এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুলশান ঢাকা - প্রতিক্রিয়াসমুহ ও কিছু ভাবনা

    লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৪ জুলাই ২০১৬ | ২২৪৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:৫৩707444
  • প্রথমে নাদিয়া ইসলামের ৩০শে জুনের স্ট্যাটাসটা দিয়ে শুরু করি। তখনও অবশ্য কেউই জানত না মাত্র একদিনের মাথায় কী হতে চলেছে।

    "আমার এক মুসলিম বন্ধু আমার সাথে দেখা হইলেই খুব সুন্দর কইরা সালাম দেন। উনি জানেন আমি ধর্ম মানি না, তারপরেও দেন। আমিও তার উত্তর দেই। ‘আসসালামু আলাইকুম’এর অর্থ খুব সুন্দর, এর মানে হইলো- ‘আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক!’ আমার শুনলেই মন ভালো হইয়া যায়। তো আমি আর আমার সেই বন্ধু দোকানে বইসা আজকে আইসক্রিম খাইতেছি, এমন সময় আমাদের দুইজনের ছোটবেলার এক স্কুলের বন্ধুর মা’র সাথে দেখা হইয়া গেলো। আমি আর আমার সালাম দেওয়া বন্ধু চেয়ার ছাইড়া উইঠা দাঁড়াইলাম, আমি সালাম দিলাম। আমার বন্ধু কইলেন, ‘আদাব, আন্টি।’

    তো আন্টি চইলা গেলে আমি বন্ধুরে জিগাইলাম, ‘তুই আদাব কইলি ক্যান?’ বন্ধু উত্তর দিলেন, ‘ক্যান তোর মনে নাই, ওরা তো বৌদ্ধ!’

    আমি তাজ্জব হইয়া গেলাম। বৌদ্ধ হইলে কারো জন্য শান্তি কামনা করা যাবে না? কী আজব নিয়ম! তারপর খেয়াল কইরা দেখলাম, মুসলিমদের সমস্ত দোয়া মুসলিমদের নিজেদের জন্য, মুসলিম উম্মাহর জন্য, মুসলিম আব্বা আম্মা মুসলিম বাচ্চা মুসলিম চাচা ফুপু খালা খালুর জন্য, এমনকি মুসলিম ভিক্ষুকের জন্য, কিন্তু সমগ্র মানবজাতি নিয়া মুসলিমদের কোনো দোয়া নাই। কী আজব হিংসাপরায়ণ একটা জাত! বৌদ্ধরা বলেন, ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক!’, বাহাইরা বলেন, ‘হে প্রভু, মানবজাতিরে এক কর, জগতরে মানবিকতার আলোয় আলোকিত কর!’, তিব্বতীরা বলেন, ‘হে ঈশ্বর, আমাদের হৃদয়রে সকলের জন্য ভালোবাসায় পূর্ণ কর!’, ইহুদীরা বলেন, ‘পৃথিবীর সকল মানুষের হৃদয় শান্তিতে ভইরা উঠুক, যেইভাবে সমুদ্র ভইরা উঠে পানিতে!’ শিখরা বলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের বিচার করেন আমাদের কাজ দিয়া, আমাদের গায়ের পোশাক দিয়া না, সুতরাং সত্যই সবার উপরে। জাইনা রাখো, জগতের সকলরে ভালোবাসার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করা হয়, এবং জাইনা রাখো, সেইটাই সর্বোচ্চ বিজয় যেইখানে কেউ পরাজিত হয় না!’

    মুসলিমদের তেমন দোয়া আছে কি?

    মুসলিম বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ, আজকে থিকা আমারে কেউ সালাম দিবেন না। আমি হিংসাপরায়ণ ঈশ্বরের ‘শান্তি’ চাই না।

    আমার মুসলিম বন্ধুদের জন্য সুকুমার রায়ের এই ছড়াটা দিলাম। সবার জন্য ভালোবাসা!

    "হিংসুটিদের গান"

    আমরা ভালো লক্ষী সবাই, তোমরা ভারি বিশ্রী,
    তোমরা খাবে নিমের পাচন, আমরা খাব মিশ্রী।
    আমরা পাব খেলনা পুতুল ,আমরা পাব চম্‌চম্,
    তোমরা তো তা পাচ্ছ না কেউ, পেলে ও পাবে কম কম!
    আমরা শোব খাট পালঙে মায়ের কাছে ঘেঁষ্‌টে,
    তোমরা শোবে অন্ধকারে একলা ভয়ে ভেস্তে।
    আমরা যাব জাম্‌তাড়াতে চড়ব কেমন ট্রেইনে,
    চেঁচাও যদি "সঙ্গে নে যাও" বল্‌ব "কলা এইনে"!
    আমরা ফিরি বুক ফুলিয়ে রঙিন্ জুতোয় মচ্‌মচ্,
    তোমরা হাঁদা নোংরা ছিছি হ্যাংলা নাকে ফচ্‌ফচ্।
    আমরা পরি রেশ্‌মি জরি, আমরা পরি গয়না,
    তোমরা সেসব পাও না ব'লে তাও তোমাদের সয় না।
    আমরা হব লাট মেজাজী, তোমরা হবে কিপ্টে,
    চাইবে যদি কিচ্ছু তখন ধরব গলা চিপ্‌টে।"
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:৫৫707509
  • এরপরে ফারুক সাদিক

    "১
    আপনি পাগলের মত বলতেই পারেন- আইএস যারা করে তারা সহীহ মুসলিম নয়। এই কথা বলে আপনি আত্মতৃপ্তিতে ভূগতেই পারেন এই ভেবে যে- "আপনার এই কথাকে তারা সঠিক ধরে নিবে, তারুণ্য আপনার সেই কথা শুনে আর "অসহী" মুসলিম হবে"! এইসবই হইলো বাতুলতা নাহয় কঠিন ধান্ধাবাজী। আপনে সমস্যার আসলে সমাধান চাইতেছেন না নাহইলে আপনের এখনও গুপ্তকেশ ওঠেনাই।

    খাড়ান হুজুর, আপনের মুখে দাঁড়ি নাই, মাথায় টুপি নাই। আপনের ঈমান নিয়াই এই দেশের কয়েক কোটি মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করে- সেই আপনে যখন ফতোয়া দেন- তখন সে ফতোয়া হাস্যকর। তার ওপর, আপনে কোনও সর্বজনগ্রাহ্য আলেম না- ইনফ্যাক্ট এরকম সর্বজনগ্রাহ্য আলেম কোথাও নাই যার সার্টিফিকেট নিয়া দুনিয়ার সকলেই সহীহ মুসলিম আর অসহীহ মুসলিম নির্ধারণ কইরা নিজেরে শুধরায় নিবে। দুনিয়ায় হাজার হাজার ফেরকা আছে, হাজার হাজার ধরণ আছে ইসলামী বিশ্বাসের। কাজেই- এইখানে আপনে কারে সহীহ মুসলিম কইলেন আর কারে সহীহ মুসলিম কইলেন না- তাতে জঙ্গীবাদের বালটাও ছেড়া যাবেনা। আপনার কথা শুনে একজন জঙ্গীবাদের পথ থেকে ফিরে আসবে অথবা আপনার কথা শুনে একজন জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ হবেনা- এমনটা কেবল একজন পাগলের পক্ষেই ভাবা সম্ভব।

    ইসলাম হোক আর যে কোনও কেতাবী ধর্মই হোক- এর রীতিনীতি একটা সুনির্দিষ্ট কেতাবকে ঘিরে গড়ে ওঠে। এই কেতাবের যেহেতু হাজার রকমের ব্যাখ্যা আছে- সেহেতু হাজার রকমের বিশ্বাসের ঘরানাও তৈরি হয়। তার ওপর, ঐতিহাসিক নানান ঘটনা তো আছেই- যারা নানা রকমের ধর্মচেতনার জন্ম দেয়। একই ধর্মের একই নবীকে হাজারে হাজারে উপায়ে, হাজারে হাজারে মতে মানা হয়। এইখানে কোনও একক ধরণের বদ্ধ বিশ্বাস নাই, যে আপনে কইলেন উহা সহীহ ইসলাম নহে আর তাতেই উহারা সেই অসহীহ ইসলাম ছেড়ে দিয়ে আপনার সহীহ ইসলামের পথে ফিরে এলো।

    কাজেই, কার ইসলাম সহীহ আর কার ইসলাম সহীহ নহে- সেই ফতোয়া ঝাড়া বাদ দেন। আপনে যেই শফিরে রেলের জমি দেন, টাকা দেন- সেই শফিই ভায়োলেন্স ছড়ায়- বিধর্মী, নাস্তিক কতলের ফরমান জারী করে। সেই আপনে কোন মুখে গুলশান ক্রাইসিসের ছেলেদের সহীহ মুসলিম নহে বলতে চান-সেটা আপনিই ভালো বুঝেন। কিন্তু এইসব বাকওয়াজ বন্ধ করেন। কাজের কোনও কিছু যদি করতে পারেন- তাইলে করেন। না পারলে এইসব ওয়াজ নসিহত বন্ধ করেন। রনি ভাই কইছিলেন- এইদেশে ওয়াজ নসিহত করার মেলা লোক আছে, আপনারে বেতন দিয়া পোষা হইতেছে ওয়াজ নসিহতের জন্যে না।


    এই হামলায় জড়িতরা সকলেই ওয়েল অফ ফ্যামিলির ছেলে। এরা কেউ কেউ ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া। এদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগের নেতার ছেলে। এবারে- বিষয় হইলো- এদের ফ্যামিলির লোকজনও জানেনা এরা এতদূর গেছে- কারও কারও পরিবার আন্দাজ করছিলো তাদের ইসলামী চিন্তাচেতনার প্রতি আকর্ষণ। তারপর ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে একের পর এক।

    এইসব হামলায় মাদ্রাসার ছেলেরা যায়, নাকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা যায়- সেই তর্ক পুরাটাই কুতর্ক। বরং শিক্ষার সকল ঘরানাতেই, সমাজের সকল স্তরেই এমন সব উপাদান রয়েছে ভুড়ি ভুড়ি- যেখান থেকে যে কাউকে প্রোভোক করা যেতে পারে, যেখান থেকে যে কাউকেই জঙ্গী বানানো যেতে পারে। প্রশ্ন হইলো আমাদের সমগ্র শিক্ষাকাঠামোর কোনটাতে উদারতা শিক্ষা দেয়া হয়? আমাদের শিক্ষার নানান ফেরকার কোনটাতে ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া হয়?

    আপনার সমাজে ভালোবাসা অপরাধ, আপনে কাউরে ভালোবাসতে দেখলে আপনার জাত যায়। আপনে ভালোবাসতে দেখলে বীরপুরুষ সেজে যান মানুষকে ঠ্যাঙ্গাতে। সেই আপনিই চোখের সামনে ভায়োলেন্স দেখলে শুওরের বাচ্চার মত ল্যাঞ্জা নাড়াতে নাড়াতে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান। আপনের সমাজে ভদ্রলোকেরা নিপীড়িত, অসহায়। মাস্তান-গুণ্ডা-খুনি-দখলবাজরা সম্মানিত।আপনের সমাজে মিথ্যাবাদীরা সম্মানিত। আপনার সমাজে ধর্ষকেরা বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াউ। এই সমাজে আপনে কেমনে চান একজন মানুষ উদার হবার বাসনা নিয়া বড় হবে? এই সমাজে আপনে কেমনে চান একজন নিজেকে মানুষ মনে করে বড় হবে।

    আপনের সিনেমায় ভয় দেখানো হয় , ভায়োলেন্স দেখানো হয়, আপনের উপন্যাসে ভয় দেখানো হয়, ভায়োলেন্স দেখানো হয়- সেই আপনার সমাজে আপনে কেমনে মনে করেন একজন মানুষ নিজেকে মানুষ মনে করে বড় হবে? বিশজনের রক্ত দেইখাও যেই ছেলেরা স্থির থাকতে পারে- আপনে কি মনে করছেন আপনের সমাজ সেই ছেলেরে ধাতস্থ করেনাই? টাকা দিয়া টিকেট কাইটা যে সিনেমা সে দেখতে গেছে- সেখানে সে দেখে আসছে মানুষের রক্তে হোলি খেলাটাকে কতটা শৈল্পিক, কতটা থ্রিলিং করে উপভোগ করা যায়। সেইখানে আপনের একটা ছেলে এরকম বিশটা কেন- আরও বেশী লোকেরে জবাই করবে। সেইসব লাশের ছড়ানো রক্ত মেঝেতে তার জন্য ইম্প্রেশনিস্ট আর্ট হয়ে তাকে বিনোদন দেবে, একটা সুররিয়েল লাইভ আর্টওয়ার্ক হয়ে তার চিত্তকে প্রশান্ত করবে।

    আপনের সমাজে ছোট থেকেই একজনকে নিজের জন্যে বাঁচার শিক্ষা দেয়া হয়। অন্যের সর্বনাশ করে হলেও নিজের ভালোটা নিশ্চিত করার শিক্ষা আপনার সমাজই দেয়। সেই সমাজে একজন নিজের বেহেস্ত নিশ্চিত করতে একটা অসহায় পরিবারকে , নিরপরাধ পরিবারকে পঙ্গু করতে একজনের বাঁধবে কেন? সামষ্টিক বোধ না থাকলে এমনকি সে নিজের পরিবারের কাউকেও মারতে দেরী করবেনা - সেখানে ভিনদেশী ভিনধার্মিক তো কোন ছাড়!


    উদ্ধার যাদের করছে আমাদের সেনাবাহিনী বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর যূগান্তকারী মিথ্যাচারে নতুন করে যোগ করলেন- একজন কোরিয়ান নাগরিকের তোলা ভিডিও থেকে আমরা দেখতে পেলাম- তাদেরকে জঙ্গীরা আগেই ছেড়ে দিয়েছে! তাইলে নতুন কইরা কার বালটা ছিড়লো আমাদের সুমহান "যৌথবাহিনী", সেটা মাথায় আসছেনা। এই মিথ্যা গ্লোরিফিকেশান দিয়া দুইমাস আগের একটা পাণ্ডাবাহিনীকে ইমেজ দেয়া হইতেছে। রাষ্ট্রের বড়ভাইগিরীকে স্বীকৃতি দেয়া হইতেছে। এর ফলাফল আরও চক্রবৃদ্ধি হারে এ্যামপ্লিফাইড হয়েই ফিরে আসবে বারবার। ওয়েইট করেন। সকলের জন্যে শুভকামনা।"
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:৫৬707520
  • নাদিয়া ইসলাম

    "খুনীরা যেই হিজাব না পরার জন্য আমার বন্ধুরে জবাই করছেন, সেই হিজাবের উপকারীতা নিয়া আমারে কেউ কোনো কথা কইতে আসলে আমি তার মুখে মুইতা দিবো।
    হিজাব দিয়া আপনি শুধু নিজের মাথা ঢাকেন নাই, নিজের বুদ্ধিবৃত্তিরেও ঢাকছেন, নিজের দাসী মনোভাব ঢাকছেন। আমি কারও দাস না, ইসরাথও কারো দাস ছিলেন না। আমি হিজাব না পরার জন্য জবাই হবো একশোবার, হাজারবার, লক্ষবার, কিন্তু আত্মসম্মানহীনভাবে সমাজ পুরুষ ও ধর্মের দাস হইয়া বাঁইচা থাকবো না। আপনি দাস হইতে চান, হন, আমি তো চাপাতি নিয়া আপনার মাথার কাছে রেডি না।
    আমারে জ্ঞান দিতে আসবেন না।"
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:৫৮707531
  • সুষুপ্ত পাঠক

    "তালেবানের সাবেক প্রধান মোল্লা ওমর পাকিস্তানের দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করেছেন। হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জালাল উদ্দিন হাক্কানি, আফগান তালেবান প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর এই মাদ্রাসা থেকে পাস করেছেন। আল-কায়দা(একিউআইএস)নেতা অসীম ওমর মাদ্রসার ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশের শায়খ আবদুর রহমান ও জসিমউদ্দিন রাহমানি মাদ্রাসা থেকে এসেছেন। মাদ্রাসায় কুরআন পাঠ্য পুস্তক হিসেবে পড়ানো হয়। সেখানে হাদিস, সীরাত, তাফসির অধ্যায় করা হয়। জিহাদ, কতল, গণিমত, ফিদ, খিলাফত প্রতিষ্ঠা এইসব মাদ্রাসা ছাত্রদের রক্তে রক্তে। তালেবান গঠনই করা হয়েছিল মাদ্রাসা ছাত্রদের দিয়ে। কিন্তু আনসারুল্লাহ ও জিএমবি বেশির ভাগ ছাত্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ নামিদামি স্কুল-কলেজের বলে এই সুযোগে মাদ্রাসায় জঙ্গি তৈরি হয় না বলে একটা শোরগোল তোলার চেষ্টা হচ্ছে একটা বিশেষ উদ্দশ্য নিয়ে। কারণ বাংলাদেশে মাদ্রাসা পড়া ছাত্ররা হবে চূড়ান্ত জিহাদের শোডাউন।

    মতিঝিলকে আটকে ঢাকা অচল করে ফেলেছিল গজারী নিয়ে এইসব তালেবর এলেমরা। এটা সবার স্মরণ আছে নিশ্চয়। কিন্তু মাদ্রাসা থেকে যা উৎপাদন হয় তা দিয়ে পার্থিব জীবনে কিছু হবার নয়- এটা জিহাদের মাস্টার মাইন্ডদের জানা। জিহাদের জন্য দরকার আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের। এমন কি খিলাফত চালাতে এইসব মাদ্রাসায় হাদিস-কুরআন মুখস্ত করা মৌলবীদের কোন কাজে লাগবে না। সেখানে নর্থসাউথের কোন শিক্ষককে লাগবে। অর্থ্যাৎ আধুনিক যুগের কোন রাষ্ট্র তো উটদুম্মা চড়ানো রাখাল চালাতে পারবে না। এরজন্য চাই ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষায় শিক্ষিত উন্নত মস্তিষ্ক। এ কারণেই জিহাদের বিপ্লবী ঠিক করতে খিলাফতের মাস্টার মাইন্ডরা কমিউনিস্টদের ইতিহাস থেকে ফলো করে মুভমেন্ট চেন্স করে উচ্চবিত্ত ও আধুনিক শিক্ষিতদের দিকে তাদের নজর দেয়। মাদ্রাসার জঙ্গিরা তো তৈরিই আছে। আল্লামা আহমদ শফি এক্ষনি হুকুম দিলে তারা ঢাকা শহর ঘেরাও করে ফেলবে। কিন্তু তাতে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সেটা করতে হলে ইতিহাসের কমিউনিস্ট মুভমেন্টগুলোকে ফলো করতে হবে। হুবহু জিহাদীদের কার্যক্রম কমরেডদের মত। অনেকটা ভারতবর্ষের সশস্ত্র স্বদেশীদের মত। কাজেই মাদ্রাসায় জঙ্গি তৈরি হয় না যারা বলেন, তারা শো-রুম দেখছেন, কারখানা দেখেন নাই!"
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:৫৯707542
  • নাদিয়া ইসলাম

    "এই পোস্টটা শুধুমাত্র এ্যাপলজিস্ট এবং মাথা গর্তে ঢুকাইয়া পাছা বাইর কইরা ‘আমারে কেউ দেখে না!’ ভাবতে থাকা মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য। এই পোস্ট প্রধানমন্ত্রীসহ তাদের জন্য, যারা বলেন, ধর্মের সাথে সন্ত্রাসের যোগাযোগ নাই। এই পোস্ট তাদের জন্য যারা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং একমাত্র ইসলামের ‘ভুল’ ব্যাখ্যাতেই মানুষ সন্ত্রাসবাদী হয়।
    হাহা, নিশ্চয়!
    গতকালকের ঘটনা শুধুমাত্র ধর্মীয় মৌলবাদীদের দিয়া ঘটছে এমন ভাবা গাধামী। কিন্তু যারা ধর্মরে উপেক্ষা কইরা এর শুধু রাজনৈতিক দিক দেখতেছেন, বা শাহরিয়ার কবীর হইয়া জামাতরে দোষ দিতেছেন, তারা আমার ধারণা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ গাধা। যেই ছোট ছোট ছেলেগুলি গার্লফ্রেন্ড বাদ দিয়া, ফেইসবুকিং বাদ দিয়া, ক্রিকেট খেলা নিয়া না লাফাইয়া ঠান্ডা মাথায় হিসাব কইরা ২০টা খুন করতে পারেন, সেই ছোট ছোট ছেলেগুলিরে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসী বানাইছে ধর্ম, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, আইডেন্টিটি ক্রাইসিস এবং বিশ্ব-রাজনীতি। এবং একটা এলেমেন্টও বাদ দিয়া না।
    ডিয়ার এ্যাপলজিস্ট, ইসলাম আপনার কাছে শান্তির ধর্ম হইতে পারে, যদি আপনি ‘পিক এ্যান্ড চুজ’ কইরা কুরানের নির্দিষ্ট কিছু আয়াত দেখেন। অর্থাৎ আপনার মনমত আয়াত নিলেন, মনমত আয়াত চোখ দিয়াও দেখলেন না!
    ইসলাম কী বলে দেখেন! ইসলাম বলে, “যে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করলো। এবং যে কাউকে বাঁচালো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচালো।” (কুরান ৫-৩২) বাহ, কী সুন্দর ভালবাসাপূর্ণ আয়াত, তাই না?
    এখন দেখেন একই কুরান অন্য একটা সূরাতে কী বলতেছে।
    “যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।” (কুরান ৮-১২)
    এইখানেই শেষ না।
    “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।” (কুরান ৯-১২৩)
    এখন এ্যাপলজিস্ট মুসলিমরা বলেন, উপরোক্ত দ্বিতীয় এবং তৃতীয় আয়াত দুইটা যুদ্ধ পরিস্থিতে বিশেষ সময়ের জন্য লেখা হইছিলো। এইটা এই সময়ের জন্য প্রযোজ্য না।
    আসলেই কি তাই?
    এই যে ছোট ছোট ছেলেগুলিরে ব্রেইনওয়াস করা হইলো, তাদের যদি আমি বুঝাই, দুনিয়াতে এখন যুদ্ধপরিস্থিতি চলতেছে? ফিলিস্তিনে বা সিরিয়ায় যা হইতেছে তা ঠেকানোর জন্য ‘আমাদের’ যুদ্ধে নামতে হবে? তখন কি তারা উপরের আয়াতগুলিরে মাইনা নিবেন না?
    আপনি হয়তো মডারেট, আপনি আপনার লোকায়ত সংস্কৃতি দিয়া আপনার প্রাচীন ধর্মরে আপনার ইচ্ছামত কাটছাট কইরা নেন। তাতে অসুবিধা নাই, কারণ ধর্মের নিয়মই তাই। সেইকারণে আপনি মুসলিম হইয়াও গান গাইতে পারেন, লালনরে মাইনা নিতে পারেন, বিয়াতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করতে পারেন, মুসলিম হইয়াও পয়লা বৈশাখ উদযাপন করতে পারেন। আপনি হিন্দু বৌদ্ধদের সাথে মিশা চলতে পারেন, পূজায় ক্রিসমাসে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেন এবং দিনশেষে হিজাব কইরা নামাজও পড়তে পারেন। আপনার কাছে তাই ইসলামরে শান্তির ধর্মই লাগে। কিন্তু আপনার মত যারা এইসব জগাখিচুড়ি ‘মিশ্রণ’এ বিশ্বাসী না?
    আপনি যাদের মৌলবাদী বলতেছেন, সন্ত্রাসী বলতেছেন, সেই ছেলেগুলিরে জিগায়ে দেখেন তো উনারা ইসলামরে কীভাবে দেখেন? উনারা বলবেন, উনাদের ধর্মে ইসলামী আচারের সাথে অন্য সংস্কৃতির আচার মিলানো যাবে না। উনারা বলবেন, পৃথিবীতে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলতেছে, তাই উনাদের ইসলামের মাধ্যমে ‘খেলাফত’ কায়েম করা ফরজ হইয়া পড়ছে। উনারা বলবেন, দুনিয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য এখন শরিয়াহ আইনের ‘শাসন’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, উনারা বলবেন, মুসলিমদের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুসলিম উম্মাহরে এক করতে হবে! আপনি কোন্ যুক্তিতে তাদের সন্ত্রাসী বলবেন? জাকির নায়েকের ভাষায় উনারা তো স্বাধীনতা সংগ্রামী! উনারা দেশপ্রেমী! উনারা বাঁচলে গাজী মরলে শহীদ! আপনার যুক্তি আছে উনাদের যুক্তিরে খন্ডন করার?
    নাই, ব্রাদার, আমি জানি, নাই।
    আপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন, ইসলামই দুনিয়ার একমাত্র ধর্ম যা তার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা চায়। এবং সেই কারণেই ইসলাম যুদ্ধবাজদের ধর্ম। ইসলামের নবী মহানুভবতার অনেক দৃষ্টান্ত রাইখা গেছেন সঠিক, কিন্তু উনি সমগ্র দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম ছিলেন না। উনার মৃত্যুর সাথে সাথেই মুসলিম উম্মাহ নিজেরা নিজেদের সাথে মারামারি কইরা ভাইঙ্গা চৌদ্দশ’ টুকরা হইছে। ইসলাম খুব স্বল্প সময় ছাড়া কোনোদিন শান্তি প্রতিষ্ঠা করে নাই। ইসলাম অর্থও তো ভাই শান্তি না। ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ। আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ।
    আপনারে আপনার ধর্ম আমি ত্যাগ করতে বলি না। আপনার মত মানুষের জন্য ধর্মের বিধানের দরকারও আছে বইলা আমি মানি। কিন্তু আপনি দয়া কইরা, আপনার আল্লাহর ওয়াস্তে ইসলামের সাথে সন্ত্রাসের সম্পর্ক নাই বইলা সমস্যা এড়াইয়া যাবেন না প্লিজ। ইসলামের সাথে সন্ত্রাসের অবশ্যই অবশ্যই এবং অবশ্যই সম্পর্ক আছে। যেমন আছে দুনিয়ার বাদবাকি সবগুলি ধর্মের সাথে। কিন্তু বিশ্ব-রাজনীতি এবং ইসলামের ক্ষমতা দখলের বাসনার কারণেই অন্যান্য ধর্মগুলি একইরকম উগ্রবাদ এবং জঙ্গী মানসিকতা নিয়াও এই যুগে প্রায় নপংসুক হইয়া বইসা আছে, তার ধর্মগ্রন্থের পাতা ভরানো ছাড়া আর কাজ নাই! সেই জায়গায় ইসলাম আলাদা হইয়া গেছে সবার থিকা!
    ফিলিস্তিন বা সিরিয়াতে মানুষ মারার প্রতিবাদ নিশ্চয় আরো মানুষ মারা না আপনি মানেন। চোখের বদলে চোখ নিতে নিতে দুনিয়া কানা হইয়া বইসা থাকবে নিশ্চয়! এখন বিশ্ব-রাজনীতি বাদ দিলে নিজের ঘরে অর্থাৎ নিজদেশে মৌলবাদ তথা সন্ত্রাসবাদ এড়াইতে আপনি কী করতে পারেন?
    প্রথমতঃ আপনারে ডিনায়াল থিকা বাইর হইয়া আসতে হবে। অর্থাৎ ইসলাম যা, ইসলাম তাই। ইসলামের হইয়া সাফাই গাওয়া বন্ধ করেন, ইসলাম কত ভালো এই হা বিতং ঘ্যান্‌ঘ্যান্‌ গান গাওয়া থামান। ওয়াজ মাহফিলে রাস্তা ঘাটে ‘জিহাদী’ কথাবার্তার প্রতিবাদ করেন। হিন্দুদের বৌদ্ধদের খ্রিশ্চানদের ধর্মরে ছোট কইরা বলা খুৎবা থিকা বাইর হইয়া আসেন। মানুষরে কাফের বা মালু জাতীয় রেসিস্ট গালি দেওয়া বন্ধ করেন।
    দ্বিতীয়তঃ নিজের দেশের ঐতিহ্যরে ধইরা রাখেন। সংস্কৃতি দিয়া সন্ত্রাসবাদের উত্তর দেন। নামাজও পড়েন, পয়লা বৈশাখও পালন করেন। হ্বজ করেন এবং জীবনানন্দ পড়েন। যাকাত দেন এবং বেইলি রোডে থিয়েটার দেখেন। এবং যারা বলেন, থিয়েটার দেখা হারাম, তাদের দুইগালে চটকানা দিয়া আসেন। তাতে আপনাদের বাচ্চা ছেলেগুলি ধর্মের মৌলবাদে আকৃষ্ট হইয়া নিজেরা আত্মঘাতী হামলায় মরবেন না, অন্যদের জবাই করবেন না এবং আপনার ধর্মরেও মানুষ সন্ত্রাসীদের ধর্ম বলবেন না।
    বাদবাকি সব ধর্মের মত ইসলামের সাথেও সন্ত্রাসের সম্পর্ক আছে এই সত্য স্বীকার কইরা নিজের সংস্কৃতিরে বাঁচাইয়া রাইখা ধর্মীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন। মানে যদি আপনার ছেলেরে রাইফেল হাতে আজকে ফেইসবুকে সবার নিউজফিডে না দেখতে চান আরকি!"
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:০২707553
  • উইমেন চ্যাপ্টার-এ শারমিন শামস।

    http://womenchapter.com/views/15294
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:০৬707564
  • ইরফানুর রহমান রাফিন

    ঃগুলশান এটাক নিয়ে ইনবক্সে কথা হচ্ছিলো একজনের সাথে, তিনি যেহেতু ইনবক্সে মেসেজ করেছেন, তাই তাঁর প্রাইভেসির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নাম প্রকাশ করলাম না। কথা প্রসঙ্গে এক সময় উনি জিজ্ঞেস করছিলেন আমি কেনো এই এটাককে শুধুই ইসলামি জঙ্গিবাদ হিসেবে দেখছি না। আমি জবাবটা ইনবক্সে না দিয়ে এখানেই দেই, উনি তো দেখবেনই, অন্যরাও দেখতে পাবেন।

    দ্যাখেন, ইসলামি জঙ্গিবাদ বাস্তব সমস্যা সে আমি মানি, ইসলামের নামে কিছু মানুষ নারকীয় সমাজ তৈরি করতে চায় সেটা স্পষ্টতই চোখে পড়ে। কিন্তু ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থানের একটা প্রেক্ষাপট থাকে, ইসলামি জঙ্গিরা জিবরাইলের মতো কোনো ফেরেশতা না, যে তারা আকাশ থেকে নেমে আসবে অলৌকিকভাবে। এই প্রেক্ষাপটটাকে গুরুত্বের সাথে নেয়াটা অনেক জরুরী, যদি সত্যি সত্যিই, আপনি ইসলামি জঙ্গিদের রাজনৈতিক উত্থান ঠেকাতে চান।

    মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে কিছু কথা বলি। ২০০৩এর আগেও সেখানে কিছু ইসলামি জঙ্গি ছিলো। কিন্তু তারা কোনোদিনও ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে নাই। কারণ সাদ্দাম হোসেন আর বাশার আল আসাদরা যে আরব জাতীয়তাবাদ আর সমাজতন্ত্রের খিচুরি পাক করে খাইয়েছেন অই দেশ দুটির মানুষজনকে, সেটা এমন এক ফ্যাশিস্ত রাজত্ব তৈরি করেছিলো, যেখানে ক্ষমতাকাঠামোর বাইরে কারো পক্ষেই ফ্যাক্টর হয়ে ওঠার কোনো স্পেস ছিলো না। তা সে জঙ্গি হোক আর লিবারাল/কমিউনিস্টই হোক। আশির দশকে সাদ্দাম হোসেন ছিলেন মার্কিন প্রিয়পাত্র, ইরান ইরাক যুদ্ধের সময় সাদ্দামকে ওয়েস্টার্ন মিডিয়ার চোখে সেকুলারিজমের পোস্টারবয় মনে হয়েছে, কারণ তখন তিনি লড়ছিলেন ইসলামি বিপ্লব-উত্তর ইরানের বিরুদ্ধে। সেই সময় ইরাকের কুর্দিদের নার্ভ গ্যাস দিয়ে হত্যা করে সাদ্দামের সেনাবাহিনী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান কুর্দিদের কাছে এর আগে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন ইরান-ইরাক যুদ্ধে ইরানের পক্ষ নিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দেবে, কিন্তু কুর্দিরা ইরানের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে নামলে রিগ্যানের কাছ থেকে কোনো সহায়তা আসে নাই।

    ইন্টারেস্টিং বিষয়, ইরান ইরাক যুদ্ধের কারণে ইরানে মোল্লাতন্ত্রের কিন্তু কোনো ক্ষতি হয় নাই, বরং তারা ইরাকি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার সুযোগ পেয়েছে।

    সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়েছিলো, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত-বিরোধী মুজাহেদিনদের ব্যাপক মদদ দেয়, তাদের পলিটিকাল সিলেবাস তৈরি হয়েছিলো নেব্রাস্কা ইউনিভার্সিটিতে। জিমি কার্টার তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সোশালিস্ট পোল্যান্ড থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পলিটিকাল এসাইলাম নেয়া বিগনিউ ব্রেজেনস্কি ছিলেন তাঁর ন্যাশনাল সিকিওরিটি এডভাইজার, তাঁকে এক ইন্টারভিউয়ে যখন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিলো এভাবে মুজাহিদিনদের কেনো মদদ দেয়া হচ্ছে তখন তিনি কি জবাব দিয়েছিলেন জানেন? বলেছিলেন মানব সভ্যতাকে সোভিয়েত ইউনিয়ন আর পূর্ব ইউরোপের কমিউনিস্টদের হাত থেকে "মুক্ত" করা নাকি অন্য যে কোনো মানবিক বিবেচনার চেয়ে জরুরী!

    নব্বইয়ের দশকে যুগোশ্লাভিয়া যুদ্ধের সময় সার্বরা বসনিয়ায় ভয়াবহ এক গণহত্যা ও ধর্ষণযজ্ঞ চালাচ্ছিলো। সার্বদের পেছনে ছিলো রাশিয়া, বসনিয়ার পেছনে আমেরিকা। স্নায়ু যুদ্ধের হ্যাং ওভার পলিটিকস চলছিলো তখন। ওয়েস্টার্ন মিডিয়া শুধু সার্বদেরকে পারপিট্রেটর হিসেবে দেখিয়েছে। আর বসনিয়ার মুসলমানদেরকে দেখিয়েছে ইনোসেন্ট ভিকটিম হিসেবে। বসনিয়ার মুসলমানরাও যে সার্ব ক্রিশ্চানদের ওপর আক্রমণ করেছে, ক্রিশ্চান মেয়েদেরকে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করে ধর্ষণ করেছে, এটা স্রেফ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া হাওয়া করা দিয়েছে। অর্থাৎ একটা গৃহযুদ্ধকে তারা জেনোসাইড হিসেবে দেখিয়েছে।

    পশ্চিমের কুমিররা তখন 'বসনিয়ার মা-বোনদের' জন্য কাঁদছিলো। তাদের সাথে সাথে 'মুসলিম উম্মাহর' বেকুবগুলিও কাঁদছিলো। কান্নার আসল কারণ বুঝা গেল বসনিয়া-হার্জেগোভেনিয়া 'স্বাধীন' হওয়ার পর, যখন দেখা গেলো বসনিয়ার মাটির নিচের সব খনিজ সম্পদ চলে যাচ্ছে মার্কিন কর্পোরেশনগুলোর দখলে, এটা বুঝা গেলো যে কুমিররা এমনি এমনি কাঁদে না কোনোদিন।

    যা হোক, আল কায়েদার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ ছিলো অই যুদ্ধ, কারণ কসভো লিবারেশন আর্মি নামে যে সেনাবাহিনী গড়ে উঠেছিলো সিআইএ নিজ হাতে তাতে রিক্রুট করেছিলো অসংখ্য আল কায়েদা অপারেটিভকে।

    ২০০৩এ ইরাক আগ্রাসনের আগে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি অপপ্রচার চালিয়ে কনসেন্ট ম্যানুফেকচার করা হয় সামরিক আগ্রাসনের স্বপক্ষে।

    একটি হচ্ছে ইরাকে গণবিধবংসী অস্ত্র আছে, আর অন্যটি হচ্ছে, সাদ্দাম হোসেন নাকি আল কায়েদার সাথে জড়িত।

    সাদ্দাম ফ্যাশিস্ত ছিলেন, ক্ষমতার স্বার্থে শেষের দিকে তাঁর দেশের উলেমা লিগ টাইপের কিছু প্রতিক্রিয়াশীল লোকজনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারও করেছেন, কিন্তু আল কায়েদার সাথে সম্পর্ক ছিলো না তাঁর। আর গণবিধবংসী অস্ত্র খুঁজে পাওয়া যায় নাই। যার অস্তিত্ব নাই তা পাওয়া যায় না।

    অথচ এই ফলস গ্রাউন্ডে ইরাকে আমাদের সময়ের নিকৃষ্টতম যুদ্ধাপরাধগুলো সংঘটিত করা হয়েছে, গণহত্যা চালানো হয়েছে, দখল করে কেটে টুকরো টুকরো করে মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের নজির ফলো করলে এন্টায়ার বুশ এডমিন্সট্রেশনকে একসাথে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়ার কথা! কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধের বিচার কে করবে?

    আবু গারিব কারাগারে কি সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে? সেখানে কি রুশো ভলতেয়াররা এনলাইটেনমেন্টের চর্চা করেছেন?? ইরাকিদের আলোকিত করেছেন???

    ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটা কমিউনাল কার্ড খেলেছে, আগ্রাসনের কিছুকাল পরেই, শিয়া নূরী আল মালিকীকে ক্ষমতায় এনেছে তাঁরা। শিয়ারা ইরাকে সংখ্যাগুরু, টোটাল পপুলেশনের ৬৫%, ইন ফ্যাক্ট নাজাফে আলী আর কারবালায় হোসেনের মাজার থাকায় ইরাককে অনেকেই শিয়া ইসলামের দোলনা বলেন। আর সুন্নীরা সংখ্যালঘু। সুন্নী সমপ্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারণে সাদ্দাম হোসেন নিজে এমন কোনো ধার্মিক ব্যক্তি না হলেও শিয়াদেরকে কোনঠাসা করে রেখেছিলেন। আর কুর্দিরাও সংখ্যালঘু, তাঁদের ওপরও অত্যাচার হয়েছে। নূরী আল মালিকী পাশার দান উলটে দেন। তিনি ক্ষমতায় আসলে তাঁর বিশ্বস্ত শিয়া ক্লেরিক মুকতাদা আল সদরের বাহিনী এবং অন্যান্য শিয়া মিলিশিয়া সুন্নীদের ওপর প্রচণ্ড সাম্প্রদায়িক অত্যাচার করে।

    সুন্নীরা শিয়া নূরী আল মালিকী সরকারের বিরুদ্ধে একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও নেমেছিলো, আমার একুরেটলি মনে নেই তবে সম্ভবত ২০০৭-৮এর দিকে, সেই আন্দোলনকে স্টিমরোলার চালিয়ে স্রেফ পিষে ফেলা হয়েছে। ইরান সক্রিয়ভাবে মালিকী সরকারকে সমর্থন দিয়ে গেছে। এই সুন্নীবিরোধী সাম্প্রদায়িকতায়।

    আইএস (আরবিতে দায়েশ) মূলত ছিলো আল কায়েদার ইরাকি শাখা, একটা সময় পর্যন্ত, যা খুবই লিমিটেড ক্যাপাসিটির ছিলো। শিয়া মিলিশিয়া যখন সুন্নীদের ওপর অত্যাচার চালায়, খুন ধর্ষণ করে, তখন এরা সুন্নীদের মধ্যে পপুলার হয়ে ওঠে। ২০১০এ এরা মসুল দখল করে নেয়, কয়েক লাখ সৈন্যের ইরাকি সেনাবাহিনী মাত্র কয়েক হাজার জঙ্গির সাথে পারে নাই, ইউনিফর্ম ফেলে পালিয়েছে।

    গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ-আন্দোলনকে দমন করলে ফ্যাশিস্তদের উত্থান ঘটে। এটা ইতিহাসের শিক্ষা। ইরাকে সেটা একেবারে হাতে কলমে প্রমাণিত হয়েছে।

    যুদ্ধটা যদি শুধুই ইরাকের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকতো, তাহলে, সুন্নী ইসলামি জঙ্গি আইএস খুব বেশিদিন টিকতে পারতো না। কিন্তু আমরা থাকি তো একটা বিশ্বায়িত দুনিয়াতে। আবার ইরাকে শিয়ারা সংখ্যাগুরু হলেও সামগ্রিকভাবে, অর্থাৎ সারা দুনিয়ার মুসলমানদের মধ্যে, সুন্নীরা সংখ্যাগুরু। তাই দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আইএসের রিক্রুটরা আসে যাদের অনেকেই তাদের বুঝমতো সুন্নী খেলাফত কায়েম করতে চায়। কিন্তু ইরাকের সুন্নী ছেলেদের অনেকেরই খেলাফত নিয়ে কোনো হেডেক নাই, হুরপরীর লোভেও আইএসে যায় না তারা, যায় শিয়া মিলিশিয়ার হাতে অত্যাচারিত হওয়ার কারণে সাম্প্রদায়িক জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার অন্ধ আকাঙ্ক্ষায়। এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এই ভূখণ্ডেও আমরা দেখেছি। সেই চল্লিশের দশকে।

    শিয়া, সুন্নী, কুর্দি। হিন্দু, মুসলমান, শিখ। দ্যাট ওল্ড গেইম অফ ডিভাইড এন্ড রুল বাই দি কলোনিয়াল পাওয়ারস।

    সিরিয়ান রিফিউজি ক্রাইসিস নিঃসন্দেহে আইএসের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কিন্তু সিরিয়াতে যে কোনো মূল্যে বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর যে সর্বনাশা খেলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুরু করেছিলো সেটাকেও আমলে নিতে হবে আপনার। সেখানে একদিকে আসাদ-ইরান-চীন আর অন্যদিকে আমেরিকা-ইজরায়েল-তুরস্ক-সৌদি-ইইউ মিলে একটা নিওকলোনিয়াল ওয়ার চালিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। আইএস, জাবাত আল নুসরা, আর ইসলামিক ফ্রন্টের মতো ইসলামি জঙ্গিরা চাইছে সিরিয়ার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। তিন পক্ষের যুদ্ধে লাখো মানুষ মারা যাচ্ছে। সিরিয়ার শিশু তুরস্কের সমুদ্রতীরে মরে পড়ে থাকছে। এই অমানুষদের যুদ্ধে কোন পক্ষ নেবেন আপনি?

    লিবিয়ার কাদ্দাফিও নিঃসন্দেহে একজন ফ্যাশিস্ত শাসক ছিলো। কিন্তু কাদ্দাফিকে উৎখাত করে কি লিবারাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নাকি দেশটি পরিণত হয়েছে ইসলামি জঙ্গিদের সেইফ হ্যাভেনে? হিলারি ক্লিটন একা দেশটিকে ধবংস করে দিয়েছেন, ওয়ালস্ট্রিটের সেই মহীয়সী লিবারালরা যাকে ভালো ভাবেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে!

    আপনারা বিশ্বাস করেন ওয়ার অন টেররের রূপকথায়? সুন্নী ইসলামি জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সৌদি রাজতন্ত্র আর পাকিস্তানের আইএসআই, আজ পর্যন্ত এদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই, বরং এদের কোলে নিয়ে "জঙ্গিবাদ নির্মূলে" নেমেছে। আপনি যার নির্মূল করতে চান তার ইয়ারদোস্তদের সাথে হুইস্কি গিলে আপনি তারে কোন গায়েবি তরিকায় নির্মূল করবেন?

    এবার আমি আমার সোনার বাংলার মানচিত্রে ফিরি।

    আমাদের এখানে ইসলামি জঙ্গিবাদ ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে সেই বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ে। সেই একই সময় চালু হয় ক্রসফায়ার কালচার। র‍্যাব গঠিত হয় ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইচ্ছায়। শুরুতে জেএমবির বাংলা ভাইদেরকে স্থানীয় পুলিশ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে স্থানীয় কমিউনিস্ট নিধনে, পরে যখন ইসলামি জঙ্গিবাদ একটা ন্যাশনাল ইস্যু হয়ে ওঠে, কিছু ইসলামি জঙ্গিকে শাস্তি দেয়া হয়। এইটা একটা খেলা। কর্পোরেট পুঁজির অবাধ প্রবেশাধিকারের জন্য সুপরিকল্পিত খেলা। ক্রিয়েটিং আ গুড ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট বলে এটাকে।

    ১/১১এর ব্যাসিস অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়েছিলো। বিএনপি-জামাত বোঝে নাই। যখন বুঝেছে ততোদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।

    আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতায় আসে ২০০৯ সালে। ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত যে পলিটিকাল এন্ড ইকোনমিক ডেভলাপমেন্ট, সেটা যদি খুব ক্লোজলি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন ভারত-রাশিয়া-চীন এই সরকারের কাছ থেকে যা পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার একশ ভাগের এক ভাগও পায় নাই। শুধু টিকফায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেট ভরে না। এবং আওয়ামি লিগের ফার্স্ট টার্মের শুরুতেই বিডিআর বিদ্রোহের কারণে আরেকটু হলে আর্মি আবার ক্ষমতায় চলে আসতে যাচ্ছিলো। শেখ হাসিনা যেহেতু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, রাজনীতি ভালোই জানেন, তাই সেই যাত্রায় গদি রক্ষা করতে পেরেছেন। এবং সরকারও তাই আর্মিকে প্রচুর সুযোগসুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু যেই বাঘ একবার রক্তের স্বাদ পেয়েছে, সে খাঁচায় থাকতে চাইবে না, এমনকি সোনায় মোড়ানো খাঁচাতেও না। এবং এই জামানায় আর্মি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মতো আকস্মিকভাবে যাত্রাদলের বিবেকের মতো ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে না, এটা আশির দশক না, এটা ওয়ার অন টেররিজমের কাল। তনু ধর্ষণ হত্যার কেইসটা বিবেচনা করতে পারেন। শেখ মুজিবের আমলে ক্যান্টনমেন্টে ধর্ষিতার লাশ পাওয়া গেলে, যতো বড়ো আর্মি অফিসার বা তার রিলেটিভই যুক্ত থাকুক না কেনো, খুব দ্রুত বিচার হয়ে যেতো। কারণ তখন আর্মির সাথে দ্বন্দ্ব ছিলো আওয়ামি লিগের, বা আরো বিশিষ্টভাবে বললে, রক্ষীবাহিনীর। আজকে এই যে তনুর পরিবার বিচার পেলো না, কেননা আওয়ামি লিগ এখন আর আর্মিকে আগের মতো খারাপ চোখে দেখে না, আর দেখলেও আর্মি ইনভলভড এমন কোনো ক্রাইমের বিচার করার নৈতিক সাহস নাই তার। পুলিশ আর র‍্যাব পরিণত হয়েছে আজকের রক্ষীবাহিনীতে। তবে এরাও আজ আর্মির প্রতি বিরূপ না, অন্তত ১৯৭১ পরবর্তী-কালের রক্ষীবাহিনী আর সেনাবাহিনীর দ্বন্দ্ব, আজকের পুলিশ-র‍্যাব আর আর্মির মধ্যে ঐতিহাসিক কারণেই পাবেন না। যখনই ফাহিম বা শরিফুলের মতো কোনো জঙ্গি ধরা পড়ছে, তাদেরকে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের নামে মেরে ফেলা হচ্ছে, কারণ সরকার জানে জঙ্গিদের পেছনে অনেক বড়ো কারো মদদ আছে। কোনো তদন্ত ছাড়া সরকার বিএনপি-জামাতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে আর দাবি করছে দেশে নাকি কোনো জঙ্গি নাই। এখান থেকে স্রেফ একটা সিদ্ধান্তেই পৌঁছানো যায়।

    হয় সরকার নিজেই সমস্ত জঙ্গিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, অথবা যারা করছে, সে তাদের সাথে আপোস করে থাকতে চাইছে। ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। আমার ধারণা দুটি সম্ভাবনার মধ্যে দ্বিতীয়টি সত্য।

    সেই ক্ষেত্রে সে কাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে? এই দেশে আওয়ামি জোট আর বিএনপি জোটের বাইরে এমন কোনো সংগঠিত শক্তি আছে যাদের জঙ্গিদের মদদ দেয়ার মতন অর্থ, অস্ত্র, ইন্টিলিজেন্স সবই আছে? অনুমান করতে পারেন?

    হ্যাঁ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আমার কাছে কোনো সলিড এভিডেন্স নাই অবশ্য। তবে ঘটনাপ্রবাহের বিকাশ তাদের দিকেই ইঙ্গিত করে।

    আর্মি চাইছে একটা মাস হিস্টেরিয়া তৈরি হোক। সিভিল সোসাইটি আর কর্পোরেট পুঁজির যেই সেকশনগুলো আওয়ামি আর বিএনপি জোট উভয়ের ওপর বিরক্ত এবং ১/১১ থেকেই সেনাবাহিনীর গুণমুগ্ধ, তারা, আর্মির এই মাস হিস্টেরিয়া প্রজেক্টে অংশ নিচ্ছে। তারা দেশে একটা সিভিল-মিলিটারি-কর্পোরেট ডেমোক্রেসি দেখতে চায়।

    শাহবাগ আন্দোলন কোনো একমাত্রিক আন্দোলন ছিলো না, সেখানে বিভিন্ন ধরণের সামাজিক শক্তির সমাবেশ ঘটেছিলো, যারা বিভিন্ন মতাদর্শের। শাহবাগ আন্দোলনকারীদের যেই অংশটা আওয়ামি লিগ সমর্থকও না, আবার লেফটিস্টও না, আমার কেনো জানি মনে হয় তাঁদের অনেকেই বুঝে না বুঝে আর্মির এই রাষ্ট্রপ্রকল্পের অংশীদার হয়ে যাচ্ছেন। যেহেতু আওয়ামি লিগ সরকার লাগামহীন লুটপাট আর সীমাহীন সহিংসতার মাধ্যমে দেশে একটা ফ্যাশিস্ত রাজত্ব তৈরি করেছে; বিএনপি বিলুপ্ত, জামাত দিশেহারা, আর বামপন্থীরা বিভক্ত; তাই এরা যে-কোনো মূল্যে আওয়ামি লিগ সরকারের পতন দেখতে চান। সেটা সিভিল-কর্পোরেট ফেইসে আসা সামরিক শাসন হলেও। আর্মি এটাই চায়। যতো ইসলামি জঙ্গিরা লাইমলাইটে আসবে, যতো নৃশংসতার শিকার হবেন ব্লগার-পাদ্রী-পুরোহিত-মুয়াজ্জিন-ভিক্ষু-শিয়া-শিক্ষক, ততোই সামরিক শাসনের জন্য সম্মতি উৎপাদিত হবে। এই দেশের জঙ্গিরা মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিদের তুলনায় এমেচার, এদের পক্ষে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা সম্ভব নয়, তবে এদেরকে ব্যবহার করে পানি ঘোলা করে আর্মির পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া খুবই সম্ভব।

    গুলশান এটাককে আমি এই প্রেক্ষাপটেই স্থাপন করবো। বাংলাদেশের জনগণ যদি আন্তরিকভাবে চান তাহলে আওয়ামি জোট, বিএনপি জোট, এবং সিভিল-মিলিটারি-কর্পোরেটদের এই ক্ষমতার পাশা খেলার শিকার হওয়া বা হাতিয়ার হওয়ার নির্মম বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু সেই জন্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে জনগণের ভেতর থেকে, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়, এবং এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া যার কোনো শর্টকাট নাই।

    খেলা হবে, তবে আপনি নিজে খেলবেন না অন্যের খেলার পুতুল হবেন, সেই সিদ্ধান্তটা কিন্তু আপনাকেই নিতে হবে।"
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:১২707575
  • বন্ধু তৃষিয়া নাশতারান-এর বন্ধুদের জন্য দেওয়া এই স্ট্যাটাস তাঁর অনুমতিক্রমে তাঁর নামসহ দিলাম।

    "হাসনাত সাহেব সপরিবারে সুরা বলতে পেরেছেন। তাই তারা বেঁচে গেছেন। তার স্ত্রী হিজাব করেন বলে খাতির পেয়েছেন। সপরিবারে রাতের খাবার পেয়েছেন। এবং সেটা তারা খেয়েছেন। ৮ আর ১৩ বছর বয়েসি দুটি শিশু জানলো সুরা না পারা, হিজাব না পরা মানুষেরা কতলযোগ্য। তাদের তাজা রক্তের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে রাতের খাবার খাওয়া তাদের ইমানি অধিকার।
    এরাই আমাদের ভবিষ্যত। হায় ভবিষ্যৎ!"
  • সে | 198.155.168.109 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:৪৬707586
  • এই লাস্ট পোস্টটা যদি সত্যি হয়, তাহলে কিছুই বলবার নেই।
  • cb | 208.147.160.75 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:৫৩707445
  • না খেলে যে প্রাণ যেতে পারত। কি অল্টারনেটিভ ছিল? প্রাণের স্টেক যেখানে সেখানে কিই আর করবে ?

    বিস্তারিত জানি না তবে জিম্মি অবস্থায় সাধারণভাবে চিন্তার ক্ষমতা নাও থাকতে পারে
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:৫৮707456
  • ভিডিও যেটা দেখলাম রেস্টুরেন্টের, সেটায় হাসনাত সাহেবকে মোটেও নার্ভাস বা অমনি কিছু লাগল না। বেশ সহজ স্বাভাবিক যেন এমনটাই হওয়ার কথা, সুরা বলতে পারা, হিজব পরা ইত্যাদি হলে তো খুন হবার কথাই নয়।
    বেশ কিছু বক্তব্যও দেখলাম লোকজনের।

    ভিডিওটা পুরো দেখি নি এখনও দেখে নিয়ে পরে দিচ্ছি। অফিস থেকে হবে না।
  • cb | 208.147.160.75 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:৫৯707467
  • ও ভিডিও আছে। এটা তার প্রতিক্রিয়া। সেটা বুঝতে পারি নি
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৬:২০707489
  • চরম উদাস

    "সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নেই৷ তবে সন্ত্রাসীর ধর্ম আছে৷ সেই ধর্মের নাম ইসলাম৷ যতই সেটা প্রকৃত ইসলাম না বলে আপনি হাত ধুয়ে ফেলতে চান না কেন, সন্ত্রাসীর কাছে সেটাই প্রকৃত ইসলাম৷ আপনার ইসলামের জন্য আপনি কি করতে পারেন জানি না৷ তবে তার ইসলামের জন্য সে জান নিতে পারে দিতেও পারে৷ সেই জান দেয়া এবং নেয়ার মাঝেই তার এবং তার ইসলামের মঙ্গল নিহিত আছে সেটা সে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে৷ এই সহজ সত্যিটুকু যতদিন সহজ ভাষায় স্বীকার না করতে পারবেন ততদিন পর্যন্ত আপনার আর তাদের মাঝে পার্থক্য তেমন নেই৷

    ঘরের মাঝে এত্ত বড় একটা হাতি আছে৷ এই হাতি আমার না, আমার না বলে দিনরাত চিক্কুর দিয়ে সব শক্তি শেষ করে ফেলছেন৷ আর সেই হাতি খেদানোর জন্য সামান্য শক্তিও ব্যয় করছেন না৷ দিনরাত এটা আমার হাতি না, আমার হাতি না বলে চিৎকার করে গেলেও মনের গভীরে ঠিকই আপনি আশা নিয়ে বসে আছেন, আরে না রে, এই হাতি আমাকে মারবে না রে৷ হাতি আপনার না কিন্তু আপনি যে ঠিকই হাতির হয়ে বসে আছেন৷"
  • সে | 198.155.168.109 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৬:৪৭707500
  • হাতিটাকে কেউ দেখেও দেখতে পেত না। পোলিটিক্যাল কারেক্টনেসের জন্য। দেখতে পেলেই তখন পোলিটিক্যালি সহিহ রা এসে বলত, বমোটেই না, এটা হাতি নয়, তুমি বিধর্মী বা চাড্ডি, তাই ওরকম বলছ।
    কিন্তু এখন গুলশান ঘটনার পরে, এদের কথার টোন বদলাচ্ছে।
  • আপডেট | 165.136.80.163 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৭:১৭707505
  • এখানেই দিই।

    মার্কেটে যে কনস্পিরেসি থিওরিটা ঘুরছে, ফারাজ প্রথম আলোর মালিকের নাতি, সম্ভাব্য জঙ্গী ইত্যাদি ইত্যাদি, এটি প্রসব করেছেন জনৈকা "জুই সরকার", পোর্টাল বাংলাদেশ নামক মিডিয়ার তরফে। আমি গিয়ে যখন আমার সন্দেহ জানালাম, প্রথমে তো একজনকে দিয়ে পাঁঠা, বেজম্মা ইত্যাদি বলে সম্ভাষণ করা হল, এখন দেখি জুই সরকার তানিম মাহবুব রাজুর পোস্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করছেন নতুন নতুন সম্ভাব্য "কনস্পিরেসি থিওরি" হিসেবে।

    ইকোয়েশনটা এইবারে মিলছে।
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৭:১৯707506
  • ইত্তেফাকে নাকি বেরিয়েছে হাসনাত সায়েবকে হিজবুত তাহরীরের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
    এই খবরটা খুঁজছি। কেউ পেলে এখানে লিঙ্ক দিও তো।
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৭:২০707507
  • হ্যাঁ তানিম রাজু'র গুরুতে আবার একটা টই খোলার সময় হয়েছে।
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৭:৫২707510
  • ডিনায়াল ডিনায়াল।
    যেখানে আইএসের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লশের ছবি আপডেট হচ্ছে সেখানে ...........

  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:১০707511
  • হ্যাঁ ঐটা।

    রফিউল সাব্বির

    "নিবরাসকে পারসোনালি চেনেন এবং অনেকদিন ধরে চেনেন এমন কয়েকজন নক দিছিলেন আমি পোষ্ট দেয়ার পর। তাদের সাথে কথা বলে জানলামঃ

    নিবরাস নর্থসাউথে ভর্তি হইছিলো এ-লেভেল করে, ১ বছর পর মালয়েশিয়াতে চলে যায় মোনাশে। সেখানে বছর তিনেক পড়ার পরে সিএসই ভালো লাগছে না বলে দেশে চলে আসে এবং নর্থ সাউথে ভর্তি হয় বিবিএ'তে। নিবরাস খালি বড়লোক না, খুবই বড়লোকের ছেলে। তার বাবা ঢাকা শহরে মার্সিডিজ চালায়, তাদের ওয়ারিতে পৈতৃক বাড়ি আছে, উত্তরাতে আছে ১০তলা বাড়ি। ২০০৩ সাল পর্যন্ত নিবরাসরা ওয়ারিতেই থাকতো তারপরে উত্তরা চলে যায়। নিবরাসের এক চাচা অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, এক চাচা সায়েন্স ল্যাবের সায়েন্টিস্ট, আরেক চাচা ধানমন্ডি থানার এএসপি। গত বছরখানেক ধরে সে দেশেই আছে, খুব ভালো ফুটবল খেলতো। গতমাসে কাজিনের এনগেজমেন্ট ছিলো ওয়ারিতে, নিবরাসের আসার কথা থাকলেও আসেনি তবে সে নিখোঁজ ছিলো নাকি এই তথ্য কেউ দিতে পারেনি। যাদের সাথে কথা বলছি তারা নিবরাসকে রিসেন্টলি দেখেনি কিন্তু খুব ভালোভাবে চেনে এবং সবাইই একটা কথাই বলছে 'ভাই!! ও খুবই হাসি-খুশি ভালো ছেলে, এমন করার ছেলে না।'।

    আমার ভয় এই লাস্ট লাইনটাতেই। তার আশেপাশের সবাই তাকে ভালো ছেলে হিসাবে চেনে, কেউই বিশ্বাস করতে পারতেছে না যে নিবরাস এমন করতে পারে। সে অভাবী না, তার পরিবারের সাথে সম্পর্ক খারাপ না তাই মেন্টালি সে খারাপ আছে এমন তথ্য কেউ বলেনি বরং পরিবারের আদরের ছেলেই ছিলো। বড়লোক ব্যবসায়ী বাবার একমাত্র ছেলে হিসাবে যথেষ্ঠ প্রাচুর্যের মধ্যেই সে বড় হইছে। সম্ভবত মালয়েশিয়া যেয়ে সে কোনোভাবে এই র‍্যাডিকালিজমের প্রতি ঝুঁকে যায় এবং দেশে ফিরে আসে। হয়তো ট্রেনিংও নিয়ে আসছে ঐখান থেকেই।

    এর আগে যখন মাদ্রাসার ছেলেরা র‍্যাডিক্যাল কাজ করছে সবাই বলছে মাদ্রাসা বন্ধ করতে। কিন্তু এই ঘটনাটাতে অংশ নেয়া প্রতিটা ছেলে শিক্ষিত, ভালো ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা, ভালো ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে এবং এদের সবার আশেপাশের মানুষেরা এদের ভালো এবং ভদ্র ছেলে হিসাবেই জানে। এখন কি ইংলিশ মিডিয়াম/প্রাইভেট ইউনি বন্ধ করার কথা বলা হবে? এইগুলা বন্ধ করে লাভ নাই; সমস্যাটা মাদ্রাসা/ইংলিশ মিডিয়াম/প্রাইভেটে না, সমস্যাটা আইডিয়োলজিতে।

    আইডিয়োলজির সবচেয়ে খারাপ দিক হলো আইডিয়োলজিতে বিশ্বাসীদের মারা যায়, আইডিয়োলজি মরে না। লাদেন মারা গেছে, আল কায়েদার আইডিয়োলজি মরে নাই; তালেবান সব বড় নেতা মারা গেছে, তাদের শরিয়া ফিরায়ে আনার আইডিয়োলজি মরে নাই; একইভাবে আইসিস'র অনেকেই মারা গেছে কিন্তু তাদের আইডিয়োলজি ঠিকই অনেকে বয়ে বেড়াচ্ছে; সেটা প্রোপ্রাগেট হইছে, হচ্ছে নানাদিকে নানাভাবে। আগে র‍্যাডিকালিস্টদের টার্গট ছিলো এতিম মাদ্রাসার ছাত্ররা, এখন ধনীর দুলালেরা। ব্রেনওয়াশের ব্যাপারে র‍্যাডিকালিস্টরা বরাবরই অনেক দক্ষ; তারা জানে কাকে ধরলে কাজ হবে, কাকে দিয়ে কিভাবে কাজ করানো যাবে তার উদারহণ এই ধনী পরিবারের ছেলেরা।

    এই ঘটনা আমাদের কিছু ব্যাপারে চোখে আঙ্গুল দিয়ে সতর্ক করে। আমাদের আশেপাশেই হয়তো এইসব আইডিয়োলজি বয়ে বেড়ানো ছেলেমেয়ে আছে যাদের আমরা 'নম্র, ভদ্র, ভালো ছেলে' হিসাবেই চিনি। পারিবারিক শিক্ষা যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝার সময় হইছে। সবকিছুতেই 'এইগুলা অমক রাজনৈতিক দল/গ্রুপের কাজ' বলে জেনারালাইজ করার দিন শেষ। আপনার ছেলে/ভাই/বন্ধু কার সাথে মেশে, কি বিষয়ক বই পড়ে, কি বিষয়ক লেখা ফেসবুকে পড়ে, ইউটিউবে কিসের ভিডিও দেখে, গুগলে কি নিয়ে সার্চ করে এইগুলা নিয়ের ভাবার সময় আসছে। সামনে আরো অনেক নিবরাস আসবে যাদের আমরা ভালো ফ্যামিলির ভালো ছেলে হিসাবেই চিনি, যারা ২০/২৫/৩০ জন মানুষকে জবাই করে ফেলবে কোনধরনের হাতকাপা ছাড়া।

    সব ভালো ভালো না এটা বোঝার সময় আসছে। সময় থাকতে সাবধান হউন।"
  • pi | 24.139.209.3 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:২৬707512
  • ফেবু গ্রুপে যা পারছে বকে যাচ্ছে তনিম। একজন প্রফেসরকে দেখি বিশেষ করে আক্রমণ করে। এই তানিমের প্রোফাইল ফেক না হলে সত্যি চিন্তার বিষয়।

    ওদিকে এখন একজন সফিউল ইসলামের পরিচয় ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাঁর স্ত্রী মৃতদেহ দেখে ( নাকি মৃতদেহের ছবি দেখে ?, মৃতদেহ বোধহয় আত্মীয়দের হাতেও দেওয়া হয়নি), ওঁর স্বামী বলে শনাক্ত করেছেন, তিনি আবার ছিলেন ঐ বেকারির শেফ। উনি নিজেই নাকি নাকি আক্রমণকারী বলে একটা কথা ঘুরছে। এদিকে আইসিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবিগুলোতে এই ছবি নেই বলে পুরো ধাঁধা কেস।

    আর আল-কায়দা ভারতের আইপিএস আই এ এস দের খুনের কল দিয়েছে শুনলাম।
  • ডিনায়ালের কারণ | 165.136.80.163 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:২৭707513
  • ডিনায়ালের কারণ হল বিএনপি। খালেদা জিয়া হাসিনার ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছেন, যদি প্রমাণ করে দেওয়া যায় বাংলাদেশে আইএসের প্রেজেন্স, তা হলে সরকার উল্টে ফেলা অনেক অহজ হয়ে যাবে, নিরাপত্তার অভাব - এই অজুহাত দেখিয়ে। তাই হাসিনার কাছে এখন মস্ত টাস্ক, যে কোনওভাবে এই হামলাকে হোমগ্রোন টেরর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। নইলে সরকারের আয়ু শেষ।
  • সে | 198.155.168.109 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:৩১707514
  • "পারিবারিক শিক্ষা যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝার সময় হইছে। সবকিছুতেই 'এইগুলা অমক রাজনৈতিক দল/গ্রুপের কাজ..."

    হক কথা।
  • পারিবারিক শিক্ষা? | 165.136.80.163 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:৩৪707515
  • নিবরাস নয়, অন্য একটা জঙ্গীর বাড়ির খবর পড়ছিলাম, অ্যাপারেন্টলি মডারেট মুসলিম, সেকুলারিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী। জেনেছিলেন ছেলে একটু ইসলাম ঘেঁষা হয়ে পড়েছে, কিন্তু সে যে আইএসের আইডিওলজিতে সাবস্ক্রাইব করে বসেছে, বাড়ির লোকে টেরও পান নি।
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:৩৭707516
  • সেটা একটা কারণ। অন্য কারণ হল আমেরিকা আইসিসের উত্থান নিয়ে এবং বাংলাদেশে তার লিঙ্ক নিয়ে আগে সতর্ক করেছে। অভিজিৎ খুন হওয়ার পর এফবিআই থেকে টিম পাঠিয়েছিল। তো, এমতাবস্থায় আইসিসের হাত আছে এটা প্রমাণ হলে আমেরিকা আবার 'গণতর্ন্ত্র রক্ষায় সাহায্য' করতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইতে পারে।

    সেজন্যও খানিকটা আইসিসের উপস্থিতি অস্বীকার Kঅরেন হাসিনা বলে আমার মনে হয়েছে।
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:৪৪707517
  • *গণতন্ত্র
  • ছটা দশের পোস্ট | 198.155.168.109 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:৪৫707518
  • এ আছে। ওখান থেকেই কোট করেছি।
  • একটু | 165.136.80.163 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:৪৭707519
  • তানিমের বাণী কপি পেস্ট করা যাবে এখানে? মনে, দুদিকের ভয়েসই থাউক আর কি।
  • d | 116.221.141.101 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:৫৬707521
  • ভয়েসের নিকুচি করেছে। আমি তানিমের কথা পড়তে চাই না।

    এমনিতেও শীগগির গুরুতে টই খুলে বকবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন