এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কূটনীতিক ও কাজের মেয়ে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৭৪৯৮ বার পঠিত
  • ---১।---
    দেবযানী খোবরাগাড়ের কেস নিয়ে কিঞ্চিৎ খোঁড়াখুঁড়ি হবার পরে, দেখা যাচ্ছে, যে, আমেরিকায় দেশ থেকে গৃহসহায়িকা নিয়ে যাওয়া ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য নতুন কিছু না। বরং এটা অভ্যাসেরই অংশ। বছর বছর ধরে এই নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়ে চলেছে। পরপর তিন বছরে এই নিয়ে মার্কিন আদালতে তিনটি মামলা দেখতে পাচ্ছিঃ

    ২০১১ সালে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় কনসাল জেনারাল প্রভু দয়ালের বিরুদ্ধে তাঁর প্রাক্তন গৃহকর্মী একটি মামলা করেন। অভিযোগ ছিল জোর করে এক বছর ধরে কাজ করানোর।

    ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় গৃহসহায়িকা শান্তি গুরুং নিউ-ইয়র্কের প্রাক্তন প্রেস এবং কালচার কাউন্সেলর নীনা মালহোত্রার বিরুদ্ধে একটি মামলা জেতেন। কোর্ট মালহোত্রাকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবার আদেশ দেয়। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল কিনা, বা দিলেও কে দিয়েছিল, উদ্ধার করতে পারিনি, কেউ খুঁজে বার করলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোতে পারে।

    এই দ্বিতীয় ঘটনাটি নিয়ে বেশ হইচই হবার পর ভারতীয় প্রশাসন "সতর্ক" হয়। সম্ভবতঃ যার ফলশ্রুতিতে ২০১৩ সালের এই বহু-আলোচিত কেসটিকে "কড়া"ভাবে নাড়াচাড়া করা শুরু হয়। যাতে আদতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

    ---২।---
    কী হয়েছিল নিউ-ইয়র্কের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক দেবযানী ও তাঁর গৃহসহায়িকা রিচার্ডের মধ্যে? কোনো সমালোচনায় না গিয়ে শুধু ঘটনাবলী তুলে দেওয়া যাক।

    নভেম্বর ২০১২-- রিচার্ড নিউ-ইয়র্কে দেবযানীর কাছে কাজ করতে শুরু করেন।

    মার্চ ২০১৩-- দেবযানী দিল্লী হাইকোর্টে রিচার্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যে, রিচার্ড বাড়ির বাইরে কাজ করতে চান, কিন্তু তাঁর ভিসা ও পাসপোর্টের জন্য সেটা সম্ভব নয় (যদিও এটা নিয়ে দিল্লী হাইকোর্টে মামলা করার কি দরকার ছিল বুঝতে পারিনি। ঝামেলা হলে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিলেই চলত)।

    জুন ২৩-- রিচার্ড বাড়ি থেকে বাজার করতে গিয়ে আর ফেরেন না। দেবযানী কনসাল জেনারালকে খবর দেন।

    জুলাই ৮-- রিচার্ডকে নিউ-ইয়র্কের এক ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নির কাছে দেখা যায়। ভারতীয় কনসুলেটের অফিসাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রিচার্ড, খবর অনুযায়ী, তাঁর মজুরি দাবী করেন, এবং একটি সাধারণ ভারতীয় পাসপোর্ট চান।

    এর মধ্যে ভারতবর্ষে রিচার্ডের স্বামী এবং সন্তানকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। রিচার্ড তাদের সঙ্গে কথা বলেন, এবং অ্যাটর্নির অফিস ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন।

    সেদিন বিকেলে আমেরিকান পুলিশ রিচার্ডকে নিয়ে যায়। সেই দিনই, ভারতীয় সরকার রিচার্ডের পাসপোর্ট বাতিল করে, এবং রিচার্ডের আমেরিকায় থাকা "অবৈধ" হয়ে যায়। ভারতীয় দূতাবাস রিচার্ডকে ভারতবর্ষে ফেরত দেবার জন্য অনুরোধ জানায় আমেরিকান স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে।

    সেপ্টেম্বর ২০১৩-- দিল্লীর একটি কোর্ট ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৮৭, ৪২০ এবং ১২০বি ধারায় রিচার্ডের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযোগ ছিল প্রতারণা, এবং চক্রান্তের। রিচার্ড যদি ভারতে ফেরেন, তাহলে তিনি গ্রেপ্তার হবেন।
    ওদিকে দিল্লী হাইকোর্ট রিচার্ডের স্বামীকেও একটি নোটিস দেয়। তার শুনানি আগামী ফেব্রুয়ারিতে।

    রিচার্ড ভারতে ফেরার বদলে আমেরিকাতেই থেকে যান। নিউ-ইয়র্কের পুলিশ দেবযানীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, এবং তারপর দেবযানীর গ্রেপ্তারি ও জামিন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগের মধ্যে একটি হল, তাঁর গৃহসহায়িকাকে মাসে ৪৫০০ ডলার মাইনে দেওয়া হবে বলে জানালেও, আসলে তিনি দিতেন অনেক কম অঙ্কের মাইনে। যেটা মিথ্যা হবার এই মূহুর্তে কোনো কারণ দেখা যাচ্ছেনা। কারণ, একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারির যা মাইনে, তাতে গৃহপরিচারিকাকে এই টাকা দেওয়া অসম্ভব। অতএব, মিথ্যা তথ্য দেবার অভিযোগ, সম্ভবত ভুল নয়।

    ---৩।---
    পরিস্থিতি জটিল। একদিকে, ভারতীয় সার্বভৌমত্ব। কূটনীতিক যাই করে থাকুন না কেন, সেটা আদপেই আমেরিকার বিবেচ্য কিনা সে নিয়েই সন্দেহ হয়। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ জিনিসটা তাহলে আছে কি করতে? সেটা কি শুধু অন্য দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, আর আমেরিকা হলে সাতখুন মাপ? একেবারেই না। ভারতে যে প্রতিবাদগুলি উঠছে, সেগুলো একদম যথাযথ। আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী যদি কিছু থেকে থাকে সেটা সকলের জন্যই পালনীয়। আমেরিকাকে আন্তর্জাতিক বড়দার দায়িত্ব কেউ দিয়ে দেয়নি, যে, সব শিষ্টতাকে হেলায় সরিয়ে রেখে যার-তার কান মলে দিতে পারে। আমেরিকার বিচার-ব্যবস্থা যে সমস্ত প্রশ্নচিহ্নের ঊর্ধ্বে তাও নয়। দেবযানী যদি অন্যায় করেও থাকেন, সেটা শুধুই কম মাইনে দেওয়া এবং চুক্তিভঙ্গ। সেটার জন্য আর্থিক জরিমানা হতে পারে, কিন্তু হিউম্যান ট্রাফিকিং এর সঙ্গে এক করে দেখার কোনো কারণ নেই। সেটা আমেরিকার প্রথা হতে পারে, কিন্তু কূটনীতিকরা হিউম্যান ট্রাফিকিং এর সঙ্গে যুক্ত, এটা ভেবে নেবার কোনো কারণ আছে কি? থাকলেও সেটা সংশ্লিষ্ট সরকারকে জানানোটাই কি প্রথা নয়?

    অন্য একটি কথাও হাওয়ায় উড়ছে। এই সেই ইমিগ্রেশন আইনজীবি, যিনি একজন ফরাসী রাজনীতিককে কদিন আগেই "ধর্ষণ"এর দায়ে ফাঁসিয়েছিলেন। ফাঁসিয়েছিলেনই বলা ভাল, কারণ, ধর্ষণ প্রমাণ হয়নি, যদিও রাজনীতিকের কেরিয়ার খতম হয়ে গেছে। নিজের উচ্চাকাঙ্খার জন্য হাই-প্রোফাইল ডাইনী শিকার শুরু হয়েছে কি? ভারতের মতো আমেরিকাতেও?

    সবই সম্ভব। কিন্তু একই সঙ্গে, আরও কিছু প্রশ্ন জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে মূর্তিমান অস্বস্তির মতো ঝুলে থাকছে। ভারতীয় কূটনীতিকরা কি ভারত থেকে সস্তায় পরিচারিকা নিয়ে যাওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন? ভারতীয় সরকার এবং বিদেশে তার প্রতিনিধিরা কি ন্যূনতম মজুরির নীতির আদৌ কোনো ধার ধারেন না? "কাজের লোক"এর আবার অধিকার কি, এইটাই কি উচ্চবর্ণের ভারতীয়ত্বের প্রথা? এবং তদুপরি, ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে রিচার্ডের সুবিচার পাবার আদৌ কি কোনো আশা ছিল? ভারতীয় বিচার-ব্যবস্থা তো তাঁকে ইতিমধ্যেই অপরাধী ঠাউরে ফেলেছে। জারি হয়ে গেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, দেশে ফিরলেই হাজতে ঢোকার সুবন্দোবস্তো। গৃহসহায়িকা যা-ই করে থাকুন, সেটা খুব বেশি হলে কাজের চুক্তিভঙ্গ। বা বিনা নোটিসে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়া। তার জন্য খুব বেশি হলে কিছু অর্থদন্ড বরাদ্দ হতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্র, সৈন্য সামন্ত নিয়ে সপরিবারে হাজতে ঢোকানোর চেষ্টা করবে? বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট বাতিল করে দেবে নিজের নাগরিকের? চটকলের শ্রমিকদের যে টাকা মেরে দেওয়া হয়, টিপছাপ দিইয়ে প্রেমচন্দের কাহিনীর ঠিকাদার যেভাবে পয়সা মারতেন শ্রমিকদের, তার সঙ্গে এর তো কোনো তফাত নেই। এ তো পুরোনো জমিদারদের রাজত্বের মতো। যেখানে মতো নিজের প্রভাব খাটিয়ে দুষ্ট প্রজার ভিটে-মাটি-চাটি করে দেবেন জমিদারবাবু।

    সব মিলিয়ে এ এক ম্যাজিক রিয়েল পরিস্থিতি। একদিকে গৃহসহায়িকারা ভারতে "কাজের লোক"। দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। শাইনিং নারীদের যে উত্থান ঘটছে ভারত জুড়ে, সেই উত্থানের তলানি। তাঁদের "অধিকার" নিয়ে সোচ্চার হবার বিশেষ কেউ নেই। ভারতবর্ষের নাগরিক বহুতলগুলি আমাদের চোখে দেখা। বাস করে দেখা। সেখানে ঠিকে "কাজের মেয়ে"রা প্রান্তিক। আর সর্বক্ষণের কাজের মেয়েদের মানবিক অধিকার প্রতিমূহুর্তে ভুলুন্ঠিত হয়। তাঁদের চব্বিশ ঘন্টা বন্দী থাকতে হয় অন্যের ফ্ল্যাটবাড়িতে, রাত্তিরে ঘুমটুকু সেখানেই, কিংবা আরেকটি খুপরিতে, যার নাম "সার্ভেন্টস কোয়ার্টার"। প্রতিটি "আধুনিক" বহুতলে সার্ভেন্টস কোয়ার্টার্সের উপস্থিতি এক বহুল বিজ্ঞাপিত বাস্তব। তাঁদের ছুটি নেই, চাকরির সুরক্ষা নেই, এমনকি নিজের শরীরের উপরও নিজের অধিকার নেই, ব্রহ্মচর্য বাধ্যমামূলক, পাশের দোকানদারের সঙ্গে এক ঘরে দেখা গেলেই যেকোনো মূহুর্তে চাকরি নট। অফিসগামী আধুনিক কেরিয়ারমনস্ক এক নারীপ্রজন্মের প্রয়োজনে এবং অঙ্গুলীহেলনে বেড়ে উঠছেন এই সর্বক্ষণের কাজের মেয়েদের গোষ্ঠী। যারা নিজ কর্মক্ষেত্রে সমানাধিকারের পক্ষে সোচ্চার, তাঁরা নিজেরা যখন নিয়োগকারী হচ্ছেন, তখন মেয়েদের শরীরের অধিকারের আর কোনো মূল্য থাকছেনা।

    এগুলো দেশে চোখে পড়েনা। কারণ, দেশে এ সবই "স্বাভাবিক"। শরীরের অধিকার মূল্যহীন। ন্যূনতম মজুরি আই-ওয়াশ। আর আয়রনি এই, যে, বিদেশে যে ক্ষমতাবানরা এই জমিদারির অভ্যাসকে বয়ে নিয়ে যান, তাঁরা চোখে পড়ে যান। কারণ একটি পটভূমিকায় যা স্বাভাবিক, অন্যত্র তা খুবই দৃষ্টিকটু। কালোর উপর কালো চোখে পড়েনা, কিন্তু সাদা ব্যাকড্রপে একটা দাগও জ্বলজ্বল করে। তখন সবই কমিক মনে নয়। এ এক বৃহৎ রসিকতা, যে, কনসুলেটের "মহিলা" বিভাগের ভারপ্রাপ্ত একজন মহিলার হাতেই "কাজের মেয়ে"র মজুরি চৌপাট হবার অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ বিচার পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই "কাজের মেয়ে"র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। দেশে হলে এসব চোখে পড়তনা। কারণ এতদূর গড়াতইনা। দেশে এই "মেয়ে"রা "মেয়ে" নন। এই কর্মচারীরা কর্মচারী নন। এঁরা বৃত্তের বাইরে। প্রান্তিক। এঁদের অধিকারের স্বপক্ষে একটি মোমবাতিও জ্বলেনা কোথাও।

    এত গেল একদিক। অন্যদিকটিও যাদুবাস্তবতার চূড়ান্ত। "অবৈধ অনুপ্রবেশকারী"দের "সুবিচার" কে দিচ্ছে? না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকান অভিবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এবং কিভাবে দিচ্ছে? নিজের গন্ডী টপকে।যে গন্ডী সে এতকাল টপকে এসেছে ইরাকে, আফগানিস্থানে, গুয়ান্তানামো বে তে। যে গন্ডী টপকানো দাদাগিরির বিরুদ্ধে আমরা এতদিন সোচ্চার হয়েছি। নানা জায়গায়।

    সব মিলিয়ে কেস কেরোসিন বললে নেহাৎই কম বলা হয়। খুবই হুড়ুম-ধাড়ুম করে এই লেখা লিখে ফেললাম। গুছিয়ে লেখা একেবারেই হয়নি, হবার কথাও না, এটিকে পরপর কয়েকটি কথা বলে যাওয়া হিসেবেই ভাবুন, কারণ, আমি, ব্যক্তিগতভাবে, এখানে অবস্থান নিতে পারছিনা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৭৪৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:২৬46291
  • দিল্লির রাস্তায় মিছিলের দৃশ্য টিভিতে দেখলাম। অ্যামেরিকান ফ্ল্যাগ কে তোয়ালের মতো করে পরে একজন, আরেকজন হাতে দড়ি বাঁধা, মুখে অন্য একটা মুখের ছবি বাঁধা। যা বুঝছি ডিপ্লোম্যাটিক সম্পর্কে চাপ তৈরী করা হয়েছে।
  • khilli | 131.241.218.132 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:৩৪46292
  • মনুবাদ কথা টা এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক লাগলো না । কিন্তু IFS দেবযানী নিজেই তো দলিত। মায়াবতী সেই নিয়ে সংসদে ভারত কেন দেরী করে স্টেপ নিল ইত্যাদি হইচই করেছে
  • jhiki | 149.194.243.94 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:৪৯46293
  • দে-র শেষ প্যারা কে অসংখ্য 'ক'।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:১০46294
  • দে-র কথাটা একদম ঠিক। নিজের চারপাশে যা ঘটছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা খুবই জরুরী, সেটা আম্রিগা হোক কি ব্যাঙ্গালোর কি বলিভিয়া। কলকাতায় বসে সিপিএমের কিউবার আন্দোলনে মিছিল দেখে এরকমই মনে হত। কিন্তু কলকাতাবাসী প্রতিবাদীরা যেমন নন্দীগ্রামের লোকেরা আন্দোলন না করলে তাদের হয়ে আন্দোলনটা করে দিতে পারেনা, আম্রিগাবাসী ভারতীয়রাও তেমনি আম্রিগাবাসীদের জন্য করে দিতে পারেনা। এখানে প্রতিবাদ হয়না তা নয়, ট্রেভন মার্টিনের ঘটনায় অসংখ্য মানুষ যখন প্রতিবাদ করেছিল, ভারতীয়রা, আমরা, আমাদের অনেক বন্ধু বান্ধব তাতে ছিল। এছাড়া যারা এইধরণের ইস্যুতে প্রতিবাদ করে থাকেন, যেমন- ACLU তাদের সাপোর্ট/মেম্বারশিপ ইত্যাদিও অনেকে করি। কিন্তু এর বাইরে স্থানীয় মানুষ বিরোধিতা নাকরলে "বহিরাগত"দের বিশেষ কিছু করার থাকেনা।
  • Sibu | 118.38.17.78 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:১১46295
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তো কখনোই ল পয়েন্টের ব্যাপার নয়, ওটা কব্জির জোর দেখানোর জায়গা। তা নইলে তো আম্রিকা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের জুরিসডিকশন মেনে নিত। তাতে অবশ্য বুশ, চেনীকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের জন্য হেগে পাঠাতে হত।

    আমি পার্সোনালি কি হলে খুশি হই? এইসব মিটে গেলে এই খোবরাগাড়েকে দেশে ডাকিয়ে এনে ফায়ার করলে। কিন্তু তার আগে অবধি স্যাম চাচার নাক ঘসে দেওয়া একদম ঠিক আছে। চীনে ভাইস কনসাল কি সৌদি প্রিন্স হলে এসব করার থোড়ি সাহস হত নিউ ইয়র্ক পুলিসের।
  • s | 182.0.249.87 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৬46296
  • শিবুদাকে ক। ভিসা ফ্রড করেছে এটা তো ঠিক। যদিও যা শুনছি এ নাকি সব দেশের এমব্যাসির লোকেদেরই নর্ম। আর ইউ এসও এসব ব্যাপারে চোখ বুজে থাকে। নেহাত এক্ষেত্রে মেয়েটি কেস করেছে তাই এই তৎপরতা।
    সেই সংগে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে মেয়েটি হাতে যা পাচ্ছিল তার সংগে থাকা, খাওয়া, মেডিকাল, যাতায়াত সব যোগ করে তবে মোট মাইনে হিসাব করতে হবে।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:৫০46297
  • কেসি সিং বিবিসিতে বললেন এটা ভিসা ফ্রড নয়।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:৫২46298
  • আরো বললেন যে বুশ হিলারির সময়ে যেমন সম্পর্ক ছিলো কেরি ওবামায় সেই সম্পর্ক নেই।
  • π | 118.22.237.132 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:২২46269
  • ' এবং তদুপরি, ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে রিচার্ডের সুবিচার পাবার আদৌ কি কোনো আশা ছিল? ভারতীয় বিচার-ব্যবস্থা তো তাঁকে ইতিমধ্যেই অপরাধী ঠাউরে ফেলেছে। জারি হয়ে গেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, দেশে ফিরলেই হাজতে ঢোকার সুবন্দোবস্তো। গৃহসহায়িকা যা-ই করে থাকুন, সেটা খুব বেশি হলে কাজের চুক্তিভঙ্গ। বা বিনা নোটিসে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়া। তার জন্য খুব বেশি হলে কিছু অর্থদন্ড বরাদ্দ হতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্র, সৈন্য সামন্ত নিয়ে সপরিবারে হাজতে ঢোকানোর চেষ্টা করবে? বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট বাতিল করে দেবে নিজের নাগরিকের? ' ... এটা আমারো প্রশ্ন।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৩৩46270
  • দেবযানী ভিসার আবেদন পত্রে লিখেছেন যে তিনি পরিচরিকাকে (হাউস মেইড) মাসে ৪৫০০ ডলার দেবার চুক্তি করেন। ফেডারেল প্রসিকিউটরা বলছেন দেবযানী মাসে ৩০০০০ ভারতীয় টাকা দিতেন - ৫০০ ডলারের মতন, যা কিনা ঘন্টায় $3.10 এর মতন দাঁড়াচ্ছে - মিনিমাম ওয়েজের থেকে অনেক কম টাকা দিতেন। ভিসা টাইপ ছিল A-3, এই ভিসা হল ডিপ্লোম্যাট আর কনসুলার অফিসারারদের নিজেদের কাজের জন্য লোক নিয়ে আসার ভিসা। কিন্তু ভিসার নিয়মাবলীতে বলছে - must show proof that the applicant will receive a fair wage, comparable to employment in the U.S....

    ভিসা ফ্রডের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর অবধি জেল, ফল্‌স ডকুমেন্টেশনের জন্য ৫ বছর - এর মধ্যে কোনো একটা হতে পারে।

    দেবযানী বলছেন তিনি নির্দোষ, এবং তিনি এই গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলছেন, কারণ কনসুলার আপিসের কর্মী হিসেবে তিনি ডিপ্লোম্যাটিক ইম্মিউনিটি-ত্র আওতায় পড়েন, তাকে এভাবে গ্রেপ্তার করা যায় না।

    মারি হার্ফ, স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক ডেপুটি বলছেন - দেবযানীর full diplomatic immunity নাই, কারণ ওটা শুধু কনসুলার জেনারেলের থাকে, ডেপুটির নয়, দেবযানীর যেটা আছে তা হল - consular immunity from the jurisdiction of U.S. courts only with respect to acts performed in the exercise of consular functions. হার্ফ আরো জানিয়েছেন, যে গত সেপ্টেম্বরে ভারত সরকারের কাছে দেবযানী বেআইনিভাবে ভিসা করিয়ে পরিচারিকা আনিয়েছে - এই অভিযোগপত্র ওদের ডিপার্টমেন্ট পাঠিয়েছিল।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৩৮46271
  • দেবযানীকে ২৫০০০০ ডলার জামিন রেখে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়
  • Sibu | 118.38.17.78 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৪০46299
  • ভিসা ফ্রড করেছে কিনা সেটা খোবড়াগাড়েকে ফায়ার করার জন্য ইরেলেভ্যান্ট। আম্রিকান ল ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্ট কেয়ার করবে কেন? ইস্যুটা হল কমপিটেন্স। তুমি ভাইস কনসাল হয়ে যদি এমন কিছু কর যাতে ব্যাড পিআর হয় (এবং তুমি সেটা সামলাতে না পার) তাহলে তোমার ফায়ার হওয়া উচিত। এবারে ঠিকমত মাইনে দিয়েছে কি দেয় নি সেটা তো সিভিল ম্যাটার, সিভিল কোর্টে ঠিক হবে।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৪২46300
  • মহিলাকে এখন UN ডিপ্লোম্যাটিক মিশনের পোস্ট দেওয়া হয়েছে উইথ ফুল ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি। লেটেস্ট খবর।
  • smaug | 125.112.74.130 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৪২46272
  • একটু অন্য পয়েন্ট রাখি।

    ইস্কুল থেকে মেয়ের সামনে হাতকড়া পড়িয়ে গ্রেফতার করা, স্ট্রিপ সার্চ, ক্যাভিটি সার্চ ইঃ (এই ঘটনায়) বাড়াবাড়ি (যদিও আম্রিগায় হয়তো রুটিন প্রসিডিওর - ওখানকার লোকজন বলতে পারবে), কিন্তু সেটা একজন সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রেও যতটা বাড়াবাড়ি, একজন ডিপ্লোম্যাটের ক্ষেত্রেও ততটাই। ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি কী অফিশিয়াল কাজের বাইরে থাকার দরকার আছে, বা থাকে কি? একজন পুরুষ ডিপ্লোম্যাট বাড়িতে বৌকে ধরে ঠ্যাঙালে কি ইমিউনিটির আড়াল পাবেন?

    ভারতে চেঁচামেচিটা ডিপ্লোম্যাট বলেই বেশি বলে মনে হয়েছে। সেলিব্রিটি হলেও মনে হয় এইরকমই হত। একজন সাধারণ নাগরিক হলে ভারত কী করতো? সম্ভবত কিস্যু না। আপাততঃ ভোট আসছে বলে কৌরব এবং পান্ডব দুপক্ষকেই নিজেদের দেশপ্রেমিক মুখটা দেখাতে হবে...
  • Sibu | 118.38.17.78 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৫46301
  • রিওয়ার্ড অফ ইনকমপিটেন্স?
  • cm | 133.63.136.75 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৯46302
  • জাতীয়তাবাদ কি উথলে উঠছে?
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৫০46303
  • কেসি সিং আরো বললেন যে কুড়ি বছর আগে বোধয় এই আইন হয়েছে এবং এধরণের কেস খুব বেশি হয় নি। তবে খাওয়া পরা ফুল এডিকেলের খরচ ইঃ সহ ধরলে (প্লাস যাতায়াতের এয়ার ফেয়ার ভারত সরকারই দিয়েছেন) যা মাইনে ধরা হয়েছে খুব্যাক্টা এদিক ওদিক হবার কথা নয়।
    তবে নয়া মার্গে যে গোটা রাস্তা জুড়ে ব্যারিকেড যেটা ৯১১ র পরে করা হয়েছে সেটা উঠিয়ে নেওয়া হলো আর পাঁচটা এম্ব্যাসির সামনে যতটুকু ব্যারিকেড থাকে ইউয়েস এম্ব্যাসিও ততটুকুনই পাবে- তার চেয়ে বেশি খাতিরদারি করা সম্ভব হচ্ছে না। ঐ রাস্তায় এখন গাড়ি চালানো যাবে। ৯১১র পরের থেকে তো গাড়ি ঢোকানো যেত না।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৫২46304
  • রিওয়ার্ড নয় দাদা। এরম কেস বিরল নয়। হয়ত এমন আরো বেরিয়ে পড়তেই পারে। এম্ব্যাসীর সমর্থন আছে। কিন্তু ডিয়েনে স্যাম্পেন নিয়ে রাখা জাতীয় ব্যাপারগুলো যাতে আর না হয়।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৫৩46305
  • যদ্দূর বোঝা গেল - এটা কমন প্র্যাক্টিস। ডিয়েনে নয়, কাজের মেয়ে।
  • cm | 133.63.136.75 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৫৫46306
  • ব্যস এবারে কাজের লোকের সাথে যথেচ্ছাচার করতে পারবেন। আপ কি এদের ঢিট করতে পারে?
  • smaug | 125.112.74.130 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৫৫46273
  • আর আউটলুকের লিংকটা পড়ে মনে হচ্ছে ভারতীয় ক্যাম্প থেকে এই দেবযানী ম্যামের কুকীর্তি চাপা দেওয়ার জন্যে রিচার্ডকে ভিক্টিমাইজ করা হয়েছে।

    অ্যাপারেন্টলি এঁর বাবা পুরনো আইএএস, হয়তো অনেক ওপরে চেনাজানা।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:০০46307
  • যা মনে হচ্ছে ইউয়েসে এবার এই ঝামেলা থেকে হাত গুটিয়ে নেবে। কেসি সিং খুব বিরক্ত হয়ে কথা বলছিলেন।
    http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-india-25430792
    এইটা দেখুন
  • khilli | 131.241.218.132 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:০৭46274
  • সেলেব্রিটি শাহরুখ খান কেও US এয়ারপোর্ট এ হেনস্থা করা নিয়ে হইচই হলেও এরকম "strict reciprocatory steps " নেয়া হয় নি। আমার মনে হয় হয়ত ব্যাপার টা আইএফএস বলেই হয়েছে।
    আমি জানতে আগ্রহী তৃতীয় বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশ কি তাদের diplomat দের এরকম মাইনে দেয় যে US payscale তাদের দেয়া সম্ভব ? তাদের ক্ষেত্রে কি হয় ? এদিকে US কনস্যুলেট ভারতীয় এমপ্লয়ী দের নিজের সিটিজেন দের মত US payscale এ কিন্তু মাইনে দেয় না ।
    আমি IT র ছেলেমেয়েদের দেখেছি ব্যাচেলর রা জুতো সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ নিজেরাই করে rather করতে বাধ্য হয় , আর বিয়ের পর pregnancy / বাচ্চা হলে টুরিস্ট ভিসা তে মা বাবা in laws কে নিয়ে যায় বিনা পয়সায় আয়া তথা baby sitting কাজ করাতে , বয়স্ক লোক গুলো সম্পূর্ণ ভাবে ঘরবন্দী থাকে ছেলে মেয়ের ওপর dependent হয়ে । অনেক জনতা তখন সনাতন ভারতীয় যৌথ সংসারের জয়গান গায় ওদেশে থাকতে , এদেশে ফিরলে আবার নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি হয়ে যায় ।
  • পল্লব | 123.193.145.190 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:২৯46275
  • diplomat র immunity নিয়ে মনে হয় না বেশী চ্যাঁচামিচি করে লাভ আছে। কারণ আমেরিকা যা করছে তা বড়বড় lawyer দিয়ে ভাল করে আইন কানুন ঘেঁটেই করছে। case এমন ভাবে সাজান হবে যাতে ওইসব issue আসবে না।
  • kintu | 131.241.218.132 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:৫৯46276
  • New Delhi has highlighted how the US authorities had violated Article 41 (Section 3) of VCCR which says that proceedings against a consular officer "shall be conducted with the respect due to him by reason of his official position."
    The government is backing Khobragade's lawyer's contention that if her crime was indeed grave, why she was released on bail just two hours after her arrest.
  • smaug | 125.112.74.130 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:০৪46277
  • জেনারেল হিউম্যান রাইট্‌স-এর দিক থেকে দেখলে এইটা আরো বেশি প্রশ্নযোগ্য। কূটনীতিক হলে রেসপেক্ট দেখাতে হবে, আম আদমী হলে নয়?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:০৭46278
  • গ্রেভ ক্রাইম তো নয়, জামিনযোগ্য তো, মাত্র ২৫০,০০০ ডলার রাখলেই জামিন হয়, হয়েছেও।
    জেলের মধ্যে প্রবেশ করবার ঐ একটা প্রোটোকল - সঙ্গে বন্দুক টন্দুক আছে কি না দেখে। বিমানবন্দরেও একই নিয়ম - স্ক্যান যন্তরে মধ্যে দিয়া গেলেই পিঁক করে আওয়াজ হয়, মেটাল ডিটেক্টর দিয়া সার্চ, বডি সার্চ ইত্যাদি।
  • mila | 71.8.33.132 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:০৮46280
  • আমার পরে মনে হলো মার্চ এ সমস্যা সুরু হয়েছে, এটা দেবযানীর lawsuit থেকে জানা গেছে
  • ঝিঙ্কুবিবি | 126.202.209.62 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:২৪46281
  • 'শরীরের অধিকার মূল্যহীন। ন্যূনতম মজুরি আই ওয়াশ।' অনস্বীকার্য। কিন্তু এটাও কি ঘটনা নয় যে এ দেশে প্রয়োজনটা উভয়পাক্ষিক? দারিদ্রসীমার নীচে যারা, যাদের দৈনিক আয় মেরেকেটে পঞ্চাশ টাকা, তাদের পরিবারের কিশোরী মেয়েটিকে যদি পরিচারিকার কাজে নিযুক্ত করা যায় তাহলে আরো কিছু উপার্জন বাড়ে, সেটা পাঁচশ কিম্বা পাঁচ হাজার যাই হোক, বাড়ে, উঠতি বয়সী মেয়ের খাই খরচা কমে। ওরা এভাবেই ভাবেন যাদের জন্য এখানে লেখক ভাবিত। জানি এটা আদৌ কোনো সমাধান নয়। কিন্তু এ হেন অর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে উপায়ান্তরই বা কী!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন