এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ‘দাদাগিরি’-র ভূত এবং ভূতের দাদাগিরি

    Debasis Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯ | ২১৪৮২ বার পঠিত
  • রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে, শ্যাওড়া গাছের মাথায়, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে, ছাপাখানায় এবং সুখী গৃহকোণে প্রায়শই ভূত দেখা যায়, সে নিয়ে কোনও পাষণ্ড কোনওদিনই সন্দেহ প্রকাশ করেনি । কিন্তু তাই বলে দুরদর্শনে, প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানেও ? আজ্ঞে হ্যাঁ, দাদা ভরসা দিলে এই একুশ শতকেও ভূতের ‘কামব্যাক’ সম্ভব । দাদা বার বার পাহাড়প্রমাণ বাধা ঠেলে ভারতীয় ক্রিকেট দলে ‘কামব্যাক’ করেছেন, আর আমরা সব অধীর উত্তেজনায় আপিস কাচারি কামাই করে সে সব দেখেছি । তাহলে, তাঁর অঙ্গুলি হেলনে যে হাই ডেফিনিশন টিভির পর্দায় ভূতেরা ফিরে আসবে, সে কি আর খুব বেশি কথা হল ?

    গতকাল ভর সন্ধেবেলাতেই ‘জি বাংলা’ চ্যানেলের ‘দাদাগিরি’ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক সৌরভ গাঙ্গুলির সামনে হাজির হলেন এক মহিলা, তিনি ভুত খুঁজে বেড়ান, এবং এই আশ্চর্য কর্মকাণ্ড সুসম্পন্ন করার জন্য তাঁর নাকি একটি গোটা দলই আছে ! তিনি ওঝা-গুণিনদের মতন গেঁয়ো তন্ত্রমন্ত্রের ভরসায় থাকেন না, দস্তুরমত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ভুত খোঁজেন । যদিও সৌরভ গাঙ্গুলি, মানে আমাদের দাদা, বারবারই তাঁকে ভরসা দিয়ে বলেছেন যে ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে তাঁর মনে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই এবং কোনওকালে ছিল না, তবু সেই অকুতোভয় মহিলা ভূতের ‘প্রমাণ’ হিসেবে বিস্তর যন্তরপাতি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন, আমাদের মত অজ্ঞ অকিঞ্চনকে প্রাজ্ঞ ও রোমাঞ্চিত করে তোলবার জন্য । তা, বন্ধুদের তরফে তীব্র প্ররোচনা-কবলিত অবস্থায় প্রাজ্ঞ ও রোমাঞ্চিত হবার চেষ্টায় ত্রুটি রাখার উপায় আমার ছিল না । সে চেষ্টার ফলাফল শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াল সেটা বলবার জন্যই এই লেখা, তবে তার আগে একটু ভাল করে দেখে নেওয়া যাক, এই মহিলা ওই অনুষ্ঠানে ক্যামেরার সামনে ঠিক কী কী বললেন এবং করলেন । মহিলার নাম ‘ঈশিতা দাস সান্যাল’, এবং আমরা এরপর থেকে সাধারণত তাঁকে সে নামেই ডাকব ।

    আমরা টিভির পর্দায় যা দেখলাম, তার মোদ্দা কথাগুলো এই রকম । এই ঈশিতা দাস সান্যাল জানালেন, কোথাও ভূতের উপদ্রব হচ্ছে খবর পেলেই তিনি তাঁর ভূতান্বেষী বন্ধুদের নিয়ে সেখানে ছুটে যান এবং তাঁদের বিচিত্র সব যন্ত্রপাতি দিয়ে ভূত খুঁজে দেখেন । এ রকম দুটি ‘অভিজ্ঞতা’-র কথা তিনি ওই অনুষ্ঠানে বর্ণনা করলেন । প্রথমটি কার্শিয়াং-এর ‘ডাওহিল’ অঞ্চলের কথা, যেখানে রয়েছে ‘ডেথ রোড’ নামে একটি রাস্তা, যার নাকি ভূতের উপদ্রবের ব্যাপারে ভীষণই বদনাম । সেখানে নাকি তাঁরা তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র এবং তাপমাত্রা মাপার বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছিলেন, এবং সে সব যন্ত্রে অস্বাভাবিক ‘রিডিং’ পেয়েছেন, যা নাকি ভূতের অস্তিত্বেরই প্রবল ইঙ্গিত । ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড বা তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র নাকি সেখানে অস্বাভাবিকরকম জোরালো, এবং তাপমাত্রা যা হওয়া উচিত তার চেয়ে বেশি । তাছাড়া, সেখানে আরও অনেক ‘অস্বাভাবিক’ ঘটনা ঘটে । যেমন, বারবারই তাঁরা গাড়ি থেকে নামলেই বৃষ্টি পড়তে থাকে এবং গাড়িতে উঠলেই থেমে যেতে থাকে, হঠাৎ করে তাঁদের ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যায়, আলো নিভে যায়, এবং তাঁর এক সঙ্গীর পিঠের ওপরে নখের জোরালো আঁচড় পড়ে রক্তপাত হয়ে যায়, গায়ে পোষাক পরা অবস্থাতেই ! আরেকটি ঘটনা ঘটে ইছাপুরের এক ‘প্রেত-উপদ্রুত’ ফ্ল্যাটবাড়িতে, যেখানে ওই আবাসনের জমিটির পুরোনো মালিক, যিনি কলহপ্রবণ ছিলেন এবং জলে ডুবে মারা যান, তাঁর ‘আত্মা’ নাকি এসে কলহ সৃষ্টি করতে থাকে আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে । তার ‘প্রমাণ’ হিসেবে অনুষ্ঠানে দেখানো হয় একটি ভিডিও, যেখানে ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা বসে আছেন একটি ছোট্ট যন্ত্রের সামনে, যার মাধ্যমে তাঁরা নাকি আত্মাকে কিছু প্রশ্ন করছেন এবং উত্তর পাচ্ছেন (আমার মনে হল যন্ত্রটি একটি সাধারণ স্মার্টফোন মাত্র, যাতে বিশেষ একটি ‘অ্যাপ’-এর সাহায্যে প্রশ্নকর্তার কথাগুলোরই উদ্ভট প্রতিধ্বনি হয়, এবং তা বানানো মোটেই কঠিন নয়) । ঈশিতার বলা নিছক গল্পগুলো বাদ দিলে ‘প্রমাণ’ হিসেবে যে দুটো ভিডিও দেখান হল তার দুটোই সম্পূর্ণ অকাজের । কার্শিয়াং-এর রাস্তায় তাঁর সঙ্গীর পিঠের আঁচড় যখন দেখানো হল, তখন অন্ধকারের মধ্যে শুধু পিঠটাই দেখানো হল, কারুর মুখ দেখা গেল না, আহত হবার মুহূর্তটির কোনও বিস্তারিত বর্ণনাও স্বয়ং আহতের মুখ দিয়ে শোনানো হল না । ঘটনাটি যে ঠিক ওই অঞ্চলেই ঘটছে, সে ব্যাপারেও ভিডিও-তে কোনও ইঙ্গিত রাখা হল না (যেমন, ঘটনাটি ঘটবার মুহূর্তেই তাকে ক্যামেরা দিয়ে ফলো করা, বা, পিঠের ক্লোজ আপ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা জুম আউট করে গোটা চিত্রটি তুলে ধরা বা ওই জাতীয় কিছু) । আর, ইছাপুরের ফ্ল্যাটের ঘটনায় শোনা গেল কিছু কষ্টশ্রাব্য উদ্ভট অবোধ্য প্রতিধ্বনি, যার আসলে কোনও মানেই হয়না । ‘ঘটনা’-র দশা যদি এই, তো তাহলে দেখা যাক ‘যন্ত্রপাতি’-গুলোর দশাটা ঠিক কেমন ।

    কী কী বৈদ্যুতিন যন্ত্র ঈশিতা দেখিয়েছেন, সে দিকে একটু তাকানো যাক । প্রথমত, একটি যন্ত্র যা দিয়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড বা তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র-র প্রাবল্য মাপা যায় (‘ই এম এফ মিটার’) । এ দিয়ে আসলে দেখা হয় মূলত কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্রের কাছাকাছি অঞ্চলের বিকিরণ (বেতার তরঙ্গের বিকিরণ), যাতে বোঝা যায় যন্ত্রটি ঠিকঠাক চলছে কিনা । আমাদের বাড়িতে সব সময়ই নানা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চলে, কাজেই সেখানে ওই মিটার নিয়ে নানা জায়গায় ঘুরঘুর করলে নানা রকম ‘রিডিং’ আসবে, সেটাই স্বাভাবিক । রাস্তাতেও ইলেক্ট্রিকের লাইন বা ওই ধরনের জিনিসের ধারকাছ দিয়ে গেলে মিটারের রিডিং বেড়ে যাবে, তার সঙ্গে ভূতের মোটেই সম্পর্ক নেই । দ্বিতীয়ত, তাপমাত্রা মাপার গোটা দুই যন্ত্র । এক্ষেত্রেও, বনে-জঙ্গলে বা বাড়িতে যেখানেই থাকুন না কেন, বাড়ির বিশেষ গঠন, জানলা-দরজা-গাছপালা থেকে দূরত্ব, ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার বা অন্যান্য যন্ত্রপাতির দুরত্ব, ঠিক কোন দিক থেকে রোদ কীভাবে এসে পড়ছে বা হাওয়া বইছে তার খুঁটিনাটি, এইসবের ওপর নির্ভর করে তাপমাত্রা ওঠানামা করতেই পারে, তাতেও ভুত বেচারার দোষ নেই । তৃতীয়ত, একটি লেজার ও একটি ইনফ্রা-রেড ‘প্রক্সিমিটি ডিটেক্টর’, যা যথাক্রমে লেজার ও ইনফ্রা-রেড রশ্মি বিকিরণ করে এবং সামনে কিছু থাকলে সে রশ্মি প্রতিফলিত হয়ে যন্ত্রে ফিরে গিয়ে কাছাকাছি থাকা কোনও কিছুর অস্তিত্বের সংকেত দেয়, দূরত্বও জানিয়ে দেয় (মনে রাখবেন, কঠিন বস্তুর অস্তিত্ব, ভূতের নয় মোটেই)। চারপাশের বাধা এড়িয়ে ধাক্কা না খেয়ে নিজে নিজেই চলাফেরা করতে পারে এমন স্বয়ংক্রিয় রোবট-এ প্রায়শই এ ধরনের ‘সেন্সর’ ব্যবহার করা হয়, তবে কিনা, তারা ভূত দেখতে পায় এমন দাবি রোবট বিশেষজ্ঞরা আজ পর্যন্ত করেননি । আর তবে যন্ত্র বলতে বাকি রইল সেই প্রতিধ্বনি-অ্যাপওয়ালা প্ল্যাঞ্চেট-প্রবণ অত্যাশ্চর্য স্মার্টফোন, যাতে বিনোদন বলতে উদ্ভট প্রতিধ্বনি, আর ‘প্রমাণ’ বলতে লবডঙ্কা ! ভূতুড়ে বাণী যদি শোনাতেই হয়, তো তার মধ্যে বেচারা প্রশ্নকর্তার কথার বিকৃত প্রতিধ্বনি ঢোকালে তাতে যে কী ছাই সুবিধে হয়, সে বোধহয় শুধু ভূতপ্রেমীই জানে !

    কিন্তু, ভূতাকাঙ্খীদের আসল গণ্ডগোল ভূতুড়ে আঁচড় বা আগড়ম বাগড়ম যন্ত্রপাতিতে নেই, আছে তাঁদের কথাবার্তার মধ্যে, ভূতুড়ে কর্মকাণ্ডের ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যার মধ্যে । এঁরা ‘ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড’, ‘এনার্জি’, এইসব কথা এমন অনায়াসে এবং এমন নিপাট অর্থহীনতার সঙ্গে বলতে পারেন, যেগুলো শুনলেই বোঝা যায়, এগুলো খায় না মাথায় মাখে সে ব্যাপারে তাঁরা বিন্দুবিসর্গও জানেন না । ঈশিতার বক্তব্য, আমাদের শরীর মন ও তার কাজকর্মের মধ্যে যেহেতু প্রচুর ‘এনার্জি’ থাকে, এবং ‘এনার্জি’ যেহেতু সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না, অতএব আমরা মরে গেলেই নাকি সেই এনার্জি ধ্বংস না হয়ে ভূত হয়ে যায়, এবং পিঠে আঁচড় দেওয়া থেকে শুরু করে অন্য নানা বিচিত্র বেয়াদবি করে ভদ্রলোকেদের কাজকর্মে অত্যন্ত অসুবিধের সৃষ্টি করে । আচ্ছা, তাই নাকি ? কিন্তু, তাহলে কয়েকটা সহজ সরল প্রশ্নের উত্তর দিন দেখি ! সকালবেলা গাড়ির ট্যাঙ্কে তেল ভর্তি করে বেরিয়ে সারাদিন ঘোরাঘুরির পর দিনের শেষে যখন তেল পুড়ে শেষ হয়ে গিয়ে আবার পেট্রোল পাম্পে হাজির হতে হয়, তখন আগের তেলটা কি মোটরগাড়ি-দেহ থেকে বেরিয়ে ‘তেলভূত’ হয়ে ঘুরে বেড়ায় ? টর্চের ব্যাটারি পুড়ে শেষ হয়ে যাওয়ার পর তার ভেতরকার শক্তি বুঝি ‘ব্যাটারিভূত’ হয়ে নিশুতি রাতে আপনার ছাদে হাঁটাহাঁটি করে ? কালীপুজোয় পুড়ে যাওয়া লাখো লাখো বাজি কি তবে সবই ‘ফুলঝুরি ভূত’ আর ‘চকলেট বোমা ভূত’ হয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের মাথায় গিয়ে চাপে ? নাঃ, এ যে অবাস্তব সে কথা বোধহয় সকলেই বুঝবেন ।

    ভূতুড়েবিজ্ঞানীদের কথায় গণ্ডগোলটা ঠিক কোথায় ? ‘এনার্জি’ যে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না, এ তো বিজ্ঞানেরই কথা, একে তো আর অস্বীকার করা যায় না । ভুলটা তবে কোথায় হচ্ছে ? ভুলটা হচ্ছে ‘প্রসেস’ আর ‘ফাংশন’ জাতীয় ধারণার সাথে ‘সাবস্টেন্স’ আর ‘কোয়ান্টিটি’ জাতীয় ধারণাকে গুলিয়ে দেওয়ার মধ্যে । উদাহরণ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করা যাক । একটা মোটরগাড়ি ও তার তেলটা হচ্ছে ‘সাবস্টেন্স’ বা বস্তু, তেলের ভেতরে আছে শক্তি নামক একটি বস্তুধর্ম বা ‘কোয়ান্টিটি’ যাকে আমরা বস্তুর কর্মক্ষমতা হিসেবে মাপতে পারি, মোটরগাড়ির ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থায় তেলটা ক্রমাগত পুড়ে পুড়ে শক্তি সরবরাহ করে যেভাবে ইঞ্জিনটাকে চালু রাখছে সেটা হচ্ছে ‘প্রসেস’ বা প্রক্রিয়া, আর এই প্রক্রিয়ায় মোটরগাড়িটি যে আমাদেরকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় অনায়াসে বয়ে নিয়ে যেতে পারছে সেটা হচ্ছে তার ‘ফাংশন’ বা ক্রিয়া । ঠিক তেমনিই, আমাদের দেহ ও খাবারদাবার হচ্ছে ‘সাবস্টেন্স’ বা বস্তু, খাবারের ভেতরে নিহিত আছে শক্তি নামক একটি বস্তুধর্ম বা ‘কোয়ান্টিটি’, আমাদের দেহের ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থায় খাবারটা ক্রমাগত হজম হয়ে শক্তি সরবরাহ করে যেভাবে শরীর ও তার কাজকর্মকে চালু রাখছে সেটা হচ্ছে ‘প্রসেস’ বা প্রক্রিয়া, আর এই প্রক্রিয়ায় আমাদের শরীর ও মস্তিষ্ক যেভাবে এক অসাধারণ ছন্দে আমাদেরকে অনায়াসে বাঁচিয়ে রাখতে পারছে সেটা হচ্ছে তার ‘ফাংশন’ বা ক্রিয়া । আমাদের আহার-নিদ্রা-মৈথুন-চিন্তা-ভালবাসা-ক্রোধ-ঘৃণা সবই এই ‘ফাংশন’ । জটিলতা ও সূক্ষ্মতায় অবশ্যই আমাদের সাথে মোটরগাড়ির কোনও তুলনা হয়না, কিন্তু তা সত্ত্বেও দুয়ের মধ্যে এই মিলগুলো ভীষণ মৌলিক ও বাস্তব । কাজেই, এখন নিশ্চয়ই পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, ‘প্রসেস’ এবং ‘ফাংশন’ চালু রাখার জন্য ‘এনার্জি’ বা শক্তি অপরিহার্য, কিন্তু দুটো জিনিস মোটেই এক নয় । আমাদের শ্বাসনালী রুদ্ধ হয়ে গেলে, বা মোটরগাড়ির ইঞ্জিনে তেল আসবার নলটি বন্ধ হয়ে গেলে, দেহ বা গাড়ির পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটতে পারে, ভেতরে খাদ্য বা তেল রূপে শক্তিভাণ্ডার সম্পূর্ণ অটুট থাকলেও । আবার উল্টোদিকে, সে ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেলেও ভেতরের ব্যবস্থাটি অটুট থাকলে ‘প্রসেস’ এবং ‘ফাংশন’ আবারও চালু করে দেওয়া যায়, খাদ্য বা তেল পেটে পুরলেই । এই কথাগুলো মাথায় রাখলে কেউ আর নিশ্চয়ই এমনটা বলবেন না যে, আমরা (বা মোটরগাড়ি) শেষ হয়ে গেলে আমাদের (বা মোটরগাড়ির) ‘এনার্জি’ বেরিয়ে গিয়ে ভূত হয়ে ঘুরে বেড়ায়, বা ভূতবিজ্ঞানীর পিঠ চুলকোয় ।

    তাছাড়া, ‘থার্মোডিনামিক্স’ বা তাপগতিবিদ্যার আরও একটি নিয়ম বা প্রাকৃতিক সত্য এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য । এ বিদ্যার অনেকগুলো নিয়ম আছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় নিয়মটি হল, শক্তিকে একবার কাজে লাগিয়ে নিলে সে ধ্বংস না হলেও আর কর্মক্ষম অবস্থায় থাকে না, তাপ হিসেবে বস্তুর মধ্যেকার এক রকমের বিশৃঙ্খলা হয়ে থেকে যায়, তখন আর তাকে মোটেই কাজে লাগানো যায় না, ভূতুড়ে বাড়ির অন্ধকার ছাদে হাঁটাহাঁটি করে নিরীহ গেরস্তের কাজ বাড়ানোর তো প্রশ্নই ওঠে না । এ যদি না হত, তাহলে আর বারবার আমাদের তেল কয়লা পোড়াতে হত না, একই জ্বালানিতে চিরকাল কাজ চলত ।

    আসলে, ভূত বা 'আত্মা'-র ধারণাটি হল 'প্রসেস' বা ‘ফাংশন’-কে 'সাবস্টেন্স' বা বস্তু বলে ভুল করবার একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত । জীবিতের তুলনায় সদ্যমৃত মানুষের (বা অন্য প্রাণির) দৈহিক তফাৎ কিছুই বোঝা যায় না, অথচ সে আর সাড়া দেবে না, কথা বলবে না, ভালবাসবে না, এমনকি রাগও করবে না । তাহলে নিশ্চয়ই কোনও এক রহস্যময় সূক্ষ্ম বস্তু আছে, যার নাম দেওয়া যাক 'আত্মা' --- দেহের মধ্যে তার থাকা বা না থাকাটাই তবে তফাৎ গড়ে দিচ্ছে ! আধুনিক মানুষ জানে যে বাইরে থেকে দেখতে এক হলেও আসলে জীবিত ও মৃত দেহের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ, এবং ওই দৈহিক তফাতটাই হল প্রাণ-মন থাকা বা না থাকারও কারণ । দেহ পচতে শুরু না করলে তফাত বোঝা যায় না, মনে হয় মানুষটা বুঝি ঘুমিয়ে আছে, এখুনি জেগে উঠতেও পারে, কিন্তু আসলে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বিপাকীয় ক্রিয়া থেমে যায়, কোষগুলো মরে যেতে থাকে, রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় । অথচ, আদিম মানুষের পক্ষে তা বোঝা অসম্ভব ছিল । তারা না জানত শব-ব্যবচ্ছেদবিদ্যা, না বুঝত আধুনিক শারীরবিদ্যা ও কোষতত্ত্ব, না ছিল তাদের হাতে মাইক্রোস্কোপ । তারা তাই বুঝতে পারে নি যে, প্রাণ-মন হল আসলে 'দেহ' নামক এক মহা জটিল বস্তু-সমবায়ের 'ফাংশন' বা ক্রিয়া --- জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার পারিপার্শ্বিকের সাথে বিভিন্ন স্তরে অবিরাম চলতে থাকা এক আশ্চর্য মিথষ্ক্রিয়া । এই অতি গভীর ও সমৃদ্ধ প্রক্রিয়াকেই প্রাচীন মানুষ দেখেছিল এক সূক্ষ্ম বস্তু রূপে । এমন নয় যে তারা আমাদের চেয়ে বোকা ছিল । তারা জানত, ভেতরে ঢুকে থাকা বস্তু অন্য বস্তুর ধর্মকে পালটে দিতে পারে । কলসীর ভেতরে জল ঢাললে তার ওজন বেড়ে যায়, আবার তা বার করে নিলে সে ওজন কমেও যায় । জলের মধ্যে নুন বা চিনি মেশালে স্বাদ নোনতা বা মিষ্টি হয়ে যায়, আবার নানা প্রক্রিয়ায় আলাদা করে নিলে সে স্বাদ চলেও যায় । কাজেই, 'আত্মা' নামক সূক্ষ্ম বস্তু ঢুকে পড়ে দেহে প্রাণ-মন সঞ্চার করবে আর বেরিয়ে গিয়ে তাকে মড়া বানিয়ে দেবে, এ চিন্তা তাদের কাছে খুব বেশি অসম্ভব বলে মনে হয় নি । প্রাচীন মানুষের ক্ষেত্রে এইসব ভুল দোষের ছিল না, বরঞ্চ এগুলো তাদের চিন্তাশীলতা, অনুসন্ধিৎসা ও কল্পনাশক্তিরই প্রমাণ ।

    কিন্তু, আজকের দিনেও যারা এই প্রাচীন ভুল কাজে লাগিয়ে লোক ঠকায়, টেলিভিশনের মত আধুনিক বিজ্ঞাননির্ভর প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কুসংস্কার প্রচারের গণ-আয়োজন করে, তারা কেমন লোক ?

    আঙুলটা তাই উঠুক এদের বিরুদ্ধেই ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯ | ২১৪৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • A | 237812.68.234512.226 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৫৫48607
  • Ghostbusters kintu besh procholito serires ... Hoi hoi Kore shob jaiagatei chole .. USA to botei .. dada ke sudhu sudhu blame Kore ki laabh?
  • Swati Ray | 236712.158.786712.21 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০১:২৪48631
  • ভাগ্যিস ঘটনাটা ঘটেছিল! তাই জানতে পারলাম কত মানুষ ভূত দেখেছেন ।
  • --- | 236712.158.786712.69 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪২48608
  • ভগবানের প্রকোপ যে হারে বেড়ে চলেছে, ভূতেরও বাড়বে এতে আর আশচর্য কী? সুপারন্যাচারাল ক্যাটাগোরিটিকে কমব্যাট করতে মিনিমাম যেটুকু কনফিডেন্স প্রয়োজন সেটুকুও মানুষের মধ্যে থেকে চলে যাচ্ছে। ভূতের বইয়ের বিক্রি সর্বোচ্চ, এবং শিশুকালাবধি তা থেকে নীট একস্ট্রাক্ট শুধুমাত্র এন্টারটেইনমেন্ট নয়। মিডিয়া তো পপুলার কালচারকেই প্রোমোট করবে অ্যাজ এক্সপেক্টেড।
  • Debasis Bhattacharya | 236712.158.9005612.11 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭48609
  • দেবশিসবাবুর লেখাটি খুবই ভালো লেগেছে । ওনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
    ভূতের অস্তিত্ব প্রমাণের অপচেষ্টার জন্য চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ও সঞ্চালকের নিন্দা করছি । ভবিষ্যতে তাঁরা এ ধরনের অপপ্রয়াস থেকে দূরে থাকবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।
  • Atoz | 237812.69.4545.147 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০১48610
  • দূরে থাকবে? এর পরে হয়তো ভূতের বিয়ে দেবে স্পেশাল টিভি প্রোগ্রাম করে। ভূতের বাপের শ্রাদ্ধও হয়তো করবে। বলা যায় না, কিছুই বলা যায় না। বারোভূতে লুটে পুটে খেল দেশটাকে।
  • Debasis Bhattacharya | 236712.158.676712.134 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২৮48632
  • অনেকগুলো মন্তব্য এসেছে, এর জন্য আমি কৃতার্থ । অনেকেই লেখাটির প্রশংসা করেছেন, লেখাটির মেজাজ ও অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন, এমনকি, অন্য কারুর প্রশ্নেরও জবাব দিয়ে দিয়েছেন চমৎকারভাবে । এঁদের সকলকেই কৃতজ্ঞতা জানাই ।

    কয়েকটি জায়গায় 'ভূত' বানানে হ্রস্ব-উকার পড়ে গেছে, গত রাতে দ্রুত লিখতে গিয়ে । তার জন্য দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী ।
  • শিবাংশু | 236712.158.676712.140 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩48633
  • প্রথমে জানতুম তিনি অফ সাইডের ভগবান। তার পর এলো সিমেন্ট ও ছড়ের শক্তি। অনসাইডের ভূতনাথ হওয়া এবার আর আটকানো যাবেনা। এদেশে ইতিহাসের আদ্যশ্রাদ্ধ হয়ে গেছে সাম্প্রতিক কালে। দেবতাদের প্লাস্টিক সার্জারি ও দৈবী ইন্টারনেটের পথ ধরে এখন ফিজিক্সের ওঁ স্বাহাও শুরু হয়েছে। দেবাশিসবাবুকে ধন্যবাদ শ্রমস্বীকার করার জন্য। কিন্তু কেন তাঁকে কাজটি করতে হলো, সেই দুঃখটিই মূল প্রতিপাদ্য।
  • vut | 237812.68.5667.239 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪৪48611
  • ভূতরাই তো ভবিষ্যত।
    ইতিহাসের চাকা নাকি ঘুরতেই থাকে; এভাবে ভূত ভবিষ্যত হল আর ভবিষ্যতরা ভূতে গ্যালো।
    এইবার দেখতে হবে কে আছ জোয়ান 'ভূত ও বিগ ব্যাং' থিওরি খাড়া করে একখান নোবেল পটকে নেবে ...
  • Debasis Bhattacharya | 237812.69.563412.21 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪৬48612
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। এই লেখাটা প্রচুর শেয়ার করা দরকার। এবং চ্যানেলের বিরুদ্ধে একটা চিঠি লেখা উচিত। ধন্যবাদ দেবাশিস্ দা
  • Debasis Bhattacharya | 236712.158.676712.112 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৪48634
  • 'A',
    সত্যিই বিদেশে বিস্তর সিনেমা ও টিভি-প্রোগ্রামে এইসব দেখান হয়, এমনকি ডিসকভারি চ্যানেলেও । ব্যাপারটা অতি ন্যক্কারজনক সন্দেহ নেই, কিন্তু তাতে জি বাংলার পাপস্খালন হয়না । বরং, বিদেশে এসবের বিরুদ্ধে জোরালো কণ্ঠও আছে, এখানে তা অতি ক্ষীণ । কাজেই, প্রতিবাদ জরুরি । জরুরি বিশ্লেষণাত্মক আলোচনায় বিভ্রান্তি দূর করার প্রয়াসও ।

    'pi',
    বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ । হ্যাঁ, আপনার দেওয়া ভিডিও এবং ওই রকম আরও অনেক কিছুই আমি দেখি, খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি । এ নিয়ে অবশ্যই আরও লিখব, এখুনি না হলেও ।

    'দ',
    বিজ্ঞানমঞ্চ এ নিয়ে মামলা করবে এমন কথা আমিও শুনেছি, কিন্তু প্রামাণ্য সংবাদ কিছু দেখিনি । আমার ধারণা, এ ধরনের মামলায় সাফল্যের সম্ভাবনা কম, দেশে আইনকানুনের যা অবস্থা ! তবে, বিষয়টিকে প্রচারে আনার জন্য মামলা সহায়ক হতেই পারে । সেটাও কম কথা নয় । আমরা নজর রাখব । পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে কুসংস্কারবিরোধী কাজ যে খুবই কম হচ্ছে, এমনটা সম্ভবত নয় । তবে, প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল তো বটেই ।

    'Kaju',
    পিঠে আঁচড় পড়ার ভিডিও-টি আমার আদৌ বিশ্বাসযোগ্য লাগেনি, বিরাট কিছু আলোচনার উপযুক্ত বলেও মনে হয়নি । কেন, সেটা লেখাতে বলেছি, একটু মন দিয়ে দেখুন প্লিজ । অবিশ্বাস জিনিসটা হল যুক্তি ও বিজ্ঞানের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, সেটা অনুগ্রহ করে মাথায় রাখবেন ।
  • pi | 237812.69.453412.116 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৪48613
  • এই লেখাটার পড়ার সংগে এই শো টা একটু মিলিয়ে দেখুন ঃঃ)


    ছেয়ে গেছে এরকম শোতে! অনেকদিন আগে ভাট টইতে জিগেশ করেছিলাম, এইসব 'সায়েন্স' এর রমরমা নিয়ে। কোথাও থেকে কোন বাস্টিং তো দেখিইনি, উল্টে আরো নানা চ্যানেলে ছত্রাকের মত বেড়েছে! আর তারা ভীষণই জনপ্রিয় " ইউটিউবেও তাদের ভিউগুলো দেখবেন একবার! দেবাশিসদাকে আগেও বলেছিলাম, আবারো বলা রইল, এইধরণের শো ধরে ধরে বুজরুকির জায়গাগুলো তুলে ধরুন একটু। সেগুলো ছড়ালে হয়ত কিছু মানুষ প্রশ্ন করতে শিখবেন!
  • Debasis Bhattacharya | 237812.69.563412.135 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৪48614
  • ভগবানের অস্তিত্ব টি ভি তে যদি থাকতে পারে ভুতের বিরুদ্ধে এমন অন্যায় লেখা কি মানা যায়। আহারে,বেচারা ভুত রা চিরকাল ই দলিত। অশরীরী দের মধ্যেও জাত পাত স্ট্যাটাস এর লড়াই কী অমানবিক। ভগবান ও থাক ভুত ও থাক দুধে ভাতে।
  • সুকি | 237812.69.453412.44 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৭48635
  • অনেক দিন গুরুতে ভয়ে ভয়ে আপাত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কিছু লিখি না - তবে এখানে ছোট মুখে দুচার কথা লিখেই ফেলি।

    যাদের এই সব ভাঁওতাভাজী যুক্তিবাদ দিয়ে ফাঁস করা নিয়ে ইন্টারেষ্ট আছে ধরেই নেওয়া যায় যে তারা বাংলায় প্রবীর ঘোষের বই পত্র পড়ে ফেলেছেন। এর পরের স্টেপ হিসাবে জেমস র‍্যান্ডি-র বই পত্র পড়ে দেখতে পারেন, বিশেষ করে এই বইটাঃ "FLIM-FLAM!: Psychics, ESP, Unicorns and Other Delusions"। এই বইটার ভূমিকা লিখেছিলেন আইজ্যাক আসিমভ, ভূমিকাটাই এত সুন্দর যে শেয়ার করতে ইচ্ছে হল কিছু অংশ।

    তিনি সেখানে প্রথমে একটা টি ভি প্রোগ্রামের কথা উল্লখ করছেন যেখানে একজন দাবী করেছে যে সে পারপেচ্যুয়াল মোশন এর ডিভাইস আবিষ্কার করে ফেলেছে। তো এই সব ফেক টি ভি প্রোগ্রামের খারাপ প্রভাব কি সেটা আসিমভ লিখছেন। তিনি যা লিখেছেন সেটা এই ক্ষেত্রের ভূতের দাদাগিরি গ্রোগ্রাম নিয়েও বলা যায়। আমি আর অনুবাদ করছি না, ইংরাজীটা বড় সুন্দর লেখাঃ

    It is not just this one small claim and this one small bit of sleazy stupidity on the part of the news program that assails us.

    Never in history has humanity faced a crisis so deep, so intense, so pervasive, and so multi-faceted. There have never, till now, been so many people on earth, so dependent on a complex technology, so burdened by its flaws, and so likely to witness a complete breakdown of that technology in a matter of decades.

    It we ere to pull through, we must thread our way carefully through the rapids that lie ahead. At every step, we will be depending on our knowledge, grasp and understanding of science, of its potentialities and of its limitations. If we are careless and over-hasty, we may destroy ourselves through the misuse of science. If we are forethoughtful and knowledgeable, we may find salvations through the wise use of science.

    Under these circumstances, what crime is greater than that of deliberately misteaching the public about science, of deliberate misleading them, of defrauding them, of feeding them and stimulating their ignorance?

    এই শেষ প্যারাগ্রাফটা তাদের জন্য যারা দাদাগিরি-তে আনা ওই ভূত ধরার যন্ত্র এবং ততসহ দাবী দাওয়ার মধ্যে কোন সমস্যা দেখেন না। যারা বলে, “ভাই, এই নির্দোষ প্রোগ্রামের জন্য কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? টিভি ওলারা তো কেবল মাত্র সেই ভদ্রমহিলার একটা ভূত ধরার দাবী দাওয়া তুলে ধরছেন। তা যদি সত্যি নাও হয়, বা সেই যন্ত্র যদি নাও কাজ করে, তাতে কি আর বড় কোন ক্ষতি হয়ে যাবে?” আসলে কি ক্ষতি হচ্ছে সেটা বোঝার মত ক্ষমতা থাকলে কি আর এই প্রোগ্রাম কেউ ঢাক ঢোল পিটিয়ে করে? এমন জিনিস আসিমভ বলার সময় অন্য দেশেও ছিল, আর আমাদের দেশেও আছে। দেখা যাক উনি আরো কি লিখছেনঃ

    Folly and fakery have always been with us, to be sure, but it has never before been as dangerous as it is now; never in history have we been able to afford it less.

    At any other time in history, we would be grateful to any hard-headed realist who undertook to expose knaves and rascals, and would applaud his courage. [It is sad that it does take courage, for trying to snatch folly from the minds of those who have been victimized by it is often rather like trying to snatch a bone from a dog. If human being did not find nonsense so attractive, there would be no problem, for as someone once said, “Were there fewer fools, knaves would starve”]. How much more must we express our gratitude and admiration to someone doing so now at this critical point in history.

    এখানে কেউ বলতে আসিমভ বুঝিয়েছেন জেমস র‍্যান্ডি-কে। কিন্তু আমাদের বাংলায় এই কাজটা ব্যাপক ভাবে শুরু করেছিলেন প্রবীর ঘোষ, আমার নিজের মতে তিনি তাঁর প্রাপ্য সম্মান পান নি, পান নি তাঁর সাহসের উপযুক্ত মর্যাদা। যাই হোক আসিমভের বক্তব্যের সারাংশ তাঁর নিজের কথাতেই তুলে ধরা যাকঃ

    In a nutshell: Humanity has the stars in its future, and that future is too important to be lost under the burden of juvenile folly and ignorant superstition.

    এবার লক্ষ্য করে দেখবেন দাদাগিরি-তে ওই মহিলার ভূতের গল্প ডিফেন্ড করতে নানা জন নানা উল্টো প্রশ্ন করতে শুরু করে দিয়েছে অবিশ্বাসী-দের। যেমন, কি করে জামা পড়ে থাকলেও ওই ছেলেটার পিঠে লম্বা লম্বা আঁচড় দেখা গেল? মিথ্যে কথা বলে ওই ছেলেটার কি লাভ? আর নিজের পিঠে কেউ কি অত গভীর আঁচড় কাটতে পারে শুরুমাত্র ভূত আছে প্রমাণ করবে বলে? আর ওই মহিলাই বা এদিক ওদিকে ঘুরছেন কেন, শুধুই কি খ্যাতির লোভে? আজ না হয় ওকে দাদাগিরি-তে ডেকেছে, কিন্তু ওকে ডাকবে সেটা জেনে তো আর সে ভূত ধরা শুরু করে নি – ইত্যাদি ইত্যাদি।

    মজার কথা হল, এই যে প্রশ্নগুলো, এগুলোও কিন্তু একদম আশ্চর্য হবার মত নয়। শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রের জন্য নয়, এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেই সব জায়গাতেই এমন রক্ষণাত্মক ঢালের সামনে পরতে হয়। তা সেই টিপিক্যাল করা রক্ষণাত্মক প্রশ্নগুলিও বিশ্লেষণ করে সারাংশ করে দিয়েছেন জেমস র‍্যান্ডি, তাঁর ওই ফ্লিম-ফ্ল্যাম বইটির দ্বিতীয় চ্যাপ্টারের শেষে। আবারো অনুবাদ করতে ইচ্ছে হল না, মূল ইংরাজীতেই দিলামঃ

    The following twenty points are the major hallmarks of paranormal chicanery:

    1.It is claimed that the subject does not seek money or fae, and thus no motive to deceive exists.

    2.The subject (a child, peasant, or sweet little old lady) is said to be incapable of the techniques required; lack of sophistication precludes deception.

    3.It is said that the subject has failed to pass tests designed to determine if the necessary skill is present.

    4.Faults discovered in the story or performance tend to prove the phenomenon real, it is agreed, since a clever trickster would not make such basic errors.

    5.Is a phenomenon is consistent with previously reported ones, this is cited as strong evidence that it is genuine.

    6.It is claimed that critics give poor or insufficient seasons for doubting reported paranormal events and are therefore not to be taken seriously. Unfortunately, this is sometime true.

    7.Prominent personalities lend their support to the claims and are considered unassailable because of prestige, academic background, and so on.

    8.Similarly, supposed experts are called in to verify the claims.

    9.The findings of experts who are critical are mimimized or ignored.

    10.Those who allege paranormal events are equivocal and evasive, allowing investigators to assume facts and fill in details in support of their claims.

    11.Conflicting versions or details of a paranormal event are ignored.

    12. A subject’s ability to perform trickery is de-emphasized or ignored.

    13.Any controls that seem scientific are used to provide authentication, whether applicable or not.

    14.It is said that the subject can not produce phenomena on command or on a regular basis, since such abuilities are ephemeral and sporadic.

    15.It is claimed that conditions that make deception possible are also those that allow the miracles to take place, and miracles are the more probable explanations.

    16.Unless the critics can explain away all the reported details, the residue is considered an irreducible basis for validation.

    17. We are told that subjects do not do well when persons with “negative vibrations” are nearby.

    18. It is claimed that when money is paid for the services of a psychic, or the psychic powers are used to earn money, the powers are defeated. On the other hand – since parapsychologists like to have it both ways – money rewards, they also claim, tend to encourage performance.

    19.It is argued that too many controls on an experiment cause negative results.

    20.Any trickery detected by the investigators may be attributed to the subject’s desire to please, and therefore there is a compulsion to cheat.

    উপরের পয়েন্টগুলোয় একবার চোখ বোলালেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে ওই ভূত ধরার যন্ত্র বা ওই মহিলার দাবী বিষয়ক প্রতিপ্রশ্নগুলি সবই ছকে এসে যাচ্ছে।
  • b | 237812.68.454512.132 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৪২48636
  • দেখুন, ভূতের অভিজ্ঞতা আমারো হয়েছিলো।
    তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। গেট থেকে আমার হোস্টেল , এক থেকে দেড় কিমি হবে।তখন অনেক রাত, একটু আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে, রাস্তা জনশূন্য। গেট দিয়ে ঢুকে আমি যাচ্ছি, প্রত্যেকটা পা ফেলার সাথে সাথে আরেকটা পা ফেলার শব্দ হচ্ছে, মৃদু, কিন্তু অবধারিত। ছপ ছপ....ছপ। জোরে হাঁটলে জোরে, আস্তে হাঁটলে আস্তে। কদিন আগে বন্ধুদের মুঝে শোনা ভূতের গল্পগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিলো।শীতের রাত্রেও ঘেমে যাচ্ছিলাম।
    হোস্টেলের কাছাকাছি এসে হঠাত সাহ্স আর কার্য্যকারণ দুটোই ফিরে এলো। পুরোনো কেডসের একটা পাটির সোল ছিঁড়ে জল ঢুকে গেছিলো।
  • | 236712.158.676712.134 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৪৩48615
  • কিন্তু সব মন্তব্যকারীগণ 'দেবাশিষ ভট্টাচার্য্য হয়ে যাচ্ছেন কেন? এ কি অদ্ভুতুড়ে কারবার অ্যাঁ?!

    মশায়গণ নামের বাক্স না আসলে একটু কষ্ট করে মাথার উপরে গিয়ে মেনু থেকে 'ওয়েব ভার্সান ক্লিকিয়ে ওয়েব ভার্সানে আবার ব্লগে ফিরুন, নামের বাক্স এসে যাবে।

    লেখাটা বেশ ভাল। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ নাকি 'দাদাগিরি'র বিরুদ্ধে মামলা করবে? করলে খুবই ভাল। সয়েন্স ক্লাবগুলো যে সব কোথায় গেল! আগে রীতিমত ধরে ধরে মিথ বাস্টিঙ হত।
  • ৩র২২র৩ | 236712.158.8989.79 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:০০48616
  • ভাল
  • ন্যাড়া | 236712.158.90056.117 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:২২48637
  • কেউ রামে বিশ্বাস করে, কেউ ভূতে, কেউ কমিউনিজমে, কেউ মার্কেট ইকোনমিতে - কজনের বিরুদ্ধে লড়বেন?
  • Ekak | 236712.158.895612.102 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:২৭48638
  • ভূত নেই এটা জনে জনে ধরে প্রমান দিয়ে বোঝাতে পারলে ভালৈ; ওপ্টিমিস্ট প্রজেক্ট।

    তবে আগের স্টেপ হিসেবে, ভর হলে লোকে ওঝা ডাকার চে ডাক্তার ডাকাকে সহজ অপশন হিসেবে নেবে; সেই ভর্সাজোগ্যো পরিকাঠামো বানানো জরুরি।

    প্রবন্ধ ভালো লাগলো।
  • Dn Dutta | 237812.69.453412.164 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৫48618
  • Thanks Debasish Babu for your insightful interpretation of the episode. These are simple tricks to raise the TRPs of the program. But these media houses don't bother for the beliefs they are building in the mind of innocent viewers.
    The Chanel should be condemned for providing this kind of platform to help establishing this false belief snd that to with a celebrity like Sourav Ganguly who has huge admirers.
  • Dn Dutta | 237812.69.453412.164 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৫48617
  • Thanks Debasish Babu for your insightful interpretation of the episode. These are simple tricks to raise the TRPs of the program. But these media houses don't bother for the beliefs they are building in the mind of innocent viewers.
    The Chanel should be condemned for providing this kind of platform to help establishing this false belief snd that to with a celebrity like Sourav Ganguly who has huge admirers.
  • Kaju | 237812.69.563412.81 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৫৮48619
  • একটা ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর পেলে আমি একটু স্বস্তি পাই। দেবেন? জ্যাকেট জামা গেঞ্জিতে বিন্দুমাত্র আঁচড় বা ছেঁড়া না হয়ে কীভাবে ছেলেটির পিঠে ওরকম লম্বা লম্বা আঁচড় পড়ল? ভিডিও দেখেছেন আশা করি? কীভাবে সৌরভের বাড়ির ছাদের সরু কার্নিশে কারুর দৌড়ে বেড়ানো সম্ভব? কীভাবে সরু ডাব গাছের পাতায় কোনো ছেলের ভেসে থাকা সম্ভব? সৌরভ নিজে দেখেছেন বলেছেন। কাউকে এসব ঢপঢাপ দিয়ে ভূতে বিশ্বাস করিয়ে উনি ১০০টা ট্রিপ্ল সেঞ্চুরির মালিক হয়ে যাবেন না আর রাতারাতি নিশ্চয়ই?

    আবার ভূত বিশ্বাসী নিকৃষ্ট জীব বলে দাগিয়ে দেবেন না মাইরি ! বিশ্বাস করে বা করিয়ে আমার কোটি টাকা ইনক্রিমেন্ট হয়ে যাবে না আগেও বলেছি। স্রেফ ২-৪ লাইন "যুক্তিবাদী বৈজ্ঞানিক" ব্যাখ্যাসহযোগে উত্তরটুকু দিন কীভাবে এগুলো হইলেও হইতে পারে। উটকো বেনামে পিঞ্চ ফিঞ্চ করতে এসে সুবিধে হবে না।

    আর ঐ চ্যানেলেই এত ট্র্যাশ সিরিয়াল চলে দিন রাত্তির, তখন এত তৎপরতা কোথায় থাকে আপনাদের স্যার? সেটা নিয়েও একটু আন্দোলন করুন না, অনেকগুলো বয়স্ক মানুষ একটু বাঁচে। আমরাও সেই সঙ্গে।
  • T | 236712.158.676712.40 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৯48620
  • কাজুবাবুর জন্য :)
  • র২হ | 236712.158.676712.158 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:২৩48621
  • এইসব ঢপ তো চতুর্দিকে চলছে, প্রতিবাদ, বিপক্ষে সচেতনতা অভিযান, আইনী পদক্ষেপ হলে খুবই ভালো।

    তবে সৌরভ এটাকে এন্ডর্স করেছেন বলে মনে হচ্ছে অনেকের একটু বাড়তি বিস্ময় হয়েছে, ফেসবুক টুকে যা দেখলাম আরকি - সেটার কারন বুঝছি না। সৌরভ তো খেলোয়াড়, সেলিব্রিটি, খুব যুক্তিবাদী বুদ্ধিজীবি এমন কিছু বলে শোনা যায় না। একগাদা তাবিচ কবচ মাদুলিও পরেন (সেই জামা খোলার সময় দেখা গেছিল)। একটা বিজেপি সম্ভাবনাও আছে আবার।

    তো, লোকে যা খায় আর লোককে যা খাওয়ানো হয়, সেই সব দিক দেখে ওঁর ভূমিকা অপ্রত্যাশিত কিছু না।
  • Atoz | 237812.69.4545.147 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৪০48639
  • এগুলো যে স্ক্রিপ্টেড নয়, তার কি প্রমাণ? প্রোগ্রামের জন্য সমস্তটাই হয়তো ভালো করে সাজিয়ে গুছিয়ে রঙ ঢেলে বানানো হয়েছে। ডায়ালগগুলোও হয়তো আগে থেকেই তৈরী করা, এরা ভালো করে রিহার্সাল দিয়ে নিয়েছে। ঃ-)
  • S | 236712.158.670112.197 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৪48622
  • সৌরভ নিজে দাদাগিরিতে বলেছিলেন যে তিনি ভুতে বিশ্বাস করেন। করতেই পারেন। ভুতে কেন, শক্তিমানে বিস্বাস রাখলেও কিছু বলার নেই। অনেক সেলেবই বলে থাকেন এইসব কথা। কিছুই করার নেই। আসলে দুটো সমস্যা। এক, দেবাশীষ বাবুকে এইরকম একটা অকাজের বিষয় নিয়ে এতবড় প্রবন্ধ লিখতে হল, পয়েন্ট বাই পয়েন্ট খন্ডন করে। কারণ এসব জিনিস শহুরে শিক্ষিত লোকেদের মধ্যে যে ভাবে ছড়িয়েছে সেইটাই চিন্তার। দুই, আগে ওঝা ইত্যাদিরা ছিলেন যারা একেবারেই প্রিমিটিভ ভাবে ইলিটারেট মাসের জন্য এইসব ভুত ধরা, ভুত ছাড়ানো করে বেড়াত। এখন শুরু হয়েছে সায়েন্টিফিক পদ্ধতি, যেটা শহুরে শিক্ষিতদের খুব প্রিয়। দেখবেন অ্যাস্ট্রোলজির লোকেরা আগে ভগবান ঈশ্বরের কথা ব্যবহার করতেন। এখন বলে আসলে সবই সায়েন্স। কারণ তাতেই মার্কেট বাড়ছে।
  • | 237812.68.454512.210 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৫48623
  • হ্যাঁ সৌরভ গাদাগুচ্ছের তাবিজ মাদুলি এইসব পরে। কুসঙ্স্কারের আন্ডিল একটা।
    `
  • | 237812.68.454512.210 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৯48624
  • হুঁ সায়েন্সের লেবাস গায়ে চড়িয়ে ভুতপ্রেত কুসংস্কার, হনুমানযন্ত্র সবই বেচতে হয়। আর ডিগ্রিধারী গবেটের দল সেগুলো গব্গব করে গেলে।
  • lcm | 237812.68.9008912.234 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:০৪48640
  • হ্যাঁ! এসবই তো এন্টারটেইনমেন্ট - দাদাগিরি, দিদি-নাম্বার... ভূত+সায়েন্স+টায়েন্স, এক পিস ওয়্যারলেস ভূতোমিটার টাইপের যন্ত্র+তন্ত্র+মন্ত্র মিলিয়ে ব্যাপারটা আরও আমুদে হয়, টিআরপি বাড়ে, চ্যানেলগুলোকেও তো করে খেতে হবে।
  • Debasis Bhattacharya | 236712.158.676712.112 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১০:১৩48626
  • Ekta question 6lo ei juktibadi mone asa kari purana karen!! -
    Oi jnno flat barite voter sathe j voice call ho lo seta ki adao samvab, ar eta ki kare isita di karte parlen.
    Dhanyobad sir eta ki6u explain karar jnyo, apnar prati kritagya ami o asa kari amra!!
    Evbei scientific chinta dhara youth generation der dite thakun, bigyaner jai hok, jai hok manuser!!
  • Debasis Bhattacharya | 236712.158.676712.112 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১০:১৩48625
  • Ekta question 6lo ei juktibadi mone asa kari purana karen!! -
    Oi jnno flat barite voter sathe j voice call ho lo seta ki adao samvab, ar eta ki kare isita di karte parlen.
    Dhanyobad sir eta ki6u explain karar jnyo, apnar prati kritagya ami o asa kari amra!!
    Evbei scientific chinta dhara youth generation der dite thakun, bigyaner jai hok, jai hok manuser!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন