এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুলশান ঢাকা - প্রতিক্রিয়াসমুহ ও কিছু ভাবনা

    লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৪ জুলাই ২০১৬ | ২২৪৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • umesh | 72.254.195.217 | ০৮ জুলাই ২০১৬ ১৩:২২707469
  • একেই বলে আল্লা কৃপা।

    নিজেই এমন ব্যবস্থা করে দিয়েছে যে, কলকাতা এয়ারপোর্টের আর খুব বেশী দরকার পরে না।
  • umesh | 72.254.195.217 | ০৮ জুলাই ২০১৬ ১৩:২৪707470
  • মন্দির থাকলেও কথাটা বদলে দিতাম না, শুধু আল্লার জায়গাতে ভগবান বলতাম।
  • cm | 127.247.98.48 | ০৮ জুলাই ২০১৬ ১৫:৪৪707471
  • তাত্বিকদের এই হল সমস্যা। স্কেল বললামনা ওটি হল আসল। আর দেখুন চেষ্টা করে জ্ঞানের বাণী দিয়ে একটি ঘটনাও আটকাতে পারেন কিনা। এর একটিই সমাধান।
  • PM | 59.14.112.52 | ০৮ জুলাই ২০১৬ ১৭:১৫707472
  • কি সেই সমাধান? ঃ)
  • cm | 127.247.98.48 | ০৮ জুলাই ২০১৬ ১৮:০৮707473
  • সবাইকে নিজের ভাল কিসে হয় বুঝতে শেখান। গরীবকে কেউ ধাপ্পা দিচ্ছে কিনা (সেটা মাথায় ঘোমটা দিয়েও হতে পারে আবার ধর্মরাজ্যের গপ্পও হতে পারে। সিএজি রিপোর্ট না দেখিয়েই একটা সরকার চলে গেল) সেটা সে ধরতে না শিখলে এ জিনিস চলবে।
  • PM | 59.14.112.52 | ০৮ জুলাই ২০১৬ ১৮:২২707474
  • ও বাব্বা, এতো বিরাট কাজ। বৃটিশরাই গুচ্ছ গুলতাপ্পি আর ধাপ্পা খেয়ে বসে আছে, আমরা তো কোন হনু ঃ)
  • কল্লোল | 111.59.16.42 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৭:৫১707475
  • পিটি। সোজা প্রশ্নের সোজা জবাব চাইছি। ট্রামে-বাসে, চায়ের দোকানে, নিজের বসার ঘরে যদি মৌলবাদী কথাবার্তা শোন তো প্রাতিবাদ করবে কি? হ্যাঁ কি না।
    এখানে তো ঘুরিয়ে হলেও "কাটা" শব্দটি নিয়ে তোমার আপত্তি জানালে। তেমনই অন্য পাবলিক স্ফিয়ারেও প্রাতিবাদ করবে কি না, সেটাই জানতে চাইলাম। তার মধ্যে কে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে কি নেই তার সম্পর্ক আছে কি?
    আমার মত, যে কোন পরিস্থিতিতে প্রাতিবাদ করাটা এখান নিতান্ত প্রয়োজন। তাতে হয়তো খিল্লি শুনতে হতে পারে। সেই ঝুঁকি নিয়েও প্রাতিবাদ করাটা নিতান্তই দরকারী।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৭:৫৩707476
  • কল্লোলদার কথাটা গ্রুপে শেয়ার করছি না। আপত্তি নেই তো ?
  • Ekak | 53.224.129.52 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৭:৫৮707477
  • যখন মসজিদ থেকে সূরা তাওবা ভেসে আসে যে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যেখানেই অবিশ্বাসীদের পাবেন ধ্বংস করুন , সেটা শুনতে পেলে কী করবো ? :( মৌলবাদী কথা না ? নাকি তাই নিয়ে বললে ঠিক থাকে লেলী হওয়া যাবেনা ? :)
  • Ekak | 53.224.129.52 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:০০707479
  • ও হ্যা , কুর আন , চ্যাপ্টার ফাইভ , সূরা নাম্বার 6 । লিখে দিলুম , নইলে আবার এখানে প্রায় ই জনতাকে আঁতকে উঠতে শুনি কুরআনে সত্যি এসব আছে কিনা ইত্যাদি :) এরপরেও অবশ্য "প্রেক্ষিত " আসবে । ধান ফেলতে ভাঙা .....
  • dd | 116.51.225.127 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:০৩707480
  • কিন্তু হে কল্লোল, "মৌলবাদী" কথাবার্ত্তা ডিফাইন করবে কে ? এবং কিভাবে?

    খাগরাগরের সমর্থক বা ফারাবীর ফ্যান? এঁরাও মৌলবাদী তো ?
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:০৪707481
  • সবাইকে জিলিপি খাওয়ানো হোক।
    ডিঃ জাস্ট এমনি বল্লাম। কেউ রাগবেন না যেন। ঃ-)
  • cm | 127.247.96.214 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:০৮707482
  • অথবা দুহাত তুলে নৃত্যগীত সহযোগে নিমাইবাবুর ঢং এ প্রেমধর্ম প্রচার করতে পারেন।

    অবশ্য সেটা নিজেই মৌলবাদী প্রচার হিসেবে ক্লাসিফায়েড হবে কিনা বলতে পারিনে।
  • Du | 183.74.36.153 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:১০707483
  • আল্লাহ সর্বশক্তিমান। সুতরাং ধ্বংশ করবার হলে তিনি~ই করবেন -- হে বিশ্বাসী, আল্লাহের আপনার সহায়তার প্রয়োজন নাই।
  • কল্লোল | 111.59.16.42 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:১০707484
  • ডিডি। তুমি যদি মৌলবাদী মনে কর, তাহলেই হবে।
  • কল্লোল | 111.59.16.42 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:১২707485
  • একক। পরিচিত মুসলমান বন্ধুদের সাথে কথা বলুন এটা নিয়ে।
  • Ekak | 53.224.129.52 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:১৩707486
  • কল্লোলদা যেটা আবেগের বসে প্রমোট করছেনা ওটা হবে "মিসোজিনি" দাগিয়ে হাউন্ডিং মতো এর আরেকটা রাজনৈতিক ব্লান্ডার । কোনটা মৌলবাদী সেটা নির্ণয় করে ঝাঁপিয়ে পড়ার অধিকার কেও আমাদের দেয়নি । লেট পিপল স্পিক দেয়ার মাইন্ড । এর সঙ্গে জাস্টিসের কোনো সম্পর্ক নেই । আমি সবাইকে ঘৃণা করবো , নেড়ে দের নিন্দা করবো , চিনকি দের নিন্দা করবো কিন্তু তাই দিয়ে ডিফাইন হবেনা যে সিভিল রাইটস এ কার অধিকার কম বেশি । রাষ্ট্রের চোখে সবাই সমান । আসুন অমুক বাদ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি এই হুজুক তুল্লে মবিং ছাড়া কিচ্ছু প্রশ্রয় পাবেনা । সবাই নিজের মতো করে হনু হয়ে অন্যের ঘাড়ে চাপার চেষ্টা করবে । যেখানে দেখবেন রাইটস বিঘ্নিত হচ্ছে সেখানে রিপোর্ট করুন , ন্যায় পেতে সাহায্য করুন । বাদ এর বাদানুবাদে রাষ্ট্র হাত ধুয়ে ফেলে , তাকে সেই সুযোগ করে দেবেন না ।
  • Ekak | 53.224.129.52 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:১৬707487
  • যা বাব্বা । সূরা তৌবা যে কি লেখা আছে তাই নিয়ে যদি পরিচিত মুসলমান বন্ধু দের মতামত নিতে হয় তাহলে তো মনু সংহিতাতে কি লেখা আছে তাই নিয়েও পরিচিত মনুপন্থী বন্ধু দের মতামত নিতে হয় । তারা তো দোনোমোনা করে কাটিয়ে যাবে যেমন যায় । প্রতিবাদ মানে তো ঝুঁকি নিয়ে হৈ চৈ পাকানো , সোজা গিয়ে মসজিদ এর মাইক কেড়ে নেওয়া বা পুলিশে নালিশ করা । তার জন্যে মুসলমান বন্ধু খুঁজবো ক্যানো ।

    আর আমার মুসলিম বন্ধুরা বেসিক্যালি শুয়োরখেকো বেনামাযী পাবলিক , তারা সূরা তৌবা বলতে পারলে আমি আশ্চর্য হবো সবচে বেশি :):) :)
  • PT | 213.110.242.7 | ০৯ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩২707488
  • "ট্রামে-বাসে, চায়ের দোকানে, নিজের বসার ঘরে যদি মৌলবাদী কথাবার্তা শোন তো প্রাতিবাদ করবে কি? "

    কি নিয়ে এবং কোথায়?
    যেকোন সময়েই মাইকে তারস্বরে সংকির্তন বা আজান শুনলে সেটাকেই আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও মৌলবাদের চর্চা বলে মনে হয় আর পিত্তি জ্বলে যায়।
    যে রাজ্যের সবচাইতে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিত্ব এইসব চর্চায় সরাসরি জড়িত সেখানে তুমি প্রতিবাদ জানাবে? ছাগল পাবলিক পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে দেবে।
  • d | 24.97.133.108 | ১৪ জুলাই ২০১৬ ১৩:৫৬707490
  • অনীক আন্দালিব লিখছেন

    "গুলশানে আইসিসের জঙ্গি আক্রমণের দুই সপ্তাহ পূর্ণ হলো আজ।

    খবরের কাগজে নিহতদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এসেছে। জঙ্গিরা কীভাবে হত্যা করেছে, কতটা পাশবিক নির্যাতন করে মেরেছে তা পড়লাম। আমি খুব শক্ত স্নায়ুর মানুষ। কিন্তু এই রিপোর্ট পড়ে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। হলি আর্টিসান বেকারিতে যারা খুন হয়েছেন, তারা রক্তমাংশের মানুষ ছিলেন। তাদের পরিবার ছিল। বন্ধুবান্ধব ছিল। ভালোবাসার এবং ঘৃণার মানুষ ছিল। তাদেরকে কীভাবে একটু একটু করে মারা হয়েছে সে বর্ণনা পড়তে গিয়ে বিচলিত হয়েছি। নির্বিকার থাকতে পারি নি। সবচেয়ে বেশি আঘাত করা হয়েছে নারীদের। তাদের সারা শরীরে চাপাতি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বাংলাদেশি ছাত্রীটির মাথায় ভারি কোনকিছু দিয়ে আঘাতের লক্ষণ আছে। ভারি কিছুর আঘাত অর্থাৎ সম্ভবত তার মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছিল। সকলের শরীরে, হাতে, পেটে, বুকে ছুরির আঘাতের চিহ্ন আছে। একজন নারীর পেটে ও বুকে তিরিশবার ছুরির কোপ আছে। তিরিশবার! একজন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাত করার পাশাপাশি তার পেটে থাকা শিশুকেও আঘাত করা হয়েছে। সাত মাসের শিশুর চেহারার আদল বোঝা যায়। মায়ের জঠরের ভেতর মাতৃকা রসে মাখামাখি শিশু নড়ে চড়ে বেড়ায়, মাঝে মাঝে মায়ের পেটে লাথি দেয়। আলট্রাসনোগ্রামে দেখা যায় সে ঘুমের ভেতরেই চোখ বন্ধ করে মুচকি হাসছে, মাঝে মাঝে পায়ের আঙুল নাড়াচ্ছে, চিকন হাত দিয়ে নিজের মুখে বোলাচ্ছে। মায়ের ভেতরে নিরাপদে, নিশ্চিন্তে ঘুমুতে থাকে এই শিশুকেও ছুরি আর চাপাতি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।আর শেষ পর্যন্ত এদের বিশ জনকেই জবাই করা হয়েছে। রক্তে ভেসে যাওয়া মেঝের ছবি আমরা দেখেছি। সেই রক্তে উপুড় ও কাত হয়ে থাকা নিথর লাশের ছবি দেখেছি। এই লাশগুলো কিছুক্ষণ আগেই হাসিখুশি জীবন্ত মানুষ ছিলেন। এরা এক ছুটির দিনের সন্ধ্যায় খেতে গিয়েছিলেন হলি আর্টিসানে। যেমন আমরা সকলেই যাই। তারা কোন যুদ্ধে যান নি, তেমন কোন খবরও পান নি যে দেশে যুদ্ধাবস্থা। কোন আগাম-সংকেত পান নি যে অচিরেই তাদেরকে কোরবানির পশুর চেয়েও নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হবে।

    আমাদের সম্মিলিত মননে এগুলো সম্ভবত আর কোন দাগ কাটে না। বলছি - কেননা মাত্র দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসে ফিরে গিয়েছি। মাঝে অবশ্য ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় এসব ভুলতে সুবিধা হয়েছে। ঈদে আমরা নামাজ পড়ে পরিবারের সাথে ঈদ পালন করেছি, ঘুরতে গিয়েছি অনেকেই। আমরা টিভির বিভিন্ন চ্যানেলের নাটক দেখে সেগুলো নিয়ে মতামত দিয়েছি! কোন নাটকটি ভাল বানিয়েছে, কোন চ্যানেলে নাটকের মাঝে বেশি বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে। কেউ কেউ বলেছি, এত বেশি বিজ্ঞাপন দেখায় বলেই নাকি জঙ্গি হয়! কী নিষ্ঠুর অসংবেদনশীলতা! কী অকল্পনীয় অমানবিকতা! মনে হচ্ছে আমরা বোকাবাক্সের সামনে বসে থাকা জাবর কাটা গবাদি পশুবিশেষ। যারা কেবল নিষ্পলক টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে গোগ্রাসে গিলতে থাকি মিডিয়া পর্নোগ্রাফি। দেখতে থাকি জঙ্গিদের বাবা-মায়ের অশ্রু - আহা রে, তার এত সুন্দর চেহারার ছেলেটি ভুল বুঝে ভুল করে জঙ্গি হয়ে গেছে। একটু ভালোবাসা, একটু সহমর্মিতা পেলেই হয়তো তারা জঙ্গি হতো না। এগুলো দেখি আর শুনি আর মাথা নেড়ে একমত হই। অথবা আমরা ক্রাশ খাই এইসব জঙ্গিদের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি দেখে! আমাদের মিডিয়া বারবার তাদের আইসিসের কালো পতাকার সামনে বন্দুক হাতে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা ছবিগুলো পুনরুৎপাদন করতে থাকে। এরই মাঝে জাকির নায়েকের মতো একটি আধুনিক ভণ্ড পীরের চ্যানেল নিষিদ্ধ করায় যে যার সুবিধামতোন ফেসবুক উত্তপ্ত করেছি। ধারণা করি যে, এতে কর্তাব্যক্তিরাও খুশি হয়েছেন। ভালই হয়েছে, জঙ্গিবাদের ঘটনায় একটি চমৎকার কাকতাড়ুয়া পাওয়া গেছে! এটাকে ঝুলিয়ে রাখলে জঙ্গি পাখিরা হয়তো আর ক্ষেতে হানা দিবে না। আর আমরা ক্ষেতের অধিবাসীরাও নিশ্চিন্তে রাতে ঘুরতে যেতে পারবো যমুনা ফিউচার পার্কসহ বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। একপক্ষে জাকির নায়েকের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সোচ্চার হয়ে উঠেছেন কেউ কেউ, অন্যপক্ষে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন বাকিরা। এক ভ্রূক্ষেপহীন প্রবল উৎসাহে আমরা তর্কে মেতে উঠেছি জাকির নায়েককে নিয়ে, হয়তো এই তর্ক থেকেই আমরা প্রমাণ করে দিব যে দেশে জঙ্গিসমস্যার সমাধান একমাত্র আমার কাছেই আছে! প্রথম দলটি জাকির নায়েকে সমস্যা দেখেন না, বরং অন্যান্য আরো অংশের মধ্যেই জঙ্গিবাদের মূল আছে বলে মনে করেন। দ্বিতীয় দলটির মতে একমাত্র জাকির নায়েকের পিস টিভিতেই লুকিয়ে আছে প্রাণভোমরা। হয়তো আমাদের দুই দলের জন্যই জাকির নায়েকে মনোযোগ দেয়াটা সুবিধাজনক। কারণ আমরা জঙ্গিবাদ সরীসৃপের পিচ্ছিল শরীরে হাত রাখতে ভয় পাই।

    ধরে নিচ্ছি সবাই এত সহজে মানিয়ে নেন নি। কেউ কেউ হয়তো এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞে আসলেই প্রভাবিত হয়েছেন, নাড়া খেয়েছেন। তাদের জন্য এই লেখা। অতি বেদনার সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, "ওয়েলকাম টু দ্যা ক্লাব"। আপনি যদি গত দেড়-দুই বছরের জঙ্গি হত্যাগুলোতে প্রভাবিত না হয়ে থাকেন, এবং এতদিনে গুলশানের ঘটনায় বিচলিত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে স্বাগতম জানাই "প্রলম্বিত নরকে"। আমরা গত দেড়-দুই বছর ধরেই এই প্রলম্বিত নরকে বসবাস করছি। আপনি নতুন যোগ দিলেন। প্রথমেই এই নরকের চারপাশটুকু চিনিয়ে দেই। এই নরকে পৃথিবীর কদর্যতম ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। এখানে আপনি কিছুদিন থাকলে সেগুলো দেখতে পারবেন। দেখবেন কীভাবে কর্তাব্যক্তিরা এসব খুনকে ধামাচাপা দিচ্ছেন। দেখবেন কীভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তাঁর ছেলে, তাঁর ক্যাবিনেট, তাঁর দল, তাঁর পুলিশ, তাঁর গোয়েন্দারা ধীরে ধীরে নিহতদের ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন। জানতে পারবেন "ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না"র ঢঙে তিনি ও তার সম্পর্কিত সকলেই বলছেন ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম, জঙ্গিরা আসলে মুসলমানই নয়! দেখবেন কীভাবে কিছু কিছু দলীয় বুদ্ধিজীবী নানাভাবে সেই অবস্থানের জাস্টিফিকেশন করছেন। এঁদের কাউকে কাউকে হয়তো আপনি আইডল ভাবতেন, ভরসাস্থল ভাবতেন। এখন তাঁদের কলাম আর অপিনিওন পিস দেখতে তাঁদের মুখের ওপর মুতে দেয়ার অক্ষম ইচ্ছা করবে আপনার।

    তারপর দেখবেন সবাই যে যার বলয়ে ফিরে গেছেন। নির্লজ্জের মতন নিজ জীবনের তুচ্ছ অর্থহীন ভোগ আর বিলাসের প্রচার করছেন। দেখবেন হাজার হাজার সেলফি আর লক্ষ লক্ষ চেকইন। আপনিও হয়তো একসময় নির্লজ্জ হয়ে তাদের লাইক দিয়ে বেড়াবেন। সমস্যা নেই। তবে এই নরক থেকে বের হতে পারবেন না। কোন কোন রাতে ভয়ানক দুঃস্বপ্নের ভেতরে দেখবেন আপনার বন্ধুর হাসি হাসি মুখের ওপরে এসে চাপাতি দিয়ে কোপ দিচ্ছে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা কয়েকজন। এই দুঃস্বপ্ন দেখে আপনার ঘুম ভেঙে যাবে। রক্তব্যাকুল চোখের সামনে সেই পরিচিত বন্ধুর রক্তমাখা বিকৃত মুখের হাসি ঝুলতে থাকবে।

    বুদ্ধিজীবীদের এড়াতে পারলেও আপনার ফ্রেন্ড লিস্টের "বন্ধুদের" এড়াতে পারবেন না। এরা একেকজন বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে মতামত দিবেন। একজন নাস্তিক এসে বড় একটা স্ট্যাটাসে আচ্ছাসে ধর্মকে ধুয়ে দিবেন। একদম তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের আলাপ। সেই আলাপে যত না আইসিসের জঙ্গিবাদ ঠেকানোর বা চিহ্নিত করার চেষ্টা, তার চেয়ে বেশি কতগুলো বই পড়ে তিনি নাস্তিক্যবাদ শিখেছেন সেই বারফাট্টাই। ওদিকে আসবেন একজন তথাকথিত মডারেট মুসলিম, যার তালগাছ হলো ইসলাম ধর্ম একটা শান্তির ধর্ম। যে যাই বলো এই ধর্ম নিয়ে কিছু বলা যাবে না। এমনকি আইসিস যে এই ধর্মের অনুসারী, সেটা বললেও তিনি গোস্বা করবেন। এরপর আরেকজন আসবেন যিনি কট্টরভাবেই ইসলাম ধর্ম মেনে চলেন। আপনার দুর্ভাগ্য বেশি হলে, ইনি একজন সরব মুসলিম। যিনি কোরান-সুন্নাহর জিহাদী আয়াত ও বাণীর মডার্ন ইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে চলেন। তার বর্ণনা পড়ে প্রমথ চৌধুরির "সাহিত্যে খেলা" অথবা বঙ্কিমচন্দ্রের "রচনার শিল্পগুণ"কেও জলবৎ তরলং মনে হবে। আপনার সন্দেহ হবে, এই বন্ধু রবীন্দ্রনাথের "সোনার তরী" কবিতারও নতুন কোন ইন্টারপ্রিটেশন বের করে ফেলতে পারে! এমন নানাবিধ বন্ধুর চাপে আপনার ত্রাহি মধুসূদন দশা। তখন মনে হবে এর চেয়ে বিশ্বচরাচর-অগোচর নির্বোধ বন্ধুটির সেলফিগুলোই বরং ভাল ছিল।

    যত যাই করুন না কেন, এই প্রলম্বিত নরক থেকে আপনার মুক্তি নেই! গুলশানের জঙ্গিগুলোর প্রতি ফেটিশাক্রান্ত আবেগ থেকে যে ছোট বরফের কুণ্ডে আপনি পেঁচিয়ে যাচ্ছেন, সেই বরফখণ্ড ধীরে ধীরে বড় হবে! আপনি জানবেন অপারেশন থান্ডারবোল্টের অনেক আগেই বিশজন নিরীহ মানুষকে জঙ্গিরা কুপিয়ে মেরে ফেলেছিল। আপনি জানবেন একেকটি নারীর লাশে তারা বারবার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে। আপনি দেখবেন নিহতদের একজন আদৌ আক্রান্ত নাকি জঙ্গি সেটা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে, কারণ তার নানা একটা পত্রিকার মালিক। আপনি আরো দেখবেন শত শত তরুণ এই জঙ্গিদের মতই ঘরছাড়া নিখোঁজ। আপনি দেখবেন কীভাবে সরকারের পাশাপাশি জঙ্গিদের বিশ্ববিদ্যালয় তাদের হাত ধুয়ে উঠে পড়ছে। দেখবেন একে একে সকলেই এপোলজেটিক হয়ে উঠছে। প্রবল এপোলজিতে ভরে উঠবে আপনার চারপাশ। কেউ তার ধর্ম নিয়ে, কেউ তার বন্ধু নিয়ে, কেউ তার সন্তান নিয়ে, কেউ তার বড়ো ভাই নিয়ে, কেউ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দিকে দিকে এপোলজেটিক কথা বলছে। কেউ জঙ্গির দায় নেয় না। প্রধানমন্ত্রী নেয় না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেয় না। আইজিপি পুলিশ নেয় না। বুদ্ধিজীবী নেয় না। শিক্ষক নেয় না। অভিভাবক নেয় না। পিতামাতা নেয় না। বিশ্ববিদ্যালয় নেয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইরা নেয় না। মডারেট মুসলমান নেয় না। প্র্যাকটিসিং মুসলমান নেয় না। ধর্ম নেয় না। পরিবার নেয় না। সমাজ নেয় না। সম্ভবত স্রষ্টার সাক্ষাৎকার নিলে দেখতেন তিনিও নিচ্ছেন না!

    মজার ব্যাপার কি জানেন? এই গুলশানও আবার ফিরে ফিরে আসবে। প্রতিটি গলাকাটা লাশের ওপর আরেকটি নতুন লাশ জমা হবে। প্রতিটি নতুন লাশের পর একই চক্র। সেই লাশের পিছু পিছু আমাদের প্রলম্বিত নরকে আপনার মতই আরও নতুন সদস্য যোগ দিবেন। তাই এখনই হাল ছেড়ে দিয়েন না, বস! সামনে আরো দীর্ঘ দীর্ঘ ঋতুকাল আমাদের এই প্রলম্বিত নরকে কাটাতে হবে। টাইট হয়ে বসেন। মাঝে মাঝে বেশি কষ্ট হলে এই নরকের মাটিতে মুখ গুঁজে কণ্ঠের সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার করবেন। দেখবেন একসময় ক্লান্ত হয়ে শরীরটা ঝরঝরে লাগছে। ক্লান্তির মেঘের ওপর দুঃস্বপ্নহীন কয়েক মুহূর্তের ঘুম পেতে পারেন - ওটুকু বোনাস।

    প্রলম্বিত নরকের অনন্ত ঋতুতে আপনাকে স্বাগতম! ভাল থাকবেন!"
  • সে | 198.155.168.109 | ১৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:১৮707491
  • প্রলম্বিত নরকটা কোরাণের লাস্ট চ্যাপ্টার থেকে নেওয়া।
  • d | 24.97.133.108 | ১৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:২৮707492
  • "উনিশ বছরের তরুণী তারুশি জৈন। গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত ১৭ বিদেশি নাগরিকের মধ্যে ছিলেন উচ্ছল এই ভারতীয় তরুণী। লাশের ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, হলি আর্টিসান বেকারিতে সবচেয়ে নিষ্ঠুরভাবে তাকেই হত্যা করেছে জঙ্গিরা। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরও খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে যখম করা হয়েছে তাকে। তার শরীরজুড়ে ৩০-৪০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার একপাশে কোপানো হয়েছে। দু'হাতেও রয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাত। পেটে-বুকেও কোপানো হয়।"

    http://bangla.samakal.net/2016/07/14/223760
  • সে | 198.155.168.109 | ১৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:৩৩707493
  • ভুক্তভোগীদেশগুলো বানিজ্যিক সম্পর্ক কমিয়ে দিতে পারে না? শুধু নীরবতা পালন করে কীই বা হবে। বানিজ্যিক সম্পর্ক নীরব করে দিলে যদি ওদেশের সরকার কড়া হয়।
  • aranya | 154.160.226.94 | ১৪ জুলাই ২০১৬ ২০:৫০707494
  • দ, অনীক-এর লেখাটা কি ফেসবুকে দিতে পারি?
  • | ১৪ জুলাই ২০১৬ ২১:২৩707495
  • ওটা ফেসবুকেই আছে। পাবলিক স্ট্যাটাস। Anik Andalib দিয়ে সার্চ করে আসল পোস্টটা শেয়ার করে দিন।
  • aranya | 154.160.226.94 | ১৪ জুলাই ২০১৬ ২১:২৪707496
  • আচ্ছা
  • | ১৬ জুলাই ২০১৬ ২১:০০707497
  • ইন্টারেস্টিং লেখা ও আলোচনা
    'শিক্ষানবিস-এর ব্লগ ও তার নীচের আলোচনা দেখুন
    http://www.sachalayatan.com/shikkhanobish/56029
  • | ১৭ জুলাই ২০১৬ ১৯:৪৫707499
  • রিপোর্ট
  • pi | 192.66.27.91 | ১৭ জুলাই ২০১৬ ২০:০৬707501
  • সেটাই প্রথমদিন থেকে মনে হচ্ছে। যাঁদের মারার মেরেই দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাই বলেছিলেন। যাঁদের রাখার রেখে। জঙ্গিদেরও মারা হয়েছে। এতক্ষণের অপারেশনের কারণটা কী ?

    আর আগে থেকেই খবর ছিল তো তাহলে সিকিওরিটি কড়া হয়নি কেন ? আর সেই আদি প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে। এত হাই সিকিওরিটি জোনে এরকম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢোকা যায় ?

    আর এটারই বা কী মানে ?
    'আমাদের কাছে সব তথ্য আছে, কারা মানুষ হত্যা করার মত ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত। তাদের ব্যাপারে সব জানি আমরা। আমরা কঠোর হতে চাই না, শান্তিপ্রিয় মানুষ শান্তি চাই। তাই আপনারা যারা পথভ্রষ্ট হয়েছেন তারা পথে ফিরে আসুন। '

    মানে, কারা জড়িত জানলেও শান্তিপ্রিয়তার কারণে কিছু করা হবেনা !!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন