এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিঙ্গুর: কি ভাবছেন সবাই(২)

    Ishan
    অন্যান্য | ১৮ অক্টোবর ২০০৬ | ৫২৫০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:১১696979
  • অক্ষকে - না, z-এর আসা নিয়ে আপত্তি নেই (তাহলে পৃথিবীর কোন ইস্যুতে তৃতীয় কারো কিছু বলার রাইট থাকে না), কিন্তু x-কে ধামাচাপা দিয়ে z যদি নিজের এজেণ্ডাকে x-এর দাবি বলে চালায়, তখনই আপত্তি। এই ধামাচাপা কথাটা বোল্ড আন্ডারলাইন। আরেকবার পড়ো।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:২৫696980
  • ঈশান গণদেবতা পড়েনি। ওটা তো উপন্যাস, এবং বাস্তবে এরকম ঘটনা বহু বহু ঘটেছে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৩২696981
  • রঞ্জনদা - কেস স্পেসিফিক বিতর্কের কথা বলছি না - ওই পার্টিকুলার প্রগতিশীলদের সুবিধাবাদের কথা বলছি।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৫৯696982
  • আবার অক্ষকে - z-এর আসা নিয়েও তর্ক হতেই পারে - যেমন বিভিন্ন দেশে আম্রিকার মাথা গলানো। বড় স্কেল বটে, কিন্তু তুলনীয় (আমার মনে হয়)।
  • aja | 71.106.244.161 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১০:২৮696983
  • রঞ্জনবাবুকে:

    আপনার পোস্টের উত্তর পরে একটু বড় করে দেব। আপাতত: আমার আগের পোস্টের একটা রিজয়েনডার দিয়ে রাখি।

    গনতন্ত্র ও মাইনরিটি রাইটের সম্পর্ক বোঝা অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য খুব জরুরী। যদি মাইনরিটি রাইট গনতন্ত্রের মূল অঙ্গ হয় তো কোনো ইস্যুতে মাইনরিটি রাইট আলাদা করে জাস্টিফাই করার দরকার নেই। যদি মাইনরিটি রাইট মেজরিটি উইল থেকে ডিরাইভড হয়, তো কোন ইস্যুতে কেন মাইনরিটি রাইট রক্ষা করা মেজরিটির জন্য জরুরী, সে তর্ক মূল তর্কের খুব বড় অংশ হবে।

    সিঙ্গুর তর্ককে উদাহরন হিসাবে নিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। আবাপ ও টাটা সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহনের বিরোধীদের স্বার্থ ও মেজরিটির স্বার্থের মধ্যে একটা বিরোধ দাঁড়া করাতে সক্ষম হয়েছে। যতক্ষণ এই পারসেপশন বজায় থাকবে, হাজার মাইনরিটি রাইটের দোহাই কাজ করবে না। সিঙ্গুরের অ্যাকটিভিস্টদের পক্ষে সঠিক স্ট্র্যাটেজি হবে কোন ভাবে মেজরিটি ইন্টারেস্টের সাথে সিঙ্গুরের চাষীদের দাবী অ্যালাইন করানো। মমতা সেটা করাবে বলে মনে হয় না। না করানোর অনেক কারণ আছে।

    ওপরের প্যারাগ্রাফের দাবীসমূহ যদি সত্যি হয় তো কোন অ্যাক্টিভিস্টের পক্ষে মমতার মঞ্চে আন্দোলন করা রাজনৈতিক আত্মহত্যার সামিল।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১০:৩১696984
  • এই শেষ স্টেটমেন্টটা সকলে যত তাড়াতাড়ি বোঝে ততই মঙ্গল। ওই মমতা অটোমেটিক চয়েজ ইত্যাদি থিওরেটিক্যাল দাবি সত্বেও।
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১০:৪২696985
  • রাইটস অফ মাইনরিটি শুধু ভোট করে হয় না। যেমন আমেরিকায় কালো চামড়ার লোকেরা। সুদীর্ঘ ২০০ বছর পরে আজকে ওবামা প্রথম কালো প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট।

    এর জন্যই আছে মিডিয়া, ফ্রিডম অফ স্পিচ। এইজন্যই কিছু লোক চেঁচাবে। এবারে মাইনরিটির স্বার্থ রক্ষার নামে কিছু লোক ঘোলা জলে মাছও ধরবে বা ধরার চেষ্টা করবে। তার মানে এই নয় যে সবাই একই মঞ্চে হয়ে গেল। তার মানে এই নয় যে উল্টো ভয়েস থাকবে না। মমতা ভালো নয়, মমতার সাথে একই রাজনৈতিক মঞ্চে উঠলে আত্মহত্যা করতে হবে মানেই এই নয় যে মেনে নিতে হবে সিঙ্গুরে সব কিছু ঠিক হয়েছে। মুশকিল হচ্ছে এই ইকুয়েশনটা কনসিসটেন্টলি পারসু করে যাওয়া নিয়ে। সেটা কেন? সিপিএম করে বুঝি, ভোটের জন্য। কিন্তু গুরুর পাতায় লোকে কেন করে সেটা বুঝি না।
  • aja | 71.106.244.161 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১০:৫৫696986
  • আজ্জোর একটা অবজার্ভেশন জরুরী। বাকি কথা অন্ধ সিপিএম বিরোধিতা। সেগুলোর উত্তর দেবার দরকার বুঝি না।

    জরুরী কথাটা হল আম্রিকায় কালোদের ইম্যানসিপেশন। আম্রিকার ইতিহাস পড়লে দেখা যাবে কালোদের ইম্যানসিপেশনের জন্য কিছু অ্যাকটিভিস্ট প্রথম থেকেই (এমনকি কন্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলীতেও) সচেষ্ট। কিন্তু তাদের চেষ্টা সফল হল তখনই যখন উত্তরের কল-কারখানায় মজুরের প্রয়োজন খুব বড় হয়ে দেখা দিল (অর্থাৎ উত্তরের মেজরিটি ইন্টারেস্টের সঙ্গে কালোদের ইন্টারেস্টের একটা অ্যালাইনমেন্ট হল)।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১০:৫৮696987
  • এক - ওই ইক্যুয়েশনটা কেউ পারসু করছে বলে মনে হয় না। অন্তত: এখানে।

    দুই - ক এবং খ এক ইস্যুতে এক ধাঁচের কথা বল্লেই ক এবং খ এক মঞ্চে নাও হতে পারে এটা একদম ঠিক কথা, কিন্তু জনতার মধ্যে এটা নিয়ে কনসিস্টেন্সি নেই - সুযোগমতন এটা আওড়ানো হয়, আবার সুযোগমতন ভুলে যাওয়া হয় (উদা - এন ডিল)। গুরুর জনতার এই ব্যাপারটা নিয়েই আমার অভিযোগ - এটাকে সুবিধাবাদ বলে মনে হয়।

    তিন - কেন পার্টিকুলারলি মমতার মঞ্চে যাবো না এই নিয়ে আগেও অনেক কথা হয়েছে। প:বঙ্গের রাজনীতি নিয়ে ওয়াকিবহাল লোকজনের এটুকু বুঝে যাওয়া উচিত। মমতা অটোমেটিক চয়েজ এটাকে আমি রিয়েলিটি বলে মনে করি না - দেখানোর চেষ্টা চললেও।

    চার - এটা মামুর মেজরিটি/মাইনরিটির গুণ্ডামি নিয়ে - আগেও বলেছি, আবারও বলছি - গুরুতে এবং তথাকথিত সুশীল/গোপাল সমাজে এই নিয়ে কনসিস্টেন্সী নেই। "যার যতটা ঝাড় প্রাপ্য' ইত্যাদি সেই নিয়েই বলা। এও সম্ভবত: সুবিধাবাদ।
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১১:০১696989
  • :)) একগাল হাসি ছাড়া আপাতত আর কিছুই দেবার নেই। যাক আবার কাল সকালে। গেরামে রাত হল শুতে যাই।
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১১:০৪696990
  • ও: একটা ডি: :)) টা সুবিধাবাদ বা অন্ধ সিপিএম বিরোধীতা কে স্বীকার করে নয়। দুটো ডিফেন্সিফ পোস্ট দেখে। গুন্নাইট।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১১:০৬696991
  • ডিফেন্সিভ নয় - চুড়ান্ত অফেন্সিভ। গুরুর ভাটুরেদের নিয়ে আমার অভিযোগটা বেশ কিছুদিনের। বেশ কয়েকবার দেখিয়েছি - কিন্তু সেগুলোকে এড়ানো দেখেই বুঝি কতটা সত্যি।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১১:০৯696992
  • এই এড়িয়ে যাওয়াটা টিপিক্যাল এনলাইটেনড সুশীল স্টান্স।
  • aja | 71.106.244.161 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১১:১৪696993
  • সুশীলদের পক্ষে এড়িয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পিপলের ইন্টারেস্ট নিয়ে সুশীলদের খুব মাথাব্যাথা নেই। তাদের ইন্টারেস্ট ঘোলা জলে মাছ ধরা ও সুশীল হয়ে আসর গরম করা। সমস্যার সমাধানে আগ্রহ থাকলে তবে তো সিরিয়াস আলোচনা।
  • h | 203.99.212.224 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১১:২৩696994
  • ১। যেটাকে অজদা ইন্টারেস্টের অ্যালাইনমেন্ট বলছেন, ইশান সেটাকে কিছুক্ষণ বাদে কনসেন্ট ম্যনুফ্যাকচারিং বলবে :-)
    ২। আমার মনে হয় একটাই প্যারাডক্সকে ইশান আর অজদা দু ভাবে অ্যাপ্রোচ করছেন।
    গণতন্ত্র (পশ্চিমী বুজ্জোয়া গণতন্ত্র) র প্রধান লেজিটিমেসির দাবীর ভিত্তি হল , বিভিন্ন প্রকারের সংখ্যা লঘুর অধিকারের অ্যাকোমোডেশনের আর্গুমেন্ট, অন্তত রেটোরিকের দিক থেকে। অথচ গণতন্ত্রের মধ্যেকার ক্ষমতার উৎস যেটা সেটা সমর্থনের সংখ্যাধিক্যের। এইবার এই প্যারাডক্স টা আরো জটিল হয়েছে, তার মূল কারণ হল, জনপ্রতিনিধিঙ্কেÄর আইন ও হেজেমনির ম্যানিপুলেশনের সাহায্যে সত্যিকারের সংখ্যধিক্যের ইন্টারেস্ট গণতন্ত্রে আদৌ রক্ষিত হয় কিনা সেটা সন্দেহাতীত নয় বলে। আরেকটা কেস আছে। সেটা হল ন্যুনতম অধিকারের সাংবিধানিক ভিত্তির দাবী র সঙ্গে সংখ্য লঘু বা সঙ্খ্যা গুরু দু দলেরি ইন্টারেস্ট এর একটা সংঘাত আসতেই পারে।

    ইত্যাদি।
  • aja | 71.106.244.161 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১১:৪০696995
  • না হনু, মামুর সাথে আমার কথার একটা ফান্ডামেন্টাল ফারাক আছে। মামুর মতে মাইনরিটি রাইট গনতন্ত্রের একটা মূল অঙ্গ। আমি বলছি ওটা মেজরিটি উইল থেকে ডিরাইভড। মামুর কথার তাঙ্কিÄক সমস্যা হল মাইনরিটির ভেটো পাওয়ার।

    কনসেন্ট ম্যানুফ্যাকচারের ব্যাপারটা হল মেজরিটির মধ্যে মিথ্যে ধারনা তৈরী করা। অর্থাৎ যখন কোন মাইনরিটি সুকৌশলে মেজরিটিকে বিশ্বাস করায় যে তাদের স্বার্থই মেজরিটির স্বার্থ - সেটাই ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট। এই জায়গা থেকে দেখ তোমার বাকী কথাগুলো ব্যাখ্যা করা যাবে।
  • dri | 71.154.213.195 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১২:৪১696996
  • আসলে গণতন্ত্র নিয়ে অনেকের একটু বেশী আদেখলাপনা আছে। রাজনীতি নিয়ে যে যার নিজের পছন্দের রোম্যান্স গণতন্ত্রের গায়ে জড়িয়ে দেয়। ফর দা পিপ্‌ল, বায় দা পিপ্‌ল, মাইনরিটির অধিকার ইত্যাদি এম্পাওয়ারিং ফ্রেজগুলি তাই আজ গণতন্ত্রের সাথে সিননিমাস হয়ে গেছে।

    গণতন্ত্র বলে যেটা পৃথিবীতে চলে সেটায় দুটো শর্ত। ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসতে হবে। এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর আবার ভোট ম্যানডেট চাইতে হবে। কিন্তু একবার ভোটে জিতে গেলে এনিথিং গোজ। সারা দুনিয়ায় মোটামুটি এই চলছে।

    হিটলার ইলেকশানে জিতে এসেছিল। কিন্তু হিটলারকে ডেমক্র্যাটিক বলা যাবেনা কারণ হিটলার ম্যানডেট রিনিউ করতে যায় নি। মাইনরিটিকে মারার সাথে চালু ডেমক্রেসির বিরোধ নেই। ইন্দিরা মারা যাবার পর প্রবল মাইনরিটি নিধন করে কংগ্রেস আবার ইলেকশান জিতে ফিরে এসেছিল। আমরা তো এটাকে ডেমক্রেটিকই বলি।
  • bitoshok | 98.240.230.68 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:১৮696997
  • aja-র পোস্টে মেজরিটি রুল আর মাইনোরিটি রাইটস নিয়ে আরো বড় পরিসরে আলোচনা দরকার বলে মনে হয়। এর অনেকগুলো মাত্রা আছে, কিছুটা ঈশান এবং অন্যরা টাচ করেছেন।

    আপাতত, অজ যেই লজিকে আর্গু করছেন তার প্রেক্ষিতে সংক্ষেপে বলি।

    ১) অজ যেই নাম্বার গেম এস্টাব্লিশ করতে চাইছেন তার বাইরেও মর্জিনাল স্টেকহোল্ডার আছে। এই থ্রেডে এবং অন্যত্র অনেকেই এই প্রসঙ্গ তুলেছেন। অল্টারনেট মিডিয়ায় এই নিয়ে কিছু তথ্য-ও আছে। জমিদাতার সংখ্যা মানেই মেজরিটি অব পপুলেশন- অংকটা এতটা সহজ নয়।

    ২) সরকার সন্মতিপত্র পেয়েছে মানেই টাটার কারখানার জন্য সন্মতি পেয়েছে --এই যুক্তি মানতে গেলে আগে অসন্মতি-র অধিকার স্বীকার করতে হয়। আইনে 'না' বলার অধিকার নেই। যেখানে অপশন টাই নেই, সেখানে সবাই ঘাড় কাত করে 'হ্যাঁ' বলেছে এটা কনক্লুড করা যায় কি করে?

    ৩) অজর 'মেজরিটি' লজিক ঠিক হলে, সিঙ্গুরে পঞ্চায়েতে সিপিএমের ড্যাং ড্যাং করে জিতে আসার কথা। সিপিএমের হারের অংকটা কোন আলজেব্রায় সলভ করা যাবে জানার ইচ্ছে আছে।
  • r | 125.18.104.1 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:১২696998
  • ঈশান এই রূপকথার পুকুরগুলো কোন গ্রামে আছে জানলে খুশি হতাম, যেখানে কমিউনিটির কন্সেন্সাস অনুযায়ী সবাইকে পুকুর ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। অস্পৃশ্যতা ও জাতপাতের প্রশ্ন হঠাৎ ধরা হবে না কেন তাও বুঝলাম না, কারণ ভারতের প্রায় প্রতি গ্রামে কমন প্রপার্টি ব্যবহারের কনসেন্সাস তৈরি হয় না জাতপাত ও অস্পৃশ্যতার জন্য।

    অজদার প্রশ্ন ছিল- ব্যক্তিগত অধিকার ও কমিউনিটির অধিকারের দ্বন্দ্ব থাকলে রাষ্ট্র সেই প্রাকৃতিক সম্পদ অধিকার করতে পারে কিনা সেই প্রসঙ্গে। অজদার উদাহরণে পুকুরের জলের জন্য বেশি পয়সা চাওয়া বা ইউজার চার্জ ধার্য করাটা আদৌ সমস্যা নয়। ধরা যাক গ্রামে একটি পুকুর নেই, অনেক পুকুর আছে, এবং প্রতিটির জন্য তাদের মালিক কিছু ইউজার চার্জ দাবী করছেন। যেহেতু এখন পরিস্থিতি একচেটিয়া নয়, অতএব, ইউজার চার্জ খুব কম। তাতেও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ব্যক্তিগত অধিকার ও কমিউনিটির অধিকারের দ্বন্দ্বের সমস্যার সমাধান হয় না। কিংবা ঈশানের উদাহরণ অনুযায়ী একজন খনিমালিকের বদলে খনিটাকে যদি ভাগ করে বিভিন্ন মালিকের ব্যক্তিগত মালিকানায় নিয়ে আসা হয়, তাহলেও এই সমস্যা মেটে না। ধরা যাক খুব সম্প্রতি ছত্তিশগড়ে যে নদী বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে তার কথা। প্রশ্নটা আদৌ এই নয় যে নদীটি স্রেফ একটি কর্পোরেশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নটা হল নদীর জলসম্পদ আদৌ ব্যক্তিগত মালিকানায় যেতে পারে কি পারে না। অনেক কর্পোরেশন মিলে নদীকে ভাগ করে নিলেও কমিউনিটির অধিকরের প্রশ্নটা থাকে। নৈতিকভাবে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর কমিউনিটির অধিকার থাকাই শ্রেয়। কিন্তু তাহলে ট্র্যাজেডি অফ কমন্সের সমস্যা তৈরি হয়, অর্থাৎ কমিউনিটির প্রত্যেকে সেই প্রাকৃতিক সম্পদের ভোগদখল করে, কিন্তু কেউ তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে না। অতএব কি ধরনের ইনস্টিটুশন এই কমন্সের যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষন করতে পারে সেটাই মূল প্রশ্ন।
  • h | 203.99.212.224 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:৪৮697000
  • একটা নির্বাচনের ফলাফলকে কোন একটি বিষয়ে জনমতের প্রতিফলন হিসেবে দেখার অনেক সমস্যা আছে। বীতশোকের এই বক্তব্যের কোয়ালিফিকেশন জরুরী বলে মনে হচ্ছে। অমিত ভাদুড়ি ও বীতশোক অলমোস্ট একই প্রসঙ্গে একই মত দিচ্ছেন। তবুও বলছি।

    ধরুন একবার কংগ্রেস হারলো, ইকোনোমিক রিফর্ম করে। আমরা বল্লাম জনগণ রিফর্মকে রিজেক্ট করেছেন। মানে ধরুন এটা পিপলস ডেমোক্রাসিতে, পব্যু র স্টেটমেন্ট গুলোর মত শোনালেও বল্লাম। ধরেন বিজেপি এলো। সেও আবার মুসলমান বিরোধী মতবাদে প্রচুর জনপ্রিয় হওআ সঙ্কেÄও, শাইনিং ইন্ডিয়া ক্যাম্পেন মিস ফায়ার করে হেরে গেল। কিন্তু এইবার জিতল কংগ্রেস।

    এইবার এটাকে রিফর্মের হারা বলবো না জেতা বলবো। সমস্যা হল বাস্তব এই যে প্রত্যেকবার ইলেকশনে যেটা হচ্ছে সেটা হল, রিফর্মের এমন গ্যাঁড়া কল, এটা এসেনশিয়ালি আই এম এফ আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উপদেশ হওয়া সঙ্কেÄও, গুটিকতক টেকনোক্র্যাটের নেওয়া , কর্পো ও জি-৭ দেশ গুলোর সরকারের স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্ত হওআ সঙ্কেÄও , প্রতিবার ভারতের নির্বাচনে , প্রায় সমস্ত সাধারণ নির্বাচনেই যেটা হচ্ছে সেটা হল এই রিফর্মের মোমেন্টাম ধীরে ধীরে বাড়ছে। এটা সিঙ্গুরে মমতার 'জয়' সঙ্কেÄও অব্যাহত থাকবে।

    এটাকে নির্বাচন পদ্ধতির গলতা বলা যেতে পারে। এটাকে নির্বাচক মানুষের আয়ঙ্কেÄর বাইরের ইকোনোমিক রিয়েলিটি বলতে পারেন, কি বলবেন সেটাও মোটামুটি প্রেডিকটেবল এই পোলারাইজেশনের বাজারে।

    তবে যেটা বলা যায় না, সেটা হল, একটা নির্বাচনের ফলাফল একটা বিশেষ রাজনৈতিক ঘটনা সম্পর্কে জনমতের সম্পূর্ণ প্রতিফলন।

    মানে গুজরাটের মানুষ বিপুল ভাবে বারবার মোদী কে ভোট দিছেন মানে এটা নাই হতে পারে, যে গুজরাটের আপামর জনসাধারণ প্রতিবছর শুরুর দিকে একটু দাঙ্গা করে নিতে চান। ইলেকটোরাল চয়েসের সমস্যা হতে পারে, কিন্তু তাও সংখ্যা গুরুর মতামতের প্রতিফলন কি এই রকম ভাবে পছন্দ অনুযায়ী বিষয়ে খুঁজে পাওআ আদৌ সম্ভব?

    একটা কারখানা স্থাপনের ইচ্ছে যুগিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন আর ঘেঁটে দিল পঞ্চায়েত নির্বাচন এরকম আদৌ বলা যায় বলে মনে হয় না।
  • Ishan | 59.161.73.229 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:৫০697001
  • রঙ্গনকে।

    ১। রূপকথার গ্রাম খুঁজতে গেলে বেশি কষ্ট করার দরকার নেই। গত তিন-চাত দিনের কাগজ খুঁজলেই চলবে। খবরে প্রকাশ, যে, পশ্চিমবঙ্গের একটি গ্রামে এক পুকুরের মালিক রাজনৈতিক কারণে তাঁর বিরুদ্ধ পার্টির সমর্থকদের ঐ পুকুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিলেন, এই কদিন আগে। রীতিমতো নোটিস লাগিয়ে। সেটি গ্রামীণ সমাজের চাপেই তিনি আবার তুলে নেন।

    কাগজ খুঁজলেই পাওয়া যাবে। আমিই খুঁজে দিতাম। কিন্তু এই ব্যান্ডউইডথে অতোটা কষ্ট করলাম না। :)

    দুই। অজদার কেস স্টাডি ছিল প্রাকৃতিক সম্পদের একচেটিয়া অধিকার কারো হাতে থাকলে সরকার সেটা নিয়ে নিতে পারে কিনা। কেস স্টাডিতে একটিই পুকুর ছিল। এবং জলের দাম খুব চড়া ছিল। ব্যাখ্যার সুবিধের জন্য কেস স্টাডিটাই বদলে একটার বদলে অনেক পুকুর আর জলের দাম খুব কম করে দিলে ঘটনাটাই বল্‌দলে যায় এটা আমি জানি। এটাও জানি, যে একে বলে জুতোর মাপে পা বানানো। অর্ডার দিয়ে।

    তিন। জুতোর মাপে পা বানিয়েও সমস্যাটা ঠিক ধরা যায়নি। আমূল পরিবর্তিত কেস স্টাডি অনুযায়ী একটি গ্রামে অনেক পুকুর। ব্যক্তিমালিকানাধীন। ব্যবহারের জন্য সামান্য ফি নেন মালিকরা। যেহেতু পারফেক্ট কম্পিটিশন, তাই, প্রইটি মালিকই চেষ্টা করবেন কম পয়সায় উন্নততর সার্ভিস দিতে। দাম বাড়বেনা। আর উন্নততর সার্ভিস দেবার জন্য মালিক নিজেই পুকুর রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। খুব সিম্পল হিসেব। এতে প্রবলেম, ট্র্যাজেডি কিসুই নাই।

    চার। জাতপাত, অস্পৃশ্যতা আনিনি শুধু পশ্চিমবঙ্গের কথা ভেবে লিখছিলাম বলে। বিহার টিহার ধরলে অবশ্যই চিত্রটা অন্যরকম হবে।
  • r | 125.18.104.1 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:৫২697002
  • গণতন্ত্রে মতৈক্য প্রসঙ্গে কিছু কথা:

    একটি চোরের বিচারে পাঁচজন বিচার করতে বসেছেন তার কারণ এই নয় যে "চুরি মহাপাপ" সম্পর্কে একটি মতৈক্য আছে, তার কারণ হল দেশে একটি আইন আছে যার দরুন চুরি করলে তার বিচার করতে হয়। এবং দেশে আইন থাকার অর্থ এই নয় যে সেই আইনের নীতি সম্পর্কে দেশে মতৈক্য আছে।

    ভারতীয় সংবিধানের প্রি-অ্যাম্বলটিও মতানৈক্যের ঊর্ধ্বে নয়, যদিও এগুলো খুবই "জেনেরিক সিদ্ধান্ত"- স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।

    কোনো সাধারণ সিদ্ধান্ত যদি মতৈক্যের ভিত্তিতে নিতে হয়, তাহলে ভারতে একটি ব্যাপারেই প্রায়-সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মতৈক্য আছে, সার্বিক মতৈক্য না থাকলেও- অর্থনৈতিক নীতি, অমিত ভাদুড়ি উবাচ। এবং যে বিষয়ে তুমূল মতানৈক্য আছে, তা হল- এক, সমাজতন্ত্র ও দুই, ধর্মনিরপেক্ষতা। যদি ভারতের অধিকাংশ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ বলেও ধরে নিই, সংখ্যালঘু মতামত যদি বলে "হিন্দুরাষ্ট্র" চাই, তাদের ঈশানীয় গণতন্ত্রে কিভাবে অ্যাকোমোডেট করা হবে জানার ইচ্ছা রইল।

  • r | 125.18.104.1 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:২৪697003
  • ওপেন ফোরামের ভালো দিকগুলো সাথে সাথে বাজে দিক হল- অ্যাকাডেমিক জার্নালের মত কোনো রেফারী থাকে না, অতএব "আমি ভুল করি নি" প্রমাণ করার জন্য অনির্দিষ্ট কাল ধরে এঁড়ে তর্ক চালিয়ে যাওয়া যায়।

    যাক গে। সিঙ্গুর সমস্যা নিয়ে যে আলোচনা চলছে তার একটা মূল জায়গা হল- ব্যক্তি বনাম রাষ্ট্র। এই প্রসঙ্গে কমিউনিটির কথাও আসে। অতএব- ব্যক্তি বনাম রাষ্ট্র বনাম কমিউনিটি। একচেটিয়া অধিকার সমস্যা তো বটেই কিন্তু এই প্রসঙ্গে প্রান্তিক ও অবান্তর সমস্যা। অতএব, অজদার কেস স্টাডিটি ব্যক্তি বনাম রাষ্ট্র বনাম কমিউনিটির আওতায় পড়ে ধরে নিয়েছি। এই বিষয়ে যাঁরা কাজকর্ম করেন, তাঁরাও তাই ধরবেন বলে নিশ্চিত জানি, কেন জানি নাই বললাম নাহয়। যাঁরা প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেন, তাঁরা এই ঈশানীয় কম্পিটিটিভ সলিউশন শুনে কি বলেন জানার চেষ্টা করব, মানে একটি নদী এক কর্পোরেশনকে বিক্রি না করে অনেককে ভাগে ভাগে বিক্রি করলে প্রবলেম, ট্র্যাজেডি কিছুই থাকে না। এখন অজদাই বলতে পারবেন- কেস স্টাডিটি একচেটিয়া অধিকারের সমস্যা নাকি ব্যক্তি বনাম কমিউনিটি বনাম রাষ্ট্রের সমস্যা।
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:১৬697004
  • অরিজিত/অজদা, এড়িয়ে যাই নি, ঘুমুতে গিয়েছিলাম। খানিক বাদে আমার বক্তব্য বলছি।

    অজদার, কেস স্টাডি বা উদাহরণ টায় এতই ইনফরমেশন কম সেটা যে যার মতন ইন্টারপ্রিট করতে পারে। যাকে বলে ওপেন এন্ডেড। একগাদা অ্যাজাম্পশান ধরতে হবে। ও অজদাই সবথেকে ভালো বলতে পারবে। তবে অ্যাজাম্পশান গুলো স্টেট করে দিলে সুবিধা হত। তোমরা তক্কো করো নি ওটা নিয়ে।
  • arjo | 168.26.205.5 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৮:৫০697005
  • অরিজিত ও অজদা,

    কথাবার্তা থেকে যা বুঝলাম তোমাদের মত হল সিঙ্গুরে ভুল হয়েছে কিন্তু মেনে নিন কারণ বিপক্ষে মমতা আছে। কারণ মমতার কাগজ জাগো বাংলা, মমতা ইংরাজী বলতে পারে না, মমতা গাড়ির বনেটে উঠে নাচে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে এটা খুব চেনা লজিক। খুব সুবিধে হয় বলতে কারণ বিরোধীরা ধুর। কিন্তু মুশকিল হল এই করে ভোটে জেতা যায় দেশ ও দশের উন্নতি হয় না। সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি প:ব: এর ক্রমাগত অবনতির পেছনে হয় ""কেন্দ্রীয় চক্রান্ত"" অথবা ""আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ"" এখন যুক্ত হল ""দায়িত্বজ্ঞানহীন বিরোধী""। হ্যাঁ মেনে নিলাম ভোটে সিপিএম জিতবে। কিন্তু উন্নয়ন, শিল্পায়নের চেষ্টা - থাক না সেসব কথা। এই ভোটে জেতার ইচ্ছে, ক্রমাগত একই কথা বলা এগুলোকে বলে ঘোলা জলে মাছ ধরা।

    কনসিসটেন্সি একটা জায়গায় গিয়ে অন্ধত্ব হয়ে দাঁড়ায়। অন এ লাইটার নোট তো, আপনাদের মতন একটা লজিক দি কেমন কনসিসটেন্টলি ইনকসিসটেন্সিও একধরণের কনসিসটেন্সি। ;)। অস্কার ওয়াইল্ড বলেছিলেন
    ""Consistency is the last refuge of the unimaginative""। তো ভুলকে ঠিক বলে আপনারা কনসিস্টেন্ট হন, কারণ এতদিনে বুঝলুম প্রেম কারে কয়। কিন্তু অন্য লোকে স্পেডকে স্পেড বলবেই।

    ভোটে জিতে যা খুশি করব এই যদি প:ব: এ ""বামপন্থী"" নীতি হয় তাইলে আপনারা আপনাদের ""কনসিস্টেন্সি"" নিয়ে আত্মশ্লাঘা অনুভব করুন। লং লিভ রাষ্ট্র ও তার কনসেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং যন্ত্র।
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৪৬697006
  • গ্রামীন সমাজের চাপে (চাপে-টা অপারেটিং ফ্রেজ) যদি কাউকে পুকুর ব্যাবহার করতে দিতে হয় তাহলে কি সেটা মাইনরিটি রাইট ভায়োলেট করা হয় না?

    বাকী কথা ভাটের কথা।
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৫০697007
  • পুকুরের কেস স্টাডিটি একচেটিয়া অধিকারের সমস্যা নয় কোন মতেই। পুকুরের মালিক একশো জন হলেও সমস্যার মূল ব্যাপারের কোন হেরফের হয় না। ধরা যাক একশোটি পুকুরের একশো মালিক। গ্রামের ১০% মানুষ ঠিক করল তারা ঐ একশো পুকুরের জলে চাষ করবে, সুতরাং অন্য ব্যবহার চলবে না। এবারে এই ১০% যদি গ্রামের অন্যদের চেয়ে বেশী দাম অফার করে জলের অধিকার কিনে নেয় তো কি হয়?
  • ranjan roy | 122.168.13.49 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৩৫697008
  • রঙ্গনকে,
    ঈশানের গাঁ খুব একটা স্বপ্নের গ্রাম নয়। মুশকিল হল তোমরা একেবারে কোন মডেল বা হাইপোথিসিসকে একেবারে এক্সট্রিম পারফেকশনের মাপকাঠিতে ধরে কথা বলছো। সাদা--কালোর বাইরে গ্রে এরিয়া দেখছো না।
    আমার কাজের মধ্যে অন্যতম হল পুকুরে মাছচাষের জন্যে সেল্ফ-হেল্প-গ্রুপ লীজ নিলে তাদের লোন দেয়া।
    এখন ছত্তিশগড়ের প্রত্যেক গ্রামেই জাতপাত আছে, আবার কমিউনিটি পুকুর আছে যাকে বলে " নিস্তারি তালাও''।আবার আছে কমিউনিটি স্বীকৃত গোচর জমিন।
    এ নিয়ে বেজা-কব্জা করার চেষ্টা আছে, পয়সা খেয়ে সরপঞ্চের সেল্ফ হেল্প গ্রুপে্‌ক না দিয়ে বাইরের মাছের ঠেকেদারকেবা বেনামিতে অন্য কাউকে দেয়া আছে। আবার এনিয়ে সংঘর্ষ-আন্দোলন হলে গ্রামের কমিউনিটির চাপে ন্যায্য লোক বা সমুহকে ফিরিয়ে দেয়াও আছে।
    এছাড়া আছে ল' অফ ইজমেন্ট ।
    কারো ব্যক্তিগত মালিকানার জমির ওপর দিয়ে যদি অন্য কোন ব্যক্তির বা সমূহের ঘরে বা জমিতে যাওয়ার পথ লোকব্যবহারে গড়ে ওঠে, আর সেই লোক গুলোর যদি নিজের জমিতে ঢোকার অন্য কোন বিকল্প পথ না থাকে, প্রথম ব্যক্তিটি স্রেফ মালিকানার অধিকার দেখিয়ে ঐ পথ আটকে পাঁচিল তুলতে পারবে না।
    অবশ্য বিবাদ হলে এগুলো প্রমাণসাপেক্ষ।
  • ranjan roy | 122.168.18.39 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৪৯697009
  • অজ,
    দুনিয়াতে কোন রাইটই অ্যাবসলুট্‌ নয়। এমনকি ফান্ডামেন্টাল রাইট ও নয়। সংখ্যালঘুর রাইট তো কোন ছার।
    ঈশানের বক্তব্য থেকে এমন কথা কি করে হচ্ছে যে মাইনরিটির রাইট মানে অ্যাবসলুট্‌ ভেটো পাওয়ার? আমি তো দেখতে পাচ্ছি না।
    বরং আপনি যে বলছেন -মাইনরিটি রাইট কন্টিনজেন্ট, মেজরিটির সুইট উইলের ওপর, সে তো প্রায় রাইট না থাকার সামিল। তাহলে মানতে হয় গুজরাটে নির্বাচিত মোদি সরকার ও তার ইচ্ছের ওপর সেখানের মাইনরিটির অস্তিত্ব টিকে আছে। আজকে হয়তো এটাই মেঠো বাস্তবতা, কিন্তু এটাকে জেনেরিক পলিসি লেভেলে স্বীকৃতি দেয়া যায় কি!
    আপনার মেজরিটির স্বার্থের সঙ্গে অ্যালাইনমেন্টের উদাহরন হয়তো রিয়েল পলিটিকের রণকৌশল হিসেবে চমৎকার। কিন্তু আবার ঐ জেনেরিক পলিসি হলে অত্যন্ত খতরনাক।
    প্রবলেম হিসেবে আপনার থিওরি অনুযায়ী হিটলারের জার্মানীতে বেঁচে থাকার জন্যে ইহুদিদের ও মোদির গুজরাটে মুসলমানদের কি কৌশল নেয়া উচিৎ ওয়ার্ক আউট করে দেখুন।
  • Du | 67.111.229.98 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:১৩697011
  • তাহলে তো ব্যক্তির অধিকার সমাজের অধিকারের চেয়ে কমই হল।

    এখানে আলোচনায় জমি মালিকদের মধ্যে মেজরিটি ভুল, পঞ্চায়েতের ভোটারদের মেজরিটি ঠিক আর রাজ্যের ভোটারদের মেজরিটি ভুল। তো মেজরিটি আর মাইনরিটির অধিকার নিয়ে আলোচনা করে কোথায় পৌছনো যাবে?

    সমস্ত থিয়োরি থেকে পশ্চিমবঙ্গের সিচুয়েশন আলাদা। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল (শুধু মমতা নয়) বিধানসভার থেকে বাইরেই তাদের স্টেজ বেছে নিয়েছে।
    ২০০৬ এ তৈরী ল্যান্ড ইউজ কমিটি যে একটা হাই লেভেল ম্যাপ করে ছেড়ে দিয়েছে তাতে চমকানোর চেয়ে আশ্বস্তই হলাম বেশি। সিকির লেখা হেলিকপ্টারে সবটা হলে তাও ঠিক , কিন্তু গত দুবছরে সার্ভের যন্ত্রপাতি নিয়ে লোকজন গ্রামে গ্রামে উদয় হলে 'রিউমার ম্যানুফ্যাকচারিং মেশিন' যে কিরকম ফসল ফলাতো তা ভেবেই চমকালাম বরং। আর এই সূত্রে পুরোনো পেপার পড়তে গিয়ে মনে এলো বিধানসভার শিল্প বিষয়ক কমিটির চেয়ার সুদীপ বন্দো।

    রঞ্জনদাকে, আলোচনা থিয়োরিতে ভালো, তবে ধরুন যদি 'কনসেন্সাস' হল যে শিতাবস্থা চাই না , শিল্প গড়া হোক তারপর কি হবে?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন