এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কেউ একজন | 78.177.229.1 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:১৩681370
  • আমার 'আসা যাওয়ার মাঝে'
    *******************************
    পাশে থেকেও একাকী চলাফেরা নিজের নিজের কক্ষপথে, তবু কোথাও জড়িয়ে থাকা স্পর্শে গন্ধে ভালোবাসার নিজস্ব সংলাপে। দৈন্যের দিনে জীবনসংগ্রামের প্রাত্যহিকতায় এক দম্পতির জীবনকথা। শুধু কি ওদের দুজনের? কোথাও অনেকটাই কি আমরাও নই ওদের পথের সঙ্গী? এই সিনেমা কি শেষ হয়? আমার তো মনে হয় সেই শনিবার দেখে আসার পর থেকে আরো কিছু অদৃশ্য ফ্রেমে আমরাও একই রাস্তা হাঁটছি। ওই যে বাসবদত্তা ট্রামে উঠল সেকেন্ড ক্লাসে, ব্রেকফাস্ট করার সময় নেই, ট্রামেই সস্তার কেক কোনোক্রমে মুখে ঢুকিয়ে নেয়া ওইটুকু অবসরে - নেমে ২১৫এ বাসে ওঠা, ঘরির বেল্টের নিচে গোঁজা টিকিট, কর্মস্থল হ্যান্ডব্যাগ ফ্যাক্টরিতে ঢোকার আগে হাত ছেড়ে উড়ে যাওয়া টিকিট - একি আমাদেরও নিত্যদিনের প্রতিফলন নয়?

    ওদিকে ঋত্বিক সারারাত খবর কাগজের প্রেসে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে সকালে ফিরল, স্ত্রী সকালে কত আগেই বেরিয়ে গেছে তার কাজে, আজ সারাদিনের মত আর দেখা হবে না, সে শুধু কয়েকটি চিহ্ন এ মুহূর্তে এই ঘরে - স্নানান্তে পুজো সেরে তার জ্বেলে যাওয়া ধূপ, বারান্দায় শুকোতে দেয়া তার কাচা শাড়ি সায়া, বাথরুমের আয়নায় আটকানো টিপ, দুপুরে খিদের সময় তার কোন সকালে যত্ন করে বেড়ে রেখে ঢাকা দেয়া ভাত আর বাটা মাছের ঝোলে, সন্ধ্যেবেলা ঋত্বিকের কাজে বেরোনোর সময় হাতের কাছে পাওয়া স্ত্রীর সেই সকালের বানানো দুটো আলাদা টিফিন কৌটোয় রাখা রুটি আর তরকারি - সারাটা দিন একলা ঘরে পাখার ঘড়ঘড়ে আওয়াজ আর নানাবিধ কলরবের আবহে এইসব চিহ্নে স্ত্রীর স্পর্শটুকু যেন তার না থাকার মধ্যেও বড় বেশি করে থাকা সাহচর্যে, মমতায়।

    সন্ধ্যেবেলা ঋত্বিকের বেরিয়ে যাওয়া আর বাসবদত্তার ঘরে ফেরা - এই 'আসা যাওয়ার মাঝে' সূত্র বোনে রেডিও-য় কাছের কোনো বাড়ি থেকে ভেসে আসা গান 'কানে কানে শুধু একবার বলো তুমি যে আমার', আমাদের মননে প্রেমের প্রতীক আমাদের সেই চেতনার জন্মলগ্ন থেকে।

    বাসব যখন ঘরে ফেরে, ঋত্বিক রয়ে গেছে কিছু চিহ্ন হয়ে - কমিয়ে রাখা পাখা, ঝুলন্ত ছেঁড়া প্যান্টে যেটা বাসবকে বসতে হবে হাত মুখ ধুয়ে এসে সেলাই করতে, মাসকাবারির বাজার করা ভারি ব্যগে, ফ্রিজে রাখা রুই মাছের প্লাস্টিকে, বারান্দায় তার কাচা পাজামা পাঞ্জাবিতে।

    দুজনের হাত ছুঁয়ে যায় বেরোনোর সময় খড়খড়ির ফাঁক দিয়ে রেখে যাওয়া বাড়ির চাবিতে, বারান্দায় দিনভর রোদে শুকোনো শাড়ি আর পাজামা পাঞ্জাবিতে, ঠাকুরের আসনে শেষ হয়ে আসা ধূপের গন্ধে, বাকি ফেরত টাকা রাখার ভাঙা অ্যালুমিনিয়ামের বাক্সে আর খুচরো জমানোর লক্ষ্মীর ভাঁড়ে - এই সমস্ত কিছুতে ছুঁয়ে যাওয়া ওদের হাত আমাদের কবিতা-কাঙাল মনও ছুঁয়ে দেয় আর মনে হয় এর চেয়ে সেরা প্রেমের কবিতা আর কি লেখা হয়েছে কখনো না হতে পারে আর?

    বাসবের সকাল হল পাম্প চালানোর শব্দে, ছাল ওঠা মোবাইলের অ্যালার্মে, ঋত্বিকের দুপুরবেলার ঘুমের মতই। স্নান সেরে লক্ষ্মীর ভিজে পায়ের ছাপ লাল মেঝে বেয়ে চলে যায় জীবনের অন্দরমহলে। ওই মেঝে চেনে ঋত্বিকেরও আগের সকালের শুকিয়ে যাওয়া পায়ের দাগ। এই মেঝেও কেমন দুজনকে মিলিয়ে দেয়। ঘর ঝাঁট দেয়া, কাচাকুচি, গতদিনের মাসকাবারির বাজার, চাল ডাল মশলাপাতি সব জায়গামত তোলা, ঋত্বিকের জন্যে আর নিজের রাত্তিরের রান্না সম্পূর্ণ করে, দুজনের টিফিন বানিয়ে চারটে আলাদা কৌটোয় ভরে নিজেরটা ব্যাগে পোরা, ঋত্বিকের ভাত ঢাকা দিয়ে রেখে যাওয়া, ঋত্বিকের রাতের টিফিন গুছিয়ে কৌটো দুটো জায়গামত রেখে যাওয়া - এই এতসব সেরে এবার বেরোনোর পালা।

    রাত শেষ হল ঋত্বিকের অমানুষিক পরিশ্রম শেষে, দ্রুত পায়ে সাইকেল প্যাডল করা তবু যেন ফুরোয় না, আজ কি দেখা হবে বাসব বেরোবার আগে? অন্ততঃ একটা দিন।।।হ্যাঁ আজ এটুকু অবসর, 'দিন আর রাত্রির মাঝখানে পাখি ওড়া ছায়া'-র মত সেইটুকু দেখা দুজনের, যেন স্বর্গের অরণ্যের মাঝে স্বপ্নসম সেই ঘর, পাশে বসা নীরবে, কথার চেয়েও বেশি গভীর সেই দুজনার চাহনি। কোনো কথ্য শব্দ এসে এই সামান্য অবকাশটুকু স্পর্শ করার ধৃষ্টতা দেখাতে পারে? বেরোবার আগেও স্বামীর জন্যে চা করে আনে বাসব, চুল বাঁধতে থাকে, বাসবের শাড়ির পিন লাগাতে সহায়তা করে ঋত্বিক পরম আদরে, দেরি হয়ে যাবে যে এবার।।।চৌকাঠের মুখে দাঁড়িয়ে সেই শতবর্ষের শিরে জেগে থাকা নীরব অভিব্যক্তি, 'আসি?'

    মনে পড়ে যায় -
    'একটি নিমেষ দাঁড়ালো সরণী জুড়ে
    থামিল কালের চিরচঞ্চল গতি'

    নাঃ কালের গতি কি এত সহজে থামে, তাহলে তো এমন হত না, একটু ভালো থাকার জন্যে দুজনকেই ঘর ছেড়ে বেরোতে হয়েছে আজ, বিয়ের সানাই আজও তো পুরনো হয়নি শ্রবণে। দুরন্ত কালের গতি সে শুধু ছুটিয়ে বেড়ায় দৈন্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আর রেখে যায় অপেক্ষা, আবার একটুখানি দেখা হবার অনন্ত অপেক্ষা।।।

    ঋত্বিক চায়ের পেয়ালা হাতে দাঁড়িয়ে থাকে, ধোঁয়ার ভেতর মিলিয়ে যায় স্ত্রীর গলি পার হয়ে চলে যাওয়া -

    "আসা-যাওয়ার মাঝখানে
    একলা আছ চেয়ে কাহার পথ-পানে ॥"

    সাক্ষী থেকে যায় সারাদিন ধরে এই নগর, সন্ধ্যের শাঁখ, সূর্যাস্তের সাথে উঁচু দাঁড়ে ফিরে আসা পায়রার দল আর এই মাথা গোঁজার ঠাঁই এই পুরনো স্যাঁতাপড়া বাড়িটায় চিরনবীন দুজনার ঘর গেরস্থালি।

    "কিছু বা সে মিলনমালায় যুগলগলায় রইবে গাঁথা,
    কিছু বা সে ভিজিয়ে দেবে দুই চাহনির চোখের পাতা।"

    কিন্তু 'বকুল-ঢাকা বনের ঘাসে' নয়, নগরসভ্যতার নির্মম পথের ঘর্ঘরচক্রে আমরা ওদের 'মনের কথার টুকরো' খুঁজে পাব আর বুকে তুলে নিয়ে বলব -

    আজকের মত এমন একটি দুর্লভ সকাল আবার আসবে না? আবার দেখা হবে না কালকে?
  • de | 24.139.119.173 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:১৯681434
  • ইস! সিনেমাটা দেখতে বড়ো ইচ্ছে করছে -

    কাজুর কথা মনে পড়ে গেলো --
  • শ্রী সদা | 113.19.212.21 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:২৬681445
  • ইয়েস। কাজুদা ফিরে এসো।
    আমি বোধয় সামনের হপ্তায় যাব দেখতে। লুরুতে দুটো হলে এসেছে, দুটোই বদখদ টাইমে।
  • maximini | 122.79.39.234 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:২৯681456
  • বহুত গ্য়াদগেদে ব্যাপার
  • | 77.98.72.126 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:৩১681467
  • লেখক আমাদের কাজু নয়তো?
  • Kaju | 131.242.160.210 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:৩৯681478
  • ইস নাম চেপে লিখলাম, তাও এত বাজে লেখা হল যে লোকে ধরেও ফেলল, আমি আর বদলালাম না। তবে বেশি আসব না আগের মত, শুধু এইটা লিখতেই এলাম। শনিবার নন্দনে দেখার পর আমার এতদিনকার স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষায় রাঙানো এই সিনে-কবিতাটাকে আমার নশ্বর শব্দে স্পর্শ করে আরো আপন করার লোভ সামলাতে পারলাম না, তাই সেটুকু লিখতেই আসা। নাম গোপন রেখেছিলাম সত্যিকার মূল্যায়ন পাবার জন্যে, তাও মাঠে মারা গেল। ঃ(

    তবে গুরুতে নিয়মিত হতে আসিনি কিন্তু, শুধু এই টইতেই এসেছি।
  • | 77.98.72.126 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:৪২681489
  • দেকেচো দেকেচো!! বড় হয়ে অমি ব্যোমকেশ হবো!!

    কাজু, আর রাগ করো না। মনোমালিন্য তো বন্ধু দের মধ্যেই হয় । প্লিজ আবার লিখতে শুরু করো। আমর সবাই তোমাকে মিস করি।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:৫১681500
  • লেখাটা কেমন হয়েছে সেটা নিয়েই কথা হোক প্লিজ। বা কিছু না বললেও কী আর করব। মনের টানে লিখলাম, ফেবুতে একটা গ্রুপে দিলাম, ভাবলাম এখানেও দিই।

    আমি ভাটে আর লিখব না তো আগেই বলেছি। রাগটাগ কিচ্ছু না, সত্যি। এমনিই লিখব না। শুধু এই টইতেই আছি। টই ডুবে গেলে আমিও চুপ। নীপা হয়েও নয়। ঃ)
  • | 77.98.72.126 | ২৯ জুন ২০১৫ ১৮:৫৩681511
  • ব্ন্ধু গন, কাজু কে আমাদের মধ্যে পাবার জন্যে এই টই কে ডুবতে দেওয়া যাবে না।

    প্লেন অ্যান্ড সিম্পুল!! ঃ)
  • সুশ্রুত সরখেল | 212.54.102.201 | ২৯ জুন ২০১৫ ২০:২৬681371
  • কাজুবাবুর জন্য এখেনেই ভাট হবে বুঝি?
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৯ জুন ২০১৫ ২০:৩৩681382
  • কাজুবাদাম আর কিসমিসের ব্যবস্থা রাখবেন প্লীজ। ঃ-)
  • Bratin | 122.79.38.232 | ২৯ জুন ২০১৫ ২০:৩৯681393
  • আটোজ আবার শুরু করেছে ঃ((
  • Du | 34.238.130.225 | ২৯ জুন ২০১৫ ২১:১১681404
  • খুব ভালো লাগলো পড়ে। সিনেমাটা একদিন দেখতে হবে, একা।
  • Kaju | 122.79.35.30 | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:০৯681415
  • না না এখানে ভাট কেন হবে, এখানে শুধুই 'আসা যাওয়ার মাঝে', আর কিচ্ছু নয়। আমি ভাবলাম আরো অনেকে কিছু বলবেন, দু-দি ছাড়া আর কেউ কিচ্ছু বললেন না সেই নিয়ে? খালি আমাকে নিয়েই সবাই পড়েছে। এই কি টইয়ের রীতি? নাকি আমি খুলেছি বলে ব্যতিক্রম?
  • Atoz | 161.141.84.102 | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:১৪681426
  • খুব ভালো হয়েছে লেখাটা। আমি তো আগে থেকেই অপেক্ষা করে আছি "আসা যাওয়ার মাঝে" দেখার। দেখি কবে পারি দেখতে।
  • সিকি | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:২৬681430
  • আয় ভাই কাজু, কোলে আয়।

    বড় ভালো লেখা হয়েছে।
  • | 183.17.193.253 | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:২৯681431
  • খুব সুন্দর লেখা হয়েছে কাজু। এই যে রোজকার খুঁটিনাটির মধ্যে জড়িয়ে থাকা ভালোবাসা, পাশাপাশি থাকার আকাঙ্খা এইসব আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কোনো না কোনো রূপে অবশ্যই এসেছে,আছে।
    কবে যে দেখতে পাবো সিনেমাটা ,ভাবছি।
  • Bratin | 122.79.38.209 | ২৯ জুন ২০১৫ ২২:৪৩681432
  • ফিরে এসো কাজু ভায়া
    সাথে নিয়ে সব মায়া!!
  • kumu | 11.39.32.139 | ২৯ জুন ২০১৫ ২৩:৫৩681433
  • কাজুর লেখা খুব সুন্দর, যদিও আযা মা দেখিনি তাও মনে হয় কাজু খুব ভালবেসে গভীর মায়া জড়িয়ে বর্ণনা দিয়েছে।
    তবে আমার প্রশ্ন হল ,কোন গল্প বলা হয়নি এই ছবিতে?শুধুই কিছু মুহূর্ত্তের ছবি?সংলাপও নেই একেবারে?শুধু এরা দুজনই অভিনয় করে?এদের রবিবার বিষয়ে কিছু বলা হয়েছে?
    ছবিটি দেখলে হয়তো আরো কিছু বলতে পারব।
    আর বাসবদত্তা থেকে বাসব কেন?বাসবী/দত্তা/পুরো নাম হলে মেয়ের নাম হিসেবে শুনতে বেটার লাগবে বোধহয়।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ৩০ জুন ২০১৫ ০০:০৪681435
  • শনিরবিবারে হয়তো ওরা একসঙ্গে থাকে সারাদিনরাত, হয়তো বেড়ায়, গঙ্গার ঘাটে, বা নৌকোয় চড়ে। হয়তো চিড়িয়াখানা, যাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেনে যায়। বা হয়তো রূপনারায়ণ দেখতে যায়।
  • saikat | 126.203.203.120 | ৩০ জুন ২০১৫ ০০:০৮681436
  • সিনেমা হিসেবে বলার কিছু নেই, দৃশ্যকাব্য নিয়ে আর কি। ডায়লগ নেই , আবার ট্রিকশট ও নেই, কিন্তু দিব্যি বসে দেখা যায়, কোনও অসুবিধেই হয়না। কিন্তু গল্পটা নিয়ে আছে। ক্যালভিনোর অরিজিনাল গল্পটায় কিন্তু দুজনেরই দেখা হত, সকালে ছেলেটি ফেরার সময়ে, যখ্ন মেয়েটি ঘুম থেকে উঠেছে/উঠবে বা সন্ধ্যেতে যখ্ন মেয়েটি ফিরেছে এবং ছেলেটি বেরিয়ে যাবে। কিছুক্ষণের সাক্ষাৎ আর তারপরই ছাড়াছাড়ি। এই সিনেমায় সম্পূর্ণ না দেখা দেখিয়ে, আমার ধারণা, অল্প একটু বাস্তবতাচ্যুতি ঘটেছে।

    আর কুমুদি যেমন বললেন, সপ্তাহান্তের ব্যপারে ক্যালভিনও নীরব, পরিচালকও।
  • kumu | 11.39.32.139 | ৩০ জুন ২০১৫ ০০:৪৮681438
  • ছবিটি সম্বন্ধে যা ধারণা হল তার ভিত্তিতে মনে হচ্ছে ছবির নামটিতে যদি আরেকটু কবিতা বা রহস্য থাকত?কাজু বলতে পারবে।
  • শ্রী সদা | 24.99.182.110 | ৩০ জুন ২০১৫ ০১:০১681439
  • আহা ক্ষী আনন্দ আজু
    আমাদের কাজু(দা)
    এসেছে ফিরে।
    বলি জনতারে
    (যেন) পালাতে না পারে
    ধরিও ঘিরে ...

    ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • শ্রী সদা | 24.99.182.110 | ৩০ জুন ২০১৫ ০১:০৫681440
  • মহীন আলাদা জিনিস। হায় ভালোবাসির শুরুতে পিয়ানো আর ভায়োলিনের প্রিলিউডটা শুনে এখনো সেই প্রথমবারের মতো গায়ে কাঁটা দেয়। আব্রাহাম মজুমদারের করা।
    তবে মহীন, চন্দ্রবিন্দু, আর কিছুটা পরশপাথর আর ক্যাকটাস বাদে বাংলা ব্যান্ডের ৯৫% কাজ ভূষিমাল।
  • শ্রী সদা | 24.99.182.110 | ৩০ জুন ২০১৫ ০১:০৬681441
  • সরি এটা ভুল করে পেস্ট হয়ে গেছে। অন্য সাইটে পোস্টাতে গিয়ে। ইগনোর মাডি।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ৩০ জুন ২০১৫ ০১:১১681442
  • "আজু কী আনন্দ কী আনন্দ
    ঝুলত ঝুলনে শ্যামরচন্দ"

    এটা কোথায় যেন ছিল!
  • নির | 212.78.26.26 | ৩০ জুন ২০১৫ ০১:২৮681443
  • রাজকাহিনী। বাপ্পাদিত্য। শোলান্কি রাজকুমারী।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ৩০ জুন ২০১৫ ০১:৩৩681444
  • থ্যাংকু নির। সেই শোলাঙ্কী রাজকুমারীকেই তো বাপ্পাদিত্য সারাজীবন খুঁজে খুঁজে শেষে আর পেল না? ঐ গানটা ছিল যোগসূত্র।
  • নির | 212.78.26.26 | ৩০ জুন ২০১৫ ০১:৫১681446
  • "...একশত বৎসর বয়সে বাপ্পার মৃত্যু হল। পূর্বদিকে—হিন্দুস্থানে তাঁর হিন্দু মহিষী, হিন্দু প্রজারা; পশ্চিমে ইরানীস্হানে তাঁর মুসলমানী বেগম আর পাঠানের দল; হিন্দুরা তাদের মহারাজকে চিতায় তুলে দিতে চাইলে, আর নৌসেরা পাঠানের দল তাঁকে মুসলমানের কবর দিতে ব্যস্ত হল। শেষে যখন একপিঠে সূর্যের স্তব আর একপিঠে আল্লার দোয়ালেখা প্রকাণ্ড কিংখাবের চাদর বাপ্পার উপর থেকে খুলে নেওয়া হল, তখন সেখানে আর কিছুই দেখা গেল না—কেবল রাশি-রাশি পদ্মফুল আর গোলাপফুল! চিতোরের মহারানী সেই পদ্মফুল বাণমাতাজীর মন্দিরে মানস-সরোবরের জলে রেখে দিলেন! ইরানী বেগম একটি গোলাপ ফুল শখের গুলবাগে খাসমহলের মাঝে গোলাপ ফুলের ফোয়ারার ধারে পুঁতে দিলেন; আর সেইদিন হিন্দুস্থান ও ইরানীস্হানের মধ্যস্হলে হিন্দুকুশ পর্বতের শিখরে হীরে-জহরতে মোড়া এক রাজার শরীর চিতার উপরে তুলে দিয়ে এক সন্ন্যাসিনী বললেন—“সখী, তোরা সেই গান গা।” চারদিকে চার সন্ন্যাসিনী ঘিরে-ঘিরে গাইতে লাগল—“আজ কি আনন্দ।”

    সন্ন্যাসিনী সেই শোলাঙ্কি-রাজকুমারী; আর সেই রাজদেহ বাপ্পার মৃতদেহ—দুজনে চিরদিন দুজনের সন্ধানে ফিরেছিলেন, কিন্তু ইহলোকে মিলন হয়নি।"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন