এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নৈরাজ্য, বাকুনিন, পিটার প্যান ও পিক্সিডাস্ট ও নিরোর বেহালা

    one-dot
    অন্যান্য | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ | ৫৮২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:০১650542
  • কল্লোলদা, ঈশ্বর সংকল্প অনেক জায়গা থেকে ফান্ড পায় । দেশি ও বিদেশি । মূল আলোচনার সঙ্গে এই তথ্যের যোগ নেই, তবু, আপনি উল্লেখ করায় - এখানে জানালাম
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:০৩650543
  • কল্লোলদা, ঈশ্বর সংকল্প অনেক জায়গা থেকেই ফান্ড পায় - দেশি ও বিদেশি । মূল আলোচনার জন্যে এই তথ্যটা কতটা জরুরি ও প্রাসঙ্গিক, সেটা জানি না, তবে তথ্য টুকু দিয়ে রাখলাম ।
  • কল্লোল | 125.185.156.147 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:০৪650544
  • একক।
    আমি তো আমার বই-এর কপিরাইট রাখিনি।
    আমার গান নেটে তুলে দিয়েছি।
    হ্যাঁ, আমার লেখা বা গানের বাজার দর হয়তো খুব একটা কিছু না। তার দায় তো আমার নয়।
  • কল্লোল | 125.185.156.147 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১০650545
  • তাপস।
    ঈশ্বর সংকল্প ফান্ড পেতেই পারে। কিন্তু যে মানুষগুলো ঈশ্বর সংকল্প তাদের কাছে পৌঁছনোর আগেই ঐ কাজগুলো তাদের মতো করে করছিলো, তারা তো ফান্ড পায় নি, পায়ও না। বড়জোর ওষুধ পেয়েছে বিনামূল্যে। কিন্তু অন্য সব খরচ তো নিজেরাই করেছে। সবচেয়ে বড়ো কথা শ্রম ও সময় দিয়েছে, নিজেদের পেশার চাপ সত্ত্বেও।
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৩650547
  • আমার সেটা নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই কল্লোলদা - শুধু এই মিস ইনফরমেশনের উপর ভিত্তি করে আবার খিল্লি শুরু হত - তাই শুরুতে বলে রাখলাম । ওই ফান্ডিং বিষয়ে যথাযথ তথ্য নেই বলে এনার্কির ভূত ভাগানোর চেষ্টা যাতে না হয় - সেই জন্যে । :-)
  • k | 212.142.123.151 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৩650546
  • করলেন কারন তাঁরা 'অল্প'শিক্ষিত।

    আধুনিক দামী শিক্ষার 'স্বার্থপরতা' কেউ তাঁদের শেখায় নি, যে বন্ধু ক্লাসে না এলে তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে না, বরং পিছিয়ে দেবে যে ভাবে পারো।
    তাঁরা এবং আমি মধ্যবিত্ত স্কুলে এই শিক্ষাই পেয়েছি যে - বন্ধুরা সাহায্য না করলে কে করবে? আজ তুমি ওকে করছ কাল ও তোমাকে করবে।

    ওঁরা বন্ধুর বলিদানে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তৈরী নন। বরং চাট্টি ডিম্ভাত খেয়ে সবাই মোটামুটি ভালভাবে বাঁচায় বিশ্বাসী। সাস্টেনেবিলিটিতে বিশ্বাসী। শেয়ারিং এ বিশ্বাসী।
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৫650548
  • একটা কথা শুধিয়ে যাই, ছোটহাতের ইংরেজি 'কে' কি ঢালী-নন্দীদের চেনেন?
  • k | 212.142.123.151 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৯650550
  • না তো।
  • কল্লোল | 125.185.156.147 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৯650549
  • তাপস ধন্যবাদ - খিল্লির ব্যাপারটা চিন্তা করার জন্য।
    তবে খিল্লি দিয়ে তো আর তর্ক হয় না। তর্ক ভন্ডুল করা যায় মাত্র। তাই খিল্লিকে অতো গুরুত্ব দেবারও কিছু নেই। মাঝে মাঝে খিল্লিগুলো যখন ব্যক্তি আমার কান ঘেঁষে চলে যায়, খারাপ লাগে, লাগেই। এখনো "ধ্যুস" অভ্যাস করে উঠতে পারিনি পুরোপুরি।
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:২৬650552
  • ওকে কে ।
  • b | 135.20.82.164 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:২৮650553
  • একক একটু তেল আভিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিয়েল রুবিনস্টাইনের ওয়েবপেজটি দেখবেন।
  • #ক্যলকুলাস | 208.7.62.204 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১২:৩৪650554
  • @কল্লোল 12:19 PM কারুর সাথে মতপার্থক্যের জন্য তাকে চিন্তার দৈন্যতা বলাও বোধায় তার খারাপ লাগতে পারে। অব্শ্যই এটা আমার ব্যক্তিগত মত, আপনার এরকম মনে নাও হতে পারে। এখানে পোস্ট করতাম না, তবে খারাপ লাগা ইত্যাদি কমেন্ট পড়ে করলাম।
  • কল্লোল | 111.63.91.141 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:৪০650555
  • চিন্তার দৈন্যতা "মতপার্থক্য"এর জন্য লেখা হয় নি।
    কোন বিষয়কে বুঝতে না পারলে তাকে ইউটোপিয়া বলে দেওয়াটা চিন্তার দৈন্যতা।
    পবতে ৭০ দশকে "পুলিশ আইন মেনে কাজ করবে" এটাকে অনেকে "ইউটোপিয়া" ভাবতেন। কেউ কেউ ভাবতেন না। যারা ভাবতেন না, তাদের সেদিনের লড়াইয়ের ফল আজ পাওয়া যাচ্ছে। সেদিন্যারা পুলিশের আইন মেনে চলাকে "ইউটোপিয়া" ভেবেছিলেন, সেটা তাদের চিন্তার দৈন্যতা।

    আমি তো বলিনি যে তারা "ডোপ" করে বা দু পেগ গ্লেন মেরে" এসব ভাবছেন।
  • d | 24.97.121.198 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:৫০650556
  • 'দৈন্যতা' আবার কী চিজ?
    হয় দীনতা, নয় দৈন্য
  • কল্লোল | 111.63.91.141 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:৫৬650557
  • ডি। একদম ঠিক। দীনতা বা দৈন্য।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৬:২৮650558
  • বেশ কয়েকটা দিন এই টইটায় আসা হয়নি... কে আবারো ভাল ভাল পোস্ট করেছেন, সেগুলো হাতে গরম পড়িনি বলে একটু আপসোস ও করলুম...

    যাই হোক,

    ফান্ডিং প্রসঙ্গ...
    fsf এ বহু বহু লোক সাহায্য করে... এবং সবটাই শুধু টাকা দিয়ে নয়... ওদের এ ব্যাপারে ফিলসফি ওরা এক লাইনে লিখে রেখেছে... সেই লাইনটা আমার খুব প্রিয় তাই এখানেও দি...
    " Give us your time
    If you dont have time, you must be earning loads of money,
    then give us your money "

    এবং ওরা এটা সত্যিই মিন করে... শুধু fsf না, debian কম্যুনিটি যে বিপুল পরিমাণ শ্রম ও ব্যক্তিগত রিসোর্স ঢালে ( যেমন টেস্টিং এর জন্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার ) সেটার মূল্য ( value অর্থে, price অর্থে নয় ) অনেক... এরপর টাকা যখন যা লাগে আবেদন জানায় তুলে নেয়...

    বই প্রসঙ্গ...
    বই কিন্তু অনেকেই এটা করেন... Allen Hatcher এর অ্যালজেব্রায়িক টপোলজি বইটা ওই সাবজেক্ট শুরু করার বাইবেল বললে বাড়াবাড়ি হবে না সংশ্লিষ্ট সবাইই মানেন... বইটার ছাপা ভার্সন ছাড়াও হ্যাচার এর সাইটে ফ্রি তে পাওয়া যায়... বস্তুত এই চুক্তিতেই রাজী হয়েছিলেন উনি... অনার পাবলিশার ও এইরকম চুক্তিতে আরও বই ও ছেপেছে... হ্যাচারবাবু নিজে অ্যানার্কিস্ট কিনা জানিনা অবশ্য... কিন্তু ওনার আর ওনার পাবলিশার এর এক কাজটা অবশ্যই...
    Terence Tao এর এখনকার প্রত্যেকটা বই আগে ব্লগ এ ফ্রি তে বেরিয়েছে তারপর ছাপতে গেছে ... অনেক দুরন্ত লেকচার নোট যা পড়ে বই হিসেবে ছেপে বেরিয়েছে এখনো ফ্রি তেই পাওয়া যায় লেখক দের হোম পেজ এ... আরো নিশ্চয়ই আছে... যে কটা থেকে নিজে ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত সেই কটা লিখলাম...

    অ্যানার্কিস্ট ব্যবস্থার গেম থিওরেটিক মডেল প্রসঙ্গ...
    সেই দিন খুব দুরে হওয়ার কথা ছিলনা, নেই ও... হয়নি এখনো তার কারণ নিও-লিবারাল থিওরির প্রবল প্রতাপে সমস্ত ইকনমিক কারিকুলাম একপেশে হয়ে গেছে... এমনভাবে পড়ানো হয় যেন ওইটাই একমাত্র ইকনমিক থিওরি... ( তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও শুরু হয়েছে নানান ইউনিভার্সিটিতে )... তার ফলে মার্ক্সিস্ট ইকনমিক্সের টিমটিমে দশা তাই...

    @Atoz

    দেখুন ফিলসফি আমি মনে করি একটা পয়েন্টের পরে অবস্থান নেওয়ার প্রশ্ন ... কারণ সুপিরিয়র যুক্তি বলে একটা জিনিস হয় না... প্রাণের বৈচিত্র্যের উদ্ভব এর নিও-ডারউইনীয় ব্যাখ্যা আমার যতই সুপিরিয়র যুক্তি মনে হোক, একজন ঈশ্বর বিশ্বাসীর কাছে ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন টাই সুপিরিয়র যুক্তি... ফলত প্রশ্নটা শেষত অবস্থানের...

    আপনার অবস্থান যদি এইটা হয় যে মানুষ বিজ্ঞান, টেকনোলজির যা অগ্রগতি ঘটিয়েছে ও ঘটিয়ে যাচ্ছে তা পুঁজিবাদের রাঙামুলোটা নাকের সামনে না ঝোলালে করত না... তাহলে সেই অবস্থান থেকে অ্যানার্কি unteneble...

    আমার অবস্থান ভিন্ন... আমার তো মনে হয় পৃথিবীর বেশিরভাগ অ্যাকাডেমিক ( বা নন-অ্যাকাডেমিক সৃজনশীল মানুষ ও ) এইটা মানবেন যে তাদের একটা রকম স্বচ্ছল জীবনযাত্রার সংস্থান থাকলে তাদের অবাধে কাজকর্ম করতে দিলেই তারা নিজেরা ও তাদের বিষয়ের অগ্রগতি দুই ই বিপুলভাবে ভাল হবে। অ্যানার্কিস্ট ব্যবস্থা আর কিছু হোক আর না হোক অ্যাকাডেমিকদের স্বর্গরাজ্য - এই নিয়ে খুব দ্বিমত কেউ পোষণ করেন বলে দেখিনি... আমার সীমিত অভিজ্ঞতায় আপনিই পথিকৃৎ।

    বরং উল্টোটাই তো দেখা যায়... অ্যানার্কিস্ট ধাঁচের ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন আর পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ফলশ্রুতিগুলো নিয়ে সবচেয়ে ক্রিটিকাল অ্যাকাডেমিয়া ই... ইউনিভার্সিটিকে গেটেড- কম্যুনিটি বানানোর বিরুদ্ধে, prohibitively high journal subscription price এ শেয়ারিং এর আবহ নষ্ট হচ্ছে বলে, পুঁজির স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে ফান্ডিং এ ব্যাপক বৈষম্য র বিরুদ্ধে, publish or perish নীতির বিরুদ্ধে
    অ্যাকাডেমিয়ায় জেনেরাল কনসেনসাস আছে বলেই তো মনে হয় ।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৬:৩৯650559
  • @তাপস দা,
    ঢালী মানে অরূপ ঢালী?
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:০২650560
  • বিংগো । স্বর্ণেন্দু কি দার্জিলিং এর দিকটা চেনে?
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:১০650561
  • দার্জিলিং এর দিকটা মানে?
    না চিনি না... মানে প্রশ্নটাও বুঝলাম না তাপসদা
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:১১650563
  • স্বর্ণেন্দু,
    ঢালী মানে অরূপ দুজন স্বর্নেন্দুর কথা বলত । একজন দার্জিলিঙে থাকত । আমি সেইটা জানতে চাইছিলাম ।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:১৬650564
  • না না
    আমি আনফরটুনেটলি সেই সময়ে আজন্ম কলকাতায়... ছাত্র রাজনীতি করার সময়ে পরিচয়... ঢালী দা আর অনুপ দার থেকে অনেক কিছু শিখেছি সে সময়...
  • তাপস | 233.29.204.178 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:১৭650565
  • ওটা ফরচুনেটলি । মানে আমার অবস্থানগত জায়গা থেকে ভাবলে । :)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:২৬650566
  • তাপস দা,
    ঠিকই ... প্রিভিলেজ অস্বীকার করাটা বেশ বাজে ধরণের হিপোক্রেসি .... তবে উত্তর কলকাতা তো, দক্ষিণের তাচ্ছিল্য আর কলকাতার বাইরের বন্ধুদের থেকে ' কলকাতার নাকউঁচু অ্যাটিচিউড ' এর জন্য গালাগাল দুই ই অনেকদিন খেয়ে যাওয়ার জ্বালা থেকে লিখে ফেলা
  • cm | 127.247.113.7 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৮:৪৭650567
  • আলোচনা কেমন যেন একটা ছোট গর্তে ঢুকে পড়েছে। গবেষকরা কি গবেষণার ভবিষ্যৎ পূর্ণাঙ্গ বা নিদেন পক্ষে আংশিকভাবে বুঝে আনুপাতিক হারে পয়সা পান বা চান? আমার মনে হয় সেটা সম্ভবই নয়। আমার বিচারে গবেষণা দুরকম, একধরণের গবেষণা মূলতঃ বিশুদ্ধজ্ঞানের চর্চা বলা যেতে পারে। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যার অনেকটাই উদাহরণ হিসেবে আসবে। আর কিছু গবেষণা এখুনি কাজে লাগতে পারে। হাতে গরম উদাহরণ ইবোলার মোকাবিলার রাস্তা। এই দুধরণের গবেষণারই প্রধান অনুপ্রেরণা মনে হয় জানার ইচ্ছে/ সমস্যা সমাধানের ইচ্ছে। এখানে দুধরনের গবেষকই আসেন তারাই লিখুন না। শুধু মাত্র কে কবে দুপয়সা বাড়তি দেবে তার লোভে সব গবেষণা হচ্ছে মানতে মন চায়না। যে অনুপ্রেরণায় আগুন আবিষ্কার হয়েছিল সেই তাগিদেই আজও গবেষণা হয়। (বলাই বাহুল্য এ আমার বিশ্বাস)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৯:০৮650568
  • @cm
    খানিকটা তাই বলেই আমারো ধারণা...
    @Atoz
    "এদের মধ্যে কেউ কেউ কাজটা ইম্প্রুভ করতে চান, কিন্তু বাকীরা বলেন দুর দুর ঐ উড়ো খই গোবিন্দায় নমো করে কী হবে? কোনো বিশেষ সুবিধা তো পাবো না! এমনিও যা খেতে পরতে থাকতে পারছি, তখনো তাই পাবো। কে মরতে কষ্ট করবে?"---আপনার সত্যিই মনে হয় কেউ মরতে কষ্ট করবে না? উল্টোটাই জেনেরালি সত্যি বলেই কিন্তু মনে হয় আমার। আজকের দিনেও ভাল রিসার্চের সিংহভাগ লোকে মরতে কষ্ট করেই করে ... উল্টে যেটুকু নিতান্ত চাকরি রাখার দায় এ করে করতে হয় তার প্রায় সবটাই কোন ভাল রিসার্চ ই নয় এটা যারা বাধ্য হয়ে ওই পেপারগুলো লিখছেন তারাও জানেন, প্রায়শই স্বীকার ও করেন।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ২০:৪১650569
  • আর একটা জিনিস আগে লিখব ভেবেছিলুম... লেখা হয়নি...

    বাজার ব্যবস্থাটা একটা মেকানিজম ... কিন্তু কিসের মেকানিজম ? আপাতভাবে দেখলে বিনিময়ের। কিন্তু এভাবে দেখার মুশকিলটা হল বিনিময় ব্যবস্থা থেকে আজকের বাজার ব্যবস্থা ইভল্ভ করা খুব স্বাভাবিক ও সহজ... এতটাই সহজ যে আর্টিফিসিয়ালি ঠেকিয়ে না রাখলে মোটামুটিভাবে ঘটবেই বলা যায়।

    বিনিময় থাকলেই তাতে বিভিন্ন ধরণের use value বিনিময় হবে, তার মানেই use value র সাথে exchange value র একটা সমীকরণ থাকতেই হবে ( এই লাইনটা পণ্ডিতদের জন্য, যারা বুঝতে পারলেন না এই সমীকরণ এ কি এসে গেল তারা হয় কাটিয়ে দিন, এটা বোঝাটা
    বাকিটার জন্য জরুরী নয়, নইলে ক্যাপিটাল পড়ুন, মানে বই হিসেবে অজিত চৌধুরী )
    বিনিময় থাকলেই exchange value র একটা universal medium এর দরকার ও খুব তাড়াতাড়িই পড়বে, যদি না গোটা ব্যবস্থাটা একটা primitive form এ থেকে যায়... সেটা আদৌ কাম্য না... তাই আমরা ধরে নেব যে সমাজের উৎপাদন বাড়ছে, এবং বাড়ার ফলে এই বিনিময় ব্যবস্থা কোনদিকে বিবর্তিত হতে পারে সেইটাই দেখছি। সেক্ষেত্রে universal medium হিসেবে টাকা আসবেই একরকম... আর টাকা এলেই বিনিময় ব্যবস্থাটার মধ্যে যেহেতু বৈষম্য আটকানর কোন মেকানিজম নেই, ( উল্টোটাই আছে, বৈষম্য পুনরুৎপাদন এবং বাড়িয়ে চলার মেকানিজম ... কিন্তু সে বাদ দিন আপাতত ) তাই টাকার অসম বণ্টন ও আসবে... এই অসাম্য একটা পয়েন্টের থেকে বেশী বাড়লে এবং সমাজে সামাজিক উৎপাদন ব্যবস্থা চালু হলে এই 'বেশী টাকা' র একদিন পুঁজি হয়ে ওঠাও একইরকম মোটামুটি ঘটবেই বলা যায়... যদি না বাজার ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই জোর করে এটাকে কোনভাবে ঠেকিয়ে রাখা যায়... কিন্তু সে বেশ শক্ত ও হবে, আদৌ করা যাবে বলেই আমার মনে হয় না।
    তাই মার্ক্সিস্ট বা অ্যানার্কিস্ট দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে রুডিমেন্টারি বিনিময় প্রথা থাকবে অথচ পুঁজিবাদী বাজার নয়, এটা অযৌক্তিক। বিনিময় ব্যবস্থাটাই তুলে দিতে হবে...
    কেন সে বিস্তারিত যুক্তিতে আসব হয়ত পরে কখনো... আপাতত দেখি বাজার আসলে কিসের মেকানিজম? একটু ভাবলেই বোঝা যাবে যে বাজার আসলে একটা ডিসট্রিবিউশন মেকানিজম, বণ্টন ব্যবস্থা... সমাজ উৎপাদন করছে আমাদের শ্রমের যা সামগ্রিক ফসল... সমাজই আবার সেটা ব্যবহার করছে, ভোগ করছে... এই মাঝের স্টেপটায় বাজার... আমাদের সমাজের শ্রমের ফসল আমাদের হাতে কিভাবে ফিরে আসবে সেইটা নির্ধারণ করছে বাজার... কিন্তু বণ্টনের জন্য তো বিনিময় লাগে না...শুধু তাই ই নয়, বণ্টন ব্যবস্থা হিসেবে চূড়ান্ত ইনএফিসিয়েন্ট ও বাজার ব্যবস্থাটা... বাজারে গুদামজাত হয়ে আমাদেরই শ্রমের ফসল পড়ে থাকবে আর আমাদেরই একটা অংশ সেইটা কেনার ক্ষমতা নেই বলে সে জিনিসটা পাবে না... তাই বাজার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে দিব্যি চলা সম্ভব বিকল্প বণ্টন ব্যবস্থা থাকলেই... মোটেই বাজার বা বিনিময় তুলে দিলে নিজের খাওয়ার সবজি নিজেকে চাষ করতে হবে না...
    এবার এইটা পরিষ্কার যে এইরকম একটা বিকল্প বণ্টন ব্যবস্থা থাকলে সেটা চালাতে intricately synchronized co-operation লাগবে... আজকের টেকনোলজিতে এবং আজকের ব্যবস্থাতেই সেই লেভেল-এর synchronized co-operation আদৌ গল্পকথা নয়... লজিস্টিক কোম্পানি থেকে কোলাবরেটিভ রিসার্চ সবেতেই সেইটা আজকের দিনেই দেখা যায়। প্রশ্ন হল এমন একটা বণ্টন ব্যবস্থা চালাবে কে? এইখানে দুটো উত্তর আছে... একটা উত্তর মার্ক্সিস্ট... যে প্রথম কিছুদিন অন্তত এইটা চালাবে স্টেট... অন্য উত্তরটা অ্যানার্কিস্ট... প্রথম থেকেই মাইক্রো লেভেল এ মানুষের co-operation দিয়েই চলবে... মাথায় রাখবেন মার্ক্সিস্ট উত্তরটারও শেষে এইটাই... তাই দুই মতের তফাতটা এই ক্ষেত্রে মাঝের সময়ে ব্যবস্থার নজরদারী করতে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা ও ম্যাক্রো প্ল্যানিং লাগবে না লাগবে না তাই নিয়ে... আরও একটা জরুরী বিষয়ে দুটো মতে পার্থক্য নেই... এরকম একটা ব্যবস্থা অবশ্যই সমাজের সমস্ত অংশের মানুষের গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে... আজকের যে গণতন্ত্রের ছবি আমরা দেখতে পাই তেমন নয়, debian community র মত গণতন্ত্র একটা আজকের দিনের কাছাকাছি উদাহরণ।
  • cm | 127.247.115.75 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ২১:২৩650570
  • আঃ স্বর্ণেন্দু একেবারে আমার মূল প্রশ্নে আলোচনা ফিরিয়ে এনেছে। হীরকে করেছিলাম, এখানেও করি, নৈরাজ্যে বন্টন ব্যবস্থা কিরূপে নিয়ন্ত্রিত হয়?
  • Ishan | 202.43.65.245 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ২১:৪৭650571
  • এর একটা সোজা উত্তর আছে। ধরুন আমেরিকান ইশকুল, কিংবা ইউরোপিয়ান হেলথকেয়ার। কোনোটার জন্যই উপভোক্তাদের পয়সা দিতে হয়না। যদিও পরিষেবাটা পাওয়া যায়। এবং পরিষেবা একটি সামগ্রী ধরলে, তার বিনিময়ও হয়। কিন্তু টাকাপয়সার লেনদেন নেই।

    প্রশ্ন হল, কেন অর্থের লেনদেন নেই? না এই পরিষেবা সামগ্রী ঠিকই, কিন্তু "পণ্য" নয়। এইটা বিকল্প বন্টনের একটা উদাহরণ।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ২২:১২650572
  • স্স্বর্ণেন্দু, আমার ব্যক্তিগত মত হলো নানারকম দৃশ্য ও অদৃশ্য প্রেরণা ও তাড়না ছাড়া কোনো বিষয়েই (সে তাত্ত্বিক হোক বা নিতান্ত ব্যবহারিক হোক) কোনোরকম অগ্রগতি বা উল্টোগতি সম্ভব না।
    ঐ রূপকথার মতন উচ্চ উচ্চ শাস্ত্রতত্ত্ব ভাবি আর দখিন হাওয়া খাই আর ময়ূরের নাচ দেখি আর বের করে ফেলি কোয়াসারের রহস্য, কোয়ান্টামের সূক্ষ্ম ব্যাপার, স্ট্রিং তত্ত্বের গোপণ কথা, ডিএনের গঠন, আপেক্ষিকতার সম্প্রসারণ- এসব রূপকথা হিসাবে সুন্দর। ফান্ডিং না থাকলে(যেটা রীতিমন প্রতিযোগিতা করে বার করতে হয় ) এগুলো বের করা বেরিয়ে যেত। কত ধানে কত চাল তখন বোঝা যেত।
  • cm | 116.208.92.37 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ২২:৩৯650574
  • এই বিকল্প বন্টনে নৈরাজ্য কোথায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন