এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিঙ্গুর: কি ভাবছেন সবাই(২)

    Ishan
    অন্যান্য | ১৮ অক্টোবর ২০০৬ | ৫২৮৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • arjo | 168.26.205.5 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:৪৩697012
  • এই থ্রেডের একেবারে প্রথমে চলে গিয়ে কয়েকটি পোস্ট পড়লুম। ব্ল্যাংকি তখন বুনান ছিল। ইশান তখন ইষান ছিল। আর ইষান তখন ব্ল্যাংকিকে আপনি বলত। পড়ে এমনই হাসলাম যে আর তক্কো করার ইচ্ছে রইল না। তাই আপাতত এই সুতো থেকে আমি অবসর নিলাম। তবে ফিরে আসা থেকে আমি একখানি পোস্ট দুরে রইলাম। কেউ চাইলেই আবার আসিব ফিরে :-))।

    যাওয়ার আগে consent was not manufactured in this thread। :)))
  • aja | 207.47.98.129 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:৫০697013
  • রঞ্জনবাবুকে:

    ১। ঈশানের কথা থাক।

    ২। গনতন্ত্রে মাইনরিটি রাইট কেন থাকবে বলতে পারেন? না থাকলে কি হত? মানে মেজরিটি কেন মাইনরিটি রাইট মেনে নেবে? মেজরিটির এনলাইটেন্ড সেল্ফ ইন্টারেস্ট ছাড়া আর কোন কারণ আছে কি?

    ৩। মাইনরিটির যদি ভেটো পাওয়ার না থাকে, তাহলে মাইনরিটির অধিকারের একটা সীমা আছে। সেই সীমা কি ভাবে ঠিক হবে?

    ৪। মেজরিটির ইন্টারেস্টের সাথে মাইনরিটি ইন্টারেস্টের অ্যালাইনমেন্ট রিয়েল পলিটিকের উদাহরন হিসেবে চমৎকার তো বটেই। কিন্তু আমার মূল বক্তব্য হল এই অ্যালাইনমেন্ট গনতন্ত্রে ডিজায়ারেবল, এবং মাইনরিটির ইন্টারেস্ট মেজরিটি ইন্টারেস্টের বিরুদ্ধে গেলে (মানে কোন ভাবেই অ্যালাইনড না হলে) মেজরিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হওয়া উচিৎ।

    ৫। হিটলারের জার্মানিতে ইহুদী হত্যা জার্মানদের জন্য শেষ পর্য্যন্ত ভাল হয় নি। অর্থাৎ, ইহুদী হত্যা জার্মান মেজরিটির সেল্ফ ইন্টারেস্টের পক্ষে ঠিক ছিল না। মোদীর ক্ষেত্রেও একই যুক্তি খাটবে।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৪ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:০৭697014
  • অজর প্রশ্নের উত্তরে বলি (যদিও রঞ্জনদাকে করা) , আমার মনে হয় গণতন্ত্রে সাধারণত: ক্ষমতা ভাগ করা থাকে এক্সিকিউটিভ আর জুডিসিয়ারির মধ্যে। সংখ্যাগুরু দল যা ইচ্ছা করতে পারেনা। তারা নতুন আইন আনতে পারে। কিন্তু সেটা যদি সংবিধানের বিরুদ্ধে যায়, যে কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। কোর্ট যদি রায় দেয় এটা সংবিধানের বিরোধী তবে সেই আইন খারিজ হয়ে যায়।
    যেহেতু সংবিধানের বিরুদ্ধে যেতে পারেনা, সে জন্য তার পাওয়ারের লিমিট থাকে। কিন্তু সংবিধান অনুসরন করে সরকার যদি কোন বিল পাশ করাতে পারে, সেখানে সংখ্যালঘুদের কিছু বলার নেই। গণতন্ত্রের বেসিক নিয়ম হল সরকার পক্ষ বেশি ভোট পেয়েছে , তার মানে তারা অধিকাংশ দেশবাসীর ইন্টারেস্ট দেখছে।
    যদি না দেখে, পরের ইলেকশনে তাদের তাড়ানো হবে।
    চার্চিলকে পছন্দ না করলেও তার এই কথাটা খাঁটি : Democracy is the worst form of government except for all those others that have been tried.


  • aja | 71.106.244.161 | ২৪ অক্টোবর ২০০৮ ০৪:২৫697015
  • সংবিধান সংশোধন করা যায়।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৪ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:১২697016
  • আর্য চোখ বন্ধই রাখবে, বা বুঝেও উল্টো গাইবে। স্টান্সটা অনেকটা ক্লাসিকাল "আই-ডেসপাইজ-সিপিএম-অ্যাণ্ড-আই-উইল-গো-উইথ-এনিওয়ান-ব্লাইন্ডলি-বাট-আই-স্টিল-ক্লেইম-দ্যাট-আই-অ্যাম-নিরপেক্ষ'। খুব চেনা স্টান্স, এতদিনে এত দেখলাম। আর বলার নাই কিছু।
  • ranjan roy | 122.168.18.39 | ২৪ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:৩২697017
  • অজকে,
    আপাতত: ৪ আর ৫ নম্বর নিয়ে।
    আমার বক্তব্য একটু অন্য ছিল। ইহুদীনিধনে জার্মানদের ক্ষতি হয়েছে দীর্ঘকালীন পরিপ্রেক্ষিতে, ডিট্টো মোদী।
    কিন্তু আপনার বক্তব্য ছিল--- মাইনরিটির উচিৎ জিততে হলে মেজরিটির ইন্টারেস্টের সঙ্গে নিজেদের ইন্টারেস্ট অ্যালাইন করা।
    সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমার প্রশ্ন ছিল জার্মানী ও গুজরাটে মাইনরিটি ইন্টারেস্টের দিক থেকে। অর্থাৎ হিটলারের জার্মানীতে ইহুদীরা এবং মোদীর গুজরাটে মুসলমানেরা বাঁচার জন্যে নেজরিটি ইন্টারেস্টের সঙ্গে কি ভাবে নিজেদের ইন্টারেস্টকে মেলাবে? অর্থাৎ, আপনার হাইপোথিসিসের এই দুই জয়গায় প্রয়োগের চেহারাটি কি হবে?
    আপনার উত্তরটা এইদিকটা ছোঁয় নি বলে আমার মনে হল।
    দু'কে,
    উত্তরটা অবভিয়াস, নয় কি? যা কন্‌সেন্সাস্‌হবে, তাই হবে। সেই কন্সাস-ধর্মী ডিসিশনটি আমার মতে ভুল হলেও।
    ব্যাপারটা ভাবুন। আমরা কেউ মমতাবাদী বা মাওবাদী নই। আমাদের চোখে বিমান বা মমতা , যেমন দময়ন্তী একটু আগে বলেছে, সমান আনকুথ।
    কন্‌সেন্‌শাস্‌ আমাদের চোখে গণতন্ত্রএর কাঙ্ক্ষিত ফাংশনাল মোডালিটি। রেজাল্ট ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দসই হল , না হল, কিছু যায় আসে না।
    কাজেই সুস্থ গণতন্ত্রে মেজরিটি, সংখ্যার জোর থাকলেও ব্রুট মেজরিটির শক্তি নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে না থেকে যতটা সম্ভব কন্‌সেন্‌সাসের চেষ্টা করবে-- এটা কাম্য। তা নাহলে যদি অজ'র কথা মেনে নিয়ে মাইনরিটির ভেটো পাওয়ার নেই, মানে প্রায় কোন রাইট নেই স্ট্যান্ড নেয়া যায় তাহলে বুদ্ধবাবুর সেই বিখ্যাত উক্তিটিতে দোষের কিছু নেই।
    আর অজ কিছু ইম্পর্ট্যান্ট প্রশ্ন তুলেছেন। মাইনরিটি রাইটের আদৌ দরকার আছে কি না? ইত্যাদি।
    রলস্‌ ইত্যাদির বক্তব্য অজ'র জানা আছেই। আমার মনে হয় আরও একটা কারণ হল ট্রুথ, লজিক সবসময় মেজরিটির কাছে থাকে না এটা দেখা গেছে।
    আর শ্যমলের কথার খেই ধরে----- সংবিধান এগুলো আগেই দাগ দিয়ে দেয়, কোন কোন ব্যাপারে মাইনরিটির অধিকার প্রায় আইন করে সুরক্ষিত।
    আমার ব্যক্তিগত মত হল--- সেই গণতন্ত্র তত বেশি শক্তিশালী যে গণতন্ত্র মাইনরিটি এবং বিরুদ্ধমতকে যতটা বেশি স্পেস্‌ দিয়ে থাকে, এবং ভাইস্‌ ভার্সা।
    অজ বলছেন-- সংবিধান বদলানো যায়। যায় বই কি! কিন্তু খুব সহজে যায় না। অনেক রাইডার দেয়া আছে।
    আবার বলছি -এগুলোর কোনটাই অ্যাব্‌সলিউট নয়। একটা ডোমেনের মধ্যে নড়ে চড়ে বেড়ায়। যত বেশি ইউনিটারি কালচার হবে , তত Tends to ফ্যাসিজম হবে, আর উল্টোদিকে Tends to ডেমোক্র্যাসি হবে।
  • bitoshok | 128.101.220.108 | ২৫ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৩৩697018
  • এখানে একটা কনফিউশন তৈরি হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। দুটো ব্যাপার আছে --১) গনতন্ত্রের পূর্ব-শর্ত কি কি ২) গণতন্ত্র কি ভাবে কাজ করবে? অধিকার ইত্যাদি প্রশ্ন গুলো আসে প্রথম জায়গা থেকে। অজ-র বক্তব্য আমি যদি ঠিক বুঝে থাকি উনি আর্গু করতে দ্বিতীয় জাতের প্রশ্ন টাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রথম টার থেকে। এবার সেটার অনেক সমস্যা। সেটা উনি নিজেও জানেন না এমন নয় -- আদারওয়াইজ রিজয়েন্ডার লিখতেন না।

    আরো দু-একটা জিনিস কিলিয়ার হওয়া দরকার বলে আমার মনে হয়েছে। মাইনরিটি রাইট ঠিক কি অর্থে আর কখন ব্যবহার হয়। উইকিপেডিয়া জানাচ্ছে

    The term minority rights embodies two separate concepts: first, normal individual rights as applied to members of racial, ethnic, class, religious, linguistic or sexual minorities, and second, collective rights accorded to minority groups. The term may also apply simply to individual rights of anyone who is not part of a majority decision.
    (এর সথে জুড়বে - geographic location, political)

    একটু খেয়াল করলেই প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই কিছু উদাহরন পাবেন -- যেটা ঐ 'মেজরিটির সাথে আলাইনমেন্ট' করে করা সম্ভব নয়।

    বস্তুত, মেজরিটি রুল যদি গণতন্ত্রের একমাত্র মাপকাঠি হত তহোলে গণতন্ত্রের বনিয়াদ টাই দাঁড়ায় না। ভেবে দেখুন, সংবিধানে 'ফান্ডমেন্টাল রাইট' দেওয়া আছে ব্যক্তিকে -- 'মেজরিটি' কে নয়।
  • ranjan roy | 122.168.18.39 | ২৫ অক্টোবর ২০০৮ ২০:০০697019
  • বীতশোককে ডিট্টো। এই কথাগুলো বলতে চাইছিলাম। ছড়িয়েছিলাম।

    অজ এবং রঙ্গনকে,
    আলোচনা এখন চমৎকার ভাবে রাষ্ট্র-কমিউনিটি- ব্যক্তির অন্তর্সম্পর্ক এবং গণতন্ত্রের নর্ম্যাটিভ ও ফাংশনাল ব্যপারগুলোর জেনেসিস ও লিমিটেশনের দিকে এগিয়েছে। যেটা খুব দরকারী। চলুক।
  • Du | 67.111.229.98 | ২৭ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:১৪697022
  • এখানে অন্যপক্ষের মাইনরিটি রাইটের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে মাইনরিটি বলতে সবসময়েই ভাষিক, ধর্মীয় বা জাতিসত্বাকে ধরা হচ্ছে যেগুলো ক্ষেত্রে প্রেজুডিস ছাড়া সত্যি করে ইন্টারেস্টের কোন ক্ল্যাশ থাকে না।
    যেমন গে রাইট। গে রাইট কখনোই সমাজের মেজরিটির রাইটকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, তাদের প্রিজুডিসকে একটু আঘাত দেওয়া ছাড়া। একই ভাবে ইহুদীদের মানব অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকা জার্মানদের সত্যি করে কোনভাবেই আঘাত করে নি, আগেও না পরেও না।
    কাজেই এধরণের উদাহরণ দিয়ে সিচুয়েশনটাকে একেবারেই ঠিকভাবে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে না।
  • Ishan | 121.245.95.48 | ২৮ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৫৯697023
  • দুদিন বাদে আবার এসেছি ফিরিয়া।

    পুকুর প্রসঙ্গে।
    প্রবলেম অফ কমনস হল এমন একটি সমস্যা, যেখানে একটি মাল কমিউনিটির সম্পত্তি। সব্বাই ব্যবহার করে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের দায় কেউ নেয়না। যথা নদী। যথা গোচারণভূমি। যথা বারোয়ারি পুকুর। দুনিয়ার যাবতীয় লোক নদী ব্যবহার করে। কিন্তু কেউই রক্ষণাবেক্ষণের দায় নেয়না। বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর ও একই জিনিস। রক্ষণাবেক্ষণ করার কেউ নেই।

    কিন্তু আপনাদিগের কেস স্টাডির ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর কিকরে এই প্রবলেমের আওতায় পড়ল বোঝা গেলনা। একটি লোকের পুকুর আছে। সে জল বেচে। সেই টাকায় পুকুরের রক্ষণাবেক্ষণ করে। এতে প্রবলেম টা কি? কমনসই বা কোথায়? কটুকাটব্য না করে একটু বুঝিয়ে দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। মাইরি। নচেৎ ধরে নেব, বিষয়টিতে আপনারা ক্লিয়ার না।

    হ্যাঁ, অনুগ্রহ করে এর মধ্যে নদী আকাশ বাতাস ইত্যাদি টেনে আনবেন না। ওগুলো প্রবলেম অফ কমনসের অন্তর্গত এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আপনাদিগের কেস স্টাডিটি নিয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখবেন। প্লিজ।

    মতৈক্য প্রসঙ্গে।
    পৃথিবীতে যেকোনো সিস্টেমই একটা সাধারণ মতৈক্যের উপর চলে। জনৈক কৌশিক বসু লিখেছিলেন, (রঙ্গন যা কোটও করেছিল), যে, আমরা সক্কলেই কিছু কমন জিনিস মেনে চলি। যেমন আমরা সক্কলেই ট্যাক্সি থেকে নেমে ভাড়া দিই। দৌড়ে পালাইনা (পালানোর সুযোগ থাকলেও)। এই মতৈক্যের উপরেই বাকি জিনিস গুলো দাঁড়িয়ে থাকে, যার নাম আইন ইত্যাদি। মতৈক্য ছাড়া আইন অর্থহীন। "রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন না' আইন করেও কোনো লাভ নেই, কারণ ও নিয়ে পাবলিকের মতৈক্য নেই। ভারতের "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' নিয়ে গলা ফাটিয়ে বিশেষ লাভ হচ্ছেনা, কারণ, ও ঐক্যের এই মডেল নিয়ে মতৈক্য নেই।

    কাজেই মতৈক্য একটা দরকার। সে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আসলে যে পয়েন্টটা নিয়ে আপত্তি উঠছে, সেটা সোজা বাংলায় লিখলে এরকম দাঁড়ায়: "একশ কোটি লোক একমত না হলে কিছু করা যাবেনা? আশিটা লোক একটা জিনিস চাইছে, সেটা কুড়িটা লোক চাইছেনা বলে আটকে যাবে?' এইটা হল কমন কনসার্ন।

    কনসার্নটা খুব বাজে কিছু না। কিন্তু খুঁটিয়ে দেখুন। মূলত: আপনি সেই ভেটো পাওয়ারের কথা ভাবছেন। "আশিটা লোক যা চাইছে তাই করব, বেশ করব, না পোষালে গোল্লায় যাও' এরকম একটা হাবভাব। এটা গণতান্ত্রিক ভাবনা নয়। ভাবনাটাকে উল্টে ভাবুন। এইভাবে ভাবুন, "আজ কুড়িটা লোক এই জিনিসটা চাইছেনা, কাল আরও দশটা লোক নাও চাইতে পারে, তখন লাঠালাঠি ফাটাফাটিতে পড়তে হবে। তার চেয়ে আসুন ডায়লগে যাই।'

    ডমিনেশন নয়, ডায়লগ। এইভাবেই গণতন্ত্র এগোয়। নচেত আর সব কিছ্র মতই অণতন্ত্রও টোটালিটারিয়ান হয়ে ওঠে।
  • Ishan | 121.245.95.48 | ২৮ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:০৮697024
  • অজদার সরল প্রশ্ন পড়ে হাসিই পেল। মেজরিটি কেন মাইনরিটির রাইট মেনে নেবে? ক্যালাকেলি অ্যাভয়েড করার জন্য। অন্যথায় যে জিনিস হয়, তাকে টোটালিটারিয়ান ব্যবস্থা বলে। এই থ্রেডেই শোনা গিয়েছিল অজদা টোটালিটারিয়ান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। একটু শোনার ইচ্ছে রইল, মাইনরিটি রাইটের পক্ষে না থেকে কিভাবে টোটালিটারিয়ানতার বিরুদ্ধতা করা যায়। ব্যক্তির পুকুর আসলে প্রবলেম অফ কমনস বলে জানলাম। এই ব্যাপারটাতেও একটু ঋদ্ধ হতাম আর কি। :)
  • shyamal | 64.47.121.98 | ২৮ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:১৯697025
  • ঈশানের লেখার উত্তরে আবার বলছি, গণতন্ত্রে এই সমস্যার সমাধান করা আছে। প্রত্যেক মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার আছে। আজ একশো কোটি মানুষও যদি স্থির করে একজন লোকের বাড়িতে ঢুকে তাকে খুন করবে, সেটা হবেনা। এখানে মতৈক্যের প্রশ্ন নেই। হবেনা কারণ আইন ভায়োলেট করছে। আইনে শুধু সংখ্যালঘুর নয়, একজন ইন্ডিভিজুয়াল ব্যাক্তিরও কতগুলো অধিকার দেওয়া আছে যা সরকার বা কেউ ভাঙতে পারেনা। যেমন পুলিশ কমিশনার ওয়ারেন্ট ছাড়া আমার বাড়িতে ঢুকতে পাবেননা।

    কিন্তু সরকার বা মেজরিটি বা মাইনরিটি যদি এমন কিছু করে যা আইনসংগত, তবে তার কোন ডায়ালগের দরকার নেই। কাউকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। যতদূর পড়লাম, জমির অধিকার মৌলিক অধিকার নয়। সরকার যদি চায়, ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি নিত পারে আইনত:। যার জমি নিচ্ছে সে মামলা করতে পারে সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু হাইওয়েতে বসতে পারেনা।
  • Ishan | 59.161.65.240 | ২৯ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:১২697027
  • "প্রত্যেক মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার আছে'। বেশ কথা। এবং আপনি বলছেন আইন, একমাত্র আইনই হল, এই অধিকারের রক্ষাকবচ।

    এবার আপনাকে একটা উদাহরণ দিই। ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৭ নম্বর ধারা। সেখানে কি বলা আছে? স্বামীর সম্মতি না নিয়ে অন্য লোকের বৌ এর সঙ্গে জ্ঞাতসারে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা দন্ডযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধে ৫ বছর অবধি জেল বা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।

    খুব সোজা হিসেব। "স্বামীর সম্মতি' থাকলে কোনো সমস্যা নেই। নচেৎ পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক হল অপরাধ। স্পষ্টত:ই আইনটি মধ্যযুগীয়। এই আইন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করে। লঙ্ঘন করে।

    এটা একটা উদাহরণমাত্র। এরকম আইন আরও আছে, যা ব্যক্তির অধিকারকে রক্ষা করার বদলে খর্ব করে। এবং, এইসব ক্ষেত্রে যাঁর অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তিনি সর্বদাই সংখ্যালঘু। অতএব তাঁর হয়ে বলার কেউ থাকেনা।

    এই সব ক্ষেত্রে, এবং এই স্পেসিফিক কেসে, আপনার মডেলের "গণতান্ত্রিক' সমাধান কি সম্ভব?
  • shyamal | 64.47.121.98 | ৩০ অক্টোবর ২০০৮ ০১:৪৪697028
  • প্রচুর প্রাগৈতিহাসিক আইন আছে। কিন্তু তা বদলানোর দায়িত্ব তো জনতার। এম এল এ , এম পি রা বিল এনে নতুন আইন করে বা পাল্টায়। কিন্তু আমেরিকায় দেখেছি কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠি যদি মনে করে কোন আইন ক্ষতিকর, সেই আইন পাল্টানোর জন্য সংঘবদ্ধ হয়। রাস্তায় বসে নয়। এক লক্ষ লোকের সাইন নিয়ে বিভিন্ন সেনেটর, কংগ্রেসম্যানদের কাছে দেয়। তখন এদের টনক নড়ে আর নতুন আইনের বিল আসে। তারপরেও প্রশ্ন থাকে সেটা পাশ হবে কিনা। কিন্তু আমাদের দেশে কটা লোক, পার্টি বা ইন্টারেস্ট গ্রুপ (লবি) এভাবে আইন পাল্টানোর চেষ্টা করে? আমাদের দেশে লোকের একমাত্র গণতান্ত্রিক কর্তব্য ভোট দেওয়া ও তার পর পাঁচ বছর ঘুমানো আর মাঝে মাঝে সরকারকে আর রাজনীতিকদের দোষারোপ করা।

    হয়তো বলবেন, দেশে কোন মামলার নিষ্পত্তি হতে দশ বছর লাগে। সেটাও বদলানো যায় যদি আইন আনা যায় যে ক্যাপিটাল মামলা ছাড়া অন্য মামলা যদি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হয়, সেই জাজের চাকরি যাবে আর উকিলদের রেটিং কমে যাবে।
  • Du | 67.111.229.98 | ৩০ অক্টোবর ২০০৮ ০২:৫৭697029
  • এই স্পেসিফিক কেসে কনসেনসাস কিভাবে প্রয়োগ করবেন?
    যেহেতু বলছেন শাস্তি হওয়া উচিত নয়, ধরে নিচ্ছি ঘটনাটি স্ত্রীর অনুমতিক্রমে। তবে স্ত্রী এবং অন্য লোকটিই মেজরিটি। তারা চায় কোন শাস্তি না হোক।
    অপরদিকে স্বামীটি হয়তো বৌ অ্যান্ড অর অন্য লোককে কোদাল কোপানো করতে চাইত হয়তো আইনের রাজত্ব না থাকলে। অন্যপক্ষের জোর বেশি হলে আবার সে মরেও যেতে পারতো।
    এখানে বরং মেজরিটিই আপনার কাঙ্খিত অধিকার দিতে পারত স্ত্রী বা অন্য লোককে। অপরদিকে স্বামীটির কাংখিত রেজাল্ট হওয়ার থেকেও বাঁচাচ্ছে আইনেরই উপস্থিতি। অনুমান করা যেতে পারে যুগে যুগে ঢের কনশেনসাসের পরেই আইনটি হয়েছে এবং প্রতিবার গোড়ায় ফিরে যাবার অবকাশ থেকে রক্ষা করতে। আর আইঅনটি আরও পরিবর্তিত হলেও তা হবে সমাজের বেশিরভাগ লোকের মানসিকতাকে প্রতিফলিত করেই, যদি বেশিরভাগ লোক মনে করে (সে নিজে স্বামী, স্ত্রী বা অন্য লোক যে ভূমিকাতেই থাকুক না কেন) এর ফল বদলানো উচিত তো সেটা বদলাবেই।

    আজকালে দেখলাম আবার কেন্দ্রীয় সংসদীয় কমিটি জমি অধিগ্রহণ আইনটিকে ঘষামাজা করে ( জনস্বার্থের পুরোনো সংজ্ঞাতেই যদিও ) পেশ করেছে। আইন সম্পর্কে যা কিছু আপত্তি করার ক্ষেত্র আইন প্রনয়নের সময়তেই হওয়া ভাল, শুধু বিশেষ রাজ্যে প্রয়োগের সময় নয়।
    এগুলো লিখলাম অভ্যাসের দোষে, কিন্তু শেষ হয়ে যাওয়া এই সম্ভাবনাটা নিয়ে কথা বলতে আর ভালোও লাগছে না।
  • ranjan roy | 122.168.31.76 | ০১ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:৩৯697031
  • দু'কে,
    আপনি বলছেন-- ভাষিক, ধার্মিক, জাতিভিত্তিক, লিঙ্গভিত্তিক মেজরিটি-মাইনরিটি ভেদ আসলে প্রেজুডিস থেকে উৎপন্ন। এগুলোতে মাইনরিটির অস্তিত্বের সংগে মেজরিটির স্বার্থের কোন বাস্তবিক বিরোধ নেই। উদাহরণ দিয়েছেন- গে' রাইটের। বলছেন--ফলে এই উদাহরণ গুলো বর্তমান বিতর্কে যুতসই নয়।
    আমার বক্তব্য-----
    এক, যাকে প্রেজুডিস্‌ বলছেন তাকে আমি বলতে চাই--
    perceived threat.। মেজরিটি আশংকা করে মাইনরিটির স্বাধীন অস্তিত্ব মেজরিটির ক্ষতি করবে। সেটা অব্‌জেক্টিভলি কতটা সত্যি তা নয়। হাইন্ড-সাইটে আপনি-আমি যাই মনে করি না কেন।
    তাই মোদির গুজরাটে এবং ভারতের অনেক জায়গায় বেশ কিছু লোকের চোখে মুসলমান সমাজের নিরংকুশ অস্তিত্ব আজ দেশের সুরক্ষার জন্যে চিন্তার বিষয়।
    মহারাষ্ট্রে নিম্ন-মধ্যবিত্তের জীবিকার সম্ভাবনা উত্তর ভারতীয় দরিদ্ররা কেড়ে নিচ্ছে , এই প্রচার বাড়ছে।
    দক্ষিণ ভারতে হিন্দির বর্দ্ধমান আধিপত্য নিয়ে আশংকা রয়েছে। কান্ধামল ও পশ্চিম ভারতের বহু অংশে সাদাসিদে আদিবাসীদের পোপের চ্যালারা কেরেস্তান করে নিয়ে দেশের ক্ষতি করছে বলে ভয় বাড়ছে।
    ব্যাপক পুরুষসমাজ মেয়েদের সেকেন্ডারি রোলের ফলশ্রুতিতে প্রাপ্ত সুবিধা ছাড়তে চায় না। চেতনে-অবচেতনে। ফলে সমস্ত রাজনৈতিক দল মেয়েদের বাড়তি প্রতিনিধিত্ব আটকাতে, দলের ভেতর ও সংসদে, এককাট্টা। আপনার গে -রাইটের উদাহরণে বলি।
    বৃহত্তর সমাজে এর ভয় এর ফলে নৈতিক অধ:পতন হবে এবং এইডস্‌ ছড়াবে।
    দুই, আপনার বক্তব্য মেনে নিল্র মাইনরিটি প্রবলেম বলে কিছু থাকেই না। কারণ ওপরের দ্বৈত অবস্থান গুলো এড়িয়ে এমন কি অবস্থান হতে পারে যেখনে মাইনরিটির অস্তিত্ব , আপনার মতে, মেজরিটির স্বার্থের বিরোধী? কাউন্টার মডেল দিন না?
    তিন, তাই অজবাবুর বক্তব্যের লজিক্যাল করোলারি হিসেবে আমার জিজ্ঞাসা---- মোদির গুজরাটে এবং হিটলারের জার্মানীতে মাইনরিটি বাঁচার জন্যে কি ভাবে মেজরিটির স্বার্থের সঙ্গে নিজেদের অ্যালাইন করতে পারতো? যা পারেনি বলে মরলো?
  • tanB | 59.184.172.27 | ০৩ নভেম্বর ২০০৮ ১১:১২697033
  • দেখুন sir কি বলছেন
    http://tinyurl.com/5htpf2

  • arjo | 168.26.215.13 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:২৮697034
  • হ্যাঁ এখানেই আসা উচিত।

    ১। http://preview.tinyurl.com/cwq3wc
    - Date:14 Apr 2009 -- 07:05 PM


    ২। http://preview.tinyurl.com/cwq3wc
    - Date:14 Apr 2009 -- 09:32 PM

    ৩। http://preview.tinyurl.com/cgyaug - Date:15 Apr 2009 -- 07:38 AM

    ৩। http://preview.tinyurl.com/cgyaug - Date:15 Apr 2009 -- 07:41 PM

    বিস্তারিত বলা আছে। greatest good for the greatest number কথাটার মানে হল ""উন্নয়ন""। ভূমি সংস্কারের কথা তখনই ভাবব যখন তার লক্ষ্য উন্নয়ন হয়।

  • sibu | 71.106.244.161 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:১২697035
  • কার উন্নয়ন? মার্কসের, অমর্ত্য সেনের, মিল্টন ফ্রীডম্যানের না রামকৃষ্ণর?
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:১৬697036
  • ছোট হাত পৌঁছয় না। এই তোমার, আমার, আমার বাড়ির লোকের।

    (বাজে কথা বলে এড়িয়ে যাওয়া যেন কাকে বলে)
  • rimi | 168.26.215.135 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:৫৬697037
  • লেবু বেশি কচলালে তিতো হয়, এটা আমরা ছোটোবেলা থেকেই জানি, অথচ তবু কাজের সময় মনে থাকে না।

    এই থ্রেডের এই অর্থহীন তর্কের দু বছর পেরোলো, তবুও লোকে কিসের আশায় এই নিয়ে এখনো তর্ক (ঝগড়া) করে, বুঝি না। নতুন কোনো থিওরী বেরোবে? নাকি প:বঙ্গের রাজনীতি উল্টে যাবে? নাকি বিরুদ্ধ মতের লোকেরা নিজেদের "ভুল" বুঝে হাত কচলাবে?

    অত্যন্ত ক্লান্তিকর, অর্থহীন, শিশুসুলভ এই বিতর্ক এবার বন্ধ হোক। তাতে সিঙ্গুর, মমতা, বুদ্ধ কিম্বা ক্ষেতমজুর কারুর কিচ্ছু এসে যাবে না।

    জীবনের বোরডম কাটানোর আর কি কোনো ভালো উপায় নেই?
  • sibu | 207.47.98.129 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ২১:০৫697038
  • আচ্ছা আচ্ছা।

    আরে হঠাৎ আপিসে কাজ একটু কমে গিয়েছিল। আপিসে এসে দেখলাম আবার কাজ পড়েছে। :)
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ২১:৪৮697039
  • আইব্বাপ সিবুদার ফ্রি অ্যাডভোকেট!!! আর কি টাইমিং!! :)))))))))

    হ্যাঁ আমারও কাজ পড়েছে। যাই।
  • h | 61.95.144.10 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ২১:৫৭697040
  • দুটো ছেলে পেজোমি করছিল, জাস্ট একবার কড়া করে তাকালেন প্রীতিমাসি, ব্যাস, সব ঠান্ডা। পুরো আনন্দ পাঠশালা।
  • ranjan roy | 12.163.39.254 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ২২:৫০697041
  • বেশ, বাম সরকার দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নিল।
    সরকার জমি জোগাড় করবে। এবং শিবুদার কথা অনুযায়ী জমির মালিককে বিশেষ লাভের সুযোগ না দিয়ে ( যদিও জমি বিক্রির দাম থেকে লাভকে কি করে Rentier Income বলা যাবে বুঝতে পারছি না) কর্পোরেট জায়ান্টকে এমন সুবিধে দিল যে জমি কেনার টাকাটাও সেই জায়ান্ট সংস্থানের পকেট থেকে না গিয়ে সরকারের মানে পাব্লিকের পকেট থেকে নামমাত্র সুদে গেল সেটা ফেরত দেয়ার জন্যেও বিরাট সময় দেয়া হল।
    তারপর সরকার সেই জায়ান্টের সঙ্গে আসল চুক্তিটা জনগণের থেকে গোপন রাখলো। জমির মালিকরা (রেন্ট খানেওলা বা মেহনত করনেওলা )জানলো না করপোরেট তাদের কত অব্দি দিতে রাজি ছিলো।
    এদিকে জায়ান্টের নিজের সিঙ্গুরে বিশেষ কিছুই লাগাতে হয় নি।
    ফলে বাস্তবিক স্টেক ছিলো নামমাত্র। তাই সিঙ্গুর ছেড়ে অন্যত্র যেতে বিশেষ অসুবিধে হয় নি।
    আমার প্রশ্ন যত লোককে পেমেন্ট করা হয়েছে তাতে সরকার থেকে যা ঋণ দেয়া হয়েছিলো সেই অংশটি করপোরেট সরকারকে ফের্ৎ দেবে কি না। দিলে কবে? নাকি পুরো পয়সাটা পাবলিক ফান্ড থেকে ভোগে গেলো?

    ** মন্তব্যটি ঠিক জায়গায় পোস্ট করে দেয়া হল।
  • sibu | 207.47.98.129 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ২২:৫২697042
  • রঞ্জনদা,

    পুরনো থ্রেডে একটা পোস্টিয়েছি, ভুল করে। আবার টাইপাতে পাচ্ছি না, প্লীজ একটু দেখে নিন।
  • ranjan roy | 122.168.77.144 | ১৬ এপ্রিল ২০০৯ ২৩:৪২697044
  • ধন্যবাদ, শিবুদা!
    ধন্যবাদ আরও একটা কারণে যে আমি এবং সম্ভবত: arjo, আলোচনাটাকে এইভাবেই চালাতে চাইছিলাম। অর্থাৎ, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম ঘটনাকে একটি উন্নয়ন-সমস্যা হিসেবে স্টাডি করতে, আর তার গ্রেটার সিগনিফিক্যান্স অর্থাৎ এটা আজকের উন্নয়নের খাতির বঙ্গের বা ভারতের অন্যত্র কদ্দূর রেপ্লিকেবল্‌ সাস্টেনেবল্‌ হতে পারে --সেটা দেখা।
    এই আলোচনা মমতা-বুদ্ধ বা তাদের কার কতটা ভোটব্যাংক বাড়বে সেসব কথা বাত দিয়ে। মানে বলছি সেসব কথা বলতে অন্য টই খোলা হোক।
    আর আমরা সবাই যে শ্রেণীতে আছি আমাদের নিশ্চয়ই কোন রাজনৈতিক ঝোঁক থাকবে। কিন্তু এইথ্রেডে কারও ব্যক্তিগত ঝোঁক কি সে নিয়ে টিপ্পনি না করেও( এমন কি কারো আর্গুমেন্ট সিপিএম/নক্‌শাল/তৃণমূলের সাথে খাপে খাপে মিলে গেলেও) আমরা শুধু বক্তব্যের সারবত্তা নিয়ে কথা বল্লেই আলোচনাটা বেলাইনে যাবেনা।
    এত ভালো একটা গ্রুপ/আড্ডা কেঁচে গেলে আমার খুব খারাপ লাগবে।
    আর আমার সীমিত জ্ঞান-বুদ্ধিতে কখনই শেষ কথা বলার দাবী করবো না।
    এই দেখুন, চর্চাপদের রাঘব বন্দ্যো: রা উন্নয়ন বিতর্ক বলে যে বইটি ছেপেছে তাতে অর্থনীতিবিদ অমিত ভাদুড়ি লিখেছেন। উনি সিপিএমের আর্থিক বা উন্নয়নের নীতির ক্রিটিক লিখেছেন বলেই কি ওনাকে মমতার সমর্থক বলে উড়িয়ে দেব?
    যদ্দুর বুঝেছি ঈশানের বক্তব্য মোটামুটি এরকমই ছিল যে বারবার আমরা কেন সএই পরস্পরের আইডেন্টিটি নিয়ে কথা-কাটাকাটি করে সেই রিকার্সিভ লুপে আটকে পড়ছি।
    আসুন, আমি-আপনি শুরু করি।
    এভাবে করলে হয়তো রিমি'রও বোর লাগবে না।গুরুর ব্যাপক নীরব পাঠকেরা আগ্রহ নিয়ে পড়বেন, আশা করি নিরাশ করবেন না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন