এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • বইমেলা কড়চা - ২০১৯ প্রথম ভাগ

    Rouhin Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৮২৫৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আদি পর্ব - লটারি

    উপন্যাস ছাড়া নাকি প্রোলোগ লেখার নিয়ম নেই - তাই বুজুরগলোগ মাপ করবেন - এই উপন্যাসোপম আখ্যানে এই আদিপর্বটা প্রতিবারেই ঘাপলা হয়ে যায়, তাই এবারে এটা দিতেই হল। কারণ না দিলে মিস। বইমেলার লটারি এক জব্বর বস্তু - সে অভিজ্ঞতা না কহিলেই নহে। অতএব গিল্ড লটারির কথা অমৃতসমান - পূণ্যবানেরা আসুন আসুন - পিঁড়ে পেতে বসে পড়ুন। গিল্ড ফ্রী তে চা খাওয়ায়, এমন কি টপ বিস্কুটও খাওয়ায়, হাতে হাতে নিয়ে নিন বাবাসকল, মা সকল। কৃতাঞ্জলিপুটে বসে পড়ুন।

    ঘোষিত সময় দুপুর বারোটা। জনতা সাড়ে এগারোটা থেকেই ঘুরঘুর কচ্ছে, ফ্রী চায়ের অপেক্ষা না করে অনেকে এমন কি নিজের পয়সায় চা পর্যন্ত কিনে খাচ্ছে (ভাবা যায়? বাঙালি!) - এদিকে কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে বারোটায় কত্তামশাই মাইকে বললেন, এবার তাহলে শুরু করি? কোন এক বেয়াড়া বলে উঠেছিল, টাইম তো বারোটায় ছিল - তিনি মধুর হেসে জানালেন, বারোটায় তো সবাই এসে পৌঁছান না, তাই - এরপরে আর কথা চলে না - ওঁরা আমাদের জন্য এত ভাবেন!

    এই লটারির দুটি পর্ব - প্রথম পর্বে হয় লটারির লটারি, আর দ্বিতীয় পর্বে সেই লটারির ওপরে লটারি। ব্যস - বুঝে গেছেন তো? জলবৎ তরলং? মানে এরপরেও না বুঝলে আপনার বোধশক্তি আমার মতই ছাব্বিশ মার্কা ধরে নিতে হবে আর কি - আমি যেমন গত তিন চার বছরেও বুঝে উঠতে পারলাম না এটা কেন করা হয়, কী এর মেকানিজম, মেকানিকাল অ্যাডভান্টেজই বা কী। তা সে যাগগে - আমি যা বুঝিছি, তা আপনাদিগেও বুঝায়ে বলি - প্রথম পর্বে লটারির লটারি মানে হল আসল লটারির সময়ে আপনি কত নম্বরে সুযোগ পাবেন সেই লটারি। তারপর দ্বিতীয় পর্বে সেই তত নম্বরে এসে আপনার সামনে যতটা ফাঁকা মাঠ পড়ে থাকবে তাতে কতটা গোল করতে পারবেন তার লটারি। এবারেও যদি না বুঝে থাকেন তো আমি নাচার - গিল্ডের অফিস পাঁচ বা ছয় নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে একটু এগোলেই পাবেন একটু কষ্ট করে জেনে নিন না বাবা। এত্ত কথায় কথায় গু গুলে দেখেন আর একটু গিল্ড গুলে দেখতে পারবেন না?

    এ বছর আমাদের তিন জনের দল - সেনাপতি শেখরদা, সঙ্গে আমি আর হুতো। অয়নের আসার কথা - সে অবশ্য নিজেই ভুলে গেছে সেটা, আমরা চাষার মত আশায় বসে আছি। বসে আছি আর ঠেলাঠেলি করছি - লটারি তুলতে কে যাবে? আমি ভাবলাম শেখরদাকে সিনিয়রমোস্ট ফোস্ট বলে হয়তো বার খাওয়ানো যাবে - কিন্তু শেখরদাও কমদিন এইসব চণ্ডাল চড়াচ্ছেন না - পোড় খাওয়া লোক। খুব সাব্লাইম একটা হাসি দিয়ে বললেন ‘না না - তোমরাই যাও’ - বলে আরও প্রশান্ত মুখে লটারি দেখতে লাগলেন - যেন রবি শাস্ত্রী কোহলির খেলা দেখছে। আর হুতো এমন একটা মুখ করল, যেন উলটে খাওয়া দূরে থাক, মাছটা ভাজা হয় এটাই একটা বড় খবর - মিত্রোঁ, মাছ ভাজিয়া উল্টাইয়া খাইতে হয় -

    এদিকে লটারিতে প্রথম দিকে সব ১২০-১৫০ এর মধ্যে তুলছিল, তারপরে আস্তে আস্তে ১২, ২৪, ৩৫ করতে করতে ১, ৪, ৭,৮ এসবও উঠতে লাগল। আর গুরুচণ্ডা৯ আর আসে না। আমরা এদিকে হিসাব করেই যাচ্ছি, পঞ্চাশের মধ্যে পেলে কোথায় বাছা যাবে, পঞ্চাশের ওপরে হলে কি, একশোর ওপরে হলে আর কোন আশা আছে কি না - ইত্যাদি। কোথায় কোথায় গ্যাপ রয়ে গেল - স্ট্র্যাটেজি শুনলে অমল দত্ত লজ্জা পেয়ে যেতেন। ডায়মন্ড সিস্টেম, গোল্ড সিস্টেম, পোড়ামাটির নীতি - সব আলোচিত হয়ে গেল। শেষে যখন গুরুচন্ডা৯ ডাকল, যথারীতি আমার পেছনে আর কেউ নেই - আমিই বীরদর্পে এগিয়ে গেলাম এবং লটারিতে উঠল ১৫৯। আউট অফ ২১০। অর্থাৎ ১৫৮ জন বুজুরগ তাদের জায়গা বেছে নেবার পরে যা পড়ে থাকবে সেখানে আমাদের খেলা। বার্বাডোজের সবুজ ঘাসের পিচে সকালের শনশনে হাওয়ায় টসে হেরে পতৌদি যেমন মুখ করে ফিরে আসতেন, সেরকমভাবেই আমার প্রত্যাবর্তন। শেখরদার পিছন পিছন আমিও আহত অবসৃত - চুপচাপ রেডিও বন্ধ করে দিলাম - এ ম্যাচ আর দেখার কী আছে।

    কিন্তু বার্বাডোজ কখনো কখনো তিরাশির লর্ডস হয়ে যায়। গিল্ডের ঘাসের পিচে হুতো যে এরকম স্যুইং এর ভেল্কি দেখিয়ে ম্যাচ বার করে আনবে সে আর কে বা ভেবেছিল? বিকালে শুনি দুই নয় তিন - স্টল নং ২৯৩ - লিটল ম্যাগের পাশেই, এবং কর্নার প্লটে, সামনে গানবাজনার উপযুক্ত ফাঁকা জায়গা এবং তার পাশেই ফুড কোর্ট - শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে পেছন দিকে ঠিকই - তা সেরকম দু-একটা ছয় তো ওরাও মারবেই - সে মারুক। দেখা হচ্ছে কমরেড - ৩০ এর ভোরে।

    অনাদি পর্ব - স্টল

    লটারির দিন, শুরুর আগেই স্যারেরা জানিয়েছিলেন, এবারে ১০ তারীখেই মাঠ পাওয়া যাচ্ছে - সাফিশিয়েন্ট টাইম, ২১ তারীখের মধ্যে স্টল মোটামুটি তৈরী হয়ে যাবে, তারপর এসে আমরা সরেজমিন তদন্ত করে যেতে পারি। এমন কি ভোটবাজারের মোদীর মতই এও আশ্বাস পাওয়া গেল যে তখন যদি আমরা কিছু বায়না টায়না করি তবে তা জরুর শোনা হবে। ২৭ থেকে ২৯ এর মধ্যে স্টল পুরো রেডি, সিকুরিটি থাকিবে, আমরা বই রেখে আসতে পারি - চাই কি বিক্কিরিও করতে পারি (!) - তবে ৩০শে উদবোধনের দিনে কোন পাঁয়তাড়া চলবে না। হীরকরাণীর বক্তৃতার দিনে পেঁয়াজি চলে না এ তো প্রজারা মেনেই নিয়েছে - এ আর এমন কি কথা? পরে অবশ্য সব ডেটই একদিন করে পিছালো - ৩০ তারীখ বোধায় পাঁজিতে কুষ্মাণ্ড ভক্ষণ নিষেধ ছিল। তা এ সব মন কি বাত শোনার পরে কি খুশী না হয়ে পারা যায় বলুন? আচ্ছে দিন তো এসেই গেছে। বায়না করব বায়না করব - গিল্ড আমাদের মাতাপিতাসম না হোক অন্ততঃ পিতৃব্য-মাতৃস্বসাসম (হামাপকে হাইকুন কেস ভাববেন না যেন আবার) তো বটে। আহা দু-একদিন বেশী তো লাগতেই পারে - ২১ ছেড়ে আমরা ২৩শে যাওয়া মনস্থ করলাম। কী মজা, কী মজা!

    মজা টের পাওয়া গেল ২৩শেই - গিয়ে দেখি স্টলের জায়গায় চারটে বাঁশ দাঁড়িয়ে। মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে - তাই লিখি দিল বিশ্ব বাংলা স্টলের পরিবর্তে। আসলে ওই যে পিতৃব্যসম - পিতৃব্যরা ঠিক জানে কোন বেয়াড়া ভাইপো ভাইঝি বায়না করবেই - তো ল্যাও এবারে ফাঁকা মাঠে কী বায়না করবা, করো। না রহেগা বাঁশ - ইয়ে থুড়ি, বাঁশটুকু ছিল, অস্বীকার করার উপায় নেই - তবে তা দিয়ে বাঁশরী বাজানোর উপায় নেই - সে বাঁশের লক্ষ্য এবং গন্তব্য অন্য। অগত্যা গিল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নিতান্তই স্টলটা বানিয়ে দেবার বায়না করে আসা গেল - খেতেই না পেলে আর সংস্কৃতির দাবী কে জানাবে। পুঁজিবাদ বিজ্ঞান - তাই উহা সত্য।

    ২৬শেও প্রায় একই অবস্থা - তবে হ্যাঁ প্লাই লেগে গেছে বটে। কাজ হচ্ছে না একথা বলার উপায় নেইকো - উন্নয়ন এক্কেরে চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ২৯ তারীখে সুমন জানাল প্রায় হয়ে এয়েচে, এবার বেঙ্গল মাস্ট মীন বিজনেছ। অতএব তিরিশের শুভ সকালে গাড়ি নিয়ে হাজির টিটিদিদি, সঙ্গে মারিয়া এবং বাঁচাইয়া। শেষোক্ত জন এই দলের প্রথম পুরুষ - সর্বার্থেই। প্রেস থেকে বই উঠে পড়ল গাড়ির ডিকিতে, নতুন বইএর মন কেমন করা গন্ধে মিশে গেল নতুন তালাচাবির গন্ধ। তারপর গাড়ি চলল গড়ফা, সেখানে আরো বই - পেটি পেটি। ততক্ষণে টিটিদির গাড়ির পেট ভরে গেছে - অতএব ট্যাক্সি - কালা-পিলা - কারণ তার অগাধ অ্যাপেটাইট।

    কলকাতা শহরে কালাপিলা পাওয়া, যে কিনা আপনার গন্তব্যস্থলে যেতে রাজি, এমন কি এক্সট্রা ভাড়াও চায় না - সে এক সাররিয়াল ব্যপার। কিন্তু ওই যে বলে অনুপ্রেরণা - একে তো আমাদের দিদি আছেন - তারপরে হুতো আছে - সেই অনুপ্রেরণার চোটে আমি আফ গঙ্গোও করে ফেললাম সেই অসাধ্য সাধন - মিনিট পনেরোর মধ্যেই কালাপিলা হাজির। দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি। ইতিমধ্যে টিটিদিদি এক মার্জার সুন্দরীকে মডেল বানিয়ে ফেলেছে। বাকি যাবতীয় পেটি এবং গাদা এবং ল্যাজা এবং মুড়ো সেই অ্যাম্বাসাডরে উঠে গেল - এবারে মিশন বইমেলা। চল পানসি বেলঘরিয়া।
    ইত্যাদি পর্ব - প্রেস

    হিজবিজবিজের এক বন্ধু ছিল, সে ছাতার নাম রেখেছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, গাড়ুর নাম পরম কল্যাণবরেষু। আমাদের একজন মুখ্যমন্ত্রী রেল স্টেশনের নাম রেখেছেন দীনদয়াল উপাধ্যায়, আরেক মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার নাম রেখেছেন সত্যজিৎ রায় ধরণী। তা আমরা তো একাধারে গুরু এবং চন্ডাল - অতএব এসব মহান ব্যপারে আমাদেরও কিছু অবদান থাকা দরকার বলে মনে করি - কিন্তু এতটা প্রতিভাবান কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে অভাব পুরন করেছেন বর্ণনা প্রেসের সর্বেসর্বা গোবিন্দবাবু। তিন বছর আগে যখন এক ব্যাগ নব্বই ছাপা হচ্ছিল, তখন গোবিন্দবাবুর এই প্রতিভার প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি কুর্মাবতারের নাম রাখলেন কুমড়ো, তারপর খান্ডবদাহনের নাম রাখলেন সৈকত, অমর মিত্রের নাম রাখলেন অরুণ মিত্র। তো এই গোবিন্দবাবু একজন নমস্য ব্যক্তি বুঝতেই পারছেন। বাংলা প্রকাশনার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, “ছাপাখানার ভুত” শব্দটার সঙ্গে তাদের সকলেরই কমবেশী পরিচয় আছে। কিন্তু গোবিন্দবাবুকে আজ অবধি বিশ্বাস করাতে পারিনি যে ওনার কোন ভুল হয় বা হতে পারে। এক অসীম ঋষিসুলভ ঔদাসিন্যে তিনি এসবের উর্দ্ধে উঠে যান এবং গুরুসুলভ গাম্ভীর্যে প্রমাণ করে দেন যে ভুলটা আসলে আমাদেরই। অতএব তিনিই যে আমাদের উপযুক্ত বোনাফায়েড মুদ্রক, এতে কোন সন্দেহই নেই। গোবিন্দবাবুর দর্শন পেতে হলে শেষ দিন শেষ ঘন্টার মেলায় চলে আসুন। মেয়ের বাবা যেমন বৌভাতের নেমন্তন্ন খেতে আসেন, ঠিক তেমনই ভাব করে গোবিন্দবাবু আসেন মেলায়।

    প্রেস থেকে বই আসা একটা পর্ব বটে। আসার আগেই পাই ইয়াব্বড় ফর্দ ধরায় - লক্ষ্মীপূজোর বাজারের ফর্দের সাইজ ওর থেকে ছোট হয়। তারপর যখন প্রেসে যাই, গোবিন্দবাবু তার স্বভাবসুলভ ঔদাসিন্যে বলেন ‘দেখছি’। সে দেখা শুধু তিনিই দেখতে পারেন - আমরা দু-একবার চেষ্টা করে দেখেছি - ঠিক যে বইটা খুঁজি সেটা থাকে সবার নীচে। এবং অনেক সময় সে ধরা দিয়াও দেয় না - কারণ তার ওপরে গোবিন্দবাবুর নিজস্ব নাম লেখা থাকে - ফলতঃ সে নামের মর্মোদ্ধার যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ বোঝারই উপায় থাকে না যে ওটা কী বই। এবং গোবিন্দবাবু যতক্ষণ নিজের কাজ করছেন, ততক্ষণ কারো পিতৃব্যের সাধ্য নেই তাঁকে সেখান থেকে ওঠায়। অতএব তাঁর ভরসায় বসে থাকি। তিনি পান চিবোতে চিবোতে কাজ শেষ করে উঠে আসেন, তারপর ম্যাজিকের মত বেরোতে থাকে একের পর এক বই। বর্ণনা প্রেসের অধিক বর্ণনা দিয়ে আর আপনাদের অবর্ণনীয় কষ্ট দেব না - তবে এই সকল ধুন্ধুমার সত্ত্বেও এ কথা না বললে অন্যায় হবে যে আমাদের এই শেষ মুহুর্তে ম্যাটার দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছেপে দেবার বায়নাও দিনের পর দিন এই গোবিন্দবাবুই সহ্য করেন, এবং তাঁর সেই ঋষিসুলভ ঔদাসিন্যে - এ জন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ।

    প্রথম পর্ব - মেলা শুরু

    ও হরি - এতক্ষণে প্রথম পর্বে আসা গেল। অর্থাৎ মেলা এবার শুরু হয়ে গেছে - লাগ লাগ লাগ লেগে যা ভেলকি। সেই যে ৩০ তারীখ আমরা ট্যাক্সিতে উঠে পানসি ছোটালাম - মানে আপনি যদি ভাবতে বসেন ট্যাক্সি কী করে পানসি হবে, তবে আপনি স্বাগত - ঋত্বিক তো বলেই গেছেন ভাবা প্র্যাকটিস করতে - অতএব ভাবা আপনার সংগ্রামী অধিকার - কিন্তু তার আগে এ-ও ভেবে নেবেন যে পানসি বেলঘরিয়া গেলে ট্যাক্সি করুণাময়ী আসে কি না। আমরা কিনা অ্যাডভান্স - অঙ্কে ফেলু মারা বুদ্দিজীবি, আমরা এসব আগেই ভেবে ফেলেছি - তাই দিব্যি তরতরিয়ে পৌঁছানু যথাস্থানে। এসে দেখি, ও মা! স্টল তো প্রায় রেডি! তবে কি না গেট নেই, এবং নেট নেই। গোটা বইমেলায় নেট নেই। স্টলের ভিতরে মেঝেতে একটা কালো ন্যকড়া ছিল - পরে জানতে পারলাম ওরে কার্পেট বলে। তাতে ৫০% কাপড় আর ৫০% ধুলো থাকে। আর আছে একটা টেবিল - উরিশ্লা - সে কী টেবুল রে ভাই - স্টলের সমান লম্বা পুরো - একটা দিক আটকে গন্ধমাদন হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন - অবস্থান করছেনও বলা যায়। এদিকে বইএর পেটিরা গাড়ি থেকে নেমে হাত পা ঝেড়েঝুড়ে স্টলে জাগা নেহি হ্যায় দেইখ্যা স্টলের বাইরের মাঠে জাঁকিয়ে বসেছেন। আমরা আর কী করি - তাঁদের সেখানেই চা জলখাবার চাট্টি খেতে দিয়ে ছুটলাম গিল্ডের অফিস - ডেকোরেটরের খোঁজে। গিল্ড কর্তারা চিরকালই অমায়িক, এবারে দেখা যাচ্ছে একটু বেশীই অমায়িক - যা-ই জিগাই, হাসিমুখে উত্তর দেন - উত্তর অবশ্য না-বাচকই হয়, কিন্তু না খিচিয়ে। ফলে মন খুশ হয়ে গেল। অনেক পাঁয়তারা করে ওঁদের ম্যাপ খুলিয়ে ২৯৩ এর অবস্থান বোঝানো গেল - তখন সেখানকার সুপারভাইজারের নম্বর দিয়ে বললেন যোগাযোগ করে নিন - উনি সব করে দেবেন। তবে একথা মানতেই হবে যে এই বিশ্বনাথবাবু (ডেকোরেটর) কিন্তু মোটামুটি যা চেয়েছি, করে দিয়েছেন - ওনার এক্তিয়ারের বাইরে না হলে। গেট লাগল, গেটে তালা লাগাবার হুড়কোও লাগল, “কার্পেট” হল টানটান, ধুলো পরিষ্কার হল কিছুটা - এবং সেই মহাটেবিলের মহাপ্রস্থান ঘটল। তার বদলে এল ছোট টেবিল। এদিকে মারিয়া তখন স্টল সাজাতে লেগে গেছে - ইন্টিরিয়র ডেকোরেশন। এক্সটিরিয়রের জন্য ওদিক থেকে আছেন হুতোবাবু - একের পর এক ইন্সট্রাকশন পাঠিয়ে চলেছেন - সেই অনুযায়ী কনস্ট্রাকশন হয়ে চলেছে। ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়র - সে এক অনন্ত প্রক্রিয়া। কালও স্টলে গেলে দেখবেন ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়রের কাজ হয়েই চলেছে। আর আপনারা যারা ‘মারিয়া’কে এখনো চেনেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, মোদীর যেমন অমিত শাহ, দিদির যেমন ববি হাকিম, তেমনি পাই এর হল মারিয়া। কেউ কেউ বলেন গুরুমাতা ইন মেকিং - আমরা ফ্যাক্ট চেক করতে পারিনি।

    তা সে যাই হোক, সেই অনন্ত সজ্জাপর্বের মধ্যেই মেলা শুরু, জনসমাগম শুরু, বিক্রিবাটা শুরু, আর শুরু ছপি তোলা। যারা দূরে আছেন, তারা পারলে সবটাই ছবিতেই দেখে নিতে চান আর কি - ফলে সেই বিপুল চাহিদার জোগান দিতে বিপুল পরিমাণে উৎপাদন চলছে, চলবে। যে যেখানে যেমন পারছে ছবিছাবা তুলছে। নতুন বই এক এক করে আসছে - বিপুল দাসের তোমার সঙ্গে খেলা, আসামের নাগরিকপঞ্জী, মলয়দার নিজের বাছাই হাজির প্রথম দিনেই - তারপর একে একে মাঠে নামছে সব রথী-মহারথীরা - তন্বীদির মজুররত্ন, টিটিদিদির পাড়াতুতো চাঁদ, অমরদার নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান, দমদির সীজনস অফ বিট্রেয়াল, অর্চন আর অভিজিতের নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছের নতুন বাঁধাই সংস্করণ, এককের অতিনাটকীয় - মাঠ ময়দান তোলপাড় - হৈ হৈ রৈ রৈ মার মার কাট কাট ব্যপার স্যপার। গেছোদাদা এসে বইএর হিসাব লিখে নিলেন। তৃতীয় দিনে, অর্থাৎ দুই তারীখ আসার কথা পাইকিশোরীর - কিন্তু তার বিমান অত সহজে ওড়ে না। অগত্যা তিনি আবির্ভূত হলেন পরের দিন সকালে। মোচ্ছব জমে গেছে এতক্ষণে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৮২৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rouhin Banerjee | 342323.176.120112.253 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:০৪49860
  • অঙ্কে নম্বর পেলাম না বলেই তো গবেষণা হল না। তাই নোবেলটাও ফসকে গেল।
  • Kaju | 122312.242.016712.210 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:৪১49861
  • আরে ছোটবেলায় মাধ্যমিক উমা-তেও তো আমাদের একটা স্টেপ লাফালেই নম্বর কেটে নিত। সে অঙ্কের কথা কইতাসি। বড় লেভেলের অঙ্ক নয়।
  • de | 90056.185.673423.51 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৯49862
  • আমি গত শনিবার এয়েচিলাম - অতি অল্প সময়ের জন্য - পারমিতাদি, শেখরদা আর রৌহিনের সঙ্গে আলাপ হোলো - কয়েকটা বই কিনলাম আর পাই আর ছোটাইদির খোঁজ করে না পেয়ে বেরিয়ে এলাম -
  • সিকি | 670112.209.231223.27 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৯49874
  • এবারে দ্বিতীয় ভাগটা লিখে ফ্যালো।
  • kumu | 670112.212.238912.190 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৭49875
  • যাদের বই বেরিয়েচে সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন।

    দ,একটি বই সই করে সিকির হাতে পাঠিয়ে দেবে?
  • pi | 785612.40.900.142 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৫49868
  • পরের অপশনে স্থির হউন।
    তবে আজ আমাদের ফ্লেক্স অভিযান আছে।
  • pi | 785612.40.900.142 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৯49869
  • মামু না আসায় একটাই সুবিধা হয়েছে। মনের সুখ করে ফ্লেক্স লাগাতে পারছি। মারিয়া আর মণ্টুদার চেয়ে ভাল লোক আর হয়না। কোন ফ্লেক্স পোস্টার স্টিকার কভার ডেকোরেশন কিছুতে আপত্তি তো করেইনাঅ, উল্টে যা বলি তার চেয়েও বেশি করে করতে বলে!! করে তো দেয়ই! এ যে কী সুখ বলে বোঝানো যাবেনা!
    অতএব হুতোকে জ্বালানো চলছে চলবে, স্টল আর মেলা সাজানো চলছে চলবে, যেমন চলে আর কি, মেলার শেষ দিন অব্দি, কয়েক ঘণ্টা বাদেই মেলাশেষে সেগুলো খোলা অব্দি। তারপরে তো সেগুলো যত্ন করে নিয়ে গিয়ে যত্ন করে রেখে সারাবছর এদিক ওদিক গিয়ে পরের মেলার আগে দেখা যাবে আর কিছু নাই, অতএব আবার শূন্য থেকে শুরু ও এই নাটকের পুনরভিনয়! পরের বার একক এলে অতিনাটকীয় কিছুও হতে পারে!

    কিন্তু ছবি তো যা পারি তুলছি, ঐ গুরু ২০১৯ বলে আলবামে। একসঙ্গে ৩০ এর বেশি তুলতে দেয়না। পোস্টের জন্য নেট ও স্লো, মেলায় তো নেইই বললে চলে ঃ(
    এছাড়াও এবার লোকসমাগম আরো বেড়ে গেছে, ননস্টপ লোককন আসছেন, কথা বলছেন বই নিয়ে, বলতে চাইছেন, বই পড়ে জানাচ্ছেন, বই নিয়ে জানতে চাইছেন, বইয়ের ব্যাপারে কথা বলছেন আর আরো হাজারটা জিনিশ। কত কি লেখারও থাকে, কত ছবিতে কত ক্যাপশন দেওয়ার থাকে, কত গল্প,
    এই যেমন সেদিন স্কুল কাটা ক্লাস টেনের তিন ছোকরার গল্প, যদিও আমার জেতায় বলল, স্কুলে যেতে দেরি হয়ে গেছে বলে আর যায়নি, মেলায় চলে এস্র্ছে, তাদের স্কুলের কোন মাস্টারমশায় নাকি বইমেলা যাওয়া ভাল বলেছেন, মনে হল লিটল ম্যাগ করা লোক, তো তাদের এই প্রথম বইমেলা আসা।গুরুর স্টলের বাইরের লেখাজোখা দেখে ঢুকে পড়েছে, সেই সাড়ে বারোটায়, স্টল খুলতেই। তারপর এক ঘণ্টা ধরে নানা বই পড়ে টড়ে খেরোবাসনা, হাম্বা আর মিছিলে বাদল সরকার নিয়ে গেল। যদিও কী বই পথতে ভালবাসে, পড়তে চায় জানায় বলেছিল গল্প।

    একেবারে অচেনা পাঠক বই পথে টরে যখন নিয়ে যান, কিছু বই কিনে আবার পরের দিন এসে, এমনকি এও হয়েছে, মেলাতেই বসে শেষ করে আরো আরো বই নিয়ে যান, কি কেউ এসে বলেন, কী বই আলাদা করে আর বলতে হবেনা, গুরুর বই সব চাই, যা যা নতুন বই বেওল, সব আমার জন্য গুছিয়ে রেখে দিন, দিয়ে দিন, গুরুর বইয়ে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়, তো তখন ভালই লাগে। এগুলো শুনলে মনে হয়, এগুলোর জন্য আসাই যায়, যত ঝামেলা করে হোক, যত চাপ পড়ুক!

    আরো কত কত গল্প, আরো কতজনকে নিয়ে, একজন এসে সে কত নাটক টাটক কাণ্ডকারখানা করে তারপর জানালেন, তিনি আসলে নাটকের লোক, তারপর এক ঘ্ঘণ্টা ধরে নানা বই পড়ে শেষে অতিনাটকীয় নিয়ে গেলেন, নাটক করবেন বলে, অতিনাটকীয় নিয়ে আরো গল্প, পাড়াতুতো চাঁদ, সিজন্স নিয়ে কী বলছেন লোকে সেই গল্প , ছবি, কত ছবি তোলাও হয়না তাও, কিন্তু দেব যে, এক সময় কই ঃ( দুই। রৌহিনের এই লেখার পরে মনে হয় সব ঐ লিখুক
    তিন, যদি দিতে পারিও তো কেন দেব?
    যারা আসছেনা, তাদের শাস্তি। কিছুই দেওয়া কিছুই লেখা মোটে উচিতইনা!

    তবে হুতো, ফ্লেক্সের আরো দুটো ডিজাইন চাই, গুরু লম্বা করে লেখা! এখুনি!!
  • T | 561212.112.4578.134 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:২১49870
  • জরুরী ঘোষণা। ম্যালায় গেলেই দমদি ফিশফ্রাই খাওয়াচ্চে। মাক্কালী।
  • dc | 127812.49.2390012.178 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৫০49871
  • এঃ বইমেলা যেতে পারলে ফিশফ্রাই পেতাম ঃ(
  • | 2345.106.673423.207 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:০৩49872
  • ফিশ ব্যাটারফ্রাই।

    না না কাল ত খিচুড়ি বেগুনভাজা পাঁপরভাজা চাটনি খাওয়ালাম কাকে যেন।

    ও বোধয় নিজেকেই খাইয়েছিলাম।
  • Rouhin Banerjee | 342323.176.120112.253 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:৩২49873
  • ফিশ বাটার ফ্রাই খেইচি। এবারে টার্গেট খিচুড়ি
  • Du | 7845.184.4534.204 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৫49876
  • যাওয়ার মজা তো পাবার নয় তাও লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগছে।
  • গুরুচণ্ডা৯ | 785612.40.6734.88 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:১০49877
  • স্টল ভরা গ্রন্থশোভা, সঙ্গীত সম্মুখে।
    সরস্বতীর মনোপলি গ্রন্থমেলার বুকে ।।
    লক্ষ্মীর বাহন স্বয়ং গুরুর লোগোতে ।
    বিদ্যাদেবীর মনোপলি দেখে এ জগতে।।
    শোকে প্যাঁচা খুলে গুরু চণ্ডা৯ ডট কম।
    খোঁজে লক্ষ্মী-পাঁচা৯র কাটতি কেন কম।।
    গুরুজন হেসে বলে পাঁচা৯ ফিনিশ।
    কে পড়িবে আদ্যিকালী রাবিশ জিনিস।।
    মনস্তাপে প্যাঁচা ভাবে সুখৈশ্বর্য যত।
    এভাবে সকলই কি হবে তিরোহিত।।
    নবান্নের পরে আর উত্তরয়ায়ন।
    থাকবেনা, থাকবেনা লক্ষ্মী নারায়ণ।।
    অশ্রুজলে ডুবুডুবু মেলা ভেসে যায়।
    অবশেষে কবিকূল হলেন সহায়।।
    নতুন স্টাইল খুঁজে নব্য কবিগণ।
    লক্ষ্মীর পাঁচা৯ করে পুনর্লিখন।।
    নতুন বয়ানে কাব্য হয় নবীকৃত।
    সে পাঁচা৯ গুরুবারে হয় প্রকাশিত।।
    গুরুবারে সন্ধ্যাকালে গুরুজন সাথে।
    গলবস্ত্রে পাঠ হয় গুরুর স্টলেতে।।
    কলিকালী ছোঁড়াছুঁড়ি শুদ্ধ করি মন।
    অবশ্যই সেই পাঠ করিও শ্রবণ।।

    এই অখাদ্য পদ্যের মানে কী? অন্য কিছু না, পাপ। গুরুচণ্ডা৯ একটি পাপকার্য করেছে। আদ্যিকালের লক্ষ্মীর পাঁচালি স্রেফ ট্রেনে আর দশকর্মা ভাণ্ডারে বিক্রি হত, বইমেলায় কদাচ নয়। আঁতেলরা একে দেখলেই নাক কোঁচকান, কারো বাড়িতে এই বস্তু আছে জানলে হ্যাহ্যা করে হাসা হয়। কোনো আধুনিকা পড়েন জানতে পারলে তো নির্ঘাত একঘরে। একমাত্র পিএইচডি টিএইচডি করতে গেলে চুপিচুপি দু-চার কপি কিনে ফেলে থিসিসের সঙ্গে জলাঞ্জলি দিতে হত, আলোকপ্রাপ্ত সমাজে এইটুকুই ছিল পাঁচালির উপযোগিতা। সভ্যতায় পাঁচালির অবদান লিখতে হলে রচনা বইতে এইটুকুই লেখা হবে। তা, হঠাৎ হয়েছে কী, কোথাও কিছু নেই, একদল কবি জুটে গিয়ে সাহিত্যের জগতে একেবারে জল-অচল এই বস্তুটির পুনর্লিখন করেছেন। তাঁদের যুক্তি হল, খামোখা ঐতিহ্যটিকে বানের জলে ভাসিয়ে লাভ কী, বরং জিনিসটাকে পুনর্লিখনই করা যাক। গুরুর পাপ হল গুরু 'লক্ষ্মীর পাঁচালি' নামের সেই পুস্তকটি ছেপেও ফেলেছে। শুধু পুনর্লিখনই নয়, বস্তুত ভাব ও বিষয়বস্তুতে লক্ষ্মীর পাঁচালি জিনিসটির পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে এই বইয়ে, যা প্রকাশিত হবে আজ। বৃহস্পতিবার, ৭ তারিখ। আর পাপকর্ম যখন একবার হয়েছে, তখন বাকিটুকুই বা বাদ থাকে কেন। যাঁরা এই পুনর্লিখনের অপকর্ম বা সাহসী কাজটি করেছেন, তাঁদেরই কেউ-কেউ উদ্বোধনের শুভলগ্নে গলবস্ত্র হয়ে বা না হয়ে পাঠ করবেন নতুন পাঁচালি। দুলে-দুলে করবেন, পাঠান্তে প্রণাম করবেন কিনা অপাতত জানার কোনো উপায় নেই। দেখার জন্য উপস্থিত থাকতে হবে গুরুর স্টলে (২৯৩) । সময়ঃ সন্ধ্যা ছটা। ওই একই সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ হবে আরও দুটি বইয়েরও। 'সিজনস অফ বিট্রেয়াল' এবং 'তাহাদের কথা'। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা ঠিক কী দাঁড়াবে (আমরাও জানিনা), জানতে হলে অবশ্যই আসুনl

    - Saikat Bandyopadhyay
  • | 2345.106.9003423.254 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪০49878
  • উহ আজ কিচ্ছু খাওয়াদাওয়া হয় নি। এমন খিদে পেহেছিল সাড়ে ন'টায় বাড়ি ঢুকে ভাত হচ্ছে দেখেও কাঁউমাউ করে দুধপুলি খে পেট ঠান্ডা করলাম।

    আজকের বইমেলায় অন্যতম সেরা প্রাপ্তি কেলোদাদার সাথে চাক্ষুষ দেখা হওয়া।
  • pi | 785612.40.8934.154 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:০৬49879
  • রবিবার সাইটের চেনাজানা লোকজনের কিছু ছবি। আর ছোটাইদি, এককের বই ও নৈ:শব্দের পরিমার্জিত সংস্করণের আনুষ্ঠানিক প্রকাশের কিছু ছবি। ছবিগুল্য মোবাইলের পচা ছবি, দমদি ক্যামেরার ভাল ছবি যদ্দিন না দেয়, এই সই!













































  • র২হ | 232312.172.9006712.103 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:২১49880
  • পচা ততটা না কিন্তু বাসী। অন্তত দু’দিনের তো বটেই।
    তা কি আর করবো। এই সবই পরিকল্পিত। মর্মপীড়, রগুবীর হে।
  • i | 783412.157.89.253 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৪১49881
  • অতিনাটকীয় আর পাড়াতুতো চাঁদের আনুষ্ঠানিক প্রকাশের একটি ছবিই আমার আছেঃ
  • T | 342323.191.3456.148 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৮49882
  • ছি ছি ছি, দমদি এইভাবে কাকে ক্যালাচ্চে! নিন্দাপ্রস্তাব গ্রহণ করি।
  • সিকি | 670112.207.01.157 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৫49883
  • আমি সমর্থন করি।
  • dd | 90045.207.5656.233 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৪49884
  • সকলেই চেনা নয়, কেউ কেউ চেনা।
  • PM | 018912.210.012323.15 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:২০49885
  • একটু কেউ ছবির সাথে গুরুর নিক গুলো লিখে দিন না প্লিজ। আমি শুধু পাই আর কল্লোলদা কে চিনি।। খুব খারাপ বেপার
  • Ipsita Pal | 2345.110.894512.189 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৭49886
  • আমার লেখার সময় পেতে পেতে মেলা শেষ :( মেলা শেষ হলে অন্য ম্যালা কাজ :(

    আপাতত সিকি ও সুকিকে দেখুন

  • i | 891212.211.561223.103 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৯49887
  • পিএম,
    আমি যাদের চিনি, লিখে দেব ছবি ধরে ধরে।
  • PM | 012312.50.7812.99 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৬49888
  • ধন্যবাদ ছোটো আই।

    সিকি র সাথে মুখোমুখি দেখা না হলেও ফোন এ কথা হয়েছে ---সেই সুত্রে চিনি ঃ)
  • | 230123.142.01900.207 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৬49889
  • দমু র বই বেরোনো তে জেনু খুশি হয়েছি। ইন্দ্রানীদি আর দমু ব ই বেরোনো টা ইন্টারনেট বাংলায় যারা ভ‍রসা রেখে লিখে গেছে, অনেক দিন ধরে, স্রেফ প্রকাশক এর বিচিত্র জগত থেকে দূরে থাকবে বলে, সেটা বেশ একটা ব‍্যাপার। গুড জব।
  • আর | 230123.142.01900.207 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১৮49890
  • একটা কেস হল, ইন্ডিপেনডেন্ট প্রকাশ ক দের উপর ডরসা রেখেছে , যখন আড্ডা ছাড়া আর কোন ইনসেনটিভ কিছু আছে কিনা সন্দেহ, এবং এই সবাই মিলে হ ই হ ই করে রিয়ালি সিরিয়াস কাজ করা র চেষ্টা করা খুবই অ্যপ্রিসিয়েট করা র মত জিনিস, আমরা নানা কারনে ভুলে ই যাই সেটা।
  • dc | 127812.49.120123.216 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:২১49891
  • সিকিকে এমনিতেই সুখী সুখী লাগে, এখানে তো আরও লাগছে।
  • Dd | 90045.207.4556.151 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩৮49892
  • ঈন্দোদা নিশ্চিন্তে থাকে সকলের সাথে/ যিনি ই শ্রী হনু তিনি থাকেন তফাতে
  • i | 783412.157.89.253 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৮49893
  • পিএম,
    কয়েকজনকে চিনিয়ে দি-তাহলে কোন ছবিতে কে কে আপনিই নিজেই বুঝে যাবেন।
    151341 এ সবুজ শাড়িতে মারিয়া-উনি এ' সাইটে আসেন না সম্ভবতঃ;
    152051এ সাদা শার্ট মন্টুবাবু, মারিয়া আর অনসূয়া (পরের ছবিতেও ইনি বই দেখছেন)-মন্টুবাবু , অনসূয়াকে সাইটে দেখি নি। মন্টুবাবুর সঙ্গে আলাপ জোড়াসাঁকোয় আর অনসূয়াকে বাংলালাইভের যুগ থেকে নামে চিনি;
    152940 তে হাত নেড়ে কথা বলছেন ছোটো আই, শ্রোতাকে চিনতে নারি;
    152946 এ অনসূয়া, মারিয়ার সঙ্গে অরূপ( সাইটে আসেন না);
    153727, 730-31, 32 , 841,952 এ কমলা জামায় তৃণা লাহিড়ী যাঁর কাগজ কেটে বানানো শিল্পকর্ম থেকে এবারে মজুররত্ন আর পাড়াতুতো চাঁদের প্রচ্ছদ তৈরি হয়েছে;
    15570এ কমলা কালো শাড়িতে দ, নীল শাড়ির নাম ভুলে গেছি;
    155802তে বড় আই;
    162409এ বাঁ দিক থেকে খ, ছোটো আই, রৌহিন, দ, গেছোদাদা, বড় আই, ফুটকি;
    171330এ দ কার কান মলছেন, সেটা বলা কি ঠিক হবে?
    172552এ কল্লোলদা আর অর্চন(নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছখ্যাত), ওঁদের মাঝে টুপি মাথায় হিরণ মিত্র;
    173407এ চশ্মা, ডোরা টি শার্টে রৌহিন;
    175316য় অর্চন, পাই, অমর মিত্র, হিরণ মিত্র;
    175322এ অর্চন ও পাইএর মাঝে শাক্যজিৎ ;
    175815য় সবাইকেই চিনে ফেলেছেন, অর্চন আর পাই এর মাঝে চশমা চোখে পারমিতা( সাইটে আসেন না ??);
    শেষ ছবিতে তন্বী হালদার, পাই ও ছোটো আই

    আর ফিরে পড়লাম না, ভুল হ'লে ধরিয়ে দেবেন কেউ নিশ্চয়ই।
  • i | 783412.157.89.253 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:০৫49894
  • বই প্রকাশের কথা এই সেদিন অবধি ভাবি নি। গুরু থেকে এবারের প্রথম অনুরোধে না বলেছিলাম, যেমন বলি। বললাম, আরো পাঁচ বছর দেখি। সেদিনই পৌলোমী সেনগুপ্তর মৃত্যুসংবাদ আসে-আমারই সমসাময়িক-মনে হ'ল, ৫ বছর আমার হাতে আছে কী? হ্যাঁ বললাম গুরুকে-তবে ১০টা গল্প শুধু, এর বেশি নয়।
    তারপর তো হই হই করে মলাট হল, প্রুফ দেখা, তারপর বই বেরোলো। একটা বই প্রকাশের সঙ্গে কত কাজ জড়িয়ে থাকে কিছুটা তো বুঝ্লাম। মলাটের জন্য তৃণাকে, পাইকে, পিনাকীকন্যাকে, হুতোকে ধন্যবাদ দিয়ে দিয়ে শেষ হবে না। প্রুফ দেখার জন্য পিনাকী, অর্জুনবাবু(অভিষেক নন)কে ও তাই।

    মেলার আর দুদিন বাকি। ফিরে এসেছি প্রবাসে। কতজনের সঙ্গে এই প্রথম সাক্ষাৎ। আমার টেখা নিয়ে এতদিন এতজনের লেখালেখি, ছবি ,প্রোমো -সবাইকে ধন্যবাদ , অনেক অনেক-সব কথা লিখে বলা যায় না। এত কিছু সত্যি আমি আশা করি নি।
    ২২ বছর পরে মেলায় ফিরে একদম অন্য অনুভূতি-যেন সেন্চুরি হল, হাততালি, হেলমেট খুলছি, ব্যাট তুললাম গ্যালারির দিকে-
    এবারে মন সরাতে হবে মেলা থেকে, ভীড় থেকে
    ২২ গজ থেকে কাঁকর সরিয়ে, ব্যাট ঠুকে, স্টান্স নিতে হবে, পরের ডেলিভারি...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন