এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মৈনাক সরকারকে কি আমরা চিনতাম ?

    bip
    অন্যান্য | ০৪ জুন ২০১৬ | ৭৩৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০৪ জুন ২০১৬ ১৪:০৯710003
  • মৈনাককে কি আমরা চিনতাম ?
    ******************

    মৈনাক সরকার নামটি এখন সব আমেরিকান চেনে। খারাপ লাগলেও এটাই সত্য, যে বাঙালীকে আমেরিকানরা চিনে গেল আধুনিক মিডিয়ার দৌলতে তিনি বিবেকানন্দও নন, রবীন্দ্রনাথ ও নন। মৈনাক সরকার নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিভাবান ছাত্র।

    কিন্ত মৈনাককে কি আমরা চিনি ? আলবৎ ।

    ভেবে দেখুন কি ধরনের "প্রতিভাবান" কেরিয়ারিস্টদের আমরা তৈরী করি সমাজে। ছোটবেলা থেকে তারা বাবা মা নিকট "বন্ধুরা" শেখাচ্ছে-স্বার্থপর হতে। শেয়ারিং এর কনসেপ্ট নেই। আমি যা জানি, যা শিখছি-সব আমার! কেউ যেন কেড়ে নিয়ে যেতে না পারে!! সেখানে জ্ঞানের প্রতি প্যাশন, সৃষ্টির আনন্দের স্থান নেই। শুধুই হিসাব, আমি এগোলাম না পেছোলাম। আর এমন বিচ্ছিরি জাঁতাকল, ষাট বছরেও শেষ হয় না। আচ্ছা রিয়াটারত করলে? কতটাকা জমাতে পারলে? কোন পজিশনে রিটায়ার করলে? কেউ বলবে ন-আর কদিনই ত আছে। খাতায় নাম উঠে গেছে-এবার নতুন কি ভাবছ?

    ইনফ্যক্ট আই আই টি খরগপুরের দীর্ঘ একদশক জীবনে এত মৈনাক দেখেছি-হলফ করে বলতে পারি ক্যাম্পাসে বন্দুক সহজলভ্য বলে, এমন ঘটনা অনেক ঘটত। হবেই না বা কেন? গান, কবিতা, চিত্রকলা-জীবনের যার কিছু সুন্দর-কিছুইত এরা শেখে না। জীবন মানে এদের কাছে ম্যারাথন-আর সার্থকতা হচ্ছে সাইডলাইনে দাঁড়ানো পরিবারের লোকেদের হাততালি-যা তুই ওর ছেলেটাকে বিট করে দিয়েছিস ম্যারাথনে!! টোট্যালি একটা সিক সমাজ এবং পারিবারিক কালচারের মধ্যে দিয়ে আসে অধিকাংশ ছাত্ররা- যেখানে জ্ঞানের পিপাসা আর সৃষ্টির আনন্দের কোন স্থান নেই।

    অনেকে বলছেন গাইড-পিএইচডি ছাত্র সমস্যা। হতে পারে। পিএইচডি গাইড ছাত্র সব থেকে কঠিন সম্পর্কের একটি। কারন এখানে ছাত্রটি সম্পূর্ন ভাবে তার শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল। প্রচুর ছাত্র মানসিক ভারসাম্য হারায় পি এইচ ডি করতে গিয়ে। একসময় আই আই টি সেনেটে পি এই চ ডি প্রতিনিধি ছিলাম। প্রায় ৩০% ছাত্রই মানসিক সমস্যায় ভুগত গাইডের জ্বালায়। উলটো দিকে ভাল গাইড ও প্রচুর আছে।

    কিন্ত এখানেই সেই লাইভ বম্ব। পি এই চ ডিই হৌক বা চাকরি-সবর্ত্রই লোকে পেছনে লাগবে। কেউ তোমার জন্য গোলাপ নিয়ে বসে নেই। তার মানে কি এই প্রত্যেকের পেছনে বন্দুক নিয়ে লাগতে হবে? কোন লাভ নেই। যারা আপনার জীবনে কাঠি করছে- আপনি রেগে আছেন? জ্বলন্ত কাঠকয়লা ধরে বসে থাকলে তাতে হাতই পোড়ে।

    গোটা জীবনটাই কুরুক্ষেত্র। অথবা ফুটবল মাঠ। পাস দিচ্ছেন, গোল খাচ্ছেন, গোল দিচ্ছেন-লোকে ল্যাং মারছে। পাস ধরছেন, ডজ করেছেন-সব কিছু মিলিয়েই ফুটবল! কিন্ত কোন স্কুল, কোন ফ্যামিলি শেখায় সেটা? সবাই ভাবে হেঁটে হেঁটে গোল দেবে! মাঠে নেমেছ, অথচ ল্যাং খাবে না, হয় না কি!

    কিন্ত জীবনে মারাদোনা সেই হতে পারে-যে হাজার ল্যাং খেয়েও, মারমারি পালটা মার না দিয়েই ডজ করে গোলটা দিয়ে আসতে পারে! সেই আসল প্রতিভাবান!! সেই শিক্ষাটার অভাব চারিদিকে। আর হ্যাঁ সেই মারাদোনা হতে পারে, যে সৃষ্টির আনন্দে ভেসে যেতে পেরেছে।
  • avi | 113.24.86.13 | ০৪ জুন ২০১৬ ১৪:২৮710114
  • স্বামীজী এই জন্যেই তো ফুটবল খেলতে বলেছিলেন। আজি হতে সোয়াশো বর্ষ আগে।
    কিন্তু, কিন্তু, বিবেকানন্দ আর রবীন্দ্রনাথের পরেই মৈনাক সরকার? আমেরিকায় আর কেউ বাঙালী হিসেবে পরিচয়ই দিল না! :(
  • | 56.166.170.3 | ০৪ জুন ২০১৬ ১৪:৫৮710129
  • বিপ কী ফুটবল খেলে? :)
  • asddghjklpoiuytrewq | 11.39.39.201 | ০৪ জুন ২০১৬ ১৫:৪৩710140
  • " পিএইচডি গাইড ছাত্র সব থেকে কঠিন সম্পর্কের একটি"
  • Abhyu | 106.32.190.208 | ০৪ জুন ২০১৬ ১৮:৫৬710151
  • বিপ পাল বলেছেন মোটামুটি ঠিকই। তবে এ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে সম্ভবতঃ PhDর অনেক পরে।
  • সে | 198.155.168.109 | ০৪ জুন ২০১৬ ২০:৫৭710162
  • লেখাটা খুবই সত্য। এরকম মাল থরে থরে দেখেছি দেখছি। স্বার্থপর লোভী হিংস্র পরশ্রীকাতর এবং এইসবের কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন।
  • এ্যাকাডেমাইজেশন | 11.39.39.23 | ০৪ জুন ২০১৬ ২১:২৮710173
  • কি পাইকারিহারে এ জিনিস তৈরির চেষ্টা? করবিন খুব ভয় দেখাচ্ছেন দেখছি।
  • sosen | 50.128.208.34 | ০৪ জুন ২০১৬ ২৩:০২710184
  • এই থরে থরে ব্যাপারটা হেবি হয়েছে। বেশ সাজানো রয়েছে, ওরিয়েন্টেশনের সময় জিগালো, কিরকম পি এইচ ডি চাও। আজ্ঞে ঐ যে সবুজমতটা দিন, সেকেন তাকে। ও, ঐটা, হিংস্রটা ? বাপু তোমার এসোপি বিশেষ পদের নয়, তেমন ভালো সিভি নয়, স্কোরও ঐ মেরেকেটে। তুমি এই পরশ্রীকাতরতাটা পাবে বড়োজোর। আচ্ছা তাই দিন। হাঁড়িমুখে বেরিয়ে এসে দেখলুম ক্রিম অফ দ্য ব্যাচ যাচ্ছে, সব একেকজন সিরিয়াল কিলার। কিসুই করতে পাল্লানা, নশ্বর এ জীবন ইত্যাদি
  • Tim | 108.228.61.183 | ০৫ জুন ২০১৬ ০০:০৩710195
  • ঃ-)))
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০৫ জুন ২০১৬ ০৩:০৪710004
  • জীবনের সবথেকে বড় রহস্য-জীবনের উদ্দেশ্য নেই-কিন্ত আবার উদ্দেশ্য বা গোল না থাকলে একটা দিন ও বাঁচা সম্ভব না। কারন আমাদের প্রতিটা একশনের পেছনেই ইঞ্জিন হচ্ছে জীবনের উদ্দেশ্য। এটা খুব গভীরভাবে না ভাবলে লোকে বোঝে না।

    জীবনের একটা গোল, এবং তারজন্য কম্পিটীশন থাকবেই। না হলে আবার জীবনটা একটা উদ্দেশ্যহীন ভবঘুরে হবে। সেটা খুব বাজে কিছু না-যদি তার থেকে কবি সাহিত্যিকের জন্ম হয়। কিন্ত বাস্তব হচ্ছে, এদের অধিকাংশরই জীবন শেষ হয় ড্রাগে এবং আত্মহত্যায়। সেটাও কাম্য না।

    এই জন্য সুস্থজীবনের জন্য সব থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন-সামনে একটা গোল ঠিক করা। মুশকিল হচ্ছে অধিকাংশের সামনেই সেটা নেই। সবাই জানে প্রোগ্রামার থেকে সিনিয়ার প্রোগ্রামার, সেখান থেকে ডিরেক্টর, ভিপি-চাকরিতে প্রমোশন। গাড়ীর মডেল আপগ্রেড, বাড়ির সাইজ। এসব বস্তুবাদি লক্ষ্যেই ছুটে চলেছে সবাই।

    বস্তুবাদি সাফল্যকে জীবনে উদ্দেশ্য করার কারন নিরাপত্তা। সবাই চাইছে খাদ্য,সেক্স, মেডিক্যাল, বাসস্থানের নিরাপত্তা। এই ক্যাপিটালিস্ট সমাজে টাকা ছাড়া কিছুইত মেলে না!!

    একটা লেভেলে এই নিরাপত্তার দরকারকে অস্বীকার করি না-কিন্ত এগুলোকে জীবনের উদ্দেশ্য করলে মুশকিল। সুস্থ খাদ্যের দরকার সবারই-কিন্ত খাবার নামে দামী রেস্টুরেন্টের পেছনে টাকা ওড়ানো মানে আস্তে আস্তে জীবনের উদ্দেশ্যটাকে সেই বস্তুবাদি বস্তার বান্ডিলে ঠেলা।
    যা মৃত্যুতেই শেষ। অনেক ডাক্তারই এটা জানেন। একজন লোক মরার আগে, প্রথমে সেই একটা অবিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে যায়-যে সত্যিই মরতে চলেছে? একটা প্যানিকিং লেগে থাকে মৃত্যপথযাত্রীর চোখে মুখে। আস্তে আস্তে যখন আর মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে পারে না-তখন ছেড়ে দেয়। মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে বোঝে ওটাই আসল নিয়তি! সবাইত আর রবীন্দ্রনাথ হয় না-যে গীতাঞ্জলী লিখে অপেক্ষা করে সেই নিশ্চিত নিয়তির দিকে।

    বরং জীবনের উদ্দেশ্য বা গোল হোক-কে কত সমাজকে ফিরিয়ে দিতে পারে-তার প্রতিযোগিতায়। কে কজন গরীব ছাত্রকে স্পনসর করতে পারল। কে কজন বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের দেখাশোনা করতে পারল। এনজিও খুলে রাস্তা পরিস্কার করার প্রতিযোগিতা হৌক পাড়ায় পাড়ায়। কে কটা মিস্টি প্রেম করতে পারল, তার প্রতিযোগিতা হৌক।

    বলবেন চ্যারিটিতেও প্রতিযোগিতা? নিশ্চয় দরকার। এই একটা প্রতিযোগিতায় যদি বন্ধু বা অন্যের কাছে হেরেও যাই-কি ভীষন ভাল লাগে বোঝাতে পারব না। এই একটাই প্রতিযোগিতা আছে-ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতা-যেখানে হেরেও আনন্দ।

    সৌদিতে তখন তেল পাওয়া যায়, ওটা তখনও একটা রাষ্ট্র হয় নি-নানান ট্রাইবাল গোষ্টি-নানান রাজ্যে রাজত্ব করত। এমন এক গোষ্টিসর্দারের আধুনিক ছেলে, তার সেকেলে বাবাকে বোঝাচ্ছে-কেন তেলের লিজ আমেরিকান কোম্পানীদের দেওয়া উচিত।

    সর্দারপুত্র শুরু করছে এই ভাবে- এই " অমূল্য" তেল...।

    ছেলে আর কিছু বলার আগেই, সর্দার তাকে কেটে দিয়ে বললো-হে পুত্র, তুমি তেলকে অমূল্য বলছ কেন? তেল ত কেনা যায়। যা কিছু কেনা যায়-তা কি করে অমূল্য হয়? ভালোবাসা, স্নেহ অমূল্য -কারন তা কেনা যায় না।

    গাড়ী কেনা যায়। বাড়ী কেনা যায়। ব্যাঙ্ক ব্যালান্স কেনা যায়।

    কিন্ত মানুষের স্নেহ আশীর্বাদ কেনা যায় না। মানুষের ভালবাসা কেনা যায় না। মানুষ অমৃতের সন্তান-তাই আমাদের লক্ষ্য বলে যদি কিছু থাকে- তা হৌক সেই অমূল্য রতনের সন্ধান। সাধারন মানুষের ভালোবাসা। যা কেনা যায় না-তাই অমূল্য ।

    আমি প্রায় সাড়ে চার বছর আগে চাকরি ছেড়েছিলাম। জীবনের গোলটা বদলানোর দরকার ছিল। কর্পরেট লাইফের উদ্দেশ্যহীন অর্থহীন চাকরি করাটা মানসিক অত্যাচারেরর পর্যায়ে চলে যাচ্ছিল। তখন একটা গোল ঠিক করেছিলাম- ভারতে ১০০ জনের জন্য চাকরি তৈরী করব। ব্যাবসা করার থেকেও সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এগিয়েছি বেশী। আমি এখন অনেক বেশী চাপে থাকি-অনেক বেশী কাজ-কিন্ত মানসিক দিয়ে অনেক বেশী সুখী।

    জীবনকে উপভোগ করতে গেলে, বস্তুবাদি গোল থেকে দূরে থাকতেই হবে।
  • সে | 198.155.168.109 | ০৫ জুন ২০১৬ ০৪:২২710015
  • এই লেখাটাও খুব ভালো লাগল।
  • সে | 198.155.168.109 | ০৫ জুন ২০১৬ ০৪:২৯710026
  • এবং একটা কথা সংযোজন করতে চাই। জীবন উদ্দেশ্যগীন হোক কি হেরে গিয়ে তা সে অন্যায় যুদ্ধে হলেও - বা বন্দুক ও বুলেট সহজলভ্য হলেও, যত হতাশা বা ক্রোধই জমুক না কেন - কারোকে খুন করার কোন যৌক্তিকতা নেই। যত পাজি রিসার্চ গাইডই থাকুক না কেন, কেউ যদি কয়েক বছরের পরিশ্রম কি রিসার্চের কাজ চুরিও করে থাকে, কিংবা রেসিজমের শিকার হলেও, প্রেমে দাগা খেয়ে কি বুলীড হয়েও অন্যের প্রাণ নেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
  • জীবনের | 11.39.36.172 | ০৫ জুন ২০১৬ ০৬:২২710037
  • উদ্দেশ্য ফূত্তি করা গান ভাল না লাগলে গাইবেননা, সিম্পিল।
  • dc | 132.164.111.1 | ০৫ জুন ২০১৬ ০৮:৫২710048
  • "বস্তুবাদি সাফল্যকে জীবনে উদ্দেশ্য করার কারন নিরাপত্তা। সবাই চাইছে খাদ্য,সেক্স, মেডিক্যাল, বাসস্থানের নিরাপত্তা। এই ক্যাপিটালিস্ট সমাজে টাকা ছাড়া কিছুইত মেলে না!!"

    আমার জীবনের আবার একটাই গোল - টাকা রোজগার করা। এই বস্তুবাদী জীবন আমার ভীষন ভালো লাগে, খাবার দাবার নানান জিনিসপত্র বাড়ি এসব আমার খুব ভালো লাগে। মেটিরিয়ালিস্টিক কমফর্ট ছাড়া আমি আর কিচ্ছু চাইনে, সবরকম সুযোগ সুবিধে ভোগ করতে চাই। যতো বেশী লাক্সারি করা যায় ততো করতে চাই।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৫ জুন ২০১৬ ১২:৩৮710059
  • ওহ্‌, ডিসি-র সাথে আমার প্রায় মিলে গেছে, শুধু 'রোজগার'-এর জায়গায় 'খরচ' হবে।
  • PM | 233.223.158.12 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৩:০৪710070
  • এখানে বস্তুবাদী শব্দ টাকে কি ভোগবাদী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে? মিশনে সাধুদের "বস্তুবাদ"শব্দটির এরকম প্রয়োগ করতে দেখতাম
  • কেয়াবাত | 95.248.227.164 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৩:৩৬710081
  • ওয়াঃ ওয়াঃ! একজন অচেনা লোকের মরণোত্তর সাইকোঅ্যানালিসিস । বিগডাটার মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে নো-ডাটা থেকে ইনফারেন্স । জয় বাঙালি ! জয় গুরু ! জয় বিপ !
  • Ekak | 53.224.129.58 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৩:৪৩710092
  • আমি তো কোনো অসুবিধে দেখিনা এই সাফল্য ও টাকার পেছনে ছোটায় । এটাকে কোনো ভাইস বলে মনে হয়না আদৌ । সমস্যা অন্য জায়গায় । আসলে আমাদের সমাজে টাকা রোজগার সংক্রান্ত একটা নেগেটিভ ভাইব রয়েছে যে কারণে এই ভোগ বিলাসের দিকটা ওপেনলি চর্চা করা অপরাধ সমান । তার ফলে এই দিক গুলো উন্নতি করেনি । পয়সাওয়ালা হলেও সামাজিকতার বটিকা চিবোনোর দায়ে না হচ্ছে সামাজিকতা না নিজের জীবনে আনন্দ । আমরা সব কিছুই শিখে করি । এরকম আদৌ নয় যে আপনি টাকা রোজগার করা শিখেছেন মানে খরচ করাও শিখেছেন । ভোগ করার ইচ্ছে থাকলেই এবং টাকা থাকলেই ভোগ হয়না । কারণ ভোগ করা শেখেন নি । মনে মনে সেটাকে নেগেটিভ ব্যাপার ভাবেন । এই একশিরা গ্রোথের অবশ্যম্ভাবী ফল হচ্ছে রোজগার -ইনভেস্ট -সিকীয়রিটির চক্করে জড়িয়ে পরা । এবং একটা বয়েসের পর হাহুতাশ । প্রফেশনাল লেভেলের পড়াশোনায় ভোগপদ্ধতি সিলেবাসে আসুক । ত্যাগের মাধ্যমে ফাধ্যমে নয় ওসব ভারতীয় ঋষিদের মিডল লাইফ ক্রাইসিস , একদম ভোগ যেটাকে এতদিন মনে মনে চাইলেও বাইরে প্রকাশ করতে ভয় পেয়েছেন ।
  • avi | 113.24.86.13 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৪:০৭710103
  • আগে তাহলে রাজা মানসিংহ বানানো হোক। নইলে আর তুলসীদাস ভোগ করতে শিখবে কোদ্দিয়ে? জয় বিরিঞ্চিবাবা।
    তবে এত গোল, আল্টিমেট গোল, গোলের উদ্দেশ্য - বোঝাই যাচ্ছে কোপা আর ইউরো চলে এসেছে।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৪:৪২710115
  • মরণ যেদিন দিনের শেষে আসবে তোমার দুয়ারে
    সেদিন তুমি কী ধন দিবে উহারে।
    ভরা আমার পরানখানি
    সম্মুখে তার দিব আনি,
    শূন্য বিদায় করব না তো উহারে--
    মরণ যেদিন আসবে আমার দুয়ারে।

    কত শরৎ-বসন্ত-রাত,
    কত সন্ধ্যা, কত প্রভাত
    জীবনপাত্রে কত যে রস বরষে;
    কতই ফলে কতই ফুলে
    হৃদয় আমার ভরি তুলে
    দুঃখসুখের আলোছায়ার পরশে।
    যা-কিছু মোর সঞ্চিত ধন
    এতদিনের সব আয়োজন
    চরমদিনে সাজিয়ে দিব উহারে--
    মরণ যেদিন আসবে আমার দুয়ারে।
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৪:৫০710120
  • আমি ভোগ নিয়ে জীবনে প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করেছি। ভোগ মানুষকে স্বার্থপর করে তোলে, জীবনে প্রচুর ব্লাইন্ড স্পট তৈরী হয়। কার্বন এমিশনের কথা না হয় বাদই দিলাম। আবার এটাও ঠিক, ভোগ না করলে, ত্যাগ অর্থহীন। হারমেন হেসের সিদ্ধার্থকে সেই জন্যে কমলার কাছে যেতে হয় সম্ভোগ শিখতে।
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৪:৫৫710121
  • অর্থ যেজীবনের মোটীভেশন, সে জীবন অর্থহীন।
    অর্থ একটি উপায় মাত্র, তা গোল হতে পারে না। চ্যারিটি করতে গেলেও অর্থ লাগবে। কিন্ত কেন জীবনে অর্থ দরকার, সেটাই আসল গোল। সংসারের খাওয়া ঘোরার জন্য অর্থ দরকার-কিন্ত তার অধিক অর্থ উপার্জনেও যদি নিজের আরো বড় বাড়ি, আরো বড় গাড়ী কেনার জন্য হয়, সে জীবন অভিশপ্ত
  • dc | 132.164.111.1 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৪:৫৮710122
  • আরে এতো না ভেবে নিশ্চিন্ত মনে ভোগ করুন (সম্ভোগও করতে পারেন)। যতো পারুন টাকা রোজগার করুন আর যতো পারুন ভোগ করুন। এই জীবন একটাই পেয়েছেন, আর কখনো পাবেন না, অ্যান্ড দ্য ইউনিভার্স ডাজন্ট কেয়ার হাউ য়ু লিভ ইওর লাইফ। কাজেই এক্কেবারে নিশ্চিন্তে নির্ভাবনায় উইথ নো স্ট্রিংস অ্যাটাচড ভোগ করুন।
  • Ekak | 53.224.129.58 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৫:০৯710123
  • আমার এক ট্রেনার ছিলেন ভুটানে । ঘন্টাখানেক তার আখড়ায় হাত পা ছোঁড়াছুরি কসরত ইত্যাদি করতুম । যখন কসরত করার সময় তখন এক দয়ামায়াহীন লোক । যতগুলো সেট দেওয়ার কথা তার আগে থামলেই চিত্কার আর লোকের সামনে হ্যাটা । আবার উইকেন্ড এ কড়া নির্দেশ সবাই ডিস্কো তে যাবে । নিজে অবশ্য ফিজ টনিক ছাড়া কিছু নিতেন না কিন্তু ওনার কনসেপ্ট হলো বিয়ার খেয়ে উদ্দাম নাচানাচি না করলে সেই সপ্তাহের বডি ক্লক রিফ্রেশ হয়না , আগের ব্যাকলগ বইতে থাকে :)) রোববারের রুটিন হলো সকালে মনাসট্রি তে গিয়ে ধ্যান তারপর দুপুরে চর্ব্য চোষ্য খাওয়া এবং বিকেল হলেই আলো আঁধারী নাচাগানা । ব্যাস । ওনার কথা লিখব কখনো । দারুন মানুষ ।
  • dc | 183.67.3.44 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৫:৩১710124
  • আরে এতো না ভেবে নিশ্চিন্ত মনে ভোগ করুন (সম্ভোগও করতে পারেন)। যতো পারুন টাকা রোজগার করুন আর যতো পারুন ভোগ করুন। এই জীবন একটাই পেয়েছেন, আর কখনো পাবেন না, অ্যান্ড দ্য ইউনিভার্স ডাজন্ট কেয়ার হাউ য়ু লিভ ইওর লাইফ। কাজেই এক্কেবারে নিশ্চিন্তে নির্ভাবনায় উইথ নো স্ট্রিংস অ্যাটাচড ভোগ করুন।

    >>
    ইহারে দর্শন শাস্ত্রে হেডোনিজম কয়। এই চিন্তার সমস্যা হচ্ছে, এই ভাবে ভোগ করা "সাসটেনেবল" কি না।
  • Ekak | 53.224.129.58 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৫:৫১710125
  • হেডনিসম খুব গোলমেলে শব্দ । প্লেসারে ডুবে না থেকে তার উল্টোপথে যাঁরা হাটছেন তাঁরাও একটা "আলটিমেট এন্ড সাস্তেইনেব্ল " প্লেসারের স্বপ্ন দেখেন । সাস্তেইনেবিলিতি র প্রতি এই টান কোত্থেকে আসে ? আসে ল্যাক অফ সিকীয়রিটি তেকে , যা পাচ্ছি হারাবো না তো ? এর থেকেই বেরিয়ে আসা জরুরি । সাংসারিক কর্তব্য কর্ম যা আছে তা যতটুকু না করলে নয় করতেই হবে কিন্তু হারানোর ভয় ও পাওয়ার লোভ দুটো থেকেই বেরিয়ে আসার একটা প্রচেষ্টা থাকা জরুরি । কোনো আইডিয়ালে পৌছনো নয় । প্রচেষ্টা । আইডিয়ালে পৌছলেই মৃত্যু ।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৬:১৮710126
  • উহু, জীবনের ত আল্টিমেট গোল নেই। সব মুহুর্তই মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষা।

    সুতরাং যদি ধরি অব্জেক্টিভটা হচ্ছে ম্যাক্সিমাইজেশন অব আনন্দ ( ব্লিস) --তাহলে প্লেজার থেকেও আনন্দ আসে, গান শুনেও আসে, অন্যলোকের জন্য খাটলেও আসে।

    এর মধ্যে প্লেজার থেকে যে আনন্দ-তা অনন্ত না। এবং প্রায় তা দুঃখে পরিণত হওয়ার চান্স থাকে বেশী।
  • মেনকা | 202.160.102.164 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৬:২৯710127
  • তারমানে মৈনাক ভোগী না হয়ে ত্যাগী হয়েছিল, তাইতেই সার্কিট বার্ন করে ম্যাস মার্ডার করে ফেলল, ঠিক তো?
  • dc | 132.164.111.1 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৬:৫৩710128
  • প্লেজার আর পেন সবেতেই আছে, চয়েস আপনার। ধরুন কেউ আপনাকে জোর করে বসিয়ে এক ঘন্টা লতা আর এক ঘন্টা কিশোর এর গান শুনিয়ে দিল, যেগুলো আবার আরডি সুর দিয়েছে। আপনি অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করলেন। বা ধরুন আপনি একজনের অনেক উপকার করলেন, পরে সুযোগ পেয়ে সে আপনাকে গুছিয়ে বাঁশ দিলো। আপনি একটা ফিলজফিকাল এসে লিখতে বসে গেলেন। কাজেই ওসবের চক্করে না পড়ে স্রেফ ভোগ করুন।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৫ জুন ২০১৬ ১৯:৩৪710130
  • ভোগ করতে ত আমিও চাই। সমস্যা হচ্ছে ভোগ করতে টাকা লাগে। আর জীবনে টাকার চাহিদা বাড়াটা স্লীপারি স্লোপ। নেমে যাওয়ার সহজতম সিঁড়ি। ভোগে অসুবিধা নেই-অসুবিধা সেটা সাসটেইন করতে টাকার জোগাড় বাড়ানোয়।

    আলটিমেটলি ডাল ভাত খেয়েও সুখ অনেক বেশী-যদি পেছনে ধার না থাকে। ধার করে মাংস ভাত খেলে ক্ষনিকের সুখের জন্য, অন্যের তাড়া খাবার কি দরকার বুঝি না। এই জন্য যুধিষ্ঠীর ধর্মরাজকে বলে ছিলেন এক বেলা খেয়েও সেই সুখী যার কোন ধার নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন