এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা-অত:পর টেরর যখন অন্তঃপুরে

    bip
    অন্যান্য | ০২ জুলাই ২০১৬ | ৮৮৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.174.185.232 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ২২:২৯707622
  • অবশ্যই লিখবেন। অপেক্ষায় রইলাম।
  • dd | 116.51.26.31 | ০৬ জুলাই ২০১৬ ২২:৩৫707623
  • প্রথমেই একটা ডিঃ এই টইএর সাথে আমার পোস্টের সম্পর্ক পেরেক্টিকেলি নেই। নেহাৎ তাতিন বাবু একটা পোস্ট দিয়েছেন, এক্ষণে এই টইএর থার্ড পেজে রয়েছে,তো সেটার রিজয়েন্ডার মাত্র।

    সেকেন্ড ডিঃ - ইটি কোনো প্রবন্ধ নয় । এক হাম্বল পোস্ট মাত্র। এর বেশী লিখবার আমার না আছে উৎসাহ না আছে এলেম।

    কথা হচ্ছিলো হিন্দু জনগন কর্ত্তৃক বুদ্ধিস্টদের উপর অত্যাচার ও সেই কারণে বুদ্ধিজমের ভারত থেকে উবে যাওয়া। ইটি এক হিলেলি মিথ।

    এক তো ইন্টারনাল ডিজেনেরেশন চলছিলো হাজার বছর ধরে।হিউয়েন সাং বাবুও বিস্তারিত কমেন্ট করেছেন সারা দেশ জুড়ে স্তুপগুলির ভগ্নদশা ও মঠে নানান অনাচারের অনুপ্রবেশের। দুই নং কারণ রয়াল পেট্রোনেজের অভাব। এগুলিই মেইন রীজনস।

    এব্রাহাম ইরালী লিখেছেন But there was no systematic or organized persecution of Buddhists by kings in India"। তাও ও যে দুবার বড়সড়ো জেনোসাইড হয়েছে সেগুলি এখনকার আপঘানিস্তানে মিহিরকুলের অত্যাচার আর সেকেন্ড জেনোসাইড হচ্ছে বুদ্ধিস্টদের লাস্ট ঘাঁটিতে - বিহার ও বাংলায়, বৌদ্ধ পাল রাজার সময়। সেই সময়ে একেবারে জেনোসাইড করে টার্কির মুসলিমরা।

    আর দুই দল - হিন্দু বুদ্ধিস্টদের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয় নি সে তো বলি না। সেগুলি নেহাৎই লোকাল ঘটনা। জেনোসাইড কিছু হয় নি। চৈতন্যের আমলে (আর শোলোক তুলে লিখছি না), পাষন্ডদের উপর রাজক্রোধের কথা আছে। এই পাষন্ড যে কে ঠিক করে বলা যায় না। বুদ্ধিস্ট হতে পারে,তান্ত্রিকেরাও হতে পারে।

    আর নেড়াপোড়ানোর থেকে কনক্লুড করা ওটা বৌদ্ধদের উপরে অত্যাচারের স্মৃতি - এটা একেবারে বাজে কথা। এই উক্তির ঐতিহাসিকতাময়তা নেগেটিব জিরো বা তারও কম।

    ব্যাস।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৬:১৪707624
  • যারা আমেরিকাকে দোষ দিচ্ছে তারা ভুলে যাচ্ছে একটা সময় আমেরিকা মুসলমান জঙ্গীদের ব্যবহার করেছে কমিনিউস্ট জঙ্গীদের বিরুদ্ধে। শত্রুর শ্ত্রুকে বন্ধু করার মধ্যে কোন দোষ নেই। দোষ হচ্ছে, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে গেলে, শেষ কাঁটাটাও পুঁতে দিতে হয়। কমিনিউজম নিধনের পরে ওগুলোকেও শেষ করা উচিত ছিল। আই সিস ও তৈরী হইয়েছে আসাদকে তুলতে। কি দরকার ছিল-আসাদ সুন্নিদের পেটাচ্ছিল। সাদ্দাম শিয়াদের। এদের কেলাকেলি করতে দেনা রে বাবা। তোর কি দরকার পরেছে এদের শিক্ষিত মানবিক করতে!! তবে আমার মনে হয় আইসিসের উত্থানে আমেরিকা এবং ইস্রায়েলের কিছু লাভ আছে। যেমন আইসিসের ভয়ে এখন মধ্যপ্রাস্যের সব শাসকেরা আমেরিকা-ইস্রায়েল ঘনিষ্ট হচ্ছে।
  • কল্লোল | 111.59.22.144 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৭:০৭707625
  • বিপ। শেষ পোস্ট বেশ ভালো।
    তাহলে দেখা যাচ্ছে আমেরিকা নিজেই নিজেকে সামলাতে পারে না। ফলে আমেরিকাকে সামলানো যাবে - এই বিশ্বাসের গয়াপ্রাপ্তি, আপনার লেখাতেই।
    কোন দেশ কিভাবে শাসিত হবে, সেখানে কে কে মারপিট কচ্ছে, সেসব সমস্যার সমাধান সেই দেশের মানুষদের হাতে ছেড়ে দিন। অনেকের মতে গুজরাটের গণহত্যার নায়ক আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তো? অধিকাংশ ভারতীয় গতকাল তাই চেয়েছে। আগামীকাল তার বদলে কিছু চোরেদের চাইতে পারে, কিংবা মাওবাদীদের। তাতে কার কি?
    আর অত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বাতিক থাকলে আগে সৌদিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেখাক আমেরিকা। আসলে রশিয়া সমাজতন্ত্র রপ্তানী করতে চাইতো, আমেরিকা গণতন্ত্র - তফাৎ একফোঁটাও নেই। কারণ দুই দেশই বাইরে থেকে চাপিয়ে দিতো, ভিতরের কিছু দালালদের তোল্লাই দিয়ে।

    ইসলামের সংস্কারের চেষ্টা চলছে বহুদিন, সারা পৃথিবী জুড়েই। বাংলাদেশ থেকে রায় ১০ বছর আগে একটা সংকলন বের হয় ইসলামের পুণর্পঠন। তাতে সারা পৃতীবির ইসলাম ধর্ম পালনকারী মানুষদের লেখা সংকলিত হয়েছে, কিভাবে তারা ইসলামী মৌলবাদের বিরোধীতা করছেন, ইসলামের ভিতর থেকেই। খুব যে একটা বৈপ্লবিক চেষ্টা তা হয়তো নয়, কিন্তু চেষ্টাটির মূল্য অপরিসীম।
    এই চাপাতির কবলে থাকা বংলাদেশেই বড়সর আন্দোলন চলছে উন্মুক্ত কয়লাখনির বিরুদ্ধে, সুন্দরবন ধ্বংস করে শিল্পের বিরুদ্ধে, চট্টগ্রামের সমুদ্র পরিবেশ ধ্বংস করে জাহাজভাঙ্গার শিল্পের বিরুদ্ধে। সেগুলো আমাদের মিডিয়ায় খবর হয় না। আন্দোলনকারীরা স্বাভাবিকভাবেই মুসলমান নামের অধিকারী।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৭:১২707626
  • http://www.anandabazar.com/state/is-order-3-murder-traps-of-musa-in-birbhum-1.429009

    ওপারের হুকুমেই ৩ খুনের ছক ছিল মুসার
    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
    কলকাতা ৭ জুলাই, ২০১৬, ০৪:৩১:০৩
    মহম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে মুসা গ্রেফতার হওয়ায় বীরভূমের লাভপুরে একটি সম্পন্ন বনেদি পরিবারের তিন জনকে হত্যার ছক বানচাল হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি।
    ওই গোয়েন্দারা মনে করছেন, বাংলাদেশে পরপর পুরোহিত হত্যার ধাঁচে লাভপুরে এ দেশে প্রথম আইএস জঙ্গিদের আক্রমণ হতে যাচ্ছিল। তিন বয়স্ক (দুই বৃদ্ধ এবং এক বৃদ্ধা) সদস্য ছাড়া ওই পরিবারের নবীন প্রজন্মের সদস্যেরা এখন লাভপুরে থাকেন না।
    গোয়েন্দাদের দাবি, মুসার ‘বস’ এক আইএস জঙ্গি বাংলাদেশ থেকে এই নির্দেশ দিয়েছিল। মুসার থেকে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সেই ‘বস’কে ধরতে তৎপর হয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেও ওই জঙ্গির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
    জেরায় গোয়েন্দারা জেনেছেন, মুসার সঙ্গে ভারতে আইএসের প্রধান শফি আরমারের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। শফিই তাকে বাংলাদেশের এক ব্যক্তির নির্দেশ মেনে কাজ করতে বলে।
    কারণ, দু’জনেই বাংলায় কথা বলে। শফি মুসাকে জানায়, বাংলাদেশের ওই ব্যক্তি ‘বাংলা শাখা’র দায়িত্বে রয়েছে। মুসা জানিয়েছে, আইএসের ‘বাংলা শাখা’ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ নিয়ে। লক্ষ্য, দুই বাংলাকে নিয়ে এমন একটি রাষ্ট্র গড়া, যা শরিয়তি আইন মেনে চলবে।
    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মুসার ‘বস’-এর বয়স বছর ৪৫। বাংলাদেশে সে জামাত-ই-ইসলামির নেতা
    হিসেবে পরিচিত। আইএসের অন্দরে সে শফি আরমারের পরের ধাপের নেতা। মূলত ‘সিঙ্গল ম্যান মডিউল’ (এক জনকে নিয়ে একটি শাখা) ব্যবহার করে গুপ্তহত্যার ভার দেওয়া হয়েছিল তাকে। এক গোয়েন্দাকর্তা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ওই জঙ্গি বেশ কয়েক বার মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ঘুরে গিয়েছে। টাকা-পয়সা পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে নতুন নিয়োগের যাবতীয় কাজ করে সে। তাকে ধরতে বাংলাদেশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’
    কিন্তু মুসা কেন লাভপুরের একই পরিবারের তিন বয়স্ককে মারার ছক কষেছিল?
    গোয়েন্দাদের একাংশের ধারণা, শত্রুতার জেরে নয়, স্রেফ আইএস জঙ্গিদের উপস্থিতির প্রমাণ দিতেই এই কাজ করতে মুসাকে পাঠানো হয়েছিল। আইএস ভাবধারায় ‘উদ্বুদ্ধ’ মুসার জন্য এটি ছিল ‘হাত পাকানো’র প্রথম কাজ। সে জন্য ‘টার্গেট’ও তাকেই ঠিক করতে দেওয়া হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পরেই মুসার বাংলাদেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশের ‘বস’ তাকে পাকিস্তান এবং পরে আফগানিস্তানে পাঠিয়ে পুরোদস্তুর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করত। গোয়েন্দাদের দাবি, জেরায় মুসা তাঁদের জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ শেষে তাকে ফের ‘বাংলা শাখা’র কাজে লাগানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
    মুসাকে জেরা করছেন এমন এক গোয়েন্দা-কর্তার কথায়, ‘‘এই গ্রেফতারি আমাদের চিন্তা বাড়িয়েছে। এখন প্রায় প্রতিটি খুনের পিছনে জঙ্গি হামলার বিষয়টিও নজরে রাখতে হবে।’’ গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, জেরা-পর্বে মুসা তাদের জানিয়েছে, বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ বা ঢাকার গুলশনের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। সেই সূত্রেই স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘আইএস-এর একটি মডিউল এর সঙ্গে অন্য মডিউলের কোনও যোগ নেই। জানি না, মুসার মতো আরও কেউ এ রাজ্যে লুকিয়ে রয়েছে কি না!’’
  • Amit | 213.0.3.2 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৭:৪৫707627
  • কল্লোলদা, তাহলে 1971 এ ভারত বাংলাদেশ কে মুক্তি যুদ্ধে সমর্থন করে ভুল করেছে বলতে হয় ? আপনার কথায় কোন দেশ কিভাবে শাসিত হবে, সেখানে কে কে মারপিট কচ্ছে, সেসব সমস্যার সমাধান তাহলে সে দেশ , অর্থাৎ তখন কার পাকিস্তান এর হাতে ছেড়ে দিলেই ভালো হতো ? পাকিস্তান তো মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের দালাদ বলেই ভাবতো বা ভাবে। তারা নিজেরা মারামারি কাটাকাটি করে বুঝে নিতো।

    নাকি ইরাক সিরিয়ার জন্য এক গোলপোস্ট, আর বাংলার এর জন্য অন্য ?
  • amit | 213.0.3.2 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৭:৫৭707628
  • আবার কল্লোলদা কেই:
    এই প্রশ্নগুলো পার্সোনাললি নেবেন না। বারবার আপনার পেছনে লাগা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার যেটা বক্তব্য, এই মুহূর্তে ইসলাম জঙ্গিপনা একটা বড়ো বিপদ, আগের ইতিহাস ভেবে এই মুহূর্তে লাভ নেই, কি ভাবে তারা তৈরি হলো, এই মুহূর্তে এদেরকে শেষ করাটাই প্রিউরিটি, যাতে নিজেরা বেঁচে থাকতে পারি। স্বার্থপরের মতো শোনালো, কিন্তু আমার কাছে এটাই বাস্তব এখন। আর যেকোনো রিফর্ম এর বিরুদ্ধে ইসলাম এর এই রিজিড স্ট্যান্ড প্রতি দিন আরো জঙ্গি তৈরি করে চলেছে।

    লম্বা লিখতে গেলেই কে বোর্ড হ্যাং করে যাচ্ছে। দুত্তেরি।
  • PT | 213.110.242.24 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩০707629
  • "আমেরিকা মুসলমান জঙ্গীদের ব্যবহার করেছে কমিনিউস্ট জঙ্গীদের বিরুদ্ধে।"

    বড় মায়াময় বিপ-র এইসব বক্তব্য.......
    ভিয়েতনামে যারা কার্পেট বম্বিং করেছিল তারা শুধুই মিলিটারি, জঙ্গী নয়। আর আফগানিস্থানে ঢুকে যাওয়া রাশিয়ানরা শুধুই জঙ্গী?

    আর কল্লোলদাও ছাড়ি ছাড়ি করেও মার্কসবাদ ছাড়তে পারছে না। সেই প্রাচীন "সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ" প্রেক্ষিতে "তফাৎ একফোঁটাও নেই" জাতীয় তত্ব খাড়া করছে।

    ভিয়েতনামে রাশিয়ানরা বাইরে থেকে মার্কসবাদ চাপিয়ে দিয়েছিল নাকি? আর কত ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানো হবে ইতিহাস চর্চার নামে?

    আর কোন দেশ যদি অন্য দেশের ব্যাপারে নাক না গলায় তাহলে কোন দেশের মানুষেরও অন্য দেশের ঘটনার ব্যাপারে নাক গলানো উচিত নয়। কেননা মানুষ দিয়েই দেশ হয়। সেই হিসেবে তসলিমা বাঁচল না মরল কিংবা কটা ব্লগারের চাপাতিপ্রাপ্তি হল কিনা সেসব নিয়ে বাইট খরচা করা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।

    "ইসলামের সংস্কারের" চাইতে গাছের কাঁঠাল পেড়ে তার আমসত্ব বানানোর চেষ্টা করা সহজতর। হিন্দুধর্মেও একদা বিবেকানন্দের দেখা মিলেছিল। তার জন্যে বাবরি, গোধরা, দাদরি, শিখনিধন এসব কিছুই ঠেকানো যায়নি।
  • dc | 120.227.231.47 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩১707630
  • "শত্রুর শ্ত্রুকে বন্ধু করার মধ্যে কোন দোষ নেই। দোষ হচ্ছে, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে গেলে, শেষ কাঁটাটাও পুঁতে দিতে হয়। কমিনিউজম নিধনের পরে ওগুলোকেও শেষ করা উচিত ছিল"

    সবকিছুই কি আর এত সরলভাবে করা যায় কাকা!
  • Kallol | 116.197.185.112 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৯:০৪707632
  • অমিত।
    ৭১এ ভারত সোজসুজি জুদ্ধে যোগ দিয়েছে, পাকিস্তান পশ্চিম ফ্রন্টে ভারত আক্রমন করার পর। তার আগে ভারত যে কাজগুলো করেছে, স্বাধীন বাঙ্গলা বেতার কেন্দ্র খোলা, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিঙ্গ ও অস্ত্র সরবরাহ করা, নিশ্চিতভাবে অন্যায়। তা না হলে, অফগানিস্তানে অমেরিকা তালিবান ও অল কয়দাকে অস্ত্র ও আন্তর্জাতিক তোল্লাই দিয়ে যে অন্যায় করেছে, সেটাও মান্যতা পায়, ইরাকে নাক গলিয়ে যে অন্যায় করেছে, সেটাও জায়েজ বলতে হয়।
  • :/ | 165.136.80.37 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ০৯:৪০707633
  • দাঁড়িপাল্লার ওদিকে "আমেরিকা মুসলমান জঙ্গীদের ব্যবহার করেছে কমিনিউস্ট জঙ্গীদের বিরুদ্ধে।"

    দাঁড়িপাল্লার এদিকে "অবশেষে জেগে ওঠে শোষিত, আমেরিকাই আসলে দোষী তো"।

    আমি দুই দিকেতেই রই পরাণ জলাঞ্জলি দিয়া রে।
  • শাক্যজিৎ | 11.39.60.55 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১০:৩৮707634
  • দেখুন আইসিসকে কনডেম করতে গিয়ে আপনারা ইসলাআমের একটা হোমোজিনাইজড ছবি আঁকছেন। ইসলাম তো তেমন নয়। এমনকি পলিটিকাল ইসলাম-ও নয়। পুরোনো পি এল ও তো বটেই / হামাস / হেজবোল্লা / এমনকি নাজাফ এর মোক্তাদা আল সদর ইত্যাদিকে কখনো কখনো খানিকটা সমর্থন করা যেত কারণ ডিরেক্ট অপ্রেসন এবং স্টেট আগ্রাসন এর বিরুদ্ধে একটা ফাইট দিচ্ছে। লেবানীজ বা প্যালেস্তিনিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির এটাই অবস্থান ছিল। কিন্তু আইসিস বা আল কায়েদা সম্পর্কে সে কথা বলা যায় না। জামাতের মতই আইসিসের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী কোনো ক্রেডিবিলিটি নেই। কিন্তু তাই বলে পলিটিকাল ইসলাম এখানে ওখানে যেটুকু রেজিস্টান্স দিচ্ছে তার সাথে আইসিসকে গোলাচ্ছেন কেন ?
  • কল্লোল | 111.63.65.233 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১২:১০707636
  • অমিত। আপনি লিখছেন - আমার যেটা বক্তব্য, এই মুহূর্তে ইসলাম জঙ্গিপনা একটা বড়ো বিপদ, আগের ইতিহাস ভেবে এই মুহূর্তে লাভ নেই, কি ভাবে তারা তৈরি হলো, এই মুহূর্তে এদেরকে শেষ করাটাই প্রিউরিটি, যাতে নিজেরা বেঁচে থাকতে পারি।
    এই বিষয়টা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই, যে এই সন্ত্রাসের শেষ হতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন কি ভাবে?
    যদি মনে করে থাকেন যে সামরিকভাবে শেষ করে দিতে হবে এই সন্ত্রাসকে, খুব ভুল ভাবা হবে। সন্ত্রাস একটা আদর্শের ভিতর দিয়ে আসছে। এটা "চল ভয় দেখাই" নয়। যারা এই সন্ত্রাসে যোগ দিচ্ছে, মারছে, নিজেরা মরছে, তারা নেহাৎই নরপিশাচ - এরকম ভাবলে ভুল হবে। এদের পিছনে একটা আদর্শ কাজ করছে - সারা দুনিয়ায় ইসলাম (তাদের মত ইসলাম) কায়েম করতে হবে। তাতেই দুনিয়ার মুক্তি। তার জন্য ইসলামের শত্রুদের (যাদের এরা শত্রু মনে করে) খতম করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় জীবন যেতে পারে। তাতে অক্ষয় স্বর্গলাভ। অর্থাৎ উইন উইন সিচুয়েশন। বেঁচে থাকলে ইসলামের জয়, মারা গেলে অক্ষয় স্বর্গ। এই জায়গা থেকে ইউরোপ-আমেরিকা থেকেও মানুষ অইএসএ যোগ দিচ্ছে।
    নকশালদের কথাই ধরুন। ৭০এর দশকে পিটিয়ে ছাতু করে দেওয়া হলো আন্দোলনটাকে। তার ২০ বছর পর তবে মাওবাদীরা এলো কোদ্দিয়ে? চীন বা কিউবা থেকে নয়।
    দুঃখজনকভাবে লড়াইটা খুব দীর্ঘস্থায়ী ও যন্ত্রনাদায়ক। এর কোন চটজলদি সমাধান নেই। সামরিকভাবে এদের মোকাবিলা করার সাথে সাথে আদর্শগতভাবে লড়াইটা জরুরি, যেটা মাদ্রাসা বন্ধ, হিজাব পরা চলবে না - এসব আইনকানুন দিয়ে হবে না। যেখানেই মৌলবাদী মতবাদ কথা বলবে, সেখানেই প্রতিবাদ করতে হবে। সেটাও চালাতে চালাতে চালাতে চালিয়েই যেতে হবে নিরন্তর। তবে, আমরা নই, হয়তো ভবিষ্যত প্রজন্ম বাঁচবে।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১২:২২707637
  • আচ্ছা কল্লোলদা, নকশালদের তো এমন উইন উইন সিচুইয়েশন ছিল না। সেখানে মৃত্যু হবে জেনেও যোগদান তো শুধুই ঐ সমাজ বদলের স্বপ্ন থেকেই ? উইন উইন বলেই কি এত বেশি লোকজন আসছে ?
  • | 69.94.24.23 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১২:৪৮707638
  • নকশালদের, বা যে কোনো বিপ্লবীদের, মনে এমন উইন উইন সিচুইয়েশন তৈরি হয়।
    সব মরণ নয় সমান।
    পাখির পালক হাসানো মরণের পাশে পাহাড় হিমালয় টলানো মরণ।
    মেন্টাল কনস্ট্রাক্ট। কোরানের মতই। কিন্তু কার্যকর, দেখাই যাচ্ছে।
    মেরে শেষ করে দেওয়া যাবে না, কল্লোল-দার এই মতের সঙ্গে একমত পোষণ না করে উপায় নেই।
  • শাক্যজিৎ | 11.39.61.3 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৩:০৭707639
  • মনে হয়না রেজিমেন্টেড আইডিওলজির লড়াইতে উইন-উইন দেখে কেউ আসে। আল-কায়েদার লড়াইতে বেশিরভাগ জায়গাতেই স্পষ্ট বলা ছিল যে লক্ষ্য সুদুরপ্রসারী। এখন কাজ করে যাও। ডকুগুলো পেলে দিচ্ছি। পলিটিকাল ইসলাম কমিউনিজমের মতই বিশ্বজোড়া প্রভাব বিস্তার করতে চায়, আর সে নিজেও জানে এখানে উইন কিছু নেই, বরং রক্তক্ষয় হবে প্রচুর। তারপরেও ছেলেপুলে আসে। যেরকমভাবে আমাদের স্বদেশী আন্দোলনে মরতে হবে জেনেও ছেলেমেয়েরা যোগ দিয়ীছিল
  • ranjan roy | 192.68.31.37 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৩:২৯707640
  • j,
    এই কথাটাই বলার চেষ্টা করছিলাম। কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল একটা প্রজন্মকে বিশ্ববিপ্লবের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। গোটা দুনিয়ায় ন্যায়ের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা হবে বুর্জোয়া রাষ্ট্রব্যব্স্থা ও বুর্জোয়া গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে।সমস্ত প্রথাগত আদর্শ ও সম্পর্ক যা sacrosanct ছিল--সব ভেঙে গুঁড়িয়ে যাবে। খেটে খাওয়া মানুষের বঞ্চিতের নিপীড়িতের শাসনে আগের ব্যবস্থার খোল নলচে বদলে যাবে। আর লাল সন্ত্রাস ন্যায়োচিত, সময়ের দাবি! বিরোধীদের জেলে ভরা বা প্রাণদন্ড সার্বিক স্বার্থে উচিত!! হিংসা সমাজ পরিবর্তনের ধাত্রী!!

    সেই স্বপ্নে কয়েক দশক ধরে যুবসম্প্রদায় উদ্বুদ্ধ হল, দেশে দেশে হাতিয়ার তুলে নিল--এর বস্তুগত পৃষ্ঠভূমি হল আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের দাদাগিরি। আমরা দেখছিলাম মরণশীল ক্যাপিটালিজমের নাভিশ্বাস উঠেছে। আর একটু হাত চালাও ভাইয়েরা! হেঁইও জোয়ান! আর একটু। ভিয়েতনাম কাম্বোডিয়া লাওসে মার্কিনিদের কবর খোঁড়া হয়ে গেছে।
    রাশিয়ার ও ওয়ারশ প্যাক্ট দেশগুলোর পতন নিয়ে এল এক ঝটকা। চীনে ওয়াল মার্ট, কাম্বোডিয়ায় নরমুন্ডের পাহাড়। ভিয়েতনাম-কাম্বোডিয়া-চীন-রাশিয়ায় সংঘর্ষ। আন্তর্জাতিক ভেঙে পড়েছে।
    কিন্তু আমেরিকা নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে। মারাং বুরু ওদের গুলিগোলা ধুঁয়া করে দেয় নি। কমিউনিস্টরা এখন বাজারের পূজারী। পার্লিয়ামেন্ট আর শুয়োরের খোঁয়াড় নয়, বরং গণতন্ত্রের মন্দির!!

    শূন্যস্থান পূর্ণ হয়। অমেরিকার আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার অবস্থায় পৌঁছে গেছল।
    প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নিয়েছে ভস্মাসূর।
    প্যান ইস্লামিক টেররিজম এর সঙ্গে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের কিছু আপাত মিলঃ
    ১) দুই মতাদর্শের প্রবক্তারাই আমেরিকান কলোনিয়ালিজমের মুন্ডুপাত করেন।
    ২) দুই মতাদর্শেই হিংসার পথ ( বন্দুকের নল, লাল সন্ত্রাস) পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত।
    ৩)দুই মতাদর্শেই ন্যায়ের রাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়-- যদিও একের ভিত্তি আল্লাহর বাণী এবং কোরাণ-হাদিস; অন্যের কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো, নিউ ডেমোক্র্যাসি ইত্যাদি।
    ৪) দুই মতাদর্শেই প্রফিট/সূদ বাজার ইত্যাদি ফোর লেটার ওয়ার্ড।
    ৪) দুই মতাদর্শই শুধু কোন এক রাজ্যে নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাবার আহ্বান করে-- যতদিন না দুনিয়া জুড়ে "সাম্য-ন্যায়-শান্তি"র রাজ্য প্রতিষ্ঠা হচ্ছে।

    এর বিপরীতে খোলা বাজার ও পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার নেতা আম্রিগা ও তার বন্ধুরা অনেক ভন্ডামির আশ্রয় নেয়। মার্ক্স যেমন বলেছেন-- কমিউনিস্টরা তাদের লক্ষ্য গোপন করতে ঘৃণা বোধ করে। বলেছেন-- সর্বহারা বিপ্লবের ভয়ে কেঁপে উঠুক গোটা দুনিয়া।
    কিন্তু আম্রিকা গণতন্ত্র ও মুক্ত দুনিয়ার কথা বলে আসলে চালায় খোলা বাজারের গণতন্ত্র এবং সমস্ত রকম চুরি-জোচ্চুরি-গুমখুন-আগ্রাসনকে এক বস্তুস্থিতি নিরপেক্ষ সত্যের জামা পরিয়ে পেশ করে।
  • আচ্ছা | 165.136.80.37 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৩:৪১707641
  • বোঝা গেল। এইজন্য বিপ ইসলাম আর কমিউনিস্ট - দুই দলের ওপরেই খড়্গহস্ত।
  • তাতিন | 24.139.194.12 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৩:৫৬707643
  • রঞ্জনদা,আরেকটা পয়েন্ট আছে। সমষ্টির কথা একভাবে দুদিকেই বলা হয়। স্টেট ব্যক্তির ওপর কিছু বিধিনিষেধ বসাবে এবং ব্যক্তির থাকা খাওয়ার দায়িত্ব নেবে, এরকম।
    সিদ্ধার্থ ধরের কেসে আমার মনে হয়েছিল, ইস্লামিক ফোর্সের কাছে একভাবে কমিউনিটি সাপোর্ট ও পেয়েছিল।
  • ranjan roy | 192.68.31.37 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৪:১২707644
  • তাতিন,
    একদম, দুটোই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের বিরোধী!
    অশোক মিত্রের একটা লেখা মনে পড়ছে, উৎপল দত্তের এপিক থিয়েটার পত্রিকায় গোড়ার দিকে বেরিয়েছিল।
    'যত বেশি প্রশ্ন তোলা যত বেশি বিতর্ক, তত বেশি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ধ্বজা ওড়ানো; আমি আমার আনুগত্য একটি ঝান্ডাতেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই' গোছের কিছু। চল্লিশ বছর পরে মনে হয়েছে অশোক সেই জায়গা থেকে সরে এসেছেন।
  • | 69.94.24.23 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৪:৪৩707645
  • ranjan roy, আপনি কিছু আপাতমিল দেখিয়েছেন। সেগুলো মানসিক পটভূমি হিসেবে কাজ করে, এটা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু কিছু অমিল না বললে মহাকোরান অশুদ্ধ হতে পারে।

    প্যান ইস্লামিক টেররিজম এর সঙ্গে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের (?সেসময়ে, ষাট-সত্তরের দশকে, সমস্ত সশস্ত্র কম্যুনিস্ট মুভমেন্টের?) কিছু আপাত (অ)মিলঃ

    ১) দুই মতাদর্শের প্রবক্তারাই আমেরিকান কলোনিয়ালিজমের (সাম্রাজ্যবাদের?) মুন্ডুপাত করেন।
    --ঠিক, কিন্তু ভিয়েতনাম কাম্বোডিয়া লাওসে বা ভারতে নেপালে আমেরিকার মদতে নক্সাল মাওবাদী ও অন্যান্যরা আমেরিকান কলোনিয়ালিজমের মুন্ডুপাত করার জন্য তৈরি হবার সুযোগ পান নি। ইস্লামিক টেররিজম-এর সাথে আমেরিকান বিজনেস ইন্টারেস্টের (সাম্রাজ্যবাদের?) সুসম্পর্ক এমনকি বিপ-এ মানে (অর্থাৎ জজে মানে)।

    ২) দুই মতাদর্শেই হিংসার পথ (বন্দুকের নল, লাল সন্ত্রাস) পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত।
    -- ঠিক। কিন্তু হিংসার জন্য সাধারণ মানুষকে মারার রাস্তাটার বৈধতা নিয়ে প্রবল বিতর্ক ছিল সমস্ত সশস্ত্র কম্যুনিস্ট মুভমেন্টেই। কেউ কেউ কোনো কোনো সময় ব্যক্তিহত্যার পথ বেছে নিয়েছে, কিন্তু সেটা, এই ইস্লামিক সন্ত্রাসের মতো অবিতর্কিত ছিল না, একমাত্র পথ তো ছিলই না। 'কনস্টেবল হত্যা' (আর 'বাংলার বিপ্লব প্রচেষ্টা'-তে হেমচন্দ্র দাস কানুনগো-কথিত 'বিধবার ঘটিচুরি') নিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক ছিল আগাগোড়া। সেটা না বললে ইতিহাস বিকৃতি হয়। সরে আসাও হয়েছিল সেই পথ থেকে। এই ইস্লামিক সন্ত্রাসে তেমন বৈশিষ্ট্য নেই।

    ৩)দুই মতাদর্শেই ন্যায়ের রাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়-- যদিও একের ভিত্তি আল্লাহর বাণী এবং কোরাণ-হাদিস; অন্যের কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো, নিউ ডেমোক্র্যাসি ইত্যাদি।
    -- ঠিক। কিন্তু মার্ক্স যে ক্যাপিটালকে অধ্যয়ন করবার সুযোগ পেয়েছিলেন, লেনিন ইত্যাদিরা তার বদলে 'বাস্তবে থাকা সোস্যালিজম' করে দেখিয়েছিলেন, তার কাছাকাছি কিছু এই ইস্লামিক সন্ত্রাসে নেই। এটা যুক্তি ও আলোকায়নের প্রবল বিরুদ্ধে, আর সমস্ত সশস্ত্র কম্যুনিস্ট মুভমেন্ট ছিল তার প্রবল পক্ষে। রামমোহন ইত্যাদিকে না-মানাও হয়েছিল তাঁরা 'যথেষ্ট রেনেসাঁ' করতে দেন নি বলে, উলটোটা নয়।

    ৪) দুই মতাদর্শেই প্রফিট/সূদ বাজার ইত্যাদি ফোর লেটার ওয়ার্ড।
    -- খুব লিমিটেড অর্থে। মাও ইয়ানান-এ প্রফিট-বাজার ইত্যাদি চালু করেছিলেন। আবার তুলবার চেষ্টাও করেছিলেন (মাও মানে আপাতত পার্টি বুঝে নিন, যদিও এরকম কনফ্লেট করাটা সর্বত্র কাম্য নয়, কিন্তু সংক্ষেপ করার স্বার্থে এভাবে বলছি)। বাজার চিরকালীন নয়, তার রিপ্লেসমেন্টও কোনো 'চিরায়ত' সিস্টেম লাগু করে না, সমস্ত সশস্ত্র কম্যুনিস্ট মুভমেন্ট এভাবেই বুঝেছিল। কোনো সোনালী অতীতে ফিরবার স্টেশন হিসেবে নয়, যেটা এই ইস্লামিক সন্ত্রাস বোঝে।

    ৫) দুই মতাদর্শই শুধু কোন এক রাজ্যে নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাবার আহ্বান করে-- যতদিন না দুনিয়া জুড়ে "সাম্য-ন্যায়-শান্তি"র রাজ্য প্রতিষ্ঠা হচ্ছে।
    -- ঠিক। কিন্তু এই অর্থে ফরাসী বিপ্লবই 'প্রথম পাপী'। ইস্লামিক সন্ত্রাস তার দুনিয়াজোড়া অ্যাম্বিশন বলতে মহম্মদের সময় আরব আর তার আশপাশই বুঝত। পরে মুসলমান রাজারাজড়াদের মধ্যে যেসব লড়াই হয়েছে (ভারতে তুর্কি-পাঠান-মোঘল), সেগুলো "দুনিয়া জুড়ে "সাম্য-ন্যায়-শান্তি"র রাজ্য প্রতিষ্ঠা"-র ইস্লামিক আহ্বান হতে পারেনা। আর এখনকার ইস্লামিক সন্ত্রাস তো বিশ্বায়িত রাজনীতির সন্তান, সে অনন্যোপায়। সমস্ত সশস্ত্র কম্যুনিস্ট মুভমেন্টের এই ধারণাটা ছিল যে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা দুনিয়াজোড়া, কিন্তু দেশীয় সীমানা মেনে নিতে তার আপাত-অসুবিধা ছিল না।

    ৬) @তাতিন উবাচ, (দুই মতাদর্শেই ) স্টেট ব্যক্তির ওপর কিছু বিধিনিষেধ বসাবে এবং ব্যক্তির থাকা খাওয়ার দায়িত্ব নেবে, এরকম।
    -- ঠিক হতে পারে। ইস্লামিক স্টেট কি রাশিদুন খলিফাদের সময়েও এই দায়িত্ব নিয়েছিল? জানি না। বিধিনিষেধ - হ্যাঁ। দায়িত্ব?
  • তাতিন | 24.139.194.12 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৫:০৬707646
  • সেরকমই তো মনে হয়েছে। হেভি ট্যাক্সেশন , এবং তারপরে ডিস্ট্রিবিউশন।
  • ranjan roy | 192.68.31.37 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৫:৩২707647
  • জ,
    আপনার পোস্টটির মধ্য দিয়ে বৃত্তটি সম্পূর্ণ হল। ১০০% একমত।
    ডায়লেক্টিস অনুযায়ী two extremes meet. সেটাই দেখাতে চেয়েছি।

    ১) মিলগুলো অবশ্যই "আপাত"; মৌলিক নয়। বিরোধের দিকগুলো "ভেতরে, গভীরে"। নইলে প্যান ইসলামিক জিহাদ ও আন্তর্জাতিক কম্যুনিস্ট বিপ্লব --দুটোই এক ও অভিন্ন হয়ে যেত।
    ২) হিংসা বলতে আমি ব্যক্তিহিংসা বা শুধু গলাকাটার কথা বলছি না। যদিও নকশাল আমলে চারুবাবুর ফরমানের চোটে গলাকাটাটা আজকের চাপাতির আখ্যানের মতই হয়ে যাচ্ছিল।
    আমি বলতে চাইছি সার্বিক ভাবে Violence কে বৈধতা দেওয়ার কথা। যার ফলশ্রুতি ট্রটস্কি হত্যা ও জিনোভিয়েভ/কামেনেভ/ বুখারিনের রাষ্ট্রীয় হত্যা। বলতে চাইছি লেনিন যখন মেনশেভিকদের ও সোশ্যাল রেভোলুশনারিদের প্রাণদন্ড দেওয়ার কথা বলেন। বলতে চাইছি যে মার্ক্স যখন হিংসাকে সমাজপরিবর্তনের ধাত্র্রী বলেন।
    ফল ঃ জনমানসে হিংসার পথকে বৈধতা দেওয়া। এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলে মনে হয়। বিকল্প? আমার জানা নেই।
    ৩) অবশ্যই মার্ক্সিজম এললাইটেনমেন্টের ফসল ও ইস্লামিক জিহাদ মধ্যযুগীন অন্ধত্বের আধূনিক ক্যাপসুল।
    আমার ফোকাস ছিল কী সেই আপাত মিল যা ক্রাইসিসের সময় মতাদর্শগতভাবে প্রাণদেওয়ার শহীদ হওয়ার বা ধর্মযুদ্ধে সামিল হওয়ার জন্যে যুবসম্প্রদায়কে আকর্ষিত করে। এইটুকুই।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৬:৩৭707648
  • শাক্য হামাস হেজবুল্লা নিয়ে বালবীচি বিপ্লবী তত্ত্ব থামাবে? হামাসের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং শরিয়া কেন্দ্রিক চিন্তার সাথে আল কায়দার কোন পার্থক্যই নেই। এরা সবাই রিগ্রেসিভ ফোর্স -শরিয়া ভিত্তিক খিলাফতে জন্য লড়ে। এরা আল্লার আইনের জন্য লড়ছে-মানুষের জন্য লড়াটা এদের কাছে কোল্যাটেরাল।

    মার্কেট মানুষকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বাধীনতা দেয়। ফ্রি মার্কেট ছাড়া প্রগতিশীল সমাজ সম্ভব না।

    এই লড়াই টা ফ্রি মার্কেট গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সমাজের সাথে রিগ্রেসিভ চিন্তাধারার মানুষদের লড়াই
  • সে | 198.155.168.109 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৬:৪৫707649
  • কিশোরগঞ্জে আজকের ব্যাপারটা কিন্তু বলে দিচ্ছে যে ঘরে ঘরে বোমা বানানো হচ্ছে।
  • ranjan roy | 192.68.31.37 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৯:৪১707650
  • এতই সহজ বিপ?
    ব্যাপারটা কি এতটাই একমাত্রিক? সেই ক্ল্যাশেজ অফ টু সিভিলাইজেশন?
    তাহলে ফ্রি মার্কেট গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আম্রিকা অ্যাদ্দিন ধরে অল কায়দার ফ্রাংকেনস্টাইনকে বানালো কেন? আফগানিস্তানে আশির দশকে সোভিয়েত সমর্থক সরকারকে আটকাতে হিজবুল্লা ফিজবুল্লাদের হাতে নিয়মিত টাকা ও অস্ত্র জোগালো কেন? সদ্দাম কোন খিলাফতের জন্যে লড়ছিল?
    এবার বোধহয় আপনার নিজের তত্ত্বের বাল ও বীচি দুটোর দিকেই তাকানোর সময় হয়েছে!

    সে,
    একদম! সমস্যর শেকড় অনেক গভীর ও অনেক দূর অবধি ছড়ানো। দোনোমোনো করে হাসিনা সরকার ডুবতে চলেছে।
  • তাতিন | 24.139.194.12 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ১৯:৫৬707651
  • এইটা জাস্ট কোট অফ দ্যা কোটস হবে---

    এই লড়াই টা ফ্রি মার্কেট গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সমাজের সাথে রিগ্রেসিভ চিন্তাধারার মানুষদের লড়াই
  • dc | 120.227.231.47 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ২০:০৩707652
  • বিপ বোধায় ফ্রি মার্কেট এর সাথে আমেরিকাকে গুলিয়ে ফেলেছেন। ফ্রি মার্কেট অবশ্যই জরুরি আর উপযোগী, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমেরিকান পলিসি মেকাররা সবসময়ে তাদের নিজেদের স্বার্থ দেখেছে, যখন দরকার তখন ফ্রি মার্কেটকে লিপ সার্ভিস দিয়েছে আর যখন দরকার নেই তখন পরোয়া করেনি, তাতেও কোন সন্দেহ নেই।
  • তাতিন | 24.139.194.12 | ০৭ জুলাই ২০১৬ ২০:০৫707654
  • বেইল আউট কে কি ফ্রি মার্কেট পলিসি বলা যায়ে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন