এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হিন্দী আগ্রাসনের প্রেক্ষিতঃ দেশ, রাষ্ট্র ও ভাষা

    Samrat Amin লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ জুন ২০১৯ | ১৯৩২১ বার পঠিত
  • ফেব্রুয়ারী মাস প্রেমের মাস, ভাষারও মাস । শুধুই প্রেমের কুহুতান নয়, "অমর একুশে" ডাক দেয় এ মাসেই । আমার ভায়ের রক্তে রেঙে লাল হয়েছে ঢাকার রাজপথ, অমর একুশেই । হোক না পদ্মার ওপারের গল্প, তবুও বরকতরা তো আমারই ভাই, আমারই রক্ত । যে ভাষার জন্য তাদের আন্দোলন সেটা আমারই মায়ের ভাষা, যে সংস্কৃতির জন্য তাদের লড়াই সেটা আমারই সংস্কৃতি । অনেক লম্বা সে প্রেক্ষাপট । স্বাধীনতা-উত্তর দূর্বল রাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র (পশ্চিম পাকিস্তান) চেয়েছিল "পূর্ব পাকিস্তানের" উপর সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে । উর্দু ভাষা ও উর্দু কেন্দ্রিক সংস্কৃতি বাংলা ও বাঙালী সমাজজীবনে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল ক্ষমতালোলুপ পাকিস্তান রাষ্ট্র । রাষ্ট্রভাষা হিসাবে উর্দুকে মেনে নেয় নি বরকত রফিকের মতো স্বাধীনচেতা নির্ভিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন তরতাজা যুককেরা । সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে রক্ত দিয়ে । সেদিনের প্রতিরোধ যদি ঢাল হয়ে রুখে না দাঁড়াত তাহলে উর্দু ভাষা ও সাংস্কৃতির খোলসে রাষ্ট্রীয় থাবা বাংলাদেশকে পিষে দিত ।

    রাষ্ট্রের (State) সঙ্গে দেশের (Nation) এ লড়াই চিরন্তন । এমন হাজারো লড়াইয়ের সাক্ষ্য বহন করে ইতিহাস । আন্তর্জাতিক রাজনীতির ইতিহাস ভূগোল ঘাঁটলে ছত্রে ছত্রে পাবেন দৃষ্টান্ত । এমনকি মানচিত্র থেকে আমাদের ভারত নামক রাষ্ট্রও বাদ নেই । যখন বলা হয় "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য", তখন ভারতবর্ষের মধ্যেই অজস্র খন্ড ভারতের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয় । বহু ভাষাভাষীর মিলনমেলা এই ভারতবর্ষ, যা কোনভাবেই একমাত্রিক বা একস্তরীয় নয় । যেমন বাংলা, তামিল, মারাঠী বা অন্য জাতি রাষ্ট্রীয় অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ঐকান্তিকভাবে নিজ নিজ জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচিতি নিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে, ভারতবর্ষের নীতিগত দর্শন এটাই । কিন্তু বহুমাত্রিক ভারতবর্ষকে যদি একটি বিশেষ ভাষা ও সংস্কৃতির ছাঁচে ঢেলে একবগগা দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই ক্ষমতাবান রাষ্ট্র, তখনই নেমে আসে বিপদ, জাতির অস্তিত্বের সংকট ।

    বাঙালী হিসাবে আমরা এই বিপদের সম্মুখীন । আর বিপদের অভিসম্পাত যদি রাষ্ট্রীয় মদতে নেমে আসে তবে আরও চিন্তার বিষয় । তাই সময়ের দাবি রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট হিন্দি আগ্রাসন রুখে দেওয়ার । আপনি যখন দেখছেন যে আপনার এলাকার রাস্তার মাইলষ্টোনের লেখা গুলো হঠাৎ বাংলা থেকে হিন্দিতে বদলে যাচ্ছে, যখন দেখছেন নোটবন্দীর পর ৫০০ টাকার নোটে হঠাৎ দেবনাগরি হরফের ব্যবহার শুর হচ্ছে, যখন দেখছেন আপনার এলাকার কেন্দ্রীয় সরকারী দপ্তর বা ব্যাঙ্কিং সেক্টরে হিন্দীভাষীদের দাপাদাপি শুরু হচ্ছে, যখন দেখছেন "জয় মা কালী"র থেকে "জয় শ্রীরাম" বেশি বার উচ্চারিত হচ্ছে, যখন দেখছেন শাক্তদেবির আরাধনার বদলে "রাম নবমী" নিয়ে বেশি হইচই হচ্ছে, যখন দেখছেন সুফীবাদের উদার আধ্যাত্মিকতা পিষে যাচ্ছে ওয়াহাবি-সালাফি কট্টরপন্থায়, যখন দেখছেন কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজীর সঙ্গে হিন্দি ভাষায় প্রশ্নপত্র প্রদানের রীতি শুরু হচ্ছে, যখন দেখছেন বাংলার শহর কোলকাতা বা আসানসোলে হিন্দি ভাষায় কথোপকথনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠছে, যখন দেখছেন আপনার এলাকার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে হিন্দি আছে কিন্তু আপনার ভাষা বাংলা নেই, তখন বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না অন্য একটি ভাষাকেন্দ্রিক সংস্কৃতি মানে হিন্দি বাংলার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে ।

    চোখ কান খোলা থাকলে হিন্দি আগ্রাসনের পদচিহ্ন ঠাওর করা যায় । অনেকে ভাবতে পারেন, হিন্দি তো ভারতের "রাষ্ট্রভাষা" তাই এগুলো নিয়ে আপত্তি তোলার কিছু নেই । এই ভুল ভাবনাটা একটা বড় অংশের বাঙালীর মাথায় আছে । হিন্দি কোনকালেই ভারতের রাষ্ট্রভাষা ছিল না, আজও নেই। তাহলে এই ভাষাটিকে আমরা "রাষ্ট্রভাষা" জ্ঞান করতে লাগলাম কবে থেকে ? হ্যাঁ, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অবশ্যই আছে । স্বাধীনতার পূর্বে হিন্দিভাষী নেতানেতৃরা হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন, পারেন নি । কারন এর বিপরীতে যুযুধান ছিল উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর ভাষ্য । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হিন্দি হিন্দুদের ভাষা ও উর্দু মুসলিমদের ভাষা এই বিভেদবোধ ইংরেজরাই তৈরি করেছিল । ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে হিন্দু ছাত্রদের দেবনাগরী হরফে হিন্দি ভাষায় আর মুসলিম ছাত্রদের ফারসী হরফে উর্দু ভাষায় রিডিং মেটেরিয়ালস দেওয়া হত । কারনটা খুবই স্পষ্ট, বিভেদের প্রাচীর তৈরি করা । যাই হোক, দ্বন্দ নিস্পত্তির জন্য কিছু ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী নেতা এই দুই ভাষার মিশ্রণে "হিন্দুস্তানী" নামক এক ভাষাকে "রাষ্টভাষা" হিসাবে প্রমোট করার চেষ্টা করেন । এই ভাষায় বোম্বে ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রিতে দু-তিনটে সিনেমাও রয়েছে বলে শোনা যায় । কিন্তু বলিউডকে ব্যবহার করেও ভাষাটি কল্কে পায় নি । এর অন্য একটি কারন হল দেশ ভাগের পর উর্দুকে পাকিস্তান রাষ্ট্র হাইজ্যাক করে নিয়ে চলে গেল, হিন্দীর জন্য পড়ে রইল ফাঁকা মাঠ । অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল হিন্দুস্তানী ।
    ভারত স্বাধীন হওয়ার পর হিন্দিভাষী নেতানেতৃরা ভেবেছিলেন অনায়াসেই হিন্দিকে অহিন্দিভাষীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারবেন । দেশের সংবিধান রচিত হওয়ার পর হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর তোড়জোড় শুরু হল । কিন্তু কয়েকটা মাত্র রাজ্যের প্রাদেশিক ভাষাকে "রাষ্ট্রভাষা" বানাতে গেলে গোটা দেশের নিরিখে সমাজ ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষা হতে হবে, কিন্তু উত্তর ভারত ছাড়া হিন্দির ব্যবহার ছিল না । তাছাড়া দক্ষিন ভারতের দ্রাবিড়ীয় ভাষাগোষ্ঠীর মানুষদের প্রতিবাদের ভাষ্য ছিল যথেষ্ট কড়া । তাঁরা নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি ইংরাজিতে সড়গড় ছিল, কিন্তু হিন্দি তাদের অপছন্দের ভাষা । এমতাবস্থায় দরকার ছিল ভারতের বিভিন্ন জাতি ভাষা পরিচিতির মানুষদের সমাজ ও ব্যবহারিক জীবনে হিন্দিকে ছড়িয়ে দেওয়া। অলিখিতভাবে হিন্দিকে ভারতের "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হল, তার জন্য নির্ধারিত হল ১৫ বছর সময়।

    পাকিস্তান রাষ্ট্র বলপূর্বক বাংলাদেশের উপর উর্দু চাপানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্ত ভারত রাষ্ট্র সেই একই কাজ শুরু করেছিল জনসাধারনের অনুমতিক্রমে এবং এই অনুমুতি ছিল আইডিওলজিক্যাল এবং ম্যানিপুলেটেড । মানে চয়েস দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অপশন একটাই, এরকম একটা ব্যপার । রাষ্ট্র জানত যে জোরপূর্বক অহিন্দিভাষীদের হিন্দি গেলানো যাবে না, আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে গেলাতে হবে । পপুলার মিডিয়া হিসাবে বোম্বে ফিল্ম বিনোদন জগতকে তোল্লায় দেওয়ার কাজ শুরু হল। ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ এই সময়টা বোম্বে ফিল্ম জগতের স্বর্ণযুগ । মারাঠাদের রাজ্যে মারাঠাদের শহর বোম্বেতে একটি হিন্দিভাষাকেন্দ্রিক বিনোদন জগৎ এভাবে ফুলেফেঁপে উঠল কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এটা আমাদের অনেক আগেই ভাবা উচিৎ ছিল । এটা ঠিক যে এসম্পর্কীয় কোন প্রমানস্বরুপ তথ্য নেই কিন্তু ব্যক ক্যালকুলেশন করলে অঙ্কটা খাপে খাপ মিলে যায় ।

    অল ইন্ডিয়া রেডিওতে হিন্দি ভাষায় সম্প্রচার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির হিন্দিতে দেওয়া বয়ান, কেবল হিন্দিতে লেখা দেশাত্মবোধক গানগুলো জাতীয় ক্ষেত্রে প্রমোট করা, হিন্দিতে জাতীয় ধ্বনী, বাংলায় লেখা জাতীয় সঙ্গীতের হিন্দিকরন সবই হিন্দিকে "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" বানানোর যে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা তারই অঙ্গ । "কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন" গঠনের প্রসঙ্গটাও আনা যায় । এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজারের উপর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, মাধ্যম ইংরাজি, এবং দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে কেবল হিন্দি, অন্য ভাষার জায়গা নেই । মানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টা আপনার নিজের এলাকায় হলেও বাংলা ভাষা চর্চা সেখানে নাজায়েজ । কিন্তু এতসব কিছু করেও রাষ্ট্র সংবিধান প্রণয়নের ১৫ বছর হতে চললেও অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে নি । তড়িঘড়ি ১৯৬৩ তে সংসদে "অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্ট" পাস হয় । হিন্দি এবং ইংরাজীকে দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং সরকারিভাবে নীতি গৃহিত হয় যে বিদেশী ভাষা ইংরেজির ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে পুরোপুরিভাবে হিন্দি কায়েম করা হবে । এই দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে হিন্দির স্বীকৃতিটাই আমাদের ভ্রান্ত ধারনায় জারিত হয়ে "রাষ্ট্রভাষা" হয়ে গেছে । ১৯৬৫ তে এই আইন লাগু হলে উদ্বিগ্ন হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তামিল নাড়ুর কলেজপড়ুয়ারা, অনেকে আত্মাহুতি দেন । হিন্দির দালালি তারা মেনে নেয় নি। এমন নাছোড়বান্দা আন্দোলন তাদের ভাষিক জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ।

    এহেন প্রতিবাদের জেরে কিছুটা পিছু হটে রাষ্ট্র । তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ঘোষনা দেন যে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন যতদিন চাইবে ততদিন ইংরাজি দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে টিকে থাকবে । কিন্তু আদতে পর্দার আড়ালে অহিন্দিভাষীদের উপর হিন্দি চাপানোর নীতি থেকে সরেনি রাষ্ট্র । তার জলন্ত প্রমান ১৯৬৮ সালের "ত্রিভাষা সুত্র" নীতি । এই নীতি অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিসরে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নিজ ভাষা, জাতীয় ক্ষেত্রে হিন্দি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইংরাজি ভাষা, সর্বমোট তিনটি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক । এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরুপ ব্যঙ্গ করে তামিল নাড়ুর তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী সিএন আন্নাদুরাই বললেন --- " জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে দুটি আলাদা আলাদা ভাষার জন্য তদবির করার অর্থ হল দেওয়ালে বেড়াল বার করার জন্য একটা বড় ফুটো রাখা আছে, তবুও আবার ইঁদুরের জন্য আর একটা ছোট ফুটো করা হল, কিন্তু বেড়ালের জন্য রাখা বড় ফুটোতেই তো দুটো কাজ হয়, তাহলে আবার ছোট ফুটো করা কেন ?" ত্রিভাষা সুত্রকে এভাবেই তামিল ও তেলেগু মানুষজন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিল ।

    অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন দেশীয় ভাষা হিন্দির থেকেও কি বিদেশী ভাষা ইংরাজী আপন যে তার জন্য ওকালতি করতে হবে ? কিন্তু প্রশ্নটা "আপন-পর" এর নয়, যৌক্তিক বুদ্ধির । কেউ মানুক আর না মানুক, ইংরাজি এখন গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিরুদ্ধশূন্য অপ্রতিদ্বন্দ্বী "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" । এটা বিগত দুই শতকের প্রায় বিশ্বজোড়া ঔপোনিবেশিক ইংরেজ শাসনের ফসল । তাই বাস্তববোধ বলে ভারতের কোন ভাষাকেই এই পর্যায়ে উন্নীত করা প্রায় অসম্ভব । ইংরাজী ভাষা ও সাহিত্য বহগুনে সমৃদ্ধ, বিশ্বজোড়া কদর । কম্পিউটার ইন্টারনেটের যুগে ভাষাটি না শিখতে চাওয়া মানে প্রভূত সাহিত্যরস এবং বিজ্ঞানভিত্তিক ও সমাজতাত্ত্বিক বৃহৎ জ্ঞানভান্ডার থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখা । কিন্তু হিন্দির সেই লেভেলের ষ্টেটাস নেই, তুলনায় বাংলা ভাষার মাধূর্য এবং শব্দনির্মান ক্ষমতা ও গঠন কাঠামো হিন্দির থেকে উন্নত । বাংলা সাহিত্যেও হিন্দি সাহিত্যের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে । আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইংরাজি শেখাটা যখন আবশ্যিকতা, তখন জাতীয় স্তরে ভাষাটি থেকে গেলে অতিরিক্ত একটি অপ্রয়োজনীয় ভাষা শিক্ষার চাপ থাকে না। অন্যদিকে জাতির জাতীয় ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার নিজের মায়ের ভাষা তো থাকছেই ।

    পরিশেষে একটা কথা বলার । কোন ব্যাক্তিবিশেষ হিন্দিভাষীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের জায়গা থেকে নয়, বরং হিন্দি আগ্রাসন সম্পর্কিত বাঙালী জাতির সচেতনতা ও সেটাকে শুধু ঠেকানোর কথা বলেছি । হিন্দিও একটা জনগোষ্ঠীর মায়ের ভাষা, হিন্দিকে ঘিরেও একটা অংশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে । এই জায়গাতে ভাষার চরিত্রটি নিরীহ । কিন্তু সাংস্কৃতিক আধিপত্য কায়েমের জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হলে সেই নিরীহ ভাষাটিই হিংস্র হয়ে যায় । যাকে তাত্ত্বিকরা "ভাষাসন্ত্রাস" বলেন । ভাষা নদীর মতো । সময়ের সাথে সাথে নিজের চলার পথে অনেক কিছুকে নিজের করে নেয় । কিন্তু জোর করে সে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে চাইলে ফল মারাত্মক । তেমনি ভাষা একটি জাতির সংস্কৃতির আধার । ভাষার উপর কোপ পড়লে সাংস্কৃতিক শোষনের পথ প্রশস্থ হয় । শোষিত হতে হতে একসময় দেখা যাবে বাংলা ও বাঙালীয়ানার অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে । বিশ্ব-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বাংলার কোন জায়গায় থাকবে না । বহির্দেশের মানুষ "ভারত" বলতে শুধু বুঝবে হিন্দি ভাষা, হিন্দি সাহিত্যে আর গো-বলয়ী চালচলন । বাংলা আর বাংলার সংস্কৃতি এভাবে খাবি খাবে, আর আমরা চোখের সামনে দেখব ? মেনে নেব ? এটা মেনে নেওয়া যায় ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ জুন ২০১৯ | ১৯৩২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 2345.110.344512.32 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০২:৪৪48952
  • নৌশাদ কি প্রচুর ওয়েস্টার্ন মিউজিক চুরি করেছেন?
    কিন্তু ওনার সংগীত বা সৃষ্টি তো আজও অমর।
  • sm | 2345.110.344512.32 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০২:৫৩48953
  • এলেবেলের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাই।ইংলিশ ভাষা শেখার চেষ্টা মানে দাসত্ব নয়।ওটা জাস্ট শিখতেই হবে।কারণ ওটা হলো কাজের ভাষা ,জীবিকার ভাষা।
    যদি ভারতের কোটি কোটি মানুষ বলতে বা বুঝতে না পারে,শেখানোর চেষ্টা করা হবে।
    নিজে শিখে ভালো চাকরী করবো, বিদেশ যাবো আর কোটি কোটি মানুষ কে ইংলিশ না শিখিয়ে অন্ধকারে রাখবো,এটাই হলো রিগ্রেসিভ মানসিকতা।
    ঠিক যেমন পাশ্চাত্য বিজ্ঞান কে আয়ত্ব করতে হবে নিজের ও দেশ এর উন্নতির জন্য।
    সাংখ্য,দর্শন,জ্যোতির্বিদ্যা,আর্য ভট্ট, নিয়ে বা চরক -শুশ্রুত নিয়ে বসে থাকলে,লোকে মূর্খ বলবে।
    সংস্কৃত নিয়ে বেশী সময় ব্যয় করলে,মাথার পিছনে একটি বৃহৎশিখা গজাতে পারে খালি।
  • dc | 232312.164.673423.14 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৩:১০48954
  • ন্যাড়াবাবুকা প্রস্তাব অতি উত্তম হ্যায়।

    ১। বেটার গান কাকে বোলতা হ্যায় তা কোন শেখা রাহা হ্যায়? ম্যায় শিখুঙ্গা।

    আমার তো বিলকুল মালুম নেহি হ্যায় বেটার গান কাকে বোলতা হ্যায়। জো গান সুনকে ও মেরে দিল কে চ্যায়্ন আতা হ্যায় ওহি আমার কাছে বেটার গান হ্যায়। ও গানা চুরি হ্যায় কি অরিজিনাল হ্যায় মুঝে নেহি মালুম হ্যায়।

    এক এক্সামপল ভি দিয়ে দেতে হ্যায়। "গোল্ড ডাস্ট ওম্যান" - ইয়ে গান ফ্লিটউড ম্যাক কা হ্যায়। বহুত আচ্ছা হ্যায়। লেকিন ইয়ে গানা সিস্টার হ্যাজেল নামকা এক গ্রুপ কভার কিয়া হ্যায়। ইয়ে কভার আরো বড়িয়া হ্যায়।

    ২। চুরি নেহি করা হ্যায় এমন মিউজিক ডিরেক্টরকা লিস্ট মাংতা হ্যায়। হ্যায়?

    আমার কাছে তো নেহি হ্যায়।
  • dc | 232312.164.673423.14 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৩:১৩48955
  • sm, নৌশাদ মিউজিক চুরি করেছেন কি করেননি সেটা কি আদৌ ম্যাটার করে? নৌশাদ, এসডি, আর্ডি, ও পি নাইয়ার, এনারা গানের জগতে একেকজন মাউন্ট এভারেস্ট, কান্চনজঙ্ঘা। এদের গান শুধু শুনতে হয় ঃ-)
  • dc | 232312.164.673423.14 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৩:১৬48956
  • তবে চুপি চুপি বলে রাখি, নৌশাদও চুরি করেছেন :p

    এমনকি গানের ঈশ্বর অজি, গান জিনিষটা হাজার হাজার বছর আগে মানুষ শিখেছিল অজি একদিন গাইবে বলে, সেই অজি স্বয়ং চুরি করেছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ঃ-)
  • Ishan | 2312.106.9002323.218 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৩:২২49021
  • নাটক নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানিনা। মারাঠি নাটক নিয়ে তো নয়ই। শোনা এবং পড়া কথা, মারাঠি নাটকের বিরাট ঐতিহ্য। এই একক যেমন বলল। এরকম তো হয়ই। কোনো কোনো জায়গায় সংস্কৃতির নির্দিষ্ট রকম উৎকর্ষ সাধন হয়, কোনো কোনো জাগায় হয়না। কর্ণাটকী ধ্রুপদী সঙ্গীত যেমন। সেই দিক থেকে বাংলা পিছিয়ে ছিল, বা থাকতেই পারে। বস্তুত এই লিখতে লিখতে মনে পড়ল কুমারপ্রসাদেরই লেখায় বোধহয় পড়েছি প্রবাদপ্রতিম মারাঠি উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পীরা কেউ কেউ মারাঠি থিয়েটারের তারকাও ছিলেন। সেটা বাংলায় হয়নি। এসব ঠিকই আছে। মেনে নিতেও কোনো অসুবিধে নেই। বাংলায় আবার অনেক কিছু হয়েছে, যা গোটা ভারতের অন্যত্র হয়নি। যেমন রবীন্দ্রনাথ। বা জীবনানন্দ।

    কিন্তু কথা যদি বোম্বের ফিলিম ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে হয়, সেটা পুরোটাই টাকা এবং ঠেকনার জোর। দেশের নানা জায়গা থেকে নানা ট্যালেন্টকে ধরে নিয়ে গিয়ে সর্বভারতীয় একটা ডিসকোর্স তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ সরকারি মদতে। এছাড়া এর আর কোনো চলন নেই।

    আর দ্বিতীয় কথাটা হল প্রোটেকশন। প্রোটেকশন মারাঠিরা পেয়েছে। বাঙ্লা পায়নি। পেলেই, একক যেমন বলেছে, করে উল্টে দিত, তা নাও হতে পারে, কিন্তু পায়নি।

    আর দিয়েগো কী বললেন বুঝলাম না। শিবসেনা মারাঠি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে বলে আন্দোলন করেছে। এবারও শিবসেনা সাংসদরা মারাঠি ভাষায় শপথ নিচ্ছেন, শিবসেনা সেটা গর্ব করে ঘোষণা করেছে। মারাঠি জাতিয়তাবাদ আর মারাঠি ভাষা তো অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
  • রঞ্জন | 232312.176.454523.84 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৩:২৭48957
  • আমি যতটুকু জানি -- ত্রিভাষা ফরমূলা অনুযায়ী হিন্দি ইংরেজি ও একটি প্রাদেশিক ভাষা --অর্থাৎ যে'কটি ভারতীয় ভাষাকে 'জাতীয় ভাষা ' ( বোধহয় ২৬টি) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে-- তার কোন একটি শিখতে হবে। বলা হচ্ছে প্রতিবেশি রাজ্যের ভাষাটি শিখতে।
    এটা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় খানিকটা ফলো করে। ফলে মশ্যপ্রদেশের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলোতে মারাঠি/ তেলুগু ইত্যাদি একটু আধটু শেখানো হয় । রাজ্য সরকারের অনুমোদিত স্কুলে শুধু ইংরেজি ও হিন্দি শেখানো হয় । এরা তৃতীয় ভাষা হিসেবে প্রতিবেশি রাজ্যের ভাষা শেখার জায়গায় সংস্কৃত পড়ায়।
    ২ অর্থাৎ , অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলো হিন্দি শিখবে, কিন্তু হিন্দিভাষী রাজ্য অন্য কোন ভারতীয় ভাষা শেখাতে বাধ্য নয় !
    ৩ আর লেখক যা বলেছেন সেটা সত্যি। ভারতে কোন সংবিধান বা আইন অনুমোদিত রাষ্টভাষা নেই । আছে অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ বা সরকারি ভাষা। এটাকে হিন্দি বলয়ে (এবং কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ মদতে) রাজভাষা বলে চালানো হয় । রাজভাষা সমিতির জন্যে সরকারি অনুদান আছে। রাজভাষা অধিনিয়ম অনুযায়ী ক' বর্গের রাজ্যগুলোতে (হিন্দিবলয়) পাবলিক সেক্টর সংস্থায় অধিকাংশ চিঠিচাপাটি সার্কুলার হিন্দিতে করার কথা । নইলে কেস খাবে। (আমি খেয়েছিলাম)।
    ৪ সেপ্টেম্বর মাসে (১৪ ?) রাজভাষা দিবস এবং রাজভাষা সপ্তাহ পালন করে রিপোর্ট পাঠাতে হয় । এভাবে লোকের মনে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্থাপিত করা হয় ।
    জনমানসে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয় হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থ্যান!
  • ন্যাড়া | 2312.49.451223.35 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৩:৩২49022
  • এস-সাহেবের কপিরাইট সম্পর্কে কথাগুলো খুব সত্যি। ভারতে এখনও ইন্টালেকচুয়াল প্রপার্টি সম্বন্ধে উদাসীনতা অনেক ক্ষেতেরি পীড়াদায়ক।

    অন্যদিকে, কোন ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টের আর্টিস্ট্রি ইন্সপিরেশনের (বা, চুরির) ভল্যুমের ওপর নির্ভর করে না। এ কথাও ঠিক একটা চুরিও চুরি, দশটা চুরিও চুরি। এর মধ্যে আর একটা ব্যাপার আছে। ভারতীয় রাগের ওপর ভিত্তি করে গান তৈরি করলে কেউ চুরি বলে না, কারণ রাগকে ধাঁচা বলে ধরা হয়। কিন্তু কেউ যখন রাগভিত্তিক গান বানাচ্ছেন, তিনি অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন বন্দিশকে নিচ্ছে। বন্দিশ কে ধরতে পারি রাগভিত্তিক গান।

    আমার বক্তব্য একজন আর্টিস্টের আর্টিস্ট্রি দেখুন। ভারতীয় ক্রিয়েটিভ স্পেস ইন্সপিরেশনে ভর্তি। কিন্তু কান তৈরি করলে, চোখ তৈরি করলে, নিজে সিরিয়াসলি কোন আর্টের চর্চা (সে ঘরের কোণে বই পড়ে হলেও) মুড়ি আর মিছরির তফাত ধরতে পারবেন। পাত্রাধার তৈল না তৈলাধার পাত্র এই ঝগড়ায় সময় কাটাতে হবে না।

    আবার আমার প্রিয় ইন্সপিরেশনের উদাহরণটা দিয়ে যাই।

    চ্যাপলিনের মূল -



    সলিলের ইম্প্রোভাইজেশন -



    রাহুলের ইম্প্রোভাইজেশন -



    একই উল থেকে একজন বানিয়েছেন পশমী শাল আর অন্যজন কাশ্মিরী গালিচা।
  • dc | 670112.208.4523.223 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৩:৪৬49023
  • "একই উল থেকে একজন বানিয়েছেন পশমী শাল আর অন্যজন কাশ্মিরী গালিচা"

    কেয়াবাত কেয়াবাত! ঃ-)
  • sm | 2345.110.344512.32 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৩:৫২48958
  • নৌশাদ চুরি করেন নি তো বলি নি।কিন্তু ওনার মূল সুর সৃষ্টি হয়েছে ভারতীয় শাস্ত্র সংগীতের ওপর বেশ করে।এটাও কি চুরি?
    এস ডি ফোক ও শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।বেশি এক্সপেরিমেন্ট করেছেন।এগুলো চুরি হলে চুরি।
    পাশ্চাত্য আধুনিক সংগীত ও দুনিয়া জুড়ে চুরি করেছে।বিশ বছর আগের গান ,এমন করে প্রেজেন্ট করেছে,চুরি বলে ধরা মুশকিল।
  • dc | 232312.174.2390012.75 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:০৮49024
  • তবে বম্বে টু গোয়া যখন এলোই, আমার ভীষন প্রিয় একটা গান থাক ঃ-)

    এই ভিডিওটার ১ঃ০৯ থেকে ১ঃ৫৬ অবধি দেখতে হবেঃ


    আর অরিজিনালঃ
  • dc | 232312.164.673423.14 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:১০48959
  • এসেমের জন্য তাহলে এই গানটা। শুধু চোখ বন্ধ করে শুনে যান, এই গান আর কোনদিন কেউ বানাতেও পারবে না, গাইতেও পারবে না।

    উড়তা হাওয়াও মে বাদল কে ছাঁও মে কৌন সে গাঁও মে যায়েগা তুঃ

  • এলেবেলে | 230123.142.67900.116 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:১২49025
  • কপিরাইট নিয়ে এত কথা। আপত্তি করব কেন? সত্যিই তো মূল গায়ক-সুরকার-লেখক সম্মান-টাকা পাচ্ছেন না। তর্কের প্রশ্নই নেই। কিন্তু গুলশন কুমার যখন টি সিরিজের আনমোল রতন সিরিজ বের করেছিল তখন লোকে হুলিয়ে সেসব কিনেছিল না কেনেনি? তখন কপিরাইটের প্রশ্ন কোথায় ছিল? এইচ এম ভি তো বাজার থেকে স্রেফ উঠে গেল। পার্ক স্ট্রিটের মিউজিক ওয়ার্ল্ডে আমি ২৭৫ টাকার বিনিময়ে একটা সিডিতে ১২টা গান ছাপিয়েছি আমার ইচ্ছানুযায়ী, দু নম্বরী গান শুনব না বলে। আমাকে লোকে দুয়ো দিয়েছে। এখন মোবাইলে লক্ষ লক্ষ গান বিনি পয়সায়। কোথায় কপিরাইট? সারা বাজারে ভর্তি পাইরেটেড ডিভিডি-তে। হলে রিলিজ হওয়ার আগেই তা লোকের হাতে। কোথায় কপিরাইট?

    বাংলাদেশে পাইরেটেড বাংলা বইয়ের রমরমা। এখানে লোকে নবারুণ থেকে সন্দীপন সব নামিয়ে নিচ্ছে বিনি মাগনায়। কোথায় কপিরাইট? কেন প্রশ্ন উঠছে না?

    কপিরাইট এবং 'আঁতলামো'। আরও একবার!

    WHAN that Aprille with his shoures soote - চসার

    April is the cruellest month, breeding
    Lilacs out of the dead land ... - এলিয়ট

    ক্ষুধিত, উজ্জ্বল জাগুয়ার যেন
    এপ্রিলের বসন্ত আজ - সমর সেন

    এলিয়টের নোবেল কেড়ে নেওয়া হউক!
  • Ekak | 340112.124.566712.69 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:২৮49026
  • সিডির মজা এমপিথ্রি তে আসেনা :( আমিও সিডি কিনি । হেব্বি দাম করেছে আজকাল । জমিয়ে জমিয়ে কিনি ,কিন্তু সিডি কোয়ালিটি সর্বদাই আলাদা ।
  • dc | 232312.174.2390012.75 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:৩৮49027
  • যদি পাও তো flac ফাইল ডাউনলোড করতে পারো, অলমোস্ট সিডি কোয়ালিটি। তবে বেশীর ভাগ গানেরই ফ্ল্যাক ফাইল পাওয়া যায়না।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:৪৬49028
  • পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী আর কৌশিকীর একটা চমৎকার সাত ভাই চম্পা ভিডিও আছে ইউটিউবে, কেউ দিন না! বেসিক সরগম থেকে কীভাবে গানটা হচ্ছে, সেই নিয়ে। খুব সুন্দর।
    (এতকাল আমি এঁদের খুব ভয় পেতাম, তাই কিছুই শুনিনি, কিন্তু এই ভিডিওটা দেখে ভালো লাগল, ভয় ভেঙে গেল। ঃ-) )
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:৪৮49029
  • কপিরাইট সর্বত্রই লন্ঘিত হচ্ছে মানে মহান সুরকারের কপিরাইট লঙ্ঘন করাটা লেজিটিমেসি পায়্না।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:৫০49030
  • কপিরাইটের একটা টাইম লিমিট আছে। তাছাড়া টিসিরিজ ঐসব গানের রাইট্স কিনে তবেই ঐসব সন্কলন বের করে।
  • Ekak | 340112.124.566712.69 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:৫২49031
  • ডিসি , সেটাই । ওসব খুঁজে পাওয়া মুশকিল । আমার মাথাব্যথা "কপিরাইট " নিয়ে নয় ঠিক । পারফর্মিং আর্টের মেটেরিয়াল কপিরাইট ব্যাপারটা বাস্তবে হয়না । ওটা বজ্র আঁটুনি কনসেপ্ট । একমাত্র , কোয়ালিটি ম্যাটার করলে লোকে তখনি পয়সা দেবে । যেকারণে , লোকে এখনো সিডি কেনে ।

    "চুরি " ইত্যাদি প্রসঙ্গ বারবার সারফেস করে তার কারণ খুব সিম্পল , বহু ক্ষেত্রে আগের ভার্সনের সঙ্গে কোনো ভ্যালু এড করা হয়না । ভ্যালু এড না করে শুধু একটু সাউন্ডস্কেপ - কালার এফেক্ট -ভাষা চেঞ্জ কর ছেড়ে দিলে লোকে চুরি বলবেই । সে গান - কবিতা -আঁকা যাই হোক ।

    আরেকটা বড় ব্যাপার ,আগের শিল্পী কে বেমালুম স্বীকার না করলে শিল্পের যে চলমান বিবর্তনের ইতিহাস সেটাকেই অস্বীকার করা হয় । এইযে , একটার পর একটা আমেরিকান ফোক নিয়ে কোবেইন সারা জীবন গেয়ে গেলেন , কেও কি বলেছে যে , গান চুরি ? প্রত্যেক ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে যে এটা অমুক ফোক থেকেনেওয়া । ইভেন সেই ফোক থেকে নিয়ে অন্য দল গেয়েছে , কোবেইন সেটা অনুসরণ করেছেন ........তাও সবার সামনে বলে দিচ্ছেন । এরকম উদাহরণ পাশ্চাত্য পপ -রক জগতে ভুরি ভুরি ।

    এটা একটা কালচার । আর্টের জগতের দেওয়া-নেওয়াকে শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করা । এতে কেও ছোট হয়ে যায়না । সে যদি নিজে কিছু ভ্যালু এড করে থাকে ,লোকে তাকেও এলেমদার শিল্পী হিসেবে মেনে নেবে । এই কালচারটা ইন্ডিয়াতে কম । এটাই ঘটনা ।
  • Ekak | 340112.124.566712.69 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:৫৯49032
  • ইন্ডিয়াতে কম কথাটা অবস্যই রাগ সংগীতের শিল্পীদের বাদ রেখে । ওনারা সর্বদাই গুরু -তাঁর গুরু -ঘরানা সবকিছুর কাছে দায় স্বীকার করেন । দে আর ডিফারেন্ট ব্রিড ।
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.116 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:০৩49033
  • ধুস, আবার সেই হাওয়ায় তলোয়ার ঘোরানো এবং হ্যাটা করা অকারণে।

    প্রথমে হল 'কপিরাইট' বুঝি না। না, ভুল হল। আর ডিকে আমি নাকি 'মহান' বলেছি এটা প্রথম। প্রথমটা আসলে দ্বিতীয়। তারপর এটা তৃতীয় - 'কপিরাইট সর্বত্রই লন্ঘিত হচ্ছে মানে মহান সুরকারের কপিরাইট লঙ্ঘন করাটা লেজিটিমেসি পায়্না'। কে যে লেজিটিমেসি দাবি করল তা ভগায় জানে যদিও!

    তারপরে আসল এই মহান বাক্যটি -- 'টিসিরিজ ঐসব গানের রাইট্স কিনে তবেই ঐসব সন্কলন বের করে'। হ্যাঁ, তাই তো বটে! আসলগুলো এইচ এম ভি-র। সে তার ব্যবসার মনোপলি ছেড়ে দেবে! অথচ হাজার চেষ্টা করেও সে হিন্দুস্তান রেকর্ডসের দেবব্রত বিশ্বাসের রাইটস কিনতে পারবে না! সুবিনয় রায়েরও!! কারণ তার টাকা নেই!!!

    এবং সব শেষে এই মহান ঘোষণা --- 'কপিরাইটের একটা টাইম লিমিট আছে'। যা দিয়ে নবারুণ-সন্দীপন বিনি পয়সায় নামিয়ে নেওয়া যায়!!!

    কতগুলো সিম্পল প্রশ্ন করেছিলাম প্রথমেই (পাঁচটা বোধহয়)। কেউ উত্তর দেয়নি। কাটি।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:০৮49034
  • নোবেল প্রইজ, অস্কার, ভারত রত্ন কোনো প্রাইজই কোনও ব্যক্তির কুকর্মের অজুহাত হতে পারেনা।

    বরফি সিনেমার পর সবাই যখন বললো যে একগাদা সীন ও ব্যাক্গ্রাউন্ড মিউজিক অন্য জায়্গা থেকে তোলা হয়েছে, তখন তিনি বলছেন যে ওগুলো তো সব আমি উৎসর্গ করেছি। তারমানে জানে যে চুরি করেছে, এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকছে। আর যদি উৎসর্গ করার জন্য এতই গা চুলকায় তাহলে সেটা ক্রেডিটে মেনশন করেনি কেন?

    হিন্দি সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর যে কি পরিমাণ চুরি করা হয় বিদেশি সিনেমার থেকে তা বলেও বোঝাতে পারবোনা। এক তো আমরা ছাই অতো জানিও, লক্ষ্যও করিনা। তারপরে বিদেশী ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর জানা লোকজন সেসব সিনেমা কখনো দেখেওনা। তারপরেও ধরা পড়ে গেলে বেশ করেছি বা ওরকম তো কতই হয় টাইপের সব অজুহাত আসে।
  • lcm | 900900.0.0189.158 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:১২48960
  • দেখো কারবার!

    ম্যায়্নে সোচা ন্যাড়া নে 'বেটা'-র গান কে বারি মে পুছ রাহা হ্যায়। আরে ও থা না, শিবাংশু নে লিখা যো ও - বাপ-বেটা (এসডি-আরডি) - বাপ নে দিয়া হোগা মিউজিক ... ...

    ছোড়িয়ে ও বাত।

    তো, বড়েস নে ক্লিয়ার কর দিয়া - ইয়ে বিজেপি গভর্নমেন্ট ক্লাস ওয়ান সে ক্লাস এইট তক তিন ভাষা শিখনে কা কারিক্রম চালু করনে কা কোশিস কর রাহা হ্যায়।

    খোদ ইউপি মে হি, সেকেন্ডারি এক্জাম মে বাচ্চেলোগ হিন্দি নে পাশ নেহি কর রহা হ্যায়, অউর সব স্টেট মে তো... ।

    আউর, এসএম সাব নে সহি বোলা - বাচ্চেলোগো কো ইতনা সারে ভাষা শিখনে কা ওয়ক্ত কহা সে মিলেগা।

    আর রঞ্জনদা নে ইয়ে 'রাজভাষা' কহা সে লে কর আইয়ে? অলরেডি, 'রাষ্ট্রভাষা' হ্যায়, কনফিউশন আউর মত বাড়াইয়ে। লেকিন আপ কা ও দো নম্বর ওয়ালা পয়েন্ট - ওহি তো প্রবলেম হ্যায় না - ৪০% লোগো কো সুবিধা কিউ মিলেগা? বহুৎ না-ইনসাফি হোগা।
  • lcm | 900900.0.0189.158 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:১৪48961
  • *রাষ্ট্রভাষা হ্যায় মতলব, 'রাষ্ট্রভাষা' করকে এক শব্দ শুনা হ্যায় - ইয়ে হ্যায় কেয়া পাতা নেহি।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:১৬49035
  • "আসলগুলো এইচ এম ভি-র। সে তার ব্যবসার মনোপলি ছেড়ে দেবে!"
    তাহলে এইচ এম ভি টিসিরিজকে কোর্টে নিয়ে গেলোনা কেন?

    "আর ডিকে আমি নাকি 'মহান' বলেছি এটা প্রথম।"
    এইটা আমি কোথায় লিখেছি কোট করে দেখিয়ে দিন।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:১৯49036
  • কারোর যদি নিজের লেখাকে কপিলেফ্ট রাখার ইচ্ছে থাকে, তাহলে যেন ব্লগের নীচে সেটা স্পষ্ট করে লিখে দেন।
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.116 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:২১49037
  • ওকে। আপনি আমার শত্রু নন। আপনাকে নিয়ে অযথা মিথ্যে অভিযোগ করে আমার পকেটে টাকা আসবে না। তবুও যেহেতু নিজের উক্তি নিজেই ভুলে গেছেন তাই দিয়ে গেলাম। কী পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন সেটা আশা করি নিজেই খুঁজে নিতে পারবেন। আর আমি এইচ এম ভি-র কেউ নই, কাজেই সে কোর্টে যায়নি কেন তা বলার দায় আমার নেই। ধন্যবাদ।

    Comment from S on 04 June 2019 12:40:33 IST 458912.167.34.76 (*) #
    অন্যে জোড় করলো/ চাপ দিলো, আর একজন নামজাদা সঙ্গীত পরিচালক চুরি করে ফেললেন? মৌলিকতার এর থেকে বড় উদাহরণ আর হয়্না।

    আমি কারোর বিশাল ফ্যান, অতেব তিনি মহান। এর থেকে কার উন্নাসিকতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে?
  • a | 90045.199.6723.42 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:২১48962
  • নারায়ণ স্যানালের একটা লেখায় এই প্রশ্নটি ছিলঃ বা’ন্লা একান্ত না পড়লে বা শিখলে ক্ষতি কি আজকের ছেলেমেয়েদের? এরা লিখতে পড়তে বুঝতে তো পারছেই। তাহলে?
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:২২49038
  • এখানে আপনি "আরডির বড় ফ্যান" কথা কোথায় লিখেছি দেখিয়ে দেবেন?
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:২৫49039
  • আপনি লিখেছেন "তারপরে আসল এই মহান বাক্যটি -- 'টিসিরিজ ঐসব গানের রাইট্স কিনে তবেই ঐসব সন্কলন বের করে'। হ্যাঁ, তাই তো বটে! আসলগুলো এইচ এম ভি-র। সে তার ব্যবসার মনোপলি ছেড়ে দেবে!"

    তারপরে আবার লিখলেন "আমি এইচ এম ভি-র কেউ নই, কাজেই সে কোর্টে যায়নি কেন তা বলার দায় আমার নেই।"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন