এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:১৬47811
  • ন্যাড়ার এই লেখাটাও খুবই আনন্দ করে পড়লাম।

    করবেট সবই বাংলা অনুবাদে, মূল লেখা পড়তে হবেক
  • | 670112.220.9002312.18 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ১২:০৪47808
  • আহা করবেট সাহেব যেকি ভীষণ প্রিয় সে আর কি বলব! আমি ছোটবেলায় লাইব্রেরি থেকে আনা কুমায়ুনের মানুষখেকো, রুদ্রপ্রয়াগের চিতা, করবেট অমনিবাস সবই বাংলায় পড়েছি। বড় হয়ে পড়েছি ইঙরিজিতে। আপনার সাথে এখানে পছন্দ মিলে গেল। 'মাই ইন্দিয়া' অসম্ভব প্রিয় বই। পাতলা একটা বই কি অসম্ভব শক্তিশালী লেখা!
  • pi | 7845.15.783412.85 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ১২:২৩47809
  • ভাল লাগল। আমিও ছোটবেলায় করবেট গোগ্রসে গিলতাম!
  • b | 4512.139.6790012.6 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ১২:২৩47810
  • আমার একটা ছবি মনে আসে বারবার। কেনিয়ার দারুণ গ্রীষ্মে ট্রি টপস হোটেলে বসে করবেট লিখে চলেছেন এই সব কথা, এই সব কুমায়ুন,রুদ্রপ্রয়াগ, মোকামা ঘাট, নৈনিতাল, কালাধুঙ্গির কথা, চামারি, কুঁয়ার সিঙ আর ইবটসনের কথা। যে ভারতে কোনদিন তাঁর ফেরা হবে না।
    এও কি উদ্বাস্তু সাহিত্য নয়?
  • সিংগল k | 7845.15.565623.236 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:৩৮47812
  • জানেন তো, ঠাকুর কয়ে গিয়েছিলেন যে অবতারত্বের একটা লক্ষণ হল অবতার জড়বত্ হবেন। কি, না গায়ে মাথায় পাখি নির্ভয়ে বসবে।
    করবেট সায়েবের এই লক্ষণটি বিলক্ষণ ছিল। এমনকি কেনিয়ার পাখিরাও কি করে যেন জেনে গিয়েছিল সেকথা, ভারত থেকে নির্বাসন নিয়ে সেদেশে যাবার পরে সেখানকার পাখিরাও নির্ভয়ে তাঁর গায়ে মাথায় চরে বেড়াত। না না, খাবার টাবার দিয়ে সেধে আনতে হত না। এম্নি এম্নি বসত।
    মোকামাঘাটে কাজের সময় সাদা সাধু হিসেবে তাঁর কিঞ্চিত্ খ্যাতিও ছড়িয়েছিল।
    তবে যাই বলুন করবেট সায়েবের মত অত খাঁটি ভারতীয় আর আমি দুটি খুঁজে পাই নি। মানুষকে এতটা ভালবাসতে পারা লোক খুব একটা বেশী নেই। করবেট (কি ইংরাজী, কি বাংলা) পড়তে গেলে আমার তো চোখে জল চলে আসে। আপনাদেরও আসে কিনা জানিনা। শুধু মানুষকে ভালবাসার কথাই বা বলব কেন! বাঘেদের হয়ে সাফাই আর কটা শিকারীকেই বা গাইতে শুনেছেন? আর নিজের কুকুর রবিনের কথা তো ছেড়েই দিলাম।
    দুটি লোক ভারতের হিউম্যানিটির অ্যাম্বাসেডর হবার ক্ষমতা রাখেন। এক- জিম করবেট ও দুই - বিমল মুখার্জ্জী (গ্লোবট্রটার)।
  • AD | 7845.15.234512.163 (*) | ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩০47813
  • পরবর্তী কালে বুদ্ধদেব গুহ রোড লেখায় ওই অনুভূতি খানিকটা এসেছে
  • AD | 7845.15.234512.163 (*) | ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩১47814
  • রোড=র
  • | 340123.99.121223.134 (*) | ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৮47820
  • আমার কাছে একেবারে ছোটোবেলায় কয়েকটা বই য়ের মধ্যে ঐ বর্ন ফ্রি, দেব সাহিত্য কুটির এর কি একটা যেন রোমাঞ্চ কর শিকার কাহিনী ইত্যাদি, জেরাল্ড ডারেল এর কি একটা যেন এসব ছিল। আর জেন গুডল এর ছবি লেখা সহ ন্যাশনাল জিওগ্রাফি পড়া র অভ্যেস ছিল লাইব্রেরী তে গিয়ে। তো একদিন হঠাৎঅ বাবার মাথায় ঢোকে , ছেলের শিক্ষায় অসংগতি থাকছে। কোন একটা নববর্ষে আমি মহাশ্বেতার মাই ইন্ডিয়া অনুবাদ আর আর্জান সর্দার বোধ হয় উপহার পাই। সেই সব কথা মনে পড়ে গেল। বাবা এখন বছর কয়েক হল,প্র্যাক্টিকালি জীবিত মাত্র, বছর চল্লিশেক আগেকার কথা, এটা যে আমার মনে ছিল সেটাই আমার মনে ছিল না ঃ-))) থ্যাংক্স ন্যাড়া/সৈকত/সিংগল কে/বি। বুদ্ধ দেব গুহ ঃ-)))))))))))))
  • b | 562312.20.2389.164 (*) | ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৪৩47815
  • .005* করবেট+.5 অকারণ জ্ঞান দান+.25*ঝরণায় স্নানের রেফারেন্স=১ বু গু

    এরে কয় প্রিন্সিপাল কম্পোনেন্ট অ্যানালিসিস।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৪৫47816
  • হাহাহাহাহাহা
    আর নিজের ঢাক নিজে পেটান পার্টটাও বাদ দেওয়া ঠিক হবে না।
  • সৈকত | 340112.99.675612.98 (*) | ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৪৬47817
  • নৈনিতালের লেকটা থেকে একটু দূরে, ওপর দিকে উঠে, জিম করবেটের বাড়ীটা এখনও আছে। ক'বছর আগে যখন নৈনিতাল গেলাম, ট্যাক্সিড্রাইভারকে নির্দেশ দিয়ে আমিই নিয়ে গেছিলাম মনে আছে। সে করবেটের নাম শোনেনি, স্থানীয় লোক হলে, হয়ত শুনেও থাকতে পারত। 'গার্নী হাউস' নামে বাড়ীটাতে করবেট থাকতেন ১৯৪৭ অবধি, তারপর হাত বদল হয়। এখন প্রাইভেট প্রপার্টি, তবে ভেতরে ঢোকা যায় আগে থেকে ফোন করে গেলে, হয়ত জিনিসপত্র কিছু আছে সেখানে, মিউজিয়মমাফিক। নিশ্চিত নয় যে এই বাড়ীটাতেই করবেট ছোটবেলা থেকে থাকতেন কিনা কিংবা তার পরিবারও এখানেও থাকত কিনা, লেখাগুলো আবার পড়লে বোঝা যাবে। মনে হয় থাকতেন ছোট থেকে, গরমের সময়টা অন্তত। শীত পড়লে আরো নীচের দিকে 'কালা পাত্থার' নামে জায়্গায় আর একটা বাড়ীতে পরিবারসুদ্ধ চলে যেতেন, করবেটের লেখায় এরকম উল্লেখ আছে মনে হয়।

    বলা হয়, করবেট যখন এই বাড়ীটায় থাকতেন, প্রতিদিনই একটু হেঁটে লেকের ধারে বইয়ের দোকানটায় - 'নারায়ণ`স বুকশপ' - সেখানে গল্প করতে আসতেন, সন্ধ্যে হলে ফিরে যেতেন। এই বইয়ের দোকানটারও একটা ভালমত অতীত আছে, এখন যে দোকানটা সেটা নৈনিতালের সবচেয়ে পুরোনো বইয়ের দোকান, তৈরী হয়েছিল ১৯২৯-এ। কিন্তু তারও আগে থেকে ঐখানেই একটি দোকান ছিল, দৈনন্দিন প্রয়োজনের জিনিসের সাথে কাগজপত্রও পাওয়া যেত, পরে বইয়ের দোকানে পরিণত হয়, এরকমই আমি পড়েছিলাম। তো এই দোকানটি থেকেই আমি জিম করবেটের কিছু বই কিনি, শিকার কাহিনি আর অমনিবাসের খন্ডটা যেটায় 'মাই ইন্ডিয়া' বইটা আছে। করবেটের সব লেখাগুলো পড়লে এটাই মনে হয়, যে লেখাগুলো শুধুই শিকার কাহিনি যা নিছকই স্পোর্ট সেরকম অবশ্যই নয়। ন্যাড়াবাবু যেমন লিখেছেন, আদ্যন্ত মানুষের গল্প এইসব লেখাগুলো। ছোট থেকে ঐ জায়্গায় বড় হওয়ার সুবাদেই, ঐ বয়স থেকেই জঙ্গলে ঘোরাঘুরির জন্য বন্যপ্রাণের খুব কাছাকাছি ঐসব লেখাগুলো আর স্থানীয় মানুষজন টায়েটোয়ে ফুটে উঠেছে তাদের বিশ্বাস, মতামত সবসুদ্ধ নিয়ে। এঁদের সাথে জিম করবেট খুব ভালভাবেই জড়িয়ে ছিলেন বলেই, 'কার্পিট সাহেব' বলতে ঐসব লোকজন আপ্লুত হয়ে পড়তেন, অনেক পরে,যখন বিবিসি (?) থেকে তথ্যচিত্র করতে গেছে যখন অন্য লোকের, তখনও। এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ঘটনাগুলো, বইয়ের শেষের ম্যাপগুলো দেখলে দেখা যায়, মোটামুটি আজকের দিনের কুমায়ুন-গাড়োয়াল অঞ্চলের টুরিস্ট স্পটগুলোতে জিম করবেট কমবেশী হেঁটে বেড়িয়েছেন।

    লোকজনের মধ্যে এই যাওয়ার ব্যাপারটা এলে, মোটামুটি ঐ সময়ের আর একজনের কথাও মনে হয়, তিনিও সাহেব। ভেরিয়ার এলুইন, নৃতাত্ত্বিক, মধ্য ভারত আর পুর্ব ভারতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন আদিবাসী আর উপজাতিদের মধ্যে। নৃতাত্ত্বিক বলেই অন্য আনেক বিষয় এসেছে এলুইনের লেইখাগুলিতে। (এটা হয়ত আপতিক নয় যে মহাশ্বেতা দেবী এই দুজনের লেখাই অনুবাদ করেছিলেন আর লিখেওছিলেন যে জঙ্গল চিনেছিলেন করবেটের লেখা পড়েই !!)

    মনে আছে, আরও একটা বই পেয়েছিলাম নারায়ণ`স থেকে - ম্যান ইটার্স অফ ত্সাভো। বইটা পড়ে বুঝেছিলাম, বিভূতিবাবুর চাঁদের পাহাড়ে যার যে ঘটনার কাল্পনিক বিবরণ, শঙ্করের ঘরের দরজায় সিংহের হুঙ্কার, সেই ঘটনার বাস্তব বিবরণ বইটি। আফ্রিকায় রেল লাইন পাতার কাজে শঙ্কর যখন যূক্ত হয়েছিল, সেই কাজের সময়ে দুটি সিংহের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল কাজের সাথে যুক্ত লোকেরা, কাজ বন্ধ হয় এবং বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। শেষ পর্যন্ত সিংহদুটি মারা পড়ে এই বইটির লেখক, জন হেনরী প্যাটারসনের বন্দুকের গুলিতে। এই বইটি তারই বিবরণ, লেখকের আফ্রিকায় আগমনের সময় থেকে। ঐ দোকানটিতে না ঢুকলে হয় এই বইটির কথা আমার অজানাই থাকত। বইটি আকর্ষণীয়।
  • i | 122312.44.890112.206 (*) | ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৫৩47818
  • ম্যান ইটার্স অফ ত্সাভো র কথা একটা সিনেমা দেখে জেনেছিলাম-গোস্ট অ্যান্ড দ্য ডার্কনেস।
  • b | 562312.20.2389.164 (*) | ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১১:১১47819
  • কালাপাথ্থর নয়, কালাঢুঙ্গি। গার্নি হাউসেই করবেটদের আদি নিবাস।
    ম্যান ইটার্স অফ ৎসোভো থেকেই সেই বিখ্যাত সিনেমাঃ দ্য ঘোস্ট অ্যান্ড দ্য ডার্কনেস। বইটা অনলাইনেও আছে। পড়লে বোঝা যায়, কোথায় করবেটের সাথে অন্য শিকারীর তফাৎ। অন্যদের কাছে শিকার শুধুই একটা ট্রফি, তার চেয়ে বেশি কিছু নয়, অথবা একটা কঠিন টেকনলজিক্যাল সমস্যার সমাধান। করবেট, যাঁর দেখা বাঘেদের মতো তিনিও এক large hearted gentleman with boundless courage, লিখবেন
    "The shooting of a man eater gives one a feeling of satisfaction. Satisfaction at having a job done that badly needed doing. Satisfaction at having outmanouvered, on his own ground, a very worthy antagonist. And, the greatest satisfaction of all, at having made a small portion of earth safe for a brave little girl to walk on."
    (The Muktesar Man Eater)
  • সৈকত | 342323.176.891212.35 (*) | ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৩০47821
  • b আর i -কে,

    হ্যাঁ, ওটা কালাঢুঙ্গী। আর সিনেমাটা, মনে পড়ল, হ্ঠাৎ করে ক'মাস আগে টিভিতে কোন চ্যানেলে দেখেছিলাম, পুরোটা নয়। ওম পুরি ছিলেন একটা চরিত্রে, রেল শ্রমিকদের নেতা মনে হয়।

    করবেটকে নিয়ে লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছিল, কিপলিঙ-এর কথাও। দুজনের দেখা হয়নি, হলে হয়ত দুজনেই ভারত দেশটাকে নিয়ে কথা বলে কাটিয়ে দিতেন কারণ দুজনেই অনেকটাই কাছ থেকে ভারতবর্ষকে দেখেছিলেন, সাধারণ মানুষের দেশটা। যদিও কিপলিঙের একটা সিমলা পর্ব ছিল, সমালোচিতও হয়েছেন 'হোয়াইট'স ম্যানস বার্ডেন ' লেখার পরে কলোনিয়ালিস্ট বলে, যদিও পরে এলিয়ট সাহেব কিপলিঙের কবিতা সম্পাদনা করার সময়ে সেরকম কিছু পাননি, 'জাঙ্গল বুক'-এর একটা ক্রিটিসিজম আছে যে মোগলি(মানুষ)/জঙ্গলের পশু, এই দ্বৈতটা মূলতঃ সাদা মানুষ/নেটিভদের সম্পর্ক যেখানে মোগলি জঙ্গলেই থাকে কিন্তু সে সেখানকার অধিবাসীদের থেকে ওপরে - তো এসব মিলিয়ে কিপলিঙ হয়ত করবেটের ঢের কম 'ভারতীয়' যদিও জন্ম এখানেই, মাঝে লন্ডন হয়ে আবার কৈশোরে বোম্বে ফিরে আসা, পুরোনো বম্বেকে পেয়ে আনন্দিত হওয়া, পরবর্তী বেশ কয়েক বছর ভারতেই থাকা, মূলতঃ উত্তর ভারতেই।

    তো, এসব কথা এইজন্যই লেখা কারণ কিপলিঙ বললেই আমার কিম উপন্যাসটির কথা মনে হয়। ইংরেজ আর রাশিয়ানদের মধ্যে উনিশ শতকের শেষের দিক থেকে তৈরী হওয়া 'গ্রেট গেম' - আফগানিস্তান অঞ্চলের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে- যার মধ্যে গরীব ইংরেজ দম্পতির সন্তান, অনাথ, রাস্তায় বেড়ে ওঠা কিমের জড়িয়ে পড়া, এইসব কিছু নিয়ে উপন্যাসটি ছড়িয়ে আছে তখনকার উত্তর ভারতেই, লাহোর-আম্বালা-সাহারাণপুর-নাকলো(লক্ষ্ণৌ)-বেনারস-সিমলা-মুসৌরি পেরিয়ে আরও উত্তরে চলে যাওয়া, ছড়িয়ে আছে এই সব অঞ্চলের রাস্তা আর ট্রেনযাত্রা আর বিবিধ মানুষের মধ্যে। কারণ কিমকে এইসব পরিবেশ মুক্তির স্বাদ এনে দেয়, যদিও তাকে লক্ষ্ণৌর ইংরেজী স্কুলে ভরতি হতে হয়, মনে মনে বলে যে তাকে ইংরেজ হয়ে উঠতে হবে কিন্তু মন পড়ে থাকে ঐ সব রাস্তা আর অনর্থক হাঁটাহাঁটিতে। হ্যাঁ, এই সব নিয়ে যে লেখাটা লেখা হচ্ছে সেটা ছাপা হচ্ছে ইংলণ্ডের পত্রিকাতেই, পাঠক মূলতঃ সাহেবরাই, ফলে সব মিলিয়ে একটা এক্সোটিক কিছু দাঁড়াচ্ছে হয়ত, কিন্তু ছড়িয়ে থাকা ভারতের প্রতি খুব একরকমের টান বোধ না করলে মনে হয় না ঐরকম পরিবেশের মধ্যে চরিত্রটিকে হাজির করা যায়, সঙ্গী হিসেবে দেওয়া যায় এক তিব্বতি লামাকে যে একটা নদী খুঁজে বেড়াচ্ছে যেটা পেয়ে গেলে সে সংসারচক্র থেকে মুক্তি পাবে ! কিপলিঙের নিজের দ্বন্দটাও হয়ত ফুটে উঠছে কিমের মধ্যে, একই সাথে ইংরেজ হয়ে উঠতে হবে, সেই সমাজ যেরকম চায় সেরকম, আবার ভারতবর্ষের মানুষজনের মধ্যেও মিশে থাকার ইচ্ছে, যে ইচ্ছেটা জিম করবেটের ক্ষেত্রে কমবেশী চরিতার্থ হয়ে উঠবে, কিপলিঙের প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে যেটা হয়ত হয়ে ওঠেনি।

    (এই উপন্যাসটিতে, হরি চন্দর মুখার্জী নামের বাঙালী স্পাই চরিত্রটির মধ্যে - ইংরেজী জানা বাবুশ্রেণীর কিঞ্চিৎ ক্যারিকেচার যে অথচ সাহসী আর অনেক কিছু জানাশোনা যার এবং গ্রেট গেম-এ যে যুক্ত - হয়ত শরৎচন্দ্র দাসের আদল, দুজনের চেনাজানা না থাকলেও কিপলিঙ জানতেন শরৎচন্দ্র দাসের অভিযানগুলির কথা ?)
  • r2h | 342323.186.3456.236 (*) | ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:৫১47822
  • আমি এক বাক্যে, মাই ইন্ডিয়া, তবে আমি সব বাংলা অনুবাদ - আমার ভারত।

    সিংগলকেদা লিখেছেন 'মানুষকে এতটা ভালবাসতে পারা লোক খুব একটা বেশী নেই। করবেট (কি ইংরাজী, কি বাংলা) পড়তে গেলে আমার তো চোখে জল চলে আসে।' - হ্যাঁ।

    এই লেখাটার জন্যে ন্যাড়াদাকে থ্যাংকিউ, আবার জিম করবেট পড়বো।

    গোস্ট অ্যান্ড দা ডার্কনেস দেখতে গিয়ে টেনশন সামলাতে না পেরে আমাদের রাজাদা বলেছিল, দুর্দুর, এর থেকে অমিতাভ বচ্চনকে হিরো করলে এতক্ষনে আরো পাঁচটা সিংহ মেরে দিত।
  • b | 562312.20.2389.164 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০৯47823
  • থ্যাংকু সৈকত। কিপলিঙের মধ্যে একটা দ্বিধা ছিলো এটা আমারো মনে হয়েছে। তর কারণ এইটা কি নয় যে, কিপলিঙ খাঁটি ইঙরেজ পরিবারে জন্ম, বাবা মা দুজনেরই ওখানে জন্ম। বাবা বম্বের বিখ্যাত আর্ট স্কুলের প্রফেসর। সে যুগের অন্য পরিবারের ঐতিহ্য মেনেই কিপলিং ইংল্যান্ডের স্কুলে পড়াশুনা করেছেন।
    আর করবেট একে আইরিশ, তার ওপর তিন পুরুষ ধরে ভারতে। এতটাই হত দরিদ্র যে, আঠারো বছরের পরে প্র্যাক্টিকালি রেল-এ যেকোনো কাজ করেছেন। প্রিভিলেজের পর্দাটা ছিলো না।
  • de | 90056.185.673423.54 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:২২47824
  • আমি সব করবেট বাংলা অনুবাদে পড়েছি - গত বছর বইমেলায় অক্সফোর্ড থেকে একটা করবেট অমনিবাস কিনেছিলাম, ইংরাজীতে। সেটাকে ধুলো ঝেড়ে বুকর‌্যাক থেকে নামিয়ে পড়তে শুরু করেছি। কিন্তু তাতে এই "মাই ইন্ডিয়া" টা নেই। এটা কি আসল করবেট অমনিবাস নয়?
  • :) | 9000123.95.1256.11 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৫৮47825
  • করবেটের লেখায় প্রথম 'হ্যাপি হান্টিং গ্রাউন্ড' শব্দটা পাই। :)

    ৯২-৯৩ সালে যখন পড়েছি ঠিক সেসময়তেই একদিন ক্রিকেট খেলার ধারাবিবরনীতে শুনছিলাম ওনার নামটা ভুলে গেছি টেকো এক অস্ট্রেলিয়ান শারজাহর মাঠের ওয়াসিম আকরামের বোলিং সম্বন্ধে বলছিলেন 'ইটস অলওয়েজ হ্যাজবিন হিজ হ্যাপি হান্টিং গ্রাউন্ড' আর আমি ভাবলাম করবেটের বই পড়েই বলছে বুঝি!

    অনেক পড়ে জেনেছি হ্যাপি হান্টিং গ্রাউন্ড আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের আফটারলাইফ কনসেপ্ট। Lakota people believe that after death, the spirit of the deceased person goes to the happy hunting ground. This belief corresponds with the general Sioux belief that everything has a spirit; including trees, rocks, rivers and almost every natural entity. This therefore leads to the existence of an afterlife. The Indian tribes had many spiritual dances such as the sun dance and the ghost dance, which directly refers to the spirits of the dead returning to life.

    এনিওয়েল কেনেথ এন্ডারসনের লেখাও ভালো (১৯১০-১৯৭৫) লাস্ট অভ দোজ গ্রেট হান্টারস। অনলাইনে চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন।
  • b | 4512.139.6790012.6 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:২৮47827
  • অ্যান্ডরসন পড়েছি। পড়ে মনে হয়েছে, উনি শুধুই হান্টার। কিন্তু করবেট, শিকারি নন, তার ওপরে আরো এক ফোর্থ ডাইমেনশন আছে।
    (বলতে পারেন আপনি মশায় করবেটের ওপরে বেশি বায়াসড। তা এক রকম বটি)।
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩০47828
  • সৈকতের পোস্টগুলো ভাল লাগছে, অন্যদের মন্তব্য-ও
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪০47829
  • বুদ্ধদেব গুহ তেমন ক্ষমতাশালী লেখক তো নন, প্রচুর পুনরাবৃত্তি, হামবড়া ভাব - এ সব দোষ আছে।
    তবে ভারতের জঙ্গল, পশু পাখি, গাছ পালা, জঙ্গলের বাসিন্দা আদিবাসী গ্রামীণ মানুষ - এ সবের প্রতি অগাধ ভাল বাসা দেখেছি তার লেখায়। বু গু মানেই শুধু চানঘরে গান নয়, 'অন্য শিকার', ;বাজা তোরা রাজা যায়', ঋজু-দার প্রথম দিকের লেখাগুলো, উড়িষ্যার সাতকোশিয়া গন্ডের চারপাশের জঙ্গল, সেখানকার মানুষজন নিয়ে কিছু লেখা - অল্প বয়সী অনেক ছেলেমেয়ে অরণ্য-কে ভালবাসতে শিখেছিল তার লেখা পড়ে -সেটা কিছু কম অর্জন নয়
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪৩47830
  • বস্তুত বাংলায় জঙ্গল নিয়ে লিখলই বা কে, প্রবাদপ্রতিম বিভূতিভূষণ-এর পর একমাত্র বুদ্ধ দেব গুহ। আর কিছুটা শিবশংকর মিত্র
  • ন্যাড়া | 1278.202.5634.85 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪২47831
  • অরণ্যর সঙ্গে বুগু নিয়ে একমত হলাম। হামবড়া একটু ছেঁকে নিলে বুগু পড়তে আমার দারুণ লাগে। আমাদের মতন ৯৯%-দের একটু ক্ষেমাঘেন্না করে নিন। ঋজুদা তো ক্লাসিক। বাংলা কিশোর সাহিত্যে এত দাদার মধ্যে একদম ইউনিক।
  • র২হ | 232312.167.013412.178 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:০৭47832
  • আমার অন্যতম প্রিয় একটা উপন্যাস ঋভুর শ্রাবণ। সেটা এখানে প্রাসঙ্গিক নয় যদিও, বুগুর কথা হচ্ছে বলে মনে পড়ে গেল।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০০47833
  • নারায়ণ সান্যালও কিছু কিছু লিখেছেন অরণ্য নিয়ে, প্রধানতঃ দন্ডকারণ্যের আদিবাসীদের নিয়ে। দন্ডক শবরী, অরণ্য দন্ডক ।
  • সৈকত | 340112.99.675612.98 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০৬47834
  • b কে, দেরীতে=

    হ্যাঁ, কিপলিঙ প্রিভিলেজড তো বটেই। তা না হলে, সিমলার সামার ক্যাপিটাল সমাজে প্রবেশ পাওয়া, নাট্ক ইত্যাদি করা, সেসব ঘটেনা। যদিও কম বয়স থেকেই লেখালেখির জন্য শ্রম কম করেননি ! পরবর্তীতে, ভারত থেকে চলে গিয়ে বিলেত-আমেরিকা ভ্রমণ, রাজনৈতিক মতামত ইত্যাদি নিয়ে সম্পূর্ণ অন্য জীবন। তো এই সব নিয়েই কনফ্লিক্টটা, যেটা থাকবেই একজন লেখকের ক্ষেত্রে, অন্তত প্রবল রক্ষণশীল না হলে।

    আর প্রিভিলেজড শব্দটা পড়ে ইদানীংকালে হাতে আসা দুটো শিকার কাহিনীর বইয়ের কথা মনে হল। একটা বই, প্রমথ চৌধুরীর দাদা, পাবনার জমিদার বংশের সন্তান কুমুদনাথ চৌধুরীর শিকার কাহিনীর সংকলন আর অন্যটি মিসেস বেইলী নামে এক আইরিশ মহিলার লেখা শিকার অভিজ্ঞ্তা - বিবাহসূত্রে যার ভারতে থাকা, মোটামুটি ঐ সময়েই, এবং মেয়ে হিসেবে সরাসরি শিকারের সাথে যুক্ত থাকার কারণে বইটির অন্য একটু মূল্য আছে। তো এই দুটো বই ছুঁয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে এখানে।
  • সৌমিত্র | 785612.40.010112.124 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:৩৪47835
  • "বস্তুত বাংলায় জঙ্গল নিয়ে লিখলই বা কে, প্রবাদপ্রতিম বিভূতিভূষণ-এর পর একমাত্র বুদ্ধ দেব গুহ। আর কিছুটা শিবশংকর মিত্র"
    - 'বনের খবর', প্রমদারঞ্জন রায় চৌধুরী, লীলা মজুমদারের পিতৃদেব। অতীব সুখপাঠ্য।
  • de | 90056.185.673423.56 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১২:৪১47836
  • কিনে নিলাম, থ্যাংকু, দমদিকে -
  • anag | 8990012.182.2356.26 (*) | ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:১১47837
  • সে কি - করবেট সাহেবের লেখা এতো জন পড়েননি দেখে অবাক হলাম। আমার তো করুণা প্রকাশনীর এডিশন থেকে অক্সফোর্ড সব ভাল লাগে। একটা ছবি ওয়ালা এডিশনও আছে। এখানে দেওয়া মাই ইন্ডিয়ার পার্টটা খুবই বিখ্যাত - আর ওটা বইতে পড়তে আরো ভাল লাগে। জাভো আমি কয়েক বছর আগে কিনেছি - ফ্লিপকার্ট থেকে। সবাই কিনে ফেলুন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন