এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিজ্ঞান এবং

    T
    অন্যান্য | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬৩২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • T | 165.69.191.249 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩১723080
  • শুনুন, লেখার শুরুতেই ‘বিজ্ঞান’ এর ডেফিনিশন হিসেবে স্যার কার্ল পপার ফলসিফায়েবল ইত্যাদি হ্যানা ত্যানা যা যা বলেচেন তাই ধরা হচ্ছে। হেউ।

    এখন হাজার হাজার বছর ধরে বিভিন্ন গাছপালার মধ্যে থেকে খাদ্যশস্য চিহ্নিত করা এবং আরো উন্নততর খাদ্যশস্য চিহ্নিত করা, ভ্যাজ নন-ভ্যাজ, একটি সিলেকশন বা পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণ-ফলাফল থেকে উদ্ভুত চয়েস বলেই মনে হয়। এখানে বিজ্ঞানের কোনো ভূমিকা নেই, কারণ বিজ্ঞানের নোশনটি মানুষ কোনোদিন জানতে না পারলেও এটা হ'ত। প্রাণের লক্ষণই হচ্ছে চয়েস বা সিলেকশন। এখন হাইন্ডসাইটে একে 'বৈজ্ঞানিক' তকমা দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেটি যথোপযুক্ত নয়। মারবেন না। একে বলা যেতে পারে র‍্যাশনালিটির বিবর্তন বা হাগা সম্পর্কে বিচক্ষণতা। খুব সম্ভবতঃ এটি বিবর্তনবাদের সাথে খাপ খায়। 'র‍্যাশানালিটি’ কথাটা সচেতন ভাবেই উল্লেখ করছি কারণ এর বুলিয়েন প্রেডিকেট নিয়ে এখন মাথা না ঘামালেও চলবে।

    এইবার গ্রন্থিত বা ঐতিহাসিক ভাবে যেহেতু ধর্মের উদ্ভব আগে তো কিছু কথা বলা যেতে পারে। এই 'আগে' ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ, কেন সেটা পরে বলছি। ধর্মের রমরমার যুগে ভাবাই যেতে পারে যে ক্যাকটাসের করেস্পন্ডিং দেবতা হচ্ছেন প্রচন্ড রাগী, উনি ওঁকে খাওয়া পছন্দ করেন না :) আর বরুণ দেবতার সন্তুষ্টি মানে ভালো বৃষ্টি ও ধানের উত্তম ফলন। ন্যাচারেলি সমৃদ্ধি। এই অ্যাসোসিয়েশন একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপারের জন্ম দিচ্ছে। কিন্তু সেটা এবং ধর্মের আগে চলে আসা দুটোকে একসাথে ধরতে একটা চরম ব্যাপারের দিকে মুখ ফেরাতেই হবে।

    ফলসিফায়েবিলিটির নির্মাণ যখন হচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে একটি আর্গুমেন্ট যদি মোর ফলসিফায়েবল হয় তবে সেটি মোর সিমপ্লিস্টিক। ‘মোর’ বা ‘লেস’ এই শব্দগুলো আসছে কারণ এই আর্গুমেন্টকে অবশ্যই একটা বন্ধনীতে অন্য আর্গুমেন্ট ভাইবোনেদের সাথে থাকতে হবে। স্রেফ একটি নির্মিতির ফলাফল হচ্ছে পাগলাগারদ যেজন্য কোথাও রেনেসাঁ মানে হুড়মুড়িয়ে গুচ্ছ লোকের উঠে আসা হয়ে দাঁড়ায়। এই লাস্ট লাইনটা একটা স্বাভাবিক কল্পনাবিলাসী বক্তব্য যেটিকে গুরুত্ব না দিলেও হবে। বেসিক্যালি একটি ফিলার কিন্তু মনে ধরলে ভালো।

    সুতরাং অন্যান্য আর্গুমেন্টের রেস্পেক্টে একটি আর্গুমেন্ট স্পেসিফিক ভাবেই মোর বা লেস ফলসিফায়েবল। যেমন টলেমির থিয়োরী মোর সিমপ্লিস্টিক দ্যান কোপারনিকাস। দুটি ক্ষেত্রেই কিন্তু ‘প্রমাণ’ বা পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণ-ফলাফল জাতীয় প্রচলিত ডিসকোর্স যা হাজার হাজার বছর ধরে হাগার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, তা রয়েছে। কিন্তু একটাকে আরেকটার চেয়ে বেশি সহজে ভুল প্রমাণ করা যায়। এই হচ্ছে গিয়ে ব্যাপার। প্রমাণ ব্যাপারটা তো আর গুয়ানো নয়।

    এইখানে বলে রাখা ভালো যে পপারের নির্দেশিত পথই ক্যানো ধরতে হবে, তার স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে বলা যেতে পারে যে উল্লিখিত বক্তব্যের ম্যাথমেটিক্যাল প্রুফ সম্পূর্ণ ভাবে অ্যাবস্ট্র্যাক্ট ওয়েতে দেওয়া যেতে পারে। যেহেতু অ্যাবস্ট্র্যাক্ট তাই ‘এক্স’ মানে কোনো চলরাশি না ধরে ভগবানকেও ধরা যায়। এটা নিছকই ঠাট্টা কিন্তু বক্তব্য ওইরকমই। বিজ্ঞান ও ধর্ম (দুটোই দর্শন হিসেবে), দুজনকেই এই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে খেলতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তারপর দেখা যাবে। কিন্তু ক্যানো অ্যাবস্ট্র্যাক্ট ম্যাথ বা অমুক তমুক তা নিয়ে চেঁচামেচি করলে আর কোত্থাও যাওয়া যাবে না বস, কারণ তা হ’লে কোনো কিছুরই কোনো মীমাংসা সম্ভব নয়। এইভাবে নেতি নেতি করেই একদিন এ পথ পেরিয়ে যাব ইত্যাদি অ্যাসিম্পটোটিক কথা বার্তা বলে লাভ নেই।

    তো যেটা বলতে চাইছি সেটা হ’ল সিমপ্লিস্টিক এক্সপ্ল্যানেশনের একটা ভূমিকা আছে। এবং এটার সাথে আরো একটা ব্যাপার জড়িত। ঐতিহাসিক ভাবেই বাঁচার তাগিদে মানুষ প্রাথমিক ভাবে স্বার্থপর। এ আমরা অলরেডী জানি। সেরা গুহাটা আগে দখল করতে হবে না হ’লে কিরম ঠান্ডা পড়তে চলেছে রে বাবা কে জানে, যদি ঠান্ডায় মারা যাই! সুতরাং অন্যের চয়েস বা ডিসিশনের উপর নির্ভরশীল না থেকে শুধুমাত্র এনভায়রনমেন্টকে কাউন্টার করাটা প্রাথমিক লক্ষ্য। যখন রিসোর্স প্রচুর তখন কোনো অসুবিধে নেই, কিন্তু কনসাম্পশন বাবদ অপ্রতুল হয়ে পড়লে নতুন একটা ব্যাপার চলে আসে। তখন এস্টাবলিশ হয় হায়ারার্কি। গোষ্টীপতি আসছে। একসাথে দল বেঁধে ম্যামথ শিকারে যাচ্ছে। এবং এইটা দরকারী জিনিস। উনিশশো বাহাত্তর সালে প্রফেসর হো দেখাচ্ছেন যে অপ্টিমাইজড রিসোর্স ইউটিলাইজেশনের জন্য হায়ারার্কি এস্টাবলিশমেন্ট একটা সবচেয়ে সহজ উপায়। অন্যতম উপায়ও রয়েচে কারণ সোশালিজ্যমের আঁকও কষে দেখিয়ে দেওয়া যাবে। সে যাক গে, তো, মনে হয়, হাজার হাজার বছর আগে এই একই অভিজ্ঞতা খুব সম্ভবতঃ প্রাথমিক মানুষেরা এম্পিরিক্যালি রিয়েলাইজ করেছিল। সুতরাং হায়ারার্কির আবশ্যিক উদ্ভব। যুদ্ধ এবং যুদ্ধজয়।

    এইবারে মজাটা আসছে। কারণ এই পদ্ধতি নির্দিষ্ট হলে রাজা তার অধস্তন কে নির্দেশ দেবেন। সে আবার কোটাল পুত্রকে নির্দেশ দেবে, এবং এইভাবে চলতে থাকবে। কিন্তু রাজাকে নির্দেশটা দেবে কে? তৈরী হ’ল সুরক্ষিত একটি সম্প্রদায়। পুরোহিত। তাকে এইবার মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন কাজটা করতে হবে। প্রেডিকশন।

    কিন্তু সে ঢাল তলোয়ার হীন নিধিরাম সর্দার। আতস কাচ অবধি আবিষ্কার করে উঠতে পারে নি। সে তখন তৈরী করতে লাগল বিবিধ রিলেশনশিপ। এবং ভেবে দেখল একটি ন্যুনতম অ্যাক্সিওম ছাড়া এই রিলেশনশিপ গুলো একে অপরকে পুষ্ট করে না। এই অ্যাক্সিওমটিই হলেন দেবতা বা ঈশ্বর। এক বা বহু দেবতা, টোটেম। একটি কালেকশন অব আর্গুমেন্ট যা কিনা খুব সহজে ফলসিফায়েবল অতএব সিমপ্লিস্টিক, কিন্তু প্রমাণটা করবে কে, রাজা তো ক্ষমতা পেয়েই খুশি। লক্ষ্য করুন, বিজ্ঞান এবং ধর্মের উৎপত্তি কিন্তু একই ভাবে হচ্ছে।

    এই সবই সবাই জানে, কিন্তু খুব সহজে ফলসিফায়েবল ক্যানো। কারণ পরীক্ষা করলেই ধরা পড়ে যায় যে, প্রতিবার যজ্ঞ করলেই বৃষ্টি হয় না। এই আর্গুমেন্টগণ নিজেরা নিজেদের সাথে কনসিস্টেন্ট না। ঈশ্বরকরুণাময় ধরলে ক্যানো আলাদা করে ইন্দ্রকে তোল্লাই দিতে হচ্ছে। দেবতারা নিজেদের মধ্যে কানেক্টেড, অথচ ক্যানো একজনকে মেসেজটা পাঠালে তিনি অন্যজনকে দিয়ে দিচ্ছেন না। এইসব হাবিজাবি। অতএব আরো প্যারামিটার যোগ করতে হবে বা নিয়ে আসতে হবে ‘লীলা’র মিথ। একটা রহস্যময়তা আনতে হবে। এদেরকে ঠিক মানুষের মতো বিহেভিয়ারাল হলে চলবে না। কিছু সিমিলারিটির সাথে কিছু ডিসসিমিলারিটি আনতে হবে। সুতরাং দৌড়ে কিছু মানুষ সোজা হিমালয়ে চলে গেল। বোঝো! পা অবধি দাড়ি, শীর্ণকায় হাতে কমন্ডুলু বা মুখে কিম্ভুত কিমাকার দাগ, মুখোশ, নাচন কোঁদন, ডেলফি পাহাড় ইত্যাদি নানা রকম অস্বাভাবিকতা। যেটা মানুষকে ভিশ্যুয়াল কিছু ক্লু দিয়ে এনগেজ করে রাখবে একচুয়াল প্রশ্ন করা থেকে। মনে হয় এইভাবেই ধর্মীয় এস্টাবলিশমেন্ট এবং একটি সিমপ্লিস্টিক আর্গুমেন্টের উৎপত্তি এবং তার লেগ্যাসি তৈরী। এইসবই গোদা করে বলা হচ্ছে কারণ এসব ধৈর্য্য ধরে খুঁটিনাটি পাতার পর পাতা লেখা সম্ভব না। তার জন্য একক, বেঞ্চিত হনুদা এট এল দরকার। মনে রাখবেন এগুলোর প্রয়োজনীয়তাকে কিন্তু চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে না, বা সেই সম্পর্কে মতামতও দেওয়া হচ্ছে না।

    তাহলে ‘আগে’ ব্যাপারটাতে ফিরে আসা যাক। আর্গুমেন্ট ভাইবোনেদের সুনির্দিষ্ট শৃঙ্খলে (কারণ ম্যাথমেটিক্যাল ‘চেইন’ ব্যাপার আর কিভাবে লিকব ) ধর্মীয় বাকতাল্লা প্রথমে আসবেই। কারণ অন্যান্য দের সাথে রিলেশনে এটি সবচেয়ে সহজ এবং ফলসিফায়েবল। এরপর একে একে মোর কমপ্লেক্স থিয়োরীরা জুড়ে আছে। কিন্তু ঠিক কোনখান থেকে সেগ্রিগ্রেট করে আর্গুমেন্টদের বিজ্ঞান বলতে শুরু করবেন সেটা যে যার নিজেদের ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে তারা যে শৃঙ্খলে বাঁধা পড়তে থাকবে না তা নয়। এই প্রসেসটা চলবেই। খুব সহজ তত্ত্ব থেকে খুব জটিল এই জার্নি থাকবেই, কারণ হিউম্যান ব্রেইন এবং তার চয়েস। এখনো অবধি ইতিহাস বা সময়ের প্রবহমানতার সাথে এই তত্ত্ব সারণি খাপ খায়, ফলে হয়তো ভবিষ্যতে আরো জটিল তত্ত্ব এবং সেই সংক্রান্ত বিশেষ জ্ঞান নির্মান চলবেই।

    কিন্তু আমি এইবার রিয়েলাইজ করলাম যে আমি নতুন কিছু লিখতে পারলাম না। এগুলো সবাই জানে, এ জাস্ট ইনিশিয়ালাইজেশন হ'ল বোধহয়। সুতরাং এবার আমি সায়েন্স ফিকশনের স্রোতে লাগামছাড়া হয়ে বেঞ্চে বসে শীর্ষেন্দু পড়তে আরম্ভ করলাম, হনুদা অমনি কটমট চোখে তাকাতে আরম্ভ করল। আর দূরে কোথাও একটা ছায়া সুনিবিড় তরুতলে ক্যামন যেন ভূমিকম্প হয়ে গ্যালো, তাতে মনে হ’ল একক বোধহয় পাশ ফিরে শুয়েচে। এই ‘ব’ কোথায় গেলে মাইরি!
  • T | 165.69.191.249 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩৮723191
  • আর বানানভুল গুলো মাফ করবেন।
  • cm | 127.247.99.240 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩৯723302
  • বা ঘুরিয়ে বললে কম্পিউটেশনাল লিমিটেশনের জন্য ভগবানের জন্ম/প্রাসঙ্গিকতা।
  • সিকি | 165.136.80.163 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৪২723318
  • অসাম শালা!

    টি দিল্লি এলে জানাস, তোকে একটা চুমু খাবো।

    টাকে।
  • de | 24.139.119.174 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫৫723329
  • যদি টাক না থাকে?

    ফলসিফায়াবিলিটি আর সিম্প্লিসিটির রিলেশন কি সত্যিই এতো সিম্পল? যতো বেশি ফলসিফায়েড ততো বেশী সিম্পল, এটা সব ক্ষেত্রে খাটবে না। সহজিয়া, সুফি দর্শন এইগুলোতে এই থিওরি খাটবে?

    লেখাটা কিন্তু জব্বর হয়েচে -
  • Ekak | 53.224.129.46 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:১৩723340
  • টি

    লিখচ যকন কয়েক জায়গায় আরেট্টু ব্যাখ্যা করো । যেমন কিনা লীলা কেন দরকার হয় এই জায়গাটা ব্যাখ্যার দাবি রাখে । বরং একটা ভগবান মডেল টা সিমুলেট করা দিয়েই শুরু হোক । এইখানে , এযাবৎ "যুক্তিবাদীরা" মহা ফাঁকি দিয়েছেন । মানুষের শরীর ভর্তি মাথাভর্তি প্রচুর প্রচুর ভয় তাই তারা আগুন থেকে জল সবাইকে পুজো করতে লাগলো, এটা শুধু অতিসরলীকরণ নয় বিপজ্জনক ।

    বরং এখানে হাতেকলমে গোটাকয় ভগবান তৈরী করা যাক । তার থেকে প্রোটোসায়েন্স এর উৎপত্তি ক্লিয়ার হবে । তারপর কীভাবে একাধিক ভগবান থেকে এক ভগবানে এলো , যেটা কিনা একচুয়ালি একটা রাজনীতি ( এখানে রাজনীতি টাকেও রিসোর্স অপ্টিমাইজেশনের টুল হিসেবেই ধরছি ), সেটাও চলে আসবে । আলোচনা মিটে গেলে ভগবান গুলোকে ডিসপোস করে দিলেই হলো ।
  • sinfaut | 11.39.87.173 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:১৭723351
  • গণেশ বিসর্জনের দিন বৃষ্টি হয়। এটা আমার 'থিওরি'। গত ১০০ বছরের ডেটা নিয়ে ধরা যাক ৭০% সঠিক প্রমাণিত এই থিওরি। এই থিওরি কি পপার দিয়ে সায়েন্টিফিক বা অসায়েন্টিফিক প্রমাণ করা সম্ভব না অকাম এর খুর লাগবে?
  • de | 24.139.119.174 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:২৭723362
  • আজ সকালেই সব মারাঠী কলিগরা এইটে বলছিলেন -

    অনন্ত চতুর্দশী আর জন্মাষ্টমী এই দুটো দিনে বৃষ্টি নাকি হবেই - ১০০% সাকসেসফুল প্রেডিকশন। এখন শ্রাবণ-ভাদ্রে মহারাষ্ট্রে তো একদিনও বৃষ্টি ছাড়া যায় না - সেটা আর কে বলে!
  • sinfaut | 11.39.87.173 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩৮723373
  • না দে। গত দু সপ্তাহে পুণে তে একদিনও বৃষ্টি হয়নি। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি। আমার থিওরি ঠিক।
  • T | 165.69.191.249 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৫723081
  • সিঁফো :)
    'গণেশ বিসর্জনের দিন বৃষ্টি হয়' এই তুমি 'বাংলাভাষা উচ্চারিত হলে' তাস বার কচ্চ। এমন হলে তো চলবে না :)। 'হয়' মানে কি? এর মধ্যে তো খানিক অবজার্ভেশনও চলে এলো। এখানে থিয়োরীটা হবে আইদার এই অমুক দিন বৃষ্টি হবে বা হবে না। অথবা গণেশ ঠাকুর কোথাও যাওয়ার সময় বৃষ্টি ভালবাসেন তাই বিসর্জনের দিন বৃষ্টি হবে। এইরকম কিছু।

    এইবার যদি না হয়, তো গেলে। থিয়োরী দাঁড়াল না। পপার হা হা করে হাসছে। এইবার যদি বলো সেভেন্টি পার্সেন্ট চান্স যে অমুক দিন বৃষ্টি হবে (সে তোমার হিডেন ইন্টেনশন বুঝিচি, স্ট্যাটিশটিশিয়ান দের ডেকে এনে বিজ্ঞান শিবিরে নিজেদের মধ্যে অন্তর্কলহ বাঁধানোর চেষ্টা :), সাধু সাবধান ভাইসকল)। তো যদি না হয় তাহলেও তোমার থিয়োরী খাড়া থাকে। কিন্তু আরেকজন যদি টেম্পারেচার প্রেশার কিউমুলোনিম্বাসের ছবি তুলে ফুলে ক্লাসিফিকেশন করে মিলিয়ে দেয় তো গেলে (যা ত্তারা এখুনি বিপ ছুটে আসবে)। পপার সেক্ষেত্রেও হা হা করে হাসল। আর যদি কিছুতেই কিছু না হয়, তো তাহলেও পপারের কিচ্ছু যায় আসছে না, উনি ওয়েট করছেন। এইবার যেই তুমি বললে, সত্তর শতাংশ চান্স বৃষ্টি হবে, সেজন্য মরুভুমির মধ্যে গণেশ মন্দির স্থাপন করে গেটের কাছে কালো বেড়াল বাঁধতে হবে, তো তখন উনি আবার খেলতে নামবেন।

    এইভাবে চালাতে থাকলে, দেখা যাবে একসময় ধরা খেয়েচ। কিন্তু ততদিনে তুমি নতুন করে বুড়ো আংলা বানিয়ে ফেলেছ, তো তেমন হলে সেটা তার নিজস্ব ভ্যালুতেই টিকে যেতে পারে।

    একক, হ্যাঁ এইটা ভালো প্রস্তাব।

    দে দি, পপারের থিয়োরীর কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু সেগুলোর ফাঁক গলে ধর্ম বেরিয়ে যেতে পারবে তা কিন্তু নয়। একসময় কিছু পড়েছিলাম। দাঁড়াও সময় করে লিখব।
  • dc | 181.76.145.192 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৬723092
  • এটা কিন্তু থিওরি না, অবসার্ভেসান। থিওরি পরে আসবে। ধরুন প্রথমে কোরিলেশান এস্তব্লিশ করলেন, তারপর কনফাউন্ডিং ভেরিয়েবল নেই, সেটা দেখালেন। এবার আপনি কোরিলেশান থেকে একধাপ এগিয়ে কজালিটি এস্টাব্লিশ করতে চাইবেন, অর্থাত হাইপোথিসিস। তখন আমি এসে অকামদাদুর খুরটা চালিয়ে দেখব।
  • dc | 181.76.145.192 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৮723103
  • হুঁ পপার যে ভীসন রিচ, তা নয়।
  • dc | 181.76.145.192 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫০723114
  • *খুরটা চালিয়ে দেব
  • সিকি | 165.136.80.163 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৬723125
  • হোক। মন দিয়ে পড়ছি।

    আজ আবার বেস্পতিবার। ভ্যাজ খেতে হবে গিয়ে। ধুর!
  • sm | 53.251.91.140 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৯723136
  • এইবারে মজাটা আসছে। কারণ এই পদ্ধতি নির্দিষ্ট হলে রাজা তার অধস্তন কে নির্দেশ দেবেন। সে আবার কোটাল পুত্রকে নির্দেশ দেবে, এবং এইভাবে চলতে থাকবে। কিন্তু রাজাকে নির্দেশটা দেবে কে? তৈরী হ’ল সুরক্ষিত একটি সম্প্রদায়। পুরোহিত। তাকে এইবার মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন কাজটা করতে হবে। প্রেডিকশন।

    কিন্তু সে ঢাল তলোয়ার হীন নিধিরাম সর্দার। আতস কাচ অবধি আবিষ্কার করে উঠতে পারে নি। সে তখন তৈরী করতে লাগল বিবিধ রিলেশনশিপ। এবং ভেবে দেখল একটি ন্যুনতম অ্যাক্সিওম ছাড়া এই রিলেশনশিপ গুলো একে অপরকে পুষ্ট করে না। এই অ্যাক্সিওমটিই হলেন দেবতা বা ঈশ্বর।
    ----
    তার মানে কি ধরে নিতে হবে,এই পুরোহিত শ্রেণীই ঈশ্বর সৃষ্টি করলো? এটা কোত্থেকে জানা গেলো? নাকি শুধুই অনুমান?
    ----
    এই সবই সবাই জানে, কিন্তু খুব সহজে ফলসিফায়েবল ক্যানো। কারণ পরীক্ষা করলেই ধরা পড়ে যায় যে, প্রতিবার যজ্ঞ করলেই বৃষ্টি হয় না। এই আর্গুমেন্টগণ নিজেরা নিজেদের সাথে কনসিস্টেন্ট না।
    ----
    একজনের ধরা যাক টিবি হয়েছে। টিবির ওষুধ দিলেই সারবে? অনেক সময় ই নয়।এমনকি সেনসিটিভিটি টেস্ট করে ঔষধ দিলেও না কাজ করতে পারে?
    এখানে কি কি ফলসিফায়েবল যুক্তি খাটবে?
    যদি টিবির জায়গায় ডিমেনশিয়ার মেডিসিন নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়; তাহলে ফলসিফাইয়াবিলিটি আরো বাড়বে।
    তখন কি করণীয়?
    ---
    এইসব হাবিজাবি। অতএব আরো প্যারামিটার যোগ করতে হবে বা নিয়ে আসতে হবে ‘লীলা’র মিথ। একটা রহস্যময়তা আনতে হবে।
    ---
    তাহলে ধরেই নেওয়া হচ্ছে লীলার মিথ হাবিজাবি? আগে থাকতেই যদি হাবিজাবি ধরে নেওয়া হয় তাহলে তো কোনো বিতর্কের ব্যাপারটাই থাকে না। এটা তো ধর্ম ও ঈশ্বরের বিশ্বাস এর চাইতেও বেশি রিজিড !
  • sinfaut | 11.39.87.173 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:০২723147
  • আমার দাবী এইমত। থিওরি দাবী করছে গবির দিন বৃষ্টি হবেই। মানে ঐ ৩০% এরর ধরে টরে। আচ্ছা ধরুন বললাম বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা ৭০%। মানুষ এখনও কিউমুলো সাদামুলো টেম্পারেচর হাওয়ার গতিবেগ মৌসুমি কিছুর সাথেই কিছুর সম্পর্ক বের করেনি। এমতাবস্থায় শুধু ফলসিফায়েবিলিটি দিয়ে ঐ থিওরিকে রিফিউট করা সম্ভব? তাহলে এমন কী কেসটা যে যদ্দিন আননেসেসারি কনজেক্চারগুলোকে বাদ্দিতে না পারছি তদ্দিন এমন থিওরিও বৈজ্ঞানিক বলে চালানো যেতে পারে?
  • de | 24.139.119.174 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:০৬723158
  • এই ফলসিফায়েবিলিটি প্রোপোর্শনাল টু সিম্প্লিসিটি অর রিভার্স বরম সায়েন্সে খাটবে, যেখেনে অ্যাজাম্প্শান করে করে ধাপে ধাপে কমপ্লেক্ষিটি রিমুভ করে থিওরি খাড়ায় -

    কিন্তু ধম্মে আটকে যাচ্চে -

    লেখো - সময় করে লেখো -

    বিদর্ভে বৃষ্টি হচ্চে কিনা একটা খোঁজ পেলে তবে বুইতাম থিওরির জোর। মুম্বইতে পুরো মাস ধরেই রোজ রোজ বৃষ্টি!
  • PT | 213.110.242.23 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:০৭723169
  • "এইবার যেই তুমি বললে, সত্তর শতাংশ চান্স বৃষ্টি হবে, সেজন্য মরুভুমির মধ্যে গণেশ মন্দির স্থাপন করে গেটের কাছে কালো বেড়াল বাঁধতে হবে, তো তখন উনি আবার খেলতে নামবেন।"

    এইটে দারুণ হয়েছে!!!!
  • d | 144.159.168.72 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:১৫723180
  • আমি বলি গবির দিন বিষ্টি হবে কারণ মহারাষ্ট্রে যা জলের্ত অভাব, গনেশগুলো তো দোবাতে হবে!
    (ইগনোর ইগনোর)
  • de | 24.139.119.174 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:১৯723192
  • বম্বেতে জিলিপি আর নমকিন দিয়ে কয়েক জায়গায় গণেশ বানিয়েছিলো - এরমই ভালো, বিসর্জনের আরতির পর চায়ের সাথে খেয়ে ফেল্লেই হয়-
  • T | 165.69.191.249 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:২০723203
  • সিঁফো, সমস্যাটা বুঝেছি। একটু ধরেই লিখি।

    দ্যাখো, পপারের সময়কার ভিয়েনা সার্কেলের জনতাদের মধ্যে দুরকম মতামত ছিল। একদল মনে করতেন একটা থিয়োরীকে ভেরিফাই করা সম্ভব। কিন্তু পপার মনে করতেন একটা থিয়োরীকে কেবলমাত্র 'ফলসিফাই' করা সম্ভব। ফলে এখানে দুটো জিনিস আসছে, এক ভেরিফিকেশন, দুই ফলসিফিকেশন। এই দুটো কনসেপ্ট বুঝতে হবে। সেজন্য উদাহরণ দরকার।

    পপার সেসময় প্রচন্ড প্রভাবিত হয়েছিলেন আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের প্রমাণ নিয়ে। বহুদূর থেকে আসা একটা আলো বাঁক নিচ্ছে, এবং শুধু তাই নয় একেবারে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুযায়ী প্রেডিকশন মিলিয়ে এইটা ওঁকে ভাবিয়েছিল। যদি আলোর বাঁক না ঘটত তাহলে (ধরে নিচ্ছি এডিংটন নিরপেক্ষ থাকতেন) আইনস্টাইনকে থিয়োরী ছুঁড়ে ফেলতে হত, কিন্তু আঁক অনুযায়ী মিললেও আপেক্ষিকতা কে তুমি কিন্তু 'ঠিক' বলতে পারবে না। কারণ আলো যে অন্য কোনো কারণে বাঁকে নি, তার প্রমাণ হয় নি। তো থিয়োরীর ভেরিফিকেশন সম্ভব নয়, একমাত্র ফলসিফিকেশন সম্ভব। এই অ্যাসিমেট্রিক ট্রিটমেন্ট ভিয়েনা স্কুলের অন্য জনতা কিন্তু পছন্দ করে নি।

    তো যেকোনো থিয়োরীর স্বপক্ষে হাজার হাজার প্রমাণ থাকলেও তাকে ভেরিফায়েড বলা যায় না। তাকে বরং একটা উলটো আউটকাম দেখিয়ে ফলসিফাই করা যায়। একই ভৌত ঘটনার অনেক রকম নন-ফলসিফায়েড (এটা কি ঠিক ইংরেজি, কে জানে) থিয়োরীর মধ্যে থেকে একটাকে বেছে নিতে হ'লে ওকামস রেজর ইত্যাদি আসবে। সে অন্য কথা।

    সেজন্য দেখো আমি লিখেছি, পপার 'খুঁতখুঁতে'। তুমি যদি কনজেকচারের স্বপক্ষে প্রমাণ দাও, উনি স্থবির থাকবেন, কিন্তু কোনো উদাহরণ যাতে কনজেকচার রেফিউট হয় তাহলেই উনি মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবেন।

    আশা করি বোঝাতে পারলাম।
  • T | 165.69.191.249 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৩৫723214
  • এই বৃষ্টির প্রশ্নটা তুলে ভালো করেছ সিঁফো। আরেকটু লিখি। এইটা পপারের ফলসিফিকেশন থিয়োরীর সমস্যা সংক্রান্ত।

    প্রথমে একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। একটা ঘরে ধরো চারজন দাঁড়িয়ে আছে। চার সংখ্যাটা ইম্পর্ট্যান্ট। তারা মহিলা বা পুরুষ, যা খুশি হতে পারে। এইবার প্রত্যেকের তিনটে করে ডেটা অ্যাভেলেবল। তারা শীর্ষেন্দুকে কতটা হ্যাটা করে (পার্সেন্টেজে :) ), তাদের নাক কতটা কট কট করে, আর কোমরের মাপ কিরূপ। যেহেতু তিনটে প্যারামিটার, অতএব এই তিনটেকে একটা থ্রী ডায়মেনশনাল স্পেসে রাখা যাবে। একটা অ্যাক্সিসে শীর্ষেন্দু কতটা বাজে, আরেট্টায় কান কটকট...ইত্যাদি। চারজনের এই তিনটি করে ডেটা নিয়ে চারটি সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট ঐ থ্রীডি স্পেসে রয়েচে। আলোচনার সুবিধার্থে ধরে নেওয়া হ'ল এই চারটি পয়েন্ট একই প্লেনে নেই।

    এইবার মার্কেটে থিয়োরী আসতে শুরু করল। থিয়োরী মানে এখানে লিনিয়ার হাইপোথিসিস। হনুদা এলেন, ওঁর নির্দিষ্ট থিয়োরী নিয়ে। এসেই বললেন আচ্ছা, আমি জানি, ঐ তিনটে ভ্যালু এইরম এইরম হলে সেটা ছেলে অথবা মেয়ে। এই বলে বেঞ্চে চলে গেলেন। দ দি এলেন আরেকটা থিয়োরী নিয়ে। তুমি এলে, আমি এলাম, একক তো আগেই ছিল। ডিসি লাজুক মুখে ঘুরছিলেন, উনিও ওঁর ফিউচারিস্টিক থিয়োরী নিয়ে ঢুকলেন। রোবু গান্ধী ইত্যাদি ইয়ংরা ঝাঁপিয়ে পড়ে স্ব স্ব ফুটবল থিয়োরী মারফত বলে দিল অ্যাই অ্যাই এরা এরা মেয়ে। অর্পণদা বিলেতে তাই জানা যাচ্ছে না কিন্তু পাইদি সতর্ক চোখে, দাঁড়াও, এও হতে পারে, ওও হতে পারে বলাতে শুনল লোকে সেন্ট্রিস্ট বলে গাল পাড়ছে ফলে দ্রুত থিয়োরী নামাল। সিকি তো ছিলই, জাস্ট চুমু খেয়ে বলে দিল, কারা ছেলে আর কারা মেয়ে। শুধু অভ্যুদা আর দে দি দূরে দাঁড়িয়ে ব্যাপারটা দেখছিল।

    মজা হচ্ছে, প্রত্যেকেই কিন্তু সঠিক। অর্থাৎ নম্বর চার, এবং ডায়মেনশন তিন হলে যে কোনো লিনিয়ার হাইপোথিসিস ছেলে মেয়ে পৃথক করতে পারবে। ইনফাইনাইট লিনিয়ার হাইপোথিসিস সম্ভব। সব্বার থিয়োরী ঠিক, সায়েন্সের হদ্দমুদ্দ। খেলতে নামলেন ডিডিদা।

    সটান পপারকে ডেকে বলে দিলেন, চার, তিন এবং লিনিয়ার হাইপোথিসিস হলে তোমার ফলসিফিকেশনের পরোয়াই করি না। কেউ কোনো দিন কাটতে পারবে না। দেকচ তো, এবার যাও। পপার কি আর করবেন, সটান ব্রতীন্দার সাথে ব্যাটেবলে করতে চলে গেল। পরের ঘটনা আমরা আর জানি না।

    গল্পটা এইখানেই। পরের দিকে ভেরিফিকেশন থিয়োরীর লোকজন এই লজিকে পপারকে কাটিয়ে দেন। প্রবাবিলিস্টিক ফ্রেমওয়ার্কে থিয়োরীর ভেরিফিকেশন চান। এইখানে ইন্টারেস্টিং লিঙ্ক পাবে প্রি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জার্মান মেকানাইজড গা জোয়ারি এবং দেখে নেব গোছের হাবভাবের সঙ্গে ভিয়েনা সার্কেলের ভেরিফায়েবল থিয়োরীর মানসিকতার।
  • কেসিপাল | 99.163.237.45 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৩৮723225
  • গ্যালিলিওর থিওরি শুধু ফলসিফায়েবল নয়, ফলসিফায়েড - এ তো আমি কবে দেখিয়ে দিয়েছি । পারলে আমারটা ফলসিফাই করে দেখান ।
  • সিকি | 165.136.80.163 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৪৩723236
  • "একজনের ধরা যাক টিবি হয়েছে। টিবির ওষুধ দিলেই সারবে? অনেক সময় ই নয়।এমনকি সেনসিটিভিটি টেস্ট করে ঔষধ দিলেও না কাজ করতে পারে?
    এখানে কি কি ফলসিফায়েবল যুক্তি খাটবে?
    যদি টিবির জায়গায় ডিমেনশিয়ার মেডিসিন নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়; তাহলে ফলসিফাইয়াবিলিটি আরো বাড়বে।
    তখন কি করণীয়?"

    ---------------------------
    টিবির ওষুধ কি আন্দাজে দেওয়া হয়? টিবি বা ডিমেনশিয়া নিয়ে তো এখনও পড়াশোনা চলছে, যেখানে ফলসিফাই করছে সেখানে আরো বেশি করে গবেষণা চলছে যাতে সেই ফলসিফিকেশনের জায়গাটাকেও ফুলপ্রুফ করে ফেলা যায়। সাত বছর আগেও এমডিআর টিবির একমাত্র ভবিতব্য ছিল মৃত্যু। আজ তা নয়।

    যে কোনও থিওরিই প্রতিষ্ঠিত হয় কিছু অ্যাজাম্পশনের ওপর ভিত্তি করে। আমি এখানে লিখছি, লিখে "মতামত দিন" বাটনে প্রেস করছি, টি আর এসেম আমার লেখা পড়ছে। মোদ্দা কথা, আমি এখানে কিছু লিখে সাবমিট করলে লেখাটা স্ক্রিনে একটা পাট্টিকুলার ইউআরএলে থাকে, লোকে পড়তে পায়। এখানে কিছু অ্যাজাম্পশন খাটছে - ১) ব্যাক এন্ডে গুরুর কল ঠিকমত কাজ করছে। যেমন, রাত ঠিক সাড়ে নটায় পোস্ট করলে পোস্ট না-ও হতে পারে কারণ ঐ সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য গুরুর সার্ভার বাউন্স করে। ২) "পড়তে পারে" কেবল তারাই, যারা বাংলা পড়তে পারে, এই যেমন সিফোঁ টি এসেম দ এট আল। মানে আমি যখন লিখছি, আমি এক্সপেক্ট করছি যাদের উদ্দেশ্যে লিখছি তারা পড়তে পারবে। আমার পাশের ডেস্কে বসা মারাঠি মেয়েটাকে এই পেজ দেখালে সে কিছুই পড়তে পারবে না, টি-এর এত গুরুগম্ভীর কথাবার্থা তার মনে একটুও হিল্লোল জাগাবে না। তো, মানে, অ্যাজাম্পশন বললে অ্যাজাম্পশন, বেসিকালি বাউন্ডারি।

    সিফোঁর কেসটাও সেই বাউন্ডারির বেসিসেই প্রুভেবল। বাউন্ডারি ফেল করলেই সেটা ফলসিফায়েবল। "গবি-র দিন বিষ্টি হয়।" কিংবা হালখাতার দিন বেজায় গরম পড়ে। কিংবা ক্রিসমাসের দিন বেজায় ঠাণ্ডা হয়।

    সবই সত্যি, কিছু অ্যাজিউম করে নেওয়া বাউন্ডারির মধ্যে। বাউন্ডারি পেরোলেই সেটা ফলস। ফিনল্যান্ড বা নরওয়েতে হালখাতা করলে, দিনক্ষণ নক্ষত্রগুপ্তপ্রেস সব এক থাকলেও - সেখানে হালখাতা হবে হিহি শীতের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়াতে ক্রিসমাস হয় গরমকালে। তেমনি দিল্লিতে গবি-র দিন বৃষ্টি হয় না। মহারাষ্ট্রে হতেই পারে।

    এই আর কি, তো থিওরি পেশ করার আগে সেই বাউন্ডারিটা ভালো করে বুঝে নেওয়া দরকার।
  • সিকি | 165.136.80.163 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৫৩723247
  • এবং সোচনেওয়ালি বাত ইয়ে ভি হ্যায় কি, অর্পণ এখানে অ্যাজিউম করে নিচ্ছে যে টি এখন বেঞ্চে নেই। :)
  • ranjan roy | 132.162.116.133 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:০০723258
  • ভারতীয় ন্যায়দর্শন কিন্তু হাইপোথিসিসের লিঙ্গ-লিঙ্গী ( কোরিলেশনের X, Y ভ্যারিয়েবল) র সহাবস্থানের একটা ব্যতিক্রম দেখাতে পারলেই মূল প্রতিপাদ্য/প্রকল্পটি অ-ব্যাপ্তি দোষে (non-universality) দুষ্ট বলে খারিজ করে দেয়।ঃ))

    যেমন, ধোঁয়া(লিঙ্গ) ও আগুনের(লিঙ্গীর) সহাবস্থানের বিরুদ্ধে একটা ব্যতিক্রমী বাস্তব উদাহরণ দেখাতে পারলেই ধোঁয়া দেখা গেলে আগুন থাকবেই --এই স্টেটমেন্টটি ভুল (ফলসিফায়েড) বলে ধরা হবে।
  • T | 165.69.199.255 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:০১723269
  • হ্যা হ্যা হ্যা
  • ranjan roy | 132.162.116.133 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:১০723280
  • সিকিকে ক।
    ১)একটা effect এর পেছনে একটি নয়, multiplicity of causes থাকে। সন্ধ্যেয় আমার ঘরে লাইট জ্বলছে না। এর জন্যে বালবের ফিলামেন্ট, সুইচের ডিফেক্ট, লাইনে শর্ট সার্কিট ও কেজরিওয়ালের সাপ্লাই বন্ধ করে দেওয়া--যে কোন একটা কারণ হতে পারে।
    ২) প্রত্যেকটি স্টেটমেন্ট একটি বাউন্ডারির মধ্যেই সত্যি, বাইরে নয়। ছোট বাচ্চার জন্যে মাতৃদুগ্ধ পুষ্টিকারক। কিন্তু দাঁত বেরনোর পরও যদি শক্ত খাবার না খাইয়ে আগের মতই চালানো হয়, তো ক্ষতি হবে।
    অর্থাৎ, কোন attribute ই absolute নয়; বাউন্ডারি ক্রস করলেই সেটা বিপরীতে পরিণত হয়।
    বস্‌, এই জন্যেই বলি --মার্ক্সবাদ সইত্য, কারণ উহা বিজ্ঞান!ঃ))
    উপরের দুটো বক্তব্যই, সিকি জেনে পুলকিত হবে, ডায়লেক্টিক্যাল মেটিরিয়ালিজমের ইয়ে! ঃ)))

    ৩) T এর এই স্টেটমেন্টটি যে সিকি চুমু খেয়ে ছেলে না মেয়ে বলতে পারে--কিরম অসইব্য মত লাগল।
  • সিকি | 165.136.80.163 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:১৮723291
  • সে রঞ্জনদার দুই নম্বরেও হিনী দেব কিনা এখনও ভেবে যাচ্ছি।

    (আমার উপরের বক্তব্যেও হিনীর প্রভূত সম্ভাবনা আছে। )

    হিনী কখনও কম পড়ে না। যাই হোক, টি, লেখ বাবা।
  • প্রশ্ন | 186.126.252.11 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:২৮723303
  • সিগারেট খেলে ক্যানসার হয় । এর বাউন্ডারিটা বলুন দিকি । দিনে কটা ?
    শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষ এয়েচে - একে ফলসিফাই করতে হলে কি করতে হবে ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন