    এটার সপক্ষে আপনি কি যুক্তি দিলেন?
    মৈত্রিশ ঘটক বা অভিজিত বাবু কে চিনি না। কি করে জিজ্ঞাসা করব?
    সংক্ষেপে ওনাদের ব্যক্তব্য কোট করে লিখুন না, যদি পারেন ।
  • PT | 213.110.243.21 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:২০648220
  • "জমির মালিক মানেই জোতদার আর শ্রেণী শত্রু, এই দাগিয়ে দেওয়া টা তে আমার আপত্তি।"
    পিছিয়ে গিয়ে ইতিহাস পড়ুন। নাহলে ব্যাপারটা ধরতে পারবেন না। নীল বিদ্রোহ দিয়ে শুরু করতে পারে। সময় না থাকলে নীলদর্পণ পড়ে ফেলুন।
    তখন নকশাল-সিপিএম-সিপিআই ছিলনা কিন্তু "দাগানোর" ব্যাপারটা তখনো ছিল।
  • d | 144.159.168.72 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:২৬648221
  • এইরে খাইসে! এইবারে লোকজন প্রচন্ড ক্ষেপে যাবে। পিটি পড়াশোনা করতে বলছেন! পড়াশোনা করতে বললে দলমত নির্বিশেষে লোকে ভীষণ রেগে যায়।
  • sm | 233.223.153.121 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:৩২648222
  • বাপরে একেবারে নীলদর্পন থেকে শুরুকরতে হবে?
    দাগানোর ব্যাপার টা ইতিহাসে ছিল না এক বার ও বলেছে।
    সি পি এম এর জমির মালিক মানেই জোতদার ও শ্রেণী শত্রু এটাতে আপত্তি রয়েই যাবে।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১১:০৭648223
  • নীলদর্পণে না পেলে চর্যাপদ। তাতেও না পেলে ত্রিপিটক দেখুন। নইলে বেদ। ওখানে পাবেনই। ব্যাদে সব আছে।
  • X | 125.111.248.134 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১১:৪১648224
  • ১) না-পড়া এখন সামাজিক মর্যাদার চিহ্ন।
    ২) বই পড়ার কথা প্রকাশ্যে কবুল করা প্রায় অশ্লীলতার পর্যায়ে পৌঁছেছে।
    ৩) পড়তে বললে একঘরে করে দেওয়াটাই ব্রাহ্মণ্য সমাজের বিধান।
    ৪) চোথাই পরমবরণীয় কারণ বিকল্পের শ্রম নেই।
    ৫) একটি ক্রমেই অশিক্ষিত হয়ে উঠতে থাকা জাতি যত তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়, বিশ্বের তাতেই মঙ্গল।
  • /\ | 212.79.203.43 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:০০648226
  • সিলেক্টেড পড়াশুনো, তাই নিয়ে রেফারেন্সবাজি ও আমি সব জানি কারণ আমি সব (কিছু) পড়েছি এই হনুমন্যতাও বিশেষ কাজের নয়। (উক্ত হনু = বোদাগু নয়)। আত্মশ্লাঘা একটু কম থাকাই বাঞ্ছনীয়।
  • b | 135.20.82.164 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:০৭648227
  • এস এম, একটু সময় দিন। লিখছি। তবে আমার 9:58 পোস্টে অল্প অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পেয়েছে। সেজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
  • sm | 233.223.158.220 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৩১648228
  • চোথাই পরমবরণীয় কারণ বিকল্পের শ্রম নেই।
    ---- আরে এটা তো এক ঘর হয়েছে!
    বিশেষত এই "বিকল্পের শ্রম নেই" এই শব্দবন্ধ টা।
    এটা মুদ্রণ প্রমাদ নয় তো? তবে মরমে পশেছে।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৪৪648229
  • এইজন্যেই পড়তে বলা হয়েছে। মৎস্যপুরাণে এবং পরে ময়মনসিংহগীতিকায়ও আছে যে কলিতে একজন মালপো যখন বলবে "পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই" তখন একজন বুজী বলবেন "বিকল্পেরও কোন পরিশ্রম নেই"।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৪৬648230
  • হৈডা শঙ্খ বাবু লিখসিলেন না, ঐ বিকল্পের পরিশ্রম
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৪৮648231
  • হ্যা, শংখ বাবু - কঠোর বিকল্পের পরিশ্রম নেই ।
  • b | 135.20.82.164 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:১০648232
  • এস এম,
    মূলতঃ অভিজিত ব্যানার্জী আর মৈত্রীশ ঘটক ১৯৯৭ সাল থেকে একটা গবেষণা করতে শুরু করেন। সেখানে ওনারা দেখতে পান, ১৯৭৭-১৯৯৫ র মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ধানের উৎপাদন বাড়ে প্রায় ৬৯%। এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে রাসায়নিক ব্যবহার, উচ্চফলনশীল বীজ, উন্নত সেচব্যবস্থার প্রচলন এসবকে গণ্য করা হয়। কিন্তু ভূমি-সংস্কার-ই এর পিছনে অন্যতম চালিকাশক্তি কিনা, তা দেখার জন্যে এমন একটি জায়গা বাছতে হবে, যেখানে জলবায়ু মোটামুটি একরকম, শস্য উৎপাদনের পদ্ধতিও একরকম, শুধু সেখানে ভূমি সংস্কার হয় নি। ওনারা এটা দেখার জন্যে বাংলাদেশকে বেছে নেন, যেখানে ঐ সময়ে ধান উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে প্রায় ৪০% । ওনারা দেখতে পেলেন, যে, অন্য সব উপকরণ গুলিকে গ্রাহ্য করেও, মোটামুটি জেলাওয়াড়ি ধান উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির ২৮-৩০ শতাংশ নির্ভর করছে, স্রেফ কোনো জেলা, ভৌগোলিকভাবে পশ্চিমবঙ্গে (ভূমিসংস্কারের পরে )অবস্থান করে কি না, তার ওপরে। অর্থাৎ দুটি জেলা ধরুন। দুটিতেই শস্য উৎপাদনের প্যাটার্ন, জলবায়ু, উপকরণ সবই এক। একটি জেলায় ভূমি সংস্কার হয়েছে, অন্যটিতে হয় নি। তাহলে, প্রথম জেলায়, গড়পড়তায় ২৮%-৩০% বেশি ধান উৎপন্ন হচ্ছে।

    ********
    এর মানে এই নয় যে এটি একটি গাণিতিক উপপাদ্য বলে স্বীকৃত হল। এভাবে ভাবুন। ভূমি সংস্কারের ফলে, উৎপাদন বাড়তেও পারে, কমতেও পারে(যেমন আপনি বলেছেন)। ১৯৭৭-১৯৯৫ অবধি পশ্চিমবঙ্গের যে ডেটা আমরা পাচ্ছি, তাতে, ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে, প্রথম রেজাল্টটি অন্ততঃ (রাশি)বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি পাচ্ছে। এখন রাশিবিজ্ঞানকে ঢপের চপ ( এলো রে, আই এস আই এর দঙ্গল তেড়ে এলো রে) বলে ভাববেন কি না, সেটা আপনার ব্যাপার।
  • cm | 116.208.74.102 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:৩৭648233
  • রেকর্ড না করলে অন্যায় হবে b র ১২ঃ০৭ প্রশংসনীয়।
  • X | 125.111.248.134 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:৪৭648234
  • মূর্খের আত্মম্ভরিতার থেকে অর্ধ-শিক্ষিতের আত্মশ্লাঘা শ্রেয়।
  • Du | 24.96.237.29 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:০৩648235
  • X ২।৪৭ টাই আমারও মনে হয়েছিল। আমি নিজে মূর্খের মধ্যেই পড়ি, তা-ও।
  • /\ | 212.79.203.43 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:৪৬648237
  • মনে তো হয় না। বরং এই শ্রেয়বোধের অ্যান্টিডোট হিসেবে "অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী" কথাটি বাজারে চালু। ভেবে দেখবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন