এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হিন্দী আগ্রাসনের প্রেক্ষিতঃ দেশ, রাষ্ট্র ও ভাষা

    Samrat Amin লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ জুন ২০১৯ | ১৯৭১২ বার পঠিত
  • ফেব্রুয়ারী মাস প্রেমের মাস, ভাষারও মাস । শুধুই প্রেমের কুহুতান নয়, "অমর একুশে" ডাক দেয় এ মাসেই । আমার ভায়ের রক্তে রেঙে লাল হয়েছে ঢাকার রাজপথ, অমর একুশেই । হোক না পদ্মার ওপারের গল্প, তবুও বরকতরা তো আমারই ভাই, আমারই রক্ত । যে ভাষার জন্য তাদের আন্দোলন সেটা আমারই মায়ের ভাষা, যে সংস্কৃতির জন্য তাদের লড়াই সেটা আমারই সংস্কৃতি । অনেক লম্বা সে প্রেক্ষাপট । স্বাধীনতা-উত্তর দূর্বল রাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র (পশ্চিম পাকিস্তান) চেয়েছিল "পূর্ব পাকিস্তানের" উপর সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে । উর্দু ভাষা ও উর্দু কেন্দ্রিক সংস্কৃতি বাংলা ও বাঙালী সমাজজীবনে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল ক্ষমতালোলুপ পাকিস্তান রাষ্ট্র । রাষ্ট্রভাষা হিসাবে উর্দুকে মেনে নেয় নি বরকত রফিকের মতো স্বাধীনচেতা নির্ভিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন তরতাজা যুককেরা । সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে রক্ত দিয়ে । সেদিনের প্রতিরোধ যদি ঢাল হয়ে রুখে না দাঁড়াত তাহলে উর্দু ভাষা ও সাংস্কৃতির খোলসে রাষ্ট্রীয় থাবা বাংলাদেশকে পিষে দিত ।

    রাষ্ট্রের (State) সঙ্গে দেশের (Nation) এ লড়াই চিরন্তন । এমন হাজারো লড়াইয়ের সাক্ষ্য বহন করে ইতিহাস । আন্তর্জাতিক রাজনীতির ইতিহাস ভূগোল ঘাঁটলে ছত্রে ছত্রে পাবেন দৃষ্টান্ত । এমনকি মানচিত্র থেকে আমাদের ভারত নামক রাষ্ট্রও বাদ নেই । যখন বলা হয় "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য", তখন ভারতবর্ষের মধ্যেই অজস্র খন্ড ভারতের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয় । বহু ভাষাভাষীর মিলনমেলা এই ভারতবর্ষ, যা কোনভাবেই একমাত্রিক বা একস্তরীয় নয় । যেমন বাংলা, তামিল, মারাঠী বা অন্য জাতি রাষ্ট্রীয় অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ঐকান্তিকভাবে নিজ নিজ জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচিতি নিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে, ভারতবর্ষের নীতিগত দর্শন এটাই । কিন্তু বহুমাত্রিক ভারতবর্ষকে যদি একটি বিশেষ ভাষা ও সংস্কৃতির ছাঁচে ঢেলে একবগগা দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই ক্ষমতাবান রাষ্ট্র, তখনই নেমে আসে বিপদ, জাতির অস্তিত্বের সংকট ।

    বাঙালী হিসাবে আমরা এই বিপদের সম্মুখীন । আর বিপদের অভিসম্পাত যদি রাষ্ট্রীয় মদতে নেমে আসে তবে আরও চিন্তার বিষয় । তাই সময়ের দাবি রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট হিন্দি আগ্রাসন রুখে দেওয়ার । আপনি যখন দেখছেন যে আপনার এলাকার রাস্তার মাইলষ্টোনের লেখা গুলো হঠাৎ বাংলা থেকে হিন্দিতে বদলে যাচ্ছে, যখন দেখছেন নোটবন্দীর পর ৫০০ টাকার নোটে হঠাৎ দেবনাগরি হরফের ব্যবহার শুর হচ্ছে, যখন দেখছেন আপনার এলাকার কেন্দ্রীয় সরকারী দপ্তর বা ব্যাঙ্কিং সেক্টরে হিন্দীভাষীদের দাপাদাপি শুরু হচ্ছে, যখন দেখছেন "জয় মা কালী"র থেকে "জয় শ্রীরাম" বেশি বার উচ্চারিত হচ্ছে, যখন দেখছেন শাক্তদেবির আরাধনার বদলে "রাম নবমী" নিয়ে বেশি হইচই হচ্ছে, যখন দেখছেন সুফীবাদের উদার আধ্যাত্মিকতা পিষে যাচ্ছে ওয়াহাবি-সালাফি কট্টরপন্থায়, যখন দেখছেন কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজীর সঙ্গে হিন্দি ভাষায় প্রশ্নপত্র প্রদানের রীতি শুরু হচ্ছে, যখন দেখছেন বাংলার শহর কোলকাতা বা আসানসোলে হিন্দি ভাষায় কথোপকথনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠছে, যখন দেখছেন আপনার এলাকার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে হিন্দি আছে কিন্তু আপনার ভাষা বাংলা নেই, তখন বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না অন্য একটি ভাষাকেন্দ্রিক সংস্কৃতি মানে হিন্দি বাংলার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে ।

    চোখ কান খোলা থাকলে হিন্দি আগ্রাসনের পদচিহ্ন ঠাওর করা যায় । অনেকে ভাবতে পারেন, হিন্দি তো ভারতের "রাষ্ট্রভাষা" তাই এগুলো নিয়ে আপত্তি তোলার কিছু নেই । এই ভুল ভাবনাটা একটা বড় অংশের বাঙালীর মাথায় আছে । হিন্দি কোনকালেই ভারতের রাষ্ট্রভাষা ছিল না, আজও নেই। তাহলে এই ভাষাটিকে আমরা "রাষ্ট্রভাষা" জ্ঞান করতে লাগলাম কবে থেকে ? হ্যাঁ, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অবশ্যই আছে । স্বাধীনতার পূর্বে হিন্দিভাষী নেতানেতৃরা হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন, পারেন নি । কারন এর বিপরীতে যুযুধান ছিল উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর ভাষ্য । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হিন্দি হিন্দুদের ভাষা ও উর্দু মুসলিমদের ভাষা এই বিভেদবোধ ইংরেজরাই তৈরি করেছিল । ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে হিন্দু ছাত্রদের দেবনাগরী হরফে হিন্দি ভাষায় আর মুসলিম ছাত্রদের ফারসী হরফে উর্দু ভাষায় রিডিং মেটেরিয়ালস দেওয়া হত । কারনটা খুবই স্পষ্ট, বিভেদের প্রাচীর তৈরি করা । যাই হোক, দ্বন্দ নিস্পত্তির জন্য কিছু ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী নেতা এই দুই ভাষার মিশ্রণে "হিন্দুস্তানী" নামক এক ভাষাকে "রাষ্টভাষা" হিসাবে প্রমোট করার চেষ্টা করেন । এই ভাষায় বোম্বে ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রিতে দু-তিনটে সিনেমাও রয়েছে বলে শোনা যায় । কিন্তু বলিউডকে ব্যবহার করেও ভাষাটি কল্কে পায় নি । এর অন্য একটি কারন হল দেশ ভাগের পর উর্দুকে পাকিস্তান রাষ্ট্র হাইজ্যাক করে নিয়ে চলে গেল, হিন্দীর জন্য পড়ে রইল ফাঁকা মাঠ । অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল হিন্দুস্তানী ।
    ভারত স্বাধীন হওয়ার পর হিন্দিভাষী নেতানেতৃরা ভেবেছিলেন অনায়াসেই হিন্দিকে অহিন্দিভাষীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারবেন । দেশের সংবিধান রচিত হওয়ার পর হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বানানোর তোড়জোড় শুরু হল । কিন্তু কয়েকটা মাত্র রাজ্যের প্রাদেশিক ভাষাকে "রাষ্ট্রভাষা" বানাতে গেলে গোটা দেশের নিরিখে সমাজ ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষা হতে হবে, কিন্তু উত্তর ভারত ছাড়া হিন্দির ব্যবহার ছিল না । তাছাড়া দক্ষিন ভারতের দ্রাবিড়ীয় ভাষাগোষ্ঠীর মানুষদের প্রতিবাদের ভাষ্য ছিল যথেষ্ট কড়া । তাঁরা নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি ইংরাজিতে সড়গড় ছিল, কিন্তু হিন্দি তাদের অপছন্দের ভাষা । এমতাবস্থায় দরকার ছিল ভারতের বিভিন্ন জাতি ভাষা পরিচিতির মানুষদের সমাজ ও ব্যবহারিক জীবনে হিন্দিকে ছড়িয়ে দেওয়া। অলিখিতভাবে হিন্দিকে ভারতের "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হল, তার জন্য নির্ধারিত হল ১৫ বছর সময়।

    পাকিস্তান রাষ্ট্র বলপূর্বক বাংলাদেশের উপর উর্দু চাপানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্ত ভারত রাষ্ট্র সেই একই কাজ শুরু করেছিল জনসাধারনের অনুমতিক্রমে এবং এই অনুমুতি ছিল আইডিওলজিক্যাল এবং ম্যানিপুলেটেড । মানে চয়েস দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অপশন একটাই, এরকম একটা ব্যপার । রাষ্ট্র জানত যে জোরপূর্বক অহিন্দিভাষীদের হিন্দি গেলানো যাবে না, আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে গেলাতে হবে । পপুলার মিডিয়া হিসাবে বোম্বে ফিল্ম বিনোদন জগতকে তোল্লায় দেওয়ার কাজ শুরু হল। ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ এই সময়টা বোম্বে ফিল্ম জগতের স্বর্ণযুগ । মারাঠাদের রাজ্যে মারাঠাদের শহর বোম্বেতে একটি হিন্দিভাষাকেন্দ্রিক বিনোদন জগৎ এভাবে ফুলেফেঁপে উঠল কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এটা আমাদের অনেক আগেই ভাবা উচিৎ ছিল । এটা ঠিক যে এসম্পর্কীয় কোন প্রমানস্বরুপ তথ্য নেই কিন্তু ব্যক ক্যালকুলেশন করলে অঙ্কটা খাপে খাপ মিলে যায় ।

    অল ইন্ডিয়া রেডিওতে হিন্দি ভাষায় সম্প্রচার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির হিন্দিতে দেওয়া বয়ান, কেবল হিন্দিতে লেখা দেশাত্মবোধক গানগুলো জাতীয় ক্ষেত্রে প্রমোট করা, হিন্দিতে জাতীয় ধ্বনী, বাংলায় লেখা জাতীয় সঙ্গীতের হিন্দিকরন সবই হিন্দিকে "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" বানানোর যে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা তারই অঙ্গ । "কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন" গঠনের প্রসঙ্গটাও আনা যায় । এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজারের উপর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, মাধ্যম ইংরাজি, এবং দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে কেবল হিন্দি, অন্য ভাষার জায়গা নেই । মানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টা আপনার নিজের এলাকায় হলেও বাংলা ভাষা চর্চা সেখানে নাজায়েজ । কিন্তু এতসব কিছু করেও রাষ্ট্র সংবিধান প্রণয়নের ১৫ বছর হতে চললেও অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে নি । তড়িঘড়ি ১৯৬৩ তে সংসদে "অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্ট" পাস হয় । হিন্দি এবং ইংরাজীকে দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং সরকারিভাবে নীতি গৃহিত হয় যে বিদেশী ভাষা ইংরেজির ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে পুরোপুরিভাবে হিন্দি কায়েম করা হবে । এই দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে হিন্দির স্বীকৃতিটাই আমাদের ভ্রান্ত ধারনায় জারিত হয়ে "রাষ্ট্রভাষা" হয়ে গেছে । ১৯৬৫ তে এই আইন লাগু হলে উদ্বিগ্ন হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তামিল নাড়ুর কলেজপড়ুয়ারা, অনেকে আত্মাহুতি দেন । হিন্দির দালালি তারা মেনে নেয় নি। এমন নাছোড়বান্দা আন্দোলন তাদের ভাষিক জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ।

    এহেন প্রতিবাদের জেরে কিছুটা পিছু হটে রাষ্ট্র । তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ঘোষনা দেন যে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন যতদিন চাইবে ততদিন ইংরাজি দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে টিকে থাকবে । কিন্তু আদতে পর্দার আড়ালে অহিন্দিভাষীদের উপর হিন্দি চাপানোর নীতি থেকে সরেনি রাষ্ট্র । তার জলন্ত প্রমান ১৯৬৮ সালের "ত্রিভাষা সুত্র" নীতি । এই নীতি অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিসরে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নিজ ভাষা, জাতীয় ক্ষেত্রে হিন্দি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইংরাজি ভাষা, সর্বমোট তিনটি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক । এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরুপ ব্যঙ্গ করে তামিল নাড়ুর তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী সিএন আন্নাদুরাই বললেন --- " জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে দুটি আলাদা আলাদা ভাষার জন্য তদবির করার অর্থ হল দেওয়ালে বেড়াল বার করার জন্য একটা বড় ফুটো রাখা আছে, তবুও আবার ইঁদুরের জন্য আর একটা ছোট ফুটো করা হল, কিন্তু বেড়ালের জন্য রাখা বড় ফুটোতেই তো দুটো কাজ হয়, তাহলে আবার ছোট ফুটো করা কেন ?" ত্রিভাষা সুত্রকে এভাবেই তামিল ও তেলেগু মানুষজন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিল ।

    অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন দেশীয় ভাষা হিন্দির থেকেও কি বিদেশী ভাষা ইংরাজী আপন যে তার জন্য ওকালতি করতে হবে ? কিন্তু প্রশ্নটা "আপন-পর" এর নয়, যৌক্তিক বুদ্ধির । কেউ মানুক আর না মানুক, ইংরাজি এখন গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিরুদ্ধশূন্য অপ্রতিদ্বন্দ্বী "লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা" । এটা বিগত দুই শতকের প্রায় বিশ্বজোড়া ঔপোনিবেশিক ইংরেজ শাসনের ফসল । তাই বাস্তববোধ বলে ভারতের কোন ভাষাকেই এই পর্যায়ে উন্নীত করা প্রায় অসম্ভব । ইংরাজী ভাষা ও সাহিত্য বহগুনে সমৃদ্ধ, বিশ্বজোড়া কদর । কম্পিউটার ইন্টারনেটের যুগে ভাষাটি না শিখতে চাওয়া মানে প্রভূত সাহিত্যরস এবং বিজ্ঞানভিত্তিক ও সমাজতাত্ত্বিক বৃহৎ জ্ঞানভান্ডার থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখা । কিন্তু হিন্দির সেই লেভেলের ষ্টেটাস নেই, তুলনায় বাংলা ভাষার মাধূর্য এবং শব্দনির্মান ক্ষমতা ও গঠন কাঠামো হিন্দির থেকে উন্নত । বাংলা সাহিত্যেও হিন্দি সাহিত্যের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে । আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইংরাজি শেখাটা যখন আবশ্যিকতা, তখন জাতীয় স্তরে ভাষাটি থেকে গেলে অতিরিক্ত একটি অপ্রয়োজনীয় ভাষা শিক্ষার চাপ থাকে না। অন্যদিকে জাতির জাতীয় ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার নিজের মায়ের ভাষা তো থাকছেই ।

    পরিশেষে একটা কথা বলার । কোন ব্যাক্তিবিশেষ হিন্দিভাষীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের জায়গা থেকে নয়, বরং হিন্দি আগ্রাসন সম্পর্কিত বাঙালী জাতির সচেতনতা ও সেটাকে শুধু ঠেকানোর কথা বলেছি । হিন্দিও একটা জনগোষ্ঠীর মায়ের ভাষা, হিন্দিকে ঘিরেও একটা অংশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে । এই জায়গাতে ভাষার চরিত্রটি নিরীহ । কিন্তু সাংস্কৃতিক আধিপত্য কায়েমের জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হলে সেই নিরীহ ভাষাটিই হিংস্র হয়ে যায় । যাকে তাত্ত্বিকরা "ভাষাসন্ত্রাস" বলেন । ভাষা নদীর মতো । সময়ের সাথে সাথে নিজের চলার পথে অনেক কিছুকে নিজের করে নেয় । কিন্তু জোর করে সে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে চাইলে ফল মারাত্মক । তেমনি ভাষা একটি জাতির সংস্কৃতির আধার । ভাষার উপর কোপ পড়লে সাংস্কৃতিক শোষনের পথ প্রশস্থ হয় । শোষিত হতে হতে একসময় দেখা যাবে বাংলা ও বাঙালীয়ানার অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে । বিশ্ব-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বাংলার কোন জায়গায় থাকবে না । বহির্দেশের মানুষ "ভারত" বলতে শুধু বুঝবে হিন্দি ভাষা, হিন্দি সাহিত্যে আর গো-বলয়ী চালচলন । বাংলা আর বাংলার সংস্কৃতি এভাবে খাবি খাবে, আর আমরা চোখের সামনে দেখব ? মেনে নেব ? এটা মেনে নেওয়া যায় ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ জুন ২০১৯ | ১৯৭১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:২৯49088
  • কিন্তু এই লিস্টের কাউকেই বি-গ্রুপের সাহিত্যিক বলে তো কখনো মনে করিনি। অন্তত এতোদিন তো করিনি। তাছাড়া মুজতবা আলি, মল্লবর্মনের মতন অনেক সাহিত্যিককে তো কলকাতা কেন্দ্রিকতা দিয়ে মাপাও যাবেনা, কারণ তাঁরা ওপার বাংলাতেই লেখাপত্তর করেছেন।

    হ্যাঁ, এঁদের সকলের লেখাতেই যে ভাষাটা ব্যবহার হয়েছে সেটা বোধয় এখনকার সময় ধরলে দক্ষিন কলকাতার ভাষা। মানে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসে দক্ষিন কলকাতায় লোকে যে ভাষায় কথা বলতো সেই ভাষা। কলকাতার আদি যে ভাষা, সেও তো কেউ লেখেনা।
  • sm | 2345.110.9005612.63 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৩২49089
  • এগুলো কিন্তু ঘুরিয়ে নাক দেখানো হচ্ছে।আমি কিছু আগের করা পোস্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি ,আমার সন্তান দের ইংলিশ মিডিয়ামে ও আমার শুভানুধ্যায়ী সব্বাইকে একই অনুরোধ রাখবো।কারণ ইংরেজি কাজের ভাষা,আধিপত্যের ভাষা,জবের ভাষা। আমার মতে বরঞ্চ,কেউ যদি ইংলিশ এর স্বপক্ষে যুক্তি না রাখার পক্ষপাতী তাঁরা ভাবের ঘরে চুরি করছেন।
    এরকম প্রচুর বাম নেতা দেখেছি,যাঁরা ইংলিশ তুলে দেবার পক্ষপাতী কিন্তু নিজের ছেলে মেয়েদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়িয়েছেন।এটা স্পষ্ট দ্বিচারিতা।
    আর আপনাকে ডিরেক্ট প্রশ্ন ছিল কোন ডাইলেক্ট কে স্বীকৃতি দেবেন,অফিসিয়াল বা সম্প্রচারের ভাষা হিসাবে।ওই আট পার্সেন্ট এর ভাষা বলে কিছু হয় না।স্পেসিফিক একটা নাম বলুন।
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.203 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৩৩49090
  • বড়েস

    আপনি সাহিত্যপ্রেমী মানুষ, তাঁদের লেখাপত্তর পড়েছেন এবং মনে করেন না যে তাঁরা আদৌ বি-গ্রুপের সাহিত্যিক। এ তো হতেই পারে। কিন্তু বাংলা সাহিত্যের মূল স্রোতে কমল চক্রবর্তী, বারীন ঘোষাল, সুবিমল বসাক, অনিল ঘড়াইকে তাই মনে করা হয় মানে আমবাঙালি তাই মনে করে। এমনকি জগদীশ গুপ্তও কি বহুপঠিত লেখক?
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৩৪49091
  • অন্য রাজ্যে যাঁরা থকেন তাঁদের সকলের সন্তানদেরই একই সমস্যা।
    "বড়লোক" হলে (প্রাইভেট স্কুল) প্রথম ভাষা ইংরেজি এবং সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ হিন্দি/নিজের ভাষা (যদি সেই সুযোগ থাকে)।
    "ছোটোলোক" হলে (সরকারি স্কুল) প্রথম ভাষা লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজ এবং সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ইংরেজি।

    এটা সব রাজ্যেই সমস্যা, শুধু বাংলায় নয়।
  • Ishan | 2312.106.9002323.218 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৩৬49092
  • আরে এড়িয়ে যাওয়া হবে কেন। এখানে লেখা হয়নি এই পর্যন্ত। ও তো সর্বত্র চলছে। এতটাই, যে, বেশ স্বাভাবিক লাগে। নব্বইয়ের পর সরকারি চাকরি ক্রমশ উঠে যাবার পথ ধরলে ভারতীয় মধ্যবিত্তের মুক্তির জানলা হয়ে দাঁড়ায় আইটি। আমরা অনেকেই যা করে খাই। এই আইটির দক্ষতার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা এখন ইংরিজি বলতে জানা। অর্থাৎ বাবুরা পা মালিশ করতে বললে সেটা আমরা চিনেদের থেকে বেশি ভালো বুঝতে পারি। এইটাই আমাদের শাইনিং শ্রেণীর গর্ব। ইংরিজি ভাষাটা আমাদের স্টেটাসের অংশ। স্মার্টনেসের আধার। গৌরবের ঢক্কানিনাদ। উচ্চবর্ণে ওঠার অভিজ্ঞান।

    কাজ, স্মার্টনেস, উচ্চবর্ণত্বের অধিকার, সব মিলিয়ে ইংরিজি এখন 'ক্ষমতার হাতিয়ার'। পাড়ায় পাড়ায় ইংলিশ মিডিয়াম ইশকুল। সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলে ছাত্রসংখ্যা কমছে। উচ্চশিক্ষায় দেখুন, বঙ্গের সমস্ত প্রান্তেত্র কলেজেই ইংরিজি সাহিত্যে অনার্স। কেন? ইংরিজি সাহিত্য কি ফরাসি বা স্প্যানিশ সাহিত্যের চেয়ে উন্নতমানের? তা তো নয়। তাহলে স্প্যানিশ বা ফরাসি বা চিনে ভাষায় অনার্স নয় কেন? সেই ঘুরে ফিরে কাজের সুযোগ, উচ্চবর্ণত্ব এবং স্মার্টনেস। এই বিরাট সাঁড়াশিকে কে এড়িয়ে যাবে? কীকরেই বা যাবে?

    উল্টোদিকে ইংরিজি, ভারতীয় ভাষা না হবার ফলে একটি জিনিস পারেনি এখনও। 'অশিক্ষিত' মানুষের মুখের ভাষকে কেড়ে নিতে পারেনি। সে তাঁরা ইংরিজি শেখার অতটা সুযোগ পাননা বলেই হবে। কিন্তু ওই বাধাটা আছে। হিন্দি কিন্তু এইটা পেরেছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে। দুটো দুরকম। কোনোটাই এড়িয়ে যাবার কোনো প্রশ্ন নেই।
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.203 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৩৭49093
  • এসেম

    ভুল করছেন।
    ১. আমি ইংরেজি বিরোধী নই। পায়ে কুড়ুল কেউ মারতে চাইবে না। আমি এলিট মানসিকতা বিরোধী।

    ২. যে ডায়ালেক্ট আছে মান্য বাংলা হিসাবে তাকে পাল্টানো অত সহজ কম্মো নয়। ওটা চলতেই পারে। চলুক। কিন্তু অসুবিধাগুলোও ফিল করুক।

    ৩. 'নদীয়া -শান্তিপুর' নয়, স্পেসিফিক্যালি 'নবদ্বীপ-শান্তিপুর'। নদীয়া জেলা, নবদ্বীপ শহর। মাথায় গেঁথে নিন। কলকাতার বুলি স্রেফ ওই বুলির কাঁচা টুকলি। গুমোর করার কিস্যু নেই।
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.203 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৪৩49094
  • 'নব্বইয়ের পর সরকারি চাকরি ক্রমশ উঠে যাবার পথ ধরলে ভারতীয় মধ্যবিত্তের মুক্তির জানলা হয়ে দাঁড়ায় আইটি। আমরা অনেকেই যা করে খাই।' খান। কেউ আপত্তি করছে না। কিন্তু মাধ্যমিক দেয় ১১ লাখ শিক্ষার্থী। তারা সবাই ভারতীয় মধ্যবিত্তও নয়, আইটি-ও তাদের মোক্ষ নয়। কাজেই সরকার কেন ১১ লাখের কথা না ভেবে পাঁচ হাজারের কথা ভাববে? বাকি ক্ষেত্রে উদাসীন থাকবে? এবং সেটাকে 'স্বাভাবিক' মনে হবে?
  • sm | 2345.110.893412.8 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৫২49095
  • আরে আপনি তো আমার সব কটা পয়েন্ট এর সঙ্গেই একমত মনে হচ্ছে।গোলটা কোথায়?
    এখনো কোন ভাষা বা ডাইলেক্ট কে অফিসিয়াল স্বীকৃতি দেবেন,সেই সম্পর্কে কিছু লিখলেন না যখন,তখন কি আর করা!
    নদীয়া, থুড়ি নবদ্বীপ -শান্তিপুরী ই চলুক।
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.203 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৫৪49096
  • সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলে ছাত্রসংখ্যা কমছে।

    এইটাই পারফেক্ট এলিট মানসিকতা। ওটা কমছে কলকাতায়। বাংলায় নয়। কলকাতা = বাংলা দয়া করে ভুলুন। মফস্‌সলের বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলোর ছাত্রসংখ্যার ডেটা নিন। তাদের কষ্টটা বুঝুন দয়া করে।
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.203 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৫৭49097
  • লিখেছি তো নবদ্বীপ-শান্তিপুরি। আপনার সঙ্গে একটা জায়গায় মিলতে পারিনি কেবল এবং ওটাই 'আসল' জায়গা। সেটা হচ্ছে সরকারি ভাষানীতির ফলে বাংলায় থেকেও বিশাল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী বাংলা বোর্ডে পড়েও বাংলা শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় নয়, সরকারের জন্য।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৪:০৪49098
  • পরীক্ষা-সর্বস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা হলে কোনো বিষয়ই সেভাবে শেখা যায়্না। ভাষা তো নয়ই।
  • dc | 127812.49.896712.134 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৪:২৬49099
  • আচ্ছা আপনারা যদি তক্কো করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠেন আর যদি হিন্দি বা ইংরিজি গান শুনতে মন চায় তো বলবেন, ভিডিও পোস্ট করে দেব।

    সে গানটা কোত্থেকে চুরি করা হয়েছে তাও লিখে দেব।
  • sm | 2345.110.893412.8 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৪:২৮49100
  • এলেবেলে,আপনার দুটি অনুযোগ ধরতে পেরেছি।একটি হলো বিশাল সংখ্যক অবাঙালী জনতা কে জোর করে তিনটে ভাষা শিখতে হচ্ছে কেন?
    এটাতো অস্বাভাবিক নয়।ধরাযাক জুটমিল অঞ্চলে প্রচুর অবাঙালী উত্তরভারতীয় জনতার বাস।এবার তাঁদের জন্য তো আলাদা করে করে ভোজপুরী, বিহারী,এরকম স্কুল খোলা যায়না।বিকল্প হিসেবে কিছু হিন্দি মাধ্যম স্কুল আছে।সেখানে যাঁরা সুযোগ পাবে,হিন্দিকে প্রথম ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে পড়বে।এতে তাঁরা উচ্চ শিক্ষা ও চাকরি বাকরী তে বাড়তি কিছু সুবিধেও পাবে।
    কিন্তু প্রশ্ন হলো এঁরা দীর্ঘকাল বাংলায় থেকে বাংলা কে প্রথম ল্যাঙ্গুয়েজ করে পড়াশোনা করছে না কেন?
    দ্বিতীয় প্রশ্ন টি নিয়ে আগেই উত্তর দিয়েছি ।যদি অবাঙালি জনতা ইংলিশ ছেড়ে বাংলাকে দ্বিতীয় ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে বেশি পছন্দ করে,তবে শিক্ষাদপ্তর নিশ্চয় তার প্রতিকার করবে।
    আমার তো মনে হয় তাঁরা ইংলিশ কে বেশি গ্রহণ যোগ্যতা দেয় ,তাতেই এই সমস্যা।
  • :) | 90056.160.011223.3 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৫:১৭49071
  • ডিডি,
    "ল্যাজতালি" শব্দবন্ধ কপিরাইটেড। নিজ লেখায় ব্যবহার করলে "(কার্টেসি এস দাশগুপ্ত)" লিখে দেবেন।
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.203 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৫:৫৩49101
  • এঁরা দীর্ঘকাল বাংলায় থেকে বাংলা কে প্রথম ল্যাঙ্গুয়েজ করে পড়াশোনা করছে না কেন?

    কেন করবে? সরকার তাদের বাধ্য করছে নাকি বাংলাকে প্রথম ভাষা নেওয়ার জন্য? সে দেদার অপশন দিয়ে রেখেছে সে ব্যাপারে। আর দ্বিতীয় ভাষা সবার জন্য বাধ্যতামূলক ইংরেজি। বাংলা পড়ার সুযোগ কোথায়? এ তো গেল প্রথম কথা।

    দ্বিতীয় কথা সবাই যদি পড়াশোনা করে চাকরিকে মোক্ষ করে তাহলে কারিগর কে হবে? চাষা? ভ্যানচালক? রাজমিস্ত্রি? ভিন রাজ্যে যাওয়া কাঠমিস্ত্রী? তারা ফালতু? নাকি পড়াশোনাই করবে না?

    যাঁরা বাঙালি নন তাঁরা 'অবাঙালি' এই টার্মটার মধ্যে আগ্রাসন খুঁজে পান? যদি না পান তবে আলোচনা নিরর্থক।

    'অবাঙালি জনতা ইংলিশ ছেড়ে বাংলাকে দ্বিতীয় ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে বেশি পছন্দ করে' কেন করবে? মামদোবাজি? আপনি বাঙালির জন্য হাটখোলা করে দেবেন ইংরেজির দরজা আর ওদের বঞ্চিত করবেন? কোন অধিকারে? ওদের ইংরেজির দরকার নেই? ওরা চাকরি করবে না? করে না?

    আপনার টার্ম অনুযায়ী সব 'অবাঙালি' তিনটে ভাষা শেখে না। দু'টো শেখে - মাতৃভাষা আর ইংরেজি। কিছু হতভাগা আছে যাদের তিনটে ভাষা শিখতেই হয় কারণ তা না শেখার অপশনই নেই। আমার শহরে যেমন। আমরা এসব আগ্রাসন সম্পর্কে কত কম জানি তা এইসব কথায় বারে বারে ফুটে উঠছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। আসলে জানার আগ্রহই নেই। ওই এলিট মানসিকতার জন্যই। শুনতে কটু অথচ প্রচণ্ড বাস্তব।
  • sm | 2345.110.673412.32 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৬:১০49102
  • আরো ঘেঁটে ঘন্ট পাকলো।অবাঙালি জনতা যদি দু তিন জেনারেশন পব তে থাকে, তাহলে তাঁরা বাংলা কে কেন ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ করছে না,সেটা ভ্যালিড প্রশ্ন।
    ইংলিশ ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে যাঁরা নিচ্ছে,তাঁরা সজ্ঞানে সেটি নিচ্ছে।কারণ তাঁরা বিলক্ষণ মনে করে ইংলিশ শিক্ষা তাঁদের ডিভিডেন্ট দেবে।তা সে যতই এলিট ভাষা হোক না কেন।
    দ্বিতীয় ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে ইংলিশ সরকার জেনেশুনে বাধ্য হয়েই রেখেছে।কারণ এটি কাজের ভাষা।সর্ব ভারতীয় ভাষা।আন্তর্জাতিক ভাষা।এটিকে প্রাধান্য দেওয়া ও বাধ্যতামূলক করা সরকারের কর্তব্য।
    মাদ্রাসা শিক্ষায় এই অংশ টি অবহেলিত থাকে বলে অনেকের অনুযোগ।এজন্য নাকী সংখ্যা লঘুদের চাকরির সুযোগ অনেক কমে গেছে।
  • এলেবেলে | 230123.142.0189.234 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৬:২৩49072
  • @:) (কার্টেসি এস দাশগুপ্ত) লিখতে বলেছেন বলে লিখলাম। না লিখলে আবার 'কপিরাইট' নিয়ে বাওয়াল হবে। তবে দরকার হত না। আজ সকালে ওই 'লিম্যা' শব্দটি দেখেই যা বোঝার বুঝে গেছি!

    আমি অজিত রায়ের 'স্তাবক' নই। বইটিও যে খুব উচ্চাঙ্গের তা-ও মনে করি না। নিজের বইয়ে নিজের উপন্যাস থেকেই উদাহরণ দেওয়া এবং অন্য যাঁরা এই নিয়ে কাজকম্মো করেছেন তাঁদের প্রায় সবাইকে ওঁচা মনে করার কলার তলা অ্যাটিচুড গ্রন্থটির পাতায় পাতায় বর্তমান। কাজেই তিনি আমার অ্যাপিল টু অথরিটি নন।

    তা সত্ত্বেও তাঁর আরেকটি বক্তব্য এখানে উদ্ধৃত করি --- আধুনিক বাঙালির মাতৃভাষাচেতনা গোড়া থেকেই আদর্শয়ানপন্থী, কারণ এলিট-নিয়ন্ত্রিত। বিরানব্বুই শতাংশ হেটো-মেঠোদের ভাষাকে ভাগাড়ে পাঠিয়ে আট শতাংশের সাধুসঙ্গই ছিল তার সবেমন ধ্যানজ্ঞান। ঔপনিবেশিক দাক্ষিণ্যে লব্ধ ভিক্টোরীয় মূল্যবোধ এবং দেশি কন্ট্রোলের যুগপৎ হামলায় ভাষার অনাচারিকতার লক্ষণগুলিকে প্রথম থেকেই অটোক্লেভ আর সেন্ট্রিফিউজার মারফৎ দমন করার চেষ্টা হয়েছে। ... মুখের ভাষা বা কথ্যভাষাকে আত্তীকরণ করে নয়, বরং তাকে হীনম্মন্যতার দিকে ঠেলে দিয়ে এক অলীক ভদ্রায়ন প্রক্রিয়ার দিয়ে এর যাত্রা শুরু। ... যদিও এঁরা জানেন যে, বাকশক্তিশম্পন্ন প্রতিটি নরনারী কোন না কোন উপভাষায় কথা বলেন। অবশ্য 'উপভাষা' বলে যদি কিছু থাকে।

    ভাষাশিক্ষার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার সুবাদে এই প্রত্যেকটি কথা আমি সমর্থন করি। বিশেষত এই যে 'আগ্রাসন' নিয়ে আশঙ্কা তা ওই 'বিরানব্বুই শতাংশ হেটো-মেঠোদের' নয়, বরং আট শতাংশ 'এলিট'দের।

    হ্যাঁ, কলকাতার বাইরের বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের লিস্টি তিনি করে উঠেছেন। তবে সেই লিস্টিতে অমিয়ভূষণ, অভিজিৎ সেন, উদয়ন ঘোষ স্থান না পেলেও স্থান পেয়েছেন মলয় রায়চৌধুরী, সমীর রায়চৌধুরী, কমল চক্রবর্তী, বারীন ঘোষাল, সুবিমল বসাক, অনিল ঘড়াই, কেদারনাথ, সঞ্জীবচন্দ্র, শরৎ, সতীনাথ, জগদীশ গুপ্ত, দুই বিভূতিভূষণ, শরদিন্দু, বনফুল, সুবোধ ঘোষ, নবেন্দু ঘোষ, বিমল কর প্রমুখ।
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.203 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৬:৩৫49103
  • হা হা হা। ঘন্ট তো পাকাবেই। কারণ খোদ সরকার সেই বন্দোবস্ত করে রেখেছে। লিংক দেখুন, সেখানে প্রথম ভাষার তালিকা দেখুন। সব জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    http://wbbse.org/subcode.htm
  • এলেবেলে | 230123.142.0189.234 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৬:৪৬49073
  • ঈশান

    অজিত রায় কেন তার উত্তর এই মাত্র দিয়েছি। বিন্দুমাত্র উত্তেজনা নেই, শ্লেষ থাকলেও থাকতে পারে। অকারণ ডনগিরি মারলে পাল্টা বৈঠকগিরি মারতে হয় কখনও কখনও। ছোবল না মারলেও ফোঁস করতে হয়, নইলে টই ডিরেলড হয়ে যায়।

    'সর্বভারতীয় স্তরে ভাষা চাপিয়ে দেবার বিরুদ্ধে কথাবার্তা তো সেই ভাষাটি থেকেই শুরু করা উচিত, তাই না?' --- এটা আপনার মনে হওয়া, আমি এর সঙ্গে একমত নই। আপনার নিজস্ব বয়ান অনুযায়ী আপনি প্রথমে বাঙালি, তারপর ভারতীয়, তারপর আন্তর্জাতিক। সেই ক্রম মান্য করলে আগে নিজের ঘর গোছানোর কাজটা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দাবি করে। অথচ বাস্তবে কী দেখছি? নিজে এবং নিজের সন্তান ইংরেজি মাধ্যম, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি করার উচ্চাশায় দ্বিতীয় ভাষা হিন্দি এবং দিনান্তে বাড়ি ফিরে সামান্য স্মৃতি রোমন্থন 'আমি বাংলায় গান গাই আমি বাংলার গান গাই'। এটা বিশুদ্ধ ভাবের ঘরে চুরি।

    আমার নিজের রাজ্যে আমার নিজের বাসিন্দা বাংলা পড়তে পারছে না। ইচ্ছে করে পড়ছে না তা নয়, পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা নির্বিকার। কেন্দ্রীয় বোর্ড কেন দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে বাধ্যতামূলক করছে না তা নিয়ে আমরা যতটা চিন্তিত ও সোচ্চার, খোদ পর্ষদ বা কাউন্সিল কেন তার ছাত্রদের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে বাধ্যতামূলক করছে না তা নিয়ে আমরা ততটাই বা হয়তো তার বেশিই উদাসীন ও নীরব। এর একমাত্র কারণ আট শতাংশ 'এলিট'-রা না জানেন পর্ষদ বা কাউন্সিল-এর ভাষানীতি, না আছে 'বিরানব্বুই শতাংশ হেটো-মেঠোদের' ওপর রাজ্য সরকারেই ভাষা-আগ্রাসন নিয়ে মাথাব্যথা। ফলত 'স্তাবকবৃন্দের ল্যাজতালি মুখরিত ইগোস্ফূরণ' দিয়ে এই আগ্রাসন ঠেকানো যাবে না। আগে, সবার আগে, রাজ্যের ভাষানীতির উদাসীনতা ও আগ্রাসন নিয়ে সোচ্চার হতে হবে।

    শুধু দু'টো কারেকশন। মান্য বাংলা মানে কেবল শান্তিপুরি নয়, নবদ্বীপ-শান্তিপুরি। সুনীতিবাবু ওডিবিএল-এ 'the cities of Nadiya' উল্লেখ করেছেন। আর 'উপভাষা' টার্মটা আরেকটা আগ্রাসনের নিপাট নমুনা।

    অজিত রায় বাদ দিলাম। বরং গুরু থেকে যাঁর বই প্রকাশিত হয়, যিনি গুরুতে লেখেনও সেই যশোধরা রায়চৌধুরীর উত্তর-সম্পাদকীয়টা রেখে গেলাম আয়নায় নিজের নিজের মুখটা দেখার জন্য।

    https://www.anandabazar.com/editorial/we-are-failed-to-be-arrogant-about-our-bengali-language-1.1001526
  • sm | 2345.110.673412.32 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৭:১০49104
  • হ্যাঁ দেখলাম।কিন্তু বিশেষ কিছু বুইতে পারলাম না।
  • এলেবেলে | 230123.142.0189.234 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৭:১১49075
  • পুনশ্চ: কাল 'কপিরাইট' এবং 'চুরি' নিয়ে তুমুল তক্কের সময় বড়েসের মুখ ফসকে বলে ফেলা 'আপনার গুরুতে লেখা ব্লগগুলো নিয়ে'-র পরই সে বড়েসকে চিনে ফেলেছিল। কিন্তু পরিচিত লোকের সঙ্গে তক্কো করা যাবে না তা গুরুর নর্ম নয় বলে সে তক্কো করে গেছে।
  • S | 237812.58.1245.28 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৭:২৩49076
  • "মলয় রায়চৌধুরী, সমীর রায়চৌধুরী, কমল চক্রবর্তী, বারীন ঘোষাল, সুবিমল বসাক, অনিল ঘড়াই, কেদারনাথ, সঞ্জীবচন্দ্র, শরৎ, সতীনাথ, জগদীশ গুপ্ত, দুই বিভূতিভূষণ, শরদিন্দু, বনফুল, সুবোধ ঘোষ, নবেন্দু ঘোষ, বিমল কর প্রমুখ"

    এইসব লেখকদের উপেক্ষা করা হয়েছে বাংলায়? আমি সত্যিই নাম না জানা দারুন লেখকদের লিস্ট আসবে ভাবছিলাম।
  • Ishan | 2312.106.9002323.218 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৭:২৪49105
  • আমি এলেবেলের কথা বুঝতে পারছিনা। বাংলায় বাংলা মাধ্যম স্কুলে ছাত্রসংখ্যা কমেনি বলছেন, ঠিক আছে, কমেনি। কোথাও পড়েছিলাম কমেছে, কিন্তু ডিটেল আমার জানা নেই। খুঁজলে পাওয়া যাবে, কিন্তু আপাতত আপনার কথাই মেনে নিলাম।

    কিন্তু তাতে করে হিন্দি বা ইংরিজির আগ্রাসন কমল কীকরে বুঝলাম না। নাকি অন্য কিছু বলছেন?
  • S | 237812.58.1245.28 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৭:২৭49077
  • "সে বড়েসকে চিনে ফেলেছিল"
    কে চিনে ফেলেছিলো?

    "মুখ ফসকে বলে ফেলা 'আপনার গুরুতে লেখা ব্লগগুলো নিয়ে'"
    মুখ ফসকে কেন?
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.203 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৭:৫৯49106
  • ঈশান

    রাত অনেক হয়েছে। ঘুমোতে যাব। আপনি শুধু এ দু'টো প্রশ্ন গভীরভাবে ভাবুন। সঙ্গে 07 June 2019 00:05:48 IST পোস্টে দেওয়া লিংক দেখুন। বুঝতে পারবেন। না হলে কাল সকালে।

    ৪. বাংলায় বাংলা মাধ্যম স্কুল ছাড়াও আছে হিন্দি-উর্দু-নেপালি-সাঁওতালি মাধ্যম স্কুল যেখানে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা নেওয়ার কোনও সুযোগই নেই সরকারিভাবে। তা অনালোচিত থাকে কেন? সেটা ভাষা আগ্রাসন নয়? সেই আগ্রাসনের জন্য রাজ্য সরকার দায়ী নয়?
    ৫. এ ছাড়াও বাংলায় মাতৃভাষা হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে তামিল, উড়িয়া, অসমিয়া ইত্যাদি ভাষার। খড়গপুর এলাকার কসমোপলিটান ভাষাচিত্র কেন উপেক্ষিত? কেন তাকে আমরা আমাদের ভাষা আগ্রাসন হিসেবে চিহ্নিত করব না?
  • pi | 4512.139.122323.129 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৮:০১49107
  • বাংলা মাধ্যমে কমেছে, সরকারি স্কুলে ফাঁকা যাচ্ছে সিট, সেদিনও খবর বেরিয়েছে। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের অনেকেরই সেরকম অভিজ্ঞতা। তথ্যও সেব্রকম বলছে বলেই খবরে বলেছিল।
  • Ishan | 2312.106.9002323.218 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৮:১৩49108
  • ১। রাজ্য সরকারের কোনো দায় নেই কখন বললাম?

    ২। বিশ্বের কোথাওই সমস্ত ভাষায় শিক্ষাদানের সুযোগ থাকেনা। এই যেমন তামিলনাড়ুতে ভোজপুরিতে শিক্ষাদানের সুযোগ বোধহয় নেই। সেটা আগ্রাসন নয়। একই ভাবে গুরগাঁওতে যদি বাংলায় শিক্ষার সুযোগ না থাকে সেটাও আগ্রাসন নয়।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৮:২২49109
  • আমাদের অন্চলে কতগুলো সরকারি স্কুল উঠেই গেছে। তবে সেটা কোলকাতা, অতেব ধর্তব্যের বাইরে। অথচ শুধু এই শহর ও তার চারপাশেই রাজ্যের জনগনের ১/৬ বাস করেন।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ০৬ জুন ২০১৯ ০৮:৫৬49110
  • মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এই পরীক্ষাগুলোকে মাদ্রাসা পরীক্ষার মতন অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন