এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১৩672381
  • আরে বাপু,
    মাঝে হুজুগ উঠলো বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।ব্যস।আর যায় কোথা! হুজুগে বাঙালি নেচে উঠলো!
    ঠোঁটকাটা কিছু লোক বলতে চাইছিলো বাঙালির নিজের বিজনেস কোথা যে অ্যাডমিন করবে? সেতো কানোরিয়া বাজোরিয়া সিংহানিয়া বাজাজদের হাতে! কিন্তু কানকাটাদের রাজ্যে/ঠোঁটাকাটারা যতই চেঁচাক,কেউ আনেনা গ্রাহ্যে।
    কাল বদলালো।হুজুগ উঠলো আই টি আইটি আইটি আইটি।ব্যস।আর যায় কোথা? হুজুগে বাঙালি সেই চিলের পিছনেই দৌড় দিলো কান নিয়ে গেছে শুনে।কানে হাতটা অবধি কেউ দেয় নি যে সত্যি কানটা গেছে কিনা! এখন কলকাঠিটি আবার ঘুরুক...
    এমন মিজারেবল জাত আর দেখা যায়?
  • Paramita | 64.105.168.210 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১৫672382
  • স্কিম ভালো কি খারাপ, ব্যাপারটা কাজ করবে কি করবে না, তার অনেকটাই নির্ভর কারে একজিকিউশানের ওপর। কিভাবে পুরো ব্যাপারটা ইমপ্লিমেন্ট করা হবে, গ্রেড উঠে যাবার পর স্ক্রিনিং-এর পদ্ধতি কি, সিস্টেমের অ্যাবিউজ করা আটকানোর জন্য কি চিন্তাভাবনা হয়েছে, এগুলো সম্বন্ধে কোথাও আলোকপাত করা হয়েছে কি? নম্বর, যতই নাটকীয় ও একদিনের রাজার জয়গানকারী হোক, একধরনের অবজেকটিভ বেঞ্চমার্ক ছিলো। এখন তারমধ্যে SOP, রেকো ইত্যাদি প্যারামিটার আনলে নড়বড়ে অনার সিস্টেমে সাবজেকটিভ(রিড জালির সম্ভাবনার উদয়) হয়ে যেতে পারে কিনা। বিশ্বাস নাই।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১৬672383
  • এই আলোচনায় বদা,রদা,বোজোদা আর ভিকিদা ক্যানো আসছে না? তাইলে আরেকটু সমৃদ্ধ হতো।
    ঈশেন তো মডারেটার হতে পারেন!
  • S | 141.218.68.105 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:২৬672384
  • নাম নিয়ে গুঁতোগুঁতির প্রয়োজন নেই। S মানে শুচিস্মিতা। এবার থেকে S লিখবো যদিনা কেউ আগেই এটার পেটেন্ট নিয়ে থাকে।

    সব স্কুলে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হওয়া একদম সমর্থন করি না। কেন? প্রিটেস্টে ফেল করালে মফস্বলের স্কুলের সামনে অবরোধ বসে যায়। পাড়ার দাদারা ও রাজনৈতিক নেতাদের মদতে। সেখানে ফাইনাল পরীক্ষার ভার স্কুলের হাতে দিলে কি হবে সহজেই অনুমেয়। টিচারদেরও তো ছেলেপিলে নিয়ে ঘর করতে হয়। আর একটা ইউনিভার্সাল পরীক্ষার একটা বড়ো উপকারিতা হল ছাত্ররা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরী থাকে। স্কুলের পরীক্ষায় আমরা আন্দাজ করে নিই স্যার এইটা ক্লাসে ইম্পর্ট্যান্ট বলেছেন। অতএব এটা আসবে। ইউনিভার্সাল পরীক্ষাতেও আমরা টেস্টপেপারই মুখস্থ করি। কিন্তু সেই প্রসেসে অনেক বেশি মুখস্থ করি। যেটা ২ বছর ধরে বারবার করার পরে আমাদের মনে থেকে যায়।

    এদেশেও তো দেখি ছেলেমেয়েরা মুখস্থই করছে। তফাত হল এই যে মুখস্থ করছে চারমাসের জন্য। চারমাসে গাণ্ডেপিণ্ডে গিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেমের শেষে সেটা উগরে দাও। তারপর হাত ঝেড়ে ফেলো। আমাদের দেশে অন্তত মুখস্থ করার প্রসেসটা একবছর স্থায়ী হচ্ছে। (মাধ্যমিকে দুবছর)। মুখস্থ করতে করতে কিছুতো মনে থাকবে দুবছরের পর।

    পরে লিখবো আরো।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:২৭672385
  • আরে কান্ড দ্যাখো!
    খালি বলে মুখস্থ আর মুখস্থ! এই করে তো দুইশ বছরেও কিছু পাল্টাবে বলে মনে হয় না!
    "আমি যে রিশ্‌কাওলা/দিন কি এমন যাবে/বলি গো ও মাধবী/তুমি কি আমার হবে?..."
    এইভাবে তো মাধবী পাওয়া যাবে না!
    বলি এদেশে তো ওপেন বুক টেস্ট হয়,টেক হোম টেস্ট হয়,সায়েন্স প্রোজেক্ট হয়, গ্রুপ ওয়ার্ক হয়, মাল্টিপলইন্টেলিজেন্স টেস্ট হয়...
    সবকিছু গুরুত্ব পায় ফাইনাল গ্রেডে, একটামাত্র গেলা খাবার উগরানো পরীক্ষায় সবকিছু নির্ভর করে না।
  • S | 141.218.68.105 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:৩৫672386
  • অরিজিত, ঐ যে লিখেছেন "উন্নত দেশে বছর বছর পরীক্ষা হয়না বলেই জানি" - তার পরিপ্রেক্ষিতে বলি। আমাদের দেশেও কয়েকবছর আগে পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরে পাশফেল ছিলনা। বছর বছর ভালো করে পরীক্ষা হয়নি। এর ফল ভালো হয়েছে কি?

    আমাদের যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা জনসংখ্যায়। আমরা ২০টা বাচ্চাপ্রতি একটা করে টিচার দিতে পারি না। পারিনা প্রতিটা বাচ্চার জন্য আলাদা আলাদা ইভ্যালুয়েশন শিট মেইনটেন করতে। আমাদের দেশে এই মুহুর্তে এজমালি হারে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া গতি নেই।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:৪৩672387
  • S - ফল ভালো কি মন্দ সেটা তর্কের বিষয়, কিন্তু আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা হল ওই পদ্ধতিটা অন্য অনেক দেশে পরীক্ষিত সফল পদ্ধতি - অর্থাৎ পদ্ধতিটা ভুল সেটা এক কথায় বলা যাচ্ছে না (যাহা কিনা অধিকাংশ ব্যক্তি বলিয়া থাকেন - গ্রেড, ইংরিজী, পরীক্ষা - সবেতেই তাই)।

    আর জনসংখ্যা - সবেতেই ওই একটা উত্তরে এসে যাই আমরা। ওই উত্তর বজায় থাকলে আজ কেন, আগামী পঞ্চাশ বছরেও কিছু হবে না, যদি না যুদ্ধু করে জনসংখ্যা কমে। কাজেই ওটা গ্রান্টেড ধরে নিয়ে পদ্ধতিগুলো দরকারে মডিফাই করে ইমপ্লিমেন্ট করা প্র্যাক্টিক্যাল বলে মনে করি।
  • dam | 61.246.46.129 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:৪৬672388
  • ইশ্‌ এটা একটা অন্য থ্রেড খুলে আলোচনা চালালে হত না!

    পশ্চিমবঙ্গেও আজকাল প্রচুর কলেজ, যেখানে বেশ মোটা মোটা ক্যাপিটেশান ফী দিয়ে ভর্তি হতে হয়। তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরাই লোন নেয়। ছাত্ররা লোন নেয় কিনা ঠিক জানি না। চেনাশোনা ঘটনাগুলোতে শুনি নি। অন্য অনেক রাজ্যেই ছাত্ররা নিজেরা লোন নেয়। কোন কোর্সের ফী যদি হয় বছরে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা (৪ বছর পর্যন্ত) তাহলে ব্যাঙ্ক এর ৭০-৮০% লোন দেয়। বাকীটা ছাত্রকে যোগাড় করতে হয়। এবারে সহজে লোন সেইসব কলেজের ছেলেমেয়েদেরই ব্যাঙ্ক দেয়, যেখানে প্লেসমেন্টের হাল বেশ ভাল। মানে ছাত্রর চাকরী পাবার সম্ভাবনা কতটা সেটা দেখেই দেয় (ন্যাচারেলি)।
  • S | 141.218.68.105 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:৫২672389
  • tan, মুখস্থটা আমার কথা ছিলনা ভাই। আপনারাই সবাই বললেন মাধ্যমিকে আমরা নাকি মুখস্থ করি। আচ্ছা বেশ তাই করি। মুখস্থ করেই মনে রাখি আফ্রিকার ভুগোল, রোমের ইতিহাস, পিথাগোরাসের উপপাদ্য।

    কিন্তু তথাকথিত উন্নত দেশ কি করছে? এই এত টেকহোম টেস্ট, ওপেনবুক টেস্ট, প্রজেক্ট ওয়ার্কের পর কলেজে এসে ফার্স্ট ইয়ারে ১/৪ এর সাথে ১/৫ যোগ করতে পারছে না। (এটা একটা বিচ্ছিন্ন উদাহরন নয়)। যেটা আমরা ক্লাস ফোরে শিখি।

    সেকথাও থাক। এদেশের সাথে আমাদের দেশের তুলনা তো এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিলনা। আমরা কথা শুরু করেছিলাম গ্রেড দেওয়া ভালো না খারাপ এই নিয়ে। এই মুহুর্তে বিশাল কিছু অ্যাডভান্টেজ তো দেখছি না। আর প্রতিযোগিতা নষ্ট হয়ে যাক এটাও চাই না। হ্যাঁ, আমি খুব মিডিয়োকার। কিন্তু আমি এটা জানি আমায় খেটে খেতে হবে। কেউ দয়া করবে না। তাই খাতায় কলমে অন্তত আমায় প্রমান করতেই হবে আমার শ্রেষ্ঠতা। নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:৫৩672391
  • জনসংখ্যার অজুহাতের যুক্তিটা যখন শুনি,তখন শীর্ষেন্দু মুখুজ্জের একটা গপ্পো মনে পড়ে যায়,এক পাগলা রাজা বলছে,মুন্ডুগুলো উড়িয়ে দিলে কেমন হয়?
    :-)))
    জনসংখ্যার অর্ধেক বিজাতীয় জীবানু ছড়িয়ে সাফ করে দাও,তারপরে যারা সার্ভাইভ কল্লো তাদের নিয়ে রিফর্ম করো।
    মাথাব্যথা তো মাথাটাই দাও উড়িয়ে!
    :-)))))
  • S | 141.218.68.105 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:৫৮672392
  • বেশ তো অরিজিত। সেই আলোচনাই চলুক না। সুস্থ আলোচনা থেকেও তো সমাধানসুত্র বেরিয়ে আসতে পারে।

    আমার প্রশ্নের উত্তর কিন্তু পেলাম না। পরীক্ষা না হওয়া, পাশফেল তুলে দেওয়া - এগুলোর পরীক্ষা তো হলো অনেকদিন। কি মনে হয়? উপকার হলো কিছু?
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:০০672393
  • S,একদম ঠিক।দুনিয়ায় কেউ কাউকে দয়া করে না,সবাইকেই শেষ অবধি লড়াই করেই টিঁকতে হয়।বা ময়দান থেকে অপসারিত হতে হয়।এ ইউনিভার্সাল ট্রুথ।
    কথাটা হলো একটা কিছু দিয়ে তো শুরু করতে হবে পরিবর্তন(না বিপ্লব টিপ্লব না,পরিবর্তনমাত্র),খোলনলচে তো একেবারে এক দুমাসেই বদলে দেওয়া যাবে না।
    আর আমাদের দেশেও যে ঠিক ঠিক দামী শিক্ষা পায়,সেই এগুলো পারে।যে পায় না সে ক্লাস ফোরেও ঠিকঠাক বই পড়তে পর্যন্ত শেখে না,ভগ্নাংশ তো দূরের কথা(এটা সার্ভে করে দেখেছেন যেন কার কমিশন)
  • S | 141.218.68.105 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:০৯672394
  • ঠিক কথা tan. আমি তো দেখেছি বাবার স্কুলের অ্যাডমিশন টেস্টের খাতা। ক্লাস ফোরের ছেলে একটা বাংলা বাক্য শুদ্ধ লিখতে পারেনা। তাই তো চাই পরীক্ষা নেওয়া হোক প্রথমিক স্তরেও। যাতে টিচারের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় কার কোথায় দুর্বলতা। জনসংখ্যার অজুহাত আমি দিয়েই যাবো। কারন গ্রামের স্কুল আমি দেখেছি। প্রত্যেকের প্রতি ভালো করে নজর দেওয়ার মত লোক নেই আমাদের।
    আমি চাই লেখাপড়াটাকে নেওয়া হোক সিরিয়াসলি। আমি চাই শিক্ষিত মানুষ আরো বেশি করে আসুক প্রাথমিক শিক্ষায়। আজকাল তো শুনছি মাধ্যমিক পাশ করলেই প্রাইমারী টিচিং এর জন্য কোয়ালিফাই করা যাবে। এতে কি আরো সর্বনাশ হবে না?
  • a x | 192.35.79.70 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:১০672395
  • S, বিশ্বাস করুন, ভূগোলে যে পড়েছিলাম কোথায়ে দো-আঁশলা জমি, কোথায়ে পলিমাটি, সেই যে ম্যাপ আঁকতাম, তার কিচ্ছুটি মনে নেই। এমনকি এম এস সি তে যে পড়লাম Dipnoi'এর অভিযোজনের গল্প , পয়েন্ট বাই পয়েন্ট, কে কত পয়েন্ট ঢোকাতে পারে, একটাকে ভেঙ্গে পাঁচটা, কেননা খাতা যত মোটা হবে, সেই অনুপাতে নম্বর পাবো, তার একটাও মনে নেই। অথচ, সেই যে বছর সাতেক আগে কি ভাবে ডি এন এ, ইউভি দিয়ে ভেঙ্গে গেলে কোষ নিজে নানারকম ভাবে মেরামত করে পড়তে গিয়ে একটা ১০ মিনিটের ছোটো, পাঁচজনের ক্লাসে সেমিনার দিলাম, তা সম্পূর্ণ মনে আছে। আমাদের দেশে ছোটো থেকে বড় ক্লাস গুলো তে বিজ্ঞান পড়ায়ে নোট দিয়ে, ক্লাসের শুরুতে একটা ১০ মিনিটের এক্সপেরিমেন্ট করালে, দশ বছর পরেও তা মনে থাকবে। সাউথ পয়েন্টে দীপাঞ্জন রায়চৌধুরি এটা শুরু করতে চেয়েছিলেন, করেছেনও কিন্তু করার আগে প্রচুর পরিমানে যুদ্ধ করতে হয়েছে। কিছুনা, প্রত্যেকটা ক্লাসের জন্য একটা করে বাক্স থাকবে, একটা ছোটো এক্সপেরিমেন্টের জন্য, ক্লাস শুরু আগের ১০ মিনিটে তা দেখানো হবে। এই নিয়ে প্রচুর ঝামেলা, সময়ে সিলেবাস শেষ হবেনা ইত্যাদি। এই একটা স্কুলে, যেখানে ইন জেনেরাল স্বচ্ছল বাড়ির ছেলে পুলে পড়তে যায়, একজন তাও করতে পেরেছে, এই যদি সরকারী স্কুলে করার চেষ্টা হয়, চাকরীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। অথচ সবাই জানে চোখে দেখা জিনিশের রিটেনশন অনেক বেশি।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:১৭672396
  • কিন্তু ক্যানো আরো সর্বনাশ হবে S? অনেক বেশী শিক্ষকশিক্ষিকা থাকবে তো!
    অনুপাত ভালোর দিকে যাবে না? ঐ যে বলছিলেন ছাত্র:শিক্ষক অনুপাত?
  • S | 141.218.68.105 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:২৫672397
  • ax, সম্পুর্ণ সমর্থন করলাম আপনার পয়েন্ট। তবে কোনো সরকারী স্কুলে হয়না এটাও বোধহয় ঠিক না। টিচারের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের গ্রামের স্কুলের কিছু কিছু টিচারের ক্লাস কিন্তু আমার এখনো মনে আছে। ঐ রকম এক্সপেরিমেন্ট করে দেখানো। গল্পের মত পড়ানো। অথবা আরো পরে অনার্স পড়ার সময় স্যার বলতেন যাও আজ তুমি ডায়সে উঠে পড়াও। আমি বেঞ্চে বসবো। এগুলো খুব মনে আছে। এদেশের এই সেমিনার দেওয়ার ব্যাপারটা আমারো খুব ভালো লাগে। এটা আমরা নিতেই পারি।

    কিন্তু আমি চাইনা পরীক্ষার গুরুত্ব কমে যাক। আমার এখানে সেমেস্টারে চারটে পরীক্ষা হয়। প্রতি পরীক্ষার পর আমি কম করে ৭-৮টা মেল পাই ছাত্রদের থেকে যে কেন তারা পরীক্ষা দিতে পারে নি। কেউ 7.30 am এর জায়গায় 7.30 pm এ অ্যালার্ম সেট করেছে। কেউ অ্যালার্মে জাগে নি। কেউ পাতি ভুলে গেছে। এটাকে আমি সিরিয়াসনেসের অভাব বলেই মনে করি। এটা আমাদের দেশেও হোক এ আমি চাই না।
  • S | 141.218.68.105 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:২৬672398
  • সর্বনাশ হবে কারন,
    ১) দুষ্ট গরুর থেকে শুন্য গোয়াল ভালো।
    ২) অল্প শিক্ষা ভয়ংকরী।

    :)

  • Arjit | 128.240.229.66 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৪:৫২672399
  • S - মান্ধাতার আমল থেকে চলে আসা আমাদের প্রতি বছর পরীক্ষা নেওয়া আর নম্বর প্রথায় কি উপকারটা হয়েছে? একটা false sense of superiority ছাড়া? সিস্টেমটাকে যা ছিলো তাই রেখে দিয়ে লাভ কি? সব দেশই নানারকমভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে একটা স্টেবল সফল সিস্টেম চালু করেছে, আর আমাদের কোনরকম পরীক্ষা শুরুর আগেই হাহাকারের লাইন লেগে যায় - এই সব গোল্লায় গেলো...হাহাকার করাটা প্রায় আমাদের বিলাসের পর্যায়ে গেছে। এক্সপেরিমেন্টগুলো কি করলে ঠিক হতে পারে সেই চিন্তা আমাদের নেই, আবাপ জিগির তুলবে "আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা গোল্লায় গেলো", আমরা দু হাত তুলে নাচবো।

    একবার গ্রেড বা পরীক্ষা তুলে দেওয়া (হয়তো) অসফল হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সিস্টেমগুলো বা চিন্তাগুলো খারাপ (যেখানে অন্যান্য দেশে এগুলো সফল)। প্রথাটাকে শুরু হতে না দিয়েই তার ব্যর্থতার গুনতি শুরু করাটা নেগেটিভ মানসিকতা। তার চেয়ে বলুন কি করলে আমাদের দেশেও এই সিস্টেমগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। অন্য পথ ধরতে ভয় পেয়ে Stale হয়ে যাওয়া প্রথা টিঁকিয়ে রাখার কোন মানে দেখতে পাই না।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:১৭672400
  • বাকি তক্কো http://tinyurl.com/y7alkl - এখানে।
  • Guruchandali | 67.173.95.163 | ১৯ নভেম্বর ২০০৬ ০৯:৫৯672402
  • ---------------------------------------------------
    নতুন কূটকচা৯ : দুই বিন্দু জল
    ---------------------------------------------------
  • ar | 141.154.49.207 | ১৯ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০২672403
  • "কর্মদিবস মানাবেন" ....!! প্লীজ্‌!!
  • Guruchandali | 67.173.95.163 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১১:৫৮672404
  • ---------------------------------------------------
    নতুন কূটকচা৯ : মিডিয়া মনস্কতা
    ---------------------------------------------------
  • sucheta | 202.63.56.114 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৪:০৪672406
  • সরি, লিখেছো।
  • sucheta | 202.63.56.114 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৪:০৪672405
  • মিডিয়ামনস্কতা:
    সৈকত,

    পাঠালাম লিংক সত্যিই কজনকে। ব্রিলিয়ান্ট লিখেছিস!!! হা হা হা
  • d | 61.246.76.122 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৪:৩৫672407
  • সৈকত বহুত ভাল লিখেছে। আ: এই না হলে কুটকচা৯।
    কিন্তু একটা ছোট্ট ভুল হয়েছে। ফেক প্রোফাইলটি কে বানিয়েছেন, তা ধরা যায় নি। যাঁকে ধরা হয়েছে তিনি ওটিতে গিয়ে কিঞ্চিৎ খিস্তিখাস্তা করে এসেছিলেন (নির্ঘাৎ সত্যি প্রোফাইল ভেবে)। খবরে প্রকাশ, সেই যুবক নিজের ফ্রাস্ট্রেশান কাটাতেই নাকি "মজা করে" এই কাজ করেছিলেন।
    আরেক জায়গায় তো আবার "পিতৃতুল্য বয়স্ক ব্যক্তিকে গালিগালাজ" করার জন্য আজকের যুবমানস সম্পর্কে দুশ্চিন্তাও প্রকাশ করেছে দেখলাম।
  • S | 125.23.110.11 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৫:৫৪672408
  • সত্যি মাইরি,

    আজ ২০০৬-এর শেষ মাসে যেখানে পৃথিবীর তাবড় মিডিয়া পরিণতমনস্কতার চুড়ান্তে এসে পৌঁছেছে, সেখানে বাংলার কাগুজে বাঘ এত ল্যাদাক্যাবলা হয়ে যাচ্ছে কী করে দিনকেদিন?

    সাধু ভাষায় সম্পাদকীয় লিখলে এই দুগ্গতিই হয় মা!
  • d | 61.246.77.255 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৬:২৮672409
  • নাহে, মিডিয়ার এই অংশটি এরা সাধুভাষায় সম্পাদকীয় লেখে না।
  • santanu | 80.122.170.93 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৬:৩১672410
  • মিডিয়া ২ এর ব্যপারে--
    এই চেন চিঠির ছ্যবলামিটা প্রচুর ভদ্রলোক ও করে থাকেন। তাদের জন্য আমার দুই চেনা লোকের একটা exchange of mail ছাপিয়ে দিলাম, যদি চেন চিঠি কিছু কমে, এই ভরসায়। । সরি, পুরোটাই english এ।

    Usually I don't forward mails and elongate chanis. But somehow I could not ignore this one.
    So I am forwarding it -

    Hi All,
    Please Don't Delete.
    From Divya Singh (Siemens)
    Dear
    Friends please help, if possible. This is important to
    Me.so I am asking you to please forward it. Please
    Send this to all your contacts. If anyone you know who
    Has survived NON SMALL CELL LUNG CANCER, please inform
    Me at the address given below. My husband has it and I
    Would like to know what treatment was used. Please
    Forward this to everyone on your contact list. From
    The bottom of my heart I thank you.

    Thank you,
    Divya Singh
  • santanu | 80.122.170.93 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৬:৩৪672411
  • এবার উত্তর ---

    Hi,
    Very touching, indeed. Thank you.

    The caveat is - this is probably the 10th (if not 100th time) that I have received this appeal in the last few years. A search with Divya Singh chain letter on Google returns 528 matches - an indication that she has been well heard.

    All chain letters are hoaxes of some form or other - though, like the current one (possibly), all may not be intended. This letter was originated in 1999 and it still survives today. That, indeed, is the power of chaining letters!

    Many people are trying to fight this menace of chain-letters which besides flooding Inboxes and sucking attention (like it did for you earlier and is doing for me now) also conveniently spread a variety of worms. Strategist.Net published a report on Mar, 1999 (http://www.strategist.net/articles/99/mar19.htm) where they had used this letter as an example of the chain and tried to explain how this may have become a chain-letter without an express intention of the sender - Divya Singh. Ironically, many reports believe that the appeal does not at all relate to Divya Singh's husband and she had just been playing a good Samaritan. The actual lady, reports claim, is some "Jo Ann" and, allegedly, the ICQ number quoted in the earlier incarnations of "Help Needed ..." actually matched that of Ann's.

    Finally, you can also trace a disclaimer from this Jo Ann written in Oct 1999 (http://archives.openflows.org/hacktivism/hacktivism01401.html). Here she explains that it is indeed her husband who was suffering from cancer. Ann actually appeals that this letter be stopped (she had by that time already received 25000 copies) and in a way alleges that Divya Singh is making sure that this letter continues. I quote: "She has sent the message to thousands who have sent the message to thousands of others but will not help stop it. She keeps changing her e-mail address but always asks that responses be sent to me. Her latest address is [email protected]. If you wish to respond please respond to her". So we can see that Divya has an agenda in this (though it is possible that when she started it, she did it just out of compassion). I do not know what that agenda is - a good guess would be - there's no cheaper way to fame.

    Our heart very legitimately bleeds to know that someone has cancer and we try to do our bit by forwarding a mail. That is, at the least, the precious little we can do for a fellow human. But in the process we perpetrate a cancer of the Internet which might some day destroy this beautiful tool we have been able to get for ourselves. So my appeal is - please do not forward any chain letter - however humane it may be. Whoever may be dying whatever form of death - there must a better way to really help. Let's think deeper, if we are ever in real insurmountable trouble (God forbid), would we ever go and chain a letter on the Net and really expect a remedy? We cannot be that naive. So whoever does that, is either a stupid or, more likely, a terrorist of the Net like Divya and needs to be curbed. And the least we can do (as we thought we could for that lung cancer patient) is not to chain the letter further - just trash it.


    ধন্যবাদ।
  • S | 125.23.110.11 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৭:১০672413
  • জাঙ্ক মেইলের এই একটা ভেটেরান উদাহরণ: সিমেন্সের দিব্যা সিং। সেই ১৯৯৯ সাল থেকে এই মেইলটা যে কতবার পেয়েছি, ইয়ত্তা নেই।

    আমার এক প্রাচীন ইয়াহু অ্যাকাউন্টে রোজ ৩৬টা করে মেইল আসে, বিধবা'জ অফ বিভিন্ন আফ্রিকান কাϾট্রর নামজাদা ধনী-জ। হয় চাদ, নয় সুদান, নয় মোবুটু, নয় তো কিনিয়া, নয় তো ছাই-পাঁশ, মোটকথা বক্তব্য এই, সেই বেওয়ার স্বামী আফ্রিকার সেই সব দেশের বড় চাঁই ছিল, মাঝে সে অ্যাসাসিনেটেড হয়ে যায়, সে সারা পৃথিবীতে সার্চ মেরে কেবল আমাকেই পেয়েছে সেই টাকা ট্র্যান্সফার করার জন্য। অতএব আমি যদি দয়া করে তাকে আমার অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি দিই।

    খিস্তি মেরে দেখেছি, লাভ হয় নি। চিঠির ভাষা আরও বিনীত হয়ে যায়। এখন ইয়াহু অ্যাকাউন্ট আর ইউজই করি না।

    আমার এক বন্ধু একবার ভাল করেছিল। ইনফিতে আমাদের সাথে অজস্র তামিল তেলুগু জয়েন করেছিল। ট্রেনিং পিরিয়ডে হৃদ্যতা এত জমে গেল, সে রেশ কাটাতে রীতিমত বেগ পেতে হয়েছিল। প্রতি সোমবার, হ্যাঁ, প্রতি সোমবার অন্ততপক্ষে তেত্রিশখানা তেঁতুলে মেল আসত থিরুপথির আশীর্বাদ নিয়ে, নয় তো স্রেফ গুড মর্নিং মেল। তেত্রিশবার অভদ্র হতে হয়েছিল সেই সব মেল থামাতে, তাতে কী সেন্টি তেঁতুলদের।

    আমার এক বিহারি বন্ধু এক তিরুপতি মেলে পড়ল, কুড়িজনকে মেলটা ফরোয়ার্ড করলে অপুত্রের পুত্র হবে, নির্ধনের ধন। সেই পাব্লিক সেন্ডারকে গুণে গুণে কুড়িবার ফরোয়ার্ড করে একুশতম মেলে জানাল, হোপ মাই উইশ বিকাম্‌স ট্রু। তিরুপতি টোটাল হুব্বা হয়ে গেছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন