এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে : বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যা (রায়), নীল পাখি, ও থংস ওরফে আপার পেনিনসুলা

    Tim
    অন্যান্য | ০৬ জুন ২০১৬ | ১৩০৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 140.160.124.1 | ০৮ জুন ২০১৬ ০০:৪৪709949
  • হ্যাঁ হ্যাঁ। ছুরি ইজ ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট। ভাগী ছুরি খুঁজে না দিলে আলু পোস্ত না রেঁধে খোসা পোস্ত রাঁধতে হত। কাটিং বোর্ডটাও তো সোসেন খুঁজে দিল। আমি কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তিমি কিছুই নিয়ে যায়নি। তাই তো হরিণ শিকার হল না। চাট্টি মুর্গীর ঠ্যাং দিয়ে পিত্তরক্ষা হল পরের দিন। সেদিন সোসেন একাই রাঁধলো। (জানিয়ে রাখি, সোসেন কিন্তু দারুন রাঁধুনী)। আমরা বাবু হয়ে বসে ট্যাবু খেলে গেলাম ও তৎসংক্রান্ত হ্যা হ্যা চলল। সন্ধ্যা রায় থেকে থংস এমনকি বিপ্লব পালকেও আমরা মনে করেছি সেদিন। সে গল্প ভাগীর কাছে জমা আছে।
  • hu | 140.160.124.1 | ০৮ জুন ২০১৬ ০০:৪৮709950
  • হ্যাঁ, এসব জায়্গায় একটা মহাভাট হলে জমে যাবে।
  • ঈশান | ০৮ জুন ২০১৬ ০১:১৮709951
  • এটা বেড়ানোর টই না দেবব্রত চক্কোত্তি ও বিপ্লব পাল বিষয়ক টই?
  • sosen | 177.96.4.85 | ০৮ জুন ২০১৬ ০১:৩৩709952
  • আমাদের রুটিনটা এরকম ছিল। ভোর-আড্ডা; গাড়ি-আড্ডা, প্রকৃতি-চুপচাপ, ডিনার-আড্ডা, ডিনার পরবর্তী আড্ডা। ইন ফ্যাক্ট আড্ডা দেওয়ার জন্য কটেজে দুখানা দারুণ রিক্লাইনার ছিল, যেগুলোতে যে বসছিল বা ডুবে যাচ্ছিল সেই আর উঠছিল না। হুচি তো ঘোষণা করলো, ফিরে গিয়েই ও ঐরকম একখানা রিক্লাইনার কিনবে, যতো-ই দাম হোক না কেন! তাছাড়া আমাদের নাকি ব্র্যান্ড-নিউ খাট দেওয়া হয়েছিল(হুচিকে মালকিন শুধিয়েছিলেন, খাটটা কেমন? এক্কেবারে নতুন খাট দিয়েছি!)। তা বলতে নেই পোস্ত ভাত, বিয়ার, আড্ডা ইত্যাদির পর ঘুম বেশ জব্বর হয়েছিলো, তারপর আবার অ্যালার্মও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কাজেই উঠতে একটু দেরি হয়ে গেলো পরের দিন। সেদিন আমাদের প্ল্যান ছিল, একটা বেজায় শক্তমতন জলপ্রপাত(জমে শক্ত নয়, বানাম শক্ত) আর তারপর সুপিরিয়রের উপর সূর্যাস্তের আলোকে পিকচার্ড রকস লেকশোর। হুচি অবশ্য আগের দিন থেকেই বলছিল, বিকেলে বৃষ্টি আছে আর সেই অনুযায়ী আমাদের সানসেট ক্রুজটা পিছিয়ে পরের দিন করা উচিত। কিন্তু সকালে উঠে খটখটে রোদ দেখে আমি তো সেসব কথা বিলকুল ভুলে গেলাম। যাওয়ার পথে একবার তকতকে নীল সুপিরিয়রের পাশে নামা হোলো, তিমি সেখানে বাইনোকুলারের ঢাকনা জলকে দান করে আসছিল আরেকটু হলেই। কিন্তু জল ফিরিয়ে দিল, ভালো মুডে ছিল।
    জলপ্রপাত দেখতে যাওয়ার পথেই সানসেট ক্রুজের টিকিসঘর, আমাকে আর তিমিকে পাঠানো হল টিকিসের অবস্থা দেখতে। তা হুচির সাবধানবাণী সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে আমরা তক্ষুণি টিকিস কেটে ফেললাম বিকেলের জন্য। এর ফলে আরো ইন্টারেস্টিং ঘটনাবলীর উদ্ভব হয়, কিন্তু সেসব আমি পরে লিখছি। তার আগে হুচি তিমি ঐ শক্ত জলপ্রপাতের কথা লিখবে। বেশ সুন্দর ছিল সেটা।
  • hu | 140.160.124.1 | ০৮ জুন ২০১৬ ০১:৩৮709953
  • ঈশানদা কি বকে দিল? আমরা কিন্তু খারাপ কিচ্ছু বলি নি। ট্যাবু খেলতে গিয়ে নাম নিয়েছি শুধু। যারা জানেনা তাদের জন্য ট্যাবু খেলার নিয়ম বলে দি। একটা কার্ডে একটা শব্দ ও তার সাথে রিলেটেড আরো পাঁচটা শব্দ লেখা থাকবে। এই পাঁচটা শব্দ হল ট্যাবু ওয়ার্ড। যে কার্ডটা পাবে তার কাজ হল তার টিমের অন্যজনকে মূল শব্দটা বোঝানো। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে বোঝানোর সময় যেন ঐ পাঁচটা ট্যাবু ওয়ার্ড ব্যবহার না হয়। শব্দটা বোঝানো গেলে পাঁচ পয়েন্ট। ট্যাবু ওয়ার্ড ব্যবহার করলে প্রতি ট্যাবু ওয়ার্ডের জন্য এক পয়েন্ট কাটা যাবে। তো আমার একবার পড়ল zoo। বোঝাতে হবে টিমকে। মনে পড়ে গেল কদিন আগেই টিম zootopia দেখে এসেছে, আর গুরুতে সেটা নিয়ে টই খুলেছিলেন বিপ্লব পাল। অতএব ক্লু হল - মুভি ইউ ওয়াচড লাস্ট মান্থ দ্যাট বিপ্লব পাল রেকমেন্ডেড। ব্যাস।
  • hu | 140.160.124.1 | ০৮ জুন ২০১৬ ০১:৪৯709954
  • হ্যাঁ, জলপ্রপাতের নামটা একটু শক্ত মতন ছিল বটে। আমার উচ্চারণে তাকোয়ামেনন ফলস। আপনারা কি বলবেন তা পার্কের ওয়েবসাইট দেখে ঠিক করুন http://www.michigandnr.com/parksandtrails/Details.aspx?type=SPRK&id=428

    আমাদের কেবিন ছিল পিকচার্ড রক মানে মিউনিসিং-এর কাছেই। সেখান থেকে দেড় ঘন্টা লাগল তাকোয়ামেনন যেতে। সামারের শুরুটা আপার মিশিগানে ওয়াটার ফলস সিজন। সব জলপ্রপাতই হৃষ্ট্পুষ্ট এইসময়। আর এই পথটায় সত্যি করেই জঙ্গল পেলাম। দিনটা শুরু হয়েছিল দারুন। ঘন নীল আকাশ। সেই আকাশের আবার বেশিটাই ঢেকে আছে ঝলমলে সবুজ গাছের পাতায়। নীল-লাল-পাটকিলে অজস্র রঙের পাখী অনবরতই দেখা দিচ্ছিল আর চলছিল আমাদের জাতীয় সঙ্গীত - ঐ পাখীটাকে, পাখীটাকে, পাখীটাকে ...
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৮ জুন ২০১৬ ০১:৫১709955
  • এ মা তোরা ইংরেজিতে খেলিস?
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৮ জুন ২০১৬ ০১:৫২709956
  • আর গানটাও খালি ভুলভাবে রেফার কচ্ছিস - ঐ পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি ই ই টাকে এ এ এ
  • hu | 140.160.124.1 | ০৮ জুন ২০১৬ ০১:৫৩709959
  • কি আর করব! ভাগী বলল ইংরিজিতে খেলতে হবে। একবারই খালি টিম বাংলা বলার চেষ্টা করেছিল। সেই করতে গিয়েই থংস চলে এল।
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৮ জুন ২০১৬ ০১:৫৩709957
  • মেরে দাওনা, রাঁধব দাওনা।
  • aka | 34.96.82.109 | ০৮ জুন ২০১৬ ০২:১০709960
  • গ্রিজলি কি ক্রমে আসিতেছে?
  • Blank | 96.12.0.135 | ০৮ জুন ২০১৬ ০২:১৭709961
  • এমনি তারার ছবি দেখেছিলাম হাতিবাড়িতে। সুবর্নরেখার ধারে রাতে বসেছিলাম। ওনেক রাতে মনে হলো নদীতে কি জ্বলছে। এতো রাতে তো কেউ মাছ ধরবেনা, আর সুবর্নরেখায় জাল ফেলে নদীর মাঝে মাছ কেউ ধরে না।
    তারপর দেখি ওতো নদীর ভেতর ধ্রুবতারা, তার আশে পাশে একে একে আরো অনেকে।
    আর আম্রিগা বাজে জায়গা তাতে সন্দেহ নেই। সব জায়গায় গাড়ি চালাতে হয় খালি আর তার ওপর কোনো এক্সিট মিস করলে ব্যাক করা যায় না। ছ্যাঃ ছ্যাঃ
  • Blank | 96.12.0.135 | ০৮ জুন ২০১৬ ০২:১৯709962
  • আর ছুরি হারাবার চান্স থাকে বলে আমি সবসময় সুইস আর্মি নাইফ ব্যাগে রাখি। এই তো আগের আগস্টে ঐ দিয়ে ভেড়ার ছাল ছারানো হলো। এখন আমি পাউরুটিতে মাখন লাগাই। কবে যেন শুওর কাটলাম একটু।
  • bhagidaar | 106.2.247.250 | ০৮ জুন ২০১৬ ০২:২৭709963
  • বিটিডব্লু, কাটিং বোর্ডও ভাগী খুঁজে বার করেছে আর ম্যাকডিও।।
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ০৮ জুন ২০১৬ ০২:৫৮709964
  • ধুর আজকালকার জিপিএস এর যুগে এক্সিট মিস করাটা খুব একট ভয়ন্কর কিছু নয়।
  • hu | 140.160.124.1 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৩:৪৮709965
  • ঐ এক্সিটটাকে এক্সিটটাকে এক্সিটটাকে মিস কোরো না, প্লিজ, ভুলে যেও না ....
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৩:৪৯709966
  • হ্যাঁ এক্সিট মিস করে ব্যাক গিয়ারে গাড়ি চালানোর গল্প তো বলি নি। আলাদা টই খুলতে হবে।
  • Tim | 108.228.61.183 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৫:৩৭709967
  • ভাগীকে ক্যালাও । এক লাইনের বেশি লিখছেনা। ট্রিভিয়াঃ রিয়েল ভাগী কিন্তু খুবই আড্ডাবাজ, যদিচ চম্মা আছে কিন্তু একেবারেই বকাঝকা করেনা।

    যাই হোক, এটা তো জটিল টই হবে বলেইছিলাম। টইয়ের ভাষায় হাইলি নন লিনিয়ার। মিউনিসিং এর দিকে যাওয়ার দুটি পথ (ডিডিএলজে তে শারুক যেমন বলেছিলো)। একটি সোজা, মিশিগানের পশ্চিম তীর বরাবর। অন্যটা পুবদিক দিয়ে, যেটা কিনা জল ও জঙ্গল পরিবৃত এলাকা (ম্যাপে দেখায়)। প্যানিং এর সময় সবাই বললো ঐদিক দিয়েই যেতে হবে, তা সে যতই ইসে হোক, তাতে এক ম্যাকিনাক দেখা হবে। দুই, সিনিক ড্রাইভ হবে। এবার আপনারাই বলুন, যথাযথ পরিমাণ জল ও জঙ্গলের গ্র্যান্টি কার? শনিবার আধঘন্টা গাড়ি চলার পরেই লোকে আমায় বলতে লাগলো জঙ্গল কই হ্যাঁ? যেন আমি ইজারাদার। তাই আমি যথাসাধ্য খুঁজে খুঁজে গাছ দেখালাম, জলা দেখালাম, সবই ছিলো, দেখার চোখ থাকলেই দেখা যায়। তা চোখ তো ঢেকে গেছে হ্যা হ্যা করতে করতে দেখবে কি করে? অনতিবিলম্বে একফালি মরুভূমিও দেখা গেছিলো, কাঁটাগাছ সমেত। এরপরেই আমরা ম্যাকিনাক ফেরির কাছে পৌঁছে গেলাম। দ্বীপের কথা সোসেন ও হুচি খানিক খানিক বলেছে। আমার একটু তাড়া ছিলো ম্যাকিনাক ছেড়ে বেরোনোর, কারণ জলদি মিউনিসিং পৌঁছতে চাইছিলাম। সেই কতদিন ধরে শুনছি একেবারে খাঁ খাঁ সেই অঞ্চল। ওহায়ো থাকাকালীন যেয়ে ওঠা হয়নি, অথচ শুনেছিলাম সেখানে তেমন তেমন দিনে মেরুজ্যোতি দেখা যায়, পরিষ্কার আকাশ হলে খুব তারা ফোটে।

    মিউনিসিং পৌঁছলাম বেশ তাড়াতাড়িই, এতকিছু সত্ত্বেও। সেখানে জলদি খানিক খাবার কিনে কেবিন যখন পৌঁন্ছলাম তখনো আলো ছিলো। পথেই সুপিরিয়রের তীর পড়লো, সমুদ্রের মত কূল নাই সীমা নাই, যেমন হয়। ততক্ষণে সভ্যজগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। তারা দেখা হলো রাতে, আড্ডা তো চলছেই নিরবচ্ছিন্ন। দুটো নাগাদ ঘুমোলাম আর পরের দিন সাতটায় ঘুম ভেঙে গেল। অট্রেইন লেকের ধারের, বা পুবদিকে তাকোয়ামেনন জলপ্রপাত সংলগ্ন জঙ্গলগুলোয় অনেক গান গাওয়া পাখি আছে, যাকে সাদা বাংলায় বলে সংবার্ডস। সেই পাখীর কিচিরমিচির ভারি মধুর। তাই আমি আর হুচি বেরিয়ে পড়লাম (সোসেনরা তখনো ওঠেনি)। সেদিনই তাকোয়ামেনন যাওয়া। খুবই সোজা পথ। রাস্তায় সেই টিকিস বিভ্রাট হলো। আমি আর সোসেন দেখতে গেলাম পিকচার্ড রক সানসেট ফেরির টিকিটের কি অবস্থা। সোসেন বুদ্ধি করে বললো, টিকিট নিশ্চই শেষ হয়ে যাবে। যদিও বিকেলে বিষ্টি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো, তবু রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিন দেখে আমিও আপত্তি করলাম না (পাগোল, শেষে যদি টিকিট না পাওয়া যায় তখন সব ঝাড় আমাকেই খেতে হবে)। ফলতঃ জলপ্রপাত দেখে ফেরার সময় যখন মেঘ ঘনিয়ে এলো, সোসেনের মুখটা দেখার মত হয়েছিলো। কিন্তু সেদিন কিনা রবিবার, তাই টিকিটের চাহিদা ছিলো তুঙ্গে। কাউন্টারে গিয়ে তারিখ পাল্টানো খুবই সহজ হলো (সেই আমরা দুজন পাপী-ই গেছিলাম)। তারপর বিষ্টি নামলো, আর আমরা কেবিনে ফিরে ট্যাবু খেলতে বসলাম। সে যে ক্ষি কঠিন খেলা, আমার টার্ন এলেই পেট গুড়গুড় করছিলো। লার্নিং ইংলিশপুষ্ট বঙ্গসন্তানের কি এসব সহ্য হয়? এই খেলার যা যা ঘটনাক্রম, ভাগী লিখবে। সেখানেই জানা যাবে কিভাবে এক পংক্তিতে সন্ধ্যা রায় ও থংস এসেছে। এর মধ্যেই চিকেন রান্না হলো, তারপর আমরা সোসেনকে টোয়েন্টি নাইন খেলা শেখাতে বসলাম। প্রথমেই ভাগী দক্ষ ওল্ড স্কুল শিক্ষকের মত সবথেকে জটিল নিয়মগুলোয় চলে গেল যাতে শুধুমাত্র রংমিলন্তির স্কিলসমৃদ্ধ সোসেনের পক্ষে শিখতে সুবিধে হয়। এতে খেলাটা সোসেনের এত ভালো লাগলো যে পর্যায়ক্রমে হুচি ও আমি শিখিয়েও তারে শেখাতে পারলাম না। তখন ঠিক হলো ফিশ খেলা হবে। অতঃপর সেইটে শেখানো হলো। সেদিন বাদলা বলে আমরা আর বেরোলাম না, তারা দেখা যাবেনা, আর বেজায় মশা। প্রসঙ্গতঃ খালি হাতে মশা ধরা খুব সহজ। টাইমিং। আর মুঠিটা অল্পক্ষণ বন্ধ রেখে ছেড়ে দিলে মশাটা তক্ষুনি উড়তে পারেনা, কিন্তু সে জীবিত থাকে। তখ তার ডানা ধরা খুব সোজা। এগুলো আমরা যখন দুষ্টু বাচ্চা ছিলাম তখন অনেক করেছি।
  • hu | 78.63.145.192 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৫:৪৪709968
  • তাকোয়ামেননের পোকিতি বর্ণনা কে করবে, অ্যাঁ? আর সেই রেকর্ড বাজিয়ে পাখী দেখা? সেই চুরানব্বইটা সিঁড়ি?
  • Tim | 108.228.61.183 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৫:৫০709970
  • নীল পাখির গানের গল্প নিম্নরূপ। ভাগীর নাকি ঐ গানটা এতই পছন্দ হয়েছিলো (খুবই ক্যাচি টিউন ও কথা, সন্দেহ কি?), যে সে ঐটে আঠেরো না ঊনিশবার শুনে মুখস্থ করে ফেলেছে। আর কোন সুর নেই, খালি ঐটেই ঘুরেফিরে গুনগুন করে গাইছে। যে কোন বক্তব্যই নীল পাখির গান দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপঃ অভ্যু খুব ভালো পুরোনো টই খুঁজে দিতে পারে। তাই তাকে কোনদিন টই তুলে দিতে অনুরোধ জানানো হবে "টৈটাকে টৈটাকে ... তুলে দাওনা, পড়বো দাওনা"। একবার তো সূর্যাস্ত হতে দেরি করায় সুজ্জোটাকে ডুবিয়ে দাওনা ইত্যাদিও বলেছিলো। এইরকমভাবে গান, আলো, পাখা, লেক, বালি সবই ঐ গানে ফিট করে গেল। বলা বাহুল্য, সোসেন এইসব বালখিল্য আচরণে খুবই আপত্তি করছিলো, আমাদের স্কুলের বাচ্চা ইত্যাদিও বলেছে একবার। পরে হাল ছেড়ে দেয়।

    তাকোয়ামেনন খুব সুন্দর, তার সাথে লাগোয়া যে স্টেট ফরেস্ট আছে তাও খুবই মনোরম। সাধ্যমত ছবিছাবা তোলা বাদে আরেকটা মজার জিনিস হলো। একদল পাখি দেখিয়ে জড়ো হয়ে এক জায়গায় রেকর্ডেড পাখির ডাক বাজিয়ে সংবার্ড ডেকে আনছিলো দেখবে বলে। আমিও জুটে গেলাম, আর অনতিবিলম্বেই একরত্তি পাখিটা বেরোলো ডাকতে ডাকতে। ছবি তোলার সময় দিলোনা কিন্তু চোখে যন্তর লাগিয়ে দেখলাম। পরে পড়লাম ওখানে নানাবিধ পাখি দেখতেও লোকে যায়। আরেকটু সময় নিয়ে গেলে সেইসব করা যেত।
  • Tim | 108.228.61.183 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৬:০২709971
  • দরকারি তথ্যঃ তাকোয়ামেননের দুটি প্রপাত। আপার ও লোয়ার। যদি সময় কম থাকে বলে একটি বাছতে হয়, অবশ্যই আপারটি বাছবেন। সময় থাকলে কোন একটা ট্রেইল ধরে হাঁটবেন আধঘন্টাটাক। আপার ফলসে নোটিস আছে সেখানে ৯৪ টা সিঁড়ি। ঘাবড়াবেন না, অতি সহজ সে সিঁড়ি, একেবারেই অসুবিধে হবেনা। অন্তত সিঁড়ির শুরুটা যেখানে ততটা অবধি গিয়ে দেখবেন সত্যিই অসুবিধে হওয়ার মত কিনা, সংখ্যাটা মিসলিডিং। এই গেল মোটের ওপর রবিবারের কথা। হাতে রইলো সোম্বার। সোমবার যতই এগিয়ে আসতে লাগলো, ততই বিষন্ন লাগছিলো। তবে তা কেটে গেল রাতে জলে ৩৬০ ডিগ্রি তারা আর তার রিফ্লেকশন দেখে, পরের দিন পিকচার্ড রক লেকশোর দেখা হবে, সেকথা ভেবে। পরের দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস খুব ভালো ছিলো, এটা আমরা দিনের কোন একটা সময় দেখে নিয়েছিলাম, যেখানে ফোনের টাওয়ার ছিলো।
  • ঈশান | ০৮ জুন ২০১৬ ০৬:০৫709972
  • ফ্লো নষ্ট করবনা। কয়েক লাইনে লিখি। বারবার রোজাভা, পাখিরা সভ্যতার অভিশাপ কেন, এবং পাখির গান, এসবের বারংবার উল্লেখে একটি ব্যক্তির খিল্লি ওড়ানো হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। তাঁর বক্তব্যে আপত্তি থাকতেই পারে, কিন্তু সেসব যথাস্থানে করলেই, এটা খিল্লির টই হচ্ছে, না ভ্রমণকাহিনীর, এই নিয়ে আমার কোনো কনফিউশন থাকতনা। এই টুকুই।
  • bhagidaar | 34.49.119.28 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৬:১২709973
  • সম্পুর্ণ ভুল মনে হচ্চে।
  • sosen | 184.64.4.97 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৬:২৭709974
  • কয়েকটা জলপ্রপাতের ছবি দিই

  • hu | 78.63.145.192 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৬:৩৩709975
  • সম্পূর্ণ ভুলভাল মনে হওয়া। পাখীর গান নিয়ে ভাটেও এর আগে অনেক আলোচনা হয়েছে। রোজাভার টইতে এই গানটা প্রথম দেওয়া হয়েছিল - এ ছাড়া ঐ ব্যক্তির সাথে এই গানের কোন সম্পর্কই নেই। তবে কার কি মনে হবে তা যখন কন্ট্রোল করার কোন উপায় নেই, তখন না হয় এই টইতে তালা পড়ুক।
  • Tim | 108.228.61.183 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৬:৩৬709976
  • ঈশানদা,

    বিশ্বাস অবিশ্বাস তোমার ব্যাপার। এরকম কিছু মনে হলে খুবই ভুল মনে হবে। খিল্লি ওড়ানো ইত্যাদি ভাট ও টইতেই যথেষ্ট হয়েছে, গার্বেজ প্রোডাকশনের ফাঁকে জমানো রিসার্চ স্কলারদের বহুমূল্য ছুটি নষ্ট করে সেটা করার দরকার ছিলোনা। আমাদের নিজেদের কথাই যথেষ্টর বেশি ছিলো বলার ও শোনার। বস্তুতঃ যদি এরকম কিছু হতো তাহলেই বরং সাবধানে সেসব এখানে উল্লেখ করা থেকে আমরা বিরত থাকতাম (যা সাধারণতঃ গুরুর ভাটগুলোর বিবরণ দেওয়ার সময় হয়ে থাকে, নয় নয় করে কম দিন তো হলোনা)। এক্ষেত্রে সাবধানতার প্রয়োজন পড়েনি, তাই ওগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ না খোঁজার অনুরোধ করবো। আমার তরফ থেকেও এটুকুই।
  • sosen | 184.64.4.97 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৬:৪০709977


  • <
  • sosen | 184.64.4.97 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৬:৫১709978
  • যাঃ ছবিগুলো এলো না।





    যাকগে, মোটামুটি শেষ হয়ে এসেছে। আড্ডার গল্প বলার মুড তো আর তেমন রইলো না কারওর, আমি বরম ঘোরার গল্পটা শেষ করে দিই। পরের দিন সকালে আমরা ভেবেছিলাম Keweenaw Peninsula অব্দি যাবো, এটা যাওয়ার টিমের খুবই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু অনেকটা দূর হয়ে যাওয়ায়, সানসেট ক্রুজের সময় ফিরতে পারবো কিনা বুঝতে না পারায় আমরা গেলাম গ্লাসবটম শিপরেক ট্যুরে, স্টিমারের নিচে কাঁচের মধ্যে থেকে ডুবে যাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখলাম। এই ট্যুরটা প্রায় দু-আড়াই ঘন্টার ছিল। এর পরে, লাঞ্চ সেরেই খানিক বাদে আমরা সানসেট ক্রুজে উঠলাম। মাঝে খাওয়া দাওয়া নিয়ে কিছু ঝুটঝামেলা হোলো, ভারি অদ্ভুত এক রেস্টুরেন্টে। যাই হোক, পিকচার্ড রকের কথা তো বলার চাইতে দেখার বেশি, নীল জলের উপর ঐ আড়াই ঘন্টা বহুদিন মনে থাকবে। আর হ্যাঁ, গেলে যথেষ্ট গরম জামা নিয়ে যেতে ভুলবেন না, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। সেই ঠান্ডায়ই তো আমি বাড়ি এসেই ঘুমিয়ে পড়লাম, আর লেকের জলে তারা দেখা হোলো না। পরের দিন ভোর বেলায় শিকাগোর উদ্দেশে রওনা।

    আবার আসতে হবে ঐ তারাদের জন্যে।
  • Tim | 108.228.61.183 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৭:৩০709979
  • হুঁ সেই ভালো। পিকচার্ড রকের ছবি পরে নামানো হলে দিয়ে দেব। যারা যাবেন, অতি অবশ্যই লেকের ওপর টুরটা নেবেন। জলের ধারের রক ফর্মেশন গাড়ি করে দেখা যায়না, কারণ ওখানে শুধু হাইকিং ট্রেইল আছে। তাতে সময়ও লাগে বিস্তর। একমাত্র বিকল্প ঐ বোট ট্যুরটা। সোসেন যেমন বললো, সূর্যাস্তের পরে ঠান্ডা লাগে বেশ, অবশ্যই জ্যাকেট নেবেন।

    গ্লাসবটম শিপরেক ট্যুরে ডুবে যাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখায় জলের নিচে। দিনে দুটো ট্যুর হয়, সকাল দশটা আর দুপুর একটায়। সেইভাবে প্ল্যান করা দরকার। আমাদের হয় Keweenaw Peninsula র শেষ অবধি যাওয়ার সময় ছিলো, নয়ত গ্লাসবটম ট্যুরে যাওয়ার। সময় কম থাকলে লম্বা ড্রাইভে যাওয়ার মানে নেই, তাড়াহুড়ো হয়। তাই মিউনিসিং এর আসেপাশেই সমস্ত অ্যাকটিভিটি রাখা হয়।

    অবশেষে, আপার পেনিনসুলা সবথেকে সুন্দর ফল কালারের সময়। পারলে সেই সময় প্ল্যান করবেন। আর পিকচার্ড রক বোট ট্যুরের সবথেকে কাছের রেস্তোরা নেভিগেটরে খবর্দার খাবেননা।
  • Tim | 108.228.61.183 | ০৮ জুন ২০১৬ ০৭:৩১709981
  • সবশেষে*
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন