এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমেরিকান প্রেশিডেনশিয়াল ইলেকশান ২০১৬

    Abhyu
    অন্যান্য | ১০ মার্চ ২০১৬ | ৬৯৮০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 79.73.9.37 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২২698946
  • রাজীব গান্ধী - জয়বর্ধনে চুক্তি।
  • ঈশান | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২৫698947
  • সে তো চুক্তি। ভারত তো সার্বভৌমত্ব কোথাও লঙ্ঘন করেনি। আর এলটিটিকে দমন করেছে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী। অনেক পরে। যেভাবে করা হয়েছে, সেটা খুবই নিন্দনীয়। কিন্তু ভারত ঝাঁপিয়ে পড়লে নিশ্চয়ই, সেটাকে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বলতাম।
  • ঈশান | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২৬698948
  • আর বাংলাদেশ নিয়ে অবস্থান নেওয়াটা একটু কঠিন। পাকিস্তান বাংলাদেশে যা করেছে, ভারত কাশ্মীরে তার চেয়ে কম কিছু করেনি। তবু, আজ যদি পাকিস্তান কাশ্মীর আক্রমণ করে, সেটাকে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনই বলব। একই সূত্রে ভারতের বাংলাদেশ আক্রমণকেও তাইই বলা উচিত। কিন্তু বিষয়টা অত সরল না, কারণ, যুদ্ধের একটা ভার্সান বলে, পাকিস্তান ধৈর্য হারিয়ে আগেই ভারতকে আক্রমণ করে বসে। ভারত পাল্টা আক্রমণ করে। সেক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের দায়িত্বটা পাকিস্তানের।

    ফলে বাংলাদেশে ভারতের আক্রমণ একটু ঘাঁটা ব্যাপার। উপমহাদেশে ভারতের প্রভূত দাদাগিরির ট্র্যাক রেকর্ড সত্ত্বেও এটা ঠিক একমাত্রিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন না। ভারতকে একটু সফটলি দেখলে এরকম বলা যায়। আবার পাকিস্তানের দিক থেকে দেখলে অন্যরকম মনে হতে পারে।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৩৯698950
  • তাহলে আগে জানা যাক প্রশ্নটা নীতিগত নাকি নিয়ম মানার?
  • amit | 213.0.3.2 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৩৯698949
  • অরে এটাই তো এতক্ষন ধরে বলার চেষ্টা করে যাচ্ছি, আপনি নিজেই বলে দিলেন এতক্ষন গোল গোল ঘুরে।

    ভারত পাকিস্তান এর কোন ভার্সন সত্যি সেটা কে বলবে ? এবার শুধু এটা কেন ? দুনিয়ার সব ক্ষেত্রেই তো তাই। কেও ভাবতে পারেন আমেরিকা দাদাগিরি করছে, কেও ভাবতে পারেন আমেরিকা গণতন্ত্রের মহিমা ওড়াচ্ছে, কেও ভাবতে পারেন সব দুরছাই। এবার যে যার ভাবনা নিয়ে থাকুন না কেন , দুনিয়াতে যার ক্ষমতা বেশি , সে দাদাগিরি ফালাবেই। আমি নিজে মনে করি সাদ্দাম এর বা গদ্দাফির দাদা গিরির চাইতে, বা রাশিয়া বা পাকিস্তান এর দাদাগিরির চাইতে আমেরিকার দাদাগিরি ভালো হয়েছে। bi-পোলার দুনিয়া হলে হয়তো আরো ভালো হতো , চেক্স & ব্যালান্স ভালো থাকতো , কিন্তু হয়নি কি করা যাবে ।

    আপনি অন্য ভাবতেই পারেন , সেটা আপনার স্বাধীনতা। এবার তাতে বাকিদের ন্যাড়া, মাথা খারাপ বলার দরকার কি ?
  • dc | 132.174.185.50 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১০:০২698951
  • বোঝো কান্ড! :d

    এই যে ঈশান লিখলেন, "তেলের দাম অবশ্যই বাড়বে, প্রথমে যুদ্ধ হচ্ছে বলে বাড়বে, তারপরে আর কমবেনা" আর তার পর লিখলেন "বাঁদর প্রথমে ছফুট লাপাবে, তারপর ক্যাশ করে তিনফুট নেমে আসবে"।

    তাতে আমি বললাম লং টার্ম ট্রেন্ড এরকম নয়, লং টার্মে দেখা যাচ্ছে তেলের দাম খুব একটা বাড়েনি। ফ্লাকচুয়েশানটা বরং সাইক্লিকাল, বাড়ে আর কমে, কমে আর বাড়ে। কিন্তু ওভারল খুব একটা বাড়ে না।

    আর অয়েল শকগুলোর পেছনে যে রাজনৈতিক কারন আছে আর জিওপলিটিক্স আছে সে তো বটেই, অবশ্যই। কিন্তু শকগুলোর এফেক্ট লং টার্মে থাকেনা। এই তো হলো ব্যপার।
  • Triptolemus | 131.241.218.132 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১০:২৬698952
  • "কুর্দ দের ওপর সাদ্দামের কেমিকাল এটাক নিশ্চয় মনে আছে ?"

    নিশ্চয় মনে আছে। কিন্তু এইটা আমেরিকার মনে পড়েছিলো অনেক পরে - গাল্ফ ওয়ারের সময়। যখন সাদ্দাম কুর্দদের ওপর কেমিক্যাল ওয়েপন ছাড়ছিলো, তখন সাদ্দাম আমেরিকার চোখে খুব ভালো একটা লোক ছিলো। অন্ততঃ রবার্ট ফিস্ক তাই লিখেছেন। মুশকিলটা এইখানেই।
  • PM | 11.187.237.119 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১০:৪০698953
  • সাদ্দাম ডলার ছাড়া অন্য মুদ্রায় তেল বেচতে চাইলো আর অমনি বড়দার মনে পড়লো কুর্দ দের ওপোর কেমিক্যাল অ্যাট্যাকের কথা আর গনবিদ্ধংসী অস্ত্রের কথা। তেল বিক্রির কথা ছিলো ইউরোতে --তাই ফ্রান্স সহ বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ ইরাক আক্রমন সমর্থন করে নি সেই সময়। গাল্ফ ওয়ার ইউরোর ভবিষ্যত নষ্টই করে দেয়।

    গদ্দাফী আবার ডলারের যায়গায় গোল্দ স্ট্যান্ডার্দ চালু করতে চেয়েছিলো। ইউরোপ / আমেরিকা একযোগে সেটা প্রতিরোধ করে গদ্দফী কে সরিয়ে।

    এর মধ্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠার কোনো গল্প নেই বলেই মনে হয়।

    কিন্তু চীন রাশিয়া অক্ষটা এখন বেশ কৌতুহলদ্দীপক হচ্ছে। এতো সহজে বড়দা আর তার ছোটো ভাই রা এটা সামলাতে পারবে না বলেই মনে হয়। দেখা যাক কি হয়
  • amit | 213.0.3.2 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১১:০২698954
  • আমেরিকার ফরেন সেক্রেটারি ছিল কন্ডোলিজা রাইস, তার একটা ডায়ালগ "-There is no permanent friend or enemy. Only permanent national interest" ।

    সুতরাং "আমেরিকা ভালো আর জগতের আলো " এর পক্ষে সওয়াল করা হচ্ছে না। তেনারা জাস্ট নিজেদের কোনটাতে ভালো সেটা বোঝে এবং তার জন্যে যখন যা দরকার, তার জন্য চূড়ান্ত সব কিছু করতে রাজি আছে। এতে বাকিদের নালিশ করতে হলেও কিছু আসবে যাবে না , কারণ সেটাই সবাই করে, যার যতটা, যখন ক্ষমতায় কুলোয়।

    আগে ইন্ডিয়া শুধু ক্রিকেট খেলা বন্ধ করতো, এখন আগ্র্রেসিভ স্টান্স নিচ্ছে, ভেতরে ঢুকে মেরে আসছে, কারণ আন্তর্জাতিক মহল হোক, আন্তর্জাতিক বিসনেস হোক বা এখনকার আন্তর্জাতিক রিয়েল পলিটিক্স হোক, সব ইন্ডিয়ার ফেভার এ আছে। পাশা ওল্টালে আবার ক্রিকেট খেলা বন্ধ হবে। এই ওঠা নামার খেলা চলতে থাকবে, এই আর কি। যে যেমন খেলেত পারে। এতে জঙ্গলের রাজত্ব বলে কান্না কাটির কিছু নেই। মানুষ ক্ষমতার লোভ এখনো ছাড়তে পারে নি, যেদিন পারবে সব ইউটোপিয়া হয়ে যাবে।
  • Triptolemus | 131.241.218.132 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১১:০৮698957
  • পার্মানেন্ট হ্যালিবার্টন ইন্টারেস্ট বললে খাপে খাপ হত।
  • দেব | 135.22.193.148 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১৩:৫৭698958
  • লাও, ৭১ এ ভারতের হস্তক্ষেপ যে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বিরোধী এতে কোন সন্দেহ আছে নাকি? পাকিস্তান আগে হামলা করেছিল বললে উল্টো বলা যায় ভারত তার আগের ৮-৯ মাস ধরে মুক্তিবাহিনীকে মদত দিয়ে যাচ্ছিল। তাতে কি গেল? নৈতিক ভাবে উচিতই ছিল। আমেরিকাও দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রেখেছিল ইউরোপে। পশ্চিম জার্মানীর সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেই। বিরাট কিছু অন্যায় করেনি। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান আজও আমেরিকার দখলেই। মোটের ওপরে ভালই রেখেছে দেশদুটোকে। কেউ খুব একটা অভিযোগ করে না। হ্যাঁ আমেরিকান সেনার হাতে মাঝেমধ্যে দু'একটা স্থানীয় মেয়ে ধর্ষিত হয় ঠিকই কিন্তু সেগুলোর বিচার হয়।

    কিন্তু উল্টোদিকের লিস্টিটা বি-ই-ই-রাট লম্বা। পুনরাবৃত্তি করছি না। সাম্প্রতিক কালের ইরাক আর লিবিয়াই যথেষ্ঠ। সেইজন্যই হরদম এই অন্য দেশে 'গণতন্ত্র' প্রতিষ্ঠার দাবীগুলোকে একটু ভেট করবেন। এগুলো সিলেকটিভ না হলেও লোকে গুরুত্ব দিত। কিন্তু আমার পাপেট হলে সাতখুন মাফ আর নইলে আয় শালা তোর পেছনে গণতন্ত্র ঢোকাই বলে গোটা গোটা দেশকে গুঁড়িয়ে দেওয়া এই থিওরিকে মেনে নেওয়া মুশকিল। দেখুন বলা যায় না তো কাল হয়ত ভারতই চলে এল ক্রসহেয়ারে।

    আন্তর্জাতিক আইন একটা পয়েন্ট অবধি সামলাতে পারে। তারপর জিনিসপত্র আইনের বাইরেই চলে যায়। মানুষের গোটা ইতিহাসটাই তাই। বরং বলব এই সব আন্তর্জাতিক আইন, কনভেনশন এগুলো নিতান্তই দুগ্ধপোষ্য হালফ্যাশানের জিনিস। এবং এগুলো প্লেন ইমপোটেন্ট। হেজিমনি কি আর সাধে কয়।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১৬:৪৫698959
  • আম্রিগার ফরেন পলিসি, সার্বভৌমত্ব হ্যানা ত্যানা এসব আলোচনা করাই যায় তবে আলোচনাটা অন্য।

    মূল বক্তব্য ছিল হিলারী প্রেসিডেন্ট হলে কি দিকে দিকে যুদ্ধ বেশি ছড়িয়ে পড়বে? না, আমি দেখি প্রেসিডেন্ট নির্বিশেষে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান যাইহোক না কেন আম্রিগার ফরেন পলিসি একই থাকে।

    দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধের জন্য বুশ যতটা দায়ী কঙ্গ্রেসও ততটাই দায়ী, আফগানিস্তানের ভালো যুদ্ধের জন্য ওবামা দায়ী। এখন আছে সিরিয়া ইত্যাদি। ট্রাম্পই হোক। হিলারীই হোক বা বার্ণি হলেও পরিবর্তন বিশেষ হবার নয়। অন্তত এদ্দিন হয় নি।
  • PM | 127.194.11.224 | ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১৮:১৬698960
  • কোনো প্রেসিডেন্ট ব্যক্তি গত জনপ্রিয়তার ওপোর ভর করে নিজের পলিসি চালাতেই পারেন, সেক্ষেত্রে পরিনতি কেনেডি সাহেবের মতো হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে
  • ঈশান | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৪২698962
  • ভারতের বাংলাদেশ আক্রমণ আর আমেরিকার পশ্চিম জার্মানিতে সৈন্য বসিয়ে রাখা, দুটোতেই কিছু ধূসর এলাকা আছে। এইটাই বলছিলাম। কিন্তু বহু জায়গায় তার বালাই নেই। ইরাক আক্রমণ তার মধ্যে একটা। এইটাই বলছিলাম আর কি। বাকিটায় দেবের সঙ্গে একমত।

    দ্বিতীয় কথা হল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন হল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কি বিদেশনীতি সম্পূর্ণভাবে নির্ধারণ করেন? অবশ্যই করেননা। কংগ্রেস আছে, মিলিটারি-ইন্ডাস্টৃয়াল কমপ্লেক্স আছে, পেন্টাগন-সিআইএ আছে। এদের বাদ দিয়ে বিদেশনীতি হয়না। কিন্তু প্রশ্ন যদি হয় এই, যে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কি তার বিদেশনীতিকে প্রভাবিত করতে পারেন? তার উত্তর হল হ্যাঁ। তিনি সেক্রেটারি অফ স্টেট নিয়োগ করেন, দরকারে কার্যনির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন, ইত্যাদি। এই কারণে বুশ আর ওবামার বিদেশনীতি অনেকটাই আলাদা ছিল। বুশ ইরাকে যেতে ব্যগ্র ছিলেন, ওবামা ইরাক থেকে ফিরে আসতে। হিলারির ট্র্যাক রেকর্ড যা, তাতে বুশের সঙ্গেই বেশি মিল পাওয়া যায়। মহিলা হবার সুবাদে বা উপরে-উপরে চাট্টি প্রোগ্রেসিভ কথা বললেই সেই অভিমুখ ধামাচাপা দেওয়া মুশকিল।
  • ঈশান | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫১698963
  • আর এসব খুব দূরের জিনিস না। গত কয়েকদিনে যা বেরোলো, সবই খুব বিপজ্জনক।

    ১। হিলারির দপ্তর থেকে (সেক্রেটারি অফ স্টেট থাকাকালীন) ওই মেলগুলিকে(যে ক্লাসিফায়েড মেলগুলি নিয়ে হিলারির এত বিড়ম্বনা) ডিক্লাসিফাই করার চেষ্টা চলেছিল।

    ২। গোল্ডম্যান স্যাক্স ডকুমেন্ট প্রকাশ করার পরেই অ্যাসাঞ্জ এর ইন্টারনেট অ্যাক্সেস কেড়ে নেওয়া। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ক্খবরঃ http://bigstory.ap.org/article/6f997f97c5f140a29f385ea05f1b642c/wikileaks-assanges-internet-link-severed-state-actor

    এক শক্তিশালী কূটনীতিক বহুকিছু ধামাচাপা দিতে চাইছেন, বাহুবল প্রয়োগ করে। এছাড়া এসব থেকে অন্য কোনো ইম্প্রেশন আসছেনা।
  • amit | 213.0.3.2 | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৪৮698964
  • অ্যাসাঞ্জ বা উইকিলিক্স ও যে ট্রাম্প এর হয়ে অন্য খেলা খেলছে না তার ও কোনো গ্যারান্টি নেই। যাই হোক, ইউটোপিয়া তে থাকি না যখন, বাস্তব দুনিয়াতে থাকতে হয়, আর চয়েস যখন হিলারি আর ট্রাম্প এর মধ্যে , তখন একজন ক্যাল্কুলেটিভ, মনিপুলেটিভ, (হয়তো) যুদ্ধবাজ, রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহিলা-কে একটা পাগল, রেসিস্ট, মিসোগানিস্ট, অন্ধ মেগালোম্যানিয়াকে-এর থেকে বেশি সেফ মনে হচ্ছে, আমেরিকার জন্য বা বাকি দুনিয়ার জন্য।

    এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর পোস্ট এ দোলাই লামা , আন্না হাজারে বা কেজরিওয়াল হলে ভালো হতো কিনা সেই কল্পনা র বিতর্কের অবকাশ আর এখন নেই।
  • ঈশান | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:০৯698965
  • চয়েস আবার কোথায়? একটাই অপশন, প্লেটে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে, হিলারি ক্লিন্টন। জয়যুক্ত করুন। গণতন্ত্র দীর্ঘজীবি হোক। :-)

    তবে অন্যভাবে দেখলে কোথাও আইন নেই, যে, রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাটরাই শুধু প্রেসিডেন্ট হতে পারবে। বস্তুত আরও কয়েকজন প্রার্থী আছেন। জিল স্টেইন বা গ্যারি জনসন তো বেশ পরিচিত নাম। তবে এসব বললেই আরও নানা কথা এসে যাবে। যেমন এগুলো কোনো 'চয়েস' না। কারণ এঁরা জিতবেন না। আবার উল্টো করে বললে এঁরা জিতবেননা, কারণ, এগুলো কোনো চয়েস না। এইসব নানা সার্কুলার লজিক। সব মিলিয়ে দাঁড়াল এই, যে, বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গণতন্ত্রে চয়েস একটাই। হিলারি ক্লিন্টন। তিনিই জিতবেন। একজনই চয়েস, একজনই জিতবেন। জয়হিন্দ। :-)
  • dc | 120.227.226.175 | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:১৬698966
  • এটা আমারও মনে হয় যে মোটে দুটো প্রার্থীকে নিয়ে এতো লন্ফঝম্প, এটা কিন্তু আমেরিকার ডেমোক্রেসির একটা বড়ো খুঁত। তবে হ্যাঁ, আমেরিকার মানুষ যদি চায় তাহলে এই টু পার্টি সিস্টেম পাল্টাতে বেশী সময় লাগবে না। এবারই যেমন, দেখা যাচ্ছে দুজন প্রার্থীই খুব আনপপুলার (আমি পার্সোনালি হিলারিকে সাপোর্ট করি, সে অন্য কথা)। তো প্রচুর লোক যদি অন্য কোন প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসে তাহলেই তো সব হিসেব উল্টে যাবে। যদি পঞ্চাশ শতাংশ লোক স্টেইন বা জনসনকে ভোট দেয় তাহলেই তো সিস্টেম পাল্টে যাবে। অবশ্য সেই চয়েসটা আমেরিকান ভোটারদেরই, তারা কাদের ভোট দেবে। নাকি সেখানেও আসল এলিটদের কলকাঠি?
  • Triptolemus | 37.63.133.200 | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:২২698968
  • আমার তো এই "রেজিস্টার্ড" ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান ভোটার ব্যাপারটাই অদ্ভুত লাগে। এরা তো পার্টি মেম্বার নয়, কিন্তু কে কাকে ভোট দেয়/দেবে সেটা ডকুমেন্টেড।
  • ঈশান | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:২৩698969
  • কলকাঠি তো আছেই। সিস্টেমটা পুরোটাই মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত। অ্যাড নির্ভর। তার জন্য দরকার পয়সা। সেটা মূলত দেয় কর্পোরেট। পাবলিকের থেকেও তোলা যায়, কিন্তু তার জন্য তো পাবলিককে আগে খবর পেতে হবে। মিডিয়া চ্যানেল ছাড়া পৌঁছনোর উপায় নেই, তার জন্য আগে চাই পয়সা।

    বার্নি বুদ্ধি করে টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য ডিবেট স্টেজটাকে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু তার জন্য তাঁকে ডেমোক্রাটিক পার্টিতে যোগ দিতে হয়েছে। তাতে আল্টিমেটলি কী হল? তিনি এখন কলোরাডোতে হিলারির হয়ে লেকচার দিয়ে বেড়াচ্ছেন। :-)
  • ঈশান | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:২৫698970
  • ওহো আরো একটা বড়ো কলকাঠি আছে। রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাট প্রাইমারি, পুরোটাই সরকারি খরচায়, সরকারি সহায়তায় হয় (ক্যাম্পেনের খরচা বাদ দিলে)। সংগে মিডিয়ার প্রচার, টেম্পো তোলা সবই ফ্রি। অন্য পার্টিদের এই সুযোগ নেই।
  • Bhagidaar | 34.49.119.28 | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:২৮698971
  • কে রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান সেটা শুধু প্রাইমারিতে ম্যাটার করে। সেটা করা হয় যাতে রাইভাল পার্টির লোকে প্রাইমারিতে উইক ক্যান্ডিডেটকে ভোট দিয়ে তাকে জেতাতে না পারে। জেনারেল এলেকশনে কে কাকে ভোট দেবে সেটা তো ডকুমেন্টেড নয়।
  • dc | 120.227.226.175 | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৩১698972
  • হিলারির হয়ে লেকচার দেওয়াটাও তো বার্নিরই চয়েস ঃ-)

    আমার এই "আসল এলিট" বা "কলকাঠি" কনস্পিরেসি থিওরি গুলোতে যেটা সবচে ইন্টারেস্টিং লাগে সেটা হলো, চয়েসকে অস্বীকার করা। রিপাবলিকান পার্টির ভোটাররা ট্রাম্পকে চুস করেছে, পার্টি বসরা হাজার চেষ্টা করেও ট্রাম্পকে থামাতে পারেনি বা তাদের ফার্স্ট চয়েস জেব্বুশকে জেতাতে পারেনি। ডেমোক্র্যাট ভোটাররাও চাইলে বার্নিই জিততেন, ডেমোক্র্যাট ভোটাররদের চয়েস ছিল হিলারি তাই হিলারি জিতেছেন। এবার বার্নি যদি ডেমোক্র্যাট পার্টিতে নাম না লিখিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট হিসেবে দাঁড়াতেন আর বেশীর ভাগ আমেরিকান বার্নিকে ভোট দিতো তাহলে তো বার্নিই প্রেসিডেন্ট হতেন! বার্নি সেটা না করে চুস করেছেন ডেমোক্র্যাট পার্টিতে জয়েন করা, আর এখন নিজের চয়েসে হিলারির হয়ে প্রচার করছেন। তো ওনার এই চয়েসকে সম্মান না দিয়ে এর পেছনে মিডিয়া, টাকাপয়সা, আসল এলিট ইত্যাদি নিয়ে এলে কেমন শোনায় যেন।
  • dc | 120.227.226.175 | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৩৭698974
  • আর আজকের সোশ্যাল মিডিয়া ড্রিভেন সোসাইটিতেও কি কর্পো মিডিয়া আগের মতো কলকাঠি নাড়ার জায়গায় আছে? মেজরিটি আমেরিকান যদি হিলারি আর ট্রাম্পের বদলে তৃতীয় বা চতুর্থ কোন প্রার্থীকে চায় তাহলে তাদের ভোট দিতে আটকাচ্ছে কে? মেজরিটি আমেরিকান যদি সত্যিই হিলারি আর ট্রাম্পের জায়গায় অন্য কাউকে ভোট দিতে চাইত তাহলে তো এই হাজার হাজার পোলেই তার আভাষ পাওয়া যেত!

    নিউ ইয়র্ক পোল ট্র্যাকারের পেজে তো "শো গ্যারি জনসন" বলে একটা অপশানও আছে, সেখানে এখন হায়েস্ট ১০% দেখাচ্ছে। তা মেজরিটি সাপোর্টও কি কর্পো মিডিয়ার কলকাঠিতে পাল্টে যাচ্ছে?
  • ঈশান | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৩৭698973
  • আমি তো কোনো কনস্পিরেসি থিয়োরির কথা বলি নাই।

    ১। রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাট পার্টি আলাদা সুবিধে পায় এটা ফ্যাক্ট।

    ২। হিলারির হয়ে প্রচারটা শুধু বার্নির চয়েস কিনা সন্দেহ আছে। ইন্ডিপেন্টেন্ট থেকে ডেমোক্র্যাট হবার পর অনেক কিছু কমিট করতে হয়েছিল, তার মধ্যে এটা একটা।

    ভোটের পদ্ধতিটা নিয়ে সমালোচনা করলেই যদি কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট হয়ে যেতে হয়, তো ডিসি নিজেই সেটা আগে করেছেন।
  • ঈশান | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪১698975
  • ডিসি অন্য সবকিছুর মতই সোশাল মিডিয়ারও তেমন খবর রাখেন না। ফেসবুকে দেখবেন, সব পপুলার পেজগুলোকেই স্পনসর করা এবং বুস্ট করা হয়। যার পয়সা নেই, সে তেমন প্রচার পায়না। যার যত পয়সা আছে, সে তত বেশি প্রচার পায়।
    আগের থেকে অবশ্য ব্যাপারটা ওপেন হয়েছে, যে, জিরো কভারেজ কেউ পায়না। অন্তত আপনার বন্ধুবান্ধবরা আপনার পোস্ট দেখতে পাবে। :-) কিন্তু বিশুদ্ধ ও উন্মুক্ত সোশাল মিডিয়া এখনও একটি ঢপ। হয়তো কোনো একদিন হবে।
  • dc | 120.227.226.175 | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪৩698976
  • ঠিক, "কনস্পিরেসি থিরোরি" কথাটা এই টইতে আমিই আগে আমদানি করেছি ঃ)

    ১। রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাট পার্টি আলাদা সুবিধে পায় এটা ফ্যাক্ট।

    অবশ্যই। কিন্তু মেজরিটি অ্যামেরিকান ভোটাররা যদি এই দুটো পার্থীর ক্যান্ডিডেটের বদলে অন্য কাউকে ভোট দিতে চায় তো তাদের আটকাচ্ছে কে? নাকি মেজরিটি এই দুজনকেই চায়? মেজরিটি যদি অন্য কাউকে ভোট না দেয় তাহলে কর্পো মিডিয়া, আসল এলিট (এটা ঈশান না, অন্য কেউ বলেছেন) ইত্যাদি এনে লাভ কি?

    ২। হিলারির হয়ে প্রচারটা শুধু বার্নির চয়েস কিনা সন্দেহ আছে। ইন্ডিপেন্টেন্ট থেকে ডেমোক্র্যাট হবার পর অনেক কিছু কমিট করতে হয়েছিল, তার মধ্যে এটা একটা।

    এ নিয়ে কোন বক্তব্য নেই। বার্নি হিলারির হয়ে প্রচার করছেন, চাইলে উনি ইন্ডিপেনডেন্ট হিসেবে দাঁড়াতে পারতেন, চাইলে ডেমোক্র্যাট হয়েও হিলারির হয়ে প্রচার নাও করতে পারতেন। এগুলো সবই ওনার চয়েস।
  • dc | 120.227.226.175 | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪৫698977
  • বাবা, ঈশান দেখি ক্রমাগত ব্যাক্তিগত খোঁচা না মেরে পোস্টই করতে পারেন না! আপনার এই হামবড়া ভাবটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং।
  • ঈশান | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪৬698979
  • দ্যাখেন, এই থ্রেডেই একজন লিখেছেন, চয়েস আসলে দুটো। ট্রাম্প আর হিলারি। এটা সাধারণ পাবলিকের পারসেপশন। মার্কেট ড্রিভন ইকনমিতে পারসেপশন কীভাবে তৈরি হয়, সে আপনিও জানেন, আম্মো জানি। ও নিয়ে তক্কো করে কী লাভ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন