এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা-অত:পর টেরর যখন অন্তঃপুরে

    bip
    অন্যান্য | ০২ জুলাই ২০১৬ | ৮৮৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 85.137.4.190 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:০৫707822
  • ডিসি ঠাণ্ডা মাথায় খিল্লি করছে (অথচ লোকে আমাকেই ফাজিল বলে)
  • dc | 132.174.185.232 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:০৭707823
  • কেন আর কি, অনেক সুবিধে হবে। হাজার বার করে একই অ্যাড দেখতে হবেনা, ব্যান্ডউইডথও একটু বাঁচবে। কার্বন ফুটপ্রিন্টও একটু কমবে। রেসপন্সিবল সিটিজেন হিসেবে এটুকু তো আমরা করতেই পারি।
  • pi | 233.231.38.18 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:০৮707824
  • ইস্লামে রিফর্ম আনার চেষ্টা তো হয়েছে বেশ কিছুবার। আর কল্লোলদা যেটা লিখেছে, হতে পারেনি মূলতঃ সৌদির কারণে। এবং সৌদি ..
    ইসলামে সমস্যা নেই একথা কেউ বলেনি। এটাও তো মুখে কথা বসানো।
  • cb | 132.170.144.184 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:০৯707826
  • খিল্লির কি আছে? পবতে গোলমাল লাগা তো সময়ের অপেক্ষা। মমতা এবার শুনলাম বলেছেন অচেনা লোক দেখলে জানাতে। এটুকুও যদি উন্নতি হয়!!!
  • dc | 132.174.185.232 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:০৯707825
  • এই দেখো, গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর উপায় বলে দিচ্ছি আর সবাই সেটাকে খিল্লি ভাবছে। কি দুর্দিন!
  • PT | 213.110.242.5 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:১২707828
  • বেশী বুদ্ধিমানদের জন্য একই কথা বার বার করে বলা প্রয়োজন কেননা তারা ইচ্ছে করে ভুলে যাওয়ার প্রচেষ্টায় বেশ সফল-অন্ততঃ এখনকার আলোচনা পড়লে সেরকমটাই মনে হয়......... কত তাত্বিকতা হচ্ছে দেখছেন না!!

    আর অন্যকে হ্যাটা দিয়ে যদি জঙ্গীপনা আটকানো যেত তাহলে তো আর এক "কম বুদ্ধির" মানুষ "এত রক্ত কেন" লিখতেন না!!
  • | 37.63.147.5 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:১২707827
  • ব্পি কে আমার এক লাইনের প্রশ্ন। কিন্তু উত্তর টা বোধহয় ১৫ নাম্বারের হবেঃ-

    "আমেরিকার থেকে বড় জঙ্গী এই সময় পৃথিবী কে কে আছে?"
  • Abhyu | 85.137.4.190 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:১৫707829
  • পিটিদা, বলেই দি - অ্যাডব্লক লাগালে আর আনন্দবাজার পড়তে পারবেন না :)
  • dc | 132.174.185.232 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:২০707830
  • :p
  • PM | 116.76.176.214 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১১:৪৮707599
  • অমিত, স্ট্রাকচারালি ইসলামে রামমুহনের আসা সম্ভব নয়। হিন্দু ধর্মে অবতারবাদ আছে, ক্রিস্টান ধর্মে সেন্টের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু ইসলামে সেরকম কোনো স্ট্রাকচারাল সুযোগ নেই।

    ইসলামে শেষ প্রেফেট এসে গেছেন। ঈশ্বর বলে দিয়েছেন আর কাউকে পাঠাবেন না। কোরানে যা বলা আছে সেটাই ঈশ্বরের শেষ বাণী। তাই নতুন কোনো বানী কেউ বল্লে সে আল্লার বিরোধীতা করছে। সুতরাং তার বাঁচার অধীকার নিয়ে সন্দেহ আছে কোরান অনুযায়ী। কয়ামতের দিন পর্য্যন্ত কোরান-ই হলো শেষ কথা, মহম্মদ-ই হলেন শেষ নবী। আহামদীরা যারা নবীর পরেও প্রফেটে বিশ্বাস Kঅরেন তাদের মুসলিম বলে গন্য করা হয় না। তারা নিজেদের মুসলীম বল্লে ব্লাসফেমী আইনে মাথা কাটা যাবে। আব্দুস সালামের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তকে পাকিস্তানে সমাধিস্ত করা হয়। পরে ওনার সমাধীকে ডিফেস করে মুসলীম রিলেটেড শব্দাবলী তুলে দেওয়া হয়।

    এই পরিস্থিতিতে গঠনগত ভাবেই ইস্লামে রামমোহনের আসা সম্ভব নয়। রিফর্ম সম্ভব নয়। রিফর্ম হলে সেটা আহমেদিয়ার মত অন্য একটা ধর্ম হবে ইসলাম থাকবে না । তারা নিজেদের মুস্লিম বলে দাবী করলে---নিজের গলার ব্যবস্থা করেই করতে হবে।

    সুতরাং ইসলাম ১৪০০ বছর আগের একটা সভ্যতা সংস্কৃতিকেই অনুসরন করবে, হা হুতাশ করে লাভ নেই।
  • কল্লোল | 111.63.206.21 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:২২707600
  • অমিত। ইসলামে রামমোহন আসে নি, তার জন্য সৌদি দায়ী। আর সৌদিকে তোল্লা দেয় কে? নাম করতে হবে?
    বাংলাদেশে জামাত চলে সৌদির পয়সায়। সৌদিকে তোল্ল দেয় কে? নাম করতে হবে?

    বিপ। আমেরিকা কে সামলানো যাবে? কে সামলাবে আপনি? আপনার কথাতেই পরিষ্কার যতদিন আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসায়ীরা সে দেহের রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করবে ততো দিন আমেরিকা পৃথিবীর সব দেশে খুঁচিয়ে ঘা বানাবেই। সেই তারা সন্ত্রাসবাদী নয় তো কারা সন্ত্রাসবাদী?
    এদের সামলাবে কারা?
    আমেরিকার গণহত্যাগুলো প্রগতির জন্য। ওঃ সাদা মানুষের বোঝা আর কতো রং বদলাবে?

    বিপ। ভালো কথা, আফ্রিকায় খ্রীস্ট্ধর্মের প্রসার নিয়ে কিছু পড়াশোনা আছে? কি অসম্ভব প্রেম ও প্রীতির আবহে সেখানে খ্রীস্ট্ধর্মের প্রসার হয়েছিলো জানেন কি? ইউরোপ থেকে পাদ্রীরা পিয়ানো আর ব্যাঞ্জো বাজিয়ে - শিশু যীশু জনমিলো / পতিত পাবন আইলো গান গাইতেন আর কালো মানুষেরা দলে দলে সেই মধুর সঙ্গীতে আপ্লুত হয়ে, চোখের জলে ভাসতে ভাসতে, গভীর প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে খ্রীস্টের স্মরণ নিতেন, সেসব ইতিহাস পড়েছেন কি? নিশ্চই পড়েছেন।
    তারপর আফ্রিকা থেকে দলে দলে কালো মানুষেরা মারামারি করে ইউরোপ আর আমেরিকাগামী জাহাজে উঠে পড়তেন। তখন তারা রবীন্দ্রদঙ্গীতও গাইতেন - যাবো-ই মোরা যাবো-ই / তুলোর ক্ষেতে যাবো-ই / তামাক ক্ষেতে যাবো-ই মোরা যাবো-ই.............
    সেসব ইতিহাস পড়েছেন কি? নিশ্চই পড়েছেন।

    তারপর, না না, তার আগে, আমেরিকায় স্প্যানিশ খ্রীস্টানরা কি অসম্ভব ত্যাগ তিতিক্ষায় সেখানকার আদিবাসীদের প্রেমের জোয়ারে এমন ভাসালেন যে তারা দলে দলে উবেই গেলেন প্রেমের ঠেলায়। সেসব ইতিহাস পড়েছেন কি? নিশ্চই পড়েছেন।
  • umesh | 72.254.195.217 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:২৪707601
  • ইসলাম জঙ্গী না থাকলে ৯০% ব্যবসা মাটি, তাই আমেরিকান যুদ্ধ ব্যবসায়ীরা জঙ্গী দের মদদ জোগায়, এই পর্যন্ত বোঝা গেলো।
    কিন্তু তার পরের প্যারা তে আমেরিকা গনতন্ত্রের মাধ্যমে সমাধান করবে।
    দুটো কথা একসাথে পড়তে গিয়ে আমার সব ঘেটে গেলো।

    কেন সমাধান করবে? তাহলে ব্যবসার কি হবে?
    দুটো পরস্পর বিরোধী বলে মনে হচ্ছে না!!!!!!
  • | 37.63.147.5 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৩০707602
  • PM তোমার ১১ঃ৪৮ এর জন্যে ধন্যবাদ।

    তা আমার ছাত্রীর বক্তব্য কেই প্রতিষ্ঠিত করে।
  • kintu | 71.12.80.194 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৩১707603
  • তাতিন কি নেড়াপোড়া আর নেড়া-নেড়ী গুলিয়ে ফেলল ? ওটা কি নেড়াপোড়া না ম্যাড়াপোড়া ? আমি পড়েছিলাম দ্বিতীয়্টা, অক্ষয় মালবেরী-তে, ম্যাড়া রাক্ষসকে পোড়ানো হচ্ছে। শীতরাক্ষস গোছের কেউ, শীত গিয়ে বসন্তের আগমন, এরকম কি্ছু। পড়ে, ফেলিনির অ্যামার্কডের প্রথম দৃশ্যর কথা মনে হয়ে্ছিল, সেখানে একটা খড়ের তৈরী বুড়ী মানুষ ছিল।

    (ডিঃ হিন্দুদের বৌদ্ধহত্যা নিয়ে কোন বক্তব্য নেই।)
  • amit | 230.245.41.192 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৩২707604
  • আজকে ইসলামিক দেশ গুলোতে যদি সংখ্যালঘু দের ওপর এভাবে অত্যাচার না হতো, ব্ল্যাসফেমি কানুনের মতো কালা কানুন না থাকতো, অথবা সবার ওপর জোর করে শরিয়া না চাপানো হতো, তাহলে আজকে হয়তো বাকি দুনিয়া সন্ত্রাস কে সন্ত্রাস বলেই ট্যাগ করতো, "ইসলামিক সন্ত্রাস" বলে নয়, অন্তত সহানুভূতি থাকতো। এই ভাবে জোরজারি করতে গিয়ে ইসলাম নিজেকে বাকিদের থেকে এতটাই isolate করে ফেলেছে, তার দোষ অনেকটাই তার নিজের। শুধু আমেরিকা রাশিয়া কে দোষ দিলে সেটাও অন্ধের হস্তিদর্শন ই হচ্ছে।
  • | 37.63.147.5 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৩৯707605
  • জোর করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে গেলে চাপ আছে। তা হিন্দু ই হোক। বৌদ্ধ ই হোক। ইসলাম ই হোক আর খ্রীষ্ট্রান ই হোক।

    দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে আমাদের ভারতবর্ষে ও কম প্রচেষ্টা হয় নি। এবারে এপ্রিল মাসে চেরাপুঞ্জি তে গিয়ে রামকৃষ্ণ মিশন র ওখান কার প্রধান মহারাজের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা হচ্ছিল। শুধু মাত্র মেঘালয়ে রা কৃ মি ৫৮ টি স্কুল চালায় ( তার মধ্যে ৮ টি উমা) শুনে আমি জাস্ট অবাক। উনার মুখে ই শুনলাম এখানে এই রা কৃ স্কুলের প্রচার নিয়ে আমাদের এক সিনিয়ার মহারজের কীভাবে প্রাণ সংশয় হয়।কোন ভাবে উনি রক্ষা পান।
  • Abhyu | 85.137.4.190 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৫৯707606
  • শুনি শুনি গল্পটা
  • PT | 213.110.242.22 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:০২707607
  • "পিটিদা, বলেই দি - অ্যাডব্লক লাগালে আর আনন্দবাজার পড়তে পারবেন না ঃ)"
    আমি এসব টেকনিকাল ব্যাপার বুঝিনা। এখনো কিছু বুঝিনি......!!
  • Abhyu | 85.137.4.190 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:০৪707608
  • আপনি কি ব্যবহার করেন? ফায়ারফক্স? ক্রোম?
  • PT | 213.110.242.22 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:০৯707610
  • বোধহয় দুটো-ই...
  • Abhyu | 85.137.4.190 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:১৬707611
  • এইখানে যান https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/adblock-plus/
    Add to Firefoxএ ক্লিক করুন ও ইনস্টল করুন। এমনিতে কাজের জিনিস।
  • PT | 213.110.242.22 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:২১707612
  • ধন্যবাদ!
    কিন্তু এটা শেখানোর জন্য "ডিসি ঠাণ্ডা মাথায় খিল্লি করছে " লিখলেন?
  • Abhyu | 85.137.4.190 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:২৪707613
  • আমাকে "আপনি" বলছেন কেন?
    এটা থাকলে আনন্দবাজার দেখতে পাবেন না। পাতার ডানদিকে দেখুন লেখা একটা ছবি আসছে ওখানে ক্লিক করে Disable on anandabazar.com করে দিতে হবে।
  • PT | 213.110.242.23 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৯:০৬707614
  • ধন্যবাদ!
  • Ranjan Roy | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৯:১৪707615
  • কেসি/ডিসি/পাই ও আকার বক্তব্যকেই রিপিট করছিঃ
    ১) অল সেইড অ্যান্ড ডান, গত কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস একটা ব্যাপক আকার নিয়েছে।
    ২) যদি এর মূল কারণ ইসলামের মতাদর্শের মধ্যেই নিহিত থাকত তাহলে এই সময়ে না বেড়ে আগেই বাড়ত।
    ৩) যদি বিপের কথা ধার করে বলিঃ

    " সৌদি আরবের ইতিহাস পড়ুন, দেখবেন আইসিস কি তার থেকেও ভয়ঙ্কর হত্যালীলা ঘটানো দল বারে বারে তৈরি হয়েছে ইসলামের নামে। বারে বারে। কমপেয়ার করতে বসলে আজকের যুগকে অপার শান্তির যুগ মনে হবে।"
    --- তাহলে চাপ কিসের? তাহলে মেনে নিতে হয় একুশ শতাব্দীতে ইসলাম স্পন্সর্ড টেরর অন দ্য ডিক্লাইন!!!

    ৪) এই খানেই অমিত ও জবাব এবং আকার পোস্ট প্রাসংগিক হয়ে ওঠে।
    অমিতঃ কিন্তু এই মুহূর্তে, গত ২০-৩০ বছরে কি অন্য ধর্ম গুলোর থেকে ইসলাম কে একটু বেশি রকমের প্রব্লেমেটিক মনে হচ্ছে না ?
    --এই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া কঠিন।
    আকাঃ
    "কোন এক কালে লোকজনকে পাথর চাপা দিয়ে হত্যা টত্যা করা হত।
    মানুষ উন্নত হয়েছে স্টোন টু ডেথ শুধু একটি ধর্মেই আইনত।"
    এবংঃ
    "অনেক মুসলিম আছেন নির্বিকল্প রোজা টোজা রাখেন ও দিনান্তে আইসিইস কে গাল পারেন।
    ইসলাম তোমার রামমোহন কবে জনমিবে?"
    জবাবঃ
    "সন্ত্রাসের বিভিন্ন কারণ বেরিয়েছে - ভাষা, জমি, রাজনীতি, কিন্তু ধর্মের বেসিসে যে সন্ত্রাস - সেইখান থেকে বাকি সমস্ত ধর্ম বেরিয়ে আসতে পেরেছে, পারে নি শুধু ইসলাম।
    ৫)
    পাই/ডিসি/কেসিঃ
    অ)এই গত ২৫-৩০ বছরে জঙ্গি হানা এত বেড়ে যওয়ার পিছনে আমার তো রাজনৈতিক কারণ অনেক বেশি আছে মনে হয়, আর ধর্মকে সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে।
    আ) আমার তো মনে হয় যদি মিডল ইস্ট রিজিয়নটায় খ্রিস্টান ধর্ম হতো আর ওয়েস্টে ইসলাম, তাহলে আমরা ঠিক একই ইনটেনসিটিতে খ্রীশ্চান টেরোরিজম দেখতাম।
    ই) বিশেষকরে বাংলাদেশে যেটা ঘটছে, সেটা পুরোপুরিই রাজনৈতিক লড়াই। রাজনীতিটাকে যদি অ্যাড্রেস না করা হয়, তাহলে খুনোখুনি বেড়েই চলবে।
    ঈ) জবাব বলছেনঃ
    "রাজনৈতিক কারণ তো আছেই, থাকবেও, কিন্তু আমার প্রশ্নটাই এখানে, রাজনীতির কারণের শিকার শুধুই ইসলাম কেন হচ্ছে? অন্য ধর্মকে এইভাবে কেন এক্সপ্লয়েট করতে পারছে না রাজনীতি?"

    ৬) আমার দু'পয়সাঃ
    ষাট সত্তরের দশকে বিশ্বজুড়ে মার্ক্সিস্ট লাইনে ( বিশেষ করে চীনের নেতৃত্বে) সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে একটা গোটা দুনিয়ায় সাম্য।ন্যায়/ভ্রাতৃত্বের রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছড়িয়ে পড়েছিল। কন্টিন্জেন্ট কারণ অবশ্যই তৎকালীন দুনিয়াব্যাপী মার্কিন দাদাগিরি ও হত্যালীলা, বিশেষ করে থার্ড ওয়ার্ল্ডে। তাতে সাড়া দিয়ে দলে দলে ছেলেমেয়ে হাতিয়ার তুলে নিচ্ছিল, শহীদ হচ্ছিল। দরিদ্র ও সম্পন্ন সব ঘর থেকেই।
    বন্দুকের নল রাজনৈতিক শক্তির উৎস-- উক্তিটা আপ্তবাক্যের জায়গা নিয়েছিল।
    নব্বইয়ের দশকে সে স্বপ্ন কবরে গেছে, আছে হতাশা। এখন আবার বিশ্বজুড়ে ন্যায়ের শাসন স্থাপনরে লড়াইয়ের দামামা বাজছে-- অনেক সোজাসুজি, অনেক ক্রুড শ্লোগান নিয়ে। আল্লার নিয়মে চলতে হবে। বাকি দের বাঁচার অধিকার নেই।
    মার্ক্সিস্ট যুদ্ধের ট্র্যাজেডির ফল আজকের প্যান ইসলামিস্ট ব্ল্যাক কমেডি! তাই ডেঞ্জারাস!

    দুটো ফিলজফিই তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে অন্য মতের বা বিরোধীদের হত্যাকে জাস্টিফাই করে। দুটোরই ইমোশনাল অ্যাপিল যুবসমাজের কাছে খুব বেশি।
    দুটোরই অনুগামীদের মধ্যে অনেকে আছেন যাঁরা হত্যা বা ধর্মযুদ্ধে অস্বস্তি বোধ করেন। ব্যক্তিজীবনে আইন মেনে চলা নাগরিক হয়েই থাকেন।
  • Ranjan Roy | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৯:৪৩707616
  • আর একটা কথা মনে হচ্ছেঃ
    হত্যার মোডালিটি ও আমাদের মনস্তত্ত্ব।
    এই সব চাপাতি দিয়ে মুরগীকাটার মত মানুষ জবাই করা ভাবলেই কেমন গা গুলিয়ে ওঠে। অন্ততঃ আমার। 'গ্যাংগ্স অফ ওয়াসিপুর" দুখন্ড পুরোটা দেখতে পারিনি।
    কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের ওপর হলিউডি সিনেমা --যেখানে কামানে বিমানে ট্যাংকে বিশাল নরমেধ যজ্ঞ-- তাতে কোন অসুবিধে হয় না। ইরাকে আম্রিকা সিভিলিয়ান যা মেরেছে তা সাদ্দাম বা ওয়র্ল্ড টাওয়ার ধ্বংসলীলার চেয়ে বেশি। কিন্তু কখনই আমাদের মনে তেমন করে দাগ কাটে না।
    একজন নোবেলপ্রাইজ বিজয়ী নাট্যকার, সম্ভবতঃ জন অসবোর্ন, তাঁর বক্তৃতায় আম্রিকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে তুলোধোনা করেছিলেন।
    কিন্তু আইসিস অনেক ক্রুড, ওদের ভিডিওগুলি স্থুলভাবে ভয় দেখায়। তাই প্রশ্ন বারেবারে উঠছে-- কেন ইসলামের নামে আজ বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের ডাক?
    এটাকে এক লাইনে অ্যাড্রেস করা বোধহয় অতিসরলীকরণ হবে।
    শুধু ধর্মীয় ইডিওলজি কে দেখব আর যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ইডিওলজির জঙ্গী ভার্শন মুখর হচ্ছে তা দেখব না, অথবা, শুধু রাজনৈতিক কম্পালসান দেখব অথচ এই পরিবেশএ কেন শুধু ওই ধার্মিক ইডিওলজিই মুখর হচ্ছে তা দেখব না-- দুটোই দুই একস্ট্রিম বা হাতি দেখা।
  • dc | 132.174.185.232 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৯:৪৭707617
  • রঞ্জনদার সাথে কিছুটা একমত। আর ইসলামিক টেরোরিজমের পেছনে রাজনৈতিক কারন তো আছেই, নানারকম জিওপলিটিকাল ইন্টারেস্টও আছে। অনেকগুলো দেশ, বা অন্তত স্টেট অ্যাক্টর, নিজেদের ইন্টারেস্টে এই টেরোরিজমকে রিসোর্স সাপ্লাইও করে চলেছে, এরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে দাবা খেলছে যার বোড়ে হলো টেরোরিস্টরা। এইসব রাজনীতির ব্যাপার তো আছেই। তবে আমার মনে হয় গত কুড়ি তিরিশ বছরে নর্থ আফ্রিকা আর মিডল ইস্ট যেভাবে ডিস্টেবিলাইজড হয়েছে সেটাও একটা বড়ো ফ্যাক্টর। এখুনি সিনেনে দেখুন চিলকট রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা চলছে, সেখানে লিখেছে "Chilcot said former British Prime Minister Tony Blair was warned of the risks of regional instability and the rise of terrorism before the invasion of Iraq, but pressed on regardless."

    লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাকে আজ কার্যত কোন সরকার নেই। ফলে এইসব জায়গাগুলো থেকে খুব সহজেই বোড়ে রিক্রুট করা যাচ্ছে। আবার সোশ্যাল মিডিয়া দিয়েও খুব সহজে হেট স্পিচ ছড়ানো যাচ্ছে, র‌্যাডিকালাইজ করা যাচ্ছে। এই সব মিলে টেরোরিস্ট ইভেন্ট বাড়ছে। ইরাকে সাদ্দাম থাকলে কি আইসিস ইত্যাদি এতো বাড়তো? বোধায় না (সাদ্দাম নিজেও অত্যাচারী আর আনপ্রেডিকটেবল ছিল, সেটা ধরেই বলছি)

    এবার অমিত যে বলেছেন যে ইসলামেও অনেক সমস্যা আছে, সেও তো নিশ্চয়ই। কিন্তু সেরকম সমস্যা তো প্রায় সব রিলিজিয়নেই আছে, সে তো আমেরিকাতেও যথেষ্ট হেট মঙ্গারিং এভানজেলিস্ট চার্চ আছে। তাহলে ইসলামেই বেশী করে এরকম সমস্যা হচ্ছে কেন? কারন আবার, আমার মতে, লাস্ট কুড়ি তিরিশ বছরের রিজিওনাল আর জিওপলিটিকাল কনটেকস্ট (তার মধ্যে সৌদি-আমেরিকান ইকুয়েশান আবার একটা বড়ো ফ্যাক্টর)। ইসলাম ধর্ম ভয়ানক গোঁড়া, ইসলামে সংস্কার হওয়া সম্ভব না ইত্যাদি ফ্যাক্ট মেনে নিয়েও আমার মনে হয় ইসলাম জাস্ট হ্যাপেনড টু বি ইন দ্য রং প্লেস অ্যাট দ্য রং টাইম। মিডল ইস্টে গত পঞ্চাশ বছরে যা হয়েছে তাতে ওখানে যে ধর্মই থাকতো সেটাই টেররিজমে ইন্ধন যোগাতো।
  • dc | 132.174.185.232 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১৯:৫১707618
  • "শুধু ধর্মীয় ইডিওলজি কে দেখব আর যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ইডিওলজির জঙ্গী ভার্শন মুখর হচ্ছে তা দেখব না, অথবা, শুধু রাজনৈতিক কম্পালসান দেখব অথচ এই পরিবেশএ কেন শুধু ওই ধার্মিক ইডিওলজিই মুখর হচ্ছে তা দেখব না-- দুটোই দুই একস্ট্রিম বা হাতি দেখা"

    একমত। আর ওই পার্সেপশান নিয়ে যেটা বললেন সেটার সাথেও ভীষনভাবে একমত। ওটা আমিও বলব ভাবছিলাম, আইসিস এর প্রিন্সিপাল স্ট্র্যাটেজিই কিন্তু যতোটা সম্ভব ক্রিড ভাবে হত্যাকান্ড দেখিয়ে খুব বড়ো একটা ইমপ্যাক্ট তৈরি করা। কারন ওভাবেই ওরা রিক্রুট করে।
  • ranjan roy | 192.68.31.37 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ২২:০৯707619
  • ডিসি,
    আমি COURSERA মাধ্যমে Crisis of Constitutional Reform in Islam বলে একটা ইন্টারেস্টিং কোর্স ( একজন অধ্যাপক পড়াচ্ছেন) আজ থেকে শুরু করছি। কয়েক সপ্তাহের। শেষ হলে মনে হয় কিছু তথ্য ও মুসলিম সমাজের মধ্যে কিছু ক্রস কারেন্টের ব্যাপারে খবর দিতে পারব। আপাততঃ মনোযোগী ছাত্র হওয়ার চেষ্টা করছি।ঃ)))
  • dc | 132.174.185.232 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ২২:২৯707622
  • অবশ্যই লিখবেন। অপেক্ষায় রইলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন