এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • ইসলাম ও ইসলামফোবিয়া

    3-dots
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ | ১৪৯২৫ বার পঠিত
  • প্যারিস থেকে চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিনঃ
    "এত ভয় আগে কখনও পাইনি। এত অসহায় আগে কখনও মনে হয়নি নিজেকে। মুম্বইতে যে রকম হামলা হয়েছিল, প্যারিসে হুবহু সে রকমই দেখলাম। মুম্বইয়ের ঘটনা টিভিতে দেখেছিলাম। ভয়ঙ্কর! এ বার প্যারিসে নিজেই সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেলাম। এমন জঘন্য কাজ কারা ঘটাতে পারে! কোন ধরনের মানুষ তারা? অথবা আদৌ মানুষ কি? আমার সত্যিই আতঙ্কের ঘোর কাটছে না। গোটা রাত ঘুমতে পারিনি। এখন কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ব, তেমন মানসিক স্থিতিতে পৌঁছতে পারছি না।"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্যাম | 208.7.62.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:১৪687919
  • তাতেও অনেক জটিলতা ছিল - ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস আর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি বিগত দুহাজার বছরে সরল প্রায় কখনৈ হয়নি :)
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:২৪687920
  • দুর্জনের অছিলার অভাব হয়না। :-)তবে এক্ষেত্রে প্রকাশ্য অছিলাটা কুয়েত দিয়েই শুরু, সে নিয়ে দ্বিমত নেই।

    আর জাতীয়করণের প্রতিকার, এটা অতো লিটারালি নেবার তো প্রয়োজন নেই। বিজনেসম্যানরা, আগেই লিখেছি, ঠিক প্রতিশোধ এ বিশ্বাস করেনা। ইরাক দখল করে অয়েল শকের প্রতিকারও হয়না। কিন্তু বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যে একটু ফাঁকা জায়গা, এক্সপ্যান্সান, প্রফিটের নতুন সুযোগ, এসব কোনো ব্যবসায়ীইই অনন্তকাল ফেলে রাখেনা। কাজেই জাতীয়করণ হল একটা ক্রিয়া, তার প্রতিক্রিয়ায় ওটা কোনোভাবে দখল করার চেষ্টা হতই। এই আর কি।
  • শ্যাম | 186.126.237.214 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:৩১687921
  • তাহলে ১৯৭৩এর জাতীয়করণের প্রতিকার করতে বাবা বুশের যুদ্ধ, এটা অন্তত ভুল দেখানো গেল। সাদ্দম কুয়েত অভিযান না করলে আদৌ গালফ ওয়ার হতোই না, উল্টে ইরাক আমেরিকার সাহায্য পেতে থাকতো।

    জাতীয়করন নিয়ে বাকি লেখাটা আপনার স্পেকুলেশন, ওটা নিয়ে আলোচনা জারি থাক।
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১০:১৪687922
  • এ নিয়ে তক্কো করে আর কি হবে। শুধু টাইমলাইনটা বলি। ইরাক ইরান যুদ্ধ শেষ হয় ১৯৮৮ সালে। গর্বাচেভ ক্ষমতায় আসেন ৮৫ তে, বার্লিন ওয়াল পতন ১৯৮৯ নাগাদ, ওই সময়েই সোভিয়েত হাত তুলে নেয় দুনিয়াদারি থেকে। ১৯৮৯ সালেই আমেরিকার সুযোগ এবং সুবিধে হয় ইরাক আক্রমণের। তার আগে সম্ভব ছিলনা। (সোভিয়েতটা গুরুত্বপূর্ণ, মনে রাখবেন ওটি ছিল বলেই ভারতের বাংলাদেশ অভিযানের পর ভারতের অবস্থা ইরাকের মতো হয়নি)। এবং সুযোগ পাবার পর এক বছরও অপেক্ষা করা হয়নি। ফলে গালফ ওয়ার অনিবার্যই ছিল। এটা আমার বক্তব্য বা স্পেকুলেশন।

    আর সাদ্দাম কুয়েত আক্রমণ না করলে বাকিগুলো কিছুই হতনা, এটা আপনার বক্তব্য বা স্পেকুলেশন। হার্ড প্রমাণ তো কোনো পক্ষেই কিছু নেই, ফলে ঠিকই আছে।

    তবে "প্রতিকার" বলতে যেটা বুঝেছেন, সেটা অবশ্যই আমার বোঝানোর ভুল। আগের পোস্টে সেটা ব্যাখ্যা করেছি।
  • শ্যাম | 208.7.62.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৩৮687923
  • হ্যাঁ, এটা বোঝানোর জন্যই আমার পোস্টগুলো করা যে এগুলো সবই স্পেকুলেশন।

    "১৯৭৩ এ জাতীয়করণের যে "অন্যায়" করা হয়েছিল, তার শোধ তুলতে দুখানা ইরাকি যুদ্ধ হবে, এবং দুটোই হবে, বাবা ও ছেলে বুশের জমানায়।"

    আর

    "প্রতিশোধ কথাটা ঠিক লিখিনি। ব্যবসায়ীরা প্রতিশোধ নেবার জন্য কিছু করেনা। সবই হিসেব নিকেশের খেলা। ওটা "প্রতিকার" লিখলে ভালো হত। তেল জাতীয়করণের অপরাধের "প্রতিকার"।"

    - স্রেফ স্পেকুলেশন, হার্ড এভিডেন্স তো নেইই, উল্টে বাবা বুশের জমানায় হোয়াইট হাউসের রিলিজ করা ডকুমেন্টেড এভিডেন্স দেখায় যে সাদ্দাম কুয়েত দখল না করলে বাবা বুশের ইরাক যুদ্ধের ওভার্ট মতলব ছিলনা।

    আর টাইমলাইন তুলে ধরে যদি বলা হয় এই দেখুন ঘটনাক্রম তাই এই ছিল কারন, তাহলে সেই পুরনো কথাটাই আবার রিপিট করতে হয় correlation does not imply causation.
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৫১687924
  • রিলিজ করা ডকুমেন্টটা ভদ্র ভাষায় সতর্কবাণী। বন্ধুত্বের নিদর্শন নয়। "আপনি আমার খুবই বন্ধু, কিন্তু এরকম অসভ্যতা করলে চাঁটি খাবেন" ধরণের। একটু ভালো করে পড়ে দেখুন।

    আর ইতিহাস ঠিক অঙ্ক নয়। সেখানে ঘটনাক্রম দেখেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হয়। উপপাদ্য বলে কিছু হয়না। ইতিহাসের ছাত্র মাত্রেই এটা জানেন। সোভিয়েত ভারতের বন্ধু ছিল, আর বাংলাদেশ যুদ্ধে সময় আমেরিকা কোনো ভারতবিরোধী পদক্ষেপ নেয়নি, এ দুটোও কোরিলেশনই। যেমন সাদাম কুয়েত আক্রমন না করলে বাকি কিছুই ঘটতনা -- এটা স্পেকুলেশন।

    তা, স্পেকুলেশন, যৌক্তিক সিদ্ধান্ত এসব চলবেই এই ক্ষেত্রে।
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৫৬687925
  • তবে ডকুটার জন্য ধন্যবাদ। ইন্টারেস্টিং। জমিয়ে রাখলাম। বাকিরাও দেখুন।
    http://fas.org/irp/offdocs/nsd/nsd26.pdf
    বাকি তক্কো, যদি কিছু থাকে, তো কাল। ইরান নিয়ে লেখাও।
  • শ্যাম | 208.7.62.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১১:১০687926
  • রিলিজ করা ডকুমেন্টটা ভদ্র ভাষায় সতর্কবাণী। বন্ধুত্বের নিদর্শন নয়। "আপনি আমার খুবই বন্ধু, কিন্তু এরকম অসভ্যতা করলে চাঁটি খাবেন" ধরণের।

    একমত, তবে মিডল ইস্ট ডিপ্লোমেসিতে যেখানে অনেকগুলো জিওপলিটিকাল ইন্টারেস্ট প্লে করছে সেখানে এর থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আর কিছু এক্সপেক্ট করা যেতনা। বাবা বুশের অন্য মতলব থাকলে ইন ফ্যাক্ট ওয়ার্ডিং অন্যরকম হতো, তার উদাহরন ঠিক পরের প্যারাতেই পাবেন যেখানে শত্রু ইরানকে নিয়ে কমেন্ট করা হয়েছে।

    ইতিহাস অঙ্ক না, সেও বটে। তবে সবকটা সম্ভাবনা হিসেবে না এনে ইনটারপ্রেট করলে ফলস কজেশন বার করার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়।

    সাদ্দাম কুয়েত আক্রমন না করলে প্রথম গালফ ওয়ার হতো না এটা স্পেকুলশন না, ফ্যাক্ট। অবভিয়াসলি।

    আর তার পর কোভার্ট অভিযান ঘটলেও ওভার্ট কিছু হতো না, ইন ফ্যাক্ট সোবিয়েতের পতনের পরেও যেহেতু ইরান আমেরিকার শত্রুই ছিল তাই ইরাককে সাপোর্ট করার বেশী চান্স ছিল। স্পেকুলেশন।
  • PM | 116.78.124.65 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১৩:০১687927
  • আমার আগের পোস্টে আমি দুটো পয়েন্ট বলেছিলাম গাল্ফ যুদ্ধের জন্য। প্রথমতঃ ইরাকের কুয়েত আক্রমন যা গুরুজনেরা পরে বিশদে ব্যখ্যা করেছেন।

    দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো ডলারকে তেল বানিজ্যে ট্রেড কারেন্সি হিসেবে ব্যবহার না কারর সম্ভবনা। যেটাকে গুরুজনেরা খুব গুরুত্ব দেন নি। এই পয়েন্টটা আমি একটু হাইলাইট করতে চাই যাতে হয়তো ইরাকের ২য় যুদ্ধ এবং লিবিয়ার যুদ্ধের বড় কারনও পরিস্কার হবে-

    Iraq says that from now on, it wants payments for its oil in euros, despite the fact that the battered European currency unit, which used to be worth quite a bit more than $1, has dropped to about 82[cents]. Iraq says it will no longer accept dollars for oil because it does not want to deal "in the currency of the enemy."
    TIME -Nov'00

    http://content.time.com/time/magazine/article/0,9171,998512,00.html

    "While the US invasion of Iraq about a decade ago was based on public-facing lies about nonexistent weapons arsenals, the underlying reasons for the invasion were much more dire. Iraq had found the US’ Achilles Heel, and would bankrupt the US if not stopped"

    http://falkvinge.net/2012/10/06/the-us-invaded-iraq-because-it-wouldnt-have-survived-otherwise/

    ডলার তেলের ট্রেড কারেন্সি না থাকলে কি ইম্প্যাক্ট -সহজ ভাষায়-

    Thus it was, that nearly 30 years after the petro-dollar had become the world’s arrangement, the first major oil-producer stood up to challenge U.S. dollar hegemony. Yes, our old ally Saddam Hussein of Iraq, had announced that he intended to ditch U.S. dollars, in favor of the Euro, for Iraq’s oil payments. Do take notice of the date on that Time story announcement, provided in the link above: November 13, 2000. This was a very serious challenge to the arrangement, and D.C. knew it.

    - Foreign nations would begin sending a flood of U.S. dollars back to the United States in exchange for the new currency needed for oil.
    - The Federal Reserve would lose their ability to print more dollars to “solve” America’s economic problems.

    - The Treasury Secretary and the Federal Reserve Chairman would meet to determine the best course of action.
    That action would involve an immediate and dramatic increase in interest rates to reduce America’s money supply.
    Hyperinflation would ensue temporarily while the interest rates took time to take full effect.

    -All oil-related prices, including gas prices, would reach outrageous levels.

    -Washington would soon realize that the total amount of money in the system would have to be dramatically slashed even further, leading to an even higher increase in interest rates.

    -The clueless American public would demand answers. Those on the left would blame the right. The right would blame the left. And both political parties would seek to blame the Federal Reserve.

    -People with adjustable rate debts would be crushed and massive layoffs would occur as businesses would be suffering from the high interest rates.

    -Asset prices across the board would plummet in value.”

    http://thewealthwatchman.com/supreme-excellence-pt-4-what-you-werent-told-about-the-iraq-war/

    এটাও পড়ে দেখতে পারেন-

    http://www.countercurrents.org/iraq-chapman310704.htm
  • . | 208.7.62.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:৫৪687931
  • চীন সত্যি সত্যি ডলারকে অ্যাবান্ডন করবে কিনা সেটা পরিষ্কার না। এই মুভগুলো ওদের দিক থেকে কিছুটা পশ্চারিংও হতে পারে, কিছুটা অ্যালায়েন্স বিল্ডিংও হতে পারে, কিছুটা কিপিং অল অপশনস ওপেনও হতে পারে। কারন চীনের কাছে যা ডলার রিজার্ভ আছে তাতে চাইলে এখনই ডলার ক্রাইসিস শুরু করে দিতে পারে। কিন্তু সেটা করলে চীনের নিজের ট্রেডও বড়োরকম অ্যাফেক্টেড হবে, সেটা চীন এই সময়ে চায় না।

    গ্লোবাল কারেন্সি কি হতে পারে আর কেন, এই নিয়ে কয়েকদিন আগে এনডিটিভি তে একটা চমত্কার বিশ্লেষন দেখছিলাম। আলোচনা হচ্ছিল প্রণয় রায়, রঘুরাম রাজন আর অর্ভিন্দ সুব্রমনিয়ামের মধ্যে।
  • দ্রি | 195.65.135.227 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২১:২৯687932
  • "সাদ্দাম কুয়েত আক্রমন না করলে প্রথম গালফ ওয়ার হতো না এটা স্পেকুলশন না, ফ্যাক্ট। "

    এখানে একটা ক্থা আছে। সাদ্দাম যুদ্ধে যাওয়ার কয়েক দিন আগে ইউ এস অ্যাম্বাস্যাডার এপ্রিল গ্লাসপির সাথে একটা মিটিং করে বেশ ফ্র্যাঙ্ক আলোচনা করেন, এবং কুয়েত আক্রমণে ইউ এস পোজিশান কি হবে সেটা বোঝার চেষ্টা করেন। সেই আলোচনায় গ্লাসপি কিন্তু সাদ্দামকে সম্পূর্ণ মিসলীড করেন।

    ২৩শে সেপ্টেম্বর ১৯৯০, নিউ ইয়র্ক টাইমস

    In a meeting with Mr. Hussein in Baghdad on July 25, eight days before the invasion, Ms. Glaspie urged the Iraqi leader to settle his differences with Kuwait peacefully but added, ''We have no opinion on the Arab-Arab conflicts, like your border disagreement with Kuwait,'' according to an Iraqi document described as a transcript of their conversation.

    http://www.nytimes.com/1990/09/23/world/confrontation-in-the-gulf-us-gave-iraq-little-reason-not-to-mount-kuwait-assault.html?pagewanted=all

    কথোপকথনের একটা বড় ট্রান্সক্রিপ্ট পাওয়া যাবে এইখানে, http://www.jrbooksonline.com/PDF_Books/Hussein_Ambassador_Glaspie_Interview-7_25_90-8pg-POL.pdf, যেটা পড়লে পরিস্কার হবে সাদ্দাম খুব অর্থনৈতিক চাপে ছিল, বেশী অয়েল প্রাইস চেয়েছিল, যেটা আমেরিকা দিতে রাজি হয়নি, জেড্ডা অ্যাকর্ড ভায়োলেশানে বিরক্ত ছিল এটসেট্রা। আমেরিকাকে সাথে রাখতে চেয়েছিল যুদ্ধের আগে। আমেরিকা যে রাজি নয় সে ব্যাপারে কোন ক্লিয়ার ইন্ডিকেশান গ্লাসপি দেননি, বরং উল্টোটাই।

    আমেরিকা তো এত প্রিন্সিপল্‌ড দেশ নয় যে, কোন দেশকে আক্রমণই বরদাস্ত করবে না। ইরাক যখন ইরানকে আক্রমণ করেছিল, আমেরিকার তাতে আপত্তি ছিল না, বরং তোল্লাই দিয়েছিল। তাই ইরাক বুঝতে চেয়েছিল কুয়েত আক্রমণে আমেরিকার কোন ক্যাটেগোরিকাল না আছে কিনা। সেরকম কোন ইন্ডিকেশান সাদ্দাম পয় নি।

    তো, ইন আ সেন্স, আমেরিকাই ইরাককে মিসলীডকে করে যুদ্ধে যাওয়ার ফলস হোপ দিয়ে পরে ডাব্‌ল ক্রস করে।
  • শ্যাম | 208.7.62.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২১:৪০687933
  • তো, ইন আ সেন্স, আমেরিকাই ইরাককে মিসলীডকে করে যুদ্ধে যাওয়ার ফলস হোপ দিয়ে পরে ডাব্‌ল ক্রস করে।

    উফ এটা অসাধারন। বেচারা সরল শিশুটাকে কুচক্রী আমেরিকা ভুলিয়ে ভালিয়ে ফাঁদে ফেলে দিল :d

    কনস্পিরেসি থিয়োরি হো তো অ্যায়সা :d
  • দ্রি | 15.196.72.100 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২১:৫১687934
  • যাই হোক, ঈশেন কিন্তু (কিছুটা তাড়াহুড়ো করেই) বেশ কিছু ইম্পর্ট্যান্ট ইনফো পেশ করেছে। ওর থিওরী কারো ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু তথ্যগুলো জেনুইন। ঈশেনের থিওরি পছন্দ না হলে তথ্যগুলোকে গেঁথে নিজের থিওরি বানিয়ে নিন, আনুসঙ্গিক তথ্য জোগাড় করুন, তথ্যের ডিটেল বার করুন ইত্যাদি। শ্যাম, পি এম এরাও তথ্য সাপ্লিমেন্ট করেছেন। কথা আরো এগোক।

    এই লাইনটা মোটামুটি স্যাচুরেট করে গেলে আমি একটু ভিন্ন কিন্তু রিলেটেড প্রসঙ্গ উত্থাপন করব।
  • দ্রি | 15.196.72.100 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২১:৫৩687935
  • শ্যাম আপনি কি পিডিএফটা পড়ে বললেন? নাকি আমার ঐ একটা লাইনই পড়লেন?
  • দ্রি | 15.196.72.100 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২১:৫৪687936
  • We have no opinion on the Arab-Arab conflicts, like your border disagreement with Kuwait,

    এই কথা বলেছিলেন গ্লাসপি। এর মানে কি?
  • শ্যাম | 208.7.62.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:০৭687937
  • দ্রি, আপনি লিংক আর নিউজ রিপোর্টটা দেবার বেশ কিছুদিন আগেই আমি ওগুলো পড়েছি। তার থেকে এরকম কনক্লুশন টানতে পারিনি যে আমেরিকা ইরাককে ফলস হোপ দিয়ে পরে ডাবল ক্রস করেছিল। ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি জাস্ট ডাসন্ট ওয়ার্ক দ্যাট ওয়ে। আর তাছাড়াও সাদ্দাম কুয়েত আক্রমন না করলে অ্যামেরিকার কোভার্ট সাপোর্ট পেতে থাকতো কারন অ্যামেরিকা ইরানের এগেন্স্টে ইরাককে লেভারেজ করত, সেটাও বাবা বুশের ডাইরেক্টিভে আছে। অ্যাট লিস্ট ইন দ্য শর্ট টার্ম, কারন মিডল ইস্টের জিওপলিটিকাল ইন্টারেস্টগুলো ফ্র্যাজাইল। সরি, আপনি যেরকম আর্মচেয়ার থিওরাইজিংএ স্পেসালাইজ করেছেন সেটা আমি করতে পারিনি।
  • dd | 116.51.225.58 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:০৭687938
  • এতো কবিতা হয়ে গেলো। ঐ এক লাইন থেকে কে কী ইন্টারপ্রেট করবে কেউ জানে?

    আমি তো কনফ্লিক্ট আর ওয়ারের মধ্যে তফাৎ খুঁজবো। মানে ঝগড়া (কনফ্লিক্ট) হলে বাপু আমি নেই তবে মার্পিট (ওয়ার) হলে আমি কিন্তু বসে থাকবো না।

    "বর্ডার ডিসএগ্রিমেন্ট"এর কি একটাই আউটকাম - যুদ্ধ? তাহলে তো দুনিয়ার সব দেশই সারাক্ষন যুদ্ধ করতো?

    এটা এমন কিছু কমিটমেন্ট নয় যে ইরাক ,ও হো, তাহলে তো বড়দা বলেই দিয়েছে বলে অবুঝ ছেলের মতোন কুয়েতকে স্রেপ দখল করে নেবে।
  • দ্রি | 15.196.72.100 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:১৭687940
  • "তাছাড়াও সাদ্দাম কুয়েত আক্রমন না করলে অ্যামেরিকার কোভার্ট সাপোর্ট পেতে থাকতো কারন অ্যামেরিকা ইরানের এগেন্স্টে ইরাককে লেভারেজ করত"

    সাদ্দাম ঠিক এই জিনিষটাই বুঝছে চেয়েছিল গ্লাসপির সাথে কথায়। এমনও তো হতে পারত কুয়েত আক্রমণ করার পরেও আমেরিকার কোভার্ট সাপোর্ট পেত ইরাক, যেমন ইরান আক্রমণের পর পেয়েছিল। কিসে সাপোর্ট পাবে বা পাবে না সেটা তো আমেরিকাকে বলতে হবে। আমেরিকা যদি এমন ইন্ডিকেশান দেয় যে কুয়েত আক্রমণ করায় আমার কিছু যায় আসে না, তাহলে ইরাক কুয়েত আক্রমণ করার ডিসিশান নিতেই পারে।
  • দ্রি | 15.196.72.100 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:১৮687941
  • ডিডিদা এক লাইন নয়। আগে পিছে অনেক লাইন আছে। পুরোটা পড়ুন।
  • দ্রি | 15.196.72.100 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:২১687942
  • বুশের বাবার ডায়্রেক্টিভ তো ইরাকের জানার কথা নয়। আমরিকার মনে কি আছে সেটা রিয়েল টাইমে জানতে হলে রাষ্ট্রদূতকেই ডেকে পাঠাতে হয়। বুশের বাবার ডাইরেক্টিভ রিয়্ল টাইমে জানা যায় না। ওগুলো অনেক পরে বেরোয়।
  • শ্যাম | 208.7.62.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:৩০687943
  • বুশের বাবার ডায়্রেক্টিভ তো ইরাকের জানার কথা নয় - ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেলস। সেজন্যই বল্লাম ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি জাস্ট ডাসন্ট ওয়ার্ক দ্যাট ওয়ে।

    সাদ্দাম ঠিক এই জিনিষটাই বুঝছে চেয়েছিল গ্লাসপির সাথে কথায় - ইন দ্যাট কেস হি মেড এ ফ্যাটাল মিসটেক ইন ইনটারপ্রেটেশন অ্যান্ড পেইড দ্য প্রাইস। তবে আবারো বলি, এগুলো ওয়াইল্ড থিওরাইজিং এর ডোমেনে চলে যাচ্ছে। হুইচ ইস নট রিয়েলি মাই স্পেসালিটি। এই তর্ক আমার দিক থেকে এখানেই শেষ করলাম।
  • দ্রি | 209.87.154.255 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:৩২687944
  • Iraq came out of the war burdened with $40 billion debts, excluding the aid given by Arab
    states, some of whom consider that too to be a debt although they knew -- and you knew
    too -- that without Iraq they would not have had these sums and the future of the region
    would have been entirely different .
    We began to face the policy of the drop in the price of oil . Then we saw the United
    States, which always talks of democracy but which has no time for the other point of
    view . Then the media campaign against Saddam Hussein was started by the official American
    media . The United States thought that the situation in Iraq was like Poland, Romania or
    Czechoslovakia . We were disturbed by this campaign but we were not disturbed too much
    because we had hoped that, in a few months, those who are decision makers in America would
    have a chance to find the facts and see whether this media campaign had had any effect on
    the lives of Iraqis . We had hoped that soon the American authorities would make the
    correct decision regarding their relations with Iraq . Those with good relations can
    sometimes afford to disagree .
    But when planned and deliberate policy forces the price of oil down without good
    commercial reasons, then that means another war against Iraq . Because military war kills
    people by bleeding them, and economic war kills their humanity by depriving them of their
    chance to have a good standard of living . As you know, we gave rivers of blood in a war
    that lasted eight years, but we did not lose our humanity . Iraqis have a right to live
    proudly . We do not accept that anyone could injure Iraqi pride or the Iraqi right to have
    high standards of living .
    Kuwait and the U .A .E . were at were at the front of this policy aimed at lowering Iraq
    position
    and depriving its people of higher economic standards . And you know that our relations
    with the Emirates and Kuwait had been good . On top of all that, while we were busy a wa
    the state of Kuwait began to expand at the expense of our territory .
    r
    You may say this is propaganda, but I would direct you to one document, the Military
    Patrol Line, which is the borderline endorsedby the Arab League in 1961 for military
    patrols not to cross the Iraq-Kuwait border .
    But go and look for yourselves . You will see the Kuwaiti border patrols, the Kuwaiti
    farms, the Kuwaiti oil installations -- all built as closely as possible to this line to
    establish that land as Kuwaiti territory .

    এইটা ছিল সাদ্দামের মেইন গ্রাইপ। এবং গ্লাসপির সাথে কথোপকথনে এইটা বলে আমেরিকার সিমপ্যাথি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল সাদ্দাম। এবং শেষে মনে করেছিল সেই সিমপ্যাথি সে পেয়েছে।
  • দ্রি | 209.87.154.255 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:৩৯687945
  • GLASPIE : Mr . President, not only do I want to say that President Bush wanted better and deeper
    relations with Iraq, but he also wants an Iraqi contribution to peace and prosperity in
    the Middle East . President Bush is an intelligent man . He is not going to declare an
    economic war against Iraq .
    You are right . It is true what you say that we do not want higher prices for oil . But I
    would ask you to examine the possibility of not charging too high a price for oil .
    HUSSEIN : We do not want too high prices for oil . And I remind you that
    in 1974 I gave Tariq Aziz the idea for an article he wrote which
    criticized the policy of keeping oil prices high . It was the first Arab
    article which expressed this view .

    TARIQ AZIZ : Our policy in OPEC opposes sudden jumps in oil prices .
    HUSSEIN : Twenty-five dollars a barrel is not a high price .
    GLASPIE : We have many Americans who would like to see the price qo
    above $25 because they come from oil-producing states .

    HUSSEIN : The price at one stage had dropped to $12 a barrel and a reduction in the modest
    Iraqi budget of $6 billion to $7 billion i
    disaster .
    GLASPIE : I think I understand this . I have lived here for years . I admire your
    extraordinary efforts to rebuild your country . I know you need funds . We understand that
    and our opinion is that you should have the opportunity to rebuild your country . But we
    have no opinion on the Arab-Arab conflicts, like your border
    disagreement with Kuwait .
    I was in the American Embassy in Kuwait during the late 60's . The
    instruction we had during this period was that we should express no
    opinion on this issue and thatthe issue is not associated with
    America . James Baker has directed our official spokesmen to emphasize
    this instruction . We hope you can solve this problem using any suitable
    methods via Klibi or via President Mubarak . All that we hope is that
    these issues are solved quickly . With regard to all of this, can I ask you to see how the issue appears to us?
  • দ্রি | 209.87.154.255 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:৪৪687946
  • ইন দ্যাট কেস হি মেড এ ফ্যাটাল মিসটেক ইন ইন

    সে তো বটেই! ফেটাল বলে ফেটাল।

    কিন্তু যে কথার ইন্টারপ্রিটেশান, তাতে অসততা তো ছিলই।
  • দ্রি | 209.87.154.255 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:৫৩687948
  • "ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি জাস্ট ডাসন্ট ওয়ার্ক দ্যাট ওয়ে।"

    এগ্রীড। ডিপ্লোম্যাসি ইজ অফেন ফ্রেট উইথ ব্যাকস্ট্যাবিং। অ্যান্ড ইট হ্যাপেন্‌ড ইন দিস কেস।

    তবে হ্যাঁ, ওসব তো ডিপ্লোম্যাসি বলে একটা শ্রাগ করা যায়।
  • দ্রি | 209.87.154.255 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:৫৫687949
  • *ফ্রট
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন