এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা-অত:পর টেরর যখন অন্তঃপুরে

    bip
    অন্যান্য | ০২ জুলাই ২০১৬ | ৮৮৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০২ জুলাই ২০১৬ ০৯:০৪707597
  • গুলশানে আইসিস হামলা- অত:পর টেরর যখন অন্তঃপুরে
    *************************
    ২০০৪-৫ এ যখন মুক্তমনাতে লেখা শুরু করি, তখন মাঝে সাঝে একটা কি দুটো বড় সন্ত্রাসবাদি হামলা ঘটত। এই জুন মাস লক্ষ্য করুন। ফ্লোরিডা, তুরস্ক এবং বাংলাদেশ। পৃথিবীর সব প্রান্তেই মেগা আইসিস হামলা। এরা আবার স্বঘোষিত আইসিসি জঙ্গী। খুব সম্ভবত নেটওয়ার্ক নেই। হিরোইন মরফিনে আচ্ছন্ন হয়ে যেমন ড্রাগএডিক্টরা মানুষ খুন করতে পারে, এরা ধর্ম এডিক্ট। ধর্মের আফিঙে আচ্ছন্ন হয়ে, বেহস্তের অনন্ত বেশ্যাসুখ উপভোগ করতে, এরা আজ ফিদাইন জঙ্গী। নশ্বর জীবনের মায়ার বাধনের উর্ধে। এরাই আজ আধুনিক বিশ্বের জীবন্ত মানব বোমা। রেস্টুরেন্ট, মল, স্কুল কলেজ, সিনেমা হল সর্বত্র ফাটতে পারে।

    তবে এর জন্য শুধু ইসলাম ধর্মকে দোষ দেওয়াটাও বালখিল্যতা, আবার ইসলামের দোষ না দেখাটাও মূর্খামো। মূল ব্যপার হচ্ছে শুধু অতিধার্মিকে সন্ত্রাসী তৈরী হয় না। তার জন্য টাকা, অস্ত্র, রাজনৈতিক সাপোর্ট লাগে। বাংলাদেশে গুলশানের রেস্টুরেন্টে আইসিস হামলাতে কোত্থেকে এল টাকা আর অস্ত্র? বেয়াইনি অস্ত্র না হয় বাংলাদেশে প্রচুর-কিন্ত এই হামলাকারিদের ট্রেনিং ইত্যাদি দিতে যা টাকা লাগবে, তার সাপ্লাই দিল কে?

    অভিজিত হত্যাকান্ড বাংলাদেশে অধুনা জঙ্গী উত্থানের টার্নিং পয়েন্ট। দুটো ব্যপার লক্ষ্য করুন। প্রথমত, অভিজিত যেহেতু আমেরিকান সিটিজেন, ওর হত্যাকান্ড বাংলাদেশের জঙ্গীরা একটু আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করে। দ্বিতীয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার এই হত্যাকান্ডের কোন নিন্দা করে নি। অধিকাংশ বাংলাদেশীরাও করে নি। ভাবটা ছিল ইসলামের শত্রু মরেছে বেশ হয়েছে। অভিজিতের মৃত্যু সংক্রান্ত নিউজগুলোতে ফেসবুকে বাংলাদেশীরা কি লেখালেখি করেছে, দেখলেই সেটা টের পাবেন।

    উলটে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্লগারদের ইসলাম বিরোধিতা বন্ধ করতে হবে। এই বাংলাদেশ সরকার সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের ধর্মানুভুতিকে এত ভয় পায়, একবার ও পরিস্কার করে বলতে পারে নি ব্লগারদের বিরুদ্ধে যারা নিরন্তর হুমকি দিচ্ছে ফেসবুকে, তাদের আইনের আওতাই আনতে হবে। অভিজিত, অনন্ত, বাবু, নিলাদ্রী-আস্তে আস্তে সব দেউটিই নিভেছে। তাদেরকে বলে বলে হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছে। ইসলামের শত্রু নিধন হচ্ছে, এতেব এদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিলে, জনপ্রিয়তা হাস পাবে-সুতরাং প্রতিটা ব্লগার হত্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বুলি ছিল-ব্লগাররা ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে কেন? শেখ হাসিনা ত পরিস্কার করেই বলেই দিয়েছিলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে লেখালেখি চালু রাখলে তাদের প্রানের দায় বাংলাদেশ সরকার নিতে পারবে না।

    অর্থাৎ খুব পরিস্কার ভাবেই বহুদিন ধরেই জঙ্গীদের উস্কানি দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। হালে পুলিশের ফ্যামিলির গায়ে হাত দেওয়াতে, জঙ্গী দমনের নামে বিরোধি গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে।

    কিন্ত ঘুরে ফিরে যে প্রশ্ন ফিরে আসে এই ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের ভূমিকা কি? যেহেতু এই জঙ্গীদের একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক, ধর্মীয় অবস্থান আছে এবং সেটা ওয়াহাবি ইসলাম-ইসলাম ধর্মের ভূমিকা আসবেই। এবং বাংলাদেশ সরকার যে এই জঙ্গিদের বিটিম-যথা জামাতি, ওলামা লীগ এবং হেফাজতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ, তার মূলেও ইসলামের ভাতৃত্ববোধের রাজনীতি।

    কিন্ত এখানেই একটু গভীর ভাবে ভাবা দরকার। আর্থ সামাজিক বিশ্লেষন ফালতুই হবে। কারন আমেরিকাতে যেসব ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ ঘটেছে, তার পেছনে শ্রেনী তত্ত্ব, বঞ্চনা এসব চলে না। খুব পরিস্কার ভাবে যেটা ঘটছে-এইসব জঙ্গীদের বাবা-মা ধর্মভীরু মুসলিম। সুতরাং ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাগুলোর মধ্যে ভয় ঢোকানো হচ্ছে-আল্লার গজবের ভয়। বাচ্চাদের বা মানুষের সে সুস্থ স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, বুদ্ধিবৃত্তি আছে-সেগুলোর ওপরে চাপানো হচ্ছে ধর্মকে। পরিস্কার কথায় সব জঙ্গীদের মধ্যে একটাই কমন থ্রেড। ধর্মভীরু মুসলমান পরিবারে জন্মে, ছোটবেলা থেকেই এদের ব্রেইন অসুস্থ-ড্যামেজড। বোস্টন ম্যারাথন বম্বিং এর জারনাভ ভাইরা বা অর্লান্ডোর ওমর মতীন-অথবা অভিজিত অনন্তের খুনীরা-এদের সাধারন বৈশিষ্ট পরিস্কার। জিহাদি ভাইদের পরিবার উগ্রমুসলমান। এবং খুব ছোটবেলা থেকেই ধর্মশিক্ষার নামে এদের ব্রেইন ড্যামেজ করা হয়েছে।

    ব্যাপারটা সিম্পল। আপনাকে প্রথমে আফিঙের নেশা ধরানো হল ছোটবেলা থেকে। এবার সেই নেশা কেটে সুস্থ জীবনে ফেরা মুশকিল। বরং অনেক উগ্র সংগঠন আরো কড়াপাকের আফিং খাইয়ে তাদের ইন্তেকালের, এই মর্ত্যভূমের অস্তিত্বই বিলোপ করাচ্ছে। আমি আপনি-এদের কাছে ইহকালের লোক। সুতরাং কেউনা। আফিঙের নেশাতে ওরা আলরেডি পরকালের বাসিন্দা। ফলে আমাদের মানবিক, মর্ত্যধামের লজিকে ওদের কিছু যায় আসে না। যেমন নেশাগ্রস্থ মানুষ যখন নেশার জন্য চুরি ডাকাতি করে, তারা বোঝেও না এটা চুরি। এই বোধ টাই লোপ পায় তাদের। ইসলামিক জঙ্গীদেরও একই অবস্থা।

    মুশকিলটা কিন্ত ইসলামি জঙ্গীদের নিয়ে না। আসল নাটের গুরু এদের যারা ব্যবহার করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমেরিকাতে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যারা চুরি চামারি করে, তাদের ৮০% ই করে নেশার ঘোরে নেশার টাকা জোগার করতে। জঙ্গীদের ব্যপারটা আলাদা কিছু না-এরাও ইসলাম আফিঙের নেশার ঘোরে ইসলামের হেফাজত করছে বলে নিজেরা মনে করে।

    কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে ড্রাগপেডলারদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিতে পারে অথচ যেসব উগ্র ইমাম এইসব জঙ্গীবাদ ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কেন, ভারত , আমেরিকাও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বেগতিক অবস্থা বুঝে ফ্রান্স, বেলজিয়াম আর হল্যান্ড নতুন আইন আনছে ইমামদের বিরুদ্ধে। কিন্ত শুধু ইমামদেরই বা দোষ দেব কেন? ধর্মভীরু বাড়ীতেই ত ছেলেটির মাথা বিগড়ে দেওয়া হচ্ছে। এর পরে ইমাম বাবাজি যা করছেন, তা হচ্ছে আগুনে ঘৃতদান।

    ধর্মের সাথে বিশেষত ইসলামকে ড্রাগের সাথে তুলনা করা কি যুক্তিসঙ্গত? আমি অবশ্য কমিউনিজমকেও ড্রাগ বলেই মনে করি। সব ধর্মই এক ধরনের ড্রাগের নেশা। তবে কেউ হেরোইন, কেউ মরফিন, কেউবা আফিঙ। কেখন কোন মুসলমান বলতেই পারেন ইসলাম দ্বীনের ধর্ম-এই ধর্মে জাকাত, রমজান সহ অনেক ধারনাই গরীব মানুষের প্রতি মমতাময়ী সহানুভূতি নিতে তৈরী। তাতে কেউ মজলে ক্ষতি কি? কমিনিউস্টরাও তাই। তাদের ড্রাইভিং ফোর্সত সেই গরীব অত্যাচারিত শ্রেনীর প্রতি সহানুভুতি। তাহলের গরীবের প্রতি ভালোবাসা কি আফিং এর নেশা?

    এখানেই একটা ক্লিয়ারকাট ডিসটিংশন টানা দরকার। গরীবের প্রতি ভালোবাসা নিশ্চয় নেশা নয়। নেশাটা হচ্ছে এই পৃথিবীর বাস্তবতা বহুধ। ধনী দরিদ্রের বৈষম্য যেমন এর একটা দিক-অন্যদিকটা হচ্ছে পৃথিবীর এই যে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অগ্রগতি-তার ভিত্তি মার্কেট । যার অনেক কিছুই ধর্মীর উচ্চ আদর্শের বিরোধি। সুতরাং কেউ যদি শুধু ধর্মের আদর্শবাদে মজে থাকে, কিন্ত তাকে বাস করতে হয় একবিংশ শতাব্দির পৃথিবীতে-যা চালাচ্ছে বাজার-সেই ছেলেটি বিরাট দ্বিধার এবং ভ্রান্তি নিয়ে বড় হবে। যা হয়েহে জারনাভ ভাতৃদ্বয় এবং ওমর মতীনের ক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে ছেলেটি সন্ত্রাসবাদি হওয়াটাই স্বাভাবিক-এবং তার কাছে আইসিসের বানী লাগবে অমৃতবানী যা অধার্মিক পৃথিবীকে ছেঁটে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই জন্য ওমর মতীন নিজেই ছিল সমকামী-সমকামী ক্লাবেই যেত-আবার সেই কারনে নিজেকে ঘৃণাও করত। ফলে নশ্বর জীবনের মায়া ত্যাগ করতে তার সময় লাগে নি। কারন সে নিজেকেই ভালবাসতে শেখে নি-ঘৃণা করতে শিখেছে। ফলে এমন ছেলেদের জঙ্গী না হওয়াটাই অস্বাভাবিক।

    এ এক আজব পৃথিবী। যেখানে পরম সত্য বলে কিছু নেই। নিজেকে বেশী ভালবাসলে তৈরি হয় স্বার্থপর দানব। আর নিজেকে ঘৃণা করতে শিখলে আমরা পাব ইসলামিক সন্ত্রাসী। দরকার মানবিক এবং ক্রিটিক্যাল দৃষ্টিভংগী। ধর্ম মানবিকতা শেখায় কিন্ত ক্রিটিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গী ধ্বংস করে।

    ক্রিটিক্যাল বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী ছাড়া মানবিকতায় মজে থাকাটাই ড্রাগ এডিকশন-যেখানে যীশুর প্রেম শেখাতে কোটি কোটি লোক হত্যা করতে হয়। দ্বীনের ধর্মের, শান্তির ধর্মের মহান শিক্ষা দিতে, জিহাদিরা খুন করাটাকেই পন্থা বলে মনে করে!
  • সে | 198.155.168.109 | ০২ জুলাই ২০১৬ ১০:১১707708
  • হুম।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৩ জুলাই ২০১৬ ২৩:১১707754
  • এখনো প্রচুর মুসলিম নিরুত্তাপ। তাদের ধারনা এই সন্ত্রাসবাদের সাথে তাদের প্রিয় ধর্মের কোন যোগ নেই। সব ইসলামিক জঙ্গীই আমেরিকা, ইস্রায়েল আর ভারতের তৈরী। না হলে সব চরিত্র কাল্পনিক। আরেকটু বুদ্ধি যাদের মাথায়, তারা আরেক দর। বাজে মুসলিমরা ইসলামের নামে কি করল তার দায় আমরা নেব কেন? রেসিজমের সব দায় কি সব সাদারা নিয়ে থাকে? কমিনিউস্টরাও ত মানুষ খুন করেছে অনেক বেশী? হিন্দু জঙ্গীও অনেক আছে? তাহলে হিন্দু ধর্মের দোষ ধরা হয় না কেন?
    আমেরিকা ২০০ বছর আগে কত রেড ইন্ডিয়ান হত্যা করেছে। ইরাকে ভ্রান্ত নীতি নিয়েছে। আমেরিকা ড্রোন দিয়ে এত নিরাপরাধ লোক মেরেছে। ভিয়েতনামে ন্যাপ ফেলেছে। ইত্যাদি। ইত্যাদি।

    এই যুক্তিগুলো হয় ছাগু মুসলিম না হলে বামাতিদের। উত্তর গুলো খুব পরিস্কার ভাবে দেওয়া দরকার নইলে হ্যাজ চলতেই থাকবে

    (১) কেওই সাধু নয়। সবাই আধিপত্যবাদি। ওটা আমাদের জিনে। যেসব সংস্কার বা মেম টিকে গেছে-আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা সবাই করবে। সুতরাং তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি চোর বটে টাইপের যুক্তি দিয়ে লাভ নেই। ইসলাম, হিন্দুত্ব, আমেরিকা, কমিনিউজম-সবাই নিজেদের সংস্কার এবং প্রিন্সিপলগুলো প্রসারের চেষ্টা চালাচ্ছে। কারন সেটাই সামাজিক বিবর্তনের ভবিতব্য।

    প্রশ্নটা হচ্ছে এই প্রসারনের পন্থাটি কি শান্তিপূর্ন বা অহিংস?

    প্রাক্টিক্যালি স্পিকিং কেওই অহিংস না। কিন্ত তাতে কিছু যায় আসে না। প্রশ্নটা হচ্ছে আপনি আমি কোন কালচারে থাকতে ভালোবাসব? অভিয়াসলি যেখানে জীবনের নিরাপত্তা বেশী, খাদ্য, সেক্স, বাসস্থান, চিকিৎসা সুল্ভ।

    সুতরাং ইসলাম যখন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে সহিংস উপায়ে, আমরা ভীত। কারন তা আরব মরুভূমির সংস্কৃতি-যেখানে কারুর কোন নিরাপত্তা থাকতে পারে না। কারন ইসলামের সংস্কৃতিতেই আছে রক্ত আর যুদ্ধ। মেয়েদের দাসী বানানো। এটি একটি মধ্যযুগীয় আরব সংস্কৃতি-যা একবিংশ শতাব্দিতে চলে না।

    একই কারনে হিন্দুরা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলেও আমি ভীত হই। কারন হিন্দুদের মধ্যে কুসংস্কার অসম্ভব বেশী-সামন্ততান্ত্রিক কালচার-সেখানে বিজ্ঞান এবং মুক্ত চিন্তার উন্মেষ ঘটানো মুশকিল।

    কমিনিউস্টরা খাদ্য বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসার নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্ত দিতে পারে এমন প্রমান নেই। উলটে তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরন করে। আপাতত সব কমিনিউস্ট রাষ্ট্র মানুষকে যন্ত্রনা এবং দাসত্ব ছাড়া কিছু দেয় নি। তবে কমিনিউজম ভবিষ্যতে যদি উন্নত ফর্মে আসে, যেখানে মানুষের অধিকার সুরক্ষিত, উৎপাদন ও ভাল হয়, তাহলে অন্য কথা হবে।

    এবার বাকী থাকল আমেরিকান কালচার-যার উদ্ভব আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধ থেকে। এর বীজ ছোট সরকার , কম ট্যাক্স, ব্যক্তিস্বাধীনতা, ব্যাক্তিউদ্যোগ, মার্কেট এবং আল ইনক্লুসিভনেস। আমেরিকা কোন ইউটোপিয়া না। এখানেও অনেক গরীব, অনেকেই চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্ত লোকে খেতে পায়। ৯৯% লোকের মাথার ওপরে ছাদ আছে। সব থেকে বড় কথা এই সংস্কৃতিই আমাদের যাবতীয় সব কিছু আবিস্কার দিয়েছে-সে ইলেক্ট্রিসিটি, ল্যাম্প, তেল, ইন্টারনেট, ফেসবুক, স্মার্টফোন-যাই বলুন না কেন।

    সভ্যতার আসল অগ্রগতি প্রযুক্তিতে। আর তা আমেরিকারই দান মূলত ৮০%।

    সুতরাং আমি যদি বাকি তিনটে সংস্কৃতি দেখি, খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমেরিকার সংস্কৃতির সাথেই থাকব। তা যতই ভিয়েতনাম আর পাকিস্তানে বোমা ফেলুক। সেই জন্য কমি, মোল্লা, চাড্ডি যতই নিজেদের কালচার নিয়ে বড় বড় ভাষন দিক, আমেরিকার ভিসার জন্য প্রথমে লাইন দেবে। এই মোল্লাগুলো কিন্ত আরবের থেকে আমেরিকায় থাকতে পছন্দ করে বেশী-কিন্ত আমেরিকাতে কানাডায় বসে আরবের শরিয়ার জয়গান গাইবে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারা ভ্রান্ত, দ্বিচারী এবং ডিজইলিউশনাল। এদের মাথা ঠিক নেই বা পিউর বদমাইশ টাইপের পাবলিক।

    সুতরাং ইসলামের খুন করা আর আমেরিকার সরকারী নীতির জন্য হত্যালীলাতে পার্থক্য আছে। একটি প্রগতিশীলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, অন্যটি আমদেরকে মধ্যযুগে পাঠানোর জন্য।

    সব হত্যালীলাই নিন্দার। কিন্ত আমেরিকার ড্রোন হামলার সাথে গুলশান হামলার তুলনা হাস্যকর। একটি প্রগতিশীলতার আধিপত্যবিস্তার-অন্যটি আমদের মধ্যযুগে ঠেলার পাঁইয়তারা-যেখানে খাদ্য, বস্ত্র চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকারগুলো নেই। সুতরাং আমেরিকার হত্যালীলার বিরুদ্ধে আমরা অতটা সোচ্চার নই, কিন্ত ইসলামি জঙ্গীদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার। কারন পেছনের দিকে আমরা যেতে চাইছি না।

    স্পেডকে স্পেড বলাই ভাল।

    (২) আরেকটা ব্যপার গুরুত্বপূর্ন। কোন সংস্কৃতি গণতন্ত্রকে রক্ষা করে। অনেক মুসলমান যুক্তি দেয় রেসিস্টদের জন্য সাদারা কি দুঃখ প্রকাশ করে? কিন্ত তারা ভুলে যাচ্ছে বর্নভেদ, ক্রীতদাস প্রথা তোলার জন্য আমেরিকাতে গৃহযুদ্ধ হয়। যেখানে নিগ্রোদের মুক্ত করতে ৭০০,০০০ সাদা সৈনিক প্রান দিয়েছে। কজন মুসলমান কোরানে "এপ্রুভড" ক্রীতদাস প্রথা, যা আরবে বহুদিন চলেছে ( বৃটিশ এসে আইন করে বন্ধ করে), তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে প্রান দিয়েছে? কজন মুসলমান তালাক, হুডুড আইন সব নারী বিরোধি আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে? প্রান দেওয়া দূরের কথা। ভারতে, বাংলাদেশে মুসলমানরা আল কায়দার বিরুদ্ধে একটা ছোট মিছিল পর্যন্ত নামাতে সাহস পায় না।

    (৩) আরো আরেকটা ব্যপার প্রাক্টিক্যাল কনসার্ন। পশ্চিম বাংলা বা বাংলাদেশের গ্রামে যেসব হিন্দুরা আছেন মুসলমান অধ্যুসিত হয়ে-তারা কেমন আছেন? বাংলাদেশের খবর কি কিছুই পান না? আমার এসব নিজের চোখে দেখা যে কিভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে যখন তখন ভয় দেখিয়ে জমি জায়গা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। কজন মুসলিমকে ভারত বা বাংলাদেশে জমি ছাড়তে বাধ্য করেছে হিন্দুরা? গুজরাতের যে দাঙ্গা হয়, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমেদাবাদের কিছু এলাকা থেকে মুসলিমদের তাড়ানো যাতে সেখানে রিয়েল এস্টেট মাথা তোলে। কিন্ত সেগুলো সফল হয় নি।

    আবার রাজারহাট করার সময় মুসলমান চাষীদেরই তাড়িয়েছে মুসলমান মাফিয়ারা। সবটাই জমি জায়গার খেলা।

    ফলে এখন সেসবের সুযোগ নিচ্ছে হিন্দুত্ববাদিরা। গ্রামে হিন্দুদের যখন জমি ছাড়তে বাধ্য করে মুসলমানরা সেখানে বামেরা কি কোন প্রোটেকশন দিতে যায় না পারে? পারে না। ফলে পশ্চিম বঙ্গের মুসলিম প্রধানগ্রামগুলিতে বিজেপি এখন বাড়ন্ত। নেহাত নেতা নেই। উলটো দিকে মমতার মতন শক্তিশালী নেতা। ফলে পশ্চিম বঙ্গে মমতার জন্য এখনো বিজেপি আটকে। কিন্ত কদিন। পশ্চিম বঙ্গ বামশুন্য হওয়ার দিকে এগোচ্ছে-এটা ভুলবেন না আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম একটাও সিট পাবে না।

    সুতরাং গ্রামে হিন্দুদের প্রোটেকশন না দিতে পারলে পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির উত্থান এবং ক্ষমতা দখল স্টালিনের বাপ আসলেও আটকাতে পারবে না। মমতা ব্যানার্জি এটা বুঝেছেন বলে, এইবার প্রথম গ্রামে গ্রামে মুসলিম জঙ্গীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে এক্টিভ থাকতে বলেছেন।

    (৪) কিন্ত অন্যদিকটা ভাবতে হবে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে দেগেও লাভ নেই। মুসলমানদের বোঝাতে হবে তারা ইসলামের ভিক্টিম। ইসলামের মতন আরব মরূভূমির বর্বর আইন কানুনের সাথে বাংলার যোগ থাকাটাই দুর্ভাগ্যজনক। এই বাংলা নাচে গানে কবিতায় সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। বাংলার নিজস্ব আধ্যাত্মিক ট্রাডিশন আছে। ফালতু কেন তারা মরূভূমির আরবদের মতন ক্লাউন হওয়ার চেষ্টা করছে? তারা বাঙালী, বাঙালী সত্ত্বার মধ্যেই তাদের মোক্ষ। বোরখা, হিজাব বাঙালীর সংস্কার হতে পারে না।

    ইসলামে কি আদর্শ আছে, কি লেখা আছে যা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বা লালন আমাদের যা দিয়ে গেছেন তার থেকে উন্নত? কোন মুসলমান আমাকে বলবে তারা ইসলামে কি আধ্যাত্মিক ভ্যালু পাচ্ছে যা রবীন্দ্র নজরুল লালনে নেই?

    ইসলামের বিরুদ্ধে লড়ে যান-কিন্ত মুসলমানদের বোঝান যে তারা একটি মধ্যযুগীয় সংস্কৃতির ভিক্টিম। তাদের গালাগাল দিয়ে দূরে সরানোটা ভুল স্ট্রাটেজি।

    হিন্দু রীতিনীতি কুসংস্কার আমার পছন্দ হয় না বলে আমি নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিই না। কিন্ত উপনিষদ আমার ভালো লাগে। সুফী ইসলামের মানবিকতাও আমার প্রিয়। আমি প্রতিটা হিন্দু বা মুসলমানকে অনুরোধ করব-নিজেকে আগে হিন্দু এবং মুসলমান পরিচিতির বাইরে রাখুন। ইসলামের অনেক কিছু আপনার ভাল লাগতেই পারে। সেগুলো পালন করুন । কিন্ত নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেবেন না প্লিজ। ওটি এখন ঘৃণিত একটা পরিচয় যার গায়ে ১৪০০ বছরের রক্ত। আর সেই রক্তের দাগ আরো মোটা হচ্ছে। উপনিষদ ভাল লাগে। কিন্ত নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিই না। কারন হিন্দুত্বের গায়ে ৩০০০ বছরের বর্নভেদের কলঙ্ক। আর অসম্ভব কুসংস্কার।
  • সে | 198.155.168.109 | ০৩ জুলাই ২০১৬ ২৩:২৪707765
  • ৪নং পয়েন্টে। বাঙালী বর্বর নয়? হিংস্র নয়?
  • Rit | 213.110.242.24 | ০৩ জুলাই ২০১৬ ২৩:২৫707776
  • হে হে।
    রবি ঠাকুর কিন্তু চেয়েছিলেন 'ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুঈন'। স্বপ্ন সার্থক হচ্চে তো।
  • Debabrata Chakrabarty | ০৩ জুলাই ২০১৬ ২৩:৩৯707787
  • এই গুরু গম্ভীর লেখাটির সামারি তো এইখানে " সুতরাং ইসলামের খুন করা আর আমেরিকার সরকারী নীতির জন্য হত্যালীলাতে পার্থক্য আছে। একটি প্রগতিশীলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, অন্যটি আমদেরকে মধ্যযুগে পাঠানোর জন্য।" আমেরিকার হত্যালীলা প্রগতিশীলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য -জেনে পুলকিত হলাম ,তবে অবাক হইনাই , কিন্তু এখনো বিশ্বে " আমেরিকার হত্যালীলা = প্রগতিশীলতা" এই ধরনের প্রচার করার মত লোক আছে ?
  • Dilip | 202.42.116.16 | ০৩ জুলাই ২০১৬ ২৩:৪৭707809
  • অন্ধ আমেরিকাভজনা আমাদের কোথাও পৌঁছে দেবে না । এই ভক্তিবাদ থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তিবাদের আলোয় বিচার করতে হবে ।
  • কল্লোল | 111.63.199.22 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ০৭:০৮707820
  • সমস্ত ধর্ম যা "ভালো" কাজের জন্য স্বর্গলাভের প্রতিশ্রুতি দেয় - সেগুলো ধ্বংস হোক।
    এই প্রতিবেদনের শেষের আগের অংশটি দেখুন। কি অসম্ভব ভয়ানক।
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=24347&boxid=164318106

    জানি ধর্ম যেমন আফিম, তেমনই নিপীড়িতের দীর্ঘশ্বাস ও বটে। কিন্তু আজকের সময়ে এসে ধর্ম তার ঐ গুণটি হারিয়েছে। সে আর নিপীড়িতকে সান্ত্বনা দেয় না।
    ঈশ্বর ও স্বর্গে বিশ্বসী সব ধর্ম নিপাত যাক।
  • dc | 120.227.239.246 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ০৭:৫৫707598
  • সব ধর্ম নিপাত যাক, এটা আমারও মনের কথা। কিন্তু ধর্মের প্রভাব কমার কোন সম্ভাবনা দেখিনা ঃ( অন্তত পাবলিক স্ফিয়ারে ধর্মের বাড়াবাড়ি যদি কিছুটা কমে তাহলেও হয়।

    আর "সুতরাং ইসলামের খুন করা আর আমেরিকার সরকারী নীতির জন্য হত্যালীলাতে পার্থক্য আছে" এটা পড়ে অবাক হয়ে গেলাম। পুরো মিডল ইস্ট আজকে ঘেঁটে ঘন্ট পাকিয়ে গেছে, তার কারন সত্তর বা তারও বেশী সময় ধরে প্রথমে ব্রিটেন আর পরে অ্যামেরিকা নিজেদের স্বার্থে ওখানে খুঁচিয়ে গেছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়নি। কোল্ড ওয়ার পিরিয়ডে এর সাথে যুক্ত হয়েছিল ইউএসেসার। তার ফলে নর্থ আফ্রিকা আর মিডল ইস্ট আজকে পুরো ডিস্টেবিলাইজড। তাহলে ইসলামের খুন করা আর আমেরিকার সরকারি নীতির পার্থক্যটা কি রইল?
  • bip | 183.67.3.44 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ০৯:৪২707609
  • হ! দাস ক্যাপিটালে মার্ক্স লিখেগেছেন বুশ সাহেব মহম্মদকে বরাত দিয়েছিলেন বানু কুরেজার ৯০০ ইহুদিকে কোতল করতে!! বামেদের বুদ্ধিসুদ্ধি ক্লাস ফোরের বেশী কোনদিন হয় না। তবে মার্ক্স ইসলামের সন্ত্রাসীদিক ঠিক চিনেছিলেন। মুহাম্মদকে নিয়ে তার এসেসমেন্ট কার্ল মার্ক্স বলছেন, "কোরান এবং তা থেকে উদ্ভূত মুসলমানি আইন বিভিন্ন জনমানুষের নিজস্ব ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বাকে নামিয়ে আনে এক সুবিধাবাদী দ্বি-জাতীয় ও দ্বি-দেশীয় বিভেদেঃ যারা ইসলামে বিশ্বাসী, আর যারা অবিশ্বাসী বা কাফের। অবিশ্বাসী বা কাফের হল হার্বি, বা শত্রু। ইসলামিজম কাফেরদের জাতিকে নিষিদ্ধ করে, যার ফলে এক চিরস্থায়ী শত্রুতা তৈরি হয় মুসলমান ও অবিশ্বাসীর মধ্যে।" (অন দ্য ইস্টার্ন কোয়েশ্চন নামক প্রবন্ধ। লেখাটা মার্ক্সিস্ট ডট অর্গ সাইটে পাবেন, এই লিঙ্কে যান - http://www.marxists.org/archive/marx/works/1854/03/28.htm )
  • umesh | 72.254.195.217 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১২:১৯707620
  • লেখাটা মুসলিম সন্ত্রাস নিয়ে না আমেরিকা-ভজনা, সেটা আগে আমার কাছে ক্লিয়ার হোক, তবে কমেন্ট করবো।
  • | 213.99.211.81 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৩:৫৫707631
  • আমার এক্সপেরিয়েন্স।

    একটি মুসলিম ইউনি তে পড়ানোর সুবাদে ওখানের ছাত্র ছাত্রী দের সাথে আমার তর্ক লাগতো।

    বিভিন্ন বিষয়ঃ-

    ১। ইসলামে নারীর স্থান
    ২। হিন্দু মুসলিম সম্পর্কের টানাপোড়েন
    ৩। হিন্দু মুসলিম কালচার র মিশ্রণ

    ইত্যাদি ইত্যাদি।

    প্রথমে মেয়ে গুলো দাবি করতো ইসলামে র মতো নারীর মর্য্যাদা আর কোন ধর্মে রক্ষিত হয় না।

    আমি যখন "চার টি " বিয়ে এবং "তালাক " র প্রসঙ্গ তুললাম। তখন তার বললোঃ-" স্যার , এক্ধিক বিয়ে করার জন্যে কিন্তু আগের বৌ র থেকে "সন্মতি" র প্রয়োজন। আর চার টি ফ্যামিলি কে সমান ভাবে প্রতিপালন করতে পারলেই ইসলাম এই চার টি নিকাহ র সন্মতি দেয়। আমি তখন তাদের বলালাম " তোমাদের মনে হয় যে আর্থ সামাজিক পরিবেশে আমরা বেশীর ভাগ মানুষ আছি, যেখানে একটি পরিবার প্রতিপালন করতেই আমাদের হিমশিম অবস্থা, সেখানে আমরা চারটে পরিবার প্রতিপালনের ক্ষমতা আমাদের আছে?"

    এই প্রশ্নের উত্তর ওরা দিতে পারে নি। এক রকম আমার কথা মেনে নিয়েছিল।

    আরেক বার একটি মেয়ে খুব দামী একটা কথা বলেছিল "স্যার, আপানদের হিন্দু ধর্ম বহু বার বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে সে আদি শঙ্করাচার্য্য ই বলুন বা রাজা রামমোহন বা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। স্যার , আমাদের ইসলাম কিন্তু সেই আদি অনন্ত কাল থেকে চলে আসা এক ই রকম। তার কোন রকম পরিবর্তন হয় নি। আমাদের মধ্যে কিন্তু কোন রামমোহন বা বিদ্যাসাগর আসেনি নি যিনি আমাদের ধর্মের বাজে জিনিস গুলো ছেঁটে ফেলতে পারতেন"।

    এই কথা টা খুব ভাবিয়ে ছিল । খুব বেশী পড়ার সুযোগ হয় নিঃ শুধু রাহুল সাংকৃত্যায়্নের "ইসলাম ধর্মের রুপরেখা" বই টা পড়তে পেরেছিলাম। আরো পড়ার ইচ্ছা আছে। কেউ কোন বই র রেফ দিতে পারেন।

    এই দিক তা নিয়ে কেউ ডিটেলস এ লিখলে খুব ভালো লাগবে।

    সে দি, তুমি তো ও দেশে বহু দিন ওদের সাথে ছিলে। সম্ভব হলে লিখো।
  • সে | 198.155.168.109 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৩:৫৭707642
  • লিখবো। পরে।
  • সে | 198.155.168.109 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:০০707653
  • ভাটিয়া৯ থেকে টুকে দিচ্ছি একজনের মন্তব্য।

    name: নাদিয়া ইসলাম লিখেছেন mail: country:

    IP Address : 181.51.4.93 (*) Date:04 Jul 2016 -- 01:42 PM

    এই পোস্টটা শুধুমাত্র এ্যাপলজিস্ট এবং মাথা গর্তে ঢুকাইয়া পাছা বাইর কইরা ‘আমারে কেউ দেখে না!’ ভাবতে থাকা মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য। এই পোস্ট প্রধানমন্ত্রীসহ তাদের জন্য, যারা বলেন, ধর্মের সাথে সন্ত্রাসের যোগাযোগ নাই। এই পোস্ট তাদের জন্য যারা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং একমাত্র ইসলামের ‘ভুল’ ব্যাখ্যাতেই মানুষ সন্ত্রাসবাদী হয়।

    হাহা, নিশ্চয়!

    গতকালকের ঘটনা শুধুমাত্র ধর্মীয় মৌলবাদীদের দিয়া ঘটছে এমন ভাবা গাধামী। কিন্তু যারা ধর্মরে উপেক্ষা কইরা এর শুধু রাজনৈতিক দিক দেখতেছেন, বা শাহরিয়ার কবীর হইয়া জামাতরে দোষ দিতেছেন, তারা আমার ধারণা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ গাধা। যেই ছোট ছোট ছেলেগুলি গার্লফ্রেন্ড বাদ দিয়া, ফেইসবুকিং বাদ দিয়া, ক্রিকেট খেলা নিয়া না লাফাইয়া ঠান্ডা মাথায় হিসাব কইরা ২০টা খুন করতে পারেন, সেই ছোট ছোট ছেলেগুলিরে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসী বানাইছে ধর্ম, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, আইডেন্টিটি ক্রাইসিস এবং বিশ্ব-রাজনীতি। এবং একটা এলেমেন্টও বাদ দিয়া না।

    ডিয়ার এ্যাপলজিস্ট, ইসলাম আপনার কাছে শান্তির ধর্ম হইতে পারে, যদি আপনি ‘পিক এ্যান্ড চুজ’ কইরা কুরানের নির্দিষ্ট কিছু আয়াত দেখেন। অর্থাৎ আপনার মনমত আয়াত নিলেন, মনমত আয়াত চোখ দিয়াও দেখলেন না!

    ইসলাম কী বলে দেখেন! ইসলাম বলে, “যে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করলো। এবং যে কাউকে বাঁচালো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচালো।” (কুরান ৫-৩২) বাহ, কী সুন্দর ভালবাসাপূর্ণ আয়াত, তাই না?

    এখন দেখেন একই কুরান অন্য একটা সূরাতে কী বলতেছে।

    “যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।” (কুরান ৮-১২)

    এইখানেই শেষ না।

    “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।” (কুরান ৯-১২৩)

    এখন এ্যাপলজিস্ট মুসলিমরা বলেন, উপরোক্ত দ্বিতীয় এবং তৃতীয় আয়াত দুইটা যুদ্ধ পরিস্থিতে বিশেষ সময়ের জন্য লেখা হইছিলো। এইটা এই সময়ের জন্য প্রযোজ্য না।

    আসলেই কি তাই?

    এই যে ছোট ছোট ছেলেগুলিরে ব্রেইনওয়াস করা হইলো, তাদের যদি আমি বুঝাই, দুনিয়াতে এখন যুদ্ধপরিস্থিতি চলতেছে? ফিলিস্তিনে বা সিরিয়ায় যা হইতেছে তা ঠেকানোর জন্য ‘আমাদের’ যুদ্ধে নামতে হবে? তখন কি তারা উপরের আয়াতগুলিরে মাইনা নিবেন না?

    আপনি হয়তো মডারেট, আপনি আপনার লোকায়ত সংস্কৃতি দিয়া আপনার প্রাচীন ধর্মরে আপনার ইচ্ছামত কাটছাট কইরা নেন। তাতে অসুবিধা নাই, কারণ ধর্মের নিয়মই তাই। সেইকারণে আপনি মুসলিম হইয়াও গান গাইতে পারেন, লালনরে মাইনা নিতে পারেন, বিয়াতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করতে পারেন, মুসলিম হইয়াও পয়লা বৈশাখ উদযাপন করতে পারেন। আপনি হিন্দু বৌদ্ধদের সাথে মিশা চলতে পারেন, পূজায় ক্রিসমাসে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেন এবং দিনশেষে হিজাব কইরা নামাজও পড়তে পারেন। আপনার কাছে তাই ইসলামরে শান্তির ধর্মই লাগে। কিন্তু আপনার মত যারা এইসব জগাখিচুড়ি ‘মিশ্রণ’এ বিশ্বাসী না?

    আপনি যাদের মৌলবাদী বলতেছেন, সন্ত্রাসী বলতেছেন, সেই ছেলেগুলিরে জিগায়ে দেখেন তো উনারা ইসলামরে কীভাবে দেখেন? উনারা বলবেন, উনাদের ধর্মে ইসলামী আচারের সাথে অন্য সংস্কৃতির আচার মিলানো যাবে না। উনারা বলবেন, পৃথিবীতে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলতেছে, তাই উনাদের ইসলামের মাধ্যমে ‘খেলাফত’ কায়েম করা ফরজ হইয়া পড়ছে। উনারা বলবেন, দুনিয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য এখন শরিয়াহ আইনের ‘শাসন’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, উনারা বলবেন, মুসলিমদের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুসলিম উম্মাহরে এক করতে হবে! আপনি কোন্ যুক্তিতে তাদের সন্ত্রাসী বলবেন? জাকির নায়েকের ভাষায় উনারা তো স্বাধীনতা সংগ্রামী! উনারা দেশপ্রেমী! উনারা বাঁচলে গাজী মরলে শহীদ! আপনার যুক্তি আছে উনাদের যুক্তিরে খন্ডন করার?

    নাই, ব্রাদার, আমি জানি, নাই।

    আপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন, ইসলামই দুনিয়ার একমাত্র ধর্ম যা তার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা চায়। এবং সেই কারণেই ইসলাম যুদ্ধবাজদের ধর্ম। ইসলামের নবী মহানুভবতার অনেক দৃষ্টান্ত রাইখা গেছেন সঠিক, কিন্তু উনি সমগ্র দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম ছিলেন না। উনার মৃত্যুর সাথে সাথেই মুসলিম উম্মাহ নিজেরা নিজেদের সাথে মারামারি কইরা ভাইঙ্গা চৌদ্দশ’ টুকরা হইছে। ইসলাম খুব স্বল্প সময় ছাড়া কোনোদিন শান্তি প্রতিষ্ঠা করে নাই। ইসলাম অর্থও তো ভাই শান্তি না। ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ। আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ।

    আপনারে আপনার ধর্ম আমি ত্যাগ করতে বলি না। আপনার মত মানুষের জন্য ধর্মের বিধানের দরকারও আছে বইলা আমি মানি। কিন্তু আপনি দয়া কইরা, আপনার আল্লাহর ওয়াস্তে ইসলামের সাথে সন্ত্রাসের সম্পর্ক নাই বইলা সমস্যা এড়াইয়া যাবেন না প্লিজ। ইসলামের সাথে সন্ত্রাসের অবশ্যই অবশ্যই এবং অবশ্যই সম্পর্ক আছে। যেমন আছে দুনিয়ার বাদবাকি সবগুলি ধর্মের সাথে। কিন্তু বিশ্ব-রাজনীতি এবং ইসলামের ক্ষমতা দখলের বাসনার কারণেই অন্যান্য ধর্মগুলি একইরকম উগ্রবাদ এবং জঙ্গী মানসিকতা নিয়াও এই যুগে প্রায় নপংসুক হইয়া বইসা আছে, তার ধর্মগ্রন্থের পাতা ভরানো ছাড়া আর কাজ নাই! সেই জায়গায় ইসলাম আলাদা হইয়া গেছে সবার থিকা!

    ফিলিস্তিন বা সিরিয়াতে মানুষ মারার প্রতিবাদ নিশ্চয় আরো মানুষ মারা না আপনি মানেন। চোখের বদলে চোখ নিতে নিতে দুনিয়া কানা হইয়া বইসা থাকবে নিশ্চয়! এখন বিশ্ব-রাজনীতি বাদ দিলে নিজের ঘরে অর্থাৎ নিজদেশে মৌলবাদ তথা সন্ত্রাসবাদ এড়াইতে আপনি কী করতে পারেন?

    প্রথমতঃ আপনারে ডিনায়াল থিকা বাইর হইয়া আসতে হবে। অর্থাৎ ইসলাম যা, ইসলাম তাই। ইসলামের হইয়া সাফাই গাওয়া বন্ধ করেন, ইসলাম কত ভালো এই হা বিতং ঘ্যান্‌ঘ্যান্‌ গান গাওয়া থামান। ওয়াজ মাহফিলে রাস্তা ঘাটে ‘জিহাদী’ কথাবার্তার প্রতিবাদ করেন। হিন্দুদের বৌদ্ধদের খ্রিশ্চানদের ধর্মরে ছোট কইরা বলা খুৎবা থিকা বাইর হইয়া আসেন। মানুষরে কাফের বা মালু জাতীয় রেসিস্ট গালি দেওয়া বন্ধ করেন।

    দ্বিতীয়তঃ নিজের দেশের ঐতিহ্যরে ধইরা রাখেন। সংস্কৃতি দিয়া সন্ত্রাসবাদের উত্তর দেন। নামাজও পড়েন, পয়লা বৈশাখও পালন করেন। হ্বজ করেন এবং জীবনানন্দ পড়েন। যাকাত দেন এবং বেইলি রোডে থিয়েটার দেখেন। এবং যারা বলেন, থিয়েটার দেখা হারাম, তাদের দুইগালে চটকানা দিয়া আসেন। তাতে আপনাদের বাচ্চা ছেলেগুলি ধর্মের মৌলবাদে আকৃষ্ট হইয়া নিজেরা আত্মঘাতী হামলায় মরবেন না, অন্যদের জবাই করবেন না এবং আপনার ধর্মরেও মানুষ সন্ত্রাসীদের ধর্ম বলবেন না।

    বাদবাকি সব ধর্মের মত ইসলামের সাথেও সন্ত্রাসের সম্পর্ক আছে এই সত্য স্বীকার কইরা নিজের সংস্কৃতিরে বাঁচাইয়া রাইখা ধর্মীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন। মানে যদি আপনার ছেলেরে রাইফেল হাতে আজকে ফেইসবুকে সবার নিউজফিডে না দেখতে চান আরকি
  • Debabrata Chakrabarty | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:৪৫707664
  • ইসলাম এবং ক্রিস্টিয়ানটির তুলনায় নিৎসে একটু আধটু লিখেছিলেন The Anarchist
    " If Islam despises Christianity, it has a thousandfold right to do so: Islam at least assumes that it is dealing with men…." আরেকটু থাক " Christianity destroyed for us the whole harvest of ancient civilization, and later it also destroyed for us the whole harvest of Mohammedan civilization. The wonderful culture of the Moors in Spain, which was fundamentally nearer to us and appealed more to our senses and tastes than that of Rome and Greece, was trampled down (—I do not say by what sort of feet—) Why? নিৎসের মতে সভ্যতা ধ্বংসের কারিগর Christianity , আমেরিকা ,ল্যাটিন আমেরিকা ,ফিলিপিন্স এবং ইউরোপ দেখলেই বা তার ইতিহাস ঘাঁটলেই এই বক্তব্যের সপক্ষে প্রমান পাওয়া সম্ভব।

    তবে বর্তমান নিবন্ধকারের এই তুলনামূলক আলোচনার গভীরে যাওয়ার প্রবনতা নেই যা আছে তা হোল " ওয়ার অন টেরর " এর নামে আমেরিকান সংগঠিত সন্ত্রাসবাদের পক্ষে নির্লজ্জ ওকালতি । না হলে লেখেন " সব হত্যালীলাই নিন্দার। কিন্ত আমেরিকার ড্রোন হামলার সাথে গুলশান হামলার তুলনা হাস্যকর। একটি প্রগতিশীলতার আধিপত্যবিস্তার-অন্যটি আমদের মধ্যযুগে ঠেলার পাঁইয়তারা-যেখানে খাদ্য, বস্ত্র চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকারগুলো নেই। সুতরাং আমেরিকার হত্যালীলার বিরুদ্ধে আমরা অতটা সোচ্চার নই, কিন্ত ইসলামি জঙ্গীদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার। " সুতরাং হাজার হাজার নিরাপরাধ শিশু এবং সাধারণ জনতার মৃত্যুতে চোখ বুজে থাকুন কারন সেটি প্রগতিশীলতার স্বার্থে -সভ্য দেশ হলে এই লেখক এই লেখাটির মাধ্যমে হেট স্পিচ প্রচার এবং গণহত্যার সমর্থক হিসাবে বাকি জীবন গরাদের ভেতরে থাকতেন । নির্লজ্জতার একটি মাত্রা আছে ।
  • ড্রাগ | 183.67.3.44 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৯:৩৩707686
  • (১) যুদ্ধ ছাড়া জঙ্গী দমন সম্ভব? মহত্মাগান্ধীর বানী ছড়ানোর সাহস আছে দেবব্রত বাবুর সিরিয়াই গিয়ে? ফুটানি ত ফেসবুকের পাতায় আর গুরুতে। কোন প্রগতি এসেছে যুদ্ধ ছাড়া? (২) জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র যদি ধরতেই হয়, তাহলে কিছু জঙ্গী মরবে-কিছু কোল্যাটেরাল ড্যামেজ হবে

    জঙ্গীদের সাথে না যুদ্ধ করেই পৃথিবী সন্ত্রাসমুক্ত হবে তা হাস্যকর। আর আর্থসামাজিক, গালগল্পও হাস্যকর-কারন এই টেরোরিস্টরা ধনী পরিবারের শিক্ষিত সন্তান। তারা বঞ্চিত বাঞ্চত না।

    সুতরাং ইসলামের টিচিং ( ভাল না খারাপ সে তর্কে যাচ্ছি না) দায়ী এটা জলের মতন পরিস্কার। সুতরাং মুসলমান দেশগুলিতে বিজ্ঞানের চেতনা আনতে হবে?? হবে কি না?

    সেটা কি করে করবেন? কোরান বিরোধি তাই অধিকাংশ মুসলিম দেশে বিবর্তন তত্ত্ব বায়োলজিতে পড়ানো হয় না। কোরানে বিজ্ঞান আছে তা সরকারি পয়সায় প্রচার করা হয়। এই দেশ গুলো থেকে জঙ্গী বেড়োবে না বলছেন??

    ক্রমাগত বেড়োবে। একমাত্র উপায় এই দেশগুলি দখল করে সেকুলারাইজ করা। সেখানে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া। এটা ভবিষ্যতে হতে বাধ্য -কারন এই সমস্যার মূলে ইসলাম এবং সেটা কারেক্ট করার ক্ষমতা কোন মুসলমানদেশের গণতন্ত্রের নেই। একমাত্র সেকুলার ডিক্টেটরশিপ এটাকে জোর করে করাতে পারে।

    শুনতে খারাপ লাগবে। কল্পনাবিলাসি বামেরা চেঁচাবেন। কিছু যায় আসে না। আমাদের বাঁচতে হবে। সারভাইভাল ইজ অনলি ভ্যালিড লজিক। চারিদিকে আইসিসের জঙ্গীরা গিজ গিজ করছে আমাদের মধ্যে। যেকোন ধর্মপ্রান মুসলমানই যেকোন দিন আই সিসি হ্যান্ডলারের হাতে পরলে জঙ্গী হয়ে উঠতে পারে এটাই ঢাকার ঘটনার শিক্ষা। মুসলমান দেশগুলো দখল করে ডিক্টের বসিয়ে জোর করে দেশগুলোকে সেকুলারাইজ না করলে এর সমাধান নেই। তারপরে তাদেরকে তাদের গণতন্ত্র ফেরালেই হবে। ইনফ্যাক্ট ইজিপ্টে সেই মডেলই চলছে এখন। ইজিপ্ট ২৫,০০০ মসজিদ বন্ধ করেছে। স্কুলে ধর্ম বন্ধ করেছে। বিজ্ঞান শিক্ষা আরো বিস্তৃত করেছে। সবই ডিক্টেটরের আন্ডারে, মৌল্বাদিদের ডান্ডা মেরে যেখানে গণতন্ত সম্পূর্ন শরিয়ার দিকে যাচ্ছিল।

    আপনার ভাই বা বোন যখন ড্রাগ এডিক্ট হয়, তাকে ড্রাগের এডিকশন কি আপনি চালিয়ে যেতে দেন। তাকে রিহ্যাবিলেটেশনে পাঠাতে হয়। ঠিক হলে সে সুস্থ জীবনে ফিরে আসে। মুসলিম দেশগুলো এখন সব ইসলাম এডিক্টেড দেশ। তাদের ডিক্টেটরশিপের আণ্ডারে (যা পাশ্চাত্য বান্ধব ) ইজিপ্টের মতন সেকুলারাইজ করতে হবে।

    আকাশ কুসুন কল্পনা বিলাসী বাম চিন্তায় কোন লাভ নেই। এটা যুদ্ধ। হয় আপনি মোল্লাদের সাথে না হলে প্রগতির সাথে।

    দেবব্রত বাবু ইসলামিস্টদের সাথে আছেন। থাকুন। তবে কি না জঙ্গীদের সামনে পড়লে কলমা না পড়তে পারলে, উনাকেও ওরা ছেড়ে দেবে না।

    আমেরিকা আল কায়দা এবং আইসিসের উত্থানের পেছনে আছে। কিন্ত এখন আর থাকবে না-এই নির্বাচনে প্রথম হিলারী, কেরীর কুকীর্তি নিয়ে সরব হয়েছে ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রকাশ্যেই বলছে ওবামা হিলারী আইসিস বানিয়েছে। আমেরিকা গণতন্ত্র। সে তার সমস্যার সমাধান করে নেবে। কিন্ত ইসলামিক বিশ্ব তা পারবে না। ফলে ইসলামিক বিশ্বে ডিক্টেটর বসাতেই হবে, জঞ্জাল সাফ করার জন্য।

    এগুলো অনৈতিক কথা জানি-কিন্ত এটাই এখন বাঁচার একমাত্র পথ। আপনি বাঁচলে বাপের নাম। মানবিকতা অনেক দূর।
  • ড্রাগ | 183.67.3.44 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৯:৩৩707675
  • (১) যুদ্ধ ছাড়া জঙ্গী দমন সম্ভব? মহত্মাগান্ধীর বানী ছড়ানোর সাহস আছে দেবব্রত বাবুর সিরিয়াই গিয়ে? ফুটানি ত ফেসবুকের পাতায় আর গুরুতে। কোন প্রগতি এসেছে যুদ্ধ ছাড়া? (২) জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র যদি ধরতেই হয়, তাহলে কিছু জঙ্গী মরবে-কিছু কোল্যাটেরাল ড্যামেজ হবে

    জঙ্গীদের সাথে না যুদ্ধ করেই পৃথিবী সন্ত্রাসমুক্ত হবে তা হাস্যকর। আর আর্থসামাজিক, গালগল্পও হাস্যকর-কারন এই টেরোরিস্টরা ধনী পরিবারের শিক্ষিত সন্তান। তারা বঞ্চিত বাঞ্চত না।

    সুতরাং ইসলামের টিচিং ( ভাল না খারাপ সে তর্কে যাচ্ছি না) দায়ী এটা জলের মতন পরিস্কার। সুতরাং মুসলমান দেশগুলিতে বিজ্ঞানের চেতনা আনতে হবে?? হবে কি না?

    সেটা কি করে করবেন? কোরান বিরোধি তাই অধিকাংশ মুসলিম দেশে বিবর্তন তত্ত্ব বায়োলজিতে পড়ানো হয় না। কোরানে বিজ্ঞান আছে তা সরকারি পয়সায় প্রচার করা হয়। এই দেশ গুলো থেকে জঙ্গী বেড়োবে না বলছেন??

    ক্রমাগত বেড়োবে। একমাত্র উপায় এই দেশগুলি দখল করে সেকুলারাইজ করা। সেখানে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া। এটা ভবিষ্যতে হতে বাধ্য -কারন এই সমস্যার মূলে ইসলাম এবং সেটা কারেক্ট করার ক্ষমতা কোন মুসলমানদেশের গণতন্ত্রের নেই। একমাত্র সেকুলার ডিক্টেটরশিপ এটাকে জোর করে করাতে পারে।

    শুনতে খারাপ লাগবে। কল্পনাবিলাসি বামেরা চেঁচাবেন। কিছু যায় আসে না। আমাদের বাঁচতে হবে। সারভাইভাল ইজ অনলি ভ্যালিড লজিক। চারিদিকে আইসিসের জঙ্গীরা গিজ গিজ করছে আমাদের মধ্যে। যেকোন ধর্মপ্রান মুসলমানই যেকোন দিন আই সিসি হ্যান্ডলারের হাতে পরলে জঙ্গী হয়ে উঠতে পারে এটাই ঢাকার ঘটনার শিক্ষা। মুসলমান দেশগুলো দখল করে ডিক্টের বসিয়ে জোর করে দেশগুলোকে সেকুলারাইজ না করলে এর সমাধান নেই। তারপরে তাদেরকে তাদের গণতন্ত্র ফেরালেই হবে। ইনফ্যাক্ট ইজিপ্টে সেই মডেলই চলছে এখন। ইজিপ্ট ২৫,০০০ মসজিদ বন্ধ করেছে। স্কুলে ধর্ম বন্ধ করেছে। বিজ্ঞান শিক্ষা আরো বিস্তৃত করেছে। সবই ডিক্টেটরের আন্ডারে, মৌল্বাদিদের ডান্ডা মেরে যেখানে গণতন্ত সম্পূর্ন শরিয়ার দিকে যাচ্ছিল।

    আপনার ভাই বা বোন যখন ড্রাগ এডিক্ট হয়, তাকে ড্রাগের এডিকশন কি আপনি চালিয়ে যেতে দেন। তাকে রিহ্যাবিলেটেশনে পাঠাতে হয়। ঠিক হলে সে সুস্থ জীবনে ফিরে আসে। মুসলিম দেশগুলো এখন সব ইসলাম এডিক্টেড দেশ। তাদের ডিক্টেটরশিপের আণ্ডারে (যা পাশ্চাত্য বান্ধব ) ইজিপ্টের মতন সেকুলারাইজ করতে হবে।

    আকাশ কুসুন কল্পনা বিলাসী বাম চিন্তায় কোন লাভ নেই। এটা যুদ্ধ। হয় আপনি মোল্লাদের সাথে না হলে প্রগতির সাথে।

    দেবব্রত বাবু ইসলামিস্টদের সাথে আছেন। থাকুন। তবে কি না জঙ্গীদের সামনে পড়লে কলমা না পড়তে পারলে, উনাকেও ওরা ছেড়ে দেবে না।

    আমেরিকা আল কায়দা এবং আইসিসের উত্থানের পেছনে আছে। কিন্ত এখন আর থাকবে না-এই নির্বাচনে প্রথম হিলারী, কেরীর কুকীর্তি নিয়ে সরব হয়েছে ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রকাশ্যেই বলছে ওবামা হিলারী আইসিস বানিয়েছে। আমেরিকা গণতন্ত্র। সে তার সমস্যার সমাধান করে নেবে। কিন্ত ইসলামিক বিশ্ব তা পারবে না। ফলে ইসলামিক বিশ্বে ডিক্টেটর বসাতেই হবে, জঞ্জাল সাফ করার জন্য।

    এগুলো অনৈতিক কথা জানি-কিন্ত এটাই এখন বাঁচার একমাত্র পথ। আপনি বাঁচলে বাপের নাম। মানবিকতা অনেক দূর।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ১৯:৪৪707697
  • বাব্বা ! বিপ পাল হিলারি নিয়ে এদ্দিন এত্ত অন্ধ ভক্তি দেখিয়ে এখন হিলারির 'কুকীর্তি' ফাঁস নিয়ে উল্লসিত ! আর ট্রাম্পের গুণগান করছেন ! অবশ্য এ বিষয়ে আপনার স্ট্যাণ্ড ট্রাম্পের সাথে মেলে বটে। আর ট্রাম্পের মতন আপনিও কিছুটা মুসলিমফোবিক তো আছেন বটে।
  • dc | 181.49.193.218 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ২০:১১707709
  • "ড্রাগ" পোস্টটা বিপ পালের নাকি? অতি কুরুচিকর মনে হল (যেই পোস্টটা করে থাকুন)।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ২০:২২707720
  • বিপ্পাল নিজের নামে পোস্টটা করলেন না দেখেও অবাক লাগল।
  • সে | 198.155.168.109 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ২০:২৬707731
  • এটা উনি অন্য কারো লেখা কোন ব্লগ থেকে কপি করে এখানে পেস্ট করেছেন মনে হচ্ছে। অন্য টইতে যেমন করা হচ্ছে।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ২১:২২707742
  • ড্রাগ নামে পোষ্টটা আমারই-এখানে এডিটিং করার উপায় নেই। আমি কিছু একটা লিখতে গেছিলাম-ওঝানে ওটা ছিল।

    আর না কোথা থেকে কপি করা হয় নি।

    আমি হিলারী সাপোর্টারই আছি। কিন্ত অন্ধ সাপোর্ট ভাল না। হিলারীর ভুলটা ভুলই।
  • umesh | 96.0.59.229 | ০৪ জুলাই ২০১৬ ২২:৫১707748
  • আমি তো বিপ আর টেররিস্ট দের মধ্যে তফাত দেখি না।

    একজন ধর্মের নামে মারে, আর একজন মারার আগে একটু বাহানা'র গঙ্গাজল ছড়িয়ে দেয়।

    মানুষ মারার জন্যে আবার বাহানা কিসের? মেরে ফেললেই হয়, ধরতি বা বোঝ একটু কমে।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:২৪707749
  • দেখুন ভাল মানুষ সেযে মানবিক কথা বলে তালতালি কুড়াবার পাবলিক আমি নই। ওই টুকু সততা এখনো নিজের মধ্যে বেঁচে আছে। এখন আমি যুদ্ধের মধ্যে আছি। অভিজিতকে মারার আগে আমি আপনার মত ওইসব বড় বড় কথা লিখতাম-কারন ছিলাম নিরাপদ দূরত্বে। এখন বুঝেছি, এটা যুদ্ধ। এখানে একটা পক্ষ নিতেই হবে। আমি ভাবতেই পারি আমি মিঃ নিরেপেক্ষ। যুদ্ধ ঘৃণা করি। কিন্ত যেদিন চাপাতি সামনে আপনি বা আমি পড়ব সেদিন কি হবে? আমার কথা ছেড়ে দিন। আমি ত ঘোষিত সৈনিক এই যুদ্ধের-সুতরাং আমিও চাইছি আমেরিকা জঙ্গীদের মশা মাছির মতন মারুক। ওরাও সুযোগ পেলে আমাকে মারবে। কারন এটা এখন যুদ্ধ। এই নিয়ে আমার মনে দ্বিধা দ্বন্দ নেই। কিন্ত আপনার কি হবে? চাপাতির সামনে পড়লে, কাকা কি সুন্দর ফেসবুকে ভাল ভাল লেখেন বলে ছেড়ে দেবে????

    দেখুন গীতাতে অর্জুন যখন আপনার মতন বড় বড় মানবিকতার বাত ঝাড়ছিল যুদ্ধের বিপক্ষে, প্রানের সপক্ষে -তখন কৃষ্ণের কথা ভাবুন -কৃষ্ণ পরিস্কার ভাবেই বল্লেন

    অশোচ্যানন্বশোচস্ত্বং প্রজ্ঞাবাদাংশ্চ ভাষসে ।
    গতাসূনগতাসূংশ্চ নানুশোচন্তি পণ্ডিতাঃ ॥ ২-১১॥

    অর্থাৎ হে অর্জুন এ মরে যাবে ওর হত্যা হবে -ইত্যাদি টাইপের মানবিকতা দেখানো বা শোক বিলাস- যুদ্ধক্ষেত্রে মূর্খামো-কারন কাকে মারছে, কি মারছ তাকি তুমি জান?

    গীতার ঐ আত্মা পরমাত্মার ঢপ আমার মতন যুক্তিবাদির পেটে সইবে না-কিন্ত জ্ঞানটা সইবে। কারন সত্যিই ত- ড্রোণ হামলায় কিছু নারী পুরুশ মরছে-কিন্ত তাতে সভ্যতা, ধ্বংস হবে না। মানুষ জন্মাতেই থাকবে। আমেরিকার গৃহযুদ্ধে ৪% জন সংখ্যা ধ্বংশ হইয়েছিল। কিন্ত ওই প্রগতিশীলতার জয়ের জন্য ওই প্রানদানের প্রয়োজন ছিল। দু একটা মানুষের মৃত্যুতে কিছু হয় না-যদি সেই মৃত্যুর বিনিময়ে সভ্যতা এগোতে থাকে। সভ্যতার সংজ্ঞা আমি দিয়েছি-যেখানে খাদ্য,চিকিৎসা শিক্ষা বাসস্থানের নিরাপত্তা আছে। সবার জন্য।
  • শিবির | 219.119.173.194 | ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩৪707750
  • তা আমেরিকা সৌদিতে কবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে? প্রায় সকল সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর তো ওটাই।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩৭707751
  • এই প্রশ্নে কবি নীরব ঃ)
  • cm | 127.247.99.192 | ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:৫১707752
  • সর্বত্র গণতন্ত্র থাকতে হবে কেন? কোন দেশ কিভাবে চলবে ঠিক করবে তার জনতা।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৯:০৩707753
  • আমেরিকা নির্দোষ এই দাবী আমি করি না। আমেরিকার সৌদি নীতি অনেকাংশেই দায়ী। বিদেশনীতিও দায়ী। সেটা আমেরেকার গনতন্ত্রে থেকেই আটকাতে হবে। কিন্ত ইসলামের সংস্কার নেই-এটাও দায়ী। সেটা কে করবে? যুদ্ধ ছাড়া সেটা অর্জিত হবে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন