এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিঙ্গুর: কি ভাবছেন সবাই(২)

    Ishan
    অন্যান্য | ১৮ অক্টোবর ২০০৬ | ৫২৮৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:৩৯696912
  • ঠিক আছে, জামানত নিয়ে রাখো। উত্তর মিললে ফেরত পাবে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ১৮:১৪696913
  • একটু সময় পাওয়া গেলো এবং কিছু ইনপুটও। বোজোর দেওয়া অ্যানালিসিসটা নিয়ে -

    (১) উত্তরাখণ্ড আর হিমাচল কি দিচ্ছিলো?

    ১০ বছর অবধি এক্সাইজ ডিউটি থেকে ১০০% ছাড়।
    প্রথম ৫ বছরে কর্পোরেট ইনকাম ট্যাক্স থেকে ১০০% ছাড়, পরের ৫ বছরে ৩০% ছাড়।

    (২) ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশন অ্যাসিস্ট্যান্স লোন - ০.১% - এখানেও উত্তরাখণ্ডের সাথে টক্কর দিতে হয়েছে - WBIDC will provide Industrial Promotion Assistance in the form of a Loan to TML at 0.1% interest per annum for amounts equal to gross VAT and CST received by GoWB in each of the previous years ended 31st March on sale of "Tata Small Car" from the date of commencement of sales of the small car. This benefit will continue till the balance amount of the Uttarakhand benefit (after deducting the amount as stated in para 7b and 7c below) is reached on net present value basis, after which it shall be discontinued.

    (http://tinyurl.com/5qqcaz)

    (৩) পাওয়ার এস্টিমেটটা লেখকের কথাতেই wild guess। জমির দাম নিয়ে কথাটার সুত্রও অনিশ্চিত।

    (৪) বড় পয়েন্ট - ১% সুদে লোনের খরচ নিয়ে - সাবসিডি নিয়ে হিসেবটা একটা বড় পিরিয়ড ধরে নিয়ে, অথচ বেসরকারি ইনভেস্টমেন্টটা এককালীন!!! তার একটা সমসময়ের প্রোজেকশন হবে না? আর্গুমেন্টটা এসেনশিয়ালি ফ্লড।

    এবং শেষ কমপেন্সেশন প্যাকেজ শুনে তো তৃণমূলের পদস্থরাই লাফাতে লাফাতে গেছিলেন...

    যাই হোক - এখন বাড়ি গেলাম। আজকের বাওয়ালিটা রব স্টাইলসের জন্যে তোলা ছিলো, কাল তো সে থাকবে না;-)
  • Blank | 203.99.212.224 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:০০696914
  • জমির ফসলের সাথে ট্যাক্স রেট বদলায় না? মানে একফসলীর জন্য যা ট্যাক্স, দো ফসলীর জন্য ও তাই?
  • pi | 124.125.56.238 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ২০:৫৯696915
  • মমতার আন্দোলনের অনেক কিছু নিয়ে আপত্তি আছে বলেছিলাম। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান অভিযোগ, তাঁর দল আরো কিছু ন্যায্য লড়াইকে সেভাবে দানা বাঁধতে ও হাইলাইটে আসতে দ্যায়নি। প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষে বাধা দিয়েছে বা পাতি বাংলায় কাঠি করেছে।
    নিজেদের হাত থেকে আন্দোলনের রাশ চলে যাবার বা লাইমলাইট চলে যাবার ভয় অথবা আরো গূঢ় কোন পলিটিক্যাল ইক্যুয়েশান থেকে ...
    যেমন খেতমজুরদের আন্দোলন।
  • pi | 124.125.56.238 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০৫696916
  • তবে কৃষি যাঁরা ভিত্তি আর শিল্পকে ভবিষ্যত বলে প্রোজেক্ট করেন, তাঁদের বহুফসলী কৃষিজমি থেকে উচ্ছেদ করে শিল্প এবং লাভজনক শিল্প সংকোচন করে রিয়েল এস্টেট বানানোর পরিকল্পনা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে।
    হুগলীতে হিন্দুস্থান মোটোর্স এ যা চলছে দেখে ও শুনে এলাম, পিলে চমকানোর মতন। সময় পেলে টই খোলার ইচ্ছা রইলো।
  • bb | 117.195.169.129 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৪৪696917
  • pi এর প্রতি।
    ১) কোন শিল্পপতি যদি temp worker কেও না ছাটাই করতে পারে তাহলে temp কেন হবে?
    ২) দেবব্রত বন্দ্যো তৃনমুলে যোগদান করেছেন, তিনি সবসময় বুদ্ধর ভুল বার করার চেষ্টা করবেন।
    Bozo আপনি প্রথম পাঠকের চিঠি পড়লেন, কিন্তু তৃতীয় পাঠকেরটি পড়লেন না?
    অন্য একজন আবার একটি লেখা দেখালেন how much we have saved on tax payers money by Tata Exit

    যতই অতিবাম, কংশাল, সনহতি ইত্যাদি জগাখিছুড়িরা আত্ম্যশ্লাঘা বোধ করুন , কিন্তু এটাই সত্য যে ক্ষতি হল সাধারণ মানুষের আর পশ্চিমবঙ্গের।
  • bozo | 128.111.119.175 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ২২:২৯696918
  • বিবি আমি তিন খানা চিঠি-ই পড়েছি। আমি ওটা দিয়েছিলাম কারন কিছুদিন আগে শ্যামল যখন ৫০ লক্ষ টাকা/একর লিখেছিলেন অনেকেই ওকে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করেছিলেন। সেই পয়েন্ট টা ক্লিয়ার করার জন্য।

    আমি অতি বাম, কংশাল না জগাখিচুড়ী জানি না তবে আমার স্ট্যাণ্ড আমি আগেও লিখেছি আবার লিখছি:
    ১।শিল্প, মন্দির কি পার্টি অফিস কোনো কারনেই সরকারের জোর করে জমি দখলের বিরুদ্ধে।
    ২।এই পাতায় বার বার লেখা হচ্ছে যে মমতার আন্দোলন কে কেউ কেউ লেজিটিমেসি দেবার চেষ্টা করছেন। অথচ সবাই স্বীকার করছেন যে প্রথম দফায় অধিগ্রহণে ভুল হয়ে গেছে- এখন যখন ভুল হয়েই গেছে তখন কারখানা করতে দেওয়া হোক। আমার কাছে এটাও সরকার বা প্রাশসনের ভুল কে লেজিটিমেসি দেওয়া।
    ৩। শিল্প ও সংস্থান নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। এই সন্দেহ ব্যক্তিগত কিন্তু উৎস হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস। সেখানে আশ্বাসের তুলনায় অনেক কম চাকরী হয়েছে।
    ৪।টাটা একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাউস মাত্র। টাটার মাথার পিছনে জ্যোতির্বলয় প্রচার একটি প্রোপাগান্ডা।

    আমি আগেও লিখেছি মমতা সেকেন্ড প্যাকেজ মেনে নিতেই পারতেন। যেমন বুদ্ধবাবু প্রথমেই বিরোধীদের আলোচনায় ডাকতে পারতেন, ড্যামেজ হবার আগে।

    ইমেজের ক্ষতি? তা হল বই কি। যুক্তফ্রন্ট আমল থেকেই তো ইমেজের গ্রাফ নেমেই চলেছে।
  • aja | 207.47.98.129 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:০৭696919
  • আর্য্যকে:

    ক্লাসিক বামপন্থায় জমি অধিগ্রহনকে কিভাবে দেখা হবে সেটা একটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। তোমার মূল প্রশ্ন, যদি আমি ঠিক বুঝে থাকি, কোন অবস্থাতেই একজন বামপন্থী চাষীর (আমি ধরে নিচ্ছি তুমি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী বলছ) জমি অধিগ্রহন করে শিল্প তৈরীর কথা বলতে পারে কিনা।

    মনে রেখো বামপন্থীরা একটা মোনোলিথিক বডি নয়। সোশ্যাল-ডেমোক্র্যাটদের জমি অধিগ্রহন করে শিল্পপতিকে দিতে আপত্তি থাকার কথা নয়, যতক্ষণ এক্সপেক্টেড রিটার্ন (সামাজিক ও অর্থনৈতিক) অধিগ্রহনের (সামাজিক ও অর্থনৈতিক) ব্যায়ের চেয়ে বেশী হচ্ছে। (এই এক্সপেক্টেড রিটার্ন নিয়ে র-এর সাথে একটা অন্য থ্রেডে কিছু কথা হচ্ছে, যদিও কনটেকস্ট আলাদা)। সেই হিসেবে সিপিএমের পক্ষে সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহন তাদের বাস্তব অবস্থানের (কর্মসূচী ধরছিনা, ওটা আউটডেটেড) সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। হয়তো ব্যাপারটা আরো এফিসিয়েন্টলি করা যেত, হয়তো এক্সপেক্টেড রিটার্ন আরো বাড়ানো যেত, এবং ক্ষতিপূরণ না পুনর্বাসন, সেই প্রশ্নের একটা মীমাংসা আগেই করা যেত। কিন্তু তাতে মূল ব্যাপারটা বদলায় না।

    এখন কমিউনিস্টদের পক্ষে এই জমি অধিগ্রহন কেমন ব্যাপার। এ নিয়ে কোন ধরা-বাঁধা উত্তর, যেটা সব রঙের কমিউনিস্ট মেনে নেবে, তা দেওয়া যায় বলে মনে হয় না। যদি কেউ মানে যে বর্তমানে ধনতন্ত্রের রোল তৃতীয় বিশ্বের দেশে সবসময়েই নেগেটিভ, এবং বিপ্লব না হওয়া পর্য্যন্ত শিল্পায়ন অপ্রয়োজনীয়, তাদের পক্ষে কখনই শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহন সমর্থনযোগ্য নয়। আবার কেউ যদি মনে করে বিপ্লবী পরিস্থিতি না আসা পর্য্যন্ত ধনতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো জরুরী, তাহলে তাদের পক্ষে সাময়িকভাবে একটা সোশ্যাল-ডেমোক্র্যাট অবস্থান নেওয়া নীতিগতভাবে সম্ভব। এর মধ্যে আরো অনেকগুলো রঙ থাকতে পারে, এবং মার্ক্সীয় ক্যাননের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে সেগুলির পক্ষে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে।

    এখন আমি নিজে সোশ্যাল-ডেমোক্র্যাট। প্রলেতারিয়েতের একনায়কতন্ত্র নিয়ে আমার প্রচুর অস্বস্তি আছে। কাজেই কেউ যখন বলে যে জনগনের মত আসলে অধিকাংশের মত নয়, তখন আমি ভ্যানগার্ড অফ পিপল বলে পলিটব্যুরোর মত চাপিয়ে দেবার অপচেষ্টা দেখতে পাই। মোদীর উদাহরন দিয়ে গনতন্ত্র == পার্টির মত, এই সমীকরণ চাপানোর চেষ্টাকে আমার অপচেষ্টা বলে মনে হয়।

    একই ভাবে, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে দক্ষিণপন্থীদেরও বিভিন্ন মত আছে। ওয়ালস্ট্রীটাররা শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহনের সমর্থক। অন্য দিকে লিবারটারিয়ান ও প্যালিনপন্থীরা সাধারনত: অধিগ্রহনের বিরুদ্ধে। মনে রেখো, মার্কিন দেশে এমিনেন্ট ডোমেনের বিরোধীরা অনেকেই লিবারটারিয়ান বা স্মল-টাউন কনজারভেটিভ।

    এখন জমি অধিগ্রহন নিয়ে মূল মত কি, না জেনে কথা বলার কোনো মানে আমি দেখতে পাই না। তুমি বা ঈশান যদি এই আলোচনা চালাতে চাও তো দুটো কথা স্পষ্ট হওয়া খুব দরকার।

    ১। কি কি শর্তে জমি অধিগ্রহন ন্যায্য বলে তোমরা মনে কর?
    ২। সেই শর্তগুলি স্যাটিসফায়েড হচ্ছে কিনা, তা কিভাবে নির্ধারিত হবে?
  • aja | 207.47.98.129 | ২১ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:১৪696920
  • এই পোস্টটা করার পরে বোজোর নতুন পোস্টটা দেখতে পেলুম। বোজোর অবস্থান হল ক্লাসিক লিবারটারিয়ান বা স্মল-টাউন কনজারভেটিভ অবস্থান, কোন কারনেই মালিকের সম্মতি ছাড়া জমি অধিগ্রহন চলবে না। সেক্ষেত্রে আমার মূল যুক্তি হল, মালিকানা বস্তুটি একটি সামাজিক কনস্ট্রাক্ট। সমাজ ছাড়া এবং সমাজের সম্মতি ছাড়া, মালিকানা বলে কিছু হয় না। কাজেই অধিকাংশ লোক যদি কোন জমির ওপর কারো মালিকানা স্বীকার না করে, সেই জমির ওপর ঐ লোকের মালিকানা থাকে না। মালিকের সম্মতি সেক্ষেত্রে অবান্তর।

    কিন্তু অতি-বামদের সাথে কথা এভাবে হবে না। এই আর কি।
  • Ishan | 59.161.127.117 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৪৫696922
  • ১। "মনে রেখো বামপন্থীরা একটা মনোলিথিক বডি নয়।'
    মনে রেখেই বলছি, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে প্রায় সমস্ত বামপন্থী পার্টিই (অন্তত: যারা বড়োসড়ো) মানে যে ধনতন্ত্রের আর কোনো প্রগতিশীল চরিত্র নেই। এটা নিয়ে তর্কের জাস্ট কোনো অবকাশ নেই। এর পরেও কেউ কেউ টাটা এনলাইটেনড বলে প্রচার ফাঁদতে পারেন, কিন্তু সেটা সমষ্টিগত বামপন্থী স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধেই যায়।

    ২। "কেউ যখন বলে যে জনগণের মত আসলে অধিকাংশের মত নয়, তখন আমি ভ্যানগার্ড অফ পিপল বলে পলিটব্যুরোর মত চাপিয়ে দেবার অপচেষ্টা দেখতে পাই।'

    অন্যের যুক্তি মন না দিয়ে ফলো করলে এরকম সর্পহ্রম অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি থোড়াই কমিউনিস্ট পার্টির সাপোর্টার। যাই হোক, আবার একটু ভালো করে বোঝাই।

    গণতন্ত্র একাধিক পরস্পরবিরোধী কনসেপ্টের ধারক। যার একটি এক্সট্রিম হল "সংখ্যাগরিষ্ঠের মতই জনতার মত'। অন্য এক্সট্রিম হল "সংখ্যালঘুর অধিকার'। এ দুটো পরস্পরবিরোধী কেন? না একটাকে মেনে নিলে অন্যটার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয়। মেজরিটির ভোটে জিতে আসা সরকার স্রেফ মেজরিটির কারণেই বিরোধী নেতাকে জেলে পুরতে পারেনা। বা পাড়ার তিরিশজন হিন্দু মাতব্বর মেজরিটির কারণেই একজন সংখ্যালঘুকে পাড়াছাড়া করতে পারেন না। এগুলো হয়তো মেজরিটির চাওয়া। কিন্তু তা সত্বেও গণতন্ত্রে এগুলো করা যায়না। যে ব্যবস্থায় এগুলো করা যায় তার নাম টোটালিটারিয়ান ব্যবস্থা।

    গণতন্ত্রে এগুলো করা যায়না, কারণ, গণতন্ত্রে মেজরিটির অধিকার সার্বভৌম নয়। সংখ্যালঘুর অধিকার দিয়ে তার সার্বভৌমত্বকে খর্ব করা আছে। সেই কারণেই এটা গণতন্ত্র। একদলীয় শাসন নয়। সেই কারণেই সমষ্টির সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সঙ্গে "ব্যক্তির অধিকার' নামক একটি রক্ষাকবচও গণতন্ত্রে থাকে। ব্যক্তি হল সমাজে চূড়ান্ত সংখ্যালঘু। কিন্তু তারও কিছু অধিকার আছে। সংখ্যাগুরু স্রেফ মেজরিটির বন্দুক দেখিয়েই সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারেনা। ২৩৫-৩০ দেখিয়েই নির্বাচিত সরকার যা খুশি করতে পারেনা। পলিটব্যুরোর শাসন থাকলে হয়তো পারত।

    তিন। এবার এই কনসেপ্টের আলোকেই আপনার বাকি প্রশ্নদুটোকে দেখতে হবে। কি কি শর্তে জমি অধিগ্রহণ ন্যায্য, ইত্যাদি। একটিই শর্ত। মেজরিটি-মাইনরিটি নয়, কনসেনসাস চাই। আজ পর্যন্ত বহু "জনস্বার্থে' জমি নেওয়া হয়েছে দেশজুড়ে। কোত্থাও কোনো বাওয়াল হয়নি। কিন্তু এই SEZ কান্ড হবার পর থেকে গোলমালের চূড়ান্ত। যেটা একটা জিনিসই সিগনিফাই করে, যে, "জনস্বর্থ' নামক ধারণাটি নিয়ে সিভিল সোসাইটি (গ্রামসিয়ান অর্থে)তে প্রবল মতবিরোধ আছে। এই মতবিরোধ মেজরিটি-মাইনরিটি দেখিয়ে সলভ করা যাবেনা। (যদিও এই প্রশ্নে গণভোট হলে সরকারি নীতি গোহারাণ হারবে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই) মেজরিটি-মাইনরিটি নয়, রাস্তাটা ঐকমত্যের। নইলে কোনো সিদ্ধান্তে আসা অসম্ভব।
  • Ishan | 59.161.121.108 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৫৬696923
  • "কিন্তু অতিবামদের সাথে কথা এভাবে হবেনা'।

    তীব্র প্রতিবাদ করলাম। এই হচ্ছে সেই টোটালিটারিয়ান যুক্তি, যাতে পার্টির মাতব্বর নিজের মাথার চাদ্দিকে ভ্যানগার্ডীয় জ্যোতি দেখতে পান। মমতাকে "বাল' ছাড়া আর কিছু বলতে পারেন না। টাটার এনালাইটেনমেন্টের পক্ষে সুদৃঢ় বক্তব্য রেখে একটিও যুক্তি দিতে ভুলে যান। এটাকেই পলিটব্যুরোপনা বলে বোধহয়।
  • Blank | 59.93.244.77 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৫৮696924
  • ১) কি ঝামেলা রে বাবা, গুগল মাইক্রোসফটের চেয়ে ভাল। এই কথাটা বলা নিষিদ্ধ নাকি বামপন্থী হলে?
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০১:০৫696925
  • মামু বললেই বামপন্থা নিয়ে তর্কের কোন অবকাশ নেই। ডিক্টেটর আর কাকে বলে!! গনতন্ত্র আর মামু? হা:।

    গনতন্ত্রে মেজরিটির ইচ্ছা আলটিমেট। সংখ্যাগরিষ্ঠ চাইলে সংখ্যালঘুকে পাড়াছাড়া করা যায় (গনতন্ত্রে)। সংখ্যালঘু যাস্ট সংখ্যালঘু বলেই সংখ্যাগুরুর ইচ্ছে লঙ্ঘন করতে পারে না।

    এখন বিভিন্ন কনসিডারেশন থেকে সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘুর অধিকার স্বীকার করে, এবং সংখ্যালঘুদের অ্যাকোমোডেট করে। কিন্তু করতে না চাইলে করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এবং থাকলে সেটাকে গনতন্ত্র বলা যায় না।

    কনসেনশাস হল গিয়ে ভাটের কথা। যারা ভোটে জিততে পারে না, তারাই কনসেনশাসের মত ইমপ্র্যাকটিক্যাল এবং অবস্ট্রাকশনিস্ট কথা বলে বাজার গরম করে।
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০১:০৮696926
  • মামু,

    আমি কার সাথে কিভাবে কথা বলব সেটা তুমি ঠিক করে দেবে নাকি? চেষ্টা করে দেখ ক'গাছা ছিড়তে পার।
  • Du | 67.111.229.98 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৫১696927
  • গণতন্ত্রে সংখ্যালঘুরই বা বন্দুক দেখিয়ে যা খুশি করার অধিকার আছে কি?
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০৫:৩৪696928
  • মামুর কথা ভারী মজার।

    ধরো এক গ্রামে একটাই পুকুর। তার মালিক বলল যে জল কিনতে হলে এক্সরবিট্যান্ট দাম দিতে হবে। মামুর মতে অধিগ্রহন চলবে না। কেন না পুকুরের মালিক মত দেবে না। মালিককে কিছু করাও যাবে না, কেন না তাতে গনতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে।

    এটাকে মামু সিরিয়াস আলোচনা বলে। সংহতির দল এটাকে কি বলে?
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০৬:৫৫696929
  • ব্ল্যাংকিকে,
    হ্যাঁ, এক-ফসলীর চেয়ে দো- বা তিন-ফসলীর খাজনা বেশি। ল্যান্ড রেভিনিউ দপ্তরে পাটোয়ারি এগুলোর রেকর্ড রাখে। কোন জমিতে গত কয় বছরে কি কি ফসল হলো, জমি ইরিগেটেড কি না--ইত্যদি।
    আর টাটা বিড়লার চেয়ে ভালো কি না, নোকিয়া মোবাইল এল জি বা স্যামসুং এর চেয়ে ভালো কি না কেন বলা যাবে না?- পন্থা বাম-দক্ষিণ যাই হোক। কিন্তু মামু বলছে ব্ল্যান্ড স্টেটমেন্টের যায়গায় স্পেসিফিক হতে। এই যেমন হ্যান্ড্‌সেটের বেলায় কস্ট, ব্যাটারি, স্ক্রীন রেজোলুশন ইত্যাদি।
    তবে হ্যাঁ, বামপন্থার যেমন পুঁজিবাদ উচ্ছেদ কমন ডেরিভেটিভ, তাহলে বামপন্থার পরিপ্রেক্ষিত থেকে এক বিগ হাউসকে অন্যের চেয়ে ভালো বা এন্‌লাইটেন্ড বলতে হলে একটা অতিরিক্ত প্যারামিটার চাই বই কি!:))))
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০৭:০৮696930
  • ভারতের সংবিধানে রাইট টু প্রপার্টি একটি ফান্ডামেন্টাল রাইট ছিল। কিন্তু ১৯৭৮ সালে ( জনতা সরকার) ৪৪ তম অ্যামেন্ডমেন্ট এনে এটাকে ফান্ডামেন্টাল নয়, কিন্তু লিগ্যাল রাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
    এতে এও বলেছে যে এর আগে একজন চাষীর জমি নিয়ে নেওয়া হলে তাকে বাজার দরে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে নিয়ম ছিল, সেটা বলবৎ থাকবে।
    এই নিয়ম অনুযায়ী তো প: বঙ্গ সরকার বেআইনী কিছুই করেনি দেখছি।
    ******************************
    সিঙ্গুর অনেক প্রশ্ন এনে হাজির করেছে। ধরা যাক একটা হাইওয়ে হবে। তার জমি প্রায় সবাই দিয়ে ক্ষতিপূরণ নিয়েছে। কিন্তু দুজন বলছে আমাদের চাষের জমি , আমরা দেবনা। নিতে গেলে এক কোটি টাকা প্রতি বিঘা দিতে হবে( একটা exorbitant দাম আরকি)। সেক্ষেত্রে সরকার কি করবে?
    ১) জোর করে নিয়ে অন্যেদের যা দাম দিয়েছে সেটা দিতে পারে।
    ২) রাস্তা ঘুরিয়ে ঐ জমিদুটো অ্যাভয়েড করে রাস্তা তৈরি করতে পারে।

    আমেরিকায় যদিও eminent domain আইন আছে তবুও অনেক জায়গায় সরকার ২ নম্বর পন্থা নিয়েছে। কিন্তু ফ্যাক্টরি বা হাউসিং বা শপিং কমপ্লেক্স করলে তো contiguous জমি দরকার। সেক্ষেত্রে ২ নম্বর পদ্ধতি খাটবেনা।
    ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি ভাঙাচোরা হাউসিং কমপ্লেক্স সরকার নিয়ে নেয় যাতে সেখানে একটি নতুন কন্ডো, শপিং কমপ্লেক্স, অফিস বিল্ডিং ইত্যাদি বেসরকারী বিল্ডাররা বানাতে পারে। সুপ্রীম কোর্ট এক্ষেত্রে সরকারের স্বপক্ষে রায় দিয়েছিল।

    উইকিপিডিয়ায় eminent domain পড়ুন। প্রায় সব দেশে সরকার যদি মনে করে পাবলিক গুড হবে তবে বাজার দর দিয়ে জমি নেওয়ায় সরকারের কোন বাধা নেই। এমনকি আমেরিকাতেও জমির মালিকানা অ্যাবসলিউট নয়।
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০৭:১২696931
  • অজ কি ২২ অকটোবর ১-০৫ এর পোস্টে সিরিয়াস? মানে আমি আপনার কথাটা ঠিক বুঝেছি কি না? বিশেষ করে সেকন্ড ও থার্ড স্টেট্‌মেন্ট ?
    আপনার কথা যদি লিটার‌্যালি ধরি তাহলে গণতন্ত্র মানে----১) মেজরিটি ভিউ/ কমিউনিটি/ দলের শাসন।
    ২) মাইনরিটির মাথা নীচু করে মেজরিটির ইচ্ছে মেনে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।
    ৩) গণতন্ত্রে মাইনরিটির কোন স্পেস নেই। থাকলে সেটুকু মেজরিটির দয়ায় আছে।
    ৪) এনিয়ে কোন আইনি বা অন্য কোন বাধ্যবাধকতা থাকলে তা আর গণতন্ত্র থাকেনা।(?)
    আমার জিজ্ঞাস্য--- নরেন্দ্র মোদি কি দোষ করলো?
    আর "" অতিবামদের সঙ্গে কথা এভাবে হবে না'' এটা আপনার স্টেটমেন্ট। কি ভাবে হবে যদি একটু খোলাসা করেন?

    দু কে,
    বন্দুক দেখিয়ে রাজনীতি? সেটা লঘু- গুরু কেউ করুক --আইনভাঙ্গার পর্য্যায়ে পড়ে।
  • Blank | 59.93.244.77 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০৮:৩৬696933
  • তাহলে তো মৌজা ম্যাপের সাথে কৃষি রিলেটেড মানে ফলনের ম্যাপ ও রেডি, তাই না :)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:০৯696934
  • রঞ্জনদা - দু-কে যে উত্তরটা দিলেন তার রেসপেক্টে বলি - অনেকক্ষেত্রে এটাকে প্রগতিশীলেরা আইনভঙ্গ মনে করেন না, বরং জাস্টিফাই করেন - কার কানপট্টিতে বন্দুক রাখা হল সেটা দেখে নিয়ে।
  • a x | 75.53.194.212 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:১৩696935
  • কম্যুনিটি কথাটা মাথায় রাখবেন। আমি স্কুল বানাবো। কম্যুনিটি সাধারণত এগিয়ে এসে জমি দেয়। হাসপাতাল বানবো, কম্যুনিটি ডাক্তারের থাকার ঘর বানিয়ে দেয়। কিন্তু আমি বলছি এইটা বৃহত্তর জনস্বার্থ। তুমি x কম্যুনিটি ইমেডিয়েট ফল নাইবা পেলে, কিন্তু বাবুরা বা y কম্যুনিটি চাকরি পাবে, তখন তুমিও কিছু কাজ নিশ্চয়ই পাবে, আমি বলছি যখন পাবেই (হলদিয়া টলদিয়া একটু আধটু ভুল)। কিন্তু x কম্যুনিটি এমন পাজির পাঝাড়া নিজের ভালো বুঝবেই না। আরে তোরা বৃহত্তর জনস্বার্থ চোখের সামনে জ্বল জ্বল করে দেখতে পারিসনা?

    একজন বা দুজন জমি দিতে চাইছেনা, কিন্তু সেই কম্যুনিটি দিতে চাইছে। এটাকে জনস্বার্থ বলা যেতে পারে, কারণ "জন"টা সেম সাবসেট।

    কম্যুনিটি স্কুল চাইছেনা, তুমি বলছ বাবা ভালো ছেলে, স্কুলে পড়, সে বলছে, না আমরা পাহাড়দেবতার পড়াই পড়ব। তবু আমি জমি নিয়ে জোর করে স্কুল বানাবোই জনস্বার্থে। কারণ তার স্বার্থ সে আর কি বুঝবে, আমি বুঝি। সংহতির কথা ছাড়ান দ্যান, ওরা তো এই সেদিনের। আশিষ নন্দী কি বলেন এ ব্যপারে? ;-) আশিষ নন্দী বোধহয় কংশাল। কিম্বা মমতা। প্রগতিশীল তো মোট্টে না।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৩৮696936
  • কিন্তু ওই x কম্যুনিটির সামনে কোন আন-অ্যাটাচড ভুঁইফোঁড় z গোষ্ঠী এসে x কম্যুনিটির নাম নিয়ে মাতব্বরি করলে তাকে কি বলে? নিশ্চয় আন্দোলন।

    শেষ কথাটা খুব চেনা কথা - আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার গোছের গালভরা নাম দিয়ে ইনডাইরেক্টলি একটা কম্যুনিটিকে অন্ধকারে রাখার চেষ্টা।

  • Ishan | 121.245.109.218 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১১:৩৮696937
  • কিসব ছেঁড়া ফেঁড়া লিখেছেন। অজদা কি রেগে গেলেন? ইশ। :)

    রঙ্গন বেচারি এখন চোখ বুজে শুয়ে আছে। দেখতেই পেলনা। যা:।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১১:৫০696938
  • আচ্ছা টাটা কেন বিজ্ঞাপন দিয়েছে সেটা নিয়ে তো হইচই হল। কিন্তু এটার তাৎপর্য নিয়ে তো কেউ কিছু বল্ল না - http://business.outlookindia.com/newsarch.aspx?newsid=10025&catgid=37&subcatgid=190&storydate=09/08/2008&arch=1?

    ডি: টাটা এবং জ্যোতির্বলয় নিয়ে কিছু বলি নাই।
  • siki | 203.122.26.2 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১১:৫৬696939
  • অজ্ঞের কিছু সংযোজন:

    কাল বউয়ের কাছ থেকে জেনে নিয়ে এসে আজ লিখছি। রাজ্যের জেলার জেলার মৌজা ম্যাপটা বামফ্রন্ট সরকার নয়, ওটা বানিয়েছিল ব্রিটিশরা, স্বাধীনতার আগেই। এখন যে হেতু স্বাধীনতার আগে আর বামফ্রন্ট জমানায় রাজ্যের জেলার বেশির ভাগ ম্যাপই বদলে গেছিল, ফলে সরকারকে সেই এক্সিসটিং ম্যাপগুলোকেই আপডেট করে বানাতে হয়েছিল।

    এখন এই মৌজা ম্যাপটা ব্রিটিশরাও সম্পূর্ণ করতে পারে নি, বামফ্রন্ট সরকারও সম্পূর্ণ করতে পারে নি। পুরো পশ্চিমবঙ্গের কথা ধরে বলছি। কেন পারে নি? জানতে গেলে বুঝতে হবে মৌজা ম্যাপ কীভাবে বানানো হয়।

    কীভাবে বানানো হয়? জরিপ করে। জরিপটা করা হয় খুঁটি আর চেনের সাহায্যে। ইকুইপমেন্টটার নাম হচ্ছে সার্ভেয়ারদের পরিভাষায় চেন-লাঠা। তো, এই চেন-লাঠা দিয়ে জমির ওপর চষে বেড়িয়ে দীর্ঘ পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে মৌজা ম্যাপ।

    কিন্তু পবঙ্গে জমির, বিশেষ করে চাষযোগ্য জমির এইভাবে চেন-লাঠা দিয়ে পরিমাপ করা অনেক টাফ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এতে সঠিক রেজাল্ট আসে না, তার মূল কারণ, ভাগাভাগি আর আল। আজ যে জমি একটা, কাল তার মাঝ বরাবর আল পড়ে গেল, ভাই-ভাই আলাদা হয়ে গেছে, তেমনি আবার জুড়েও যায় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, মাঝের আল হাপিস হয়ে যায়। ফলে ব্রিটিশদের করা মৌজা ম্যাপ আর বামফ্রন্টদের করা মৌজা ম্যাপে অনেক ফারাক দেখা গেল। ক্যালকুলেশন করে এটাও দেখা গেল, এত বেশি ফ্রিকোয়েন্সিতে পবঙ্গে জমির ক্ষেত্রফল বদলায় যে কয়েক বছর পরেই এক এলাকায় চেন-লাঠা নিয়ে গেলে আবার অন্য ফল বেরোতে পারে। মানে, মাটিতে দাঁড়িয়ে মাপজোক করা যাচ্ছে না। এর জন্য দরকার এরিয়াল ভিউ। আকাশ থেকে একটা ভিউ পেলে জমির জরিপ করা অনেক সোজা হয়, আর অ্যাকিউরেট মাপও পাওয়া যায়।

    প্লাস, পুরুলিয়া জেলার অনেকটাই জুড়ে আছে পাহাড় আর জঙ্গল। মেদিনীপুরেও তাই। সেখানে চেন-লাঠা চলে না। সেগুলোও এরিয়াল ভিউ না হলে সঠিকভাবে জরিপ করা কঠিন।

    ফলে, মোদ্দা কথা, সরকারের কাছে রাজ্যের মৌজা ম্যাপ আছে ঠিকই, কিন্তু মোটা দাগের। অ্যাকিউরেট নয়। এবং পুরুলিয়ার ঐ সব দুর্গম এলাকার ম্যাপ আজও নেই। এরিয়াল ইন্সপেকশন আজও হয় নি।

    শোনা কথা। আমার এ ব্যাপারে কোনও ব্যক্তিগত জ্ঞান নেই। খিস্তি মারতে হলে আমার বউকে মারবেন ;-)))
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১২:০১696940
  • না: এইটা সঠিক তথ্য। জামানত (যেটুকু বাকি আছে চা-সিঙারার পর) ফেরত পাবে।
  • Ishan | 121.245.91.208 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১২:৪৮696941
  • এবার অজদার "মজার' পোস্টটার উত্তর দিই। (অন্য পোস্টটারও উত্তর পরে দেব, একটু টাইম পেলেই।) সিরিয়াস অলোচনা বলেই বোধহয়, এমন একটি উদাহরণ উনি দিয়েছেন, যা ওনার প্রতিপাদ্যের বিরুদ্ধেই যায়। :)

    সমস্যাটি মূলত: মনোপলির। গ্রামের পুকুরের জায়গায় ধরা যাক, একটি কোম্পানি রয়েছে, মার্কেটে যার প্রবল মনোপলি বর্তমান। এবং সে অত্যধিক দামে কোনো একটি এসেনশিয়াল সার্ভিস বিক্রি করে।

    আদর্শ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়, এই জায়গায় সরকার কি করে? কোম্পানিটাকে অধিগ্রহণ করে? একদম না। বরং মনোপলি রেস্ট্রিকশনের জন্য সরকার বিভিন্ন আইন করে। সেরকম আইন ভারতেও আছে অন্যত্রও আছে। তার দ্বারা নিশ্চিত করা হয়, যে, এসেনশিয়াল সার্ভিসটি একটি মাত্র কোম্পানি যেন অস্বাভাবিক চড়া দামে বেচতে না পারে।

    মনোপলি নিয়ন্ত্রণে এটাই হল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। এটাকে আপনি গ্রামের পুকুর পর্যন্ত এক্সটেন্ড করুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন, যে, অধিগ্রহণ নয়, মনোপলি আটকানোর জন্য অন্যরকম আইনী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অবশ্য আপনি এনলাটেন্ড শিল্পপতিদের জন্য একরকম আর চাষার ব্যাটার জন্য অন্যরকম ব্যবস্থা প্রেসক্রাইব করতেই পারেন। :)

    পু: প্র্যাকটিক্যালি অবশ্য গাঁয়ে গঞ্জে এরকম সমস্যা হয়ইনা। পুকুর যারই হোক, সেটায় যে কমিউনিটির অধিকার আচে, সেটা নিয়ে গাঁয়ে গজে একটা "কনসেনসাস' আছে। হ্যাঁ, মেজরিটির জোর-জুলুম নয়, কনসেনসাস। ফলে এই জাতীয় ঝামেলা বিশেষ হয়না।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:৩১696942
  • আরেকটা কথা রঞ্জনদা - নোকিয়া-স্যামসুংএর মতন টাটা-বিড়লা - কে ভালো কে খারাপ সেটা বলতে বারণ থাকবে কেন? কিন্তু তর্কের প্রেমিসেস কি তাই? টাটা জ্যোতির্ময় কিনা? একটু ভাবুন। আমার তো তা মনে হয় না।
  • r | 125.18.104.1 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:০৫696944
  • ১) এইটা সবথেকে জরুরী ও সিরিয়াস। শুধু ঈশান রেগে যায় না, সবাই রেগে যায়, ইনক্লুডিং অজদা- ইহা একটি সত্য যাহা আমি জনসমক্ষে স্বীকার করিলাম। (এটা ছোটো অক্ষরে) তবে যারা রেগে যায় তাদের সবার পিছনে লেগে আমি আনন্দ পাই না। ;-)

    ২) গণতন্ত্রে সংখ্যাগুরুর সার্বভৌমত্ব নেই, ব্যক্তির অধিকার রয়েছে- একদম ঠিক, এবং এর সাথে এটাও ঠিক যে গণতন্ত্রে সংখ্যালঘুর ভেটো পাওয়ার নেই। এখানে আইনী সিদ্ধান্ত ও বেআইনী কাজের মধ্যে একটু তফাৎ করা দরকার। কেউ কাউকে গায়ের জোরে পাড়াছাড়া করা বেআইনী- এর মধ্যে সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরুর কোনো প্রশ্নই নেই। কিন্তু যে কোনো আইনী ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে সংখ্যাগুরুর মতামতই গ্রাহ্য হয়, এবং সংখ্যালঘু সেখানে ভেটো দিতে পারে না। গ্রামসভা থেকে সুপ্রিম কোর্ট অবধি এই নীতিতেই চলে। গণতন্ত্রে মতানৈক্য থাকবে সেটাই স্বাভাবিক এবং সেই মতানৈক্যজনিত স্থিতাবস্থা কাটানোর জন্য ভোট বলে একটি ব্যবস্থাও আছে। নইলে কোর্টে বেশির ভাগ বেঞ্চ কোনোদিন কোনো রায় দিতে পারতেন না। সংখ্যালঘুর ভেটো পাওয়ার থাকলে কি হয় তার এক প্রকৃষ্ট উদাহরন হল ইউনাইটেড নেশন্‌স সিকিউরিটি কাউন্সিল। মতৈক্য না হলে কিছু হবে না- এই ধারণাটি গণতন্ত্রের সাথে আদৌ খাপ খায় না, বরং এই অজুহাত দেখিয়ে যাবতীয় স্থিতাবস্থা বজায় রেখে দেওয়া যায়। এই মতৈক্যের অভাবের অজুহাতেই বছরের পর বছর মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে দেওয়া হয় নি।

    ২) ব্যক্তিস্বার্থ ও জনস্বার্থের বিরোধ কাটাবার জন্য সম্প্রতি কমিউনিটির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কমিউনিটিকে ধরলেও ঈশানের মতৈক্যের সমস্যা মেটে না। কারণ, "কমিউনিটি" যদি রাজি থাকে, মানে কমিউনিটির সংখ্যাগুরু যদি রাজি থাকে। ঈশান "গ্রামগঞ্জে মতৈক্যের সুলভতার" প্রমাণ কোথা থেকে পেল জানতে ইচ্ছা করে। কারণ ভারতবর্ষের সুদীর্ঘ ইতিহাস এবং অগুন্তি গল্প-উপন্যাস- সবই তার উল্টো প্রমাণ দেয়, বিশেষত: জমিসংক্রান্ত বিষয়ে। কখনও সময় পেলে এই নিয়ে নাহয় নাড়াচাড়া করা যাবে, পল্লীসমাজের গোষ্ঠীদীর্ণতা ও জমিসংক্রান্ত মামলা ও দাঙ্গার খতিয়ান লেখা যাবে। তবে আপাতত: সময় পেলে ঈশান যে কোনো সাব-ডিভিশনাল কোর্টে কিছুদিন কাটিয়ে এলে ভালো করবে। কিন্তু মতৈক্য এলেও এই সমস্যা মেটে না, কারণ কমিউনিটি কোনো স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিচ্ছিন্ন এনটিটি নয়। সদর শহরে যাবার রাস্তা চওড়া হবে, এখন যে রাস্তা আছে তা দিয়ে রোগীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে রাস্তায় অক্কা পায়। সাত পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে যায় এই রাস্তা। তার মধ্যে পাঁচ পঞ্চায়েত শাসকদলের দখলে, এবং দুই বিরোধীদের দখলে। বিরোধী পঞ্চায়েত বলল- কোনো মূল্যেই রাস্তা চওড়া করার জমি দেব না। কষ্টকল্পিত সমস্যা নয়। এ তো গেল গ্রামাঞ্চলের কথা। শহরে বা মফ:স্বলে এইজাতীয় সমস্যা আরও জটিল আকার নেয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন