এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সর্ষেঃ অন্যভাবে, অন্যরকম লাদাখ

    সিকি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১২ জুন ২০১৫ | ২৩৯৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৬ জুন ২০১৫ ২২:৫১678687
  • দশ হাজার মিটার!!!
    বেথে বলে কী রে!!!
  • সিকি | ২৬ জুন ২০১৫ ২৩:০৪678688
  • উফফ সান্দা মাইরি! পুরো উটের পাকস্থলীর মত ধরেছে :) ওটা ক্লাচ-গীয়ার-অ্যাক্সিলারেটরে হাত-পা রেখে চলার কথা লিখতে গেছিলাম। আসলে আমাদের টার্মে ওটাকে বলে "অটো-মোডে" রাইডিং, তা অটো-মোড বললে সবাই বুঝবে না, কী লিখি কী লিখি ভাবতে ভাবতে ঐ লিখে ফেলেছি :) পরের এডিশনে শুধরে নেব 'খন।

    আর অ্যাক্সিলেটর দেখেই ভির্মি খাচ্ছিস - এর পরে তো বাইকের "শকার" নিয়ে বিস্তারিত হ্যাজ আছে।

    গুগল ফোটো অ্যাক্সেস হচ্ছে না দেখছি, কীভাবে এটাকে পাবলিক করে বুঝতে পারলাম না। তুই বরং এর পিকাসা ভার্সনটা দ্যাখ, এটা অ্যাক্সেস হচ্ছে - https://picasaweb.google.com/109619061153939324777/QccKlH02

    সিফোঁ, দশ হাজার বেশ নিচুতে, প্যাংগং লেক ষোল হাজার ফুটের ওপরে, সেখান থেকে দশ হাজার ফুটে নেমে এলে অতটা আর উঁচু থাকে না। ফোটুলা টপ - যেখানে স্নোফল হয়েছিল সেটা সাড়ে তেরো হাজার ফিট ওপরে।

    মোটামুটি দশ হাজার ফুট পর্যন্ত গাছপালা দেখা যায়, নুব্রা ভ্যালি তাই সবুজে সবুজ।
  • সিকি | ২৬ জুন ২০১৫ ২৩:০৫678689
  • দুশশালা - দশ হাজার ফুট। ওটাও পরের এডিশনে শুধরে নেব। লেখার সময়ে ঘুম্পেয়েছিল বোধ হয়।
  • Div0 | 132.167.223.213 | ২৬ জুন ২০১৫ ২৩:১০678690
  • পিকাসা দেখা যাচ্ছে। আর অটো-মোড না বলে ক্রুজ-কন্ট্রোল বললেও চলত :D
    তুই এইসব তুচ্ছাতিতুচ্ছ কিলোমিটার মিটার ফুটের হুজ্জুতিতে না গিয়ে মন দিয়ে ল্যাখ।
  • সিকি | ২৬ জুন ২০১৫ ২৩:১৭678691
  • সান্দা, দুশো সিসি চালিয়েছিলাম বলেই কিন্তু জার্নিটা এত ইভেন্টফুল আর থ্রিলিং হয়েছিল। আড়াইশো সাড়ে তিনশো বা পাঁচশো সিসি নিয়ে গেলে সেটা জাস্ট কেকওয়াক হয়ে যাবে।

    কাল বোধ হয় এক পাব্লিক বেরোচ্ছে দেড়শো সিসির পালসার নিয়ে।
  • 4z | 86.71.60.137 | ২৬ জুন ২০১৫ ২৩:২২678692
  • আহা, এগুলো তো বেথের সিগনেচার। এটুকু না থাকলে বেথে নামটা বেকার হয়ে যাবে না!

    চলুক চলুক
  • Div0 | 132.167.223.213 | ২৬ জুন ২০১৫ ২৩:২৯678693
  • সেটা বুঝেছি। দু'শ সিসি প্লাস পিলিয়নে সতীশ শাহ'ও মোটাসোটা। পালসারের থাম্প বে-এ-শ ভালো, তাই ইনক্লাইনেও টেনে দেয়।
  • ranjan roy | 132.180.215.190 | ২৭ জুন ২০১৫ ০১:১৭678694
  • কী সব ছবি! কী রঙ! পাহাড়ের মাথায় নুনের পেঁজাতুলো! বুনো ঘোড়া! জল, পাথুরে পথ!
    ব্রহ্মময়ী দে মা পাগল করে!
  • 00 | 181.64.40.102 | ২৭ জুন ২০১৫ ০৩:২৬678695
  • কয়েক বছর আগে লেহ গেছিলাম, টিপিকাল টুরিস্টে র মত।আপনার লেখা আর ছবি দেখে অনেক ভুলে যাওয়া জায়্গা মনে পRে গেল। ধন্যবাদ !
  • Arpan | 192.156.68.8 | ২৭ জুন ২০১৫ ০৫:২৫678697
  • বিবেক আর সুমিতের (নাকি গুরদীপ) বুলেটের কোন মডেল ছিল?
  • Manish | 127.214.44.55 | ২৭ জুন ২০১৫ ১০:১৬678699
  • Picasa খুলেছে।ফোটোগুলো সব অসাম।
  • সিকি | ২৭ জুন ২০১৫ ১৭:২৪678701
  • থান্ডারবার্ড।
  • সিকি | ২৭ জুন ২০১৫ ১৭:২৪678700
  • অর্পণ, বিবেকের থান্ডাতবার্ড ৫০০, গুরদীপের ক্লাসিক ৩৫০, গুরদীপের অ্যাভেঞ্জার ২২০।
  • সিকি | ২৭ জুন ২০১৫ ১৭:২৫678702
  • ধুত্তেরি। সুমিতের অ্যাভেঞ্জার।
  • Arpan | 125.118.146.118 | ২৭ জুন ২০১৫ ১৭:৩৩678703
  • থ্যাংকু।
  • সিকি | ২৮ জুন ২০১৫ ১৮:২২678704
  • ৬ই জুন ২০১৫ - অষ্টম দিন

    আগের দিন প্রায় সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সকালে উঠে মনে হল, আকাশ পরিষ্কার। অন্তত বৃষ্টি হবার মত পরিস্থিতি নেই। বাহাদুর এবং হোটেলের মালিক জানালেন, হেভি স্নো-ফলের জন্য খারদুং লা আবার বন্ধ হয়ে গেছে। আজ ক্রস করা যাবে না। তা হলে উপায়?

    দু রকমের প্ল্যান বেরলো। বিবেক আর আমার মতে, বন্ধ হলেও টু হুইলার নিশ্চয়ই বেরিয়ে যেতে পারবে, হয় তো ফোর হুইলারের জন্য বন্ধ রেখেছে। একবার পৌঁছে তো যাই, তার পরে দেখা যাবে। সুমিত আর গুরদীপের মতে, বন্ধই যখন, তখন আর ওদিকে গিয়ে লাভ কী? তার চেয়ে বরং তুর্তুক ঘুরে আসা যাক।

    আমি বোঝালাম, এখান থেকে তুর্তুক - কিছু না হোক আশি কিলোমিটার। রাস্তাও পুরোটা ভালো নয়। যাওয়া আসা মিলিয়ে একশো ষাট সত্তর কিলোমিটার পড়বে। আমাদের কাছে যা তেল আছে, তাই দিয়ে প্রথমত চলবে না, আর দ্বিতীয়ত, তুর্তুকে গিয়ে একদিন থাকাটা দরকারি - জাস্ট গেলাম, বুড়ি ছোঁয়া করে ফিরে এসে স্ট্যাটাস আপডেট দিলাম তুর্তুক ঘুরে এসেছি, এইভাবে তুর্তুক দেখার কোনও মানে হয় না। তার চেয়ে বরং খারদুং লা ট্রাই করি, যদি বন্ধ থাকে, তা হলে কালকের রুটেই ডুর্বুক ফিরে গিয়ে সেখান থেকে চাং লা পাস পেরিয়ে লে ফিরে যাবো।

    সুমিত গুরদীপ খুব কনভিন্সড হল না। ওদের দাবি, যা তেল আছে, তাই দিয়ে আমাদের সবারই হয়ে যাবে। সে যা হয় দেখা যাবে - আগে তো হুন্ডারে ক্যামেল রাইডিং হোক! জিনিসপত্র গুছিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। এখন সমস্ত রাস্তা আমার চেনা - বাকিদের লীড করে নিয়ে গেলাম স্যান্ড ডিউনসে। তো, গিয়ে দেখলাম, উটে চড়তে কেউই খুব একটা উৎসাহী নয়। সবাই এদিক ওদিক ছড়িয়ে ফটোগ্রাফি করতে লেগে গেল।









    বেচারি প্রিয়াঙ্কার খুব সর্দি লেগেছে। নাকি পরশুদিন চাং লা টপে বরফে শুয়ে ফটো তোলার ফল। বিবেক খুব শুকনো মুখে আমার কাছে ডায়ামক্সের খোঁজ করে গেল। ডায়ামক্স দিয়ে সর্দি সারে কিনা এমন কথা জিজ্ঞেস করতে বলল, না, খারদুং লা টপে যদি শরীর খারাপ করে, তাই প্রিকশন। আবার বোঝালাম, এইভাবে ইচ্ছেমত ডায়ামক্স খেতে নেই। আমরা এই কদিনে দিব্যি হাই অলটিটিউডে থাকা অভ্যেস করে নিয়েছি, সর্দির জন্য আলাদা করে কোনও অসুবিধে হবে না। তাও, দরকার মনে হলে, ডায়ামক্স আছে আমার কাছে - খেয়ে নিও।







    খানিক সময় কাটিয়ে আমরা ফিরে এলাম ডিস্কিটে, যদি তেলের কিছু বন্দোবস্ত হয়, তা হলে হয় তো সবাইই তুর্তুকে চলে যেতে পারি। সুমিতকেও টাকা তুলতে হবে - ডিস্কিটে এটিএম আছে। আর ডিস্কিটের বুদ্ধমূর্তিও দেখতে হবে।

    ডিস্কিটে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এখানে পেট্রল পাম্প টাম্প কিছুই নেই, তবে ব্ল্যাকে পেট্রল পাওয়া যায় - দুশো টাকা লিটার।

    বাপ্‌ রে! দরকার নেই আমার তুর্তুকে। আমরা এগোই। খারদুং লা বন্ধ থাকলে খালসার বা ডিস্কিটেই রাতে থেকে যাবো, ওরা চাইলে তুর্তুক ঘুরে আসুক।

    ডিস্কিটের মনাস্ট্রি দেখলাম একসঙ্গে, তার পরে গুরদীপ আর সুমিত বাই বাই করে পেছনে ফিরল, ওরা তুর্তুক যাবে, বললাম, আমরা আজ হোক বা কাল, লে পৌঁছলে ওদের জন্য অপেক্ষা করব হোটেলে।







    তার পরে আমি, বিবেক আর প্রিয়াঙ্কা ফিরে চললাম উলটোপথে। বিবেকেরও ছুটি শেষ হয়ে আসছে, ওদেরকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিল্লি ফিরতে হবে। তিনদিনে শ্রীনগর রুট ধরে লে থেকে দিল্লি ফিরবে, যেটা আমরা এসেছি চারদিনে।

    খালসার পর্যন্ত একই পথ, তারপরে রাস্তা ভাগ হয়ে যাচ্ছে। বাঁদিকের রাস্তা হল সেই শিওক-আগম রুট, যেখান দিয়ে আমরা কাল এসেছি, আর ডান দিকের রাস্তা চলে যাচ্ছে, খারদুং-নর্থ পুলু হয়ে খারদুং লা টপ, সেখান থেকে নামলেই লে।

    খালসারে পৌঁছে সেই হোটেলেই লাঞ্চ সারলাম। হোটেলের ছেলেটার কাছ থেকে আবার ফোন চেয়ে নিয়ে সিকিনীকে ফোন করলাম, বললাম এই ব্যাপার। আজ লে ফিরতেও পারি, না-ও পারি, চিন্তা যেন না করে, আমি লে পৌঁছলেই খবর দেব। খারদুং লা বন্ধ আপাতত।

    সিকিনীও রিমোটলি এইসব টেনশন নিয়ে তিতিবিরক্ত, বার বার করে বলল, লে পৌঁছেই যেন আমি বাইক গতি কার্গোতে বুক করিয়ে ফ্লাইটে ফিরে আসি। আমার মনেও যে তেমন ইচ্ছে হচ্ছে না তা নয়, শ্রীনগর রুট দিয়ে ফেরা বেশ চাপের ব্যাপার হয়ে যাবে। মানালি খোলে নি। সুতরাং আমাদের সোমোরিরি এবারেও দেখা হল না, হবে না। কিন্তু যে এক্সপিরিয়েন্স নিয়ে ফিরছি, সেটাও খুব কম কিছু নয়। এই শিওক আগম রুটে খুব খুব কম ট্রাফিক আসে, সেই রকম একটা প্রায় দুর্গম রুট ধরে আমরা নুব্রা ভ্যালি পৌঁছেছি কাল, ঐ রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে, এই অভিজ্ঞতাই বা কজনের হয়?

    একটা জিনিস খেয়াল করলাম, সকাল থেকে আমরা হুন্ডার হয়ে ডিস্কিট হয়ে এখন খালসারে এসে বসে আছি, একটাও টুরিস্ট গাড়ি কিন্তু লে-র দিক থেকে আসে নি। যেখানে যেখানে খোঁজ নিয়েছি, সবাই বলেছে এক কথা, খারদুং লা বন্ধ, আট ফুট বরফ জমে গেছে, ব্রো রাস্তা সাফ করছে, কালকের আগে কোনও চান্স নেই খোলার। ... টু হুইলারও কি যেতে পারবে না? - না। বন্ধ মানে, বন্ধ। আর্মি থেকে একটা প্রাণীকেও আগে এগোতে দেবে না।

    হোটেলের ছেলেটাই বলল, এক কাজ করুন, আরও খানিকটা এগিয়ে যান, এখান থেকে পঁচিশ কিলোমিটার দূরে খারদুং গ্রাম। সেখানে বেশ কিছু হোটেল হোম-স্টে অপশন পেয়ে যাবেন। পারলে এগিয়ে যাবেন খারদুং লা-র দিকে, না পারলে ওখানেই রাতে থেকে যান। ফিরে আসতে হবে না। একান্তই ফিরে আসতে চাইলে আমাদের এখানে হোমস্টে আছে, ঘর পেয়ে যাবেন।

    আমি, বিবেক আর প্রিয়াঙ্কা মিলে আলোচনায় বসলাম আবার। কী করা উচিত। আমি বললাম, ওয়র্স্ট কেস ধরে নিয়ে প্ল্যান করা উচিত। আমরা এগবো, যদি খারদুং গ্রামে ঘর না পাই, তা হলে আবার পঁচিশ কিলোমিটার ফিরে আসতে হবে। এখান থেকে লে একশো পঁচিশ কিলোমিটার। আমার কাছে যা তেল আছে, তাতে লে পর্যন্ত পৌঁছনো যাবে, তবে এর পরে অর্ধেক রাস্তা আপহিলস, তেল বেশি টানবে, তাই ওয়র্স্ট বিবেচনা করতে হলে আগে তেলের খোঁজ নিতে হবে। তেল পাওয়া গেলে এক রকমের প্ল্যান, না পেলে আর কোনও রিস্ক নেবার নেই, আমরা এখানেই রাতে থেকে যাবো।

    খোঁজ নিলাম, পেট্রল এখানেও পাওয়া যাবে, দেড়শো টাকা নেমে পার লিটার।

    তাই সই। আমি দু লিটার, বিবেক দু লিটার - ভরে নিলাম নিজের নিজের বাইকে তিনশো টাকা করে দিয়ে। আমার বাইকের যা মাইলেজ, দু লিটারে আশি কিলোমটার এক্সট্রা তো কনফার্ম করে নিলাম।

    আশেপাশে আরও দু একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল - এরা নুব্রা থেকে লে ফেরত যাবার টুরিস্ট, আমাদের মতই - সবাই আটকে গেছে। ড্রাইভারদের সাথে কথা বললাম, সবাই জানাল, শিওক আগম রুট দিয়েও আসা যাচ্ছে না, কালকের বৃষ্টিতে অনেকটা এলাকা জল ভরে গেছে। গাড়ি একটা পয়েন্টের পরে এগনো যাবে না। আর এগোনো গেলেও, চাং লা পাসও বন্ধ হয়ে গেছে হেভি স্নো-ফলের জন্য। সুতরাং, আপাতত লে যাবার সমস্ত রাস্তা বন্ধ।

    যা থাকে কপালে, বলে আমরা তিনজন দুটো বাইকে এগোলাম।

    ছ-সাত কিলোমিটার এগিয়েছি কি এগোই নি, পেছন থেকে বিবেকের বাইকের হর্ন - পি-প, পি-প, পি-প। থামতে বলছে।

    থামলাম। কী ব্যাপার? সিকিস্যার, আমার না, বুকে হাল্কা হাল্কা ব্যথা করছে, মনে হয় অক্সিজেনের কমতি হচ্ছে, তাই জন্য। ডায়ামক্স দিন।

    যতভাবে পারলাম চিয়ার আপ করলাম, তোমার কিছু হয় নি বাপু, মনে হচ্ছে তাই ও রকম হচ্ছে, এইভাবে মঠো মুঠো ডায়ামক্স খেও না। এক কাজ করো, খারদুং পর্যন্ত গিয়ে ডায়ামক্স দেবো। একটু রেস্ট নাও, নিয়ে চলো।

    বিকেল সাড়ে তিনটে চারটে নাগাদ পৌঁছলাম খারদুং গ্রামে। ছোট্ট গ্রাম, মেরেকেটে কুড়িখানা ঘর হবে হয় তো, একটা সরকারি গেস্ট হাউস আছে, আর বেশ কিছু বাড়ির গায়ে নোটিস লাগানো - লাদাখি হোম-স্টে। নেমে দু একটাতে খোঁজ নিলাম। কিন্তু ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই - সে রাস্তার অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। রাস্তার দু পাশে সারি সারি পার্ক করা গাড়ি, সব দিল্লি, ইউপি, পাঞ্জাব কিংবা কাশ্মীরের নাম্বারপ্লেট। প্রচুর লোক এখানে এসে আটকে আছে। এমনকি গোটাতিনেক মোটরসাইকেলও দেখলাম দাঁড় করানো রয়েছে।

    অনেক খুঁজেপেতে একটা ঘর পেলাম, প্রায় আধপাকা ঘরের মধ্যে গোঁজা দুটো খাট। কিন্তু আমরা তো তিনজন। লাদাখি মহিলা স্মার্ট হেসে বললেন, কোই বাত নেহি হ্যায় জি, এক ম্যাট্রেস এক্সট্রা লাগা দুঙ্গি। পার বেড একশো টাকা।

    এইবারে আমি পড়লাম একটু চাপে, লাভবার্ডসের সাথে একঘরে থাকাটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে না? মান, আমার নিজের কোনও অসুবিধে নেই, কিন্তু অসুবিধে তো এদের - বিপন্ন মুখে বিবেকের দিকে তাকালাম। বিবেকেরও অস্বস্তি হচ্ছিল না, তা নয়, কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা আর নেই, সেটা দুজনেই উপলব্ধি করলাম। অতএব, একটা ঘরেই তিনজনকার ব্যবস্থা হল, রাতে কয়েক ঘন্টাই তো শোবার প্ল্যান। সবাই টায়ার্ড।

    আপাতত বিকেল ছটা বাজে। আকাশ ঝকঝকে নীল, সাদা সাদা মেঘেরা ঘোরাফেরা করছে, চারপাশে ঝকঝক করছে বরফের পিক - লাদাখি হোমস্টে ওনার দূরে একটা পাহাড় দেখিয়ে বললেন, ওই পাহাড়ের ওপাশে খারদুং লা টপ - এখান থেকে দেখা যাচ্ছে না।

    বাইক থেকে লাগেজ খুলে ঘরে রেখে ক্যামেরা নিয়ে বেরোলাম। আপাতত আজ সারা সন্ধ্যে কিছুই করার নেই, আগে যাওয়া সম্ভব নয়। কাল সকালেই চেষ্টা করতে হবে। আর কাল যদি সুমিত-গুরদীপরা ফিরে আসে এই রাস্তায়, তা হলে ওদের সাথেই ফেরা যাবে।









    এই বাড়িটায় ছিলাম, ডান দিক থেকে দু নম্বর দরজা।


    ওপরে ছাদেও উঠেছিলাম মই বেয়ে - ঘুঁটে শুকোতে দেওয়া ছিল। তবে সুন্দর ভিউ পাওয়া যাচ্ছিল পাহাড়ের।

    ঘরের সামনে সোলার হিটার - জল গরম করার জন্য -






    ... বাকিটুকু আজ রাতে, কিংবা কাল সকালে।
  • de | 24.139.119.175 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৭:২৬678705
  • ফটোগুলো দারুণ সুন্দর হয়েছে --

    মানালি হয়ে ফেরা - সো মোরিরি, সো কার, সারচু দেখার জন্য আরেকবার যেও বাইক নিয়ে -

    স্বর্গের মতো জায়্গা সেসব। এখনও মনে করলে মনে হয় স্বপ্নের ঘোরে আছি!
  • সিকি | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:২৪678706
  • হুঁ, এ দেশে স্বর্গের কমতি নেই। শুধু মানালি রুট করার জন্য আরেকবার যেতে হবে হয় তো - আমি বাড়ি ফিরেছি ১১ই জুন, আর মানালি খুলেছে ১৩ই জুন, এত্ত রাগ হচ্ছিল না, কী বলব।

    এখনও এই ট্রিপগুলো অ্যাড হচ্ছে আমার মনের মধ্যেঃ

    দিল্লি কলকাতা দিল্লি (সৌজন্যে, পিকু। অনেকগুলো ট্র্যাভেলগ পড়ে ফেললাম)
    দিল্লি মানালি কল্পা সাংলা চিটকুল (এটি হল হিমাচল প্রদেশে চীন সীমান্তে শেষ ভারতীয় গ্রাম, রাস্তা নাকি লাদাখের চেয়েও দুর্গম)
    দিল্লি লাহুল স্পিতি ভ্যালি

    জানি না, এ জীবনে হবে কিনা সব।
  • Dubai Basi | 96.98.6.61 | ২৯ জুন ২০১৫ ২১:০০678708
  • সিকি আপনার দুবাই বাসের experience নিয়ে লেখা একটি খুব সুন্দর টই ছিল। লিঙ্ক টা কি দিতে পারবেন ?
  • সিকি | ২৯ জুন ২০১৫ ২১:৪৯678710
  • হ্যাঁ এটাই।
  • সিকি | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:১৬678711
  • ফ্রেশ হবার মত বিশেষ কোনও প্রভিশন নেই - আমাদের ঘরের সামনে গোয়ালঘর, একটু পরেই সেখানে নিঃশব্দে এসে শেল্টার নিল গোটাপাঁচেক গরু, সম্ভবত হোমস্টে-মালকিনের নিজস্ব গরু। সেই গোয়ালঘরের ওপাশে একটা কোনওরকমে খাড়া করা মাটির ঘর, সামনে টিনের দরজা, সেখানে মাটির টয়লেট - ইন্ডিয়ান স্টাইলের কমোড, সেখানেই হাল্কা হবার প্রভিশন, ধারেকাছে জলের সোর্স দেখলাম না, অতএব - ছোট দরকার ছাড়া ওমুখো হবার চেষ্টাই করলাম না।

    হোমস্টে-র সামনের দিকটা একটা ছোট রেস্টুরেন্ট। সেখানে কটা প্লাস্টিকের চেয়ার টেবিল পাতা। চা বিস্কুট পাওয়া যায়। সেখানে জমিয়ে বসেছেন এক প্রৌঢ় আর এক মাঝবয়েসী লোক। দূর থেকে হনুমান টুপিই বলে দিচ্ছে - বাঙালি। কাছে এসে দেখলাম, হ্যাঁ, বাংলাতেই কথা হচ্ছে। বেড়াতে এসেছিলেন নুব্রাতে, এখন লে-তে ফিরতে পারছেন না, তাই কাছের আরেকটা হোমস্টে-তে আশ্রয় নিয়েছেন। বৃদ্ধ যারপরনাই বিরক্ত, ধুর ধুর, এর চেয়ে নৈনিতাল গেলেই হত, এতদূর ঠেঙিয়ে এখানে এসে কী হল? কী আছে এই ভ্যালিতে? এ তো আর পাঁচটা পাহাড়ি ভ্যালির মতই। শীতে মরে যাছি, এখন কাল আমাদের ফেরার ফ্লাইট, যদি কাল না পৌঁছতে পারি?

    মাঝবয়েসীর স্ত্রী এলেন খুব বিরক্ত মুখে - বাবা, ঠাণ্ডায় একটু লেপমুড়ি দিয়ে শুয়েছিলুম, আবার চা খেতে ডেকে নিয়ে এলে? এখানে তো ব্রিটানিয়ার বিস্কুট পাওয়া যায় না - চা-টাও খেতে কেমন পানসেপানা ...

    এগোলাম। এদিক ওদিক ইতস্তত লোকজন ছড়িয়েছিটিয়ে আছে - সামনেই একটা কোয়ালিস দাঁড় করানো, নয়ডার নম্বর। পাড়ার লোকজনকে দেখে আলাপ করতে এগিয়ে গেলাম। দাঁড়িয়ে ছিলেন এক সৌম্যদর্শন ভদ্রলোক। পরিচয় করলেন, মিস্টার আসাদ আহমেদ। প্রপার্টি ব্রোকার। লক্ষনৌতে বাড়ি, এখন নয়ডায় থিতু। আসার ইচ্ছে ছিল না, ভায়রাভাই জোর করে টেনে এনেছে, উনি কাল বিকেল থেকে আটকে আছেন। খারদুংলা টপের এগারো কিলোমিটার আগে নর্থ পুলু, সেইখানে গেছিলেন, তদারকিতে ব্যস্ত এক কর্নেলসাহেবের ফোন নম্বর নিয়ে এসেছেন, কর্নেলসাব ওঁকে বলেছেন টাইম টু টাইম ফোন করে যেতে, পাস খুললে উনিই জানাবেন। তো, কাল থেকে দু তিনবার ফোন করে জেনেছেন এখনও পর্যন্ত অর্ধেক বরফ সাফ হয়েছে, আর বৃষ্টি না হলে কাল খুলে যেতে পারে। দুদিকেই প্রচুর ট্র্যাফিক জমে গেছে।

    আসাদবাবু আমাদের পাশের হোমস্টে-তেই আছেন। একটা আশার কথা - আজ সকাল থেকে আর বৃষ্টি হয় নি - আকাশও মোটামুটি পরিষ্কার। খানিক গল্পগুজব করে আমরা এগোলাম। আমি একটা ভিডিও নিচ্ছিলাম আশপাশের -



    হঠাৎ দেখি বিবেক হাওয়া, খানিক বাদে ফিরে এল একটা ছোট প্যাকেট হাতে করে তাতে ছোট ছোট শিশি। কী ব্যাপার? না পুপ্পু-র (প্রিয়াঙ্কার আদরের নাম) জুখাম হয়েছে কিনা, তাই এখানে খুঁজে ও একটা হোমিওপ্যাথি ডিসপেনসারি খুঁজে বের করে সেখান থেকে সর্দির ওষুধ নিয়ে এসেছে। চার পাঁচটা বড় ছোট শিশি। পুপ্পু ওখানেই চেয়ারে বসে ছিল, বিবেক তাকে গিয়ে ধৈর্যধরে সব বোঝাল - পেহলে এক নাম্বার অওর তিন নাম্বার, ফির এক ঘন্টা বাদ দো নাম্বার অওর পাঁচ নাম্বার, ফির এক ঘন্টা বাদ তিন নাম্বার অওর দো নাম্বার ...

    খানিক শুনে আমার মাথা ঘেঁটে গেল, আমি সরে এলাম। বাপরে কী প্রেম! যাবতীয় শিশি কিনে নিয়ে চলে এসেছে প্রেমিকার সর্দি সারাবার জন্য। আমরা যে কেন এসব দেখেও শিখি না।

    আস্তে আস্তে সূর্য ঢলে এল, পাহাড়ের চূড়োগুলো রূপোলি থেকে সোনালি হয়ে আস্তে আস্তে অন্ধকার নামতে শুরু করল। সেই সময়ে বিবেকই দেখাল একটা জিনিস - রেস্টুরেন্টের জন্য পাতা চেয়ারের সামনে কেউ অর্ধেক জাগ জল ঢেলেছিল, সেই জল মাটির ওপর জমে বরফ হয়ে গেছে।





    জমাট বাঁধা বরফ ঠিক নয়, ঝুরো বরফ -


    কী ব্যাপার, এখানে এত ঠাণ্ডা নাকি? তা হলে জাগের জল কেন বরফ হয় নি? আমার কেন এত ঠাণ্ডা লাগছে না?





    সাড়ে আটটা নাগাদ হোমস্টে-র মালকিন আমাদের ডিনারের জন্য ডাকলেন, তখন বেশ ঠাণ্ডা। গরম গরম রুটি আর আলু-ক্যাপসিকামের তরকারি এতই উপাদেয় ছিল যে আমি ছখানা রুটি খেয়ে ফেললাম, আর তরকারি দেখেও প্রিয়াঙ্কার "ইয়ে ভ্যাজ হ্যায় না?" প্রশ্নটাকে আমি বিলকুল ক্ষমা করে দিলাম।

    এইবারেই সবচেয়ে অস্বস্তিকর পর্বটা। রাতে এক ঘরে শোয়া। দুটি খাট, আর মাঝে একটা গদি পাতা। লেপ কম্বল প্রচুর দেওয়া আছে - ঠাণ্ডা লাগার কথা নয়। আমিই নিচে শুতে চাইছিলাম, কিন্তু আমি কিনা খুব সিনিয়র - সিকিস্যার, তাই সমীহ করে বিবেক আমাকে একটা বেডে শোয়াল, অন্য বেডে প্রিয়াঙ্কা, আর নিচে বিবেক।

    আজ খুব বেশি চলা হয় নি, নিতান্তই হুন্ডার থেকে খারদুং এসেছি। খুব টায়ার্ড নই, ফলে ঘুম আসতেও দেরি হচ্ছে - এদিকে বেশি নড়তে চড়তেও পারছি না, কে জানে, লাভবার্ডস কী ভাববে। লেপের নিচে কাঠ হয়ে শুয়ে আছি, খানিক বাদে বিবেকের গলা কানে এল।

    - পুপ্পু, এক নাম্বার অওর তিন নাম্বার গোলি খা লি থি?
    - হুঁ (নাক টানার আওয়াজ)
    - ঠিক হ্যায়, ম্যাঁয় ইয়াদ দিলা দুঙ্গা, এক ঘন্টা বাদ ফির দো নাম্বার অওর পাঁচ নাম্বার।
    -হুঁ (নাক টানার আওয়াজ)

    সব নিস্তব্ধ। এইবারে আমার আস্তে আস্তে ঝিমুনি এল, আবার কতক্ষণ বাদে কে জানে, চটকা ভাঙল বিবেকের আওয়াজে - পুপ্পু, সো গয়ি? দো নাম্বার অওর পাঁচ নাম্বার দে দুঁ?
    -হুঁ (নাক টানার আওয়াজ)
    - ইয়ে লে - ফির এক ঘন্টা বাদ ...

    রাতে মাঝে মাঝেই ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল ওই এক নম্বর পাঁচ নম্বরের আওয়াজে, এর বেশি কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি - শেষমেশ দুর্দান্তভাবে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকাল পৌনে সাতটায় এক্কেবারে ঘুম ভাঙল, তখন ঘরের মধ্যে সোনালি রোদ্দুর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

    আজ কি খারদুং লা খুলবে?
  • pi | 24.139.221.129 | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:২১678713
  • *থেকেও
  • pi | 24.139.221.129 | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:২১678712
  • তার থেকেই বড় কোশ্চেন, আজ কি পুপ্পুর সর্দি সারবে ?
  • সিকি | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:৩১678714
  • পুপ্পুদের সর্দি সারে না। :) এমন কেয়ারিং প্রেমিক পেলে কারই বা সর্দি সারতে চাইবে?
  • pi | 24.139.221.129 | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:৩৪678715
  • ঃ)
  • Div0 | 132.166.181.91 | ২৯ জুন ২০১৫ ২৩:২৯678716
  • শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে...
    অফ টপিক, প্রিয়াঙ্কারা ইউজুয়ালি পিঙ্কি হয়। ক্ষেত্রবিশেষে পিঙ্কাও (মাইরি বলছি)। পুপ্পেটা মনে হয় অনেকগুলো লেয়ার পেরিয়ে তারপর। গুড গোয়িং সিকি। কিন্তু ওরম হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে কমেন্টারি দিচ্ছিলি কেন?
  • sinfaut | 69.93.203.195 | ৩০ জুন ২০১৫ ০০:১২678717
  • হা হা হা। এক নম্বর ঔর পাঁচ নম্বর।
  • শ্রী সদা | 24.99.182.110 | ৩০ জুন ২০১৫ ০০:২১678719
  • আমি কিনা এই পাতাটা নীচ থেকে পড়া শুরু করেছি, তাই এক নম্বর আর পাঁচ নম্বরটা কী না কী ভেবেছিলাম। তাপ্পর উপরে উঠে দেখি, ধুস, হোমিওপ্যাথি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন