এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মালদা রায়ট ও বুদ্ধিজীবিদের অদ্ভুত নীরবতা

    3-dots
    অন্যান্য | ০৭ জানুয়ারি ২০১৬ | ২৫০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ... | 74.233.173.198 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৬:১৬689168
  • মালদা তে 'pissful' ২-৩ লক্ষ তাজা ছেলে থানা ভাংচুর, গাড়ি পোড়ানো, পুলিশকে মারধর, সরকারী সম্পত্তি ধ্বংশ, রাস্তা অবরোধের মত 'ছোটখাটো' দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল, কিন্তু তা নিয়ে পা চাটা দালাল বুদ্ধিজীবী, তিনো, সিপিএম কারো কোনো বক্তব্য নেই। নেই অ্যাওয়ার্ড ওপসি ও। এখনো তারা অতীত স্মৃতি নিয়ে হিরাভ toi তে জাবর কেটে চলেছেন।
  • PP | 174.67.157.114 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৮:২৫689179
  • ধুর মশাই প্যাচাল পারেন ক্যান? ওপসি টোপ্সি নয়। ও এট্টু হোয়ে থাকে মাইনরিটি বোলে কতা এট্টু স্বাধীনতা থাকবে না?
  • dadri | 233.196.163.153 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৮:৩৪689190
  • দাদরি খুন নিয়ে বানী দিয়েচিলেন? মুজপ্ফরনগর গনহত্যা?
  • ranjan roy | 24.96.180.219 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:৩৫689201
  • দাদরি বা মুজফরপুর গণহত্যা নিয়ে বাণী না দিলে মালদা নিয়ে দেওয়া যাবে না --এ কেমন ফরমান?
    তিনটেই নিন্দনীয়।
    আর পুরস্কার ফেরত দেওয়া হয়েছিল শুধু একটি বা দুটি ঘটনা নিয়ে নয়, লাগাতার সরকার পক্ষীয়দের কুৎসিত ক্যাম্পেনের প্রতিবাদে।
    দাদরি-মুজফরনগর- কলবুর্গি ও দাভোলকর হত্যা , অন্যদের ব্লগার হত্যার মত করে থ্রেট এবং সেগুলোকে লাগাতার শাসকদলের এমপি/বিধায়কদের জাস্টিফাই করা ও জনতাকে ওসকানোর প্রতিবাদে।
  • bip | 81.244.130.85 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:৪২689212
  • কালিয়াচকের দাঙ্গার এত ছবি-এত আস্ফালন চারিদিকে-এই প্রবন্ধটা লিখতে বাধ্য হলাম।
    মালদহের ওই দাঙ্গা নিয়ে লিখছি না। লিখছি-কিশোর বয়সে নদীয়া মুর্শিদাবাদ বর্ডারে দাঙ্গার অভিজ্ঞতা নিয়ে। কারন এই পরজীবি কোলকাতাবাসীদের ন্যাকামো আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
    সেটা বোধ হয় ১৯৮৬ বা ৮৭। আমি ক্লাস সেভেন এইটে পড়ি।

    আমার বাড়ি ছিল করিমপুরে। এটা বর্ডার এরিয়ার স্মাগলিং টাউন। তুলো চিনি প্রতিদিন পাচার হত বাংলাদেশে। মুসলমানরা বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারে মাল-এপার -ওপার করে । হিন্দুরা তাদের বিজনেসে টাকা খাটায়। এমনিতে স্মাগলাররা ভাই ভাই। কিন্ত বাটোয়ারা নিয়ে বাওয়াল হলে দুচার পিস লাশ থানায় ঢোকে।
    এইভাবে এক হিন্দু ব্যবসায়ীর লাশ ফেলল একদিন। মোস্ট লাইকলি লোকটা স্মাগলিং এ টাকা খাটাত-আমাদের করিমপুরের খরে নদী পেরিয়েই মুর্শিদাবাদ। সেখানে ১০০% মুসলিমদের বাস। লোকটার বোধ হয় টাকা মার গেছিল-সে আদায় করতে গিয়ে ঝগড়া বা কিছু একটা গন্ডোগল হয়-এবং কিছুদিন বাদে বক্সীপুরের গ্রামগুলো থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার । ফলে প্রাথমিক ভাবে একটা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা কিছুদিন ধরে শহরে চলছিল। এদিকে করিমপুর শহরে যারা দিন মজুর, বিজনেসে ডেইলি লেবার-তারা সবাই মুসলমান এবং আসে ওপার থেকেই। করিমপুর শহরে আবার একটাও মুসলিম নেই। আমাদের সময় তিন হাজার দোকান ছিল-একটা মুসলমানের দোকান ও দেখি নি। ফলে শহরের মধ্যে মুসলিম লেবাররা ছিল ভালনারেবল। এই উত্তেজনা চলার তিন দিনের মাথায়-করিমপুর শহরে কোথাও জনাচারেক মুসলিম লেবারকে পেটানো হয়-ওই খুনের প্রতিশোধ হিসাবে। ওই সময় ওখানে আর এস এস বা হিন্দুদের কোন সংগঠন ছিল না।
    সেই চারটে লোক কোন রকমে নদী পেরিয়ে পালিয়ে যায় প্রাণে বেঁচে। বাকী লেবারাও সেদিন পালিয়েছিল। কিন্ত পরের দিন পুরো উত্তেজনা হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার রূপ নেয়।
    এদিকে আমাদের বাড়ি হচ্ছে নদীর ধারে। যেদিন প্রচুর গন্ডোগল হচ্ছে-বাড়ির তিনতালার ছাদের উঠে দেখি-যদ্দুর চোখ যায় নদী পেরিয়ে পাটক্ষেত্রে শুধু লোক আর লোক -লাঠি, হেঁসো নিয়ে নদীর ওপারে দাঁড়িয়। আমার ধারনা অন্তত দশ হাজার লোক লাঠি আর হেঁসো নিয়ে ওপারে আস্ফালন করছে। এপারে দুই জীপ পুলিশ। বলা বাহুল্য লোকগুলো নদী পার করা শুরু করলে-ওই কটা পুলিশে কিছু হত না। আমাদের পালাতে হত। বাড়ি পুড়ত। না পালালে, আমাদের লাশ পড়ত। আমি সাধারনত ভয় পাওয়ার পাবলিক না। তবে সেদিন বেদম ভয় পেয়েছিলাম। কারন নদীর ধারে বাড়ি হওয়াতে প্রথম কোপটা আমাদের বাড়ির ওপরেই আসত।

    তবে সেই দাঙ্গা থামে সিপিএমের হস্তক্ষেপে। ততক্ষনে এপার আর ওপারের বিধায়করা এসে গেছেন। ডোমকল আর করিমপুরের বিধায়ক সিপিএম হওয়াতে লাভ হয় এই যে উনারা পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপরে অবশ্য এমন বাজে অবস্থা কোনদিন হয় নি। পার্টি ম্যানেজ করত দুই সাইড।
    কিন্ত টেনশন ছিল পাক্কা একবছর । বাবার স্কুল ছিল মুর্শিদাবাদে-বাড়ি থেকে তিন মাইল দূরে । কিন্ত সাইকেলে যেতে হত মুসলিম অধ্যুশিত গ্রাম পেরিয়ে। এইপার থেকে তিনজন হিন্দু শিক্ষক যেতেন। তাদের লাশ হওয়ার সম্ভাবনা তখন প্রবল। সেই জন্যে বাবারা ১০ মাইল ঘুরে যেতেন স্কুলে। প্রায় একবছর । সব থেকে দুর্ভাগ্য-বাবা ওই জোনেই পার্টি করেছেন সিপিএমের জন্মদিন থেকে। কিন্ত বাবার সিপিএম বন্ধুরাই পরামর্শ দিয়েছিল ঘুরে যেতে। কারন একজন বদলোকই লাশ ফেলার জন্য যথেষ্ঠ। আবার প্রায় একমাস ধরে ওপার থেকে মুসলিম লেবারদের এপারে আসা বন্ধ ছিল। যা আস্তে আস্তে খোলে।

    না। এসব ঘটনা কোনদিন কোন পেপারে আসে নি। সেকালে ফেসবুকও ছিল না।

    তবে ওই দশ হাজার লোক লাঠি আর দা নিয়ে কোপাতে আসছে-সেই দৃশ্য ভুলবো না। সেই জন্য আমার কাছে দাঙ্গা বাস্তব-ভীষন রকমের বাস্তব।
    কোলকাতার বাবুরা বা বুদ্ধিজীবিরা চিরকাল পরজীবি। তারা বামপন্থী? এগুলো ভুল্ভাল ধারনা। বৃটিশ আমলে তারা ছিল বৃটিশ অনুগ্রহের দাস। ১৯৭৭ সালে সিপিএম যখন জেতে গোটা রাজ্যে-কোলকাতায় সিপিএমের ফল ভাল হয় নি। কোলকাতা আস্তে আস্তে বাম হয়েছে যখন বামেরা ক্ষমতায় গিয়ে, অনুগ্রহ বিতরন শুরু করেছে। কোলকাতার বুদ্ধিজীবিরা শ্রেফ পাওয়ার আশাতে বাম ছিল। এখন পাওয়ার আশাতে মমোপন্থী। যেদিন বিজেপি আসবে ক্ষমতায়-কোলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ বুদ্ধিজীবির আলখাল্লার রঙ গেরুয়া হবে। এখন যারা " এই ইসলামফোবিয়া ভালো নয়" বলছেন ( ওই শান্তিনিকেতনী স্টাইলে এই গরু সরে যা না )-বিজেপি ক্ষমতায় এলে, তারাই দেখবেন বলছে-বাট আপনারা কি দেখতে পারছেন না শান্তির ধর্মের লোকেদের উৎপাত?
    তাই এইসব কলকাতাবাসী বুদ্ধিজীবি পরচুলাগুলোকে ফেলে দিতে হবে সামনের দিকে তাকাতে গেলে। মোদ্দা কথা হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সমস্যা আছে স্বীকার করতে হবে। মুসলিম প্রধান এলাকাতে হিন্দুদের বাস করা অসম্ভব এবং হিন্দু প্রধান এলাকাতে মুসলিমদের ঘর ভাড়া দেওয়া হয় না-এগুলো করুন বাস্তব। সিপিএমের ৩৪ বছরে সাম্প্রদায়িকতা চাপা দেওয়া হয়েছিল । কমে নি। কারন ধর্মের ভিত্তিতে আঘাত হানতে ভয় পেতেন কমরেডরা । পাছে ভোটাটা হারন। এখন অবশ্য আম এবং ছালা-দুটোই হারিয়েছেন তারা।
    ধর্মকে আঘাত না করতে পারলে কিছু হবে না। ইসলাম আরবদের ট্রাইবাল কালচার-আবার হিন্দু ধর্মের অতীত ও সেই ট্রাইবাল কালচার। ইসলাম ভাল মানলে, ইসলামের প্রফেটের লুঠতরাজ , ৮০ টি যুদ্ধ, যৌনদাসী রাখা-সব কিছুই ভাল হয়ে যায়। মানছি সেকালে ওগুলো ছিল আরবের প্রথা। কিন্ত একালের মুসলমানেরা যে সেই আদিম আরব সমাজের আইনে বিশ্বাস রাখে এটাও ত বাস্তব! যে ধর্মের নবীই ৮০টা যুদ্ধ করেছেন বিধর্মীদের বিরুদ্ধে, সেই ধর্মের লোকেরা অস্ত্র ধরবে না? ইয়ার্কি নাকি? ঠিক তেমন হিন্দু ধর্ম ভাল-এটা মানলে জাতপাতের অত্যাচার সহ আরো অনেক মনুবাদি সংস্কারকে ভাল বলে মানতে হয়। এবং এই যে লোকে এত বেদ বেদ করে। কোন হিন্দু ঋক বেদ পড়ে নি। ঋক বেদের অনেক ছত্রেই আর্য্যদের উস্কে দেওয়া হয়েছে অনার্য্যদের ওপরে লুঠপাট করার জন্য। দুই ধর্মের ভিত্তিতেই যেখানে দাঙ্গা, যুদ্ধ, হিংসা-সেখানে তারা পাশাপাশি থাকলে দাঙ্গাত হবেই। দুই ধর্মেই দাঙ্গা লাগানোতে এলাহি সমর্থন আছে। থামাবেন কি করে? এই ধরনের গোঁজামিল দিয়ে হিন্দু মুসলমানের ঐক্য হবে না।

    বৈদিক হিন্দু ধর্ম এবং ইসলাম-এই দুটোই বাঙালীর জীবনে, বহিরাগত। বাঙালীরা যেদিন বুঝবে, তাদের পূর্বপুরুষদের একটা উন্নত ধর্ম ছিল-যা বৈদিক বা ইসলাম না। যা আউল বাউলে গানে মুখরিত করত বাংলার মাঠ, ঘাট, নদী-সেই সহজিয়া ধর্মের স্বাদ যেদিন প্রতিটা বাঙালী পাবে-অনুভব করবে, তারা হিন্দু বা মুসলমান না-গর্বিত বাঙালী-সেইদিন সাম্প্রদায়িকতার ভূত এই সমাজ থেকে নামবে। স্পেডকে স্পেড বলা শিখতে হবে। সিপিএমের ৩৪ বছরের ব্যর্থতা থেকে কবে শিখব আমরা? সাম্প্রদায়িকতা দূর করার একটাই রাস্তা-হিন্দুত্ব, ইসলামিৎ ছেড়ে শুধু ভাষাতে না-জীবন দর্শনেও বাঙালী হতে হবে।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:৪৮689223
  • জয় বাঙালী !
  • ... | 74.233.173.203 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৩:৩৭689227
  • আগুন না নিভিয়ে অস্বীকার করে চললে একদিন তা দাউ দাউ করে জ্বলবেই। সিপিএম পশ্চিমবঙ্গে দুটো বড় জিনিসকে অস্বীকার করে এসেছে - সাম্প্রদায়িক টেনশন নেই, আর জাতিভেদ নেই।
  • Arpan | 74.233.173.203 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৪:১৭689228
  • এনডিটিভিতে বেরিয়েছে। গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মত রাজনাথ সিংও আসছে। আমার এক চাড্ডি কলিগ সকালে জানিয়েছিল।

    http://m.ndtv.com/cheat-sheet/malda-where-one-lakh-protestors-went-on-a-rampage-1263200
  • :-) | 127.194.244.7 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৪:৫৫689229
  • কোথা থেকে কি হইয়া গেল, সকলে বাঙালী হইয়া গেল, সেই কবেকার সাম্প্রদায়িক সমস্যা, ঘচাং ফু শব্দ করিয়া মিটিয়া গেল।
  • Arpan | 74.233.173.193 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৫:০৩689169
  • হ্যাঁ, ওদিকে আবার ভারতীয় হবার চাপ।

    নইলে কাজের বাজারে দিল্লি, মুম্বাই, লুরু কেউ ডাকবে না। একবারে ইউএস চলে গেলে অবশ্য কোন প্রবলেম নাই।
  • robu | 11.39.36.174 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৬:৫৫689170
  • বাঙ্গালি হব না মানুস হব? কবি কী বলেন?
  • h | 11.39.36.61 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৭:০১689171
  • তবে এক্তা কথা প্রমাণিত জে কোনো মহান চিন্তাবিদের বাবাই সিপিএম এই জন্যে আমি বাবার উপরে রাগারাগি কোরি না;-)
  • ranjan roy | 24.99.226.135 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৬ ২১:১৭689172
  • হনুকে হুইস্কি!ঃ))
  • King Ghidorah | 117.167.116.86 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৬ ২১:২৬689173
  • যাক, ঋকের ভবিষ্যত নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে না।
  • cb | 192.70.20.99 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:৩৬689174
  • মালদা কংগ্রেস এটা কয়েকদিন ধরেই বলছিল, বিশ্বাস করিনি। আশাকরি ইন্ধন দেওয়া কমবে

    http://abpananda.abplive.in/state/kaliachak-shows-how-rumour-adds-fuel-to-fire-of-violence-167539

    ""এ রাজ্যে এখনও তখত-এর শতহাত দূরে থেকে শুধু নির্দিষ্ট মতাদর্শগত গোষ্ঠীভুক্ত গুটিকয় ‘সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট’-দের লেলিয়ে যাঁরা কালিয়াচকের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িকতার রঙে চোবানোর চেষ্টা করছেন এবং সুরে সুর না মেলানোয় যাবতীয় বঙ্গীয় সংবাদমাধ্যমের নিত্য বাপান্ত করছেন (এঁরাই আবার অম্বিকেশ-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অসহিষ্ণুতা’-র বিরুদ্ধে গলা ফাটান!), তাঁরা ইদানিং আদৌ সূচপুর বা কালিয়াচক এলাকায় পা রেখেছেন কিনা সন্দেহ!
  • h | 127.194.31.175 | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:০৭689175
  • এই ধরণের বিচিত্র অ্যানালিসিস একমাত্র আনন্দবাজারের সাংবাদিক এর পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। কেন সমর্থন যোগ্য নয় এই অ্যানালিসিস সেটা অনুধাবন করা জরুরী।

    প্রথমতঃ নারী পাচার , আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাণ, কালো বাজারী (স্মাগলিং সহ) ইত্যাদি, কালিয়াচক অঞ্চলে নতুন না। বেশ কয়েক বছর ধরে অপরাধের স্বর্গরাজ্য এই অংশটি। বিহার-পুর্নিয়া/বাংলাদেশ/পশ্চিম বংগ এই সব বর্ডার যেখানে থাকে সেখানে অপরাধ চলতে পারে, তার মূল কারণ আইন রক্ষক দের নিষ্ক্রিয়তা বা সহযোগিতা। আন্তর্জাতিক বর্ডার ছেড়ে দিন, রাজ্য বা জেলা বর্ডার এ এই সব নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। উত্তরবংগ দক্ষিন বংগ ব্যতি ক্রম না। তো এইখানে মব এর তান্ডব কে যদি নিয়ন্ত্রন করা না যায় সেটা যে সাম্প্রদায়িক ব্যাপার না, অপরাধ ও প্রশাসন এর বিষয়, সেটা সকলেই বোঝে। তাতে আনন্দ বাজার বা শমীক ভট্টাচার্য্য কাউকেই লাগে না। প্রশ্ন হল যদি যদি আইন শৃংখলার বিষয় ও শুধু হয়, বিজেপি র পক্ষ থেকে বাকি সব দল গুলি কে মুসলিম অ্যাপিজমেন্ট এর যে দাবী আনা হয়, যেটা শমীক নিয়মিত করে থাকেন [তাঁকে আইসোলেট করার চেষ্টা কেন করছে সুমন সেটা ওঁরাইবলতে পারবেন] সেটা বন্ধ হয়েছে কি?
    দ্বিতীয়তঃ অশিক্ষা/কাজের অভাব/সোশাল মোবিলিটির সমস্যা - যে অপরাধ প্রবণতা তইরি করে, সেটা আনন্দবাজারের কটা অ্যানালিসিসে দৃড় ভাবে থাকে? বিশেষতঃ যখন বিগ ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে বিজেপি কে মহান দ্যাখানো টা তার এডিটোরিয়াল পলিসির মধ্যে পড়ে? মুসলিম এলাকা মানেই, অপরাধ প্রবণ এলাকা, এই ধারণা গড়ে ওঠার বিরুদ্ধে কি নিউজ কভারেজের ঐতিহ্য আছে আনন্দবাজারের? বিশেষ নেই।
    তৃতীয়তঃ মুসলমান রা যে ভোট ব্লক মাত্র এই রাজনইতিক মতামতের বিরুদ্ধে কটা লেখা বেরিয়েছে আনন্দ বাজারে? মুসলমান রা এক যোগে যদি সব সময়ে ভোট দিতেন, তাহলে, মালদায় বাম-কংগ্রেস, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস, দক্ষিনবঙ্গে টি এম সির ফল ভালো হয় কি করে?
    চতুর্থতঃ সমস্ত বর্ডার ডিস্ট্রিক্ট এ বিজেপির ভূমিকা টা ঠিক কি? সেটা কি মৌলিক ভাবে আসামের অনুপ্রবেশ কারী দের বিরুদ্ধে জিগির ওঠানোর থেকে খুব আলাদা কিছু? এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ই একজন নেতাকে এক মাত্র সৎ রাজনইতিক হিসেবে তুলে ধরার উদ্দেশ্য কি? এতে কি বিজেপির নীতি বদলাবে, আসামে বা পশ্চিম বঙ্গে?
  • h | 127.194.31.175 | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:১৬689176
  • আর একটা কথা, সাংবাদিক দের এই বিশ্লেষণাত্মক আলোচনায় বিশেষ সুবিধে না করতে পারলেই, I was there গোছের বক্তব্য অসহ্য। একটা জায়্গায় একজন পা রাখলেন, আর সব বুঝে গেলেন। বর্ডার ডিস্ট্রিক্ট এ অপরাধ প্রবণতা, পুলিশের অপরাধে যোগ সাজস তার উপরে নিশ্ক্রিয়তা তাদের দক্ষতা ও স্বাধীনতা দুটোর ই অভাব, মানুষের অশিক্ষা ও গুজবে কান দেওয়ার প্রবণতা, এই গুলো কোনটা বুঝতে গত সাতদিনের মধ্যে কালিয়াচক দরকার জানা গেল না। শুধু জানা গেল, দেগঙ্গা এবং কালিয়া চকে দু টি ঘটনাতেই শমীক গেছিলেন বা যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, আর ফিরে এসে অভিযোগ করে ছিলেন, মুসলিম অ্যাপিজমেন্ট এর। প্রথম বার বামে দের, দ্বিতীয় বার এখনকার রাজ্য সরকার কে। এখন হয়তো একটা অসাম্প্রদায়িক স্টেট মেন্ট দিয়েছেন, ভালো কথা কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যগত নীতিমুখ বদলানোর কত টা ক্ষমতা তাঁর আছে আমি জানতে চাই। মানে শমিক বাবুর কাছে না, আনন্দ বাজারের সাংবাদিকের কাছে। যত বোগাস অ্যানালিসিস।

    প্রশাসন , এটাই ঘটনা, অপরাধ কে অ্যাপিজ করছে, কোন সম্প্রদায় কে নয়। সমস্ত ঘটনাতেই এটাই স্পষ্ট। সেটা আনন্দ বাজার বেছে দেখলে কিছু করার নেই, তাঁরা ২০০৮-২০১১ তে তৃণমূল এর সঙ্গে অপরাধের সম্পর্ক খুঁজে পান নি, এখন পেতে আরম্ভ করেছেন, ভবিষ্যতে নাই পেতে পারেন। এই চড়াই উৎআরি এর খেলার সংগে এডিটোরিয়াল পলিসির সম্পর্ক থাকতে পারে, ঘটনা র নেই।
  • cb | 192.70.20.99 | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:২০689177
  • প্রশাসন , এটাই ঘটনা, অপরাধ কে অ্যাপিজ করছে, কোন সম্প্রদায় কে নয়। সমস্ত ঘটনাতেই এটাই স্পষ্ট

    কারেক্ট
  • h | 127.194.31.175 | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:৩০689178
  • আরো কি জানো তো গুরু, এই রকম ঘটনা নিয়মিত হচ্ছে অনেক জায়্গায় , স্বয়ং কেষ্ট দার লোকেরা বোলপুরে এই সব করে থাকেন বীরভুমে, তো রাজনাথ 'সিংহ' কটা জায়্গায় তড়ি ঘড়ি এসে থাকেন। এই শমীক ভট্টাচার্য্য অসাধারণ বলেন, কিন্তু দলটা তো বিজেপি রে বাবা, এবার যদি অভিযোগ করি, বিজেপি কংগ্রেস দু পক্ষের প্রতি ই নরম থাকতে চাইছেন আনন্দবাজার, তাহলে অন্যায় হবে কি? ,মানে তুমি যদি গত কুড়ি তিরিশ বছরের রাজনীতি দ্যাখো। যবে থেকে কোয়ালিশন পলিটিক্স উঠেছে, তবে থেকে বড় মিডিয়াতে এটাই ট্রেন্ড।

    ফ্যাক্ট রিমেন্স, বড় মিডিয়া, রিজিওনাল বা সেন্ট্রাল, তার নিজের লজিকেই, কেন্দ্রে 'স্থিশীলতা'(পড় স্থিতাবস্থা) র স্বার্থে, বড় দল গুলোর মধ্যেই ক্ষমতা ঘোরা ফেরা হোক সেটা চাইবে। বাকিরা সবাই ফিলার মাত্র।
  • Soumya | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:৪৭689180
  • কি মুস্কিল... এযে আসতেও কাটে যেতেও কাটে। সীমান্ত অঞ্চলে থাকার অভিজ্ঞতা আমার bip-এর সঙ্গে অবিকল মেলে। নিজের চোখেই দেখেছি এক একটা গ্রামের ডেমোগ্রাফি এক দশকে সম্পূর্ণ পালটে গেছিল... এখন না, সেই সিপিএম আমলেই, যাদের হটাত অনেক প্রশংসা দেখছি। গোটা ঘটনাতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি মোটেই উপেক্ষণীয় না। সেটা যারা এখানে বা ফেবু তে কাটিয়ে দিতে চাচ্ছেন, তারা ইয়ে।

    অন্যদিকে, আবার এটাও সত্যি যে মালদা আর গুজরাত এক নয়। কিছু ভাংচুর হলেও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হয়নি এখানে। উত্তর ভারতে এই লেভেলের হুজ্জতি বেশ কমন বেপার। তাই যে সব ভক্তরা ঊর্ধ্ববাহু হয়ে মালদা মালদা করছে, তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট।

    সমস্যাটা হল এদেশে হিন্দু-মুস্লিম, বর্ণ হিন্দু-দলিত, উত্ত্র-দক্ষিন, ডান বাম- সব পলিটিক্সই আইডেন্টিটি পলিটিক্স। মানুষও এখন সৎ- অসৎ ভাবা ছেরে দিয়েছে। নইলে মদন-মুকুলদের সমর্থনে এরকম ভিড় হত না। এখনে যার জোর মোষ- থুড়ি- গরু তাঁর।
  • h | 127.194.229.38 | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:৪১689181
  • উপরের বিপ র গল্পে কমিউনাল মোবিলাইজেশন এবং তার 'ম্যানেজ' দেওয়ার গল্প আছে, ডেমোগ্রাফির আমূল পরিবর্তনের কথা নেই, নিহিত কিছু আছে কি? তাই খোলসা করে না বললে বুঝতে পারছি না যে সৌম্য র অভিজ্ঞতা ঠিক কি।

    আমাদের দেশে ডেমোগ্রাফি পরিবর্তনের গল্প নতুন কিছু না। দেশ ভাগের পর বা ৭১-৭২ এ একেক যায়্গায় একেক রকমের লোকের বসতি হয়। কয়েকটা উদা দি। গল্প্ফ গ্রীনের কাছে মুসলমান বসতি, রিফিউজি হিন্দু বসতি পূর্ণ এলাকা হয়ে যায়, মুসলমান পরিবার অনেকে বিতাড়িত হন। দ্রষ্টব্য অনুসুয়া চ্যাটার্জির প্রবন্ধ- ইপি ডাব্লিউ ডিসেম্বর ২০১৫। লক্ষ লক্ষ রিফিউজি যে এসে পড়েন, তাতে প্রচুর ডেমোগ্রাফি বদলায়। এনিমি প্রপার্টি এক্সচেন্য ইত্যাদির গল্প হয়, আমাদের পরিবারে ও এই সব গল্প আছে। আমি একটি সাব গল্প বেছে বল্লাম এই কারণে, কারণ মাটি আন্দোলন, কলকাতার রিফিউজি বাম আন্দোলনের মহত্ত্বে এই অপসারণের ইতিহাস আমাদের কালেক্টিভ কনশাসনেস সব সময়ে রেকর্ড করে নি।

    আরো কতগুলো কথা আছে সময় পেলে বলছি।
  • h | 127.194.237.251 | ১১ জানুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩৩689182
  • আসামে যেটা বলা হয়, বোডো রা বা অন্যান্য অহমিয়া ভাষী লোকেরা বলেন, যে বাংলাদেশের মুসলমান রা সেই ফকরুদ্দিন এর আহ্বান এর পর থেকেই কেবল ই এসেই চলেছেন এবং ভূমি পুত্র দের ভূমি চ্যুত করছেন, অসংখ্য হত্যা লীলা / রাজনইতিক সংঘর্ষ মায় পার্টিশন ইত্যাদি দিয়েও যে সত্য দুটো আটকানো যায় নি, সেটা হল, লোয়ার আসামে বাঙালী মুসলমানের আগমণ মুলতঃ অগ্রিকালচারাল সিজনাল লেবার হিসেবে। আর যদি সেটলমেন্ট হয়ে থাকে সেটা ইকোনোমিক সেটলমেন্ট। তো বাংলাদেশ থেকে যত হিন্দু আসবে তারা সবাই অত্যাচারিত কেউ ই ইকোনোমিক মাইগ্রান্ট না, আর যত মুসলমান আসবে তারা সকলেই ক্যালিফেট সমর্থক এবং কেউ ই ইকোনোমিক মাইগ্রান্ট নয়, এই বিচিত্র লজিক আসামে চলে থাকে। মাইগ্রান্ট দের হাতে রাজনইতিক ক্ষমতা চলে যাওয়া টা ঘটেছে ত্রিপুরায়। তো এই সব উদা দিয়ে আমি যেটা বলছি, যে বিপর লেখায় ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তনের কথা বোঝা না গেলেও, কোথাও কোথাও সেটা হয়েছে, কিন্তু তার রাজনইতিক রিয়াকশন টা সব সময়েই মুসলমান বিরোধী হয়েছে।

    এই যে বিপ র লেখায় কমিউনাল মুসলমান মব এর তেড়ে আসার ভয়ানক বর্ণনা, এ অভিজ্ঞতা লেখকের ধর্ম ও অবস্থান নির্বিশেষে অনেক যায়্গাতেই হয়েছে। আমার পরিবারেই রয়েছে, মুসলমান বস্তি আক্রমণ করতে আসছে বিহারী যাদব রা , গোবরা অঞ্চলে, সেটা কে কোন মতে থামানো র একটা গল্প, আই অ্যাম শিয়োর আমার বাবা কাকারা মুসলমান মব কে প্রচন্ড ভয় পেতেন। এক অঞ্চলের ইকোনোমিক মাইগ্রেশন ব্যাপক সোশাল আনরেস্ট তৈরি করেছে, বীরভুমে আদিবাসী লেবার মাইগ্রেশন এ মাঝে মাঝে নিয়মিত ছিল। এবং এই ভয়ানক রেশিয়াল মোবিলাইজেশন স্থানীয় গরীব বনাম মাইগ্রান্ট আদিবাসী দের রক্তক্ষয়ী লড়াই এর আনরেকর্ডেড ইতিহাস বীরভূমে কিছু আছে।

    তো আমার বক্তব্য হল, কয়েকটি।।।

    ক - আনন্দ র সাংবাদিকের প্রবন্ধটি হয়তো ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সী গুলো কে একটা উত্তর দেওয়ার জন্য লেখা, যে মালদা ইন্সিডেন্ট মূলতঃ ইকোনোমিক/ক্রাইম ইসু, কমিউনাল ইসু না।
    খ - আমার বক্তব্য হল, নন কমিউনাল রিপোর্টাজ এর ঐতিহ্য বাংলায় নেই তা না, সেটা আর যাই হোক সাবেক আবাপ/যুগান্তর ইত্যাদি র তৈরী না। স্বাধীনতার আগে ও ইমিডিয়েট পরে তো নয় ই। (দ্রঃ জয়া চ্যাটার্জী বেঞ্গল ডিভাইডেড) এমন কি অধুনা, গত বিশ তিরিশ বছরে কেন্দ্রয়িত ভারতবর্ষ গড়ে তোলার যে স্বপ্ন ভারতীয় রুলিং ক্লাস দেখে, আবাপ তার শরিক মাত্র। তাতে স্থানীয় রাজনইতিক শক্তি বিন্যাসের একমাত্র কাজ কেন্দ্রীয় রাজনইতিক বিন্যাসে মিশে যাওয়া, তাতে মানুষের কথা বিশেষ নাই।
    গঃ - ভারতে স্বাধীনতার পরে না না ধরণের ইনওয়ার্ড ইকোনোমিক মাইগ্রেশন হয়েছে, সেটার গোটাটাকেই, একটা বাংলাদেশী মুসলমান রা বেড়ে যাছে, বাংলাদেশী মুসলমানরা ক্যালিফেট করে ফেল্লো, বাংলাদেশী মুসলমান রা আসাব পশ্চিম বঙ্গ মায় মুম্বাই ভরে ফেল্লো, এর পরে কলকাতায় এই মুসলমান দের জন্য আমাদের ও বোরখা পরে ঘুরতে হবে, ইত্যাদি যে ধারণা সমূহ তা মূলতঃ ভিত্তিহীন, কিন্তু তাকে কমানোর কাজ বড় মিডিয়া বিশেষ করে না, তার কাছে সামাজিক কোহেসন তাক্ষণ ই ইম্পর্টান্ট, যতক্ষন সে বিজ্ঞাপণ দাতার পক্ষে সুবিধে জনক। ধরুণ , লাক্স গেন্জী জাঙ্গিয়া র বিজ্ঞাপণে মডেলের মাথায় চান্দি টুপি থাকবে ঘেটো অঞ্চলের বিজ্ঞাপণে, এমনি তে থাকবে না। ঘেটো কেনো গড়ে উঠছে, ওঠা টা র বিরুদ্ধে লনঅ টার্মে কিছু করা যায় কিনা এই নিয়ে বিজ্ঞাপন দাতা তথা মিডিয়ার মাথা ব্যাথা নাই।
    ঘ- সিকিউরিটি ইসু আর সামাজিক কথোপোকথনে কমিউনাল পার্সপেকটিভ আটকানোর মত ম্যাচিওরিটি এখনো প্রশান/মিডিয়া/নাগরিক রা কেউ ই তেমন দেখা তে পারেন নি, আমাদের দেশ এই লাইনে কেবল ই পিছিয়ে যাছে। তাতে ওয়াহাবি বা আর এস এস প্রভাব ইন্ধনের কাজ করলেও, মূল দোষ সেকুলার হতে ব্যর্থ হওয়া প্রশাসনের এবং পোলিটিকাল সিস্টেমের।
  • 0 | ১১ জানুয়ারি ২০১৬ ১০:১৩689183
  • h, আপনি একটা ব্লগ লিখতেন আট-ন'বছর আগে, রিলিজিয়াস সিনক্রেটিজম্‌ নিয়ে, মিডিভাল পিরিয়ডের ওপর। অবসর মতো আবার যদি অল্প- অল্প ক'রে সেটায় পোস্ট করেন, এই অনুরোধ রইলো। নানান রকম ইনফোর জন্যে ওটা ফলো করতাম তখন।
  • robu | 11.39.37.214 | ১১ জানুয়ারি ২০১৬ ১০:১৫689184
  • হানুদা, ফার্স্ট ক্লাস। আরো ডিটেইলে পড়তে চাই, লিখুন।
  • cm | 127.247.99.241 | ১২ জানুয়ারি ২০১৬ ০৮:৩৯689186
  • কিন্তু বিপ্লব করতে গেলে ?
  • PT | 213.110.242.5 | ১২ জানুয়ারি ২০১৬ ০৯:২৬689187
  • যারা সকল মত প্রকাশের অবাধ বাতাবরণ এবং সকলকে সব অবস্থাতেই সব জায়গায় ঢুকতে দেওয়ার অধিকার নিয়ে বৈপ্লবিক কথাবার্তা বলে বলে তারা এখন অতি অবশ্যই কঠোর মৌনব্রত অবলম্বন করবে!!
  • ranjan roy | 24.96.15.141 | ১২ জানুয়ারি ২০১৬ ১৫:০৮689188
  • পিটি, ফের ওপরচালাকি! মতপ্রকাশের অধিকার (হ্যাঁ, সবসময়, সব পরিস্থিতিতে) আর কোন সেন্সিটিভ এরিয়ায় যেখানে অলরেডি ল এন্ড অর্ডার প্রবলেম চলছে দুটো এক হল?
    মালদা প্রশ্নে চুপ থাকাকে আপনিই সমর্থন করেছেন, আমি নই। আর বিজেপি/সিপিএম এর পর্যবেক্ষণ দলকে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত্ত শাসকের সুবিধাবাদী সিদ্ধান্ত--অবশ্যই নিন্দনীয়।
    হ্যাঁ, এটা নিয়ে আপনার বলার নৈতিক অবস্থান নেই। কারণ আপনি বাম সরকারের লালগড়/নন্দীগ্রাম এলাকায় প্রেস ও অন্যান্যদের ঢুকতে না দেওয়া ( পুলিশ ও ক্যাডার দিয়ে) কে সমর্থন জানিয়েছেন।
  • PT | 213.110.246.25 | ১২ জানুয়ারি ২০১৬ ১৮:২৩689189
  • কে কার ওপরে চালাকি করে? কালীর উপর আলী নাকি আলীর উপর কালী?
    সেন্সেটিভ বিষয় নিয়ে যা মনে আসে তাই লেখার জন্যে ল এন্ড অর্ডার, থুরি দাঙ্গা লাগার মত অবস্থা সৃষ্টি হলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ?
    তসলিমা ভার্সাস ইদ্রিস আলী ভার্সাস রাজ্য সরকার, মি লর্ড.........
  • ranjan roy | 229.64.78.195 | ১২ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:৩৫689191
  • বেশ, যদি চালাকি না করছেন তো অন্যদের কেন মুখবন্ধ বলে না খুঁচিয়ে নিজে এই পাতায় স্পষ্ট করে লিখুন তো--
    ১) আমি মালদায় কালিয়াচকে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে ঢুকতে না দেওয়ার সরকারী সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি।এটা শান্তিরক্ষার জন্যে উচিত কাজ হয়েছে।
    অথবা,
    ২) আমি আমি মালদায় কালিয়াচকে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে ঢুকতে না দেওয়ার সরকারী সিদ্ধান্তকে নিন্দা করছি।এটা শান্তিরক্ষার অজুহাতে মৌলিক অধিকারের উলঙ্ঘন।
    ওপরের দুটো স্পস্টতঃ বিরোধী অব্স্থানের মধ্যে যেটা আপনার পছন্দ সেটা স্পষ্ট করে বলুন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন