এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হিন্দী আগ্রাসনের প্রেক্ষিতঃ দেশ, রাষ্ট্র ও ভাষা

    Samrat Amin লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ জুন ২০১৯ | ১৯৭২১ বার পঠিত
  • ফেব্রুয়ারী মাস প্রেমের মাস, ভাষারও মাস । শুধুই প্রেমের কুহুতান নয়, "অমর একুশে" ডাক দেয় এ মাসেই । আমার ভায়ের রক্তে রেঙে লাল হয়েছে ঢাকার রাজপথ, অমর একুশেই । হোক না পদ্মার ওপারের গল্প, তবুও বরকতরা তো আমারই ভাই, আমারই রক্ত । যে ভাষার জন্য তাদের আন্দোলন সেটা আমারই মায়ের ভাষা, যে সংস্কৃতির জন্য তাদের লড়াই সেটা আমারই সংস্কৃতি । অনেক লম্বা সে প্রেক্ষাপট । স্বাধীনতা-উত্তর দূর্বল রাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র (পশ্চিম পাকিস্তান) চেয়েছিল "পূর্ব পাকিস্তানের" উপর সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে । উর্দু ভাষা ও উর্দু কেন্দ্রিক সংস্কৃতি বাংলা ও বাঙালী সমাজজীবনে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল ক্ষমতালোলুপ পাকিস্তান রাষ্ট্র । রাষ্ট্রভাষা হিসাবে উর্দুকে মেনে নেয় নি বরকত রফিকের মতো স্বাধীনচেতা নির্ভিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন তরতাজা যুককেরা । সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে রক্ত দিয়ে । সেদিনের প্রতিরোধ যদি ঢাল হয়ে রুখে না দাঁড়াত তাহলে উর্দু ভাষা ও সাংস্কৃতির খোলসে রাষ্ট্রীয় থাবা বাংলাদেশকে পিষে দিত ।

    রাষ্ট্রের (State) সঙ্গে দেশের (Nation) এ লড়াই চিরন্তন । এমন হাজারো লড়াইয়ের সাক্ষ্য বহন করে ইতিহাস । আন্তর্জাতিক রাজনীতির ইতিহাস ভূগোল ঘাঁটলে ছত্রে ছত্রে পাবেন দৃষ্টান্ত । এমনকি মানচিত্র থেকে আমাদের ভারত নামক রাষ্ট্রও বাদ নেই । যখন বলা হয় "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য", তখন ভারতবর্ষের মধ্যেই অজস্র খন্ড ভারতের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয় । বহু ভাষাভাষীর মিলনমেলা এই ভারতবর্ষ, যা কোনভাবেই একমাত্রিক বা একস্তরীয় নয় । যেমন বাংলা, তামিল, মারাঠী বা অন্য জাতি রাষ্ট্রীয় অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ঐকান্তিকভাবে নিজ নিজ জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচিতি নিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে, ভারতবর্ষের নীতিগত দর্শন এটাই । কিন্তু বহুমাত্রিক ভারতবর্ষকে যদি একটি বিশেষ ভাষা ও সংস্কৃতির ছাঁচে ঢেলে একবগগা দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই ক্ষমতাবান রাষ্ট্র, তখনই নেমে আসে বিপদ, জাতির অস্তিত্বের সংকট ।

    বাঙালী হিসাবে আমরা এই বিপদের সম্মুখীন । আর বিপদের অভিসম্পাত যদি রাষ্ট্রীয় মদতে নেমে আসে তবে আরও চিন্তার বিষয় । তাই সময়ের দাবি রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট হিন্দি আগ্রাসন রুখে দেওয়ার । আপনি যখন দেখছেন যে আপনার এলাকার রাস্তার মাইলষ্টোনের লেখা গুলো হঠাৎ বাংলা থেকে হিন্দিতে বদলে যাচ্ছে, যখন দেখছেন নোটবন্দীর পর ৫০০ টাকার নোটে হঠাৎ দেবনাগরি হরফের ব্যবহার শুর হচ্ছে, যখন দেখছেন আপনার এলাকার কেন্দ্রীয় সরকারী দপ্তর বা ব্যাঙ্কিং সেক্টরে হিন্দীভাষীদের দাপাদাপি শুরু হচ্ছে, যখন দেখছেন "জয় মা কালী"র থেকে "জয় শ্রীরাম" বেশি বার উচ্চারিত হচ্ছে, যখন দেখছেন শাক্তদেবির আরাধনার বদলে "রাম নবমী" নিয়ে বেশি হইচই হচ্ছে, যখন দেখছেন সুফীবাদের উদার আধ্যাত্মিকতা পিষে যাচ্ছে ওয়াহাবি-সালাফি কট্টরপন্থায়, যখন দেখছেন কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজীর সঙ্গে হিন্দি ভাষায় প্রশ্নপত্র প্রদানের রীতি শুরু হচ্ছে, যখন দেখছেন বাংলার শহর কোলকাতা বা আসানসোলে হিন্দি ভাষায় কথোপকথনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠছে, যখন দেখছেন আপনার এলাকার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে হিন্দি আছে কিন্তু আপনার ভাষা বাংলা নেই, তখন বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না অন্য একটি ভাষাকেন্দ্রিক সংস্কৃতি মানে হিন্দি বাংলার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে ।

    চোখ কান খোলা থাকলে হিন্দি আগ্রাসনের পদচিহ্ন ঠাওর করা যায় । অনেকে ভাবতে পারেন, হিন্দি তো ভারতের "রাষ্ট্রভাষা" তাই এগুলো নিয়ে আপত্তি তোলার কিছু নেই । এই ভুল ভাবনাটা একটা বড় অংশের বাঙালীর মাথায় আছে । হিন্দি কোনকালেই ভারতের রাষ্ট্রভাষা ছিল না, আজও নেই। তাহলে এই ভাষাটিকে আমরা "রাষ্ট্রভাষা" জ্ঞান করতে লাগলাম কবে থেকে ? হ্যাঁ, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অবশ্যই আছে । স্বাধীনতার পূর্বে হিন্দিভাষী নেতানেতৃরা হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন, পারেন নি । কারন এর বিপরীতে যুযুধান ছিল উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর ভাষ্য । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হিন্দি হিন্দুদের ভাষা ও উর্দু মুসলিমদের ভাষা এই বিভেদবোধ ইংরেজরাই তৈরি করেছিল । ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে হিন্দু ছাত্রদের দেবনাগরী হরফে হিন্দি ভাষায় আর মুসলিম ছাত্রদের ফারসী হরফে উর্দু ভাষায় রিডিং মেটেরিয়ালস দেওয়া হত । কারনটা খুবই স্পষ্ট, বিভেদের প্রাচীর তৈরি করা । যাই হোক, দ্বন্দ নিস্পত্তির জন্য কিছু ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী নেতা এই দুই ভাষার মিশ্রণে "হিন্দুস্তানী" নামক এক ভাষাকে "রাষ্টভাষা" হিসাবে প্রমোট করার চেষ্টা করেন । এই ভাষায় বোম্বে ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রিতে দু-তিনটে সিনেমাও রয়েছে বলে শোনা যায় । কিন্তু বলিউডকে ব্যবহার করেও ভাষাটি কল্কে পায় নি । এর অন্য একটি কারন হল দেশ ভাগের পর উর্দুকে পাকিস্তান রাষ্ট্র হাইজ্যাক করে নিয়ে চলে গেল, হিন্দীর জন্য পড়ে রইল ফাঁকা মাঠ । অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল হিন্দুস্তানী ।
    ভারত স্বাধীন হওয়ার পর হিন্দিভাষী নেতানেতৃরা ভেবেছিলেন অনায়াসেই হিন্দিকে অহিন্দিভাষীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারবেন । দেশের সংবিধান রচিত হওয়ার পর হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর তোড়জোড় শুরু হল । কিন্তু কয়েকটা মাত্র রাজ্যের প্রাদেশিক ভাষাকে "রাষ্ট্রভাষা" বানাতে গেলে গোটা দেশের নিরিখে সমাজ ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষা হতে হবে, কিন্তু উত্তর ভারত ছাড়া হিন্দির ব্যবহার ছিল না । তাছাড়া দক্ষিন ভারতের দ্রাবিড়ীয় ভাষাগোষ্ঠীর মানুষদের প্রতিবাদের ভাষ্য ছিল যথেষ্ট কড়া । তাঁরা নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি ইংরাজিতে সড়গড় ছিল, কিন্তু হিন্দি তাদের অপছন্দের ভাষা । এমতাবস্থায় দরকার ছিল ভারতের বিভিন্ন জাতি ভাষা পরিচিতির মানুষদের সমাজ ও ব্যবহারিক জীবনে হিন্দিকে ছড়িয়ে দেওয়া। অলিখিতভাবে হিন্দিকে ভারতের "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হল, তার জন্য নির্ধারিত হল ১৫ বছর সময়।

    পাকিস্তান রাষ্ট্র বলপূর্বক বাংলাদেশের উপর উর্দু চাপানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্ত ভারত রাষ্ট্র সেই একই কাজ শুরু করেছিল জনসাধারনের অনুমতিক্রমে এবং এই অনুমুতি ছিল আইডিওলজিক্যাল এবং ম্যানিপুলেটেড । মানে চয়েস দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অপশন একটাই, এরকম একটা ব্যপার । রাষ্ট্র জানত যে জোরপূর্বক অহিন্দিভাষীদের হিন্দি গেলানো যাবে না, আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে গেলাতে হবে । পপুলার মিডিয়া হিসাবে বোম্বে ফিল্ম বিনোদন জগতকে তোল্লায় দেওয়ার কাজ শুরু হল। ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ এই সময়টা বোম্বে ফিল্ম জগতের স্বর্ণযুগ । মারাঠাদের রাজ্যে মারাঠাদের শহর বোম্বেতে একটি হিন্দিভাষাকেন্দ্রিক বিনোদন জগৎ এভাবে ফুলেফেঁপে উঠল কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এটা আমাদের অনেক আগেই ভাবা উচিৎ ছিল । এটা ঠিক যে এসম্পর্কীয় কোন প্রমানস্বরুপ তথ্য নেই কিন্তু ব্যক ক্যালকুলেশন করলে অঙ্কটা খাপে খাপ মিলে যায় ।

    অল ইন্ডিয়া রেডিওতে হিন্দি ভাষায় সম্প্রচার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির হিন্দিতে দেওয়া বয়ান, কেবল হিন্দিতে লেখা দেশাত্মবোধক গানগুলো জাতীয় ক্ষেত্রে প্রমোট করা, হিন্দিতে জাতীয় ধ্বনী, বাংলায় লেখা জাতীয় সঙ্গীতের হিন্দিকরন সবই হিন্দিকে "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" বানানোর যে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা তারই অঙ্গ । "কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন" গঠনের প্রসঙ্গটাও আনা যায় । এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজারের উপর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, মাধ্যম ইংরাজি, এবং দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে কেবল হিন্দি, অন্য ভাষার জায়গা নেই । মানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টা আপনার নিজের এলাকায় হলেও বাংলা ভাষা চর্চা সেখানে নাজায়েজ । কিন্তু এতসব কিছু করেও রাষ্ট্র সংবিধান প্রণয়নের ১৫ বছর হতে চললেও অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে নি । তড়িঘড়ি ১৯৬৩ তে সংসদে "অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্ট" পাস হয় । হিন্দি এবং ইংরাজীকে দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং সরকারিভাবে নীতি গৃহিত হয় যে বিদেশী ভাষা ইংরেজির ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে পুরোপুরিভাবে হিন্দি কায়েম করা হবে । এই দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে হিন্দির স্বীকৃতিটাই আমাদের ভ্রান্ত ধারনায় জারিত হয়ে "রাষ্ট্রভাষা" হয়ে গেছে । ১৯৬৫ তে এই আইন লাগু হলে উদ্বিগ্ন হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তামিল নাড়ুর কলেজপড়ুয়ারা, অনেকে আত্মাহুতি দেন । হিন্দির দালালি তারা মেনে নেয় নি। এমন নাছোড়বান্দা আন্দোলন তাদের ভাষিক জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ।

    এহেন প্রতিবাদের জেরে কিছুটা পিছু হটে রাষ্ট্র । তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ঘোষনা দেন যে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন যতদিন চাইবে ততদিন ইংরাজি দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে টিকে থাকবে । কিন্তু আদতে পর্দার আড়ালে অহিন্দিভাষীদের উপর হিন্দি চাপানোর নীতি থেকে সরেনি রাষ্ট্র । তার জলন্ত প্রমান ১৯৬৮ সালের "ত্রিভাষা সুত্র" নীতি । এই নীতি অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিসরে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নিজ ভাষা, জাতীয় ক্ষেত্রে হিন্দি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইংরাজি ভাষা, সর্বমোট তিনটি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক । এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরুপ ব্যঙ্গ করে তামিল নাড়ুর তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী সিএন আন্নাদুরাই বললেন --- " জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে দুটি আলাদা আলাদা ভাষার জন্য তদবির করার অর্থ হল দেওয়ালে বেড়াল বার করার জন্য একটা বড় ফুটো রাখা আছে, তবুও আবার ইঁদুরের জন্য আর একটা ছোট ফুটো করা হল, কিন্তু বেড়ালের জন্য রাখা বড় ফুটোতেই তো দুটো কাজ হয়, তাহলে আবার ছোট ফুটো করা কেন ?" ত্রিভাষা সুত্রকে এভাবেই তামিল ও তেলেগু মানুষজন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিল ।

    অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন দেশীয় ভাষা হিন্দির থেকেও কি বিদেশী ভাষা ইংরাজী আপন যে তার জন্য ওকালতি করতে হবে ? কিন্তু প্রশ্নটা "আপন-পর" এর নয়, যৌক্তিক বুদ্ধির । কেউ মানুক আর না মানুক, ইংরাজি এখন গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিরুদ্ধশূন্য অপ্রতিদ্বন্দ্বী "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" । এটা বিগত দুই শতকের প্রায় বিশ্বজোড়া ঔপোনিবেশিক ইংরেজ শাসনের ফসল । তাই বাস্তববোধ বলে ভারতের কোন ভাষাকেই এই পর্যায়ে উন্নীত করা প্রায় অসম্ভব । ইংরাজী ভাষা ও সাহিত্য বহগুনে সমৃদ্ধ, বিশ্বজোড়া কদর । কম্পিউটার ইন্টারনেটের যুগে ভাষাটি না শিখতে চাওয়া মানে প্রভূত সাহিত্যরস এবং বিজ্ঞানভিত্তিক ও সমাজতাত্ত্বিক বৃহৎ জ্ঞানভান্ডার থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখা । কিন্তু হিন্দির সেই লেভেলের ষ্টেটাস নেই, তুলনায় বাংলা ভাষার মাধূর্য এবং শব্দনির্মান ক্ষমতা ও গঠন কাঠামো হিন্দির থেকে উন্নত । বাংলা সাহিত্যেও হিন্দি সাহিত্যের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে । আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইংরাজি শেখাটা যখন আবশ্যিকতা, তখন জাতীয় স্তরে ভাষাটি থেকে গেলে অতিরিক্ত একটি অপ্রয়োজনীয় ভাষা শিক্ষার চাপ থাকে না। অন্যদিকে জাতির জাতীয় ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার নিজের মায়ের ভাষা তো থাকছেই ।

    পরিশেষে একটা কথা বলার । কোন ব্যাক্তিবিশেষ হিন্দিভাষীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের জায়গা থেকে নয়, বরং হিন্দি আগ্রাসন সম্পর্কিত বাঙালী জাতির সচেতনতা ও সেটাকে শুধু ঠেকানোর কথা বলেছি । হিন্দিও একটা জনগোষ্ঠীর মায়ের ভাষা, হিন্দিকে ঘিরেও একটা অংশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে । এই জায়গাতে ভাষার চরিত্রটি নিরীহ । কিন্তু সাংস্কৃতিক আধিপত্য কায়েমের জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হলে সেই নিরীহ ভাষাটিই হিংস্র হয়ে যায় । যাকে তাত্ত্বিকরা "ভাষাসন্ত্রাস" বলেন । ভাষা নদীর মতো । সময়ের সাথে সাথে নিজের চলার পথে অনেক কিছুকে নিজের করে নেয় । কিন্তু জোর করে সে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে চাইলে ফল মারাত্মক । তেমনি ভাষা একটি জাতির সংস্কৃতির আধার । ভাষার উপর কোপ পড়লে সাংস্কৃতিক শোষনের পথ প্রশস্থ হয় । শোষিত হতে হতে একসময় দেখা যাবে বাংলা ও বাঙালীয়ানার অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে । বিশ্ব-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বাংলার কোন জায়গায় থাকবে না । বহির্দেশের মানুষ "ভারত" বলতে শুধু বুঝবে হিন্দি ভাষা, হিন্দি সাহিত্যে আর গো-বলয়ী চালচলন । বাংলা আর বাংলার সংস্কৃতি এভাবে খাবি খাবে, আর আমরা চোখের সামনে দেখব ? মেনে নেব ? এটা মেনে নেওয়া যায় ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ জুন ২০১৯ | ১৯৭২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.193 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৭:৩৪48989
  • কপিরাইট এবং হাত তোলা।

    “Immature poets imitate; mature poets steal; bad poets deface what they take, and good poets make it into something better, or at least something different.”― T.S. Eliot, The Sacred Wood

    নমুনা
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৭:৪২48990
  • ডিসিদা, স্কুলে থাকতেই দুয়েকটা কালজয়ী বাংলা গানের সুর (সেগুলোর আর এখানে নাম করলাম না) যে চুরি করা, সেটা জানতে পারি। সবথেকে অবাক হই এটা দেখে যে সে নিয়ে লোকেদের খুবেকটা হেলদোল নেই। সবাই বোধয় সেই "উনি মহান, অতেব উনাকে নিয়ে কোনও কথা বলা চলবে না"তে আক্রান্ত ছিল।

    আর চুরি না করে যদি ইমিটেট/ইনস্পায়ার্ডই হয়েছে, তাহলে সেটা সুর করার পরে বলে দিলেই পারতো যে দেখো এই সুরটা আমি অমুক জায়্গা থেকে "ইনস্পায়ার্ড" হয়েছি। চুরি করে যখন ধরা পড়েছে তখন বলেছে আমি তো ইনস্প্রায়ার্ড হয়েছিলাম। যত্তসব। এইসব চোরেরা একের পর এক প্রাইজ নিয়েছে, হাততালি কুরিয়েছে, অথচ একবারও অরিজিনাল সুরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে?
  • dc | 232312.174.2390012.75 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৭:৪৪48991
  • মহেন্দ্র কাপুরের আরেকটা গান দিয়ে খেতে যাই, বেশী গান শুনলে আবার খিদে পেয়ে যায়। S এর সাথে কখনো এক বোতল গ্লেনফিডিচ সামনে রেখে এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবেঃ

  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.193 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৭:৪৯48992
  • কপিরাইট এবং হাত তোলা। আরও একবার।

    Unreal City
    Under the brown fog over London Bridge, so many,
    I had not thought death had undone so many.
    Sighs, short and infrequent, were exhaled,
    And each man fixed his eyes before his feet.

    আশে আর পাশে, সামনে পিছনে
    সারি সারি পিঁপড়ের সার
    জানিনি আগে, ভাবিনি কখনো
    এত লোক জীবনের হানি
    জানিনি আগে
    জীবিকার পথে পথে এত লোক,
    এত লোককে গোপন সঞ্চারী
    জীবন যে পথে বসিয়েছে জানিনি মানিনি আগে।

    'ছেঁদো' যুক্তির ছ্যাঁদা দিয়ে বিষ্ণু দে-কে 'চোর' ছাড়া আর কিচ্ছু বলা যাবেনাকো! গুরুদেবের বারণ!!
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.193 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৭:৫২48993
  • টপ্পা ঠুংরিতে বিষ্ণু দে একবারও অজ্জিন্যাল কবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন? যত্তসব!
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৭:৫৩48994
  • কপিরাইট ব্যাপারটাই না বোঝার একজিবিট দেখেই চলেছি।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.193 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৭:৫৮48995
  • বিষ্ণু দে বোধহয় সেটা জানতেন, এলেবেলে না জানলেও। তবে বিষ্ণু দে-র মতো অসংখ্য 'চোর' একের পর এক প্রাইজ নিয়েছেন, হাততালি কুড়িয়েছে্ন অথচ একবারও অজ্জিন্যাল কবিদের ধন্যবাদ জানাননি। কী বাজ্যে অভ্যেস!
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:০১48996
  • বলিউডের সুরকারদের চুরি ডিফেন্ড করতে শেষে বিষ্ণু দে কে আনতে হলো? এখানে যখন অনেক বড়সড় লোকেদের নাম নিয়ে এসে হিন্দি গান চুরি ডিফেন্ড করা হচ্ছে তখন বলেই দিইঃ স্বয়ং রবিঠাকুরও যদি কোনও লেখককে না জানিয়ে বা সাইট না করে কারোর লেখা নকল করেন, তাহলে সেটাও কপিরাইট ইনফিন্জমেন্ট। যেহেতু ইন্ট্যান্জিবল ব্যাপার স্যাপার, তাই যথেষ্ট প্রমান না থাকলে কোর্টে যাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। আমাদের দেশে এমনিতেও কপিরাইট ব্যাপারটা নিয়ে লোকেদের খুবেকটা হেলদোল নেই। দেখতেই পাচ্ছি। এসব জিনিস যার সঙ্গে হয়েছে, তাকে জিগিয়ে দেখবেন তার কেমন লাগে। আপনার গুরুতে লেখা ব্লগগুলো নিয়ে সেগুলোর ইংরেজী তর্জমা করে কেউ বই ছাপিয়ে পোচুর টাকা বা প্রাইজ টাইজ পেলে, তখন জানাবেন কেমন লাগে?
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:০২48997
  • * ইনফ্রিন্জমেন্ট
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:০৭48998
  • হাল আমলের একজন নামকরা সুরকারের নামে রিউমার শোনা যায় যে তিনি বহু নতুন সুরকারের সুর খুব কম দামে কিনে নিয়ে নিজের বলে চালিয়েছেন। প্রচুর পয়সা তো করেছেনই, প্রচুর প্রাইজ টাইজও পেয়েছেন। তার সম্বন্ধে কি ধারনা? অথচ এটা কিন্তু আইনত কপিরাইট ইনপ্রিন্জমেন্টও নয়।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.193 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:০৮48999
  • 'স্বয়ং রবিঠাকুরও যদি কোনও লেখককে না জানিয়ে বা সাইট না করে কারোর লেখা নকল করেন, তাহলে সেটাও কপিরাইট ইনফিন্জমেন্ট'। শুধু রবি ঠাকুর? শরতের গৃহদাহর সঙ্গে আনা কারেনিনার বিস্তর মিল। কিছু হয়েছে?

    আর 'আপনার গুরুতে লেখা ব্লগগুলো নিয়ে সেগুলোর ইংরেজী তর্জমা করে কেউ বই ছাপিয়ে পোচুর টাকা বা প্রাইজ টাইজ পেলে, তখন জানাবেন কেমন লাগে?' প্রসঙ্গে বলি এলেবেলে গুরুতে ব্লগ লেখে না। হাইপোথেটিক্যালি যদি ধরেও নিই যে সে ব্লগ লেখে তবে 'সেগুলোর ইংরেজী তর্জমা করে কেউ বই ছাপিয়ে পোচুর টাকা বা প্রাইজ টাইজ পেলে' কেন স্রেফ বাংলায় বই ছাপালেই সে বর্তে যাবে। টাকা-পেরাইজ কিচ্ছু দাবি করবে নাকো। ওই আপনি যেমন আপনার পেশায় নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করতে পারেন লিখেছেন, এটা এলেবেলের নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাজ। দেখবেন নাকি লেখাগুলো ছেপে-টেপে বই বার করা যায় কিনা?
  • dc | 232312.174.2390012.75 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:১০49000
  • ইয়ে আমার তরফ থেকে বলে দি, আমি বিষ্ণু দে টে কাউকে দিয়েই আরডি কে ডিফেন্ড করতে যাইনি। আরডি ডাস নট রিকোয়ার এনি ওয়ান ইন হিস ডিফেন্স।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.193 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:১৬49001
  • ধুস, বিষ্ণু দে দিয়ে আরডিকে ডিফেন্ড করতে যাব কেন? সলিল চৌধুরী যেখানে বলেছেন RD was by far the stand-out talent among the younger line of composers, at all times innovative like me, at all times experimenting like me. In fact, I would go a step further and rank him alongside all the top composers of my generation, such was his range and variety. এক 'চোর'-এর সার্টিফিকেট আরেক 'চোর' কে।
  • dc | 232312.174.2390012.75 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:১৮49002
  • সরি, শুধু আরডি না, এসডি, নৌশাদ, শংকর জয়কিষান ইত্যাদি কাউকেই আমি অন্য কারুর নাম দিয়ে ডিফেন্ড করতে যাইনি। এরা সবাই ইনকম্প্যারেবল, দিজ থিভস ডু নট রিকোয়ার এনিওয়ান ইন দেয়ার ডিফেন্স ঃ-)
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:২১49003
  • এলেবেলে, আপনি এখনো কিছু লেখেন নি সেইজন্যই বোধয় একথা বলতে পারছেন। যেদিন কিছু গুরুত্বপুর্ণ এবং ভ্যালুয়েবল লিখবেন, সেদিন নিজে থেকেই বুঝে যাবেন যে কপিরাইট জিনিসটা কি? এবং কেন সেটা অন্য কেউ নিজের নামে চালালে গায়ে লাগবে। এখানে যারা রিসার্চ করে, তাদেরকেই জিগিয়ে দেখুন।

    সামান্য এই সাইতেই ভোটের আগে বামের ভোট রামে যাবে প্রেডিক্ট করা সত্তেও সকলে ইগনোর করেছিলো বলে কে একজন খুব অসন্তোষ জানিয়েছিলেন। মানে তার মতটা কেউ নিজের বলে চালায়ওনি, শুধু গুরুত্ব দেয়নি এবং ভোটের পরে সেটা নিয়ে আলোচনা করছিলো বলেই তিনি খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। কেন?
  • T | 561212.112.4578.134 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:২৫49004
  • হা হা হা হা হা...
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.193 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৮:২৮49005
  • মাননীয় এস, হ্যাঁ আমি গুরুতেই ব্লগ লিখি। এলেবেলে নামে না লিখলেও লিখি আর কি। এই বছরের শেষে সেই লেখাগুলো বই আকারে ছাপুন। আমার কথার নড়চড় হবে না।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৯:০৬49006
  • তাহলে তো মিটেই গেলো। এখন থেকে আপনার ব্লগগুলো আমাকে দিয়ে দেবেন আগে ভাগে। আমার পছন্দ হলে আমি আমার নামে ছাড়বো, বাকিগুলো আপনার।
  • b | 4512.139.6790012.11 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৯:২১49007
  • এই দেখুন আঁতলামো কারে কয়।
    che morte tanta n'avesse disfatta
    ------দান্তে।
    I had not thought death had undone so many.
    এলিয়ট।
  • sm | 2345.110.014512.132 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৯:৪৯49009
  • বড় এস এর প্রিয় লিরিসিস্ট,মিউজিক কম্পোজার,সু গায়ক ডিলান এর নোবেল আর অন্যান্য পুরস্কার গুলো কেড়ে নেওয়া উচিত।ছি: ছি:!
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ০৯:৫৯49010
  • বব ডিলান আমার প্রিয়? আমি বোধয় উনার একটা গানও ঠিক করে শিনিনি। আমার সম্বন্ধে অন্য লোক বেশি জানছে দেখি।
  • sm | 2345.110.014512.132 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ১০:১২49011
  • ওহ পছন্দ করেন না!একটাও গান ঠিক করে শোনেন নি?
    ঠিক আছে।কিন্তু ওনার পুরস্কার গুলো তো কেড়ে নেওয়া উচিত কি বলেন?
  • dc | 232312.174.2390012.75 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ১০:১৯49012
  • আচ্ছা ঝগড়া না করে বরং একটা গান শুনুন ঃ-)

    এই গানটাতেও শোনা যায় বাপ ব্যাটা দুই চোরই নাকি হাত লাগিয়েছিলঃ

  • ! | 90089.234.785612.254 (*) | ০৪ জুন ২০১৯ ১০:৪৭49013
  • আপনারা ঠেকাবেন আগ্রাসন। ছো!
  • sm | 2345.110.014512.220 (*) | ০৫ জুন ২০১৯ ০২:৩৮49045
  • হ্যা হ্যা।রিভার্স সুইং!
  • sm | 2345.110.014512.220 (*) | ০৫ জুন ২০১৯ ০২:৪৮49047
  • পৃথিবীর সর্বত্রই ধোতু!
  • lcm | 900900.0.0189.158 (*) | ০৫ জুন ২০১৯ ০৫:১০49048
  • দিয়েগো যে কথা বলেছে সেটা কিছুটা ঠিক - বড় শহরে, আর্বান মেট্রোতে - এটা কোনো ব্যাপার নয়। সেখানে স্টুডেন্টরা দু-তিনতে ভাষায় কথা বলতে পারে, যদিও আসলে জোর দিয়ে শেখে ইংরেজি। দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তের স্কুলে হিন্দিকে 'বাধ্যতামূলক' পাঠ্যভাষা করার প্রয়াসকে আগ্রাসন না বলে অন্য কিছু বলা যেতেই পারে। কিন্তু কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন