এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ 2015

    icc
    অন্যান্য | ০৯ মার্চ ২০১৫ | ৯৫৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.99.88.167 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০১:৪২668102
  • sm,
    ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশ এবার খুব ভাল খেলেছে। ওদের দুজন বোলার ১৪৩ কিমি গতিতে দুরন্ত বল করেছে। মাহমুদুল্লা লা -জবাব। আজ অমন ভাবে সিকস হতে গিয়ে ক্রিটিক্যাল ক্যাচ! ওর প্রতিভাকে কিছুমাত্র ম্লান করেনি।
    তাই এবার ওদের প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল। সেটা স্বাভাবিক। কিছুদিন পরে ওরা হার-জিতকে স্বাভাবিক ভাবে নেবে। যেমন শ্রীলংকা বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেয়।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০২:৩৮668107
  • বাংলাদেশের সমর্থকদের দেখে কষ্টই হচ্ছে... টিমটা এইবারে ভাল খেলেছে সেটাকেও ছোট করছে...
    হারতে না শিখলে জিততে শেখা শক্ত...

    ৯৬ তে ইডেনের ওই অভিশপ্ত সেমিফাইনালের পর কেঁদে ভাসিয়েছিলুম...... কিন্তু আবার ফাইনালে শ্রীলঙ্কা কে সাপোর্ট করতে বসেছিলুম...

    বাংলাদেশের অবস্থা কোনদিকে যাচ্ছে আর কেন যাচ্ছে এই একটা সামান্য খেলা নিয়ে যা চলল তাতেই বোঝা যায়...
  • S | 109.27.138.238 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৫:০৪668108
  • "পশ্চিমবঙ্গিয় দাদারা, তোমরা কাদের জন্য গলা ফাটাও? নিজেদের তো ‘ইন্ডিয়ান’ ভাবো।।। কিন্তু ইন্ডিয়ানরা তো তোমাদের ‘বাড়ীর পাশের বস্তি’-র মত ভাবে!!! এরপরও তোমরা ইন্ডিয়ার ঊরুসন্ধিতে পরজীবীর মত লটকে থাকো আর ওদের হয়ে গলা ফাটাও, চাটুকারিতা কর !!! আমরা হারলে বা জিতলে আমরা ১৬কোটিই একসাথে হারি বা একসাথে জিতি। কিন্তু ইন্ডিয়া জিতলে? বড়লোকের বাড়ির উৎসবের দিনে কিছু কাঙ্গাল মনের খুশিতে আশেপাশে যেমন ঘোরাঘুরি করে, তোমরা পশ্চিমবঙ্গিয়রাও তেমনি ‘ইন্ডিয়া’-র জয়ে খুশিতে বগল বাজাও, ইন্ডিয়া তোমাদের কোন রকম গুরুত্ব না দেয়া স্বত্বেও। এটাই তোমাদের নিয়তি, সম্ভবত সেই হতাশা থেকেই তোমরা আমাদের পেছনে লাগো। তোমাদের জন্য করুণা আর সহানুভূতি রইল।"

    এই মানসিকতা আগেও দেখেছি। কেন?
  • SC | 34.3.17.255 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৬:৫৭668109
  • আপনারা পারেনও বটে। কোথায় একটা ম্যাচে কি ভুল অত হয়েছে, তাই নিয়ে ফেবুতে কয়েকটা নেই কাজ লোক খুব চেন্চিয়েছে। তাই নিয়ে বাংলাদেশ কেমন দেশ কেন ভাবতে যাব। ফেবু কোনো random স্যাম্পল নয়। ম্যাচ শেষ, দেখেছিস, মিটে গেছে। বাড়ি যা, ঘুমো, কাল সকালে আপিস যাবি। ব্যাস।
  • aka | 34.96.239.132 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৭:৫৩668110
  • কি আরবিট কমেন্ট্সব। ক্রিকেটও বোজে না। অদ্ভূত।এনিওয়ে।
  • 4z | 80.24.55.239 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৭:৫৫668111
  • বিরক্তিকর
  • b | 135.20.82.164 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৯:১৪668112
  • এস সি কে ক। ঘুমোতে যাই।
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৯:২৭668113
  • এটাও বাংলাদেশের লোকজনেরও পোস্ট। গ্রুপে একজন দিয়েছেন।

    'Susupto Pathok:যে দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারে সেই দল আইসিসি সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে জোর করে বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ জিততে চায়? সেমিফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালেও যেতে পারে। এখন পর্যন্ত তারা অপরাজিত দল। প্রথম কথা হচ্ছে আজকের ম্যাচে ভারতীয় ওপেনারদের আটকে রেখে রানরেট চেক দেয়ার অংশটুকু ছাড়া বাংলাদেশ এমন কি খেলেছে যে ভারত বিতর্কিত নো-বল আর শিখরের ক্যাচ- খেলার ফল হেরফের হতো? সিরিয়াসলী জানতে চাচ্ছি, আইসিসি আর ভারতের আঁতাতের কোন তথ্য থাকলে জানান। এটা জানা দরকার। বাংলাদেশ আজকে খেলেছে ট্রিপিক্যাল বাংলাদেশের মত। ব্যাটিং অংশ ছিল আরব আমিরাতের মত ননটেস্ট প্লেয়িংদের মত। ইন্ডিয়াকে আমরা কোনদিন স্বীকার করতে চাই না বলেই তাদের ক্রিকেটকেও স্বীকার করতে চাই না। ভারতের এই দল কি পাকিস্তানের চেয়ে খারাপ দল? দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে কতখানি পিছিয়ে? বাংলাদেশ টিম কি কাপ দাবীদার ছিল? একজন বাংলাদেশী হলেই অন্ধ বাংলাদেশী সমর্থক হতে হবে তার কোন মানে নেই। আবেগ দিয়ে ম্যাচ জিতা যায় না। বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন পর্যন্ত যে গ্রাফে আছে তাতে তাদের হারানোর জন্য কোন দলকে আইসিসির সঙ্গে আগে থেকে ষড়যন্ত্র করতে হয় না। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড আজতক বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। বাংলাদেশের সামনে আরো দীর্ঘ পথ, দর্শকদেরও তৈরি হওয়ার ব্যাপার আছে এখানে। উৎপল শুভ্ররা যে ধরণের রিপোটিং করে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে তার সঙ্গে আমার দেশের মাহমুদুর রহমানের সম্পাদকীয়রই খালি তুলনা হতে পারে।... একটা কথা মনে পড়ছে, পাকিস্তানের মুলতানে বাংলাদেশ একটা টেস্ট ম্যাচ পাকিস্তানের সঙ্গে জিততে জিততেও হেরে গিয়েছিল ইমজামের ব্যাটিংয়ে ভর করে। সেই ম্যাচে প্রচুর ভুল আম্পায়ারিং হয়েছিল, বড় জিনিস ছিল টিম হিসেবে পাকিস্তানের জোচ্চুরি, ক্যাচ না ধরেও ক্যাচের দাবী করে পার পাওযা। সেই ঘটনাকে কেউ আসিসির ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেনি...। যাই হোক, বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যকার ম্যাচ বলে কথা, উত্তেজনা তো থাকবেই। এ-ও এক ভারত-পাকিস্তান মোকাবেলাই...।
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৯:৩১668114
  • *লোকজনের
  • dc | 132.164.186.242 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৯:৩৯668116
  • কালকের খেলা কালকেই শেষ হয়ে গেছে, আজ আর ওটা নিয়ে তর্ক করে কোন লাভ নেই।
  • sg | 135.20.82.164 | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৯:৪২668117
  • "বাঙ্গলাদেশীদের জেনারেল আই কিউ কম জানতাম - এতোট কম জানতাম না"

    নিম্নরুচির মন্তব্য। তীব্র প্রতিবাদ জানালাম
  • sosen | 122.79.36.84 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১০:৪৩668118
  • ধুর ছাড়েন না। খেলা দ্যাখেন।
  • fan | 125.112.74.130 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১১:০৮668119
  • ময়দানে কি লেভেলে খিস্তি চলে , মাঝে মাঝে মারপিট চলে যারা মাঠে যায়নি কোনদিন ভাবতে পারবে না - বাম , অবাম , লিবারাল , অলিবারাল তাবত বাঙালি দর্শক কুল সোচ্চারে অংশ নেয়। বাংলার এব্যাপারে সুনাম আছে , ভারতের আর কোনো ভেনু তে এরকম হয়েছে এতবার জানা নেই । নমুনা দি - সেই ১৬ আগস্ট ১৯৮০ ইডেনে ইস্ট মোহন ফুটবল ম্যাচ এ ১৬ জনের মৃত্যু । ক্রিকেটেও হয়েছে এই বাংলায় - ১৯৬৭ ক্রিকেট টেস্টে মব ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার দের তাড়া করেছিল ।

    http://mobilepaper.timesofindia.com/mobile.aspx?article=yes&pageid=4§id=edid=&edlabel=TOIKM&mydateHid=12-05-2013&pubname=Times+of+India+-+Kolkata&edname=&articleid=Ar00400&publabel=TOI

    ".Any cricket enthusiast who has watched cricket at the Eden Gardens commemorates the tragedy of January 1,1967 with deep shame,when West Indian players had to flee the ground for safety and when the crowd went wild in retaliation against alleged police oppression.It was only at Frank Worrells request that they agreed to complete the Test match.On this occasion,Conrad Hunte had to climb up the flag staff to prevent the West Indian flag from being burnt and Gary Sobers had to run wildly all around the Maidan to save himself from the wrath of the violent mob.
    The stampede of December 16,1969,triggered by a ticket rush,was even more tragic.It left six dead and 22 injured.While the 1967 riots are at least remembered with shame,the martyrs of 1969,who literally died for the game,have been lost to posterity More recent instances of violence on the cricket pitch,which shamed the Eden Gardens date back to the 1996 World Cup semifinal between India and Sri Lanka and the Asian Test championship match between India and Pakistan.
    Football,too,was never left behind.The worst tragedy occurred on August 16,1980,when 16 football fans died during the Mohun Bagan-East Bengal clash at Eden Gardens.Pictures of dead bodies of fans being dragged down were published the following day,shocking the sporting fraternity of the state.The government even mulled the cancellation of the Calcutta Football league.
    Despite this shock,violence never completely left Kolkata football.A fan died in 1988 during a Mohun Bagan-East Bengal clash and all through the 1990s there were frequent clashes on the Kolkata Maidan
    Most recently,violence reared its ugly head in the Mohun Bagan vs East Bengal derby on December 9,2013,resulting in Bagans Rahim Nabi getting hit on the head by a brick thrown from the stands.
    "
    "তোমরা ইন্ডিয়ার ঊরুসন্ধিতে পরজীবীর মত লটকে থাকো আর ওদের হয়ে গলা ফাটাও, চাটুকারিতা কর"
    নিম্নরুচির মন্তব্য। তীব্র প্রতিবাদ জানালাম।
    খেলার সময়কার খিস্তি মাঠে ফেলে আসায় ভালো , নাচতে না জানলে উঠোনের দোষ দিয়ে লাভ নেই ।
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১১:২৮668120
  • ওনার আরেকটা লেখা দিলাম।

    Susupto Pathok
    বাংলাদেশে যারা পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে সমর্থন করেন তাদেরকে ঘৃণাবশত স্টেডিয়াম গেইটের সামনে ধরে মারধোর করে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য ঢাকায় এশিয়া কাপ চলার সময় অনেকেই পোস্ট দিয়েছিলেন সেসময়। এসব উগ্রতাকে সমালোচনা করে সেসময় লিখেছিলাম, কেন পাকিস্তানকে সমর্থন করা আমাদের জন্য গ্লাণিকর কিন্তু উগ্র জাতীয়তাবাদ জেগে উঠতে পারে বা কেউ কেউ জাগাতে চান- এমন সব কিছুর বিরোধীতা সব সময় করে এসেছি, ভবিষ্যতেও করে যাবো। ভারত বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে দুই পাড়ের বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে যে খিস্তি-খেউর চলেছে তা অস্বাস্থ্যকর, অনাকাঙ্খিত। এই জাতীয়তাবোধ ছড়ানো যে কোন অনুসঙ্গকে নিরুৎসাহিত করি, ভীত হই এই আগ্রসনে। বাংলাদেশ হেরে যাওয়াকে খুব সহজভাবে নিয়েছি। দুই দলের শক্তি বিচারে বিশেষত এই বিশ্বকাপের ফর্ম বিবেচনায় বাংলাদেশের হার আমার কাছে ছিল শতকরা ৮০ ভাগ। ম্যাচে দুটো আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত ভুল ছিল, সেই ভুল সিদ্ধান্ত দুটো ম্যাচে ইন্ডিয়াকে সুবিধা দিয়েছে, ভুল আম্পায়ারিং ম্যাচ সম্ভবত আমরা এই প্রথম দেখলাম- আমাদের মনোভাব দেখে তাই মনে হয়েছে! যে ভারতকে মোড়ল বলে, “আইসিসি’র নিজস্ব টিম” বলে কৌতুক করা হচ্ছে তারাই বহুবার বাজে আম্পায়ারিং শিকার হয়ে বড় বড় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে অতীতে। হ্যাঁ, ইন্ডিয়া ক্রিকেটে বিশ্ব মোড়লদের একজন। আর এটা না হলে বাংলাদেশ যে টেস্ট মর্যাদা পেতো না সেটা কি দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী ভাইরা জানেন না? আইসিসি’র সংখ্যাগরিষ্ঠরা বাংলাদেশের সে সময়ের শক্তিমত্তা বিবেচনা করে বাংলাদেশকে টেস্টে নেশন ঘোষণার বিরোধী ছিল। কিন্তু বিশ্ব মোড়ল ইন্ডিয়া জোর খাটিয়ে বাংলাদেশকে এলিট সদস্য করে নেয়। যদিও পরে আমরা বাংলাদেশীরা ইন্ডিয়ার এই উদ্যোগকে ব্যাখ্যা করেছি আইসিসিতে ইন্ডিয়া তার ভোট বাড়াতে বাংলাদেশকে নিজ স্বার্থে টেস্ট মর্যাদার ব্যবস্থা করেছিল। যেমনটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহায়তার জন্য আমরা বলে থাকি পাকিস্তান ভেঙ্গে দুর্বল হয়ে যাবে তাই ইন্ডিয়া আমাদের সমর্থন ও সাহায্য করেছিল। উপকারীর স্বার্থ খোঁজা একটা জাতির জন্য খুব ভাল উদাহরণ হতে পারে না। এটা অকৃতজ্ঞতার পরিচয়। যাই হোক, এবার মূল আলোচনায় আসি…।
    বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ তা সে ক্রিকেটই হোক আর ফুটবলই হোক সে শুধু আর তখন খেলাধুলা নয়, তখন সেটা রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা, দাদাবাবু, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম, অবিশ্বাস, মালাউন, দোচাদুচি, ধর্ষণ…। মাশরাফিকে ভারতের সঙ্গে ম্যাচের আগে বলতে হয়, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও লড়বো! এগুলো তাকে বলতে বাধ্য করেছে পরিস্থিতির কারণে। একটা খেলার পিছনে রাজনীতি, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা থাকলেই এরকম পরিস্থিতি হয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে-পরে যেমনটা হয়ে থাকে। পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ ধর্মীয় পরিচয়টাই সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয়। আমি কখনই চাইনি বাংলাদেশ ভারত ম্যাচে ধর্মটা প্রধান্য পাক। কিন্তু সেটাই হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো বেশি করে হবে।… ভারতের সঙ্গে ম্যাচের সময় বাংলাদেশী দর্শক যখন বলে, “কুত্তার বাচ্চারা কোনদিন আমাদের ভাল চায় না”- আমি জানি এই উৎসটা ১৯০৫ সালে প্রথিত! সাম্প্রদায়িকতাটা বাঙালীর মননে রাজনৈতিকভাবে, দেশপ্রেমকিভাবে, ধর্মীয় ও জাতি বিদ্বেষীভাবে সেই প্রথম প্রথিত হয়। বঙ্গভঙ্গ মধ্যেই দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রথিত ছিল। হিন্দুদের জন্য আমাদের কোন উন্নতি হবে না। ঢাকার ঋণগ্রস্ত নবাবকে ইংরেজ সরকার যখন ১ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়ে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন শুরু করার জন্য প্ররোচিত করে তখনই দানাবাধতে থাকে ভবিষ্যতের “পাকিস্তান”। রবীন্দ্রনাথের মত বুদ্ধিজীবীরা যখন “বাংলা” ভাগ করার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিলেন সেটাকে “হিন্দুরা আমাদের কোনদিন ভাল চায় না” বলেই মুসলিম জাতীয়তাবাদীরা প্রচার করতে থাকে। এই প্রচার যখন বিশ্বাসের রূপ নেয় মুসলিম লীগ তখনই এই অঞ্চলের মানুষের দল হয়ে উঠে। “হিন্দুরা কোনদিন আমাদের ভাল চায় না” এই মন্ত্রই ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তান তৈরি করে। তারপর ইতিহাসে পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ হয়েছে কিন্তু সেই সাম্প্রদায়িকতা যেমন ছিল তেমনই আছে। ভারতের সঙ্গে জেতা আমাদের কাছে তাই অন্য যে কোন দেশ থেকে অন্যরকম কিছু। যেমন আমাদের মত কিছু পাকিস্তান অপছন্দকারী লোকজন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিতলে অন্যরকম ভাল লাগায় আক্রান্ত হই যেমনটা অন্য দেশের বিরুদ্ধে হই না। পাকিস্তান যে দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত সেই আদর্শকে ঘৃণা করি। পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ভেঙ্গে যাক চাই তাতে এই উপহমাদেশে সাম্প্রদায়িকতার চাষবাসে সেচের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে ভারত বা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের কোন তফাত নেই। গোটা অঞ্চলটাইতেই নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদেরকে আমরা “ইন্ডিয়ান”, “পাকিস্তানী” “বাংলাদেশী” “মুসলমান” “মালাউন” পরিচয় দিয়ে উসকে দিচ্ছি জাতীয়তাবাদী দনবকে শক্তিশালী করতে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের আগে ও পরে সেই দানবকেই আমি প্রত্যক্ষ করেছি। ভারত সঙ্গে বাংলাদেশের আগের ম্যাচে যে সাম্প্রদায়িকতা চর্চা হয়েছে সেটাকে আমি কি করে মেনে নিতে পারি একজন অসাম্প্রদায়িকতা প্রচার করা মানুষ হিসেবে? পুরো খেলাধুলা বিষয়টাই নিয়েই বিরক্ত হয়ে পড়েছি। ক্রিকেট খেলাটা যদি এই অঞ্চলের মানুষকে হিন্দু-মুসলমানে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলে, মালাউনের বাচ্চা, রেন্ডিয়া, ভারত মাতাকে দুচি, শালারা আমাদের ভাল চায় না… ইত্যাদি অবিধায় দেশপ্রেম জেগে উঠতে দেখি সেটা আমার মত মানুষদের জন্য সুখকর হয়ে উঠে না। দু:খিত আমার দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী ভাইরা, আমি আপনাদের প্রতিবাদে যোগ দিতে পারলাম না। কালকের ম্যাচটাকে আমি স্রেফ একটা ম্যাচ হিসেবে দেখছি। এর বেশি কিছু নই। আজ বা কাল টিএসসি বা প্রেসক্লাবে যদি দেশপেমিকরা মানববন্ধন কি জনসমাবেশের আয়োজন করে থাকে আর সেখান থেকে কোন ধরণের কর্মসূচী ঘোষিত হয়- আমার কাছে সেটা খেলাকে অন্যদিকে ধাবিত করা বলে মনে হবে। আমি এর ঘোর বিরোধী। যারা এই খেলাকে কেন্দ্র করে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি চান তারা নিরাশ হবেন না জানি। কারণ যুদ্ধ লাগার মত সব অনুসঙ্গই মজুদ আছে আমাদের। আর সেই পরিস্থিতে আনিসুল হকের মত সাহিত্যিকদের তাত্ত্বিক গুরু হিসেবেও পেয়ে যাবেন আপনারা। কিন্তু এর ফল কোনদিন ভাল হবে না…।
  • dc | 132.164.186.242 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১১:৪৭668121
  • fan হাতাহাতি জানিনা, তবে গালাগালির ব্যাপারে বোধায় দেশের সব স্টেডিয়ামই সমান। আর আমার আন্দাজ অল্পবিস্তর হাতাহাতিও সব স্টেডিয়ামের বাইরেই অনেক সময়ে হয়ে থাকে, বিশেষ করে যদি দুটো টিমই লোকাল হয় - যেমন আমাদের ইবে-মোবা ম্যাচ। আমি দিল্লীর ফিরোজশাকোটলায় একবার খেলা দেখেছি, সেকি গালির বহর! আর চেন্নাইতে একটা আইপিএল ম্যাচ দেখতে বন্ধুরা জোর করে ধরে নিয়ে গেছিল, ওটায় খুব মজা হয়েছিল। সেটায় সৌরভ কেকেআর এর ক্যাপ্টেন ছিল আর ধোনি ছিল সিএসকের ক্যাপ্টেন। দুঃখের কথা, সিএসকে আমাদের হারিয়ে দিয়েছিল। তো বন্ধুগুলো আমাকে তামিলে এমন খিস্তি করতে শুরু করলো, কি বলবো! আমার তামিল খিস্তির অর্দ্ধেক স্টক ওই এক রাতে যোগাড় হয়ে গেছিল। আর আমিও ব্যাটাদের বাংলায় চালিয়ে গেলাম। তারপর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বসে বসে ওরা আমাকে সেই খিস্তিগুলো আর তার মানে শিখিয়েছিল, আর আমি ওদেরকে বাংলা গুলোর মানে শিখিয়েছিলাম। তো আমার মনে হয় পৃথিবীর যেকোন স্টেডিয়ামে নানারকম গালাগাল আর ইনোভেটিভ গালাগালের কোন সীমা থাকেনা। প্লেয়ার আর রেফারি/আম্পায়ারদের দেশ, জাতি, ধর্ম, ফ্যামিলি, আর কতো কি নিয়ে জটিল জটিল সব গালাগাল নাগাড়ে দেওয়া হয়। মাঠে খেলা দেখতে যাওয়ার ওটা একটা বিরাট মজা।
  • বাবুরাম সাপুড়ে | 127.194.233.99 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৩:০৭668122
  • এই লেখাগুলোর জন্য Susupto পাঠক প্রচুর গালাগালিও খেয়েছেন
  • sch | 192.71.182.106 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৪:০৪668123
  • আই কিউ নিয়ে বলায় যাদের গায়ে লেগেছে - তারা একটু ফ্যাক্টস চেক করে নেবেন

    "
    In our most recent compilation of IQs for all nations of the world (Lynn and Vanhanen, 2006) we presented measured IQs for 113 nations and estimated IQs for a further 79 nations. The estimated IQs were derived on the assumption that a nation's IQs would be similar to that of geographically and racially similar nations for which we had measured IQs. At the time of this compilation we had no measured IQ for Bangladesh, so we assumed it would be the same as that of the Indian average for which we had a measured IQ of 82. We have now located a study in Bangladesh from which a measured IQ for can be calculated at 81."

    র‍্যাঙ্কিং হিসেবে এটা কোথায় দেখে নিন

    "These estimates have been based on a British IQ of 100 and standard deviation of 15, and have shown considerable differences ranging from approximately 105 in the nations of North East Asia (China, Hong Kong, Japan, South Korea, Singapore and Taiwan), approximately 99 in the nations of Europe and in the nations populated largely by European peoples in North America, Australia and New Zealand, approximately 84 in the nations of South Asia and North Africa"

    (https://www.questia.com/library/journal/1P3-1380754981/a-study-of-the-iq-in-bangladesh)
  • b | 135.20.82.164 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৫:১৬668124
  • বেশি চুলকাইয়া ঘা করিবেন না।

    (রাম নারায়ণ রাম)
  • DKG | 135.16.17.145 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৬:১৯668125
  • @sch - একটু মজা করার লোভ সামলাতে পারলাম না, মাপ করবেন

    British IQ @Mean 100, SD 15' পৃথিবীর মনুষ্যজাতির baseline মাপ - এবং আমরা সেই হিসেবে Mean-1SD -র থেকেও বেশি বোকা - কিন্তু
    "Indian origin scientist Dr. Ramakrishanan to head Royal Society in Britain" - বেচারা সায়েবগুলোর এত বুদ্ধি থাকতেও বোকাদের মধ্যে থেকেই 'President of Royal Society' খুজতে হলো -

    এবার একটু সিরিয়াস প্রশ্ন - একটা দেশের IQ মাপে কি করে - কি ধরনের sample size, কি ধরনের context equating assessment techniques ব্যবহৃত হয় ?
  • sch | 192.71.182.106 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৬:২৭668127
  • আমি কোনো ব্যক্তি বিশেষ্কে নিয়ে কিছু বলি নি মনে হয় - এটা একটা জাতির national average. আর আমি ব্রিটিশ মাপের সাপেক্ষেও কিছু বলি নি, বলেছি দক্ষিণ এশিয়দের স্বাভাবিক গড়ের থেকেও প্রায় ৩ কম। এটাকে যদি কম বলি তো কি "নিম্নরুচির" পরিচয় পাওয়া গেল বুঝলাম না।
    এই মাপামাপি কি ভাবে করা হয়, কি পদ্ধতিতে মাপা হয়, সব ওই রেফারেন্সে লেখা আছে - একটু কষ্ট করে পড়ে নিন - আমার ব্যাখ্যা করা অবান্তর।
    আবারও বলছি সবটাই কথা হচ্ছে আভারেজ নিয়ে - একাধিক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম থাকতে পারে - তাতে কিছু আসে যায় না।
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৬:৩২668128
  • এটা সেই রিচার্ড লিনের স্টাডি না? যার বই নিয়ে সেই অত হইচই হয়েছিল !

    Some criticisms have focused on the limited number of studies upon which the book is based. The IQ figure is based on one study in 34 nations, and two studies in 30 nations. There were actual tests for IQ in 81 nations. For 104 nations there were no IQ studies at all and IQ was estimated based on IQ in surrounding nations. The limited number of participants in some studies has also been criticized. A test of 108 9- to 15-year-olds in Barbados, of 50 13- to 16-year-olds in Colombia, of 104 5- to 17-year-olds in Ecuador, of 129 6- to 12-year-olds in Egypt, and of 48 10- to 14-year-olds in Equatorial Guinea, all were taken as measures of national IQ.

    Denny Borsboom argues that mainstream contemporary test analysis does not reflect substantial recent developments in the field and "bears an uncanny resemblance to the psychometric state of the art as it existed in the 1950s." For example, it argued that IQ and the Wealth of Nations, in order to show that the tests are unbiased, uses outdated methodology, if anything indicative that test bias exists.Girma Berhanu in an essay review of the book concentrated on the discussion of Ethiopian Jews. The review criticizes the principal assertion of the authors that differences in intelligence attributed to genetics account for the gap between rich and poor countries. Berhanu criticized the book as being based in a "racist, sexist, and antihuman" research tradition and alleged that "the low standards of scholarship evident in the book render it largely irrelevant for modern science"
  • dc | 132.164.134.155 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৬:৩৮668129
  • ওরে বাবা আপনারা খেলার মধ্যেও আইকিউ টাইকিউ নিয়ে এসেছেন নাকি? আমার মতো লোকেদের এবার খেলা দেখাই ছেড়ে দিতে হবে ঃ-(
  • DKG | 135.16.17.145 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৬:৫৬668130
  • না না ব্যক্তি বিশেষ নয় একেবারেই - আপনি ঠিকঠাক relevant data চেক করে তবে একটা দেশের লোকের সম্বন্ধে quantitative assessment করেছেন - পারফেক্ট

    আমার খটকা অন্যত্র - এই যে, আমার ছাত্র থাকার সময় থেকে শুনে বা দেখে আসছি গন্ডায় গন্ডায় লোক US / UK পড়তে পড়াতে যায়, ডাক্তার হয়, CEO হয়, USA তে নাকি ইন্ডিয়ানরা as a কমিউনিটি highest-average-wealth ধরে - MIT তে নাকি ইন্ডিয়ান খিকখিক করে, নিউ জার্সি বা সিলিকোন ভ্যালিতে নাকি ঢিল ছুড়লে ইন্ডিয়ান - এসব কি শুধু-ই ইন্ডিয়ান Outliers দের গল্প ? - গড়পরতা ইন্ডিয়ান গড়পরতা সাদাচামড়ার এর থেকে এতটা-ই প্রামান্য ভাবে বোকা, আর তাও আমরা আমেরিকা ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছি ? হবে হয়তো

    "অবাক কান্ড বটেক"
  • DKG | 135.16.17.145 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৬:৫৯668131
  • Freudian slip - থিক থিক হবে -- খিক খিক নয় - মাপ করবেন
  • sch | 192.71.182.106 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৭:০৪668132
  • আমি যে লেখাটা থেকে রেফার করেছি সেটা একটা জার্নাল আর্টিকল
    A Study of the IQ in Bangladesh -
    ACADEMIC JOURNAL ARTICLE
    By Lynn, Richard
    Mankind Quarterly , Vol. 48, No. 1 , Fall 2007

    এখানে কিন্তু বাংলাদেশের ওপরেই স্টাডিটা করা হয়েছে বলে লিখেছে - যে বইটার কথা বলে হয়েছে সেটা মনে হয়ে এর আগে পাবলিশড

    "In our most recent compilation of IQs for all nations of the world (Lynn and Vanhanen, 2006) we presented measured IQs for 113 nations and estimated IQs for a further 79 nations. The estimated IQs were derived on the assumption that a nation's IQs would be similar to that of geographically and racially similar nations for which we had measured IQs. At the time of this compilation we had no measured IQ for Bangladesh, so we assumed it would be the same as that of the Indian average for which we had a measured IQ of 82. We have now located a study in Bangladesh from which a measured IQ for can be calculated at 81"

    আমার বক্তব্য ছিল খুব সিম্পল - আমি একটা পেপারের ভিত্তিতে আমার মন্তব্য করেছি - সেটা একটা জার্নাল পেপারের ভিত্তিতে বলেছি এবং জার্নালটা peer reviewed - উইকিপেডিয়া না। কাজেই "নিম্নরুচি" ইত্যাদি মন্তব্য করার আগে একটু ফ্যাক্টস চেক করলে ভালো হয়
  • dc | 132.164.134.155 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৭:০৯668133
  • "এসব কি শুধু-ই ইন্ডিয়ান উত্লিএর্স দের গল্প ?"

    এটা তো বটেই! হায়ার আইকিউ ওয়ালা আইআইটি জনতা বিদেশে চলে গেছে আর আমরা লো আইকিউওয়ালারা দেশে পড়ে আছি। যার জন্য দেশের আইকিউ আরো কম হচ্ছে।
  • sch | 192.71.182.106 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৭:৩৩668134
  • একটা দেশের জন্য যখন স্টাডিটা হয় তখন তো সেটা সেই দেশে ফিজিক্যালি যারা আছেন তাদের ভিত্তিতেই করা হয়। বাইরে গিয়ে যারা বিখ্যাত হচ্ছেন তাদের কি করে ধরবে
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ মার্চ ২০১৫ ১৮:০৬668135
  • বইটা ২০০৬ এর ।
    যাহোক, Mankind Quarterly তে প্রকাশিত স্টাডি।। খুঁজতে গিয়ে এইটা পেলাম।
    Many of those who constitute the publication's contributors, Board of Directors, and publishers are connected to the academic hereditarian tradition. The journal has been criticized by some as being political and strongly right-leaning,racist or fascist. The publisher counters that much of Anthropology is 'politicised' in the opposite way and that those who count amongst the most vocal critics of the journal often identify with the Radical tradition in Anthropology.[11] The editorial practice has been criticised as biased and misleading.
  • DKG | 76.249.81.227 | ২০ মার্চ ২০১৫ ২১:৫৬668136
  • A test of 108 9- to 15-year-olds in Barbados, of 50 13- to 16-year-olds in Colombia, of 104 5- to 17-year-olds in Ecuador, of 129 6- to 12-year-olds in Egypt, and of 48 10- to 14-year-olds in Equatorial Guinea, all were taken as measures of national IQ.

    এই যদি sampling এর স্যাম্পল হয় - এরা কিন্তু ভবিষ্যতের IITian - তখনও physically এ দেশেই থাকে - America গিয়ে এদের ধরতে লাগে না

    তাই এই study টা আর তার inferences আমার কাছে দুর্বোধ্যই রয়ে গেল - কিন্তু Sch , স্টাডি আপনার নয়, আপনি Quote করছেন মাত্র, তাই আপনার প্রতি কোনো প্রশ্ন নেই :D
  • শুভজয় মিত্র | 229.64.64.20 | ২০ মার্চ ২০১৫ ২১:৫৭668138
  • কিছু লোকেদের আই কিউ নিয়ে বক্তব্য পড়ে অবাক লাগছে। এখানে একটা বই ও আর্টিকেলের লিংক দিচ্ছি। আশা রাখব আই কিউ যে বুদ্ধির মাপকাঠি হিসেবে সুধু অনর্থক নয়, তবে এই মাপকাঠির উৎস ইংরেজ ও মার্কিনি বর্ণবাদী চিন্তাধারা থেকে সেটা এই বই অথবা আর্টিকেলটা পড়লে সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    প্রথমেই একটা quotation দিয়ে শুরু করছি:
    There are three kinds of lies, – lies, damned lies and statistics.
    — Benjamin Disraeli

    The Mismeasure of Man — Evolutionary paleontologist Stephen J. গুল্ড
    (http://www.goodreads.com/book/show/54218.The_Mismeasure_of_Man )

    Wiki review excerpt (না, এটা "peer reviewed" আর্টিকেল না, বুক রিভিউ, প্রফেসর গোল্ডের বইটা পড়ুন)

    "Gould pointed out that if the genetic heritability of IQ were demonstrable within a given racial or ethnic group, it would not explain the causes of IQ differences among the people of a group, or if said IQ differences can be attributed to the environment. For example, the height of a person is genetically determined, but there exist height differences within a given social group that can be attributed to environmental factors (e.g. the quality of nutrition) and to genetic inheritance. The evolutionary biologist Richard Lewontin, a colleague of Gould’s, is a proponent of this argument in relation to IQ tests. An example of the intellectual confusion about what heritability is and is not, is the statement: "If all environments were to become equal for everyone, heritability would rise to 100 percent because all remaining differences in IQ would necessarily be genetic in origin", which Gould said is misleading, at best, and false, at worst. First, it is very difficult to conceive of a world wherein every man, woman, and child grew up in the same environment, because their spatial and temporal dispersion upon the planet Earth makes it impossible. Second, were people to grow up in the same environment, not every difference would be genetic in origin because of the randomness of molecular and genetic development. Therefore, heritability is not a measure of phenotypic (physiognomy and physique) differences among racial and ethnic groups, but of differences between genotype and phenotype in a given population.

    Furthermore, he dismissed the proposition that an IQ score measures the general intelligence (g factor) of a person, because cognitive ability tests (IQ tests) present different types of questions, and the responses tend to form clusters of intellectual acumen. That is, different questions, and the answers to them, yield different scores — which indicate that an IQ test is a combination method of different examinations of different things. As such, Gould proposed that IQ-test proponents assume the existence of "general intelligence" as a discrete quality within the human mind, and thus they analyze the IQ-test data to produce an IQ number that establishes the definitive general intelligence of each man and of each woman. Hence, Gould dismissed the IQ number as an erroneous artifact of the statistical mathematics applied to the raw IQ-test data, especially because psychometric data can be variously analyzed to produce multiple IQ scores."

    (Source: http://en.wikipedia.org/wiki/The_Mismeasure_of_Man)

    Short article Race and intelligence: A sorry tale of shoddy science — Tim Radford (excerpt)

    "What Gould's book reminds us over and over again is that even very clever, generous and thoughtful people who are raised with a set of ingrained assumptions are likely to find evidence to support those assumptions.

    Benjamin Franklin wanted a white America: he asked "Why increase the Sons of Africa, by planting them in America, when we have so fair an opportunity, by excluding all blacks and tawneys, of increasing the lovely white and red?" Thomas Jefferson thought that "the blacks … are inferior to the whites in endowment both of body and mind." Abraham Lincoln contemplated the physical differences between black and white and came out "in favour of having the superior position assigned to the white race".

    The great 19th century scientists Cuvier, Humboldt, Lyell and Darwin all said things that betrayed an unquestioning belief in innate Caucasian superiority. Their successors set out to confirm this belief. Louis Agassiz, a great 19th century scientist now in the US Hall of Fame, thought social equality between black and white a "practical impossibility" and intermarriage "a perversion of every natural sentiment."

    (Source: http://www.theguardian.com/science/2009/nov/12/race-intelligence-iq-science)

    যতোই peer reviewed গবেষণা হোক, তার ভিত্তি যদি আই কিউ হয়, আমার সেই গবেষকের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা থাকবে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন