এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ধর্ষন কমাতে চান? আসুন আমরা আমাদের ছেলেদের শিক্ষিত করে তুলি।

    R-n-T
    অন্যান্য | ২৪ মার্চ ২০১৫ | ৬৯১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৩:৩৬667587
  • ছোটো বাচ্চাদের বাবা মা যেমন শেখান যে চুরি করা উচিৎ নয়, মিথ্যে কথা বলতে নেই, ঠিক সেইরকম ভাবেই শেখানো যেতে পারে। মারামারি করতে নেই, খুন করতে নেই, এগুলো ও তো বাবা মায়েই শেখায়, বা ইস্কুলেও শেখায়। ধর্ষণের ব্যাপারে কথা বলতে গেলেই এত বাধা কেন? খুন জখম করা উচিৎ নয়, এনিয়ে বাচ্চাকে শেখানোয় তো কোনো গেল গেল রব আসে না। খুন জখম করা কি ভালো কাজ? তাহলে ধর্ষণের ব্যাপারে অ্যাওয়ারনেসে এত সমস্যা কেন?
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৩:৩৭667588
  • আপনার তিন নম্বর পয়েন্টে মহিলার বয়স যদি ১৮র নীচে হয়? তখন?
  • R&T | 125.250.215.5 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৩:৫১667589
  • হ্যাঁ, তখনও।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৩:৫৮667590
  • :-) ঠিক।
    এই জগাখিচুড়ি অবস্থাতেই যতটুকু অ্যাওয়ারনেস বাড়ানো যায়, ততটাই মঙ্গল।
    শিক্ষিত সমাজ যদি সবার আগে এগিয়ে আসেন, সেটাও একটা পদক্ষেপ হতে পারে।
    কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যে সেখানেও প্রচুর বাধা। নিজের ঘরের চালে আগুন না লাগা অবধি আমরা শুধু দূর থেকে অন্যের চালের আগুন দেখে যাই। ভাবি, ঐ আগুন এদিকে আসবে না। আমাদের সমাজেও, এই অ্যাওয়ারনেস নিজের ঘরের বাচ্চাদের শেখানোর দরকার মনে করি না। দূর থেকে দেখি নির্ভয়া, পার্ক স্ট্রীট, রাণাঘাট, কামদুনি। মিটিং মিছিলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এ সাপোর্ট করি, কিন্তু ঘরের শিশুটিকে ঠিক কজন ঠিকমতো এইসমস্ত শিক্ষা দিই, সেই নিয়ে সন্দেহ আছে।
  • R&T | 125.250.215.5 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৪:২১667591
  • @টিম,
    ছেলেরা রেপড হতে পারে না, কিন্তু ১৮এর নীচের ছেলেরা সেক্সুয়ালি অ্যাসাল্টেড হতে পারে, তার জন্য Protection of Children from Sexual Offences Act,2012 (POCSO) আছে। আর পার্টিকুলার কিছু কার্যকলাপে** অ্যাকিউজ্ড মহিলাও হতে পারেন​।
  • sch | 192.71.182.106 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৪:৩২667592
  • আমি সে ক'টা লাইন লিখেছি তার মধ্যে কোথায় রাগ এল বুঝলাম না - আমি তো কিছু তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্ন করলাম

    আমার সমস্যা হচ্ছে বিষয়ের হেডিং এর সাথে রেপ কমানোর দাওয়াইএর -

    ১) এটা কি নিশ্চিত যে রেপ শুধু মাত্র শিক্ষিত/স্বাভাবিক রিবার থেকে আসা মানুষরাই করেন ? উবের রেপ, মুম্বাই মিল রেপ, নির্ভয়া, সাম্প্রতিক রাণাঘাট রেপ সবখানেই কিন্তু রেপিস্টদের প্রোফাইল স্বাভাবিল মধ্যবিত্ত পরিবারের নয়।

    ২) আমেরিকার কিছু স্টাটিস্টিক্স এখানে আছে।
    https://www.rainn.org/get-information/statistics/sexual-assault-offenders
    না আমেরিকাই পৃথিবীর একমাত্র দেশ না - কিন্তু সেখানে ছোট থেকে সেক্স এডুকেশান দেওয়া হয় তা-ও প্রতি ১০৭ সেকেন্ডে একটা রেপ হয় এবং ৬৮% রেপ রিপোর্টেড হয় না

    সে যা-ই হোক - আমাদের দেশে এরকম কোনো প্রোফাইলিং কি করা হয়েছে রেপিস্টদের সম্বন্ধে?? যদি না করা হয় তাহলে এই মেজারগুলো নিলে রেপ কমবে এই কনক্লুশানে পৌছনো গেল্কি করে?
  • sch | 192.71.182.106 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৪:৩৩667593
  • *স্বাভাবিক পরিবার
  • dc | 132.164.68.19 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৪:৪১667594
  • আগের দুয়েকটা পোস্ট একটু মজা করে করেছি, তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। R&T র নিয়মগুলো পড়ে কেন জানি মনে হলো স্বাভাবিক যৌনতাকেও দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। রেপ, মোলেস্টেশন, মেয়েদের অপমান করা, কমোডিটি হিসেবে মনে করা, এগুলো আমাদের দেশে খুবই বড়ো সমস্যা। রেপ আর অন্য ব্যাপারগুলো ঠেকানোর জন্য প্রত্যেকের চিন্তা করা উচিত, আর মা-বাবাদেরও তো ভূমিকা আছেই। কিন্তু প্রথম পোস্টের নিয়মগুলো পড়ে মনে হচ্ছে কেমন যেন ওভার রিয়্যাকশন হয়ে গেছে। ১ নং নিয়ম নিয়ে কোন আপত্তি নেই, ওটা খুবই দরকার। বাকি নিয়মগুলো পড়ে মনে হচ্ছে ছেলেমেয়েদের মেলামেশা বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার অধিকারটাই যেন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ১৮ বয়্স হওয়ার আগেই, অন্তত বছর চার-পাঁচেক আগে থেকেই কিন্তু ছেলেমেয়েদের মধ্যে বন্ধুতা হয়, নানারকম যৌন সংস্পর্শও হয়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এটা স্বাভাবিকও। R&Tর এই দিকটা বোধায় খেয়াল নেই। আর ৪ আর ৫ নং নিয়মগুলো তালিবানি নিয়ম।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৪:৪৯667595
  • যে কথাটা আমি আগে বহুবার বলেছি এবং বলে যাবো, সেটা হচ্ছে বাড়ীর শিক্ষা। খুব দরকার। বাড়ীতে যে পরিবেশে শিশু বেড়ে ওঠে সেখানে পিতৃতন্ত্রের প্রভাব কতটা তীব্র সেটা একটা বড়ো ফ্যাক্টর। হেসে তো সব কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমাদের সমাজে মেয়েদের রেসপেক্ট করে না, ইন জেনেরাল। কিছুটা মুখে করে। মেয়েরাও এর ব্যতিক্রম নন। এ ছাড়া আরো এক শ্রেণী আছেন, এমনিতে মুখে খুবই সাম্যের কথা, কাজের বেলায় অন্যরকম। পিতৃতন্ত্রের কথা তুললে এঁরা সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হন। "পিতৃতন্ত্রের ভূত" দেখা গোছের বাক্যবন্ধ ব্যবহার এঁদের মধ্যে দেখা যায়। সেটা দিয়ে হয়ত সাময়িক ভাবে তর্কে জেতা যায়, কিন্তু আদতে সমাজের সমস্যা বাড়ছে বই কমছে না।
    এবার অন্য কথা। সেক্স এডুকেশন দিয়ে ও অন্যান্য সামাজিক শিক্ষা দিয়ে কী হয়, কী হয় না সেই ডিবেট চলুক।
    তাই বলে কি নিজের শিশুকে শেখাবো না যে মিথ্যে কথা বলতে নেই, চুরি করতে নেই?
    তা সত্ত্বেও তো বাচ্চারা মিথ্যে কথা বলে, চুরিও করে, বড়ো হয়েও করে। কিন্তু একেবারেই না শেখালে কি তারা সব আরো ভালো হয়ে উঠবে?
    বাড়ীতে পরিবেশে যা দেখছে, তা ও শেখে।
    বাড়ীর মেয়েরা কীরকম ব্যবহার পায়, তাদের স্থান ঠিক কোনখানে, এসমস্তই শিশুরা দেখে শুনে বুঝে নেয়, আলাদা করে ক্লাস না নিলেও বোঝে। যদি ভুল পরিবেশে বড়ো হয়, যে সব বাড়ীতে পিতৃতন্ত্র বলীয়ান, তাহলে ইস্কুলের শিক্ষায়, কিছুটা জানবে বৈকী।
    নচেৎ শৈশবের শিক্ষা এতটাই গেঁড়ে বসবে যে সেই জিনিস মন থেকে বের করা যাবে না। সেখানে উঁকি মেরে দেখলে মুকেশ সিং এর বয়ানের থেকে খুব বেশি পার্থক্য হয়ত মিলবে না। এইসব কারণেই বলা। আর এইসব কারণেই এত বাধাও আসছে/আসবে। কারণটা তো পরিষ্কার। পিতৃতন্ত্রের রক্ষনশীলতা থেকে বেরোনোর ভয়।
    খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সেক্স এডুকেশনের বদলে, রাতে নিজের বাড়ীর মেয়েদের রাস্তায় একা বেরোনো উচিৎ নয় - এর পক্ষেই রায় দেবেন শিক্ষিত মানুষেরা। তা সে যতই মুকেশ সিং এর ভিডিও ক্লিপ নিয়ে গলা ফাটান না কেন।
    এই শিক্ষিত বর্গ নিয়েই ভয়।
  • Ekak | 24.99.24.14 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৪:৫১667597
  • এগুলো সেফটি রুলস । toi এর শিরোনামটি বিভ্রান্তিকর । এগুলো মেনে চললে আপনার পুত্রসন্তান রেপ /মোর প্রিসাইসলি জুভেনাইল সেক্সুয়াল এসল্ট কেসে ফাঁসবে না/ নিজে এবিউসের শিকার হবে না । এই সোজা কথাটা শিরোনাম এ লিখতে বাধা কোথায় ছিলো ? ওভারঅল সমাজে রেপ কীকরে কমতে পারে তার কোনো সমাধান এতে নেই । সেরকম কোনো একপাতার সমাধান সম্ভব ও নয় । সেফটি রুলস মেনে চললে একদিক দিয়ে ভালই তো !
  • R&T | 125.250.190.68 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৪:৫৫667598
  • আপনার কাছে স্বাভাবিক​, বা ওই ব​য়সের ছেলেমেয়েদের কাছেও স্বাভাবিক্, কিন্তু কমপ্লেন্যান্ট​এর কাছে স্বাভাবিক না, কমপ্লেন্ট হলে আইনের কাছে স্বাভাবিক না, আর কমপ্লেন্ট রিসিভ হওয়া মানে রেপের স্ট্যাটিস্টিক বেড়ে যাওয়া, ছেলেটির ধর্ষক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া, কনভিক্শন হবে কি হবে না পরের কথা।
  • R&T | 125.250.190.68 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৪:৫৬667599
  • আগের পোস্টটা DC,কে
  • de | 24.139.119.174 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:০৪667600
  • আসল উদ্দেশ্য তাহলে ছেলে রেপ কেসে না ফাঁসে তা দেখা - ছেলেদের সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো নয়! তা ফাঁসলেই বা কি - আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে তাকে ঠিকই বার করে আনা যাবে। শুধু ঠিকঠাক উকিল দিতে হবে। সুতরাং ছেলে হবার পর থেকে বাপ মায়েরা উকিলের জন্য টাকা জমাতে থাকুন, অন্য সব ফান্ডের মতো। ফেঁসে গেলেই ভালো উকিল ছাড়িয়ে আনবে - কচি দুধের বাছাদের জন্য এটুকু করবে না বাপ -মা?
  • সিকি | 166.107.90.66 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:০৬667601
  • "আপনার কাছে স্বাভাবিক​, বা ওই ব​য়সের ছেলেমেয়েদের কাছেও স্বাভাবিক্, কিন্তু কমপ্লেন্যান্ট​এর কাছে স্বাভাবিক না, কমপ্লেন্ট হলে আইনের কাছে স্বাভাবিক না, আর কমপ্লেন্ট রিসিভ হওয়া মানে রেপের স্ট্যাটিস্টিক বেড়ে যাওয়া, ছেলেটির ধর্ষক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া, ..."

    সবকিছু কি অত সরলরেখায় চলে?
  • একক | 24.99.24.14 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:০৮667603
  • আর হ্যা ,এই সেফটি রুলস গুলো তৈরী হয়েছে সম্পূর্ণ ভাবে পিতৃতান্ত্রিক স্ট্রাকচার এর ওপর দাঁড়িয়ে । ছেলে-মেয়ে সে বয়েস যতই কম হোক দাহ্য পদার্থ ও আগুনের সম্পর্ক । তাদের সামলে সুমলে রাখো ।ছোটোবেলা থেকে মাথায় ঢোকাও কিভাবে অপসিট জেন্ডারের মানুষটি তার ক্ষতি করতে পারে । এইত মোদ্দা কথা । এটা তো নগ্ন পুরুষতন্ত্রের বিজ্ঞাপন । পুরুষতন্ত্র তো এটাই শেখাবার চেষ্টা করছে নানান অছিলায় দীর্ঘকাল ধরে । তারা বলছে ইটস এন ওয়াইল্ড ওয়ার্ল্ড । বী সেফ । মেইন্তেইন সেফটি রুলস ।

    আদতে তে ওই আগুন-দাহ্যের গল্পটা সামাজিক নির্মান এবং সেটাকেই সরিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নজর দেওয়া উচিত এটা আমাদের রাষ্ট্রও মনে করেনা । তাই তারা এমন কিছু আইন বানিয়েছে যাতে এঁড়ে এবং এঁড়ের পোকা দুই নিকেশ হয় । এই সেফটি রুলস গুলো সেই রাষ্ট্রীয় আইন এর ভালনারেবল সাইড টাই তুলে ধরেছে যা আদতে পুরুষতান্ত্রিক "সমাধান" । সরকারী আইনের রিএকশন হিসেবে উঠে এসেছে এই রুলস গুলো ।

    কাজেই সেফটি রুলস হিসেবে এগুলো সমর্থন অবস্যই করব ,গাড়ি চালাতে গেলে যেমন সীট বেল্ট-ট্রাফিক কশন এগুলো জানা জরুরি । কিন্তু কিভাবে রোড ফ্রেন্ডলি ড্রাইভার হওয়া যায় সেই শিক্ষা এতে নেই । সেটা দরকার । কারণ সেটাই লং টার্ম শিক্ষা । সেফটি রুলস তো আজ ১৮ আছে কাল ১৭ হবে পরশু ১৬ । শিক্ষার জেনেরাল পার্ভিউ টা কিন্তু এভাবে পাল্টাবে না । আশা করি বোঝাতে পারলুম । পয়েন্টগুলো কাজের । তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ ।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:০৮667602
  • R&T বোধহয় রেপ কেসে ফেঁসে যাবার কথা বলেন নি; উনি ধর্ষণ কমাবার জন্যেই লিখছেন বলে আমার মনে হয়েছে। সেটার অন্য ইন্টারপ্রিটেশন কেউ কেউ করে থাকতে পারেন। এভাবে মূল প্রসঙ্গ থেকে জিনিসটা সরিয়ে আনা হয়।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:১২667604
  • রোড ফ্রেন্ডলি ড্রাইভার হওয়া তো বাড়ীর শিক্ষা। সেটা তো বার বার করে বলা হচ্ছে।
  • dc | 132.164.68.19 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:১৩667605
  • সে'র সাথে অনেক ব্যাপারেই একমত হলাম। বাড়ীর পরিবেশ খুব জরুরি, বিশেষ করে ছোট থেকে একটা ছেলে বা মেয়ে যদি দেখে মাবাবা দুজন দুজনের বন্ধুর মতো, পরস্পরকে সম্মন করে, নানান ব্যাপারে একজন অন্যের মত নিয়ে চলে, দুজন মিলে ফ্যামিলিটা চালায় তাহলে সেই ছেলে বা মেয়েকেও পরস্পরকে সম্মান করতে শিখবে। আর সেক্স এডুকেশনও জরুরি। মিথ্যে বলতে নেই, চুরি করতে নেই, কারুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে সেক্স করতে নেই, এগুলোও শেখানো উচিত। কিন্তু এই টইয়ের নিয়মগুলো কেমন যেন নেগেটিভ মনে হলো।

    R&T, যৌনতাকে স্বাভাবিক ভাবেও নেওয়া যায়। মেয়েদের সম্মান করতে শেখা, তাদের ইচ্ছে অনিচ্ছেকে গুরুত্ত্ব দেওয়া, এগুলো শেখাতে পারলেও কাজ দিতে পারে। প্রিভেনশন ইস বেটার দ্যান কিওর।
  • একক | 24.99.24.14 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:১৬667606
  • এগুলো তবে কোথাকার শিক্ষা ? ইস্কুলের ? আমাদের দেশে , বা ধরুন মধ্যবিত্ত সেট টা আপনি নিচ্ছেন তো ? সেখানেই ডাবল আর্নিং চাকরিজীবি পরিবারে ওভাবে বাড়ির শিক্ষা কোনটা -কোনটা ইস্কুলের শিক্ষা এটা আলাদা করবেন কীকরে ? আর দুটো শিক্ষার অভিমুখ যদি কোনো জায়গায় বিপরীত হয় (উদ্দেশ্য এক) তাহলে সেটা আরো গোলমাল এর ।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:১৮667608
  • একক আপনি বলুন। শুনছি।
  • dc | 132.164.68.19 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:২০667609
  • "মেয়েদের সম্মান করতে শেখা" এমনকি এই কথাটাও কেমন গুরুগম্ভীর মনে হয়। বেসিকালি আমি একটা ছেলে, ও একটা মেয়ে, আমরা দুজনেই মানুষ, কেউ কারুর থেকে কম না, সব বিষয়ে আমাদের সমান অধিকার - এই শিক্ষাটা ছোটর থেকে দিতে পারলে হয়তো কিছুটা কাজে দেবে।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:২৩667611
  • হ্যাঁ, এই সম্মান করাটা খারাপ কেন বুঝলাম না। They do not respect women, এইরকম বললে ঠিক আছে? নিজেকে সম্মান করেন? তাহলে মেয়েদের সম্মান করবেন না কেন? এক ম্যাডামও এরকম বলছিলেন সেদিন। সম্মান করাটা খারাপ? কেন? অসম্মান করাটা দরকার বুঝি?
  • de | 24.139.119.174 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:২৩667610
  • অনেক উত্তর ভারতীয় পরিবারে আমি দেখেছি স্কুলে বাচ্চাকে মেয়েদের সঙ্গে কথা না বলতে, না মিশতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এইসব ছেলেই কলেজে উঠে মেয়েদের অন্য গ্রহের জীব বা জাস্ট ভোগ্যবস্তু হিসেবে দেখতে শেখে।

    স্বাভাবিক বন্ধুত্ব তো থাকবেই ছেলে-মেয়ের মধ্যে - সব সময় ওই জল আর আগুন তত্ত্ব খাড়া করার দরকার কি? ঠিকঠাক ট্রেনিং হলে ছেলেমেয়ের ওপরে ভরসা থাকবে, বিশ্বাস থাকবে।
  • R&T | 125.241.199.100 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:২৪667612
  • ইচ্ছে অনিচ্ছেকে গুরুত্ব দেবার কথা বলেছি, ২নম্বর প​য়েন্টেই, অনেকে সেই ইচ্ছেটাকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান​, কিন্তু সেই ইচ্ছেটা ভ্যালিড ইচ্ছে কিনা সেদিকে চোখ বুজে থাকতে চান :(
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:২৫667613
  • ও আচ্ছা! এখন বুঝলাম। সম্মান শব্দের অর্থই জানেন না। সেই ম্যাডামও জানেন না, এখন বুঝতে পারলাম।
    সম মান থেকে সম্মান শব্দটা এসেছে, ইংরিজিতে বলে রেসপেক্ট।
  • R&T | 125.241.199.100 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:২৯667614
  • @সে,
    আমাকে বললেন?
  • dc | 132.164.68.19 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:৩০667615
  • R&T আবার বলি, আপনার ১নং নিয়মটা খুব জরুরি। আর ২ নং এও ইচ্ছে-অনিচ্ছেকে রেসপেক্ট করা, কারুর বিনা সম্মতিতে তাকে ধরা যাবে না, এটাও সঠিক শিক্ষা। বাকিটা ওভাররিয়াকশন মনে হয়েছে।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:৩৬667616
  • না। আপনাকে বলিনি। dc কে বলেছি। সম্মান করাটা যেন খুব বাজে জিনিস, এইরকম আইডিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি এখানে। মানুষ মানুষ কে সম্মান করলে যেন খুব বাজে কিছু করছে। মহিলাদের সম্মান করবে কেন?
    তাহলে অসম্মান করুণ।
    টিভিতে মিডিয়ায়, দুনিয়া জানবে- They do not respect women. অবশ্য এখন আর জানতে কিছু বাকি নেই।
  • একক | 24.99.24.14 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:৪০667619
  • আমার যেটা বলার বলেছি । আমি সম্পুর্নভাবে সমর্থন করি আপনার এই মত কে যে নার্চাড়িং এর একটা বড় গুরুত্ব আছে এবং সেটা দিয়ে এমন পরিবেশ তৈরী করা যায় যেখানে যৌন হিংসা অনেক কম হবে । এটা সিরিয়াসলি মনে করি ।

    আমার ঝামেলা আছে ওই ওয়াইল্ড ওয়ার্ল্ড থিওরি সর্বর্ত্র প্রয়োগ করা নিয়ে । ভারত সরকারের যৌন হিংসা নিয়ে পুরো বক্তব্য এখন ওই দিকেই চলেছে । এটা একটা ফিয়ার সাইকসিস সিস্টেম যা সব মানুষকে দূরে দুরে ঠেলে দিয়ে পরর্স্পরের সম্বন্ধে ভয় জাগিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে । কাজেই সরকারী আইন এবং সেই আইন অনুযায়ী কিছু সেফটি রুলস মেনে চলা এটা আমি বিরোধিতা করিনা ..........কিন্তু বাচ্চাদের মাথায় ফিয়ার সাইকসিস ঢোকানোর চে কিভাবে বিপরীত জেন্ডারের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে সেটায় জোর দেওয়া দরকার মনে করি । আজকের ভারতীয় মধ্যবিত্ত সমাজে (আপনার মত আমিও এদের পতেন্শিয়ালি ভালনারেবল মনে করি ) ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স এত ঘাঁটা যে ইস্কুলের শিক্ষা -বাড়ির শিক্ষা আদৌ আলাদা করা সম্ভব না ।সেখানে শিক্ষা জিনিসটা মোর এনেবলিং হওয়া উচিত । উল্টোটা নয় ।

    একটা উদাহরণ দি : এক বাঙালি ঔপন্যাসিক লেখিকা একবার লিখেছিলেন : তাঁর বাচ্চাকে(ছেলে) একদিন নিজেই বেদম পিটিয়েছেন কারণ সে ইস্কুলে একটি বাচ্চা মেয়েকে চুমু দিয়েছিল এবং প্রিন্সিপাল সেই নিয়ে তুলকালাম করেন । এদিকে ছোটো বাচ্চাটা মার খেয়েও বলে যাচ্ছে ও তো একটা বনু ! ছোট্ট বনু ! এটা ঘটনা ।প্রসঙ্গত বাচ্চা মেয়েটি কিন্তু কোনো কমপ্লেইন জানায় নি । বাচ্চাকে পিটিয়ে নিজেই প্রচুর কেঁদেছেন মা ।

    এবার এরকম ঘটনা সিরিয়াসলি ঘটে ।বাচ্চারা তাদের মত করে ভাবে । তাদের দুনিয়া অনেক কম জটিল । এখানে বোঝানো দরকার ,শিক্ষা দরকার কিন্তু আপনি নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে ওই ১৬ বছরের নীচে মেয়েদের সঙ্গে মিশবেনা অমুক তমুক বলে ফিয়ার তৈরী করে সেই শিক্ষা টা আসবেনা । বরং আরো বেশি কৌতুহলি ও অপরাধপ্রবণ তৈরী করতে পারে । এইটুকুই ।
  • R&T | 125.241.199.100 | ২৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:৪০667617
  • দেখুন ১৮বছরের নীচের কোনো মেয়ের ইচ্ছে থাকলেও সেটাকে ইচ্ছে হিসেবে নেওয়া যাবে না, এটা মেনে নিতে আপনার অসুবিধে বুঝেছি, কিন্তু কী আর করা যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন