এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে - Mt DKD ব্সেক্যাম্প

    Blank
    অন্যান্য | ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ | ৭৫১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 85.137.9.85 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ২১:১৭727354
  • লেখা সেশ না করেই বেড়াতে চল্ল নাকি?
  • Blank | 24.99.221.22 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ২২:৫১727355
  • লিখছি লিখছি
  • Blank | 24.99.221.22 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ২৩:৩৭727356
  • কফি খাওয়ার সময় দেখি নভীন বার করে ফেল্লো একটা বেশ বড় সর চিনির প্যাকেট, তাতে আছে ৫ কেজি চিনি। ৬ টা লোকের জন্য ৫ দিনে ৫ কেজি চিনি এনেছে নভীন ভাই। ওদের বাড়িতে নাকি মাসে ১৫ কেজি চিনি লাগে (নভীন ওর বৌ আর দুটো ছোট ছানা)!!! শুনে আমরা তাজ্জব - শুধু দোষ হয় ঘটিদের, অ্যাঁ!!
    যাগ্গে, কফি আর ম্যাগী খেয়ে তখন একটু এনার্জি ও ফিরেছে। ছানাটা দেখি শেষ বিকেলের আলোতে তখন ফের পাখী খুজতে বেড়িয়েছে। আমি চল্লাম টেন্ট গুছোতে।
    (রান্নার ছবি - মোবাইল)



    টেন্টের ভেতর স্লিপিং ব্যাগ খুলে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি তার ঠিক নেই। ঘুম ভাঙল নভীনের ডাকে। চারদিকে ঘন অন্ধকার - তার মধ্যে সামান্য গরম চিকেন স্যুপ বানিয়ে এনেছে আমাদের জন্য। ডিনার হবে সাড়ে ৮ নাগাদ।
    ছানার বহুকালের শখ রাত্রি বেলা মিল্কি ওয়ে দেখবে আর ছবি তুলবে। স্যুপ খেতে খেতেই ঘ্যান ঘ্যান শুরু করেছে বাইরে বেড়োনোর জন্য। এদিকে হাড় কাঁপানো হাওয়া দিচ্ছে বাইরে। কতবার বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে দু গ্লাস খেয়ে নে, টেন্টের ভেতরেই মিল্কি ওয়ে দেখা যাবে। তা ভালো উপদেশ শুনলে তো !! বাধ্য হয়ে বাইরে বেরোলাম ছানার সাথে ক্যামেরা নিয়ে।
    বাইরে ঘন অন্ধকার, কৃষ্ণপক্ষের। তার মধ্যে মেঘ হীন আকাশে দেখা যায় না এমন কোনো তারা নেই। আর আকাশের মাঝা মাঝি ধোঁয়াশার মতন মিল্কি ওয়ে, দুদিকের পাহাড় ছুঁয়ে রয়েছে। খালি চোখে তারা খসা অব্দি দেখা যাচ্ছে। ট্রাইপড, রিমোট কিছু নেই। পাথরের ওপর ক্যামেরা রেখে, হাতে শাটার ধরে ঘন্টা খানেক চেষ্টা চললো আমাদের। তার একটা রইলো নীচে - ক্যামেরায় তোলা এটা। অনেক অনেক ভালো হয় এই ধরনের ছবি, এটা ফার্স্ট ট্রাই। নেক্সট বার দেখা যাবে ফের।

  • Blank | 24.99.221.22 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ২৩:৫৪727357
  • টেম্পারেচার অলরেডি জিরোর নীচে নামবে নামবে করছে। তার মধ্যে ঘন্টা খানেক বাইরে থাকলে যা হয়। যখন ফের আগুনের সামনে বসলাম তখন আঙুল গুলো অসাড় হয়ে গেছে প্রায়। এবারে আমাদের ডিনার টাইম। ভাত এর সাথে ডাল, মিক্সড ভেজ তরকারি, পাঁপড় ভাজা আর শুকনো শুকনো ঝাল ঝাল চিকেন কষা। খেতে খেতে জেনে নিলাম পরের দিন এর রুট। কাল ৯ টার মধ্যে হাঁটা শুরু করতেই হবে, প্রায় ১৩/১৪ কিমি হাঁটা।ডিঙোতে হবে খান দুই পাহাড় আর শেষে থাকবে নাকি একটা ভয়ানক চড়াই।
    এরপর নিজেদের টেন্টে ঢুকে ছানার সাথে আড্ডা চললো কিছুক্ষন। পুরোটাই ছিল শিক্ষামুলক আলোচনা, যেমন, কি ভাবে মাঝ রাতে টেন্টের দরজাটা সামান্য খুলে হিসি সেরে নিতে হয় ইত্যাদি। ছানা দেখলাম কোনো জ্ঞানই ভালো মনে নিলো না।
    কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি তার ঠিক নেই। ছানার ধাক্কা ধাক্কিতে ঘুম ভাঙলো। ছানা খুব চাপা গলায় বলছে, বাইরে আওয়াজ শোনো।
    কিছু একটা জিনিস হেঁটে বেড়াচ্ছে টেন্টের পাশ দিয়ে। মাঝে মাঝে দড়িতে টান ও পরছে, আর তার সাথে শুকনো ঘাসের ওপর চলার আওয়াজ। হয় লেপার্ড না হয় বারশিঙা (হরিণ)। ভাল্লুক নয় - ভাল্লুক হলে টেন্ট ভেঙে দিতো। লেপার্ড বা বারাশিঙা নিয়ে সেই চাপ নেই। ছানা কে অভয় দিয়ে বল্লাম ঘুমিয়ে নে - আর হিসি পেলে একা বাইরে যাস না। টেন্টের দরজা খুলে সেরে নিস। এবারে ছানার মুখে কথা নেই কোনো !!! টর্চ টা জ্বালিয়ে রেখেই ফের সেঁধিয়ে গেলাম স্লিপিং ব্যাগে।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:১১727358
  • আঃ, দারুণ হচ্ছে ।
  • Abhyu | 107.81.101.242 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:২২727359
  • মিল্কি ওয়ের ছবিখানি বড্ড ভালো
  • Blank | 213.132.214.88 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:৫৬727360
  • (মঙ্গলবার)
    আলো ফোটার একটু পরেই ঘুম ভেঙে গেলো। নাহ, নিজে থেকে নয়। সকাল বেলা ছানা যাবে পাখীর ছবি তুলতে, তার জন্য আলো ফোটা মাত্রই ক্যামেরা কই, জুতো কই, কি ঠান্ডা এই সব শুরু করে দিয়েছে। এমনি করে ঘুমনো যায় নাকি - ছানা নাকি ভয়ের চোটে বাকি রাত ঘুমোতে পারে নি।
    সকালবেলা সবে আলো ফুটেছে বুগিয়ালে, আশ পাশ দেখে মনে হচ্ছে বারশিঙা এসেছিল কাল। পোর্টাররা বললো ক্যাম্প করলেই রাতে আসে ওরা, নুন খেতে। বাইরে থালা, বাসন ফেলে রাখলে সব চেটে চলে যাবে। সবে ওঠা হালকা রোদে পীঠ সেঁকতে সেঁকতে কফি খাওয়া, তার সাথে এসে গেলো ফ্রেঞ্চ টোস্ট, কমলালেবু। অত সকালেই রান্না শুরু করে দিয়েছে নভীন, আজ কে আমাদের লাঞ্চ ক্যারি করতে হবে। অনেকটা হাঁটা, পৌছতে পৌছতে প্রায় বিকেল।
    ৯ টা নাগাদ আমি আর ছানা শুরু অরে দিলাম হাঁটা। গাইড, পোর্টাররা বেড়োবে একটু পরে, আমাদের ধরে নেবে রাস্তায়। রাস্তার শুরু তে অনেকটা নেমে যাওয়া একটানা। প্রায় দেড়, দুই কিমি। তারপর দিনগার নদীর পার ধরে এগোতে হবে আমাদের। এই নদী আসছে ডোকারনি বামক গ্লেসিয়ার থেকে, আমরা প্রায় ঐ অব্দি যাবো, যেদিন আমরা বেশ ক্যাম্প পৌছবো।
    আজ পুরো রাস্তা টাই বেশ ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। কখনো কিছুটা প্লেন, রিভার ভ্যালী ধরে হাঁটা, কখনো হু হু করে চড়াই ধরে উঠে যাওয়া, ফের একটু পরে নদীর ধারে নেমে আসা, কখনো বোল্ডার হপিং।
    রাস্তাটা স্ট্রেনাস, কিন্তু তেমন রিস্ক নেই, কয়েকটা ঝুলা পার করা ছারা। ঝুলা হলো নদীর ওপর ফেলে রাখা বড় গাছের গুঁড়ি, যেগুলো ব্রীজের কাজ করে। অভ্যেস না থাকলে এগুলো দিয়ে যেতে ভয় লাগবে, অনেক টা নীচে পাহাড়ী নদী। ছানাকে প্রথম দু একবার নভীন হাত ধরে পার করিয়ে দিলো - তারপর কনফি পেলো ছানা।
    (ছানার ক্যামেরায় তোলা, ঝুলার ওপর আমি হাবভাব নিয়ে দাড়িয়ে। তার পরের দুটো ও ছানার তোলা - দিনগার নদী)


    <

    <
  • blank | 52.110.187.9 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:৫৯727361




  • blank | 52.110.187.9 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:০৭727362
  • chhabi aasachhe naa. dekhachi ব্যাপারটা


    <

    <
  • Blank | 213.132.214.88 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:১০727364




  • de | 24.139.119.172 | ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ১০:৩৭727365
  • মিল্কি ওয়েটা স্বপ্নের মতো হয়েচে -
    খাদ শুদ্ধু ঝুলার একটা ছবি দিও -

    আর একটু ঘনঘন লেখো -
  • b | 135.20.82.164 | ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৫৫727366
  • দে কে ক্ক্ক্ক।

    আচ্ছা, আমি মিল্কি ওয়েটা ডেস্কটপ ব্যাকগ্রাউন্ড করতে গিয়ে দেখি ওটা পুরো স্ক্রিন কভার করছে না। হ্যায় কৈ কারীকুরি?
  • Blank | 213.132.214.84 | ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:১২727367
  • প্রায় ঘন্টা চারেক খান কয়েক পাহাড়, জঙ্গল ডিঙিয়ে যাওয়ার পর এবং বেশ কিছু চড়াই ওঠার পরেও যখন সেই দিনের শেষ ক্রিটিকাল চড়াই এলো না, তখন লজ্জার মাথা খেয়ে নভীন কে জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম যে আর কতো বাকি সেই চড়াই পৌছতে। ছানাও বলছে যে এবারে ক্ষিদে পাচ্ছে। আমার ইচ্ছে ঐ শেষ চড়াইতে ওঠার আগে লাঞ্চ সেরে নেবো। তাতে কিছুক্ষন রেস্ট নেওয়াও হবে। নভীন বললো আর ২ কিলোমিটার মতন গেলেই পরবে 'নালা'। নালা থেকে আমাদের ওঠা শুরু হবে।
    এবারে পাহাড়ে কাউকে, কত দুর জিজ্ঞাসা করলে যা হয় আর কি !! এই ধরনের প্রশ্নের উত্তরে সব সময় আসে একটা র‌্যান্ডম নাম্বার - যার সাথে কিলোমিটার নামের মেট্রিকের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই ঘন্টা দেড় হাঁটার পরেও নালা র দেখা পাওয়া গেলোনা। যদিও এর মাঝে বিভিন্ন নদী নালা, খান কয়েক ঝর্না পার হয়ে গেছে। প্রায় পৌনে তিনটে নাগাদ, শেষ হয়ে আসা ব্যাটারি নিয়ে এসে পৌছলাম একটা উঁচু পাহাড়ের নীচে। জায়গাটায় পুরো ছায়ার ঢাকা আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। পাশ দিয়ে একটা ছোট নদী বয়ে গেছে। এই হলো নালা।
    আমরা পৌছনোর একটু আগেই এসে পৌছে গেছে পোর্টাররা। শুকনো কাঠ কুটো দিয়ে জ্বালিয়ে ফেলেছে আগুন। সেই আগুনে রুটি গরম করছে নভীন।
    কোনো ভাবে পৌছে থেবড়ে বসে পরলাম আগুনের ধারে। রুটি আর শুকনো শুকনো ঝাল ঝাল অলুর তরকারি। জুতো খুলে তখন মোজা গুলো স্যাঁকা হচ্ছে আগুনে।
    খাওয়ার মাঝে হঠাৎ দেখি সেই নদীর ধারে এসে হাজির একটা হিমালয়ান ফক্স, জল খেতে। দু হাতের রুটি তরকারি ফেলে তখন আমার ছবি তোলার কোনো এন্থু নেই। ছানা মুখের রুটি ফেলে ক্যামেরা ফোকস করতে শুরু করলো। কিন্তু আমাদেরকে খুব একটা পছন্দ হয় নি শিয়ালটার। এক দৌড়ে ঢুকে গেলো ঝোপে। নাহ, কোনো ছবি হয় নি। তবে এত কাছে হিমালয়ান ফক্স কখনো দেখিনি।
    আধ ঘন্টা পরে ফের উঠে পরলাম আগুন ছেরে। শেষ বেলায় এখনো ২/২.৫ কিমি চড়াই অন্তত উঠতে হবে। আর সত্যি এই চড়াই ডেঞ্জার। রুদ্রনাথের রাস্তা বা রুদ্রগয়রা বেস ক্যাম্প যাওয়ার রাস্তা মনে করায়। মাথা উঁচু করে ওপরের রাস্তা দেখতে চাইলে টুপি পরে যবে খুলে।তাও ভাগ্যিস খেয়ে দেয়ে একটু এনার্জি ফিরেছে।
    ঘন্টাখানেকের বেশী লাগলো সেই চড়াই পার করতে। ফুসফুস আর পা - দুটোর কোনোটাই আর চলছে না। একসময় চড়াই শেষ হলো - ঘন জঙগল ওপরে। আমাদের আরো একটু এগোতে হবে, একটু ফাঁকা জায়গার জন্য, যেখানে টেন্ট বানানো যাবে। এই ক্যাম্পটার নাম জঙ্গল ক্যাম্প। কিন্তু আসল জঙ্গল ক্যাম্প যেখানে হয় তার থেকে আমরা একটু এগিয়ে এসেছি উৎসাহের চোতে। কাল হাঁঅটে হবে কম।
    একটু ফাঁকা জায়গার খোঁজে এগোতে গিয়ে চোখে পরলো গাছে বাঁধা রিমোট সেন্সিং ক্যামেরা। হয় ফরেস্ট গার্ড না হয় কোনো ইউনিভার্সিটি থেকে হয়তো লাগিয়ে গেছে। তার সামনে আমি আর ছানা অনেকক্ষন হাত পা নেড়ে চেড়ে সেলফি তুলে ফেললাম।
    ছানা একটু বসে রইলো এখানে - আমি অপেক্ষা না করে সামনে এগোতে লাগলম একা। সবার সামনে থাকলে এই ধরনের জঙ্গলে ভালো সাইটিং হয়।
    হঠাৎ একদম সামনে খুব জোরে 'কাঁক' করে কিছু ডেকে উঠলো। তারপর দেখি হুড়মুড় করে পালাচ্ছে একপাল বারাশিঙা। একদম ঢিল ছোড়া দুরত্ত্বে। আমি একদম যাকে বলে মুখ হাঁ করে অবাক। এত কাছে এমনকি চিড়িয়াখানাতেও দেখিনি। ক্যামেরা বার করার যথেষ্ট সময় ছিল - কিন্তু ছবি তোলার কথাটাই গেছি ভুলে। মিনিট ২/৩ এর মধ্যে দেখি নভীন আর ছানা প্রায় ছুটে এসেছে। ছানা ভয়ানক হাঁপাচ্ছে। ওরা অনেক দুর থেকে আওয়াজ পেয়েছে আর ভেবেছে আমি পরে গেছি কোথাও। তখনো দুরে গাছের ফাঁকে দেখা যাচ্ছে তাদের, কিন্তু আলোর অভাবে ফোকাস হবে না। কয়েকবার চেষ্টা করে হাল ছেরে দিলো ছানা। এর একটু সামনেই আমাদের ক্যাম্প করার জায়গায়। তখনো বিকেলের আলো আছে, এখানে সন্ধে নামে দেরীতে।
    (টেন্ট খাটানোর ছবি - মোবাইলে)

  • Blank | 213.132.214.84 | ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:১৪727368
  • দে দি,
    আমি খুজে দেখবো খাদের ওপরে ঝুলার ছবি আছে কিনা। ঝুলার ওপর বেশীর ভাগ ছবি ই হয়েছে হাবভাব ছবি।

    বি,
    এই ছবি গুলোর সাইজ খুব ছোট। ডেস্কটপে রাখলে ফেটে যাবে। আমি পরে ফ্লীকারের লিংক দিয়ে দেবো, সেখান থেকে বেটার ভার্সান পেয়ে যাবেন।
  • Rit | 213.110.242.24 | ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ২১:০৫727369
  • অনবদ্য হচ্চে।
  • d | 144.159.168.72 | ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:৫৮727370
  • ইদিকে আমার আপিসের ১৩"র ডেল ল্যাপীতে দিব্বি ওয়ালপেপার হয়ে গেছিল।
    বি'কে তরুণ কদলী।

    ওরে লেএএএখ নাআআআ
  • Sankha | 57.15.96.165 | ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৪২727371
  • চলুক চলুক, সঙ্গে আছি
  • Blank | 213.132.214.86 | ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ১৭:৫৬727372
  • জঙ্গলের মধ্যে বসে কফি আর স্যুপ খেতে খেতে একসময় সন্ধে নেমে গেলো ঝপ করে। আজকে অনেক বড় করে অনেক কাঠ দিয়ে জ্বালানো হয়েছে আগুন - এই জায়গায় পুরো হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। আগুনের ধার ছেরে উঠে যেতেই ইচ্ছে করছে না টেন্টে। কোন ফাঁকে ছানা আমাদের দুটো লুকোনো বোতল এনে ফেলেছে আগুনের ধারে।
    নভীন আবার এসব ছোঁবে না, ওকে ওর বৌ মানা করেছে। ওর শুধু সিগারেট, বিড়ি আর গাঁজা খাওয়ার পারমিশান আছে। নভীন একটু দুরে আগুন জ্বালিয়ে রান্না চাপিয়ে দিলো। আমরা সাথে ডেকে নিলাম পোর্টার দের। কথায় কথায় জানা গেলো এদের নাম।
    প্রথম জন হলো পদম - ইনি হলেন হেড পোর্টার। পেটে দু পাত্তর যাওয়ার পর সব কথাতেই বলেন 'ইয়েসস'। "পদম ভাইয়া রাত মে চাউল খানা হ্যায়" - ইয়েসস। "রোটি খানা হ্যায়?" ইয়েসস। "সুভা হো গ্যায়া সায়দ" - ইয়েসস।
    আর একজনের নাম গোপাল, টীমের সবচেয়ে ছোট। এক চুমুকে এক গ্লাস খায়। তারপরে ধপ করে পরে যায় আগুনের ধারে। নাহ- তাকে আর তোলা যায় নি। অনেক পরে, তাকে নাকি চ্যাংদোলা করে কীচেন টেন্টে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
    তিন নং পোর্টার হিন্দী বোঝেন না, বলতেও পারেন না। তার নামটা আমরাও বুঝিনি, উনি নাম বলেছেন কিনা সেটাও জানিনা। দু-তিনটে খাওয়ার পর হাসি মুখে আগুনের দিকে চেয়ে বসে থাকেন - যাকে বলে স্মিত হাসি।
    গুচ্ছ আড্ডা, মোবাইলে গাড়োয়ালি গান, নভীনের বানানো চিকেন পকোড়া খেতে খেতে কেটে গেলো সন্ধে। ততক্ষনে ডিনার ও রেডি আমাদের। ঘি মাখানো গরম রুটি, সব্জী দেওয়া ডাল আর চিকেন কষা খেয়ে ঘুমের তোরজোড়। কি ভাগ্যি জঙ্গলের আড়ালে আকাশ ঢাকা পরে গেছে। নইলে আজ ও ছানা মিল্কি ওয়ের ছবি তোলার জন্য আমাকে টেন্টের বাইরে নিয়ে আসতো।
    কালকে আমরা যাবো গুর্জর হাট। সেটা বেশী দুরে নয় এখান থেকে। ওখানেই হবে ক্যাম্প। ক্যাম্প থেকে আমরা ডিডিকে বেসক্যাম্প আর খীরাতাল ঘুরে ফিরে আসবো বিকেলের মধ্যে। কাল পোর্টারদের পরিশ্রম একটু কম হবে।

    (বুধবার)
    অনেক অনেক সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেলো আজ। সেটা একদিক থেকে ভালো, আমাদের জন্য আজ অনেকটা হাঁটা, ১৪/১৫ কিমি তো হবেই। তবে আজকের সুবিধে হলো যে দিনের সবচেয়ে বড় চড়াই আমরা চড়ে নেবো শুরু তে। তারপর বেশীরভাগ টা বুগিয়াল আর মোরেন ধরে হাঁটা। সকালে শুধু কফি আর বিস্কুট খেয়ে হাঁটা শুরু করে দিলাম আমি, ছানা আর নভীন। পকেটে রইলো ডিম সেদ্ধ আর আলু সেদ্ধ। গুর্জর হাট বুগিয়ালে পৌছে আমাদের টিফিন হবে এই দিয়ে - তারপর বড় ব্যাগ রেখে, শুধু ক্যামেরা নিয়ে যাবো বেস ক্যাম্প।
    আজ আর শুরুতে হাঁটা নয়, শুরু তে ওঠা শুধু। সেই চড়াই যেটা আমরা কাল অর্ধেক পেরিয়েছিলাম, তার বাকিটা উঠতে হবে আজ। ঘন জঙ্গলের মধ্যে একদম সোজা উঠে গেছে প্রায় পাথুরে দেওয়াল। তার ভেতর দিয়ে হাঁটা শুরু হলো। ছানার খুব ইচ্ছে মোনাল দেখার। এই রকম জঙ্গলে অগেও বহুবার মোনাল দেখেছি - কিন্তু গত দুদিনে একটাও চোখে পরে নি। আজ ও পরছে না চোখে, তবে দু-তিনবার শোনা গেলো মোনালের ডাক। আশে পাশেই আছে , চোখে পরছে না।
    ঘন্টা খানেক হাঁটার পর আমরা পাহাড়ের রীজে এসে পৌছলাম। রীজ টা খুব সরু নয়, তাই তেমন রিস্কি না। এই ধরে উঠতে হবে আরো কিছুটা। ততক্ষনে হালকা রোদ্দুর পীঠে লাগতে শুরু করেছে। কিন্তু এই অল্প দুরে বুগিয়ালটা কিছুতেই আর কাছে আসছে না। মনে হচ্ছে ব্রেকফাস্টটা করে এলেই হতো। পাহাড়ের আড়াই কিলোমিটার শেষ হয়ে যাবে শিগ্গির, সেটা ভাবাই উচিৎ হয় নি।
    ঘন্টা দুই পরে যখন পৌছলাম গুর্জর হাট বুগিয়ালে ততক্ষনে সত্যি সত্যি জামা ভিজে গেছে ঘামে। কিন্তু তখন সামনে ওপেন হয়ে গেছে পুরো দিনগার নদীর ভ্যালি। ডিডিকের আইস পিক একদম সামনে। এত বিশাল একটা ভ্যালি খুব বেশী দেখা যায় না। শীতের জন্য, পুরো জায়গাটাই শুকনো ঘাসে ঢেকে অছে। ডিম সেদ্ধ ভুলে তখন শুধু ছবি তোলার সময়।

    (ক্যামেরায় তোলা)

  • Blank | 24.99.47.132 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ২৩:১৪727373
  • ছবি হলো, ঘামে ভেজা জ্যাকেট শোকানো হলো, ডিম সেদ্ধ আর আলু সেদ্ধ খাওয়া হলো - এরপর আমাদের ফের হাঁটা শুরু। প্রথমে যাবো গুর্জর হাট ক্যাম্প সাইটে। ছবিতে দেখুন, পুরো বুগিয়াল টা দু ভাগ হয়ে গেছে, মধ্যে বয়ে যাচ্ছে দিনগার নদী। আমাদের সেই নদী ডিঙিয়ে উঠতে হবে অন্য পারে।
    সমস্যা টা দেখা গেলো নদী ডিঙোবার সময়ে। নদীর জল আশে পাশের ঘাসের ওপর জমে বরফ হয়ে গেছে, আর এ হলো সেই বরফ, যার ওপরে গ্রিপ ধরবে না জুতোর। তারপর ছানার জুতো উডল্যান্ডের, প্রতিদিন রাতে তাতে ফেভি কুইক লাগাতে হচ্ছে।
    পাথর আর লাঠি দিয়ে ভাঙা হলো কিছুটা বরফ- তারপর নদী পেরিয়ে অবশেষে ক্যাম্প সাইট। তখনো পোর্টারদের পাত্তা নেই, ওদের আসতে দেরী আছে অনেক। ক্যাম্প সাইটে রেখে দেওয়া হলো ব্যাগ পত্তর। শুধু ক্যামেরা আর জলের বোতল নিয়ে আমরা যাবো বেস ক্যাম্পের দিকে। ব্যাগ পত্তর নিয়ে চলে যাওয়ার মতন লোক ও নেই এখানে।
    এরপর আমাদের হাঁটা শুরু হলো বেস ক্যাম্পের দিকে। এই পুরো রাস্তাটাই বুগিয়াল। দুর থেকে দেখলে মনে হয় রাস্তাটা মোটামুটি সমতল - কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা উঠে যাচ্ছে ওপর দিকে, প্রায় চার-সাড়ে চার কিলোমিটার এইভাবে এগোনো।
    প্রথমে শুকনো বুগিয়াল, আর দুদিকে ঝোপ ঝাড়, পাইন বন একটু পরে। তার পরে ক্রমশ কমতে থাকবে গাছ। পাইন বন গুলো ঝোপে পরিনত হবে আর পায়ের নীচে নরম ঘাস শেষ হয়ে আসতে থাকবে বোল্ডার। এগুলো গ্লেসিয়ারের মোরেন - কত যুগ আগে, কোনো এক আইস এজে গ্লেসিয়র গুলো এগিয়ে এসেছিল এত অব্দি, রেখে গেছে পাথর গুলো।
    ততক্ষনে আবার আমাদের হাঁপানো শুরু হয়ে গেছে, শুনছি যে সামনের গাছ পালা শেষ হলেই এসে যাবে বেস ক্যাম্প। রুক্ষ কালো পাহাড় প্রায় চোখের সামনে। খুব দুরে দু একটা ভাঙা কাঠের বাড়ি, ওটা সরকারি ক্যাম্প/হাট। ঐটার কাছাকাছি (পাহাড়ি মতে) আমাদের ডেস্টিনেশান।
    (ক্যামেরায় তোলা)
  • পুপে | 131.241.184.237 | ২০ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৪৯727375
  • কই হে? এরপর ?
  • | ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:১১727376
  • ওরে লেখ নাআআআ
  • সিকি | ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:৪০727377
  • ব্ল্যাঙ্কি একটা গোলা ইভ-এর পেছু নিয়েছে। এখন ও আর কোনওদিকে মন দেবে না ;)
  • de | 192.57.36.217 | ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ১৬:৫১727378
  • ইভকে বস্তায় পুরে রাখবো কিন্তু না লিখলে --

    উইকেন্ডে তো একটু লেখো -
  • Blank | 24.96.9.51 | ২২ জানুয়ারি ২০১৭ ১৪:১১727379
  • আপিসের একটু চাপ - উইকেন্ড মোটামুটি তাতেই কাটছে। শেষ হলে লিখছি
  • I | 57.15.191.108 | ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ২২:৪০727380
  • দিব্য।উডল্যান্ডের জুতো কিনতে নেই?জঙ্গলেও না?
  • I | 57.15.191.108 | ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ২২:৪৬727381
  • হিমালয়ান ফক্স আবার কি রে?হিমালয়ান উল্ফ বল!
  • spa | 71.246.161.170 | ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৩১727382
  • ইনি কি লেখা থামিয়ে আবার পাহাড়ে চলে গেলেন?
  • Blank | 24.96.63.247 | ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ ২২:০৯727383
  • আছি আছি। চাপ টা কমলে বাকিটা লিখে দেবো।
    আর ইন্দো দা, যদ্দুর সম্ভব এগুলোই তিবেটিয়ান স্যান্ড ফক্স
  • Blank | 213.132.214.85 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ১৬:৫৩727384
  • (আজ একটু লিখেই দি)
    বেস ক্যাম্পে যখন পৌছলাম, তখন বেশ ক্লান্ত। কয়েকটা ছোট অস্থায়ী থাকার জায়গা, আর একটা ওয়ারলেস টাওয়ার - সেটা কি কাজে লাগে জানিনা। হয়তো সরকারি কিছু কাজকর্ম থাকে। এই বেশ ক্যাম্প থেকে সামিটের রুট (রাউন্ড) ৪ দিন। এরপর দুটো অ্যাডভান্স বেস ক্যাম্প আর একটা সামিট ক্যাম্প হয়। পুরোটাই ক্লাইম্বিং আর গ্লেসিয়ার জোন দিয়ে। বেস ক্যাম্পের পর থেকে রাস্তা পুরোটাই গ্লেসিয়ারের মোরেন, শুকনো রুক্ষ। ওপরেই দেখা যায় ডোকরানি ভ্রামক (গ্লেসিয়ার)।
    ক্লান্ত হয়ে দুজনেই কিচ্ছুক্ষন চিৎপটাং হয়ে রইলাম পাথরে। নরম রোদ্দুরে ঢেকে আছে বুগিয়াল। এরপর যখন আমাদের সেলফি তোলা শুরু হলো, তখন ক্যাম্পের কেয়ারটেকার এসে পৌছেছে। ভুক্কি গ্রামের ছেলে, একা একা থাকে এই ক্যাম্পে - দিনের পর দিন। মোবাইল তো দুরের কথা, একটা সোলার লাইট ও নেই। কিছুদিন অন্তর অন্তর বদল হয় কেয়ারটেকার।
    নাহ, ওনার নাম জানা হয় নি। গাড়োয়ালি ছারা অন্য কিছু তেমন বোঝেন না। আমাদের কে এনে দিলেন একটা শুকনো ব্রহ্মকমল - কোলকাতার কোনো মন্দিরে গিয়ে চড়িয়ে দিতে সেটা।
    এরপর আমাদের ফেরা শুরু নিজেদের ক্যাম্পের দিকে। অনেক দিনের প্ল্যান- অনেক কিছু করে দেখা হলো ডিকেডি বেস ক্যাম্প। সামনে থেকে মাউন্ট ডিকেডি (দ্রৌপদী কা ডান্ডা), পুরো পাহাড়টা এক ফ্রেমে আসে না এখানে।
    (এইটা ঠিক সেলফি না, তাও - কেমন একটা শ্রী শ্রী ওম এডমুন্ড হিলারি লাগছে না !!)



    এরপর ফের কিলোমিটার চারেক হেঁটে পৌছবো ক্যাম্প। লাঞ্চ সেরে যেতে হবে ক্ষেরাতাল।
    ক্যাম্পে যখন পৌছলাম তখন ১ টা বেজে গেছে। ক্ষিদে তে পেটে ভেতর নানা রকম আওয়াজ। পৌছে দেখি ততক্ষনে পোর্টাররা ক্যাম্প খাতিয়ে বানিয়ে ফেলেছে লাঞ্চ। ক্যাপসিকাম আর ঘি মেশানো জিরা রাইস, ডাল, বেগুনের তরকারি, আর স্যালাড। খেয়ে দেয়ে ঘাসের ওপরেই হাল্কা ন্যাপ। ছানা আবার ফেসবুকে দেয়ার ছবি হচ্ছে না বলে ঘ্যান ঘ্যান শুরু করায় তার একটা সেলফিও তুলে দিলাম -



    ঘন্টা খানেক ঘুমের পরে যাবো ক্ষেরাতাল, আমাদের লাস্ট ডেস্টিনেসান।
  • Blank | 213.132.214.85 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ১৭:০৩727386
  • ৩ টে নাগাদ শুরু হলো ক্ষেরাতালের দিকে হাঁটা। প্রথমে যেতে হবে পাশের বুগিয়ালে, তারপর অনেকটা নেমে ক্ষেরাতাল লেক। যা শুনেছি, তা হলো যে লেকটা মোটেই দেখতে সুন্দর না। সবুজ পানা পরা জল - কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে আর সাইজে বিশাল। লোকজন আসে না বলে, লেকের ধারে সাইটিং চান্স থাকে খুব বেশী।
    পাশের বুগিয়ালে যাওয়ার রাস্তাটা খুব সুবিধের নয়। মধ্যে একটা ছোট নদী বয়ে গেছে আর তার ওপর একটা ঝুলা- মানে সেই কাঠের গুঁড়ি। ছানা তো নভীনের হাত ধরে পার করলো ঝুলা। আমি প্রথমে বেশ হিরো মার্কা পা ফেলেই বুঝলাম যে এই ঝুলা টা চাপের। গুঁড়ি টা একেবারে গোল টাইপ আর সেটা বেয়ে কিছুটা ওপর দিকে যেতে হবে। খুব পা টিপে টিপে এগোতে শুরু করলাম।
    প্রায় শেষের দিকে এসে এক পা হড়কালো - না পরে যাই নি, সামলে নিয়েছিলাম, কিন্তু কনফি টা গেলো ঝুলে। বুঝলাম পরের স্টেপ টা ফেলতে পারবো না, পা কাঁপছে। ছানাও সেটা বুঝতে পেরেছে দুর থেকে দেখে, নভীনকে পাঠিয়ে দিয়েছে আমাকে ধরার জন্য। শেষ কয়েকটা স্টেপ তাই নভীনের হাত ধরে ব্যালেন্স করলাম।
    এরপরের রাস্তা যাকে বলে মাখন। বুগিয়াল টা নেমে গেছে নীচের দিকে। দেখলে মনে হয় যেন সাভানা - হলুদ শুকনো ঘাসে ঢাকা। এদিক সেদিক কয়েকটা অস্থায়ী থাকার জায়গা, গুর্জরদের। অনেকটা নীচে সবুজ ক্ষেরাতাল। আর দুর থেকেও দেখা যাচ্ছে যে লেকের ধারে কয়েকটা বারশিঙা চরছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন