এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 161.141.84.176 | ৩০ জুন ২০১৫ ০২:০২681447
  • এই বাপ্পাদিত্য একজন গ্রেট ধর্মসমন্বয়কারী। এঁর তো হিন্দু মহারাণী আর মুসলমানী বেগম! কিংখাবের চাদরে একপিঠে সূর্যের স্তব আর একপিঠে আল্লার দোয়া লেখা!
    সম্ভাষণের ভাষার ব্যাপারটা নিয়ে একটু খটকা রয়ে গেল, এই আরকি। সেই যে গান আছে , "কী ভাষায় বলবো তোমায় তুমি আমার আমি তোমার", সেইরকম। ঃ-)
  • কল্লোল | 111.63.73.124 | ৩০ জুন ২০১৫ ০৭:৩৩681448
  • সদা রে - লুরুতে কোথায় চলছে ? অমি তো শুধুই বেলাশেষে খুঁজে পাচ্ছি। আসা যাওয়ার মাঝে কোথায় চলছে?
  • - | 109.133.152.163 | ৩০ জুন ২০১৫ ০৮:৫৯681449
  • সিনিমার সার থেকে যা বুজলুম, তা হোল, রোজ দেখা না হলেই দাম্পত্য সুন্দর; নইলে লঙ্কাকাণ্ড। রাবন্দা, মান্দুদি, বিভীষণ সকলের গপ্প তো এই গুরুতেই শুনতে পাই কিনা ঃ-))
  • কল্লোল | 111.63.73.124 | ৩০ জুন ২০১৫ ০৯:০৫681450
  • পেয়েছি। কোরমঙ্গলা ফোরাম পিভিআর - রাত ৮টায়। আজ যাচ্ছি।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ৩০ জুন ২০১৫ ১২:২২681451
  • লুরুতে তো দু জায়গায় -

    PVR Forum - 8:00 PM
    PVR Market City - 10:00 PM

    তাড়াহুড়োতেও লিখেও যে মোটামুটি মান রাখতে পেরেছি এতেই সন্তুষ্ট আমি।

    কুমুদি আপনার ঠিক এই রবিবারের প্রশ্নটা আমার মা-ও হলে পাশে বসেই আমাকে করেছিল। তো আমি বললাম - ধরে নাও না ওই যে একটা দিন বেরোনোর আগে হঠাৎ অপ্রত্যাশিত দেখা হয়ে গেল, কার্শিয়াং-এর ড্রিম সিকোয়েন্সটা, ওটাই ওদের এক চিলতে রবিবার। ওইটুকু মুহূর্ত তো গোটা একটা ছুটির দিনের চেয়েও যেন বেশি। এখানে তো শুধু একদিন আর পরের দিনের শুরুটুকুই দেখানো হল, বাকিটুকু আমরা ভেবে নিই আমাদের কল্পনার রঙে।

    আর পরে ফেবু নোটে তোলার সময় নামটা সব জায়গায় 'বাসবদত্তা'-ই করে নিলাম। তাড়াতাড়িতে ছোট করেছিলাম। তবে ওর বড়রা অনেকেই 'বাসব' বলেই থাকে।

    তবে এতে দু জায়গায় টাইপোতে ঘড়ি 'ঘরি' হয়ে গেছে আর ফেবু থেকে কপি পেস্ট করতে গিয়ে .... গুলো '।।।' হয়ে বসে আছে, অ্যাঃ !

    সবার ভালোবাসা পেয়ে আর সবার লেখাটা ভালো লাগছে শুনে খুব ভালো লাগছে। কাছেই আছি। ঃ)
  • kumu | 11.39.40.40 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৪:০৩681454
  • কাজু একটি মাত্র প্রশ্নের উত্তর দিল।
    ক্যালভিনোর গল্প(?)পড়া যায়?
    বাপ্পাদিত্যর গল্পটা খুব প্রিয়।ভাল লাগল তাই।
    ক্যামেরা নিয়ে কেউ কিছু বলুক।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৪:২২681455
  • ক্যামেরা শুধু চুপটি করে বসে থাকে, যতক্ষণ দেখে ততক্ষণ দেখায়। সূর্যাস্তের দিকে উদাস হয়ে চেয়েই থাকে, কোনো তাড়া নেই যেন। প্রতিটি খুঁটিনাটি ডিটেলে দেখায়। বাসবদত্তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনটে গলি পার হয়, ট্রামের শেষ সিটটায় ওর কেক খাওয়া লক্ষ্য করে, নেমে ২১৫এ ধরার সময় সঙ্গে সঙ্গে ওঠে বাসে, ঘড়ির বেল্টের নিচে ঠিক আমার মতই টিকেট গোঁজে, সে টিকিটের দিকে ভালো করে দেখে, নেবে ফেলে দেয়া টিকিট ফুরফুর করে হাত ছেড়ে উড়ে যাওয়া - তাকেও অবহেলা করে না। ঋত্বিকের সঙ্গে সঙ্গে চলে সাইকেলে। সকালে ঋত্বিকের ফিরতি সাইকেলের প্যাডলের দিকে তাকিয়েই থাকে, অপেক্ষা অন্য ভাষা পায় দর্শকের চোখেও। আর বাকি ছবি এঁকে দিয়ে যায় অ-সা-ধা-র-ণ সাউন্ডস্কেপ।
  • san | 113.252.218.183 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৪:৩১681457
  • কাজু হে - হবু দর্শকদের দেখার জন্যেও একটু বাকি রাখতে নাহয় :-) কি কি দেখবে আগে থেকে জেনে গেলে কি অভিঘাত ততটাই হবে ? হ্যাভিং সেইড দ্যাট , তোমার লেখাটা লেখা হিসেবে অবশ্য খুবই ভাল হয়েছে ।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৪:৩৭681458
  • হুম সে তো ঠিক, কিন্তু সবাই কি আর দেখতে পাবে? এর নাগাল পাওয়া খুব কঠিন, এমনি সিনেমা তো নয়, এই কটা মোটে জায়গায় চলছে। নেটে আসতেও দেরি, অথচ মুখ খুললেই সব বেরিয়ে পড়ে। ওইজন্যেই তো এটা রিভিউ নয়, আমার ব্যক্তিগত ভালোলাগা, উষ্ণতার অক্ষরমালায়।
  • kumu | 11.39.40.40 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৪:৪৬681459
  • আমি ঠিক্করলাম এই ছবিটা দেখব না। এত কথা শুনে মনে মনে যে ছবিটা বানিয়েছি আসলটা হয়তো তেমন না।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৪:৫১681460
  • আসলটা হুবহু এই রকম পড়্শুএন যা মনে হচ্ছে, এ কি বানিয়ে বা বাড়িয়ে বলা যায়? তাহলে কি এই ইম্প্যাক্ট হত? আমার হয়ত হত, কিন্তু অন্যদের? দেখে নিন কুমুদি, সম্ভব হলে, ঠকিবেন না। আর বড় পর্দায় দেখাই ভালো যা মনে হল, ওই সিনেমাটোগ্রাফি, ওই সাউন্ড ডিজাইন অনেকটাই খেয়ে যাবে কম্পুতে দেখলে।

    একটা কথা বলতে পারি, আমার বাবা আজ অব্দি কোনো সিনেমা দেখে এত উচ্ছ্বসিত হন নি ! এটা দেখে বেরিয়ে থেকে খালি বলছেন - "তুই জোর না করলে হয়ত অনেক অনেক কিছু হারিয়ে ফেলতাম।'
  • Kaju | 131.242.160.210 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৪:৫৪681461
  • *পড়েশুনে
  • de | 69.185.236.52 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৪:৫৬681462
  • বম্বেতে বোধহয় আসেনি - আমাকে উতুবেই দেখতে হবে।

    সবুরে মেওয়া ফলে-
  • Kaju | 131.242.160.210 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৫:২০681463
  • না না মুম্বইতে হচ্ছে তো, মুম্বাই আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তর খুব পছন্দের শহর, খালি পোশোংসা করে, না এসে পারে !

    Matterden CFC - 7:00 PM
    PVR Phoenix Mills - 1:00 PM
    PVR ECX Andheri - 8:30 PM
  • সিকি | ৩০ জুন ২০১৫ ১৫:২২681465
  • দুটোই বহুদূর। ধুস। ইউটিউবে এলে দেখব।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৫:২২681464
  • দিল্লিতে দুটো জায়গায়, শুধু PVR MGF Gurgaon - 7:25 PM নয় -

    DT Vasant Kunj - 9:10 PM
  • de | 24.139.119.171 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৬:০৪681466
  • আমার জন্যও অনেক দূরে - আন্ধেরি আর ওরলি তে এসেছে - উতুবই ভরসা!
  • kumu | 11.39.40.40 | ৩০ জুন ২০১৫ ১৬:২১681468
  • বসন্ত কুঞ্জ খুব দূর নয়।দেখি আসছে রোব্বার।বেয়াড়া টাইম কিনা--।
    আর সিকি তো নিজেই ড্রাইভ করে,তবে আবার দূর কিসের???আমি চালাতে জানলে এদ্দিনে ---
  • saikat | 126.202.202.168 | ৩০ জুন ২০১৫ ২২:৫১681469
  • কুমুদির জন্য। আর যারা যারা পড়বেন। ক্যালভিনোর গপ্পটা।

    http://tinyurl.com/oym9but

    যদিও গপ্প গপ্পই আর সিনেমা সিনেমা !
  • saikat | 126.202.202.168 | ৩০ জুন ২০১৫ ২৩:০৭681470
  • 99 পাতা থেকে গপ্পটা ....
  • kumu | 11.39.40.40 | ৩০ জুন ২০১৫ ২৩:২৪681471
  • সৈকতবাবু ,ধন্যবাদ।
  • কল্লোল | 111.63.84.31 | ৩০ জুন ২০১৫ ২৩:৩৬681472
  • দেখে এলাম।
    অসাধারণ অভিনয় ঋত্বিক আর বাসবদত্তার। ক্যামেরা আর সম্পাদনা বেশ উঁচু মানের বরং সেই তুলনায় আবহ বড় অবশ্যম্ভাবী। খুবই মাঝারী। তুমি যে আমার বা নিশিরাত বাঁকাচাঁদ খুব মোটা দাগের।
    অনেকদিন পরে কেউ ক্যামেরার এই কাব্যিক চলন দেখাতে সাহস করলেন। কিন্তু দিশাহীন। ক্যামেরার ঐ অতি ধীর চলনে প্যান কোথাও পরিনতি পায় না। শুকাতে দেওয়া গামোছা বা রংচটা ফাটা দেওয়ালে, শেষ হয়। এতে কিছু প্রতীক আরোপ করা যায় মাত্র। তবে তা নেহাৎই আরোপিত।
    দুঃখিত, সিনেমাটাকে ভালো বলা গেলো না। খুবই বিরক্তিকর জোর করে কথা না বলা।
    বা
    হয়তো পরিচালক বিভ্রান্ত গল্পের সময়পঞ্জী নিয়ে। এই ফিল্মটা ৬০দশকের মাঝামাঝি ফেলে দিলে অসাধারণ। কিন্তু মোবাইল আর তৃণমূলের দেওয়াল লেখা সব্বোনাশ করে দিলো। অথচ ঘরে টিভি নেই। একটা রেডিও আছে মনে হলো। কেউ চালায় না। হয়তো খারাপ। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।
    আর হ্যাঁ, এখন খবরের কাগজ বোধহয় ওভাবে ছাপা হয় না। চিন্টুবাবু ফান্ডা দাও।
    শেষে দুজনের দেখা হওয়ার জায়গাগুলো খুউউউব ভালো। প্রায় বার্গম্যান-তারাক্ভস্কি ঘরানা।
    পরিচালককে সামনে পেলে বলতুম, ভাই আপুনি বড় হইয়ে সত্যজিত-মৃণাল-ঋত্বিক-বার্গম্যান-তারাকভস্কি একসাথে হইবেন।

    আমার পরিচিত এক কবি সাংঘাতিক কবিতা লিখতেন - যার প্রথম লাইন শঙ্খ ঘোষের মতো, দ্বিতীয় লাইনে অলোকরঞ্জন প্রকট, তৃতীয় লাইনে শক্তি ভর করে আছেন, চতুর্থ লাইনে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কথা বলছেন। সে এক ভয়াবহ পাঠ।

    দুঃখিত, কাউকে দেখতে যেতে বলতে পারলাম না।
  • Bratin | 122.79.36.35 | ০১ জুলাই ২০১৫ ০৮:৫২681473
  • অ্যাই সৈকত ২, ভাটে এসো হে।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ০১ জুলাই ২০১৫ ১২:৩৩681474
  • যাক 'অসাধারণ অভিনয় ঋত্বিক আর বাসবদত্তার।' এটুকু অন্ততঃ পাওয়া গেল, অনেক আমার কাছে।

    'ক্যামেরার ঐ অতি ধীর চলনে প্যান কোথাও পরিনতি পায় না। শুকাতে দেওয়া গামোছা বা রংচটা ফাটা দেওয়ালে, শেষ হয়।' - এটার সাথে অনেকটাই সহমত, আমারও মনে হচ্ছিল। যেমন ঋত্বিকের বাড়ি ফিরে কেক খাবার জায়গাটায় রংচটা দেয়ালের দিকেই বেশি চোখ ক্যামেরার। শেষের প্রায় ২ মিনিট ধরে চলা সাইকেলের প্যাডলিঙে বাড়ি ফিরে দেখা হবার অপেক্ষাটা অতটা ক্লিয়ার লাগেনি, একটু ধরে নিতে হয়, ঋত্বিকের মুখের এক্সপ্রেশনও হালকা করে নিলে যেন ভালো হত। সূর্যাস্ত একটু বেশি যেন প্রলম্বিত।

    কিন্তু জোর করে কথা না বলা লাগেনি। একাই তো দুজনে এটাসেটা করে যাচ্ছে, দেখা হল শেষে, ওইটুকু সময় কথার চেয়ে নীরব দৃষ্টিবিনিময় অনেক কিছু বলে দেয়, এতটাই অপ্রত্যাশিত আর স্বপ্নাতীত সেইটুকু সময় যে কিছু আর বলার কথা হয়ত মনেই আসে না। শুধু নিঃশব্দ অনুভবে ভরে থাকা।

    মোবাইল তো স্রেফ এলার্ম বাজায়, কথা বলতে লাগে কই ওদের? টিভি রেডিও? কে দেখবে কে শুনবে, সময় কই দেখার? বাসবদত্তা ফিরেই তো সেলাই নিয়ে বসে গেল, আরো কত কাজ, সকালে চোখ খুলে থেকে একা অত কাজ সারা। আর এত একাকীত্বে টিভি দেখতেও কি ভালো লাগে? শুধু কাজের স্রোতে জীবনটা বয়ে নিয়ে যাওয়া। দৈন্যের ভ্রূকুটিতে টিভি-ও তো বিলাসিতা হয়ে যাবে।

    শুধু ক্যামেরার কিছু জায়গায় একটু ভুলের জন্যে সব নম্বর কেটে দেবেন? একদমই দেখার মত নয়?
  • কল্লোল | 135.16.17.194 | ০১ জুলাই ২০১৫ ১৬:০৯681475
  • কাজু। ফিল্মটি নিয়ে আমার মূল আপত্তি - কথা না বলাটা খুবই জোর করে করানো।
    দুজনের কাছেই মোবাইল আছে। ফলে দিনে বা রাতে অন্ততঃ খাবার সময়(ধরে নিচ্ছি কাজের সময় কথা বলার ফুরসত নেই) কথা বলাই যায়। এমনকি চাইলে "অ্যালার্ম"টা কথা বলেও দেওয়া যেতো। দুজনেই এমন নিরাসক্তভাবে মোবাইল কেটে দেয়, যেন কথা বলার ইচ্ছেই নেই। খুব অদ্ভুত লেগেছে আমার। আরও। শেষে যেখানে বাসবদত্তা কাজে বেরিয়ে যায় ঋত্বিক চেয়ে থাকে, একবার, একবার, একবারের জন্যও বাসবদত্তা ফিরে তাকায় না, যেন অন্য দিনগুলোর মতোই ঋত্বিক ওখানে নেই। এ কেমন ভালোবাসা? এ কেমন টান?
    টিভি চলতেই হবে একথা বলিনি। আসলে পরিচালক গল্পটির সময় নিয়ে বিভ্রান্ত। যে ভাষায় বেকারী, মালিকশ্রেণী, সরকারের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছিলো ও শেষ পর্যন্ত ইনকিলাব জিন্দাবাদে এটা স্পষ্টতঃই বামপন্থীদের প্রতিবাদ। এ ভাষায় বামপন্থীরা কথা বলতেন ১৯৭৭এর আগে। তারপরে ২০১১র পরে বললেও বলতে পারতেন। কিন্তু আজ তারা ঐ ভাষায় কথা বলেন না। টিভি নয় ঘরে রেডিও, অফসেট প্রেসের ছাপা যন্ত্র (যা কাজের শেষে হোসপাইপ দিয়ে ধুতে হয়) - এ সবই ৬০-৭০দশকের অনুষঙ্গ। অথচ মোবাইল, তৃণমূলের দেওয়াল লেখা, বাসে পাতলা কাগজের টিকিট (১৯৮০ এমনকি বোধহয় ১৯৯০তেও কম্পিউটারে ব্যবহার করা পাঞ্চ কার্ডের টুকরো থেকে ফুটো ফুটো টিকিট ব্যবহার হতো বেসরকারী বাসে), বাসবদত্তার কাজের যায়গায় ব্যাগের কার্ডবোর্ডের পেটিতে সাঁটা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্ট, এসবই সস্তার মোবাইল যুগের অনুষঙ্গ। মানে ২০০৩/৪/৫ যখন ৮০০০টাকা মাইনের মানুষের কাছেও চল্টা ওঠা মোবাইল আছে।
    আগেই লিখেছি এটা ৬০এর দশকের গল্প। যখন কথা বলার জন্য ঘরে ঘরে ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও ছিলো না। একটু ভাবা প্রাকটিস করলে পরিচালক মশয় এটা করে ফেলতেই পারতেন, তাহলেই একটা সত্যিকারের অসাধারণ ফিল্ম পেয়ে যেতাম আমরা।
    পরিচালকের সাহসের কথাও লিখেছি। বাংলা সিনেমায় আজকাল মিজ-আ-সিন কোথায় ? স্লো প্যন কে করে? রিয়েল টাইম শট কে নেয়? সিনেমার এ সব রত্নাবলী তারাকভস্কির পর উবে গেছে। আমি লিখেছি তো - শেষে দুজনের দেখা হওয়ার জায়গাগুলো খুউউউব ভালো।"প্রায় বার্গম্যান-তারাক্ভস্কি ঘরানা" - এটা ব্যাঙ্গ নয়।
    ব্যাঙ্গ করেছি এর পর - "পরিচালককে সামনে পেলে বলতুম, ভাই আপুনি বড় হইয়ে সত্যজিত-মৃণাল-ঋত্বিক-বার্গম্যান-তারাকভস্কি একসাথে হইবেন।
    আমার পরিচিত এক কবি সাংঘাতিক কবিতা লিখতেন - যার প্রথম লাইন শঙ্খ ঘোষের মতো, দ্বিতীয় লাইনে অলোকরঞ্জন প্রকট, তৃতীয় লাইনে শক্তি ভর করে আছেন, চতুর্থ লাইনে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কথা বলছেন। সে এক ভয়াবহ পাঠ।"
    এই সিনেমাটার অবস্থা ঠিক ঐ কবিতার মতন। কখনো সত্যজিত (স্লো প্যান), কখনো মৃণাল(ঘরের দৈনন্দিনতা), কখনো ঋত্বিক (ট্রামের ট্রলি), কখনো বার্গম্যান-তারাকভস্কি (ওদের দেখা হওয়া)। কিন্তু কোনটারই কোন পরিনতি নেই। ফল ভায়াবহ।
  • কল্লোল | 135.16.17.194 | ০১ জুলাই ২০১৫ ১৬:৪৫681476
  • ফিল্মটা নিয়ে লিখতে লিখতে অন্য একটা সম্ভাবনার কথা মনে হলো। এমন যদি হতো, এই মানুষ দুটি ভাষায় বিশ্বাস করে না। দরকারে অন্যের সাথে কথা বলতেই হয়, তাও যতটা পারা যায় কম (এরা কেউই সহকর্মীদের সাথে কাজ ছাড়া কথা বলে না), সেটা এক ধরনের আপোষ (যা আমরা করেই থাকি), কিন্তু নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময়ে এরা ভাষার আশ্রয় থেকে নিজেদের বার করে এনেছে। আজকের চিৎকৃত দুনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
    যাই হোক, সেটা কোথাও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। একটা ভাষাহীণ রোবিবার আসলে হতো।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ০১ জুলাই ২০১৫ ১৬:৫৬681477
  • মোবাইলের অ্যালার্ম তো, ফোন তো কেউ করেনি যে কেটে দেবে।

    বেরোনোর সময় বাসবদত্তা একবার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে 'আসি' এরকম একটা চাহনি দিল তো, সরু গলি থেকে ধোঁয়ার মধ্যে আর কেন তাকাবে?

    কিছু জায়গায় পুরনো ধ্যানধারণা কাজে লাগানো হয়েছে সেটা তো অবশ্যই। আদিত্য নিজেই বলেছেন নর্থ ক্যালকাটার যে এলিমেন্টগুলো দেখে বড় হয়েছেন সেগুলো এসে পড়েছে সিনেমায়। এই ব্যাপারগুলোয় আরেকটু সতর্ক হলে ভালো তো হতই। আদিত্য এখনো লোডশেডিং পছন্দ করেন, পুরনো স্যাঁতাপড়া বাড়ি গলি নিয়ে রোমান্টিসিজম আছে, আনস্মার্ট ফোনে নিজেই এখনো স্টিক করে আছেন।

    শুটিঙের সময়টা ২০১০-১১, তার পরে তো কখনোই নয়, এটা মোটামুটি সিওর, কারণ 'গানের ওপারে'-তে কাজ করতে করতে বাসবদত্তা এই সিনেমায় সিলেক্টেড হয়েছিল।

    চল্টা ওঠা মোবাইল এর ব্যাপারে - আমার নিজেরই যেমন এখনো একটা পুরনো মোবাইল আছে এখনো আর সেটায় কথাও বলা যায়, অ্যালার্ম দেয়াও যায়। সবাই যে দামী মোবাইলে শিফট করবে, এমন তো নাও হতে পারে। বিশেষ করে এরম আর্থিক অবস্থার দুজন মানুষ যদ্দিন ওরম মোবাইল চলে চালিয়েই যাবে। আজকাল হাতে হাতে স্মার্টফোন, তাই বলে কি আমার মত লোক নেই যে পাতি মোবাইল নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি? কেনার পয়সা থাকা বা না থাকাটা কারণ নয় সবসময়, এটা যার যার ব্যাপার। ওদের কাছে তার বেশি কিছু করা তো বিলাসিতা।

    কল্লোলদা খুব ভালো পয়েন্টগুলো এনেছেন। অন্য যাঁরা দেখেছেন তাঁরাও আলোচনায় আসলে ভালো হয়।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ০১ জুলাই ২০১৫ ১৭:০৬681479
  • এই সরি ২০১০-১১ ন ২০১১-১২ হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন