এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নতুন শতাব্দীর ২০১৪-র ছাত্র আন্দোলন

    lcm
    অন্যান্য | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ | ৪০০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১১:০২650693
  • ২০১৪-র সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতায় একটি বড় মিছিল বেরোয়, যার পুরোভাগে ছিল হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী। ইদানীংকালে, এত বড় ছাত্র মিছিল মনে পড়ছে না, হয়েছে হয়ত আগে, কিন্তু সেগুলি বড় রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন নিয়ন্ত্রিত।

    মিডিয়া বলেছে ৩০০০০, তবে যা শোনা যাচ্ছে তাতে করে সংখ্যাটা আরো বেশী বই কি কম নয়। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে বাঙালীর ছাত্র আন্দোলন ব্যাপারটা নিয়ে বেশ একটা আলোচনা শুরু হয়েছে। শুধু খবরের কাগজে, টিভিতে নয় - সাধারন মানুষের মধ্যেও।

    নতুন শতাব্দির ছাত্র আন্দোলনে প্রথমে যেটা নজর টানে সেটা হল প্রযুক্তির ব্যবহার। যেমন, একটি শব্দ "#হোককলরব"। এক উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডীন দেখ্লাম ফেসবুকে লিখেছেন - আচ্ছা, এইসব ‪#‎Hokkolorob‬ মানে কি? খায় না মাথায় দেয়? এটুকু বুঝছি যে special characters are involved!
    উনি শব্দটির শুরুতে # চিহ্নটিকে উদ্দেশ্য করেই বোধহয় স্পেশাল ক্যারাকটারের কথা বলেছেন। ইন্টারনেটে এটি হ্যাশট্যাগ নামে পরিচিত। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে (বা ফোন অ্যাপ্লিকেশনে) কোনো লেখাতে বিশেষ শব্দের আগে # অক্ষরটি বসিয়ে দিয়ে শব্দটিকে হ্যাশট্যাগ করে দেওয়া যায়। এতে করে ঐ হ্যাশট্যাগ-ওয়ালা বক্তব্য বা নিবন্ধটি তা যেখানেই থাকুক না কেনো সহজেই সার্চ করে বের যায়। দ্রুত জনসংযোগের উপায় হিসেবে এইরকম বা সমগোত্রীয় পদ্ধতি সারা পৃথিবী জুড়ে ব্যবহার হচ্ছে এই শ্তাব্দীর শুরু থেকে - বিশেষ করে ছাত্র আন্দোলনে। আজ থেকে ৪০-৫০ বছর আগে ষাট-সত্তরের দশকে এমনভাবে এত দ্রুত কোনো জমায়েতের খবর ছড়িয়ে দেওয়া সহজ ছিল না। এবং শুধু একটি শহর বা জেলা বা রাজ্য বা দেশ নয়, এভাবে সারা পৃথিবীর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষ একটি আন্দোলনের খবর হ্যাশট্যাগ ধরে ফলো করতে পারেন।

    টেকনলজির ব্যবহারে এই আন্দোলন অত্যাধুনিক হলেও, কিছু কিছু ব্যাপার এখনও সেই ৪০-৫০ বছর আগেই রয়ে গেছে। যেমন, রাতভোর ঘেরাও, বা একটানা তিরিশ, চল্লিশ বা পঞ্চাশ ঘন্টা ঘেরাও। এর কোনো বিকল্প এখনও বেরোলো না। যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মূলত প্রশাসনিক পদাধিকারী লোকজন, তারা অনেকেই প্রৌড়, সিনিয়র সিটিজেন, তাদের পক্ষে রাত জেগে এক জায়গায় আটকে থাকা তরুণ-তরুণীদের থেকে অনেক বেশী অসুবিধাজনক হতেই পারে। অবশ্য, গুরুর এক যাদবপুরিয়ান মজা করে বলেছে, ওখানকার উপাচার্য-এর জব ডিউটির মধ্যে ঘেরাও হওয়া ইন্‌ক্লুডেড। তবুও, এ ব্যাপারটা নিয়ে বোধহয় ভাবা উচিত।

    আর একটি জিনিস হল, প্রতিবাদের ভাষা। অনেক আধুনিক স্টাইলের স্লোগান, উদ্ভাবনী পংক্তি দেখা যাচ্ছে ছড়ার আড়ালে, মিছিলের ব্যানারে, এবং সংযমী বাক্য। কিন্তু একই সঙ্গে - প্রশাসনিক পদাধিকারী অধ্যাপককে - মেরে চামড়া গুটিয়ে দেবো - এটা শুনলে কেমন সত্তরের দশকে পরে আছে মনে হচ্ছে।

    রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক ?

    এইটা হল গিয়ে মোস্ট কনফিউজিং এরিয়া। গত বিশ-তিরিশ বছরে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মেরুকরণ হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে, এবং তার প্রতিফলন পড়েছে ছাত্র রাজনীতিতেও। কোনো সমস্যার মোকাবিলায় বা কোনো প্রতিবাদে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলি শেষ কবে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে এত বড় মিছিল করে পথে নেমেছে মনে পড়ছে না। ভিসি যদি ক-পার্টি ঘেঁষা হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবার সময় খ-পার্টির লোকজন ন্যাচারালি কাছে আসবে, ওদিকে ঘ-পার্টিও সুযোগ বুঝে সাইড নেবে। ছাত্ররা ক, খ, ঘ কারোর কাছ ঘেঁষতে চায় না। আবার এও প্রতিবাদী ছাত্ররা পুরোদমে নিজেরা পার্টি বানিয়ে পার্লামেন্টারি প্রসেসে ঢুকতে তৈরী না, এবং এসব থেকে দুরত্ব রাখতে চায়। যার ফলে, রাজনৈতিক দলের ছাত্রশাখার বাইরে ছাত্র রাজনীতির বৃহত্তর সমাজে গ্রহণযোগ্যতা সীমাবদ্ধ। যদিও তার জায়গা যে রয়েছে সেটা ২০১৪-র সেপ্টেম্বরের এই মিছিল থেকে বোঝা যায়। ছাত্ররা তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠানের বাইরে বৃহত্তর সমাজের কাজে লাগাবে কি না, বা লাগালেও কতটা কিভাবে লাগাবে যাতে সেটি শুধুমাত্র অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সুবিধাবাহী ভোট মেশিনারির অংশ না হয় - সেটা নিয়ে ভাবনা দরকার।
    তবে, ছাত্রদের কাছ থেকে স্বাধীন চিন্তাভাবনার আশা সব কালে সব দেশেই একটু বেশী।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৩৫650704
  • যাদব্পুরের যে সমস্যা নিয়ে এখন প্রতিবাদ চলছে, সেটা একটু দেখা যাক। প্রথমত, ছাত্রদের এরকম একটা ধর্না দেবার দরকার কি? বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি তো নিজেরা আলোচনা করেই কর্মসূচী ও পদ্ধতি ঠিক করেন।
    প্রশ্ন হল, এই পরিচালন সমিতিতে কি যথেষ্ট ছাত্র প্রতিনিধি আছে, বিভিন্ন শাখা থেকে অন্তত এক্জন বা দুজন করে ছাত্র? উপস্থিতি নয়, বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার অংশীদার হিসেবে। এক গুরুভাই-এর কাছে শুনলাম, আগে ছিল, নতুন একটি বিল পাশ করে নাকি এটি নাকি কিছু রদলবদল করা হয়েছে।
    যদি এটি ঠিক কথা হয়, তাহলে এটি বড় প্রবলেম। কারণ, ভিসি আসবে যাবে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে ছাত্রদের ভয়েস অফিসিয়ালি যদি না থাকে, তাহলে মূল সমস্যার সমাধান হবে না।
  • Ekak | 24.99.187.118 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৪০650726
  • প্রতিবাদের ধরন হিসেবে ঘেরাও-ধর্ণা আগেও সমর্থন করিনি , করবনা । সো কল্ড "সাফল্য" এলেও । কিন্তু তার আগে অন্য প্রশ্ন । আপনার সত্যি মনে হয় ওই এক উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডীন স্পেশাল ক্যারেক্টার বলতে # চিহ্ন বুঝিয়েছেন শুধু ?? !
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৪৩650748
  • একক,
    হে হে, যার কথা বলছি তাকে আমি চিনি। তিনি দ্বৈত অর্থে বলতেই পারেন। কিন্তু একটি অর্থ হল ঐ চিহ্ন।
  • Ekak | 24.99.187.118 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৪৭650759
  • এত প্রচুর পুরনো কেস । আমি এটা ভিকটিম ব্যাশিং বলে ছিলুম । ফেত্সু-র পক্ষ থেকে কয়েকজন এসে জানায় যে এটা ড্রাফট ওরা ফাইনালে ভাষা বদলেছে । আরও কয়েকজন উপর্যুপরি বলে যে এতে তারা ভিকটিম ব্যাশিং এর কিছু দেখছেনা । এনিওয়ে এটা পুরনো কেস ।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৫৩650770
  • ছোট করে লিখে দিই - হোক কলরব বাংলাদেশের একজন গায়কের একটি জনপ্রিয় গানের লাইন। ছাত্ররা সেটাকেই তাদের আন্দোলনের স্লোগান হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং ব্যাপারটা মোটামুটি স্বীকৃতিও পেয়ে গেছে।

    আলোচনা চলুক। পড়ছি।
  • তাপস | 233.29.204.178 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১৩:২৯650771
  • সত্য ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে - মানে পার্টিকুলার মিডিয়ার পার্টিকুলার কেসে পার্টিকুলার সময়ে পার্তিকালার সত্য দেখার পার্টিকুলার চরিত্র তো?

    এ নতুন কিছু না রে বাবা !
  • pi | 24.139.221.129 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১৩:৩২650694
  • এই সত্য বহুদিন আগেই অনেক বিতর্ক হয়ে গেছে, গুরুর পাতায়, গ্রুপে, অন্যত্রও। এই সময় কি ঘুম ভেঙ্গে উঠলো নাকি আজ ? কিম্বা ঐ , তাপসদা যা বললো ..
  • a | 11.39.26.224 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:১২650695
  • এই সময় র রিপোর্ট যদি সত্যি হয় তাহলে বলতে হবে ছাত্র আন্দোলন এর নামে ধান্দাবাজি হচ্ছে। এরপর কলরব টাইপে র লেখা গুলি পড়লে ওই কথা গুলি আমার মনে আসবে।
  • তাপস | 233.29.204.178 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:১৭650696
  • সেই উদ্দেশ্যেই তো এই রিপোর্টিং ! এত ইনফ্রাস্ট্রাকচার কাজে লাগিয়ে সেটা বৃথা গেলে তো এদের পথে বসতে হত !
  • . | 59.207.209.69 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ২১:০৪650697
  • এই ছাত্র আন্দোলন মোটেই অ-রাজনৈতিক নয়। এটি নকুদের পরিচালিত তথাকথিত মূলো,রাম বা বামেদের দ্বারা নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে এলিট্দের আন্দোলন বলেই মুখবই আর কলকাতার কাগজে বেশি পাত্তা পাচ্ছে।
    আর যদু-বংশীয়রা সর্বতই আছে বলে হই -চই বেশী করছে। এই আন্দোলন যদি 'গোলাপি বিপ্লব' হয়, তবে আরশোলাও পাখি।
  • pi | 24.139.221.129 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ২১:৩৯650698
  • চিরঞ্জিতের সেই নোট যেখান থেকে খাবলা খুবলো করে এই সময়ের লেখা টা তৈরি, সেটা পুরোটাই এখানে রইলো, অনুমতিক্রমে। নোটের এই লাইনটা বাদ দেওয়া হয়তো বিশেষভাবে জরুরি ছিল।
    'এক্ষেত্রে অভিযোগকারিণী যে ভয়ানক মানসিক হয়রানির শিকারহয়েছেন, তা নিয়ে ফেটসু’র এখনো পর্যন্ত কোনও সন্দেহ নেই। এটিও নিন্দা ও শাস্তিযোগ্য।'

    আমাদেরবিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা ( এক ছাত্রীর ওপর কিছু ছাত্রের‘যৌননিগ্রহ’-র অভিযোগ ) প্রসঙ্গে এখানে কিছু পর্যবেক্ষণ বিবৃত করছি যার ভিত্তিতে ইউনিয়ন সাধারণ সভায় আলোচনা হতে পারে। যদিও সাধারণ সভা আলোচনার শেষে এই পর্যবেক্ষণ আংশিক/সম্পূর্ণতসংশোধন/খারিজ অথবা সহমতের ভিত্তিতে গ্রহণ করতে পারে ফেটসুর দীর্ঘ প্রগতিশীল ইতিবাচক আন্দোলনের ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে। সাধারণ সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যা সিদ্ধান্ত নেবে,সেটাই ইউনিয়ন-এর সিদ্ধান্ত হবে। সেই সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে এমন নয়, কেউ নিজের ব্যক্তিগত মতামত রাখতেই পারে। তবে ইউনিয়ন সংখ্যাগরিষ্ঠের বক্তব্য মানতে বাধ্য।
    যাতে ছাত্রছাত্রীরাঘটনা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পায় ও প্রকৃত অর্থে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে তাই আমাদের কিছু দিন সময় লাগলো ঘটনার সব ধরণের বিবরণ জড়ো করতে। গুজরাট, কামদুনি, নন্দীগ্রামপ্রভৃতিতে ঘটে যাওয়া যৌননিগ্রহ/ধর্ষণের সাথে এই ঘটনার তুলনা চলেনা (তথ্য বা বিবরণসংগ্রহের প্রেক্ষিতে... কারণ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেকার; বিশেষত, এখানে অভিযুক্ত যখন কিছু ছাত্র, যারা অন্য সব FET ছাত্রী-ছাত্রদের মতোই ফেটসুর সদস্য )।
    জন্মলগ্ন থেকে ফেটসু যেকোনো রাষ্ট্রীয়/দলীয়/ব্যক্তিক হিংসা/অবমাননার বিরুদ্ধে কথা বলেছে।জনমত তৈরিতে সচেষ্ট থেকেছে। অন্যায়ের সাথে আপোষ করার পথ ফেটসু কখনও নেয়নি। লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে অর্থাৎ লিঙ্গ সাম্যের প্রশ্নে বারবারই আমাদেরকে ক্যাম্পাসে ওরাজপথে সক্রিয় হতে দেখা গেছে বিশেষত ২০০৬-২০০৭ পরবর্তী বছরগুলিতে (যাতে ডে-স্কলার’দেরসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গেছে হোস্টেলে থাকাছাত্র-ছাত্রীদের)। তবু এই প্রশ্নে ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়ার কাজ এখনও বহুলাংশে বাকী।

    ফেটসুর পর্যবেক্ষণ
    ১। গত ২৮ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আর্টস কলেজেরবার্ষিক উৎসব "সংস্কৃতি"র শেষ দিনে আর্টস কলেজের এক ছাত্রীকে 'যৌননিগ্রহ' ও 'ধর্ষণের' চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হোস্টেল-আবাসিক কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে। আরো অভিযোগ ঐ ছাত্রীর সঙ্গে থাকা বন্ধু (যিনি পুরুষ)-কে দৈহিক নিগ্রহ করা হয়, বলপূর্বক ছাত্রীটিকে হোস্টেলের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে মানসিক ও শারীরিক হয়রানি করা হয়।

    ২। আরো অভিযোগ, উক্ত ঘটনাবলী ঘটতে দেখেও হোস্টেলের সুপার ও গার্ড কোনো বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেননি।

    ৩। অভিযোগকারিণী অভিযোগ করার পর কর্তৃপক্ষ তাকে পরামর্শদেয় পরবর্তী পনের দিন ক্যাম্পাসে না আসতে। তদন্ত কমিটি গড়ে তুলতে না কি সময় লাগবে!যৌন হেনস্থা বিরোধী সেল (CASH) যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে তা তাকে জানানো হয়নাবলেই অভিযোগ।

    ৪। মূলতঃ আর্টস কলেজে ছাত্রছাত্রীদের প্রশংসনীয় সক্রিয়তায় চলমান আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ - প্রশাসনকে আবার হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেল যখনগত পরশু(সোমবার) অরবিন্দ ভবনে উপাচার্যের ঘরের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানরতছাত্রছাত্রীদের বলপূর্বক সরিয়ে দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    ৫। কর্তৃপক্ষ আজ বুধবারের মধ্যে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দাবীর উত্তর দেবেন বলেছিলেন। আজ সন্ধে পর্যন্ত তাঁদের তরফে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

    ৬। উল্টে আজ যখন ছাত্রছাত্রীরা অরবিন্দ ভবনের সামনে দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধারাবাহিক লড়াইয়ের spirit দেখাচ্ছেন, তখন পুলিশের গাড়ি চক্কর মেরে যাচ্ছে সংগ্রামী ছাত্রছাত্রীদের মনে ভয় ধরানোর জন্য। কর্তৃপক্ষ নিশ্চয় ভুলে যায়নি,যাদবপুর মানে... লাঠির মুখে গানের সুর।
    ৭। এই পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট যে বরাবরের মতোই এই ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ছাত্রস্বার্থবিরোধী এবং তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘ করার ক্ষেত্রে সঠিক ন্যায় বিচারের কারণে তাদের সময় লাগছে এই যুক্তিতে কোনোএকজন ছাত্র বা ছাত্রীও যেন বিভ্রান্ত না হন। বরং বরাবরের মতোই কর্তৃপক্ষের প্রতিটি আচরণকেই ছাত্রস্বার্থের উল্টোদিক থেকেই আমাদের দেখতে হবে।

    ৮। সুতরাং, বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে গত এক সপ্তাহব্যাপী ক্লাস ক্যাম্পেইন ও গ্রুপ আলোচনাগুলির সূত্র ধরে FETSU এটাই বলতে চায় যে, কর্তৃপক্ষ বিরোধীতার অক্ষ থেকে বিচ্যুত হওয়া আমাদের চলবে না। দ্রুত ভিত্তিতে প্রকৃত নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনমাফিক যাবতীয় ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।

    ৯। রাষ্ট্রীয়/সামাজিকপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান একটি স্তম্ভ হিসাবে পিতৃতন্ত্রকে চিহ্নিত করে ফেটসু। লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতন যার অন্যতম প্রধান উদাহরণ। এই সমস্যা সমাধানের প্রধান উপায় রাষ্ট্রীয়/প্রশাসনিক আইনের ছিটেফোঁটা পরিসর নয়, বরং তার বাইরের সামাজিক পরিসর,যেখানে সচেতন প্রগতিশীল মত, সদিচ্ছা, সমানুভূতি মুক্তভাবে প্রকাশিত হতে পারে বিচিত্র ও বহুরূপে। সম্মিলিত সামাজিক নিন্দা ও সংশোধনের উদ্যোগের অধীনে শাস্তির যন্ত্রণাও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে সেক্ষেত্রে। তবে এর পাশাপাশি কিছু ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা মনে করেন, যে কোনও অপরাধের সমাধান একমাত্র আইনি শাস্তিতে বা অন্যতম একটি সমাধান হল আইনি শাস্তি, তাই বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক আইনি পথে শাস্তির প্রশ্নটিকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেজন্যই প্রশাসন/কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকৃত ও নিরপেক্ষতদন্তের দাবী প্রথম থেকেই ফেটসু করে এসেছে। একই সাথে অভিযোগকারিণী ও তাঁর পরিবারেরসামাজিক সুরক্ষা/নিরাপত্তার পক্ষেও সওয়াল করেছে ফেটসু। এবং এক্ষেত্রে একজন ছাত্রী অভিযোগ করেছেন (যা এখনো প্রমাণিত নয়) এই অবস্থায় তাঁর আইনী যা যা অধিকার রয়েছে, সেগুলি পাওয়ার অধিকারও তাঁর রয়েছে।

    ১০। তবে,কিছু কথা বলার রয়েছে, যা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এটা ঠিক যে, একটি ইস্তাহার কোনও আলোচনা ছাড়াই সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ করতে পারতেন। কিন্তু সময় নিয়ে সাধারণ সভা ছাড়া ইউনিয়ন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিনিধিত্বকারী মত প্রকাশ করতো কীভাবে? বিশেষত এমন অভিযোগের ঘটনা সাম্প্রতিককালে এভাবে আসেনি। ঘটনার পর অভিযোগকারিণীর পক্ষ থেকেও কোনঅভিযোগ ফেটসু’তে আসেনি। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বেশির ভাগ ছাত্রী-ছাত্রই অভিযোগটি নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করছিলেন। ফলে সর্বপ্রকার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ফেটসু’র পদাধিকারীদের একটু সময় লাগলো সাধারণ সভা ডাকতে। সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং এ Mid Sem চলাতাও আমাদের গতি বিলম্বিত করেছে। এর মধ্যে পর্যাপ্ত মতবিনিময় চলেছে ফেটসু’র দীর্ঘ ইতিবাচক সংগ্রামী ঐতিহ্যের সাথে বর্তমান সমাজ-পরিস্থিতি,লিঙ্গবৈষম্যও ঘটনাটির সম্পর্ক নিয়ে।
    ১১। ঘটনার প্রাথমিক বয়ান পাওয়া গেছে বিভিন্ন মিডিয়ার বিভিন্ন ধরণের reporting মারফৎ। যা ঘটনা সম্পর্কে প্রকৃত সত্য জানতে সাহায্য করার পরিবর্তে নানান বিভ্রান্তি ছড়াতে সাহায্য করেছে (মিডিয়ার deterministic reporting দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল!)। অপর প্রাথমিক বয়ানটি পাওয়া গেছে অভিযোগকারিণীর পরিচিতা ছাত্রী-কৃত facebook পোস্ট থেকে।

    ১২।অভিযোগকারিণীর অভিযোগ যা সে V.C., পুলিশ, তার বান্ধবীকে জানিয়েছে বা বিবৃত করেছে... তা প্রত্যক্ষভাবে আমরা জানতে পারিনি। অল্পখানিক অপেক্ষা করার পর ফেসবুক ইত্যাদিতে নাম করে বা না করে নজীরবিহীন তৎপরতায় এইধারণা ব্যক্ত হতে থাকে যে, ফেটসু এবিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা নাও নিতে পারে বা নেবেনা। প্রত্যক্ষভাবে জানার চেষ্টা করলে এই প্রক্রিয়া বেড়ে গিয়ে প্রকৃত ইতিবাচক ভূমিকা ক্ষতিগ্রস্ত হতেপারে---এই আশঙ্কায় প্রত্যক্ষভাবে জানবার সম্ভাব্য সবরকম প্রয়াস নেওয়া যায়নি।

    ১৩। এমতাবস্থায় ফেটসু ঘটনার গভীরতা যথাসম্ভব অনুধাবন করে বিষয়টি নিয়ে সজাগ ও সহানুভূতিশীল অবস্থান রাখার চেষ্টা করেছে।

    ১৪। ফেটসু মনে করে প্রকৃত গণতন্ত্র অ-পিতৃতান্ত্রিক/লিঙ্গ-সহানুভূতিশীল/মানবী-অধিকার রক্ষাকারী হতে বাধ্য। তা না হলে সেটি গণতন্ত্রই নয়। একই সাথে প্রকৃত পিতৃতন্ত্র বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গী ও এমন হতে পারে না, যা লিঙ্গ বৈষম্য ব্যতীত অন্য কোনও বৈষম্যকে প্রযুক্ত হতে সাহায্য করে ফেলল। তাই এই সিস্টেমের মধ্যে যথাসম্ভব সার্বিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি মূল্যায়ন ও সমাধানে ক্রমশ পৌঁছনর চেষ্টা করাটাই ফেটসু’র পক্ষে সমীচীন মনে হয়েছে, যাতে কারো সাথেই কোনও অন্যায় না হয়।
    গঠনমূলক সমালোচনাকে প্ররোচনা হিসেবে দেখে ফেলার সম্ভাবনা ছিল ছাত্রী-ছাত্রদের বড় অংশের তরফে, যা আমরা অক্লান্তভাবে আটকেছি প্রকৃত ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য। যদি কোনও প্ররোচনা থেকেও থাকে, আমরা চেষ্টা করেছি সেগুলিকেও গঠনমূলক সমালোচনা হিসাবে দেখতে।

    ১৫। ফেটসু যে সামাজিক বিচার পদ্ধতির কথা আগে বলল, তা তথাকথিত সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয়-প্রশাসনিক-কর্তৃপক্ষীয় বিচার পদ্ধতির চেয়ে উন্নত।
    প্রথমত, এমনকোনও বিচার পদ্ধতি ও সিদ্ধান্তের জন্য আকাঙ্খা থাকা উচিৎ নয়, যা উপরিউক্ত রাষ্ট্রীয়-প্রশাসনিক-কর্তৃপক্ষীয় বিচার পদ্ধতির চেয়েও খারাপ। ‘শারীরিক লক্ষণ-চিহ্নে নারী’ এমন একজন ‘শারীরিক লক্ষণ-চিহ্নে পুরুষ’ এমন কয়েকজন সম্পর্কে অভিযোগ আনলেন ঘটনা’র বেশ কিছু সময় পর, যে অভিযোগের বয়ানের পক্ষের সাক্ষী তিনি নিজেএবং তাঁর বন্ধু ( যারা ঘটনার অংশ) ... অন্য যারা ঘটনায় জড়িত, তাঁদের সবার সাক্ষ্যই অন্যরকম (‘ধর্ষণের চেষ্টা’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে )... এই পরিস্থিতিতে ‘ধর্ষণেরচেষ্টা’র অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও রকম তদন্ত ছাড়াই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ঐ কারণে করা যায় কিনা তা নিয়ে ছাত্রীছাত্রদের বড় অংশের সন্দেহ রয়েছে।
    দ্বিতীয়ত, কর্তৃপক্ষ-প্রশাসন দ্রুত তদন্ত করে শাস্তি দিক--- এই দাবী তুলে তথাকথিত আইনীপদ্ধতিগুলোর ওপর নির্ভরতা তৈরি করবো, নিজেরাও নির্ভর করবো অথচ সেই প্রক্রিয়া তার নিজের মতো পিতৃতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে জোর পড়বে...এই চিন্তা পদ্ধতিতে ন্যায়বিচার বিলম্বিতই হবে।
    তৃতীয়ত, রাষ্ট্রীয়-প্রশাসনিক-কর্তৃপক্ষীয় বিচার পদ্ধতি ( যার প্রহসনমূলক চরিত্র নিয়ে নানাসময় সংগত কারণেই মানুষ সরব হয়)-ও এটুকু অন্তত বলে যে, নির্দোষ যেন শাস্তি না পায় এটা নিশ্চিত করে দোষীকে শাস্তি দেবার কথা। আমাদের চিন্তা যেন এটুকুর চেয়েও পিছিয়ে না পড়ে!
    চতুর্থত, প্রাথমিক গ্রেপ্তারের প্রশ্ন। ৪৯৮এ ধারায় গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক গ্রেপ্তার করা হয় যাতে প্রমাণ লোপ, বলপূর্বক অভিযোগ তুলে নেওয়া ইত্যাদি বহু সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে অভিযোগকারিণীর ওপর। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ-পার্টি-প্রশাসন-ক্ষমতাবান’রা তা করতে পারেন হয়তো। অভিযুক্ত ছাত্রগুলিকে গ্রেপ্তার করে কি ওগুলো আটকানো যাবে?
    পঞ্চমত, কামদুনি-গুজরাট ইত্যাদির প্রসঙ্গ এসেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ সেভাবে আসে নি। কারণ বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছি। যাই হোক, রাষ্ট্রীয় বা দলীয় বা ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত ধর্ষণে আহত বা নিহত নারীদেহ জন সমক্ষে পড়ে রয়েছে--- এরকম অবস্থায় ধর্ষণ আদৌ হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন বোধহয় ‘পশু’রও থাকে না। বর্তমান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়টিকে যারা উপরের নৃশংস ঘটনাগুলির সাথে তুলনা করলেন, কেন করলেন, তা নিশ্চয়ই তাঁরা ভবিষ্যতে ব্যাখ্যা করে ফেটসু’কে ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিতে সাহায্য করবেন আশা করি।
    ষষ্ঠত, এখনোপর্যন্ত ফেটসু যা যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সূত্রে জানতে পেরেছে, তাতে এক যুবক-যুবতী Public space নয় এমন কোনও স্থানে স্বেচ্ছায় ব্যক্তিগত সখ্য চর্চা করছিলেন, যাতে কিছু ছাত্র হস্তক্ষেপ করে, যেটি অন্যায়। এজন্য আইন মতে শাস্তি প্রাপ্য হলে সেই শাস্তি সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের পেতে হবে। ফেটসু’র এইপর্যবেক্ষণ অবশ্য তার আগে আইন মতে সিদ্ধ হতে হবে। উল্লেখ্য, অল্প হলেও কিছুছাত্র-ছাত্রীর এমন মতও থাকতে পারে, এরূপ সখ্য চর্চা (ব্যক্তিগত বা অনেকে মিলে) public space-এ করার অধিকার দিতে হবে। ফেটসু’র যা বলার, সেক্ষেত্রে তাঁরা এই নিয়ে আন্দোলন করুন বা অন্য কোনও উদ্যোগ নিন, আইন সিদ্ধ বা সমাজসিদ্ধ হলে অবশ্যই তাঁরা তা করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইন ফেটসু’র জানা নেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আপামর ছাত্রী-ছাত্র কি মনে করেন, তাও জানা হয়ে ওঠে নি।
    সপ্তমত, আগের পয়েন্টের মতোই ফেটসু’র পর্যবেক্ষণ এখনো অবধি বলছে, সেদিনের ঘটনায় অভিযোগকারিণীর বন্ধুটিকে মারা হয়েছে। বন্ধুটি আগে মেরেছিলেন--- এই যুক্তিতেও হস্টেল ছাত্রদের এই শারীরিক নিগ্রহ বৈধ হয়না। এই অপরাধেরও আইন মাফিক শাস্তি হওয়া উচিৎ।
    অষ্টমত, অভিযোগকারিণীর অভিযোগের নানা ব্যাখ্যা নানা মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। তিনি ‘ধর্ষণের চেষ্টা’র অভিযোগ করেছেন। মানসিক হয়রানি, দৈহিক নিগ্রহ, যৌন নিগ্রহ, ধর্ষণের চেষ্টা... প্রতিটির প্রেক্ষাপটে এক্ষেত্রে পিতৃতান্ত্রিক মতাদর্শ কাজ করে এটা নিশ্চিত, কিন্তু আইনের চোখে সম্ভবত এগুলির মূল্যায়ন, শাস্তি ও প্রতিকার আলাদা।
    এক্ষেত্রে অভিযোগকারিণী যে ভয়ানক মানসিক হয়রানির শিকারহয়েছেন, তা নিয়ে ফেটসু’র এখনো পর্যন্ত কোনও সন্দেহ নেই। এটিও নিন্দা ও শাস্তিযোগ্য।

    ১৬। অভিযোগকারিণীর প্রত্যক্ষ বয়ান সরাসরি ফেটসু নিতে পারেনি, কারণ আগেই বলা হয়েছে, কেননা এক্ষেত্রে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে যেতে পারে যখন কিনা অভিযুক্তদের আড়াল করার প্রকট ও প্রচ্ছন্ন অভিযোগ ফেটসু সম্পর্কে নানা মহল থেকে তোলার/তোলানোর চেষ্টা দেখা গেছে।

    ১৭। বিচারে যা দোষ ধরা পড়বে ও শাস্তি হবে, তার সম্পর্কেও আমাদের মূল্যায়ন ও বিচার প্রয়োজন। কারণ, কর্তৃপক্ষের শাস্তি শুধু দোষীকে কষ্টই দেবে... তাও সাময়িক কষ্ট... তারপর মুক্তি, আবার নোংরামো- বদলে দিতে পারবে না। আমাদের নিন্দার চোখ দোষীকে বদলাতে পারে। যতক্ষণ না দোষী নিজেকে বদলাচ্ছে, ততক্ষণ জেগে থাকতে পারে ওই চোখ।

    ১৮। তাছাড়া ও কর্তৃপক্ষ-প্রশাসন প্রকৃত দোষীকে বা দোষীদেরকে আড়াল করতে পারে বা দিতে পারে ‘গুরুপাপে লঘুদণ্ড’ বা দিতে পারে ‘লঘুপাপে গুরুদণ্ড’। এসব ঘটলে, ফেটসু শেষ পর্যন্ত লড়বে।

    ১৯। সেইকারণেই, ফেটসু দাবী তুলেছে ‘প্রকৃত ও নিরপেক্ষ’ তদন্তের। এই দাবীর প্রতি শেষপর্যন্ত লড়াইয়ে গণতন্ত্রমনস্ক সবাইকে পাশে পাবার প্রত্যাশা ফেটসু রাখে।

    ২০। উপরিউক্ত সম্পূর্ণ পরিপ্রেক্ষিতের অধীনে ফেটসু কতকগুলি সতর্ক পর্যবেক্ষণ প্রকাশ্যে রাখতে চায়ঃ

    ক) অভিযোগ সম্পূর্ণত বা অংশত যদি রাষ্ট্রীয়-প্রশাসনিক-কর্তৃপক্ষীয় বিচার পদ্ধতিতে ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং তা মিলে যায় পাশাপাশি চলতে থাকা ব্যাপক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর গণমূল্যায়ন পদ্ধতির সাথে, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র অভিযোগকারিণীকে শাস্তি বা নিন্দার মাধ্যমে হাত ধুইয়ে ফেলা চলবে না। কেন এবং কিভাবে এই ভুল বা মিথ্যা অভিযোগের বয়ান সমাজ জুড়ে প্রচারিত হয়ে গেল বিদ্যুৎগতির তৎপরতায়, সেটির অনুসন্ধানের জন্যেও যথোপযুক্ত সদিচ্ছা ও তৎপরতা গণতন্ত্রমনস্ক সব মহলকেই নিতে হবে (সাধারণছাত্র-ছাত্রীসহ)। অভিযোগকারিণী বা অভিযুক্তদের সকলের বা কারো কারো বয়ান বদলের কোনওবলপূর্বক বা অসাধু প্রচেষ্টা চলল কিনা, সে সম্পর্কে এখন থেকেই সক্রিয় ও সজাগ থাকতে হবে।
    খ) স্বাধীনভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসেই নিয়মিত ঘটেছে অপরাধ চাপা দেবার এবং মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর অজস্র ঘটনা। যারা এসবে বরাবর যুক্ত থেকে এসেছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত নেই এমন নয়। যারা নিজেদেরকে গণতন্ত্রপ্রিয়, প্রগতিশীল, সমতামুখী মনে করেন, তাঁরা খেয়াল রাখবেন, অনভিজ্ঞ ছাত্রী-ছাত্র-ব্যক্তি-গোষ্ঠী প্রভৃতি যেন এসবে বিভ্রান্ত ও ব্যবহৃত না হন।
    গ) কর্পোরেটবড় মিডিয়া দেশে দেশে আধুনিকোত্তর যুগে তার এজেণ্ট দিয়ে ঘটনা তৈরি করে বেচে দেয়। তেমন কিছুর সম্ভাবনা যেকোন ক্ষেত্রেই থাকতে পারে। তবে তার ওপর ইতিবাচক বা নেতিবাচককোন অর্থেই নির্ভর করা উচিত না।
    ফেটসু’র সাধারণ সভাই ঠিক করে, করেছে, করবে ফেটসু’র নির্ধারক সিদ্ধান্ত। ফেটসু’র GB-তে FET-র সকল ছাত্রী ও ছাত্র নিজ নিজ মত নিয়ে সক্রিয় ও সজাগ ভূমিকা পালন করুন।

    কর্তৃপক্ষকে দেওয়া সময়সীমা গতকাল রাত বারোটায় শেষ। এবার বোধহয় শুরু অন্যকিছুর। চল সেটা শুরু করি। সাধারন সভায় এস তোমার মত নিয়ে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকাল ৪টে থেকে।

    * যেহেতু এখন পর্যন্তকোন সাধারণ সভা আয়োজন করা যায়নি, তাই এই পর্যবেক্ষণ ও সাধারণীকরণ কেবলমাত্র ফেটসু পদাধিকারীদের।
  • DhaDha | 122.79.39.10 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ২১:৪৭650699
  • সুরঞ্জনবাবুকি আজ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন?
  • pi | 24.139.221.129 | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ২২:৪২650700
  • এটাও থাক।
    গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর ’১৪ ( যথাক্রমে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি ছাত্রসংসদের সাধারণ সভা অর্থাৎ
    FETSU GB-তে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ ঃ

    ১) দ্রুত, নিরপেক্ষ ও আইন-মোতাবেক বিচার শুরু ও শেষ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় ছাত্রী-ছাত্রদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে। ১৮/৯/১৪ [বৃহস্পতিবার]-এর মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে এবং পুর্নাঙ্গ report প্রকাশ্যে আনতে হবে।

    ২) পুলিশ দিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রী-ছাত্রদের উপর চাপ তৈরি করা বন্ধ করতে হবে ও campus-এর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

    ৩) আইনী এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া ও আপত্তিকর জিজ্ঞাসাবাদের যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের অধীন করতে হবে এবং তাঁদের I.C.C. –র এই তদন্ত প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে হবে। আইনমাফিক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও women’s rights activist-কে committee-র অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পদত্যাগের ফলে committee-তে যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে সেই পদ ছাত্রী/ছাত্র প্রতিনিধিদের দিয়ে পূরণ করতে হবে।

    ৪) অভিযোগকারিণীকে V.C. যে পরামর্শ দিয়েছেন তা আইনানুগ কিনা,তা বিচার করতে হবে, প্রয়োজনে পরামর্শের জন্যে উপযুক্ত বিবৃতি দিতে হবে।

    খ) G.B.-র নিজস্ব বোঝাবুঝির যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে অভিযুক্তদের কিছু দোষ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত। সন্দেহ বা অভিযোগের বশে করা নয় এই চিহ্নিতকরণ। কর্তৃপক্ষ 'পক্ষপাতদুষ্ট' হয়ে রায়ে যদি ‘বেকসুর’ ঘোষণাও করে—ছাত্রী-ছাত্ররা তাদের নিজস্ব বোঝাবুঝির জোরে দোষীদের নিন্দার চোখে দেখবে, আরও প্রক্রিয়ার কথাও ভেবে দেখতে পারে সাধারণ সভা...মিলিতভাবে। এ নিন্দার চোখ আইনি শাস্তিসুলভ মেয়াদের মধ্যে ফুরোয় না, পরিবর্তন অবধি জারি থাকে। বোঝাবুঝি এখনো চালানোর প্রয়োজন বোধ করছে G.B.।

    গ) রাষ্ট্র-প্রশাসন-কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পক্ষপাতিত্বের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা, আবার সেই কর্তৃপক্ষের কাছেই নিরপেক্ষ বিচারের দাবী তোলার জটিলতা ও সীমাবদ্ধতা(যার অংশ আমরাও)-কে ছাপিয়ে ঘটনাকে বোঝার নিজস্ব সমষ্টিগত প্রয়াস চালাতে হয়েছে FETSU-কে, যা মানসিকতার সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্যেও প্রয়োজন ছিল। এই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট সব মহলকে পর্যাপ্তভাবে অবগত করার প্রয়াস বা সাধ্যের অভাব হয়েছে। এ কারণেই হয়তো অনেকেই 'FETSU-র অবস্থান'-কে সমালোচনা করছেন। যদি তারা এই প্রক্রিয়ার কোন গঠনমূলক সমালোচনা করেন তা FETSU শিক্ষার্থীসুলভ মানসিকতা নিয়ে বিবেচনা করবে।
  • a | 11.39.24.52 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০৩650701
  • Dhus molestation কেস এ ছাত্র দের পুলিশ ডেকে ধরিয়ে না দিয়ে। রচনা লিখে মরেছে।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০৬650702
  • এটাও কি ৯১ পৃষ্ঠা? ঃ-)
  • lcm | 118.91.116.131 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১৪:১৮650703
  • -----
    "...ফেটসু যে সামাজিক বিচার পদ্ধতির কথা আগে বলল, তা তথাকথিত সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয়-প্রশাসনিক-কর্তৃপক্ষীয় বিচার পদ্ধতির চেয়ে উন্নত।..."
    খাইসে, এটি আবার কি কেস? প্যারালাল জুডিসিয়ারি সিস্টেম তৈরী হবে নাকি - একটি মেয়ের ওপর নিগ্রহের বিচার করতে। নিজেদের কোর্ট? নিজেদের বিচারব্যবস্থা?
    ----
    "দ্রুত, নিরপেক্ষ ও আইন-মোতাবেক বিচার শুরু ও শেষ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় ছাত্রী-ছাত্রদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে।"
    এটাই বা কি কেস? জুরি সিলেকশনে ছাত্র ছাত্রী থাকতে হবে?
    ----
    "রাষ্ট্রীয়/সামাজিকপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান একটি স্তম্ভ হিসাবে পিতৃতন্ত্রকে চিহ্নিত করে ফেটসু।...

    "ফেটসু মনে করে প্রকৃত গণতন্ত্র অ-পিতৃতান্ত্রিক/লিঙ্গ-সহানুভূতিশীল/মানবী-অধিকার রক্ষাকারী হতে বাধ্য। তা না হলে সেটি গণতন্ত্রই নয়। একই সাথে প্রকৃত পিতৃতন্ত্র বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গী ও এমন হতে পারে না, যা লিঙ্গ বৈষম্য ব্যতীত অন্য কোনও বৈষম্যকে প্রযুক্ত হতে সাহায্য করে ফেলল। "

    বোঝো! এসব আবার কোত্থেকে এলো!
    ---
    বাপরে, কি কনফিউশন! সোজা বাংলা কিছু নেই।
  • . | 59.207.209.69 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:০৬650705
  • ব্যাপরাটাকে গুলিয়ে দিতে হবে কিনা, তাই এই সব ভ্যানতাড়া। ভিসির চামড়াগুটিয়ে দেবার বা উকুনের স্লোগান খুব সহজ ভাষায় লেখা হয়। কিন্তু যেই ওনাদের কে ঝেড়ে কাশতে বলা হল তখন একেবারে সান্ধ্যভাষায় ইস্তাহার ।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:১২650706
  • দুপক্ষকে ব্যালান্স করতে গিয়ে এরকম ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে গেছে লেখাগুলো। :-P
  • a | 233.176.245.90 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১৬:৩৩650707
  • এই রচনা লিখতে যত টাইম গেছে তার চেয়ে কম সময় লাগত যে ছেলে গুলোর নাম জড়িত তাদের নাম গিয়ে পুলিশ কে বলে দেওয়া।
  • a x | 108.201.168.237 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১৬:৫৪650708
  • চিরঞ্জিতের/ফেটসুর ঐ নোটটি একেবারেই সুবিধের না। ইনফ্যাক্ট আরো একবার পড়তে গিয়ে খুবই বিরক্তিকর লাগল। প্রেক্ষিত ঘোষদের খুব একটা দূর দিয়ে যায়না। ব্যাক্তিগত সখ্য চর্চা ইত্যাদি হাউ দ্য হেল ইস রেলেভ্যান্ট?
  • :) | 212.79.203.43 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১৯:১৭650709
  • ""বিশেষত, এখানে অভিযুক্ত যখন কিছু ছাত্র, যারা অন্য সব FET ছাত্রী-ছাত্রদের মতোই ফেটসুর সদস্য "

    এই লাইনটা পড়ার পরেই তো রচনা/ভ্যানতারা লেখার উদ্দেশ্য বিধেয় বোঝা যাওয়া উচিত।
  • Ekak | 24.99.133.108 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১৯:৪১650710
  • সেকেন্ড লেখা টা পড়ে ......যাতা এরা যত মুখ খুলছে তত ছড়াচ্ছে । রাষ্ট্রের বিচারে পার পেলেও দোষীদের নিন্দার চোখে দেখা / আরও প্রক্রিয়ার কথা ভেবে দেখা ! খাপ বসাবে ? একঘরে করে রাখবে ? পাওয়ার দিভলুসনের চুলকানি জেগেছে আর ভাবছে লোকে সেটা সমর্থন করবে । এনিওয়ে এসিউম করবনা কিছু , ঠিক কী কী প্রক্রিয়া চালানো হবে একটু লিখুক তো দেখি । আর এরা যখন দেফিনিত্লি স্বীকার করেই নিচ্ছে কারা দোষী জানে তাহলে তদন্ত কমিটি ভুল করলে আবার কমিটি কে চ্যালেঞ্জ করে কোর্টে যাবেনা কেন ? "সন্দেহ বা অভিযোগের বশে করা নয় এই চিহ্নিতকরণ।" এই কথাটা বক্সে দাঁড়িয়ে বলতে পারবে ? তাহলে কথার দাম থাকে । নইলে গোটা লেখাটা আরেকপ্রস্থ গাধামো ।
  • pi | 24.139.221.129 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ২২:০৬650711
  • একক, ওদের কিছুজনের সাথে আমার কথা হয়েছিল। ওরা আলোচনার মাধ্যমে মন, মানসিকতা পরিবর্তনে আগ্রহী।

    যাই হোক, এটা দেখে এত ভালো লাগছিল যে শেয়ার করেই দিলাম। অন্য আলোচনার ফাঁকে।

  • Ishan | 202.43.65.245 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ২২:২২650712
  • এই লিফলেটটা দেখে আমার প্রথম রিঅ্যাকশন ছিল, এত উকিলি ভাষা ব্যবহারের কারণ কী? এবং পিনাকী যেমন বলল, সব দিক ব্যালেন্স করে লেখা হয়েছে, সেরকমও লেগেছিল।

    ব্যালেন্স করাটা খারাপ লাগেনি। একমাত্র জটিল ভাষা ছাড়া আপত্তির কোনো কারণও দেখতে পাইনি। বরং দোষীদের ধরে কেলাও, কিংবা চিহ্নিত করে ইনস্টিটিউশন থেকে বার করে দাও, বললেই আপত্তি জানাতাম। প্রথ থেকেই আমি একদম এই অবস্থানে বিলং করি, যে, এই ধরণের অপরাধের অভিযোগে তদন্ত করার আগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবেনা। অভিযোগকারীও শুধু অভিযোগ করেছেন বলেই সঠিক প্রমাণিত হবেন না। দাবীটা হওয়া উচিত স্বচ্ছ বিচারের। সেটা সমস্ত কেসে। শুধু এখানে নয়।
  • Ekak | 24.96.12.122 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ২২:৩৬650713
  • সে বিশ্বাস তো হলো , এরা তো ছাড়া পেয়ে গেলেও "রাষ্ট্রের বিচারে পার পেলেও দোষীদের নিন্দার চোখে দেখা " র লজিক দিচ্ছে । এর মানে মানসিকতা পাল্টানোর চেষ্টা আলোচনা করে ! এরা যখন দেফিনিত্লি জানে দোষী কে ( সন্দেহ থাকলে কোনো উকিলের সঙ্গে কথা বলুন , এই স্টেটমেন্ট থেকে পরিস্কার যে এরা জানে ) তাহলে প্রথমত তথ্য গোপনের দায়ে পরবেনা কেন ? কমিটি রেখেই বলছি । আর সেক্ষেত্রে কমিটি ভুল রিপোর্ট দিলে তাকে নিজেদের সাক্ষ্য-প্রমান দিয়ে কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেনা কেন ? সবটাই ভাষাগত জটিলতা ?? যা বিচারে প্রমানিত নয় তাকে এমনকি "নিন্দার চোখে দেখা " তো আইনত বুলি করা !
  • Atoz | 161.141.84.164 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ২২:৪৪650716
  • এইটা পড়ে তো একেবারে টরেটম বনে গেলাম।

    " খ) G.B.-র নিজস্ব বোঝাবুঝির যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে অভিযুক্তদের কিছু দোষ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত। সন্দেহ বা অভিযোগের বশে করা নয় এই চিহ্নিতকরণ। কর্তৃপক্ষ 'পক্ষপাতদুষ্ট' হয়ে রায়ে যদি ‘বেকসুর’ ঘোষণাও করে—ছাত্রী-ছাত্ররা তাদের নিজস্ব বোঝাবুঝির জোরে দোষীদের নিন্দার চোখে দেখবে, আরও প্রক্রিয়ার কথাও ভেবে দেখতে পারে সাধারণ সভা।।।মিলিতভাবে। এ নিন্দার চোখ আইনি শাস্তিসুলভ মেয়াদের মধ্যে ফুরোয় না, পরিবর্তন অবধি জারি থাকে। বোঝাবুঝি এখনো চালানোর প্রয়োজন বোধ করছে G.B.। "

    এটা কী জিনিস? এত বোঝাবুঝির কীসের? এতসব প্রক্রিয়া কীসের?
  • pinaki | 90.254.154.105 | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ২২:৪৪650714
  • হার্ডলাইন না নিয়েও একটা পরিষ্কার লাইন নিতে পারত। আসলে ফাম্বল করেছে। এইটা এর আগে র‌্যাগিং এর ক্ষেত্রেও দেখেছিলাম। হস্টেলের জনতা কোনো একটা খারাপ কাজ করে ফেললে অবস্থান নিতে সমস্যা হচ্ছে। হস্টেল সেন্টিমেন্ট একটা বড় কারণ। হস্টেল সেন্টিমেন্টের মধ্যে একটা এক্সট্রীমিজম বরাবরই থাকে। সেটাকে ভালোভাবে সামলাতে গেলে হস্টেলের সাথে ইউনিয়নের আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ দরকার। সেইটা থাকলেই কিছু ছাত্র খারাপ কাজ করলেও পলিটিকালি কারেক্ট অবস্থান নিতে ইউনিয়নের এত ফাম্বল করতে হয় না। মানে হস্টেলের কিছু ছাত্রের খারাপ কাজকে স্পষ্ট কথায় খারাপ বলব আর তাতে গোটা হস্টেল ইউনিয়নের বিপক্ষে চলে যাবে - এমন ঘটার সুযোগ থাকে না।

    আর একটা কথা। নৈতিক অবস্থান নিতে গেলে অনেক সময়ই মেইনস্ট্রীমের সাথে সংঘাত হয়। এই সমস্যায় আমাদের সময়ও পড়তে হয়েছে। মন্ডল কমিশন নিয়ে মিছিল বেরিয়ে গেল, ডিএসএফ কিছু ভাবার বা বলার আগেই। তো সেক্ষেত্রে যদি নৈতিক অব্স্থানে শক্তভাবে দাঁড়ানো যায়, আর অসহিষ্ণু না হয়ে ধৈর্য ধতে ছাত্রদের সাথে ডায়লগ চালানো যায়, ঐ সাময়িক সংঘাতে আখেরে ফল ভালৈ হয়। ওতে অত ইনসিকিওরিটির কিছু নেই। সাময়িকভাবে মনে হতে পারে যে সমস্ত ছাত্র বোধহয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে চলে গেল। কিন্তু শেষ অব্দি তা হয় না। একবার তো এরিনার খেলা নিয়ে বাওয়ালে পুরো মেকানিকাল ফেটসুর উপর এত খচে গেল যে মেজরিটি ভোট বয়কট করল আর মাঝখান থেকে এসেফাই কমিটেড ভোটারদের টার্ন করিয়ে জিতে গেল। ঃ-) এইসব মতান্তর ঘটবে। তাতে এত ঘাবড়ালে চলবে?

    এই হল এখনকার ফেটসু নেতৃত্বের প্রতি আমার দুপয়সা। ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন