এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিজ্ঞান এবং

    T
    অন্যান্য | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬৩২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঈশান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৪৮723342
  • বেশ তো। বাকি কথার উত্তর পরে দেব। বিজ্ঞান যদি জার্নি হয়, টলেমি যদি তার অংশ হন, তো বীজ আবিষ্কার কেন বিজ্ঞান না? এইটা বুঝে নিই আগে।
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৫৮723343
  • তাহলে ফলসিফায়াবিলিটির মূলত দরকার হয়েছিল থিওরি অফ ইনডাকশানকে নেগেট করতে। যেমন ঈশান অন্য টইতে লিখেছেন, অনেকগুলো অবসার্ভেশান হয়েছে যে "মেয়েরা অংক ভালো বোঝ্না", সেখান থেকে বাই প্রসেস অফ ইনডাকশান একটা থিওরি তৈরি হলো, "মেয়েরা অঙ্কে কাঁচা"। পপার দেখালেন যে শুধু একটাও এরকম অবসার্ভেশান পাওয়া যায় যে একটি মেয়ে অংক ভালো বোঝে, তাহলেও কিন্তু থিওরিটা নেগেটেড হয়ে যাবে, কারন থিওরিটা ডিডাকটিভ না। অর্থাত অনেকগুলো অবসার্ভেশান একত্র করে একটা ইউনিভার্সাল স্টেটমেন্ট বানাতে গেলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু তাহলে প্রশ্ন আসে, সব ইউনিভার্সাল স্টেটমেন্টই কি টেস্টেবল? না - আর এখানেই পপারের লিমিটেশান, কারন ফলসিফায়েবিলিটি আর টেস্টেবিলিটি একে অপরের সাথে জড়িয়ে।

    একটা উদাহরন দেওয়া যাক - "গত বৃহস্পতিবার এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে, আর সমস্ত মানুষের মেমোরিও এমনভাবে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে মনে হয় বারো কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল।" এই থিওরিটা টেস্টেবল না, তাই ফলসিফায়েবলও না। এখানে শুধুমাত্র কাজে দিতে পারে অকামের খুর। "ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করেছেন" - এটাও সেই অর্থে টেস্টেবল না। কিন্তু পপার এই ধরনেয় অ্যাক্সিওমেটিক স্টেটমেন্ট (যেগুলোর কোন প্রুফ নেই, যেগুলো "সেল্ফ-এভিডেন্ট") এর মধ্যে কোনগুলো "সায়েন্টিফিক" আর কোনগুলো না তার একটা ভাগ করেছিলেন। তার আগে ভিয়েনা সার্কল এর ফিলজফাররা মনে করতেন কোন স্টেটমেন্টকে যদি এমপিরিকালি টেস্ট করা যায় তাহলে সেটা "সায়েন্টিফিক"। পপার বলেছিলেন যে মিনিংফুল স্টেটমেন্ট হলেই যে "সায়েন্টিফিক" হতে হবে তার কোন মানে নেই, বরং ফলসিফায়েবল কিনা সেটাই ক্রাইটেরিয়ন হওয়া উচিত।
  • Ekak | 53.224.129.58 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:০৭723344
  • যাক ডিসি অনেকক্ষন ধরে অকাম আনার তালে ছিলেন :):) এবার সুযোগ বুঝেই ... :):) :)
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:১৬723345
  • এবার দেখা যাক ঈশান কি বলেছেন, সেটারও উত্তর এখানে লিখি।

    "বিজ্ঞান = পবিত্র গ্রন্থ -- এ কথা আমি বলিনি তো।"

    এর আগে ঈশান লিখেছিলেন, "এখন 'পবিত্র গ্রন্থ' এবং যাজকদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। যাদেরকে আমরা যথাক্রমে 'বিজ্ঞান' ও 'এক্সপার্ট' বলি"। এখান থেকে মনে হয়েছিল 'পবিত্র গ্রন্থ' আর 'বিজ্ঞান' কে এক আসনে বসানো হয়েছে।

    "যেটা বলেছি, সেটা সিম্পল। জ্ঞান চর্চার একটা সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে মানবসমাজে। সেটা দীর্ঘ সময় ধরে মোটামুটি একই ভাবধারায় চলছে। অল্প কিছু কিছু বদল হয়েছে, সেগুলো লিখেছি। (লক্ষ্য করবেন, জ্ঞানচর্চা লিখেছি, বিজ্ঞান না, কারণ বিজ্ঞান নামক ধারণাটাই, ধরুন চারশো বছর আগে ছিলনা)।"

    সে তো অবশ্যই। কিন্তু এ নিয়ে তো তর্ক হয়নি! হাজার হাজার বছর ধরে জ্ঞানচর্চা চলছে, কারন মানুষের নেচার হলো জিজ্ঞাসা করা। এই জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে প্রথমে মানুষের মনে হয়েছিল বরুন দেবতা তাঁর ইচ্ছেমতো বৃষ্টি নামান। এটাও রিয়েলিটিকে এক্সপ্লেন করার একটা মডেল ছিল। আবার পরে মনে হয়েছিল বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে গেলে বৃষ্টি নামে। কোন মডেলটা ঠিক? এখানে অকামের খুর কিছুটা সাহায্য করতে পারে, কারন বরুন দেব কে দিয়ে এক্সপ্লেন করতে গেলে স্বর্গ নামের একটা জায়গা বানাতে হয়, তার আইনকানুন বানাতে হয়, মডেলতা আস্তে আস্তে অনাবশ্যক রকম জটিল হয়ে উঠতে থাকে।

    "এবার এর সঙ্গে নানা আইডিওলজির চর্চা চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে। তাদের একটা ঘরনার নাম ধর্ম (যদিও ধর্ম বললে কী কভার করা যায় আমি নিশ্চিত নই)। কিছু লোকাচার। কিছু সংস্কৃতি। "

    একমত। আবার বলি, এই নিয়ে আদৌ তর্কই হয়নি।

    "বিগত কয়েকশো বছরে আরেকটা নতুন আইডিওলজি হয়েছে, যার নাম বিজ্ঞান। এই আইডিওলজিগুলো নানা পবিত্র গ্রন্থ বনিয়েছে (প্লুরালিটিটা লক্ষ্যণীয়), আবার সেগুলো ভেঙে আরও কিছু বানিয়েছে। "

    একমত না। "বিজ্ঞান" কোন আইডিওলজি না, পপারিয়ান সেন্সে "বিজ্ঞান" একগুচ্ছ ফলসিফায়েবল স্টেটমেন্টের কালেকশান। দেয়ার ইস নাথিং সেট ইন স্টোন ইন সায়েন্স। কাজেই "পবিত্র গ্রন্থ" বানানোর অভিযোগটা টেঁকেনা, আরো টেঁকেনা কারন আপনি নিজেই বলছেন "আবার সেগুলো ভেঙে আরও কিছু বানিয়েছে"। তো যাকে ভেঙে ফেলা যায় তার আর পবিত্র কি রইল? সায়েন্স ইস অলওয়েজ ইন আ স্টেট অফ ফ্লাক্স। "পবিত্র গ্রন্থের সমষ্টি" কোথায় বানিয়েছে?

    ""সব বেদে আছে" এরকম একটা আইডিওলজি"

    একেবারে ভুল, ওপরে উত্তর দিয়েছি। কোন স্ট্যাটিক আইডিওলজি নেই।

    "নিউটন এরকম আইডিওলজিতে বিশ্বাস করতেন"

    নিউটন কি বিশ্বাস করতেন তাতে "বিজ্ঞান" এর কিছু যায় আসে না। "বিজ্ঞান" নিউটনকে মনে রাখে শুধু এজন্যই যে নিউটনের কিছু মডেল রিয়েলিটিকে এক্সপ্লেন করতে সাহায্য করেছিল, উইদিন বাউন্দস (উইদিন বাউন্ডসটা বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন)।

    "আবার "মার্কসবাদ সর্বশক্তিমান কারণ ইহা বিজ্ঞান", আরেকটা। এখানে মার্কসবাদ কথাটা বাদ দিয়ে বাকিটা দেখুন, "সত্য=বিজ্ঞান" এরকম একটা ইকুয়েশন আছে।"

    আশা করি এ নিয়ে আর আলোচনা করাবেন না।
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:১৭723346
  • একক, সে তো ঐ টইতেও লিখেছিলাম ঃ)
  • T | 190.255.250.156 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২১723347
  • একক :)

    বীজ 'আবিষ্কার' হয়েছে, নাকি ডিসকভারি বা সিলেকশন হয়েছে। হ্যাগস অনুযায়ী বিভিন্ন ট্রায়াল এবং এররের পর দেখা গেল অমুক বীজ থেকে উৎপন্ন শস্য যা কিনা বছরের অমুক সময়ে ফলে সেটা খেলে পেট ঠিক থাকছে। এইবার হাজার হাজার ট্রায়ালের পর একটাতে এসে কনভার্জ করল। এইরম। এটা কোনো কিছুর ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। এইটা শুধুমাত্র অবজার্ভেশন যে এইটা খেলে পেট ভালো থাকে। ট্রায়াল এন্ড এরর এবং অবজার্ভেশন এবং সেটা থেকে ইনফারেন্স এইগুলো তো খুবই মৌলিক অ্যাক্টিভিটি। ইনফিরিয়র কিছু নয় তো। এর পরের ধাপে ইন্ডাকশন এলেই তবে বিজ্ঞান আসবে। আর সেটা এলেই ইন্ডাকশন ভিত্তিক যে সমস্ত সমস্যা সেগুলো আসবে।
  • ঈশান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২৩723348
  • অবশ্যই করাবো।

    এই যে লিখেছেন, ""বিজ্ঞান" কোন আইডিওলজি না, পপারিয়ান সেন্সে "বিজ্ঞান" একগুচ্ছ ফলসিফায়েবল স্টেটমেন্টের কালেকশান।" পপার এখানে এখানে পপার (অর্থাৎ তাঁর লেখা) হল একটি পবিত্র গ্রন্থের উদাহরণ। যেখানে বেদবাক্যের মতো লেখা আছে "বিজ্ঞান কী এবং কী নয়"।

    আর পবিত্র গ্রন্থ তো প্রথম থেকেই প্লুরাল। কোরান আর বাইবেল দুইই পবিত্র গ্রন্থ। বা ওল্ড টেস্টামেন্ট, নিউ টেস্টামেন্ট। যারা মানে তাদের কাছে পবিত্র, কিন্তু ইউনিভার্সাল কিছু না। বরং অনুসরণকারীরা হরবখতই ক্রুসেড ইত্যাদি লড়ে। ফলে 'পবিত্রতা' শুধু অনুসরণকারীদের। পপার আপনার কাছে পবিত্র ,লিউন্তিনের কাছে না। :-)
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২৮723349
  • এবাবা ঃ) পপারের থিওরির প্রচুর ক্রিটিসিজম হয়েছে, বিশেষ করে অ্যালান সোকালের লেখা পড়ে দেখতে পারেন (কয়েকদিন আগেই সোকালকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল)। পপারের লেখা আবার "পবিত্র গ্রন্থ" হতে যাবে কেন?
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২৯723352
  • আচ্ছা এই "পবিত্র গ্রন্থ" ব্যাপারটা কি আরেকটা শীর্ষেন্দু হতে চলেছে, মানে প্রতিপক্ষ কেউ নেই কিন্তু তাও একটা মনগড়া প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিয়ে আর্গু করে যাওয়া?
  • ঈশান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২৯723350
  • বীজ 'আবিষ্কার' হয়নি। ওটা বোধহয় এখানে তাড়াহুড়োয় লিখেছি। ব্যাপারটা অত সিম্পল না।
    প্রথমে শস্যবীজ খুঁজে বার করতে হয়েছে অজস্র তৃণ বীজের মধ্যে। কিন্তু সেগুলো খাওয়া যায়না, কারণ, ধান বা গম বা বার্লি, আজকের ফর্মে ছিলনা। তারপরে ব্রিডিং এর পদ্ধতি আবিষ্কার করতে হয়েছে। 'মানবিক নির্বাচন' (টার্মটা আমার, প্রাকৃতিক ইর্বাচনের সঙ্গে তুলনা দিতে গিয়ে) জানতে হয়েছে, সেই অনুযায়ী উন্নততর শস্যবীজ তৈরি করতে হয়েছে। তারপরে চষবাস করে খাওয়া হয়েছে।

    গৃহপালিত পশুদের ক্ষেত্রেও একই গপ্পো। কুকুর বা ঘোড়া কে 'তৈরি' করতে হয়েছে আজকের ফর্মে।

    এ সবই মোটামুটি হাজার দশেক বছর আগেকার গপ্পো। এই পদ্ধতিটাকে কী বলব? মেথডিকাল বিজ্ঞান না নয়?
  • ঈশান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৩০723353
  • পবিত্র গ্রন্থ না হলে আপনি পপারকে কোট করছেন কেন? তাও আবার এমন ভঙ্গীতে যেন বিজ্ঞান বিষয়ে উহাই শেষ কথা? :-)
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৩৩723354
  • বোঝ, আর আমি বারবার লিখছি যে বিজ্ঞান ইস অলওয়েস ইন আ স্টেট অফ ফ্লাক্স। দেয়ার ইস নাথিং সেট ইন স্টোন ইন সায়েন্স। কোনকিছুই বিজ্ঞানে শেষ কথা না।
  • cm | 127.247.98.48 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৩৫723355
  • "In short, scientific research can flourish only in alliance with some religion or ideology."
    in "Sapiens: A Brief History of Humankind" by Yuval Noah Harari

    ঈশেনবাবু কি এই কথাটিই বলতে চান?
  • ঈশান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৩৬723356
  • কী মুশকিল। "বিজ্ঞান ইস অলওয়েস ইন আ স্টেট অফ ফ্লাক্স" এইটা জানলেন কোথা থেকে? বেসিক থেকে কিছু প্রুফ আছে? নাকি কিছু পড়ে কোট করছেন?
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৩৭723358
  • ওটা তো একটা অবসার্ভেশান! ওর প্রুফ কি করে হবে?
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৩৭723357
  • আগে লিখেছিলামঃ

    -------
    "আবার "মার্কসবাদ সর্বশক্তিমান কারণ ইহা বিজ্ঞান", আরেকটা। এখানে মার্কসবাদ কথাটা বাদ দিয়ে বাকিটা দেখুন, "সত্য=বিজ্ঞান" এরকম একটা ইকুয়েশন আছে।"

    আশা করি এ নিয়ে আর আলোচনা করাবেন না।
    -----

    ওপরের পোস্টটা একটু ক্লিয়ার করে দি। "আশা করি এ নিয়ে আর আলোচনা করাবেন না।", এই স্টেটমেন্টটা কেবলমাত্র মার্ক্সবাদ সর্বশক্তিমান ইত্যাদির প্রেক্ষিতে। ইন জেনারাল না। বলতে চেয়েছিলাম যে "মার্কসবাদ সর্বশক্তিমান কারণ ইহা বিজ্ঞান" এই স্টেটমেন্টটা এতোই হাস্যকর যে এনিয়ে আলোচনার মানে হয়না।

    বাকি আলোচনায় অবশ্যই আপত্তি নেই।
  • ঈশান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪০723359
  • বেশ আপনার অবসার্ভেশন। তো, সবকিছুই বদলায় পৃথিবীতে। ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা। তাহলে ধর্মে পবিত্র গ্রন্থ আছে, আর বিজ্ঞানে নেই, এইটা কিকরে বোঝা গেল।
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪২723360
  • যাগ্গে, "বিজ্ঞান" এ কোন ফিক্সড আইডিয়া নেই বা কোন পবিত্র আইডিয়া নেই এটাই বলতে চেয়েছি। (অবশ্য "বিজ্ঞান" এ কোন ফিক্সড আইডিয়া নেই" এটা একটা ফিক্সড আইডিয়া, এরকম একটা লুপ তৈরি করা যেতে পারে)। কাল সকালে আবার আলোচনা করা যাবে।
  • T | 190.255.250.156 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪৩723361
  • দুটো স্কুলের কথা তো আগেই বলা হয়েচে। তো চটে যাওয়ার কি হল। আর ঈশানদা আমার প্রথম লেখাটা পড়েই নি। যাইহোক, আবার লিখছি।

    পপারের কাছে থিয়োরীর ফলসিফায়েবিলিটি শেষ কথা এবং এটা বেশ অনেকটাই ম্যাথমেটিক্যাল। তাই এইটা সিলেকশনের কারণ, ধর্মীয় এবং ধর্মীয় বক্তব্যের কমপ্লিমেন্ট যা দুজনকেই একই অপারচুনিটি দেয় নিজেকে প্রমাণ করার। তাই এই মেজার। ঈশানদার জানা অন্য কিছু থাকলে সাজেস্ট করুক না।
  • dc | 132.164.214.238 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪৬723363
  • ধর্মে "পবিত্র গ্রন্থ" থাকতে পারেনা, ইন ফ্যাক্ট কোন প্যারাডাইমেই "পবিত্র গ্রন্থ" থাকতে পারে না, এটা বোঝানোর জন্যই তো "বিজ্ঞানমনস্কতা বলতে কী বোঝায়" টইতে তর্ক শুরু হয়েছিল। এখন বোধায় পুরো উল্টো হয়ে গেছে।
  • T | 190.255.250.156 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৫৪723364
  • দ্যাখো, ব্যাপারটা সেই একটাতেই আটকাচ্ছে। তুমি কিছুতেই তোমার চলতি 'বিজ্ঞান' এর নোশন থেকে বেরিয়ে আসবে না। আমরাও সরে যাব না। কিন্তু ব্যাপারটা ঘাঁটছে।
    ওকে, মেথডিক্যাল বিজ্ঞান মানে যা বলতে চাইছ তার মধ্যে মেথড বা এক্সপেরিমেন্ট- অবজার্ভেশন-ইনফারেন্স এই অংশটুকুকেই সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছ বলে মনে হয়। কিন্তু এইটুকু ছাড়াও তো আরো বেশ বড়ো অংশ পড়ে থাকে। যেটা হচ্ছে কারণ ব্যাখ্যা। আমরা বিনয়ী হয়ে এক্সপেরিমেন্ট-অবজার্ভেশন-ইনফারেন্স পার্টটা ধর্মের জন্যও (তবে এখানে স্পেসিফিক্যালি টার্গেট ধর্ম নয়, যেকারণে টইয়ের হেডীং ঐরম) ছেড়ে দিচ্ছি। ফলে ধরে নাও ঐ ই-ও-ই পার্টটা খুব স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। বীজ ইত্যাদি নিয়ে যা বলছ তা এইটুকুর মধ্যে পড়ে। এইবার কারণ ব্যাখ্যার ক্ষেত্রটিতে কিন্তু পপারের ইয়ার্ড স্টিক রয়েছে এবং তাতে সব্বাইকে খেলতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কেউ পাশ করছে, কেউ ফেল, এই তো ব্যাপার। কিন্তু খেলতে নামার আগে, গেমের রুল ও নিয়ম মেনে খেলতে হবে। এইটা একক বেড়াল সংক্রান্ত পোস্টে খুব ডিটেলে বিবিধ ল্যাজ সমেত এক্সপ্লানেশন দিয়েছিল, কিন্তু তুমি খেয়াল করছ না।
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০৪723365
  • বেশ তো ঘাঁটছে মনে হচ্ছে যখন, একটু সময় নিয়ে লেখা যাক। আম্মো পরে লিখব।
  • T | 190.255.250.156 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:১৫723366
  • আরে ডিসি, আপনার লেখা গুলো এইবার পড়লাম। ভালৈ।
  • π | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:৩৭723367
  • স্মোকিং ওয়ান অব দ্য অ রিস্ক ফ্যাক্টর নিয়ে এসেমের পোস্টটা তো ভুল কিছুনা। এনিয়ে এত খিল্লির কী হল বুঝলাম না।
    এখনো অব্দি লাং ক্যান্সার নিয়ে যেটুকু যা কজেশন পাওয়া গেছে। কজেশন এস্টাব্লিশ করা খুব কঠিন, কারণ এই নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করা সম্ভব না, তাই র‌্যাণ্ডম কন্ট্রোল ট্রায়াল করা যাবেনা। কারণ কিছু লোককে ধরে ধরে এক্ষপির জন্য সিগারেট খাওয়ানো তো টোটাল নন এথিক্যাল ব্যাপার। অবজার্ভেশনল স্টাডি থেকে আসোসিয়েশন পাওয়া যায় ( তাও লাংক্যান্সারে খুব বেশি, অন্য অনেক ক্যান্সারে তেমন না)। এসব ক্ষেত্রে যেসব ক্রাইটেরিয়া দিয়ে আসোসিয়েশন থেকে কজেশনে যাওয়া যায়, তার সব ক'টা ধরে ধরে দেখা হয়েছে, আর লাং ক্যান্সারের ক্ষেত্রে টেনেটুনে কজেশন অব্দি যাওয়া যেতে পারে ( যদিও অবশ্যই অন্য কজ না)। কিন্তু অবশ্যই এই সিগারেট কজেস ক্যান্সার সতর্কবার্তার ও একটা বিধিসম্মত সতর্কীকরণ প্রয়োজন। কজেশন কোনটাকে বলব, কতটা কী বলব।

    এনিয়ে গুছিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এখন সময়ের খুবই টানাটানি।
    তাও ইচ্ছে হলে হপকিন্সের এই নিয়ে ডকুমেন্ট টা দেখতে বলব। খুব কম্প্রিহেন্সিভ।

    ওখান থেকেই এই লাইনটাও রইলো। সবার শেষে বলা হয়েছে।
    Causal association is mostly a judgmental process based on
    available information

    Epidemiologic process is continual
    −New evidence may be discovered that supports or refutes
    the current understanding of the relationship between
    exposure and diseases
  • bip | 183.67.3.44 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৫৬723368
  • হিউমস প্যারাডক্স যা ইনডাকশনের দুর্বলতা এক্সপোজ করেছিল বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, তার থেকেই ফলসিফিকেশনের জন্ম। আমি পপার পড়েই প্রথম বুঝি মার্ক্সবাদের দুর্বলতা।

    যাইহোক পপারিয়ানের ও দুর্বলতা আছে। কোথায় যেন পড়েছিলাম চিকিৎসা বিজ্ঞানের ৯৭% রেজাল্ট কোশচেনেবল-ফ্রড বা বাউন্ডারী লাইনে। সেগুলো কিন্ত লোকে নাল হাইপোথিসিসের "রোবাস্টনেস" মেইনটেইন করেই পাবলিশ করেছে। এখন এটা পপারিয়েন্র দুর্বলতা না পেপার বাড় করা সিস্টেমের দুর্বলতা জানি না।
  • T | 165.69.191.249 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:০২723369
  • বিপ, প্লিজ! প্রচুর দূর্বল (এবং ধুরবাল) মতবাদ রয়েচে, মার্ক্সবাদ কি না উল্লেখ করলেই নয়। এখুনি তো ধুন্ধুমার লেগে যাবে।

    পপারের থিয়োরীর সমস্যা লিখেছি, কেউ পড়ে না হায়।
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:১৮723370
  • পপারিয়ান ফলসিফিকেশান একটা গুরুত্বপূর্ণ থিওরি, ফিলজফি অফ সায়েন্সেও কনট্রিবিউশান আছে। এই থিওরির লিমিটেশান তো অবশ্যই আছে, টি লিখেছেন, আমিও অল্প আলোচনা করেছি। কিন্তু সেগুলো ফিলজফিকাল লেভেলে, তার সাথে সরাসসরি চিকিৎসা বিজ্ঞান বা অন্য কোন বিজ্ঞান গুলিয়ে ফেললে মুশকিল হবে। আর "নাল হাইপোথিসিসের "রোবাস্টনেস" মেইনটেইন করেই পাবলিশ করেছে" - সেজন্যই তো এখন শুধু পি ভ্যালু দেখে না, এফেক্ট সাইজও কনসিডার করে।
  • ঈশান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:২৪723371
  • পরে বিশদে লিখব। এখন দুটো জিনিস।

    ১। "এক্সপেরিমেন্ট- অবজার্ভেশন-ইনফারেন্স" -- এখানে আমি কোনো বিশেষ গুরুত্ব দিইনি। আমার ফোকাল পয়েন্টটা ছিল পর্যবেক্ষণ-হাইপোথিসিস-তত্ত্ব- পর্যবেক্ষণ ... ইত্যাদি।

    ২। এটা প্রশ্ন। টি এবং ডিসিকে। পপার নিয়ে কেন এত কচলানো আমি সত্যিই বুঝিনি। এক, হতে পারে পপার যুগসিদ্ধ (ব্যঙ্গ করে নয়)। বিজ্ঞানের সর্বজনগ্রাহ্য ইউনিক বৈশিষ্ট্যগুলো পপার দেখিয়েছেন। এবং বিজ্ঞান ইউনি ভার্সালি পপারের মত বা পদ্ধতি ফলো করে। ছোটো করে, পপারই বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানই পপার। এটা হলে পপারের মতবাদের উপর্যুপরি প্রয়োগের মানে বুঝি। এইটাই কিনা কনফার্ম করা হোক।

    আর এইটা না হলে দুই, পপার বিজ্ঞান বিষয়ক একটি থিয়োরি দিয়েছেন। সেটা কারো কারো পছন্দ। কিন্তু ইউনিভার্সাল কিছু না। তা, এরকম নানা থিয়োরি নানা সময়ে বেরিয়েছে। সেই প্লেটো-আর্যভটের সময় থেকে। কিন্তু সাধারণভাবে বিজ্ঞানের লক্ষণগুলি খোঁজার ক্ষেত্রে পপার কেন? সেইটা বুঝি নাই।

    এইটা বুঝিয়ে বলা হোক। আপনাদের সব বক্তব্যই পড়েছি, চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু বিজ্ঞানের সর্বজনস্বীকৃত সাধারণ লক্ষণগুলি খোঁজার জন্য খামোখা পপার কেন, এইটা বুঝি নাই। কমন পড়িয়াছে বলে, না উনি যুগসিদ্ধ (পপারই এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানের শেষ কথা), এইটা কিলিয়ার করুন।
  • শৌভ | 192.77.115.24 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩০723372
  • ঈশ্বরের উৎপত্তির ইতিহাস, আমার মনে হয়, লুকিয়ে রয়েছে মানুষের জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতার মধ্যে। জগৎসংসার সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান আহরণের প্রক্রিয়া মূলত দুটি--ডিডাকটিভ ও ইন্ডাকটিভ রিজনিং। অর্থাৎ, আমরা হয় সাধারণ কোনো নিয়ম থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হই, অথবা নির্দিষ্ট কিছু ঘটনাপরম্পরা লক্ষ করে একটি সাধারণ নিয়মের প্রস্তাবনা করি। কিন্তু, এই পদ্ধতিগুলির, বিশেষত দ্বিতীয় পদ্ধতিটির, নানাবিধ সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পপারের ফলসিফায়েবিলিটি সেই সীমাবদ্ধতাকেই প্রকট করে। কেননা, এর ফলে, আমাদের অর্জিত জ্ঞান যে অকাট্য, এমন কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা পূর্ণত অসম্ভব হয়ে পড়ে। বস্তুত, নাক-উঁচু পপার এ-কথাও বলবেন যে, যে-তত্ত্ব অকাট্য, তা আদপেই বৈজ্ঞানিক নয় (যেমন ফ্রয়েডের মনঃসমীক্ষণ)।

    আবার, ডিডাকটিভ বা ইণ্ডাকটিভ রীজনিং-এর পেছনে রয়েছে কার্যকারণের প্রস্থানভূমি। পর্যবেক্ষণ থেকে তত্ত্বে উপনীত হওয়া বা তাত্বিক নিয়ম থেকে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি স্থির সিদ্ধান্তে আসার এই যে যৌক্তিক কাঠামো, তা আসলে কার্যকারণপরম্পরার একটি সুসংহতরূপ। এই কার্যকারণ পরম্পরারও ব্যবহারিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে সে-কথায় পরে আসব।

    মানুষ যখন প্রথম তার যাত্রা শুরু করেছিল, যখন বিস্ময়মথিত চোখে সে বুঝতে চেষ্টা করছিল তার চারপাশের জগৎ ও প্রকৃতিকে, তখন এইধরণের ছোট ছোটো পর্যবেক্ষণই ছিল তার একমাত্র প্রস্থানভূমি। আর কার্যকারণসম্পর্কের পরম্পরা, এবং তৎপ্রসূত যৌক্তিক কাঠামোই ছিল তার বিশ্লেষণের হাতিয়ার। যদিও, সন্দেহ নেই, সেই আদিমযুগে, তা ছিল সরল, খণ্ডিত ও অসম্পূর্ণ। ধীরে ধীরে, তার বৌদ্ধিক বিকাশ ও যান্ত্রিক অগ্রগতির সুবাদে, ক্রমশ প্রসারিত হয়েছে তার পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্র এবং বিশ্লেষণের জটিলতা। অধিবিদ্যাকে হটিয়ে, পপারের ফলসিফিকেশনের ধাঁচেই, তার জায়গা নিয়েছে বিজ্ঞান। জ্ঞানার্জনের মূল পন্থাটা কিন্তু মোটের ওপর একই রয়ে গেছে। বৃত্তের আকার পাল্টায়নি, বেড়েছে তার পরিধি। এখন এই যে ক্রমপ্রসরমান জ্ঞানবৃত্তটি, মানুষের, তার প্রসারণ, কোনো এক চূড়ান্ত বিন্দুতে পৌঁছে, কখনো কি স্তব্ধ হতে পারে? একদিন কি আমাদের পক্ষে বলে ওঠা সম্ভব, এই-ই সব? কেননা সংজ্ঞা বলছে, ব্রহ্মাণ্ড সমগ্র--সমস্ত দেশকাল ও তাতে উপস্থিত যাবতীয় পদার্থ ও শক্তির পূর্ণাঙ্গ সমাহারই ব্রহ্মাণ্ড। এই সমগ্রকে (আমরা নিজেরাই যার অংশ) সীমিতসংখ্যক সূত্রে বা নিয়মে বাঁধা কি আদৌ সম্ভব? ব্রহ্মান্ডের যে অতিক্ষুদ্র ভগ্নাংশ আমাদের পর্যবেক্ষণের অধীন, তাকে যদি-বা আমরা নিয়মের নিগড়ে বেঁধে ফেলতে পারি, তার বাইরের অদৃশ্য, অব্যাখ্যাত জগতটি তখনও আমাদের সেই নিয়মগুলিকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ জানাতেই থাকবে। আর কখনও যদি সত্যি সম্ভব হয়, সমগ্রকে নিয়মের বাঁধনে বাঁধা, তখন সেই নিয়মসমষ্টি কি আসলে পপারের ফলসিফায়েবিলিটির ধারণাকেই অগ্রাহ্য করবে না? বা তার আদৌ কি কোনো পরীক্ষণযোগ্যতা থাকবে? যে-নিয়ম সমগ্রকে ব্যাখ্যা করে, যার বাইরে আর কিছুই পড়ে থাকে না, তাকে অপ্রমাণ করা কীভাবে সম্ভব? সে তত্ত্ব আসলে কি বিজ্ঞান, না অধিবিদ্যা? আবার, পপারের পাশাপাশি, এক্ষেত্রে মাথায় রাখা দরকার কুর্ট গোডেলের অসম্পূর্ণতার উপপাদ্যটিও। গোডেল দেখিয়েছিলেন, সীমিতসংখ্যক স্বতঃসিদ্ধের ভিত্তিতে নির্মিত একটি ফর্মাল সিস্টেম একইসঙ্গে সম্পূর্ণ (complete) ও সংগতিপূর্ণ (consistent) হতে পারে না। হয় তার মধ্যে এমন কোন প্রতিপাদ্য থাকবে যাকে প্রমাণ বা অপ্রমাণ করা যাবে না, অথবা সেই ব্যবস্থাটি নিজের সংগতি প্রমাণ করতে পারবে না। অতএব, বিজ্ঞান যদি কখনও এমন একটি axiomatic formal systemএ পরিণত হয়, তাহলেও তাকে সম্পূর্ণ বা সঙ্গত মনে করার কারণ থাকবে না।

    কার্যকারণ সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা নিয়ে একটি কথা বলার ছিল, সেটা এবার পেশ করি। ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি নিয়ে ভাবতে ভাবতে, মানুষ এক দৈবিক অস্তিত্বের কাছে মাথা নত করেছিল, এক সর্বশক্তিমান সত্তার কল্পনা করেছিল, যা এই ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির কারণ (অবিশ্যি, ভারতীয় দর্শনের পূর্বমীমাংসা, সাংখ্য ও ন্যায় এই তিনটি স্কুল এ-ধরণের তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিল না, তবে সে অন্য প্রসঙ্গ)। এখন, আপনি যদি ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন যে, ঈশ্বর যদি ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করল, তাহলে ঠিক কোনো সদুত্তর পাবেন না। বা, বলা ভালো, আপিনি শুনবেন যে, ঈশ্বর স্বয়ম্ভূ, তিনি সমস্ত কার্যকারণের বাইরে।

    আবার ক্রমশ, বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে, সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের ধারণাটি পর্যুদস্ত হয়েছে। এসেছে বিগ ব্যাং, স্টেডি স্টেট ইত্যাদি তত্ত্ব। অথচ, যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন, বিগ ব্যাং তো বুঝলুম, কিন্তু দেশকালপদার্থশক্তির এই যে এক মণ্ড--প্রায় বিন্দুবৎ অথচ যার ঘনত্ব অসীম--তা এল কথা থেকে, তাহলে শুনবেন যে, যেহেতু সময়ের উৎপত্তি ঠিক সেই মহাবিস্ফোরণের মুহূর্তটি থেকেই, অতএব, তার আগে কী ছিল, কী হয়েছে, সে-প্রশ্ন অবান্তর ও অসম্ভব। অথবা, মহাবিস্ফোরণের ঠিক প্রাক্কালে ওই যে বিন্দুবৎ দেশকালপদার্থশক্তির মণ্ড, যাকে সিঙ্গুলারিটি বলে, সেখানে ভেঙে যায় সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের নিয়ম, পদার্থবিদ্যার নিয়ম দিয়ে, অতএব, তাকে বোঝা যায় না।

    অর্থাৎ, দেখুন, ঈশ্বরের ধারণা ও ব্রহ্মাণ্ডের ধারণা, এ-দুয়ের মধ্যে একটা বেশ আশ্চর্য সাদৃশ্যই রয়েছে। দুই-ই, তাদের সামগ্রিকতায়, মানুষের জ্ঞানের অগোচর। এবং উভয়েই, প্রথম কারণ বা ফার্স্ট কজের বিচারে, কার্যকারণ সম্পর্কের আওতাবহির্ভূত। তাহলে, যদি বলি, ঈশ্বর আসলে এই ব্রহ্মান্ডেরই অন্য নাম, তাহলে কি খুবই অন্যায় হবে? যদি, সবশেষে বলি, "ঈশাবাস্যমিদং সর্বং যৎকিঞ্চ জগত্যাং জগৎ", তাহলে কেউ মারতে আসবেন না তো?
  • dc | 120.227.229.135 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৪723375
  • ছোটো করে, পপারই বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানই পপার - কনফার্ম করে দিলাম, এরকম না। তবে এখনকার ফিজিক্স নিয়ে আলোচনা করলে যেমন রিলেটিভিটি বাদ দিয়ে করতে পারবেন না, আর তাতে বারবার আইনস্টাইন এর নাম উঠে আসবে (অবশ্যই রিলেটিভিটির লিমিটেশান আছে), তেমনই এখনকার ফিলজফি অফ সায়েন্স নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ফলসিফায়েবিলিটি বাদ দিয়ে করা যাবেনা আর তাতে পপার এর নাম আসবে (অবশ্যই ফলসিফায়েবিলিটির লিমিটেশান আছে)।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন