এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তুঘলকি শাসন

    mila
    অন্যান্য | ০৮ নভেম্বর ২০১৬ | ৭৬০৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 184.45.155.75 | ২১ মার্চ ২০১৭ ১৫:১৫725382
  • তুল্লাম।
  • dc | 132.174.106.129 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ২০:৪৪725384
  • এটা ইন্টারেস্টিং আর্টিকেলঃ

    https://thewire.in/120346/will-rbi-stop-printing-notes/

    এটা আমিও কিছুদিন ভাবছিলাম যে ডিমনির পর সরকার আগের টাকার সমমূল্যের নতুন নোট ছাপাবে কিনা। যদি সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে যে তার থেকে কিছু কম মূল্যের নোট ছাপাবে, তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে তার সাথে ডিজিটাল ট্র্যানসাকশানের অ্যাওঅ্যারনেস ক্যাম্পেনও চালিয়ে যেতে হবে, তাহলে ক্যাশ কম্পোনেন্ট কমবে।
  • Link | 37.7.201.213 | ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৮725385
  • http://www.anandabazar.com/editorial/poor-community-s-estate-1.600251?ref=editorial-ft-stry
    "ইহার পূর্বে গবেষকরা দেখাইয়াছেন, দরিদ্র মানুষ সরকারি সহায়তাকে কাজে লাগাইয়া জীবনকে উন্নত করিয়াছেন। এমনকী অতি-দরিদ্র পরিবারগুলিকে কোনও জীবিকার প্রশিক্ষণ-সহ অনুদান দিলে তাঁহারাও বাস্তবিক আয় বাড়াইয়াছেন, এবং শুধু তাহাই নহে, সেই বর্ধিত আয় দীর্ঘ দিন ধরিয়াও রাখিয়াছেন। শিক্ষা বা পুষ্টির জন্য সরকারি সহযোগিতা বা অনুদান সেই সব উদ্দেশ্যেই ব্যয় করিয়াছে গরিব পরিবার, অকারণে নষ্ট করে নাই, তাহারও সাক্ষ্য মিলিয়াছে। ব্যাঙ্ক সংযুক্তিতেও গরিবের আগ্রহের প্রমাণ মিলিল। অর্থ মন্ত্রকের তথ্য, বর্তমানে ভারতে আটাশ কোটির অধিক জনধন অ্যাকাউন্টে প্রায় চৌষট্টি হাজার কোটি টাকা জমা রহিয়াছে। জনধন প্রকল্প কার্যকর না হইলে ইহার একটি বড় অংশ নিশ্চিত ব্যাঙ্কের বাহিরে থাকিত। গরিব ব্যাঙ্ক পরিষেবা পাইতে আগ্রহী, এ বার ব্যাঙ্কগুলিকেও গরিবের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হইবে।"
  • d | 59.203.248.39 | ০২ মে ২০১৭ ১৮:১১725386
  • এদিকে কাশ্মীরেও পরপর অ্যাটাক হয়েই যাচ্ছে, দেশের মাঝমধ্যিখানেও মাওবাদী অ্যাটাক হল। ডিমনির ফলে নাকি এগুলো বন্ধ হবে/হয়ে গেছে শুনেছিলাম।

    তা কেউ কিছু নতুন গপ্পো দেবেন নাকি?
  • dc | 132.174.115.36 | ০২ মে ২০১৭ ২২:৩২725387
  • গত কদিনের ঘটনায় আমারও এটাই মনে হচ্ছিল - ঢপবাজ মোদীকে এগুলো নিয়ে কেউ চেপে ধরতে পারেনা? ডিমনির ফলে নাকি সন্ত্রাসবাদ বন্ধ হবে, এইসব গপ্পো ছড়িয়ে দিব্যি পার পেয়ে গেল!
  • pi | 192.66.153.99 | ০২ মে ২০১৭ ২৩:৪৯725388
  • আরে এটা নিয়ে ক'দিন আগে এই লেখাটা পড়েছিলাম, স্ট্যাট দেওয়া আছে।
    https://www.altnews.in/debunking-false-narrative-around-impact-demonetization-naxal-violence/

    কাশ্মীরের স্ট্যাটও একটা লেখায় দেখলাম। এই প্রশ্নগুলো কেউ এদের করেনা ?

    ওদিকে মিন্টের একটা লেখা পড়লাম। ওটা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ছিল। খুঁজে পাই কিনা দেখি।
  • pi | 192.66.153.99 | ০২ মে ২০১৭ ২৩:৫৩725389
  • ওদিকে এটা পড়ে থেকে ডিসিকে বলব ভাবছিলাম। এই দেখুন, তখন বাধ্য হয়ে যে ক্যাশলেসের পথে লোকে হাঁটছিল, বাধ্য হওয়ার ফ্যাক্টর উঠে যাওয়ার পর আবার কেমন ডি-ডিজিটাইজেশন, পুনর্ক্যাশভব হচ্ছে। এরকম ভাবে ঠিকঠাক পরিকাঠামো না বানিয়ে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুতলে এই হয় বোধহয়।

    Despite the Modi government’s efforts to ‘digitise’ the economy forcibly, non-cash payments have declined. This points to major flaws in the Government’s assumptions

    The Modi government began to justify the demonetisation of currency notes in November 2016 in terms of the desired shift towards a “cashless economy”, once it became evident that all the other goals were not going to be met.

    It is also possible, as has been suggested by those familiar with the workings of ‘Catalyst’ — the joint venture between USAID and the Indian Ministry of Finance, funded by major global banks and information technology companies and their foundations — that this was always an underlying motivation for the drastic exercise, since it would force the Indian population willy-nilly into greater use of cashless transactions because of the sheer physical absence of cash.

    Ever since, the Centre has left no stone unturned to promote and incentivise non-cash transactions, and also to restrict or penalise cash transactions. Measures have ranged from the purely coercive (simply not putting enough currency notes back into the system, putting limits on cash withdrawals from bank counters and ATMs, banning cash transactions of more than ₹3,00,000) to the threatening to the placatory (reducing or eliminating charges for such transactions when dealing with official agencies, offering to speed up the installation of point-of-sale machines) to the incentivising (tax benefits and discounts for certain transactions, periodic lucky draws for those who have made cashless transactions)

    বাকিটাও দেখবেন, http://www.thehindubusinessline.com/opinion/columns/c-p-chandrasekhar/how-demonetisation-failed-to-digitise-payments-in-india/article9660561.ece
  • dc | 132.174.161.207 | ০৩ মে ২০১৭ ০৮:১৮725390
  • এই রিপোর্টগুলো প্রায় সবই পড়ি। কিন্তু মাঝেমাঝেই দেখি কনফ্লিক্টিং রিপোর্ট বেরোয়। কিছু কিছু সেক্টরে নাকি ডিজিটাল ট্রানসাকশান বেড়েছে, কিছু কিছু সেক্টরে আগের অবস্থাতেই ফিরে যাচ্ছে। এক জায়গায় পড়েছি যে ডিমনির ফলে নাকি আইটিসির রুরাল হাইপারমার্টগুলোয় ডিজিটাল ট্রান্সাকশানের শেয়ার আগের ৮% থেকে বেড়ে এখন ২১% হয়েছে (এটা মার্চের শেষের রিপোর্ট)।

    আমার মনে হয় এটা একটা ইভলভিং প্রসেস, ডিমনি শকের সাথে সাথেই যে সবার ক্যাশ হ্যাবিট পাল্টে যাবে তা নয়, তিনচার বছর লাগবে। যেমন ধরুন ১৯৭০ এর আর ১৯৮০ এর অয়েল শকদুটোর ফলে পরের অন্তত দশ বছর ধরে নানান এক্সটার্নালিটি জেনারেট হয়েছিল। এক্ষেত্রেও চার-পাঁচ বছর পর রিভিউ করলে হয়তো ধরা পড়বে ওভারল এফেক্ট কি হয়েছে। আর সরকারকে নানারকমভাবে পাবলিসিটি আর ইনসেনটিভ ক্যাম্পেন চালিয়েই যেতে হবে, যাতে লং টার্মে ডিজিটালের শেয়ার কিছুটা বাড়ে।
  • dc | 132.174.161.207 | ০৩ মে ২০১৭ ০৮:২০725392
  • *এটা এপ্রিলের শেষের রিপোর্ট
  • সিকি | ০৩ মে ২০১৭ ০৮:৩৩725393
  • ডিমনির শক না লাগিয়েও কি এই পার্সেন্টেজটা বাড়ানো যেত না? বাড়ত না, ওভার দ টাইম?
  • dc | 132.174.161.207 | ০৩ মে ২০১৭ ০৮:৩৬725394
  • আমার মতে না। শকটা না দিলে মাস লেভেলে অ্যাওয়ারনেস তৈরি হতো না, এমনিতেই ভারতে ক্যাশের পার্সেন্টেজ অ্যাবনর্মালি হাই ছিল, ওরকম একটা পাবলিক ইভেন্ট জেনারেট না হলে ওভার টাইম সেইভাবে বাড়ত না।
  • dc | 132.174.161.207 | ০৩ মে ২০১৭ ০৮:৪১725395
  • কমত না।
  • mila | 22.5.49.74 | ০৩ মে ২০১৭ ২২:২১725396
  • এবারের আই টি রিটার্ন এ প্রশ্ন করছে ২ লক্ষ এর উপর ক্যাশ জমা দেওয়া হয়েছে কিনা ৯থ নভ থেকে ৩১স্ট ডিস এর মধ্যে
    এছাড়াও রিটার্ন এর সাইট এ লগইন করলে ক্যাশ ট্রানসাকশান ২০১৬ বলে একটা অপসন দেখাচ্ছে
  • pi | 174.100.177.10 | ০৮ মে ২০১৭ ১২:৫৫725397
  • .......For months after demonetisation, there was a severe shortage of cash across the country. Though the Reserve Bank of India’s currency presses worked overtime to print enough bank notes to replace those that had been declared illegal, it was simply not enough. At that time, unemployment soared as many manufacturing units cut or curtailed production. Some faced a plunge in demand from clients. Others simply didn’t have enough cash to buy raw materials to keep working. In Delhi’s Mayapuri – the busiest industrial area in the national capital – several thousand factory workers lost their jobs. Six months after demonetisation, many of them have not yet their jobs back.

    No factory jobs in sight
    Women factory workers who lost their jobs have especially found it difficult to resume earning a living again.

    Unlike men who offer their services at labour chowks in industrial areas for daily wages, women workers are often not employed for heavy tasks like loading and unloading of heavy materials and a range of jobs that involve heavy machinery and engineering works, said Rajesh Kumar, general secretary (Delhi), of the Indian Federation of Trade Unions.....

    https://scroll.in/article/836858/six-months-after-demonetisation-those-who-lost-their-jobs-in-delhis-factories-struggle-to-get-work
  • d | 144.159.168.72 | ২৪ মে ২০১৭ ১৫:০৯725398
  • এখানে তুলে রাখি লিঙ্কটা

    ডিসির কথামত ৪-৫ বছর পরে নিশ্চয় এঁরও ভাল কিছুই হবে।

  • সিকি | ২৫ মে ২০১৭ ০৮:০৩725399
  • হ্যাঁ হ্যাঁ, চার পাঁচ বছরে সুফল নিশ্চয়ই বোঝা যাবে।
  • | ০১ জুন ২০১৭ ১৯:৩৯725400
  • এহে কেউ এখনও দেয় নি।

  • pi | 57.15.8.31 | ০১ জুন ২০১৭ ২০:৩৯725401
  • পুরন্দরের লেখাটাও রইল।
    '
    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক এই বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের জাতীয় আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। গরু, গোমাংস, এবং ময়ূরের প্রজননের ভিড়ে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে দেখতে পাচ্ছি, হয়তো সেটাই উদ্দেশ্য ছিল শাসক দলের। অনেকেই তথ্যের কচকচানি বিশেষ পছন্দ করেন না, তার চেয়ে গরু, মন্দির, ময়ূর, প্রিয়াংকা চোপড়া এসবই বেশি মুখরোচক অথবা লড়াই, আন্দোলন, বিপ্লব ইত্যাদি নিয়ে রোমহর্ষক লেখাপত্র। কিন্তু তাও তথ্য নিয়ে একটু আলোচনা প্রয়োজন যেখানে এই তথ্য দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের একটা মাপকাঠি।

    জাতীয় আয় দেশের মোট উৎপাদনের হিসেব দেয়, তাই জাতীয় আয়ের বাড়া কমা দেখে বোঝা যায় দেশের অর্থনীতির হাল কেমন, চাকরির হাল কেমন, মাইনে পত্তরের হাল কেমন হতে পারে। মোদি সরকার নভেম্বর মাসে "ডিমনিটাইজেশন"-এর ঘোষণা করলে বহু অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন যে এতে লাভের লাভ কিছু হবে না উল্টে অর্থনীতির গতি কমে যাবে। মনমোহন সিংহ সংসদে দাঁড়িয়ে ভাষণে বলেন যে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ২% অবধি ধাক্কা খেতে পারে, অর্থাৎ ধরা যাক দেশের জাতীয় আয় হয়তো ৭।৫-৮% হারে বাড়ার কথা কিন্তু নোটবন্দির ফলে সেই বৃদ্ধির হার কমে ৫।৫-৬% হয়ে যাবে। সরকার তখন সে সব যুক্তিকে পাত্তা দেয়নি। তারপর গত মার্চ মাসে ২০১৬-এর অক্টবর থেকে ডিসেম্বরের জাতীয় আয়ের তথ্য প্রকাশ হয় এবং তাতে দেখা যায় যে জাতীয় বৃদ্ধির হার ৭%-এ রয়েছে। সেই দেখিয়ে সরকার দাবি করে যে নোটবন্দির তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। কিন্তু গতকাল প্রকাশিত হওয়া জানুয়ারি-মার্চের জাতীয় আয়ের তথ্যতে দেখা যাচ্ছে যে এই তিন মাসে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ৬।১% নেমে দাঁড়িয়েছে। নোটবন্দির প্রভাব সম্পূর্ণভাবে আগের তিন মাসের তথ্যতে ধরা পড়েনি, জানুয়ারি-মার্চ-এর তথ্যে বরং সেটা প্রকট। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, যে কোনো ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই হিসেবের খাতা সবসময় পিছিয়ে থাকে অর্থাৎ যে সমস্ত লেনদেন আগের মাসে হয়েছে তা হিসেবের খাতায় উঠতে উঠতে পরের মাস হয়ে যায়। যেহেতু জাতীয় আয় মাপার সময় বিভিন্ন শিল্প এবং বাণিজ্য সংস্থার মোট উৎপাদন ও ব্যবসার হিসেবকে একত্রিত করা হয় তাই এই হিসেবের ক্ষেত্রেও "পিছিয়ে" থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই অক্টবর-ডিসেম্বরের জাতীয় আয়ের হিসেবে নোটবন্দির প্রভাব খুব একটা ধরা পড়েনি, পড়েছে জানুয়ারি-মার্চে।

    এবার প্রশ্ন আসে যে কতটা প্রভাব পড়লো? হিসেবে কি বলছে? অর্থনীতির হিসেবের সুবিধের জন্য প্রতিটা অর্থবর্ষকে ৩ মাসের মোট ৪ টি অংশে ভাগ করা হয়। এগুলোকে বলা হয় "কোয়ার্টার", ছোট করে ""। এপ্রিল থেকে জুনকে বলা হয় -১, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর -২, অক্টবর থেকে ডিসেম্বর -৩, জানুয়ারি থেকে মার্চ -৪। ২০১৬-১৭ তে এই কোয়ার্টারগুলির জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার যথাক্রমে -১ঃ ৭।৯%, -২ঃ ৭।৫%, -৩ঃ ৭%, এবং -৪ঃ ৬।১%। অর্থাৎ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে নোটবন্দির পর জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ক্রমশ গতি হারিয়েছে। আরেকটু পিছিয়ে দেখলে আরো পরিষ্কার হবে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে চারটি কোয়ার্টারে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৭।৯%, ৮%, ৭।৬%, এবং ৮।৩%। অর্থাৎ গত বছরের নভেম্বর মাসের আগে অবধি অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার মোটের ওপর ৭।৫% ওপরেই ছিল, নোটবন্দির পর তা কমে ৭% এবং তারপর আরো কমে ৬।১% নেমে আসে। এর ফলে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের গোটা বছরের জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ৭% তে দাঁড়াবে। এই হার ২০১৫-১৬ তে ছিল ৮% এবং ২০১৪-১৫ তে ছিল ৭।৫%।

    তবে ৭% আয় বৃদ্ধির হার শুনতে তেমন খারাপ লাগে না। কিন্তু সেখানে আবার অন্য গল্প আছে। ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা, যারা জাতীয় আয়ের হিসেব নিকেশ করে থাকে, তারা ২০১৪ তে জাতীয় আয় মাপবার পদ্ধতি বদলে দেয়। এই পদ্ধতির পরিবর্তনের ফলে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার আগের চেয়ে বেড়ে যায়। যখনই এরকম জাতীয় আয় মাপার পদ্ধতির বদল ঘটে তখন তার আগের বছরগুলোর জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যান নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী মেপে প্রকাশ করা নিয়ম যাতে আগের বছরের সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচার করা যায়। কিন্তু মজার বিষয় হলো এই নতুন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় মাপার উপায় দিয়ে শুধু ২০১১-১২, ২০১২-১৩, এবং ২০১৩-১৪ - এই তিনটি পুরোনো বছরের জাতীয় আয়কে মেপে প্রকাশিত করা হয়েছে এখনো অবধি, তার আগের বছরগুলোর হয়নি। অর্থাৎ মাত্র এই তিন বছরেরই পুরোনো এবং নতুন পদ্ধতি - দুটো দিয়েই জাতীয় আয়ের মাপ আমাদের কাছে রয়েছে তার আগের বছরের গুলোর নেই। তাই আমাদের পক্ষে হিসেব করা সম্ভব নয় যে ইউপিএ জমানায় নতুন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার কত ছিল, মোদি জমানার চেয়ে বেশি ছিল না কি কম। তবু, ওই তিনটি বছরের জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার দেখে কিছুটা আন্দাজ করা যেতে পারে যে পুরোনো না নতুন কোন পদ্ধতিতে আয় বৃদ্ধির হার বেশি হয়। তাই যদি করা হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ তে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার পুরোনো পদ্ধতিতে যেখানে যথাক্রমে ৪।৭% এবং ৫%, সেখানে নতুন পদ্ধতি অনুযায়ি বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৫।৭% এবং ৬।৬%। অর্থাৎ নতুন পদ্ধতি বৃদ্ধির হারকে এক শতাংশেরও বেশি বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদি ধরে নেওয়া হয় যে এটাই দস্তুর তাহলে ইউপিএ জমানার ১০ বছরের ভেতর ৮-টি বছরেই জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার মোদি জমানার চেয়ে অনেকটাই বেশি হবে কারণ পুরোনো পদ্ধতিতেই ইউপিএ জমানায় বার্ষিক জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৭।৯%, ৯।৩%, ৯।৪%, ৯।৮%, ৮।৫%, ১০।৩%, ৬।৬%, ৪।৭%, ৫%। অর্থাৎ ইউপিএ জমানাতেই নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার চীনের চেয়েও বেশি থাকার কথা। আবার উল্টো দিক দিয়ে, পুরোনো পদ্ধতিতে মাপলে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের ৭% জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে ৬%-এরও নিচে চলে যাওয়া উচিত, নোটবন্দির ফলাফল।

    তবে শুধু এটুকুই আশংকাজনক নয়। জাতীয় আয়ের একটা অংশ হলো বিনিয়োগ। দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কী হবে, কত নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে তা নির্ধারণ করে দেয় বিনিয়োগ। সেই বিনিয়োগের বৃদ্ধির হার ২০১৬-১৭ তে কেমন? -১ঃ ৭।৪%, -২ঃ ৩%, -৩ঃ ১।৭%, এবং -৪ঃ -২।১%। ২০১৫-১৬ গোটা বছরে বিনিয়োগের বৃদ্ধির হার ছিল ৫।৮%। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে নোটবন্দির আগে বিনিয়োগের বৃদ্ধির হার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোচ্ছিল কিন্তু নোটবন্দির ফলে সেই খোঁড়ানো ঘোড়াকেও একেবারে শুইয়ে দিয়েছে, এতটাই যে ২০১৭-এর জানুয়ারি-মার্চের কোয়ার্টারে বৃদ্ধির হার নেগেটিভ, অর্থাৎ বাড়বার বদলে সংকুচিত হয়েছে।

    এই সরকার অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে তো পারেইনি, উল্টে যেটুকু চলছিল সেটুকুও খারাপ করেছে। দিশাহীন অর্থনৈতিক নীতি, লোকসানে চললেও বৃহৎ পুঁজিপতিদের তোষণ, সামাজিক খাতে ব্যয়ে কাটছাঁট ইত্যাদি এটার কারণ। তারা এসব নিয়ে আলোচনা চায় না। তাই গরু, গোবর, গোমাংস, গোমূত্র ইত্যাদিতে লোকের দৃষ্টি ঘুরিয়ে রাখতে চাইছে।'
  • sm | 113.219.47.144 | ০১ জুন ২০১৭ ২২:১৭725403
  • এন পি এ নিয়ে ইন্ডিয়ার এখন লেজে গোবরে অবস্থা। ব্যাংক গুলো আর বি আই কে হিসাব দিয়েছে ৬ লক্ষ কোটি টাকা মতন এনপিএ ।
    সম্প্রতি একটি বেসরকারি ব্যাংক সম্ভবত (ইয়েস ব্যাংক) এন পি এর যা হিসাব দিয়েছিলো -আর বি আই হিসেবে করে দেখেছিলো আসল এন পি এর হিসেব প্রায় কয়েক গুন্ বেশি ।
    তাই ব্যাংক গুলোর মোট এনপিএ ৩০-৪০ লক্ষ কোটি টাকাও দাঁড়াতে পারে।
    এই ধকল নেওয়ার ক্ষমতা দেশের জিডিপির নেই।রেটিং কম হওয়া ,সময়ের অপেক্ষা।তেলের দাম কম বলে সরকারের কিছুটা মুখ রক্ষে হচ্ছে।
    তবে এই বিশাল আর্থিক নয়ছয়ের ভিত্তিপ্রস্তর কংগ্রেস তথা দাদু মনমোহনের আমলেই তৈয়ারি হয়েছে।
    এই লোন উদ্ধার করতে যত শিল্পপতিদের চাপ দেবে ততো ইনভেস্টমেন্ট কম হবে ও জিডিপি কমবে।
    দেখাযাক, সরকার আর কত তেলের ওপর সেস বাড়ায় ।
  • S | 184.45.155.75 | ০১ জুন ২০১৭ ২৩:০৮725404
  • গাধাগুলো প্রথমে জিডিপির হিসাবে কন্সট্রাকশনের ওয়েট বাড়িয়েছে, তারপরে ডিমনিটাইজেশন করেছে। ডিমনিটাইজেশনের সবথেকে বেশি ইম্প্যাক্ট হয়েছে কন্সট্রাকশন সেক্টরে। ফলে জিডিপি বৃদ্ধির রেটও কমেছে। কিন্তু কেউ একথা বলবেনা, কেউ আলোচোনা করবে না। কারণ সবাই এখন মোদিভক্ত, তার সমালোচোনা করলেই তুমি দেশোদ্রোহি।
  • S | 184.45.155.75 | ০২ জুন ২০১৭ ০৫:১০725406




  • S | 184.45.155.75 | ০২ জুন ২০১৭ ০৫:১০725405


  • <

    <
  • সিকি | ১২ জুন ২০১৭ ২৩:৪৫725407
  • এদিকে কী যে হল, অরুন্ধতী ম্যামও কিনা চার পাঁচ বছর ওয়েট না করেই বলে দিলেন ডিমনির জন্য অর্থনীতিতে ঝাড় চলবে, ব্যাঙ্কগুলোতেও চাপ চলবে?

    ও ডিসি ...
  • | 144.159.168.72 | ০৪ আগস্ট ২০১৭ ১৪:৫৫725411
  • PM | 52.110.183.72 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১৯:৩২725414
  • বুরে দিন ওয়াপস লাও !! ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন