এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিজ্ঞান এবং

    T
    অন্যান্য | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬৩১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঈশান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৪০723171
  • পয়েন্ট দুই। কেউটে। একটা সাধারণ আর্গুমেন্ট তৈরি করা যাক (বোর হলে কাটিয়ে দিন, কিন্তু কোনোমতে আড়াই লাইনে চোখ বুলিয়ে কাউন্টার করবেন না, প্রশ্নও না)।

    বৈজ্ঞানিক বাক্যের একটা সাধারণ ফর্ম্যাটকে আমরা প্রথমে সাংকেতিক ভাষায় লিখে ফেলিঃ ক ক্রি খ। 'ক' আর 'খ' এখানে দুটি বৈজ্ঞানিক বর্গ। আর 'ক্রি' অর্থাৎ ক্রিয়া তাদের মধ্যে সম্পর্ক বোঝায়। সেটাও অবশ্যই একটা বর্গ। উদাহরণঃ 'কালো বাচ্চাদের বুদ্ধি সাদা বাচ্চাদের চেয়ে কম', বা 'প্রতিটি বস্তু প্রতিটি বস্তুকে আকর্ষণ করে'। এখানে 'কালো বাচ্চার বুদ্ধি' বা 'প্রতিটি বস্তু' হল 'ক'। 'সাদা বাচ্চার বুদ্ধি' বা 'প্রতিটি বস্তু' হল 'খ'। 'কম' বা 'আকর্ষণ করে' হল 'ক্রি'।
    অবশ্যই বাক্য অনেক বেশি জটিল হতে পারে। যেমন 'ক ক্রি১ খ ক্রি২ গ....'। কিন্তু সাধারণ ফর্ম্যাট হিসেবে আমরা সরলতমটাই ধরছি।

    এবার 'ক ক্রি খ' এর মানে কী? অদীক্ষিত মানুষের কাছে এটা হিংটিং ছটের মতই লাগবে। (উদাঃ "Acceleration is proportional to force" এখানে বর্গগুলোর টেকনিকাল 'মানে' যে জানেনা তার কাছে পুরোটাই অবোধ্য)। কিন্তু যে বিজ্ঞানশাত্রে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে, টেকনিকালি তার একটা বর্গশৃঙ্খল বা সিস্টেম অফ সিম্বলস আছে। সে অনুযায়ী প্রতিটি বর্গেরই একটা বিশেষ 'মানে' আছে (যেমন "acceleration means rate of velocity change.")

    এবার পরের ধাপ। প্রথমে ধরে নেওয়া গেলে একটা সিস্টেমে বা বর্গশৃঙ্খলে একটা বর্গের টেকনিকাল মানে নানা গ্রহীতায়ার কাছে বদলায়না (উদাঃ সঙ্গীতে অধিকারী গাধা মানে একটা নির্দিষ্ট সুরই বুঝবেন, কোনো জন্তুকে না)। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট বিজ্ঞানের শাখা বি১ তে 'ক খি খ' বাক্যটির বর্গগুলির একটা নির্দিষ্ট মানে থাকবে। ধরা গেল বিজ্ঞান বি১ তে 'ক'এর মানে 'ক১'। ক্রি এর মানে ক্রি১। এবং খ এর মানে খ১।

    অর্থাৎ বিজ্ঞান বি১ এ 'ক ক্রি খ' এর মানে 'ক১ ক্রি১ খ১'।

    এবার বিজ্ঞানের শাখা বি২ তে যদি, আমরা ধরে নিই একই বর্গ বা বর্গগুলি ব্যবহৃত হয়, তাহলে তার মানে কী হবে? যেহেতু বিজ্ঞানের শাখা বি২ তে বর্গশৃঙ্খল অন্য (নইলে আলাদা শাখা হতনা), তাই তার একটা অন্য সিম্বলিক মানে থাকবে। একেবারেই 'আলাদা' নয়, কিন্তু কিছু পরিবর্তন থাকবে। যদি 'ক' এর মানে বিজ্ঞান বি২ তে ক১ হয়, তাহলে 'ক ক্রি খ' এর মানে হবে 'ক২ ক্রি১ খ১'।

    এইবার বিজ্ঞান বি১ আর বি২ যদি এই তত্ত্বের প্রসঙ্গে ইন্টার‌্যাক্ট করে, তাহলে ফলসিফিকেশনের পদ্ধতি নিয়েই গোল বেধে যাবে। ক মানে কী? ক১ না ক২? সেই অনুযায়ী ফলসিফায়াবিলিটিও বদলাবে। আমরা পপার পরবর্তী যুগে ইন্টারডিসিপ্লিনারি জিনিসপত্রে এত বেশি ঢুকে গেছি, যে, এটা এখন অনিবার্যতা। এই হল আমার আর্গুমেন্ট।

    যদি শিশিবোতল লাগে তো একটা বাস্তব উদাহরণ দেওয়া যাক।

    জ্ঞানচর্চার শাখা বি১ এ একটা তত্ত্ব বা তার অংশ হল 'আমেরিকার কালো বাচ্চাদের আইকিউ সাদা বাচ্চাদের চেয়ে কম'। (ক ক্রি খ)।

    এটা ফলসিফায়াবল। টেস্টেবল। আইকিউ বিশেষজ্ঞ বি২ শাখার লোকদের ডাকা হল। তাঁরা প্রশ্ন সেট করে নানা জায়গায় পরীক্ষা নিলেন। তত্ত্বের সঙ্গে মিলে গেল। (এর নানা এক্সপ্ল্যানেশন বেরোলো, জিনতাত্ত্বিক, সামাজিক, তাতে আর ঢুকছিনা)।

    গোল বাধল এরপর। তৃতীয় আরেকটি শাখা বি৩ এসে বলল, ওই আইকিউ টেস্ট বস্তুটাই সাদাদের প্রতি বায়াসড। কালো বাচ্চাদের প্রশ্ন করা হয়েছে (বানিয়ে লিখছি) একটা বাড়িতে কতগুলো ঘর থাকে? তারা অধিকাংশই গরীব, লিখেছে 'একটা', আর গোল্লা পেয়েছে।

    এই যে উদাহরণটা দিলাম, সেটা সত্যের প্রায় কাছাকাছি। প্রশ্ন হল কেন এমন হল? পদার্থবিদ্যার কাছে যেমন 'মহাকর্ষ' তেমনই বিজ্ঞান বি১ এর কাছে, 'আই কিউ' এর মানে ছিল একটি সুনির্দিষ্ট জিনিস, টেস্টে চুরি-জোচ্চুরি জাতীয় গোলমাল না থাকলে যা 'সত্য'। বিজ্ঞান ব২ এর আইকিউ ওয়ালাদের কাছে আইকিউ মানে ছিল একটা পদ্ধতি, যা নিখুঁতভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকে মেপে ফেলে। আর বি৩র কাছে আই কিউ মানে হল বৌদ্ধিক বিকাশ মাপার একটি সামাজিক পদ্ধতি।

    এই কেসে যতক্ষণ না এখানে ব৩ ইন্টারভেন করল, ততক্ষণ ফলসিফায়াবিলিটি কোনো অর্থই বহন করেনি। এবং জেনেরিক আর্গুমেন্টটা হল, ফলসিফায়াবিলিটি ইন্টার ডিসিপ্লিনারি কাজ্কর্মের ক্ষেত্রে কোথাওই নিয়ে যায়না।

    এই হল পুরোটা। এর পরে বলি। ডিসির সঙ্গে একমত, যে, এর পরেও ফলসিফায়াবিলিটি ব্যবহার করা উচিত, করা হয়ও (যেমন স্ক্রু বানানোর কাজে কেউ কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করেনা, নিউটনই ব্যবহৃত হন)। কিন্তু এর লিমিটেশনগুলি মাথায় নিয়ে চলা উচিত। এই দিয়ে গাঁটের মতো 'ছহি বিজ্ঞান' খোঁজার কোনো মানে নেই।
  • ranjan roy | 132.162.118.207 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৫৫723172
  • এই প্রথম ঈশানের বক্তব্যটি বুঝতে পেরেছি মনে হচ্ছেঃ)); স্ক্রু-নিউটন উদাহরণটা আমার মত গোলা লোকজনের জন্যে একেবারে খাপে খাপ!
    এতক্ষণ পপারকে ঈশান নস্যাৎ করতে চাইছে এরকম কিছু মনে হচ্ছিল। বুঝলাম ওর আপত্তি পপারের ইয়ারডস্টিকের সীমা নির্দেশ না করে" ফলসিফায়েবল ক্রাইটেরিয়ন" কে প্রায় অ্যাক্সিয়মেটিক বা কোন তত্ত্বকে 'ইহা বিজ্ঞান" বলে সার্টিফিকেট পাবার জন্যে নেসাসারি কন্ডিশন ধরে নেওয়ায়।
    T, যা বুঝছি, বলছেন যে ওই ক্রাইটেরিয়ন 'নেসাসারি' অবশ্যই কিন্তু 'সাফিশিয়েন্ট' নয়। নেসাসারি টেস্ট যারা, মানে যে তত্ত্বগুলো, পাশ করবে শুধু তাদের ক্ষেত্রেই সাফিশিয়েন্ট কন্ডিশনের প্রশ্ন উঠবে, এবং সেগুলো বিষয়-স্পেশিফিক হবে।
    এবার T ও dc র পাল্টার জন্যে অধীর আগ্রহে ইত্যাদি।
    রোববার সকালে বেশি ঘুমোবেন না।ঃ))
  • cm | 127.247.98.173 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:২৩723173
  • বাঃ নেসেসিটি এবং সাফিসিয়েন্সি এসেছে। এই বার দেখি এই অংশটুকু, "এইবার বিজ্ঞান বি১ আর বি২ যদি এই তত্ত্বের প্রসঙ্গে ইন্টার‌্যাক্ট করে, তাহলে ফলসিফিকেশনের পদ্ধতি নিয়েই গোল বেধে যাবে। ক মানে কী? ক১ না ক২? সেই অনুযায়ী ফলসিফায়াবিলিটিও বদলাবে। আমরা পপার পরবর্তী যুগে ইন্টারডিসিপ্লিনারি জিনিসপত্রে এত বেশি ঢুকে গেছি, যে, এটা এখন অনিবার্যতা। এই হল আমার আর্গুমেন্ট।" ফলসিফায়েবিলিটির অপরিহার্যতা নিয়ে মারামারি নেই বলেই মনে হচ্ছে।
  • T | 190.255.241.66 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৮723174
  • পয়েন্ট একের উত্তর: বাংলা ভাষার আড়াল নিয়ে এই সব গা জোয়ারিপনা করলে কিছু করা যাবে না ঈশানদা। 'বিজ্ঞানের সাধারণ গুণবিচার' টার্মটা তুমিই ইউজ করেছ। দায়টা তোমার। এবার তুমি আমার কোন স্পেসিফিক অংশ পড়ে কি বুঝে লিখেছ সে আমি কি করে জানব? তুমি আগে কি বলতে চেয়েছ বল, তারপর না হয় ডিসি বুঝবেন।

    পয়েন্ট দুয়ের উত্তরঃ এটা আমি না দিলেও হত, কারণ ডিসির দিকেই যখন যাচ্ছে। তাও লিখি। ব্যাপারটা 'হেলে' সংক্রান্ত। "মহাকর্ষের কারণে সব গ্রহ ও নক্ষত্র একে অপরের চারিদিকে ঘোরে" হুকসের এই প্যারাফ্রেজিত কোট ফলসিফায়েবল কিনা দেখা যাক। পরীক্ষার মাধ্যমে যদি দেখা যায় যেকোনো দুটো মহাজাগতিক বস্তু একে অপরের চারদিকে ঘোরে না, তাহলে নতুন স্টেটমেন্ট দাঁড়াবে, মহাকর্ষের কারণে 'সমস্ত' গ্রহ নক্ষত্রই একে অপরের চারিদিকে ঘোরে না। কিন্তু 'মহাকর্ষের কারণ' কে কিভাবে পরীক্ষা করা যাবে? যদি সমস্ত মহাজাগতিক বস্তুও একে অপরের চারিদিকে ঘুরত তাহলেও বলা যেত না যে সেটা মহাকর্ষের জন্য ঘুরছে। মহাকর্ষকে ঈশ্বর দিয়ে রিপ্লেস করে দিলেও একই হত। অর্থাৎ মহাকর্ষ ব্যাপারটার মীমাংসা হ'ল না। এইটা যা এখন ঈশানদা বলছে, তাই অনেকদিন আগে পপার নিজেই বলেচে। ঃ) আমি লিখেওছি। ঈশানদা নিশ্চয়ই দেখেনি। আরেকবার লেখা হ'ল

    Name: T

    IP Address : 165.69.191.249 (*) Date:15 Sep 2016 -- 01:20 PM
    পপার সেসময় প্রচন্ড প্রভাবিত হয়েছিলেন আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের প্রমাণ নিয়ে। বহুদূর থেকে আসা একটা আলো বাঁক নিচ্ছে, এবং শুধু তাই নয় একেবারে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুযায়ী প্রেডিকশন মিলিয়ে এইটা ওঁকে ভাবিয়েছিল। যদি আলোর বাঁক না ঘটত তাহলে (ধরে নিচ্ছি এডিংটন নিরপেক্ষ থাকতেন) আইনস্টাইনকে থিয়োরী ছুঁড়ে ফেলতে হত, কিন্তু আঁক অনুযায়ী মিললেও আপেক্ষিকতা কে তুমি কিন্তু 'ঠিক' বলতে পারবে না। কারণ আলো যে অন্য কোনো কারণে বাঁকে নি, তার প্রমাণ হয় নি। তো থিয়োরীর ভেরিফিকেশন সম্ভব নয়, একমাত্র ফলসিফিকেশন সম্ভব। এই অ্যাসিমেট্রিক ট্রিটমেন্ট ভিয়েনা স্কুলের অন্য জনতা কিন্তু পছন্দ করে নি।

    অর্থাৎ পপার 'রহস্যময় ঈশ্বর' কে কোনোভাবেই এক্সক্লুড করেন নি। বরং ধরে রেখেছেন। উনি মহাকর্ষকে ঈশ্বর দিয়ে রিপ্লেস করার সুযোগ দিয়ে রেখেছেন। এইজন্য পপারকে টেনে আনা হয়েছিল, কারণ উনি ঈশ্বরের কোনো লজিক্যাল কনস্ট্র্যাক্ট তৈরী হলে তাও ফলসিফায়েবিলিটির আওতায় আসতে পারে। ভেরিফিকেশন এবং ফলসিফিকেশন দুটো আলাদা স্কুল অব থট। ঈশানদা মোস্ট প্রবাবলি গুলিয়েছে।

    অবশ্য মহাকর্ষ বা বিগ ব্যাং অবধি যাওয়ার দরকার ছিল, নাম্বার সিস্টেমই তো সাংঘাতিক রহস্যময় লজিক্যাল কনস্ট্র্যাক্ট।

    তিন নম্বর পয়েন্টের উত্তর পরের পোস্টে দিচ্ছি। আমার না দিলেও চলত অবশ্য ডিসির দিকে যখন যাচ্চে। :)
  • dc | 132.174.191.71 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০২723175
  • রঞ্জনদা ঃ)

    ঈশান "মহাকর্ষ" নিয়ে সুন্দর শুরু করেছিলেন, কিন্তু অল্প এগিয়েই ছেড়ে দিলেন কেন? এটা একটু বড়ো করে লিখি (আপনার ভাষায়, কমন পড়ে গেছে ঃ))

    স্কুলে নিউটোনিয়ান গ্র্যাভিটি যা পড়ানো হয়, সেটা হলো মূলত গ্র্যাভিটির নিউটোনিয়ান ল, বা ইনভার্স স্কোয়ার ল। এই ল তে G এর ভ্যালু প্রথম এক্সপেরিমেন্টালি বার করেন ক্যাভেন্ডিশ, পরে অবশ্যই আরো অনেক এক্সপেরিমেন্ট হয়। এই অংশটুকু ফলসিফায়েবল। কিন্তু নেচার অফ গ্র্যাভিটি নিয়ে নিউটন সেরকম কিছু বলতে পারেননি। বিশেষ করে, নিউটনের মতে গ্র্যাভিটি ইন্সট্যানটেনিয়াসলি আর অসীম দূরত্বে অ্যাক্ট করতে পারে, মানে অ্যাকশান অ্যাট এ ডিসট্যান্স। যদিও এই দুটো নিয়ে নিউটনের নিজেরই অস্বস্তি ছিল। কিন্তু "সায়েন্স" যেহেতু "পবিত্র গ্রন্থ" নয়, তাই এটা নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। কয়েক শতাব্দী এই বিতর্ক চলে (পুরো মনে নেই, তবে এইসব বিতর্ক নিয়ে আমার দুয়েকটা হিস্টরি অফ সায়েন্স বই আছে, চাইলে পাঠিয়ে দিতে পারি)। শুধু নেচার অফ গ্র্যাভিটি না, নিউটনের ল নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট চলতেই থাকে, কারন আবারও, সায়েন্স কোন পবিত্র গ্রন্থ না, কোথাও থেমেও থাকে না। আর আস্তে আস্তে দেখা যেতে পারে, নিউটনের ল দিয়ে যেসব প্রেডিকশান করা যায়, সেইসব প্রেডিকশানে একটা সূক্ষ গ্যাপ আসছে। এর মধ্যে সবথেকে বিখ্যাত মঙ্গলগ্রহের অরবাইটালের পেরিহেলিয়নের প্রিসিশান, যা কিনা নিউটোনিয়ান ল এর প্রেডিক্শানের থেকে প্রতি একশো বছরে ৪৩ আর্কসেকেন্ড ডেভিয়েট করে। কাজেই, পপারিয়ান ফলসিফায়েবিলিটির মাপকাঠি পেরোতে পারলেও, নিউটনের ল অবসার্ভেবল প্রেডিকশানের মাপকাঠিতে ফেল করতে শুরু করে।

    এরপর নানান নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে যায়, অবশেষে আইনস্টাইন তাঁর জেনারাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি প্রোপোস করেন। এবং তাঁর মতো করে নেচার অফ গ্র্যাভিটির ব্যাখ্যা করেন। আইনস্টাইন বলেন, গ্র্যাভিটি অন্য তিনটে ফোর্সের ধরনের থেকে আলাদা। এর উদ্ভব হয় কোন বস্তু তার ভরের দ্বারা চারপাশের স্পেসটাইমকে ইনফ্লুএন্স করে বলে (রাবার শিটের ভুলে ভরা অ্যানালজি খেয়াল করুন)। ভর যতো বেশী, ইনফ্লুয়েন্সও ততো বেশী, অর্থাত গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্সও ততো বেশী। আইনস্টাইনিয়ান গ্র্যভিটির দুটো অ্যাডভান্টেজ ছিলো।
  • dc | 132.174.191.71 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০৩723176
  • ওঃ T ও লিখতে শুরু করেছেন।
  • ঈশান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:২১723177
  • টি। যুক্তি দিয়ে কথা হচ্ছে, কোথায় যুক্তিতে আটকাচ্ছে সেটা লেখো। এই 'গা-জোয়ারি' জাতীয় অর্থহীন কথাবার্তা লিখলে তো উত্তর দেওয়া সম্ভব না।

    তুমি সম্ভবত প্রচুর লিখছ এবং পড়ছনা। পড়লেও মন দিচ্ছনা। 'বিজ্ঞানের সাধারণ গুণ' -- এর ইংরিজি হল (ডিসি আগেই লিখেছেন), জেনারাল ক্যারেক্টারিস্টিক্স বা ক্রাইটেরিয়া। তুমি একটা সাধারণ গুণ বা জেনারাল ক্রাইটেরিয়া সেট করেছ বিজ্ঞানের। সেটার নাম পপার। সেটার ভিত্তিতে তুমি কোনটা বিজ্ঞান, আর কোনটা নয় স্থির করছ।

    পদ্ধতিটা এরকম। বিজ্ঞানের সাধারণ গুণ হল তারা পপারানুসারী। অতএব যা পপার মানেনা, তা বিজ্ঞান নয়। এটা তোমারই যুক্তিপরম্পরা। নিজের কাছে নিজের যুক্তিই শিশিবোতল লাগতে শুরু করলে তো মুশকিল। তোমার কথাগুলোও কি আমি বলে দেব? তোমার এই কথাটাতেই আমার মতপার্থক্য। বলাতেই আমার একমাত্র অবজেকশন, সেইজন্যই তক্কোটা শুরু। নইলে তক্কো করার কিছু ছিলনা।
  • dc | 132.174.191.71 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:২৩723178
  • আসলে ঘুম চোখে লিখতে শুরু করেছিলাম, তারপর এটা সেটা করে আবার লিখে পোস্ট করেছি, cm আর T এর পোস্টগুলো দেখিনি।

    যাই হোক, প্রথম অ্যাডভান্টেজ হলো, অ্যাকশান অ্যাট এ ডিসট্যান্স আর ইনস্ট্যানটেনিয়াস অ্যাকশান, এই দুটোই আইনস্টাইন বাদ দিয়ে দিলেন। কিভাবে? ধরা যাক বল ১ ও বল ২ পরষ্পরকে প্রদক্ষিণ করছে। এবার কোনভাবে বল ১ র ভর হঠাত পাল্টে গেল (কিভাবে সেটা আলোচ্য বিষয় না)। এর এফেক্ট কি হবে? বল ১ তার চারপাশের স্পেসটাইমে আলোড়ন তৈরি করবে আর সেটা ঢেউয়ের মতো চারিদিকে আর চারিসময়ে ছড়িয়ে পড়বে। অর্থাত গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ। (ইনসিডেন্টালি, এই গ্র্যাভিটি ওয়েভ রিসেন্টলি আবিষ্কার হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে, যা কিনা গেনারাল রিলেটিভিটির প্রেডিকশানের আরেকটা এক্সপেরিমেন্টাল ভ্যালিডেশান)। তো এই ওয়েভের একটা নির্দিষ্ট ট্রাভেল টাইম আছে, ফলে এটা ইনস্ট্যানটেনিয়াসও না, আর অসীম দূরত্বেও কাজ করেনা। তো আগের সেই "রহস্যময়" গ্র্যাভিটি তার কিছুটা রহস্যময়তা হারালো। আবারও খেয়াল করুন, "সায়েন্স" কোন পবিত্র গ্রন্থ নয়, ধারাবাহিক ভাবে আগের নলেজসমূহ বারবার রিভিউ হতে থাকে।

    দ্বিতীয় অ্যাডভান্টেজটা হলো, নিউটনের প্রেডিকশানের যে ডিসক্রেপ্যান্সি, সেটাই জেনারাল রিলেটিভিটিতে অনেকটা দূর হলো। মার্কারির অরবিটের আরো নিখুঁত ভ্যালু পাওয়া গেলো। আর এইটা কিন্তু আমাদের আর্গুমেন্টের একটা ক্রুশিয়াল অংশ। দুটো থিওরি আছে, একটা নিউটোনিয়ান আর আরেকটা আইনস্টাইনিয়ান। এই দুটোতেই কিছু ফলসিফায়েবল প্রেডিকশান পাওয়া সম্ভব। এবার এক্সপেরিমেন্ট করে দেখা গেল আইনস্টাইনিয়ান থিওরির প্রেডিকশান সমূহ নিউটোনিয়ান থিওরির প্রেডিকশান সমূহের থেকে বেশী অ্যাকিউরেট। তাহলে জেনারাল রিলেটিভিটি রিয়েলিটি কে ডেসক্রাইব করার জন্য বেটার মডেল, কাজেই সেটিকেই অ্যাকসেপ্ট করা হলো।

    ""ঈশ্বরের ইচ্ছা"র পরিমাপ করা যায় কিনা সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু মহাকর্ষ এখানে এক রহস্যময় বস্তু, যা কেবল এক লজিকাল কনস্ট্রাক্ট, অবিকল ঈশ্বরেরই মতো।"

    আপনার এই কনক্লুশানটা কেন ভুল মনে হয় বুঝতে পেরেছেন। "সায়েন্স" এ ফিক্সেড লজিকাল কনস্ট্রাক্ট কিছু নেই। ক্রমাগত প্র্যালোচনা চলে। ভবিষ্যতে যদি দেখা যায় অন্য কোন থিওরি জেনারাল রিলেটিভিটির থেকেও ভালোভাবে রিয়েলিটিকে ডেসক্রাইব করে, আরো নিখুঁত ফলসিফায়েবল প্রেডিকশান করে আর সেই প্রেডিকশান যদি এক্সপেরিমেন্টালি ভেরিফাই করে সঠিক দেখা যায়, তাহলে পপারিয়ান প্যারাডাইম মেনে সেই নতুন থিওরিকেই অ্যাক্সেপ্ট করা হবে। জেনারাল রিলেটিভিটি সেই নতুন থিওরির সাবসেট হয়ে যাবে (যেমন নিউটোনিয়ান গ্র্যাভিটি হয়েছে) বা হয়ত একেবারেই রিজেক্টেড হয়ে যাবে।
  • dc | 132.174.191.71 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:২৬723179
  • রোববারের বাজার করে আসি, তারপর আবার লিখব। ঈশানের দ্বিতীয় পোস্ট নিয়ে অন্য টইতে কিছুটা লিখেছিলাম, সেটাও দেখে নেব।
  • dc | 132.174.191.71 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:২৭723181
  • *ক্রমাগত পর্যালোচনা চলে।
  • ঈশান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩০723182
  • এইটা ভালো হয়েছে। :-)

    টি লেখেছেঃ "অর্থাৎ পপার 'রহস্যময় ঈশ্বর' কে কোনোভাবেই এক্সক্লুড করেন নি।
    বরং ধরে রেখেছেন। উনি মহাকর্ষকে ঈশ্বর দিয়ে রিপ্লেস করার সুযোগ দিয়ে রেখেছেন।"

    আর ডিসি লিখেছেনঃ "ঈশ্বরের ইচ্ছা"র পরিমাপ করা যায় কিনা সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু মহাকর্ষ এখানে এক রহস্যময় বস্তু, যা কেবল এক লজিকাল কনস্ট্রাক্ট, অবিকল ঈশ্বরেরই মতো।"

    আপনার এই কনক্লুশানটা কেন ভুল মনে হয় বুঝতে পেরেছেন।"

    অর্থাৎ, পপারের মতে একই সঙ্গে আমি ভুল এবং ঠিক (পপার সেটা আগেই বুঝে ফেলেছিলেন)। আগে আপনারা দুজনে এটা ফয়সালা করুন।

    তবে এগুলো আমার বক্তব্যের ক্রিটিসিজম কিছু হচ্ছেনা। আমি এই লাইনে বলিইনি। আমার জেনারাল আর্গুমেন্টটা পড়ুন। আমি পপার নই ঠিকই কিন্তু এতটা অমনোযোগেরও যোগ্য না। :-)
  • dc | 132.174.191.71 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩২723183
  • এই যাঃ ভুল করে অরবিটকে অরবাইটাল লিখে দিয়েছি।

    এবার পাঁটার খোঁজে না বেরোলেই নয়।
  • cm | 127.247.98.173 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৯723184
  • কিন্তু ঈশেনবাবু ফলসিফায়েবিলিটির অপরিহার্যতা যখন মেনে নিয়েছেন, তখন গোল মিটে গেছে।
  • T | 190.255.241.66 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৪723185
  • তিননম্বর পয়েন্টের উত্তরঃ

    ঈশানদা মেনে নিচ্ছে যে, বিজ্ঞানের কোনো শাখার একটি বর্গশৃঙ্খল আছে। এখানে বর্গ শৃঙ্খল বলতে নিশ্চয়ই কতগুলো আরবিট স্টেটমেন্ট ধরা হচ্ছে না। যেমন, ঈশানদার ভাষায় দুটো বৈজ্ঞানিক বর্গ ধরা যাক। অ্যাকসিলারেশন আর হাইড্রোজেন। এইবার 'ক্রি' হিসেবে নিশ্চয়ই এইদুটোর মধ্যে হাবিজাবি কিছু টানা যাবে না। তো, নিশ্চিত ভাবেই ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট ক ক্রি খ দিয়ে একটি সেট অব রুলস গড়ে উঠল যাকে ঈশানদা বলছে বি১। বর্গের উদাহরণ হিসেবে এখানে 'কালো বাচ্চার বুদ্ধি' এবং 'প্রতিটি বস্তু' ধরা হয়েছে। লক্ষ্য করুন 'প্রতিটি বস্তু' এই বর্গটি আবার নির্ধারিত হয়ে আছে 'বস্তু' কি সেই ডেফিনিশনের উপর। আবার 'কালো বাচ্চার বুদ্ধি' ডিপেন্ড করে আছে 'কালো' র ডেফিনিশন, 'বাচ্চা' এবং 'বুদ্ধি' র ডেফিনিশন এর উপর। অর্থাৎ জটিল ও সরল বর্গ সম্ভব। 'জটিল' কিছু অতি আবশ্যিক ভাবেই সরলগুলোর উপরে নির্ভর করে আছে।

    লক্ষ্য করুণ ঈশানদার পোস্টে 'জ্ঞানচর্চার শাখা বি১' লেখা হয়েছে 'বিজ্ঞান চর্চার শাখা বি১' লেখা হয় নি। এইখানে ক্যাচ রয়েছে।
    'কালো বাচ্চার বুদ্ধি সাদা বাচ্চার থেকে কম' এইটে কিন্তু সিঙ্গুলার স্টেটমেন্টই না। কারণ এর মধ্যে একটি জটিল বর্গ 'বুদ্ধি' ঢুকে আছে যার মীমাংসা এখনো হয় নি। কারণ বি৩ র জনতা এসে অন্য দাবী করছে। আগে এইটার মীমাংসা হলে তারপর স্টেটমেন্টটি ফলসিফায়েবল কি নন ফলসিফায়েবল সে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়। তারপর তো বিজ্ঞান এবং ততক্ষণ না অবধি স্রেফ জ্ঞানচর্চা।

    বস্তুতঃ এইটেই দাবী। যাতে বি৩ র ক্যাঁচোরম্যাঁচোর এড়ানো যায় সেজন্য যদ্দুর সম্ভব প্রিসাইস হতে হবে। এইটা অন্যটইতে পাইদির প্রশ্নের উত্তরেই লিখেছিলাম। যে, কিছু সাবজেক্টকে বিজ্ঞান বললে নিজেদের মধ্যে এই কন্ট্রাডিকশনটার আগে মীমাংসা করতে হবে।

    কিন্তু বিজ্ঞান শুধুমাত্র কালেকশন অব ফলসিফায়েবল স্টেটমেন্ট তো নয়। ফলসিফায়েবল স্টেটমেন্টের পর আসবে প্রেডিকশন ও এক্সপেরিমেন্ট রেজাল্ট মিললো কিনা, সেটাও তো এরপর আসবে। এগুলো ট্রিভিয়াল। 'এরিয়া ৫১ এ এলিয়েন আছে'। এইটা ফলসিফায়াবল স্টেটমেন্ট, কিন্তু এইটেই বিজ্ঞান নয়। :)

    আর ঈশানদা, পপারের থিয়োরীর কি সমস্যা সে বহু আগে একটা পোস্টে আমি লিখেছি। উদাহরণ,
    Name: T IP Address : 165.69.191.249 (*) Date:15 Sep 2016 -- 02:35 PM

    সুতরাং বলতে পারো, 'গাঁট' নই। ঃ)
  • ঈশান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৩723186
  • নানা অপরিহার্যতা ওইভাবে মানিনি তো। আমার মূল বক্তব্য, ছোটো করেঃ ইন্টারডিসিপ্লিনারি জ্ঞানচর্চার জগতে বিশুদ্ধ ফলসিফায়াবিলিটি একটি অনির্ভরযোগ্য প্রকরণ। অনির্ভরযোগ্যতাটুকু মাথায় রেখে আরও অন্যান্য প্রকরণের মতই ব্যবহার্য।

    এটা শুধু জ্ঞানতাত্বিক প্রকরণ (মেথডলজি) হিসেবে 'ফলসিফায়াবিলিটি'র সমালোচনা। আর কিচ্ছু না। কাউন্টার আর্গুমেন্ট দিলে সেভাবেই দিতে হবে। এবার এর সঙ্গে অন্টোলজি গুলিয়ে ফেললে হবেনা। পপার বিজ্ঞানের এই চলন পুরোটাই আগে বুঝে ফেলে থাকতে পারেন, বা আমি পপারের কিচ্ছু বুঝিনা, দুইই সম্ভব। কিন্তু সেগুলো এটার কাউন্টার আর্গুমেন্টে বিচার্যই না।
  • ঈশান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৫723187
  • আগেরটা সিএমকে লিখলাম। কিন্তু এভাবে ঘেঁটে যাচ্ছে। টি, ডিসি লেখা শেষ করলে লিখব আবার। যদি কিছু লেখার থাকে। আপাতত বিরতি।
  • cm | 127.247.98.173 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৭723188
  • এই ভাবে লিখুন, (A ⇒ B) ⇔ ( ¬(B)⇒¬(A)) জায়গামত বিজ্ঞান, পপার বসিয়ে।
  • T | 190.255.241.66 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৯723190
  • তো দেখাই যাচ্ছে যে, আমি বিজ্ঞানের কিছু সাধারণ গুণ বা ক্যারাকটারিস্টিক্স হিসেবে ফলসিফায়েবিলিটি এইরম বলিনি। কারণ প্রচুর ফলসিফায়েবল স্টেটমেন্ট হয় যারা বিজ্ঞান নয়, উপরের উদাহরণেই আছে। এর আগেও উদাহরণ দিয়েছি,
    Name: T IP Address : 190.255.241.97 (*) Date:17 Sep 2016 -- 08:53 AM
    এতো 'সব ক্ষার ক্ষারক নয় কিন্তু সব ক্ষারকই ক্ষার' না ওইরম কি একটা হয়ে গেল। এইতো রঞ্জনদা বুঝেছেন।
    এবং দেখাই যাচ্ছে যে এইকথা আমি ক্রমাগতই বলে আসছি। তো এইবার তুমি বলে দিলে ঐতো টি বিজ্ঞানের সাধারণ গুণ বিচার কত্তে গিয়ে ফলসিফায়েবলিটিকে ধরছে। তো এটাকে তো গা জোয়ারিই বলব নাতো কী বলব! যাক গে।

    শোনো, একদম প্রথম পোস্ট থেকেই যেটা বলেছি সেটা হচ্ছে যে বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বা অন্যান্য কিছুকে বিচার করছি এই অ্যাপ্রোচটা নিচ্ছিই না। গ্রহণ কেন হয় সেটা জানি তাই রাহু কেতু এইসব ঢপ, এইটা বলছিই না। উলটে বলছি, ধর্ম বা লৌকিক সংস্কার বা কুসংস্কার বা হ্যানা ত্যানা এই ফলসিফিকেশনের অ্যাপ্রোচটা নিক। কালেকশন অব সিঙ্গুলার স্টেটমেন্ট তৈরী করুক, দেখাক যে স্টেটমেন্ট গুলো কনসিস্টেন্ট এবং এইসবের ভিত্তিতেই নিজেদের প্রতিষ্টিত করুক, বিজ্ঞানের কিচ্ছু বলার থাকবে না। সেইজন্যই লিখেছিলাম যে পপার বিজ্ঞান ও নন-বিজ্ঞান সমস্ত কিছুকে একটা লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড ছুঁড়ে দিয়ে চলে গেছেন।
  • cm | 127.247.98.173 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৯723189
  • তাহলে আমি অন্তত পক্ষে এরকম একটি বৈজ্ঞানিক চর্চার উদাহরণ দাবী করব যেখানে ফলসিফায়েবিলিটির উল্লেখ নেই/ ব্যবহৃত হয়নি।
  • cm | 127.247.98.173 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:০০723193
  • বলা ভাল স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক চর্চা।
  • ঈশান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:০৭723194
  • "তো দেখাই যাচ্ছে যে, আমি বিজ্ঞানের কিছু সাধারণ গুণ বা ক্যারাকটারিস্টিক্স হিসেবে ফলসিফায়েবিলিটি এইরম বলিনি। কারণ প্রচুর ফলসিফায়েবল স্টেটমেন্ট হয় যারা বিজ্ঞান নয়, উপরের উদাহরণেই আছে।"

    এইটা আবার কী হল। বিজ্ঞানের সাধারণ গুণ ফলসিফায়াবিলিটি। সেটা না থাকলে বিজ্ঞানই না। তার মানে আর কারো সে গুণ থাকতে পারবেনা নাকি? রঞ্জনদাও নেসেসারি বলেছেন, আমি তো এগ্রিই করেছি সেটার সঙ্গে।

    তবে তার আগের পোস্টটা ভালো হয়েছে। উত্তর কাল দেব। অনেক টাইপ করতে হবে।
  • T | 190.255.241.66 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৩৬723195
  • নাহ্‌, ডিসি একদম ঠিকই লিখেছেন। তুমি খাপছাড়া করে একটা লাইন তুলে 'এই জিতিলাম' বলে দাবী করলে কি আর করা যাবে। :)

    ডিসি লিখেছেন,

    "আপনার এই কনক্লুশানটা কেন ভুল মনে হয় বুঝতে পেরেছেন। "সায়েন্স" এ ফিক্সেড লজিকাল কনস্ট্রাক্ট কিছু নেই। ক্রমাগত প্র্যালোচনা চলে।"

    এই যে তোমার বক্তব্যটা "ঈশ্বরের ইচ্ছা"র পরিমাপ করা যায় কিনা সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু মহাকর্ষ এখানে এক রহস্যময় বস্তু, যা কেবল এক লজিকাল কনস্ট্রাক্ট, অবিকল ঈশ্বরেরই মতো।" এর বিরুদ্ধে ডিসি বলতে চেয়েছেন ঈশ্বর, সেটি সায়েন্স, হলেও কেবলমাত্র কোনো ফিক্সড লজিক্যাল কন্সট্র্যাক্ট নয়, পরিবর্তনশীল। আমি যা বুঝলাম।

    আর আমি লিখেছি, "অর্থাৎ পপার 'রহস্যময় ঈশ্বর' কে কোনোভাবেই এক্সক্লুড করেন নি। বরং ধরে রেখেছেন। উনি মহাকর্ষকে ঈশ্বর দিয়ে রিপ্লেস করার সুযোগ দিয়ে রেখেছেন।" এই দুটোর মধ্যে বিরোধটা কোথায় হচ্ছে? :)

    মহাকর্ষ থিয়োরী পালটে পালটে যেতে পারে। নো 'ফিক্সড' লজিক্যাল 'কনস্ট্র্যাক্ট'। 'ফিক্সড' ও 'কন্সট্র্যাক্ট' কথা গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর তো। উনিও পাল্টাতে পারেন। রহস্যময়তাও।
  • avi | 233.191.63.3 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:২১723196
  • এই আলোচনাটার সামারি হবে "পপার চ, মমার চ।"
  • dc | 132.174.191.71 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩৪723197
  • "ইন্টারডিসিপ্লিনারি জ্ঞানচর্চার জগতে বিশুদ্ধ ফলসিফায়াবিলিটি একটি অনির্ভরযোগ্য প্রকরণ। অনির্ভরযোগ্যতাটুকু মাথায় রেখে আরও অন্যান্য প্রকরণের মতই ব্যবহার্য।"

    একমত। প্রথম থেকেই বলেছি যে ফলসিফায়েবিলিটি একটা বেসিক প্রিনসিপল। আবার এটাই যে একমাত্র প্রিনসিপল সেটাও বলিনি, আরো কিছু প্রিন্সিপল নিয়ে "সায়েন্স"।

    অন্য টইতে এটাও লিখেছিলামঃ কিন্তু সায়েন্স অ্যাস এ প্র্যাক্টিস যে সবসম্যেই অক্ষরে অক্ষরে সেই রুলস মেনেই হয় তা তো না। বিশেষ করে সোশ্যাল স্টাডিজ, মেডিসিন, অ্যানথ্রোপোলজি ইত্যাদি ফিল্ডগুলোয় যখন অনেকগুলো অবসার্ভেশানের ওপর বেস করে ইন্ডাকটিভ রুল বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন যে পৃথিবীর সমস্ত স্টাডি রিগর মেনে করা হচ্ছে তা তো একেবারেই না! এই পুরো প্রসেসটাই যথেষ্ট কেঅটিক, ভুলে ভরা, নানারকম ইন্টারেস্ট গ্রুপ ইনফ্লুএন্স করার চেষ্টা করে, এগুলো সবকটাই ঠিক। কিন্তু তাও কোথাও একটা চেষ্টা করা হয় যাতে ইন দ্য লং টার্ম অবজেক্টিভিটি যতোটা সম্ভব বজায় থাকে। সেজন্যই, যেমন আপনি বল্লেন, নানারকম মেটাস্টাডিও হয়, কোহর্ট স্টাডিও হয়, নতুন মাপকাঠিও উঠে আসে (যেমন এফেক্ট সাইজ কনসিডারেশান)। পুরোটাই তো চলমান প্রসেস।

    তবে আপনার সাথে প্রথম তর্ক শুরু হয়েছিল আপনার এই বাক্যটা নিয়েঃ "এখন 'পবিত্র গ্রন্থ' এবং যাজকদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। যাদেরকে আমরা যথাক্রমে 'বিজ্ঞান' ও 'এক্সপার্ট' বলি"

    আশা করি বোঝাতে পেরেছি যে 'বিজ্ঞান' কে আমরা 'পবিত্র গ্রন্থ' বলতে পারিনা। বরং উল্টোটাই।
  • Ekak | 53.224.129.52 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৭723198
  • এই উদ্বাহু হয়ে সোশ্যাল স্টাডিস কে সায়েন্স বলা পেছনে ঢুকবে , যেদিন সংখ্যাগুরুর পক্ষে ক্ষতিরক সমস্ত রকম অসমঞ্জস ট্রেইট কে অসুস্থতা বলে দাগিয়ে চিকিৎসার নিদান হবে আর বিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানের নাম মানসিক রোগ। খুব দেরি নেই।
  • ranjan roy | 132.176.179.18 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:২২723199
  • আচ্ছা, আমি ফলসিফায়েড ও ফলসিফায়েবল কে আলাদা করে বুঝতে পেরেছি কি না সেটা বলতে অনুরোধ করছি।
    ফলসিফায়েড= কোন থিওরি/হাইপোথিসিস/প্রোপোজিশন/স্টেটমেন্ট যা ইতিমধ্যে ফলস্‌ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
    ফলসিফায়েবল= কোন থিওরি/হাইপোথিসিস/প্রোপোজিশন/স্টেটমেন্ট (যা ফলস্‌ বা ট্রু যাই হোক) শুধু তার স্ট্রাকচারের গুণে প্রাইমা ফেসি ফলস্‌/ট্রু কি না --ভেরিফায়েবল্‌।
    তাই তো?
    কাজেই ঈশ্বরকে/বিজ্ঞানকে ( অথবা মার্ক্সবাদকে) দার্শনিক স্তরে সত্য/মিথ্যা বলে প্রমাণ করতে হলে আগে দেখতে হবে যে সেটা কীভাবে ডিফাইন করা হয়েছে, বা, যেভাবে ডিফাইন করা হয়েছে তাতে তার ফলসিফায়েবল বৈশিষ্ট্য বজায় আছে কি না?
    যদি থাকে তো "পরীক্ষা প্রার্থনীয়";
    যদি না থাকে তো সেটি বিজ্ঞান বা দর্শনের এরিনার বাইরে ( পপারিয় লজিক হিসেবে)।

    T,
    মোটা দাগে এটাই আপনার বক্তব্য তো?
  • ঈশান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২৭723200
  • ১। টি, শেষ পোস্টটায় কি বলতে চাইল বুঝলাম না। প্রচন্ড অগোছালো এবং পরস্পরবিরোধী লাগল। যাইহোক আরও একবার বলি।

    ডিসি লিখেছেন, "আপনার এই কনক্লুশানটা কেন ভুল মনে হয় বুঝতে পেরেছেন। "সায়েন্স" এ ফিক্সেড লজিকাল কনস্ট্রাক্ট কিছু নেই। ক্রমাগত প্র্যালোচনা চলে।"

    এখানে "আপনার কনক্লুশন" মানে মহাকর্ষ আর ঈশ্বরের ধারণার মিল আছে, সেই কনক্লুশনের কথা বলা হয়েছে। এবং সেই কনক্লুশনটা "ভুল"।

    ওদিকে টি বলেছে, কনক্লুশনটা আগেই পপার করে বসে আছেন। "পপার 'রহস্যময় ঈশ্বর' কে কোনোভাবেই এক্সক্লুড করেন নি। বরং ধরে রেখেছেন। উনি মহাকর্ষকে ঈশ্বর দিয়ে রিপ্লেস করার সুযোগ দিয়ে রেখেছেন।" অর্থাৎ, আমার কনক্লুশনটা "ঠিক"। এই দুটো পরস্পরবিরোধী নয় কেন? আমার কনক্লুশন কিকরে একই সঙ্গে ঠিক এবং ভুল হতে পারে?

    এই প্রশ্নটার উত্তর চাই। পপার, ফলসিফিকেশন ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্করহিতভাবে।

    ২। এবার টি এর দ্বিতীয় দাবী। ডিসি বলতে চেয়েছেন, "এর বিরুদ্ধে ডিসি বলতে চেয়েছেন ঈশ্বর, সেটি সায়েন্স, হলেও কেবলমাত্র কোনো ফিক্সড লজিক্যাল কন্সট্র্যাক্ট নয়, পরিবর্তনশীল।" আমার বুদ্ধি বলে, আপনি ঈশ্বরের ধারণাকে কোনোভাবেই সায়েন্স বলতে চাননি। বরং সায়েন্সের যেকোনো ধারণা, ঈশ্বরের মতো কোনো ফিক্সড লজিকাল কনস্ট্রাক্ট নয়, সেই জন্য আমার "মহকর্ষ অবিকল ঈশ্বরের মতো" বাক্যটি "ভুল" এটাই বলতে চেয়েছেন। কনফার্ম করুন।

    ৩। বলাবাহুল্য, আপনারা দুজনেই "মহাকর্ষ ও ঈশ্বরের ধারণা অবিকল এক", এটা বললে আমার দিক থেকে তক্কের কিছু নেই। এটাই বলছেন কিনা জানান। ডিসি এবং টি, দুজনেই।

    ১, ২, ৩ এর উত্তর পেলে পরের কথা। টি এর একটা ভালো আর্গুমেন্টের উত্তরও একই সঙ্গে।
  • cm | 127.247.99.218 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২৯723201
  • আমার দাবী তুলনায় অনেক সোজা, একখানি উদাহরণ মাত্র।
  • Ishan | 183.24.110.20 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২০723202
  • ঐ তো। মহাকর্ষ। মানে জিনিসটা। মাপটা নয়।
  • dc | 132.164.214.132 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:০৯723204
  • "মহাকর্ষ ও ঈশ্বরের ধারণা অবিকল এক" - আমি এটার উল্টোটা বলছি। মহাকর্ষ আর ঈশ্বরের ধারনা আলাদা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন