এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কূটনীতিক ও কাজের মেয়ে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৭৫০৪ বার পঠিত
  • ---১।---
    দেবযানী খোবরাগাড়ের কেস নিয়ে কিঞ্চিৎ খোঁড়াখুঁড়ি হবার পরে, দেখা যাচ্ছে, যে, আমেরিকায় দেশ থেকে গৃহসহায়িকা নিয়ে যাওয়া ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য নতুন কিছু না। বরং এটা অভ্যাসেরই অংশ। বছর বছর ধরে এই নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়ে চলেছে। পরপর তিন বছরে এই নিয়ে মার্কিন আদালতে তিনটি মামলা দেখতে পাচ্ছিঃ

    ২০১১ সালে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় কনসাল জেনারাল প্রভু দয়ালের বিরুদ্ধে তাঁর প্রাক্তন গৃহকর্মী একটি মামলা করেন। অভিযোগ ছিল জোর করে এক বছর ধরে কাজ করানোর।

    ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় গৃহসহায়িকা শান্তি গুরুং নিউ-ইয়র্কের প্রাক্তন প্রেস এবং কালচার কাউন্সেলর নীনা মালহোত্রার বিরুদ্ধে একটি মামলা জেতেন। কোর্ট মালহোত্রাকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবার আদেশ দেয়। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল কিনা, বা দিলেও কে দিয়েছিল, উদ্ধার করতে পারিনি, কেউ খুঁজে বার করলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোতে পারে।

    এই দ্বিতীয় ঘটনাটি নিয়ে বেশ হইচই হবার পর ভারতীয় প্রশাসন "সতর্ক" হয়। সম্ভবতঃ যার ফলশ্রুতিতে ২০১৩ সালের এই বহু-আলোচিত কেসটিকে "কড়া"ভাবে নাড়াচাড়া করা শুরু হয়। যাতে আদতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

    ---২।---
    কী হয়েছিল নিউ-ইয়র্কের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক দেবযানী ও তাঁর গৃহসহায়িকা রিচার্ডের মধ্যে? কোনো সমালোচনায় না গিয়ে শুধু ঘটনাবলী তুলে দেওয়া যাক।

    নভেম্বর ২০১২-- রিচার্ড নিউ-ইয়র্কে দেবযানীর কাছে কাজ করতে শুরু করেন।

    মার্চ ২০১৩-- দেবযানী দিল্লী হাইকোর্টে রিচার্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যে, রিচার্ড বাড়ির বাইরে কাজ করতে চান, কিন্তু তাঁর ভিসা ও পাসপোর্টের জন্য সেটা সম্ভব নয় (যদিও এটা নিয়ে দিল্লী হাইকোর্টে মামলা করার কি দরকার ছিল বুঝতে পারিনি। ঝামেলা হলে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিলেই চলত)।

    জুন ২৩-- রিচার্ড বাড়ি থেকে বাজার করতে গিয়ে আর ফেরেন না। দেবযানী কনসাল জেনারালকে খবর দেন।

    জুলাই ৮-- রিচার্ডকে নিউ-ইয়র্কের এক ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নির কাছে দেখা যায়। ভারতীয় কনসুলেটের অফিসাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রিচার্ড, খবর অনুযায়ী, তাঁর মজুরি দাবী করেন, এবং একটি সাধারণ ভারতীয় পাসপোর্ট চান।

    এর মধ্যে ভারতবর্ষে রিচার্ডের স্বামী এবং সন্তানকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। রিচার্ড তাদের সঙ্গে কথা বলেন, এবং অ্যাটর্নির অফিস ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন।

    সেদিন বিকেলে আমেরিকান পুলিশ রিচার্ডকে নিয়ে যায়। সেই দিনই, ভারতীয় সরকার রিচার্ডের পাসপোর্ট বাতিল করে, এবং রিচার্ডের আমেরিকায় থাকা "অবৈধ" হয়ে যায়। ভারতীয় দূতাবাস রিচার্ডকে ভারতবর্ষে ফেরত দেবার জন্য অনুরোধ জানায় আমেরিকান স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে।

    সেপ্টেম্বর ২০১৩-- দিল্লীর একটি কোর্ট ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৮৭, ৪২০ এবং ১২০বি ধারায় রিচার্ডের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযোগ ছিল প্রতারণা, এবং চক্রান্তের। রিচার্ড যদি ভারতে ফেরেন, তাহলে তিনি গ্রেপ্তার হবেন।
    ওদিকে দিল্লী হাইকোর্ট রিচার্ডের স্বামীকেও একটি নোটিস দেয়। তার শুনানি আগামী ফেব্রুয়ারিতে।

    রিচার্ড ভারতে ফেরার বদলে আমেরিকাতেই থেকে যান। নিউ-ইয়র্কের পুলিশ দেবযানীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, এবং তারপর দেবযানীর গ্রেপ্তারি ও জামিন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগের মধ্যে একটি হল, তাঁর গৃহসহায়িকাকে মাসে ৪৫০০ ডলার মাইনে দেওয়া হবে বলে জানালেও, আসলে তিনি দিতেন অনেক কম অঙ্কের মাইনে। যেটা মিথ্যা হবার এই মূহুর্তে কোনো কারণ দেখা যাচ্ছেনা। কারণ, একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারির যা মাইনে, তাতে গৃহপরিচারিকাকে এই টাকা দেওয়া অসম্ভব। অতএব, মিথ্যা তথ্য দেবার অভিযোগ, সম্ভবত ভুল নয়।

    ---৩।---
    পরিস্থিতি জটিল। একদিকে, ভারতীয় সার্বভৌমত্ব। কূটনীতিক যাই করে থাকুন না কেন, সেটা আদপেই আমেরিকার বিবেচ্য কিনা সে নিয়েই সন্দেহ হয়। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ জিনিসটা তাহলে আছে কি করতে? সেটা কি শুধু অন্য দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, আর আমেরিকা হলে সাতখুন মাপ? একেবারেই না। ভারতে যে প্রতিবাদগুলি উঠছে, সেগুলো একদম যথাযথ। আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী যদি কিছু থেকে থাকে সেটা সকলের জন্যই পালনীয়। আমেরিকাকে আন্তর্জাতিক বড়দার দায়িত্ব কেউ দিয়ে দেয়নি, যে, সব শিষ্টতাকে হেলায় সরিয়ে রেখে যার-তার কান মলে দিতে পারে। আমেরিকার বিচার-ব্যবস্থা যে সমস্ত প্রশ্নচিহ্নের ঊর্ধ্বে তাও নয়। দেবযানী যদি অন্যায় করেও থাকেন, সেটা শুধুই কম মাইনে দেওয়া এবং চুক্তিভঙ্গ। সেটার জন্য আর্থিক জরিমানা হতে পারে, কিন্তু হিউম্যান ট্রাফিকিং এর সঙ্গে এক করে দেখার কোনো কারণ নেই। সেটা আমেরিকার প্রথা হতে পারে, কিন্তু কূটনীতিকরা হিউম্যান ট্রাফিকিং এর সঙ্গে যুক্ত, এটা ভেবে নেবার কোনো কারণ আছে কি? থাকলেও সেটা সংশ্লিষ্ট সরকারকে জানানোটাই কি প্রথা নয়?

    অন্য একটি কথাও হাওয়ায় উড়ছে। এই সেই ইমিগ্রেশন আইনজীবি, যিনি একজন ফরাসী রাজনীতিককে কদিন আগেই "ধর্ষণ"এর দায়ে ফাঁসিয়েছিলেন। ফাঁসিয়েছিলেনই বলা ভাল, কারণ, ধর্ষণ প্রমাণ হয়নি, যদিও রাজনীতিকের কেরিয়ার খতম হয়ে গেছে। নিজের উচ্চাকাঙ্খার জন্য হাই-প্রোফাইল ডাইনী শিকার শুরু হয়েছে কি? ভারতের মতো আমেরিকাতেও?

    সবই সম্ভব। কিন্তু একই সঙ্গে, আরও কিছু প্রশ্ন জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে মূর্তিমান অস্বস্তির মতো ঝুলে থাকছে। ভারতীয় কূটনীতিকরা কি ভারত থেকে সস্তায় পরিচারিকা নিয়ে যাওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন? ভারতীয় সরকার এবং বিদেশে তার প্রতিনিধিরা কি ন্যূনতম মজুরির নীতির আদৌ কোনো ধার ধারেন না? "কাজের লোক"এর আবার অধিকার কি, এইটাই কি উচ্চবর্ণের ভারতীয়ত্বের প্রথা? এবং তদুপরি, ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে রিচার্ডের সুবিচার পাবার আদৌ কি কোনো আশা ছিল? ভারতীয় বিচার-ব্যবস্থা তো তাঁকে ইতিমধ্যেই অপরাধী ঠাউরে ফেলেছে। জারি হয়ে গেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, দেশে ফিরলেই হাজতে ঢোকার সুবন্দোবস্তো। গৃহসহায়িকা যা-ই করে থাকুন, সেটা খুব বেশি হলে কাজের চুক্তিভঙ্গ। বা বিনা নোটিসে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়া। তার জন্য খুব বেশি হলে কিছু অর্থদন্ড বরাদ্দ হতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্র, সৈন্য সামন্ত নিয়ে সপরিবারে হাজতে ঢোকানোর চেষ্টা করবে? বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট বাতিল করে দেবে নিজের নাগরিকের? চটকলের শ্রমিকদের যে টাকা মেরে দেওয়া হয়, টিপছাপ দিইয়ে প্রেমচন্দের কাহিনীর ঠিকাদার যেভাবে পয়সা মারতেন শ্রমিকদের, তার সঙ্গে এর তো কোনো তফাত নেই। এ তো পুরোনো জমিদারদের রাজত্বের মতো। যেখানে মতো নিজের প্রভাব খাটিয়ে দুষ্ট প্রজার ভিটে-মাটি-চাটি করে দেবেন জমিদারবাবু।

    সব মিলিয়ে এ এক ম্যাজিক রিয়েল পরিস্থিতি। একদিকে গৃহসহায়িকারা ভারতে "কাজের লোক"। দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। শাইনিং নারীদের যে উত্থান ঘটছে ভারত জুড়ে, সেই উত্থানের তলানি। তাঁদের "অধিকার" নিয়ে সোচ্চার হবার বিশেষ কেউ নেই। ভারতবর্ষের নাগরিক বহুতলগুলি আমাদের চোখে দেখা। বাস করে দেখা। সেখানে ঠিকে "কাজের মেয়ে"রা প্রান্তিক। আর সর্বক্ষণের কাজের মেয়েদের মানবিক অধিকার প্রতিমূহুর্তে ভুলুন্ঠিত হয়। তাঁদের চব্বিশ ঘন্টা বন্দী থাকতে হয় অন্যের ফ্ল্যাটবাড়িতে, রাত্তিরে ঘুমটুকু সেখানেই, কিংবা আরেকটি খুপরিতে, যার নাম "সার্ভেন্টস কোয়ার্টার"। প্রতিটি "আধুনিক" বহুতলে সার্ভেন্টস কোয়ার্টার্সের উপস্থিতি এক বহুল বিজ্ঞাপিত বাস্তব। তাঁদের ছুটি নেই, চাকরির সুরক্ষা নেই, এমনকি নিজের শরীরের উপরও নিজের অধিকার নেই, ব্রহ্মচর্য বাধ্যমামূলক, পাশের দোকানদারের সঙ্গে এক ঘরে দেখা গেলেই যেকোনো মূহুর্তে চাকরি নট। অফিসগামী আধুনিক কেরিয়ারমনস্ক এক নারীপ্রজন্মের প্রয়োজনে এবং অঙ্গুলীহেলনে বেড়ে উঠছেন এই সর্বক্ষণের কাজের মেয়েদের গোষ্ঠী। যারা নিজ কর্মক্ষেত্রে সমানাধিকারের পক্ষে সোচ্চার, তাঁরা নিজেরা যখন নিয়োগকারী হচ্ছেন, তখন মেয়েদের শরীরের অধিকারের আর কোনো মূল্য থাকছেনা।

    এগুলো দেশে চোখে পড়েনা। কারণ, দেশে এ সবই "স্বাভাবিক"। শরীরের অধিকার মূল্যহীন। ন্যূনতম মজুরি আই-ওয়াশ। আর আয়রনি এই, যে, বিদেশে যে ক্ষমতাবানরা এই জমিদারির অভ্যাসকে বয়ে নিয়ে যান, তাঁরা চোখে পড়ে যান। কারণ একটি পটভূমিকায় যা স্বাভাবিক, অন্যত্র তা খুবই দৃষ্টিকটু। কালোর উপর কালো চোখে পড়েনা, কিন্তু সাদা ব্যাকড্রপে একটা দাগও জ্বলজ্বল করে। তখন সবই কমিক মনে নয়। এ এক বৃহৎ রসিকতা, যে, কনসুলেটের "মহিলা" বিভাগের ভারপ্রাপ্ত একজন মহিলার হাতেই "কাজের মেয়ে"র মজুরি চৌপাট হবার অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ বিচার পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই "কাজের মেয়ে"র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। দেশে হলে এসব চোখে পড়তনা। কারণ এতদূর গড়াতইনা। দেশে এই "মেয়ে"রা "মেয়ে" নন। এই কর্মচারীরা কর্মচারী নন। এঁরা বৃত্তের বাইরে। প্রান্তিক। এঁদের অধিকারের স্বপক্ষে একটি মোমবাতিও জ্বলেনা কোথাও।

    এত গেল একদিক। অন্যদিকটিও যাদুবাস্তবতার চূড়ান্ত। "অবৈধ অনুপ্রবেশকারী"দের "সুবিচার" কে দিচ্ছে? না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকান অভিবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এবং কিভাবে দিচ্ছে? নিজের গন্ডী টপকে।যে গন্ডী সে এতকাল টপকে এসেছে ইরাকে, আফগানিস্থানে, গুয়ান্তানামো বে তে। যে গন্ডী টপকানো দাদাগিরির বিরুদ্ধে আমরা এতদিন সোচ্চার হয়েছি। নানা জায়গায়।

    সব মিলিয়ে কেস কেরোসিন বললে নেহাৎই কম বলা হয়। খুবই হুড়ুম-ধাড়ুম করে এই লেখা লিখে ফেললাম। গুছিয়ে লেখা একেবারেই হয়নি, হবার কথাও না, এটিকে পরপর কয়েকটি কথা বলে যাওয়া হিসেবেই ভাবুন, কারণ, আমি, ব্যক্তিগতভাবে, এখানে অবস্থান নিতে পারছিনা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৭৫০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৫৫46309
  • এদিককার প্রেস থেকে ---

    ...she was treated well, given coffee and offered food while detained....

    ...she was allowed to make phone calls for two hours to arrange child care and sort out personal matters....

    ...diplomat Devyani Khobragade was offered courtesies most Americans wouldn't get in jail custody...

    দেবযানী বোধহয় কূটনৈতিক রক্ষাকবচ (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) -এর ওপর আর একটু বেশী ভরসা করেছিল।
  • smaug | 125.112.74.130 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:০৬46311
  • খিল্লি, ৭ঃ০৪ - মনুবাদ অ্যাজ ইজ এখানে প্রাসঙ্গিক নয়, কিন্তু হায়ারার্কিকাল ব্যাপারটা প্রাসঙ্গিক। তখন হায়ারার্কিতে জাতের ব্যাপার ছিলো, মডার্ন সোসাইটিতে পোজিশন/পাওয়ার। সেদিক থেকে প্রাসঙ্গিক লাগলো।
  • π | 118.22.237.132 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:৫২46314
  • রিডিফের লেখাটা পড়লে আবার ঠিক উল্টো মনে হচ্ছে। কী জটিল কেস !
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:০৫46315
  • ধুস্‌, অন্য দেশের দূতাবাসের হাউসস্টাফ বা মেইডসার্ভেন্ট-দের নিয়ে ইউএসের গর্মেন্টের কোনো দরদ, মাথাব্যাথা কিস্যু নাই। গাদাগাদা দূতাবাস - কে আসছে, কে যাচ্ছে, কার ভিসা -- চারদিকে এত ঝামেলার মধ্যে এসব নিয়ে....

    সঙ্গীতা রিচার্ড এর আইনজীবি (প্রসঙ্গত, ইনি একজন অনাবাসী ভারতীয়) অফিসিয়ালি কেস ঠুকে দেন দেবযানীর বিরুদ্ধে - তাই নিয়ে ফলো আপ, গ্রেপ্তার...। কেসটি না ঠুকলে কিস্যু হত না। এমন কত ইমিগ্রেশনের জালি হচ্ছে। আর এরকম কেস শুধু নিউইয়র্কেই গাদা গাদা ফাইল হচ্ছে, ইমিগ্রেশন ইস্যু নিয়ে এমন কত কেসে কতজন গ্রেপ্তার হচ্ছে, জামিনে যাচ্ছে।

    দেবযানীর প্রাথমিক অভিযোগ ছিল কিন্তু - বিদেশমন্ত্রকের কর্মী হওয়ায় তার কূটনৈতিক রক্ষাকবচ তার আছে, তাও তাকে কেন গ্রপ্তার করা হল, কেন তাকে সাধারণ কয়েদীদের মতন ট্রিট করা হল - এইটা ছিল তার মূল অভিযোগ।

    মহম্মদ, খান, হাসান - এই সব নামের মানুষদের ইউএসএ/কানাডা-তে ট্রাভেল করতে গেলে অসুবিধে হয় - ইমরান খান, আমির খান, কমল হাসান - এনারা তো সেলিব্রিটি। জেনারেল লোকজনের ও হয়, আমি ইনফোসিসের একটি ছেলেকে জানতাম - সে কখনওই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে এয়ারপোর্টে বোর্ডিং পাশ পেত না। তাকে সবসময় আলাদা ঘরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করত। কয়েক্ঘন্টা আগে যেতে হত তাকে এউআরপোর্টে।
    আর, তাছাড়া এয়ারপোর্টে টিএসএ-র যারা কাজ করে তারা সব বেশীর ভাগই নীচুতলার কম মাইনের কর্মী, অনেকে কন্ট্র্যাক্ট/অস্থায়ী কর্মী - তারা শুধুই প্রোসিডিওর ফলো করে।
  • নেতাই | 131.241.98.225 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:০৬46316
  • খাবরাগোড়ে যে বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন (বা আইন অনুযায়ী যে বেতন দিতে বাধ্য ছিলেন) তা তার নিজের বেতনের থেকে বেশী!!!!! খাবরাগোড়েকে কে কম বেতন দেওয়ার জন্য মনমোহন সিংহের ক্যাভিটি সার্চ করার দাবী জানানো হোক।

    উপরের তথ্যটি অর্ণব গোস্বামীর দেওয়া।
  • π | 118.22.237.132 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:০৮46317
  • লসাগুদা এদিকের প্রেসের যে বিবৃতিগুলো দিয়েছেন, সেগুলোও কি প্রীত ভারারাই কথার ভিত্তিতে ?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:০৯46318
  • এই ইস্যু নিয়ে অজস্র্য কেস ফাইল হয়েছে।
    যেমন টিসিএস একসময় ভিসা অ্যাপ্লিকেশনে যা লিখত, সেরকম মাইনে দিত না, ইনকাম ট্যাক্স নিয়েও কিসব গুপি করত। তো কেস ফাইল করেছিল বোধহয় ক্ষুব্ধ কিছু এম্প্লয়য়ি, তখন বেশ কয়েক মিলিয়ন ডলার দেয় টিসিএস - অনেকে টাকা পয়সাও পায়।
  • নেতাই | 131.241.98.225 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:১২46319
  • এক্সট্রা দরদ ছাড়া সঙ্গীতা রিচার্ডের বর আর ছেলেকে ইউএসেতে ভিসা নিয়ে যাওয়ার কারন কী?
  • case | 208.7.62.204 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:১৩46320
  • কেস একদম সুটকেস হয়ে আছে কাকা!
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:১৪46321
  • ইনফোসিস-কেও ভিসা আবেদনপত্রের প্রতিশ্রুতি মতন টাকা না দেওয়ায়, ফাইন দিতে হয়েছিল, কোর্ট-কাছারি....

    এদিককার প্রেস স্নিপেটগুলো, ঐ, নিউইয়র্ক টাইমস, স্যানফ্রান ক্রোনাইক্‌ল, -- এই কয়েকটা কাগজে দেখলাম। ওখান থেকেই নেওয়া। ইন ফ্যাক্ট একটা হেডলাইন দেখলাম - US media is not very sympathetic to Debyani ... এরকম কিছু, লিংক নাই।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:১৯46322
  • অ্যাসাইলামে এমন ভাবে লোকজন আসত আকছার - এখন জানি না। কিন্তু এক সময় - ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া .... এমন কিছু দেশের লোকজন এক সপ্তাহের ভিজিটর ভিসায় এসে পাশপোর্ট পায়খানায় ফ্ল্যাশে ফেলে দিয়ে, অ্যাসাইলাম ফাইল করে দিত। স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিশ ছিল।
    ওয়াশিংটন ডিসি-তে একবার এক বাংলাদেশী ছেলে পার্থকে বলেছিল - করসেন কি! পাশপোর্ট ফ্যালাইয়া দ্যান।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:২৭46323
  • ইন জেনারেল কিন্তু যারা কাজ করবার ভিসায় আসেন, তাদের স্পাউস-দের ভিসা কিন্তু খুবই সহজলভ্য। সঙ্গীতা যদি জুন-জুলাইতে অ্যাপ্লাই করে থাকে স্পাউস আর বাচ্চার ভিসার জন্যে, তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাওয়া উচিত।
    ডিপেন্ডেন্ট ভিসা নিয়ে তেমন ঝামেলার গপ্পো শুনি নাই।
  • π | 118.22.237.132 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:৪৭46324
  • Jaak, ei keser dhaakkaay ei niyeo kathaabaartaa hachchhe. hale eba`m kichhu karaa hale seTaa antat ekaTaa pajiTibh aauTakaam habe.

    ...But in India the dispute has also brought attention to how Indians treat domestic help. "If an Indian diplomat cannot afford domestic help why must she have one even at the cost of violating U.S. law? Where does this sense of entitlement to domestic labor come from?" asks Ananya Bhattacharjee, president of a union of domestic workers in Haryana near Delhi.

    Reports of torture and confinement of domestic workers are not rare in India. Just last month, a lawmaker's wife allegedly beat to death their house-help with a hot iron rod. The lawmaker and his wife are both being prosecuted.

    Activists say the slave-like treatment of domestic labor, mostly young women, is not only on account of their poverty but also their caste. Although the Indian constitution abolished the caste system, social divisions persist. Domestic helpers are usually from the lower castes, and are considered as being born for labor. In this case, however, Khobragade is herself from a Dalit or formerly "untouchable" caste.

    In most Indian states, domestic workers are not protected by a minimum wage law, and a proposed federal law to protect domestic workers has not made much progress.

    The International Labour Organization (ILO) estimates that domestic workers account for 3.5 - 12 percent of the working population in developing countries, compared to less than 1 percent in wealthy countries. Estimates for the number of domestic workers in India vary widely, ranging from 2.5 million to 90 million, according to the ILO. The National Platform for Domestic Workers estimates the number at 50 million, roughly 4 percent of the total population...

    http://www.csmonitor.com/layout/set/r14/World/Asia-South-Central/2013/1217/Indian-diplomat-s-arrest-in-NY-sparks-anger-back-home.-But-what-about-the-nanny-video
  • PM | 185.176.222.7 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:৪৭46325
  • বাংলাদেশ অ্যাঙ্গেল-

    http://bdnews24.com/bangladesh/2013/12/18/indo-us-spat-started-with-bangladesh

    বলছে যে বাংলাদেশ নিয়ে দু দেশ একমত হতে পারে নি। তারপরেই নাকি ভারতকে একটু শিক্ষা দেবার জন্য এটা করা। বাংলাদেশএর কন্স্পিরেসি থিওরি
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:৫২46326
  • রেডিফের লিংটায় বায়াস কম। ইন্‌ফর্‌মেশন্‌ ও ঠিকঠাকই মনে হচ্ছে। অনেক কিছু মেলাতে পারছি।
  • mila | 71.8.33.132 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:৫৮46327
  • সঙ্গীতার নিজের পাসপোর্ট ই তো cancelled , তারপরে তার spouse ভিসা বৈধ থাকে কি করে?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:১১46328
  • তাইলে ভাবো, সঙ্গীতা উকিলের সঙ্গে দেখা করতেই ভারত সরকার তার পাশপোর্ট ক্যান্সেল করে দিল, আর দেশে স্বামীকে হাজতে পুরে দিল।

    এরপরে, তো সহজ - আমার দ্যাশ আমারে বাঁশ দিসে, আমারে বাঁচাও, আমার স্বামীরে বাঁচাও, বাচ্চারে বাঁচাও, আমি দ্যাশে যাইলেই আমাগো মাইর‌্যা ফ্যালাইবে - ব্যস্‌, আর কি, সোজা অ্যাসাইলাম। সিম্প্‌ল কেস।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:১৪46329
  • ষাট-সত্তরের দশকে ভিয়েতনাম, তারও আগে বলিভিয়া, পেরেস্ত্রিকার পরের কয়েক বছর সোভিয়েত দেশগুলি - শুধু একটু বিশ্বাসযোগ্য অত্যাচারের বিবরণ চাই - অ্যাসাইলাম ভিসা, গ্রিন্কার্ড.... একদম বরাদ্দ।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:২০46330
  • তাতে ভুল কোথায়?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:২৯46331
  • না ভুল তো নেই। অ্যাসাইলাম দেবার উদ্দেশ্য তো ভালো।

    এই কেসটাতে একটাই বেসিক ব্যাপার
    -------
    ইউএস এক্জন ডিপ্লোম্যাটকে জেলে ভরেছে, পরিচারিকা-র অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ্রুভ করে আশ্রয় দিচ্ছে (উইথ ফ্যামিলি)।

    ইন্ডিয়া একজন কাজের লোককে জেলে ভরতে চাইছে, ডিপ্লোম্যাটকে প্রোটেক্ট করছে।
    ----

    এও দেখতে হল প্রভু! কি দিনকাল....
  • s | 182.0.249.87 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৫46358
  • firstpostএর লেখাটা অপ্রাসংগিক কথাবার্তা বলেছে। ইস্যুটা ভিসা অ্যাপলিকেশনে ভুল তথ্য দেওয়ার, কাজের লোককে কে অত্যাচার করছে তার না। সঙ্গীতা কখনই বলে নি যে সে অত্যাচারিত। তার সঙ্গে ভারতে কাজের লোকের সঙ্গে কি ব্যবহার হয় সে সব অন্য বিষয় হতে পারে, এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৬46332
  • হ্যাঁ। ঠিকই। কাজের লোকের অস্তিত্ব বিপন্ন - দেশে ফিরলেই জেল হবে। তার ফ্যামিলিকেও নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে অ্যামেরিকা যদি এদের উদ্বাস্তু স্ট্যাটাস দেয় সেটা প্রশংসনীয়। ডিপ্লোম্যাট সব কিছু আইন মেনে করেন নি (সম্ভবতঃ), হয়ত এটাই জেনেরিক প্র্যাক্টিস। আত্মরক্ষার অধিকার কাজের লোকটির আছে। গরীব হলেও আছে। উচ্চশিক্ষিত না হলেও আছে। ইন্‌ফ্লুয়েন্‌শিয়াল না হলেও আছে।
    এখন লক্ষ লক্ষ কেস দেখাতে পারা যেত, যেখানে সকলকে এই অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। সত্যিই তো, সেগুলো খারাপ - কিন্তু এই একটিমাত্র জায়গায়ও যদি দেওয়া হয়, তা প্রশংসনীয়।
    ন্যাচারালাইজেশনের অনেক ধারা আছে। শুধু হাই স্কিলড্‌ দের জন্যেই বরাদ্দ নয়। এটুকুই বক্তব্য। ন্যাচারালাইজেশনের জন্যে হাই স্কিল্‌ড্‌দের হয়ত অনেক বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয়। কিন্তু অ্যাসাইলাম সীকারদের ক্ষেত্রে পদ্ধতিটা অন্যরকম এবং কেস টু কেস ভ্যারি করে।
  • নেতাই | 131.241.98.225 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৫৭46333
  • দেখে ভালো লাগে সমস্ত বিশ্ববাসীর ন্যায়বিচারের ঠেকা আমেরিকা নিজের হাতে তুলে নিয়েছে দেখে। একদিকে নির্বিচারে ড্রোন চালাও। নিজের দেশের ডিপ্লোম্যাট মানুষ মারলে তাকে পাওয়ার দেখিয়ে আমেরিকায় ফিরিয়ে আনো। আরো শয়ে শয়ে নিউক্লিয়ার বোমার ভরসায় বড় বড় নীতিবাগীশ বাক্য ঝাড়ো।
  • S | 109.27.138.238 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:০৭46359
  • সিএনেনের ওয়েব্সাইটে লোকজনের কমেন্ট পড়ছিলাম। তিন ধরনের লোকের কমেন্ট দেখ্লাম। এক্দল যারা ব্যপারটাকে পার্স্পেক্টিভে রেখে কথা বলছে। দুই, মার্কিনি সরকারের দোষ ধরছে। তিন, যারা ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বলছে। এই তৃতীয় ধরনের লোকেদের মুলতঃ তিন ধরনের কথা।
    ১) ইন দিশ কান্ট্রি স্লেভারি ইজ ইল্লিগাল ইত্যাদি।
    ২) ইন্ডিয়ান পছন্দ করি না। ওদেরকে ভাগাও।
    ৩) ইন্ডিয়া থেকে সব চাকরি ফিরিয়ে নিয়ে এসো।

    এই তিন নম্বর পয়েন্টটা যে এখানে কি করে আসে আমি বুঝিনা। আমার কেন জানি মনে হয়েছে এই ইকনমির ব্যাপারটাই এখানে অনেকের একমাত্র কনসার্ন, বাকি কোনো কিছুর কোনো-ই দাম নেই।
  • s | 182.0.249.87 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:১৩46360
  • তার থেকে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন সঙ্গিতার সঙ্গে যে হাই হন্ডেড ব্যবহার করেছে তা নিয়ে ডিটেলে সমালোচনা করা উচিৎ।
  • S | 109.27.138.238 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:৫০46334
  • তিনটে ইস্যু। এক, মাইনে কম দিলেও নিউ ইয়র্কে থাকা আর খাওয়ার খরচা যোগ করলে কত দাঁড়াবে সেটাও দেখতে হবে। তবে ফ্রড আছে বলেই মনে হচ্ছে।
    দুই, কেন জানিনা মনে হচ্ছে যে অন্য আইএফএসের লোকেরাও এইভাবে লোকজন রাখে বলেই তাদের গায়ে লেগেছে। তিন, ঐ প্রিত বাহরারা মনে ভোটে ধাড়ানোর আগে হয় নিজেকে বেশি করে মার্কিনি প্রমান করতে চাইছেন।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ১২:৪৯46335
  • কিন্তু এদের কাজের লোকের দরকার হয় কেন? বিশেষ করে যেখানে আইনত নিজের মাইনের তুলনায় অনেক বেশি দিতে হবে, সেখানে দেশ থেকে কাজের লোক নিয়ে আসার প্রয়োজন হচ্ছে কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন