এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মৈনাক সরকারকে কি আমরা চিনতাম ?

    bip
    অন্যান্য | ০৪ জুন ২০১৬ | ৭৩৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রী সদা | 113.16.71.15 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:০৬710197
  • "মধ্যবিত্ত পরিবারে চটপট উপার্জনশীল হওয়া একটা ফ্যাক্টর" - এইটে একদম ঠিকঠাক রুট কজ। ঐ চাপটা যাদের নেই তারা অনেকেই কিন্তু এই র‌্যাট রেস থেকে বেরিয়ে এসে নিজের মতো করে কেরিয়ার চুজ করছে। বরং এখন আমাদের জেনারেশনে আইটি বা অন্যান্য কর্পো জব আর ঠিক ইন-থিং নয়, আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে দু-এক বছর চাকরী করে তারপর হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইনিং বা কমার্শিয়াল আর্ট নিয়ে হায়ার স্টাডি করেছে, বা নিজেদের নন-টেক স্টার্টাপ করেছে। তাদের বেশীরভাগই অবশ্য উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং কিছুক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ফ্যামিলি থেকে আসা।
    এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো, কদিন আগে টিভিএফ নিয়ে কথা হচ্ছিল, ওদের বেশ কিছু সদস্য আই আই টি গ্র্যাজুয়েট।
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:১২710198
  • আরে ভাই বাড়ির ব্যাকাপ থাকলে কল্পনার ঘেঁটু ফুল ফুটে কাঁঠাল ফল হয় :) লোকে আই আই টি থেকে ডক করে বেড়িয়ে ছাগলের ফার্ম করছে । এখন এই দেখে যদি সবাই নাচে তাহলে তো হয়ে গ্যালো ! ফার্ম এর জমি টাকা , রেভেনিউ আসা অবধি টানার ক্ষমতা এগুলো হিসেবে ধরতে হবে তো । ছেলেমেয়েদের ওসব স্বাধীনতা দিতে গেলে মিনিমাম দুটো প্রজন্ম মুখের রক্ত তুলে খেটে বাড়ি -ব্যান্ক ব্যালান্স বানিয়ে রেখে যেতে হয় । তারপর দেখবেন ছেলে দিব্যি আইটি ফাইটি তুড়ি মেরে উড়িয়ে বান্টু উপজাতির শুচু করার পদ্ধতি নিয়ে যুগান্তকারী ডকুমেন্টরি ফিলিম বানাচ্ছে আর ফেসবুকে শেয়ার হচ্ছে । তখন নাহয় প্রবন্ধ লিখবেন এই দেখো আইটি ফাইটি উড়িয়ে দিয়ে কেমন করে দেখালো ! যারা লাইক দেবে তারা আগের প্রজন্মের গপ্প জানতে চাইবে না !
  • pi | 24.139.209.3 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:১৫710199
  • একট লেভেল নিয়ে তো কথা বলিনি। ইন ফ্যাক্ট, একটা বেসিক লেভেল দরকার, লিখতে গিয়েও কাটিয়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, ওটা বাদ দিয়ে বলছি, বোঝাই যাবে।
    একটা লেভেল যদি নাই থাকতো তো মিনিমাম ওয়েজ, সেটা বাড়ানো, সেগুলো নিয়ে দাবিদাওয়াই আসতো না।
    আবার এটাও ঠিক যে এই বেসিক লেভেল নিয়েও বলা যায়।
    এই বেসিক লেভেলের সাথে বেসিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য , পরিবহন অন্য কিছু পরিষেবা, এসবও জড়িয়ে। এবার এগুলোর খরচ লাগামছাড়া হয়ে পড়বে, বা যেগুলো ফ্রিতে বা অনেক কম টাকায় পাওয়া যায় ( ও পাওয়া উচিত), তার কোয়ালিটি ধ্যাদ্ধেড়ে হবে, এফিসিয়েন্সি, আকাউণ্টেবিলিটি থাকবে না, কিম্বা বেশি খরচের প্রফিট মেকারদের এইসব ফিল্ডে ব্যবসা করার সুবিধে করে দেওয়ার জন্য ধ্যাদ্ধেড়ে করিয়েও দেওয়া হতে পারে, অথবা ভাল হলেও পিয়ার প্রেশারে সেসব নেওয়া যাবেনা , নিজেদের এলিটত্ব বজায় রাখার জন্যেও নেওয়া যাবেনা, নিলে স্ট্যাটাস পড়ে যাবে বা ভাল হলেও একটা হাইপ তৈরি করে দেওয়া হবে যে বেশি টাকার পরিষেবা না হলে সেগুলো ভালৈ না, এই ফ্যাক্টরগুলোও ভাবা উচিত। এরকম না হলে, বেসিক দরকারি লেভেলটা কত হতে পারতো।
    কী হলে ভাল হতে পারতো সেই নিয়ে আলোচনা হলে, এগুলোও বাদ পড়ে না।
    ঐ গ্যাট চুক্তি, শিক্ষার খরচ বাড়া এসবও এইজন্যই আসে।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:২৩710200
  • সেই সাইকেলেই ঘুর্ঘুর। এগুলো যেহেতু নেই, তাই ঐ রাস্তা। অতএব ঐ রাস্তায় যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
    কেন, ব্যাঙ্কব্যালেন্স না থাকলে অন্য পেশায় যাওয়া যাবেনা, কেন সেই সুযোগ তৈরি করা হবে না, সে কথা হবেনা। এটা তো শুধু ছেলেমেয়ে মা বাবা কী করেন কেন করেন সেই কথা হচ্ছেনা। কী সুযোগ সুবিধে আছে, কী হলে ভাল হত, সে নিয়েও কথা হচ্ছে।

    আর অন্য কোন পেশায় গেলে প্রচুর টাকা উপার্জন করলে তবে কিছু করা গেছে বলে ধরা হলে সেই গোড়াতেই গলদ।
    এত অঙ্কের উপার্জন না করলে, নিজের অমুক জায়গায় বাড়ি, অমুক গাড়ি না হলে, অমুক রেস্তোরায় নিয়মিত খেতে না পারলে, অমুক ব্র্যাণ্ড পরতে না পারলে, অমুক ব্র্যাণ্ডের গ্নিত্যনতুন গ্যাজেট না রাখতে পারলে, বিদেশে অমুক জায়গায় ভ্রমণ করতে না পারলে , অমুক টাকার স্কুলে পড়াতে না পারলে, অনুষ্ঠানে অমুক টাকা খরচ না করতে পারলে, অমুক টাকার গয়নাগাঁটি কিনতে না পারলে যদি মনে হয় বাঁচা যায় না, তাহলে সেগুলোর কোনগুলো বেসিক দরকারের মধ্যে ভাবা হচ্ছে, সেটাও ঠিক করা দরকার, নইলে আলোচনা পুরো ঘেঁটে যাবে তো।
  • শ্রী সদা | 113.16.71.15 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:৩২710201
  • হ্যাঁ পুরো সিস্টেমেই কিছু বেসিক ঘাপলা আছে সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। লুরুতে দেখি পাবলিক ট্রান্সপোর্টের পুরো ১০৮ অবস্থা, ইলেকট্রিসিটিও একইরকম ঝুল সার্ভিস। সব মেনে নিয়েও, হাতে অপশন কি আছে ইনভার্টার আর গাড়ি কেনার জন্যে টাকা জমানো ছাড়া ? নাকি সিস্টেম কবে বদলাবে তার অপেক্ষা আর ফোরামে ফোরামে লেখালিখি ?
  • শ্রী সদা | 113.16.71.15 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:৩৭710202
  • আমি চাই দেশের সবাই সস্তায় ঠিকঠাক চিকিৎসা এবং শিক্ষা পাক। এগুলো দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু যদ্দিন সেটা না হচ্ছে, চাইবো নিজে যাতে সাফিসিয়েন্ট রোজগার করি যাতে নিজের এবং পরিবারের মেডিক্লেম, বেসরকারী চিকিৎসা অ্যাফোর্ড করা যায়। এবং কেউ কেরিয়ার সম্পর্কে অ্যাডভাইস চাইলে এই রিয়েলিটিগুলো ও বুঝিয়ে বলবো। এগুলো সমর্থন করি বা না করি এগুলো বাস্তব।
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:৪১710203
  • ওরকম বাইরে থেকে প্ল্যানিং করে সিস্টেম বদলে দেওয়া যায়না । একটা লম্বা সময় জুড়ে সমাজে পয়সাওয়ালা শ্রেণী তৈরী না হলে আর্ট এন্ড এন্তর্তেইন্মেন্ত এর বাজার দর বাড়েনা । তার ফলেই ওই চাহিদা গুলো পিছতে থাকে । তামিল + ইংলিশ জানা মিডিয়া কন্টেন্ট রাইটার দের যা বাজার বাংলা + ইংলিশ জানা দের তা নয় । কারণ তামিল মালায়ালম ফিল্ম ইন্দাস্ত্রী তে টাকা বেশি । এগুলো ইন্টার রিলেটেড । দশজন বড়লোক স্টেটাস দেখানোর জন্যে কোটি টাকা দিয়ে ছবি কেনে বলেই আজকে মজিত বাওয়া বা যোগেন চৌধুরী বা বিকাশের ছবি এত দামে বিকোয় । কাজেই যারা স্টেটাস দেখাচ্ছে -খরচ করছে তাদের কে টেনে নাবিয়ে লেভেলিং করার চেষ্টা কাউন্টার প্রদাক্তিভ । ওতে বাকি সাবজেক্ট এর বাজারদর বাড়বে তো নাই উল্টে কমবে । ইউরোপ আমেরিকা যেখানেই আর্ট সাবজেক্ট এর কদর তৈরী হয়েছে সেখানে তার আগে একটা বড় সময় ধরে ইকনমিক বুম হয়েছে এবং একটা এফ্লুএন্ত শ্রেণী তৈরী হয়েছেঃ যারা আর্ট এন্তর্তেইন্মেন্ত এফর্দ করতে পারে । আমি যদি অমুক রেস্তোরায় নিয়মিত খেতে না পারলে হতাশ না হই তাহলে যে ছেলেটা শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সেও অকালে মারা যাবে । বাইরে থেকে লেভেল করে দিয়ে রাতারাতি ঠিক করার জিনিস আদৌ নয় এটা । সমাজে খরচ করার মত বড়লোক বাড়ুক , বুলবুলি ওড়াবার সখ তৈরী হোক , তখন ঠিক বুলবুলি প্রশিক্ষণ বিদ্যার বাজার ও তৈরী হবে । ইন্ডিয়া অলরেডি এই প্রসেস টার মধ্যে ঢুকে পড়েছে । ইট উইল টেক টাইম । এসো সবার চাহিদা কে লেভেল করি ভেবে লাভ নেই ।

    রিসেন্ট খবর : মুম্বাই তে সেলিব্রিটি লাইভ ফিল্মিং এর বাজার বাড়ছে । এটা হলো এমন একটা কনসেপ্ট যেখানে আপনি কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবধ্ধ হবেন যে আপনার শিশুর জন্মের আগে থেকে সেই বেবি শাওয়ার এর সময় থেকে তারা ভিডিও ফিল্মিং শুরু করবে । তারপর সে বড় হয়ে সেটল হওয়া অবধি চলবে । তারা রেগুলার শুট করবে , কন্টেন্ট বানাবে । বিশাল টিম ওয়ার্ক এবং টাকা খরচ করতে উত্সাহী অনেকেই । অন্বেকে চাইছেন একদম ডেটিং থেকে বিয়ে অবধি পুরোটা ফিল্ম বানিয়ে নিতে এরকম সংস্থা কে ধরে । এগুলো গল্প না । হচ্ছে রিসেন্টলি । প্রচুর মানুষের জীবিকা জড়িত ।
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:৪২710205
  • * মনজিত বাওয়া ।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:৪২710204
  • বেশ তো, যদি শুধু নিজেদের এই অবস্থায় কিছু বাছা বা অন্যদের বাছতে বলার কথাটুকুর মধ্যেই আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখা যায় ( সিস্টেমে কী গলতা, বেসিক পরিষেবা কেন ফ্রি বা কম টাকায় পাওয়া যাবেনা, সে প্রশ্ন বাদ রাখা গেল), এবার এই সাফিসিয়েণ্ট রোজগার কতটা, সেটা দেখা যাক। তাহলে বোঝা যাবে, পিয়ার প্রেশারের এলিমেণ্ট বা কন্ট্রিবিউশন কতটা থাকে।
    অন্যান্য চাকরিতে বা উপার্জনের রাস্তায় কেন সেই সাফিসিয়েণ্ট রোজগারের মত প্রভিশন থাকবে না, সেই প্রশ্নেও নাহয় তারপরে আসা যাবে।
  • pi | 24.139.209.3 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:৪৮710005
  • সেই সাইক্লিক লজিক ঃ)

    আর হাই এণ্ড রেস্তোরাঁ হোটেল, হাই ফাই ব্র্যাণ্ডের থেকে আসা টাকার কতটা এসবের কর্মচারীদের পকেটে আসে ? এসবের কর্মচারীরা অন্যদের থেকে অনেক বেশি রোজগার করেন নাকি ?

    বিশাল অসাম্য আছে, এটা অনস্বীকার্য ফ্যাক্ট। কিন্তু সেটা রাখতেই হবে, না রাখলে অন্যেরাও থাকবে না, প্রচুর বড়লোক না থাকলে গরীবেরা বাঁচবে না, এটা অবশ্য কী যেন কী একটা থিয়োরির মধ্যে পড়ে। তবে তাতে আমি সাবস্ক্রাইব করিনা যখন সে তর্কে ঢোকা বৃথা ঃ)
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:৫৭710006
  • হ্যা , অসাম্য রাখতে হবে এবং অনবরত খরচের জায়গা তৈরী করে যেতে হবে । নৈলে তলার দিকের লোকেরা কোনভাবেই ওপরে উঠতে পারবেনা । মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে পাইপ লাইনের মত ইউস করতে হবে যা দিয়ে জল ঢুকবে এবং বেরিয়ে যাবে । মধ্যবিত্ত রা সর্বদাই চাইবে বেসিকস এর কথা বলে নিজেদের রিস্ক মিনিমায়স করতে কিন্তু সেটা হতে দেওয়া যাবেনা । যদি বেসিকস দিতেই হয় তাহলে আলাদা নিম্নবিত্তকে দেওয়া যেতে পারে । অল ওভার বেসিকস মধ্যবিত্ত কে কুঁড়ে করে দেবে । মধ্যবিত্ত কুঁড়ে হলেই পাইপলাইনের মাঝখানটা থেমে যাবে । শিক্ষিত মধ্যবিত্ত কে আখ মাড়াই করাই একমাত্র রাস্তা । কোনভাবে কোনরকম নিশ্চিন্তি দেওয়া যাবেনা । মধ্যবিত্তের সামনে সর্বদা গাজর ঝুলিয়ে রাখতে হবে আরেকটু বেশি দৌরলেই তুমি বাঞ্ছিত স্টেটাস ও সিকীয়রিটি পেতে পার । তারা দৌড়ে যাবে ।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৯:১০710007
  • সবার জন্য শিক্ষা আর স্বাস্থ্য নামমাত্র মূল্যে দেওয়া কিন্তু খুব দরকার। এরকম কোন পলিটিকাল পার্টি যদি হতো যারা শুধু এই অ্যাজেন্ডাটা নিয়ে আন্দোলন করবে তো তাদের হাত তুলে সমর্থন করতাম। বেসিক শিক্ষা আর স্বাস্থ্য ফ্রিতে, আরো ভালো স্বাস্থ্য আর শিক্ষা পরিষেবা, আর যতোটা সম্ভব ফ্রি কম্পিটিশান বা প্রাইভেট সেক্টরের পার্টিসিপেশান, এগুলো আমাদের দেশে খুব দরকার। কতোটা কি হবে কেজানে!
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৯:১৭710008
  • নিম্নবিত্ত দের দিক । "সবার জন্যে " কে সাপোর্ট করিনা ।

    এইযে আমাদের দেশে প্রডাক্ট -কোয়ালিটি রিসার্চ এর অবস্তা খারাপ এটা নিয়ে এত বক্তৃতা হয় , তো খারাপ ক্যানো ? কারণ ইভেন যে বিদেশী কোম্পানি গুলো এখানে আসে তারাও জানে যে ইন্ডিয়া হলো মাস মার্কেট । ক্লাস মার্কেট নয় । মাস কে ধরতে গিয়ে এবার তারা সরকারের ওপর চাপ রাখে যে সরকারী বেসিক যেন না দেওয়া হয় । এবার সরকার যদি নিম্নবিত্ত দের বেসিকস দেয় তাহলেই এই সো কল্ড মাস মার্কেট ঠান্ডা হয়ে যাবে । তখন তারাই টিঁকে থাকবে যারা প্রডাক্ট কোয়ালিটি ইনোভেশনে কাজ করে । দিস ইস নেসেসারি । যা লিফট করানোর নিম্নবিত্ত লেভেল কে ফোকাস করে করুন । মধ্যবিত্ত কে চরম প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দিন । মার্কেট ট্রেন্ড বদলাতে বাধ্য ।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৯:২৬710009
  • নিম্নবিত্তদের তো অবশ্যই দিক। তবে সবার জন্যও শিক্ষা আর স্বাস্থ্য দেওয়া যায়, অন্তত পরের ধাপে, কারন তাহলে ইন জেনারাল হিউম্যান ক্যাপিটাল তৈরি হবে। আমরা ক্যাপিটালিস্টরা হিউম্যান ক্যাপিটালের ওপর জোর দিই। আর হ্যাঁ প্রতিযোগিতা তো অবশ্যই দরকার। ইন ফ্যাক্ট প্রতিযোগিতার ফলে ইন্ক্রিমেন্টাল আর ডিসরাপটিভ দুরকম ইনোভেশানই হয়, তাই সরকারের উচিত রেগুলেটরি রোলটা ভালোভাবে প্লে করে কম্পিটিশান এনকারেজ করা। কিছুদিন আগেই আমাদের কৃষি আর খাদ্য ব্যাবস্থায় সাপাই চেন নিয়ে কথা হচ্ছিল, এখানেও যদি সরকার কম্পিটিশান এনকারেজ করে, রিটেল সেক্টরের মতো প্রাইভেট প্লেয়াররা আসে, তাহলে কৃষির সাপ্লাই চেনেও ইনোভেশান হবে, বেটার হবে, শস্যের অপচয়ও কমবে।
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৯:৪৬710010
  • এইসব "উচিত " ফুচিত ইউতপিয়ান কথা । কোনো সরকার "উচিত " বলে কিছু করেনা । নিজেও একটা প্রতিযোগিতার অংশ হয়ে করে । প্রাইভেট যা খেলা করার তা মধ্য ও উচ্চবিত্ত লেভেলে করুক । সেখানেও সরকারী রেগুলেশন কঠিন করতে চেয়ে লাভ নেই । ওতে লাইসেন্স রাজ -ইন্সপেক্টর রাজ তৈরী হয় । করাপশন আরও বাড়ে । মধ্যবিত্তরা পড়াশোনা শিখেছে কাজেই তারা আতাক্যালার মত প্রডাক্ট এন্ড সার্ভিস কনসিউম না করে নিজেরাই খোঁজ রাখুক কোয়ালিটি সম্বন্ধে । নিজেদের ফীডব্যাক চ্যানেল নিজেরা বানিয়ে নিক । খেটে খাক । লিগাল কমপ্লেন হলে সরকার মাথা গলাবে । একগাদা রেগুলেশনের দরকার নেই ।

    সরকার ফোকাস করে খেলুক নিম্নবিত্ত সেশন এ । যারা ওষুধের নির্দেশ পড়তে পারেন না বা সোজা কথায় ফীডব্যাক এন্ড নলেজ সিস্টেম উন্নত নয় । এদের মধ্যে যারা আবার উন্নত হবে তারা চরম প্রতিযোগিতার মধ্যে এসে পড়বে । লোকে যাতে যেচে এই ইন্দুর দৌড়ের দায়ীত্ব নিজের উপর তুলে নেয় সেজন্যে স্টেটাস সিম্বল , ব্র্যান্ড নিয়ে ব্র্যগিং এগুলো ইনসেনটিভ এর কাজ করবে । এইগুলো না থাকলে আবার ফ্রি বেসিকস পাওয়া নিম্নবিত্তদের মধ্যে ওরকমই থেকে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে। সরকারের কাজ এই সাইক্ল টা চালিয়ে যাওয়া । ওপর থেকে টাকা নাও আর নীচে ঢালো । কিন্তু মাঝে নয় । ভুলেও নয় । ওরকম ক্যাপিটালিস্ট -সোশালিস্ট এর ব্যাপার না এটা । ইটস এন অব্সার্ভেশন থ্রুআউট হিস্ট্রি যে ফুল ইকয়াল দিস্ত্রিবিউশোন অর জিরো দিস্ত্রিবিউশোন দুটোই ভুল মডেল । সোশালিস্ট সোসাইটির মত একগাদা কুঁড়ে মধ্যবিত্ত বাড়িয়ে লাভ নেই আবার ক্যাপিটালিস্ট সোসাইটির মত নিম্নবিত্তকে নিজেদের নলেজ এন্ড ফীডব্যাক সিস্টেম তৈরী করে সাবলম্বী হওয়ার আগেই হাত ছেড়ে দিয়ে লাভ নেই ।

    চাপ দিতে হবে মাঝখানে । মধ্যবিত্ত কে ঘুমুতে দেওয়া যাবেনা ।
  • T | 24.100.134.227 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৯:৫১710011
  • @dc, কয়েকবার খোঁচা মারার পালটা হিসেবে বলে যাচ্ছি। দেখুন ভাই, প্রচুর স্টুডেন্ট আছে যারা অংকে ভালো হয়। কিন্তু প্রতিযোগীতা টা খুব বেশী এবং কর্মসংস্থান লিমিটেড বলে কেরিয়ার গোছাতে সবাই পারে না। স্রেফ এঞ্জিনিয়ারিংএই হায়ার স্টাডিজে একটা নির্দিষ্ট লেভেলের পর অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্স প্রায় সকলকেই শিখতে হয়। ওটা জানি বলে আলাদা কিছু বেনিফিট দেয় না। জনতা নিজেদের তাগিদেই শিখে নেয়। যারা অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করে অ্যাকাডেমিয়ায় যাচ্ছে তাদের কথা স্বাভাবিক ভাবেই বলছি না। তো, ম্যাথ আর স্ট্যাট শিখলাম আর চাকরী পেয়ে গেলাম এইটা ঐ 'মাইরী'র পর্যায়েই যায়, কেননা যাদের সাথে কম্পিট করছেন তারাও সেসব শিখে নিচ্ছে দ্রুত।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৯:৫৫710012
  • নানা উচিত মানে তো আমার ওপিনিয়ন, সরকার কি করবে বা অ্যাকচুয়ালি কি হচ্ছে তার সাথে সম্পর্ক নেই তো! উচিত মানে আমার মতে হওয়া উচিত। ইউটোপিয়ার প্রশ্নই নেই।

    আর রুলস আর রেগুলেশানসও একটা অপ্টিমাম লেভেলে হওয়া উচিত। একদম না থাকলেও হবেনা আর হাজারটা রেগুলেশান আনলেও হবে না। তবে এটা একটা ফ্লুইড প্রসেস, সরকার আর প্রাইভেট সেক্টার এটা নিয়ে কনস্ট্যান্ট বার্গেনিং করে চলে।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ২০:০২710013
  • T, আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম যে ম্যাথস আর স্ট্যাটস এর বেসিকটা ভালো হলে বেশ কিছু এরিয়ায় চাকরি করার বা কেরিয়ার তৈরির সুযোগ এসে যাবে। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে আমরা আরো বেশী করে ডেটা অ্যানালিসিসের দিকে ঝুঁকব, সেটা যে এরিয়াতেই হোক না কেন - আর্কিওলজি থেকে বায়োলজি থেকে কমিউনিকেশান থেকে মেটিরিয়াল সায়েন্স, যাই হোক না কেন। তাই ভবিষ্যতে, মানে এখন যারা ছোট আছে তারা যখন চাকরি করার স্টেজে পৌঁছবে তখন তাদের মধ্যে কেউ যদি অংকে ভালো হয় তো একটু অ্যাডভান্টেজ পাবে। অবশ্যই তখনও প্রতিযোগিতা তো থাকবেই। আমার পোস্টটা কিছুটা জেনারাল অবসার্ভেশান ছিল, খুব ওভার অ্যানালিসিস এর জন্য সেভাবে লিখিনি।

    আর কোনভাবে আঘাত করে থাকলে দুঃখিত। একটু খোঁচা দেবার লোভ সামলাতে পারিনি ঃ)
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ২০:০৭710016
  • অপটিমাম লেভেল ভাসা ভাসা কথা । বার্গেনিং ইত্যাদি সেখানেই সম্ভব যেখানে কম্সিউমারের পরপর নলেজ এন্ড ফিডব্যাক সিস্টেম আছে এবং তারা বাধ্য সেই সিস্টেম ইউস করতে। যদি বায়ার -সেলার কন্ত্র্যক্ত বলে যে চালে প্রতি কেজিতে তিনখানা কাঁকর থাকবে যেন তিনটেই থাকে । বেশি ও না কম ও না । এই কন্ট্রাক্ট ব্রেক হলে কনসিউমার কেস করবে তখন সরকার মাথা গলাক । কিন্তু রেগুলোতরী সিস্টেম মানে যদি এই দাঁড়ায় যে সরকার বলে দিল কোনো চলেই কোনো কাঁকর থাকবে না সেটা কমপ্লিটলি এন্টি মার্কেট । সরকারের কোনো অধিকার নেই এটা করার । মধ্যবিত্ত কে বিপদে ফেলে বাধ্য করা দরকার যাতে সে প্রতি পদে নিজদের নলেজ এন্ড ফিডব্যাক সিস্টেম টা প্রাইভেট মোড এ গড়ে তলে এবং পদে পদে সরকারী সিস্টেম নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করা বন্ধ করে। যেখানে বার্গেইন করার মত নলেজ নেই সেটা নিম্নবিত্ত সেক্টর । সেখানে সরকার কাজ করুক ।

    এভাবে চললে রাজনীতি ও বদলাবে । সরকারী সিস্টেমে গলতি থাকলে বিরোধিতার মাধ্যমে যে পলিটিক্স উঠে আসবে তারা নিম্নবিত্তদের কথা বলবে । এখন যেটা হচ্ছে সেটা হলো মধ্যবিত্ত দের কবলে রাজনীতি । যারা খালি "সবার জন্যে " অমুক তমুক এর দাবি করে আসল উদ্দেশ্য নিজেদের রিস্ক মিনিমায়স করা ।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ২০:০৭710014
  • আর তাছাড়া আমার পোস্টটা ইঞ্জিনিয়ারিংএর ইঁদুর দৌড় কিভাবে এড়ানো যায় সেই প্রসঙ্গে করেছিলাম। আমাদের দেশের অনকেরই এই ইঞ্জিনিয়ারিং অবসেশান আমার একেবারে বিচ্ছিরি লাগে আর আমার মনে হয় তার থেকে বরং সায়েন্স, আর্টস, সোশ্যাল সাবজেক্ট ইত্যাদি পড়া উচিত, তাহলে একটা পার্টিকুলার এরিয়ার ওপর এই ফোকাসটাও কমবে। কিন্তু এইসব অন্যান্য নানান এরিয়াতেও যারা অংকে ভালো হবে তাদের কিছুটা অ্যাডভান্টেজ থাকবে। আশা করি প্রেক্ষিতটা বোঝাতে পারলাম।
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ২০:১২710018
  • মানে , আমার এখন এটাই মডেল : ওপরে বাত , নীচে খাত , মাঝে টেনে লাথ :)
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ২০:১২710017
  • নানা অপ্টিমাম লেভেল কোন ভাসা ভাসা কথা না, কারন অনেক দেশেই রেগুলেটারি সিস্টেম কিছুটা অপ্টিমাম লেভেলের কাছে আছে। একেবারে পার্ফেক্ট অপ্টিমালিটি অবশ্যই নেই, কিন্তু কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা আছে। এই যেমন চালের উদাহরন দিলেন, হয়তো দেখা গেলো অপ্টিমাল লেভেল প্রতি কিলো চালে তিন থেকে পাঁচটা কাঁকর থাকবে, জিরোও না আবার দশটাও না। তো সরকার চেষ্টা করলো উইথ আ মার্জিন অফ এরর ঐ তিন থেকে পাঁচের মধ্যে রাখতে, যারা মার্জিন অফ এরর ক্রস করে গেল তাদের বিরুদ্ধে কিছু স্টেপস নিলো। এটা কোন ভাসা ভাসা কথা না, বেশ কিছু দেশে রেগুলেটারি অথরিটিরা এভাবেই ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কোয়ালিটি মেন্টেন করে।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ২০:১৯710019
  • আর বিভিন্ন সেফটি নেটও কিন্তু থাকতেই পারে, অন্তত মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত দের জন্য। তাতে রিসোর্সের অপ্টিমাল (বা অ্যাসিম্পটোটিক টু অপ্টিমাল) ইউস আটকাবে না, প্রাইভেট কম্পিটিশানও আটকাবে না। তবে সেফটি নেট থাকা মানে বসে বসে খাবে (যেটা রিপাবলিকানদের প্রধান ক্রিটিসিজম), সেটাও হবে না। সুইস রেফান্ডামতা দেখেছেন নিশ্চয়ই, বিনা পরিশ্রমে ইনকামের প্রস্তাবে ওদেশের লোক রাজি হয়নি। তাই সেফটি নেট আর কম্পিটিশান কোএক্সিস্ট করতেই পারে।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ২০:২০710020
  • *রেফারেন্ডাম
  • ঈশান | ০৬ জুন ২০১৬ ২৩:২৭710021
  • অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু তার জন্য আমার মূল্যবান মতামত থেমে থাকতে পারেনা। :-)

    পয়েন্ট হল, একক যেভাবে কইছেন, তার খানিক সইত্য। যেমন বাজারে বাংলা ভাষার ডিম্যান্ড তৈরি না হলে বাংলা পড়ার ভ্যালু বা স্টেটাস সিম্বল কিছুই তৈরি হবেনা। লোকে পড়বেও না। আর ডিম্যান্ড তৈরি হলে মাইনে ইত্যাদি বাড়বে, স্টেটাস তৈরি হবে, ইত্যাদি। ইঞ্জিনিয়ারিং নামক একটা সম্পূর্ণ যান্ত্রিক ডিসিপ্লিনের স্টেটাস এইভাবেই তৈরি হয়েছে। আগে ওতে ডিম্যান্ড ছিল, তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল বিলিতিয়ানা, এখন যোগ হয়েছে আমেরিকান চার বছরের ডিগ্রি কোর্সের মাহাত্ম্য। দলে-দলে 'ভালো' ছাত্ররা ওইদিকে দৌড়চ্ছে, ফলে চাকরির বাজারেও কৌলিন্য আছে। কৌলিন্যটা পাঠ্যবিষয়ের জন্য একেবারেই না।

    কিন্তু কথা হল, এটা কি শুধু মার্কেট মেকানিজম? পাই যেমন বলেছে, হাই-এন্ড রেস্টুর‌্যান্টের খদ্দের বাড়লেই কি আর রেস্তোরা কর্মচারীদের স্টেটাস বাড়ে? দলে-দলে মেধাবী ছেলেপুলে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়তে দৌড়য়? অত সোজা ইকুয়েশন না তো। মার্কেটের পিছনেও বৃহত্তর পলিটিক্স থাকে তো। যেমন, ধরা যাক, তামিল ভাষার ডিম্যান্ড আছে, তার একটা কারণ তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি শক্তিশালী। কিন্তু সেটা তো শুধু মার্কেট মেকানিজম দিয়ে হয়নি। তামিলরা অসম্ভব গোঁড়া, সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই 'প্রগতিশীল' অর্থে না, কিন্তু তার সাইড এফেক্ট হল তারা একরকম করে হিন্দিকে বর্জন করেছে, তামিল সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা বাংলার চেয়ে অনেক বেশি, এবং ফলশ্রুতিতে তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটা মার্কেট তৈরি হয়েছে। আবার বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে বা বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে কেসটা ঠিক উল্টো। বিশদ বলে লাভ নেই, কিন্তু বৃহত্তর রাজনীতি এই ক্ষেত্রেও আছে।

    এটা সব ব্যাপারেই আছে। যেমন, কী খাবো, সেটা একটা কালচার। ফরাসীদের মতো খাওয়া নিয়ে নাক-উঁচু হলে রেস্তোরা কর্মচারিদের স্টেটাস বাড়বে, মার্কেট ডিম্যান্ডও বাড়বে। আবার 'আমাদের ঐতিহ্য কী মহান' এইরকম একটা ধারণা জনমানসে তৈরি হলে মিউজিয়াম, ঐতিহাসিক স্থান (যেমন ধরা যাক মুর্শিদাবাদ), এ ভিড়ের চূড়ান্ত হবে। ইতিহাস পড়ার স্টেটাস বাড়বে, ডিম্যান্ড এবং চাকরিও।

    পয়েন্টটা হল, মার্কেট একটা ভালো টুল। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় কিছু না। ওকে পলিটিকালি হ্যান্ডল করা যায়, এবং করা উচিতও। আমরা (মানে জনতা বা সরকার), যদি একে ম্যানিপুলেট না করে, তো ম্যানিপুলেট করার জন্য আরও হাজারটা প্লেয়ার বসে আছে। তারা নিজেদের মতো করে ম্যানিপুলেট করবে, এবং আমরা বোকার মতো ভাববো, যে, মার্কেটের এরকমি গতি, কী আর করা যাবে।

    বটমলাইন হল, মার্কেট একটা টুল। যেকোনো টুলের মতই সেটাকে যথাযথভাবে হ্যান্ডল করার দরকার আছে।
  • anjan roy | 192.69.65.72 | ০৬ জুন ২০১৬ ২৩:৩৮710022
  • ঈশানের লাস্ট লাইনকে গৌরনিতাই ভঙ্গীতে সমর্থন। লাখ কথার এক কথা।
    আর ডিসির ওভার অল "ওয়েলফেয়ার" অ্যাপ্রোচ। এটা আমার অবসেশন।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০৭ জুন ২০১৬ ০২:১৪710023
  • ডেটিং থেকে শুরু করে বিয়ে টিয়ে সবকিছুর ভিডিও তুলে দেবে?
    কীভাবে তুলবে? আড়ালে আড়ালে স্পাইয়ের কায়দায়? কী সর্বনাশ! এ যে চিত্রগুপ্তের মতন কেস দাঁড়াবে।
    ঃ-)
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৭ জুন ২০১৬ ০২:১৮710024
  • ওয়েডিং ভিডিও ফিল্ম দেখেননি ? মানে ওই বিয়ের দিন ভিড ওয়ালা এসে একটা আখাম্বা সোডিয়াম লাগিয়ে যে জালি ছবি তোলে ওই জিনিস বলছিনা । পুরো ফিল্ম । সেখানে করে কিভাবে পরিচয় হলো তার অভিনয় , ডেটিং , ছোটখাটো ড্রামা সিকোয়েন্স তারপর একদম বিয়ে করে হনিমুন । পুরোটা নিয়ে একটা গোটা ফিল্ম তৈরী হয় । বিশাল ডিমান্ড আছে । রিয়ালিটি ফিল্ম এর বাজার এখন ।
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৭ জুন ২০১৬ ০২:২১710025
  • স্পাইক্যাম ব্যাপারটা উঠে যাবে ভবিষ্যতে । মানুষ নিজেই যেচে ক্যামেরার সামনে জীবনযাপন করবে । টপ সিলেব দের মধ্যে এটা আগেও ছিল এখন নীচের লেভেলে ও হচ্ছে ।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৭ জুন ২০১৬ ০২:৩২710027
  • ঈশানের সাথে একমত নই। মার্কেট যা চাইছে সেই অনুযায়ী কেরিয়ার আলাইন করতে হবে-এটা ন্যাচারাল ল-কিন্ত তার মানে মার্কেটে হেভি ডিমান্ড আছে-তাই সেই দিকেই যাওয়া যাক সব কিছু না ভেবে-এই ধারনায় চললে সম্পূর্ন বিপর্যয়।

    আমি একটা উদাহরন দিচ্ছি। আমেরিকাতে এখন প্রায় দেড় মিলিয়ান ছাত্রী নানান সুগার ড্যাডী অয়েবসাইটে মেম্বার হয়েছে, সুগার ড্যাডি বা বয়স্ক ধনী লোক খুঁজতে। এটা একধরনের গ্লোরিফায়েড বেশ্যাবৃত্তি। যেখানে একজন বয়স্ক ধনী ব্যক্তি মেয়েটার পড়াশোনার খরচ এবং অন্যান্য খরচ বহন করে-তার বদলে, মেয়েটা বা ছাত্রীটা ওই বুড়ার দেহের খিদে মেটাচ্ছে। বেশ্যা বা স্ত্রিপার দের থেকে আলাদা কারন, বাঁধাধরা খরিদ্দার। সপ্তাহে দুদিন বা তিনদিন শোয়ার কনট্রাক্ট। ওয়েব সাইটগুলোর পোষাকী নাম সিকিং এরেঞ্ঝমেন্ট।

    ফেমিনিস্টরা এটাতে তালি বাজাচ্ছে-ওমান এম্পাওয়ারমেন্ট। বামেরাও খুশী-কারন ওয়েলথ ড্রিস্ট্রিবিউশন -বড়লোক থেকে গরীব ছাত্রীর হাতে টাকা। ক্যাপিটালিস্টরা ও খুশী- যুবতীর দেহের থেকে দামী প্রোডাক্ট বাজারে আর কি আছে। সুতরাং তার পন্যায়ন হলে ক্ষতি কি?

    ওয়েল বিশাল ক্ষতি। এই যে মেয়েগুলো সুগারবেবী হচ্ছে-একেকজন টিউশন ফি প্লাস হাজার পাঁচেক করে মাসোহারা পায়। যখন এরা ব্যাচেলর শেষ করে চাকরি খুঁজবে-তখন সারাদিন খেটেও এর ১/৩ ভাগ রোজগার করবে না-যা মাত্র তিনদিন শুয়ে পাচ্ছে। ফলে রা জব মার্কেটে ঢুকবেই না। ওটাকেই পেশা করে নেবে। এদিকে মেয়েদের বয়স ত্রিশ পেরোলেই রেট কমবে-তখন আস্তে আস্তে অবসাদ আর ড্রাগের জগতে চলে যাবে।

    একই প্যারালেল আই টি শিল্পে দেখছি। আই টির লোকজন বোঝে না-ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্রেজটা ক্ষণজন্মা। একসময় সিভিল ছিল ৫০ বছর-মেকানিক্যাল ৩০, ইলেকট্রনিক্স ছিল ২০ বছর। এখন সফটয়ার চলছে ২৫-আরো দশ চলবে।

    ইঞ্জিনিয়রিং এর সমস্যা হচ্ছে আস্তে আস্তে সব কিছু স্টান্ডাডাইজ এবং তার থেকে অটোমেশন হয়। ফলে যত দিন যায়, তত রেডিমেড প্রোডাক্ট দিয়েই কাজ চলে যায়। চাকরির সুবিধা কমে। অনেকটা বেশ্যাদের মতন , অভিজ্ঞতা বাড়লে একটা লিমিট অব্ধি ভ্যালু বাড়ে-কিন্ত একটা বয়সের পরে মার্কেট ভ্যালু কমে।

    সুতরাং মার্কেট আছে-তাই সেই দিকেই ঝাঁপাবো-এটা শর্টসাইটেড হতে পারে। আমি আমার ছেলেকে বলেছি-কি সাবজেক্ট পড়ছ গুরুত্বপূর্ন না। জীবনে টিকে থাকতে গেলে তিনটে স্কিল টপমোস্ট রাখতে হবে- লেখা এবং বলা ( কমিউনিকেশন স্কিল), ম্যাথ এবং স্টাট, এনালাইটিক এবং লজিক্যাল স্কিল। এই তিনটে স্কিল থাকলে যেকোন জবে ভাল করবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন