এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিঙ্গুর: কি ভাবছেন সবাই(২)

    Ishan
    অন্যান্য | ১৮ অক্টোবর ২০০৬ | ৫১৮২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:২৩696945
  • আসলে কনসেনসাসের ডেফিনেশন সুযোগমতন পাল্টে যায়। যেমন কোথাও এক দল আরেক দলকে পেঁদিয়ে বের করে দিলে বা জ্যান্ত পোড়ালে কখনও সেটা "দুষ্টের দমনার্থে' কনসেনসাস, কখনও সংখ্যাগুরুর জুলুম - এতো দেখাই গেছে রিসেন্টলি। আদতে, খালি চোখে দুটোই সমান খারাপ।
  • r | 198.96.180.245 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:৫৬696946
  • ৩)আরও একটা কথা বলার ছিল- এস ই জেড হওয়ার পরে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এত বাওয়াল হচ্ছে এবং আগে বিনা বাওয়ালে জনস্বার্থে প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে- এই নিয়ে। এক, বাওয়াল না হলেই মতৈক্য আছে, এবং বাওয়াল হলেই সেখানে বেশির ভাগ মানুষের সায় নেই- এই সিদ্ধান্তে আদৌ পৌঁছানো যায় না। বাওয়াল না হলেও যে মতৈক্য না থাকতে পারে- এই ব্যাপারে মনে হয় আমার থেকে ঈশানের কমরেডরাই বেশি ভালো বলতে পারবেন। অন্যদিকে পঞ্চাশটা লোক স্রেফ বাওয়াল করে আরও দুশো লোকের মত দাবিয়ে দিতে পারে- আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক। দুই, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ঝামেলা ১৮৯৪ সালের থেকেও অনেক পুরোনো। অষ্টাদশ শতাব্দীতে কলকাতার পত্তন ও বৃদ্ধি এক দীর্ঘ জমি অধিগ্রহণের ইতিহাস, যা নিয়ে প্রচুর ঝামেলা হয়েছে, কোর্টকাছারি অবধি জল গড়িয়েছে, এবং ক্ষেত্রবিশেষে কোর্ট জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। খাস কলকাতাতেও সব রাস্তা বা ফ্লাইওভার সম্পূর্ণ মতৈক্যের ভিত্তিতে তৈরি হয় নি, এখন মিডিয়া ও মেনস্ট্রিম পোলিটিকাল পার্টির কল্যাণে বেশি কভারেজ পাচ্ছে। লেক গার্ডেন্স ফ্লাইওভার, গড়িয়া অবধি মেট্রো সম্প্রসারণ, মেট্রো রেল নির্মাণ- প্রতি ক্ষেত্রেই জমি অধিগ্রহণ নিয়ে অসংখ্য মামলা মোকদ্দমা চলেছে। কাজেই এস ই জেড থাকুক বা না থাকুক- এই ঝামেলা ছিল এবং থাকবে, একটু আধটু কমাবাড়া কেবল।
  • h | 203.99.212.224 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:২৫696947
  • পুকুর নিয়ে ঝামেলা হয় না মানে? কি চাপ সারা জীবন ই তো, স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা দেখে এলাম। কৃষক সভা করার সময়ে। মামলার কোন শেষ নেই। জেনেরালি শরিকী মামলা, দেবোত্তোর সম্পত্তির ভাগের মামলা গ্রাম শহর কোথাও কম পড়ে নাই। আরেকধরণের মামলা খুব কমন, সেটা হল, পুকুরে মাছ ধরার লিজের যে চুক্তি তার বিভিন্ন কনটেন্ডিং ভারসন নিয়ে।

    শহরে বা গ্রামে মালিকানা বিহীন জমি বা জলাশয় বা জঙ্গল যে থাকে না তা নয়, থাকে, কিন্তু সেগুলো কে ঠিক কম্যুনিটি প্রপার্টি বলে ডিক্লেয়ার করা নাও থাকতে পারে। এবং সেগুলোর দখল বদলে যেতেও পারে এবং যায়। আদিবাসী দের হ্যাবিটাট রক্ষার জন্য আইন তৈরী হয়েছে ঠিক। কোন জমিদার বা পঞ্চায়েতের জমিতে বসত করতে দেওয়া আদিবাসী পাড়া ও আছে, যেখানে লোকবসতির চাপ বেশি।

    জেগে ওঠা চরের দখল নিয়ে তো আস্ত আস্ত উপন্যাস আছে। রেকর্ড ঘাঁটলে মামলাও আছে। কিছু কিছু অঞ্চলে ইংরেজ আমলের কোর্ট তো ছেড়ে দ্যান, পার্সিয়ান রেকর্ডেও বিবাদের ইতিহাস পাবেন। ভারতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আইন প্রনয়ন হয়েছে। তার আগের রেকর্ড থাকলে তাতেও পাওয়া যাবে। মহাভারত তো বেসিকালি দুটো স্মল টাইম জমিদারের মারামারি। বিভিন্ন কোর্ট অফ জাস্টিস হয়েছে, কিন্তু স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে বাওয়াল তো খুবই সাধারণ ঘটনা।

    আমি ইশানের, র র, অজদার পুরো আর্গুমেন্ট টা বুঝতে পারছি না। আরেকটু ডিটেলে পড়তে হবে বোধ হয়। কিছু মিস করছি বোধ হয়।
  • r | 198.96.180.245 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:৩৪696948
  • বাই দ্য ওয়ে, গ্রামে পুকুরের সমস্যা আদৌ মোনোপলি রেস্ট্রিকশনের সমস্যা নয়, অর্থনীতি ও সমাজতঙ্কেÄ খুব চেনা সমস্যা যাকে বলা হয় "প্রবলেম অফ কমনস"- যার সাথে একচেটিয়া ব্যবসার তুলনার্থেও কোনো সম্পর্ক নেই।
  • h | 121.242.13.34 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:১০696949
  • অক্ষ, আশীষ নন্দী কে বেশি ডিফেন্ড করতে যেও না, একেবারেই রিলায়বল নয়, ঝামেলায় পড়ে যাবে। শুধু ফাইনার ডিটেলে নয়, মোদ্দা কথাতেও। মানে করতেই পারো, নিজের বেসিক বামপন্থী অবস্থান তাইলে ছাড়তেও হতে পারে, অদূর ভবিষ্যতে।
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:৩৫696950
  • হনু, এখানেই আমার প্রবলেম। এই মমতা থেকে সিপিএমের এই টিপিকাল সেল্ফ রাইটিয়াস, ডগম্যাটিক অ্যাটিচ্যুডে। আমি আশিষ নন্দীর ফ্যান নই। একেবারেই নই। আশিষ নন্দীর সতী নিয়ে বক্তব্যও আমার জানা। কিন্তু কখনো কখনো কিছু কথা ভাবায় বইকি। আশিষ নন্দী বলেচে বলেই উড়িয়ে দিয়িনা, কেননা লোকটা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকঠাক কথা বলে। আশিষ নন্দীর উদাহরণ দেওয়া এই কারণে, বাজারে যে পরিমানে কংশাল ইত্যাদি লেবেলিং চলছে, সেখানে এই জনস্বার্থ এবং গণতন্ত্র যে একটি বিতর্কের উর্দ্ধে, মোনোলিথিক ডগমা না, সেটা বলার জন্য। এবং যেইই একটু অন্য কিছু বলে সেইই আর প্রগতির ধ্বজা ধরে নেই এই গল্পটাও না।

    এবার সিপিএমের নিয়ে আমার প্রবলেমের লিস্টে পরেরটা বলি। ক্যাডার, কার্ড হোল্ডার, ঘোষিত, অঘোষিত সব সমর্থকদের মধ্যেই, আমার আগের দেওয়া ঐ x,y উদাহরণে, তাদের x,y কে নিয়ে ইন্টেরেস্ট নেই। ইন্টেরেস্ট z কে নিয়ে। এবং তারা z কে আনবেই, যাতে x,y নিয়ে বলতে না হয়।

    অরিজিৎ দুটো জিনিস বললে -
    এক, কেন বাইরে থেকে z এসে x কম্যুনিটির হয়ে কিছু করবে।
    দুই আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ফদিকার বাজে বাওয়াল। এসব করে একটা কম্যুনিটিকে অন্ধকারে রাখা। দুইএর করোলারি আশা করি এইরকম যে x কম্যুনিটি অলরেডি অন্ধকারে, তাকে আলোকিত করা দরকার, যদি কেউ বলে কেন বাইরে থেকে করবে, সে আসলে অন্ধকারেই রেখে দিতে চায়।

    ঠিক বললাম? নিজেই আরেকবার পড়বে কি?
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:৩৮696951
  • আর এই বেসিক বামপন্থী অবস্থান - এটা তো অনেক দূর এসেছে হনু। লেফটিস্ট এবং মার্ক্সিস্ট তো এক না। মার্ক্সিস্ট না হয়েও যে লেফটিস্ট হওয়া যায় এই জামানায়। আর আমি বামপন্থী না গান্ধীবাদী কোনোদিন ডিক্লেয়ার করেছি কি?
  • a x | 143.111.22.23 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২০:০৪696952
  • আশিষ নন্দীর ফন্দি বাদ দ্যান। মার্ক্সিস্টরা না শুনলেও লেফটিস্টরা নিশ্চয়ই দয়ামণি বারলার নাম শুনেছেন। সেতো z কম্যুনিটির লোকও না, খোদ x কম্যুনিটিরই। তারাও মাঝে মাঝে নন্দী গোছের কথাবার্তা বলে ফেলে।

    "For any tribal community, land is not an asset to be sold, it is their heritage. They are not masters or owners of it, but its protectors for the next generations," he says.

    Ms Barla says: "The corporate houses are simply ignorant of the concept of the subsistence economy of a tribal society that is rooted in agriculture and forest produce.

    "The natural resources to us are not merely means of livelihood, but our identity, dignity, autonomy and culture have been built on them for generations.

    "These communities will not survive if they are alienated from the natural resources. How is it possible to rehabilitate or compensate us?" she asks.

    http://tinyurl.com/5mv9hp

  • arjo | 168.26.205.5 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২০:১৯696953
  • অজদা,

    প্রথম কথা, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে তার মানে বামপন্থীদের মধ্যেও অনেকরকম ভেদাভেদ আছে। তাই এক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের বিরোধীতা মানে অবামপন্থী মনোভাব এমন নয়। ঠিক বুঝলাম কি?

    দ্বিতীয় কথা, কার্য্য কারণ ছাড়া কোনো অ্যাক্টকে নীতি বলা যায় কি? কোনো ডেমোক্রেটিক পার্টির পলিসিতে জমি অধিগ্রহণ করাই উচিত বলে পলিসি আছে কি? নাকি পলিসিতে আছে সোশ্যাল সিকিউরিটি, হিউম্যান রাইট্‌স, ফেয়ার ট্রেড, সিভিল রাইটস এইসব। কোনো একটা পার্টিকুলার অ্যাক্টকে এই মূল নীতি গুলো দিয়ে সাপোর্ট করা হয়। নইলে অধিগ্রহণ সদা সর্বদা ঠিক বলে কিছু হয় না। তাই সিঙ্গুরে অধিগ্রহণ কে সাপোর্ট করতে গেলে কেন হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে সেটাও বোঝা দরকার। যেমন ধরা যাক রাইট অফ অ্যাবরসন - ডেমোক্রেটরা সব সময় সাপোর্ট করে যদি না মায়ের হেলথের অসুবিধা থাকে। মানে এটার কোনো অ্যাবসিলিউট স্টান্স নেই।

    তৃতীয় কথা, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক স্টান্স তো সিভিল লিবার্টিতে বিশ্বাস করে। সিভিল লিবার্টির মূল কথাই তো ব্যক্তিকে সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে বাঁচানো। তাই সেই স্টান্সে তো ধর্ণা ইত্যাদিকে সাপোর্ট করা উচিত। যদি জনগণ মনে করে তাদের প্রতি অবিচার হচ্ছে তাহলে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক মতে চেঁচানো তার মৌলিক অধিকার।

    চতুর্থত, পুকুরের উদাহরণ টা এক্ষেত্রে অচল। কারণ পুকুরের মালিককে ক্লাসিকাল বামপন্থায় বুর্জোয়া বলা হয়। সিঙ্গুরের চাষীরা আর যাই হোক বুর্জোয়া নয়। অ্যান্ড এগেইন, সোশ্যাল ডেমোক্রেটরা ব্যক্তিগত মালিকানাকে কি অস্বীকার করে?
  • arjo | 168.26.205.5 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২০:৪৪696956
  • আর সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ, শিল্পায়ন ইত্যাদি নিয়ে সিপিএমের মধ্যেও প্রচূর মতবিরোধ আছে বলে খবরে পড়েছি। কট্টরপন্থীরা এটাকে সাপোর্ট করে নি, এখনো করছে না। এটা এফওয়াইআই।
  • Du | 67.111.229.98 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২০:৫৪696957
  • সেটাই তো আমি লিখেছিলাম । আমাদের তো ট্রাইবালদের মতই প্রোটেকশন পাওয়ার অধিকার, কলিঙ্গনগরে কেন সিপিএম সাপোর্ট দিচ্ছে এই নিয়ে আমাদের প্রশ্ন।
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৪৪696958
  • ঈশানের কথার উত্তর র আর হ যা দিয়েছে তার সাথে আমার কথাটা মোটামুটি মেলে। তাই আপাতত: আর সেখানে কিছু বলছি না। কিন্তু গনতন্ত্রে মাইনরিটি রাইটস নিয়ে আমি কি মনে করি সেটা নিয়ে রঞ্জন-বাবুর পোস্টের কনটেকস্টে কটা কথা বলি।

    ১। গনতন্ত্রে জনগন সার্বভৌম (সভ্‌রিন)। আর মেজরিটি ওপিনিয়ন ছাড়া জনগনের মত জানার অন্য উপায় দেখি না। ৬০% যদি মনে করে এই কাজটা এক্ষুনি হোক, আর ৪০% বলে, না না কনসেনশাস নেই, এবং তার জন্য কাজটা আটকে থাকে, সেক্ষেত্রে জনগনকে সার্বভৌম বলা যায় না।

    ২। গনতন্ত্রে মাইনরিটি রাইটের ব্যাপারটা আসে মূলত: ফ্রম দ্য ডিজায়ার অফ দ্য পিপল টু লিভ ইন এ জাস্ট সোসাইটি। এখন এই জাস্টনেসের ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কথা আছে (যেমন জন রলসের কথা মনে পড়ছে, চ্যাঁচাবেন না, গ্রেটেস্ট বেনিফিট টু দ্য লিস্ট অ্যাডভান্টেজড - কথাটা আমি শুনেছি)। মোদ্দা ব্যাপারটা হল - এমন কোন সমাজে আমি কি থাকতে পছন্দ করব যেখানে মাইনরিটির কোন অধিকারই নেই, অথচ আমি কোন কোন ব্যাপারে মাইনরিটি হয়ে যেতে পারি। যেহেতু অধিকাংশ মানুষ জাস্ট সোসাইটিতে থাকতে চায়, গনতন্ত্রে মাইনরিটি রাইট একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু ইট স্টেমস ফ্রম মেজরিটি উইল অ্যান্ড সেল্ফ ইন্টারেস্ট।

    এই জাস্টনেসের ধারনা থেকেই জমি অধিগ্রহনের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরনের ধারনা জাস্টিফাই করা যায়। আবার এই জাস্টনেসের জন্যই মাইনরিটির ভেটো পাওয়ার মানা যায় না। অর্থাৎ গনতন্ত্রে মমতার স্থান জেলে।

    আর অতিবামদের সঙ্গে এভাবে কথা হবে না বলতে আমি বুঝিয়েছিলাম যে ম্যালিয়েবিলিটি অফ সোশ্যাল কনট্রাক্ট নিয়ে অতি বামদের সাথে কথা বলার দরকার নেই - কেন না বামপন্থীরা হয় সোশ্যাল কনট্রাক্ট মানে না, বা সেটাকে ম্যালিয়েবল মনে করে।
  • h | 121.242.13.34 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২২:০০696959
  • ১। আশীষ নন্দী অবলম্বন তোমার লেবেলিং আটকাতে পারবে না। আর কাকে ঠিক ঠাক কখন মনে করবে সেটা তোমার ব্যাপার। অন্য রকম অনেকে মনে করতেই পারে।
    ২। তাঙ্কিÄক সুবিধেবাদের অভিযোগ যারা করেছে, আশা করছি তুমি তাদের হ্যান্ডল করবে। আমি সেটা করি নি। সেটা তোমাকে 'ফ্লেকসিবিলিটির' আর্গুমেন্ট দিয়েই করতে হবে। এটা তাঙ্কিÄক বাধ্যবাধকতা নয়, পোলেমিক বাধ্যবাধকতাও নয়। পোলিটিকাল অ্যালাইনমেন্টের বাধ্য বাধকতা। এটা সকলেই বোঝে। না বোঝার কিসু নাই।
    ৩। জন স্বার্থ, গনতন্ত্রের বিকল্প যে সব সংজ্ঞা উঠে আসছে সেগুলো ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস। যে কোনো বড় মাপের রাজনৈতিক বিষয়ের মতই। এই যেমন ধর জনপ্রতিনিধিঙ্কÄ বিষয়ে পার্থ চট্টো রিসেন্টলি একটি বাংলা প্রবন্ধে যা বলেছেন, সেটা মেনে নিলে বেশির ভাগ প্রশ্নের কোন সমাধান হয় নি।

    তর্ক তো হবেই।
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২২:১৮696960
  • আজ্জোকে।

    ১। লেট মি প্যারাফ্রেস ইট। তাই জমি অধিগ্রহনের সমর্থন মানেই (ই-এর নীচে দাগ) অবামপন্থী মনোভাব নয়।

    ২। মোটামুটি একমত। তবে কিছু তফাৎ আছে। যেমন অধিগ্রহনের জন্য কনসেনশাস মাস্ট বলে আমি মনে করি না, মেজরিটি ওপিনিয়নই যথেষ্ট। তারপর ডিটেল নিডস টু বি ওয়ার্কড আউট। সিঙ্গুরে ডিটেলে গন্ডগোল কিছু আছে বলেই আমি মনে করি। কিন্তু সেটা প্রকল্প থেকে ৪০০ একর ফেরত চাওয়ার (ডি ফ্যাক্টো প্রকল্প তুলে দেবার) জন্য যথেষ্ট নয়।

    ৩। ধর্ণা মাত্রেই সিভিল লিবার্টির যুক্তিতে সমর্থনযোগ্য নয়। অর্থাৎ, সিভিল লিবার্টি আর অ্যানার্কি এক ব্যাপার নয়।

    পুকুরের উদাহরণ এসেছিল কনসেনশাসের যুক্তির বিরোধিতা করতে গিয়ে। ক্লাসিকাল বামপন্থায় পুকুরের মালিক বুর্জোয়া নয়, কুলাক হতে পারে। নাও হতে পারে। ক্ষুদ্র বা প্রান্তিক চাষী হতে পারে। ঐ পুকুর ছাড়া তার আর কিছুই না থাকতে পারে। আমার বক্তব্য ছিল, এই উদাহরনে অধিগ্রহনের জন্য কনসেনশাস দরকার, এটা টেনাবল পজিশন নয়। ক্ষতিপূরণ অবশ্যই, এবং অধিগ্রহন - অবশ্যই।
  • Ishan | 59.161.66.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২২:২১696961
  • অজদার উদাহরণটি কেউই খুঁটিয়ে পড়ার প্রয়োজন মনে করেননি বোঝা যাচ্ছে। অজদার উদাহরণের সঙ্গে প্রবলেম অফ কমনসের তুলনার্থেও কোনো সম্পর্ক নেই।

    ১। অজদার প্রস্তাবিত কেস স্টাডিতে একটি পুকুর আছে। যা এক ব্যক্তির মালিকানাধীন। সে তার জলকে চড়া দামে পণ্য হিসাবে বিক্রি করে। এটা একদম সোজাসাপ্টাভাবে সাদা চোখে তুলনীয় হল প্রাকৃতিক রিসোর্সের একচেটিয়া ব্যক্তিমালিকানার সঙ্গে। একজন খনিমালিক যদি কয়লা বা লোহা তোলার একচেটিয়া অধিকার পান, তিনিও এই পুকুর মালিকের মতো একই ভাবে সেটা চড়া দামে বেচেন। জিনিসটা হুবহু এক।

    এর সঙ্গে প্রবলেম অফ কমনসের কি সম্পর্ক একটু বুঝিয়ে দেওয়া হোক। প্লিজ।

    ২। জমিজমা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমার অভাব নেই সে আমি জানি। জমি বা পুকুরের মালিকানার অধিকার নিয়ে ঝগড়াঝাটিরও শেষ নেই। কিন্তু কমরেডগণ, হাঁহাঁ করে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে একটু খেয়াল করে দেখুন, এঝানে সম্পূর্ণ অন্য একটা বিষয়ে কথা হচ্চে। এই কোচ্চেনটা ঠিক কমন পড়েনি আপনাদের। কিরকম? ধরুন, গাঁয়ে একটি তালপুকুর আছে। তার মালিকানা জনৈক রামশর্মার। কখনও দেখেছেন কি, রামশর্মা হিংসুটে দৈত্যর মতো পুকুরের চাদ্দিকে পাঁচিল তুলে দিয়ে নোটিস জারি করেছেন, যে, পুকুরের জল ব্যবহার করা গ্রামবাসীদের জন্য নিষিদ্ধ?

    ওটা হয়না, কারণ শত লাঠালাঠি ফাটাফাটির মধ্যেও পুকুর নামক রিসোর্সটির জলের ব্যবহার নিয়ে কমিউনিটিতে একটা ঐকমত্য আছে। মালিকানা বা লিজ নিয়ে ফাটাফাটি থাকলেও আছে। খুচখাচ ঝামেলা কখনও হয়না তা নয়, তবে সেটা কমিউনিটি স্তরেই মিটে যায়। (বলাবাহুল্য অস্পৃশ্যতা জাতীয় জিনিসগুলি এর মধ্যে ধরা হয়নি)

    ৩। সর্বক্ষেত্রে মতৈক্য চাই এইরূপ দাবী আমি কখনও করিনি। আগেও বকেছি, এখনও বলছি, গণতন্ত্রে দুটি পরস্পরবিরোধী কনসেপ্ট আছে। একটি হল "মেজরিটির রায়ই শিরোধার্য'। দ্বিতীয়টি হল "সংখ্যালঘুর অধিকার'। এদের মধ্যে আপাত: বিরোধটা ডায়লেক্টিকালি মেটে না। মেটে অন্য একটা স্তরে। একটা উদাহরণ দিই। রঙ্গনের উদাহরণটাই ব্যবহার করি। ধরা যাক পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ একটু চুরির মামলায় রায় দিচ্ছেন। তিনজন মনে করছেন আসামী চোর। দুজন মনে করছেন চোর নয়। এই বিরোধটা মিটবে কিকরে? অবশ্যই মেজরিটির মত নিয়ে। মেজরিটি মনে করছেন আসামী দোষী, অতএব সে দোষী।

    কিন্তু মজা হচ্ছে, এই ভোটাভুটির আড়ালে একটি কনসেনসাস লুকিয়ে আছে, যেটা খুঁটিয়ে না দেখলে নজরে পড়েনা। কনসেনসাসটি কি নিয়ে? না "চুরি হল মহাপাপ'। ঐ বিশেষ লোকটি চোর কি চোর নিয়ে মতনৈক্য থাকলেও চোরের যে শাস্তি পাওয়া উচিত, এ নিয়ে কোথাও কোনো মতবিরোধ নেই।

    অর্থাৎ স্পেসিফিক কেসে মেজরিটির রুল নিয়ে কোনো প্রবলেম নেই। কিন্তু জেনেরিক নীতিগত ক্ষেত্রে মতৈক্যের কোনো বিকল্প নেই। জমি অদিগ্রহণের প্রশ্নেও একই গল্প। একটি বিশেষ ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ ঠিক না ভুল তা নিয়ে মেজরিটির রায়ের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কোনটি "জনস্বার্থ' এই নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মতৈক্য ছাড়া কোনো গতি নেই। সংখ্যালঘু মতকে সেখানে অ্যাকোমোডেট করতেই হবে। ডায়ালগের মধ্যে দিয়ে একটা ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে। সেটা যে পক্ষই মাইনরিটি হোন না কেন।

    ৪। এই প্রসঙ্গে আরেকটি কথা আসছে। সেটা খুব সঙ্গতও। যে, মাইনরিটির মতকে কদ্দুর মেনে নেব। মেজরিটির গুন্ডামি যদি নিন্দাযোগ্য হয়, মাইনরিটির গুন্ডামিও কি তা নয়? অবশ্যই নিন্দাযোগ্য। কিন্তু কম মাত্রায়। এ প্রসঙ্গে বামপন্থীদের একটি পুরোনো স্লোগান মনে করিয়ে দিই। "সংখ্যালঘুর মৌলবাদ হল সন্ত্রাসবাদ, আর সংখ্যাগুরুর মৌলবাদ হল ফ্যাসিবাদ'।

    এটা স্মরণে রাখলেই বাকি ব্যাপারগুলি বোঝা যাবে। এর একটা দার্শনিক মাত্রা আছে। সেখানে ঢুকছিনা। আলোচনা গড়ালে লেখা যেতে পারে। পরে।
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৫৩696962
  • হল না। চোর যদি বলে চুরি মহাপাপ নয়, তবে কনসেন্‌শাস ভেস্তে গেল।
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৫৬696963
  • ঈশান বলল

    সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহন ঠিক না ভুল তাই নিয়ে মেজরিটির রায় শিরোধার্য্য। কিন্তু সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহন জনস্বার্থে কিনা তাই নিয়ে কনসেনশাস চাই।

    এটা কি ঠিক বোঝা গেল?

    পুকুরের মালিক জল বিক্রি নাও করতে পারে। ইউসেজ ফি চাইতে পারে।
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৫৮696964
  • ঈশেনের পাড়ায় কি হয় জানি না। তবে বাস্তবক্ষেত্রে পুকুরের জল বন্ধ করার চেষ্টা করতে অনেক দেখেছি। কোন কোন ক্ষেত্রে সফল হতেও দেখেছি।
  • aja | 207.47.98.129 | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:০০696965
  • আর হ্যা, জমিও প্রাকৃতিক রিসোর্স।
  • Ishan | 121.245.89.157 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০০:০৪696967
  • অজদার আগের একটা পোস্টের উত্তর তালেগোলে দেওয়া হয়নি। দিয়ে নিই। আজকের পোস্টগুলো কালকের জন্য তোলা থাক।

    ১। "মামু বললেই বামপন্থা নিয়ে তর্কের কোনো অবকাশ নেই। ডিক্টেটর আর কাকে বলে'।

    এই সব স্মার্ট ডায়ালগ ছেড়ে আপনি দয়া করে সিপিআই দিয়ে নাম শুরু এরকম একটি পার্টির (যেকোনো পার্টির) প্রোগ্রাম থেকে আমাকে দেখিয়ে দিন, যে, তাদের বিপ্লবের স্তর গণতান্ত্রিক নয়, সমাজতান্ত্রিক। তাহলেই আপনার কথা মেনে নেব। এটাও মেনে নেব, যে, আপনি মাঝে সাঝে সারগর্ভ কথাবার্তাও বলেন।

    ২। "গণতন্ত্রে মেজরিটির ইচ্ছে আলটিমেট। সংখ্যাগরিষ্ঠ চাইলে সংখ্যালঘুকে পাড়াছাড়া করা যায়।'

    এই মতানুসারে হিটলারি জমানা হল গণতন্ত্রের পরাকাষ্ঠা। লোকটি পপুলার ভোটে জিতেছিল। এবং গুচ্ছের ইহুদি মেরেছিল। বেশ করেছিল। কারণ সংখ্যালঘুদের অ্যাকোমোডেট করার কোনো "বাধ্যবাধকতা' গণতন্ত্রে নেই।

    এই ধরণের মতামতকেই বোধহয় সোশাল ডেমোক্রাটিক মতামত বলা হয়। :)
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০০:১৪696968
  • ধুর মশাই, আপনার সাথে আর সারগর্ভ কথা কি। যান গিয়ে মমতার নাম জপ করুন।
  • arjo | 168.26.205.5 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৩১696969
  • অজদা,

    ১। তাই জমি অধিগ্রহণ নামক কাজটিকে বামপন্থী বা ডানপন্থী, কি স্মল টাউন কনজারভেটিভ স্টান্স বলা যায় না। অধিগ্রহণ কেন, কিভাবে হচ্ছে সেটা না জেনে আর এগুনো যাবে না সেটা মনে হয় ঠিক নয়।

    ২। ভারত, আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান সহ অনেক দেশেই ডেমোক্রেসির ফর্ম হল লিবারাল ডেমোক্রেসি। মানে সরকার ভোটের মাধ্যমে ইলেক্টেড হলেই সব কিছু করার অধিকার পেয়ে যায় না। আইন আছে জনগণের স্বার্থ দেখার জন্য। সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কিনা সেটা দেখার জন্য। এবার এখানেই কবি ভেউভেউ করে কেঁদেছেন। কারণ জমি অধিগ্রহণ আইন সরকারের কাজকে সাপোর্ট করে। তবে সেখানেই শেষ হয়ে যায় না। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক আইনই বদল হয়েছে এই আইন বদল করাটাও একটা সিভিল লিবার্টির মধ্যেই পড়ে। সবথেকে জলন্ত উদাহরণ হল সেম সেক্স ম্যারেজ। তাই জমি অধিগ্রহণ আইন দেখিয়ে বলা যাবে না সব ঠিক হয়েছে। ঠিক যে হয় নি তার বড় প্রমাণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনগণের সিপিএমের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিকরাও কিন্তু ডিক্টেটরশিপ অফ প্রোলেতারিয়েতে বিশ্বাস করে না।

    ৩। এবারে অ্যানার্কি না আন্দোলন। যদি ত্রিশ বছর ধরে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ব্রিগেডে মিটিং, বাংলা বন্ধ অ্যানার্কি না হয়ে থাকে তাহলে ধর্ণা কখনোই নয়। কালচার বলে একটা কথা আছে তো। আমেরিকাতেই এইসব প্রোটেস্ট এমন ভাবে হত না। আবার বিহারে হলে আরও অন্যরকম ভাবে হত।

    ৪। ৪০০ একর ফেরত চাওয়া ইত্যাদি অনেক পরের ব্যপার আরও আগে ফিরে যেতে হবে। কেমন করে কিভাবে এবং কি জন্য জমি অধিগ্রহন হয়েছে সেই প্রশ্নে। পরের ব্যপার পরে। ঐ প্রথমেই ভুল হয়ে গিয়েছে বলে সেই ভুলকেই লেজিটিমেসি দিতে হবে এর কোনো কারণই নেই।
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৪৯696970
  • আজ্জোকে:

    ১। ঠিক কথা। কনটেক্সটের ওপর, জমি অধিগ্রহন কুব বামপন্থী ব্যাপার হতে পারে। কিন্তু অধিগ্রহনের কারন/ক্ষেত্র তোমার রাজনৈতিক রঙের ওপর নির্ভরশীল।

    ২। বেশ তো, আইন বদলাও। কিন্তু সে তো মেজরিটি ওপিনিয়ন ছাড়া হবে না, মানে যদি গনতন্ত্র বজায় রেখে করতে চাও।

    ৩। ধর্না মাত্রই সিভিল রাইট নয়। অহিংস ধর্না, হ্যাঁ।

    ৪। ভুল হয়েছে সেটা আগে ঠিক হোক।
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০১:১৬696971
  • অরিজিৎ,
    ভাই, ঈশানের জেনেরিক স্তরে পলিসি ডিসিশন আর স্পেসিফিক কেসে জাজমেন্টের বক্তব্যটা আর একবার দেখ। তাহলেই আমার বক্তব্য পরিষ্কার হবে।
    দু'র প্রশ্নটা ছিল জেনেরিক;---সংখ্যালঘুর হাতিয়ার নিয়ে দাদাগিরির অধিকার গণতান্ত্রিক সমাজে স্বীকৃত কি না?
    অবশ্যই উত্তর হবে -- হাতিয়ার নিয়ে দাদাগিরি, লঘু-গুরু সবার জন্যে, অপরাধের পর্যায়বাচী। এটা কোন আইনি অধিকার হতে পারে না। কোন গণতান্ত্রিক দেশের নীতি হতে পারে না।
    তোমার বক্তব্য যে প্রগতিশীলরা কোন কোন ক্ষেত্রে হাতিয়ার নেওয়াটাকে জাস্টিফাই করে থাকেন। কথাতেই স্পষ্ট যে তোমার প্রেমিস কেস স্পেসিফিক। তার ওপর জেনেরিক চর্চা হবে কি করে? কেস স্পেসিফিক চর্চা হতেই পারে।
    ঈশানের জাজের প্যানেলের উদাহরণটা দেখ। পাঁচজন বিচারক একটি চুরির কেস নিয়ে বিচার করতে বসেছে যে উপলব্ধ সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী বলা যায় কি না।
    ওরা একসঙ্গে বিচার করতে এক বেঞ্চে বসেছে মানেই ইমপ্লায়েড্‌ প্রেমিস হচ্ছে যে ওরা পাঁচজনই পলিসি লেভেলে চুরিকে দন্ডনীয় অপরাধ মনে করে।
    কিন্তু, স্পেসিফিক কেসটিতে ওদের মতানৈক্য হতেই পারে। অর্থাৎ পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে কি না সে নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে বেঞ্চের মেজরিটির রায়কেই ফাইনাল ধরা হবে।
    তেমনি জনস্বার্থের ব্যাপারটা। সেখানে জেনেরিক পলিসি লেভেলে ব্যাপকস্তরে কনসেনসাস্‌ আবশ্যক। অন্তত: চেষ্টা করা উচিৎ। যেমন সিপিএমের নেতৃত্বে বামদলগুলো একটা বক্তব্য রেখেছিলো যে আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পরিণাম জনস্বার্থের দিক থেকে ব্যাপক এবং সুদূরপ্রসারী হবে। তাই তাড়াহুড়ো না করে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে জনতাকে ইনফর্ম করে দেশব্যাপী বিতর্কের মধ্যে দিয়ে কনসেন্‌সাসের জন্যে চেষ্টা করা উচিৎ।
    আবার বলছি-- টাটা অন্যদের চেয়ে ভাল কি খারাপে্‌কন বলা যাবেনা? নিশ্চয়ই যাবে। নোকিয়া ইত্যাদি প্রসঙ্গে যেমন ব্যাটারি-স্ক্রীন ইত্যাদি নিয়ে তুলনাত্মক চর্চা হয়। তেমনি ভিন্ন বিজনেস হাউসের তুলনা বিভিন্ন প্যারামিটারে হতেই পারে। আমার , বোজোর, অক্ষ'র, বীতশোক বা ঈশানের আপত্তি ছিল টাটার এনলাইটেনমেন্ট সিদ্ধ করতে একশ' বছরে কোন স্ট্রাইক হয় নি এমনি ইউনিক মহিমা দেখানো যেটা কি না মিথ্যে এবং সত্যিটা ওয়েল-ডকুমেন্টেড, যেটা বোধিও বলেছে।
    আর অজবাবু কার সঙ্গে কিভাবে কথা বলবেন সেটা নিশ্চয়ই ঈশান ঠিক করতে পারে না। এবং ঈশানের সঙ্গে উনি আর বিতর্কে জড়াবেন কিনা, অথবা ক্ষ্যামা দেবেন-- সেটা একান্তই ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ঈশান কার নাম জপ করবে সেটাও কি উনি ঠিক করে দেবেন?
    বিতর্কে মতভেদ হবেই। নইলে বিতর্ক কিসের? আমার লাগতেই পারে অন্য মতের লোকটি নেহাৎ ফালতু বক্‌বক করছে। কিন্তু ফোরামে সেটাও বলতে গেলে কোন লাগাম থাকবে না? ডেমোক্র্যটিক ফোরাম আর অ্যানার্কিক ফোরামে তফাৎ থাকবে না?
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৪০696972
  • রঞ্জনবাবু:

    মূল কথার আলোচনা না করে কি ভাবে কথা বলা হবে, সে আলোচনা করা কথা এড়ানোর একটা খুব পুরনো কায়দা। যেমন পুরনো কায়দা হল মাইনরিটি রাইট নিয়ে আসর সরগরম করে ডেমোক্র্যাটিক প্রসেসকে বাইপাস করার চেষ্টা।
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৪৭696973
  • মূল কথার আলোচনা কোথায় বন্ধ করা হয়েছে? আর গালাগাল, ব্যক্তিগত কটুক্তি কি মূলকথা নিয়ে আলোচনা করা? না তাকে এড়িয়ে যাওয়া?
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৫৪696974
  • মাইনরিটি রাইট নিয়ে আপনার আগের পোস্টের উত্তরে আমি একটি পোস্ট করি (৯:৪৪)। সেখানে মাইনরিটি রাইট ও ডেমোক্র্যাসির সম্পর্ক নিয়ে আমি আমার দিকটা নিয়ে বলেছিলাম, কোন কটূক্তি বা আক্রমন ছাড়াই। আপনি সেই পোস্টের উত্তর না দিয়ে ঈশানের সাথে আমার কি কথা হচ্ছে তাকে একমাত্র বিষয় করে নিলেন। তাতে আমার মনে হয়েছে আপনি সিরিয়াস আলোচনা অ্যাভয়েড করতে চাইছেন।
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০২:২৮696975
  • অজ,
    সম্ভবত: আপনি বিদেশে আছেন। আমি কম্পু খুলেছি আমাদের রাত বারোটার পরে। একগাদা পোস্ট পড়ে আগের গুলো নিয়ে লিখেছি। আপনার ঐ ৯টার পোস্টও আমি দেখেছি তখনই। আপনার বক্তব্যকে সিরিয়াসলি নিয়েছি। ভাবছি। কোন চট্‌ জলদি জাবাব দিতে চাইনে। ব্যাপারটা বেশ গম্ভীর। আপনার বক্তব্যে শুধু ধার নয়, ভারও আছে।
    আমার বিতর্কে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য নিজের চিন্তা-ভাবনাকে গুছিয়ে নেয়া, কোন লড়াই জেতা নয়, উকিলের বাকচাতুরি নয়। কাজেই একটু সময় লাগবে। এখন রাত আড়াইটে, না ঘুমুলে কাল সকালে সাড়ে আটটার ট্রেন ধরে অফিস করতে পারবো না।
    এড়িয়ে যাবার ইচ্ছে হলে চুপ করতাম।
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:০০696976
  • রঞ্জনবাবু,

    আপনাকে অকারনে আঘাত দিয়েছি, দু:খিত। কিছু ব্যক্তিগত কারনে আমার একটু ধৈর্য্যের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই আমার তরফে সৌজন্যের অভাব ঘটেছে। আশা করি মাপ করবেন।

    গনতন্ত্র ও সংখ্যালঘুর অধিকার নিয়ে আপনার মতামত শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:৩২696978
  • আরে, আরে, অজ!
    মাপ চাইবেন কেন? আমরা সবাই সাধারন মানুষ। ষড়রিপুর অধীন:))। আমি এতটুকু আঘাত পাইনি। শুধু আপনারা সবাই মিলে এমন সিরিয়াস বিষয় নিয়ে এমন চমৎকার গভীরে যাচ্ছিলেন, সেটা অন্যদিকে সরে গিয়ে ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচির স্তরে না থেমে যায়-এই ভয় পাচ্ছিলাম।
    আমাদের সবারই অফিসে-বাড়িতে-পারিবারিক স্তরে নানা সমস্যা দানা বাঁধে।তাতে মাঝে মাঝে আমাদের অধৈর্য্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে মাপ চাওয়ার কিছু নেই।
    আমি অজ-অর্জো, অজ্জিৎ-হনু, ব্ল্যাংকি-দু, শ্যামল-শান্তনু সবার কথা মন দিয়ে শুনি। কারণ,এঁরা নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী যথেষ্ট পরিশ্রম করে যুক্তি সাজান। তা' আমার মতে মিলুক, না মিলুক।
    বোজো-বীতশোক-অক্ষের মধ্যে আমি আমার চিন্তার সাযুজ্য দেখতে পাই। আর রাঙ্গা-মামু? আমার চোখে এ ক্লাস বাই দেমসেলভস্‌!
    গণতন্ত্রে মেজরিটি-মাইনরিটির স্পেস্‌? জনগণের সাচ্চা ওপিনিয়ন? কি ভাবে সারফেসে আসবে?
    আমি সত্যি সত্যি জানিনা। আমার ধারণা এটা এখনও প্রয়োগের স্তরে আছে। এখনও সলভ্‌ হয় নি। প্রলেতারিয়ান ডিক্টেটরশিপ গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রকাশ বা এটা আসলে মিনিস্কুল মাইনরিটি শোষকের বিরুদ্ধে গ্রেট মেজরিটি জনগণের বলপ্রয়োগ এবং সেই অর্থে আসলি গণতন্ত্রের প্রায়োগিক মোডালিটি--- আমি আজ বিশ্বাস করি না।
    বিকল্প পদ্ধতি কি-- আমি জানিনে। খুঁজছি।
    আমি দেখতে পাচ্ছি ক্ষমতার স্ট্রাকচারের মধ্যেই গণতন্ত্রের ধ্বংসের বীজ লুকিয়ে আছে। যে যায় লংকায় সেই রাবণ হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ায়্‌কমুনিস্ট পার্টি ফাংশনারিরাই একটি স্বতন্ত্র সুবিধাভোগি শ্রেণী হয়ে উঠেছিলো। আবার হায়ার্কি ছাড়া সংগঠন চলে না।কাজেই কি সেই মোডালিটি যাতে সিস্টেমের মধ্যেই ইন বিল্ট্‌ চেক থাকবে , যাতে জনগণের কাঁধে চড়ে ক্ষমতায় আসা লোকজন একটি স্বতন্ত্র সুবিধাভোঘীশ্রেণী না হয়ে ওঠে? আমি জানি না।
    সত্যি কথা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মেজরিটির মতকেই ব্যবহারিক দিক দিয়ে মেনে চলা ছাড়া গত্যন্তর নেই।
    কিন্তু মেজরিটির ডিসিশন যে সঠিক হবে তার কি গ্যারন্টি আছে?
    বহুবার আমরা সবাই মাইনরিটির স্ট্যান্ডের ট্রুথ পরে দেখতে পেয়েছি। এটা একটা সমস্যা। এ নিয়ে অর্থনীতিতে অ্যারো প্যারাডক্স্‌ আপনি জানেন। উনি এটা আনসলভেবল্‌ ভাবতেন। অমর্ত্য সেন এ নিয়ে বড় কাজ করেছেন।সেন ভাবেন--সার্টেন কন্ডিশনে অ্যারো প্রবলেম থেকে ইউনিক সলুশন পাওয়া সম্ভব। থিওরি অফ সোস্যাল চয়েস নিয়ে ওনার দুটো বইয়েরই কপি যোগাড় করেছি। ওনার হাই ম্যাথমেটিকস্‌ ওলা আর্গুমেন্ট ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি।

    মেজরিটি-মাইনরিটির মধ্যে জনস্বার্থ নিয়ে কন্‌সেন্‌সাস্‌ হওয়া দরকার উন্নয়নের মডেল কি হওয়া উচিৎ-তা নিয়ে।
    ধরুন সিংগুর ইত্যাদি। এখনে শুরুতেই বামেদের মধ্যে
    ক্লাসিক ভারী শিল্প, গ্রাম থেকে শহর,--- এই ইউরোপীয় মডেল আজ ২১ শতাব্দে চোখবুঁজে গ্রহণ করা যায় কি না তাই নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল।
    কৃষিজমির বদলে শিল্প, কতলোগের চাকরি, ৪০০ একর না আরো কম---- এগুলো তো মূল পলিসি লেভেল এর করোলারি।
    এর সঙ্গে জুড়ে আছে উন্নয়নে রাষ্ট্রের ভূমিকা। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করতে বা ধীরে ধীরে বিলুপ্তি ঘটাতে চাওয়া বামেরা আজকাল রাষ্ট্রকে মজবুত করতে লেগেছে!
    চম্‌স্কি ১৯৭০ এ এনিয়ে বেশ কিছু চিন্তা ভাবনা করেছিলেন, আমাকে খুব অ্যাপীল করেছে,যথাস্থানে লিখবো।
    আপনারা এ নিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যান, আমি সংগে আছি।
    আমার একটা ইচ্ছাপূরণ হয়েছে।রঙ্গন অমিত ভাদুড়ির বইটি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। আমিত ভাদুড়িই শেষ কথা নয়, কিন্তু উন্নয়ন বিতর্ক শুরু করার পক্ষে বেশ ভালো।
    এবার সত্যি সত্যি ঘুমুতে যাচ্ছি:)))।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন