এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সর্ষেবাটা মোচাকাটা চিতলের মুইঠ্যা ইত্যাদি ইত্যাদি (২)

    Ishan
    অন্যান্য | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ | ২৮৫৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 67.173.95.163 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১১:১৬694638
  • এবার থেকে এইটায় লিখুন। আগেরটা কি দোষ করল জিগাবেননা :-)
  • J | 160.62.4.10 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৫১694860
  • পাটিসাপ্টা :-

    দুধে চালের গুঁড়ো খুবসে মিশিয়ে রেখে দে ঘন্টাটাক। অল্প নুন দিস ওতে।
    এরপরে, নার্কোলের গুঁড়ো আর কন্ডেন্স্‌ড্‌ মিল্কের যুগলবন্দী হবে নন:স্টীক ফ্রাইংপ্যানে। কালার এফেক্টের জন্যে মিশিয়ে দে ওতে ক্যারামেলাইজড শুগার। অল্প ছোটোএলাচের গুঁড়ো। এক্সটিক সেক্সি এফেক্ট। এটা হলো গিয়ে পুর।
    এরপরে ঐ চালের গুঁড়ো আর দুধে গোলা ডো, একটু করে ঢাল ঐ নন:স্টিকে, ঠিক প্যানকেকের স্টাইলে, দোসার মতো পাতলা করে তৈরী হোক ঐ কড়মড়ে ক্রাঞ্চি মাঞ্চি পাটিসাপ্টা। এরপরে টেম্পারেচার বুঝে, ভেতরে খানিকটা করে পুর দিয়ে, দুপাশ থেকে মুড়ে নে মালটা। প্রোফেশনাল রাঁধুনীর স্টাইলে ঝাঁকিয়ে নে ফ্রাইং প্যান এমন করে, যে টুইস্টেড সামারসল্ট দিয়ে ঐ পুরে মোড়া পাটিসাপ্টা উল্টো হয়ে ফের ল্যান্ড করে নন:স্টিক প্যানে। পারফেক্ট সেফ ল্যান্ডিং।
    এবার জিনিস্টা প্লেটে ঢাল আর একটু ঠান্ডা হলে খা বা খাওয়া।
  • J | 160.62.4.10 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪২694971
  • ভাপের পুলি এবং দুধ পুলি
    -----------------------------
    প্যারোলিনকে কথা দিয়েছিলাম যে এ হপ্তায় রেসিপি দেবোই দেবো। অথচ রোজ ভুলে যাই!

    প্রথমে নার্কোলের পুর একদম পাটিসাপ্টার স্টাইলে বানিয়ে রাখো। নার্কোলের পুর কিন্তু কখনই নার্কোর নাড়ুর মতো কড়াপাকের হবে না।
    এবার আলোচালের গুঁড়ো দিয়ে পুলির লেচি বানানো। এটাই আসল খেল।
    কোনো বিদেশী রাইস পাউডার চলবে না। গ্লুটনাস রাইস পাউডার তো দূরে থাকুক।
    চাই দিশি চালের গুঁড়ো। কারণ বিদিশি চালের গুঁড়োর টেক্সচার আলাদা।
    কড়াইয়ে চালের গুঁড়ো দিয়ে, তাতে ফুটন্ত জল ঢেলে (আঁচে রেখে নয় কিন্তু!) কাঠের হাতা দিয়ে ঠেষে ঠেষে মাখতে হবে। ময়দা মাখার মতো মোলায়ম হবে না, খুব শক্ত এই মাখার কাজটা।
    এরপরে লেচিকেটে একেকটা লেচিকে হাতের আঙুল হিয়ে টিপে টিপে বাটির মতো বানিয়ে তাতে পুর দিয়ে মুখ বন্ধ করে টিপে টিপে বেঁধে দিতে হবে। একি লিখে বোঝানো সম্ভব?
    এরপরে এদেরকে একে একে খুব সাবধানে স্টীম করতে হবে, হাঁড়ির মুখে পাতলা কাপড় বেঁধে তাতে ঐ পুলী রেখে বাটি চাপা দিয়ে। আর হাঁড়ির মধ্যে টগবগিয়ে ফুটছে জল।

    জিনিসটা রাঁধা হয়ে গেলে, গরম গরম খাওয়া যায়। এরেই বলে ভাপের পুলি।
    বাসী হয়ে গেলে বাসী পুলি।
    আর নলেন গুড় দেয়া ফুটন্ত দুধে অল্প আঁচে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিয়ে দুধপুলী।
    দুধপুলীতে আবার ঐ চালেরগুঁড়ো মাখ থেকে অল্প চুষি বানিয়ে ছেড়ে দিলে তা হয়ে গেল চুষি পুলী।
    পুলী বাসী করে খেলে শক্ত লাগে।
    এ জিনিস পুর্ববঙ্গের স্পেশালিটি। ঘটিরা শিখেছে বটে , কিন্তু তেমন পারফেকশান আনতে পারে না পুলী পিঠেতে।
  • Blank | 59.93.203.118 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ০০:৫২695082
  • ঘটি রা পুলি তে একটা abstract ব্যপার এনেছে। বাঙাল দের দ্বারা ওসব হয় না, ওদের শিল্প বোধ চিরকালই কম।
  • Gaza | 170.213.132.253 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ০৩:২১695193
  • ৭৬এর দুর্ভিক্ষর পর বাঙ্গালরা বাঁচার জন্য ঘাস,পাতা,ডাল-পালা সব গুলিকে রান্না ঘরে শিল্পের পর্যায়ে এনে ফেলেছে।
    ঐ দুর্ভিক্ষে ঘটিরা সবে্‌চয়ে বেশি মারা গিয়েছিলো।
    গেরি-গুগলি অব্‌স্‌য় ঘটিদের ই আবিস্কার।
    keep my 2 cents for Bangaal
    গাঁজা
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ১৪:২৫695249
  • বাঙাল রা যে তৃন ভোজি তা আমি জানি।
  • dam | 61.246.75.53 | ১৮ নভেম্বর ২০০৬ ১০:০৩695260
  • দীপ্তেনদা,

    এখানে একটু ধনেপাতা দিয়ে মূরগীর রেসিপীটা দিয়ে দেবেন .....
    (মিঠু তো দিলই না ....)
  • dd | 202.122.18.241 | ১৮ নভেম্বর ২০০৬ ১২:৩৮695271
  • দম
    ধনেপাতা দিয়ে মুগ্গী ? মানে আচারী মুর্গ তো ? তাই ?
    ওটা তো এই টই এর আগের কিনা "সর্ষেবাটা,মোচাকাটা ....." (১)'র একেবার লাস্ট বাট ওয়ান এ¾ট্রীতে দিয়া দিছি।

    মুর্গী মাংসতে ধনেপাতা বিশেষত: পুদিনাপাতা দেওয়াকে আমি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই মনে করি। তাও .......
  • dam | 61.246.75.53 | ১৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৩:৩৩694639
  • ধুস্‌স্‌স ওটা নয়। মিঠু একটা খাইয়েছিল, ধনেপাতা দিয়ে শুকনো শুকনো সাদা মত। দারুণ খেতে। তাতে অত বাদামবিলাস নাই।

    অমৃতসরী একটা পালংশাক দিয়ে করে, পালকমুর্গ -- সেটাও ভাল।
  • mita | 69.134.231.58 | ১৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৫৫694650
  • ভেটকি মাছ, আলু-ফুলকপি দিয়ে:
    ভেটকি মাছ, পিস করে নুন হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিতে হবে। আলু আর ফুলকপি ও , নুন হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিতে হবে।
    এবার তেলের মধ্যে জিরে, তেজপাতা, শুকনো লংকা ফোড়ন দিয়ে, ঐ ভাজা আলুটা দিতে হবে। ধনে, জিরে, আদা আর লংকা বাটা, আর একটু নুন আর হলুদ দিয়ে আলুটা অল্প কষে ফুলকপি দিতে হবে। আরো খানিক কষার পরে অল্প জল দিয়ে ফুটতে দিতে হবে। কিছুক্ষন পরে মাছ দিয়ে, গ্যাসটা মিডিয়্‌ম করে, ঢাকা দিয়ে আরো কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে।
    ভেটকি খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যায় তাই বেশিক্ষন ফোটানো উচিৎ হবে না। নামানোর আগে একটু গরম মশলা বাটা বা গুঁড়ো দিলে ভালো হয়।
  • dd | 202.122.18.241 | ১৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:৫৯694661
  • দম
    ধনেপাতা দিলেই সব জিনিস বিচ্ছিরি রকমের সবজেটে হয়ে যায়। ওটা ভগমানের আইন - ও নিয়ে তক্কো চলে না।
    তাইলে মিঠু তোমারে যা খাইয়েছে
    ১) সেটা ধনেপাতা দে রান্না নয়, কিন্তু তোমায় মিছে কথা বলেছে
    ২) তুমি ফ্যাটফ্যাটে সাদা আর ক্যাতক্যাতে সবুজের তফাৎ বোঝো না
    ৩) বুঝলে ?
  • m | 67.173.95.163 | ১৯ নভেম্বর ২০০৬ ১০:৫৪694672
  • চিকেন হেলাফেলা:

    ১,হাড় ছাড়া অথবা হাড় সুদ্ধু যেকোনো চিকেন ছোট্‌মাপে টুকরো করে নিতে হবে।

    ২,মাংসের মধ্যে দই আর নুন দিয়ে ঘন্টা খানেক ম্যারিনেট করে রাখতে হবে।( বেশি টক স্বাদের জন্যে লেবুর রস দিতে হবে)

    ৩,পাত্রে সাদা তেলের সঙ্গে মাখন ( শুধু মাখনেই বেশি ভালো গন্ধ হয় )গরম করে,আঁচ কমিয়ে দু চারটে গোটা গোলমরিচ থেঁতো করে ফোড়ন দিতে হবে( গন্ধের জন্যে)

    ৪,মাংস টা ঢেলে দিতে হবে,ভালো করে কষিয়ে,ঢাকা দিয়ে দিতে হবে,ঢিমে আঁচে মাংস সেদ্ধ হবে,জল না দেওয়াই ভালো।সেদ্ধ হয়ে এলে,খানিক টা ধনেপাতা মিহি করে কুচিয়ে মাংসে দিয়ে দিতে হবে।কিছুক্ষন রেখে আর একটু মাখন দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

    দই এর বদলে সাওয়ার ক্রিম ব্যবহার করা যাবে।তাতে টক ভাব টা একটু বেশি হবে।

    একটু ও ঝোল থাকবে না,গা মাখা মাখা হবে।
  • m | 67.173.95.163 | ১৯ নভেম্বর ২০০৬ ১১:০২694683
  • **হেলা ফেলা চিকেনে যথেচ্ছ কাঁচা লংকা চিরে দেওয়া যাবে।শুকনো লংকা চলবে না।
  • m | 67.173.95.163 | ১৯ নভেম্বর ২০০৬ ১১:১১694694
  • আড় মাছের গা মাখা ঝোল

    ১,মাছের টুকরো গুলোকে নুন -হলুদ মাখিয়ে ভেজে রাখতে হবে।
    (মাছের গায়ে একটু তেল মাখিয়ে নিলে বা ভাজার জন্যে তেলে সামান্য নুন দিলে কম তেল ছিটকোবে। মাছ ভাজার তেল ভালো গরম হলে তারপর আঁচ কমিয়ে মাছ দিয়ে ঢাকা দিয়ে আবার আঁচ বাড়িয়ে দিলে হাত মুখ পোড়ার সম্ভাবনা কম)

    ২,আলু ডুমো করে কেটে নুন -হলুদ মাখিয়ে ভেজে রাখতে হবে

    ৩,তেলে সাদাজিরে,তেজপাতা আর পেঁয়াজ ফোড়ন দিতে হবে।ইচ্ছে হলে কেউ দু-চার দানা চিনিও দিতে পারেন,রং ভালো হবে।

    ৪,ফোড়ন ভাজা হলে তারমধ্যে পেঁয়াজ বাটা,আদা বাটা, সামান্য রসুন বাটা( ইচ্ছে হলে),জিরে আর লংকা বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে।হলুদ -নুন দিয়ে দিতে হবে।

    ৫,মসলা থেকে তেল আলাদা হয়ে গেলে ভাজা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে,সামান্য জল দিয়ে আর একটু কষিয়ে ঝোলের মতজল দিতে হবে( গরম জল দিলেই ভালো)

    ৬,ফুটে গেলে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে,আলু মোটামুটি সেদ্ধ হয়ে এলে মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।ভালো করে ফুটিয়ে ঝোল ঘন হয়ে গেলে গরম মসলা( এলাচ আর দারচিনি থেঁতো করা)দিয়ে সামান্য ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

    গরম ভাত দিয়ে হাপুস হুপুস খেয়ে নিতে হবে।
  • a x | 207.69.138.13 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ০৭:৫৩694705
  • ম'এর হেলাফেলা চিকেন দেখে মনে পড়ল। আমার এইদেশে প্রথম পাঁচ বছর, এটাই স্টেপল ফুড ছিল। এখনো রেগুলার বানাই। এর আবার একটা বাহারি নাম আছে: পাহাড়ি চিকেন। পদ্ধতি অনেকটা একরকম।
    অনেকখানি দই আর রসুন, অল্প গরম মশলা গুঁড়ো, আর পরিমান মত নুন দিয়ে চিকেন ম্যারিনেড করে রাখুন। তারপর অল্প তেলে কিছু আস্ত এলাচ আর দারচিনি দিন, আবার একটু রসুন কুচি দিন, দিয়েই ঐ ম্যারিনেডেড চিকেন ঢেলে দিন। জল দেবার দরকার নেই, নেড়েচেড়ে ঢাকা দিয়ে দিন, নামাবার আগে প্রচুর পরিমানে ধনেপাতা কুচি। কাঁচা লংকা অপশনাল।
    বেশ ভালো খেতে, চটপট তৈরি, তেল কম, রুটি, ভাত দুটো দিয়েই চলে। আবার কি চাই?
  • I | 59.93.212.27 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৩:৩৪694716
  • অক্ষ, পাহাড়ীর অমনতরো নাম ক্যানো হয়েছে ?
    আমাদের অ্যাপোলোতে নতুন চালু হয়েছে। ক্যাটকেটে সবুজ রং দেখে ভস্‌সা পাই নাই। এখন বুঝলেম রং-রহস্য।
    কিন্তু পাহাড়ী নাম ক্যানো?
  • samran | 59.93.255.171 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:০৪694727
  • অ মিঠু,
    সেই কবে বলেছিলাম বিরিয়ানির রেসিপি লিখে দেব টইয়ে, অ্যাদ্দিন ধরে আর হয়ে উঠছিল না। এবার লিখে দিলাম।

    এখন চিকেন বিরিয়ানি দিলাম:-

    এক কিলো চালের বিরিয়ানি ৮-১০ জনের খাওয়া হয়ে যায়। ক'জন খাবে সেই হিসেবে চাল নেবে। আর চালের সাথে কমবে বাড়বে মাংস, আলুর হিসেব।

    এক কিলো চালের বিরিয়ানিতে লাগবে ২কিলো মাংস,হাফ কিলো আলু । মুর্গির গলা, পিঠের হাড় বাদ দিয়ে পা আর বুকের মাংস শুধু নেবে। বুকের মাংস পছন্দ না হলে শুধু পা কোমর অব্দি।

    ২কিলো মাংস যদি হয় তাতে টক দই লাগবে ৫০০গ্রাম।

    মশলা:-
    ২বড় চামচ আদা বাটা
    ১ বড় চামচ রশুন বাটা
    ১ বড় চামচ জিরে বাটা
    ২ ছোট চামচ শুকনো লংকার গুড়ো ( ঝাল দিতে না চাইলে লংকা দেবে না। আর যদি ঝাল একটু বেশি চাও তো ২ চামচের জায়গায় ৩ চামচ করে দেবে লংকার গুড়ো )
    দুটো মাঝারি পেঁয়াজবাটা
    গুড়ো করা জায়ফল ১টা
    ২ ছোট চামচ গুড়ো করা গরম মশলা
    জাফরান এক চিমটে, আধকাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রাখা
    মাঝারি পেঁয়াজ ৬টা ( মিহি কুচানো)
    ঘি এক কাপ, সাদা তেল ৩ কাপ ( বাদাম কিংবা সুর্যমুখী)
    ১০-১২টা এলাচ,ছোট করে ভাঙা কয়েক টুকরো দারুচিনি, ২০-২৫খানা লবঙ্গ।
    আলুবোখারা ৪-৬টা
    নুন ছাড়া কাজুবাদাম আধ কাপ
    দুই কাপ দুধ

    পছন্দমত আকারে মাংস কেটে নিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পর চিপে চিপে জল যতটা সম্ভব জল ঝরিয়ে নেবে। নুন আন্দাজ মত দিয়ে সমস্ত বাটা মশলা আর টক দই দিয়ে মাংস ভাল করে মেখে রেখে দেবে কম করে ৪ ঘন্টা।

    আলু যদি মাঝারি দেখতে হয় তো গোটা রাখবে, একটু বড় হলে কেটে দু'টুকরো করে নেবে মাঝখান থেকে। খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিয়ে হাল্কা করে তেলে ভেজে নেবে। তারপর অল্প জলে নুন ফেলে দিয়ে আলুটা সেদ্ধ করে নেবে। প্রেশারেও দেওয়া যায়, কিন্তু খেয়াল রাখবে বেশি সেদ্ধ হয়ে গিয়ে আলু যেন গলে না যায়। সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে রেখে দাও একপাশে, ঢাকা চাপা দিয়ে।

    মাংস ম্যারিনেড হয়ে গেলে কড়াই কিংবা একটু ছড়ানো হাড়িতে ৩ কাপ তেল ঢেলে দাও ( তেলের বদলে ঘিও দেওয়া যায়, কিন্তু খুব বেশি রিচ হয়ে যায় বলে আমি তেলেই করি, ঘি দিই না) , ভালমত গরম হলে মিহি করে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ ছেড়ে দাও তেলে। আস্তে আস্তে নেড়ে নেড়ে পেঁয়াজটাকে ভাজো, বেশ কড়া করে। একদম গাড় বাদামি রং হয়ে এলে ঝাঝরি দিয়ে ভাজা পেঁয়াজ তুলে রেখে দাও একটা প্লেটে।
    ম্যারিনেড করা মাংস এবার আস্তে আস্তে ঢেলে দাও পেঁয়াজ তুলে নেওয়া তেলে। কড়াইয়ে ঢাকনা দাও আর গ্যাস ধীমে করে দাও। খানিক পরে পরে নেড়ে দিতে হবে নিচে যেন ধরে না যায়। মাংস থেকে যা জল চাড়বে ওতেই সেদ্ধ হবে, জল দিতে হবে না। খানিকটা কষে এলে দিয়ে দাও আলুবোখারা। মাংসের জল শুকিয়ে এলে ওতে দিয়ে দাও গুড়ো করা গরম মশলা। এবার ঢাকনা দিও না, বারে বারে নেড়ে মাংসটাকে একদম শুকিয়ে দাও কিন্তু সাবধানে, যাতে মাংস না ভাঙে।
    মাংসের নুন অবশ্যই চেখে দেখে নেবে।

    ( একটু টক মিষ্টি স্বাদ চাইলে মাংস নামানোর আগে দিতে পারো খানিকটা টম্যাটো স্যস, দু চামচ মত,গরম মশলার গুড়ো দেওয়ার আগে দেবে স্যস।)

    একটু বড় আকারের ভাতের হাড়িতে তিনভাগ ভর্তি করে জল দিয়ে গ্যাসে চপিয়ে দাও, ওতে ফেলে দাও এক খাবলা নুন। হাড়িতে ঢাকনা দাও। জল ভালমতন ফুটে উঠলে ওতে আস্তে আস্তে ছেড়ে দাও দু ঘন্টা আগে থেকে জলে ভিজিয়ে রাখা বাসমতি চাল। ফুটে ওঠা মাত্রই আধসেদ্ধ ভাত ফ্যান গেলে নেবে, ভাত হওয়ার অপেক্ষায় থাকবে না। ভাতের নুন অবশ্যই দেখে নেবে, কম হলে পরে নুন মেশাতে ঝামেলা।

    মাংস, ভাত রেডি, এবার সাজিয়ে ফ্যালো বিরিয়ানি। তার আগে গ্যাসে চাপিয়ে দাও চাটু আর গ্যাস ধীমে করে ছেড়ে দাও, চাটু গরম হওক ততক্ষণ।

    যে হাড়িতে বিরিয়ানি সাজাবে তার গায়ে একটু ঘি মাখিয়ে নাও। হাতায় করে ভাত নিয়ে হাড়িতে এক লেয়ার ভাত দাও, ভাতের উপরে সাজিয়ে দাও আলু, ছড়িয়ে দাও খানিকটা গরম মশলা, খানিকটা জায়ফল গুড়ো আর কয়েকটা কাজুবাদাম। আবার এক লেয়ার ভাত দাও। এবার ভাতের উপরে সাজিয়ে দাও মাংস, আবার চাড়িয়ে দাও খানিকটা গরম মশলা, জায়ফলগুড়ো আর কাজুবাদাম। আবার ভাত দাও, মাংস দাও আরেক লেয়ার, যেটুকু মশলা কড়াইতে এখনও আছে সেটুকুও তুলে দিয়ে দাও মাংসের গায়ে গায়ে। এবার দাও বাদবাকি গরম মশলা, কাজু বাদাম আর জায়ফলগুড়ো। ভাতের শেষ লেয়ার দিয়ে তার উপরে ঢেলে দাও পাশে রাখা দুধ। দুধটা এমনভাবে দেবে যেন সব জায়গায় সমানভাবে যায়। এক কাপ ঘি রাখা আছে পাশে, এবার চামচে করে সেটা ছড়িয়ে দাও ভাতের উপরে। কয়েক জায়গায় একটু একটু করে ঢেলে দাও দুধে ভেজান জাফরান। সব শেষে সমান করে ছড়িয়ে দাও ভেজে প্লেটে তুলে রাখা পেঁয়াজকুচি।

    কয়েকফোঁটা কেওড়া এসেন্স দিতে পারো, একস্ট্রা সুগন্ধ চাইলে, তবে না দেওয়াই ভালো।

    ঝটপট হাড়িতে ঢাকনা চাপা দাও, ঢাকনা যেন খুব ভালভাবে বন্ধ হয়, একটুও ভাপ যেন বাইরে না যায়। খানিকটা আটা কিংবা ময়দা মেখে নিয়ে হাড়ির মুখ বন্ধ করে দিলে ভাল হয়। এবার চেপে মুখ বন্ধ করা হাড়ি বসিয়ে দাও আগে থেকে গ্যাসে বসিয়ে রাখা চাটুতে। যতটা সম্ভব কমিয়ে দাও গ্যাস। ১৫-২০ মিনিট আঁচে থাকবে হাড়ি।

    বিরিয়ানি রেডি।

    বের করার সময় একপাশ থেকে হাতায় করে তুলবে, উপর উপর নয়।

    গ্রীন স্যালাড আর রায়তা নিয়ে খেতে বসো। বুরহানি হলে তো কথাই নেই :-))
  • Arjit | 128.240.229.65 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:১৩694738
  • ইয়াম ইয়াম। এক হপ্তা উপোস কচ্চি, কিন্তু সামনের রোববারেই খাবো। মাইরি।
  • Samik | 61.95.167.91 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৪৩694750
  • কোশ্ন আছে। আলুবখড়াকে হিন্দিতে কী বলে?
  • samran | 59.93.243.49 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৫৫694761
  • আলুবোখারাই তো বলে শুনেছি। এখানে, নিউমার্কেটে তো সব হিন্দুস্থানী দোকানদার,বিশেষ করে মশলার দোকানগুলো। ওদেরকে বললে ওরা ঠিক জিনিসটাই তো বের করে দেয়।
  • a x | 207.69.137.9 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:২৭694772
  • আই, ধনেপাতা বাটা দিলে তবে সবুজ রংএর হবে, নইলে সাদা সাদা মাংসের ওপোর কচি সবুজ ধনেপাতা শুয়ে আছে দেখা যাবে। পাহাড়ি নাম ক্যানে ক্যামনে জানুম? চিকেন নিজে পাহাড়ে চরে বেড়ায়, না পাহাড়ে ধনেপাতার প্রাচুর্য্য বেশি, নাকি পাহাড়িরা হেলাফেলা করে চিকেন বানায়, প্রচুর প্যারামিটার্স। পছন্দ না হলে এককড়ি চিকেন বা নকুর চিকেন'ও নাম দিতে পারেন।
  • I | 59.93.218.232 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৩১694783
  • "অক্ষ-র মাংস", কিংবা হেলাফেলায় 'অক্ষ-র মাস" নাম দিলে কেমন হয়?
  • kd | 59.93.207.124 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৩৩694794
  • আকবর, হুমায়ুন, এরা সব কী বিরিয়ানী খেত? খেলে আলুর বদলে কী ব্যবহার হতো? এই ব্যাপারে আবুল ফজল(?) সাহেব কী বলেন?

    (এই প্রশ্নটা ট্যানের করার কথা, করচে না দেখে আমিই করলুম)
  • a x | 207.69.137.9 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৩৪694805
  • ছি: নারীবাদীরা ক্যাঁক করে ধরবে! ইমামেও ধরতে পারে।
  • Arjit | 128.240.229.65 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৪০694816
  • কেডিদা নিগ্‌ঘাৎ দিল্লী যান নাই, গেলেও করিমসে খান নাই:-) করিম্‌স-এর ঠাউদ্দা বাহাদুর শাহ জাফরের রাঁধুনী ছিলো - কাজেই বাহাদুর শাহ জাফর নিগ্‌ঘাৎ বিরিয়াণী খেত। তার দাদা-পরদাদা-রা কি আর খেত না?
  • I | 59.93.218.232 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৪১694827
  • ছোট করে অক্ষাংশ বল্লেও কি ইমাম ধর্বে?
    তাছাড়া অ্যাপোলোতে ইমাম নাই। আছে শুধু ফোঁটাকাটা টিকিঝোলা দোকনো বাওন। তারা কি কিছু বলবে?
  • I | 59.93.218.232 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৫০694838
  • আকবর বিরিয়ানি খেতেন না। তেনার বড় সমন্বয়বাদের বাতিক ছিল, তিনি সত্যপীরের সিন্নি ও দিনান্তে একটি হত্তুকি খেয়ে জীবনধারণ কত্তেন।
    বাবুর মিঞা সাবড়েসুবড়ে বিরিয়ানি খেতেন, উটের মাংস আধকাঁচা পছন্দ কত্তেন। সখেদে বলতেন-হিন্দুস্তানের আদমিগুলো বড়ই অসব্য ও না-পাক, এরা উটের গোস্ত খেতে শেখেনি, শুদু কচি পাঁটা পাক করে খায়।
    ঔরঙ্গজেব বিরিয়ানি খেতেন, কিন্তু শুদ্ধচিত্তের মানুষ ছিলেন। আলু নৈব নৈব চ।

  • d | 202.54.214.198 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:১২694849
  • বাবুরনামায় লিশ্চয় লেখা আছে বাবুর বিরিয়ানী খেতেন কিনা। কিন্তু তার পাকপ্রণালী আছে কি? উঁহু নির্ঘাৎ নেই।
  • d | 202.54.214.198 | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:১৪694861
  • অজ্জিতের লজিকটা ভুলভাল। আমাদের মাত্তর দুই পুরুষ আগেই তো লোকে মুর্গী খেত না। তো শাহ জাফরের ঠাউদ্দা তো নাই খেয়ে থাকতে পারে। ইহার সারমর্ম --- ডায়েটিং করলে লোকে বোকা হয়ে যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন