এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমেরিকান প্রেশিডেনশিয়াল ইলেকশান ২০১৬

    Abhyu
    অন্যান্য | ১০ মার্চ ২০১৬ | ৬৮৩৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঈশান | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৫699646
  • ওপেন প্রাইমারিতে পপুলার ভোটে জিতেছেন, বললাম তো।

    যেখানে পপুলার ভোট নেওয়া হয়নি, সেখানে হেরেছেন।

    এ তো প্রসেসেই ডকুমেন্টেড। না বোঝার কী আছে।
  • Ekak | 53.224.129.46 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৭699647
  • আমেরিকার ইতিহাস কি বলে এগুলো অপ্রাসঙ্গিক ? টাইগার উডস যেদিন বিবাহবহিভূর্ত সম্পর্কের কথা ঘোষণ করে তার ২৪ ঘন্টার মাথায় সব এনডোর্সমেন্ট টাকা তুলে নেয় । বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করলে ওদেশে ইম্পিচ হয়ে যায় । আমেরিকান মিডল ক্লাস যে চোখে আর পাঁচজন কে দেখে সেই চোখে "লীডার " কে দেখেনা । এটা বলার কারণ এই যে ট্রাম্প এর খারাপ দিক কেও কাউন্ট করেনি এটা ঘটনা নয় , খারাপ দিক ছাপিয়েও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল যেটা ভবিষ্যতে সত্যি -মিথ্যে যায় হোক বেসিক জায়গা থেকে মানুষকে আকর্ষণ করেছে ।

    আমরা যদি ক্লিন চিট দি যে ট্রাম্পের খারাপ কেও দেখেনি , তাহলে আসলে লিবারালদের যুক্তিই প্রাধান্য পায় যে দেখো দেশ টা অন্ধে ভরা দেখবে কীকরে । আসলে দেশটা অন্ধে ভরা নয় । আবার সিঙ্গল সাইটেড ও নয় ।
  • ঈশান | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৮699648
  • হ্যাঁ, ডেমোক্রাটিক পার্টির ইন্টারনাল ব্যাপার বললে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয় তো। কিন্তু সেক্ষেত্রে ওটা ডেমোক্রাটিক পার্টির ইন্টারনাল ভোট, পপুলার ভোট না।

    তবে ইন্টারনাল ব্যাপার হলেও ভোটটা সরকারি উদ্যোগে এবং খরচায় হয়। মানে প্রাইমারিটা। ফলে একেবারেই কিছু বলার নেই, তা নয়।
  • ঈশান | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৩699649
  • একককে। হ্যাঁ, আমেরিকায় এগুলো প্রাসঙ্গিক। আমার পার্সোনালি ঢপের লাগে। প্রেসিডেন্ট, মনে হয় ফ্যামিলি শুদ্ধ জিতছেন। উফ।
  • Bhagidaar | 34.49.119.28 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:০৪699650
  • বুঝলাম না। আমি পার্সোনালি টেরোরিস্ট-দের উকিল বা নির্ভয়া কেসের উকিলকে ঘৃণা করিনা। এই লিগলিটি-টা, ডেথ পেনাল্টি অপোস করার মতই, একট স্ট্যান্ড যেটা কেস বাই কেস বেসিসে নড়্চড় করা যায়না। আমার মতে এইটাই সঠিক মরালিটি।

    আজ যদি আমি চাইল্ড রেপ কেসে অভিযুক্ত হই, বেসলেস একিউজেশান যদি হয়, আমার অধিকার থাকবে না উকিল পাওয়ার? এইটাই স্লিপারি স্লোপ।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:০৯699651
  • o Jekhaane Jekhaane open hayechhe sekhaane sekhaane khurho jitechhen. taa onaake karalei paaraten, saaporT karataam. Demader aabhyantareen byapaar ki kare inaphluyens karaar cheshhTaa karaba? kakkaaseo to khurho bhaalo karechhen shunechhi.

    khubai kamaplikeTeD, sandeha nei.

    Traamper egeinsTe Jehok daarhaalei hata.

    sisTem Demader bhetare rigaD kinaa balate paaraba naa. kintu presiDenshiyaala ilekashana prasese ganDogol. sei niye baktabya abashyai aachhe. anyaTaa Demader balun. open, kloj, kakkas, DeligeT er madhye theke riging baar karaa aamaar kammo naa.

    eraa ki karechhe bujhi ni খুব।

    http://fivethirtyeight.com/features/the-system-isnt-rigged-against-sanders/
  • aka | 79.73.9.37 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:১১699652
  • সরকারী খরচে কেন হয় তাও বুঝি না। এজ ওল্ড জিনিষপত্তর তুলে দেওয়া উচিত।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:১৬699653
  • মেয়ে পটানো আর গ্রোপ করে ব্র্যাগ করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য।
  • Nate Silver | 103.115.95.207 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:২৬699654
  • আমার অ্যানালিসিস ছিল হিলারি জেতার চান্স 71.4%। ডেমোক্র্যাটদের সেনেট জেতার সম্ভাবনা 50% এর ওপরে বলেছিলাম।

    http://projects.fivethirtyeight.com/2016-election-forecast/
  • aka | 79.73.9.37 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:২৭699656
  • এটাই ভয়ন্কর। সবই এখন লেজিটিমেট, যেহেতু নিজের প্রার্থী হেরেছে, গ্রোপ করা == মেয়ে পটানো, মুসলিম মানেই টেররিস্ট == প্র্যাগম্যাটিজম।

    মৃত্যু হচ্ছে সামান্য যুক্তি বুদ্ধির আর জন্ম নিচ্ছে নতুন ন্যারেটিভের, কারণ ইতিহাস জয়ের সাথে থাকতে চায়, আর ট্রাম্প হলেন ভিকটরিয়াস, তিনি যা করেন তাই সঠিক, হেইল ট্রাম্প বলুন সবাই।
  • Rust belt has decided | 83.189.180.205 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৩699657
  • ককাস সিস্টেমটাই পুরো আনডেমোক্র্যাটিক। ইমিডিয়েটলি তুলে দেওয়া উচিত। বেসিকালি এদেশে হার্ডকোর সাপোর্টার ছাড়া কারুর সময় নেই ককাসের পিৎজার জন্য ৩-৪ ঘন্টা সময় নষ্ট করবে।

    মার্চ মাসে ওয়াসিংটন স্টেটের ডেমোক্র্যাটিকদের ককাসে বার্নি ৭৮-২২ পয়েন্টে জিতে যায়। আশ্চর্য ভাবে ওয়াসিংটনের ভেটাররা মে মাসে আবার স্টেট পরিচালিত প্রাইমারি ধাঁচের পোস্টাল ব্যালট মারফত ভোট দেন। হিলারি ক্লিনটন এই ভোটে প্রায় ৫৩-৪৭ ব্যবধানে জেতেন। যদিও এই রেজাল্ট ছিলে নন বাইন্ডিং। কোনো ডেলিগেট অ্যাওয়ার্ডেড হয়নি। বার্নি ওই ককাসের হিসেবেই ডেলিগেট পেয়ে যান।

    ককাসে ভোট দিয়েছিলেন ২২৩০০০ জন। প্রাইমারিতে ভোট দিয়েছিলেন ৬৬৩০০০ মত। লিংকটা এই টই তেই দিয়েছিলাম - কেউ খেয়াল করেননি হয়তো।

    নেব্রাসকাতেও একই গল্প।
  • Rust belt has decided | 83.189.180.205 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৫১699660
  • আর একটা কথা নিশ্চই বলব - পার্টির অনুগত কর্মীর মতো হিলারী ফ্যাকশন কিন্তু এই ব্যাপারটা মেনে নিয়েছিলো। কোনো চেঁচামেচিও করেনি। আমার পরিচিত অধিকাংশ বার্নি ফ্যান এই ঘটনাটার কথা শোনেইনি বা সিলেক্টিভলি এডিয়ে গেছেন।
  • SS | 160.148.14.2 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ২১:১৩699661
  • জন অলিভার এই সপ্তাহে -
  • ঈশান | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ২২:১৩699662
  • ভুল হচ্ছে। গ্রোপ করা == মেয়ে পটানো বলা হয়নি। অকারণে বক্তব্য বদলে দেওয়া খুবই বাজে কাজ। গ্রোপ করা নিশ্চয়ই খুবই নিন্দনীয় কাজ, তার সঙ্গে পটানো ইত্যাদির কোনো সম্পর্ক নেই।

    কথাটা হচ্ছে, ওই টেপ নিয়ে। টেপে অসতর্ক মুহূর্তে প্রাইভেট স্ফিয়ারে একটা লোক কী বকেছে, সেটা কোনো পয়েন্টই না। গ্রোপ করা তো নাই। ভার্বালি চাট্টি বক্তব্য রাখা, আর গ্রোপ করা সুটো আলাদা জিনিস। এই অডিওটা গ্রোপ করার অডিও না, প্রাইভেট স্ফিয়ারে কিছু বক্তব্য, এবং গ্রোপ ও ইলেকশন প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ ইনসিগনিফিক্যান্ট।

    এতদ্বারা ট্রাম্প সাধুপুরুষ হয়ে গেলেননা। যে গ্রোপের চার্জগুলি এসেছে, সেগুলি অতি অবশ্যই সিগনিফিক্যান্ট। গুরুত্বপূর্ণও।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ২২:২৩699663
  • ঠিক কথা বদলে নেওয়া কাজের কথা নয়। ওটা কিভাবে মেয়ে পটাতে হয় তার অডিও না, কিভাবে গ্রোপ করতে হয় তার অডিও।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ২২:৫৬699664
  • এনিওয়ে নো পয়েন্ট ইন অল দিজ এক্সচেঞ্জ। ভালো করে ভাবা দরকার কেন কি হল?
  • aka | 79.73.9.37 | ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ০০:১৬699665
  • সমস্ত ঘটনা যেভাবে টার্ণ করছে আমার ভালো লাগছে না। এই ইলেকশনের রেজাল্ট নিয়ে চুলচেরা হিসেব করতে পারা যায়। অমুক কাউন্টিতে তমুকে ভোট দিয়েছে, রাস্ট বেল্টের লোকেদের কথা কেউ কোনদিন শোনে নি তারা ভোট দিয়েছে, হিলারীকে লোকে পছন্দ করে না বলে ভোট দিয়েছে। সবই ঠিক। এসবের পরেও একটা বিরাট সংখ্যক মহিলা ও পুরুষ মূলত শেতাঙ্গরা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। ট্রাম্পকে যারা ভোট দিয়েছে তাদের মিডিয়ান ইনকাম হল ৭২কে। মানে ৫০% ৭২ কের ওপরে এবং ৫০% নীচে। ৭২ কে ইনকাম আদৌ দরিদ্ররা নয়। আমি ভোটে কারা পার্থক্য গড়েছে তা বলছি না। কিন্তু এই ভোটাররা কেন ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে বুঝতে চাইছি। যেগুলো অবভিয়াস তাতো বোঝাই গেল। হোয়াই? রেসিজম, ইসলামোফোবিয়া? এর সাথে ট্রাম্পের ক্যাবিনেট - ব্যানন, পালিন, জুলিয়ানি, পেন্স, গিংগ্রিচ। এটা ট্র্যাডিশনাল রিপাবলিকান ক্যাবিনেট হত না, অন্তত আমি যেটুকু বুঝেছি। আমি বিশ্বাস করি না, একটা ভালো লোক এক বছরের বেশিদিন ধরে সেক্সিস্ট, রেসিস্ট, নার্সিসিস্ট হবার অভিনয় করে এসেছে। অন্তত ক্যাবিনেট দেখে মনে হচ্ছে না।

    এই খামোকা বার্ণি আর হিলারী নিয়ে তক্কো করে কোনই লাভ নেই। গন। স্যাম হ্যারিস বলেছে দা মোস্ট পাওয়ারফুল ক্লাউন। অন্তত যারা এদেশে আছেন ডাইরেক্টলি ইমপ্যাক্টেড। বাইরের দেশও তাই।
  • ঈশান | ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩১699667
  • রহস্যজনক তো কিছু নেই।

    ট্রাম্পের টার্গেট ছিলঃ রিপাবলিকান সমর্থক + ক্রুদ্ধ সাদা ভোটার(ইনডিপেন্ডেন্ট এবং ডেম) + কিছু ক্রুদ্ধ কালো ভোটার।

    এর মধ্যে গরীব, বড়লোক সবই আছে।

    হিলারির টার্গেট কোয়ালিশন ছিলঃ ডেম সমর্থক + মহিলা (সব রকম) + সংখ্যালঘু।

    এই সংখ্যাটা এতই বেশি, যে, ট্রাম্পের জেতার রাস্তাই দেখা যাচ্ছিলনা। কিন্তু দিনের শেষে হিলারির কোয়ালিশন ঠিকঠাক ক্লিক করলনা। একমাত্র মিলেনিয়ালরা মাপমতো ভোট দিল, যদিও প্রত্যাশার চেয়ে সংখ্যায় কম (এইটা আগের লেখায় বাদ গিয়েছিল, ধরিয়ে দেবার জন্য থ্যাঙ্কু)। মহিলা কার্ড একেবারেই কাজ করলনা, সংখ্যালঘু কার্ড আন্দাজের চেয়ে অনেক কম কাজ করল। উল্টো দিকে সিস্টেমের প্রতি ক্রোধ ভালই কাজ করল। ভোটাররা ট্রাম্পকে চূড়ান্ত অপছন্দ করেও ওয়াশিংটনে একটি অ্যান্টি এস্টাবলিশমেন্ট বার্তা পাঠালেন। গপ্পো শেষ।

    কেন হিলারির অ্যাপিল কাজ করলনা? ভেবে দেখুন। ওই ট্রাম্প অডিওও কাজ করেনি। ওটা গুরুত্বপূর্ণ। কেন করেনি? ভাবেন। আমি পরে লিখব।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৩১699668
  • আমি জানি কেন করেনি। তবে খুশী হব যদি এই কমেন্টের জন্য না করে।



    কিন্তু যদি সত্যিই রেসিয়াল কারণে ট্রাম্পকে ভোট দেয় তাহলে ব্যথা আছে। এবং আমার মনে হয় একটা বিরাট কারণ রেসিয়াল। ক্যাবিনেট দেখে মনে হচ্ছে একটা বড় প্ল্যান যাস্ট সাডেনলি ওয়ার্কড।
  • ঈশান | ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:০৭699669
  • ওই ডিপ্লোরেবল? ওই একটা স্পিচের কত প্রভাব পড়েছে জানিনা। আর প্ল্যান তো থাকবেই। ট্রাম্পকে দেখে যত অসংলগ্ন মনে হয়, আসলে তো তা না। কিন্তু লোকে, মানে যারা ভোট দিয়েছে, তারা তো আর প্ল্যানের অংশ না। এবং এর মধ্যে কিছু রেসিয়াল এলিমেন্ট অবশ্যই আছে, হোয়াইট সুপ্রিমেসির সমর্থকরাও অবশ্যই আছেন, কিন্তু সেটাই মূল কারণ বলে মনে হয়না।
  • ঈশান | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৪২699670
  • তো সে যাক, যে কথা বল্ছিলাম। গত শতাব্দীতে 'বাম' ঘরানা চিনে নেবার একটা নির্দিষ্ট উপায় ছিল। যাঁরা, অর্থনীতিকে প্রাথমিক গুরুত্বের জায়গা ভাবেন, ক্লাসকে বিশ্লেষণের কেন্দ্র ভাবেন, তাঁরাই বাম। এরকম একটা স্টিরিওটাইপিং ছিল। স্টিরিওটাইপিং তো আকাশ থেকে পড়েনা, মূল ঘরানাটা ওরকমই ছিল। তখন নারীর অধিকারের অভাব ছিল মূলত পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ফল, সমকামিতা ছিল বিকৃতি। ইত্যাদি প্রভৃতি। সোজা বাংলায় অর্থনীতির বাইরে বিশেষ কিছু গুরুত্ব পেতনা।

    মোটামুটি এই শতাব্দীতে, যে কোনো কারণেই হোক, লিবারালরা, যাঁরা চিরাচরিত বাম শক্তির জায়গা নিলেন, তাঁরা, যেকোনো কারণেই হোক, ব্যাপারটা উল্টে দিলেন। শ্রেণী গোল্লায় গেল, অর্থনীতি নিয়ে আলাদা করে জোর স্ট্যান্ড নেওয়া বন্ধ হল, হলেও, মোটামুটি লিবারালাইজড ইকনমিরই পক্ষে হাল্কা সওয়াল করা হতে লাগল। অর্থনীতি নয়, শ্রেণী নয়, পুরো ফোকাসটাই হয়ে দাঁড়াল, জেন্ডার, রেস, সমকামীদের অধিকার (ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে কাস্ট), এইসবে।

    আরেকটি স্টিরিওটাইপিং এর জন্ম হল। এই গোষ্ঠীকে বলা হতে লাগল লেফট লিবারাল, এমনকি চিরাচরিত মতে যাঁরা সেন্ট্রিস্ট, তাঁরাও এই খোপে ঢুকে গেলেন।

    এর ফল যেটা দাঁড়াল, সেটা হল, সামাজিক ক্ষেত্রের উপর মাত্রাতিরিক্ত জোর। এবং অর্থনীতিকে গুরুত্বহীনতার জায়গায় ঠেলে দেওয়া। ওটা যা চলছে, সেটাই ভবিতব্য, ওরকমই থাকবে, এটাই হাবভাব। সোজা বাংলায়, এর আগে ছিল, "সব ক্যাপিটালিজমের দোষ", আর এখন হল, "ক্যাপিটালিজম অ্যাজ ইট ইজ থাক, ওটাই ভবিতব্য। আসুন আমরা অন্য জায়গায় মন দিই। ভব্য ও প্রগতিশীল হই।"

    সামাজিক ক্ষেত্রে, অর্থাৎ জেন্ডার এবং রেসে মাত্রাতিরিক্ত জোর দিতে গিয়ে বাড়াবাড়িও হল প্রচন্ড। দুখানা উদাহরণ দিই। হিলারি ক্লিন্টন গত শতকে মেয়েদের উপর ধর্ষণকারীদের একটা অংশকে "সুপার প্রেডিটর" আখ্যা দিয়েছিলেন। এই ভোটে সেটা বলার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। কারণ কী? ওটা রেসিয়াল স্লার।

    যদিও "সুপার প্রেডিটর" কনসেপ্টটা সমালোচনাযোগ্য, ওইভাবে কাউকে দাগানো যায় না। কিন্তু একই সঙ্গে, যদি কালো লোকেদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি থাকে, সেটা উচ্চারণ না করার কী আছে, বোঝা মুশকিল। অপরাধপ্রবণতা তো অনুন্নয়নের চিহ্ন। সেটাকে চেপে দিয়ে কী লাভ? অনুন্নয়ন, অসাম্য, এগুলোকে চোখের সামনে না আনলেই, তারা নেই হয়ে যাবে?

    অর্থনীতিতে লিবারাল, কিন্তু বুলিতে "প্রগতিশী" অংশটা মনে করলেন সেটাই রাস্তা। ফলে পলিটিকাল কারেক্টনেসের বাড়াবাড়ি হল। সেটা মূলত রেস এবং জেন্ডারের ক্ষেত্রে প্রকাশিত হতে শুরু হল। রেস এর কথাটা আগেই লিখলাম। জেন্ডারেও আরও অদ্ভুত সব জিনিস শুরু হল। মূলত রেটোরিক কেন্দ্রিক শত্রু খোঁজা শুরু হল। টিম হান্টের ঘটনা এর একটা চরম উদাহরণ। ইউনিভার্সিটিতে "ইয়েস মিন্স ইয়েস" নামক একটা অদ্ভুত জিনিস চালু হল। জেন্ডার সেন্সিটাইজেশন শুরু হল।

    একদিকে এই বাড়াবাড়ি, এবং অন্যদিকে অর্থনীতি, শ্রেণী, এইসব জায়গায় লিবারালাইজেশনের পক্ষ নেওয়া যে বৃহৎ গোষ্ঠীটি, হিলারি তাদের প্রতিনিধি। এরা মনে করে, আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধবাজ হওয়া বড় ব্যাপার না, ট্রেড পলিসি বড় ব্যাপার না, বর্তমান ফর্মের গ্লোবালাইজেশনই পৃথিবীর চরম ভবিতব্য, হেলথকেয়ার মোটের উপর যা আছে ঠিকই আছে, ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার বা শিক্ষা, এগুলো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার না। প্রগতিশীল চিনতে হলে দেখুন, সে টিম হান্টকে গাল দিয়েছে কিনা, আর কালোদের জয়গান গাইছে কিনা। ব্যস।

    খুব সহজবোধ্য, যে, এইটা মেনলি এলিটদের কারবার (লক্ষ্যণীয়, হিলারি যেগুলি অমিট করেছেন, তার প্রত্যেকটা ইস্যুতেই বার্নির শক্ত স্ট্যান্ড ছিল)। এস্টাবলিশমেন্টের থেকে যাঁরা সুবিধে পাচ্ছেন। তাঁরা এই ট্রেড পলিসির সুফল ভোগ করেন, গ্লোবালাইজেশনের সুফল ভোগ করেন, হেলথ কেয়ার, শিক্ষার খরচ অ্যাফোর্ড করতে পারেন। তাঁদের কাছে অর্থনৈতিক এস্টাবলিশমেন্ট এবং স্থিতাবস্থা কাম্য। প্রগতিশীলতা শুধু রেস এবং জেন্ডার বিষয়ে।

    উল্টোদিকে টাম্প দেখুন, অর্থনীতি এবং শ্রেণী বিষয়টাকে অ্যাড্রেস করেছেন। ট্রেড পলিসি, জব ফেরত আনা, বিজনেসের উপর এক্সিট ট্যাক্স বসানো, সবেতেই সুস্পষ্ট অবস্থান আছে। ওয়ার্কিং পিপল, মিডল ক্লাস, কথা গুলো বারবার উচ্চারণ করেছেন। বার্নির সমর্থকদের ডাকাডাকি করেছেন। সমাধানগুলো বহু ক্ষেত্রেই বাস্তবসম্মত না, কিন্তু এগুলো অ্যাড্রেস কর্রা হয়েছে, এবং মূল শত্রু ঠাওরানো হয়েছে এস্টাবলিশমেন্টকে।

    লিবারালিজমের প্রশ্নে ট্রাম্প একেবারে লিবারলদের উল্টোদিকে। সংখ্যালগুদের তুলো ধুনেছেন, রেসিজমকে প্রচ্ছন্ন ভাবে উসকানি দিয়েছেন। এগুলোর বিরুদ্ধে বলা উচিতই, লিবারালরাও বলেছেন। কিন্তু কেস হল, অর্থনীতিহীন এলিট লিবারালিজম যতবার এই শিষ্টতার কথা বলেছে, ততবার সেটা শিষ্ট, ভদ্র কিন্তু নির্দয় এস্টাবলিশমেন্টের বাণী হিসেবেই এসেছে। গোঁড়া রিপাবলিকানদের কথা হচ্ছেনা, তার বাইরের অনেকেই, উচ্চকিত পলিটিকাল কারেক্টনেস এবং ওয়াল স্ট্রিট ভজনাকে আলাদা করে দেখেননি। "তোর ওই এলিট ভদ্রতার মুখে হিসি করে দিই, এস্টাবলিশমেন্টকে জুতো মারি", এই ছিল অ্যাটিটিউড।

    তাহলে শিক্ষনীয় কী? ওয়ালস্ট্রিটের ভজনা + অর্থনীতিক লিবারালাইজেশন + শ্রেণীকে বিসর্জন + অতিরিক্ত জেন্ডার এবং রেস নির্ভরতা + পলিটিকাল কারেক্টনেসের ওভারডোজ খুবই ডেডলি কম্বিনেশন। এটা করলে আটলান্টিকের এপারে এবোঙ্গ ওপারে সমূহ বিপদ। তার চেয়ে লোকে রেসিজম + রক্ষণশীলতা + শ্রেণী + ট্রেড ব্যারিয়ার -- এই কম্বিনেশনকে বেশি পছন্দ করবে।হয়তো অল্টারনেটিভ হতে পারে শ্রেণী + মাইল্ড লিবারিজম। ওপারে করবিন বা এপারে বার্নি যেটা খানিকটা করে দেখিয়েছেন।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৫১699671
  • কিন্তু এতে অ্যাড্রেসড হল না, মহিলারা কেন ট্রাম্পকে হুলিয়ে না হোক বেশ ভালই ভোট দিয়েছে? কেন 'লকার রুম টক' ম্যাটার করে নি। অনেকের কাছেই করেছে যদিও।

    শ্বেতাঙ্গ যারা ভোট দিয়েছে তাদের মিডিয়ান ইনকাম ৭২কে/ইয়ার। মানে ৫০% এর বেশি বেশ স্বচ্ছল। আর বাকি ৫০% এর অনেকে অ্যাভারেজ ইনকামের অনেক ওপরে।

    ভোট দেবার সময়ে রেসিজম, সেক্সিজম ডেমাগগি কেন বড় হয়ে দাঁড়ালো না।

    আমেরিকান ভোটাররা ঐতিহাসিক ভাবে অ্যান্টি এস্টাবলিশমেন্ট। অডস এবারে এমনিতেই ডেমদের বিপক্ষে ছিল। ট্রাম্প না হয়ে অন্য কোন ডিসেন্ট রিপাবলিকান ক্যান্ডিডেট হলে ভোটের হিসেব আরও অন্যরকম হত। কিন্তু একটা সোশাইটির বড় অংশের কাছে সোশ্যাল অ্যাসপেক্ট বড় হয় নি। তিনটে সম্ভাবনা।

    ১। ইসলামোফোবিয়ার কাছে বাকি সব কিছু তুচ্ছ হয়ে গেছে। ট্রাম্প সেখানে অনেক বেশি ডাইরেক্ট, যুদ্ধং দেহি ভাব।

    ২। চেঞ্জের হাওয়া এতই বেশি যে ওসব লকার রুম টুম ভোগে গেছে। মানে এদের কাছে তুচ্ছ মনে হয়েছে।

    ৩। ডিপ রুটেড রেসিজম, সুপ্রিমেসি। আমার মনে হয় একটা বেশ বড় অংশের মধ্যে কাজ করেছে। যদিও ভুল হলে খুশী হব।
  • ঈশান | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:২৬699672
  • ব্যাখ্যা দিলাম তো। বাংলা কথা হল, বৃহত্তর পোলারাইজেশনটা হয়েছে ক্লাসের ভিত্তিতে। কেবল জেন্ডার আর রেসের ভিত্তিতে পোলারাইজেশন দানা বাঁধেনি। জ্সেইজন্য মহিলাদের ক্লাস আইডেন্টিটি জেন্ডারের ভিত্তিতে পোলারাইজেশনের চেষ্টাকে পরাস্ত করেছে।

    ঘটনাচক্রে ক্লাস এবং ইকনমির অ্যাজেন্ডাটা তুলেছে একটা দক্ষিণপন্থী শক্তি, ফলে রেসিজম, ইসলামোফোবিয়া, সবই ন্যারেটিভে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু কালো বা মুসলিমদের বড্ড বাড় বেড়েছে, শিক্ষা দিই, এই অ্যাঙ্গলে মূল পোলারাইজেশন হয়নি। মূল পোলারাইজেশন হয়েছে, ওই ক্লাস অ্যাঙ্গলেই। জেন্ডার, রেসের উপরে অযৌক্তিক অতিরিক্ত ফোকাস সরিয়ে ক্লাস অ্যাঙ্গলে লিবারালরা জোর দিলে ফল উল্টো হতে পারত। সেক্ষেত্রে রেসিজম ইত্যাদিকে কাউন্টার করাও সহজ হত।

    অবশ্যই, এবার অ্যান্টি এস্টাবলিশমেন্ট ভোট হয়েছে। সেটা ক্লাস অ্যাঙ্গলে প্রকাশিত। ওরা এলিট, ওরা ওয়াশিংটন, ক্ষমতার কেন্দ্র, আমরা খেটে খাওয়া জনতা, ইত্যাদি। এই যুদ্ধে হিলারির পক্ষে "আমি ওয়াল স্ট্রিট না, আমি ওয়াশিংটন না, আমি খেটে খাওয়া জনতার দিকে" এই ক্লাস অ্যাঙ্গলের ন্যারেটিভ তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। তিনি যেটা পারেন, তাই করেছেন। "আমি মহিলা, মহিলারা আমাকে ভোট দিন", বা "ওবামা আমাকে এনডোর্স করছেন, কালোরা আমাকে ভোট দিন", ইত্যাদি। এতে কিছু সফট লিবারাল উদ্বুদ্ধ হয়েছেন, কিন্তু জনতা খায়নি। খাবার কথাও না, জ্বলন্ত প্রায় কোনো ইস্যুকেই উনি অ্যাড্রেস করেননি। স্রেফ মহিলা বলেই একজন মহিলাকে নির্বাচিত করতে হবে, এটা ক্লাস অ্যাঙ্গল তো নয়ই, কোনো রাজনীতিই নয়।

    এই তো গপ্পো। নিউ ইয়র্ক টাইমস, বা সিএনএন এসব বলবেনা। ভোটের আগের লাইনটাও ওদেরই ছিল, সেটা ফেল করেছে, সেটা উহারা দেখতে পাবেনা। চোখে ঠুলে আঁটা ছাড়া এই মিডিয়ার ভূমিকা বিশেষ নেই। :-)

    আর হ্যাঁ, এই পোলারাইজেশনের গপ্পোটা পুরোটাই ভ্যাসিলেটিং ভোটারদের ক্ষেত্রে। যারা মাঝখানে ছ্হিল তাদের গপ্পো। রিপাবলিকাম ট্র্যাডিশনাল লোকজন প্রায় পুরোটাই ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। যেমন ডেমদের ক্ষেত্রে ট্র্যাডিশনাল ডেম কর্মীরা প্রায় সবাইই হিলারিকে। ফলে সাবার্বের বড়লোকরা যে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ফলে মিডিয়ান ৭০,০০০ হতেই পারে। তবে এই সব পোলে এখন আর আমি পুরো বিশ্বাস করিনা।
  • SS | 160.148.14.1 | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ১৯:৫৩699673
  • ক্লাস আর ইকনমির অ্যাঙ্গেলে ভোট দিয়ে এবারের ভোটের অংক মিলছে কি? ইকনমির একেবারে বটম ল্যাডারে যারা, যাদের ইন্কাম 50K এর নিচে, ক্লিন্টন ওভারহোয়েলমিংলি তাদের ভোট পেয়েছেন। এমনকি মিড ওয়েস্টের স্টেট গুলোতেও আর্বান সেন্টারে যেমন ফিলাডেলফিয়া, ডেট্রয়েট বা মিলওয়াকি। এখানকার লোকেরা কি গ্লোবালাইজেশনের জন্যে ভুগছে না?
    ক্লিন্টন হেরেছেন একটি বিশেষ ডেমোগ্রাফির ভোট পাননি বলে। সেটা হচ্ছে হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাস। এতে ওয়ার্কিং ক্লাস ফ্রেজটা যতটা ইম্পর্ট্যান্ট, ইকুয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট হোয়াইট শব্দটি।
    ব্ল্যাকদের মধ্যে ক্লিন্টনের মার্জিন ৮৮ঃ৮, ল্যাটিনোদের মধ্যে ৬৫ঃ৩৩, এশিয়ানদের মধ্যে ৬৫ঃ৩০। তাহলে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ওয়ার্কিং ক্লাস ক্লিন্টনকে ভোট দিয়েছে। তাহলে ওয়ার্কিং ক্লাস থিওরি দিয়ে ট্রাম্পের ভোট কি করে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে?
    নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ট্রাম্প যখন মিডওয়েস্টের সব স্টেটে র‌্যালি করছেন, ট্রাম্পের কি বলছিলেন একটু খেয়াল করে দেখুন। মিশিগানে গিয়ে বলছেন ইসলামিক টেরোরিজমের কথা, ডিয়ারবর্নে ইনক্রিজিং মুসলিম পপুলেশনের কথা, মিনেসোটাতে বলছেন সোমালি কমিউনিটির কথা। সো মাচ ফর ওয়ার্কিং ক্লাস!
    আর মহিলাদের ভোটে ক্লিন্টনের মার্জিন ওবামার মত। ৫৪ঃ৪৩। কালো মহিলাদের মধ্যে ৯১ঃ৮, ল্যাটিনো মহিলাদের মধ্যে ৬৫ঃ৩৩। উল্লেখ্যোগ্য ভাবে ভোট বাড়েনি সাদা মহিলাদের মধ্যে। অন্যদিকে ট্রাম্প মেল ভোট বাড়িয়েছেন প্রায় ৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ মহিলা হবার জন্যে ক্লিন্টন বিশেষ কোনো সুবিধা না পেলেও পুরুষ ভোট হারিয়েছেন প্রায় ৬ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট। মিসোজিনি বলে মনে হচ্ছে কি ?
  • ঈশান | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ২১:২২699674
  • আমার তো মিসোজিনি মনে হচ্ছে না। একটুও না। ওয়ার্কিং ক্লাস ই গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। কারণঃ

    ১। মহিলাদের ভোটে সুইপ হবে ভাবা হয়েছিল। হয়নি।
    ২। কালোদের ভোটে সুইপ হবে ভাবা হয়েছিল। হয়নি।
    ৩। সাদা পুরুষদের ভোট বেড়েছে।

    যেগুলো সুইপের জন্য প্রোজেক্টেড ছিল, কিন্তু বাস্তবে হয়নি, সেখানেও ভোট উল্টোদিকে গেছে বলেই ধরতে হবে। অর্থাৎ ভ্যাসিলেটিং যে অংশটায় সুইপ হবে ভাবা হয়েছিল, সেখানে জেন্ডার, রেস অতিরিক্ত কোনো ভূমিকা নেয়নি। ডেমোক্র্যাটিক ট্র্যাডিশনাল সক্রিয় বেস যা ছিল, তাইই আছে। ব্যাসিলেটিং অংশটা উল্টো দিকে গেছে। যদি রেস, জেন্ডার, কাজে না লেগে থাকে, তো ক্লাস অ্যাঙ্গলটাই লেগেছে।

    তবে এর তো কোনো আঙ্কিক প্রমাণ হয়না। যার যার ব্যাখ্যা, তার। তবে এই কথায় কথায় জেন্ডার অ্যাঙ্গল, আর মিসোজিনি টেনে আনাটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, আগেও লিখেছি। আরেকটা উদাহরণ মনে পড়ল। পরের পোস্টে একটু বাদে লিখছি।
  • aka | 79.73.9.37 | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ২১:২৩699675
  • আমার শ্বশুরমশাই বললেন, ইসলামিক টেররিজমের নামে সবকিছু সেল করা সম্ভব। ব্রেক্সিট, ভারতে মোদী ও নৌটঙ্গি, আমেরিকায় ট্রাম্প সবই নাকি এরই ফল। জানি না। স্যাম হ্যারিসও এটাই বলেছে। হাফিংটন কি তাহলে সত্যি বলেছিল? এই যুদ্ধু যুদ্ধু ভাব সবকিছু নির্ধারণ করবে? ভাবুন সবাই, অবস্থা খুব সুবিধের ঠেকছে না। সারা পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখলে যুদ্ধ পরিস্থিতির থেকে ভালো কিছু না।
  • ঈশান | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ২১:২৫699676
  • যুদ্দু হিলারির থেকে ভালো সেল কেউ করেনি। যুদ্ধের এক্সপিরিয়েন্স কী প্রচন্ড, লাদেনকে মেরে ফেলল, এই তো ছিল সেলিং পয়েন্ট। :-)

    উল্টোদিকে বার্নি যুদ্ধের বিরুদ্ধে বলেও যথেষ্ট মোমেন্টাম গ্যাদার করেছিলেন। সেটা অবশ্য পপুলার ভোটে পরীক্ষিত না। কিন্তু মোমেন্টাম ছিল।
  • ঈশান | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ২১:৪৭699678
  • হ্যাঁ, যেটা বলছিলাম। কিছুদিন আগে একটা সমীক্ষার রিপোর্ট বেরিয়েছিল, আমেরিকায়। মেয়েদের রোজগার সংক্রান্ত। তাতে দেখা গিয়েছিল রোজগেরে ছেলেরা ১০০টাকা উপার্জন করলে মেয়েরা ৮০ টাকা উপার্জন করেন, বা এরকম কিছু। ২০% বা ওরকম কিছু একটা ইনকাম গ্যাপ। সবাই জানেন খবরটা। আলাদা করে আর লিখছিনা।

    এই ইনকাম গ্যাপটা বাস্তব। এই নিয়ে তক্কো করার কিছু নেই। এটা বিস্তর চেঁচামিচি অ্যাকটিভিজমও হয়েছে। একটা গপ্পো তো সবারই মনে থাকা উচিত। গুগল না মাইক্রোসফট, কার এক সিইওকে, জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনার কোম্পানিতে মেয়েদের কী করা উচিত? বেশি টাকা ডিম্যান্ড করা উচিত? তিনি স্বভাবসিদ্ধ কর্পোরেট ভঙ্গিমায় বলেন, না না খামোখা চাইবে কেন, ভালো লাজ করলে এমনিই মাইনে বাড়বে। এটা অ্যাকটিভিজমের একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েদের প্রাপ্য টাকা চাইলে আটকে দেওয়া হচ্ছে, মিসোজিনি, ইত্যাদি। যদিও ওই ভদ্রলোককে "আপনার কর্মচারিদের কি বেশি মাইনে ডিমান্ড করা উচিত?" জিজ্ঞাসা করলেও, আন্দাজ করা যায়, তিনি একই ভঙ্গীতে বলতেন, "না না ওসব করতে যাবেননা, কাজ করুন মন দিয়ে"। এইটাই ক্যাপিটালিস্টিক ম্যানেজমেন্টের টিপিকাল অ্যাপ্রোচ। আলাদা করে মিসোজিনি কিছু আছে বলে মনে হয়না।

    তো, সে যাই হোক, অভিযোগটা উঠেছিল, এবং হইচই হয়েছিলে। হইচইয়ে ক্ষতি নেই, সমস্যাটা হচ্ছে, শুধু হইচইই হয়েছিল। সমীক্ষাটা কেউ আর পড়ার সময় করে উঠতে পেরেছিলেন বলে মনে হয়না। এই মুহূর্তে আমারও হুবহু মনে নেই, পারলে একটু পড়ে নেবেন, কিন্তু সেখানে কর্পোরেটরা চক্রান্ত করে মেয়েদের টাকা কম দিচ্ছে, এরকম কোনো গপ্পো নেই। যেটা আছে, সেটা হল, উপরের তলায় এই গ্যাপ কম, মাঝামাঝি রেঞ্জে এই জেন্ডার ইনকাম গ্যাপ সবচেয়ে বেশি, ১০০ তে ৬০ বা এরকম কিছু। কারণটাও ওখানেই লেখা আছে। কিছু কিছু প্রফেশনে মেয়েরা নেগলিজিবল, বা সংখ্যায় কম। যেমন, আইটি, হার্ডওয়্যার, ট্রান্সপোর্টেশন। টেকনিকাল কাজ, কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার। এইরকম বেশ কিছু ক্যাটিগরি আছে। সার্ভের দরকার নেই, এমনিই চোখে দেখা যায়, যে, মেয়েরা চট করে মোটর মেকানিক, বা ট্রাক ড্রাইভার হয়না। এবং এগুলো বেশ হাই পেয়িং জব।

    উল্টোদিকে কিছু জবে মেয়েদের কনসেন্ট্রেশন বেশি। যেমন নার্সিং, বাচ্চাদের পড়ানো, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জব ইত্যাদি। সাধারণভাবে এইগুলো তুলনায় লো পেয়িং।

    এইটা ছিল মোটামুটি চিত্র। একটু ভুলভাল হতে পারে, চেক করে নেবেন। কিন্তু গপ্পোটা এরকমই।

    এবার সিরিয়াসলি জিনিসটা পড়লে, তিনটে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়।
    ১। মার্কেট ইকনমি কিছু জবকে হাই পেয়িং করছে, অথচ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জবে মাইনে কম। অর্থাৎ, জেন্ডার গ্যাপের একটা কারণ, মার্কেট ইকনমি।
    ২। মেয়েরা স্বেচ্ছায়, স্বাধীনভাবে কিছু জব এড়িয়ে যাচ্ছেন।
    ৩। এই এড়িয়ে যাবার পিছনে একটা সামাজিক স্টিরিওটাইপিং কাজ করছে।

    এগুলো সবই সিরিয়াস পর্যালোচনার দাবী রাখে। কিন্তু সেসব হয়নি। যা হয়েছে, সে হল একজন বড়কর্তাকে টার্গেট করা, জাস্ট তিনি পুরুষ বলে। এবং মিসোজিনি মিসোজিনি বলে চিৎকার। এইটা হল সেই কনটেন্টলেস লিবারালপনার বাড়াবাড়ি। যেটা শুধু কিছু উচ্চশিক্ষিত এলিট ছাড়া আর কোথাও কোনো পোলারাইজেশন তো তৈরি করবেই না, বরং রিপালশন তৈরি করবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন